Tag: Delhi High Court

Delhi High Court

  • Saket Gokhale: আমলা দম্পতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য, তৃণমূল সাংসদের জরিমানা ৫০ লাখ

    Saket Gokhale: আমলা দম্পতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য, তৃণমূল সাংসদের জরিমানা ৫০ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫০ লাখ টাকা জরিমানা তৃণমূল সাংসদের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ও তাঁর স্ত্রী তথা প্রাক্তন কূটনীতিক লক্ষ্মী পুরীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের সাকেত গোখেলের (Saket Gokhale) বিরুদ্ধে। সেই কারণেই তাঁকে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)।

    সাকেতকে আদালতের নির্দেশ (Saket Gokhale)

    সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অনুপ জয়রাম ব্রহ্মাণীর বেঞ্চের নির্দেশ, লক্ষ্মীর কাছে ক্ষমা চেয়ে সাকেতকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করতে হবে। আদালতের নির্দেশ, অন্তত ছমাস সাকেতের (Saket Gokhale) ওই পোস্ট থাকতে হবে এক্স হ্যান্ডেলে। এর পাশাপাশি একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে লক্ষ্মীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বার্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ব্রহ্মাণীর বেঞ্চ। ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালের জুন মাসে। লক্ষ্মী ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ তুলে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন সাকেত। পোস্টে তৃণমূলের এই সাংসদ লিখেছিলেন, লক্ষ্মী পুরী সুইৎজারল্যান্ডে সম্পত্তি কিনেছেন। লক্ষ্মী ও তাঁর মন্ত্রী স্বামীর আয়ের উৎস নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার পোস্ট করেছিলেন তৃণমূলের এই সাংসদ।

    মানহানির মামলা দায়ের

    এর পরেই সাকেতের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন লক্ষ্মী। দাবি করেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও। তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যে, অসত্য ট্যুইট ডিলিট করার নির্দেশ সাকেতকে দিতে আদালতে আবেদন জানান লক্ষ্মী। ওই বছরেরই ১৩ জুলাই লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে করা সমস্ত পোস্ট চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ডিলিট করার নির্দেশ সাকেতকে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে আর কোনও মানহানিকর পোস্ট করা থেকেও সাকেতকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

    আর পড়ুন: ইভিএম নিয়ে ভুয়ো খবর, মিড ডে-র রিপোর্টার সহ একাধিক ব্যক্তির নামে এফআইআর

    লক্ষ্মীর মতো প্রাক্তন আমলা তাঁর স্বামী হরদীপও। তিনি ১৯৭৪ ব্যাচের আইএফএস। ব্রাজিল, জাপান, ব্রিটেন-সহ বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। চাকরিজীবন শেষে ২০১৩ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে হরদীপের কাঁধে রয়েছে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের দায়িত্ব। এহেন এক আমলা দম্পতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার খেসারত দিতে হবে (Delhi High Court) তৃণমূলের সাংসদকে (Saket Gokhale)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Arvind Kejriwal: সুপ্রিম দুয়ারই ভরসা কেজরিওয়ালের! আপ প্রধানের জামিন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট

    Arvind Kejriwal: সুপ্রিম দুয়ারই ভরসা কেজরিওয়ালের! আপ প্রধানের জামিন খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামিন পেলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। আপাতত জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। এবার কেজরির একমাত্র ভরসা সুপ্রিম কোর্টই। বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, নিম্ন আদালতের অবকাশকালীন বিচারক ন্যায় বিন্দু আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে তিহার থেকে কেজরিওয়াল ঘরে ফেরার আগেই আপ সুপ্রিমোর মুক্তি আটকাতে ২১ জুন সকালে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। শুক্রবারই তাঁর জামিনে সাময়িক স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট (Delhi High Court)। মঙ্গলবার নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিন খারিজই করে দিল হাইকোর্ট। 

    হাইকোর্টের অভিমত

    মঙ্গলবার বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চ রায় ঘোষণার সময় বলে, ‘‘ট্রায়াল কোর্টের এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া উচিত হয়নি, যা হাইকোর্টের রায়ের বিপরীত।’’ একই সঙ্গে উচ্চ আদালত এ-ও জানায়, নিম্ন আদালত নির্দেশ দেওয়ার সময় নথি এবং যুক্তি যথাযথ ভাবে মূল্যায়ন করেনি। হাইকোর্ট আরও বলেছে, এক বার তাঁর (Arvind Kejriwal) গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে করা মামলা হাইকোর্ট (Delhi High Court) খারিজ করে দিয়েছিল। ফলে এটা কখনই বলা যাবে না যে, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য ৩০০ কোটি আয়, বাছা হয়েছিল ৭০০ পরীক্ষার্থীকে! নিট প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে দাবি এক মাফিয়ার

    সুপ্রিম দুয়ারে কেজরিওয়াল

    আবগারি মামলায় গত ২১ মার্চ আপ প্রধানকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী (Arvind Kejriwal) পদ থেকে ইস্তফা দেননি। পরে লোকসভা ভোটের আগে প্রচারের জন্য তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষ হলে আবার তিনি তিহাড় জেলে ফিরে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার আম আদমি পার্টির প্রধানের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর হয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। তারপরই দিল্লি হাইকোর্টে কেজরির জামিনের বিরোধিতা করে মামলা করে ইডি। তখনই কেজরির জামিনে সাময়িক স্থগিতাদেশ দেয় উচ্চ আদালত। এরপর রবিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সোমবার তাঁর সেই আর্জি আগামী বুধবার পর্যন্ত স্থগিত করে দেয় শীর্ষ আদালত। এবার সুপ্রিম দুয়ারই শেষ ভরসা আপ প্রধানের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: এখনই জামিন নয় কেজরিওয়ালের! হাইকোর্টের রায় দেখে সুপ্রিম সিদ্ধান্ত

    Arvind Kejriwal: এখনই জামিন নয় কেজরিওয়ালের! হাইকোর্টের রায় দেখে সুপ্রিম সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম দুয়ারেও স্বস্তি মিলল না। আপাতত তিহাড় জেলই ঠিকানা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal)। দিল্লি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে, জামিনের আর্জি জানিয়ে রবিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিন মামলার শুনানিতে সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করার কথা জানায়। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানি আগামী ২৬ জুন।

    সুপ্রিম শুনানি

    অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) মামলার শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং এসভি ভাট্টি। সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এবং বিক্রম চৌধুরী কেজরিওয়ালের হয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন। বিপরীতে ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল রাজু। ইডির আইনজীবী তথা কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু জানান, বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী ইডির তরফে জামিনের বিরোধিতা করে জমা দেওয়া নথিগুলির যথাযথ ভাবে বিবেচনা করার কথা ছিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের। অথচ সেগুলি পর্যালোচনা না করেই একতরফা ভাবে জামিন দেওয়া হয়েছে আপ প্রধানকে। অন্য দিকে, কেজরীর আইনজীবী দাবি করেন, তদন্তকারী সংস্থা তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Delhi Liquor Policy Case) বেআইনি আর্থিক লেনদেনের কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি।

    আরও পড়ুন: নিট মামলায় ধৃতদের দিল্লি নিয়ে যেতে চাইছে সিবিআই, ফৌজদারি মামলা রুজু

    সুপ্রিম পর্যবেক্ষণ

    এদিন অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘ট্রায়াল কোর্টের জামিন অর্ডারের অপেক্ষা করেনি দিল্লি হাইকোর্ট। তার আগেই রুখে দেওয়া হয়েছে মুক্তির রায়। অর্ডার না দেখেই যদি হাইকোর্ট জামিনের রায় আটকে দিতে পারে তাহলে কেন হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না?’ এর জবাবে বিচারপতি মনোজ মিশ্র বলেন, ‘হাইকোর্ট যদি ভুল করে তবে আমরাও কি সেটির পুনরাবৃত্তি করব? আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আরও বলেন, ‘জামিন মঞ্জুর হওয়াই প্রমাণ করছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) কোনও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিত্ব নন।’ সওয়ালের দরুন আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের তরফে বাদী-বিবাদী দুই পক্ষকেই এই ক্ষেত্রে অপেক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সময় অতিবাহিত হচ্ছে বলেও জোরাল সওয়াল করেন কেজরিওয়ালের আইনজীবীরা। অভিষেক মনু সিংভির বক্তব্য, ‘কেন এই সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হবে না? আমাদের সপক্ষে তো কোর্টের রায় রয়েছে।’ জবাবে বিচারপতি মনোজ মিশ্র বলেন, ‘এখনই কোনও রায় দিলে বিষয়টিতে আগাম বিচার করা হয়ে যাবে। এটা কোনও নিম্ন আদালত নয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালত।’ মাত্র একটা দিনের অপেক্ষা এত সমস্যাজনক কেন হচ্ছে? বলেও উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: মুক্তি মিলল না, আপাতত আরও ২-৩ দিন তিহাড়ই ঠিকানা কেজরিওয়ালের

    Arvind Kejriwal: মুক্তি মিলল না, আপাতত আরও ২-৩ দিন তিহাড়ই ঠিকানা কেজরিওয়ালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্টে আটকে গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) জামিন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে শুনানির পর বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত পরবর্তী নির্দেশ ঘোষণা করা হবে। ফলে ততদিন জেলেই থাকতে হবে কেজরিওয়ালকে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত কেজরির স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) আবেদন করেছিল ইডি। এদিন শুনানি শুরু হতেই কেজরিওয়ালের জামিনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে দিল্লি হাইকোর্ট।

    জেলেই থাকছেন কেজরিওয়াল 

    বৃহস্পতিবার রাতে  ১ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কোজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) জামিন মঞ্জুর করেছিল ট্রায়াল কোর্ট। সেই নির্দেশ মতো শুক্রবার বেলাতেই তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু, দিল্লি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে এখনই মিলছে না মুক্তি। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুরের রায়ের বিরোধিতা করে জরুরি শুনানির আবেদন জানিয়েছিল ইডি। সেই আবেদনে সাড়া দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ট্রায়াল কোর্টের রায় কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছিল দিল্লির শীর্ষ আদালত (Delhi High Court)। ফলে আপাতত তিহাড় জেল থেকে মুক্তি মিলছে না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর।

    আরও পড়ুন: সরকারি জমি বেদখল হচ্ছে, কার্যত মেনে নিল রাজ্য! প্রশাসনকে পরামর্শ শুভেন্দুর

    কেন জামিনের বিরোধিতা

    ট্রায়াল কোর্ট অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) জামিন মঞ্জুর করার পরই দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) এর বিরোধিতা করে আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির আইনজীবীর দাবি ছিল, নিম্ন আদালতে যুক্তি পেশ করার জন্য যথেষ্ঠ সময় দেওয়া হয়নি তদন্তকারীদের। অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু জানান, লিখিত জবাব দাখিলের জন্য সময় দেওয়া হয়নি ট্রায়াল কোর্টে। যা ন্যায্য নয়। আর্থিক তছরুপ আইনের ৪৫ নম্বর ধারা উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘আমাদের মামলা খুবই পোক্ত।’ তিন মাস আগে, দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত একটি ‘মানি লন্ডারিং’ মামলায় কেজরিওয়ালকে  গ্রেফতার করে ইডি। এই মামলার তদন্ত আলাদাভাবে করছে সিবিআই। কেজরিওয়াল লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য অন্তর্বর্তী জামিনে গত মাসে জেল থেকে মুক্তি পান এবং ২রা জুন তিনি তিহাড় জেলে আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: সমাজমাধ্যম থেকে কেজরির ভিডিয়ো সরাতে বলে স্ত্রী সুনীতাকে নোটিশ দিল্লি হাইকোর্টের

    Arvind Kejriwal: সমাজমাধ্যম থেকে কেজরির ভিডিয়ো সরাতে বলে স্ত্রী সুনীতাকে নোটিশ দিল্লি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে আপ সুপ্রিমো। এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) একটি ভিডিয়ো সরিয়ে নিতে বলে তাঁর স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়ালকে নোটিশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi HighCourt)। একই সঙ্গে ওই ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্যও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স এবং ইউটিউবকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও আদালত বিভিন্ন সমাজমাধ্যম কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই ধরনের কিছু চোখে পড়লে তা-ও সরিয়ে দিতে হবে।   

    ভিডিওটিতে ঠিক কী ছিল? (Arvind Kejriwal) 

    আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) যখন আদালতে হাজির করানো হয়েছিল, সেই সময়কার কোর্টের ভিতরে তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন আপ নেতা-কর্মীরা। সুনীতাও তেমনই একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন এক্সে। আর ভিডিও শেয়ার করতেই তা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। এরপর ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়া নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi HighCourt) দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। 

    আরও পড়ুন: কাঁচরাপাড়ার বুকে যেন রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া, মৃত মেয়েকে আগলে বাবা!

    মামলাকারীর অভিযোগ 

    জানা গিয়েছে বৈভব সিংহ নামে এক আইনজীবী কেজরির (Arvind Kejriwal) ভিডিয়োর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলাটি করেন। মামলাকারী জানান, আদালত কক্ষের মধ্যেকার এই ধরনের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ, তা দিল্লি হাইকোর্টের ভিডিয়ো কনফারেন্সিং নিয়মের বিরোধী। ২০২১ সাল থেকে ওই নিয়ম চালু আছে। নিয়ম অনুযায়ী, আদালতের মধ্যেকার কোনও প্রক্রিয়ার ভিডিয়ো রেকর্ড করা যাবে না। সমাজমাধ্যমে এই ধরনের ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়াও যাবে না। কেজরির ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে আপ নেতারা বিচার ব্যবস্থার অপমান করেছেন বলেও দাবি করেন মামলাকারী।

    আগে ঠিক কী ঘটেছিল?   

    আসলে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পর গত ২৮ মার্চ দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক কাবেরী বাওয়েজার বিশেষ বেঞ্চে দ্বিতীয় বারের জন্য হাজির করানো হয়েছিল কেজরিওয়ালকে। অভিযোগ, আদালতে যখন কেজরি নিজের বক্তব্য জানাচ্ছিলেন, সেই সময়ে তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা ভিডিয়ো রেকর্ড করেন এবং পরে তা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা হয়। কেজরির স্ত্রী-ও তা শেয়ার করেন। এবার সেই ভিডিও সংক্রান্ত শুনানিতে শনিবার উচ্চ আদালত (Delhi HighCourt) সুনীতাকে নোটিশ দিল।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi High Court: নির্বাচনী বিধিভঙ্গ! প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে মামলা খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

    Delhi High Court: নির্বাচনী বিধিভঙ্গ! প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে মামলা খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী আচরণ বিধিভঙ্গ করে ধর্মীয় ভেদাভেদ সৃষ্টিকারী ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  (PM Narendra Modi)। এই অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর  বিরুদ্ধে দাখিল হওয়া মামলা সোমবার খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court)। ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে এই মামলা করা হয়েছে। এমনই অভিমত দিল্লি হাইকোর্টের। মামলায় কোনও সারবস্তুই নেই, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং ভুল ধারণার উপর ভিত্তি করে এই মামলা দাখিল হয়। তাই মামলা খারিজ করা হল বলে দিলেন বিচারপতি সচিন দত্ত।

    কী বলল আদালত

    ধর্মের নামে ভোট চাওয়া এবং নানা ভাবে অন্য ধর্মকে নিয়ে ঘৃণা ভাষণ দেওয়ার অভিযোগে মোদিকে ৬ বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে বিরত করার আর্জিতে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন আইনজীবী আনন্দ এস জোন্ধলে। সোমবার সেই মামলাই খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত। এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনেও একই আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী। এ প্রসঙ্গে আদালতের বক্তব্য, কমিশন কী করবে, আদালত (Delhi High Court) তা নিয়ে নির্দেশ দিতে পারে না। কমিশন স্বাধীন, কমিশনই আইন অনুযায়ী যা করার করবে।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর গড়ে বিজেপির রোড শোয়ে বোমাবাজি তৃণমূলের! এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন সৌমেন্দু

    কেন মামলা

    মামলাকারী আইনজীবী আনন্দ এস জোন্ধলে মনে করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) মন্তব্যে নির্বাচনী মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট লঙ্ঘিত হয়েছে। সেটা বিবেচনা করার এক্তিয়ার নির্বাচন কমিশনের। উল্লেখ্য, গত মাসে রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ছাড়াও বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডার ট্যুইট ও ভাষণ এবং অনুরাগ ঠাকুরের ভাষণের কথাও মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলাকারী সহ বহু মানুষ এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয় মামলাতে। এদিন সেই সব অভিযোগই খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi High Court: স্বামীর মৃত্যুর পর সম্পত্তিতে নিরঙ্কুশ অধিকার নেই স্ত্রীর, রায় দিল্লি হাইকোর্টের

    Delhi High Court: স্বামীর মৃত্যুর পর সম্পত্তিতে নিরঙ্কুশ অধিকার নেই স্ত্রীর, রায় দিল্লি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর সম্পত্তি ভোগ করতে পারেন কোনও হিন্দু মহিলা। কিন্তু সেই সম্পত্তির ওপর নিরঙ্কুশ অধিকার থাকবে না তাঁর। একটি মামলায় রায় দিতে গিয়ে শুক্রবার এমনই মন্তব্য করল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)।

    কী বলছে আদালত? (Delhi High Court)

    আদালত জানিয়েছে, কোনও হিন্দু মহিলার নিজস্ব কোনও আয় না থাকলে স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি সেই সম্পত্তি ভোগ করতে পারেন। তবে স্ত্রী ছাড়াও প্রয়াত ব্যক্তির অন্য কোনও উত্তরাধিকার থাকলে তাঁর সম্পত্তির ওপর স্ত্রীর নিরঙ্কুশ অধিকার থাকে না। তাই ওই সম্পত্তি তিনি বিক্রি কিংবা স্থানান্তর করতে পারেন না। প্রয়াত স্বামীর সম্পত্তি নিয়ে স্ত্রী কী কী করতে পারেন, আর কী কী করতে পারেন না, তাও জানিয়েছে আদালত (Delhi High Court)।

    অধিকার আইনস্বীকৃত হলেও নিরঙ্কুশ নয়

    দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর সম্পত্তিতে হিন্দু মহিলার অধিকার আইনস্বীকৃত। তা ওই মহিলার অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে। স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁকে যাতে সন্তানদের ওপর নির্ভর করতে না হয়, তাই এই আইন। এসব ক্ষেত্রে স্ত্রী মৃত স্বামীর সম্পত্তি ভোগ ও তা থেকে আয়ও করতে পারেন। কিন্তু এর অর্থ, ওই সম্পত্তিতে তাঁর নিরঙ্কুশ অধিকার নয়। যে মামলার বিচার করতে গিয়ে এহেন মন্তব্য করেছে দিল্লি হাইকোর্ট, তাতে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার আগে তাঁর সম্পত্তি বিশদে উইল করে গিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী আমৃত্যু ওই সম্পত্তি ভোগ করবেন। এই উইলে স্ত্রীকে সম্পত্তি বিক্রি করার অধিকার দেননি তাঁর প্রয়াত স্বামী।

    আরও পড়ুুন: “তৃণমূল যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে”, চাকরি বাতিল ইস্যুতে তোপ মোদির

    ওই দম্পতির ছয় ছেলে, এক নাতনি। সম্পত্তির দাবি নিয়ে বিরোধের জেরে বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। মামলার শুনানি শেষে দেওয়ানি আদালত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে, যেহেতু স্বামীর মৃত্যুর আগে একটি উইল ছিল, তাই তেইশ বছর ধরে সেখানে বসবাস করার কারণে তাঁর স্ত্রী সম্পত্তির নিরঙ্কুশ মালিক হয়েছিলেন। এদিন আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, স্বামীর মৃত্যুর আগে তাঁর সম্পত্তিতে ওই হিন্দু মহিলার কোনও অধিকার ছিল না। মৃত্যুর পরেও নিরঙ্কুশ অধিকার জন্মায় না (Delhi High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

      

  • Arvind Kejriwal: কেজরিওয়ালের জামিন চেয়ে জনস্বার্থ মামলা খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

    Arvind Kejriwal: কেজরিওয়ালের জামিন চেয়ে জনস্বার্থ মামলা খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) Extraordinary Bail চেয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে। সোমবারই তা খারিজ হয়ে গেল। ওই আর্জিতে বলা হয়েছিল, কেজরিওয়ালের মুখ্যমন্ত্রীর মেয়াদ পূর্ণ হওয়া এবং যতক্ষণ না সমস্ত মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত যেন জামিন মঞ্জুর করা হয়। দিল্লি হাইকোর্টের অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি মনমোহন এবং বিচারপতি মনমিত মিত্র প্রীতম সিং-এর ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনকারীর আর্জি খারিজ করে দেয় এবং এর পাশাপাশি আবেদনকারীকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

    ভিত্তিহীন আর্জি

    এর কারণ হিসেবে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে আর্জি একেবারেই ভিত্তিহীন। এর স্বপক্ষে কোনও কারণ নেই। এমনকি এই জনস্বার্থ আবেদনের জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) আবেদনকারীকে কোনও পাওয়ার অফ অ্যাটর্নিও দেননি। দিল্লি হাইকোর্টেবল সাফ জানিয়েছে, আম আদমি পার্টির নেতা বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন আদালতেরই নির্দেশে। জানা গিয়েছে, এই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেন ‘উই দা পিপল অফ ইন্ডিয়া’ নামে আইন বিষয়ের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্র। আদালতের আরও মন্তব্য একজন উচ্চ সরকারি পদে থাকা ব্যক্তিকে এ ধরনের Extraordinary Bail দেওয়া যায় না।

    আবেদনকারীর বক্তব্য

    ওই আবেদনকারী আরও জানিয়েছেন, তাঁর আবেদন যে তিহার জেলে অসংখ্য দাগী অপরাধী সাজা কাটছে। তাদের মধ্যে বোম বিস্ফোরণ, ধর্ষণ খুন ডাকাতি এই সমস্ত মামলার অপরাধীরা রয়েছে। এরকম একটি পরিবেশে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে অস্থায়ী বিচারপতি মনমোহন আবেদনকারীর উদ্দেশে বলেন, আপনি কি রোজ আইনের ক্লাসে উপস্থিত থাকেন? আমার তো মনে হয় না! তার কারণ আপনি আইনের মূলনীতি আদর্শের কিছুই বোঝেন না।

    কেজরিওয়ালের আইনজীবীও এই জনস্বার্থ মামলার বিরোধী

    আদালত এদিন আরও বিস্ময় প্রকাশ করে জানিয়েছে, আবেদনকারী পার্সোনাল বন্ডে কেজরিওয়ালের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি তদন্তে মুখ্যমন্ত্রী কোনও প্রভাব খাটাবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ওই আবেদনকারী। ঘটনাক্রমে কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) হয়ে মামলা লড়ছেন যিনি রাহুল মেহেরা, তিনিও এই পিটিশনের বিরোধ করেছেন। এটিকে তিনি বলেছেন যে পাবলিসিটির জন্য এ ধরনের পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। প্রসঙ্গত আবগারি দুর্নীতি মামলায় মার্চের ২১ তারিখে গ্রেফতার হন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: জেলেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল! তাঁর গ্রেফতারি বৈধ, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট

    Arvind Kejriwal: জেলেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল! তাঁর গ্রেফতারি বৈধ, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) গ্রেফতারি বৈধ। তাঁকে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয়নি, জানাল দিল্লি হাইকোর্ট। আপাতত তাঁকে তিহাড় জেলেই থাকতে হবে। এই দুর্নীতি মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে বলেও মানতে নারাজ দিল্লি হাইকোর্ট। আদালতের বক্তব্য, এই মামলাটি কেন্দ্র সরকার এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মধ্যে নয় বরং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মধ্যে।

    আদালতে সওয়াল জবাব

    ইডি আদালতে জানিয়েছে, কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বিরুদ্ধে তাদের হাতে প্রমাণ রয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে আবগারি মামলার ‘মূলচক্রী’ হিসাবেও দেখিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পাশাপাশি, তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আদালতে ইডি জানায় আবাগারি নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ক্ষমতার বলে প্রভাব খাটিয়েছেন কেজরিওয়াল। ঘুষ নিয়ে ফায়দা দেওয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা ছিল আম আদমি পার্টির সুপ্রিমোর।  আবগারি নীতি তৈরি করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আপ নেতারা প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঘুষ পেয়েছিলেন। পাশাপাশি গোয়ায় যারা আপ-এর প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁদের দলের তরফে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়া হয়েছিল ভোটে লড়ার জন্য। অন্য দিকে, কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির দাবি ছিল, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ ছিল। তাই তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। গত বুধবার দু’পক্ষের সওয়াল শোনার পর ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে আপপ্রধানের মামলার রায়দান সংরক্ষিত রেখেছিল দিল্লি হাইকোর্ট।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) অন্যদের সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করেছেন এবং অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। ইডি এই সংক্রান্ত পর্যাপ্ত প্রমাণ আদালতে পেশ করতে পেরেছে। তাই এই গ্রেফতারিকে বেআইনি বলা যাবে না।  দিনের পর দিন তিনি যেভাবে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন, তাতে প্রমাণ হচ্ছে এই গ্রেফতারি প্রয়োজনীয়। এই দুর্নীতি মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে বলেও মানতে নারাজ দিল্লি হাইকোর্ট। আদালতের মতে, রাজনৈতিক বিবেচনা এবং সমীকরণ আদালতে টেনে আনা যাবে না। আইনের কাছে এসব অপ্রাসঙ্গিক। বিচারপতিরা আইনের কাছে দায়বদ্ধ, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কাছে নয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। আবেদনে এমনটাই জানিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IT Notice: ১৭০০ কোটি টাকা জরিমানা চেয়ে কংগ্রেসকে আয়কর দফতরের নোটিস

    IT Notice: ১৭০০ কোটি টাকা জরিমানা চেয়ে কংগ্রেসকে আয়কর দফতরের নোটিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে আরও বিপাকে জাতীয় কংগ্রেস (Congress)। রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দলের কাছে ১৭০০ কোটি টাকা চেয়ে নোটিস পাঠাল আয়কর দফতর (IT Notice)। কেন্দ্রীয় সংস্থাটির একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষ পর্যন্ত আয়কর সংক্রান্ত রিটার্ন পর্যালোচনা করেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। বকেয়া কর, তার সুদ এবং জরিমানার অঙ্ক মিলিয়েই ১,৭০০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি। 

    কী বলছে আয়কর দফতর

    কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে আয়কর বিভাগ (IT Notice)। তাদের দেওয়া আয়করের পুনঃমূল্যায়ন করা হচ্ছে। ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ বছরগুলির জন্য আয়কর পুনর্মূল্যায়ন সংক্রান্ত আয়কর বিভাগের আদেশকে প্রথমে দিল্লি হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল কংগ্রেস। ২২ মার্চ, কংগ্রেসের এই আবেদন খারিজ করে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা এবং বিচারপতি পুরুষৈন্দ্র কুমার কৌরবের বেঞ্চ জানিয়েছিল, এই বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করতে চায় না। এরপরই আয়কর বিভাগ জানিয়েছে, জরিমানা এবং সুদ-সহ কংগ্রেসকে ১৭০০ কোটি টাকা দিতে হবে। আয়কর আইনের ১৩(১) ধারা লঙ্ঘনের প্রমাণ মেলার পরেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। 

    আদালতে কংগ্রেসের দাবি খারিজ

    এর আগে, বকেয়া কর হিসাবে কংগ্রেসকে  ২০১৮-১৯ মূল্যায়ন বর্ষের জন্য ১০৫ কোটি টাকা দেওয়ার নোটিস দিয়েছিল আয়কর দফতর (IT Notice)। সেই নোটিসে স্থগিতাদেশ চেয়েও দিল্লি হাইকোর্ট থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল কংগ্রেসকে। বিচারপতিরা জানিয়েছিলেন ইনকাম ট্যাক্স আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশে নাক গলানোর প্রয়োজন বোধ করছেন না তাঁরা। এর আগে ১৪ লক্ষ টাকা হিসাবের গরমিলের অভিযোগে কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে ১৩৫ কোটি টাকা জরিমানা ও সুদ কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: ‘কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে ১৪০ কোটি ভারতীয়’, আইনজীবীদের চিঠির পর তোপ মোদির

    লোকসভা ভোটে যাতে কংগ্রেস প্রচার, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অর্থ খরচ করতে না পারে, তার জন্যই প্রথমে কংগ্রেসকে আয়কর দফতরের নোটিস ও তার পরে কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে এর আগে অভিযোগ তুলেছেন সনিয়া, রাহুল ও খড়্গে। যদিও কংগ্রেসের এই দাবিকে গুরুত্ব দেয়নি আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

LinkedIn
Share