Tag: congress

congress

  • Anand Sharma: দুটো নামে সীমাবদ্ধ নয় কংগ্রেস! জানেন গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে কি বললেন আনন্দ শর্মা

    Anand Sharma: দুটো নামে সীমাবদ্ধ নয় কংগ্রেস! জানেন গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে কি বললেন আনন্দ শর্মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গান্ধী পরিবারই কংগ্রেস (Congress) নয়। এর বাইরেও ভাবতে হবে কংগ্রেসকে, স্টিয়ারিং কমিটি থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আনন্দ শর্মা (Anand Sharma)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি বারবার কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্র নিয়ে সমালোচনা করেছেন। এবার কংগ্রেসের অন্দরেই সেই বিরোধ দেখা দিল।

    আনন্দ শর্মা বলেন, “গান্ধী পরিবারের বাইরেও ভাবা উচিত কংগ্রেসের। বিশেষত, এখন যখন দলের জাতীয় সভাপতি হতে অস্বীকার করেছেন রাহুল গান্ধী, সেখানে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বিকল্প মুখ ভাবা উচিত”। ১৯৭৮ সালে ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে হাতে গোনা কয়েকজন নেতার জন্যই টিকে ছিল কংগ্রেস, এমনটাই দাবি করেন তিনি। বিক্ষুব্ধ নেতা বলেন, “আমার মতো কয়েকজনই সেই সময় থেকে দলকে টিকিয়ে রেখেছে…এই দল আমাদের সবার।” দলের শীর্ষ পদ শুধুমাত্র সনিয়া গান্ধী বা রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয় বলেই জানান বিক্ষুব্ধ এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। এর সপক্ষে তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, “কংগ্রেস কী দুটি নামেই সীমাবদ্ধ? আমরা কী কংগ্রেসের ইতিহাস ভুলে যাচ্ছি না?”

    আরও পড়ুন: সভাপতি পদে রাহুলের ‘না’, গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা পাচ্ছে কংগ্রেস?

    সামনে হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আনন্দ শর্মাকে হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ সেই পদ ছেড়ে দিলেন প্রবীণ নেতা। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) চিঠি লিখে আনন্দ জানিয়েছেন, নিজের আত্মসম্মানের সঙ্গে কোনওভাবেই আপস করতে রাজি নন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। তবে পদ ছাড়লেও হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে তিনি প্রচারপর্ব চালিয়ে যাবেন বলেই জানিয়েছেন আনন্দ।

    আরও পড়ুন: ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন জ্ঞানবন্ত! কীসের ভয়

    দিন কয়েক আগে একইভাবে জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছিলেন গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। এবার আজাদের পথই ধরলেন আনন্দ। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা কপিল সিব্বল দলত্যাগ করেছেন। সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে রাজ্যসভায় মনোনীত হয়েছেন তিনি। আনন্দ শর্মা সিব্বলের বেশ ঘনিষ্ঠ। সিব্বল যে বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গ্রুপের সদস্য ছিলেন, গুলাম নবি আজাদ এবং আনন্দ শর্মাও সেই গ্রুপেরই অংশ ছিলেন। 

  • Bihar Politics: বিহারে নীতীশ মন্ত্রিসভার ৭২ শতাংশ মন্ত্রীই দুর্নীতিগ্রস্ত! 

    Bihar Politics: বিহারে নীতীশ মন্ত্রিসভার ৭২ শতাংশ মন্ত্রীই দুর্নীতিগ্রস্ত! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের (Bihar) নয়া মন্ত্রিসভার অন্তত ৭২ শতাংশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা (Criminal Case) রয়েছে আদালতে। এর মধ্যে আবার ১৭ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর ফৌজদারি মামলা। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR) এর রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই তথ্য। রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, বিহার মন্ত্রিসভায় শপথ নেওয়া ৩৩ জন মন্ত্রীর (Minister) মধ্যে ২৭ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। শতাংশের হিসেবে যা দাঁড়ায় ৭২।

    এনডিএ (NDA) সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেস (Congress) এবং আরজেডির (RJD) সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়েন জেডিইউ (JDU) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। অষ্টমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন তিনিই। দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন নীতীশ। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন আরজেডি নেতা তথা লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব। সম্প্রতি শপথ নেন ওই মন্ত্রিসভার আরও ৩১ জন মন্ত্রী। নয়া এই সরকারে আরজেডির ১৭ জন মন্ত্রী রয়েছেন। এঁদের মধ্যে ১৫ জনের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে আবার ১১ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর ফৌজদারি মামলা।

    আরও পড়ুন :নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

    প্রসঙ্গত, এদিন যে ৩১ জন মন্ত্রী শপথ নেন, তাঁদের মধ্যে আরজেডি এবং জেডিইউ ছাড়াও রয়েছেন কংগ্রেসের দুই এবং হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার একজন। এক নির্দলও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন এদিন। কংগ্রেসের এই দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও রয়েছে ফৌজদারি মামলা। নীতীশের এই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়েছে জেডিইউয়ের ১১ জনের। এঁদের মধ্যে ফৌজদারি মামলা রয়েছে ৪ জনের বিরুদ্ধে। ফৌজদারি মামলায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীও।

    আরও পড়ুন : নতুন সঙ্গী আরজেডি! বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ নীতীশের, ফের ‘মহাজোট’-এর পথে বিহার?

    এদিকে, নীতীশের নেতৃত্বে মহাজোটের এই সরকারে আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আরজেডির কার্তিকেয় সিংহ (Kartikeya Singh)। তিনি যেদিন আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন, সেদিনই তাঁর হাজির হওয়ার কথা ছিল আদালতে। একটি অপহরণের মামলায় বিহারের দানাপুর আদালতে আত্মসমর্পণের কথা ছিল তাঁর। ওই দিনই ছিল শেষ দিন। আদালতের দেওয়া সময়সীমার শেষ দিনেও সেখানে হাজিরা না দিয়ে তিনি অংশ নিয়েছেন শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস এর রিপোর্টে প্রকাশ্যে আসতেই হইচই রাজ্যজুড়ে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপিও। পদ্ম শিবিরের দাবি, মহাজোট সরকারের সিংহভাগ মন্ত্রীই দুর্নীতিগ্রস্ত।

        

  • By Elections: অশান্তির আঁচ উপনির্বাচনেও, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    By Elections: অশান্তির আঁচ উপনির্বাচনেও, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আঁচ উপনির্বাচনেও!  রবিবার উপনির্বাচন (By Elections) হয় আসানসোল পুরনিগম ও বনগাঁ (Bongaon) পুরসভার দুই ওয়ার্ডে। সকাল থেকে কিছুক্ষণের জন্য নির্বিঘ্নে ভোট হলেও, অশান্তি শুরু হয় তার পরেই। কোথাও বিজেপি (BJP) কর্মীদের মারধর, কোথাও আবার শাসক দলের বাধায় বুথেই বসতে পারলেন না বিজেপির এজেন্ট। আসানসোলে (Asansole) এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

    এদিন উপনির্বাচন হয় আসানসোল পুরনিগমের ছ নম্বর ওয়ার্ডে। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী পুর নিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, কোনও কারণ ছাড়াই বিজেপি কর্মীদের মারধর ও কয়েকজন এজেন্টকে বুথে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে জেকে নাগার মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে পদ্ম শিবির। উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুরের বিধায়ক বিজেপির লক্ষ্ণণ ঘোড়ই। বিজেপির অভিযোগ, বাবলু পাসওয়ান নামে তাদের এক কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। লক্ষ্ণণের অভিযোগ, উপনির্বাচনেও শাসক দল সন্ত্রাস চালাচ্ছে, বুথ লুঠ করছে। কিছুক্ষণ বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ। এদিকে, মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮২ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

    অশান্তি হয়েছে বনগাঁ পুরসভার উপনির্বাচনেও। এদিন ভোট হয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের একটি বুথের বাইরে বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির স্বপন মজুমদারকে নিগ্রহের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীকেও ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে বিধায়ক এলাকায় ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। শনিবার বিভিন্ন বাড়িতে ফোন করে তিনি ভয় দেখিয়েছেন বলেও অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বনগাঁ মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় তৃণমূল।

    আরও পড়ুন : ’২৪ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন, দাবি সুশীল মোদির

    এদিকে, ওই ওয়ার্ডেরই কেশবলাল বিদ্যাপীঠে ভোট দেখতে যান বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিজেপির অশোক কীর্তনীয়া। তাঁকে দেখা মাত্রই চিৎকার জুড়ে দেন তৃণমূল কর্মীরা। অশোকের দাবি, তিনি ওই বুথেরই ভোটার। উত্তেজনা চরমে পৌঁছলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেসও (Congress)। ঘটনার প্রতিবাদে কংগ্রেস প্রার্থী প্রভাস পালের নেতৃত্বে এদিন দুপুরে বাজার মোড় এলাকায় পথ অবরোধ করে সোনিয়া গান্ধির দল। সন্ত্রাসের অভিযোগে পাটার মোডে পথ অবরোধ করে বিজেপিও। ওই একই অভিযোগে রামনগর রোড সংলগ্ন এলাকায় যশোর রোড অবরোধ করে সিপিএম-ও (CPM)।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

  • Congress: সভাপতি পদে রাহুলের ‘না’, গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা পাচ্ছে কংগ্রেস?

    Congress: সভাপতি পদে রাহুলের ‘না’, গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা পাচ্ছে কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহের শুরুতেই কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন (Congress President Poll)। অথচ ওই পদে প্রার্থী হতে রাজি নন কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা গান্ধী পরিবারের সদস্য রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। নিতান্তই রাহুল ওই পদে না বসলে দীর্ঘ দিন পর এবারই প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ বসতে চলেছেন ওই পদে।

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের। বিপুল শক্তি নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে বিজেপি (BJP)। ফের প্রধানমন্ত্রীর তখতে বসেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর দলের জাতীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল। তার পর থেকে পদটি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি আর সভাপতির পদে বসতে চান না। বয়সজনিত কারণ ও মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি চান এবার ওই পদে বসুন অন্য কেউ।

    সূত্রের খবর, দলের একটা বড় অংশ ওই পদে রাহুলকেই চাইছিলেন। তবে ওই পদে বসতে চান না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। অবশ্য কংগ্রেসেরই একটা অংশ রাহুলকে ওই পদে ফেরাতে মরিয়া। উনিশের ভোটের পর রাহুল ইস্তফাপত্র জমা দিলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। তবে রাহুলও সাফ জানিয়ে দেন তিনি ওই পদে থাকছেন না। তিনি এও জানিয়েছিলেন, পার্টি প্রেসিডেন্ট পদে গান্ধী পরিবারেরই কাউকে বসতে হবে, এমন কথা নেই। তার পর থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন সোনিয়া।

    আরও পড়ুন : দায়িত্ব পেয়েই ইস্তফা গুলাম নবি আজাদের, ‘ক্ষোভের আঁচে’ বিপাকে কংগ্রেস

    রাহুল না বলে দেওয়ায় ওই পদে কাকে বসানো যায়, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে দলের অন্দরেই। তার পরেই জল্পনা দানা বাঁধছে কয়েকটি নাম নিয়ে। এঁরা হলেন, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, দলের সাধারণ সম্পাদক মুকুল ওয়াসনিক, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমার, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। দলের একটি সূত্রের খবর, ওই পদে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে বসানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেসের একটি অংশ। তবে প্রিয়ঙ্কাও রাজি না হলে সীতারাম কেশরির পর এই প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ বসবেন ওই পদে। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন কেশরি।

    আরও পড়ুন : মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে প্রোফাইল পিকচার বদলালেন রাহুল গান্ধীও!

  • Nitish Kumar: বিজেপি ছেড়ে আরজেডি! মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই, জানুন কী বলছে বিহারের নয়া সমীকরণ

    Nitish Kumar: বিজেপি ছেড়ে আরজেডি! মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই, জানুন কী বলছে বিহারের নয়া সমীকরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। মঙ্গলবার দলীয় সাংসদ এবং বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসবে জেডিইউ। এরপরেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে দেন নীতীশ। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর সদ্ধান্তের কথা জানান। এর আগে নীতীশ রাবড়ি দেবীর বাড়িও যান বলে খবর। সেখানে রাবড়ি ও লালু পুত্র তেজস্বীর সঙ্গে কথা হয় নীতীশের। রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা দিয়ে আসার পর নীতীশ জানান, এটা তাঁর একার নয় দলগত সিদ্ধান্ত।

    সূত্রের খবর, মহাজোটের সব বিধায়কের জন্য মঙ্গলবার রাবড়ি দেবীর বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাবড়ি দেবীর বাসভবন ১০ সার্কুলার রোডে অবস্থিত। অন্যদিকে, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার কংগ্রেস কোটা থেকে একজন উপমুখ্যমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু তার প্রস্তাবে আরজেডি আপত্তি জানিয়েছে। আরজেডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নীতীশ কুমারকে সমর্থন জানাবে আরজেডি। মন্ত্রীসভা গঠনে কোনও বিভেদ থাকবে না। তেজস্বী যাদব জানিয়েছেন যে, তাঁদের ১৬০ জনের সমর্থন রয়েছে।

    আরও পড়ুন: নতুন সঙ্গী আরজেডি! বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ নীতীশের, ফের ‘মহাজোট’-এর পথে বিহার?

    জেডিইউ-র সংসদীয় বোর্ডের সভাপতি উপেন্দ্র কুশওয়াহা নীতীশ কুমারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি এদিন ট্যুইটে লিখেছেন, ‘নতুনভাবে নতুন নেতৃত্বের জন্য নীতীশ কুমারকে অভিনন্দন। ‘বর্তমানে বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। তাঁর হাতে স্বরাষ্ট্র দফতর থাকবে। আরজেডি সূত্রে খবর, ২০১৫ সালের মতোই ১৫ জন মন্ত্রী পেতে পারে আরজেডি। স্পিকার পদে বসতে পারেন আরজেডি নেতা। 

    সূত্রের খবর, বিহার মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেবেন ১৬ জন  বিজেপি (BJP) মন্ত্রী। ২৪৩টি আসনের বিহার বিধানসভায় এই মুহূর্তে নীতীশ কুমারের জেডিইউয়ের বিধায়ক সংখ্যা ৪৫। অন্য দিকে, বিহারে একক বৃহত্তম দল তেজস্বীর আরজেডি। তাঁর দলের ৭৯ জন বিধায়ক। দ্বিতীয় বৃহত্তম দল বিজেপি, তাদের কাছে ৭৭ জন বিধায়ক। বিহারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ১২২ জনের সমর্থন।

    আরও পড়ুন: ধনখড়ের প্রশ্নের মুখে মমতার ১৯ বিল, নতুন রাজ্যপাল কি আদৌ সই করবেন?

    এ ছাড়া কংগ্রেসের আছে ১৯ জন বিধায়ক। সিপিআইএমএল লিবারেশনের রয়েছেন ১২ জন বিধায়ক। জিতনরাম মাঝির হামের রয়েছে চার জন বিধায়ক। সিপিএম এবং সিপিআইয়ের রয়েছে মোট চার বিধায়ক। এক জন করে নির্দল ও এআইএমআইএম বিধায়ক। এই হিসেব অনুযায়ী পূর্বতন মহাগটবন্ধনের অঙ্ক কষলে দেখা যাচ্ছে, আরজেডি, কংগ্রেস ও জেডিইউ মিলিয়ে ১৪৩ জন বিধায়ক। যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে অনেকটাই বেশি। পাশাপাশি সিপিআইএমএল লিবারেশন, সিপিএম ও সিপিআই-ও আগের মহাগটবন্ধন সরকারে ছিল। জিতনরাম মাঝির হামের চার বিধায়ক তেজস্বী, নীতীশের পাশেই থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। অতএব পদ্ম ছেড়ে লণ্ঠন হাতে নিয়েও অ্যানে মার্গের বাসভবনে ফেরায় কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় নীতীশের। তিনিই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, থাকবেনও!

  • Bihar Politics: অষ্টমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন নীতীশ

    Bihar Politics: অষ্টমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন নীতীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন মঙ্গলবার। বুধবার ফের অষ্টমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন জনতা দল ইউনাইটেড (JDU) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। অটল বিহারী বাজপেয়ীর জমানায় সামলেছেন কৃষি, রেল সহ একাধিক মন্ত্রক। বিজেপির সমর্থনে পরে বসেন বিহারের (Bihar) তখতে। এবার ফের বসলেন। তবে এবার পাশে পেয়েছেন আরজেডি (RJD) এবং বাম-কংগ্রেসকে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ বসলেও, উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন আরজেডির তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। এদিন দুপুর দুটোয় রাজভবনে শপথ নেন তাঁরা।  

    এদিন একটি গাড়িতে করে নীতীশ এবং তেজস্বী যান রাজভবনে। বিহার বিধানসভায় বৃহত্তম দল আরজেডির ৭৯ বিধায়কের সঙ্গে যোগ হল নীতীশ কুমারের দলের ৪৫ জন। এর সঙ্গে যুক্ত হল কংগ্রেসের (Congress) ১৯ জন এবং বামেদের ১৬ জনও। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাজির দলের চারজন এবং একজন নির্দলও সমর্থন করেন নীতীশকে। সব মিলিয়ে এদিন ১৬৪ জন বিধায়কের সমর্থনের চিঠি রাজ্যপালের হাতে তুলে দেন নীতীশ।

    আরও পড়ুন :পাটনায় পালাবদল! নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী হলেও বেশি ক্ষমতা থাকবে লালু-পুত্রর হাতে?

    বিহার বিধানসভার মোট আসন সংখ্যা ২৪৩। ম্যাজিক ফিগার ১২২। নীতীশের সঙ্গে রয়েছে তার চেয়েও ঢের বেশি বিধায়কের সমর্থন। আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, বিহারের রাজনীতি আজ থেকে নতুন পথে যাত্রা শুরু করল। একে শুধু দুজনের শপথ ভাবলে ভুল হবে। এদিকে, এদিন নীতীশকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের নেতা সুশীল মোদি বলেন, নীতীশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিহারের জনগণকে অপমান করেছেন, যাঁরা এনডিএর দিকে তাকিয়ে তাঁকে ভোট দিয়েছিলেন। নীতীশের শপথের দিনটিকে বিশ্বাসঘাতকতা দিবস হিসেবে পালন করছে বিজেপি।

    এদিন শপথ নেওয়ার আগে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবকে ফোন করেছিলেন নীতীশ। জেল থেকেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানান লালু। এদিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী, উপমুখ্যমন্ত্রী তজস্বীর স্ত্রী রাজশ্রী এবং আরজেডি নেতা তেজপ্রতাপরা। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই এদিন নীতীশকে প্রণাম করতে এগিয়ে যান তেজস্বী। শপথ গ্রহণের পর নীতীশ বলেন, দলের সবাই মিলে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি যে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার নন, এদিন তাও জানান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। নীতিশ বলেন, কে বলেছে ২০১৪ সালে যারা জিতেছে, ২০১৪ সালেও তারা ভোটে জিতবে? আমি চাই বিরোধীরা একজোট হোক। তিনি বলেন, তবে আমি প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার নই।  

    আরও পড়ুন : নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

  • ED: জবাব সন্তোষজনক নয়, সোনিয়া-রাহুলকে ফের জেরা করতে পারে ইডি

    ED: জবাব সন্তোষজনক নয়, সোনিয়া-রাহুলকে ফের জেরা করতে পারে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁদের দেওয়া জবাবে সন্তুষ্ট নন ইডির (ED) আধিকারিকরা। তাই ফের ইডির জেরার মুখে পড়তে পারেন কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) তাঁদের ফের জেরা করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর। তবে ঠিক কবে গান্ধী পরিবারের এই দুই সদস্যকে ফের ইডির মুখোমুখি হতে হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় নাম জড়িয়েছে কংগ্রেসের। ওই মামলায় জেরা করার জন্য রাহুলকে তলব করেছিল ইডি। রাহুল বিদেশে থাকায় নির্ধারিত সময়ে হাজিরা দিতে পারেননি। দেশে ফিরেই অবশ্য ইডি দফতরে হাজিরা দেন রাহুল। ছ দিন ধরে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাহুলকে। রেকর্ড করা হয় তাঁর বয়ান। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সোনিয়াকেও। তবে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দিতে পারেননি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টও। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে হাজিরা দেন ইডি দফতরে। মোট তিন দফায় ন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করা হয় সোনিয়াকে। ওই মামলায় দিন কয়েক আগে ন্যাশনাল হেরাল্ডের অফিস সহ দেশের ১২টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে চালানো হয় তল্লাশিও।

    আরও পড়ুন :ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি

    ইডি সূত্রে খবর, সোনিয়া, রাহুল সহ কংগ্রেসের যাঁদের ওই মামলায় জেরা করা হয়েছে, তাঁরা জানিয়েছেন কোষাধ্যক্ষ থাকায় অর্থনীতি সংক্রান্ত যা কিছু সিদ্ধান্ত তা নিতেন দলের কোষাধ্যক্ষ প্রয়াত মতিলাল ভোরা। প্রসঙ্গত, সোনিয়া এবং রাহুল ছাড়াও কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, পবন বনশল এবং সুমন দুবেকে এখনও পর্যন্ত জেরা করেছে ইডি। এঁরাও প্রত্যেকেই ভোরার নাম নিয়েছেন। তবে এখনও অব্দি তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ পায়নি ইডি। সোনিয়া এবং রাহুলের জবাবেও সন্তুষ্ট নন ইডির আধিকারিকরা। সেই কারণেই ফের করা হতে পারে জেরা। ইডি সূত্রে খবর, ইয়ং ইন্ডিয়া ও অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড যে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল, তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সেটাও গান্ধীদের ফের জেরা করার একটা কারণ।

    আরও পড়ুন :ইডির দফতরে হাজির সোনিয়া, কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল সংসদ থেকে রাস্তা

  • Margaret Alva: বিরোধীদের তোপ দাগলেন ‘হেরো’ মার্গারেট আলভা, কী বললেন জানেন?

    Margaret Alva: বিরোধীদের তোপ দাগলেন ‘হেরো’ মার্গারেট আলভা, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদে এনডিএ (NDA) প্রার্থী বিজেপির (BJP) জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) কাছে গোহারা হেরেছেন বিজেপি বিরোধী সম্মিলিত জোটের প্রার্থী কংগ্রেসের (Congress) মার্গারেট আলভা (Margaret Alva)। তার পরেই বিরোধী নেতাদের নিশানা করেছেন আলভা। নাম না করে তৃণমূল (TMC) সহ ‘ষড়যন্ত্রী’ বিরোধীদের আক্রমণ শানান তিনি।

    উপরাষ্ট্রপতি পদে ধনখড় জয়ী হয়েছেন ৭২ শতাংশেরও বেশি ভোটে। ওই ভোটে পরাস্ত হয়েছেন আলভা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো এই ভোটেও ক্রস ভোটিং হয়েছে। যার জেরে শক্তি খুইয়েছেন আলভা। স্ফীতকায় হয়েছে গেরুয়া শিবির। বিরোধী শিবিরে থেকেও এবার ভোটদানে বিরত ছিল তৃণমূল। বিজেপি বিরোধী শিবিরে থেকেও যাঁরা এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দেগেছেন আলভা। বলেন, কিছু বিরোধী শক্তি বিরোধী অবস্থানে থেকেও বিজেপিকে সমর্থন করছে। যা ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদের ধারণাকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে এবার মোট ভোট পড়েছে ৭২৫টি। তার মধ্যে বাতিল করা হয়েছে ১৫টি ভোট। বৈধ ভোটের ৫২৮টি পেয়েছেন এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়। আলভা পেয়েছেন ১৮২টি ভোট। যার অর্থ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো এবারেও হয়েছে ক্রশ ভোটিং।এই ফল প্রকাশ্যে আসার পর ভাবী উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আলভা। তার পরেই তোপ দেগেছেন বিরোধীদের। ট্যুইটবার্তায় আলভা লেখেন, উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য ধনখড়কে ধন্যবাদ। এর পরেই বিরোধী সমস্ত নেতা এবং দলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বিশেষ করে যাঁরা তাঁকে ভোট দিয়েছেন, সবাইকে ধন্যবাদ। অন্য একটি ট্যুইটে আলভা লেখেন, এই নির্বাচনে বিরোধীদের জন্য এক সঙ্গে কাজ করা, অতীতকে পিছনে ফেলা এবং একে অপরের বিশ্বাসের একটা জায়গা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় কিছু বিরোধী দল সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে বিজেপিকে সমর্থন করতেই ব্যস্ত। তাঁর মতে, বিরোধীদের এই প্রয়াস বিরোধী জোটের ভাবনাকে চালিত করছে বিপথে। এই সব বিরোধী দল ও তাদের নেতারা অজান্তেই লোকসান করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সব শেষে আলভা লিখেছেন, এই নির্বাচন তো শেষ হয়ে গেল। কিন্তু সংবিধান রক্ষা, গণতন্ত্র মজবুত ও সংসদের গরিমা বজায় রাখার লড়াই জারি থাকবে।

    আরও পড়ুন :একুশ শতকে রেকর্ড, উপরাষ্ট্রপতি পদে সব চেয়ে বেশি ভোটে জয়ী ধনখড়

     

  • Bihar Politics: নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

    Bihar Politics: নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের (Bihar) পট পরিবর্তনের ইঙ্গিত আগেই পেয়েছিল বিজেপি (BJP)। তার পরেও এনডিএর (NDA) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar) আটকানোর চেষ্টা করেননি পদ্ম নেতৃত্ব। তার জেরেই এনডিএ সরকার পড়ে যায় বিহারে।

    জানা গিয়েছে, বিহারের পালাবদল নিয়ে মাস দুয়েক ধরে আলোচনা চলছিল লালু প্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার এবং কংগ্রেসের (Congress) শীর্ষ নেতৃত্বের। কোন দল কোন দফতর পাবে, সে সব কিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরেই মঙ্গলবার আচমকাই বিজেপির হাত ছেড়ে দেন নীতীশ।

    নীতীশের এই ‘ভোলবদল’কে প্রতারণা হিসেবেই দেখছেন পদ্ম নেতৃত্ব। বারবার শিবির বদলে তিনি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন বলেও দাবি তাঁদের। নীতীশ যে শিবির বদলানোর সলতে পাকাচ্ছিলেন, তা আঁচ পেয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে তার পরেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বিজেপির কোনও নেতা। তাঁকে শিবির না বদলানোর কোনও অনুরোধও করা হয়নি গেরুয়া শিবিরের তরফে। সূত্রের খবর, নীতীশ কুমার কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। বিজেপি বিরোধী পক্ষের নেতা হওয়ার সুযোগ তাঁর সামনে আসতে পারে।

    আরও পড়ুন : বিজেপি ছেড়ে আরজেডি! মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই, জানুন কী বলছে বিহারের নয়া সমীকরণ

    অন্য একটি সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং ফোন করেছিলেন নীতীশকে। বিজেপির রাজ্য নেতারাও তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছিলেন, তবে তাঁর মন পরিবর্তনে ব্যর্থ হয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবারই এক সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, বিজেপি জোট ধর্ম পালন করেছে। কিন্তু নীতীশ কুমার ‘শপিং’ করছিলেন। মাত্র ৩৬টি আসন পেয়েও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি।অথচ বিজেপি পেয়েছিল ঢের বেশি আসন। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে যেভাবে শিবসেনা শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে, তেমনই কোনও কিছুর আশঙ্কা করছিলেন নীতীশ। তাই তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে হাত মিলিয়েছেন বিজেপি বিরোধীদের সঙ্গে।

    এদিকে, এই ভোলবদলের কারণে নীতীশকে পরজীবী বলে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বিহার সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল নীতীশকে পিছন থেকে ছুরি মারতেই অভ্যস্ত বলে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, বিহারের মানুষই তাঁকে যোগ্য জবাব দেবেন। সঞ্জয় বলেন, ২০২০ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ লড়েছিল। সব চেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল বিজেপি এবং জনতা দল(ইউনাইটেড)। আমরা ৭৪টি আসন পেয়েছিলাম। তার পরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসান নীতীশকে। আজ জনতা দল ইউনাইটেড যা করল, তা বিহারবাসীকে পিছন থেকে ছুরি মারার শামিল।

     

  • Vice President Poll: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের পথে এগিয়ে ধনখড়, কেন জানেন?   

    Vice President Poll: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ের পথে এগিয়ে ধনখড়, কেন জানেন?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Vice President Poll)। গত মাসেই হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (President Poll)। দেশের বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহাকে হারিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন এনডিএ প্রার্থী বিজেপির দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। উপরাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের বাজি কংগ্রেসের (Congress) মার্গারেট আলভা (Margaret Alva)। আর বিজেপির (BJP) প্রার্থী হয়েছেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। মার্গারেটের চেয়ে জয়ের পথে ধনখড় অনেকটাই এগিয়ে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বস্তুত ধনখড়ই হতে চলেছেন দেশের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি। নির্বাচনের আগের দিন আলভা ভোটারদের কাছে বিবেক ভোট দেওয়ার আবেদন জানান। তিনি বলেন, উপরাষ্ট্রপতি পদে ভোট হবে গোপন ব্যালটে। বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে ভোট দেওয়ার আর্জি জানান আলভা।

    রাষ্ট্রপতি পদে যেমন সাংসদদের পাশাপাশি ভোট দেন বিধায়করাও, উপরাষ্ট্রপতি পদে তা হয় না। এখানে ভোট দেন কেবল সাংসদরা। সংসদের দুই কক্ষের ৭৭৮ জন সদস্য ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন দেশের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি। ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে সকাল ১০টায়। শেষ হবে বিকেল ৫টায়। যিনি জয়ী হবেন, তিনি শপথ নেবেন ১১ অগাস্ট।

    আরও পড়ুন : উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়কে সমর্থন মায়াবতীর

    রাজনৈতিক মহলের মতে, উপরাষ্ট্রপতি পদে ধনখড়ের জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁর নাম ডাক রয়েছে দেশে। এক সময় সুপ্রিম কোর্টেও প্র্যাকটিস করতেন নিয়মিত। সামলেছেন বাংলার রাজ্যপালের দায়িত্বও। এহেন ধনখড়কে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের এমন ‘ওজনদার’ প্রার্থীকে সমর্থন করেছিন এনডিএর বাকি সব দলও। এছাড়াও জনতা দল (ইউনাইটেড), ওয়াইএসআরসিপি, এআইএডিএমকে, অকালি দল এবং শিবসেনার শিন্ডে শিবিরের সমর্থন রয়েছে ধনখড়ের সঙ্গে। মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপিও ধনখড়কে সমর্থন করছেন। এঁদের সম্মিলিত সাংসদ ৮১ জন। যার জেরে ধনখড় পেতে পারেন ৫২৭টি ভোট। যদিও ভোটে জেতার জন্য প্রয়োজন ৩৭২টি ভোট। মোট ভোটের ৭০ শতাংশ পেতে পারেন তিনি। প্রসঙ্গত, লোকসভার সদস্য সংখ্যা ৫৪৩। রাজ্যসভার সংসদ রয়েছেন ২৪৫ জন। রাজ্যসভায় ৮টি আসন শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে এনডিএর সদস্য সংখ্যা ৪৪১। তার মধ্যে বিজেপিরই রয়েছেন ৩৯৪ জন।  

    আরও পড়ুন :স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    এই যদি হয় এনডিএ শিবিরের ছবি, তবে বিরোধী প্রার্থী আলভার অবস্থা তুলনায় ম্লান। তাঁর পাশে রয়েছে কেবল কংগ্রেস, আপ, মিম, টিআরএস এবং জেএমকে। শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের ভোটও পাবেন তিনি। আলভা কমবেশি ২০০ আসন পেতে পারেন। শতাংশের হিসেবে যা দাঁড়ায় ২৬। উপরাষ্ট্রপতি পদে ভোট দানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাষ্ট্রপতি পদে মুখ পোড়ার পর উপরাষ্ট্রপতি পদে ফের একবার কলঙ্ক গায়ে মাখতে চায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। লোকসভায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ২৩, রাজ্যসভায় ১৬। তৃণমূলের দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও তাঁর ছেলে দিব্যেন্দুকেও চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দলীয় সিদ্ধান্ত।

     

LinkedIn
Share