মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় আছে, রক্ষকই ভক্ষক। আর তা যেন বাস্তবে প্রমাণিত হল রাজ্য সরকারের ফিশারিতে (Fishery)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দশ মাইল এলাকায় ২০১১ সালে রাজ্য সরকারের এসএফডিসি ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে প্রায় ১০০ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয় ফিশারি। উদ্দেশ্য, স্থানীয় মৎস্যজীবীরা যাতে এই ফিশারির মাধ্যমে অল্প পয়সায় মাছ কিনে তা বাইরে বিক্রি করতে পারেন। আর এই ফিশারিতেই দিনের পর দিন রাতের অন্ধকারে চুরি যাচ্ছিল মাছ। তারই তদন্ত নেমে উঠে এল এক সরকারি আধিকারিকের নাম প্রদীপ মণ্ডল, যিনি ওই ফিশারির দায়িত্বে ছিলেন।
থানায় অভিযোগ দায়ের (Fishery)
এলাকার গরিব মৎস্যজীবীরা এই ফিশারির মাধ্যমে বেশ কয়েক বছর ধরে অল্প পয়সায় মাছ বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছিলেন কিন্তু দিনের পর দিন মাছ চুরি হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এই ফিশারির প্রজেক্ট ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা অভিষেক পাত্র প্রথমে স্থানীয় মানুষদের সন্দেহ করলেও পরবর্তী সময়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে, ওই ফিশারির দায়িত্বে থাকা আর এক সরকারি কর্মচারী প্রদীপ মণ্ডলের কীর্তি। তিনি নাকি রাতের অন্ধকারে ওই ফিশারি (Fishery) থেকে মাছ চুরি করে অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি মুনাফায় বিক্রি করছিলেন। আর এই বিষয় নিয়ে ফিশারির প্রজেক্ট ইনচার্জ অভিষেক পাত্র ফেজারগঞ্জ থানায় প্রদীপ মণ্ডলের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ডেপুটেশন স্থানীয় মৎস্যজীবীদের (Fishery)
এখনও পর্যন্ত দোষী গ্রেফতার না হওয়ার পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ফিশারি ইনচার্জ-এর কাছে শুক্রবার ডেপুটেশন জমা দেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। তাঁদের দাবি, যিনি এই ঘটনার সাথে যুক্ত, তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক এবং ফিশারি পুনরায় চালু করা হোক। ফিশারি (Fishery) বন্ধ হয়ে গেলে অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তাঁরা। অন্যদিকে এই বিষয় নিয়ে প্রদীপ মণ্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তিনি এই ঘটনার সাথে কোনও ভাবেই যুক্ত নন। তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।