Tag: congress

congress

  • Rahul Gandhi: ৪৫ মিনিটে মুখে ৩৪ বার চিনের নাম! রাহুলকে ‘জিনপিং’ বলে কটাক্ষ বিজেপির

    Rahul Gandhi: ৪৫ মিনিটে মুখে ৩৪ বার চিনের নাম! রাহুলকে ‘জিনপিং’ বলে কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বক্তব্য মাত্র ৪৫ মিনিটের। এই পৌনে এক ঘণ্টার বক্তব্যে অন্তত ৩৪ বার চিনের নাম নিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কংগ্রেস নেতার এহেন ‘চিন-প্রীতি’তে বেজায় চটেছে বিজেপি। রাহুলকে তীব্র আক্রমণ শানান পদ্ম নেতৃত্ব। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “৪৫ মিনিটের বক্তব্যে রাহুল গান্ধী অন্তত ৩৪ বার চিন শব্দটি উল্লেখ করেছেন।”

    রাহুলের অভিযোগ (Rahul Gandhi)

    দেশের উৎপাদন ক্ষেত্র নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। তিনি বলেছিলেন, “চিন অন্তত এই ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে ১০ বছর এগিয়ে আছে। চিন ব্যাটারি, রোবট, মোটর-সহ নানা ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করছে। গত ১০ বছর ধরে তারা এই সব নিয়ে কাজ করছে। আর আমরা এই কাজে পিছিয়ে রয়েছি।”

    বিজেপির নিশানায় রাহুল

    রাহুলকে (Rahul Gandhi) নিশানা করেছেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রও। তিনি ব্যঙ্গ করে তাঁকে ‘রাহুল জিনপিং’ (চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং) বলে অভিহিত করেন (Rahul Gandhi)। তিনি বলেন, “আমি তাঁকে ‘রাহুল জিনপিং’ বলেই সম্বোধন করতে চাই। তিনি চিনের নাম ৩৪ বার উচ্চারণ করেছেন। তিনি নিশ্চয়ই প্রার্থনা করছেন যেন পরের জন্মে তিনি চিনা হতে পারেন।”

    তিনি বলেন, “২০০৪-১৪ সালের কংগ্রেস শাসন আমলে ভারত ও চিনের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি ২৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।” তিনি রাহুলের ব্যাঙ্কিং খাত সংক্রান্ত মন্তব্যও উড়িয়ে দেন। তিনি এও উল্লেখ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার মুদ্রা প্রকল্পের আওতায় ৫১ কোটি মানুষকে ঋণ দিয়েছে, সেখানে কংগ্রেস ইউপিআইয়ের মতো আর্থিক উদ্ভাবনের বিরোধিতা করেছিল। এটি বর্তমানে দৈনিক ৫০ কোটি লেনদেন পরিচালনা করছে।’

    প্রসঙ্গত, রাহুল বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের প্রস্তাব করেছিলেন। আমার মনে হয় এটা একটা ভালো আইডিয়া। আর তার ফল তো আপনাদের সামনেই হাজির। ২০১৪ সালে (BJP) উৎপাদন ক্ষেত্রে জিডিপি ছিল ১৫.৩ শতাংশ। সেটা আরও নেমে গিয়ে হয়েছে ১২.৬ শতাংশ। ৬০ বছরে এটা সর্বনিম্ন (Rahul Gandhi)।”

  • Delhi Elections 2025: “ঝাঁটা দিয়ে আপকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করুন”, বললেন শাহ

    Delhi Elections 2025: “ঝাঁটা দিয়ে আপকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করুন”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঝাঁটা দিয়ে আপকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করুন।” শনিবার দিল্লির এক নির্বাচনী জনসভায় এই ভাষায়ই আম আদমি পার্টিকে (Amit Shah) আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Delhi Elections 2025)। আপ সরকারকে তিনি থ্রি-জি সরকার বলেও অভিহিত করেন।

    থ্রি-জির ব্যাখ্যা (Delhi Elections 2025)

    থ্রি-জির ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ঘাপলা, ঘুসপেঠিয়েদের আশ্রয় এবং ঘোটালা। বিজেপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, প্রথম জি মানে ‘ঘোটালে ওয়ালি সরকার’ (এমন সরকার যা কেলেঙ্কারি করে), দ্বিতীয় ‘জি’ মানে ‘ঘুসপৈঠিদেরকে আশ্রয় দেওয়ার সরকার’ (এমন সরকার যা অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেয়) এবং তৃতীয় ‘জি’ মানে ‘ঘাপলা করার সরকার’ (এমন সরকার যা দুর্নীতিতে ভরপুর)।” শহরে অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা-সহ অন্যান্য বিষয়ের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। এদিন তিনি মুস্তাফাবাদ বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় একটি জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। তাঁর দাবি, আম আদমি পার্টির নেতারা দিল্লি নির্বাচনে তাদের দলের বিরুদ্ধে থাকা “ঢেউ” সম্পর্কে সচেতন।

    ‘ঝাড়ু’ দাওয়াই

    এর পরেই তিনি বলেন, “এবার মানুষ ‘ঝাড়ু’ (ঝাড়ু আপের নির্বাচনী প্রতীক) দিয়ে আপকে পরিষ্কার করে দেবে। কারণ তারা জানে যে দিল্লিতে একটি থ্রি-জি সরকার রয়েছে।” শাহ বলেন, এখন দিল্লির “আপ-দা” থেকে মুক্ত হওয়ার সময়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “একটুও অলস হবেন না। নাহলে (দিল্লির) দাঙ্গার জন্য দায়ীরা নির্বাচিত হয়ে ফিরে আসবে। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আপনি দিল্লিকে দাঙ্গায় ফেলার লোকদের চান, নাকি যারা রক্ষা করেছে, তাদের (Delhi Elections 2025)।”

    প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে প্রধান তিনটি দল – আপ, কংগ্রেস এবং বিজেপি। ৭০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে হবে ত্রিমুখী লড়াই। আপের বিরুদ্ধে আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি-সহ নানা কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। এসবই হাতিয়ার করে লড়ছে বিজেপি। দিন কয়েক আগে পদ্ম নেতা অমিত শাহ বলেছিলেন, এবার দিল্লির মসনদে আসবে বিজেপি। তৈরি হবে ডাবল ইঞ্জিন সরকার (Amit Shah)। দিল্লি বিধানসভার ফল বের হবে ৮ ফেব্রুয়ারি (Delhi Elections 2025)।

  • Rahul Gandhi: “ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়ছে কংগ্রেস”, আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন রাহুল

    Rahul Gandhi: “ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়ছে কংগ্রেস”, আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন রাহুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস শুধু বিজেপি এবং আরএসএসের বিরুদ্ধে নয়, বরং পুরো ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করছে।” আরএসএসকে নিশানা করতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। বুধবার দিল্লিতে (Indian State) এআইসিসির সদর দফতরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন রাহুল। সেখানেই তিনি ‘দেশদ্রোহিতা’র কথা বলেন।

    কী বললেন রাহুল? (Rahul Gandhi)

    রাহুল বলেন, “ভাববেন না আমরা একটি ন্যায্য লড়াই করছি। আপনি যদি মনে করেন আমরা বিজেপি এবং আরএসএস নামক একটি রাজনৈতিক সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, তাহলে জেনে রাখুন তারা আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দখল করেছে। এখন আমরা শুধু বিজেপি এবং আরএসএসের বিরুদ্ধে নয়, বরং ভারতীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই লড়াই করছি।”

    নির্বাচন কমিশনকে নিশানা

    তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের কার্যপদ্ধতি নিয়ে অস্বস্তিতে আছি। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে মহারাষ্ট্রে প্রায় এক কোটি নতুন ভোটারের হঠাৎ উপস্থিতি সমস্যাজনক। বিধানসভা নির্বাচনে যারা ভোট দিয়েছেন তাঁদের নাম এবং ঠিকানা-সহ ভোটার তালিকা সরবরাহ করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। অথচ নির্বাচন কমিশন এই তথ্য সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছে।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থায় একটি গুরুতর সমস্যা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব স্বচ্ছ হওয়া।”  তিনি (Rahul Gandhi) বলেন, “নির্বাচন কমিশন কেন ভোটার তালিকা স্বচ্ছ করতে রাজি হবে না? আমাদের তালিকা না দিয়ে তারা কোন উদ্দেশ্য সাধন করছে, এবং কেন তারা এটা গোপন রাখছে? স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। কেন এটা ঘটেছে, তা ব্যাখ্যা করা তাদের পবিত্র দায়িত্ব।”

    আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক হিংসায় হারিয়েছিল ভিটে, ৪৭ বছর পর তিন হিন্দু পরিবারকে জমি ফেরালেন যোগী

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ইন্দোরের এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ভারত প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন। ভাগবতকে (Indian State) নিশানা করতে গিয়েই ভারত বিরোধিতার কথা বলেন রাহুল (Rahul Gandhi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • CAG Report: দিল্লির মদ কেলেঙ্কারির জেরে ক্ষতি, আপকে আক্রমণ শানাল বিজেপি-কংগ্রেস

    CAG Report: দিল্লির মদ কেলেঙ্কারির জেরে ক্ষতি, আপকে আক্রমণ শানাল বিজেপি-কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মদ নীতি কেলেঙ্কারির জেরে আপ সরকারের আমলে যে ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ ২ হাজার ২৭ কোটি টাকা। সাম্প্রতিক এক অডিট রিপোর্টে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে (BJP)। রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, সংক্ষেপে ক্যাগ (CAG Report)। রিপোর্টে আবগারি দফতরের শাসন ও দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ত্রুটিগুলিরও সমালোচনা করা হয়েছে।

    ক্ষতির পরিমাণ (CAG Report)

    বলা হয়েছে, আবগারি দফতরের কাজের ধরন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন হয় যে তারা কীভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে। অডিটের ফল থেকে আর্থিক প্রভাবের মোট পরিমাণ প্রায় ২.০২৬.৯১ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, ওই কেলেঙ্কারির অভিযোগে দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর ডেপুটি মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করেছিল ইডি।

    আপকে নিশানা বিজেপির

    ক্যাগের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর আপকে নিশানা করেছে বিজেপি। পদ্ম-পার্টির জাতীয় সভাপতি আক্রমণ শানিয়েছেন আপ এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ক্ষমতার নেশায় মত্ত, অপশাসনের ওপরে। আপ দা (‘AAP’DA) মডেল লুটের সম্পূর্ণ প্রদর্শনে এবং তাও মদের মতো কিছুতে। আপ সরকারকে ভোট দেওয়া ও তার অপকর্মের জন্য শাস্তি দেওয়া মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যাপার।”

    পদ্ম সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মদ কেলেঙ্কারির ‘মূল হোতা’ বলে অভিহিত করেছেন (CAG Report)। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছে কংগ্রেসও। হাত শিবিরের প্রবীণ নেতা সন্দীপ দীক্ষিত বলেন, “কেজরিওয়াল ভুল করেছেন। তিনি বলেন, সিএজি বলেছে যে মদের নীতিতে ২ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। এখন এটা পরিষ্কার যে তিনি (কেজরিওয়াল) ভুল করেছেন। তিনি সরকারি কোষাগার খালি করেছেন। যদি মদ নীতির কারণে ছ’মাসে ২ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়, আর যদি সেই স্কিমটি এখনও চালু থাকত, তাহলে আমাদের ক্ষতি হত (BJP) ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা (CAG Report)।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী ভারত! মহাকুম্ভে যোগ দিয়ে আবেগে ভাসলেন বিদেশিরা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Pranab Mukherjee: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রণব-কন্যার, ঘোর বিপাকে কংগ্রেস

    Pranab Mukherjee: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রণব-কন্যার, ঘোর বিপাকে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়ালেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের (Pranab Mukherjee) কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। অস্বস্তির কারণ দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ধন্যবাদ জানাতে গিয়েছিলেন প্রণব-কন্যা। সেই ছবি তিনি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

    অস্বস্তিতে কংগ্রেস (Pranab Mukherjee)

    সেই ছবিই অস্বস্তিতে ফেলেছে সোনিয়া গান্ধীর দলকে। দিন কয়েক আগে মনমোহনের প্রতি বিজেপি সরকার সম্মান প্রদর্শন করছে না বলে তোপ দেগেছিল কংগ্রেস। সেই সময় বোমা ফাটিয়েছিলেন প্রণব-পুত্রী। শর্মিষ্ঠা বলেছিলেন, স্মৃতিসৌধের দাবি তোলা দূরের কথা, তাঁর বাবার মৃত্যুর পর কংগ্রেস কর্মসমিতি একটা শোকসভা পর্যন্ত করেনি। এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা। এবার আরও একবার গান্ধী পরিবারকে বিপাকে ফেললেন প্রণব-কন্যা।

    স্মৃতিসৌধের জন্য জমি

    ফেরা যাক খবরে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণের পর তাঁর স্মৃতিসৌধের জন্য জমি দেওয়ার দাবি তুলেছিল কংগ্রেস। তা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে চাপানউতোর চলেছিল সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে। শেষমেশ ভারত সরকার স্মৃতিসৌধের জন্য জমি চিহ্নিত করার কথা ঘোষণা করে। তবে সেই জমি মনমোহনের জন্য নয়, প্রণবের (Pranab Mukherjee) স্মৃতিসৌধের জন্য। ১ জানুয়ারি শর্মিষ্ঠাকে চিঠি লিখে এ কথা জানিয়ে দেয় ভারত সরকারের আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। প্রণব-কন্যাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রণবের জন্য রাষ্ট্রীয় স্মৃতি কমপ্লেক্সের মধ্যেই স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ছবি শর্মিষ্ঠা পোস্ট করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে। জানিয়েছেন, ভারত সরকার তাঁর বাবার স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: “আমি যার দিকে তাকাই, ধ্বংস হয়ে যায়,” কাকে বার্তা দিলেন শুভেন্দু?

    এক্স হ্যান্ডেলে শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, “আমরা কোনও আর্জি না জানানো সত্ত্বেও বাবার জন্য স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হচ্ছে। এটা আরও বেশি করে ভালো লেগেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই অপ্রত্যাশিত কিন্তু প্রকৃতই সহৃদয় আরচণ আমাকে খুবই স্পর্শ করেছে।” শর্মিষ্ঠা লিখেছেন, “বাবা বলতেন, রাষ্ট্রীয় সম্মান চাইতে নেই। আপনা থেকেই পেতে হয়। বাবার স্মৃতিকে সম্মান জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ আমি। বাবা এখন যেখানে, তিনি প্রশংসা ও সমালোচনার বাইরে। এর কোনও প্রভাবই তাঁর ওপর পড়বে না। কিন্তু ওঁর মেয়ে হিসেবে আনন্দ প্রকাশের ভাষা নেই আমার কাছে (PM Modi)।” প্রণব-কন্যার এই পোস্টেই বেকায়দায় কংগ্রেস (Pranab Mukherjee)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    Nitish Kumar: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা (জেডিইউ) ভুল করে দু’বার ভুল পথে চলে গিয়েছিলাম। এখন আমরা সব সময় এনডিএর সঙ্গেই থাকব এবং উন্নয়নমূলক কাজে মনোনিবেশ করব।” সাফ জানিয়ে দিলেন বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী জেডিইউয়ের নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব বলেছিলেন, “নীতীশ কুমারের জন্য আমাদের দরজা সব সময় খোলা। তাঁরও উচিত দরজা খুলে রাখা। এতে উভয়পক্ষের যাতায়াত সহজ হবে।”

    ভুল ‘কবুল’ নীতীশের (Nitish Kumar)

    এই প্রসঙ্গেই ভুল ‘কবুল’ নীতীশের। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি ভুল করে তাদের সঙ্গে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমি আমার পুরানো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি।” বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মহিলাদের অবস্থা আগে কেমন ছিল? আমরা যখন ‘জীবিকা দিদি’ প্রকল্প শুরু করেছিলাম – মহিলারা খুশি হয়েছিলেন। যখনই তাঁদের কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাঁদের সাহায্য করা হয়।” এর পরেই ভুল স্বীকার নীতীশের। তিনি বলেন, “তারা (বিরোধী) মহিলাদের জন্য কোনও কাজ করেছে? আমরা সকলের জন্য কাজ করেছি – হিন্দু, মুসলিম, উচ্চবর্ণ, পশ্চাদপদ, দলিত বা মহিলা – যেই হোক না কেন। মানুষের এটা মনে রাখা উচিত।”

    লালু সরকারের সমালোচনা

    লালুপ্রসাদ সরকারের সমালোচনা করে নীতীশ (Nitish Kumar) বলেন, “২০০৫ সালের আগে বিহারের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। সন্ধ্যার পর মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পেত। হাসপাতালে চিকিৎসার উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না। রাস্তাঘাট জরাজীর্ণ ছিল। শিক্ষার অবস্থা ভালো ছিল না। রাজ্যে প্রায়ই সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর পাওয়া যেত।” ২০১৫ সালে আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এই জোটই সরকার গঠন করেছিল বিহারে।

    আরও পড়ুন: সাধুর ভিড়ে মহাকুম্ভে হানা দিতে পারে জঙ্গিরা, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    ২০১৭ সালে জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এনডিএতে ফিরে যান নীতীশ। ২০২২ সালের অগাস্টে লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের ওই জোটে ফিরে যান তিনি। পরে ফেরেন এনডিএ-তে। এনডিএ শিবিরে যোগ দেওয়ার পর যে বিহারে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, এদিন তা মনে করিয়ে দেন নীতীশ। পরে বলেন, “আগে বিহারের যে কোনও প্রান্ত থেকে মানুষের পাটনা পৌঁছতে ৬ ঘণ্টা সময় লাগত, এখন তা কমে ৫ ঘণ্টা হয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য (Bihar) সব ধরনের কাজ করা হচ্ছে (Nitish Kumar)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Assembly Elections 2025: রাহুল গান্ধীকে ফের তোপ প্রণব-কন্যার, দিল্লি নির্বাচনের আগেই কি বিজেপিতে?

    Delhi Assembly Elections 2025: রাহুল গান্ধীকে ফের তোপ প্রণব-কন্যার, দিল্লি নির্বাচনের আগেই কি বিজেপিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রণব-কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়ের কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর উপর বিরাট রাগ। অবশ্য এই রাগের কারণ প্রণব কন্যার ধারণা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে বঞ্চনা এবং অশ্রদ্ধাই করা হয়েছে দলের তরফ থেকে। দীর্ঘ দিনের বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা ছিলেন প্রণববাবু। কন্যার অবশ্য দাবি বাবাকে দল যথার্থ সম্মান দেয়নি, কোনও রকম স্বীকৃতি দেয়নি। রাহুল গান্ধী এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে ‘সঙ্ঘী’ বলে আক্রমণ করেছিলেন, তাই এবার নাম করে মেয়ে রাহুল ঘনিষ্ঠ ভক্তদের তীব্র তোপ দেগেছেন। ফলে আসন্ন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের (Delhi Assembly Elections 2025) আগে কি বিজেপিতে যোগদান করবেন শর্মিষ্ঠা? জল্পনা তুঙ্গে।

    শর্মিষ্ঠা কি বিজেপিতে যাবেন?

    সমানেই দিল্লিতে বিধানসভার নির্বাচন (Delhi Assembly Elections 2025)। ইতিমধ্যে শর্মিষ্ঠা কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে তীব্র তোপ দেগে চলেছেন। দিল্লি নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কি তাহলে সরাসরি রাজনৈতিক লড়াইতে নামবেন? এই নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। তাহলে কি বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন প্রণব-কন্যা শর্মিষ্ঠা। উল্লেখ্য, নাগপুরে আরএসএস-এর তৃতীয় বর্ষ সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গের প্রধান অতিথি হয়েছিলেন প্রণববাবু। একই ভাবে সংসদে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সংসদে আলিঙ্গন করেছিলেন রাহুল, কিন্তু কংগ্রেস নেতারা প্রণববাবুকে সঙ্ঘী তকমা দিয়েছিলেন। এরপর বাবার হয়ে সরাসরি কংগ্রেসকে তুলোধনা করেন শর্মিষ্ঠা।

    রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ

    শর্মিষ্ঠা নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “রাহুলের ভক্ত যারা একদিন আমার বাবাকে সঙ্ঘী বলতেন, আমি তাঁদের বলছি, কই আপনারা একবার প্রশ্ন করে দেখুন তো কেন তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সংসদে জড়িয়ে ধরেছিলেন? ইনি সেই রাহুল গান্ধী যাঁর মা মোদিকে মওতকা সওদাগর বলেছিলেন। তাঁদের যুক্তি অনুসারে তো রাহুলকে তাঁর সহযোগী হিসেবে দেখা উচিত। এইসব দুষ্ট মূর্খ, দালালদের সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার জন্য রাহুল গান্ধী আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই। এখন আপনার ‘নফরত কি দুকানদারদের’ আমাকে গালমন্দ করার জন্য ছেড়ে দিন। আমাকে অভিশাপ দিন!”

    আরও পড়ুনঃ জয়েন্ট মাস্টার্স প্রোগ্রাম থেকে মুসলিম সংরক্ষণ বন্ধের কথা ভাবছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়

    কংগ্রেস-আপের বিরুদ্ধে সাড়া ফেলার সম্ভাবনা প্রবল

    দিল্লিতে প্রণব-কন্যা বেশ পরিচিত মুখ। সামনেই নির্বাচন (Delhi Assembly Elections 2025) সেই সঙ্গে বাবা প্রণব নামের পুঁজি ব্যাপক সারা ফেলেতে পারে। দীর্ঘদিন ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কাজ করার আবেগ ও অনুভূতি জনমনে সাড়া ফেলতে পারে। উল্লেখ্য শর্মিষ্ঠা বাবার লেখা বই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দিতে গিয়েছিলেন গত ১৫ জানুয়ারি। তাই বিজেপিতে যোগদান করলে একদিকে কংগ্রেস এবং অপর দিকে আপের বিরুদ্ধে জনমত গড়তে ব্যাপক কাজ হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। শর্মিষ্ঠার কংগ্রেস সমালোচনা যে রাহুলদের জন্য ভালো বার্তা নয়, তা মনে করছে রাজনৈতিক মহল।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    BJP: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিজের গড়েই ধরাশায়ী কংগ্রেস। তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে দীর্ঘদিন ধরে অসমের (Assam) এই গড় ধরে রেখেছিল কংগ্রেস। বিধানসভার উপনির্বাচনে সেই গড়েই ধস নামিয়ে দিলেন বিজেপির (BJP) দীপলু রঞ্জন শর্মা। নগাঁও জেলার সামাগুড়ি কেন্দ্রে উড়ল পদ্ম-ঝান্ডা। অসমের এই অঞ্চলের একটা বড় অংশের ভোটার মুসলমান সম্প্রদায়ের। তাই তোষণের রাজনীতি করে দীর্ঘ দিন ধরে এই কেন্দ্রের রাশ ধরে রেখেছিল সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর দল। সেই গড়েই কংগ্রেসকে দুরমুশ করে বিজেপির বিজয় কেতন ওড়ালেন দীপলু।  

    ৬৫ শতাংশ ভোটারই মুসলমান (BJP)

    বছরের পর বছর ধরে নগাঁও কংগ্রেসের দুর্গ হিসেবেই পরিচিত ছিল। এই জেলায়ই রয়েছে সামাগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের ৬৫ শতাংশ ভোটারই মুসলমান। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে অসমের রাজনৈতিক দৃশ্যপট বদলে গেলেও, বিজেপির উত্থান হলেও, কংগ্রেস তার এই দুর্গ ধরে রেখেছিল। এই আসন থেকে ‘হাত’ চিহ্নে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তি জয়ী হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ধুবড়ি লোকসভা কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ রাকিবুল হুসেনও।   

    শেষ রক্ষে হয়নি

    তিনি টানা পাঁচবার সামাগুড়ির বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রাকিবুল হুসেন। এই অঞ্চলের রাজনৈতিক আখ্যান গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সামাগুড়ির রাজনীতিতে তাঁর পরিবার প্রভাবশালী শক্তিও। তাঁর বাবা নুরুল হুসেন ১৯৮১ ও ১৯৯১ সালে সামাগুড়ির বিধায়ক হয়েছিলেন। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে ধুবড়ির সাংসদ হন রাকিবুল। গড় ধরে রাখতে রাকিবুলের ছেলে তানজিল হুসেনকে টিকিট দেয় কংগ্রেস। তাতেও শেষ রক্ষে হয়নি। তানজিলকে ২৬ হাজার ২০০ ভোটে পরাস্ত করে বিজেপি। জয়ী হন পদ্ম-প্রার্থী দীপলু রঞ্জন। প্রসঙ্গত, সামাগুড়ির মোট ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৫৪ জন।

    আরও পড়ুন: মমতার পরের দিনই সন্দেশখালিতে শুভেন্দুর জনসংযোগ যাত্রা

    দীপলু (BJP) তরুণ, শিক্ষিত। ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচনে তাঁকেই বাজি ধরে বিজেপি। দীপলুর নাম ঘোষণা হতেই রাকিবুল কটাক্ষের সুরে বলেন দীপলু ‘বলির পাঁঠা’, যাঁকে বিজেপি অনিবার্য পরাজয়ের জন্য পাঠিয়েছে। পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন দীপলুও। বলেছিলেন, সব চেয়ে কঠিন লড়াইগুলো দেওয়া হয় সব চেয়ে শক্তিশালী সৈনিককে। নগাঁও কলেজে বাণিজ্যে স্নাতক হন দীপলু। কলেজে পড়াকালীনই আরএসএসের সংস্পর্শে আসেন। অল্প বয়সে নগাঁও যোগাযোগ প্রধান হিসেবে আরএসএস তাঁকে নিয়োগ করে। ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদকও হন। সেখান থেকে বিজেপিতে। এবং শেষমেশ বিধানসভায় চলে এলেন (Assam) লড়াকু নেতা দীপলু (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Manmohan Singh: দিল্লিতেই হবে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধ, জানাল মোদি সরকার 

    Manmohan Singh: দিল্লিতেই হবে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধ, জানাল মোদি সরকার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) স্মৃতিসৌধের জন্য রাজধানী দিল্লিতে প্রয়োজনীয় জায়গা বরাদ্দ করা হবে, বলে জানাল মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ শুক্রবার রাতেই সেই কথা জানান। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াণে বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত সরকারি কর্মসূচি। সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয় শনিবার।

    পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য

    শনিবার সকালে দিল্লিতে কংগ্রেস সদর দফতরে নিয়ে আসা হয় প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর (Manmohan Singh) দেহ৷ সেখানে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং দলের কর্মীরা মনমোহন সিং-কে শেষ শ্রদ্ধা জানান৷ এর পর সকাল ১০.১৫ মিনিট নাগাদ দিল্লির নিগমবোধ ঘাটের উদ্দেশ্যে মনমোহনের শেষযাত্রা শুরু হয়৷ সেনাবাহিনীর শববাহী শকটে করে নিগমবোধ ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মরদেহ৷ সেখানেই বেলা ১১.৪৫ মিনিট নাগাদ মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর পরিবার পরিজন, বন্ধু, সহকর্মী এবং বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। নিগমবোধ শ্মশান ঘাটে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধ জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ অন্যান্যরা। ২০০৪ থেকে ’১৪—দশ বছর দেশের প্রশাসনিক প্রধানের পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন মনমোহন সিং। 

    আরও পড়ুন: দাউদের জন্মদিনে ভারতের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা! টার্গেট হিন্দু নেতারা

    দিল্লিতেই স্মৃতিসৌধ

    প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) স্মৃতিসৌধ তৈরি হবে দিল্লিতেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধ তৈরির জায়গা দেওয়া হবে। তবে তার আগে তাঁর শেষকৃত্য এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন হোক। কেন্দ্রের যুক্তি, এ ব্যাপারে একটি ট্রাস্ট তৈরি করা দরকার। সেই ট্রাস্টকেই জায়গা বরাদ্দ করবে কেন্দ্র। শুক্রবার গভীর রাতে একটি বিবৃতি দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে। সেখানে জানানো হয়েছে, কংগ্রেস সভাপতি খাড়্গের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এবিষয়ে খাড়্গে এবং মনমোহনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন অমিত শাহ। তাঁদের জানানো হয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর শেষকৃত্য এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন হোক। তারপর একটি ট্রাস্ট গঠন করে, সেই ট্রাস্টকে যাবতীয় দায়িত্ব দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pranab Mukherjee: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    Pranab Mukherjee: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh) প্রয়াণের পরপরই শুক্রবার বসে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। এই আবহে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের (Pranab Mukherjee) কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। নিজের সমাজমাধ্যমের পোস্টে তিনি দাবি করেন, তাঁর পিতা প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর শোক জ্ঞাপনের জন্য কোনও ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়নি।

    শর্মিষ্ঠার এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট

    শর্মিষ্ঠা নিজের পোস্টে লেখেন, ‘‘বাবা যখন মারা গেলেন, তখন শোক জ্ঞাপনের জন্যে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকার প্রয়োজনও মনে করেনি। আমাকে সেই সময় এক সিনিয়র কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন, প্রেসিডেন্টদের জন্যে এমনটা করা হয় না। যদিও সেটা মিথ্যা। পরে আমি বাবার ডায়েরি থেকে জানতে পেরেছিলাম, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কেআর নারায়ণের প্রয়াণে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই সময় শোক বার্তা ড্রাফ্ট করেছিলেন বাবা নিজেই।’’

    প্রণব মুখোপাধ্যায়কে (Pranab Mukherjee) বঞ্চনা

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার দিল্লিতে দলের সদর দফতরেই বসে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকে মল্লিকার্জুন খাড়গে ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, কেসি বেণুগোপালরা। সেই বৈঠকেই মনমোহনের শেষকৃত্য নিয়ে আলোচনা হয়। এই আবহে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পরে কেন এমন বৈঠক ডাকা হয়নি, সেই প্রশ্ন তুললেন প্রণব কন্যা (Pranab Mukherjee)। আগেও একাধিক মহলে গুঞ্জন শোনা গিয়েছে,  প্রণব মুখোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রীও হতে দেয়নি কংগ্রেস!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share