Tag: Delhi

Delhi

  • Kedarnath temple: দিল্লিতে কেদারনাথ মন্দির তৈরি হবে, ধাম নয়! জানালেন কেদারনাথ ধাম ট্রাস্টের সভাপতি

    Kedarnath temple: দিল্লিতে কেদারনাথ মন্দির তৈরি হবে, ধাম নয়! জানালেন কেদারনাথ ধাম ট্রাস্টের সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে খাড়াই-বন্ধুর পথ অতিক্রম করে উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ (Kedarnath temple) যান ভক্তরা। তবে এবার থেকে আর মহাদেবের দর্শনের জন্য কেদারনাথ পাড়ি দিতে হবেনা, কারন এবার দিল্লিতেই দর্শন হবে কেদারনাথের। গত বুধবার উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী ঘোষণা করেছেন, এবার দেশের রাজধানীতেই কেদারনাথ দর্শন সম্পন্ন হবে। দিল্লির বুরারিতে ৩ একর জমির ওপর মন্দির তৈরি করছে কেদারনাথ দিল্লি ধাম ট্রাস্ট। ধামীর মতে, দিল্লির কেদারনাথ মন্দির ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করবে। 

    দিল্লিতে কেদারনাথ মন্দির তৈরি হবে, ধাম নয়

    এ প্রসঙ্গে রবিবার কেদারনাথ ধাম ট্রাস্টের সভাপতি সুরিন্দর রাউতেলা বলেছেন, ”দিল্লিতে তৈরি করা কেদারনাথ মন্দিরটি (Kedarnath temple) একটি মন্দির হিসেবে তৈরি হবে, এটি কোনও ধাম নয় এবং এর সাথে উত্তরাখণ্ড সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই। পুষ্কর সিং ধামী এই মন্দিরের ভূমি পুজোর জন্য আমাদের অনুরোধে দিল্লি এসেছিলেন। এ বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই। মন্দিরটি ট্রাস্টিদের সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে। উল্লেখ্য এই ট্রাস্টিদের মধ্যে অনেকেই উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা।”   
    এছাড়াও তিনি বলেন, “দেশের বিভিন্ন শহরে বিখ্যাত ধামের নামে ইতিমধ্যেই অনেক মন্দির তৈরি করা হয়েছে, তা ইন্দোরের কেদারনাথ মন্দির হোক বা মুম্বইয়ের বদ্রিনাথ মন্দির। এই মন্দিরগুলিও উদ্বোধন করেছিলেন উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত।”

    আরও পড়ুন: মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্প! নিজেই ঘোষণা করলেন ভাইস প্রেসিডেন্টের নাম

    সুরিন্দর রাউতেলার বার্তা 

    উল্লেখ্য, ১০ জুলাই, উত্তর-পশ্চিম দিল্লির বুরারির কাছে হিরাঙ্কি পাড়ায় এই মন্দিরের ভূমি পূজায় অংশ নিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। ওইদিন সেখানে নতুন কেদারনাথ মন্দির নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। নয়া এই মন্দির নির্মাণ নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেন উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ মন্দিরের (Kedarnath temple) পুরোহিতরা। এ প্রসঙ্গে  সুরিন্দর রাউতেলা বলেছেন, “দিল্লিতে নির্মিত মন্দিরের নাম শ্রী কেদারনাথ ধাম রাখার বিষয়ে ইতিমধ্যেই যে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা এড়ানো উচিত। কিছু নেতা তাদের রাজনৈতিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য বিতর্ক সৃষ্টি করছেন। উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ ধাম ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের একটি। আমরা শুধু দিল্লিতে একটি মন্দির তৈরি করছি। এর আগে ভারতের বিভিন্ন শহরে এরকম বিভিন্ন মন্দির তৈরি রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ, জানাল ইডি

    Arvind Kejriwal: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ, জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে আবগারি দুর্নীতি মামলা। এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) এবং আম আদমি পার্টির (APP) বিরুদ্ধে আবগারি দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত তদন্ত সমাপ্ত করল ইডি। যদিও কেন্দ্রীয় সংস্থা এই তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার কথা এখনও জানায়নি। ২২ মাস ধরে চলা এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ইডি (ED) মাত্র ২৪৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। একইসঙ্গে এই মামলায় যুক্ত ১৮ জন গ্রেফতার হয়েছে, এবং ৪০ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৮টি চার্জশিট এবং ৪ ডজনেরও বেশি অভিযান হয়েছে৷ 

    কী জানিয়েছে ইডি? (ED) 

    এ প্রসঙ্গে ইডির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) এবং আপের বিরুদ্ধে ৩৭ এবং ৩৮ অভিযুক্ত নম্বরের বিষয়ে আমাদের তদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। আদালত আমাদের দাখিল করা আটটি চার্জশিটের সবকটি গ্রহন করেছে এবং সেই চার্জশিটের বেশিরভাগ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জামিন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।” যদিও এ বিষয়ে কেজরিওয়াল এবং আপ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং একইসঙ্গে এই গোটা ঘটনাকে তারা কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক তখনকার “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা” বলে অভিহিত করেছে।  

    আগে কী ঘটেছিল? (Arvind Kejriwal) 

    গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এর পর লোকসভা ভোটের সময়ে তাঁকে কিছু দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার মেয়াদ শেষ হলে ২ জুন আবার তিহাড় জেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন কেজরি। এর মঝেই আবার আবগারি দুর্নীতিতে ইডি ১৭ মে কেজরিওয়াল এবং আপের বিরুদ্ধে দায়ের করা চার্জশিটে দাবি করেছে যে মুখ্যমন্ত্রী, তার তৎকালীন ডেপুটি মনীশ সিসোদিয়া এবং দলের প্রাক্তন মিডিয়া ইনচার্জ বিজয় নায়ার কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকার ঘুষ চেয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: যোগী আদিত্যনাথের অধীনে উত্তরপ্রদেশ উন্নয়নের নতুন গল্প লিখছে, বললেন জেপি নাড্ডা

    এর পরে গত ২৫ জুন তিহাড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরে জেলবন্দি কেজরিকে (Arvind Kejriwal) রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের অনুমোদনে হেফাজতে নেয় আবগারি মামলার আর এক তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। ঘটনাচক্রে, সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে শুক্রবার। সিবিআই হেফাজতকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেজরি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন জানালেও তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তারপর দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এরপর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ গত শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে। যদিও কেজরি এখন সিবিআই হেফাজতে থাকায় সেই মামলায় পৃথক ভাবে জামিন নিতে হবে তাঁকে। আগামী ১৭ জুলাই সেই মামলার শুনানি হবে দিল্লি হাই কোর্টে। তার আগে তিহাড় থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না কেজরি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC leader arrested: বেআইনি জমি দখলের অভিযোগে দিল্লি থেকে গ্রেফতার শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা!

    TMC leader arrested: বেআইনি জমি দখলের অভিযোগে দিল্লি থেকে গ্রেফতার শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি দখল নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শিলিগুড়ির তৃণমূলনেতাকে গ্রেফতার (TMC leader arrested) করেছে পুলিশ। তৃণমূল নেতার নাম গৌতম গোস্বামী, তাঁকে দিল্লি থেকে আটক করেছে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের পুলিশ। তিনি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লকের তৃণমূল সহ-সভাপতি ছিলেন। বিজেপি জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করে আইন অনুযায়ী শাস্তির দাবি তুলেছে। ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে।  

    পুলিশ কমিশনারেটের বক্তব্য (TMC leader arrested)

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুলিশ কমিশনারেট সি সুধাকর বলেছেন, “দিল্লিতে আমাদের দল গিয়ে গৌতম গোস্বামীকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত চলছে, এই মুহূর্তে সব কিছু বলা সম্ভবপর নয়।” তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “মেয়র গৌতম দেবের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন দেবাশিষ প্রামাণিক, তাঁকে গ্রেফতার করার পরেই শহর ছেড়ে ছিলেন গৌতম গোস্বামী। তখন থেকে তাঁর খোঁজ চলছিল। শিলিগুড়ি থেকে তিনি প্রথমে যান কলকাতায়, এরপর হায়দরাবাদ হয়ে বেঙ্গালুরু হয়ে দিল্লিতে যান। ঠিক তারপর খবর পেয়ে স্পেশাল অপারেশন চালিয়ে গ্রেফতার (TMC leader arrested) করা হয়।”

    বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য

    তৃণমূল নেতা গ্রেফতারের পর ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির (Siliguri) বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “দেবাশিষ প্রামাণিক এবং গৌতম গোস্বামীকে গ্রেফতার (TMC leader arrested) করে চোখে ধুলো দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে বড় নেতারা পার হওয়ার চেষ্টা করছেন। একের পর এক সরকারি-বেসরকারি জমি দখল করছেন তাঁরা। উত্তরকন্যার পাশে বিঘের পর বিঘে সরকারি জমি দখল করে রেখেছে। কাদের নির্দেশে এই অবৈধ দখল চলছে, তা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। জমিকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুনঃ পুরুলিয়া লোকসভায় হারের চর্চায় তৃণমূলের অন্দরে দলীয় সংঘাতের চিত্র প্রকাশ্যে!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেছেন, “আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা নির্দেশ দিয়েছেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন হবে। এই ধরনের কাজে যাঁরা যুক্ত তাঁদের শাস্তি (TMC leader arrested) হওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Air Pollution: ভারতের বড় শহরগুলিতে ৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ বায়ুদূষণ! গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য

    Air Pollution: ভারতের বড় শহরগুলিতে ৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ বায়ুদূষণ! গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য। দূষণের (Air Pollution) কারণে প্রতি বছর ভারতে মৃত্যু হচ্ছে ৩৩ হাজার মানুষের। সম্প্রতি ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নাল’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দূষণ সংক্রান্ত সমীক্ষার রিপোর্টে এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, কলকাতা সহ ভারতের বড় বড় ১০টি শহরে (Indian Cities) প্রতি বছর বায়ুদূষণের বলি হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। তাই দূষিত বায়ুর (Air Pollution) বিপদ থেকে নাগরিকদের বাঁচানোর জন্য অবশ্যই হু-র দেওয়া নির্দেশিকা মেনে চলা উচিত ভারতের, এমনটাই জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। গবেষণাটি সাসটেইনেবল ফিউচার কোলাবোরেটিভ, অশোকা ইউনিভার্সিটি, সেন্টার ফর ক্রনিক ডিজিজ কন্ট্রোল, সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট, হার্ভার্ড এবং বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।

    ঠিক কী জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে? 

    সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ভারতের বড় বড় ১০টি শহরে বায়ুদূষণের (Air Pollution) কারণে প্রতিবছর ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ওই ১০টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে বায়ুদূষণের কারণে দৈনিক মৃত্যুর হার ৭ শতাংশেরও বেশি। এই শহরগুলির (Indian Cities) তালিকায় রয়েছে কলকাতা, আমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বই, পুণে, সিমলা, এবং বারাণসী। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী শহর দিল্লি, যেখানে প্রতি বছর ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুম্বই। এখানে মৃত্যু সংখ্যা ৫ হাজার ১০০। আর কলকাতায় সেই সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০। অন্যদিকে,  চেন্নাইয়ে বায়ুদূষণের কারণে বছরে ২ হাজার ৯০০ জন মানুষ মারা যান। বেঙ্গালুরুতে সেই সংখ্যা ২ হাজার ১০০ এবং বারাণসীতে ৮৩০। মৃত্যুর নিরিখে তালিকায় সবচেয়ে নিচে রয়েছে সিমলা, যেখানে বছরে বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে কম, মাত্র ৫৯।  

    আরও পড়ুন: শিবের মাথায় জল দেবেন ভক্তরা, কানওয়ার যাত্রার রাস্তায় মাংস বিক্রি বন্ধ করলেন যোগী

    এর থেকে বাঁচার উপায় কী? (Air Pollution) 

    এ প্রসঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সহ-লেখক জোয়েল শোয়ার্টজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ”এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ভারতের যা পরিস্থিতি সেখানে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণই একমাত্র পথ। একমাত্র বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই প্রতি বছর কয়েক হাজার জীবন বাঁচাতে পারে। অন্যান্য দেশে যেভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ হয়, সে সব পদ্ধতিগুলি ভারতে জরুরীভাবে প্রয়োগ করা প্রয়োজন।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ জানিয়েছে যে, পৃথিবীতে প্রায় সকলেই বায়ুদূষণের (Air Pollution) প্রস্তাবিত পরিমাণের চেয়ে বেশি পরিমাণে দূষিত বায়ু গ্রহণ করে, যা স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এর ফলেই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার। 
      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Medha Patkar: পাঁচ মাসের কারাদণ্ড মেধা পাটকরকে, কেন জানেন?

    Medha Patkar: পাঁচ মাসের কারাদণ্ড মেধা পাটকরকে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে মেধা পাটকরকে (Medha Patkar)! সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির সাকেত আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাঘব শর্মা। ২০০১ সালে মামলাটি দায়ের করেছিলেন বিনয় কুমার সাক্সেনা। বর্তমানে তিনি দিল্লির উপ-রাজ্যপাল। কারাদণ্ডের পাশাপাশি বিনয়কে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

    আদালতের নির্দেশ

    ম্যাজিস্ট্রেট জানান, কারাদণ্ডের এই আদেশটি স্থগিত থাকবে ৩০ দিনের জন্য। মেধা যাতে উচ্চ আদালতে মামলা করতে পারেন, তাই এই সময় বলে ধারণা আইনজ্ঞদের। প্রসঙ্গত, গত ২৪ মে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল মেধাকে (Medha Patkar)। এদিন ঘোষণা করা হল সাজা। ২০০০ সালে ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সিভিল লিবার্টিজ’ নামে এক সংগঠনের সভাপতি পদে ছিলেন বিনয়। সেই সময় ‘নর্মদা বাঁচাও’ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন মেধা। আন্দোলন জোরদার করতে এই সময় মেধা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন বলে অভিযোগ।

    মেধার বিরুদ্ধে গুচ্ছ অভিযোগ

    পরে বিনয়কে ‘কাপুরুষ’ অভিধায় ভূষিত করেছিলেন মেধা। হাওয়ালা লেনদেনে বিনয়ের যোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের নেত্রী। বিনয়কে গুজরাট সরকারের দালাল বলেও অভিহিত করেছিলেন তিনি। মেধার আরও অভিযোগ, গুজরাটের জনগণ ও তাঁদের সম্পদকে বিদেশি স্বার্থের কাছে বন্ধক রাখা হয়েছে। এসবেরই প্রেক্ষিতে ২০০১ সালে আহমেদাবাদের এক আদালতে মেধার (Medha Patkar) বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন বিনয়। ২০০৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলাটি স্থানান্তরিত হয়েছিল দিল্লিতে।

    আর পড়ুন: আমলা দম্পতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য, তৃণমূল সাংসদের জরিমানা ৫০ লাখ

    ২৪ মে এই মানহানি মামলায় মেধাকে দোষী সাব্যস্ত করার সময় বিচারক বলেছিলেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবেই এবং অঙ্ক কষেই মেধা পাটকর ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন। এর মাধ্যমে বিনয় সাক্সেনার মানহানি করার উদ্দেশ্য ছিল তাঁর’। বিচারক আরও বলেছিলেন, ‘বিনয়কে অবৈধ ও অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত বলায়, তাঁর খ্যাতি ও মানের বড় ক্ষতি হয়েছে। মেধার কাছে এই সব অভিযোগের কোনও উপযুক্ত প্রমাণ নেই।’ আদালত জানিয়েছে, বিনয়ের বিরুদ্ধে করা মেধার অভিযোগগুলির নেপথ্যে ছিল জনগণের ক্ষোভ উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্য। রায় শুনে মেধার (Medha Patkar) প্রতিক্রিয়া, “আমরা আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Saket Gokhale: আমলা দম্পতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য, তৃণমূল সাংসদের জরিমানা ৫০ লাখ

    Saket Gokhale: আমলা দম্পতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য, তৃণমূল সাংসদের জরিমানা ৫০ লাখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫০ লাখ টাকা জরিমানা তৃণমূল সাংসদের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ও তাঁর স্ত্রী তথা প্রাক্তন কূটনীতিক লক্ষ্মী পুরীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের সাকেত গোখেলের (Saket Gokhale) বিরুদ্ধে। সেই কারণেই তাঁকে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)।

    সাকেতকে আদালতের নির্দেশ (Saket Gokhale)

    সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অনুপ জয়রাম ব্রহ্মাণীর বেঞ্চের নির্দেশ, লক্ষ্মীর কাছে ক্ষমা চেয়ে সাকেতকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করতে হবে। আদালতের নির্দেশ, অন্তত ছমাস সাকেতের (Saket Gokhale) ওই পোস্ট থাকতে হবে এক্স হ্যান্ডেলে। এর পাশাপাশি একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে লক্ষ্মীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বার্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ব্রহ্মাণীর বেঞ্চ। ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালের জুন মাসে। লক্ষ্মী ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ তুলে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন সাকেত। পোস্টে তৃণমূলের এই সাংসদ লিখেছিলেন, লক্ষ্মী পুরী সুইৎজারল্যান্ডে সম্পত্তি কিনেছেন। লক্ষ্মী ও তাঁর মন্ত্রী স্বামীর আয়ের উৎস নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার পোস্ট করেছিলেন তৃণমূলের এই সাংসদ।

    মানহানির মামলা দায়ের

    এর পরেই সাকেতের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন লক্ষ্মী। দাবি করেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও। তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যে, অসত্য ট্যুইট ডিলিট করার নির্দেশ সাকেতকে দিতে আদালতে আবেদন জানান লক্ষ্মী। ওই বছরেরই ১৩ জুলাই লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে করা সমস্ত পোস্ট চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ডিলিট করার নির্দেশ সাকেতকে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। লক্ষ্মীর বিরুদ্ধে আর কোনও মানহানিকর পোস্ট করা থেকেও সাকেতকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

    আর পড়ুন: ইভিএম নিয়ে ভুয়ো খবর, মিড ডে-র রিপোর্টার সহ একাধিক ব্যক্তির নামে এফআইআর

    লক্ষ্মীর মতো প্রাক্তন আমলা তাঁর স্বামী হরদীপও। তিনি ১৯৭৪ ব্যাচের আইএফএস। ব্রাজিল, জাপান, ব্রিটেন-সহ বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। চাকরিজীবন শেষে ২০১৩ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে হরদীপের কাঁধে রয়েছে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের দায়িত্ব। এহেন এক আমলা দম্পতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার খেসারত দিতে হবে (Delhi High Court) তৃণমূলের সাংসদকে (Saket Gokhale)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Delhi Rain: জলের তলায় রাজধানী! বৃষ্টির জমা জলে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা

    Delhi Rain: জলের তলায় রাজধানী! বৃষ্টির জমা জলে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেও তাপপ্রবাহে পুড়ে যাচ্ছিল দিল্লি (Delhi rain)। আর শুক্রবার রেকর্ডভাঙা বৃষ্টিতে কার্যত জলের তলায় চলে গেল গোটা শহর। প্রবল বৃষ্টিতে থমকে গিয়েছে রাজধানীর জীবনযাত্রা। বৃষ্টি বিপর্যস্ত রাজধানীতে গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। তাঁদের মধ্যে ছজনের মৃত্যু হয়েছে বৃষ্টির জমা জলে ডুবে। মৃতদের মধ্যে চার শিশুও রয়েছে। এছাড়াও সুপ্রিম কোর্ট চত্বর সহ দিল্লির একাধিক মেট্রো স্টেশনে জল জমেছে। আন্ডাপাসে জলে ডুবেছে গিয়েছে একাধিক গাড়ি। গত দুদিনে ছজনের মধ্যে দুজনের প্রাণ কেড়েছে আন্ডারপাসের নীচের জমা জল। এ ছাড়া রাস্তায় খেলতে খেলতে জলে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

    বৃষ্টির জমা জলে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা (Delhi rain)

    দিল্লির ওখলার আন্ডারপাসে শনিবার সকালে জমা জলে (Heavy Rain in Delhi) ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৬০ বছরের এক প্রৌঢ়ের। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, স্কুটার চালাচ্ছিলেন ওই প্রৌঢ়। আন্ডারপাসের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময়ে তিনি জলে ডুবে যান স্কুটার নিয়েই। তারপর আর বেরিয়ে আসতে পারেননি। যদিও খবর পেয়েই পুলিশ পৌঁছে দিগ্বিজয় কুমার চৌধুরি নামের ওই প্রৌঢ়কে জলের মধ্যে থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 
    অন্যদিকে, শনিবার দুপুরে দিল্লির সিরসপুর আন্ডারপাসের নীচে মেট্রো স্টেশনের কাছে জমা জলে (Delhi rain) পড়ে মৃত্যু হয় দুজন বালকের। পুলিশ সূত্রে খবর, আন্ডারপাসের নীচে আড়াই থেকে তিন ফুট উচ্চতার জল জমে ছিল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ। বেশ কিছু ক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর জল থেকে দুজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই দুই বালক আন্ডারপাসের কাছেই স্নান করছিল। সে সময়ে জমা জলে পড়ে যায় তারা। 
    শনিবার আরও এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দিল্লির শালিমার বাগ এলাকায়।  সেখানকার একটি আন্ডারপাসের নীচে জমা জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। তাঁর বয়স ২৭ থেকে ২৮ বছর বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজাদপুর মান্ডি এলাকায় আংশিক সময়ের শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন তিনি।
    এছাড়া দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবারও উত্তর-পূর্ব দিল্লির নিউ উসমানপুর এলাকায় জমা জলে ডুবে মৃত্যু হয় দুই বালকের। তাদের এক জনের বয়স ৮ বছর এবং অন্য জনের বয়স ১০ বছর। বৃষ্টির জলে (Delhi rain) ভর্তি একটি পাঁচ ফুট গভীর গর্তের পাশে খেলা করছিল তারা। অসাবধানতায় সেখানেই পড়ে যায়। পুলিশ দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘এই জয় ৩-৪ বছরের পরিশ্রমের ফল’’! টি-২০ থেকে অবসর ঘোষণা রোহিতেরও

    ব্যাহত যান চলাচল (Heavy Rain in Delhi) 

    দিল্লিতে শুক্রবার যা বৃষ্টি (Delhi rain) হয়েছে, তা ৮৮ বছরের নজির ভেঙে দিয়েছে। জুন মাসের স্বাভাবিক বৃষ্টির চেয়ে তিন থেকে চার গুণ বেশি বৃষ্টি হয়েছে এক দিনেই। ফলে রাজধানীর রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যান চলাচলও ব্যাহত হয়েছে। একাধিক জায়গায় গাড়ির ছাঁদ পর্যন্ত জল চলে গিয়েছে, ভেসে বেড়াচ্ছে বাইক। ভিড়ের মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। অন্যদিকে টানা বৃষ্টির (Heavy Rain in Delhi) কারণে ভেঙে পড়েছে দিল্লি বিমানবন্দরের (Delhi Airport) টার্মিনাল ১-এর ছাঁদ, ব্যাহত মেট্রো চলাচলও। সবমিলিয়ে মরসুমের প্রথম বৃষ্টিতেই জলের তলায় দিল্লির একাংশ।  
    উল্লেখ্য, আগামী দিন বৃষ্টি (Delhi rain) আরও বাড়বে। চার দিন ধরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। সঙ্গে জারি করেছে সতর্কতাও। রাজধানীর বহু এলাকা এখনও জলমগ্ন। ফলে আরও ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain in Delhi) পূর্বাভাসে ত্রস্ত দিল্লিবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain in Delhi: রেকর্ড বৃষ্টিতে ভাসল দিল্লি! আন্ডারপাসে আটকে বাস, স্তব্ধ জনজীবন

    Heavy Rain in Delhi: রেকর্ড বৃষ্টিতে ভাসল দিল্লি! আন্ডারপাসে আটকে বাস, স্তব্ধ জনজীবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাসছে দিল্লি। ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain in Delhi) জেরে থমকে গিয়েছে রাজধানী। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিন রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় দিল্লিতে ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে , বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। এর ফলে কার্যত জলের নীচে ডুবে গিয়েছে দিল্লির অধিকাংশ এলাকা। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে দিল্লিতে। 

    রেকর্ড বৃষ্টি

    ১৯৩৬ সালের পর এই প্রথম দিল্লিতে (Heavy Rain in Delhi) টানা ২৪ ঘণ্টায় এত পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। ১৯৩৬ সালে পরিমাণ ছিল ২৩৫.৫ মিলিমিটার। সাধারণত জুন মাসে দিল্লিতে গড়ে ৮০.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এবার সেই রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে দিল্লিতে। শুক্রবার সকালে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ে। জলমগ্ন দিল্লিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

    আন্ডারপাসে আটকে বাস

    বৃহস্পতিবার অফিস ফেরত যাত্রীরা প্রায় পথেই আটকে গিয়েছেন। দিল্লির  কাইজজারগঞ্জে কোদিয়া সেতুর আন্ডারপাসে আটকে যায় একটি যাত্রীবোঝাই বাস। প্রায় ৮ ফুট সমান জলে যাত্রীদের নিয়ে আটকে পড়ে বাসটি। আন্ডারপাসের মাঝ বরাবর বাসটি জলের মধ্যে আটকে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বাসটি আটকে ছিল। আন্ডারপাসের নীচে বাস আটকে পড়ার খবর পুলিশের কাছে পৌঁছয়। তার পরই সেখানে পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল আসে। পুলিশ সূত্রে খবর, আটকে পড়া যাত্রীদের বাস থেকে এক এক করে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকাজের জন্য দড়ি এবং লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করা হয়েছিল।  পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ালেও সকলকেই নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।

    জলমগ্ন বহু রাস্তা

    প্রশাসনের তরফে খবর,  দিল্লি-মেরাঠ হাইওয়ে, নারাইনা-মোতি বাগ রোড, ধৌলা কুঁয়া উড়ালপুল, বীর বান্দা বৈরাগী মার্গ, আজাদ মার্কেট আন্ডারপাস, তিলক সেতু, অরবিন্দ মার্গ, অনুব্রত মার্গ, আইটিও এবং এমস যাওয়ার বহু রাস্তা মথুরা রোড, মুলচাঁদ, মিন্টো রোড, মেহরৌলি, বদরপুর রোড, মান্ডাওয়ালি, ভিখাজি কামা প্লেস, মধু বিহার, তিন মূর্তি মার্গ, প্রগতি ময়দান, মুনিরকা, ধৌলা কুঁয়া, মোতি বাগ, আইটিও এবং নয়ডার বহু রাস্তা প্লাবিত। নীচু এলাকাগুলিতে বাড়ির মধ্যে জল ঢুকে গিয়েছে।

    বিপর্যস্ত বিমানবন্দর

    ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ দিল্লিতে (Heavy Rain in Delhi) তুমুল বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়ে দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনাল ১-এর একাংশ। পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি এবং ট্যাক্সি চাপা পড়ে যায় ভেঙে পড়া অংশের নীচে। ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে এবং পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে টার্মিনাল ১-এর পরিষেবা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: দিল্লির রিজ এলাকায় গাছ কাটা নিয়ে ডিডিএ-কে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: দিল্লির রিজ এলাকায় গাছ কাটা নিয়ে ডিডিএ-কে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টির দেখা নেই। ক্রমশ বাড়ছে রাজধানীর তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহের জেরে মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে দিল্লিতে (Delhi)। তার সঙ্গে রয়েছে তীব্র জল সঙ্কট। উষ্ণায়ন ঠেকাতে গাছ লাগানোর দাবি উঠছে নাগরিকদের বিভিন্ন অংশ থেকে। কিন্তু এরই মধ্যে দিল্লির রিজ ফরেস্ট এলাকায় কেটে ফেলা হয়েছে ১১০০ গাছ। এমন বিপুল সংখ্যায় বৃক্ষনিধনে এবার কড়া ব্যবস্থা নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।

    উপরাজ্যপালকে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)

    সোমবার এ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি এএস ওকা এবং উজ্জ্বল ভুইঞাঁর বেঞ্চে একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়েছে দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (DDA)। বেঞ্চ বলেছে, ‘‘ডিডিএ’র চেয়ারম্যান দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। তিনি কী ডিডিএ’র আধিকারিকদের এই নির্দেশ দিয়েছিলেন?’’ দিল্লিতে (Delhi) বিশেষ এলাকা রয়েছে যেখানে গাছগাছালিই কেবল থাকার কথা। এই গাছ কেটে নেওয়ার বিভিন্ন ঘটনায় প্রতিবাদ ওঠায় সুপ্রিম কোর্ট আগেই নির্দেশিকা জারি করেছিল। এখন নিয়ম হলো সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না।  
    অথচ বিপুল সংখ্যায় গাছ কাটা হয়েছে যে এলাকায় সেখানে নিজে গিয়েছিলেন সাক্সেনা। জান গিয়েছে তিনি ঘুরে আসার পরই কাটা হয় একের পর এক গাছ। এ প্রসঙ্গ তুলেই এদিন বিচারপতি ওকা ডিডিএ’র আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘‘দুটি নথিতে স্পষ্ট যে উপরাজ্যপালই গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আপনারা কী তাঁকে আড়াল করতে চাইছেন?’’ আসলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার ক্ষমতা প্রবল। 

    আদালত অবমাননার অভিযোগে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের  

    আদালত ডিডিএ’র ভাইস চেয়ারম্যানকে বলেছে, ‘‘উপরাজ্যপাল ওই এলাকায় গিয়ে কী নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তার কোনও সরকারি নথি আছে কি? ভাইস চেয়ারম্যানের স্পষ্ট বক্তব্য দরকার।’’ বেঞ্চ আরও বলেছে, ‘‘ভাইস চেয়ারম্যানের তরফে যে হলফনামা দাখিল করা হয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে যেন কয়েকজন আধিকারিক ঠিক করেছেন গাছ কাটা উচিত। তাঁরাই ঠিকাদারদের নির্দেশ দিয়েছেন।’’ এই আধিকারিকদের নামেই যদিও আদালত অবমাননার অভিযোগে নোটিশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

    আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আইআইটি ক্যাম্পাস, স্বপ্নের উড়ান কৃষক পরিবারের সন্তান ইয়েশুর

    বৃক্ষরোপণ অভিযানের নির্দেশ 

    সেই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ, বৃক্ষরোপণ অভিযান চালু করতে হবে ডিডিএ-কে। দিল্লিতে (Delhi) তাপপ্রবাহে সাতদিনের মধ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। আর একইসঙ্গে তাপপ্রবাহের পাশাপাশি তীব্র জলকষ্টে ভুগছে দিল্লি। বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাব পড়ছে দেশের রাজধানী শহরে। আর এরই মধ্যে এবার বিপুল সংখ্যায় বৃক্ষনিধনে কড়া ব্যবস্থা নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: সমাজমাধ্যম থেকে কেজরির ভিডিয়ো সরাতে বলে স্ত্রী সুনীতাকে নোটিশ দিল্লি হাইকোর্টের

    Arvind Kejriwal: সমাজমাধ্যম থেকে কেজরির ভিডিয়ো সরাতে বলে স্ত্রী সুনীতাকে নোটিশ দিল্লি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে আপ সুপ্রিমো। এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) একটি ভিডিয়ো সরিয়ে নিতে বলে তাঁর স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়ালকে নোটিশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi HighCourt)। একই সঙ্গে ওই ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্যও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স এবং ইউটিউবকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও আদালত বিভিন্ন সমাজমাধ্যম কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই ধরনের কিছু চোখে পড়লে তা-ও সরিয়ে দিতে হবে।   

    ভিডিওটিতে ঠিক কী ছিল? (Arvind Kejriwal) 

    আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) যখন আদালতে হাজির করানো হয়েছিল, সেই সময়কার কোর্টের ভিতরে তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন আপ নেতা-কর্মীরা। সুনীতাও তেমনই একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন এক্সে। আর ভিডিও শেয়ার করতেই তা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। এরপর ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়া নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi HighCourt) দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। 

    আরও পড়ুন: কাঁচরাপাড়ার বুকে যেন রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া, মৃত মেয়েকে আগলে বাবা!

    মামলাকারীর অভিযোগ 

    জানা গিয়েছে বৈভব সিংহ নামে এক আইনজীবী কেজরির (Arvind Kejriwal) ভিডিয়োর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলাটি করেন। মামলাকারী জানান, আদালত কক্ষের মধ্যেকার এই ধরনের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ, তা দিল্লি হাইকোর্টের ভিডিয়ো কনফারেন্সিং নিয়মের বিরোধী। ২০২১ সাল থেকে ওই নিয়ম চালু আছে। নিয়ম অনুযায়ী, আদালতের মধ্যেকার কোনও প্রক্রিয়ার ভিডিয়ো রেকর্ড করা যাবে না। সমাজমাধ্যমে এই ধরনের ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়াও যাবে না। কেজরির ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে আপ নেতারা বিচার ব্যবস্থার অপমান করেছেন বলেও দাবি করেন মামলাকারী।

    আগে ঠিক কী ঘটেছিল?   

    আসলে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির পর গত ২৮ মার্চ দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক কাবেরী বাওয়েজার বিশেষ বেঞ্চে দ্বিতীয় বারের জন্য হাজির করানো হয়েছিল কেজরিওয়ালকে। অভিযোগ, আদালতে যখন কেজরি নিজের বক্তব্য জানাচ্ছিলেন, সেই সময়ে তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা ভিডিয়ো রেকর্ড করেন এবং পরে তা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা হয়। কেজরির স্ত্রী-ও তা শেয়ার করেন। এবার সেই ভিডিও সংক্রান্ত শুনানিতে শনিবার উচ্চ আদালত (Delhi HighCourt) সুনীতাকে নোটিশ দিল।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share