Tag: Corruption

Corruption

  • Sukanta Majumdar: ‘মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে দুর্নীতির কারণেই’, দাবি সুকান্তের

    Sukanta Majumdar: ‘মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে দুর্নীতির কারণেই’, দাবি সুকান্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির (Scam) কারণেই কমেছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। অন্তত এমনই দাবি করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বৃহস্পতিবার হুগলিতে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন সুকান্ত। সেখানেই তিনি বলেন, অভিভাবকরা ভয় পেয়েছেন। রাজ্য সরকারি স্কুল ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ওপর তাঁদের আর কোনও আস্থা নেই। সেই কারণেই ছেলেমেয়েদের অন্যান্য বোর্ড এবং বেসরকারি স্কুলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সবই রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতির ফল।

    পর্ষদের ব্যাখ্যা…

    বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গিয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯২৮ জন। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাসের কারণ হিসেবে পর্ষদের ব্যাখ্যা, করোনা-উত্তর পরিস্থিতিতে হয়তো পড়ুয়াদের একাংশ পরীক্ষায় বসছে না। অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে যে গ্যাপ তৈরি হয়েছিল, সেই গ্যাপের কারণেই এটি হতে পারে বলে ব্যাখ্যা ছিল পর্ষদের। পর্ষদের এও ব্যাখ্যা, ২০১৭ সালের অ্যাডমিশন রুলসে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেই বছর তিনটি বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল ২০১৭ সালের ভর্তির জন্য। ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তিতে ফ্লেক্সিবিলিটির জায়গাটি বাদ গিয়েছিল। যার ফলে একটি বড় সংখ্যক পড়ুয়া অ্যাডমিশন নিতে পারেনি। সেটিও একটি কারণ হতে পারে। কারণ ২০১৭ সালে যারা ক্লাস সিক্সে ভর্তি হয়েছিল, তারাই এবার দিচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা।

    আরও পড়ুুন: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, পর্ষদ কোভিডের ঘাড়ে বন্দুক রাখতে চাইছে। আমি তো আগেই বলেছি, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর একটি বড় হাত হল অজুহাত। তিনি বলেন, অন্যান্য রাজ্যে কিন্তু করোনার পর কমেনি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, শিক্ষা দুর্নীতির জেরে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। তিনি বলেন, গত ১১-১২ বছরে সরকারি স্কুলগুলির পরিকাঠামো তলানিতে এসে ঠেকেছে। ফুলে ফেঁপে উঠছে বেসরকারি স্কুলগুলির ব্যবসা। বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, পরিকল্পনা মাফিক সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে বেসরকারি স্কুলের মালিকরা আরও বেশি করে মুনাফা লুঠতে পারেন। এটি একটি বিরাট চক্রান্ত, বলছেন সুকান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

        

     

  • Corruption: নিয়োগের পর এবার বদলিতেও দুর্নীতি? রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হাইকোর্টের

    Corruption: নিয়োগের পর এবার বদলিতেও দুর্নীতি? রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তো ছিলই, এবার শিক্ষকদের বদলিতেও দুর্নীতির অভিযোগ (Corruption) উঠল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সোমবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এখন দেখছি বদলিতেও দুর্নীতি! এটা খুবই খারাপ ইঙ্গিত দিচ্ছে।” বিচারপতির নির্দেশ, ২ সপ্তাহের মধ্যে পুরুলিয়া জেলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শিক্ষক বদলি নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। আগামী ২০ জানুয়ারি এই  মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার জবাবে একুশে কাঁথিতেই পাল্টা সভা শুভেন্দুর? 

    সোমবার পুরুলিয়ার ঝালদা হাইস্কুলের এক শিক্ষক বদলি মামলায় জেলা স্কুল পরিদর্শককে ডেকে পাঠান বিচারপতি বসু। স্কুল পরিদর্শক জানান, “বদলির কারণে গোটা জেলার সব স্কুলের অবস্থাই খুব খারাপ। ৬০ শতাংশ শিক্ষকই বদলি (Corruption) নিয়ে অন্য জেলায় চলে গেছেন। বহু স্কুল উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। ছাত্র – শিক্ষক অনুপাত রক্ষা করা যাচ্ছেনা। ঝালদা স্কুলে ২১ জন শিক্ষক ছিলেন, ইতিমধ্যেই ৮ জন বদলি নিয়ে চলে গেছেন।” এরপরই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু পুরুলিয়ার সব স্কুলে পড়ুয়া-শিক্ষকের অনুপাতের হিসেব চেয়ে পাঠান।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ  

    স্কুল পরিদর্শকের বক্তব্য শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “পড়ুয়াদের কথা না ভেবেই শিক্ষকদের বদলি করা হচ্ছে? এর পিছনেও কি দুর্নীতি (Corruption) রয়েছে? আদালতের পর্যবেক্ষণে বলে, এমন বদলির কারণে শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে অনেক স্কুল। বিশেষ করে গ্রাম্য এলাকায় যেখানে সরকারি স্কুলই ভরসা। সেখানে এমন চললে শিশুরা সঠিক পদ্ধতিতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন। 

    এদিন পুরুলিয়ার ঝালদার শিক্ষক সোমনাথ মণ্ডলের বদলি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “খুব আশ্চর্যের বিষয় যে ঝালদা স্কুলে ১১৫৩ জন ছাত্র আছে৷ সেখানে ২১ জন শিক্ষকের মধ্যে ৮ জনকে অন্যত্র বদলির অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ ওই স্কুলে এখন মাত্র ১৩ জন শিক্ষক রয়েছেন ! এর পিছনে অন্য বিষয় (Corruption) আছে কিনা, খতিয়ে দেখা দরকার৷’’

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক বদলিতে দুর্নীতি (Corruption) হতে পারে তা আঁচ করতে পেরে আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাও শিক্ষক বদলির মামলায় শিক্ষক-ছাত্র অনুপাতের উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এ বার শিক্ষক বদলি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টেন্ডার দুর্নীতি! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টেন্ডার দুর্নীতি! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রের জল জীবন মিশন (Jal Jeeban Mission) নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। এই প্রকল্পের আওতায় কাজের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৮৬ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। প্রায় ৫০০ কোটি টাকার কাটমানি নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।

    শুভেন্দু যা বললেন

    শুভেন্দুর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ‘‘রাজ্য সরকার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি নলের মধ্য দিয়ে জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পে বড়সড় দুর্নীতি করেছে।’’ শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, নলের মুখে যে ফেরুল লাগানো হয় তাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারা ৫০০ কোটি টাকার ‘কাটমানি’ নিয়েছে হাওড়া সদর ও সাঁকরাইলের নির্দিষ্ট চারটে এজেন্সির কাছ থেকে। এদিন নিজাম প্যালেসে সাংবাদিক সম্মেলন করে শুভেন্দু বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন সব ঘরে পরিশ্রুত জল যাবে। জল জীবন মিশন নামে কেন্দ্রের যোজনা আছে। কিন্তু রাজ্য এটা কোথাও উল্লেখ করে না। এই নিয়ে আমি আগের রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলাম। এদিকে জল জীবন মিশনে ১০০ শতাংশ ফান্ড দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এতে রাজ্য সরকারের কোনও ফান্ড থাকে না।” 

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর চিঠি! রাতারাতি ৬টি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন বাতিল রাজ্যের

    হাওড়া জেলার একাধিক সংস্থা ফেরুল সাপ্লাইয়ের ক্ষেত্রে একচ্ছত্র আধিপত্য খাটিয়েছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। তালিকায় রয়েছে বালাজি ট্রেডার্স, এ কে ইন্ডাস্ট্রিজ, ইলেকো এন্টারপ্রাইজ, সাইবাবা এন্টারপ্রাইজ, প্রীতি এন্টারপ্রাইজ নামে কয়েকটি সংস্থাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, টেন্ডার দেওয়ার যে নিয়ম তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। সেখানে কিছু গোলযোগের অভিযোগ করেছেন তিনি। 

    নলবাহিত জলের ট্যাপের মুখে ফেরুল লাগানো হয়। এই ফেরল কেনার সময়েই বড় দুর্নীতি হয়ে গিয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর। রীতিমতো একাধিক ডকুমেন্ট হাতে নিয়ে শুভেন্দুর দাবি, ফেরুলের এক একটির বাজারের দাম ২১৩ টাকা। কিন্তু, নথিতে দেখা যাচ্ছে কেনা হয়েছে ৫৭০ টাকায়। একাধিক টেন্ডারের তথ্য হাতের সামনে এনে শুভেন্দুর দাবি, ৩২ টা টেন্ডারে কোথাও ২৭ হাজার ইউনিট, কোথাও ৩২ টেন্ডারে ২৪ হাজার ইউনিট, ৩২টি টেন্ডারে ৭৩ হাজার ইউনিট ফেরুল কেনা হয়েছে। প্রতিটাই কেনা হয়েছে ৫৭০ টাকা দরে। এভাবে তৃণমূল নেতারা প্রায় ৫০০ কোটি টাকা দলের শীর্ষস্তরে পৌঁছে দিয়েছে। তিনি বলেন, গরু, কয়লা, পাথর পাচারের টাকা যেখানে পৌঁছয়, সেখানেই পৌঁছেছে এই টাকাও।

    শুভেন্দু দাবি করেন, ২জি স্পেকট্রাম, কমনওয়েলথ গেমসের মতো দুর্নীতি হয়েছে। আমি আজই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়তকে চিঠি লিখব। এই দুর্নীতির তদন্তের অনুরোধ করব তাঁকে। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত শুরু না হলে আদালতে জনস্বার্থ মামলা করব।

  • Kalyani AIIMS: কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

    Kalyani AIIMS: কল্যাণী এইমস মামলায় বিপাকে সিআইডি, তদন্ত চালাতে লাগবে কেন্দ্রের অনুমতি, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কল্যাণী এইমসে (Kalyani AIIMS) নিয়োগ-দুর্নীতি মামলা নিয়ে এবার বিপাকে পড়ল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি (CID)। কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট জানাল, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত (investigation) করতে হলে আগে কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে। দুর্নীতি দমন আইনে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে সিআইডির কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কল্যাণী এইমসে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে তদন্ত চালানোর আগে এক কথায় সিআইডিকে সতর্ক করল হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। সোমবার এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।

    আরও পড়ুন: রাজীব ভট্টাচার্য কি কেষ্টর ‘বেনামি’, কার চিকিৎসার জন্য ৬৬ লাখ দিয়েছিলেন? তদন্তে ইডি-সিবিআই

    গত শুনানিতে কেন্দ্রের তরফের আইনজীবী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের অনুমতি না নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। তাঁর যুক্তি ছিল, এইমসে বেআইনি কর্মী নিয়োগ মামলায় কয়েক জন কর্মীর নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এ ক্ষেত্রে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। কার্যত সেই দাবিই মেনে নিল আদালত। সিআইডিকে আদালত জানিয়েছে, দুর্নীতি দমন আইনের ১৭ (এ), ১৯৮৮ মোতাবেক, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্মী বা আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত, অনুসন্ধান এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। ফলে কল্যাণী এইমসের কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে। আগামী বুধবার, অর্থাৎ ২৪ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। 

    আরও পড়ুন: ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন জ্ঞানবন্ত! কীসের ভয় 

    সূত্রের খবর, এই মামলায় এতদিন সিআইডির তরফে শুনানি করা সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে কোনও সিনিয়র আইনজীবীকে এখানে নিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।

    এসএসসির ধাঁচে কল্যাণী এইমসে প্রভাব খাটিয়ে বেআইনি (Illegal) নিয়োগের অভিযোগে বিজেপির দুই সাংসদ, দুই বিধায়ক-সহ ৮ জনের নামে এফআইআর দায়ের হয়। তদন্ত শুরু করে সিআইডি। সিআইডিকে নথি হস্তান্তর করে কল্যাণী থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, কল্যাণী এইমসে নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআরে নাম রয়েছে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ-সহ ৮ জনের। 

    তাঁদের অভিযোগ, বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের সুপারিশে কল্যাণী এইমসে চাকরি পেয়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে।  

    যদিও এনিয়ে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা বলেন, “এটা কোনও সরকারি চাকরি নয়। এটা কোনও কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি চাকরি নয়। রাজ্য সরকারের চাকরিও নয়। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়েছে। আর এরকম চাকরি যদি আমাদের সৌভাগ্য হয় তৃণমূলের যাঁরা আজ বিক্ষোভ দেখাল তাঁদের ঘরে ঘরে চাকরি দেব আমি। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-দাদাদের অঙ্গুলিহেলনে বাঁকুড়া মেডিক্যালে যেমন ঘরে ঘরে চাকরি পাচ্ছেন, সেখানে বিজেপির একটা ছেলেও নেই। বিজেপি করার জন্য তাঁরা কাজ পাচ্ছেন না। আর সেই ঠিকাদারি সংস্থার তৃণমূলের ছেলেরা শয়ে শয়ে চাকরি পাচ্ছেন।”  

  • Suvendu on Anubrata: অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু 

    Suvendu on Anubrata: অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তে অসহযোগীতার অভিযোগ তুলে গরুপাচার মামলায় দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর বোলপুরের বাড়ি থেকে আজ সকালে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। বুধবার সিবিআইয়ের দশম হাজিরা এড়ানোর পর বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। দেড় ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি গোটা বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এর পর তাঁকে নিয়ে দুর্গাপুরের দিকে রওনা দিয়েছে কনভয়। সিবিআইয়ের দাবি, গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রতর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে চার্জশিটে তাঁর নামের উল্লেখ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সিবিআইয়ে তদন্তে অসহযোগিতা করছেন তিনি। এমনকী বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়িতে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা পৌঁছলে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন অনুব্রত।

    আরও পড়ুন: একসময় বেচতেন মাগুর, সেখান থেকে কীভাবে তৃণমূলের ‘মুগুর’ হয়ে উঠলেন কেষ্ট? 

    এবার অনুব্রত কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সাংবাদিকদের মাধ্যমে তিনি বীরভূমের জেলা সভাপতিকে অনুরোধ করেন, “যাদের নির্দেশে এই কাজ করেছেন, সেই নামগুলো দয়া করে বলে দিন।”   

    শুভেন্দু আরও বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল একজন মাফিয়া। হাটে মাগুর মাছ বিক্রি করত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে সে আজকে ১,০০০ কোটি টাকার মালিক। এতো মমতা ব্যানার্জির সৃষ্টি।”   

    অনুব্রতর উদ্দেশ্যে অনুরোধের সুরে শুভেন্দু বলেন, “আমি আশা করব এই অনুব্রত মণ্ডলের মতো লোকেরা কাদের নির্দেশে গরু, কয়লা, বালি পাচার করেছে এবং বিরোধী দলের লোকেদের বিশেষ করে হিন্দুদের ওপরে পুরো বীরভূম জেলায় যে অত্যাচার করেছেন তাদের নাম বলে দিন।  নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কয়েক হাজার লোককে ঘরছাড়া করা, মানুষকে খুন করা, কার ইন্ধনে হয়েছে? আশা করব, তিনি যার যার নির্দেশে করেছেন, আর মুড়ির টিনে করে যাদের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন সেই নামগুলো দয়া করে বলে দেবেন।”

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে

    তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের দিকেও এদিন আক্রমণ শানান শুভেন্দু। কটাক্ষ করে বলেন, “যাদের শেষ দশ বছরের আইটি রিটার্নের ফাইল ঠিক আছে, তাদের তো ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। দেখবেন তৃণমূল নেতাদের আইটি রিটার্নের ফাইলের সঙ্গে সম্পত্তির কোনও মিল খুঁজে পাবেন না। এই দুর্নীতি শুরু হয়েছে নীচু স্তর থেকে। ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার থেকে নির্মাণ সহায়ক, সবাই কোটি কোটি টাকার মালিক।”

    জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম সরাসরি উল্লেখ করে বিজেপি নেতা বলেন,”নোট বন্দীর সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী স্থানীয় ব্যাঙ্ক থেকে ৪ কোটি টাকা বদলেছেন। কোথা থেকে এল এই টাকা? মেদিনীপুরের এক প্রাক্তন বিধায়ক ১৫ কোটি টাকা বদলেছেন। এই টাকার উৎস কী? খোঁজ নিয়ে দেখবেন ২০১৬ সালের পর থেকে হঠাৎ বেড়েছে এই নেতাদের সম্পত্তি।”  

     

     

     

     

        

     

  • Vijay Mallya: বিজয় মালিয়াকে ৪ মাসের সাজা শোনালো শীর্ষ আদালত, সঙ্গে জরিমানা

    Vijay Mallya: বিজয় মালিয়াকে ৪ মাসের সাজা শোনালো শীর্ষ আদালত, সঙ্গে জরিমানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পলাতক শিল্পপতি বিজয় মালিয়াকে (Vijay Mallya) চার মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সেই সঙ্গে দুহাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে কিংফিসারের প্রাক্তন প্রধানকে। শর্ত না মানলে আরও ২ মাস জেল খাটতে হবে বলেও জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এছাড়াও বিদেশে পাচার করা ৪ কোটি মার্কিন ডলারও ফেরত দেওয়ার জন্যে শিল্পপতিকে চার সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত।

    তথ্য গোপন এবং আদালত অবমাননার দায়ে বিজয় মালিয়াকে ২ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৪ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইউইউ ললিত, রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: সোমবার বিজয় মালিয়া মামলার রায় ঘোষণা, সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ

    ২০১৭ সালে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নিজের ছেলে ও মেয়েকে প্রায় ৩১৭ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন বিজয় মালিয়া। সেই টাকা ৮ শতাংশ সুদে চার সপ্তাহের মধ্যে ফেরত দিতে হবে তাঁকে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অন্যথায় ‘কিংফিশার কিং’ -এর সম্পত্তি বেঁচে পাওনাদার সংস্থাগুলিকে টাকা তোলার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুন: দেশে সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! অভিযুক্ত ওয়াধওয়ান ভাতৃদ্বয়

    ২০১৬ সালে ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান বিজয় মালিয়া। ২০১৭ সালের ১০ জুলাই বিজয় মালিয়াকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু হাজিরা তিনি দেননি। এছাড়াও নিজের সম্পত্তির সম্পূর্ণ খতিয়ান ব্যাঙ্কগুলির কাছে গোপন করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে মালিয়ার বিরুদ্ধে। ব্যাঙ্কগুলির অভিযোগ, ২০১৭ সালের কর্ণাটক হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে ছেলে সিদ্ধার্থ ও মেয়ে লীনাকে প্রায় ৪ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন মালিয়া।  

    ৫ বছর আগে আদালত অবমাননার অভিযোগে মালিয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা শুরু হয়। শীর্ষ আদালত জানায়, মালিয়া তথ্য গোপন করেছেন। কর্ণাটক হাইকোর্টের নির্দেশও অমান্য করে বিদেশে টাকা পাঠিয়েছেন। ভারত সরকারের হাত থেকে বাঁচতে ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকেই লন্ডনে গা ঢাকা দিয়ে বসে আছেন বিজয় মালিয়া। এখনও তিনি অধরা।

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে জানান, ঋণখেলাপি মামলায় অভিযুক্ত এবং পলাতক বিজয় মাল্য, নীরব মোদী এবং মেহুল চোকসির কাছ থেকে মোট ১৮,০০০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।  

  • Calcutta High Court: “সাপের লেজ দিয়ে…”, মাদ্রাসা-দুর্নীতি মামলায় হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Calcutta High Court: “সাপের লেজ দিয়ে…”, মাদ্রাসা-দুর্নীতি মামলায় হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ঝুলি থেকে ফের বেরল বেড়াল! আবারও উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission) নিয়োগে দুর্নীতি, টেটে (TET) অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এবার একই অভিযোগ উঠল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনেও (Madrasa Service Commission)।

    মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি ১৫ দিনের মধ্যে মাদ্রাসা সার্ভিক কমিশনকে ৭০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দেন, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুনানি চলাকালীন কমিশনকে ভর্ৎসনাও করেন বিচারপতি। বলেন, “সাপের লেজ দিয়ে কান চুলকোবেন না।”

    আরও পড়ুন : এসএসসির দুর্নীতির টাকায় স্ত্রীর নামে ঝাঁ চকচকে স্কুল করেছেন পার্থ! দাবি শুভেন্দুর

    স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল বিস্তর। এবার অনিয়মের অভিযোগ উঠল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধেও। অভিযোগ, তারা অপেক্ষাকৃত কম মেধার ছাত্রছাত্রীদের সুযোগ দিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করেছে। মাদ্রাসা কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই ওই নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ।

    মাদ্রাসায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জনৈক আকমল হোসেন সহ সাত জন। আদালতে তাঁরা জানিয়েছিলেন, ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে যে নিয়োগ হয়েছিল, তাতে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের সুযোগ দেওয়া হয়নি। এর জবাবেই বিচারপতি জানিয়ে দেন, এই সাতজনকে জরিমানার অর্থ বাবদ ১০ হাজার টাকা করে দিতে হবে কমিশনকে।

    আরও পড়ুন : বদলে যাচ্ছে পঠন-পাঠনের ধারণা? মডেল স্কুল তৈরির ভাবনা কেন্দ্রের

    গত কয়েক মাস ধরে স্কুল শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা হয়েছে একাধিক। সেই সব মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন ও বর্তমান মন্ত্রীদের নামও জড়িয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পর্যবেক্ষণ কমিটির বিরুদ্ধেও দায়ের হয়েছে মামলা। এই পরিস্থিতিতে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আদালত তাদের সতর্ক করে দেয়।

    এদিনের শুনানিতে বিচারপতি বলেন, এর আগে তাঁর এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলা দুবার এসেছে। তৃতীয়বার এই রকম অভিযোগ হলে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সাপের লেজের প্রসঙ্গ টানেন বিচারপতি। তাঁর নির্দেশ, ২০১০ সালের মাদ্রাসা কমিশনের রুল অনুযায়ী বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। ভবিষ্যতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের সুযোগ দিতে হবে। কমিশনকে দিতে হবে ৭০ হাজার টাকা জরিমানাও।

     

  • Lalu Prasad Yadav: নতুন দুর্নীতি মামলায় লালু প্রসাদের বাড়িতে অভিযান সিবিআই-এর 

    Lalu Prasad Yadav: নতুন দুর্নীতি মামলায় লালু প্রসাদের বাড়িতে অভিযান সিবিআই-এর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক সপ্তাহ আগেই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন জেল থেকে। ফের নতুন দুর্নীতি মামলায় জড়ালো আরজেডি প্রধান, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav) নাম। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন জমি নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ১৭টি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, পাটনা, গোপালগঞ্জ ও দিল্লিতে লালু প্রসাদ, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং মেয়ে মিসা ভারতীর বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। রেলে চাকরি দেওয়ার নামে কম টাকায় জমি ও প্লট কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে এই তিনজনের বিরুদ্ধে। তদন্তের পর লালু ও তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সিবিআই।

    প্রসঙ্গত, ২০০৪ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। তিনি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন চাকরির বদলে কম টাকায় জমি নেওয়া হয়েছে এমন বহু ঘটনা সামনে এসেছে। আর তার তদন্তেই লালু, রাবড়ি এবং তাঁদের মেয়ের বাড়িতে সকাল থেকে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)।

    মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় জামিন পেয়েছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। ডোরান্ডা কোষাগার থেকে ১৩৯ কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে, ডোরান্ডা কোষাগার থেকে ১৩৯ কোটি টাকা সরানো হয়েছিল। প্রায় ২৭ বছর পর এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে, আদালত এই দুর্নীতি মামলার রায়ে লালুকে দোষী সাব্যস্ত করে। পাঁচ বছরের সাজা হয় লালুর। ফের আবারও একবার এক নতুন দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ালো তাঁর।

     

LinkedIn
Share