Tag: congress

congress

  • Congress prez poll: কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট পড়ল ৯৬ শতাংশ, শেষ হাসি হাসবেন কে?

    Congress prez poll: কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট পড়ল ৯৬ শতাংশ, শেষ হাসি হাসবেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (Congress prez poll)। সোমবার সকাল ১০টায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ পর্ব। চলে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। কংগ্রেসের (Congress) সাড়ে ৯ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি ভোট দেন। গত চব্বিশ বছরে এই প্রথম গান্ধী (Gandhi) পরিবারের বাইরের কাউকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করতে চলেছেন কংগ্রেসের ভোটাররা। এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং শশী থারুর। দলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধীর উত্তরসূরি হিসেবে এঁদের মধ্যেই একজনকে বেছে নিতে হয়েছে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের।

    প্রদেশ কংগ্রেসের প্রতিনিধির সংখ্যা ৯ হাজার ৯১৫ জন। তাঁর মধ্যে ভোট দিয়েছেন সাড়ে ৯ হাজারের কিছু বেশি। ভোট হয়েছে কাগজের ব্যালটে। কংগ্রেসের সেন্ট্রাল ইলেকশন অথরিটি চেয়ারম্যান মধুসূদন মিস্ত্রি নয়াদিল্লিতে এ খবর জানান। ভোটের ফল বেরবে ১৯ অক্টোবর, বুধবার। এই দিনটির জন্যই অপেক্ষা করেছিলেন বলে জানান সোনিয়া গান্ধী। এদিন ভোট দিয়ে বেরিয়ে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এই দিনটির জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট ছিলেন সোনিয়াই। পরে ওই পদে বসানো হয় রাহুল গান্ধীকে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয় কংগ্রেস। তার পরেই প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দেন রাহুল। অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফের দলের হাল ধরেন সোনিয়া।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস নির্বাচন প্রহসন! তোপ অমিত মালব্যর, কী বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান?

    এদিন উৎসবের মেজাজে ভোট (Congress prez poll)  হয়েছে বলে জানিয়েছেন মধুসূদন মিস্ত্রি। তাঁর দাবি, ভোটে হয়েছে অবাধ, সুন্দর এবং স্বচ্ছ। তিনি বলেন, সব চেয়ে খুশির খবর হল দেশের প্রতিটি রাজ্যেই পোলিং বুথ হয়েছিল। অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি। এটা একটা বড় প্রাপ্তি। ভোট হয়েছে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণভাবে। মিস্ত্রি বলেন, ভোট নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকার কথা নয়। কারণ ভোট হয়েছে গোপন ব্যালটে। তাই কেউই জানতে পারবেন না, কে কাকে ভোট দিয়েছেন। তিনি জানান, পুরো ভোটগ্রহণ পর্ব ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জনার্দন দ্বিবেদী বলেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন হচ্ছে। সবাই নিজেদের পছন্দমতো ভোট দিচ্ছেন। 

    এদিন ভোটগ্রহণ (Congress prez poll) পর্ব শুরুর সময় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী শশী থারুর বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী। কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ রয়েছে দলীয় কর্মীদের হাতেই। পরে অন্য এক প্রসঙ্গে নিজেকে ‘পরিবর্তনের প্রার্থী’ হিসেবে অভিহিত করেন থারুর। খাড়গে না থারুর, শেষ হাসি হাসেন কে, এখন তাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BJP on congress poll: কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দিগ্বিজয় ডামি প্রার্থী, কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের

    BJP on congress poll: কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দিগ্বিজয় ডামি প্রার্থী, কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস (Congress) প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন বর্ষীয়ান নেতা দিগ্বিজয় সিং (Digvijaya Singh)। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী গান্ধী (Gandhi) পরিবারের ঘনিষ্ঠ অশোক গেহলট ওই পদে লড়ছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তার আগেই অবশ্য মনোনয়নপত্র তুলেছেন দিগ্বিজয়। জানিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট পদে যিনিই লড়ুন না কেন, তিনি কাজ করবেন গান্ধী পরিবারের ছত্রছায়ায়। দ্বিগ্বিজয় ছাড়াও লড়াইয়ের মাঠে রয়েছেন শশী থারুর এবং গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। এই নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয়ের লড়াইয়ের সিদ্ধান্তকে একহাত নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কংগ্রেসের এই নির্বাচন মানুষ আদৌ বিশ্বাস করবেন না বলেই মনে করে গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুন : দ্বিগ্বিজয়, কমল নাথ না গেহলট! কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে শশী থারুরের প্রতিদ্বন্দ্বী কে?

    অশোক গেহলটকে প্রক্সি নম্বর ওয়ান বলে সম্বোধন করে বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুন্নাওয়ালা বলেন, কংগ্রেস হাইকমান্ডের প্রতি বেওয়াফাই হওয়ায় অশোক গেহলটকে সরে যেতে বলা হয়েছে। লড়াইয়ের ময়দানে প্রার্থী করা হয়েছে ডামি দিগ্বিজয়কে। গেহলট মনোনয়ন দাখিল করতে না পারায় ওই পরিবার কি তাঁর সঙ্গে আপসেট হয়ে পড়েছেন?

    বিজেপির আর এক নেতা অমিত মালব্য বলেন, গেহলট সরল। দলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগেই তিনি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে, দিগ্বিজয় সিংকে নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তার পরেই পদক্ষেপ করতে পারবেন তিনি। ট্যুইট বার্তায় মালব্য বলেন, দিগ্বিজয় একজন কূটরাজনীতিজ্ঞ। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই অশোক গেহলট যা করেছেন গান্ধীদের প্রতি তিনি তাই করবেন ভোটে জেতার পর। 

    অন্য একটি ট্যুইটে মালব্য লেখেন, মনে রাখতে হবে তাঁরও একটি ছেলে রয়েছে। গান্ধীদের প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত করার এটি প্রথম ধাপ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Congress Polls: সরলেন দিগ্বিজয়, এলেন খাড়গে, কংগ্রেসের রাশ থাকছে গান্ধী পরিবারের হাতেই?

    Congress Polls: সরলেন দিগ্বিজয়, এলেন খাড়গে, কংগ্রেসের রাশ থাকছে গান্ধী পরিবারের হাতেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস (Congress) প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন গান্ধী (Gandhi) পরিবারের আস্থাভাজন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun kharge)। আজ, ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন বলে কংগ্রেসেরই একটি সূত্রে খবর। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন না বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খাড়গেকে ফোন করেন কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। তার পরেই প্রেসিডেন্ট পদে গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন খাড়গের নাম চূড়ান্ত হয়। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীরও সম্মতি মিলেছে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতা বলেন, খাড়গে প্রথম থেকেই হিসেবের মধ্যেই ছিলেন। তবে বয়স জনিত কারণ এবং রাজ্যসভার বিরোধী নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালনের চাপ এই জোড়া কারণের জেরে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সন্দিহান ছিলেন। কিন্তু যখন মুকুল ওয়াসনিক প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে রাজি হলেন না, তখন খাড়গের নামই চূড়ান্ত হয়। খাড়গে অবশ্য তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, দল যে দায়িত্ব দেবে, তা তিনি পালন করবেন। প্রসঙ্গত, খাড়গে ওই পদে লড়লে তাঁকে নিয়ে এ পর্যন্ত মোট তিনজন থাকবেন লড়াইয়ের ময়দানে। খাড়গে, শশী থারুর এবং দিগ্বিজয় সিং। শেষের দুজন অবশ্য ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। 

    আরও পড়ুন : কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন লড়বেন না অশোক গেহলট, সোনিয়ার কাছে চাইলেন ক্ষমা

    এদিকে, গান্ধী পরিবারের কেউ প্রেসিডেন্ট পদে না লড়লেও, কংগ্রেস যে এখনই গান্ধী পরিবারের প্রভাব মুক্ত হচ্ছে না, তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল দিগ্বিজয় সিংয়ের কথায়। তিনি বলেন, যিনিই পার্টির প্রেসিডেন্ট পদে বসুন না কেন তিনি গান্ধী পরিবারের ছত্রছায়ায় কাজ করবেন। প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা বলেন, আমাদের দেখতে হবে দেশের উন্নতি কতটা হচ্ছে। দেশকে খণ্ডিত হতে দেওয়া যাবে না। দুর্বল করা যাবে না সংবিধানকে। দিগ্বিজয় বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিল করে আমি ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নিতে যাব। তিনি বলেন, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রত্যেকের অধিকার আছে নির্বাচনে লড়ার। তবে শুক্রবার বেলার দিকে অবশ্য লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ান দিগ্বিজয়। তিনি জানান, তিনি ভোটে লড়ছেন না। তিনি সমর্থন করবেন খাড়গেকে।  

    অন্যদিকে, এদিনই সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট। আলোচনা করেন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে। তিনি বলেন, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট আমার কথা মন দিয়ে শুনলেন। আমি তাঁকে আমার কথা বলেছি, ফিডব্যাক দিয়েছি। ২০২৩ সালে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করে জিততে হবে। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Goa Congress: বড় ধস গোয়া কংগ্রেসে, ‘হাত’ ছেড়ে ‘পদ্ম’ ধরলেন ৮ বিধায়ক

    Goa Congress: বড় ধস গোয়া কংগ্রেসে, ‘হাত’ ছেড়ে ‘পদ্ম’ ধরলেন ৮ বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বড়সড় ধস গোয়া কংগ্রেসে (Goa Congress)। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির (Grand Old Party) বিধায়ক রয়েছেন ১১ জন। এর মধ্যে ৮ জনই যোগ দিলেন বিজেপিতে (BJP)। এই বিধায়কদলের নেতৃত্বে রয়েছেন দিগম্বর কামাট ও মাইকেল লোবো। গোয়া বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ৪০। তার মধ্যে কংগ্রেসের (Congress) সদস্য সংখ্যা মাত্র তিন। বর্তমানে দেশজুড়ে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছে কংগ্রেস। বর্তমানে এই কর্মসূচি চলছে কেরলে। এমতাবস্থায় দলের ভাঙনে যারপরনাই বিব্রত সোনিয়া গান্ধীর দল। কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, জোড়ো ইয়োর পার্টি ফার্স্ট।

    যেহেতু এক সঙ্গে আটজন কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন, সেহেতু এঁদের ক্ষেত্রে দল বিরোধী আইন কার্যকর হবে না। এদিন যাঁরা হাত ছেড়ে হাতে তুলে নিলেন পদ্ম, তাঁরা হলেন মাইকেল লোবোর স্ত্রী ডেলিয়া লোবো, রাজেশ ফালদেশাই, কেদার নায়েক, সংকল্প আমোনকর, অ্যালেক্সিও সেকুইরিয়া এবং রুডলফ ফার্দিনান্স। দল ছেড়ে মাইকেল লোবো বলেন, এটা হল কংগ্রেস ছোড়ো, বিজেপির সঙ্গে জোড়ো। এদিন যাঁরা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁদের বক্তব্য, এটা হল অপারেশেন লোটাস।

    আরও পড়ুন : রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিএ দিয়ে দেব! দাবি শুভেন্দুর

    এঁদের সঙ্গে এদিন দল ছেড়েছেন কামাতও। তিনি বলেন, কংগ্রেসে আমরা ভাল ছিলাম না। আমরা দেখেছি বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে কী ঘটেছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছেড়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আজাদ। এদিন সেই প্রসঙ্গই টানেন দলবদলু বিধায়করা। তাঁরা বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কাজ করব। কাজ করব গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের সঙ্গেও। গোয়ার আরও উন্নতির জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব।

    গোয়া বিধানসভায় মোট আসন ৪০। এর মধ্যে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ২০। মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সদস্য রয়েছেন দু জন। আর নির্দল রয়েছেন তিনজন। সব মিলিয়ে সরকার পক্ষে ছিলেন ২৫ জন। এদিন কংগ্রেস ভেঙে আটজন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিধানসভায় তাদের সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ৩৩জন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Akhilesh Yadav: চিতা নিয়ে কটাক্ষ অখিলেশের, এসপি নেতার ‘অজ্ঞতা’ নিয়ে বিদ্রুপ বিজেপির

    Akhilesh Yadav: চিতা নিয়ে কটাক্ষ অখিলেশের, এসপি নেতার ‘অজ্ঞতা’ নিয়ে বিদ্রুপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুনো ন্যাশনাল পার্কে (Kuno National Park) চিতা (Cheetah) ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাকে কটাক্ষ করে ট্যুইট করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির (SP) নেতা অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। এবার তারই পাল্টা দেওয়া হল বিজেপির (BJP) তরফে। গেরুয়া শিবিরের এক নেতার বিদ্রুপ, অখিলেশকে পড়াতে গিয়ে যে পয়সা খরচ হয়েছে, তা পুরো বরবাদ হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : ৭০ দশক পর চিতা ফিরল দেশে, ছাড়া হল কুনো জাতীয় উদ্যানে

    ভারতে চিতার অস্তিত্ব লুপ্ত হয়েছে সাত দশক আগে। সম্প্রতি দেশে চিতা ফিরিয়ে আনতে নামিবিয়া থেকে সব মিলিয়ে আটটি চিতা নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি পুরুষ, তিনটি স্ত্রী। ১৭ অগাস্ট, শনিবার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে সেগুলিকে ছাড়া হয় মধ্য প্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে। এদিনই ওই চিতাগুলির একটি ভিডিও শেয়ার করে সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব ট্যুইট বার্তায় লেখেন, প্রত্যেকে অপেক্ষা করছিল গর্জন শুনবে বলে। কিন্তু দেখা গেল, এরা বাক্সের মধ্যে বিড়ালের মতো মিউমিউ করছে। এর পরেই অখিলেশের অজ্ঞতাকে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা তথা বিজেপির দিল্লি মুখপাত্র অজয় শেরওয়াত। তিনি জানান, চিতা গর্জন করে না। পাল্টা ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, আপনি অষ্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করেছেন…সব পয়সা বরবাদ হয়ে গিয়েছে।

    অখিলেশকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নেটিজেনরাও। কেউ কেউ তাঁকে শোধরাতে গিয়ে বলছেন, চিতা বাঘ, সিংহ কিংবা চিতাবাঘের মতো গর্জন করে না। কারণ তাদের প্রত্যেকের ভয়েস বক্সের গঠন আলাদা। কোনও কোনও ট্যুইটার ব্যবহারকারী আবার বলছেন, এটা অখিলেশের ভুল নয়। কারণ তিনি জানেন না ১৯৫২ সালেই দেশে চিতা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। এদিকে, কুনো পার্কে চিতা ছাড়ার ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। কংগ্রেসের দাবি, চিতা ছাড়ার এই প্রজেক্ট মহমোহন সিংয়ের সরকারের আমলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Amrinder Singh: বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে আর কে কে জানেন?

    Amrinder Singh: বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে আর কে কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছেন পাঞ্জাবের (Punjab) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh)। পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস (Congress) থেকে বেরিয়ে অমরিন্দর গড়েছিলেন নয়া দল। নাম দিয়েছিলেন পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস (Punjab Lok Congress)। সেই দলও মিশে যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরে। তাঁর এই দলবদলের অনুষ্ঠান হবে ১৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার।

    পাঞ্জাব লোক কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রীতপাল সিং বালিয়াওয়াল বলেন, পার্টি নেতাদের কারা কারা দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন অমরিন্দর সহ তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সোমবার তাঁরা হাতে তুলে নেবেন পদ্ম আঁকা ঝান্ডা। অমরিন্দরের পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয় বলেই দাবি বিজেপির। বিজেপির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ সদস্য হরজিৎ গ্রুওয়াল বলেন, অমরিন্দর আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। তিনি বহিরাগত নন।

    পাঞ্জাবে বর্তমানে চলছে আম আদমি পার্টির শাসন। তাদের অভিযোগ, অপারেশন লোটাসের মাধ্যমে পাঞ্জাবেও সরকার ফেলার ছক কষছে বিজেপি। আপের এই অভিযোগের জবাব দিয়েছেন অমরিন্দর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আপের ৯২ জন বিধায়ক রয়েছে। বিজেপি যদি তার থেকে ১২ জনকে কিনেও নেয়, তাতে কিছুই হবে না। কারণ সরকার ফেলতে  প্রয়োজন ৫০ শতাংশের বেশি বিধায়কের সমর্থন। জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই অযথা হইচই করছে তারা।

    আরও পড়ুন : বিজেপি বিরোধী জোট সুযোগ সন্ধানীদের, নীতীশকে নিশানা গেরুয়া শিবিরের

    কংগ্রেসের এই প্রাক্তনী বলেন, পাঞ্জাবের আপ সরকার চলছে দিল্লির অঙ্গুলি হেলনে। দিল্লিতে রয়েছে আপ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পাঞ্জাবের গুরুত্বপূর্ণ যা কিছু কাজ অনুমোদনের জন্য পাঠানো হচ্ছে দিল্লিতে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কেজরিওয়াল। তারা পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী (ভগবন্ত মান)কে কোনও কাজই করতে দিচ্ছে না।  

    চলতি বছর হয় পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন। এই ভোটে ফের জিততে গত বছরের শেষের দিকে অমরিন্দরকে সরিয়ে কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী পদে বসায় চরণজিৎ সিং চান্নিকে। ক্ষোভে কংগ্রেস ছেড়ে নয়া দল গড়েন অমরিন্দর। নির্বাচনে বিশেষ ছাপ ফেলতে পারেনি অমরিন্দরের দল। শেষমেশ সেই দলই মিশে যাচ্ছে বিজেপির সঙ্গে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rajasthan Congress: রাজস্থান বিদ্রোহকাণ্ডে ছাড় গেহলটকে!

    Rajasthan Congress: রাজস্থান বিদ্রোহকাণ্ডে ছাড় গেহলটকে!

    রাজস্থান কংগ্রেস বিদ্রোহ (Rajasthan Congress)

    Rajasthan Congress: রাজস্থান বিদ্রোহকাণ্ডে ছাড় দেওয়া হল রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে। যদিও তাঁর তিন অনুগামীকে নোটিস ধরানো হয়েছে। ঘটনার জেরে কংগ্রেস (Congress) প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচন থেকে ছিটকে যেতে পারেন অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)! রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সেক্ষেত্রে লড়াইয়ের মাঠে দেখা যেতে পারে গান্ধী (Gandhi) পরিবারের আস্থাভাজন মল্লিকার্জুন খাড়গে ও দিগ্বিজয় সিংকে।

    প্রসঙ্গত, কংগ্রেস হাইকমান্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে পদত্যাগ করেন রাজস্থান কংগ্রেস (Rajasthan Congress) – এর ৮২ জন বিধায়ক। স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমাও দেন তাঁরা। বিষয়টিকে ভালভাবে নেননি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

    তিন রাজস্থান কংগ্রেস বিধায়ককে শোকজ নোটিস (Show Cause Notice to 3 Rajasthan Congress MLA)

    ঘটনার জেরে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের তিন অনুগামীকে বিশৃঙ্খল আচরণের জন্য শোকজ নোটিস ধরায় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি নেতৃত্ব। ১০ দিনের মধ্যে নোটিসের উত্তর দিতে বলা হয়েছে তাঁদের। তবে অশোকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা এখনও অবধি নেননি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজস্থান কংগ্রেস (Rajasthan Congress) – এর যে তিন নেতাকে শোকজ নোটিস ধরানো হয়েছে, তাঁরা হলেন, ক্যাবিনেট মন্ত্রী শান্তি ধারিয়াল, মন্ত্রী তথা বিধানসভায় কংগ্রেসের চিফ হুইপ মহেশ জোশি এবং বিধায়ক ধর্মেন্দ্র রাঠোর।

    কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন (Congress Presidential Election)

    কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়তে গেলে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে ৩০ সেপ্টম্বরের মধ্যে। বুধবার দুপুর পর্যন্তও মনোনয়নপত্র তোলেননি অশোক। এ ব্যাপারে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী কিংবা কংগ্রেস কোনও তরফেই কিছু জানানো হয়নি। অশোক গেহলট মনোনয়নপত্র না তুললে ওই পদে গান্ধী পরিবারের পছন্দের মাত্র দুজন লড়তে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এঁরা হলেন, দিগ্বিজয় সিং ও রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জন খাড়গে।

    আরও পড়ুন : মনোনয়ন তুললেন থারুর-বনসল! কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে কারা?

    অন্যদিকে, রাজস্থানের ঘটনায় যারপরনাই বিব্রত কংগ্রেস নেতৃত্ব। হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এদিন বৈঠক চলছিল ১০ নম্বর জনপথে, সোনিয়া গান্ধীর বাসভবনে। সেখানেই সোনিয়া গান্ধী স্বয়ং রাজস্থানের পরিস্থিতি নিয়ে প্রবীণ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে অশোক গেহলট কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাজস্থানের ব্যাপারে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। তবে দুজনের মধ্যে কথপোকথন হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি। এদিকে, রাজস্থানের এই ডামাডোল পরিস্থিতিতে রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে দিল্লি পৌঁছেছেন। এখন দেখার, কোথাকার জল কতদূর গড়ায়!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Congress Crisis: ক্ষমতা হস্তান্তর বারবার ভুগিয়েছে কংগ্রেসকে, অন্যদিকে লক্ষ্যে অবিচল বিজেপি

    Congress Crisis: ক্ষমতা হস্তান্তর বারবার ভুগিয়েছে কংগ্রেসকে, অন্যদিকে লক্ষ্যে অবিচল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুদুচেরি হোক বা পাঞ্জাব কিংবা রাজস্থান (Rajasthan) বরাবর মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে গিয়েই সমস্যায় পড়েছে কংগ্রেস (Congress crisis)। দলের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে কার্যত ব্যর্থ কংগ্রেস হাইকমান্ড (congress highcomand)। সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) বা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) দিল্লির বাইরে দলের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে পারেননি। স্থানীয় নেতৃত্ব বারবার আঘাত হেনেছে দলের আভ্যন্তরীন শৃঙ্খলায়। অন্যদিকে সেই সমস্যায় খুব একটা পড়তে হয়নি বিজেপিকে। যখনই প্রয়োজন পড়েছে দলের স্বার্থে, শৃঙ্খলার প্রশ্নে, ভাবধারা বজায় রাখতে সক্রিয় থেকেছেন অমিত শাহ (Amit Shah), নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi।)। দলের সর্ভারতীয় নেতৃত্বের কথা সর্বদাই বিনা প্রশ্নে মেনে নিয়েছে স্থানীয় নেতৃত্ব। তা সে ত্রিপুরা হোক বা আসাম। গুজরাট হোক বা কর্নাটক।

    আরও পড়ুন: মোদির সফল নেতৃত্বের দৌলতেই আজ বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব বৃদ্ধি, বললেন জয়শঙ্কর

    সম্প্রতি রাজস্থানে সরকার সামলানো দায় হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে দেখতে চাইছেন সনিয়া-রাহুলরা। সনিয়া ঘনিষ্ঠ অশোক সেই পদে আসীন হলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়তে নারাজ। কিন্তু কংগ্রেসের এক ব্যক্তি এক পদ নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়তে হবে গেহলটকে। তাহলে মরুরাজ্যে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? কংগ্রেস হাইকমান্ডের পছন্দ রাহুল-ঘনিষ্ঠ সচিন পাইলট। কিন্তু রাজস্থানের রাজনীতিতে গেহলট-পাইলট দ্বৈরথ দীর্ঘদিনের। দুজনেই হাত শিবিরের প্রতিনিধি হলেও তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য বহুদিনের।  ফলে সচিনকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে নারাজ গেহলট শিবির। ইতিমধ্যেই গেহলট শিবিরের ৮৩ জন বিধায়ক,হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি সচিন পাইলট রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হন,তাহলে তাঁরা ইস্তফা দেবেন। যার অবিশ্যম্ভাবী ফলাফল হল রাজস্থানে কংগ্রেসের সরকার পড়ে যাওয়া। 

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস নির্বাচন প্রহসন! তোপ অমিত মালব্যর, কী বললেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান?

    একটু পিছন দিকে হাঁটা যাক, ২০০৮ সালে রাজস্থান থেকে বেশ খানিকটা দূরে পুদুচেরিতে একই ছবি দেখা যায়। কংগ্রেসের হাইকমান্ডের মত শুনে এন রঙ্গস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হয়। তিনি নতুন পার্টি তৈরি করেন। হাইকমান্ডের মতে পুদুচেরির শাসনভার যায় কংগ্রেসের বৈথিলিঙ্গমের কাছে। ২০২০ সালে কংগ্রেসের সরকারও পড়ে যায়,রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় পুদুচেরিতে। সম্প্রতি পাঞ্জাবেও ধাক্কা খায় কংগ্রেস। এ বছর মার্চে সেখানে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের। ভোটের চার মাস আগে সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বদল করেন সনিয়া,রাহুল। ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী করা হয় চরঞ্জিত সিং চান্নিকে। প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধুর সঙ্গে অমরিন্দরের বিবাদের জেরে মুখ্যমন্ত্রী বদলই একমাত্র বিকল্প ছিল কিনা তা নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয় কংগ্রেসে।

    আরও পড়ুন: রাজস্থানে ৮২ জন কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফা! আজ কি সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক অশোক, সচিনের?

    অন্যদিকে দেখতে গেলে বিধানসভা ভোটের আগে বহু রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন করেছে বিজেপি। পার্টির যাবতীয় ক্ষোভ বিক্ষোভ সামলে তা সফল হয়েছে। ক্ষমতার হস্তান্তর নিয়ে কোথাও সংঘাত প্রকট হয়নি। উত্তরাখণ্ডে সেই ফর্মুলার পর সামনেই ২০২২ গুজরাতে নির্বাচনের আগে গোটা মন্ত্রিসভা বদল করেছে বিজেপি। ত্রিপুরাতেও মুখ্যমন্ত্রী বদল করা হয়েছে। কিন্তু দলের প্রতি আনুগত্যের প্রশ্নে চুপ থেকেছেন সবাই। হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেল পদ্ম শিবির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jignesh Mevani: ভোটের মুখে জোর ধাক্কা গুজরাট কংগ্রেসে, ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা জিগনেশ মেবানির

    Jignesh Mevani: ভোটের মুখে জোর ধাক্কা গুজরাট কংগ্রেসে, ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা জিগনেশ মেবানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট (Gujrat) প্রদেশ কংগ্রেসের (Congress) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তথা বিধায়ক জিগনেশ মেবানিকে (Jignesh Mevani) ছ মাসের কারাদণ্ড দিল আমেদাবাদ আদালত (Ahmedabad Court)। ২০১৬ সালের একটি মামলায় সাজা দেওয়া হল গুজরাটের এই দলিত নেতাকে। কেবল জিগনেশ নন, ওই মামলায় আরও ১৮ জনকেও একই সাজা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার জেরে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি গড়ে বড়সড় ধাক্কা খেল গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি কংগ্রেস।

    গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভবন তৈরির সময় ভবনের নাম সংবিধান রচয়িতা বিআর আম্বেদকরের নামে করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন জিগনেশ ও তাঁর অনুগামীরা। সেটা ২০১৬ সালের ঘটনা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাস্তা অবরোধও করেছিলেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয় থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি সমাবেশ ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগ দায়ের হয়। সেই সময় জিগনেশ সহ মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই মামলায়ই এদিন রায় দিল আদালত। তবে এদিন সাজা দেওয়া হয়েছে জিগনেশ সহ মোট ১৯ কে। কারণ বিচার চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে এক অভিযুক্তের। তবে জিগনেশদের সাজা এখনই কার্যকর হচ্ছে না। তাঁরা যাতে আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারেন, তাই কারাদণ্ডের সাজা ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন বিচারক।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    এদিকে, সম্প্রতি আমেদাবাদের ভাস্ত্রালে একটি জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন গুজরাট প্রদেশ কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিগেনশ। জিগনেশ ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন তফশিলি জাতি বিভাগের চেয়ারম্যান হিতেন্দ্র পিথাদিয়া। আচমকাই জিগনেশের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। ট্যুইটবার্তায় জিগনেশের দাবি, রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ সিং জাদেজার মদতপুষ্ট গুন্ডা বাহিনীই ওই হামলা চালিয়েছিল।

    দলিত মুখ হিসেবেই রাজনীতিতে দ্রুত উত্থান ঘটেছিল জিগনেশের। ২০১৭ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য কংগ্রেসে যোগ দেন। মাস কয়েক আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন হার্দিক প্যাটেল। তার পরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব বর্তায় জিগনেশের ওপর। সেই জিগনেশেরেই কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা হওয়ায় ভোটের আগে যারপরনাই বিব্রত গুজরাট কংগ্রেস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Prashant Kishor: কয়েকজন নেতার সঙ্গে বসে চা খাওয়া বিরোধী ঐক্য নয়, সাফ জানালেন পিকে

    Prashant Kishor: কয়েকজন নেতার সঙ্গে বসে চা খাওয়া বিরোধী ঐক্য নয়, সাফ জানালেন পিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সঙ্গে বসে চা খাওয়া বিরোধী ঐক্য নয়। শনিবার সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা জানালেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। সম্প্রতি দিল্লি (Delhi) গিয়ে বিজেপি (BJP) বিরোধী কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। এদিন তাঁকেই কটাক্ষ করেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, কেবল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলাম আর চারজন নেতার সঙ্গে চা খেলাম, এতে আম জনতার কিছু আসে যায় না। তাই নির্বাচনেও এর কোনও প্রভাব পড়ে না।

    এক সময় নীতীশের দল জনতা দল ইউনাইটেডেই ছিলেন পিকে (PK)। পরে নীতীশের সঙ্গে মনান্তরের জেরে দল ছাড়েন তিনি। এদিন নীতীশকে নিশানা করে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ভোটে লড়ার ক্ষমতা কিংবা বিশ্বাসযোগ্যতা না থাকলে শুধু বৈঠক করে কী হবে? বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সরকার গড়েছেন নীতীশ। ঘটনাটি, প্রশান্ত কিশোরের মতে, রাজ্যের ঘটনা। অন্য কোনও রাজ্যে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও মহারাষ্ট্রে মহাজোট সরকার ছিল। এখন সেখানে এনডিএ সরকার চলছে। বিহারে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। জেডিইউ দলের প্রাক্তনী প্রশান্ত কিশোর বলেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি যাওয়ার কোনও প্রভাব জাতীয় রাজনীতিতে পড়েনি।

    আরও পড়ুন :আমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা নেই, রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জানালেন নীতীশ

    ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর বলেন, ২০১৫ সালে মানুষ ভোট দিয়েছিলেন মহাজোটের পক্ষে। কিন্তু ২০২০ সালের নির্বাচনে মানুষ তাদের জেতায়নি। বিহার রাজনীতির এই ধাক্কা এবং দুই ভোটের ফল দেশের সাধারণ নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলেনি। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে দিল্লি গিয়ে বিজেপি বিরোধী দশ দলের নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তাতে আদৌ কোনও লাভ হবে না বলেই মনে করেন ভোট কুশলী। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাইছেন নীতীশ। তাই শুরু করেছেন সলতে পাকানোর কাজ। তবে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন যে অধরাই থেকে যাবে, এদিন সেদিকেই ইঙ্গিত করেন প্রশান্ত কিশোর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share