Tag: congress

congress

  • Amit Shah: “জরুরি অবস্থার সময় ভারতবাসীর ওপর নৃশংসতা চালিয়েছিলেন ইন্দিরা”, তোপ শাহের

    Amit Shah: “জরুরি অবস্থার সময় ভারতবাসীর ওপর নৃশংসতা চালিয়েছিলেন ইন্দিরা”, তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৫ জুন, জরুরি অবস্থার ৫০তম বর্ষপূর্তি। এদিন সাত সকালেই কংগ্রেসকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে একই উপলক্ষে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থার সময় নিষ্ঠুরভাবে নৃশংসতা চালিয়েছিলেন ভারতবাসীর ওপর।” ক্ষমতায় টিকে থাকতে তিনি যে সংবিধানের স্পিরিটকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছিলেন, তাও বলেন মোদির সেনাপতি।

    শাহি তোপ (Amit Shah)

    এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী(Amit Shah) লিখেছেন, “কংগ্রেস বিভিন্ন সময় আমাদের সংবিধানের স্পিরিট ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। একটি বিশেষ পরিবারকে ক্ষমতায় রাখতে তারা এটা করেছিল।” এর পরেই তিনি লেখেন, “ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থার সময় নিষ্ঠুরভাবে নৃশংসতা চালিয়েছিলেন ভারতবাসীর ওপর।” শাহ বলেন, “কংগ্রেস পার্টির যুবরাজ (রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ) ভুলে গিয়েছেন যে তাঁর ঠাকুমা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। এবং তাঁর বাবা রাজীব গান্ধী ১৯৮৫ সালের ২৩ জুলাই লোকসভায় এই ভয়ঙ্কর ঘটনা (জরুরি অবস্থা) নিয়ে গর্ব বোধ করেছিলেন। বলেছিলেন, জরুরি অবস্থা জারিতে কোনও ভুল নেই।”

    তোপ কংগ্রেসকেও

    পোস্টে শাহ লিখেছেন, “রাজীব গান্ধী এও বলেছিলেন, এই দেশের যদি কোনও প্রধানমন্ত্রী মনে করেন জরুরি অবস্থা প্রয়োজনীয়, এই পরিস্থিতিতে এবং জরুরি অবস্থা জারির আবেদন না করেন, তাহলে তিনি এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নন।” তিনি বলেন, “স্বৈরতান্ত্রিক একটি কাজ নিয়ে এই যে গর্ব অনুভব করা এটা প্রমাণ করে একটি পরিবার এবং ক্ষমতা ছাড়া কংগ্রেসের কাছে আর প্রিয় কিছুই নয়।”

    আর পড়ুন: হাবিবুল্লার পর এবার হেরাজ, হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে ফের গ্রেফতার জঙ্গি

    এদিনই কংগ্রেসকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “যারা জরুরি অবস্থা জারি করেছিল, সংবিধানের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার কোনও অধিকার তাদের নেই। এরা একাধিকবার দেশে ৩৫৬ ধারা জারি করেছে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য বিল এনেছে, সংবিধানের প্রতিটি দিক লঙ্ঘন করেছে।” তিনি লিখেছেন, “জরুরি অবস্থার কালো অতীত আমাদের স্মরণ করায় কীভাবে কংগ্রেস দল দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। যে সংবিধানকে দেশবাসী সম্মান করে, তাকে পদদলিত করা হয়েছিল। কেবল ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য তৎকালীন কংগ্রেস সরকার গণতন্ত্রকে কার্যত মুছে দিয়ে গোটা দেশকে একটা কারাগারে পরিণত করেছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে একমত না হওয়া প্রতিটি ব্যক্তির ওপর ভয়ঙ্কর রকম নির্যাতন চালায় তৎকালীন সরকার (Amit Shah)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Speaker: ইন্ডি জোটে ফাটল, স্পিকার নির্বাচনে একতরফা প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

    Lok Sabha Speaker: ইন্ডি জোটে ফাটল, স্পিকার নির্বাচনে একতরফা প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্পিকার নির্বাচনে (Lok Sabha Speaker) একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস, ঠিক এমনটাই অভিযোগ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকারের মনোনয়ন নিয়ে ইন্ডিজোটের মধ্যে ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। স্পিকার নির্বাচন নিয়ে এনডিএ বিরোধীদের সমর্থন চাইলে, কংগ্রেস শর্ত দেয় ডেপুটি স্পিকার পদ দিতে হবে তাদের। কিন্তু শাসক শিবিরের উত্তর না মেলায় কংগ্রেস একক ভাবে স্পিকারের পদে নির্বাচনের জন্য প্রার্থী দেয়। আর এই নিয়ে তৃণমূলের হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ফলে বিরোধী শিবির ইন্ডি জোটে ফাটল স্পষ্ট।

    কী বললেন অভিষেক (Lok Sabha Speaker)?

    মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকার (Lok Sabha Speaker) পদে মনোনয়ন নিয়ে, ইন্ডিজোটের শরীকদের মধ্যে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাংসদ কে. সুরেশকে স্পিকার পদের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। অত্যন্ত দুর্ভাগ্য জনক। বলতে বাধ্য হয়েছি এই সিদ্ধান্ত এক তরফা ভাবে নেওয়া হয়েছে।” এই কথা বলার পর অভিষেককে, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু রাহুল কোনও পাল্টা উত্তর দেননি। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয় নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে। তৃণমূল বৈঠকে বসেছে এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা হবে।

    কংগ্রেসের প্রার্থী পদের আপত্তি

    লোকসভার ডেপুটি স্পিকার (Lok Sabha Speaker) চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু এনডিএ মানতে নারাজ ছিল। আর এই জন্য এনডিএ-র মনোনীত স্পিকারকে স্বীকার করেনি ইন্ডিজোট। তখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের মতান্তর হয়নি। কিন্তু আচমকা কংগ্রেস স্পিকারে পদের জন্য আলাদা করে প্রার্থী দেওয়ায় বিরোধ বাধে। এরপর শুরু হয় তৃণমূলের ক্ষোভ প্রকাশ।

    আরও পড়ুনঃ উত্তরপাড়ায় দীর্ঘ দিন দেখা নেই তৃণমূল বিধায়কের, চর্চায় কাঞ্চন মল্লিক

    স্পিকার নিয়ে রাহুলের বক্তব্য

    কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, “আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকাজির সঙ্গে রাজনাথ সিং কথা বলতে এসেছিলেন। বিরোধীদের শর্ত শোনার পর এই বিষয়ে কোনও সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। এই বিষয়ে আর কোনও ফোন বিজেপির পক্ষ থেকে আসেনি।” পাল্টা রাজনাথ সিং অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এনডিএ-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্পিকার (Lok Sabha Speaker) নির্বাচনের পর ডেপুটি স্পিকার নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কংগ্রেস তাতে রাজি হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kerala Lok Sabha Election: বাম দুর্গেও ফুটল পদ্ম, কেরল পদ্মময় হতে কত দেরি?

    Kerala Lok Sabha Election: বাম দুর্গেও ফুটল পদ্ম, কেরল পদ্মময় হতে কত দেরি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বার কেন্দ্রে সরকার গড়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ (Kerala Lok Sabha Election)। অষ্টাদশ লোকসভায় নির্বাচন হয়েছিল ৫৪৩টি আসনে। তার মধ্যে এনডিএর ঝুলিতে পড়েছে ২৯৩টি আসন। এর মধ্যে আবার বিজেপি একাই পেয়েছে ২৪০টি কেন্দ্রের রাশ। অথচ এনডিএকে মাত দিতে কীই না করেছেন বিরোধীরা!

    মোদির রেকর্ড (Kerala Lok Sabha Election)

    পদ্ম বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল জোট বেঁধেছে। জোটের নাম ‘ইন্ডি’। তার পরেও বল্গাহীনভাবে এগিয়েছে এনডিএর জয়যাত্রা। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন বিজেপির নরেন্দ্র মোদি (Kerala Lok Sabha Election)। যে রেকর্ড ছিল কেবলমাত্র দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর। আজ পদ্ম পার্টি যে রেকর্ড গড়েছে, তা ছুঁতে পারেননি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীও। কংগ্রেস তাঁকে সব চেয়ে শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করত। মোদির এই সাফল্যকে অবশ্য ছোট করে দেখছে কংগ্রেস এবং কমিউনিস্ট পার্টিগুলি।

    বামদুর্গেও পদ্ম

    ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনের পর এবার এই ২০২৪ সালের নির্বাচনে আরও একটি রেকর্ড গড়েছে গেরুয়া পার্টি। সেটি হল বামদুর্গ বলে খ্যাত কেরলেও এবার ফুটেছে পদ্ম। আরব সাগরের তীরের এই রাজ্যে লোকসভা আসন রয়েছে ২০টি। এই আসনগুলির মধ্যে একটিতে এবার পদ্ম ফুটিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সুরেশ গোপী। কেরলে দীর্ঘকাল যাবৎ বিজেপি- বিরোধী প্রচার চালিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস এবং কমিউনিস্ট। তার পরেও সুরেশ পেয়েছেন চার লাখের কিছু বেশি ভোট। তিনি জয়ী হয়েছেন ৭৪ হাজার ভোটে। ত্রিশূর কেন্দ্রে জিতেছেন তিনি। তিনি পেয়েছেন ৩৭.৮ শতাংশ ভোট। ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন বাম প্রার্থী। কংগ্রেস পেয়েছে ৩০.১ শতাংশ ভোট। ২০০৪ সালে কেরলে জিতেছিলেন এনডিএ পার্টি। তখন কেরল কংগ্রেস ছিল এনডিএতে। তার পর এতদিন পরে রাজ্যে ফের ফুটল পদ্ম।

    আর পড়ুন: ‘কথা’ রাখলেন, মুখ্যমন্ত্রী হয়েই অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় ফিরলেন চন্দ্রবাবু

    বামদুর্গ কেরলে ক্রমেই বাড়ছে বিজেপির ভোট। ত্রিশূরে যে কেবল বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছেন, তাই নয়, থিরুভানন্তপুরমে দ্বিতীয় হয়েছেন পদ্ম-প্রার্থী। এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের শশী থারুরের বিরুদ্ধে লড়ে মাত্র ১৬ হাজার ৭৭ ভোটে হেরেছেন বিজেপির রাজীব চন্দ্রশেখর। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেরলে বিজেপি পেয়েছিল ১৫.৫৬ শতাংশ ভোট। পাঁচ বছর পরে এবার সেই ভোটের হার বেড়ে হয়েছে ১৯.২৪ শতাংশ। ভোট কমেছে কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টের। লোকসভা নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, কেরলের ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রথম হয়েছে বিজেপি। রাজ্যের আটটি কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গেরুয়া পার্টি।

    আরব সাগরের তীরের এই রাজ্য পদ্মময় হতে কী খুব বেশি দেরি আছে (Kerala Lok Sabha Election)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Haryana Congress: হরিয়ানা কংগ্রেসে ‘রাম’ধাক্কা, বিজেপিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বংশীলালের পুত্রবধূ, নাতনি

    Haryana Congress: হরিয়ানা কংগ্রেসে ‘রাম’ধাক্কা, বিজেপিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বংশীলালের পুত্রবধূ, নাতনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জোর ধাক্কা হরিয়ানা কংগ্রেসে (Haryana Congress)। মঙ্গলবার দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিধায়ক কিরণ চৌধুরী। জানিয়েছিলেন বুধবার মেয়ে শ্রুতিকে নিয়ে তিনি যোগ দেবেন বিজেপিতে। সেই মতো এদিন শিবির বদলালেন কিরণ ও শ্রুতি। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দল বদলান কিরণ-শ্রুতি। উপস্থিত ছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিংহ সাইনি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর এবং বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুং।

    কী বললেন কিরণ? (Haryana Congress)

    হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে (Haryana Congress) নিয়ে কিরণ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্যই আজ আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই প্রধানমন্ত্রী ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গড়বেন। আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে যে ভারত বিশ্বে উজ্জ্বলভাবে কিরণ দেবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেসব জনকল্যাণমূলক কাজ করছেন, তার জেরেই কেন্দ্রে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি।” তিনি বলেন, “আমি খট্টরজির সঙ্গে অনেক কাজ করেছি। আমাদের মধ্যে অনেকবার তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তিনি যেভাবে কাজ করেছেন, তা আমার কাছে প্রেরণার উৎস।”

    কিরণের হাতে গেরুয়া ঝান্ডা

    তোশাম কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন কিরণের শ্বশুর প্রয়াত বংশীলাল। কংগ্রেসের টিকিটে জেতা বংশীলাল একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন হরিয়ানার। তাঁর স্বামী প্রয়াত সুরেন্দ্র সিংহও হরিয়ানা সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ২০০৫ সালে সুরেন্দ্রর অকাল প্রয়াণের পরে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন কিরণ। কিরণের মেয়ে শ্রুতি ভিওয়ানি মহেন্দ্রগড় লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন ২০০৯ সালে, কংগ্রেসের টিকিটে। এহেন ‘কংগ্রেসি’ কিরণ এবং শ্রুতি হাতে তুলে নিলেন গৈরিক ঝান্ডা।

    মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে চিঠি লিখে দল ছাড়ার কথা জানিয়ে কিরণ লিখেছিলেন, “সব চেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় হল যে হরিয়ানায় কংগ্রেস পার্টি আমার মতো আন্তরিক কণ্ঠস্বরগুলির জন্য কোনও পরিসর না রেখে কয়েকজনের ব্যক্তিগত স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে।”

    আর পড়ুন: “ভারতের নয়া সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আশ্বাবাদী”, বলছেন ট্রুডো

    বুধবার কিরণ বলেন, “তিনি (খট্টর) যে সততার সঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করেছেন, তা অতুলনীয়। আজ আমরা বিজেপির ঝান্ডা হাতে তুলে নেব। হরিয়ানায় বিজেপি সরকার গড়বে তৃতীয়বারের জন্য।” শ্রুতি বলেন, “দেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর জন্যই বিশ্বের দরবারে ভারতের গুরুত্ব বেড়েছে। খট্টরজিকে দেখে প্রেরণা পেয়েই আমি এখানে এসেছি। দেশ এবং রাজ্যে বিজেপিকে শক্তিশালী করতেই আমরা পদ্ম শিবিরে (Haryana Congress) যোগ দিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kerala Congress: পোপকে ‘অপমান’, ক্ষমা চাইতে বাধ্য হল কেরল কংগ্রেস

    Kerala Congress: পোপকে ‘অপমান’, ক্ষমা চাইতে বাধ্য হল কেরল কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হল কেরল কংগ্রেস (Kerala Congress)। জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে ইটালিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি সাক্ষাৎ করেন পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে। তা নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করে কেরল কংগ্রেস। তার জেরে ওঠে সমালোচনার ঝড় (BJP)। তার জেরে চাইতে হল ক্ষমা।

    কংগ্রেসের পোস্ট (Kerala Congress)

    রবিবার মোদির সঙ্গে পোপের সাক্ষাতের একটি ছবি পোস্ট করে কেরল রাজ্য কংগ্রেস লিখেছে, ‘শেষমেশ পোপ ভগবানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার একটা সুযোগ পেলেন।’ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি কথার সূত্র ধরে এই বক্রোক্তি কেরল কংগ্রেসের। এর প্রেক্ষিতেই দক্ষিণের এই রাজ্যের বিজেপির দাবি, এই পোস্টের মাধ্যমে কংগ্রেস (Kerala Congress) খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে অপমান করেছে। বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জর্জ কুরিয়েন বলেন, “কংগ্রেসের এই ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রভু যিশুর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এটা পুরোপুরি অনাকাঙ্খিত এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতি অপমান। এটা লজ্জাজনক যে কংগ্রেস কোথায় নেমেছে!”

    আরও পড়ুন: “পলিটিক্যাল ট্যুরিজম নয়, মমতাকে জাগাতে এসেছি”, বলেন বিপ্লব দেব

    ক্ষমা প্রার্থনা

    কেরল বিজেপির (BJP) সভাপতি কে সুরেন্দ্রন বলেন, “কংগ্রেস এখন পোপকেও উপহাস করছে। এর পিছনে কি রাহুল গান্ধী এবং খাড়্গের সমর্থনও রয়েছে?” পদ্ম-পার্টির সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হয়ে সম্বিত ফেরে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির। গত রাতে ক্ষমা প্রার্থনা করে কেরল কংগ্রেস। এবং জানিয়ে দেয়, কোনও ধর্মকে অপমান করার ঐতিহ্য তাদের ছিল না। তাদের বক্তব্য, সমগ্র ভারতবাসী জানে কাউকে অপমান করাটা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ঐতিহ্য নয়। কোনও ধর্ম, ধর্মীয় প্রধান এবং বিগ্রহকে অপমান বা অশ্রদ্ধা করাও তাদের ঐতিহ্য নয়। কংগ্রেস একটা আন্দোলন। এই দল সব ধর্মকে একসূত্রে বেঁধে রাখে, সমস্ত বিশ্বাসকে মর্যাদা দেয়। বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার চেষ্টা করে। পোপ, যাঁকে খ্রিস্টানরা ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসেবে দেখেন, তাঁকে অপমান কিংবা অসম্মান করার কথা কোনও কংগ্রেস কর্মীই সহ্য করে না। এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতৃত্ব লিখেছেন, ‘এই পোস্টের জেরে যদি কোনও খ্রিস্টানের আবেগে আঘাত লাগে, তাহলে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী (Kerala Congress)।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • KC Tyagi: “‘ইন্ডি’র আহ্বায়ক করতে চাননি, অথচ নীতীশকে প্রধানমন্ত্রী হতে বলছেন”, তোপ ত্যাগীর

    KC Tyagi: “‘ইন্ডি’র আহ্বায়ক করতে চাননি, অথচ নীতীশকে প্রধানমন্ত্রী হতে বলছেন”, তোপ ত্যাগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যাঁরা নীতীশ কুমারকে ‘ইন্ডি’ জোটের আহ্বায়ক পর্যন্ত করতে চাননি, তাঁরাই এখন তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে বলছেন।” শুক্রবার এই ভাষায়ই বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’র নেতৃত্বকে বিঁধলেন জনতা দল ইউনাইটেডের (এই দলেরই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ) মুখপাত্র কেসি ত্যাগী (KC Tyagi)। ‘ইন্ডি’ জোটের তরফে তাঁর (নীতীশকে) সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলেও দাবি ত্যাগীর।

    প্রধানমন্ত্রিত্বের অফার পত্রপাঠ খারিজ (KC Tyagi)

    ‘ইন্ডি’ জোট গড়ায় নীতীশের অবদান কম নয়। বস্তুত, ‘ইন্ডি’ জোট গড়তে তিনিই মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। ত্যাগী জানান, প্রধানমন্ত্রিত্বের অফার তাঁরা পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, জেডিইউয়ের সমর্থন রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএতেই। নীতীশের দলের এই মুখপাত্র (KC Tyagi) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পিছন ফিরে তাকানোর আর কোনও প্রশ্নই নেই। ইন্ডি জোটে যোগদানেরও কোনও গল্প নেই। তাঁদের দলের সমর্থন এনডিএর সঙ্গেই রয়েছে বলেও আরও একবার জানিয়ে দেন তিনি।

    কী বললেন ত্যাগী?

    ত্যাগী বলেন, “রাজনীতির খেলা এমনই যে যাঁরা এক সময় নীতীশ কুমারকে ‘ইন্ডি’ জোটের আহ্বায়ক করতে অস্বীকার করেছিলেন, তাঁরাই এখন তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হতে অনুনয়-বিনয় করছেন।” এর পরেই কার্যত তোপ দাগেন জেডিইউ আহ্বায়ক। বলেন, “কংগ্রেস এবং ইন্ডি জোটের অন্য দলগুলো নীতীশের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। যার জেরে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তিনি (নীতীশ) এনডিএ শিবিরে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।” এর পরেই নীতীশের দলের এই নেতা বলেন, “পিছনে ফিরে তাকানোর আর কোনও প্রশ্নই নেই। একথা নির্বাচনী প্রচারে একাধিকবার বলে দিয়েছেন আমাদের দলনেতা নীতীশ কুমার স্বয়ংও। আমরা এনডিএর গুরুত্বপূর্ণ শরিকদল। আমরা নরেন্দ্র মোদির হাত শক্ত করব। মোদিই ফের তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদে।”

    আর পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু, ভোট কবে?

    ‘ইন্ডি’ জোট দানা বাঁধায় নীতীশের অবদানের কথাও এদিন স্মরণ করিয়ে দেন ত্যাগী। বলেন, “ইন্ডি জোট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন নীতীশ। তা সত্ত্বেও তাঁকে এক পাশে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এনডিএর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা বেড়ে গিয়েছে। জাতীয় রাজনীতিতে নীতীশ কুমার বর্তমানে একজন স্টেক হোল্ডার। বিজেপির কাছ থেকে আমরা যথেষ্ট সম্মান পাচ্ছি।” প্রসঙ্গত, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিহারে ১২টি আসনে জয়ী হয়েছেন নীতীশের দলের প্রার্থীরা (KC Tyagi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Gopal Rai: কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নয়! পরবর্তী বিধানসভায় একাই লড়বে আপ, সাফ জানালেন গোপাল রাই

    Gopal Rai: কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নয়! পরবর্তী বিধানসভায় একাই লড়বে আপ, সাফ জানালেন গোপাল রাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪এর লোকসভা ভোটের ফলাফল। আর লোকসভা ভোট মিটতেই এবার বড় ঘোষণা করলেন আপ নেতা গোপাল রাই (Gopal Rai)। পরবর্তী বিধানসভায় কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে জোট নয়, বরং একাই লড়বে আপ (Aam Aadmi Party), বৃহস্পতিবার একথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন গোপাল রাই।  

    আপ নেতার মন্তব্য

    এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে দলীয় বিধায়ক ও প্রবীণ নেতাদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গোপাল রাই (Gopal Rai) বলেন, ,”এটা শুরু থেকেই পরিষ্কার যে লোকসভা নির্বাচনের জন্য ইন্ডি জোট (INDIA) গঠিত হয়েছিল। আমরা একসঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে লড়েছি। কিন্তু দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কোনোও জোট নেই। আমরা দিল্লির জনগণের সঙ্গে একসঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন লড়ব।” 
    তিনি (Gopal Rai) আরও বলেন, “আমরা সবচেয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নির্বাচনে লড়েছি। আমাদের শীর্ষ নেতারা জেলে। সব আসনেই জয়ের ব্যবধান কমেছে। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর দলের কর্মীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিলেও কঠিন পরিস্থিতিতেও দল ঐক্যবদ্ধ রয়েছে এবং ‘একনায়কতন্ত্রের’ বিরুদ্ধে ভাল লড়াই করেছে। অন্যদিকে জোটের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল দিল্লিতে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান কমেছে।”

    আরও পড়ুন: ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা! গ্রেফতার ৩

    এছাড়াও এদিন আপ নেতা জানান, আগামী ৮ জুন তাদের  কাউন্সিলরদের সঙ্গে একটি বৈঠক হওয়ার কথা আছে এবং ১৩ জুন দিল্লির সমস্ত দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক হবে। বর্তমানে কেজরিওয়াল যেহেতু জেলে রয়েছেন, তাই তাদের লড়াই চলবে। অন্যদিকে নির্বাচনের পরে আদর্শ আচরণবিধি উঠে যাওয়ায় উন্নয়নের কাজে গতি আনতে শনি ও রবিবার কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলের সব বিধায়ক।  
    উল্লেখ্য, দিল্লির লোকসভা ভোটে এবারে কংগ্রেস (Congress) জোট শূন্য ড্র করেছে, অন্যদিকে বিজেপি তৃতীয়বারের জন্য সাতটি সংসদীয় আসনে ক্লিন সুইপ করেছে। আর এরই মধ্যে এবার পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে জোট ছাড়া একাই লড়ার কথা জানিয়ে দিল আপ নেতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himachal Pradesh: বিজেপি ফের চারে-চার! হিমাচল প্রদেশে দাগ কাটতে পারল না কংগ্রেস 

    Himachal Pradesh: বিজেপি ফের চারে-চার! হিমাচল প্রদেশে দাগ কাটতে পারল না কংগ্রেস 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারে-চার! হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) চারটি আসনেই জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা। হিমালয়ের রঙ শুধুই গেরুয়া। দাগ কাটতে পারল না কংগ্রেস। জেতা আসনও হাত থেকে বেরিয়ে গেল! নেপথ্যে বিজেপির বহু চর্চিত তারকা প্রার্থী তথা বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। মাণ্ডী আসনটিতে ৭৪ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন বলিউড কুইন। যা পাল্টে দিয়েছে হিমাচলের অঙ্ক। রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতাসীন থাকলেও ২০১৪ সালের পর থেকে হিমাচলের চারটি লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্রে সে ভাবে তারা দাগ কাটতে পারেনি।

    হিমাচলের হাওয়া

    হিমাচলের (Himachal Pradesh) চারটি কেন্দ্রেই ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে একতরফা জয় পেয়েছিল বিজেপি। দু’বারই ভোটের ফল ছিল চারে চার। তবে এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে সমীকরণটা ছিল অন্যরম। বিজেপির দখলে ছিল তিনটি আসন— হামিরপুর, কাংড়া এবং শিমলা। মাণ্ডী আসনটি কংগ্রেসের দখলে। ২০২১ সালে মাণ্ডীর সাংসদ রামস্বরূপ শর্মার মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে জিতেছিলেন কংগ্রেসের প্রতিভা সিং। তবে এ বার তিনি প্রার্থী হননি। বদলে কংগ্রেস টিকিট দিয়েছিল প্রতিভার পুত্র বিক্রমাদিত্যকে। তাঁকে হারিয়ে দিয়েছেন কঙ্গনা। এই প্রথম বার ভোটে লড়লেন বলিউড কুইন।

    বিজেপির দাপট

    মাণ্ডী ছাড়া হামিরপুর, শিমলা এবং কাংড়া নিয়ে বিশেষ সংশয় ছিল না বিজেপির। হামিরপুরে বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ১ লক্ষ ৮২ হাজার ভোটে জিতেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী করেছিল সৎপাল রায়জাদাকে। কাংড়ায় বিজেপির টিকিটে এবার লড়েছিলেন রাজীব ভরদ্বাজ। তিনি কংগ্রেসের আনন্দ শর্মাকে আড়াই লক্ষ ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন। শিমলায় বিজেপির সুরেশ কুমার কাশ্যপও প্রায় ৯০ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন।

    আরও পড়ুন: পর পর তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদে মোদি, বিশ্ব নেতাদের শুভেচ্ছা বার্তা

    অনুরাগে অনুগামী

    হিমাচলে (Himachal Pradesh) গত দুই লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) ফলাফল দেখলে বোঝা যাচ্ছে, হামিরপুরে ২০১৪ সালে ৫৩.৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেস প্রার্থী রাজেন্দ্র সিং রানাকে হারিয়ে বিজেপির অনুরাগ জিতেছিলেন ৯৮ হাজারেরও বেশি ভোটে। পরের বার ব্যবধান চোখে পড়ার মতো বাড়িয়ে ফেলেন অনুরাগ। ২০১৯ সালে হামিরপুরে প্রায় ৪ লক্ষ ভোটে জেতে বিজেপি। অনুরাগের বিরুদ্ধে সে বার কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন রামলাল ঠাকুর। ভোট পড়েছিল ৭০.৮৩ শতাংশ।

    হামিরপুরে এখন মোট ভোটার ১৪.১১ লক্ষ। অনুরাগ বর্তমানে কেন্দ্রীয় তথ্য এবং সম্প্রচারমন্ত্রী। ক্রীড়া এবং যুব বিষয়ক মন্ত্রকও সামলান তিনি। ২০০৮ সালে এই কেন্দ্র থেকে প্রথম বার উপনির্বাচনে লড়ে জয় পেয়েছিলেন অনুরাগ। পরে ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালেও জেতেন তিনি। হামিরপুরকে বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে পরিণত করে ফেলেছিলেন অনুরাগ। এবারও তাঁর ব্যতিক্রম হল না। একই কেন্দ্র থেকে পাঁচবার সাংসদ হলেন অনুরাগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election Result: রেকর্ড গড়ল বিজেপি, বিরোধীশূন্য মধ্যপ্রদেশ পদ্মময়

    Lok Sabha Election Result: রেকর্ড গড়ল বিজেপি, বিরোধীশূন্য মধ্যপ্রদেশ পদ্মময়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে ঐতিহাসিক জয় বিজেপির। মঙ্গলবার অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election Result) ফল বের হলে দেখা যায়, এ রাজ্যের সবকটি আসনেই জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। এর মধ্যে রয়েছে কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি ছিন্দেওয়াড়াও। মধ্যপ্রদেশে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে ২৯টি। সবক’টিতেই বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন বিরোধীরা। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, ফগ্গন সিংহ কুলাস্তে এবং বীরেন্দ্র কুমার।

    বিপুল ভোটে জয় (Lok Sabha Election Result)

    অবিভক্ত মধ্যপ্রদেশে এরকম ফল হয়েছিল চল্লিশ বছর আগে, ১৯৮৪ সালে। সেবার ৪০টি আসনেই জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের মতে, ইন্দিরা হত্যার সহানুভূতির হাওয়ায় জিতেছিল কংগ্রেস (Lok Sabha Election Result)। পরে ভাগ হয় মধ্যপ্রদেশ। তার পর এই প্রথম রাজ্যের ২৯টি আসনেই ফুটেছে পদ্ম। এ রাজ্যে ১ থেকে ৫ লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থীরা জিতেছেন ২৬টি আসনে। ভিন্দ, গ্বয়ালিয়র এবং মোরেনা কেন্দ্রে পদ্ম ফুটেছে এক লাখের কিছু কম ভোটে। এ রাজ্যে চমকে দেওয়ার মতো ফল করেছেন ইন্দোরের শঙ্কর লালওয়ানি। তিনি জয়ী হয়েছেন ১১ লাখ ৭৫ হাজার ০৯২টি ভোটে।

    চোখ ধাঁধানো ফল বিদিশায়ও

    বিজেপি চোখ ধাঁধানো ফল হয়েছে বিদিশায়ও। এখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পদ্ম-প্রার্থী শিবরাজ সিংহ চৌহান জিতেছেন ৮ লাখ ২১ হাজার ভোটে। খাজুরাহো, গুণা, ভোপাল এবং মান্দসাউরে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন পাঁচ লাখেরও বেশি ভোটে। এ রাজ্যে বিজেপির আরও একটি চোখ ধাঁধানো সাফল্য হল ছিন্দওয়াড়ার রাশ হাতে নেওয়া। ১৯৯৭ সালের পর এবার এই কেন্দ্রে ফুটল পদ্ম।

    এখানে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন বান্টি বিবেক সাহু। তিনি বিদায়ী সাংসদ নকুল নাথকে হারিয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৬১৮ ভোটে। দীর্ঘদিন এই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন কংগ্রেসের কমল নাথ। এবার দল প্রার্থী করেছিল তাঁর ছেলে নকুলকে। সেই নকুলকেই গোহারা হারিয়ে ছিন্দওয়াড়ার রাশ হাতে নিয়ে নিল বিজেপি।

    আর পড়ুন: দিল্লিতে বৈঠকে বসছে এনডিএ, কারা উপস্থিত থাকছেন জানেন?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং ফগ্গন সিংহ কুলাস্তেও বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন যথাক্রমে গুণা ও মান্ডলায়। রাজনৈতিক মহলের সিংহভাগের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বহু শোভাযাত্রা-প্রচার-সমাবেশ এবং কৌশলের কাছে এ রাজ্যে পরাস্ত হয়েছেন বিরোধীরা (Lok Sabha Election Result)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nitish Kumar: নীতীশ এনডিএতেই, বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন দিল্লিও, জানিয়ে দিল দল

    Nitish Kumar: নীতীশ এনডিএতেই, বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন দিল্লিও, জানিয়ে দিল দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ-র সঙ্গেই থাকছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। মঙ্গলবার নীতীশের দল জনতা দল ইউনাইটেডের তরফেই একথা জানানো হয়েছে। কেবল তা-ই নয়, বুধবার দিল্লিতে রয়েছে এনডিএর বৈঠক। এই বৈঠকে যোগ দেবেন নীতীশ স্বয়ং। ৪ জুন ঘোষণা হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের ফল। তাতেই জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ।

    এনডিএ শিবিরে ফিরেছেন নীতীশ (Nitish Kumar)

    লোকসভা নির্বাচনের মাস কয়েক আগেই কংগ্রেস-আরজেডি-র সঙ্গে গাঁটছড়া ছিন্ন করে এনডিএ শিবিরে ফিরেছেন নীতীশ। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ ভালো ফল করলেও, খুব বেশি পিছিয়ে নেই বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’। তার পরেই জল্পনা ছড়ায়, ফের একবার ভোল বদলে ‘ইন্ডি’ জোটে ফিরে যেতে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। শেষমেশ সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন (Nitish Kumar) জেডিইউ নেতৃত্ব। নীতীশের দলের মুখপাত্র কেসি ত্যাগী বলেন, “আমরা আমাদের পূর্বনির্ধারিত অবস্থান অনুযায়ীই চলব। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে জেডিইউ আরও একবার এনডিএকে সমর্থন করবে। আমরা এনডিএ-র সঙ্গেই রয়েছি, এনডিএ-র সঙ্গেই থাকব।” 

    কী বললেন নীতীশের মন্ত্রী?

    জেডিইউ-এর মন্ত্রী জামা খান বলেন, “যেহেতু নীতীশ কুমার সব সময় বিহারবাসীর কথা ভাবেন, তাই এ বিষয়ে (শিবির বদলানো) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনিই। আমাদের নেতা যা সিদ্ধান্ত নেন, আমরা তা সমর্থন করি এবং শ্রদ্ধা করি।” নীতীশের আর এক সতীর্থ মন্ত্রী মদন সাহনি বলেন, “আমরা এনডিএ-র সঙ্গেই রয়েছি। কেন্দ্রে আমরাই সরকার গড়ব।” প্রসঙ্গত, বিহারে লোকসভার আসন রয়েছে ৪০টি। এর মধ্যে, ১০টিতে বিরোধীরা এগিয়ে বা জয় পেয়েছেন। বাকি ৩০টি আসনেই জয়ী হয়েছেন এনডিএ প্রার্থীরা। বিজেিপি ও জেডিইউ ১২টি করে আসন পেয়েছে। শরিক এলজেপি ৫টি এবং জিতনরাম মাজির হাম পার্টি একটি আসন দখল করেছে। বুথ ফেরত সমীক্ষাও জানিয়েছিল, বিহারে এনডিএ পেতে পারে ৩০টি আসন। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে বিজেপি জিতেছিল ৩৯টি কেন্দ্রে।

    আর পড়ুন: পর পর তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদে মোদি, বিশ্ব নেতাদের শুভেচ্ছা বার্তা

    আসন বণ্টন ফর্মুলা মেনে বিহারে বিজেপি লড়েছিল ১৭টি আসনে, নীতীশের দল জেডিইউ লড়েছিল ১৬টি আসনে, পাঁচটি আসনে লড়েছিলেন রামবিলাস পাশোয়ানের লোক জনশক্তি। হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা এবং রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা প্রত্যেকে পেয়েছে একটি করে কেন্দ্রের রাশ। এদিকে, ‘ইন্ডি’ জোটের শরিক আরজেডি প্রার্থী দিয়েছিল ২৩টি আসনে, ভিআইপি (রাজনৈতিক দল) দিয়েছিল পাঁচটি কেন্দ্রে প্রার্থী, ৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস এবং বাকি পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিলেন বামেরা (Nitish Kumar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share