Tag: CV Ananda Bose

CV Ananda Bose

  • CV Ananda Bose: রাজভবনের উত্তর গেট এবার ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফটক’, নামকরণ করলেন রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: রাজভবনের উত্তর গেট এবার ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফটক’, নামকরণ করলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের উত্তর গেটের নামকরণ হচ্ছে ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফটক’। বৃহস্পতিবার শান্তিনিকেতন সফরে এসে ফটকের নামের ফলক উন্মোচন ও শুদ্ধিকরণ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। কবিগুরুর ‘প্রাণের আরাম’ ছাতিমতলায় সেই ফলকের উন্মোচন করা হয়। সঙ্গে ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক। রাজ্যপাল রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালা, ছাতিমতলা, উপাসনা গৃহ ঘুরে দেখেন।

    রাজভবন থেকে শ্বেত পাথরের ফলক আনলেন রাজ্যপাল (C V Ananda Bose)

    বন্দেভারত এক্সপ্রেসে এদিন সকালে শান্তিনিকেতনে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। বোলপুর স্টেশন থেকে সোজা তিনি শান্তিনিকেতনে যান। রথীন্দ্র অতিথি গৃহে তিনি বিশ্রাম নেন। দুপুরে রবীন্দ্রভবন সংগ্রহশালায় আসেন তিনি। ঘুরে দেখেন গুরুদেবের ব্যবহৃত সামগ্রী। সেখান থেকে ছাতিমতলায় যান রাজ্যপাল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি দেওয়া একটি শ্বেত পাথরের ফলক রাজভবন থেকে নিয়ে আসেন তিনি। সেই ফলকে লেখা ছিল ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফটক’। এই ফলকটি কবির ‘প্রাণের আরাম, আত্মার শান্তি, মনের আনন্দ’ ছাতিমতলায় উন্মোচন ও শুদ্ধিকরণ করেন। এমনিতেই পৌষমেলা নিয়ে এতদিন টালবাহনা চলছিল। অবশেষে প্রশাসনের উদ্যোগে পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা হওয়ার কথা রয়েছে। এনিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেলা করার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে। যদিও এদিন রাজ্যপাল বিশ্বভারতীতে এসে পৌষমেলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    কী বললেন রাজ্যপাল? (C V Ananda Bose)

    বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিককে পাশে নিয়ে রবীন্দ্রভবনের সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল (C V Ananda Bose) বলেন, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেশের শুধু নয়, বিশ্বের কাছে গর্বের। তাঁর সৃষ্টি পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে আছে। আমি গর্বিত এমন বিখ্যাত মানুষের কর্মভূমিতে আসতে পেরে। এরপর রাজ্যপাল বলেন, এই ফলকটি রাজভবনের উত্তর গেটে বসবে। রাজভবনের উত্তর গেটের নামকরণ করা হবে ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফটক’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Ratna Award 2023: ‘দুর্গা রত্ন’ পুরস্কার প্রদান করলেন রাজ্যপাল, তালিকায় রয়েছে কোন কোন পুজো?

    Durga Ratna Award 2023: ‘দুর্গা রত্ন’ পুরস্কার প্রদান করলেন রাজ্যপাল, তালিকায় রয়েছে কোন কোন পুজো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছরের ‘দুর্গা রত্ন’ (Durga Ratna Award 2023) পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কলকাতা এবং জেলা মিলিয়ে রাজ্যের মোট চারটি পুজো কমিটিকে মোট ৫ লাখ টাকা পুরস্কারের কথা জানাল রাজভবন। এই ঘোষণায় পুরস্কার প্রাপ্ত পুজো কমিটিগুলির মধ্যে উৎসাহ ধরা পড়ল।

    ‘দুর্গা রত্ন’ পুরস্কারে কী থাকছে (Durga Ratna Award 2023)

    রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, মানুষের বিচারে সেরা চার পুজো কমিটিকে ‘দুর্গা রত্ন’ (Durga Ratna Award 2023) পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে। চার কমিটিকে দেওয়া হবে মোট পাঁচ লক্ষ টাকা এবং সেই সঙ্গে থাকবে রাজবভনের বিশেষ মানপাত্র। এর আগে, সেরা দুর্গা পুজোর কমিটিগুলিকে একটা মোটা অঙ্কের টাকা প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। এবার রাজ্যপালও নির্বাচিত কিছু পুজো কমিটিকে সেরা পুজোর জন্য পুরস্কার স্বরূপ টাকা প্রদান করলেন।

    কোন কোন ক্লাবের পুজো দুর্গা রত্ন পুরস্কার পেল?

    রাজবভন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল আগেই ‘দুর্গা রত্ন’ (Durga Ratna Award 2023) পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতো ইমেলের মাধ্যমে রাজ্যবাসীকে মতামত দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। আর তার উপর নির্ভর করেই চার পুজো মণ্ডপের নাম পুরস্কারের তালিকায় ঘোষণা করা হল। ‘দুর্গা রত্ন’ সম্মানে ভূষিত চারটি পুজো মণ্ডপ হল—কলকাতার টালা প্রত্যয়, নেতাজি নগর কলোনি লো-ল্যান্ড, বরানগর বন্ধু দল স্পোর্টিং এবং কল্যাণী লুমিনাস ক্লাব।

    পুজোতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বার্তা রাজ্যপালের

    পুজোতে রাজ্যপালকে (Durga Ratna Award 2023) প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে প্রতিমা দর্শন করতে দেখা যায়। তিনি শহরের পুজো মণ্ডপগুলি পরিদর্শন করে, রাজ্যবাসীকে দুর্নীতির অসুরের বিরুদ্ধে লড়াই করার বার্তা দেন। অষ্টমীর দিনে সুকিয়া স্ট্রিটের রামমোহন সম্মিলনীর পুজোতে গিয়ে অঞ্জলি প্রদান করেন তিনি। মণ্ডপে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল বলেন, “আজ মায়ের সামনে আসুন সবাই শপথ গ্রহণ করি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। সকল হিংসার বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব। পুরাণ অনুযায়ী, দুর্নীতি হল রক্তবীজ এবং হিংসা হল নরকাসুর। মা কালী যেমন রক্তবীজকে বধ করেন, তেমনি মা দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যেমন নরকাসুরকে বধ করেন, ঠিক তেমনই হিংসাকে আমাদের বধ করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah Meets Ananda Bose: রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ! শাহি দরবারে রাজ্যপাল বোস

    Amit Shah Meets Ananda Bose: রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ! শাহি দরবারে রাজ্যপাল বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Amit Shah Meets Ananda Bose)। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাঁর অফিসে যান তিনি। সেখানেই প্রায় এক ঘণ্টা ছিলেন রাজ্যপাল। বেলা ১২টা নাগাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করেননি বোস। সোমবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক সেরেই দিল্লি রওনা দেন রাজ্যপাল। 

    রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ

    সূত্রের খবর, মূলত একশো দিনের কাজ নিয়ে অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের নির্যাস তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছেন বলে খবর। পাশাপাশি রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা মোতায়েন থাকার পরও তৃণমূলের ধরনা নিয়েও শাহি বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল (Amit Shah Meets Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, অভিষেকর ধরনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট জমা করেছেন রাজ্যপাল। বৈঠকে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে করেছেন রাজ্যপাল বোস। 

    রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অভাব

    রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা জনিত বিষয় নিয়েও রাজ্যপাল-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah Meets Ananda Bose) সাক্ষাৎ হতেই পারে। কারণ, সব রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয় দেখার দায়িত্ব থাকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। আর রাষ্ট্রপতি রাজ্যপালকে নিয়োগ করলেও, তাঁকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই রাজ্যে কাজকর্ম করতে হয়। এ ক্ষেত্রে লোকসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। রাজভবন সূত্রে খবর ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা সংক্রান্ত ইস্যু নিয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে শাহ এর দরবারে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ইস্যু নিয়েই একাধিক নালিশ রাজ্যপাল  জানিয়েছেন বলেই রাজভবন সূত্রে দাবি। যার মধ্যে নির্বাচন চলাকালীন রাজ্যে একাধিক খুন, হিংসার ঘটনা। রাজ্যপালের মুভমেন্ট কে ট্র্যাক করা, মহিলাদের উপর নির্যাতন, ১৪৪ ধারা কার্যকরী করার ক্ষেত্রে অবহেলা বিষয় নিয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে নালিশ জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই! কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত ২ লস্কর জঙ্গি খতম

    পাশাপাশি বন্যা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় সমন্বয়ের অভাবকেও এদিন শাহের সামনে তুলে ধরেন রাজ্যপাল বোস (Amit Shah Meets Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে বেআইনি অস্ত্র কারখানা এবং আন্তঃরাজ্য সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও এদিন উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর এখনো পর্যন্ত রাজভবনের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। রাজভবন সূত্রে খবর, দুর্গাপূজোর আগেই যাতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: দিল্লি থেকে সোজা রাজ্যে বন্যা দুর্গতদের পাশে রাজ্যপাল, দেখা নেই মুখ্যমন্ত্রীরই!

    CV Ananda Bose: দিল্লি থেকে সোজা রাজ্যে বন্যা দুর্গতদের পাশে রাজ্যপাল, দেখা নেই মুখ্যমন্ত্রীরই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমে বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গও। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিলিগুড়ি, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি। তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা হারিয়েছেন ভিটেমাটি। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দরকার ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি সে পথে হাঁটেননি। বরং, তাঁর দলের নেতানেত্রীরা এখন রাজভবন অভিযানের নামে রাজনীতি করতে ব্যস্ত। জলপাইগুড়ির দুর্গতদের দেখতে দিল্লি থেকে সরাসরি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। উত্তরবঙ্গের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। তবে, রাজ্যপালের মতো রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গেলেও সেখানে রাজ্যের কোনও মন্ত্রী যাওয়া তো দূরের কথা জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে দেখা যায়নি। স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীরা ছিলেন। বিপর্যয়ের সময় শাসক দলের মন্ত্রী থেকে আমলাদের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    দুর্গতদের জন্য এক মাসের বেতন দান করলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)

    রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি হরপা বানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করতে যান। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সেবক কালিঝোরা সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শনে করেন। কালিঝোরায় তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে এই  অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেকোনও সময় আসতে পারে। প্রকৃতির বিরুদ্ধে গেলে এ ধরনের বিপর্যয় ঘটবে। উদ্ধারকার্য চলছে। এখন  সমালোচনা করার সময় নয়।’ পরে, তিনি সোজা জলপাইগুড়ি জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হন। তিনি আটমাইল এলাকায় ধস বিধ্বস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন। রাজ্যপাল দুর্গতদের জন্য নিয়ে আসেন মিষ্টির প্যাকেট। সকলকে মিষ্টি বিতরণ করেন তিনি। রংধামালি ক্যাম্পে আশ্রিত দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যপালকে দেখে নিজেদের অবস্থার কথা জানান দুর্গতরা। দুর্গতদের এক হাজার টাকা করে অ্যাকাউন্টে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ কোনও সাহায্য পাচ্ছেন না সে কথা রাজ্যপালের কাছে দুর্গতরা নালিশ জানান। একশো দিনের কাজ নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন। কেন একশো দিনের কাজ বন্ধ? কেনই বা তাঁরা টাকা পাচ্ছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাজ্যপাল তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনেছেন। দুই সরকারের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিবের কাছে বন্যা কবলিত এলাকার রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। বোসের কাছে রিপোর্টও পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব। সিকিমের রাজ্যপালের সঙ্গেও কথা বলেছেন বোস। ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে রাজ্যপাল তিস্তার বাঁধ পরিদর্শন করেন। সেখানে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল জানিয়ে দেন, দুর্গতদের জন্য তিনি তাঁর এক মাসের বেতন দান করবেন।

    তিস্তায় ভেসে এল ১৫টি দেহ, হতবাক এলাকাবাসী

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ি জেলায় তিস্তার জলে ভেসে আসতে শুরু করেছে দেহ। জেলায় মোট ১৫ টি মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। ময়নাগুড়ি থানা এলাকা থেকে ১২ জন, মালবাজার থানা এলাকা থেকে ১ টি এবং ক্রান্তি ফাঁড়ি এলাকা থেকে ২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এদিন সকালে ময়নাগুড়ি দক্ষিণ ধর্মপুর এলাকার বাসিন্দারা তিস্তার চর এলাকায় নিজেদের কাজে গিয়ে মৃত দেহগুলি দেখতে পান। তারাই খবর দেন পুলিশে। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে। সেগুলিকে ময়না তদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার বাসিন্দা শ্যামল রায় বলেন, দেহগুলি দেখে তাদের অত্যন্ত খারাপ লাগছিল। এই মৃতদেহ গুলির মধ্যে কিছু দেহ সেনাবাহিনীর নিঁখোজ হওয়া জওয়ানদের রয়েছে। বাকীরা সাধারণ নাগরিক। এদিন মোতিয়ার চর এলাকা থেকে তিনটি  রকেট লঞ্চার উদ্ধার হয়। সেগুলিকে  তিস্তা নদীতেই পুঁতে দেওয়া হয়। তিস্তার ঘোলাটে জল গ্রাস করেছে সব কিছু।  চটি, জামাকাপড়, বাসনপত্র, রান্নার গ্যাসের অর্ধেক সিলিন্ডার। তিস্তা পাড়ের দু’পাড়ের বাসিন্দাদের জীবিকা মূলত নির্বাহ হয় চাষাবাদ আর চা বাগানে কাজ করে। সঙ্গে বাড়িতে থাকা পোষ্য গরু, ছাগল, হাঁস পালন করে। এখন সবই তিস্তার গ্রাসে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে গতি আনতে ‘স্পিড প্রোগ্রাম’! নয়া নির্দেশিকা রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে গতি আনতে ‘স্পিড প্রোগ্রাম’! নয়া নির্দেশিকা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালগুলির কাজে গতি আনতে নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে দ্রুত ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই ‘স্পিড প্রোগ্রাম’ চালু করার কথা ভেবেছেন আচার্য। একই সঙ্গে রাজভবনে রিয়েল টাইম মনিটরিং সেল চালু করার কথাও বলা হয়েছে।

    রাজভবনের নয়া নির্দেশিকা

    মঙ্গলবার রাতে রাজভবন থেকে প্রকাশিত ওই নির্দেশিকায় শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ২৫টি কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, বকেয়া কাজগুলি চিহ্নিত করে সেগুলি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শেষ করার জন্য একটি পরামর্শদাতা কমিটি গড়ার কথাও জানিয়েছেন আচার্য। থাকবে ২৫ সদস্যের শিক্ষক নির্বাচন কমিটিও। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাজের মূল্যায়নের জন্য রাজভবনে একটি ‘রিয়েলটাইম মনিটরিং সেল’ও স্থাপন করা হয়েছে। উপাচার্যেরা যে কোনও সময় আচার্য বোসের ওই মনিটরিং সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। দিনের ২৪ ঘণ্টাই চালু থাকবে ওই টেলিফোন নম্বর (০৩৩-২২০০১৬৪২) পাশাপাশি ই-মেলে (aamnesaamne.rajbhavankolkata@gmail.com) অভিযোগ জানাতে পারা যাবে ওই মনিটরিং সেলকে। 

    আরও পড়ুন: শতবর্ষ পেরিয়েও সমান জনপ্রিয় সিউড়ির তাঁতিপাড়ার জিলিপি! লুকিয়ে কোন রহস্য?

    উপাচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে মামলা

    বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে মরিয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছেন তিনি। এদিকে উপাচার্য নিয়োগ বিল মামলায় রাজ্যপালের অফিসের কাছে হলফনামা চেয়েছে হাইকোর্ট। ৪ অক্টোবরের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০২২ সালে জুন মাস উপাচার্য নিয়োগ বিল পাস হয় বিধানসভায়। এরপর রীতিমাফিক সেই বিল রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া ওই বছরের ২৫ জুন। কিন্তু বিলে স্বাক্ষর করা তো দুরঅস্ত, রাজ্যপাল কোনও পদক্ষেপই করেননি বলে অভিযোগ। ১৪ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘প্রাণ হাতে করে গ্রামে বাস করছি’’, দত্তপুকুরে রাজ্যপালকে নালিশ মহিলাদের

    CV Ananda Bose: ‘‘প্রাণ হাতে করে গ্রামে বাস করছি’’, দত্তপুকুরে রাজ্যপালকে নালিশ মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় মৃত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। আর সেখান থেকে ফিরেই রবিবার রাতে সোজা দত্তপুকুরে। রবিবার সাতসকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুরের জগন্নাথপুরের মোচপোল এলাকা। কাটা কব্জি, পোড়া পা, ঝলসানো শরীর ছড়িয়ে ছিটিয়ে গ্রামের আনাচে কানাচে পড়েছিল। একাধিক বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। এদিন বিস্ফোরণের নানা দিক নিয়ে খোঁজ নেন তিনি। বেসরকারি মতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। উড়ে গিয়েছে একাধিক বাড়ির ছাদ। সেই ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন রাজ্যপাল।

    রাজ্যপালকে (CV Ananda Bose) ঘিরে ধরে কী বললেন মহিলারা?

    রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) যখন বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখে বেরোচ্ছেন, গ্রামেরই একদল মহিলা তাঁকে ঘিরে ধরেন। উগরে দেন একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে, অভিযোগ, তা কেয়ামত আলি নামে এক ব্যক্তির। এলাকার মহিলাদের দাবি, শুধু কেয়ামত আলির কারখানা নয়, গ্রামজুড়ে এরকম একাধিক বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে। অভিযোগ, বাজির গোডাউন রয়েছে এবং কার্যত প্রাণ হাতে করে বাস করছেন এলাকার লোকজন। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। ফলে, বাজির ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত নন, তাঁরাও এ গ্রামে নিরাপদ নন বলে দাবি করেন মহিলারা। রবিবারের বিস্ফোরণের পর সেই আশঙ্কা আরও জোরালো হচ্ছে। গ্রামের মহিলারা অনুরোধ করেন, রাজ্যপাল যেন একবার এরকমই একটি গোডাউন বা বেআইনি বাজির গুদাম ঘুরে দেখেন। এরপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস গ্রামের অন্ধকার রাস্তা ধরেই ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩০০ মিটার পথ এগিয়ে আসেন। সঙ্গে ছিলেন গ্রামের লোকজনও। গ্রামবাসীরা একটি বাড়ি দেখিয়ে তা বাজির গুদাম বলে অভিযোগ করেন। রাজ্যপাল সেই বাড়ির সামনে আসেন এবং সেই মহিলাদের সঙ্গে কথাও বলেন। পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন। রাজ্যপাল এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করার উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

    কী বললেন রাজ্যপাল? (CV Ananda Bose)

    ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এতগুলো তাজা প্রাণ চলে গেল। আমি এখান থেকে হাসপাতালে যাব। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তারপর বলব। এরপরই বারাসত জেলা হাসপাতালে পৌঁছন তিনি। এরপর তিনি বলেন, শুধু দুর্ঘটনা এটা নয়, এটা বড় ঘটনা। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তারা সত্য খুঁজে বের করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘কন্যারাই সুরক্ষিত না হলে কন্যাশ্রী সফল হবে কীভাবে?’ কেন বললেন রাজ্যপাল?

    CV Ananda Bose: ‘কন্যারাই সুরক্ষিত না হলে কন্যাশ্রী সফল হবে কীভাবে?’ কেন বললেন রাজ্যপাল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় নৃশংসভাবে খুন হওয়া ছাত্রীর পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যপাল। রবিবার দুপুরে মাটিগাড়ায় ওই ছাত্রীর বাবা-মায়ের সঙ্গে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। প্রায় আধঘণ্টা তিনি মৃত ছাত্রীর বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এভাবে এই ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় তিনি যে ব্যথিত এবং রাজ্যে কন্যা তথা মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তার ইঙ্গিত এদিন রাজ্যপালের বক্তব্যে পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যের কন্যাশ্রী প্রকল্পে সাফল্য নিয়েও প্রশ্নের সুর শোনা গিয়েছে রাজ্যপালের বক্তব্যে।

    কী বললেন রাজ্যপাল? (CV Ananda Bose)

    এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) সোজা চলে যান মাটিগাড়ায় ওই মৃত নাবালিকা ছাত্রীর বাড়িতে। সেখান থেকে বেরিয়ে রাজ্যপাল শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। রাজ্যপাল বলেন, মাটিগাড়ার ওই নাবালিকা ছাত্রীকে যেভাবে খুন করা হয়েছে তাতে আমি বাকরুদ্ধ। অত্যন্ত নিষ্ঠুর ঘটনা। বাংলায় কোনও কন্যার উপর এমন ঘটনা হওয়া উচিত নয়। পরিবারের পাশে আমি থাকব। কন্যা আছে বলেই কন্যাশ্রী। কন্যারাই  যদি সুরক্ষিত না হয় তাহলে কন্যাশ্রী সফল হবে কিভাবে? কন্যাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আশা করব, দোষী দ্রুত উপযুক্ত শাস্তি পাবে।

    রাজ্যপাল চলে যেতেই প্রশ্ন উঠল, মুখ্যমন্ত্রী কেন এলেন না?

    রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেই এলাকাবাসী প্রশ্ন তোলেন, এক নাবালিকা ছাত্রীকে নির্মমভাবে খুন করার পরও মুখ্যমন্ত্রী কেন শিলিগুড়িতে এলেন না? এদিন রাজ্যপাল এসে ওই ছাত্রীর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরবতা নিয়ে মুখর হন স্থানীয় নাগরিকরা। সকলেরই প্রশ্ন, এরকম ঘটনার পরও কেন মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়েও একবারের জন্য ওই ছাত্রীর বাবা- মা’র সঙ্গে দেখা করতে এলেন না। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে থাকা বিজেপির দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, মণিপুর নিয়ে বেশি ব্যথিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই, সেখানে তিনি তাঁর প্রতিনিধি দল পাঠান। সেখানে কলকাতা থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে শিলিগুড়িতে এক নাবালিকা ছাত্রীকে নির্মমভাবে খুন করার ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যথিত করেনি,তাই তিনি এখনও আসেননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Principal Secretary: রাজ্যপালের সচিব পদের জন্য তিনটি নাম পাঠাল নবান্ন! জানেন তাঁরা কে?

    Principal Secretary: রাজ্যপালের সচিব পদের জন্য তিনটি নাম পাঠাল নবান্ন! জানেন তাঁরা কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল (Governor) সিভি আনন্দ বোসের সচিব (Principal Secretary) পদের জন্য তিনটি নাম রাজভবনে (Raj Bhawan) পাঠাল নবান্ন (Nabanna)। এই তিনজন হলেন, সুন্দরবন উন্নয়নের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অত্রি ভট্টাচার্য, শ্রম দফতরের সচিব বরুণকুমার রায় এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের সচিব অজিতরঞ্জন বর্ধন। নিয়ম অনুযায়ী, এই তিন জনের মধ্যে থেকেই একজনকে রাজ্যপালের সচিব (Principal Secretary) হিসাবে বেছে নেওয়ার কথা রাজভবনের।

    রাজ্যপালের সচিব (Principal Secretary) পদে কে?

    সম্প্রতি রাজ্যপালের প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে রাজভবন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর তারপর থেকেই জল্পনা ছিল, রাজ্যপালের পরবর্তী প্রধান সচিব (Principal Secretary) কে হবেন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কাকে নিজের প্রধান সচিব হিসাবে বেছে নেন সেটাই দেখার। রাজভবন এবং বিজেপি সূত্রের খবর, নবান্নের পাঠানো এই তিন নামের বাইরে থাকা আইএএস সুব্রত গুপ্তকে সচিব হিসেবে চাইছেন রাজ্যপাল। যদিও এই বিষয়ে নবান্ন কিংবা রাজভবনের তরফ থেকে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া মেলেনি। শনিবার এই সুব্রত গুপ্তকেই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী নবান্নে ডেকেছিলেন। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠকও করেছিলেন। তবে সেই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা সামনে আসেনি। মনে করা হচ্ছে, রাজ্যপালের সচিব (Principal Secretary) প্রসঙ্গেই আলোচনা হলেও হতে পারে। এখন দেখার রাজ্যপাল কী করেন? তাঁর প্রধান সচিব হিসেবে (Principal Secretary) অন্য নাম পাঠাবেন না এঁদের মধ্যে থেকেই কাউকে নিজের সচিব হিসেবে বেছে নেবেন তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে। 

    আরও পড়ুন: ‘পার্থ’-কে টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি! আত্মহত্যা যুবকের, সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    রাজ্যের একাধিক দফতরের সচিব পদ সামলানোর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নন্দিনী চক্রবর্তী ছিলেন রাজ্যপালের প্রধান সচিব (Principal Secretary)। লা গণেশন যখন কিছু সময়ের জন্য বাংলার রাজ্যপাল হিসাবে এসেছিলেন, তখন থেকেই নন্দিনী চক্রবর্তী এই পদে ছিলেন। এরআগে এই পদের দায়িত্ব সামলেছেন সুনীলকুমার গুপ্তা। এবার কে এই পদে বসে তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CV Ananda Bose: নিশীথ প্রামাণিকের উপর তৃণমূলের হামলা, ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: নিশীথ প্রামাণিকের উপর তৃণমূলের হামলা, ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের উপর রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের অনুগামীরা আচমকা আক্রমণ করলে দুই মন্ত্রীর মধ্যে বচসার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ, কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে তাঁদের উপর। পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির উপর দায় ঠেলেছে। এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। এবার এই ঘটনায় সত্যানুসন্ধানে নেমেছেন রাজ্যের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। ঘটনার সত্যতা জানতে রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।

    কী বলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)

    মঙ্গলবারের ঘটনার এক দিন পর বুধবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বাগডোগরা থেকে সড়কপথে কোচবিহারে পৌঁছান রাজ্যপাল। দিনহাটা চৌপতি এলাকা যান রাজ্যপাল। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তৃণমূল পরিচালিত দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্য়ানের সঙ্গে কথা বলেন। পরে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করব না। রাজ্য পুলিশের DG-র কাছে রিপোর্ট চেয়েছি। এক্ষেত্রে আমার স্পষ্ট মতামত হল, নির্বাচন চলাকালীন কোনও রকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, এর পুনরাবৃত্তি হবে না, এটা একটা অঙ্গীকার।’’ এর আগে, এদিন বেলায় কলকাতা থেকে রওনা দেওয়ার সময়ও রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশ যে ভালো নেই সেই নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। সামনেই লোকসভার ভোট। তাই রাজ্যে সন্ত্রাস মুক্ত নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই রাজ্যপাল সক্রিয় বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

    নির্বাচন প্রসঙ্গে কী বললেন?

    একই ভাবে এদিন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) আরও বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনের কাজে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবনা।” সেই সঙ্গে তিনি রাজ্য প্রশাসনের ডিজিকে এই রাজনৈতিক আক্রমণের ঘটনায় রিপোর্ট চেয়েছেন। রাজ্যে কোনও রকম অশান্তি কাম্য নয় বলে জানান তিনি। একই ভাবে আগের বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে মনোনয়ন থেকে ভোট দেওয়া এবং ফলাফল ঘোষণা থেকে ভোট পরবর্তী সময় পর্যন্ত ব্যাপক সন্ত্রাসের কথা মনে করিয়ে দেন। কোনও ভাবেই যে হিংসাকে বরদাস্ত করবেন না সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে দেন তিনি। রাজ্যে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বিষয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছ তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ‘ভ্রাম্যমান রাজভবন’! ভোটের সময় হিংসা রুখতে পথে পথে ঘুরবেন রাজ্যপাল

    Lok Sabha Election 2024: ‘ভ্রাম্যমান রাজভবন’! ভোটের সময় হিংসা রুখতে পথে পথে ঘুরবেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের (Lok Sabha Election 2024) সময় হিংসা রুখতে প্রয়োজনে গোটা রাজভবনকেই নামিয়ে আনবেন বাংলার পথে। বাংলার ভোটে পাহারা দেবে ‘ভ্রাম্যমান রাজভবন’। শনিবার ভোট ঘোষণার দিনই রাজভবনের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি দেওয়া হয়। যে কোনও মূল্যে রাজ্যে দুর্নীতি ও হিংলা রুখতে তিনি সচেষ্ট বলেও জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    রাজ্যপালের বিবৃতি

    শনিবার লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বাংলায় সাত দফা ভোটের ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) জানান, ভোটে যাতে বাংলায় কোনও হিংসা না হয়, তা দেখতেই পথে থাকবেন তিনি।  রাজ্যপাল একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘ভোটের প্রথম দিন থেকে আমি রাস্তায় থাকব। আমি ‘জন রাজভবন’ বা ‘ভ্রাম্যমাণ রাজভবন’ হিসেবে রাস্তায় ঘুরব। সকাল ৬ টা থেকে থাকব রাস্তায়।’’ এক বছর আগে হওয়া পঞ্চায়েত ভোটের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তাঁর বিবৃতিতে এক রকম হুঁশিয়ারির সুরেই রাজ্যপাল বলেছেন, ‘‘মানুষের রক্ত নিয়ে রাজনীতির হোলি খেলা যাবে না।’’

    আরও পড়ুন: দেশে ৭ দফায় ভোট, লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন

    রক্ত নিয়ে রাজনীতির হোলি নয়

    শনিবার সকালে হাওড়ার একটি বেসরকারি স্কুলে সারপ্রাইজ ভিজিট করেন রাজ্যপাল। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বোস বলেন, ‘ভোটের প্রথম দিন থেকে রাস্তায় থাকব। আমার দুটো প্রায়োরিটি। প্রথম হল হিংসা এবং দুর্নীতি বন্ধ করা। আমি জন রাজভবন বা ভ্রাম্যমান রাজভবন হিসেবে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরব। সকাল ৬টা থেকে রাস্তায় থাকব আমি। মানুষের কাছে থাকব। যাতে তারা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে পারেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগেও বলেছি, মানুষের রক্ত নিয়ে রাজনীতির হোলি খেলা যাবে না’। এদিন সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে রাজ্যপাল বলেন, “অফিসে বসে থাকবেন না। এলাকায় যান। আপনারা সিভিল সার্ভেন্ট। বাংলাকে নতুন ভাবে পরিচালনা করুন।’’

    রাজ্যপালের জল দর্শন

    শনিবার অবশ্য এর পাশাপাশি রাজভবনের তরফে আরও একটি নতুন পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। যার নাম রাজ্যপালের ‘জল দর্শন’। বাংলায় প্রচুর উপকূলবর্তী এলাকা আছে। সেই সমস্ত উপকূলবর্তী এলাকা বছরভর জল সফরে ঘুরে দেখবেন রাজ্যপাল বোস (CV Ananda Bose)। শনিবার সকালে হাওড়ার জৈন বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল। সেখান থেকে বেরিয়ে রাজ্যপাল জানিয়েছেন আগামীতেও এই ধরনের পরিদর্শনে বেরোবেন তিনি। এদিন বাংলার ছাত্র ছাত্রীদের মেধার প্রশংসা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share