Tag: congress

congress

  • PM Modi: “নির্বাচনে জিততে না পেরে ময়দান ছেড়ে দিয়েছেন”, সোনিয়াকে কটাক্ষ মোদির

    PM Modi: “নির্বাচনে জিততে না পেরে ময়দান ছেড়ে দিয়েছেন”, সোনিয়াকে কটাক্ষ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। লোকসভার পরিবর্তে রাজ্যসভায় মনোনীত হয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী। রবিবার রাজস্থানের জালোরে বিজেপির প্রচার সভায় সোনিয়াকেই নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    সোনিয়াকে কটাক্ষ মোদির (PM Modi)

    তিনি বলেন, “যাঁরা নির্বাচনে জিততে পারেননি, তাঁরা ময়দান ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁরা রাজস্থান থেকে রাজ্যসভার সদস্য হয়েছেন।” প্রসঙ্গত, মাত্র এক মাস আগেই রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় গিয়েছেন সোনিয়া। রাজ্যসভায় যাওয়ার আগে তিনি ছিলেন রায়বেরিলির সাংসদ। দু’দশক ধরে এই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন তিনি। পাঁচ বছর ধরে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন আমেঠির। এদিন দলীয় প্রার্থী লাম্বারাম চৌধুরীর সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। লাম্বারামের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী অশোক গেহলেটের ছেলে বৈভব গেহলট। এই কেন্দ্রটি বিজেপির শক্তঘাঁটি। গত দু’দশক ধরে এই কেন্দ্রে ফুটছে পদ্ম।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস দক্ষিণের এক নেতাকে রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে। তিনি কি কখনও রাজস্থানের কথা বলেছেন? না। আপনারা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকেও রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন। তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে আপনারা রাজস্থানে দেখেছেন? এখন আবার আপনারা আর একজন নেতাকে বাঁচাতে চাইছেন।” এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা রাজনীতিতে লড়াই করতে পারেননি, তাঁরা লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে দিয়েছেন। পরে রাজ্যসভা থেকে সংসদে গিয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রী সোনিয়ার নাম না নিলেও, তাঁর কটাক্ষ-বাণের অভিমুখ যে সোনিয়া গান্ধীর দিকেই, তা জলের মতো স্পষ্ট।

    আরও পড়ুন: “বাড়িতে পুরুষ না থাকলে মেয়েদের হাত ধরে টানাটানি করে তৃণমূল কর্মী”, বললেন নির্যাতিতা

    বর্তমানে রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় গিয়েছেন কংগ্রেসের ছয় প্রতিনিধি। এঁরা হলেন, সোনিয়া গান্ধী, নীরজ ডাঙ্গি, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, কেসি বেণুগোপাল, প্রমোদ তিওয়ারি এবং মুকুল ওয়াসনিক। এঁদের মধ্যে রাজস্থানের বাসিন্দা একমাত্র ডাঙ্গি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজস্থানবাসী কংগ্রেসকে শাস্তি দিয়েছিলেন প্রথম দফার নির্বাচনে।” রাজস্থানের ২৫টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে শুক্রবার প্রথম দফায় নির্বাচন হয়ে গিয়েছে ১২টিতে। সামনের শুক্রবার হবে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “রাজস্থান দেশপ্রেমে ভরপুর। এ রাজ্য জানে কংগ্রেস কখনও শক্তপোক্ত দেশ গড়তে পারবে না। এ দেশও চায় না কেন্দ্রে কংগ্রেসের সরকার হোক। দেশবাসী চান না, ২০১৪ সালের আগের জমানা ফিরুক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Yogi Adityanath: ‘‘কংগ্রেস মানে দুর্নীতি-সন্ত্রাস-মাওবাদের সমার্থক শব্দ’’, ভোটের প্রচারে বললেন যোগী

    Yogi Adityanath: ‘‘কংগ্রেস মানে দুর্নীতি-সন্ত্রাস-মাওবাদের সমার্থক শব্দ’’, ভোটের প্রচারে বললেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের প্রচারে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। রবিবার ছত্তিশগড়ে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস মানে দুর্নীতি-সন্ত্রাস-মাওবাদের সমার্থক শব্দ।’’ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ভারতবর্ষে একটি বড় পরিবর্তন সম্পন্ন হয়েছে গত ১০ বছরে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে।

    যুব সমাজকে উস্কানি দিচ্ছে কংগ্রেস

    এদিনই ছত্তিশগড়ের কবিরধাম জেলাতে প্রচারে আসেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘৫০০ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে রামলালাকে মন্দিরে অধিষ্ঠিত হতে। এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণে।’’ প্রসঙ্গত, কবিরধাম জেলা রাজনন্দগাঁও লোকসভার অন্তর্গত। এখানেই যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানান। তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমান সময়ে যখন যুবদের হাতে ট্যাব এবং নানা রকম ভালো ভালো বই দেখতে পাওয়া উচিত, ঠিক সেই সময়ই কংগ্রেস যুবদের হাতে পিস্তল ধরিয়ে দিচ্ছে। কংগ্রেস তাদেরকে প্ররোচনা দিচ্ছে। তাদেরকে উস্কানি দিচ্ছে, দেশের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। মাওবাদের নামে সন্ত্রাসের নামে।

    জনগণের বিশ্বাসকে মর্যাদা দেয় একমাত্র বিজেপি

    তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি বলেছেন ভারতবর্ষকে হতেই হবে বিশ্বের একটি বড় শক্তি। একটি উন্নত ভারতবর্ষ আমাদের গড়তেই হবে। আত্মনির্ভর ভারত আমাদের গড়তেই হবে। যেখানে প্রত্যেক নাগরিক নিজেকে নিরাপদ মনে করবেন। ভারতবর্ষের কন্যাদের জন্য তা যেমন নিরাপদ হবে, ভারতের ব্যবসায়ীদের জন্যও তা নিরাপদ হবে। একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টি সেই গ্যারান্টি দিতে পারে। জনগণের বিশ্বাসকে মর্যাদা দেয় একমাত্র বিজেপি (Yogi Adityanath)।’’

    কংগ্রেসের উদ্দেশে প্রশ্ন

    যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) এই সভার উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন, কংগ্রেস কি কখনও দেশের মানুষকে বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা দিতে পেরেছে? রাম মন্দির কে নির্মাণ করতে পেরেছে? মাওবাদের মতো সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে? মেয়েদের এবং ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা কি দিতে পেরেছে? এই সময় তিনি বলেন, কংগ্রেস হল সমস্ত সমস্যার সমার্থক শব্দ। কংগ্রেসই একমাত্র দেশের মানুষকে সমস্যা দেয় এবং বিজেপি একমাত্র দল যে দেশের মানুষকে সেই সমস্যা থেকে টেনে বের করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ‘বিজেপি একাই পেতে পারে ৩৫০টি আসন’, দাবি শীর্ষ অর্থনীতিবিদের

    Lok Sabha Elections 2024: ‘বিজেপি একাই পেতে পারে ৩৫০টি আসন’, দাবি শীর্ষ অর্থনীতিবিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উনিশের লোকসভা নির্বাচনের ফলকেও ছাপিয়ে যেতে চলেছে চব্বিশের ভোটের রেজাল্ট! এবার (Lok Sabha Elections 2024) বিজেপি ৩৫০টি আসন পেতে পারে। অন্তত এমনই দাবি করলেন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ সুরজিৎ ভাল্লা।

    কী দাবি করলেন অর্থনীতিবিদ? (Lok Sabha Elections 2024)

    সম্প্রতি দিনের আলো দেখেছে তাঁর নতুন বই ‘হাউ উই ভোট’। সে সংক্রান্ত এক সাক্ষাৎকারে সুরজিৎ দাবি করলেন, বিজেপি ৩৩০ থেকে ৩৫০ আসন পেতে পারে। তিনি বলেন, “স্ট্যাটিসটিক্যাল সম্ভাবনার ওপর ভিত্তি করে বলা যায় বিজেপির একারই পাওয়া উচিত ৩৩০ থেকে ৩৫০টি আসন। এটা আমি কেবল বিজেপির কথাই বলছি, তাদের সহযোগী দলগুলির কথা বলছি না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপির যে প্রচার চলছে, তাতেই দেখা যাবে উনিশের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার বিজেপির ভোট বাড়বে ৫ থেকে ৭ শতাংশ।”

    ফিরছেন মোদিই!

    লোকসভার ৫৪৩টি আসনে নির্বাচন হবে সাত দফায়। প্রাক নির্বাচনী বিভিন্ন সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, দিল্লির কুর্সিতে ফিরছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার (Lok Sabha Elections 2024)। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বিভিন্ন জনসভায় দাবি করেছেন, বিজেপি একাই পাবে ৩৭০টি আসন। আর এনডিএ পাবে ৪০০টি আসন। প্রধানমন্ত্রীর দাবি যে নিছক অনুমান নয়, তার প্রমাণ মিলল এই অর্থনীতিবিদের দাবিতেও। তিনি বলেন, “এটা একটা আলোড়ন ফেলা নির্বাচন হতে চলেছে। প্রতিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তাই থাকে। তবে এবার আলোড়ন আরও বেশি।” সুরজিৎ বলেন, “কংগ্রেস এবার ৪৪টি আসন পেতে পারে। অথবা ২০১৪ সালের ভোটে যা পেয়েছিল, তার দু’শতাংশ পেতে পারে।”

    আরও পড়ুন: “বাম-কংগ্রেস একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ”, তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    সুরজিৎ বলেন, “বিরোধীদের (বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডি) সমস্যাটা হল নেতৃত্বের। সিংহভাগ ক্ষেত্রে বিষয়টি অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে এই অর্থনীতির পরেই রয়েছে নেতৃত্ব। আর এই দুটোই এখন বিজেপির ফেভারে রয়েছে। যদি বিরোধীরা এমন একজন নেতা ঠিক করতে পারতেন, যাঁর সার্বিক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে অথবা এমন একজনকে তুলে ধরতে পারতেন যাঁর গ্রহণযোগ্যতা অন্তত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্ধেক, তাহলেও লড়াই হত বলে আমার মনে হয়।”

    এই অর্থনীতিবিদের ভবিষ্যদ্বাণী, এবার তামিলনাড়ুতেও বিজেপি অন্ততপক্ষে পাঁচটি আসন পাবে। অথচ এ রাজ্যে এক সময় বিজেপি দুর্বল ছিল। তিনি বলেন, “তামিলনাড়ুতে বিজেপি যদি পাঁচটির বেশি আসন পায়, তাহলেও আমি অবাক হব না। কেরলেও একটা-দু’টো আসন পেতে পারে।” দেশবাসীর জীবনযাপনের মানোন্নয়নের জন্যই উনিশের নির্বাচনের চেয়েও এবার আরও বেশি আসন নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরবে বলেই দাবি তাঁর (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “বাম-কংগ্রেস একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ”, তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “বাম-কংগ্রেস একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ”, তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাম-কংগ্রেস একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।” শনিবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে একথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ এবং সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফের মিথ্যাচারে বীতশ্রদ্ধ হয়ে গিয়েছেন কেরলবাসী।”

    ‘বিজেপির ওপর আস্থা বাড়ছে’

    বিজেপির ওপর খ্রিস্টান-সহ নানা সম্প্রদায়ের মানুষের বিশ্বাস যে ক্রমেই বাড়ছে, তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। গোয়া এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি-সহ বিজেপি-শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে নানা সম্প্রদায়ও যে বিজেপির ওপর আস্থা রাখছেন, তাও জানিয়েছেন তিনি। এবার লোকসভা নির্বাচন হবে সাত দফায়। ইতিমধ্যেই প্রথম দফায় দেশের ১০২টি কেন্দ্রে হয়ে গিয়েছে নির্বাচন। কেরলে নির্বাচন হবে ২৬ এপ্রিল। এ রাজ্যে লোকসভার আসন রয়েছে ২০টি। সেই সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে শনিবার প্রধানমন্ত্রী টানেন কেরলের প্রসঙ্গ। তিনি (PM Modi) বলেন, “খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষও বিজেপির ওপর ভরসা করতে শুরু করেছেন। তাঁদের কল্যাণে যা করণীয়, পার্টি তা করবে।”

    ‘কেরলেও ভিত শক্ত হচ্ছে বিজেপির’

    কেরলে খ্রিস্টানরাই নির্ণায়ক শক্তি। এ পর্যন্ত কোনও নির্বাচনে বিজেপির একজনও প্রার্থী জয়ী হননি। তবে কেরলে ক্রমেই যে বিজেপির পায়ের নীচের মাটি শক্ত হচ্ছে, এদিনের সাক্ষাৎকারে তা মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “গোয়া, যেখানে খ্রিস্টানরাই সংখ্যাগুরু কিংবা উত্তর-পূর্বের রাজ্যের কথাই ধরুন না, সেখানেও তো খ্রিস্টানরাই নির্ণায়ক শক্তি। তা সত্ত্বেও সেসব রাজ্যের অনেকগুলিতেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি।” প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, বিজেপি ও তার সহযোগী দলগুলি উত্তরপূর্বের সিংহভাগ রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের অনেক মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রী রয়েছেন যাঁরা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। অন্যান্য সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানের মতোই আমি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও যোগ দিই।”

    আরও পড়ুন: আগুন লাগানো হল কালী মন্দিরে! ফের বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মস্থানে হামলা

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কেরলের নেতারা আমায় বলেছিলেন, কীভাবে রাজ্যে চার্চের সম্পত্তি এলডিএফ এবং ইউডিএফ সরকারের জন্য নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।” জেলে-সহ সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষের জন্য মোদি সরকার কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করছে, তারও ফিরিস্তি দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এলডিএফ এবং ইউডিএফের মিথ্যাচারের জেরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ বীতশ্রদ্ধ। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ ক্রমেই আমাদের বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন। তাঁদের কল্যাণে যা করণীয়, আমরা তা করব।” কংগ্রেস ও বামেরা যে কেরলবাসীকে ধোঁকা দিচ্ছে, প্রসঙ্গক্রমে তাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরেই তিনি (PM Modi) বলেন, “দুই রাজনৈতিক দলই (কংগ্রেস ও বাম) একই মুদ্রার দুটো পিঠ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Eelections 2024: তৃণমূলের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতির বন্যা, মোদি ফিরছেন জেনেই হাটুরে রাজনীতি!

    Lok Sabha Eelections 2024: তৃণমূলের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতির বন্যা, মোদি ফিরছেন জেনেই হাটুরে রাজনীতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন শুরুর ঠিক দু’দিন আগে ইস্তাহার প্রকাশ করল তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের ক্যাপ্টেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডি জোটে রয়েছেন। অথচ পৃথকভাবে প্রকাশ করেছেন ইস্তাহার (Lok Sabha Eelections 2024)। তাতে দেওয়া হয়েছে গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি। যদিও ইস্তাহারের কোথাও প্রতিশ্রুতি পূরণের দিশা দেখানো নেই। ইস্তাহারে যে দশটি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০ শপথ হিসেবেই তুলে ধরেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

    মার্গ দর্শন কই? (Lok Sabha Eelections 2024)

    কংগ্রেসের ইস্তাহারের পোশাকি নাম ছিল ‘ন্যায়পত্র’। বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্র’। তৃণমূলের অবশ্য এমন কোনও নাম নেই। রয়েছে (মিথ্যা) প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি। তোষণ, তুষ্টিকরণ এবং সস্তার রাজনীতি করতে যা যা উপাদানের প্রয়োজন, তা সবই মজুত রয়েছে ঘাসফুল আঁকা দুই মলাটের মাঝে থাকা ইস্তাহারের পৃষ্ঠায়। যে (Lok Sabha Eelections 2024) দশটি শপথ নিয়েছে তৃণমূল, তার কোথাও বেকারত্ব সমস্যার সমাধানের উল্লেখ নেই। উল্টে রয়েছে দান-খয়রাতির হাটুরে রাজনীতি। জবকার্ড হোল্ডারদের ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি দেওয়া হবে ইন্ডি জোট ক্ষমতায় এলে। বাস্তবে আমরা কী দেখেছি? দেখেছি, একশো দিনের কাজে খরচ করা যায়নি পুরো কেন্দ্রীয় বরাদ্দ। অনেক সময়ই তা গিয়েছে ফেরত।

    জনগণকে নিখাদ ধোঁকা!

    বিরোধীদের অভিযোগ, যারা তৃণমূলের ধামাধরা, জবকার্ডে কাজ পেয়েছে তারাই। তার মজুরির একটা বড় অংশ ঢুকেছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে। দারিদ্রসীমার নীচে প্রত্যেক পরিবারকে বছরে ১০টি করে মুফতে গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। খয়রাতির সেই টাকা কোথা থেকে আসবে, তার কোনও দিশা নেই বাজেটে। ওবিসি, এসসি-এসটি যুবকদের উচ্চশিক্ষা বৃত্তি বাড়ানো হবে। বার্ধক্যভাতা বাড়িয়ে করা হবে হাজার টাকা। বিরোধীদের অভিযোগ, মাগ্গিগণ্ডার বাজারে দৈনিক এই ৩৩ টাকার কিছু বেশি পয়সায় কী হয়! পেট্রল-ডিজেল ও সিলিন্ডার দেওয়া হবে স্বল্পমূল্যে। সেই মূল্যটি কত, তা বলা হয়নি। যেমন বলা হয়নি, কাঁড়ি কাঁড়ি ভর্তুকির টাকা আসবে কোত্থেকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘কোনও একতা নেই, ছন্নছাড়া’’, ইন্ডি জোটকে তুলোধনা অমর্ত্য সেনের

    ২৫ বছর পর্যন্ত সব স্নাতক ও ডিপ্লোমাধারীদের দক্ষতা বাড়াতে শিক্ষানবিশ হিসেবে প্রতিশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে তার পরে তাঁদের কোথায় নিয়োগ করা হবে, শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করে হা-শিল্পের রাজ্যে তাঁরা কোথায় কাজ করবেন, সেই মার্গ দর্শনও করানো হয়নি তৃণমূলের ইস্তাহারে। মোদি সরকারের যে তিনটি প্রতিশ্রুতি পূরণ হলে দেশ এগিয়ে যেত একলপ্তে অনেকখানি, তৃণমূলের ইস্তাহারে সেখানে পেছন থেকে টেনে ধরা হয়েছে। সিএএ লাগু হয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের ইস্তাহারে বলা হয়েছে, ইন্ডি জোট ক্ষমতায় এলে সিএএস, এনআরসি এবং ইউসিসি প্রয়োগ করা হবে না।

    রাজনৈতিক মহলের মতে, ইস্তাহারের ছত্রে ছত্রে স্পষ্ট তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিচারিতা। তিনি ইন্ডি জোটে থেকেও পৃথক ইস্তাহার প্রকাশ করেছেন, রাজ্যে ইন্ডির বাকি শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেননি। যার জেরে রাজ্যের প্রায় সব আসনেই ত্রিমুখী বা চতুর্মুখী লড়াই হতে চলেছে। যার ফয়দা তুলবে বিজেপি। তাহলে কী ফের মোদি সরকার আসছে জেনেই ইস্তাহারে মিথ্য প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী (Lok Sabha Eelections 2024)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “এতদিন শাহি জাদুগর কোথায় লুকিয়েছিলেন?”, রাহুলকে নিশানা মোদির

    PM Modi: “এতদিন শাহি জাদুগর কোথায় লুকিয়েছিলেন?”, রাহুলকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ‘শাহি জাদুগর’ আখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এক ধাক্কায় দেশ থেকে দারিদ্র হঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাহুল। রবিবাসরীয় দুপুরে তারই জবাব দিতে প্রধানমন্ত্রী বেছে নিলেন মধ্যপ্রেদেশের হোসাঙ্গাবাদের জনসভাকে। এই জনসভায় প্রধানমন্ত্রী রাহুলকে ‘শাহজাদা’ আখ্যাও দেন। রাহুলের প্রতিশ্রুতির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গোটা দেশ বিস্মিত হয়েছিল তখন, যখন কংগ্রেসের শাহজাদা ঘোষণা করেছিলেন তিনি এক ধাক্কায় দেশ থেকে দারিদ্র দূর করে দেবেন। দেশ জিজ্ঞাসা করছেন এতদিন শাহি জাদুগর কোথায় লুকিয়েছিলেন।”

    কী বলেছিলেন রাহুল? (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে রাজস্থানের এক নির্বাচনী প্রচার সভায় রাহুল বলেছিলেন, “আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জয়ী হলে দেশ থেকে এক ধাক্কায় দ্রারিদ্র দূর করা হবে।” তিনি বলেছিলেন, “আপনি যদি দারিদ্র সীমার নীচে থাকেন, তাহলে প্রতি বছর এক লাখ করে টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে। এভাবে এক ধাক্কায় আমরা ভারত থেকে দারিদ্র দূর করব।” প্রসঙ্গত, মহালক্ষ্মী প্রকল্পে দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী মহিলারা প্রতি বছর এক লাখ করে টাকা পাবেন।

    মোদির বাণে বিদ্ধ কংগ্রেস

    এদিন হোসাঙ্গাবাদের জনসভায় কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “একটা দলের একটা পরিবারই প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে স্বাধীনতার পর থেকে কয়েক দশক ধরে দেশ চালিয়ে গিয়েছিল। এই পরিবারই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। দেশের বিভিন্ন অংশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ফেলতে তারা যখনই চেয়েছে, জরুরি অবস্থা জারি করেছে।” তিনি বলেন, “২০১৪ সালের আগে দশ বছর তারা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে দেশ চালিয়েছে। বলেছে, তারা পেয়ে গিয়েছে ঝটকা ভালা মন্ত্র। এই মন্ত্র তারা কোথা থেকে পেল? আপনারা আমায় বলুন, এটা কি গরিবদের উপহাস করা নয়? এটা কি দরিদ্রদের অপমান করা নয়?”

    বিরোধীদের ইস্তাহারকেও এদিন আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “ইন্ডিয়া ব্লকের নেতারা এখনও স্থিরই করে উঠতে পারলেন না যে একটা ইস্তাহার একটা দায়িত্ব, দেশবাসীর প্রতি দায়বদ্ধতা। কংগ্রেসের ওই ইস্তাহারে অনেক ভয়ঙ্কর প্রতিশ্রুতিও রয়েছে। তাদের ইস্তাহার দেশকে আর্থিকভাবে দেউলিয়া করে দেবে (PM Modi)।”

    আরও পড়ুুন: সলমনের বাড়ির সামনে চলল গুলি, দায় স্বীকার বিষ্ণোই গ্যাংয়ের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: “কংগ্রেস দুর্নীতির আখড়া, ওদের অবস্থা বিগবসের মতো”, তোপ রাজনাথের

    Lok Sabha Elections 2024: “কংগ্রেস দুর্নীতির আখড়া, ওদের অবস্থা বিগবসের মতো”, তোপ রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী (Lok Sabha Elections 2024) প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের। কংগ্রেস যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দুর্নীতি বেড়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। কংগ্রেস পার্টিকে তিনি রিয়েলিটি শো ‘বিগবসে’র সঙ্গেও তুলনা করেছেন।

    কী বললেন রাজনাথ? (Lok Sabha Elections 2024)

    শনিবার ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া ও কাঙ্কের জেলায় আয়োজিত নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের পর এ রাজ্যে কংগ্রেসকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই তারা ডাইনোসোরের মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে।” এদিনের জনসভায় রাজনাথ আরও একবার ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র পক্ষে সওয়াল করেন। এতে যে সময় ও অর্থ দুই সাশ্রয় হয়, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। রাজনাথ বলেন, “কংগ্রেস যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দুর্নীতি বেড়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে দলটি (কংগ্রেস) যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।”

    ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকার’

    ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ছত্তিশগড়ের ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। সেই সময় উঠেছিল গোবর কেলেঙ্কারির অভিযোগ। এদিনের জনসভায় সেই প্রসঙ্গও টানেন রাজনাথ। তবে টানা দশ বছর ক্ষমতায় থাকলেও, নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ ওঠেনি, তাও মনে করিয়ে দেন রাজনাথ (Lok Sabha Elections 2024)। বলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কেউ একটাও দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারবেন না।” মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেওকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যের নয়া বিজেপি সরকার দ্রুত ছত্তিশগড়ের উন্নয়ন করবে।” কংগ্রেসকে মরচে পড়া লোহার সঙ্গেও তুলনা করেন রাজনাথ। তার পরেই তিনি বলেন, “কংগ্রেস বিগবস (রিয়েলিটি শো) হাউসের মতো। এর নেতারা সর্বদা একে অন্যের জামা ছিঁড়ে ফেলতে ব্যস্ত।”

    আরও পড়ুুন: প্রচারে গিয়ে পাথরের ঘায়ে জখম অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী, আরোগ্য কামনা প্রধানমন্ত্রীর

    কংগ্রেসের অবস্থা ক্রমেই শোচনীয় হচ্ছে বলেও দাবি রাজনাথের। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যেই কংগ্রেস দলটা লাটে উঠে যাবে। পরে যখন প্রসঙ্গক্রমে কংগ্রেসের কথা উঠবে, তখন বাচ্চারা জিজ্ঞাসা করবে কংগ্রেস কে।” এর পরেই তিনি বলেন, “ডাইনোসোরের মতো কংগ্রেসও বিলুপ্ত হয়ে যাবে অচিরেই। সেই কারণেই কংগ্রেস ছেড়ে নেতারা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে (Lok Sabha Elections 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে আমি দায়বদ্ধ”, সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে আমি দায়বদ্ধ”, সাক্ষাৎকারে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আপনারা শুধু রাজনৈতিক দুর্নীতির কথাই শোনেন। যাঁরা তদন্তকারী সংস্থার নজরে পড়েছেন, তাঁরাই সেগুলো ছড়িয়ে থাকেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপে আমি দায়বদ্ধ।” এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি জানান, ইডির মোট মামলার মাত্র তিন শতাংশ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।

    ইডির হাতে গ্রেফতার অফিসারও (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ, বিরোধীদের দমন করতে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এই প্রসঙ্গেরই জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইডি বহু দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারকে গ্রেফতার করেছে। সেই সব অফিসার, অপরাধী, মাদক ব্যবসায়ীর কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডি রেয়াত করেনি কংগ্রেস, কেজরিওয়াল এবং কবিতাকেও।” তিনি (PM Modi) বলেন, “২০১৪ সালের আগে ইডি মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। গত ১০ বছরে সেটাই এক লাখ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। ২০১৪ সালের আগে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল নগদ ৩৪ লাখ টাকা। সেখানে আমার আমলে উদ্ধার হয়েছে ২২০০ কোটিরও বেশি টাকা।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থায় যারা মুনাফা দেখেছে, তারাই অন্যায় হয়েছে বলে গোল বাঁধিয়ে মানুষের কাছে ভুল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করছে।”

    ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলবেই’

    দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইডির হাতেই গ্রেফতার হয়েছেন ভারত রাষ্ট্র সমিতির এমএলসি কে কবিতা, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে আয়কর দফতর। এর পরে পরেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধীরা। এ প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার সরকারের লড়াই চলবেই। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলেই ফের চলবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান।” প্রধানমন্ত্রী আরও একবার মনে করিয়ে দেন, “গত দশ বছর ধরে আমাদের সরকারের প্রধান ফোকাসই হল সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করা। বিভিন্ন স্তরে আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছি। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি আমরা।”

    আরও পড়ুুন: অভিষেক চলে যেতেই তৃণমূলে ধস, শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান শতাধিক নেতা-কর্মীর

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Uttar Dinajpur: তৃণমূলকে ভোট না দিলে ভোটারদের দেখে নেওয়ার হুমকি চোপড়ার বিধায়কের

    Uttar Dinajpur: তৃণমূলকে ভোট না দিলে ভোটারদের দেখে নেওয়ার হুমকি চোপড়ার বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Vote 2024), আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই চলছে শাসক-বিরোধী দলের তীব্র লড়াই। ভোটের মুখে এবার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিরোধী ভোটারদের প্রকাশ্যে দেখে নেবার হুমকি দিলেন উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চোপড়ার (Chopra) বিধায়ক হামিদুল রহমান। তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট না দিলে পরিস্থিতি হবে ভয়ঙ্কর । ২৬ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবার পর তৃণমূল বাহিনীই থাকবে, তখন বিরোধী ভোটারদের (Voter) কিছু হলে তার সমাধান তিনি করবেন না বলে প্রকাশ্যে জানালেন তৃণমূল বিধায়ক।

    চোপড়ায় সভায় হুমকি (Uttar Dinajpur)

    বুধবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী (TMC Candidate) গোপাল লামার সমর্থনে চোপড়া ব্লকের (Uttar Dinajpur) মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চুয়াগাড়ি চৌরঙ্গী মোড়ে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে চোপড়ার বিধায়ক বিরোধী দলের ভোটারদের এমনই হুমকি দিলেন। বিধায়কের এই হুমকির পরেই জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে এই নির্বাচনী প্রচারে হুমকি না দেবার জন্য সতর্ক করেছে চোপড়ার বিজেপি (BJP) নেতা বরুন সিংহ।

    তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য

    চোপড়া (Uttar Dinajpur) তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল সভায় বলেছেন, “চোপড়ার প্রতিটি পঞ্চায়েত বিরোধী শূন্য। এলাকায় প্রতিটি বুথে ৯০ শতাংশ ভোট তৃণমূল কংগ্রেস না পেলে দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বসিয়ে দিয়ে দলের নেতাদের দিয়ে উন্নয়ন করাবো। পঞ্চায়েত সদস্যদের শুধু বুথে লিড দিলেই হবে না, বুথে বুথে ৯০ শতাংশ ভোট দলের প্রার্থী গোপাল লামাকে দিতে হবে। যদি এই কাজ না হয় তাহলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।” ঘটনায় এলাকায় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে এই প্রসঙ্গে চুপ থাকেননি চোপড়ার (Uttar Dinajpur) বিজেপি নেতা বরুন সিংহও। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিধায়ক হামিদুল রহমানকে অত হুমকি না দেবার জন্য সতর্ক করেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে এই বিজেপি নেতা বলেছেন, “ভোটে তৃণমূল সন্ত্রাস তৈরি করতে চাইছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচন (lok sabha vote 2024) দুটি আলাদা নির্বাচন। নির্বাচনে বল খাটাতে গেলে তার পরিনাম ভাল হবে না।”

    আরও পড়ুনঃ নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি প্রার্থীদের কীভাবে যেতে হবে মানুষের কাছে, জানালেন অমিত মালব্য

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তপ্ত ছিল চোপড়া

    উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে স্পর্শকাতর এলাকা ছিল চোপড়া (Uttar Dinajpur)। বিরোধী সিপিএম (CPIM), কংগ্রেস (congress) মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় মিছিলের উপর গুলি, বোম ছোড়া হয়েছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যুও পর্যন্ত হয়েছিল। গুলি এবং বোমার আঘাতে বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। এই ঘটনার পর রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। বিরোধীদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) এই হামলার পর বিরোধীরা কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করতেই পারেননি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসনগুলি জয় লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: ‘মায়ের শেষ যাত্রাতেও থাকতে দেয়নি, মেলেনি জামিন’ জরুরী অবস্থার কথা স্মরণ রাজনাথের

    Rajnath Singh: ‘মায়ের শেষ যাত্রাতেও থাকতে দেয়নি, মেলেনি জামিন’ জরুরী অবস্থার কথা স্মরণ রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জরুরী অবস্থার কথা স্মরণ করে কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি জানিয়েছেন, মা যখন অসুস্থ ছিলেন তখন প্যারোলেও ছাড়া হয়নি তাঁকে। মায়ের শেষ যাত্রাতেও অংশ নিতে দেয়নি তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। আর এখন তারাই স্বৈরাচারের কথা বলছে, বলে কটাক্ষ করেন রাজনাথ। 

    কী বললেন রাজনাথ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার তাঁকে জেলে ভরে দিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “যারা জরুরী অবস্থার সময় একনায়কতন্ত্র জারি করেছিলেন, তারাই এখন আমাদের বলছে আমরা নাকি একনায়ক।” রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, “জরুরি অবস্থার সময় আমি জেলে ছিলাম। আমরা বিক্ষোভ দেখাতাম, সাধারণ মানু্ষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করতাম যে ইমার্জেন্সি কতটা ভয়ঙ্কর এবং তা স্বৈরাচারী মনোভাবকেই তুলে ধরে।” তিনি আরও বলেন, “আমার সদ্য বিয়ে হয়েছিল। সারা দিন কাজ করার পর আমি বাড়ি ফিরেছিলাম, আমায় তখন বলল, পুলিশ এসেছিল। আমায় ওয়ারেন্ট দেওয়া হল। মাঝরাতে আমায় গ্রেফতার করল, জেলে নিয়ে গেল। আমায় একা একটা কুঠুরিতে রাখা হয়েছিল।”

    মায়ের মৃত্যুর কথা স্মরণ রাজনাথের

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (Rajnath Singh) জানান সেই সময় জেলে কোনও বই পড়তে দিত না। একটা পাত্রে ডাল দিত। আর কয়েকটা চাপাটি দেওয়া হতো। কিছু সময়ের জন্য় জেল চত্বরে যেতে দিত। হেসে হেসেই তিনি বলেন, “আমার হয়তো ভাল মেজাজ ছিল, তাই আমায় জেলে দীর্ঘদিন রাখা হয়েছিল। যখন আমায় মির্জাপুর জেল থেকে নৈনি সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন আমার মা বলেছিল, যাই-ই হোক না কেন, ক্ষমা চাইবে না। শুনে উপস্থিত পুলিশকর্মীরাও কেঁদে ফেলেছিলেন।”  রাজনাথ জানান, জরুরী অবস্থা আরও একবছর বৃদ্ধি করা হয়েছে এটা শুনে তাঁর মা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২৭ দিন মাকে হাসপাতালে রাখতে হয়েছিল। পরে মারা যান তিনি। তাঁর কথায়, “আমি তারপরও জেল থেকে ছাড়া পাইনি, প্যারোল পাইনি। আমি জেলেই মুণ্ডন করেছিলাম। আমি যেতে না পারায়, আমার ভাই শেষকৃত্য করেছিল…ভাবুন এরপরও ওরা (কংগ্রেস) আমাদের বিরুদ্ধে স্বৈরাচার, একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ আনে। নিজেদের দিকে দেখে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share