Tag: Darjeeling

Darjeeling

  • Siliguri: পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে গাড়ি চালকদের জুলুমবাজিতে নাজেহাল পর্যটকরা, কী করছে রাজ্য সরকার?

    Siliguri: পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে গাড়ি চালকদের জুলুমবাজিতে নাজেহাল পর্যটকরা, কী করছে রাজ্য সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রিপেইড বুথ আছে, কিন্তু গাড়ি নেই। শিলিগুড়িতে (Siliguri) গাড়ির মালিকরা নিজেদের মর্জি মতো ভাড়া হাঁকছেন। ফলে, এনজেপি স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে গাড়ি ভাড়া নিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন পর্যটকরা। ট্রেন থেকে স্টেশনে নামা মাত্রই যাত্রীদের হাত ধরে টানাটানি করছেন দালালরা। সঠিক ভাড়ায় দার্জিলিং, সিকিম বা ডুয়ার্স  ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্রিপেইড বুথে গাড়ির খোঁজ করতে গিয়ে হতাশ হচ্ছেন পর্যটকরা। কেননা এনজেপি স্টেশনে প্রিপেইড বুথে কোনও গাড়ি নেই। বাধ্য অনেক বেশি টাকায় গাড়ি ভাড়া করতে হচ্ছন পর্যটকরা।

      জুলুমবাজি নিয়ে কী সাফাই দিল পুলিশ প্রশাসন? (Siliguri)

    এনজেপি স্টেশনে এক হাজারেরও বেশি প্রাইভেট ট্যাক্সি রয়েছে। কিন্তু, গাড়ির মালিকরা প্রিপেইড বুথে গাড়ি দিচ্ছেন না। শিলিগুড়ির (Siliguri) প্রিপেইড বুথের দায়িত্বে থাকা এনজেপি  ট্রাফিক পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ২০০৮ সালের পর রাজ্য সরকার ভাড়ার তালিকা সংশোধন করেনি। সরকারের নির্ধারিত সেই পুরানো ভাড়ায় কেউ গাড়ি দিচ্ছে না। এক্ষেত্রে আমাদেরও করার কিছু নেই। গোটা বিষয়টি রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতরের।  ২০০৮ সালের যে ভাড়ার তালিকা রয়েছে তাতে, এনজেপি থেকে দার্জিলিঙ পৌঁছে দেওয়ার জন্য ছোট গাড়ির ভাড়া ১৪৬০ টাকা, বড় গাড়ি ১৭৬০ টাকা। মিরিক হয়ে গেলে ভাড়া রয়েছে ১৯০০ টাকা। গ্যাংটক ২১০০ টাকা।

     গাড়ি চালকদের ভাড়ার জুলুমবাজিতে বিরক্ত পর্যটকরা  

    রাজ্য সরকার নতুন ভাড়া ঠিক না করে দেওয়ায় গাড়ির মালিকরা মর্জি মতো ভাড়া নিচ্ছেন। শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে  দার্জিলিং যেতে চার হাজার, গ্যাংটক বা সিকিমের অন্যান্য জায়গায় ছ’হাজার টাকা, কখনও তারও বেশি ভাড়া হাঁকছেন গাড়ি চালকরা। হাবড়ার গোবিন্দ দাস এনজেপি স্টেশনে নেমে গাড়ি ভাড়া নিয়ে এই জুলুমবাজিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। একইভাবে হয়রান হন দার্জিলিঙ ঘুরতে আসা বেলুড়ের সৌমেন জানা ও তাঁর তিন বন্ধু। তাঁরা বলেন, এনজেপির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন, যেখানে সারা বছর দেশ বিদেশের পর্যটকরা আসেন, সেখানে গাড়ি ভাড়া নিয়ে এধরনের জুলুমবাজি মেনে নেওয়া যায় না। প্রকাশ্যে গাড়ির ভাড়ার তালিকা টাঙানো দরকার।

    গাড়ির চালকরা কী বলছেন?

    এনজেপি জাতীয়তাবাদী টুরিস্ট ট্যাক্সি ড্রাইভার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উদয় সাহা বলেন, ২০০৮ সালের সরকার নির্ধারিত এই ভাড়ায় এখন গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। ২০০৮ সালের পর তেলের দাম অনেকবার বেড়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে ড্রাইভারের খরচ। এছাড়া গাড়ির ট্যাক্স, ফিটনেস ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচও বেড়েছে। রাজ্য সরকার ভাড়ার তালিকা সংশোধন করলে এধরনের অভিযোগ কেউ করবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling:  এক সপ্তাহের মধ্যে দার্জিলিংয়ের সান্দাকফুতে ফের তুষারপাত, খুশি পর্যটকরা

    Darjeeling: এক সপ্তাহের মধ্যে দার্জিলিংয়ের সান্দাকফুতে ফের তুষারপাত, খুশি পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) সান্দাকফুতে ফের তুষারপাত। বুধবার সান্দাকফুতে বরফ পড়ায় পাহাড় সহ লাগোয়া এলাকায় প্রবল ঠান্ডা নেমে এসেছে। বরফে ঢেকেছে সান্দাকফু। সান্দাকফুতে তুষারপাত হতেই উল্লসিত পর্যটকরা। এই মুহূর্তে ভিড়ে ঠাসা দার্জিলিং। গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় সান্দাকফুতে তুষারপাত হয়েছিল। তাই, তুষারপাত উপভোগ করতে অনেকেই দার্জিলিং থেকে সান্দাকফুতে চলে গিয়েছেন। তুষারপাতের জেরে দার্জিলিয়ের তাপমাত্রা হু হু করে নামতে শুরু করেছে। শিলাবৃষ্টিও শুরু হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। তাই বড়দিনের আগেই বরফের চাদরে ঢাকতে পারে শৈলশহর।

    আশায় বুক বাঁধছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা (Darjeeling)

    মরশুমের প্রথম বরফ পড়াকে ঘিরে আশায় বুক বেঁধেছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। সিকিমের লেক বিপর্যয়ের কারণে পুজোর পর্যটনে ধাক্কা লেগেছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার তুষারপাত হওয়ায় বড়দিনের পর্যটনে ব্যাপক সাড়া জাগাবে বলে পর্যটন ব্যবসায়ীরা মনে করছেন। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সাধারণত এত আগে দার্জিলিং (Darjeeling) পাহাড়ে বরফ পড়ে না। মাসের শুরুতেই তুষারপাত হয়েছিল। এবার আবার তুষারপাত হল। বরফ দেখতে বহু পর্যটক এর মধ্যেই আসতে শুরু করবেন। বুধবার থেকে আচমকাই পাহাড়ে পারদ নামতে শুরু করেছে। মিরিক থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে সুখিয়া ও সীমানা অঞ্চলে শিলাবৃষ্টি হয়। বরফ পড়ে সিঙ্গালিলায়। যার ফলে দার্জিলিং পাহাড়েও তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টায় তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে

    হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিকিম ও দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) উপরের দিকের এলাকাগুলিতে তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকছে। আরও পারদ নামবে বেশ খানিকটা। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে। কালিম্পঙে ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমে গিয়েছে। একইসঙ্গে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিও হচ্ছে। বুধবারই দার্জিলিঙের উঁচু জায়গাগুলিতে হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এমনকী পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে দার্জিলিং শহরও মরশুমের বছরের প্রথম তুষারপাতের সাক্ষী থাকতে পারে। সিকিমের পেলিং-সহ লাচুংয়ে বুধবার ভোর থেকেই চলছে তুষারপাত। রাত পোহাতেই সিকিমের সীমানা পেরিয়ে দার্জিলিং জেলাতেও তুষারপাত শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির চক্রী অনীত থাপা, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির চক্রী অনীত থাপা, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মূল চক্রী অনীত থাপা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফের একবার শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগ করে সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অনীত থাপা অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা বলেছেন।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    পাহাড় সফরে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ের সমস্ত জেলা স্কুল বোর্ড, জেলা রিক্রুটমেন্ট কমিটি গঠনের কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে সমস্ত দায়িত্ব জিটিএ-র উপর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) পাহাড়ে গিয়ে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির কথা বলে বলেন, ‘এখানে নিয়োগের মূল চক্রী হলেন অনীত থাপা। জিটিএ-র প্রধান ছিলেন অনীত থাপা। টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।’ এছাড়াও শুভেন্দু আরও স্পষ্ট করে সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে অনীত থাপা পাঁচশোর বেশি শিক্ষক নিয়োগ করেছেন। এই নিয়োগ এসএসসির মাধ্যমে হয়নি। জিটিএ সরাসরি নিয়োগ করেছে। মাথা পিছু নিয়োগে ১৫ লক্ষ করে টাকা তিনি নিয়েছেন। সমস্ত তথ্য এবং নথি নিয়ে সিবিআইয়ের কাছে যাবো।”

    আর কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) পাহাড়ে গিয়ে আরও বলেন, “এই শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষণ নীতি এবং ন্যূনতম যোগ্যতা মানা হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকার বাধ্যবাধকতাকেও মানা হয়নি। তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং ইউব্লিউএস সংরক্ষণের নিয়মকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। শিক্ষক নিয়োগের সকল নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অনীতকে ১৯২ জন শিক্ষক নিয়োগের কথা বলেছেন। এটাও একটা বড় রকমের কেলেঙ্কারি।” তিনি জনজাতি বোর্ড নিয়ে বলেন, “পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য ১২টি জনজাতি বোর্ড গঠন হলেও সব অকেজো হয়ে রয়েছে। আগামী মকর সঙ্কক্রান্তির পর পাহাড়ে বিরাট আন্দোলন শুরু করবো আমরা।”

    অপরদিকে শুভেন্দুর সব অভিযোগকে অস্বীকার করে অনীত থাপা বলেন, “সব অভিযোগ মিথ্যা, নিয়ম মেনে সব শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। বিজেপি কোনও ইস্যু না পেয়ে অপপ্রচার করছে।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: বরফের চাদরে ঢাকল দার্জিলিং, উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা

    Darjeeling: বরফের চাদরে ঢাকল দার্জিলিং, উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) সান্দাকফুতে অকাল তুষারপাত। আর এতে  বড়দিনের পর্যটন ব্যবসায় বিরাট লাভের আশায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার সান্দাকফুতে বরফ পড়ায় পাহাড় সহ লাগোয়া এলাকায় প্রবল ঠান্ডা নেমে এসেছে। বরফে ঢেকেছে সান্দাকফু। সান্দাকফুতে তুষারপাত হতেই উল্লসিত পর্যটকরা। এই মুহূর্তে ভিড়ে ঠাসা দার্জিলিং। মরসুমের প্রথম তুষারপাত উপভোগ করতে অনেকেই দার্জিলিং থেকে সান্দাকফুতে চলে যান। প্রথম তুষারপাতের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকের ভিড় আরও বাড়বে বলে আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। যে আবহাওয়া রয়েছে তাতে রাতের দিকে আরও তুষারপাত হতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা।

    আশায় বুক বাঁধছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা (Darjeeling)

    মরসুমের প্রথম বরফ পড়াকে ঘিরে আশায় বুক বেঁধেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। সিকিমের লেক বিপর্যয়ের কারণে পুজোর পর্যটনের ধাক্কা লেগেছিল। এদিনের অপ্রত্যাশিত তুষারপাত বড়দিনের পর্যটনে ব্যাপক সাড়া জাগাবে বলে জানান ট্যুর অপারেটর সম্রাট সান্যাল। তিনি বলেন, সাধারণত এত আগে দার্জিলিং (Darjeeling) পাহাড়ে বরফ পড়ে না। এবার অসময়ের এই তুষারপাত বড়দিনের আগেই দার্জিলিংয়ে পর্যটকের ঢল নামাবে। বরফ দেখতে বহু পর্যটক এর মধ্যেই আসতে শুরু করবে। আমাদের আশা, পুজোর পর্যটনে যে ধাক্কা লেগেছিল বড়দিনের পর্যটনে অনেকটাই পুষিয়ে নেওয়া যাবে। এই আশায় বুক পাচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

    সকাল থেকেই ইঙ্গিত ছিল তুষারপাতের

    এই সময়ে বরফ পড়ার ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। যদিও কিছুদিন আগে সিকিমের বরফ পড়েছিল। তবে, দার্জিলিং (Darjeeling) জেলায় এদিন মরসুমের প্রথম বরফ পড়ায় সমতলে তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছে। ঘূর্ণাবর্তের জেরে অনেক জেলাতেই শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। বিকেল থেকে পাহাড়েও কিছু জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই সমতলে মেঘলা আকাশের সঙ্গে হিমেল হাওয়া ছিল। সন্ধ্যার দিকে কিছুক্ষণ ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়। এদিন পাহাড়ে বরফ পড়ায় সর্বত্র খুশির হাওয়া।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: দার্জিলিং বেড়াতে গেলে এবার পর্যটকদের মাথা পিছু দিতে হবে কর

    Darjeeling: দার্জিলিং বেড়াতে গেলে এবার পর্যটকদের মাথা পিছু দিতে হবে কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিং (Darjeeling) ঘুরতে গেলে দিতে হবে পর্যটকদের মাথা পিছু কর। সোমবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে দার্জিলিং পুরসভা। এই সিদ্ধান্তের কথা ইতিমধ্যে হোটেল এবং পর্যটন ব্যবসায়ীদেরও জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে করের কূপন হোটেলগুলিতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে আগেও এই করের ব্যবস্থা ছিল। মাঝে বন্ধ ছিল। সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং পুরসভাকে জঞ্জাল মুক্ত রাখতে এই কর নেওয়া হবে। অবশ্য পর্যটন ব্যবসায়ী এবং হোটেল মালিকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে কর শুধুমাত্র পুরসভা এলাকার মধ্যেই কার্যকর থাকবে বলে জানা গিয়েছে।

    পুরসভার বক্তব্য (Darjeeling)

    ফের কর বিষয়ে দার্জিলিং পুরসভার পুরপ্রধান দীপেন ঠাকরি বলেন, “শহরের জঞ্জাল সাফ করার জন্য কর নেওয়া হবে। এই কর কোনও নতুন বিষয় নয়। জিএনএলএফ-এর সময় এবং বিমল গুরুংয়ের সময়ও এই কর গ্রহণের চলছিল। মাঝখানে সাময়িক বন্ধ ছিল। তবে গত ৩০ বছর ধীরে এই কর নেওয়ার ব্যবস্থা চালুছিল। পাহাড়ের জঞ্জাল পরিষ্কার করে জনস্বাস্থ্যকে ঠিকঠাক রাখা এবং পুরসভার পরিষেবা আরও ভালো রাখতেই এই কর নেওয়া হবে। করের অঙ্ক আগের পরিমাণই ২০ টাকাই রাখা হয়েছে।” এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে আরও তিনি বলেন, “সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে আগে এই করের হিসাব রাখা হতো না, এবার থেকে নিয়ম মেনে টেন্ডার ডেকে কাজ করা হবে।”

    পর্যটন উন্নয়ন সংযোগকারী সংস্থার বক্তব্য

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলেপমেণ্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট স্যনাল বলেন, “আমাদের সঙ্গে পুরসভা (Darjeeling) কোনও রকম আলোচনা না করেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আগেও কর নেওয়া হতো। মাঝে কিছুদিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন পেয়েছি। বিস্তৃত বিবরণ পাইনি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সকলের সঙ্গে আলোচনা করলে ভালো হতো।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Toy Train: দার্জিলিংয়ে ফের লাইনচ্যুত হল টয় ট্রেন, আতঙ্কিত পর্যটকরা

    Toy Train: দার্জিলিংয়ে ফের লাইনচ্যুত হল টয় ট্রেন, আতঙ্কিত পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দার্জিলিংয়ে লাইনচ্যুত হল টয় ট্রেন (Toy Train) । ট্রেনের কামরা থেকে ইঞ্জিন খুলে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পর্যটকরা। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের প্রথম দিকে পর পর দুবার টয় ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। এরপর প্রায় ৬ মাস সেরকম দুর্ঘটনা কোনও খবর ছিল না। এদিন ফের দুর্ঘটনায় পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী করে দুর্ঘটনা ঘটল?  (Toy Train)

    স্থানীয় ও পর্যটক সূত্রে জানা গিয়েছে,  শনিবার সকালে পর্যটকদের নিয়ে শিলিগুড়ির দিকে রওনা হয় টয় ট্রেনটি। ট্রেনে (Toy Train) ভালই পর্যটক ছিল। ঘুম স্টেশন পর্যন্ত ঠিকঠাকভাবে চললেও স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়তেই ইঞ্জিনটি খুলে গিয়ে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। হুড়মুড় করে থেমে যায় টয় ট্রেনটি। যদিও দুর্ঘটনায় পর্যটকদের জখম হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর পরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লোকজন এসে টয় ট্রেনটিকে লাইন থেকে তোলার উদ্যোগ নেয়। যদিও ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পর্যটকরা।

    পর্যটকরা কী করলেন?

    এদিন টয় ট্রেন (Toy Train) থেকে অনেক পর্যটক দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি ফেরার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। অনেকে আবার টিকিটও কেটেছিলেন। কিন্তু, এই ঘটনার পর ট্রেনে ফেরার সফর বাতিল করেন। মনোজ চট্টোপাধ্যায় নামে এত পর্যটক বলেন, কোনওদিনই টয় ট্রেনে চাপা হয়নি। পরিবারের সঙ্গে এদিন টয় ট্রেনে যাওয়ার পর পরিকল্পনা করেছিলাম। বাস্তবে সকালে যা হল তাতে আর ওই ট্রেনে ফেরার কোনও ইচ্ছে নেই। সায়ন ঘোষ নামে আর এক পর্যটক বলেন, এখানে সবাই পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে যাত্রা করছি। কাজেই দুশ্চিন্তা হচ্ছে। আর হেরিটেজ টয় ট্রেন মাঝে মধ্যেই লাইনচ্যুত হওয়ার খবর শুনি। কিন্তু এ বার সেটা যে আমাদে সঙ্গেই ঘটবে তা কল্পনাও করতে পারিনি।

    রেল আধিকারিকের কী বক্তব্য?

     উত্তর-পূর্ব ভারতের রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, টয় ট্রেনটি (Toy Train) উদ্ধারের কাজ চলছে। যাত্রীদের বিকল্প দিনের কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সড়কপথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই তাঁদের টিকিটের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: দার্জিলিংয়ে দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগে পাহাড়বাসী, চিন্তা পুজোর পর্যটক নিয়েও

    Darjeeling: দার্জিলিংয়ে দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগে পাহাড়বাসী, চিন্তা পুজোর পর্যটক নিয়েও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ে উড়ছে মশা। চিন্তায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কেননা আশ্চর্যজনকভাবে পাহাড়েও ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই দার্জিলিং (Darjeeling) পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ২৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। যা স্বাস্থ্য দফতরকেও চিন্তায় ফেলেছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর সেই সংখ্যা ছিল মাত্র পাঁচ। এক ধাক্কায় সংখ্যাটি বেড়ে যাওয়ার কারণে উদ্বেগ বাড়ছে চিকিৎসক মহল থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের অন্দরে। তবে, পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি জেলাশাসক পুন্নমবালম এসের।

    পাহাড়ের ডেঙ্গু নিয়ে পর্যটকদের উদ্বেগ, চিন্তায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা

    উচ্চতার কারণে পাহাড়ে মশা থাকে না। এমনই ধারণা ছিল এতদিন। যার জন্য পাহাড়ে মশারির ব্যবহার সেভাবে ছিল না। দার্জিলিংয়ের সোনাদার বাসিন্দা প্রেম রাই বলেন, মশার উপদ্রব ছিল না পাহাড়ে। তাই এতদিন সমতলে গিয়ে মশার উপদ্রবে অসহ্য লাগত। কিন্তু এখন পাহাড়েও মশার উপদ্রব বাড়ছে। ডেঙ্গিতেও এখানে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। তাই মশারি ব্যবহার করতে হচ্ছে সকলকে। যা আগে করতে হত না। প্রতি বছর সর্বত্র অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গির সংক্রমণ ব্যাপক আকার নেয়। এবার পাহাড়েও যদি সেই চিত্র দেখা দেয় তাহলে আতঙ্কে পুজোর পর্যটন মরশুমে পর্যটকরা পাহাড় থেকে মুখ ফেরাতে পারেন বলে আশঙ্কা ট্যুর অপারেটরদের। উত্তরবঙ্গের এক ট্যুর অপারেটর সাধন রায় ও দেবাশিস মিত্র বলেন, পাহাড়ে এবার আশ্চর্যজনকভাবে ডেঙ্গির সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আমরা চিন্তায় রয়েছি। বাইরের অনেক পর্যটকই দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এক মাসের মধ্যে ডেঙ্গি ব্যাপক আকার নিয়েছে। এর জেরে পুজোয় পর্যটন ব্যবসায় তার ভাল প্রভাব পড়তে পারে।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    পাহাড়ের চরিত্রের বিরুদ্ধে মশা ও ডেঙ্গির বিস্তারের পিছনে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশকেই দায়ী করছেন সকলে। দার্জিলিংয়ের (Darjeeling)  বাসিন্দাদের প্রায় সকলেই মনে করেন, দার্জিলিংয়ে নাগরিক পরিষেবা ভেঙে পড়ার জন্য সর্বত্র নোংরা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। হোটেল এবং বসতি বেড়েছে।  নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল। ফলে, জায়গায় জায়গায় জল জমে থাকছে। একারণে পাহাড়ে  মশার বংশবৃদ্ধি হয়েছে।

     কী বললেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা?

    জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তুলসী প্রামাণিক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। পাহাড়ের পর্যটনে ডেঙ্গি যাতে সমস্যার কারণ না হয়ে ওঠে সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে।  জেলাশাসক এস পন্নমবালম বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় এবার যথেষ্ট সতর্ক দার্জিলিং (Darjeeling) জেলা প্রশাসন। পাহাড়ের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। এলাকায় সার্ভে চালাচ্ছে ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের সদস্যরা। জোর দেওয়া হয়েছে সচেতনতামূলক প্রচারে। নজর দেওয়া হয়েছে সাফাইয়ের কাজেও। শুধু নালা-নর্দমা নয়, সংলগ্ন এলাকাগুলি যাতে পরিচ্ছন্ন থাকে সেদিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: তৃণমূলের একী অবস্থা! পাহাড়ে শাসকদল কত আসনে প্রার্থী দিয়েছে জানেন?

    Panchayat Election: তৃণমূলের একী অবস্থা! পাহাড়ে শাসকদল কত আসনে প্রার্থী দিয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ের প্রচুর উন্নয়ন করেছে রাজ্য সরকার। এমনই দাবি করেন শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা। অথচ সেই পাহাড়ে দ্বিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার জিটিএ সব আসনেই প্রার্থী দিতে পারল না তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের পাহাড়ে কেন এই করুণ অবস্থা? যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের  ঘনঘন পাহাড় সফর করে দাবি করেন তিনি পাহাড়ের ঢালাও উন্নয়ন করেছেন। পাহাড়ে এসে রাস্তায় বেরিয়ে দোকানে ঢুকে মোমো বানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের  বাড়িতে ঢুকে দাওয়ায় বসে  চা খেয়েছেন, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা কোনও মায়ের কোল থেকে শিশুকে কোলে নিয়ে আদর করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের পাহাড়বাসীর কাছে,’ আমি তোমাদের লোক ‘ প্রমাণের এই মরিয়া চেষ্টা ফ্ল্যাশের ঝলকানিতে ঝলমল করছে। কিন্তু, এসব করেও পাহাড়বাসীর মন নাড়া দিতে পারেনি তিনি। পাহাড়বাসীর আস্থা অর্জনে ব্যর্থ বলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সারা পাহাড়ে ৫০ জন প্রার্থীও খুঁজে পায়নি মমতা বন্দ্যোপাধায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পাহাড়ে কত আসনে প্রার্থী দিল তৃণমূল?

    পাহাড়ে দ্বিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার জিটিএ এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি মিলিয়ে মোট ১১১১ টি আসন রয়েছে। সেখানে সবমিলিয়ে তৃণমূল মাত্র ৪৯ টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে। দার্জিলিংয়ে ৭০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৯৮টি আসন রয়েছে। আর পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতিতে ১৫৬ টি আসন রয়েছে। সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৬ টি ও পঞ্চায়েত সমিতিতে ১৩ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। কালিম্পঙে ৪২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৮১ টি আসন এবং  চারটি পঞ্চায়েত সমিতিতে ৭৬ টি আসন রয়েছে। সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০ টি আসনে প্রার্থী দিলেও পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের কোনও প্রার্থী নেই।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) পাহাড়ে কেন এই করুণ অবস্থা তৃণমূলের?

    পাহাড়ের রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য,তৃণমূল কংগ্রেস পাহাড়ের মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অনেকদিন আগেই হারিয়েছে নিজেদের ভুলে। কখনও বিমল গুরুং,কখনও অনিত থাপা,বিনয় তামাং কখনও আবার অনিত থাপার লেজ ধরার জন্যই পাহাড় থেকে তৃণমূল হারিয়ে গিয়েছে। বিমল গুরুঙ্গের নেতৃত্বে তীব্র আন্দোলন দমন করতে পুলিশের গুলিতে  ১৭ টি তরতাজা প্রাণ অকালে ঝরে পড়ার ঘটনা পাহাড়বাসী আজও মনে রেখেছে। দেশদ্রোহী মামলায় বিমল গুরুঙ্গকে পাহাড় ছাড়া করে অনিত- বিনয়কে পাহাড়ের নায়ক বানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই বিমল গুরুঙ্গকে ‘কার্পেট বিছিয়ে’ পাহাড়ে ফেরার পথ করে দিয়েছেন।পাহাড়ের এক প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা বলেন, চোখের সামনে এ সব ঘটনা দেখে দেখে  মুখ্যমন্ত্রীর দলের প্রতি পাহাড়বাসীর কোনওদিনই আস্থা ছিল না। নীরব ক্ষোভ থেকে পাহাড়ের মানুষ তৃণমূলকে চিরস্থায়ীভাবে প্রত্যাখান করেছে। মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে এলে ভয়ে মানুষ ভিড় জমান।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    পার্বত্য তৃণমূলের এক নেতা বলেন, দার্জিলিং পুরসভা এবং জিটিএ নির্বাচনেও তৃণমূল সব আসনে প্রার্থী দেয়নি। অনিত থাপার দলের সঙ্গে জোট করেছিল। একারণেই কেউ আর ত়ৃণমূল করতে চায় না। পাহাড়ে  তৃণমূলের অস্তিত্ব নেই।  যদিও দার্জিলিং জেলা ( পার্বত্য) তৃণমূলের সভানেত্রী শান্তা ছেত্রী বলেন, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ আসনে প্রার্থী দেওয়ার। যেখানে যেখানে আমাদের শক্তি রয়েছে সেখানেই প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই পাহাড়ে ভোট শান্তিতে হোক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: ২১ কিলোমিটার রাস্তা দৌড়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন স্মরণ সুব্বা! কেন জানেন?

    Darjeeling: ২১ কিলোমিটার রাস্তা দৌড়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন স্মরণ সুব্বা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাড়ির কনভয় নিয়ে নয়। স্কুটি বা বাইকেও নয়। ২১  কিলোমিটার রাস্তা দৌড়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন স্মরণ সুব্বা। সোনাদা থেকে ২১ কিলোমিটার রাস্তা চার ঘণ্টায় দৌড়ে সুখিয়াপোখরিতে (Darjeeling) গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন এই নির্দল প্রার্থী। বিজেপির মহাজোট নিয়ে পাহাড়ে ভোটের হাওয়া গরম হয়ে উঠেছিল। সেখানে গত বুধবার স্মরণ সুব্বার দৌড় ভোটচর্চায় আলাদা জায়গা করে নিয়েছে।

    কেন দৌড়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন স্মরণ (Darjeeling)?

    স্মরণ সুব্বা বলেন, পাহাড়ে (Darjeeling) যেভাবে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, তাতে ভয়ঙ্কর যানজটের পাশাপাশি পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। পাহাড়কে বাঁচাতে হলে যানবাহনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।  তা না তাহলে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় দার্জিলিং বিরক্তিকর জায়গা হয়ে উঠবে। সে ক্ষেত্রে দার্জিলিংয়ের সুনাম নষ্ট হবে। পর্যটকরাও দার্জিলিঙ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবেন। তার প্রভাব পড়বে পাহাড়ের জনজীবনে। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব মানুষ। কেননা, পর্যটকদের প্রতীক্ষায় এখানকার মানুষ বসে থাকে তাদের রুজি রোজগারের জন্য। 

    জিতলে কী করবেন এই নির্দল প্রার্থী (Darjeeling)?

    নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। জিতলে দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) যানবাহনের সংখ্যার নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি গ্রামে গ্রামে রাস্তা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র করবেন বলে জানান স্মরণ সুব্বা। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়ের রাস্তাঘাট সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। কারণ গ্রামের বহু মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন।সময়মতো চিকিৎসা করাতে না পারায় নানা ধরনের রোগব্যাধি জটিল আকার নিচ্ছে। এই জায়গা থেকে পাহাড় ও পাহাড়বাসীকে মুক্ত করার জন্যই আমি নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছি। আর তার আগে মানুষকে দার্জিলিংকে বাঁচানোর বার্তা দিতেই আমি ২১ কিলোমিটার দৌড়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। শুধু পাহাড়বাসীকেই নয়, সমতলের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সচেতনতার এই বার্তা পৌঁছে যাক, এটাই আমি চাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Toy Train: রেকর্ড আয় করল পাহাড়ের টয় ট্রেন, কত জানেন?

    Toy Train: রেকর্ড আয় করল পাহাড়ের টয় ট্রেন, কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমতল জুড়ে টানা তীব্র দাবদাহে হেরিটেজ টয় ট্রেনের (Toy Train) লক্ষ্ণী লাভ। এক মাসে রেকর্ড আয় করেছে টয় ট্রেন। গত মে মাসে টয় ট্রেনের ইতিহাসে সর্বাধিক আয়ের নজির তৈরি হয়েছে।চলতি আর্থিক বছরের মে মাসে দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্য এই টয় ট্রেনে যত সংখ্যক যাত্রী চড়েছেন এবং এই ট্রেন থেকে রেল যা আয় করেছে, তা আগে কখনও হয়নি।

    টয় ট্রেনে (Toy Train) রেকর্ড আয়ের পরিমাণ কত?

    টয় ট্রেনের (Toy Train) এই ব্যাপক জনপ্রিয়তায় প্রমাণ হচ্ছে, দার্জিলিংয়ে পর্যটকের ঢল নামছে মূলত টয় ট্রেনের আকর্ষণে। এক সময় টাইগার হিল, টি এবং টয় ট্রেনের উপর ভিত্তি করে দার্জিলিংয়ের পর্যটন মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু, আশির দশক থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতা, পানীয় জলের সমস্যা ও অনুন্নত পরিকাঠামোর কারণে দার্জিলিংয়ের পর্যটনে ভাটা পড়েছিল। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে টয় ট্রেনের প্রতি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের দুর্নিবার আকর্ষণে আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দার্জিলিংয়ের পর্যটন। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মে মাসে ৩০ হাজার ৩০৩ জন যাত্রী টয় ট্রেনে ভ্রমণ করেছেন। এর থেকে মোট ৩ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। এর আগে সর্বোচ্চ যাত্রী ও আয় হয়েছিল গত বছরের মে মাসে। তবে, তা এবারের তুলনায় কম। গতবার মোট ২৬,৯০৯ যাত্রী টয় ট্রেনে চড়েছিলেন। আয় হয়েছিল ৩ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা।

    রেল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম এস কে চৌধুরী এবং মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে টয় ট্রেনকে (Toy Train) জনপ্রিয় করতে আমরা সমস্তরকম ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গত দু’বছর ধরে  শীতকালে ঘুম উৎসব করা হচ্ছে। যেখানে টয় ট্রেনের নানা আকর্ষণীয় দিক ও স্থানীয় শিল্প-সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। এর পাশাপাশি সব দিক দিয়ে সারা বছর টয় ট্রেন নিয়ে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের মাঝে প্রচার চলছে। পর্যটকদের মনোরম ভ্রমণের জন্য টয় ট্রেনে নতুন কোচ ও নতুন পরিষেবা চালু করা হয়েছে। যুক্ত করা হয়েছে আধুনিক সুযোগ সুবিধা। দার্জিলিং স্টেশনকে হেরিটেজ টাইপ উইন্ডো এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ পয়েন্ট সহ নানা ধরনের ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে টয় ট্রেনকে আপগ্রেড করা হয়েছে। ঘুম স্টেশনের আপগ্রেডেশন চলছে।

     বাড়ানো হয়েছে জয় রাইডের সংখ্যা

    এক প্রশ্নের উত্তরে সব্যসাচী দে বলেন, টয় ট্রেনের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা টয় ট্রেনের জয় রাইডের সংখ্যাও বাড়িয়েছি। নিউ জলপাইগুড়ি-দার্জিলিং দৈনিক পরিষেবা রয়েছে। কিন্তু জয় রাইড নিয়েই পর্যটকদের বেশি উৎসাহ। তাই কোনও পর্যটক যাতে হতাশ না হন, তার জন্য দার্জিলিং ও ঘুমের মধ্যে জয় রাইড পরিষেবা বাড়ানো হয়েছে। স্টিম ইঞ্জিনে জঙ্গল টি সাফারির সঙ্গে চলছে রেড পান্ডা, হিম কন্যা ইত্যাদির মতো জয় রাইড ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share