Tag: congress

congress

  • Anil Antony: প্রতিষ্ঠা দিবসেই যোগদান! বিজেপিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি

    Anil Antony: প্রতিষ্ঠা দিবসেই যোগদান! বিজেপিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের হাত ছাড়ার তিনমাসের মধ্যে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির (A K Antony) ছেলে অনিল অ্য়ান্টনি (Anil Antony)। কেরলের কংগ্রেস নেতা অনিল অ্যান্টনি চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই দল ত্যাগ করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) উপর বিবিসির তথ্য়চিত্রে নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে মতবিরোধের সৃষ্টি হয় অনিলের।

    অনিল  অ্যান্টনিকে স্বাগত 

    ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবসেই বিজেপি নেতা পীযূষ গোয়েল, ভি মুরলিধরন এবং দলের কেরালা ইউনিটের প্রধান কে সুরেন্দ্রন আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে অনিলকে (Anil Antony) দলে স্বাগত জানিয়েছেন। অনিল বলেন, “প্রত্যেক কংগ্রেস নেতাই ভাবেন তাঁরা কোন একটি পরিবারের জন্য কাজ করছেন। আমি ভাবি, আমি দলের জন্য কাজ করি।” বিজেপিতে আনুষ্ঠানিক যোগদান শেষে কার্যত দলের নেতা মন্ত্রীদের আনুগত্যের প্রতি প্রশ্ন তুলে দিলেন অনিল।  প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীর ছেলের কথায়, “বহু মেরুকরণের যুগে ভারতকে সামনে এগিয়ে আনাই প্রধানমন্ত্রী মোদির লক্ষ্য।”

    অনিলের রাজনীতিতে যোগ

    ২০১৭ সালে, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের সময়, অনিল অ্যান্টনি (Anil Antony) রাজনীতিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়, তাকে কেরালায় কংগ্রেসের ডিজিটাল মিডিয়া সমন্বয়কারী করা হয়েছিল। ২০০০ সালে, তিরুবনন্তপুরমের কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে বি টেক করার পরে, অনিল স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। অনিলকে তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুরের খুব ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়।

    আরও পড়ুন:’এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর লক্ষ্যে কাজ করে যান! বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে বার্তা মোদির

    কেন কংগ্রেস ত্যাগ

    এদিন অনিল অ্যান্টনিকে (Anil Antony) বিজেপি সদর দফতরে নিয়ে যান কেরালার রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন। ইতিমধ্যেই অনিল অ্যান্টনি কেরালা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির (KPCC) সোশ্যাল মিডিয়া সমন্বয়কের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তৈরি বিতর্কিত বিবিসি ডকুমেন্টারি নিয়ে একটি টুইট করেছিলেন, যার পরে দলে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। দল ছাড়ার আগে অনিল অ্যান্টনি (Anil Antony) কেরালায় কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেল চালাতেন। দল ছাড়ার আগে তিনি বিবিসির তথ্যচিত্রকে ‘ভারতের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিহিত করেছিলেন। ঘটনাচক্রে অনিল অ্যান্টনির বাবা এখনও কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতা। স্বাভাবিকভাবেই অনিলের গেরুয়া যোগ কংগ্রেসের জন্য অস্বস্তি তৈরি করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, রাহুলের মাথায় ঝুলেই রইল শাস্তির খাঁড়া

    Rahul Gandhi: মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, রাহুলের মাথায় ঝুলেই রইল শাস্তির খাঁড়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি (Modi) পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার দায়ে কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) দু বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল গুজরাটের সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাহুল। তাঁকে জামিন দিল ওই আদালত। আদালতের এই রায়ের পরে পরবর্তী শুনানির দিন ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত রাহুলের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ করা যাবে না। রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি। সেই পূর্ণেশকেও এদিন আদালত তাঁর বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে ১০ এপ্রিলের মধ্যে।

    রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)…

    কংগ্রেস সূত্রে খবর, এদিন রাহুলের (Rahul Gandhi) পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী আরএস চিমা। আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাহুল, তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, কংগ্রেস শাসিত তিন রাজ্য রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা। রাহুলের আদালতে উপস্থিত থাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু ট্যুইট-বার্তায় লেখেন, একজন অভিযুক্ত উচ্চ আদালতে আবেদন জানানোর জন্য নিজে যান না, যাওয়ার প্রয়োজনও পড়ে না। কিন্তু রাহুল গান্ধী দলবল নিয়ে ওখানে নাটক করতে গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, কেন কংগ্রেস বিচারবিভাগের ওপর এই ধরনের অবাঞ্ছিত চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে? আইনি বিষয়গুলি মোকাবিলা করার পদ্ধতি ও উপায় রয়েছে। কিন্তু এমনভাবে কেন? তিনি বলেন, কংগ্রেসের কাছে দেশের চেয়েও একটি পরিবার বড়।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ন্যায় বিচারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’’! সিবিআইকে দরাজ সার্টিফিকেট প্রধানমন্ত্রীর

    প্রসঙ্গত, কর্নাটকের একটি জনসভায় মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন রাহুল (Rahul Gandhi)। এই মন্তব্যের দায়ে তাঁকে দু বছরের কারাদণ্ড দেয় সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। তার জেরে ২৪ মার্চ রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সোমবার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুরাটেরই দায়রা আদালতে আবেদন জানান রাহুল। বিচারক তা গ্রহণ করে জামিন বহাল রাখার নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী, দেশের আইনসভার কোনও সদস্য দুই বা ততোধিক বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হলে ৬ বছরের জন্য তাঁর সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে। ওই সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনও নির্বাচনেও দাঁড়াতে পারবেন না। তবে উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিলে বা পুরনো রায় খারিজ করে দিলে অভিযুক্তকে আইনসভার সদস্যপদ ফিরিয়ে দিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sambit Patra: ‘মমতা সকালে এক রকম কথা বলেন, সন্ধ্যায় অন্য রকম’, অভিযোগ সম্বিতের

    Sambit Patra: ‘মমতা সকালে এক রকম কথা বলেন, সন্ধ্যায় অন্য রকম’, অভিযোগ সম্বিতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা (Mamata Banerjee) সকালে এক রকম কথা বলেন, সন্ধ্যায় আর এক রকম। রাহুল ইস্যুতে মমতার অবস্থানকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র (Sambit Patra)। সোমবার সল্টলেকে রাজ্য বিজেপির অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন সম্বিত। সেখানেই তিনি নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র বলেন, আমি তো অবাক হয়ে যাই। মমতা সকালে এক রকম কথা বলেন, সন্ধ্যায় আর এক রকম। সকালে ফুল নিয়ে গান্ধী পরিবারের কাছে যান, সন্ধ্যায় আবার বলেন রাহুলের দ্বারা হবে না। তিনি বলেন, আগে মমতাজিকে জিজ্ঞাসা করে আসুন, রাহুলের দ্বারা কিছু হবে, না হবে না?

    সম্বিত পাত্র (Sambit Patra) বলেন…

    মোদি পদবি নিয়ে বির্তকিত মন্তব্য করার দায়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে দু বছরের কারাদণ্ড দেয় গুজরাটের সুরাট আদালত। সেই সঙ্গে করা হয় জরিমানাও। ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আবদেন করার সুযোগও রাহুলকে দেয় আদালত। দু বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় নিয়ম মেনে সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে রাহুলের। তার পরেই রাহুলের পাশে দাঁড়ান তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন তাকেই কটাক্ষ করেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র (Sambit Patra)। তাঁর প্রশ্ন, মমতা কি আদৌ কংগ্রেসের পাশে্ রয়েছেন? রাহুলকেও একহাত নিয়েছেন সম্বিত। তিনি বলেন, কেন দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি রাহুলের আস্থা নেই? কেন ওবিসি সম্প্রদায়কে অপমান করেও তিনি ক্ষমা চেয়ে নেননি? আদালতে সে সুযোগ তো তাঁর ছিল।

    আরও পড়ুুন: ‘মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে প্ররোচনা ছড়ায় না তো?’, হাওড়াকাণ্ডে মন্তব্য সুকান্তর

    তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্রের প্রতি রাহুল ও তাঁর দল এত অবিশ্বাসী কেন? রাহুল মানেই ভারত নয়, ভারত মানেই রাহুল নন, সেটা মনে রাখা দরকার। তিনি বলেন, গান্ধী পরিবারের জন্য দেশের আইন বদলাবে না।বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র (Sambit Patra) বলেন, কংগ্রেসের ঔদ্ধত্য দেখুন। রাহুলের এজেন্ট বিদেশে গিয়ে রাহুল ইস্যুতে কী সব বিবৃতি দিচ্ছে দেখুন। গান্ধী পরিবারের জন্য দেশে আলাদা আইন হবে কেন? আপামর দেশবাসী কি দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক? তিনি বলেন, ইউপিএ সরকারের জমানায় আনা আইনেই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। যেভাবে কংগ্রেস ও রাহুল বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থার ওপর আক্রমণ করছেন, তা নজিরবিহীন। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র বলেন, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিহার থেকে পশ্চিমবঙ্গ সহ কয়েকটি রাজ্যে সন্ত্রাসের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lakshadweep MP: সাংসদ পদ ফিরে পেলেন এনসিপি সাংসদ, আশার আলো দেখছে কংগ্রেস

    Lakshadweep MP: সাংসদ পদ ফিরে পেলেন এনসিপি সাংসদ, আশার আলো দেখছে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোয়ানো সাংসদ পদ ফিরে পেলেন লক্ষদ্বীপের সাংসদ (Lakshadweep MP) মহম্মদ ফয়জল (Md Faizals)। দিন কয়েক আগে সাংসদ পদ হারিয়েছেন কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সেই বিতর্কের রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই হারানো সাংসদ পদ ফিরে পেলেন এনসিপি সাংসদ মহম্মদ ফয়জল। ফয়জলের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে খুনের চেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল। ১১ জানুয়ারি নিম্ন আদালত তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়। তার ঠিক দুদিন পরেই এনসিপির ওই সাংসদের পদ খারিজ করে দেয় লোকসভার সচিবালয়।

    লক্ষদ্বীপের সাংসদের (Lakshadweep MP) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    ১৮ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন কমিশন লক্ষদ্বীপ আসনে উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে। তার আগেই নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয় কেরল হাইকোর্ট। এর পরেই ফয়জল ও তাঁর দল লোকসভার কাছে তাঁর সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানায়। তার পরেই সাংসদ পদ ফিরে পান এই এনসিপি সাংসদ। ফয়জল সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ায় আশার আলো দেখছে কংগ্রেস। ২০১৬ সালে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিএম সইদের এক আত্মীয়কে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয় এনসিপি সাংসদ (Lakshadweep MP) ফয়জলের বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালে অভিযোগ দায়ের হলেও, ঘটনাটি ২০০৯ সালের। যদিও ফয়জল বারংবার দাবি করেছেন চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: মমতার দফতরেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ! ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ শুভেন্দুর

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পরে ফয়জলের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১১ জানুয়ারি লক্ষদ্বীপের এক সেশন কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হন ফয়জল। সাংসদ ফয়জল সহ তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। দেওয়া হয় ১০ বছরের কারাদণ্ড। ১৩ জানুয়ারি লোকসভার সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে লক্ষদ্বীপের এনসিপি সাংসদ মহম্মদ ফয়জলের সাংসদপদ খারিজ করা হচ্ছে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সাজার ওপর কেরল হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করলেও, তারপরও ফয়জলকে লোকসভার সাংসদপদ ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল না। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ফয়জল (Lakshadweep MP)। মঙ্গলবারই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের আওতায় এই মামলা হয়। তার পরেই বুধবার লোকসভার সচিবালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয় লক্ষদ্বীপের ওই সাংসদের পদ ফেরানো হল। প্রসঙ্গত, মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দু বছরের কারাদণ্ড দেয় রাহুলকে। উচ্চ আদালতে আবেদন করার জন্য এক মাস সময়ও দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Assembly: কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন ১০ মে, মোদি ম্যাজিকে জিতবে দল, আশাবাদী বিজেপি

    Karnataka Assembly: কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন ১০ মে, মোদি ম্যাজিকে জিতবে দল, আশাবাদী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেজে গেল কর্নাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচনের দামামা। নির্বাচন হবে ১০ মে, এক দফায়। ফল ঘোষণা ১৩ মে। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ খবর জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। ইতিমধ্যেই ১২৪টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে কংগ্রেস (Congress)। ৯৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জেডিএস। কর্নাটক বিধানসভার আসন সংখ্যা ২২৪। তার মধ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি (BJP) পেয়েছিল ১১৯টি আসন। কংগ্রেস জিতেছিল ৭৫টি আসনে। আর তাদের জোট সঙ্গে জেডিইউ পেয়েছিল ২৮টি আসন। কর্নাটকের মোট ভোটার সংখ্যা ৫.২১ কোটি। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ২.৫৯ কোটি। শতায়ু ভোটার রয়েছেন ১৬ হাজার ৯৭৬ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৪ হাজার ৬৯৯ জন। নতুন ভোটার ৯.১৭ লক্ষ।

    কর্নাটক বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচন…

    গত বিধানসভা (Karnataka Assembly) নির্বাচনে জোট সঙ্গী জেডিইউয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন এইচডি কুমারস্বামী। সেই সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে হাজির ছিলেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সীতারাম ইয়েচুরি, মায়াবতীর মতো বিজেপি বিরোধী নেতারা। সেই সরকারের আয়ু অবশ্য বেশিদিন ছিল না। তার পরেই সরকার গড়ে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন বাসবরাজ বোম্মাই। কংগ্রেস ও জেডিইউ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিলেও ক্ষমতাসীন দল বিজেপি তা করেনি। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেন, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

    আরও পড়ুুন: আজ শহরে ধর্নায় বিজেপি! কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠের অভিযোগে পথে সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপরা

    এবার লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে আম আদমি পার্টিও। ইতিমধ্যেই ৮০টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। কেজরির দল যে বিজেপি বিরোধী ভোটেই ভাগ বসাবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল। কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনও মোদি ম্যাজিকে জিততে চাইছে বিজেপি। গত রবিবার কর্নাটকে সরকার প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে গিয়ে ফের সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে কংগ্রেসও জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছে। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়াকে হাতিয়ার করে কর্নাটক জয়ের স্বপ্ন দেখছে সোনিয়া গান্ধীর দল।

    প্রসঙ্গত, কর্নাটক বিধানসভার (Karnataka Assembly) মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ মে। তার আগেই মিটিয়ে ফেলতে হবে ভোটপর্ব। এদিন থেকেই কর্নাটকে লাগু হয়ে গেল আদর্শ আচরণ বিধি। এবার ১৩ হাজারেরও বেশি বুথ পরিচালনা করবেন কেবল মহিলারা। সেখানে সব দায়িত্বেই থাকবেন মহিলারা। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও হবেন মহিলা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০ এপ্রিল। প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৪ এপ্রিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP Parliamentary Party: ‘লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’, বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে বললেন মোদি

    BJP Parliamentary Party: ‘লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’, বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় নেতাদের কঠিন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবার নয়া দিল্লির পার্লামেন্ট কমপ্লেক্সে বিজেপির সংসদীয় দলের (BJP Parliamentary Party) সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে তিনি এই বার্তা দেন বলে সূত্রের খবর। ত্রিপুরা (Tripura), মেঘালয় ও নাগাল্যান্ড বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। তাই প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান সাংসদরা। এর পরেই প্রধানমন্ত্রী চলে যান ‘কাজের কথা’য়। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের বলেন, বিজেপি যেভাবে একের পর এক রাজ্যে জিতছে তাতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। এর ফলে বিজেপির ওপর বিরোধী দলগুলির আক্রমণ আরও বাড়বে। সেই জন্যই দলীয় নেতাদের কঠিন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ…

    তিনি (BJP Parliamentary Party) বলেন, সময় যত গড়াবে বিজেপির ওপর রাজনৈতিক হামলা ততই বাড়বে। তাঁর কথায়, বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা যত উজ্জ্বল হবে, বিরোধীরা ততই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠবে। সূত্রের খবর, অরাজনৈতিক অথচ সামাজিক বিভিন্ন ইস্যুতে জোর দিতে বলা হয়েছে বিজেপি সাংসদদের। পরিবেশ রক্ষার ওপর বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। দেশজুড়ে সংস্কৃত সংস্কৃতি পালন করতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। আগামী মাসের শেষ রবিবার সম্প্রচারিত হবে মন কি বাতের ১০০তম পর্ব। সে ব্যাপারেও ব্যাপক প্রচার করতে বলা হয়েছে। দলীয় সাংসদদের প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: রামনবমী উপলক্ষে রাজ্যে ২১০০ শোভাযাত্রা হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের, অংশ নেবে বিজেপিও

    বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস থেকে শুরু করে আম্বেদকর জয়ন্তী পর্যন্ত প্রত্যেক সাংসদকে নিজেদের এলাকায় সরকার ও দলের কাজকর্ম সম্পর্কে প্রচার চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী। ১৫ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত সরকারের ৯ বছর পূর্ণ হলে সরকারের সব কাজ জনগণের কাছে পৌঁছানোয় জোর দিতেও বলেন তিনি। দলীয় শক্তি বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। 

    রাহুল গান্ধী ইস্যুতে একজোট হচ্ছেন বিরোধীরা। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে সংসদে যেমন সোচ্চার হচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদরা, তেমনি সোমবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে আয়োজিত বিরোধীদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রায় সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিই। রাজনৈতিক মহলের মতে, এমন আবহে প্রধানমন্ত্রীর এই বৈঠক (BJP Parliamentary Party) যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Giriraj Singh: ‘সাভারকারের মতো হতে গেলে রাহুলকে অনেকবার জন্মাতে হবে’, বললেন গিরিরাজ

    Giriraj Singh: ‘সাভারকারের মতো হতে গেলে রাহুলকে অনেকবার জন্মাতে হবে’, বললেন গিরিরাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাভারকারের (Savarkar) মতো হতে গেলে তাঁকে অনেকগুলো জন্ম নিতে হবে। সোমবার এই ভাষায়ই কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) আক্রমণ শানালেন বিজেপি (BJP) নেতা গিরিরাজ সিংহ (Giriraj Singh)।  মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে দু বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। তার জেরে শুক্রবার খারিজ হয়েছে তাঁর সাংসদ পদ। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে শনিবার রাহুল বলেন, আমার নাম সাভারকার নয়, আমার নাম গান্ধী।

    গিরিরাজ সিংহ (Giriraj Singh) বলেন…

    তিনি বলেন, গান্ধীরা কারও কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে না। এর পরেই রাহুলকে নিশানা করেন গিরিরাজ। তিনি বলেন, তিনি (রাহুল) বলছেন যে তিনি গান্ধী, কিন্তু তাঁর স্পেশিফাই করা উচিত কোন গান্ধী তিনি? তাঁর দাদু যে গান্ধী ছিলেন? গিরিরাজ (Giriraj Singh) বলেন, তিনি যদি আদালতে গরহাজির না হতেন, ক্ষমা প্রার্থনা করতেন, তাহলে এটা ঘটত না। এর পরেই গিরিরাজ বলেন, সাভারকার জাতির জন্য প্রাণ বলি দিয়েছিলেন। তাই তাঁর (সাভারকার) সঙ্গে তাঁর (রাহুলের) তুলনা করা ভুল হবে। সাভারকারের মতো হতে গেলে রাহুলকে অনেকবার জন্ম নিতে হবে।

    রাহুলকে নিশানা করেছেন বিজেপির আরও এক নেতা অনুরাগ ঠাকুরও। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী স্বপ্নেও সাভারকার হতে পারবেন না। ট্যুইট-বাণে অনুরাগ বলেন, বীর সাভারকার দেশপ্রেমিক। ফাঁসির আগে স্বয়ং ভগৎ সিং তাঁর বই থেকে নোট নিয়েছিলেন। সাভারকারের মতো স্বাধীনতা যোদ্ধাকে রাহুল অপমান করছেন। সাভারকারের দেশপ্রেম ও সাহসের কাছে মাথা নত করতেন বড় বড় নেতারাও। এমন কী কংগ্রেসও ১৯২৩ সালে কাঁকিনাড়া অধিবেশনে সাভারকারকে নিয়ে প্রস্তাব পাশ করে। ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সাভারকারের নামে একটি স্ট্যাম্পও তৈরি করেছিলেন বলে মনে করিয়ে দেন অনুরাগ। স্বাধীনতা যুদ্ধে সাভারকারের অবদান মনে করিয়ে দিতে ইন্দিরা গান্ধী একটি চিঠি লিখেছিলেন বলেও জানান অনুরাগ।

    তিনি জানান, ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ভারত সরকার সাভারকারের ওপর একটি ডকুমেন্টরিও করেছিল। অনুরাগ বলেন, সাভারকারকে শ্রদ্ধা জানাতে এত করেছিলেন রাহুলের ঠাকুমা। তাই সাভারকারকে অপমান করে রাহুল একই সঙ্গে তাঁর ঠাকুমাকেও অপমান করলেন।

    আরও পড়ুুন: শাহি দরবারে শুভেন্দু, পঞ্চায়েতের আগে কী আলোচনা হল দু’ জনের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ সংবিধান মেনে হয়নি’, কর্নাটকে দাবি অমিত শাহের  

    Amit Shah: ‘মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ সংবিধান মেনে হয়নি’, কর্নাটকে দাবি অমিত শাহের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুসলিমদের জন্য যে ৪ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা ছিল কর্নাটকে (Karnataka), দিন দুই আগে তা তুলে দেয় সে রাজ্যের বিজেপি (BJP) সরকার। এদিন সে প্রসঙ্গ তুলে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, সংখ্যালঘুদের যে রিজার্ভেশন দেওয়া হয়েছে, তা সংবিধান অনুযায়ী হয়নি। সংবিধানে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের কোনও বিধান নেই। কংগ্রেসের তুষ্টির রাজনীতির কারণে সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, বিজেপি ভোক্কালিগা ও লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়কে সংরক্ষণ দিয়েছে।  

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন…

    মাসখানেক পরেই বিধানসভা নির্বাচন কর্নাটকে। সেই কারণেই কর্নাটক যেতে শুরু করেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। শনিবার কর্নাটকে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করেছিলেন রোড শো-ও। এদিন যান অমিত। রায়চুরে বিজেপি আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। তার আগে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এদিন কর্নাটকের ওই জনসভায় কংগ্রেসকেই নিশানা করেন শাহ। বলেন, কংগ্রেস যে সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণ দিয়েছে, তা সংবিধান অনুসারে নয়। সংবিধানে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের কোনও বিধান নেই। কর্নাটক সরকার মুসলমানদের জন্য চার শতাংশ ওবিসি সংরক্ষণের অবসান ঘটিয়েছে এবং এটি দুটি প্রধান সম্প্রদায়, বীরশৈব-লিঙ্গায়ত ও ভোক্কালিগাদের মধ্যে বিলি করেছে।

    আরও পড়ুুন: ‘অঙ্গদান করুন’, ৯৯তম ‘মন কি বাতে’ দেশবাসীকে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    শাহ বলেন, কর্নাটকের আগের কংগ্রেস সরকার রাজ্যে মুসলমানদের সংরক্ষণ দিয়েছিল। কিন্তু বিজেপি মুসলমানদের জন্য চার শতাংশ সংরক্ষণ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণিতে স্থানান্তরিত করেছে। বিজেপি সরকার সেই সংরক্ষণ বাতিল করেছে। ভোক্কালিগা ও লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়কে রিজার্ভেশন দিয়েছে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। তিনি বলেন, ভোটব্যাঙ্কের লোভে কংগ্রেস কখনওই যাঁরা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের কথা বলেনি। বলেনি হায়দ্রাবাদের মুক্তির কথাও।

    প্রসঙ্গত, কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচনের আগেই রাজ্যে আসন সংরক্ষণ ৫০ থেকে বাড়িয়ে করা হল ৫৭ শতাংশ। তুলে নেওয়া হল মুসলমানদের জন্য বরাদ্দ ৪ শতাংশ কোটাও। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের জেরে এবার থেকে আর অনগ্রসর শ্রেণি হিসেবে সংরক্ষণের সুবিধা নিতে পারবেন না মুসলিমরা। কর্নাটকে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য বরাদ্দ সংরক্ষণে এতদিন অন্তর্ভুক্ত ছিলেন রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও। কিন্তু শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ সংরক্ষণ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: ট্যুইটার হ্যান্ডেলে নয়া পরিচয়ে অবতীর্ণ রাহুল গান্ধী, কেন জানেন?

    Rahul Gandhi: ট্যুইটার হ্যান্ডেলে নয়া পরিচয়ে অবতীর্ণ রাহুল গান্ধী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটার হ্যান্ডেলে নয়া পরিচয়ে অবতীর্ণ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। রবিবার সকাল থেকে রাহুলের ট্যুইটারে তাঁর ছবির নীচে লেখা রয়েছে, এটি রাহুল গান্ধীর অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট। তিনি জাতীয় কংগ্রেসের (Congress) সদস্য। লেখা হয়েছে, ডিস’কোয়ালিফায়েড এমপি (অপসারিত সাংসদ)। এদিকে, রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে এদিন দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হয়েছে কংগ্রেস।

    রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)…

    কেরলের ওয়েনাড় কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন রাহুল। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে কর্নাটকের একটি জনসভায় মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। ওই জনসভায় তিনি (Rahul Gandhi) বলেছিলেন, মোদি পদবিধারীরা কেন চোর হন। রাহুলের এই মন্তব্যের জেরে গুজরাটের সুরাট আদালতে মামলা দায়ের করেন সুরাট পশ্চিমের বিধায়ক বিজেপির পূর্ণেশ মোদি। তার জেরে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল। তাঁকে দু বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। করা হয় জরিমানাও। রাহুল যাতে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারেন, সেজন্য তাঁকে ৩০ দিন সময়ও দেওয়া হয়। মুক্তি দেওয়া হয় জামিনে। কারাদণ্ড হওয়ায় রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সংবিধানের ১০২ (১)-ই অনুচ্ছেদ ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়।

    রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে এদিন মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থল রাজঘাটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ চলার কথা। যদিও রাজঘাটে কংগ্রেসের সত্যাগ্রহে অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ। রাজঘাট এলাকায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।

    আরও পড়ুুন: ফের কর্ণাটকে বিঘ্নিত প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা! কনভয়ে ঢোকার চেষ্টা যুবকের

    এদিকে মোদি পদবি নিয়ে কেবল রাহুলই (Rahul) নন, ২০১৮ সালে প্রায় একই রকম ট্যুইট-বাণ নিক্ষেপ করেছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী খুশবু সুন্দর। তাঁর ট্যুইট-বার্তার নির্যাস, মোদি মানেই দুর্নীতি। তাঁর ওই মন্তব্যে একই বন্ধনীভুক্ত হয়েছিলেন নীরব, ললিত এবং নরেন্দ্র মোদি। পরে খুশবু বিজেপিতে যোগ দেন। এবার খুশবুর সেই ট্যুইট-বাণই হাতিয়ার করতে চলেছে কংগ্রেস। খুশবুর পুরানো ট্যুইটের স্ক্রিনশট শেয়ার করে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ লেখেন, মোদিজি এবার কী আপনার কোনও শিষ্য খুশবু সুন্দরের নামে মানহানির মামলা করবেন? এখন তো তিনি বিজেপির সদস্য। দেখা যাক…।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purnesh Modi: চা-ওয়ালা থেকে বিজেপি বিধায়ক, চিনুন রাহুলের বিরুদ্ধে মামলাকারী পূর্ণেশকে

    Purnesh Modi: চা-ওয়ালা থেকে বিজেপি বিধায়ক, চিনুন রাহুলের বিরুদ্ধে মামলাকারী পূর্ণেশকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে তাঁর মিল অনেক। দুজনেরই পদবি মোদি। দুজনেই ছিলেন চা-ওয়ালা। প্রথম জন দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর দ্বিতীয়জন পূর্ণেশ মোদি (Purnesh Modi) তাঁরই দল বিজেপির (BJP) একনিষ্ঠ সদস্য। এই পূর্ণেশই বিপাকে ফেলেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। তাঁর করা মামলায়ই গুজরাটের সুরাট আদালত রাহুলকে দু বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। যার জেরে রাহুলকে খোয়াতে হয়েছে সাংসদ পদ। সুরাট আদালতের রায় উচ্চ আদালতেও বহাল থাকলে আগামী আট বছর কোনও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না রাহুল। এবার জেনে নেওয়া যাক, পূর্ণেশের পরিচয়।

    পূর্ণেশ মোদি (Purnesh Modi)…

    ১৯৬৫ সালের ২২ অক্টোবর সুরাটে জন্মগ্রহণ করেছিলেন পূর্ণেশ (Purnesh Modi)। সুরাট পশ্চিমের বিধায়ক তিনি। দারিদ্রের কারণে এক সময় তিনি চা বিক্রি করতেন। করেছেন দিন মজুরির কাজও। বিকমের পাশাপাশি এলএলবিও পাশ করেছিলেন পূর্ণেশ। পেশায় আইনজীবী এই বিধায়ক এক সময় গুজরাট সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৩ সালে বিজেপি বিধায়ক কিশোর ভাই মারা যান। বিজেপি টিকিট দেয় পূর্ণেশকে। জয়ী হন তিনি। ২০১৭ সালে রেকর্ড ভোটে জিতে ফের বিধানসভায় পা রাখেন তিনি।

    এক সময় পূর্ণেশ বিজেপির বুথ কনেভেনার ছিলেন। হয়েছিলেন ওয়ার্ড প্রমুখও। সুরাট মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের বিজেপি কর্পোরেটরও ছিলেন। ছিলেন বিজেপির স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান। ২০১০ সাল থেকে পর পর দুটো টার্ম বিজেপির সুরাট ইউনিটের প্রধানও ছিলেন তিনি। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে পূর্ণেশ নিজেকে গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী বলে পরিচয় দিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকের এক জনসভায় রাহুল বলেছিলেন, সব চোরের পদবি কেন মোদি হয়। রাহুলের বক্তব্য নিয়ে হইচই হয় বিস্তর। রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন পূর্ণেশ (Purnesh Modi)। শুনানির পরে রাহুলকে দু বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় সুরাট আদালত। সঙ্গে করা হয় জরিমানাও। তবে ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আবেদন করার সুযোগও দেওয়া হয় রাহুলকে।

    এদিকে, দু বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় খারিজ হয়ে যায় রাহুলের সাংসদ পদ। সুরাট আদালতের রায় উচ্চ আদালতেও বহাল থাকলে আগামী আট বছরের জন্য তিনি কোনও নির্বাচনে প্রার্থীও হতে পারবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share