Tag: Corruption

Corruption

  • Fishery: শুধু তৃণমূল নেতারা নন, একই রোগ সরকারি দফতরেও! ফিশারি থেকে দেদার মাছ চুরি!

    Fishery: শুধু তৃণমূল নেতারা নন, একই রোগ সরকারি দফতরেও! ফিশারি থেকে দেদার মাছ চুরি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় আছে, রক্ষকই ভক্ষক। আর তা যেন বাস্তবে প্রমাণিত হল রাজ্য সরকারের ফিশারিতে (Fishery)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দশ মাইল এলাকায় ২০১১ সালে রাজ্য সরকারের এসএফডিসি ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে প্রায় ১০০ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয় ফিশারি। উদ্দেশ্য, স্থানীয় মৎস্যজীবীরা যাতে এই ফিশারির মাধ্যমে অল্প পয়সায় মাছ কিনে তা বাইরে বিক্রি করতে পারেন। আর এই ফিশারিতেই দিনের পর দিন রাতের অন্ধকারে চুরি যাচ্ছিল মাছ। তারই তদন্ত নেমে উঠে এল এক সরকারি আধিকারিকের নাম প্রদীপ মণ্ডল, যিনি ওই ফিশারির দায়িত্বে ছিলেন।

    থানায় অভিযোগ দায়ের (Fishery)

    এলাকার গরিব মৎস্যজীবীরা এই ফিশারির মাধ্যমে বেশ কয়েক বছর ধরে অল্প পয়সায় মাছ বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছিলেন কিন্তু দিনের পর দিন মাছ চুরি হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এই ফিশারির প্রজেক্ট ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা অভিষেক পাত্র প্রথমে স্থানীয় মানুষদের সন্দেহ করলেও পরবর্তী সময়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে, ওই ফিশারির দায়িত্বে থাকা আর এক সরকারি কর্মচারী প্রদীপ মণ্ডলের কীর্তি। তিনি নাকি রাতের অন্ধকারে ওই ফিশারি (Fishery) থেকে মাছ চুরি করে অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি মুনাফায় বিক্রি করছিলেন। আর এই বিষয় নিয়ে ফিশারির প্রজেক্ট ইনচার্জ অভিষেক পাত্র ফেজারগঞ্জ থানায় প্রদীপ মণ্ডলের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    ডেপুটেশন স্থানীয় মৎস্যজীবীদের (Fishery)

    এখনও পর্যন্ত দোষী গ্রেফতার না হওয়ার পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ফিশারি ইনচার্জ-এর কাছে শুক্রবার ডেপুটেশন জমা দেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। তাঁদের দাবি, যিনি এই ঘটনার সাথে যুক্ত, তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক এবং ফিশারি পুনরায় চালু করা হোক। ফিশারি (Fishery) বন্ধ হয়ে গেলে অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তাঁরা। অন্যদিকে এই বিষয় নিয়ে প্রদীপ মণ্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তিনি এই ঘটনার সাথে কোনও ভাবেই যুক্ত নন। তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: কাটমানির খেলা? রাস্তা তৈরির পর দিনই উঠে যাচ্ছে পিচের চাদর, বেরিয়ে আসছে পাথর!

    Balurghat: কাটমানির খেলা? রাস্তা তৈরির পর দিনই উঠে যাচ্ছে পিচের চাদর, বেরিয়ে আসছে পাথর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ত দফতর রাস্তা তৈরিতে ব্যবহার করছে নিম্নমানের সামগ্রী। রাস্তা তৈরির পর দিনই উঠে যাচ্ছে পিচের চাদর। ফাটল ধরছে রাস্তার মাঝে। শুক্রবার সকালে এমন ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়াল বালুরঘাটের কুড়মাইলে (Balurghat)। খারাপ রাস্তার বিষয়টি জানতে পেরে এদিন পূর্ত দফতরে (রাস্তা) লিখিত অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি। সরকারি নিয়ম মেনেই রাস্তার কাজের দাবির পাশাপাশি পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে তারা। এদিকে সরকারি নিয়ম মেনে কাজ হচ্ছে এবং কোনও অভিযোগ নেই বলেই পূর্ত দফতরের দাবি।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ (Balurghat)

    বালুরঘাট ব্লকের কামারপাড়া থেকে চিঙ্গিশপুর পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল৷ রাস্তা খানাখন্দে ভরে গিয়েছিল। অবশেষে বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়। মাস দুয়েক আগে কামারপাড়া থেকে চিঙ্গিশপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে দশ কিলোমিটার রাস্তায় নতুন করে পিচের প্রলেপ দেওয়ার কাজ শুরু হয়৷ এর জন্য বরাদ্দ করা হয় প্রায় ৩ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। রাস্তার কাজ প্রায় শেষের দিকে। কামারপাড়া ও চিঙ্গিশপুর, দুই দিক থেকেই রাস্তার কাজ চলছিল। গতকাল কুড়মাইল এলাকায় রাস্তার কাজ হয়। অভিযোগ, রাস্তায় পিচের প্রলেপ দেওয়ার পরই তা উঠে যেতে থাকে। কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা তৈরির পর তা ফেটে যায়। হাত দিলেই উঠে যাচ্ছে পাথর৷ নিম্নমানের রাস্তা তৈরির বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয় বাসিন্দারা (Balurghat) এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ জানাতে থাকেন।

    কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি

    ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “গতকাল আমাদের এলাকায় (Balurghat) রাস্তা হয়েছে। কিন্তু সেই রাস্তায় আজ থেকেই পাথর উঠে যাচ্ছে। হাত কিংবা পা দিলেই উঠে যাচ্ছে পাথর। আমরা মনে করছি, এই রাস্তার কাজ অতি নিম্নমানের করা হয়েছে। আগের রাস্তা পাঁচ বছর টিকেছে। কিন্তু এবারের রাস্তা পাঁচ মাসও টিকবে না। আজ আমরা এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে জানিয়েছি। এভাবে রাস্তা যাতে না করা হয়, সে কথাই তাকে জানানো হয়েছে।” আর এক বাসিন্দা বলেন, “এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষ যাতায়াত করে, বড় যানবাহনও যায়। কিন্তু যেভাবে রাস্তা হচ্ছে, তা অতি নিম্নমানের। পিচ কম দেওয়া হচ্ছে, যে খোয়াগুলি উঠে যাচ্ছে। সেখানে আবার নতুন করে পিচ স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে। এটা কখনও কাজের পদ্ধতি হতে পারে না। এটা প্রশাসনের দেখা উচিত। তা না হলে আমরা কাজ আটকে দেব।”

    গলদ দেখছে না পূর্ত দফতর (Balurghat)

    পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিয়ার (রাস্তা) দেবব্রত সরকার বলেন, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিম্নমানের কাজ হচ্ছে না। সরকারি নির্দিষ্ট তালিকা মেনেই কাজ হচ্ছে। যদি কোথাও কোন সমস্যা হয়, তা খতিয়ে দেখা হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ৫০০ টাকায় চাষির পাসবুক ভাড়া নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন!

    Purba Bardhaman: ৫০০ টাকায় চাষির পাসবুক ভাড়া নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধান বিক্রির নামে ৫০০ টাকায় চাষির পাসবুক ভাড়া করে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেনের অভিযোগে তীব্র শোরগোল পড়েছে পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)। এই বেআইনি লেনদেন চলত খণ্ডঘোষ সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে। দুর্নীতির অভিযোগে শাসক-বিরোধীদের মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে।

    কীভাবে চলত লেনদেন (Purba Bardhaman)?

    ২০১৮-১৯ সালে খণ্ডঘোষের গ্রামবাসীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল। উল্লেখ্য একই দিনে সেই টাকা ধাপে ধাপে আবার তুলে নেওয়া হয়েছিল। অথচ যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তাঁরা কিছুই জানতে পারলেন না। কালনা গ্রামের সমবায় সমিতির পাসবুকে ধরা পড়েছে এই লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ।

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ

    কালনা গ্রামের (Purba Bardhaman) এক বাসিন্দা বলেন, “আমিনুল্লা হাজারি নামক এক ব্যক্তি আমাদের অনেকের সমবায় সমিতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছিলেন। এরপর ৫০০-২৫০ টাকা দিয়ে পাসবুক ভাড়া নিয়ে যান।” অবশ্য অভাবের কারণে গ্রামের মানুষ পাসবুক এই সামান্য টাকায় ভাড়া দিয়েও দেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা যায় এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢোকে। এরপর ধীরে ধীরে আবার সেই টাকা তুলেও নেওয়া হয়। যদিও কাজ করতে করতে আমিনুল্লা হাজারি মারা গেলে, পরবর্তী সময়ে তাঁর ছেলে আসদুল্লা হাজারি এই কাজ চালাতেন। অবশ্য ছেলের দাবি, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। পরবর্তীকালে বেকায়দায় পড়ে চাপে স্বীকার করে নেন যে এলাকার এক রাইসমিলের মালিকের হয়ে তাঁরা এই কাজ করতেন। অবশ্য এই বিষয়ে অভিযুক্ত সত্যনারায়ণ রাইস মিলের মালিক বলেন, “আমার কোনও ভূমিকা নেই, সমবায় সমিতি যে ধান দিত তাই আমরা নিতাম।”

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (Purba Bardhaman) বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “কেবল গরিব মানুষেরাই এই পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। পাসবুক নিয়ে কী করে লেনদেন হতো, তার তদন্ত হওয়া উচিত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের দিয়ে পুরো দুর্নীতির পর্দাফাঁস করা উচিত। আসল চক্রী তৃণমূলের মাথা কলকাতায়। তাকে ধরা হোক।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Bardhaman) তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলাম বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। দোষীরা শাস্তি পাবে। বিজেপির কাছে মানুষ নেই তাই বারবার তৃণমূলকে বদনাম করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: রেশন কেলেঙ্কারিতে জ্যোতিপ্রিয়র ১০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেল ইডি

    Jyotipriya Mallick: রেশন কেলেঙ্কারিতে জ্যোতিপ্রিয়র ১০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ এবং জেরায় এখনও পর্যন্ত এক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দুর্নীতির মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমান ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। এছাড়াও রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আগেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হয়েছেন। ফলে শাসক দল তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে জেলে থাকায় তৃণমূল যে চাপের মুখে, তা রাজনীতির একাংশ মানুষ মনে করছেন।

    রেশন দোকান থেকে টাকা তোলা হত (Jyotipriya Mallick)

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রায় ২১ হাজার ৩০০ টি রেশন দোকান আছে। অধিকাংশ রেশন দোকান থেকে মাসে ৪ হাজার করে টাকা তোলা হত বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের শাসনে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) টানা দশ বছর খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। এই দশ বছরে প্রত্যেক রেশন দোকান থেকে মাসে মাসে টাকা তুলতেন। ফলে ইডি অনুমান করছে, প্রায় ৭০০ কোটি টাকা পর্যন্ত তোলা হয়। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ভুয়ো দোকানের সংখ্যা প্রায় ৩০০র থেকে বেশি বলে সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রের পাঠানো ন্যায্যমূল্যের রেশনকে দুর্নীতি করে খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। হিসাবে আরও জানা গিয়েছে, গত ৮ বছরে এখান থেকে ১৫০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এছাড়াও অনুমোদিত দোকানগুলি থেকে দুর্নীতি-সিন্ডিকেটের সদস্যরা রেশন সামগ্রী বাজারে বিক্রির করে ২০০ কোটি টাকা তুলেছে বলে মনে করছেন ইডির অফিসাররা। এভাবেই রেশন কেলেঙ্কারিতে জ্যোতিপ্রিয়র ১০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেয়েছে ইডি।

    মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক থেকে উদ্ধার ডায়েরি

    প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরির তথ্যে জানা গিয়েছে, বাকিবুর রেশনের ডিস্ট্রিবিউটর, ডিলার এবং রেশন দোকানের মালিকদের কাছ থেকে কোটি কোটি কালো টাকা আদায় করতেন। গত দশ বছর ধরে এই ভাবেই দুর্নীতির টাকা আদায় করেছেন মন্ত্রী এবং বাকিবুর।

    এই টাকা কোথায় গেল?

    তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে মাত্র ৫০ কোটি টাকার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বেশির ভাগ টাকার এখনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। রেশনের বণ্টনের দুর্নীতির টাকা ৫০-৫০ ভাগ হত। একভাগ যেত বাকিবুর এবং সহযোগীদের কাছে। আর অপর আরেক ভাগ যেত মন্ত্রীর কাছে। ইডি মনে করছে, দুর্নীতির একটা বড় অংশের টাকা বিদেশে চলে গিয়েছে। তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) পর্যন্ত টাকা শুধু পৌঁছায়নি। টাকা আরও অনেক প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

    তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য

    ইডির এক তদন্তকারী অফিসার জানান, “বাকিবুরের পরিবারের সদস্য এবং মন্ত্রীর (Jyotipriya Mallick) স্ত্রী, মেয়েকে ডিরেক্টর করে মোট তিনটি সংস্থা খোলা হয়েছিল। এই সংস্থার মাধ্যমে ২০ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়। কিন্তু এর মধ্যে ১০ কোটি টাকা মন্ত্রী এবং মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরিয়ে রাখা হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: “আমাদের দলেও কিছু কুলাঙ্গার ছেলে-মেয়ে রয়েছে”, দুর্নীতি ইস্যুতে বেপরোয়া তৃণমূলের মন্ত্রী

    Malda: “আমাদের দলেও কিছু কুলাঙ্গার ছেলে-মেয়ে রয়েছে”, দুর্নীতি ইস্যুতে বেপরোয়া তৃণমূলের মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন সমার্থক। তৃণমূল আছে, অথচ অন্তর্কলহ নেই, কাদা ছোড়াছুড়ি নেই, এটাও যেন আজ আর ভাবাই যায় না। এই তো কদিন আগের কথা। প্রত্যন্ত জেলা নয়, খাস কলকাতায় বসে দীর্ঘদিনের সাংসদ সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন তোপ দাগেন তৃণমূল বিধায়ক তথা তৃণমূলের ‘কালারফুল’ নেতা মদন মিত্র। হুমায়ুন কবীর তো উঠতে বসতে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে যা নয় তাই বলেন। এবার সেই ভূমিকাতেই দেখা গেল তৃণমূলের এক মন্ত্রীকে। তিনি হলেন রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। কয়েকদিন আগে মালদা (Malda) জেলার কালিয়াচকের আলিনগরে তৃণমূল এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল। ১০০ দিনের কাজে টাকা না মেলাই ছিল মূল ইস্যু। সেখনে ভাষণ দিতে গিয়ে দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই খড়্গহস্ত হতে দেখা গেল তাঁকে।

    কী বললেন মন্ত্রী? (Malda)

    যে ইস্যুতে তৃণমূলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রী জেলের ঘানি টানছেন, যে ইস্যুতে জনতার দরবারে তৃণমূলকে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে, সাবিনা ইয়াসমিন এদিন তাকেই হাতিয়ার করেন। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদেরকে বলব, আমাদের ভুল বুঝবেন না। আমরা যা করি আপনাদের জন্যই করি। এবার কেউ যদি কোনও দোষ করে থাকে, ভুলের ভাগীদার সে একা হবে। তার শাস্তি হোক এটাই আমরা চাই। আমার বাড়িতে যদি কোনও কুলাঙ্গার ছেলে থাকে, পুলিশ যদি তাঁকে গ্রেফতার করে, তবে বাপ-মা কী করবে! শাসন করার পরও ছেলে শুধরচ্ছে না। ঠিক তেমনি আমাদের পার্টিতেও কিছু কুলাঙ্গার ছেলে-মেয়ে রয়েছে।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যে পাপ করবে, প্রায়শ্চিত্তও তাকেই করতে হবে। কোনও ভুলের জন্য দল দায়ী নয়। দল কি কাউকে চুরি করার জন্য বলেছে? কেউ একজন দাঁড়িয়ে বলুন তো, কারও থেকে কখনও কোনও টাকা-পয়সা নিয়েছি আমি? হ্যাঁ কখনও চা খেয়েছি। টাকার বিনিময়ে কোনও কাজ আমি (Malda) আমার রাজনৈতিক জীবনে করিনি। দল কখনও টাকার বিনিময়ে কাজ করার কথা বলেনি। কেউ যদি টাকার বিনিময়ে কাজ করে, তবে সে দায়ী। আমি আপনাদের বলব, কোনও কাজের জন্য কাউকে টাকা দেবেন না। আমাদের সরকার মানুষের জন্য সব ধরনের সুবিধা করে দিয়েছে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গেলেই সব কাজ হয়ে যায়।’

    জেলার রাজনীতিতে চাঞ্চল্য (Malda)

    মালদা জেলায় (Malda) তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কলহ নতুন কিছু নয়। এই নিয়ে জেলায় গন্ডগোল, ঝামেলা, খুনখারাবি লেগেই থাকে। এবার সেই বিতর্ককে আরও উস্কে দিলেন মন্ত্রী। ফলে ফের নতুন বিতর্ক শুরু হল। যদিও এই বিতর্কে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব আগের মতোই এখনও চুপই রয়েছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: হরির লুট! নির্বিচারে ভাতা বিলিয়ে দুঃস্থ মহিলাদের কাছে এখন ফেরত চাইছে প্রশাসন

    Malda: হরির লুট! নির্বিচারে ভাতা বিলিয়ে দুঃস্থ মহিলাদের কাছে এখন ফেরত চাইছে প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৭ লক্ষ টাকা গায়েব মালদা জেলার কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লক প্রশাসনের তহবিল থেকে। আর সেই টাকা তুলতে ৩২৯ জন দুঃস্থ মহিলাকে নোটিশ দিলেন কালিয়াচকের (Malda) বিডিও। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদা প্রশাসনিক মহলে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।

    মূল অভিযোগ কী (Malda)?

    বিরোধীরা প্রশ্ন করছেন, ভাতা দিয়ে আবার ভাতা ফেরত! এ কেমন ঘটনা! আসলে এখানেও নতুন কৌশল করে দুঃস্থ মহিলাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করার চেষ্টা করছে কালিয়াচকের (Malda) ব্লক প্রশাসন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। কালিয়াচক এক নম্বর ব্লক প্রশাসন ও সমাজ কল্যাণ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের সময় গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি থেকে ঢালাও নাম পাঠানো হয়েছিল। সে সময় নথিপত্র, বয়স কোনও তথ্য যাচাই করা হয়নি। একজন উপভোক্তাকে বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, মানবিক ভাতা দেওয়া হয়েছে। যেখানে সরকারি নিয়ম রয়েছে, যে কোনও একজন উপভোক্তা একটি ভাতাই পাবেন। অথচ যে মহিলারা বিধবা ভাতা পাচ্ছেন, তাঁরাই আবার বার্ধক্য ভাতাও পেয়েছেন।

    উপভোক্তাদের বক্তব্য

    স্থানীয় (Malda) উপভোক্তা বয়স্ক মহিলারা জানিয়েছেন, এত টাকা কোথায় পাবেন! তাঁরা ফেরত দিবেন কীভাবে। তাঁদের যখন টাকা দিয়েছিল, তখন তো কিছু বলেনি। বরং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলেছিল, বাড়তি টাকা সরকার যখন দিচ্ছে, নিতে ক্ষতি কী। কিন্তু আজ এতগুলো টাকা ফেরত তাঁরা কীভাবে দেবেন! এই নিয়ে মাথায় হাত। পাশাপাশি তাঁরা জানাচ্ছেন, সরকার রীতিমতো তাঁদের ঠকিয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, যাঁরা টাকা ফেরত দেবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    বিজেপির বক্তব্য

    দক্ষিণ মালদা (Malda) বিজেপির সম্পাদক নন্দনকুমার ঘোষ বলেন, এই গাফিলতি বিডিও এবং তাঁর কর্মীদের। নথিপত্র যাচাই না করে কী করে টাকা দেওয়া হয়েছিল? আবার সেই টাকা আজ দুঃস্থ মহিলাদের কাছ থেকে চাওয়া হচ্ছে। এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে সব মহিলাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হয়তো পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক বিরোধী ছিলেন। ভারতীয় জনতা পার্টি এই মহিলাদের পাশে থেকে আন্দোলন করবে, দরকার হলে রাস্তায় নামবে।

    জেলা সভাধিপতির বক্তব্য

    এই বিষয়ে মালদা (Malda) জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং তৃণমূল নেত্রী লিপিকা বর্মন ঘোষ বলেন, এই খবরটা আমি পেয়েছি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একজন মহিলা যিনি বিধবা, তিনি শুধু বিধবা ভাতাই পাবেন, অন্য ভাতা পাবেন না। সে ক্ষেত্রে এখানে একজন মহিলা দু-তিনটি করে ভাতা পেয়েছেন, সেটা ঠিক নয়। সে ক্ষেত্রে কিভাবে বিষয়টিকে দেখা যায়, তা ইতিমধ্যেই ব্লক প্রশাসন খতিয়ে দেখছে । বিরোধীদের কাজই হচ্ছে বিরোধিতা করা। নিয়ম যা রয়েছে সে বিষয়ে ব্লক প্রশাসন দেখবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: দুর্নীতির পাঁকে ডুবে আরামবাগ পুরসভা, ৯ দফা দাবিতে ডেপুটেশন বিজেপির

    Arambagh: দুর্নীতির পাঁকে ডুবে আরামবাগ পুরসভা, ৯ দফা দাবিতে ডেপুটেশন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের অন্যান্য দুর্নীতিগ্রস্ত পুরসভাগুলির মতোই আরামবাগ (Arambagh) পুরসভাতেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। শুক্রবার দুপুরে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ ও খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের নেতৃত্বে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা আরামবাগ পুরসভায় ৯ দফা দাবি নিয়ে ডেপুটেশন দেন। বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা কার্যালয় থেকে কর্মী-সমর্থকদের মিছিল পুরসভায় পৌঁছায়। বিজেপির অভিযোগ, পুরসভায় ঢোকার আগেই পুলিশ ব্যারিকেড করে তাদের ডেপুটেশনের মিছিল আটকে দেয়। তাই সেখানেই তারা রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।

    কী কী দাবিতে ডেপুটেশন (Arambagh)?

    তাদের মূল দাবি, আরামবাগ (Arambagh) পুরসভা এলাকায় যে সমস্ত প্রকল্পের কাজ হয়েছে, তার হিসাব-নিকাশ সঠিকভাবে জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। এছাড়াও আরামবাগ পুরসভায় স্থায়ী ও অস্থায়ী যে সমস্ত কর্মী নিয়োগ হয়েছে, তাতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। গ্রিন সিটি প্রকল্প, রাস্তাঘাট, হাইড্রেন, আবাস যোজনা সহ একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে পুরসভায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। মোট ৯ দফা দাবিতে এদিনের ডেপুটেশন।

    কী বললেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ?

    এদিন এই ডেপুটেশন কর্মসূচিতে (Arambagh) যোগ দিতে এসে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ তীব্র কটাক্ষ করেন আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারিকে। এছাড়াও রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, রাজ্যের অন্যান্য পুরসভাগুলির মতো আরামবাগ পুরসভাতেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্যের সবকটা পুরসভা হচ্ছে চোরেদের আখড়া, যে যেমন ভাবে পারছে চুরি করছে। কোথাও চাকরি চুরি হচ্ছে, কোথাও আবার মানুষের উন্নয়নের টাকা চুরি হচ্ছে। কোথাও সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের বিভিন্ন ফান্ড, যেগুলো এই আরামবাগ পুরসভা পায়, সেগুলো চুরি হচ্ছে। একটা ঘুঘুর বাসা তৈরি হয়েছে এই আরামবাগ পুরসভা সহ সমস্ত পুরসভায়। তাই সব পুরসভাতেই এক এক করে ডেপুটেশন দিচ্ছি, আজ আরামবাগে।

    কী জবাব দিলেন চেয়ারম্যান (Arambagh)?

    যদিও এ বিষয়ে আরামবাগ (Arambagh) পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারি বলেন, যাদের যা কাজ তারা করছে। মানুষের কাছে সমর্থন হারিয়েছে। তাই মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে ভেসে থাকার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: রাস্তা তৈরিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ, আরামবাগে কাজ বন্ধ করে দিলেন বাসিন্দারা

    Hooghly: রাস্তা তৈরিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ, আরামবাগে কাজ বন্ধ করে দিলেন বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগ ব্লকের মায়াপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কল্যাণ কেন্দ্র এলাকার ঘটনা। সূত্রধরপাড়া থেকে অহল্যাবাই রোড পর্যন্ত হুগলি (Hooghly) জেলা পরিষদের অধীনে টেন্ডারের মাধ্যমে পিসি সেন রোড ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের মূল অভিযোগ, কাজ চলাকালীন রাস্তায় যে সমস্ত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে, তা খুবই নিম্নমানের। প্রতিবাদে রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দেন গ্রামবাসীরা।

    এলাকার সমস্যা কী (Hooghly)?

    গ্রামের (Hooghly) মানুষের অভিযোগ, আগে যে পঞ্চায়েতের তৈরি ঢালাই রাস্তা ছিল, তা ১০ ফুট চওড়া ছিল। কিন্তু সূত্রধরপাড়ার রাস্তা এবং পিসি সেন রোড কোথাও ৭ ফুট, আবার কোথাও ৮ ফুট চওড়া করা হচ্ছে। রাস্তার মাপ সমান নেই! এমনকি মোড়ে মোড়ে রাস্তার ঢালাই কম করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গ্রামের একমাত্র প্রধান রাস্তা হল এটি! এই রাস্তার উপর দিয়ে প্রত্যেক দিন যাতায়াত করে শত শত গাড়ি ও মানুষ। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যেভাবে রাস্তা তৈরি হওয়ার কথা হয়েছে, সেই অনুযায়ী নিয়ম মেনে কাজ হচ্ছে না। তাই গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। গ্রামের মানুষ দাবি করেন, যতক্ষণ না সঠিক ভাবে নিয়ম মেনে কাজ হবে, ততক্ষণ কাজ করতে দেওয়া হবে না।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    এক গ্রামাবাসী (Hooghly) গৌরহরি সূত্রধর বলেন, গ্রামের ভিতরে যে রাস্তা হয়েছে, ঢোকার মুখে তা চওড়ায় অনেকটাই কম হয়েছে। গ্রামে ঢোকার মুখে রাস্তা বড় না হলে কীভাবে মানুষ চলাচল করবে? জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে এমন ভাব করেন, যেন দয়া করে রাস্তা করে দিচ্ছেন! কিন্তু আদতে তা নয়, সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকায় হচ্ছে রাস্তা। নির্মাণসামগ্রীও অত্যন্ত নিম্নমানের বলেই আমরা রাস্তা বন্ধ করেছি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমরা দয়া ভিক্ষা চাই না, চাই রাস্তা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Hooghly) জেলার এক নেতা বলেন, আমি ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে খোঁজখবর নিয়েছি। রাস্তার মাপ কোথাও ১০ ফুট আবার কোথাও ১২ ফুট করা হচ্ছে। কিন্তু নিয়ম মেনেই কাজ হচ্ছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীর কথা প্রসঙ্গে বলেন, এই অভিযোগ মিথ্যা। তিনি আরও বলেন, কিছু লোক থাকেন যারা কেবল বিরোধিতা করতে হয় বলে কাজের বিরোধিতা করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “দুয়ারে দুর্নীতি! নকুলদানা, গুড়-বাতাসা! কেষ্টদা কোথায় গেল?” সং সেজে গানে প্রতিবাদ

    Birbhum: “দুয়ারে দুর্নীতি! নকুলদানা, গুড়-বাতাসা! কেষ্টদা কোথায় গেল?” সং সেজে গানে প্রতিবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নানুর, কীর্ণাহার (Birbhum) সরগরম কেষ্ট মণ্ডলের তিহারবাস আর জেলযাত্রা নিয়ে সং-এর গানে। নানুর বিধানসভার কীর্ণাহারের দাসকল গ্রামে হরিনাম সংকীর্তনের ধূলোট উৎসবে এক অভিনব “সং”-এর দল দেখা গেল, যেখানে গানের মধ্যে উঠে এল তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তথা কেষ্ট মণ্ডলের তিহার জীবনের কথা। এমনকি হাস্যরসাত্মক সুর দিয়ে “সং” শিল্পীরা তুলে ধরলেন দুর্নীতির প্রসঙ্গও। এলাকায় এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

    কেন গান (Birbhum)?

    বাংলা শিল্প, সৃষ্টি, কৃষ্টির ভূমি। সমাজ জীবনে ঘটে চলা বিষয়কে নিয়ে বাঙালি সর্বাদা শিল্প-নাটক-নৃত্য গান ও কলমের ভাষায় প্রতিবাদ করে থাকে। ঠিক এমনটাই করল গ্রামীণ “সং” গানের শিল্পীরা। তবে এবার অনুব্রত মণ্ডল (Birbhum) আর দুয়ারে উন্নয়ন-এই দুই স্লোগান নির্বাচনী প্রচারের হাতিয়ার শাসক দলের। আর এই দুই স্লোগানকে গানের সুরে তীব্র কটাক্ষ করে গ্রামের মানুষের মনোরঞ্জন করলেন একদল গ্রামীণ শিল্পী। প্রত্যেকেই মহিলা সেজে গান পরিবেশন করেন। “দুয়ারে দুর্নীতি! নকুলদানা গুড়-বাতাসা! কেষ্টদা কোথায় গেল? “সং” সেজে গানে প্রতিবাদ দেখা গেল।

    প্রতিবাদের ভাষা “সং”

    তবে এমন একটা সময় ছিল, যখন এখনকার মতো ডিজিটাল বিনোদন আর মুঠো ফোনে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যম ছিল না। মানুষ যাত্রা, নাটকের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাস্যরসের বন্যা বইয়ে দিত “সং”সেজে। যেখানে তিনদিনের হরিনাম-সংকীর্তন শেষে ধূলোট উৎসবে “সং” সেজে দল বেঁধে হাস্যরসাত্মক গান শুনিয়ে সাধারণ মানুষকে আনন্দ দিলেন গ্রামেরই গৌতম মণ্ডল, পরেশ চট্টরাজ, বাপি কর্মকার, দ্রুপদ ব্যানার্জি, লালু মাঝিরা। তবে “সং” মানেই কটাক্ষ, “সং” মানেই হাস্যরস। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা কেষ্ট মণ্ডল বা দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে হাস্যরসের সৃষ্টি করলেও, “সং” পরিবেশনের বিষয়টা পুরোটাই ছিল অ-রাজনৈতিক। কিন্তু “সং” এর গানে ছিল দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতার কথাই।

    শিল্পীরা কী বলেছেন?

    শিল্পীরা (Birbhum) বলেন, সমাজে যা দেখেছি আর তাই নিয়ে গান বানিয়েছি। নাম সংকীর্তনের পাশাপাশি এই গান করে থাকি। শুধুমাত্র মানুষের মুখে হাসি আনতে আমরা পরিবেশন করি। বর্তমান সমাজে হাসি আর সুখের অভাব, তাই সাময়িক বিনোদনের চেষ্টা করে থাকি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share