Tag: congress

congress

  • By Election: ছয় রাজ্যের ৭ আসনে চলছে উপনির্বাচন, ফল ঘোষণা কবে জানেন?

    By Election: ছয় রাজ্যের ৭ আসনে চলছে উপনির্বাচন, ফল ঘোষণা কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলছে ছয় রাজ্যের সাত বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন (By Election)। ফল বের হবে নভেম্বরের ৬ তারিখে। এই রাজ্যগুলি হল মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, বিহার, ওড়িশা, তেলঙ্গানা এবং উত্তর প্রদেশ। এদিন সকাল সাতটায় শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। চলবে বিকেল ৬টা পর্যন্ত। যে কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন হচ্ছে, সেগুলিতে ইতিমধ্যেই করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

    এই আসনগুলিতে বিজেপিই (BJP) মূল শক্তি। তাকে লড়তে হবে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের সঙ্গে। এর মধ্যে রয়েছে তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (TSR), রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD), সমাজবাদী পার্টি (SP) এবং বিজু জনতা দল। এবার জেনে নেওয়া যাক ওই ছয় রাজ্যের কোন আসনগুলিতে উপনির্বাচন (By Election) হচ্ছে। এদিন উপনির্বাচন হচ্ছে, মহারাষ্ট্রের আন্ধেরি পূর্ব, হরিয়ানার আদমপুর, তেলঙ্গানার মুনুগোড়ে, উত্তর প্রদেশের গোলা গোক্রান্নাথ এবং ওড়িশার ধামনগরে। বিহারের দুটি আসনেও চলছে উপনির্বাচন। এগুলি হল, মোকামা এবং গোপালগঞ্জ। মোকামায় উপনির্বাচন (By Election) হচ্ছে কারণ রাষ্ট্রীয় জনতা দল বিধায়ক অনন্ত কুমার সিংয়ের বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে। একটি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় খারিজ হয়ে গিয়েছে তাঁর বিধায়ক পদ।

    আরও পড়ুন: ভোট লুঠ চলবে না, লাঠির জবাব লাঠিতে দিন! তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    আর গোপালগঞ্জে ভোট হচ্ছে কারণ এখানকার বিধায়ক সুভাষ সিংয়ের মৃত্যু হয়েছে। সুভাষ বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে মৃত্যু হয় তাঁর। আন্ধেরি পূর্ব, গোলা গোক্রান্নাথ এবং ধামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে কারণ এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রয়াত হয়েছেন বিধায়করা। মে মাসে মারা গিয়েছেন শিবসেনার রমেশ লাটকে। আর সেপ্টেম্বরে প্রয়াত হয়েছেন বিজেপির অরবিন্দ গিরি এবং বিষ্ণু শেঠী। হরিয়ানায় বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন কুলদীপ বিষ্ণোই, তেলঙ্গানায় পদত্যাগ করেছেন কে রাজাগোপাল রেড্ডি। সেই কারণে শূন্য হয়েছে আদমপুর এবং মুনুগোড়ে আসন। তেলঙ্গানার মুনুগোড়ে বিধানসভায় লড়াই হচ্ছে ত্রিমুখী। এখানে লড়াই হচ্ছে বিজেপি, কংগ্রেস এবং তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির। এই কেন্দ্রে প্রার্থী রয়েছেন ৪৭ জন। তবে জনতার চোখ বিজেপির রাজগোপাল রেড্ডি, প্রাক্তন টিআরএস এমএলএ কুসুকুন্তলা প্রভাকর রেড্ডি এবং কংগ্রেসের (Congress) পালভি শ্রাভান্তির দিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Gujarat Election: গুজরাটের রশি ফের বিজেপির হাতেই, বলছে সমীক্ষা, কত আসন পাবেন জানেন?

    Gujarat Election: গুজরাটের রশি ফের বিজেপির হাতেই, বলছে সমীক্ষা, কত আসন পাবেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন (Gujarat Election)। ফের জয়জয়কার হতে চলেছে বিজেপির (BJP)। দলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা তো বটেই, বিভিন্ন সমীক্ষক দলও নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)-অমিত শাহের (Amit Shah) গড়ে বিজেপিকে রেখেছে প্রথম স্থানে। গত আড়াই দশক ধরে গুজরাটের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। এবার ফল অন্য কিছু হচ্ছে না বলেই প্রকাশ সমীক্ষায়।

    এবিপি সি ভোটারের করা প্রাক ভোট সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এবারও গুজরাটের রশি থাকছে বিজেপির হাতেই। গুজরাট বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৮২। সমীক্ষক দলের মতে, এর মধ্যে বিজেপি পাবে ১৩৫টি, কংগ্রেস ৩৫, আপ ১১টি এবং অন্যান্যরা একটি আসন। গুজরাটের ২২ হাজারেরও বেশি ভোটারের মতামতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তে এসেছে ওই সমীক্ষক দল।

    প্রাক ভোট সমীক্ষা করেছে জি ২৪ কলকও। তাদের মতে, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি পাবে ১২৪ থেকে ১৩৯টি আসন। তাদের দাবি, দু মাস ধরে চলা এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছেন প্রায় দু লক্ষ ভোটার। এই সমীক্ষক দলের মতে, বিজেপির পরেই রয়েছে কংগ্রেস। তারা পেতে পারে ৪২ থেকে ৫১টি আসন। গুজরাটবাসীর মনে সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। তারা পেতে পারে শূন্য থেকে তিনটি আসন। এই সমীক্ষায় যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ৪৫ শতাংশই চান ভূপেন্দ্র প্যাটেলই ফের মুখ্যমন্ত্রী হোন। ২৩.৬৩ শতাংশ ভোটার চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী হোন সিআর পাটিল।

    আরও পড়ুন: গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষিত, ভোট হবে দুই দফায়

    টাইমস নাও-ইটিজির সমীক্ষায়ও প্রথম স্থানে রাখা হয়েছে বিজেপিকে। ফের রাজ্যের ক্ষমতা দখলে বিজেপির পথে কংগ্রেস যে কোনও কাঁটা বিছোতে পারবে না, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এই সমীক্ষক দলের করা সমীক্ষায়ও। এই সমীক্ষক দলের মতে, বিজেপি পাবে ১২৫ থেকে ১৩০টি আসন। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস। তারা পাবে ২৯ থেকে ৩৩টি আসন। আম আদমি পার্টি পেতে পারে ২০ থেকে ২৪টি আসন। এক থেকে তিনটি আসনের রাশ যেতে পারে অন্যান্যদের হাতে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দেশজুড়ে যে উন্নয়নের জোয়ার বইছে, গুজরাটে যে বইছে সুশাসনের পবন, এই সমীক্ষাগুলির ফলেই তা স্পষ্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Karnataka Elections: কর্নাটকের ভোটে বিপুল জয় বিজেপির, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?   

    Karnataka Elections: কর্নাটকের ভোটে বিপুল জয় বিজেপির, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বর মাসেই বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা গুজরাটে (Gujarat)। সেখানে বিজেপির (BJP) জয় এক প্রকার নিশ্চিত বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের। তার আগেই বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে গেল গেরুয়া শিবির। কর্নাটকের ভোটে (Karnataka Elections) ৩৫টির মধ্যে ১৭টি আসনে জয় পেল পদ্ম শিবির। তবে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন হয়নি, বিজয়পুরা মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে ওই জয় পেয়েছে বিজেপি। এই মিউনিসিপ্যালিটিতে একক বৃহত্তম দল হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছে মোদি-অমিত শাহের দল।

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। তার পর থেকে দেশজুড়ে শুধুই উন্নয়নের জোয়ার। তার সুফলও ঘরে তুলছে বিজেপি। একের পর এক রাজ্য জয় করে চলেছে পদ্ম শিবির। বিভিন্ন আঞ্চলিক নির্বাচনেও বিপুল ভোটে বিরোধীদের পরাস্ত করে ক্ষমতা দখল করছে গেরুয়া পার্টি। কেবল কর্নাটকের বিজয়পুর মিউনিসিপ্যাল নির্বাচন নয়, ওই রাজ্যেরই কোল্লেগাল সিটি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের উপনির্বাচনেও সাতটি আসনের মধ্যে ছটিতে বিজয়ী হয়েছেন পদ্ম প্রার্থীরা। রাজ্যে দলের এই ফলে যারপরনাই খুশি বিজেপি নেতৃত্ব। দলের এই অপ্রত্যাশিত ফলের কারণে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বিজয়পুরার বিধায়ক বিজেপির বাসনাগৌড়া পাটিল ইয়াটনাল এবং দলীয় কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে কমিটি, সিদ্ধান্ত নিল গুজরাট সরকার

    আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বিজয়পুরা উত্তরে কংগ্রেস (Congress) জয়ী হয়েছে মাত্র ১০টি আসনে। এআইএমআইএম জিতেছে দুটি আসন। আর জনতা দল সেকুলার জিতেছে মাত্রই একটি আসনে। পাঁচটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। বিজয়পুরা ও কোল্লেগালের ভোট হয়েছিল ২৮ অক্টোবর। ফল প্রকাশ হয় ৩১ তারিখ, সোমবার।

    প্রসঙ্গত, বিজয়পুরায় ভোট হল ছ বছর পরে। সিটি মিউনিসিপ্যালিটি থেকে কর্পোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর এই প্রথম হল নির্বাচন। বোর্ড গঠনে নির্দল প্রার্থীদেরও সমর্থন মিলবে বলে আত্মবিশ্বাসী বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। এদিকে, কোল্লেগালে যে সাতটি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে, সেগুলিতে বহুজন সমাজবাদী পার্টির কাউন্সিলররা বিজেপিতে যোগ দেন কিছু দিন আগেই। তার জেরেই হয়েছে উপনির্বাচন। এই উপনির্বাচনের পর ৩১ আসনের কোল্লেগালের রাজনৈতিক ছবিটা দাঁড়াল এইরকম। বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১৩, কংগ্রেসের ১১ এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির ২। চারটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা।  

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে কমিটি, সিদ্ধান্ত নিল গুজরাট সরকার

    Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে কমিটি, সিদ্ধান্ত নিল গুজরাট সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরেই বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে গুজরাটে (Gujrat)। প্রত্যাশিতভাবেই মাঠে নেমে পড়ছে সব দল। ক্ষমতায় ফিরতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বিজেপি (BJP)। কংগ্রেস (Congress) এখনও সেভাবে ঘর গুছিয়ে উঠতে পারেনি। তবে কোমর কষে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (AAP)। এমতাবস্থায় বিরোধীদের মাত দিতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করার সিদ্ধান্ত নিল গুজরাট সরকার। গুজরাটে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। শনিবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে একটি কমিটি গঠনের কথা ঘোষণার কথা বলেছেন তিনিই। কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) লাগু প্রসঙ্গে গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংগাভি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) হল দেশের সব নাগরিকের জন্য এক আইন। দেশের সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও একই আইন কার্যকর হবে। উত্তরাধিকার, বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ এবং সন্তান দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রেও দেশের সব নাগরিককেই একই আইন মেনে চলতে হবে। ভারতীয় সংবিধানের ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে এর উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভারতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করতে উদ্যোগ নিতে হবে রাষ্ট্রকে।

    আরও পড়ুন: দোরগোড়ায় গুজরাট ভোট, রণকৌশল স্থির করতে বৈঠকে মোদি-শাহ

    প্রসঙ্গত, ১৮ অক্টোবর দেশের শীর্ষ আদালতকে কেন্দ্র জানিয়েছিল দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজন একটি আইন প্রণয়ন করা। সরকারের যুক্তি ছিল, ধর্মভিত্তিক ব্যক্তিগত বিভিন্ন আইন জাতীয় ঐক্যের অবমাননা। অভিন্ন দেওয়ানি বিধিই বিভিন্ন সম্প্রদায়কে একটি ছাতার তলায় নিয়ে আসবে এবং নিশ্চিত করবে ভারতের একীকরণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Shivraj Patil: শিবরাজের ‘গীতা-জিহাদ’ সম্পর্কের কথা কংগ্রেসের হিন্দু বিরোধী মানসিকতারই প্রকাশ, সাফ কথা বিজেপির

    Shivraj Patil: শিবরাজের ‘গীতা-জিহাদ’ সম্পর্কের কথা কংগ্রেসের হিন্দু বিরোধী মানসিকতারই প্রকাশ, সাফ কথা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গীতা (Gita) নিয়ে কংগ্রেসের (Congress) প্রবীণ নেতা শিবরাজ পাটিলের (Shivraj Patil) মন্তব্যের জেরে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল বিজেপি। তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদও (VHP)। কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদীও। তিনি বলেন, এই মন্তব্যের দায় নেওয়া উচিত কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গে অথবা কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর।  

    বৃহস্পতিবার বই প্রকাশের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে শিবরাজ (Shivraj Patil) বলেন, কেবল কোরানে নয়, জিহাদের (Jihad) উল্লেখ রয়েছে শ্রীমদ্ভগবদগীতায়ও! এর পরেই দেশজুড়ে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। শিবরাজের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে গোটা দেশে। কড়া মন্তব্য করেন গেরুয়া নেতৃত্বও। বিজেপির মুখপাত্র সঈদ শাহনাওয়াজ হুসেন শিবরাজকে আক্রমণ করেন বলেন, একজন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন, শিবরাজ পাটিল (Shivraj Patil) জিহাদের সঙ্গে গীতার সংযোগ খুঁজে পেয়েছেন! আমরা জানি কংগ্রেস হিন্দু সমাজের ওপর রেগে রয়েছে। হুসেন বলেন, কিন্তু জিহাদের সঙ্গে হিন্দু ধর্মের সংযোগের কথা বলে কংগ্রেস না হিন্দু, না মুসলমান কাউকেই খুশি করতে পারবে না।

    বিজেপির (BJP) জাতীয় মুখপাত্র সেহজাদ পুন্নাওয়ালা বলেন, ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে শিবরাজ পাটিল (Shivraj Patil) শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে জিহাদের বার্তা দিয়েছিলেন বলে দাবি করছেন। এর পরে পরেই আমরা দেখছি কংগ্রেসের অন্য এক মুখপাত্র উদিত রাজ হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছেন। এই দুই ঘটনা সমাপতন নয়, ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখার খেলা। বিজেপির দাবি, এটা কংগ্রেসের হিন্দু বিরোধী মানসিকতারই প্রকাশ।

    আরও পড়ুন: অর্জুনকে জিহাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ! কংগ্রেস নেতা বলেন কী?

    বিজেপির আর এক নেতা সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু, হিন্দুত্ব এবং হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। পাটিলের (Shivraj Patil) মন্তব্য এরই অন্য একটি অধ্যায়। কংগ্রেস নেতারা আগেও বোকা হারাম এবং তালিবানের সঙ্গে হিন্দুত্বের তুলনা টেনেছিল। শিবরাজের (Shivraj Patil) এই বিতর্কিত মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদও। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পারান্ডে কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে বলেন, তারা দায়িত্বজ্ঞানহীন। সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে এবং সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে এসব করছে। এর পরেই শিবরাজকে নিশানা করে তিনি বলেন, আমি জানি না উনি (পাটিল) কোন গীতা পড়েছেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেতার দাবি, গীতার কোথাও জিহাদের কোনও উল্লেখ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mallikarjun Kharge: মাথায় কাঁটার মুকুট! আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের দায়িত্ব নিলেন খাড়গে

    Mallikarjun Kharge: মাথায় কাঁটার মুকুট! আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের দায়িত্ব নিলেন খাড়গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আক্ষরিক অর্থেই কাঁটার মুকুট পরে দলের দায়িত্ব নিলেন প্রবীণ কংগ্রেস (Congress) নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। দিল্লিতে (Delhi) কংগ্রেসের সদর দফতরে জয়ের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। এদিন দায়িত্ব নেওয়ার আগে রাজঘাটে গিয়ে মাহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাও জানান কংগ্রেসের নয়া প্রেসিডেন্ট।

    চলতি বছরেই রয়েছে দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। পরের বছর অগ্নিপরীক্ষা দুই রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের। ২০২৪ সালে রয়েছে সাধারণ নির্বাচন। দায়িত্ব নিয়েই এই তিন অস্ত্রের ধাক্কা সামলাতে হবে অশীতিপর এই কংগ্রেস নেতাকে। এদিন দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একাধিক রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। জগজীবন রামের পঞ্চাশ বছর পরে ফের কোনও দলিত সভাপতি পেল কংগ্রেস। নিজলিঙ্গাপ্পার পরে কর্নাটক থেকে কংগ্রেসের দ্বিতীয় সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। শশী থারুরকে ৬ হাজার ৮২৫ ভোটে হারিয়েওছেন কংগ্রেসের নয়া প্রেসিডেন্ট।

    এদিন দায়িত্ব নিয়েই খাড়গে (Mallikarjun Kharge) বলেন, আমরা উদয়পুর চিন্তন শিবিরে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দলের পঞ্চাশ শতাংশ পদে বসাব ৫০ বছরের নীচের বয়সের নেতাদের। আপনাদের সকলের সমর্থন নিয়ে আমরা সেদিকে এগোব। বিজেপি এবং আরএসএসকে নিশানা করে কংগ্রেসের নয়া সভাপতি বলেন, যাঁরা ঘৃণা ছড়াচ্ছেন আমরা তাঁদের পরাজিত করব। যাঁরা ভারত ভাগ করতে চান, পরাজিত করব তাঁদেরও। কর্নাটকের এই কংগ্রেস নেতা (Mallikarjun Kharge) বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশ দেখছে মিথ্যে এবং প্রতারণার রাজনীতি। কংগ্রেস যে গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি করছিল, তা ভেঙে ফেলারও চেষ্টা চলছে। কিন্তু কংগ্রেসের আদর্শ ভারতের সংবিধান ভিত্তিক। এখন সেই সংবিধান রক্ষা করার সময়।

    আরও পড়ুন: ‘গীতা-জিহাদ’ মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়, শিবরাজের ব্যাপারে হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস?

    কংগ্রেসের ভিত্তি যে গণতন্ত্র, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। বলেন, আমি একজন সাধারণ কংগ্রেস কর্মী হিসেবে উঠে এসেছি। আমাকে প্রেসিডেন্ট পদে বসানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আমি এক শ্রমিকের ছেলে, আজ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, কংগ্রেসই এক মাত্র দল যেখানে অন্তবর্তী গণতন্ত্র রয়েছে। আমার ভোট জয়ে তা প্রমাণিত হয়েছে আরও একবার। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার প্রশংসা করে খাড়গে বলেন, দলের বার্তা তৃণমূলস্তরে পৌঁছে দিতে এটা একটা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। কংগ্রেস অনেক ভাল কাজ করেছে বলেও জানান খাড়গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Shivraj Patil:  ‘গীতা-জিহাদ’ মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়, শিবরাজের ব্যাপারে হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস?   

    Shivraj Patil:  ‘গীতা-জিহাদ’ মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়, শিবরাজের ব্যাপারে হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপাকে পড়ে প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ পাতিলের (Shivraj Patil) সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করল কংগ্রেস (Congress)। গীতা (Gita) নিয়ে শিবরাজের মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় বলেও জানিয়ে দিল গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh)। রমেশের পাল্টা দাবি, ভারতীয় সভ্যতার মূল ভিত্তিস্তম্ভ স্বরূপ হল শ্রীমদ্ভগবদগীতা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া (Discovery of India) গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি তুলে ধরে রমেশ ট্যুইট বার্তায় গীতার বিশ্বজনীনতার কথাও উল্লেখ করেন।

    বৃহস্পতিবার বই প্রকাশের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে কংগ্রেস (Congress) নেতা শিবরাজ (Shivraj Patil) বলেন, কেবল কোরানে নয়, জিহাদের (Jihad) উল্লেখ রয়েছে গীতায়ও। খ্রিস্টান ধর্মেও জিহাদের কথা রয়েছে বলেও দাবি করেন প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। শিবরাজের এই মন্তব্যের পরে পরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের দাবি, শিবরাজের এই মন্তব্যের দায় নেওয়া উচিত কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং নবনির্বাচিত সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের। সূত্রের খবর, তার পরেই শিবরাজের ব্যাপারে হাত ধুয়ে ফেলতে উদ্যোগী হয় কংগ্রেস। ট্যুইট বার্তায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন রমেশ। তিনি লেখেন, আমার প্রবীণ সহকর্মী শিবরাজ পাতিল (Shivraj Patil) গীতা নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়। এ ব্যাপারে কংগ্রেসের অবস্থান স্পষ্ট। গীতা ভারতীয় সভ্যতার প্রধান ভিত্তিস্তম্ভ স্বরূপ। এর পরেই নেহরুর ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়ার একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরেন রমেশ।

    অন্য একটি ট্যুইটে রমেশ বলেন, ঘটনচক্রে আমি কৈশোরে গীতা পড়েছি। এটি একটি সাংস্কৃতিক ও দার্শনিক পুস্তক। ভারতীয় সমাজে এর প্রভাব পড়েছে যুগের পর যুগ ধরে। তবে রমেশের এই কথায় যে চিঁড়ে ভিজছে না, তার প্রমাণ মিলল বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সেহজাদ পুন্নাওয়ালার কথায়। তিনি বলেন, কংগ্রেস সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে।

     

    আরও পড়ুন: শিবরাজের ‘গীতা-জিহাদ’ সম্পর্কের কথা কংগ্রেসের হিন্দু বিরোধী মানসিকতারই প্রকাশ, সাফ কথা বিজেপির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Shivraj Patil: অর্জুনকে জিহাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ! কংগ্রেস নেতা বলেন কী?

    Shivraj Patil: অর্জুনকে জিহাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ! কংগ্রেস নেতা বলেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবল কোরানে নয়, জিহাদের উল্লেখ রয়েছে শ্রীমদ্ভগবদগীতায়ও! বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা শিবরাজ পাতিল (Shivraj Patil)। এদিন কংগ্রেস নেত্রী মহসিনা কিদওয়াইয়ের জীবনী প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শিবরাজ। সেখানেই তিনি বলেন, কেবল কোরানে নয়, জিহাদের উল্লেখ রয়েছে শ্রীমদ্ভগবদগীতায়ও।

    দ্বিতীয় ইউপিএ জমানায় কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন শিবরাজ (Shivraj Patil)। মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার পর পদত্যাগ করেন তিনি। অশীতিপর কংগ্রেস নেতা শিবরাজ বলেন, খ্রিস্টানরা এটা নিয়ে লিখেছিলেন। যীশু খিস্ট লিখেছিলেন আমি এখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আসিনি। আমি এখানে তরবারি নিয়েও এসেছি। অনেক বোঝানোর পরেও যাঁকে বোঝানো যাবে না এবং তিনি যদি অস্ত্র নিয়ে আসেন, আপনি পালাতে পারেন না। এর পর তিনি বলেন, আপনি একে জিহাদ (Jihad) বলতে পারেন না।এবং আপনি একে ভুলও বলতে পারেন না। এটা ঘটা উচিত নয়। একজনের উচিত নয় অস্ত্র নিয়ে কাউকে বোঝানো।

    ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি (BJP)। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুন্নাওয়ালা বলেন, কংগ্রেস সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে। শিবরাজ পাতিল যিনি হিন্দু সন্ত্রাস / গেরুয়া সন্ত্রাসের কথা বলেছিলেন, তিনি এখন জিহাদকে গীতার সঙ্গে তুলনা করছেন। মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে জিহাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন বলছেন। এটা অপমান। তবে আমরা বিস্মিত হচ্ছি না। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, আপের গোপাল ইটালিয়া ও রাজেন্দ্র পালের পর এবার হিন্দু বিদ্বেষ ও ভোটব্যাংক রাজনীতির কারণে শিবরাজ পাটিল বলতে শুরু করেছেন শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে জেহাদ শিখিয়েছিলেন। কংগ্রেস হিন্দু গেরুয়া সন্ত্রাসের কথা বলে, রাম মন্দিরের বিরোধিতা করে রামের অস্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ওরা বলে হিন্দুত্ববাদ আইসিসের সমান। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী বলেছিলেন হিন্দুদের থেকে এলইটি কম বিপজ্জনক। ২৬/১১র ঘটনার পর দিগ্বিজয় সিং দোষ দিয়েছিলেন হিন্দু গোষ্ঠীকে। গুজরাট নির্বাচনের আগে ভোটব্যাংকের মেরুকরণ করতেই হিন্দু বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে বলেও অনুযোগ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে বাড়ছে ‘লাভ জিহাদ’! রামগড়ে ভাইকে হত্যা বোনের, রাঁচিতে স্কুলে হিন্দু ছাত্রীদের ‘হুমকি’

     

     

  • Himachal Pradesh: ভোটের আগেই মাত কংগ্রেসকে! হিমাচল প্রদেশে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    Himachal Pradesh: ভোটের আগেই মাত কংগ্রেসকে! হিমাচল প্রদেশে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) ভোটের ঢের আগেই প্রতিপক্ষ কংগ্রেসকে (Congress) মাত দিল বিজেপি (BJP)! বুধবার পদ্ম শিবির প্রকাশ করল প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা। এই দফায় ৬২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির। এঁদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচজন মহিলাও। বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি এই তালিকা অনুমোদনও করেছে।

    জানা গিয়েছে, এদিন যে ৬২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তফশিলি জাতির প্রার্থী রয়েছেন ১১ জন। তফশিলি উপজাতি প্রার্থী রয়েছেন ৮জন। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতাকে।এদিন যে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের দুই তৃতীয়াংশই স্নাতক বা স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ।

    গত বিধানসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) যাঁরা জয়ী হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যেও ১১ জনকে এবার প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়নি। খোদ মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর এবার লড়বেন সেরাজ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। মাণ্ডি থেকে লড়বেন অনিল শর্মা। আর উনা কেন্দ্র থেকে লড়বেন সতপাল সিং সট্টি। চৌরা কেন্দ্র থেকে লড়বেন হংসরাজ। মানালি কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন গোবিন্দ সিং ঠাকুর। বানজার কেন্দ্রে পদ্ম প্রার্থী সুরেন্দর শৌরি। এবার টিকিট পাননি হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রেমকুমার ধুমল। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। প্রেমকুমার অনুরাগ ঠাকুরের বাবা। অনুরাগ মোদি মন্ত্রিসভার মন্ত্রী। অনুরাগের শ্বশুর গুলাব সিংকেও এবার টিকিট দেওয়া হয়নি। গত বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন তিনিও।

    আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইতে হবে, হিন্দু দেব-দেবীদের নিয়ে আপ মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বিজেপি

    এদিকে, আসন বদলে দেওয়া হয়েছে দুই মন্ত্রীর। এঁরা হলেন শিমলার বিধায়ক সুরেশ ভরদ্বাজ ও নুরপুরের বিধায়ক রাকেশ পাঠানিয়া। মন্ত্রী মহেন্দ্র সিংয়ের বদলে টিকিট দেওয়া হয়েছে তাঁর ছেলে রজত ঠাকুরকে। ধরমপুর কেন্দ্রেই লড়বেন তিনি। হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) বিধানসভার আসন সংখ্যা ৬৮। সোমবারই বৈঠকে বসেছিল বিজেপির সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিটি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। ওই কমিটিতে আলোচনার পরেই চূড়ান্ত করা হয় প্রার্থী তালিকা। প্রসঙ্গত, নভেম্বরের ১২ তারিখে নির্বাচন হবে হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh)। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ অক্টোবর। ভোট গণনা হবে ৮ ডিসেম্বর। গত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। তারা পেয়েছিল ৪৪টি আসন। আর প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ২১টি আসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mallikarjun Kharge: গোহারা হারলেন থারুর, কংগ্রেসের রাশ খাড়গের হাতে

    Mallikarjun Kharge: গোহারা হারলেন থারুর, কংগ্রেসের রাশ খাড়গের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গো হারা হারলেন শশী থারুর। কংগ্রেস (Congress) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শেষ হাসি হাসলেন প্রবীণ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। বুধবার বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে স্বাধীনতা-উত্তর গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির ৩৬তম সভাপতি নির্বাচিত হলেন খাড়গে। এই ঘটনায় দু দশক পরে কোনও এক অ-গান্ধী সভাপতি পেল কংগ্রেস।

    উনিশের ভোটে বিজেপির কাছে হারের কারণে কংগ্রেস সভাপতি পদে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধী (Rahul gandhi)। দলের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হন সোনিয়া গান্ধী। শারীরিক অসুস্থতার কারণে দলের হাল ধরতে রাজি হননি সোনিয়া। তাই হয় নির্বাচন। লড়াইয়ের ময়দানে হাজির শশী থারুর এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে। খাড়গে হাইকমান্ডের প্রার্থী হিসেবে পরিচিত। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৯৭টি ভোট। আর শশী থারুর পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৭২টি ভোট।

    প্রসঙ্গত, এর আগে শেষবার কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন হয়েছিল ২০০০ সালে। সেবার সোনিয়ার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের নেতা জিতেন্দ্র প্রসাদ। সোনিয়ার কাছে মুখ থুবড়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে জিতেন্দ্র প্রসাদের থেকে ঢের বেশি ভোট পেয়েছেন থারুর। যদিও জয়ের মুখ দেখেননি। জয়ের পরে দলের নয়া প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শশী।  যদিও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিলেন থারুর। তাঁর অভিযোগ ছিল, রাজ্যস্তরের নেতা কিংবা দলের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে তিনি কোনও সহযোগিতা পাচ্ছেন না। কোনও কোনও রাজ্য তাঁকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। বুধবার, ভোটের ফল প্রকাশের দিনও থারুর উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব এবং তেলঙ্গানায় গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন।

    এদিকে, খাড়গের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন কংগ্রেসের একটা বড় অংশ। এদিন ভোটের ফল ঘোষণার ঢের আগেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, আমার ভূমিকা নির্ধারণ করবেন কংগ্রেস সভাপতি…খাড়গেজিকে জিজ্ঞাসা করুন। বর্তমানে রাজ্য সভায় বিরোধী দলনেতা খাড়গে। হিন্দি এবং ইংরেজিতে দুর্দান্ত ভাষণ দেন তিনি। রাজ্যসভার দায়িত্ব সামলেছেন দক্ষ হাতে। কংগ্রেসের ভাঙা নৌকার হাল কত শক্ত হাতে ধরতে পারেন তিনি, এখন তাই দেখার।  

    আরও পড়ুন: কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট পড়ল ৯৬ শতাংশ, শেষ হাসি হাসবেন কে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share