Tag: congress

congress

  • National Herald: ৭৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করায় সায়, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    National Herald: ৭৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করায় সায়, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর ঠিক আট দিন পরেই শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। প্রথম দফার ওই নির্বাচনে লড়াইয়ের (National Herald) ময়দানে রয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিজেপি বিরোধী ছাব্বিশটি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’। এমনিতেই দীর্ঘদিন ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে থাকায় কংগ্রেসের কোষাগারের হাল হয়েছে হাঁড়ির।

    বিপাকে কংগ্রেস (National Herald)

    এমতাবস্থায় আরও বিপাকে পড়ল গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ৭৫১ কোটি ৯০ লাখ টাকার সম্পত্তি সাময়িক বাজেয়াপ্ত করায় সায় দিলেন পিএমএলএ বিষয়ক বিচারবিভাগীয় কর্তৃপক্ষ। গত নভেম্বরেই ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল কংগ্রেসের ওই সম্পত্তি। পিএমএলএ কর্তৃপক্ষের জারি করা নির্দেশে বলা হয়েছে, যেসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও ইক্যুইটি শেয়ার ইডি বাজেয়াপ্ত করেছিল, তা অবৈধভাবে আয় ও অর্থ পাচারের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।

    বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি

    ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) সংবাদপত্র, তার প্রকাশনা সংস্থা এজেএল এবং পরিচালন তথা মালিক সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়ার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির তালিকায়। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে প্রকাশনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার। সেই বন্ধ সংস্থাই অধিগ্রহণ করে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল ও কংগ্রেসের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড। এর পরেই ন্যাশনাল হেরাল্ডের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি চলে আসে ইয়ং ইন্ডিয়ার দখলে। সঙ্গে আসে ৯০ কোটি টাকা দেনার দায়ও। এই দেনার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয় কারণ দর্শিয়ে কংগ্রেসের তরফে মকুব করে দেওয়া হয় দেনার টাকা। এই সময়ই ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অপ্রতিরোধ্য’’, মার্কিন পত্রিকা ‘নিউজউইক’-এর প্রচ্ছদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। ফের চর্চায় আসে ইয়ং ইন্ডিয়ার ন্যাশনাল হেরান্ডের দুর্নীতির অভিযোগ। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর অভিযোগ, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড নামে যে সংস্থার মালিকানাধীন ছিল ন্যাশনাল হেরাল্ড, বাজারে তাদের ঋণ ছিল ৯০ কোটি টাকা। এই টাকার বেশিরভাগটাই নেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের কাছ থেকে। মালিকানা হাতবদলে বেআইনি কোনও লেনদেন হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে ইডিকে নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লির মেট্রোপলিটন আদালত। এই মামলায় প্রথমে সোনিয়া এবং পরে রাহুল গান্ধীকেও দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল (National Herald) ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • PM Modi: “৩৭০ ধারা রদ করায় অম্বেডকরের আত্মা আশীর্বাদ করছেন”, বললেন মোদি

    PM Modi: “৩৭০ ধারা রদ করায় অম্বেডকরের আত্মা আশীর্বাদ করছেন”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করায় বিআর অম্বেডকরের (সংবিধান রচয়িতা) আত্মা আমায় আশীর্বাদ করবেন।” বুধবার নাগপুরের কানহান শহরের এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    ৩৭০ ধারা রদ (PM Modi)

    সেখানে এনডিএ প্রার্থীদের সমর্থনে আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীরের যে বিশেষ মর্যাদা ছিল তা লোপ করা হয়েছে। তাই অম্বেডকরের আত্মা আমায় আশীর্বাদ করবেন।” দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করতে গিয়ে বিরোধীরা বলেছিলেন, মোদি ফের ক্ষমতায় এলে বিপন্ন হবে সংবিধান এবং গণতন্ত্র। এদিনের সভায় তারই জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এসব কথা বলে বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন বলেও জানান তিনি। বিরোধীরা তাঁকে আক্রমণ শানানোয় আদতে যে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএর আসন বাড়বে, তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    বিরোধীদের নিশানা মোদির

    তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে সংবিধানের যদি এতই গুরুত্ব ছিল, তাহলে কেন তা গোটা দেশে প্রয়োগ করা হয়েছিল না? কেন ভূস্বর্গ থেকে রদ করা হয়নি ৩৭০ ধারা? বিরোধীরা এটা করেননি, কারণ বিচ্ছন্নতাবাদীদের সম্পর্কে তাঁদের দুর্বলতা ছিল।” তিনি বলেন, “৩৭০ ধারা রদ হওয়ায় কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের দলিত এবং উপজাতির মানুষও সাংবিধানিক অধিকার পাচ্ছেন। কংগ্রেসের রাজত্বে তো ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি হত।” তাঁর তোপ, “বিরোধীরা দেশের ঐতিহ্য-বিরোধী, উন্নয়ন-বিরোধী।” এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করায় অম্বেডকরের আত্মা আমায় আশীর্বাদ করবেন।”

    আরও পড়ুুন: “আমায় ভগবান নেতা মনোনীত করেছেন”, সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বললেন মোদি

    তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে উন্নয়নের বাকি থাকা কাজগুলি সেরে ফেলতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “গত ১০ বছরে যে কাজ আমি করেছি, সেটা ট্রেলর মাত্র, মেইন কোর্স এখনও বাকি রয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগামী পাঁচ বছরে, আপনাদের স্বপ্ন হল মোদির সংঙ্কল্প। আমার জীবনের প্রতিটি ক্ষণ, মুহূর্ত আপনাদের কল্যাণে নিয়োজিত এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশের অগ্রগতির জন্য কাজ হবে ২৪x৭।” বিজেপির এই তারকা প্রচারক (PM Modi) বলেন, “আসন্ন নির্বাচন কেবল সাংসদ নির্বাচনের জন্য নয়, এই ভোট আগামী হাজার বছরে ভারতের ভিত্তিকে মজবুত করবে।” প্রসঙ্গত, এই কেন্দ্রে নির্বাচন হবে প্রথম দফায়, ১৯ এপ্রিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Lok Sabha Election 2024: কংগ্রেসের ইস্তাহারে মিথ্যার বেসাতি, মার্গ দর্শন কোথায়?

    Lok Sabha Election 2024: কংগ্রেসের ইস্তাহারে মিথ্যার বেসাতি, মার্গ দর্শন কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত পর্বে দীর্ঘ সময় দেশ শাসন করেছে কংগ্রেস। ফি বার নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগে নিয়ম করে প্রকাশ করেছে ইস্তাহারও। তবে সেসবই মিথ্যার ফুলঝুরি। কংগ্রেসকে বিশ্বাস করে হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছে জনতা। এতে লাভ হয়েছে একটা। বছরের পর বছর রাজত্ব করে গিয়েছে গান্ধী পরিবার। বাবার পর মেয়ে, মেয়ের পর তাঁর ছেলে… রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পরে অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা। তবে তাঁদের প্রত্যেকের টিকি বাঁধা ছিল গান্ধী পরিবারের কাছে। তাই দীর্ঘ সময় কংগ্রেস চালকের আসনে বসলেও ফুলেফেঁপে উঠেছেন নেতারা। দেশ এগোয়নি এক পা-ও।

    মানুষের বিশ্বাস হারিয়েছে কংগ্রেস (Lok Sabha Election 2024)

    বারংবার ঠকতে ঠকতে কংগ্রেসের ওপর বিশ্বাসটাই হারিয়ে ফেলেছেন দেশবাসী। তাই ২০১৪ সালে দেশের চালকের আসনে মানুষ বসায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএকে। যে সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ সালে মানুষ কংগ্রেস নয়, ভরসা করেছে বিজেপির ইস্তাহারের ওপর। কারণ তার আগে প্রত্যেকবার কংগ্রেসের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেওয়া হলেও, তা কীভাবে পূরণ করা হবে তার কোনও দিশা দেখানো হয়নি। কখনও তোষণের রাজনীতি, কখনও আবার জোটের নামে ঘোঁট পাকিয়ে কংগ্রেস শাসন করে গিয়েছে দেশ। ভোট সর্বস্ব রাজনীতি (Lok Sabha Election 2024) করতে গিয়ে ভারতকে কীভাবে জগৎ সভায় ফের শ্রেষ্ঠ আসনে বসানো যায়, তা ভাবতে ভুলেই গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। যার জেরে কংগ্রেসের আমলে রাশিয়ার বাইরে ভারতকে সেভাবে কেউ চিনত বলে মনে হয় না। এর এক এবং একমাত্র কারণ, কীভাবে বছরের পর বছর ক্ষমতায় থাকা যাবে তা নিয়ে ভেবেছে কংগ্রেস, দেশের কী হবে, গরিবের কী হবে তা কখনও ভাবেননি ইন্দিরা গান্ধী কিংবা তাঁর উত্তরসূরিরা। যার জেরে ক্রমেই পিছিয়ে পড়েছিল দেশ।

    ইস্তাহার রয়েছে, দিশা নেই

    আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে কংগ্রেস যে ইস্তাহার প্রকাশ করেছে, তার পোশাকি নাম ‘ন্যায়পত্র’। তাতে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদহীন স্বাস্থ্যবিমা, অগ্নিপথ তুলে দেওয়া, জাতগণনা সহ গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিমার টাকা কোথা থেকে আসবে, অগ্নিপথ কীভাবে তোলা যাবে, বিকল্পই বা কী, এত বড় একটা দেশে জাতগণনাই বা কীভাবে সম্ভব, তার কোনও দিশা নেই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির ‘ন্যায়পত্রে’।  দেখেশুনে মনে হচ্ছে, কংগ্রেস জনমোহিনী ইস্তাহার তৈরি করেছে তো বটে, কিন্তু, বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও মিল নেই। গোটাটাই আষাঢ়ে গল্প ছাড়া কিছুই নয়। এই সমস্ত ফাঁকা প্রতিশ্রুতি কেবলমাত্র যে এক শ্রেণির ভোটারকে কেন্দ্র করেই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উদ্দেশ্যটা স্পষ্ট— দেশের উন্নতি, প্রগতি রসাতলে যাক, জনমোহিনীর ধোঁয়া দিয়ে নিজেদের আখেরেটা গোছাতে পারলেই হল।

    কংগ্রেসের পদাঙ্ক অনুসরণ তৃণমূলেরও

    কংগ্রেসের ডিএনএ থেকে জন্ম নেওয়া তৃণমূলের দশাও তাই। সর্বভারতীয় দল বলে নিজেদের দাবি করলেও, আদতে ক্ষমতায় রয়েছে কেবল পশ্চিমবঙ্গে। ক্ষমতায় থাকতে কংগ্রেসের মতো তারাও বেছে নিয়েছে সস্তার রাজনীতি। তাদেরও লক্ষ্য হল, দান-খয়রাতি এবং তোষণের রাজনীতি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে যেন-তেন-প্রকারেন। এই হাটুরে রাজনীতি (Lok Sabha Election 2024) করতে গিয়ে কেন্দ্রের দেওয়া সরকারি নানা প্রকল্পের টাকা অকাতরে বিলানো হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কিংবা ‘শ্রী’-যুক্ত (যুবশ্রী ইত্যাদি) কোনও প্রকল্পে। খয়রাতির পয়সা পেয়ে জনগণও উজাড় করে ভোট দিয়েছেন তৃণমূলকে। যার জেরে আক্ষরিক অর্থেই ধরাকে সরা জ্ঞান করে কার্যত লুটে খাওয়ার রাজনীতি করে গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের অনেক নেতাই। সামান্য মাছ বিক্রেতা থেকে কেউ বনে গিয়েছেন কোটিপতি, কেউ আবার কালীঘাটের কমবেশি ৪০টি প্লটের মালিক হয়েছেন স্রেফ ‘রাজনীতি’ করে। রাজ্যে শিল্প নেই। বাম রাজত্বের পর যে ক’টা কলকারখানায় সাতসকালে ভোঁ বাজত, শ্রমিক-কর্মচারিরা ডিউটি ধরতে ছুটতেন, তৃণমূলের শাসনে সেক’টিতেও তালা ঝুলেছে। কলকারখানার চিমনি থেকে ধোঁয়া বের না হওয়ায় হয়তো দূষণ খানিক কমেছে, তবে পেটে গামছা দিয়ে পরিবার নিয়ে পড়ে ছিলেন শ্রমিকরা।

    (ঢপের) চপ শিল্প

    মোদি সরকার গত পাঁচ বছর ধরে রেশনে মুফতে চাল দিচ্ছে, তাই দু’বেলা খাবার জুটছে এই সব পরিবারে। না হলে যে কী হত! অবশ্য রোজগারের (Lok Sabha Election 2024) উপায় বের করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং। তাঁর পরামর্শ, চপ শিল্প করুন। তিনি আউড়ে গিয়েছেন, সেই অমোঘ সত্যবাণী, কোনও কাজই ছোট নয়। হক কথা। তবে কেন তাঁর দলের নেতারা রাজনীতি করে ‘কামাই’ করছেন? কেন চপের দোকান খুলছেন না? আর সবাই (ঢপের) চপ শিল্প চালালে ক্রেতাই বা জুটবে কোত্থুকে? তার দিশা নেই এই সর্বজ্ঞের কাছে। তাই বাংলার অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। ঘরে ঘরে শিক্ষিত বেকার। হা-চাকরি দশা। বিরাট বিরাট ডিগ্রিধারীরাও পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে ভিন রাজ্য চলে যাচ্ছেন সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে!

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেস গরিবদের উপোসে রেখে জঙ্গিদের খাওয়াত বিরিয়ানি”, তোপ যোগীর

    ডাবল ইঞ্জিন সরকার

    এবার তাকানো যাক মুদ্রার উল্টো পিঠে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে উন্নয়নের বিজয়রথ টেনে নিয়ে যাচ্ছে ডাবল ইঞ্জিন সরকার। পদ্ম-ইস্তাহারে মিথ্যার বেসাতি নেই, রয়েছে নির্ভেজাল আশ্বাস, নিশ্চিত দিশা। যার জেরে গত ১০ বছরে দেশ এগিয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতিতে। এখন আর মানুষকে পিঁপড়ের ডিম খেতে হয় না। খিদের জ্বালায় কাঁদতে থাকা ছেলেকে ভোলাতে এখন আর দেশের কোনও মাকে হাঁড়িতে কেবলই জল গরম করতে হয় না। রেশনে পাওয়া চালেই হয় ভাত। কাঠের জ্বালের বদলে হেঁসেলে চলে এসেছে সস্তার উজালা গ্যাস। এখন দ্রুত রান্না সেরে, ছেলে মেয়েকে খাইয়ে স্কুলে পাঠিয়ে ভারতের কোনও এক অখ্যাত গাঁয়ের বধূও হাতে ফাইভ জি মোবাইল নিয়ে চন্দ্রাভিযানের লাইভ শো দেখেন।

    ভারত যে এখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে! পূরণ হয়েছে আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন (Lok Sabha Election 2024)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: “কংগ্রেস গরিবদের উপোসে রেখে জঙ্গিদের খাওয়াত বিরিয়ানি”, তোপ যোগীর

    Lok Sabha Elections 2024: “কংগ্রেস গরিবদের উপোসে রেখে জঙ্গিদের খাওয়াত বিরিয়ানি”, তোপ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস গরিবদের উপোস করিয়ে রাখত, আর জঙ্গিদের খাওয়াত বিরিয়ানি।” লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) প্রচারে বেরিয়ে কংগ্রেসকে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ।

    ‘জঙ্গিদের বিরিয়ানি খাওয়াত’ (Lok Sabha Elections 2024)

    দ্য গার্ডিয়ানের একটি রিপোর্টের কথা তুলে ধরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একদিকে গার্ডিয়ানের রিপোর্ট দেখুন, যেখানে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিদের বেছে বেছে নিকেশ করা হচ্ছে। অন্যদিকে কংগ্রেস তাদের সরকারের আমলে জঙ্গিদের বিরিয়ানি খাওয়াত।” তার পরেই তিনি বলেন, “কংগ্রেস গরিবদের উপোস করিয়ে রাখত, আর জঙ্গিদের খাওয়াত বিরিয়ানি।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে (Lok Sabha Elections 2024) যে ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন নিতে যাচ্ছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

    ‘ভারতের সম্মান বেড়েছে’

    তিনি বলেন, “মোদিজির নেতৃত্বে গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের সম্মান বেড়েছে। এখন ভারতে কেউ সন্ত্রাসবাদ, নকশালবাদকে প্রশ্রয় দিতে পারবে না। অন্যদিকে কংগ্রেসের লোকজন চুপচাপ বসে থাকতেন, কিছুই করতে পারতেন না।” আদিত্যনাথ বলেন, “এটাই হল নয়া ভারত। আজকের দিনে যে কোনও ভারতীয় বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে গেলে যোগ্য সম্মান পান। দেশের সীমানা এখন সুরক্ষিত। নকশালবাদ, উগ্রবাদের দিন শেষ হয়েছে।” মোদি জমানায় গত চার বছর ধরে দেশের আশি কোটি মানুষকে যে নিখরচায় রেশন সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে, এদিন তারও উল্লেখ করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিষেবা আরও পাঁচ বছর মিলবে বলেও আশ্বাস দেন আদিত্যনাথ।

    আরও পড়ুুন: পদ্মকাননে মাধবীলতা! কে এই মহীয়সী, যাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ খোদ মোদি?

    কংগ্রেসকে নিশানা করতে গিয়ে বিজেপির এই তারকা প্রচারক বলেন, “কংগ্রেস সরকারের আমলে কোনও নীতি ছিল না, নেতা ছিলেন না, সিদ্ধান্তও ছিল না। কিন্তু মোদি সরকারের আমলে দেশে গরিবদের জন্য প্রকল্পের কোনও অভাব নেই।” কংগ্রেসই যে দেশের ‘বড় সমস্যা’ সেকথা মনে করিয়ে দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “কংগ্রেসের ডিএনএতে রয়েছে কারফিউ জারি করা।” রাম মন্দিরের প্রসঙ্গ টেনে আদিত্যনাথ বলেন, “কংগ্রেস কোনও কালে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করতে পারত না। তারা বলত রামের কোনও অস্তিত্বই নেই। ভরতপুরের পর রয়েছে মথুরা, বৃন্দাবল, গোকুল, বর্ষণা, নন্দগাঁও এবং গোবর্ধন। তার পরেও কংগ্রেস বলছে ভগবান কৃষ্ণ বলে কেউ ছিলেন না। কংগ্রেস আমাদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে (Lok Sabha Elections 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi News: ‘‘রাম মন্দিরের নির্মাণে কংগ্রেস ক্রুদ্ধ’’, ছত্তিশগড়ের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi News: ‘‘রাম মন্দিরের নির্মাণে কংগ্রেস ক্রুদ্ধ’’, ছত্তিশগড়ের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির ইস্যুতে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi News)। ছত্তিশগড়ের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাম মন্দিরের নির্মাণে কংগ্রেস ক্রুদ্ধ।’’ প্রধানমন্ত্রী সোমবারই তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘রামনবমী খুব বেশি দূরে নয়। চলতি বছরের রামনবমী এমন সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন রামলালা তাঁবুর বদলে মন্দিরে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ৫০০ বছর পরে আমাদের এই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই ছত্তিশগড়ের ননীহালের (ননীহালকে রামচন্দ্রের মামা বাড়ি মানা হয়) সবথেকে বেশি খুশি হওয়ার কথা।’’ গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আরও কটাক্ষ, ‘‘কংগ্রেসের র‌য়াল ফ্যামিলি রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র পর্যন্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।’’

    বস্তারের জনসভা

    সোমবারে ছত্তিশগড়ের বস্তারে (PM Modi News) সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সেখানে এই কথাগুলি তাঁকে বলতে শোনা যায়। প্রসঙ্গত, বস্তারে ভোট রয়েছে প্রথম দফাতেই। তা হল ১৯ এপ্রিল। প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও দাবি করেন, রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করাতে এটা প্রমাণিত হচ্ছে যে কংগ্রেস কোন পর্যায়ে তোষণ নীতিতে পৌঁছেছে। কংগ্রেস যে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে তা বাস্তবিক পক্ষের মুসলিম লিগের ইস্তাহার।’’ প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi News) এদিন আরও দাবি করেন, ‘‘যাঁরা যাঁরা সেদিনকার রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে কংগ্রেস পার্টি থেকে বহিষ্কার করেছে।’’

    দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে হবে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi News) এদিন কংগ্রেসকে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে আরও বলেন, ‘‘কংগ্রেস মনে করত যে তাদের কাছে দেশবাসীকে লুট করা লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে মোদি সেই লাইসেন্সকে ক্যানসেল করে দিয়েছে। মোদি সেই ক্ষমতা পেয়েছে, তার কারণ মোদিকে সেই লাইসেন্স দিয়েছে দেশের জনগণ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মোদির জন্য ভারতই হল পরিবার। আমি সর্বদাই ব্যস্ত থাকি, আমার দেশকে রক্ষা করার জন্য। আমি যদি বলি যে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে হবে, তারা তখন বলে যে দুর্নীতিকে বাঁচাতে হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল! অনন্তনাগ-রাজৌরিতে এবার ফুটবে পদ্ম?

    Lok Sabha Elections 2024: ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল! অনন্তনাগ-রাজৌরিতে এবার ফুটবে পদ্ম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ফাটল ‘ইন্ডি’ জোটে! রবিবার ‘ইন্ডি’ জোটের শরিক ন্যাশনাল কনফারেন্সের বিরুদ্ধে উপত্যকার তিন আসনেই (Lok Sabha Elections 2024) প্রার্থী দিয়ে দিলেন পিডিপির মেহবুবা মুফতি। অনন্তনাগ-রাজৌরি কেন্দ্র থেকে লড়ছেন মুফতি স্বয়ং। সীমানা পুনর্বিন্যাসের জেরে অনন্তনাগ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়েছে রাজৌরি ও পুঞ্চের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার পরেই অনন্তনাগ কেন্দ্রের নাম বদলে হয়েছে অনন্তনাগ-রাজৌরি।

    ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল! (Lok Sabha Elections 2024)

    বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’তে রয়েছে ভূস্বর্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবার দল। জম্মু-কাশ্মীরের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার দল ন্যাশনাল কনফারেন্সও রয়েছে ‘ইন্ডি’ জোটে। অনন্তনাগ-রাজৌরি, শ্রীনগর ও বারামুলায় প্রার্থী দিয়েছে ফারুকের দল। জোটের শর্ত হিসেবে তাদের সমর্থন করছে কংগ্রেস। জম্মুর দুটি লোকসভা কেন্দ্রে লড়বে সোনিয়া গান্ধীর দল। ন্যাশনাল কনফারেন্সের সমালোচনা করে মুফতি বলেন, “তারা (ফারুকের দল) প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে লড়া ছাড়া আমাদের সামনে অন্য কোনও উপায় রাখল না। মুম্বইয়ে ইন্ডি জোটের বৈঠকে ফারুক আবদুল্লাকে (Lok Sabha Elections 2024) বলেছিলাম, আসন সমঝোতা নিয়ে আপনি সিদ্ধান্ত নিন এবং যথার্থ বিচার করুন। ভেবেছিলাম, তিনি দলের স্বার্থ পাশে সরিয়ে রাখবেন।”

    দিল্লিতে দোস্তি, কাশ্মীরে কুস্তি!

    সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে ‘ইন্ডি’ জোটের মহামঞ্চে এক সঙ্গে দেখা গিয়েছিল ফারুক ও মুফতির দলের নেতাদের। পরে উপত্যকায় ফিরেই প্রার্থী ঘোষণা করে দেন ফারুক। এদিন মুফতি বলেন, “আমরা কাশ্মীরের তিনটি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। জম্মুতে কংগ্রেসকে সমর্থন করব। কাশ্মীরেও জোট গঠনের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ন্যাশনাল কনফারেন্স নিজেদের মতো করে প্রার্থী দিয়ে দেওয়ায় বাধ্য হয়েই আমাদের আলাদা করে লড়তে হচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: “এটা আপনাদের টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের মানসিকতার প্রতিফলন”, কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    অনন্তনাগ-রাজৌরিতে এনসির প্রার্থী মিঞা আলতাফ। পিডিপি সুপ্রিমো স্বয়ং এই আসনে প্রার্থী। উপত্যকার আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লড়ছেন এই কেন্দ্র থেকে। তিনি কংগ্রেস ছেড়ে নিজের দল গড়া গুলাম নবি আজাদ। ২০০৪ ও ২০১৪ সালে তৎকালীন অনন্তনাগ কেন্দ্রে জিতেছিলেন মুফতি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হয় ফারুকের দল। সেবার এই কেন্দ্রে মুফতির দল চলে গিয়েছিল তৃতীয় স্থানে। এবার ফের একবার ভাগ্য পরীক্ষায় নামছেন মুফতি। তবে এবার তাঁর ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে কিনা, তা বলবে সময়। কারণ মুফতির গলার কাঁটা যেমন ফারুকের দলের প্রার্থী, তেমনি গুলাম নবি আজাদও। সেক্ষেত্রে এই কেন্দ্রে এবার পদ্ম ফোটাই স্বাভাবিক (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: “হিন্দুস্থান রয়েছে, ছিল এবং থাকবেও”, রাহুলকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন স্মৃতি

    Lok Sabha Elections 2024: “হিন্দুস্থান রয়েছে, ছিল এবং থাকবেও”, রাহুলকে নিশানা করতে গিয়ে বললেন স্মৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমার এই কণ্ঠস্বর যদি রাহুল গান্ধীর কাছ পর্যন্ত পৌঁছায়, তাহলে আমি তাঁকে বলতে চাই, তাঁর মতো অনেকে এলেন, গেলেনও, হিন্দুস্থান রয়েছে, ছিল এবং থাকবেও।” চেন্নাইয়ের এক জনসভায় (Lok Sabha Elections 2024) কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।

    রাহুলকে তোপ স্মৃতির

    শনিবার ভেপ্পারি জেলার ওয়াইএমসিএ অডিটোরিয়ামে বিজেপি প্রার্থী বিনয় পি সেলভামের সমর্থনে ভাষণ দিচ্ছিলেন তিনি। সেখানেই তোপ দাগেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের তাৎপর্যের বিষয়েও এদিন জোর দেন কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী। স্মৃতি বলেন, “এই দেশে অনেক রাজ্য রয়েছে, যেখানে ইন্ডি জোটের শরিকরা জয় শ্রী রাম বলার জন্য মানুষকে হত্যা করেছে। এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে এবং কেরলে। আর আজ? আমাদের সব চেয়ে বড় সৌভাগ্য হল, আমরা ভগবান রামের পায়ে মাথা নত করে দাঁড়িয়ে রয়েছি। মন্দির করে নির্মাণ হবে, তা বলা হয়েছিল, মন্দির নির্মাণ হয়েছে।

    রামের মহিমা

    ভগবান রামের মহিমাও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। যাঁরা এক সময় রামের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলতেন, তাঁদেরও আজ ভগবান রাম ডাকছেন। রামের নেতৃত্ব নিয়েও তাঁদের ঔদ্ধত্য প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।” প্রসঙ্গত, (Lok Sabha Elections 2024) চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি দ্বারোদ্ঘাটন হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরের। এদিনই প্রাণ প্রতিষ্ঠাও হয় রামলালার।

    আরও পড়ুুন: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    মোদির নিশানাতেও রাহুল

    এদিকে, শনিবার রাজস্থানের এক জনসভা থেকে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “কংগ্রেস অযোধ্যায় রাম মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেছিল। কংগ্রেসের একজন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় তাঁকে ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাম মন্দির নির্মাণ হয়েছে। তাতে আপনারা খুশি হয়েছেন না হননি? প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যাওয়ার বিরোধিতা করা হয়েছিল। এটা কী ঠিক হয়েছিল? কেবল এটাই নয়, কেউ যদি প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যায়, তাকে দল থেকে ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার করা হবে! এদেশে এমনটা ঘটতে পারে? ভগরাম রাম ছাড়া এ দেশের অস্তিত্ব আপনি ভাবতে পারেন (Lok Sabha Elections 2024)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: “ভারত নয়, পাকিস্তানে ভোটের জন্য ইস্তাহার বানিয়েছে কংগ্রেস”, তোপ হিমন্তর

    Lok Sabha Elections 2024: “ভারত নয়, পাকিস্তানে ভোটের জন্য ইস্তাহার বানিয়েছে কংগ্রেস”, তোপ হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত নয়, পাকিস্তানে নির্বাচনের জন্য ইস্তাহার তৈরি করেছে কংগ্রেস।” শনিবার গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে এই ভাষায়ই কটাক্ষ করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি (Lok Sabha Elections 2024) নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। হিমন্তকে পাল্টা দিয়েছে কংগ্রেসও। তাদের বক্তব্য, ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি বোঝার ক্ষমতা নেই হিমন্তর। এদিন কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা তোষণের রাজনীতি। এই ইস্তাহার দেখে মনে হচ্ছে, এটা ভারতের জন্য নয়, পাকিস্তানের নির্বাচনের জন্য করা হয়েছে।”

    কী বললেন হিমন্ত? (Lok Sabha Elections 2024)

    তিনি বলেন, “দেশে কোনও ব্যক্তি তিনি হিন্দুই হোন বা মুসলমান, কেউই তিন তালাক ফিরিয়ে আনতে চান না। বাল্যবিবাহ বা বহুগামিতাও সমর্থন করেন না। কিন্তু কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে এরা সমাজকে বিভক্ত করে দেবে।” হিমন্তর আগে এদিন (Lok Sabha Elections 2024) কংগ্রেসের ইস্তাহারকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেছিলেন, “ইস্তাহারে গুচ্ছ গুচ্ছ মিথ্যা কথা বলে কংগ্রেস নিজেদের মুখোশ খুলে দিয়েছে। প্রতিটি পাতায় ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলা হয়েছে। স্বাধীনতার আগে মুসলিম লিগের ভাবনার প্রতিফলন রয়েছে এই ইস্তাহারে। এখানে কমিউনিস্ট ও বামপন্থীদের চিন্তাধারার প্রতিফলনও ঘটেছে।”

    ‘অসমের সব আসনেই জয়ী হবে বিজেপি’

    অসমে লোকসভার আসন রয়েছে ১৪টি। সব ক’টিতেই বিজেপি জয়ী হবে বলেও আশাবাদী হিমন্ত। তিনি বলেন, “বিজেপি একটি আন্দোলনের রূপ ধারণ করেছে, যা দেশকে বিশ্বগুরু করে তুলবে।” অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ আমাদের দলের প্রতিষ্ঠা দিবস। বিজেপি দেশের জন্য কাজ করেছে। দেশ আমাদের ধর্ম। আমি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেসকে শেষ না করা পর্যন্ত থামবেন না রাহুল”, মধ্যপ্রদেশে কটাক্ষ-বাণ রাজনাথের

    এদিকে, এদিনই মধ্যপ্রদেশের ভোপালে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও। তিনি বলেন, “কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই সব প্রতিশ্রুতির কিছুটাও যদি তারা পূরণ করতে পারত, তাহলে ভারত আজ আরও শক্তিশালী দেশ হত। আমাদের ইস্তাহারপত্র দেখুন। ১৯৮৪ সাল থেকে আমরা রাম মন্দির নির্মাণের কথা বলে এসেছি। সেই সময় থেকে বিরোধীরা মন্দির তৈরির তারিখ নিয়ে কটাক্ষ ভরা প্রশ্ন করত। তবে এখন অযোধ্যার মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন (Lok Sabha Elections 2024) রামলালা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

     

  • Rajnath Singh: “কংগ্রেসকে শেষ না করা পর্যন্ত থামবেন না রাহুল”, মধ্যপ্রদেশে কটাক্ষ-বাণ রাজনাথের

    Rajnath Singh: “কংগ্রেসকে শেষ না করা পর্যন্ত থামবেন না রাহুল”, মধ্যপ্রদেশে কটাক্ষ-বাণ রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী যতক্ষণ না কংগ্রেসকে শেষ করছেন, ততক্ষণ তিনি থামবেন না।” শনিবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে কথাগুলি বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে রাহুলকে তুলনা করে তিনি বলেন, “ভারতীয় রাজনীতিতে সেরা ফিনিশার হলেন রাহুল গান্ধী।”

    কংগ্রেস ও দুর্নীতির সম্পর্ক (Rajnath Singh)

    ‘দুর্নীতির সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক কোনওদিন ছিন্ন হবে না’ বলেও এদিন মন্তব্য করেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। তিনি বলেন, “একটা সময় গোটা দেশ শাসন করত কংগ্রেস। আর আজ? কংগ্রেসের দখলে রয়েছে দু’তিনটি রাজ্যের শাসনভার। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, কেন কংগ্রেসের এমন হাল।” এরপর উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন রাজনাথ (Rajnath Singh), “ক্রিকেটে সেরা ফিনিশার কে?” সভা গর্জন করে ওঠে, “ধোনি, ধোনি”।

    ভারতীয় রাজনীতির সেরা ফিনিশার!

    এর পরেই প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, “আর আমায় যদি কেউ জিজ্ঞেস করেন, ভারতীয় রাজনীতিতে সেরা ফিনিশার কে, তাহলে আমার জবাব হবে রাহুল গান্ধী। এই কারণেই এত সংখ্যক নেতা কংগ্রেস ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।” তার পরেই প্রবীণ এই রাজনীতিক বলেন, “রাহুল গান্ধী যতক্ষণ না কংগ্রেসকে শেষ করছেন, ততক্ষণ তিনি থামবেন না।” কংগ্রেসকে আক্রমণ শানাতে নিয়ে রাজনাথ অনিবার্যভাবেই টেনে এনেছেন দুর্নীতির প্রসঙ্গ। একটি জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমার গানের কলি তুলে ধরে রাজনাথ বলেন, “কংগ্রেস ও দুর্নীতির মধ্যে সম্পর্ক হল এমনটা…কংগ্রেস দুর্নীতিকে বলে, তু চল, ম্যাঁয় আয়ি।”

    আরও পড়ুুন: ‘আমি অভিভূত’, গাজিয়াবাদে রোড-শো করে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    ‘এক দেশ এক নির্বাচনে’র পক্ষেও এদিন ফের একবার সওয়াল করতে শোনা যায় রাজনাথকে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “এতে দেশের অনেক টাকা বাঁচবে। গণতন্ত্র আরও পোক্ত হবে।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই সব প্রতিশ্রুতির কিছুটাও যদি তারা পূরণ করতে পারত, তাহলে ভারত আজ আরও শক্তিশালী দেশ হত। আমাদের ইস্তাহারপত্র দেখুন। ১৯৮৪ সাল থেকে আমরা রাম মন্দির নির্মাণের কথা বলে এসেছি। সেই সময় থেকে বিরোধীরা মন্দির তৈরির তারিখ নিয়ে কটাক্ষ ভরা প্রশ্ন করত। তবে এখন অযোধ্যার মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন রামলালা।” ২০৪৫ সালের মধ্যে ভারত ‘সুপার পাওয়ার’ হবে বলেও ঘোষণা করেন রাজনাথ (Rajnath Singh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • PM Modi: “কংগ্রেসের ইস্তাহারে মুসলিম লিগের ভাবনা”, তোপ মোদির

    PM Modi: “কংগ্রেসের ইস্তাহারে মুসলিম লিগের ভাবনা”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে ইস্তাহার প্রকাশ করেছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি কংগ্রেস। তাতে দেওয়া হয়েছে গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি। শনিবার উত্তরপ্রদেশের সাহরানপুরের এক জনসভা থেকে কংগ্রেসের সেই ইস্তাহারকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    ‘মুসলিম লিগের ভাবনা’

    তিনি বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় মুসলিম লিগের যে ভাবনা ছিল, সেই ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে কংগ্রেসের ইস্তাহারে। কংগ্রেসের ইস্তাহারে সম্পূর্ণভাবে মুসলিম লিগের ছাপ রয়ে গিয়েছে।” সাহারানপুরের ওই সভায় কংগ্রেসকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “কংগ্রেস যে ইস্তাহার প্রকাশ করেছে, তাতে এটাই প্রমাণ হয় যে আজকের দিনে ভারতের আশা-আকাঙ্খার সঙ্গে কংগ্রেসের দূর-দুরান্তেও কোনও যোগ নেই। বর্তমানে ভারতের আশা-আকাঙ্খার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কংগ্রেস।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মুসলিম লিগের ভাবনায় পুষ্ট এই ইস্তাহারে যে অংশটুকু বাকি রয়েছে, সেখানেও সম্পূর্ণভাবে বামপন্থী ভাবনার প্রভাব রয়েছে।” তিনি বলেন, “দূর-দুরান্ত পর্যন্ত এখানে কোথাও কংগ্রেসকে দেখা যাচ্ছে না। একবিংশ শতাব্দীতে এসে এই কংগ্রেস ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেসের ইস্তাহার দেখলে বুঝতে পারবেন, তারা দেশকে একশো বছর পিছিয়ে দেবে। নারীশক্তিকে কোনওদিন গুরুত্ব দেয়নি কংগ্রেস। স্বাধীনতার পর থেকে মহিলারা কষ্ট করেছেন। কংগ্রেসকে কি শাস্তি দেওয়া উচিত নয়?”

    আরও পড়ুুন: “শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে গুন্ডামির”, ভূপতিনগরকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া রাজ্যপালের

    বিজেপি সরকারের একাধিক জনদরদি প্রকল্পের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমাদের সাহসী মেয়েরা সেনায় যোগ দিতে পারেন। তাঁদের জন্য সৈনিক স্কুলের দরজা খুলে দিয়েছি। মহিলাদের ছ’মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি ঘোষণা করেছি। সংসদে মহিলাদের সংরক্ষণের ব্যবস্থাও হয়েছে। গ্রামের মহিলারা সাইকেল চালাতে পারতেন না, তাঁরা এখন ড্রোন চালান। ইসরোর প্রকল্পও সামলাচ্ছেন মহিলারা। আপনারা ভাবতে পারেন, অনেক করেছি। বিশ্বাস করুন, এটা ট্রেলার। আরও কাজ হবে। আপনাদের স্বপ্নপূরণের জন্য আমি দায়বদ্ধ। ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share