Tag: congress

congress

  • By Election : হিমাচল প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে ২টি আসন পেল বিজেপি, বাংলায় চারটি আসনে জয়ী তৃণমূল

    By Election : হিমাচল প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে ২টি আসন পেল বিজেপি, বাংলায় চারটি আসনে জয়ী তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাতটি রাজ্যের ১৩ টি বিধানসভা কেন্দ্রে উনির্বাচনের (By Poll Election) ফল ঘোষণা হল শনিবার। বাংলায় রায়গঞ্জ মানিকতলা, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ, চার কেন্দ্রেই জয় পেয়েছে শাসকদল তৃণমূল। বাম-কংগ্রেস জোট সেই শূন্যেই। দেশের নিরিখে পাঞ্জাবের জলন্ধরে জয়ী আপ। হিমাচলের দুটি আসনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস শিবির। বিজেপি জিতেছে মধ্যপ্রদেশ ও হিমাচলের আর একটি আসনে।

    বাংলায় উপনির্বাচনের ফল(By Poll Election)

    রায়গঞ্জে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে হেরে গিয়েছেন বিজেপি-র মানস কুমার ঘোষ। তিনি ৩৬ হাজার ৪০২ ভোট পেয়েছেন। কংগ্রেসের মোহিত সেনগুপ্তর প্রাপ্ত ভোট ২৩ হাজার ১১৬। কৃষ্ণকল্যাণী ৮৬ হাজার ৪৭৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। রানাঘাট দক্ষিণে মুকুমণি ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৩৩ ভোট পেয়েছেন। বিজেপি-র মনোজ বিশ্বাস পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৪৮৫ ভোট। সিপিএম প্রার্থী অরিন্দম বিশ্বাস ১৩ হাজার ৮২ ভোট পেয়েছেন। বাগদায় মধুপর্ণা ১ লক্ষ ৭ হাজার ৭০৬ ভোট পেয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী বিনয় বিশ্বাস ৭৪ হাজার ২৫১ ভোট পেয়েছেন। ফরওয়ার্ড ব্লকের গৌর বিশ্বাস ৮ হাজার ১৮৯ ভোট পেয়েছেন উপনির্বাচনে। মানিকতলায় ৬২ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন সুপ্তি। বিজেপি-র কল্যাণ চৌবে ১৫ হাজার ১৭৯ এবং সিপিএম-এর রাজীব মুজমদার ৭ হাজার ১০১ ভোট পেয়েছেন।

    আরও পড়ুন: অনন্ত-রাধিকাই প্রথম নয়! আর যারা রাজকীয় বিয়ের আসর বসিয়েছিলেন

    বিজেপি জয়ী মধ্যপ্রদেশে (By Poll Election)

    হিমাচল প্রদেশে দুটি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। উত্তরাখণ্ডের দুটি আসনে জয়ী (By Poll Election) তারা। পাশাপাশি পাঞ্জাবে আপ একটি আসনে এবং তামিলনাড়ুর একটি আসনে জিতেছে ডিএমকে। হিমাচল প্রদেশের হারিমপুরে জয় পেয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ এবং মঙ্গলৌর থেকে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের আমারওয়ারা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

  • Nitin Gadkari: ‘‘কংগ্রেসের ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন বিজেপি না করে’’, গোয়ায় বললেন গড়করি

    Nitin Gadkari: ‘‘কংগ্রেসের ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন বিজেপি না করে’’, গোয়ায় বললেন গড়করি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিকে (BJP) বলা হয় ‘এ পার্টি উইথ ডিফারেন্স’, এবার এই কথা আর একবার শোনা গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করির (Nitin Gadkari) মুখে। গোয়াতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন বিজেপি না করে, কারণ আমরা হলাম এ পার্টি উইথ ডিফারেন্স।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কংগ্রেস যা করত, আমরা যদি তা চালিয়ে যাই, তবে তাদের চলে যাওয়া এবং আমাদের ক্ষমতায় থাকা – এ দুটোরই কোনও পার্থক্য থাকবে না।’’ প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় মোদি সরকার গঠন হওয়ার এক মাসের মধ্যে নীতিন গড়করির (Nitin Gadkari) এমন মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    ‘‘আমাদের বুঝতে হবে আমরা অন্যান্য দলগুলির থেকে ঠিক কতটা আলাদা’’ 

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি (Nitin Gadkari) পানাজির কাছে বিজেপির (BJP) কার্যনির্বাহী সভায় হাজির ছিলেন। সেখানে তিনি বক্তব্যও রাখেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গোয়ার রাজ্য সভাপতি সদানন্দ তানাভাবে ও মুখ্যমন্ত্রীর প্রমোদ সাওয়ান্ত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শুক্রবার ৪০ মিনিটের বক্তব্য রাখেন এবং সেই সময় তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের প্রাক্তন-উপ প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা এল কে আদবানীর বক্তব্যকেও। গেরুয়া শিবিরের সংগঠন গড়ে তুলতে অনবদ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন লাল কৃষ্ণ আদবানি এবং সে সময় তিনি বারবার বলতেন, ‘বিজেপি এ পার্টি উইথ ডিফারেন্স’। সেই মন্তব্য টেনে এনে  নীতিন গড়করি বলেন, ‘‘আমাদের বুঝতে হবে আমরা অন্যান্য দলগুলির থেকে ঠিক কতটা আলাদা।’’

    জাতপাতের রাজনীতি চলবে না মহারাষ্ট্রে, বললেন গড়করি (Nitin Gadkari) 

    নাগপুরের সাংসদ আরও জানিয়েছেন, কংগ্রেসের ভুলের কারণেই সাধারণ মানুষ বিজেপিকে নির্বাচিত করেছে। একই ভুলের ক্ষেত্রে বিজেপি কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। মহারাষ্ট্রের রাজনীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি (Nitin Gadkari) বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে জাতপাতের রাজনীতি চলে না। যাঁরা এটা করবে তাঁদেরকে ক্ষমতা থেকে বের করে দেওয়া হবে। একজন ব্যক্তিকে তাঁর মূল্যবোধের মাধ্যমেই পরিচিতি দেওয়া উচিত, জাতের মাধ্যমে নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Congress: হিন্দু বিরোধিতা কংগ্রেসের ট্র্যাডিশন! জেনে নিন বহমান সেই ধারা

    Congress: হিন্দু বিরোধিতা কংগ্রেসের ট্র্যাডিশন! জেনে নিন বহমান সেই ধারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের নিয়ে সম্প্রতি পার্লামেন্টে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, “হিন্দুরা কেবল হিংসার কথা বলেন, বলেন ঘৃণার কথা, মিথ্যেও বলেন।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাহুল হিন্দুদের নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা নতুন কিছু নয়, বরং এটা কংগ্রেসের ঐতিহ্যের সঙ্গেই সম্পৃক্ত। রাহুলের এহেন মন্তব্যে নিঃসন্দেহে আঘাত পেয়েছেন এ দেশের সংখ্যাগুরু হিন্দুরা (Hindu Bashing)।

    রাহুলের বেফাঁস মন্তব্য (Congress)

    তবে তাতে রাহুল কিংবা কংগ্রেস, কারও কিস্যু যায় আসে না! রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে অভ্যস্ত কংগ্রেসের কাছে এই জাতীয় মন্তব্যই কাঙ্খিত। এর আগেও রাহুলকে হিন্দু ধর্ম নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, তিনি শক্তির বিরুদ্ধে লড়ছেন। ‘শক্তি’ বলতে হিন্দু ধর্মে আদ্যাশক্তিকে বোঝায়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কংগ্রেসের জন্ম ব্রিটিশদের হাতে, আর বর্তমানে তাকে চালনা করছেন ইটালিয়ানরা। তাই তাঁরা যে হিন্দু-বিরোধী হবেন, তাতে আর আশ্চর্যের কী আছে? এ প্রসঙ্গে (Congress) পণ্ডিত জওহর লাল নেহরুর মন্তব্যটি প্রনিধানযোগ্য। ১৯২৯ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত লাহোর কংগ্রেসে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমি হিন্দু হয়ে জন্মেছিলাম। কিন্তু আমি জানি না, আমার নিজেকে কতটা হিন্দু বলে দাবি করা ঠিক হবে।”

    প্রসঙ্গ যখন সোমনাথ মন্দির

    বিধর্মীদের হাতে ধ্বংস হয়েছিল সোমনাথ মন্দির। সেই মন্দির পুনর্গঠন করতে যখন রাজেন্দ্রপ্রসাদ, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল, কেএম মুন্সি, এনভি গ্যাডগিলের মতো নেতারা জোট বাঁধছেন, তখন তার বিরোধিতা করেছিলেন নেহরু স্বয়ং। এই মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ। তাঁকে যেতে নিষেধ করেছিলেন নেহরু। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই সোমনাথ মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। কংগ্রেসের সেই ‘মেকি ধর্মনিরপেক্ষতা’র মুখোশ আমরা দেখলাম এই ২০২৪ সালেও। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরের। এই অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ পেয়ে যাননি কংগ্রেসের কেউ। অথচ এসেছিলেন দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরা।

    নেহরুর দ্বিচারিতা

    স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহেরু। তিনি প্রথমবার নির্বাচিত হন ১৯৫২ সালে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তার পরের লোকসভা নির্বাচনেও। যদিও ১৯৫৮ সালেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। এর অন্যতম প্রধান কারণ হিন্দুত্ব নিয়ে তাঁর দ্বিচারিতা। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম দফায়ই তিনি বিরোধিতা করেছিলেন প্রো-হিন্দু নেতাদের (Congress)। পাকিস্তানে থেকে যাওয়া হিন্দুদের কী হবে, সে প্রশ্ন তুলেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি এবং কংগ্রেসের অন্য প্রো-হিন্দু নেতারা। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছিলেন ১৯৫০ সালের নেহেরু-লিয়াকত দিল্লি চুক্তি নিয়েও। এই চুক্তিতেই বলা ছিল, দুই দেশই তাদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করবে। পাকিস্তানের মতো একটি ইসলামিক রাষ্ট্রে যা অকল্পনীয় বলেই ধারণা হিন্দুত্ববাদী নেতাদের সিংহভাগেরই। ১৯৫০ সালে অকালে প্রয়াত হন শ্যামাপ্রসাদ। বস্তুত তার পরেই খোলা মাঠ পেয়ে যান নেহরু। এই হিন্দুত্ব নিয়ে নেহরুর সঙ্গে মতদ্বৈততার কারণে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। নেহরুর হিন্দু কোড বিলের প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন প্রো-হিন্দু নেতারা।

    নেহরু ‘সাম্প্রদায়িক’!

    পার্লামেন্টে তো নেহরুকে ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে দেগে দিয়েছিলেন জেবি কৃপালনী। সংবিধান রচয়িতা আম্বেডকর বলেছিলেন, যে দেশে যে ধর্মের প্রধান্য সেই ধর্মের লোকজন চলে যান সেই দেশে। এটাই স্থায়ী সমাধান। (সেই সূত্রে মেনেই বোধহয়) গিয়েছিলেন পূর্ব ভারতের দলিত নেতা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল। পাকিস্তানে গিয়ে মন্ত্রীও হয়েছিলেন। তবে তিক্ত অভিজ্ঞতার জেরে আবারও ফিরে আসেন ভারতে। আম্বেডকর এবং মুখার্জি দুজনেই খোলাখুলি নেহরুর হিন্দু-বিরোধী অবস্থানের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। যার জেরে ১৯৫৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন ইন্দিরা গান্ধীর বাবা জওহর লাল। রাজনীতিকদের একাংশের মতে, মেকি-ধর্ম নিরপেক্ষতার আড়ালে নেহরু আসলে চিরকাল করে গিয়েছেন তুষ্টিকরণের রাজনীতি। নেহরু সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সীতারাম গোয়েল বলেছিলেন, “পণ্ডিত জওহর লাল নেহরু একজন গর্বিত বাদামি সাহেব। নেহরুর ফর্মুলা হল, প্রতিটি পরিস্থিতিতে হিন্দুদের দোষী করা উচিত, সে তাঁরা প্রকৃত দোষী হোন বা না হোন।”

    আর পড়ুন: দুর্গাপুজোর প্রচলন এখানেই! বাংলাদেশের মেধস মুনির আশ্রমের জমি দখলের অভিযোগ

    বিলম্বিত বোধদয়

    নেহরুর সেই ধারা আজও বহমান কংগ্রেসে। তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে দিনের পর দিন তারা দোষারোপ করে চলেছে হিন্দুদের। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল সংসদে রাহুল গান্ধীর হিন্দু বিরোধী মন্তব্য। রাহুলের আগে প্রো-মুসলিম মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও। তিনি বলেছিলেন, “এই দেশের সম্পদের ওপর সবার আগে অধিকার মুসলমানদের।” মৃত্যুর আগে বোধহয় চৈতন্যোদয় হয়েছিল (Hindu Bashing) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নেহরুর। ১৯৬৩ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি আহ্বান জানিয়েছিলেন আরএসএসের স্বয়ংসেবকদের। যে জনসংঘকে ১৯৪৮ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন নেহরু, সেই জনসংঘকেই ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের পর নেহরু বলেছিলেন, “জনসংঘ দেশপ্রেমিক একটি দল।”

    একেই বোধহয় বলে বিলম্বিত বোধদয় (Congress)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Champai Soren: ঝাড়খণ্ডে পালাবদল, চম্পইকে সরিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন হেমন্ত

    Champai Soren: ঝাড়খণ্ডে পালাবদল, চম্পইকে সরিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন হেমন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাজা’ বসবেন। তাই কুর্সি ছেড়ে দিতে হল ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেনকে (Champai Soren)। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। এদিনই নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার জন্য আবেদন জানান ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। সম্প্রতি জামিন পেয়ে জেল থেকে বেরিয়েছেন তিনি। হেমন্ত হবেন জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের নয়া মুখ্যমন্ত্রী।

    চম্পই ক্ষুব্ধ (Champai Soren)

    বর্তমানে জেএমএমের শীর্ষ পদে রয়েছেন হেমন্তের বাবা শিবু সোরেন। দলের কার্যকরী সভাপতি রয়েছেন হেমন্ত। বুধবারই চম্পইকে (Champai Soren) মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে হেমন্তকে ওই পদে ফেরাতে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব গৃহীত হয় জেএমএমের পরিষদীয় দলের বৈঠকে। সূত্রের দাবি, আচমকা তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে চম্পই যারপরনাই ক্ষুব্ধ। তবে ‘বিদ্রোহ’ না করে দলীয় সিদ্ধান্তই মেনে নিয়েছেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক মহলের মতে, ক্ষোভ সামাল দিতে চম্পইকে করা হতে পারে নয়া কার্যকরী সভাপতি। প্রসঙ্গত, এবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলে হেমন্ত এই পদে বসবেন তিনবার।

    ডিসেম্বরেই বিধানসভা নির্বাচন ঝাড়খণ্ডে

    চলতি বছরের ডিসেম্বরেই হওয়ার কথা ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচন। হেমন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে জেলে যাওয়ার আগে চম্পই ছিলেন ওই মন্ত্রিসভার পরিবহণ মন্ত্রী। ২০০৫ সাল থেকে টানা চারবার সেরাইকেলা আসনে জিতে এসেছিলেন তিনি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তিনি হয়েছিলেন জেএমএম প্রার্থী। হেরে গেলেও ওই বছরই বিধানসভা নির্বাচনে জিতে ফের বিধানসভায় পা রাখেন সিংভূম অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতা চম্পই। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় প্রত্যাশিতভাবেই ক্ষুব্ধ চম্পইয়ের অনুগামীরা।

    আর পড়ুন: “এর থেকে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে?”, চোপড়াকাণ্ডে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    জমি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি হেমন্তকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। ঘটনার দিন যখন ইডির আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে যান, তখনও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদেই ছিলেন হেমন্ত। পরে সাংবিধানিক মর্যাদার কথা মাথায় রেখে ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদে (তবে গ্রেফতার হলেও এখনও মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল)। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় হেমন্তকে (Hemant Soren)। চম্পইকে বসানো হয় মুখ্যমন্ত্রী পদে। গত ২ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ডের দ্বাদশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন চম্পই। সেই চম্পইকেই (Champai Soren) সরে যেতে হল বুধবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবেন না”, রাহুলের ‘হিন্দু’-মন্তব্য প্রসঙ্গে বললেন মোদি

    PM Modi: “মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবেন না”, রাহুলের ‘হিন্দু’-মন্তব্য প্রসঙ্গে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবেন না।” মঙ্গলবার এই ভাষায়ই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবারই লোকসভায় হিন্দুদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ওয়েনাড়ের সাংসদ। তার জেরেই এদিন তিনি চলে আসেন প্রধানমন্ত্রীর চাঁদমারিতে। রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুর ভাষণের ওপর চলছে মোশন অফ থ্যাংকস।

    ‘ঈশ্বরের ছবি দেখানোয় দেশবাসী আঘাত পেয়েছেন’ (PM Modi)

    এই প্রসঙ্গেই লোকসভায় বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, “শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবেন না…হিন্দুরা সহনশীল। সেই হিন্দুদের মিথ্যে অভিযোগে অভিযুক্ত করতে ষড়যন্ত্র চলছে। বলা হচ্ছে, হিন্দুরা হিংস্র।” তিনি বলেন, “এটা আপনার চরিত্র, মননে এবং ঘৃণায়।” সংসদে ঈশ্বরের ছবি দেখানোয় দেশবাসী আঘাত পেয়েছেন বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “তাঁরা আমাদের ঈশ্বরদের অপমান করেছেন। জিনকে দর্শন হোতে হ্যায়, উনকে প্রদর্শন নহি হোতে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গতকালের ঘটনা দেখে হিন্দুদের ভাবতে হবে এটা (লোকসভায় শিবের ছবি দেখানো) কী কাকতালীয় না কি পূর্বপরিকল্পিত।”

    রাহুলকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর

    রাহুলকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সহানুভূতি কুড়োনোর একটা প্রবণতার সৃষ্টি হয়েছে। আমি একটি শিশুর সম্পর্কে বলতে চাই যে স্কুল থেকে ফিরে মাকে বলছে স্কুলে তাকে মারধর করা হয়েছে। শিশুটি তার মাকে বলল না যে স্কুলে সে একজনকে গালি দিয়েছে, একটি শিশুর বই ছিঁড়ে দিয়েছে এবং একজনের টিফিন চুরি করেছে। গতকাল আমরা সংসদে একটি শিশুসুলভ আচরণ দেখেছি। এটা করা হয়েছিল স্রেফ সহানুভূতি কুড়োতে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাইহোক, গোটা দেশ জানে এই ব্যক্তি একটি দুর্নীতি মামলায় জামিনে ছাড়া পেয়েছেন, একজন ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষকে চোর বলায় সাজা পেয়েছেন, বীর সাভারকরকে অপমান করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।”

    আর পড়ুন: নিট-পিজিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে অভিনব বন্দোবস্ত, কী হচ্ছে জানেন?

    প্রসঙ্গত, সংসদে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাহুল (Rahul Gandhi) বলেছিলেন, “হিন্দুরা কখনওই হিংসা ছড়ায় না। কিন্তু বিজেপি গোটা দেশে হিংসা এবং ঘৃণা ছড়িয়ে চলেছে। যদিও আমাদের মনে রাখতে হবে যে বিজেপি এবং আরএসএসই সম্পূর্ণ হিন্দু সম্প্রদায় নয়।” ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি ভগবান শিবের ছবিও দেখিয়েছিলেন। এদিন লোকসভায় তারই জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • RSS: শিক্ষায় দখলের অভিযোগ খড়্গের! পাল্টা তোপ ধনখড়ের

    RSS: শিক্ষায় দখলের অভিযোগ খড়্গের! পাল্টা তোপ ধনখড়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দিনেও রাজ্যসভায় শাসক বিরোধী তরজা অব্যাহত। এদিন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের মধ্যে প্রথমে মজার ছলে কথোপকথন শুরু হয়। কিন্তু খাড়গে তাঁর বক্তব্য আরএসএস (RSS) কেন্দ্রিক করতেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় দুজনের মধ্যে। নিটের বিষয়ে আলোচনা ইস্যুতে আরএসএসকে অহেতুক জড়িয়ে তির্যক মন্তব্য করেন কংগ্রেস সভাপতি। পাল্টা জবাব দিতে সময় নষ্ট করেননি জগদীপ ধনখড়।  

    ঠিক কী হয়েছিল?

    এদিন রাজ্যসভায় মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করেন, নিটের ৭০ টি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সাত বছরে লিক হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, সবকিছু জেনেও চুপ থেকেছে মোদি সরকার। এর সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের লোকেরা (RSS) দেশের পঠন-পাঠন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি সংস্থায় ঢুকে পড়েছে। তাঁর অভিযোগ এনসিইআরটি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে আরএসএস-এর লোকেরা বসে আছেন।

    জগদীপ ধনখড়ের পাল্টা জবাব (RSS)

    পাল্টা জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) প্রশ্ন করেন, আরএসএস করা কি অপরাধ? আরএসএস করলে কি কোনও ব্যক্তির কোনও সংস্থার প্রবেশাধিকার নষ্ট হয়ে যায়। আরএসএসের (RSS) প্রশংসা করে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “আরএসএস রাষ্ট্রের অগ্রগতির জন্য দায়বদ্ধ। রাষ্ট্রের উন্নয়নে স্বয়ংসেবকদের অবদান অনস্বীকার্য।” সোমবার কংগ্রেস সভাপতি আরও অভিযোগ করে বলেন, রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ ভাষণের প্রস্তাবের আড়ালে সরকার তাদের ব্যর্থতা লুকোতে চাইছে। রাষ্ট্রপতির ভাষণে গরীব, দলিত ও সংখ্যালঘুদের কথা উল্লেখ করা হয়নি। বিরোধীরা যখন সাধারণ মানুষের কথা বলছে, সেই সময় মোদি শুধু মন কি বাত করে যাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: ইভিএম নিয়ে ভুয়ো খবর, মিড ডে-র রিপোর্টার সহ একাধিক ব্যক্তির নামে এফআইআর

    প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনের সময় বিভাজনমূলক বক্তব্য রাখার জন্য অভিযুক্ত করে খাড়গে বলেন, “এর আগে দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী এ কাজ করেননি।” কংগ্রেস পার্টির ম্যানিফেস্টোকে যেভাবে ধর্মের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল তা অবাঞ্ছিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Modi vs Rahul Gandhi: সংসদে রাহুল-মোদি বাকযুদ্ধ! বিরোধী দলনেতার ‘হিন্দুত্ব’ মন্তব্যে পাল্টা জবাব প্রধানমন্ত্রীর

    Modi vs Rahul Gandhi: সংসদে রাহুল-মোদি বাকযুদ্ধ! বিরোধী দলনেতার ‘হিন্দুত্ব’ মন্তব্যে পাল্টা জবাব প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী দলনেতা হিসেবে প্রথমবার অষ্টাদশ লোকসভায় ভাষণ রাহুল গান্ধীর। কিন্তু বিরোধী দলনেতার প্রথম ভাষণেই তুলকালাম বাঁধল লোকসভায়। এদিন নিজের ভাষণে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) মন্তব্য করেন, ”হিন্দুরা কখনই হিংসা ছড়ায় না। কিন্তু বিজেপি গোটা দেশে হিংসা এবং ঘৃণা ছড়িয়ে চলেছে। যদিও আমাদের মনে রাখতে হবে যে বিজেপি এবং আরএসএসই সম্পূর্ণ হিন্দু সম্প্রদায় নয়।” আর কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যের পরেই পাল্টা জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।   

    রাহুল গান্ধীর মন্তব্য (Modi vs Rahul Gandhi) 

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতেই সংসদে (Lok Sabha) ঝড় তুললেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সাংসদ এদিন গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ”ভারতের ধারণা, সংবিধানকে বিজেপি আক্রমণ করেছে।” তিনি আরও বলেন, ”ভারতের ধারণা, সংবিধান এবং বিজেপির প্রস্তাবিত ধারণার বিরোধী লক্ষ লক্ষ লোকের উপর নিয়ম মাফিক আক্রমণ করা হচ্ছিল। আমার ওপরেও আক্রমণ শানানো হয়েছে। আমাদের বিরোধীদের অনেকের ওপরই ব্যক্তিগতভাবে হামলা হয়েছে। যারা যারা ক্ষমতা, সম্পদের কেন্দ্রীভূত করার বিরোধিতা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো হয়েছে এবং যারা দরিদ্র, দলিত, সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, তাদেরও নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছে। লোকজনকে জেলে ঢোকানো হয়েছে এবং হুমকি দেওয়া হয়েছে।” এরপর রাহুল গান্ধী বলেন, ”আমাদের সমস্ত মহাপুরুষরা অহিংসার কথা বলেছেন। কিন্তু, যারা নিজেদেরকে হিন্দু বলে দাবি করে, তারা শুধু হিংসা, ঘৃণা, অসত্যের কথা বলে… আপনারা হিন্দুই না।” 

    কী জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী?   

    এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাঁড়িয়ে উঠে বলেন, ”গোটা হিন্দু সমাজকে এভাবে হিংসত্মক বলে দাবি করা হচ্ছে। এটা খুবই গুরুতর বিষয়।” এরপর রাহুল (Modi vs Rahul Gandhi) পাল্টা জবাবে বলেন, ”নরেন্দ্র মোদি সমগ্র হিন্দু সমাজ নন। বিজেপি পুরো হিন্দু সমাজ নয়। আরএসএস সমগ্র হিন্দু সমাজ নয়। এটা বিজেপির কোনও চুক্তি নয়।” 

    আরও পড়ুন: কোচবিহার-চোপড়া নিয়ে চাপে রাজ্য, বিধানসভায় ধর্না বিজেপির, রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    প্রসঙ্গত, এদিন প্রথম থেকেই সংসদে (Lok Sabha) আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন রাহুল গান্ধী। নিজের ভাষণ দেওয়ার সময় রাহুল গান্ধী শিবঠাকুরের একটি ছবি তুলে ধরেন। এরপর তাঁর হিন্দু মন্তব্যের জেরে সংসদে হট্টোগোল শুরু হয়। যদিও সেসময় রাহুলকে বাধা দিয়ে স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, ”সংসদে কোনও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনের নিয়ম নেই।” বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের মাঝেই আসরে নামেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি রাহুলের হিন্দু মন্তব্যের বিরোধিতা করেন। বিজেপির বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগের প্রতিবাদ করেন তিনি। বলেন, এভাবে কোনও দলকে দোষারোপ করা যায় না। এমনকি এদিন বিরোধী দলনেতাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kerala: কেরলের পালাক্কাদ উপনির্বাচনে ইতিহাস গড়তে পারে বিজেপি, কেমন হবে ভোটের সমীকরণ?

    Kerala: কেরলের পালাক্কাদ উপনির্বাচনে ইতিহাস গড়তে পারে বিজেপি, কেমন হবে ভোটের সমীকরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে, কেরলের (Kerala) দুটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুটি কেন্দ্রের মধ্যে সকলের দৃষ্টি পালাক্কাদের দিকে। এই কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টি দ্বিতীয়বারের মতো রাজ্যে বিধায়ক নির্বাচন করার একটি উল্লেখযোগ্য সুযোগ পেতে পারে। এর আগে, ২০১৬ সালে, দলের প্রবীণ নেতা ও রাজাগোপাল নেমোম থেকে ঐতিহাসিক জয় অর্জন করেছিলেন। আসুন জেনে নিই কেমন অবস্থানে রয়েছে বিজেপি।

    বিজেপির সম্ভাবনা (Kerala)

    পালাক্কাদে (Kerala) বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করা হয় কারণ বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর এখানে শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। গত দুই বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির ফল বেশ ভালো ছিল। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ভাদাকারা থেকে কংগ্রেসের বর্তমান বিধায়ক শফি পারম্বিলের জয়ের কারণে এই উপনির্বাচন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। বিজেপি, ২০২১ এবং ২০১৬ উভয় ক্ষেত্রেই পালাক্কাদে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিল। উল্লেখ্য ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছিল। আবার পারম্বিলে বিজেপির ‘মেট্রো ম্যান’ ই শ্রীধরনকে মাত্র ৩,৮৫৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছিল। কংগ্রেস ৩৮.০৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, যেখানে বিজেপি ৩৫.৩৪ শতাংশ এবং সিপিআই(এম) ২৫.৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। আবার ২০১৬ সালে, দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি এবং সিপিআই(এম)-এর মধ্যে ব্যবধান আরও কম ছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল ৪১.৭৭ শতাংশ ভোট, বিজেপি পেয়ছিল ২৯.০৮ শতাংশ এবং সিপিআই(এম) পেয়েছিল ২৮.০৭ শতাংশ ভোট।

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কেমন ফল ছিল?

    কেরলে (Kerala) ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপি আবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। কংগ্রেস প্রার্থী ভি কে শ্রীকন্দন পেয়েছেন ৫২৭৭৯ ভোট, আর বিজেপির সি কৃষ্ণকুমার পেয়েছেন ৪৩০৭২ ভোট। সিপিআই(এম) এর এ বিজয়রাঘবন পেয়েছেন ৩৪৬৪০ ভোট।

    উপনির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী

    কেরল (Kerala) বিজেপি এখনও উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাই করেনি, তবে দল সি কৃষ্ণকুমার বা শোভা সুরেন্দ্রনকে প্রার্থী করতে পারে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। শোভা ২০১৬ সালে পালাক্কাদ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং আলাপ্পুঝাতে দলের ভোট উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করিয়েছিলেন। কংগ্রেস নেতা কে মুরলীধরনের বোন এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে করুণাকরণের মেয়ে পদ্মজা ভেনুগোপালের নামও আলোচনায় রয়েছে। সম্প্রতি তিনিও বিজেপিতে যোগদান করেছেন।

    চ্যালেঞ্জ ও কৌশল

    যদিও কেরলে (Kerala) বিজেপির অবস্থান ভালো মনে হচ্ছে, তবে সবকিছু সহজ নয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল সংখ্যালঘু ভোট, বিশেষ করে মুসলিম ভোট। গত নির্বাচনে, শ্রীধরনের ব্যক্তিগত ইমেজের কারণে বিজেপি প্রচুর ভোট পেয়েছিল। তবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায়, এই ফ্যাক্টরটি এবার থাকবে না। অতএব, বিজেপিকে দ্বিতীয়স্থান থেকে বিজয়ী হতে গেলে সিপিআই(এম)-র হিন্দু ভোটের দিকে গুরুত্বপূর্ণ নজর দিতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন রিপোর্ট ‘পক্ষপাতদুষ্ট’, জানাল নয়াদিল্লি

    সম্ভাব্য প্রার্থীদের উপর চিন্তা

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, “কেরলে (Kerala) বিজেপির পক্ষে একটি নতুন মুখ উপস্থাপন করা ভাল হবে। কারণ ভোটাররা কৃষ্ণকুমারকে নিয়ে ক্লান্ত। শোভা সুরেন্দ্রনের জন্য, আলাপুজায় ফোকাস করা পক্ষে ভাল হতে পারে। তিনি কায়মকুলাম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, কারণ এখানে দল ভাল পারফর্ম করেছে। কংগ্রেস প্রার্থী করতে পারে রাহুল মামকুতাথিলকে, যিনি রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি। তবে, এমনও জল্পনা রয়েছে যে ভিটি বলরামকে প্রার্থী করা হতে পারে। তিনি অবশ্য পালাক্কাদ জেলার থ্রিথালা থেকে দুবার বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maruti Making: প্রসঙ্গ মারুতি তৈরি, কংগ্রেসের আরও একটি কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস

    Maruti Making: প্রসঙ্গ মারুতি তৈরি, কংগ্রেসের আরও একটি কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর মা দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি কেউই নন। তা সত্ত্বেও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ছেলে সঞ্জয় প্রশাসনে হয়ে উঠেছিলেন দু’নম্বর ব্যক্তিত্ব। অন্তত বিরোধীদের দাবি তা-ই (Maruti Making)। স্রেফ ইন্দিরার ছেলে হওয়ায় যুব কংগ্রেসের প্রধানের ভূমিকায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। ইন্দিরাই দেশে জারি করেছিলেন ২১ মাসের জরুরি অবস্থা। বেছে বেছে বিরোধীদের জেলে পুরে ছিলেন। কংগ্রেসের মধ্যেও যাঁরা জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁদেরও রেহাই দেননি ‘স্বৈরাচারী’ (বিরোধীরা অন্তত তেমনই বলেন) ইন্দিরা।

    সঞ্জয় গান্ধী

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সরকারের অংশ না হয়েও, বকলমে সরকার পরিচালনা করতেন সঞ্জয়। মায়ের হাতে দেশের চূড়ান্ত ক্ষমতার রশি থাকায় আখের গুছিয়ে নিতে উদ্যোগী হন সঞ্জয়। ইন্টারমিডিয়েট (১০+২) যোগ্যতায় যেখানে ছোটখাট কোনও কোম্পানিতে চাকরি হওয়ার কথা, সেখানে সঞ্জয় চেয়েছিলেন অটোমোবাইল কারখানার মালিক হতে (Maruti Making)। গান্ধী পরিবারের এক বন্ধুর মারফত রোলসের লন্ডন প্ল্যান্টে সঞ্জয়ের তিন বছরের শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার ব্যবস্থা হয়। বছর দুয়েক পরেই ভারতে ফিরে আসেন ইন্দিরা-পুত্র। দেশে ফিরে সঞ্জয় যোগাযোগ করেন মেকানিক অর্জুন দাসের সঙ্গে। ইনিই হয়েছিলেন সঞ্জয়ের প্রাথমিক সহযোগী। দিল্লির সমস্ত চোরবাজার ছিল এঁর নখদর্পণে। সঞ্জয় এবং অর্জুনের যৌথ উদ্যোগে দ্রুত একটি গাড়ির প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়েছিল।

    লাইসেন্স দিয়েছিলেন ইন্দিরা স্বয়ং!

    ১৯৬৮ সালে আরও অনেকগুলি কোম্পানির সঙ্গে দরপত্র দেয় সঞ্জয়ের কোম্পানিও। সঞ্জয়ের প্রস্তাব ছিল আইএনআর ৬০০০ এর ইউনিট মূল্যে একটি গাড়ি তৈরি করা। সঞ্চয়কে এই গাড়ি তৈরির লাইসেন্স দিয়েছিলেন ইন্দিরা স্বয়ং। তার আগেই অবশ্য ইন্দিরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইসেন্সিং কমিটির সভাপতিত্ব গ্রহণ করেছিলেন। ঘটনাটিকে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজয়েপী ‘নগ্ন দুর্নীতি’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

    ১৯৭১ সালের অগাস্ট মাসে প্রতিষ্ঠিত হয় মারুতি মোটরস লিমিটেড। এর প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়েছিলেন সঞ্জয়। মারুতি কারখানা স্থাপনের জন্য গুরগাঁওয়ে ২৯৭ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল, হাজার আটেক টাকা মূল্যের দেশীয় গাড়ি তৈরি করা হবে এই কারখানায়। এর আগেই অবশ্য মারুতিকে ৫০ হাজারটি কম দামের গাড়ি তৈরির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল।

    আর পড়ুন: ক্রমাগত হারের ধাক্কায় রাজনীতিতে থেকে বিদায় নিলেন বাইচুং

    জানা গিয়েছে, দিল্লি-জয়পুর হাইওয়েতে যে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, সেই জমি কৃষি জমি নয় বলে দাবি করা হয়েছিল। যদিও পরে দেখা যায়, অধিগৃহীত জমির ৯০ শতাংশ অংশেই সেচের ব্যবস্থা ছিল। এলাকায় একটি এয়ারফোর্স গোলাবারুদ ডাম্প এবং এয়ারফিল্ড ছিল। প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সেসবই সরানো হয়। জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল, তাও যৎসামান্য। একর প্রতি জমির মালিকদের ১২ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছিল।

    এমডি হিসেবে সঞ্জয় মারুতি লিমিটেডে (Maruti Making) দশ টাকার দশটি শেয়ার কিনেছিলেন। তাঁর বিনিয়োগের পরিমাণ ১০০ টাকা। দেশজুড়ে ৭৫ জন ডিলার নিয়োগ করে সঞ্জয়ের কোম্পানি। ডিলারশিপ ফি বাবদ আদায় করা হয় ২১৮ কোটি টাকা। সময়ে গাড়ি সরবরাহ না করায় প্রতিবাদ করেছিলেন কয়েকজন ডিলার। জরুরি অবস্থার সময় মিসা আইনে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। ১৯৭৭ সালে প্রথম গাড়ি লঞ্চ করছিল সঞ্জয়ের কোম্পানি। পরে এমটিএসের সহযোগী সংস্থা হিসেবে চালু হয় মারুতি হেভি ভেহিক্যালস (পি)। এই সংস্থা ১৬ লাখ এমএইচভি পারকিন্স ও ফোর্ড ইঞ্জিন আমদানি করেছিল। তাদের সঙ্গে পুরানো রোলারগুলিকে সংস্কার করে। পরে সেগুলিকে নতুন হিসেবে বিক্রি করে বলে অভিযোগ।

    অকালে প্রয়াত হন সঞ্জয়। তবে সেই স্বল্প জীবনে তিনি ভারতে রেখে গিয়েছেন কেলেঙ্কারির কালো দাগ (Maruti Making)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rahul Gandhi: সত্যি হল জল্পনা! লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হলেন রাহুল গান্ধী

    Rahul Gandhi: সত্যি হল জল্পনা! লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হলেন রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে জল্পনা সত্যি করে এবারের লোকসভায় বিরোধী দলনেতা নিযুক্ত হলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। মঙ্গলবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে একথা জানালেন সি বেণুগোপাল। এদিন নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে ইন্ডিয়া ব্লকের নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানেই রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে পরপর দুবার লোকসভা ভোটে ন্যূনতম ১০ শতাংশ আসনও কংগ্রেসের অধরা ছিল। ফলে লোকসভার বিরোধী দলের মর্যাদা পায়নি কংগ্রেস। তবে এবারের ছবিটা উল্টো। 

    লোকসভায় একাই ৯৯টি আসনে জয়লাভ কংগ্রেসের 

    ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে কংগ্রেস একাই ৯৯টি আসনে জয়লাভ করেছে। ইন্ডি জোটে যে সব দল রয়েছে তাদের মধ্যে কংগ্রেসই সর্বাধিক আসনে জিতেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী শিবিরে এবার তাদের জোরও বেশি হওয়ার কথা, এমনই বলছে রাজনৈতিক মহল। তাছাড়া লোকসভা বিরোধী দলনেতার পদ পাওয়ার জন্য একটি রাজনৈতিক দলের ৫৫টির বেশি আসনে জয়লাভের প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে রাহুলের (Rahul Gandhi) লোকসভা বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) পদে নিয়োগ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে কারণ হচ্ছে। কারণ, বুধবার লোকসভার স্পিকার পদে নির্বাচন। ইতিমধ্যেই স্পিকার পদ নিতে বিস্তর প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়ে গেছে শাসক ও বিরোধী শিবিরের।  

    আরও পড়ুন: স্পিকার পদে ভোটাভুটি আজ, জয় নিশ্চিত বিড়লার, অতীতে তিনবার এই পদে নির্বাচন হয়েছে

    ইন্ডি জোটের সর্বসম্মতিতেই বিরোধী দলনেতা নির্বাচন

    উল্লেখ্য, ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে রাহুল গান্ধীকেই (Rahul Gandhi) বিরোধী দলনেতার করার দাবি তুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদরা। এমনকী, এই মর্মে প্রস্তাবও পাস করা হয় দলের বর্ধিত কর্মসমিতির বৈঠকে। এ প্রসঙ্গে বেনুগোপাল বলেছেন, “সিপিপি চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মাহতাবকে একটি চিঠি লিখে লোকসভার বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) হিসাবে রাহুল গান্ধীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। অন্যান্য পদাধিকারীদের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” এরপরে এদিন অধিবেশনের শেষদিকে রাহুলের নাম বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করেন প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মহতাব। জানা গিয়েছে ইন্ডি জোটের সর্বসম্মতিতেই রাহুলকে বিরোধী দলনেতা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  
    প্রসঙ্গত, এবছর কেরলের ওয়ানাড থেকে ফের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। আবার সোনিয়া গান্ধীর ছেড়ে যাওয়া রায়বরেলিতেও রেকর্ড  ৪ লাখ ৪২ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভার সদস্য দীনেশ প্রতাপ সিংকেও। পরে অবশ্য নিয়মাফিক ওয়ানাড কেন্দ্রটি ছেড়ে দিতে হয় তাঁকে। ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচনী কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share