Tag: Delhi

Delhi

  • RSS: ‘‘আরএসএস দ্বেষ নয়, দেশপ্রেম শেখায়’’, মত সুনীল আম্বেকরের

    RSS: ‘‘আরএসএস দ্বেষ নয়, দেশপ্রেম শেখায়’’, মত সুনীল আম্বেকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘সঙ্ঘ দ্বেষ নয়, দেশপ্রেম শেখায়।’’ মঙ্গলবার দিল্লিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর এমনই মন্তব্য করলেন একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় কলা কেন্দ্রে এদিন উদ্বোধন হয় ‘হামারা জীবন, হামারি ইয়াদেঁ’ নামের বই। জানা গেছে, সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের চার কার্যকর্তার জীবন সংগ্রাম এবং সমাজ তথা দেশের কাজে তাঁদের অবদান নিয়েই বইটি লেখা হয়েছে। বিশিষ্ট লেখক রামানন্দের সম্পাদনায় বইতে রয়েছে জনজাতি কার্যকর্তা আশা লকড়া, স্বর্গীয় অনিকেত, কলীরাম এবং ধনরাজের কথা। দেশ তথা সমাজের কাজে নিজেদের সম্পূর্ণভাবে সমর্পণ করে কীভাবে লোকজনের মধ্যে এঁরা প্রেরণার স্রোত হয়ে উঠেছিলেন, তাই-ই এই বইয়ের মূল বিষয় বলে জানা গেছে।

    কী বললেন সুনীল আম্বেকর?

    নিজের ভাষণে সুনীল আম্বেকর বলেন, ‘‘বিদ্যার্থী পরিষদ বা সঙ্ঘের আদর্শ ব্যক্তির মধ্যে দ্বেষ নয়, দেশপ্রেমকে ভরে দেয়।’’ সঙ্ঘ (RSS) বা বিদ্যার্থী পরিষদের কাজের প্রসার উল্লেখ করে শ্রী আম্বেকর আরও বলেন, ‘‘শুধুমাত্র নিজেদের ব্যবস্থাতেই সঙ্ঘ বা বিদ্যার্থী পরিষদ, তাদের কার্যকর্তাদের আটকে রাখেনা। সমাজ তথা দেশের কাজেও তাঁদের প্রেরণা দেওয়া হয়। সঙ্ঘ বা বিদ্যার্থী পরিষদের এই ব্যবস্থা কার্যকর্তাদের এতটাই মজবুত করে যে তাঁরা যেকোনও সংকট মোকাবিলায় সর্বদাই প্রস্তুত থাকেন।’’

    কারা হাজির ছিলেন এই অনুষ্ঠানে?

    সঙ্ঘের (RSS) প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মোদি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব, তফশিলি উপজাতি কমিশনের চেয়ারম্যান হর্ষ চৌহ্বান সমেত অন্যান্যরা। তফশিলি উপজাতি কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘এই বই শুধুমাত্র কার্যকর্তা নির্মাণ করবে তাই নয়, বরং সাধারণ মানুষ কীভাবে অসাধারণ কাজ সম্পন্ন করেন, তার দলিলও বটে।’’ অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব বলেন, ‘‘শুধু ভাষণ দিয়ে সামাজিক সদ্ভাব তৈরি করা যায় না, এটা আসে সমস্ত ধরণের মানুষকে হৃদয়ে জায়গা দেওয়ার মাধ্যমে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Wrestlers Protest: ‘‘এ জন্যই কি দেশের হয়ে পদক জিতলাম’’! মধ্যরাতে যন্তর মন্তরে পুলিশ-কুস্তিগির খণ্ডযুদ্ধ

    Wrestlers Protest: ‘‘এ জন্যই কি দেশের হয়ে পদক জিতলাম’’! মধ্যরাতে যন্তর মন্তরে পুলিশ-কুস্তিগির খণ্ডযুদ্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনরত কুস্তিগিরদের (Wrestlers) সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। বুধবার মধ্য রাতে যন্তর মন্তরে (Jantar Mantar) হঠাৎ পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। শেষ পর্যন্ত তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। বিক্ষোভকারী কুস্তিগিরদের অভিযোগ, দিল্লি পুলিশের একটি দল মত্ত অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যা থেকেই তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে শুরু করেন। মহিলা কুস্তিগিরদের কটু ভাষায় আক্রমণ, মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন কুস্তিগিরের মাথায় আঘাত করা হয়, একজন সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুইজনের চোট গুরুতর বলেও জানা গিয়েছে।

    যন্তর মন্তরে ধুন্ধুমার 

    ভারতীয় কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর গ্রেফতারি চেয়ে দিল্লির যন্তর মন্তরে চলছে কুস্তিগিরদের আন্দোলন। কুস্তিগির বিনেশ ফোগট  বলেন, “সারা দিন বৃষ্টি হওয়ার ফলে মাটি ভিজে থাকায় আমরা বিক্ষোভস্থলে খাট পাতার চেষ্টা করছিলাম। তখনই পুলিশ আমাদের উপর হামলা করে। একজনও মহিলা পুলিশকর্মী ছিলেন না। এই সময় ধাক্কাধাক্কিতে কেউ কেউ মাথাতেও আঘাত পান।” ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশের সঙ্গে কুস্তিগিরদের বচসা, ধস্তাধস্তির ছবি ও ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। রাহুল রাও নামক এক কুস্তিগিরকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যেতেও দেখা যায়। 

    কান্নায় ভেঙে পড়লেন বীনেশ

    মধ্যরাতের সাংবাদিক বৈঠকে বীনেশ ফোগট বলেন, “ওই পুলিশ কর্মী সবাইকে ধাক্কা দিচ্ছিলেন। আমরা কেউ অপরাধী নই যে আমাদের সঙ্গে এই ধরনের ব্যবহার করা হচ্ছে”। ঘটনাস্থলে মহিলা পুলিশকর্মীর অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বীনেশ। তিনি বলেন, “পুলিশকর্মীরা আমায় গালমন্দ করে এবং ধাক্কা দেয়। মহিলা পুলিশকর্মীরা কোথায় ছিল তখন? এই দিনটি দেখার জন্যই কি আমরা দেশের হয়ে এত পদক জিতলাম?” এর পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বীনেশ। কুস্তিগির বজরং পুনিয়া বলেন, “সারা দেশের মানুষের আমাদের পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত। দিল্লি পুলিশ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করে আমাদের উপর বলপ্রয়োগ করছে।” 

    আরও পড়ুন: কালীঘাটের পটচিত্র কিনেছিলেন পাবলো পিকাসো! বাংলার এই লোকশিল্প হারিয়ে যাচ্ছে কেন?

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি 

    বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে চারটি পদক জেতা বজরং বলেন, “আমি সরকারকে অনুরোধ করব যেন আমার সব পদক ফিরিয়ে নেওয়া হয়।” এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন বলেও জানান বজরং পুনিয়া। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে চারটি দাবি রেখেছেন। তাঁদের দাবি, কুস্তিগিরদের উপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, জলরোধী তাঁবু স্থাপনের অনুমতিও দিতে হবে।

    আটক সোমনাথ ভারতী 

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সোমনাথ ভারতী নামক আম আদমি পার্টির বিধায়ককে আটক করা হয়েছে। তিনিই প্রথম বিনা অনুমতিতে বিক্ষোভস্থলে ফোল্ডিং খাট এনে পাতার চেষ্টা করেছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই তাঁরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। সোমনাথ এবং তাঁর লোকেদের সমর্থন জোগান বিক্ষোভরত কুস্তিগিরেরা। পুলিশ যথাসময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনভিপ্রেত ঘটনা রুখতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ যন্তর মন্তর এলাকা সিল করে দিয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: শেষমেশ দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরলেন ‘নিঃস্ব’ মুকুল

    Mukul Roy: শেষমেশ দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরলেন ‘নিঃস্ব’ মুকুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় ১১ দিন দিল্লিতে ছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় (Mukul Roy)। শেষমেশ রাজধানী থেকে ফিরলেন শূন্য হাতেই। সূত্রের খবর, বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মুকুল দেখা করার চেষ্টা করলেও, তাঁর সঙ্গে কেউই দেখা করেননি। যদিও কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে মুকুল দাবি করেন, সবার সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁর। প্রয়োজন পড়লে ফের দিল্লি (Delhi) যাবেন বলেও জানান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। তবে তাঁর এবারের দিল্লি সফরে কার কার সঙ্গে দেখা হয়েছে জানতে চাইলে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি মুকুল।

    মুকুল রায়ের (Mukul Roy) ঘরওয়াপসি…

    তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে মত বিরোধের জেরে বছর কয়েক আগে ঘাসফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। কৃষ্ণনগর উত্তরে পদ্ম চিহ্নে প্রার্থী হন তিনি। বিজেপির প্রার্থী হওয়ায় বিপুল ভোটে জয়ীও হন মুকুল। বিধানসভা নির্বাচনের পরে পরেই পদ্ম শিবির ছেড়ে ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তৃণমূল ভবনে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘরওয়াপসি হয় মুকুলের। পুরস্কার স্বরূপ জুটে যায় পিএসির চেয়ারম্যানের পদ। প্রথা অনুযায়ী যে পদ পাওয়ার কথা বিরোধীদের। এর পরেই মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানায় বিজেপি।

    গত ১৭ এপ্রিল আচমকাই দিল্লি উড়ে যান মুকুল (Mukul Roy)। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন শুভ্রাংশু। তাঁর দাবি, মুকুলকে ভুল বুঝিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর মানসিক অবস্থা যে ভাল নয়, সেই ইঙ্গিতও দেন মুকুল-পুত্র। দিল্লিতে গিয়ে মুকুল দাবি করেন, কেউ তাঁকে জোর করে দিল্লিতে আনেননি। তিনি স্বেচ্ছায় এসেছেন। তাঁর দাবি, তিনি বিজেপিতেই ছিলেন, তৃণমূলে ছিলেন না। দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতেই যে তিনি দিল্লি এসেছেন, জানান তাও।

    আরও পড়ুুন: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    এদিন বিমানবন্দরে নেমে মুকুল (Mukul Roy) ফের বলেন, আমি তো বিজেপিতেই আছি। নিজের ইচ্ছেতেই দিল্লি গিয়েছিলাম। আমার কিছু কাজ ছিল। সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে ঠিক কার কার সঙ্গে মুকুলের কথা হয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। এদিন আবারও মুকুল বলেন, আমাকে কেউ জোর করে দিল্লিতে নিয়ে যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Sukanya Mondal: অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে তিন দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    Sukanya Mondal: অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে তিন দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে (Sukanya Mondal) তিন দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আপাতত শনিবার পর্যন্ত ইডির (ED) হেফাজতে থাকতে হবে তাঁকে। তবে উচ্চ আদালতে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সুকন্যার আইনজীবী। ইডি হেফাজতে থাকাকালীন আইনজীবীরা সুকন্যার সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ে দেখা করতে পারবেন বলে আদালত নির্দেশ দিয়েছে।

    মুখোমুখি বাবা-মেয়ে

    গরুপাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গত আট মাস ধরে তাঁর ঠিকানা দিল্লির তিহাড় জেল। অনেক টালবাহানার পর অবশেষে বুধবার দিল্লিতে ইডির জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁর মেয়ে সুকন্যা। গোয়েন্দাদের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারার কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। খুব সম্ভবত গরুপাচার কাণ্ডের জট খুলতে বাবা ও মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। আদালতে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন ইডির আইনজীবী।

    সুকন্যার নামে বিপুল সম্পত্তি

    আসলে গরুপাচার কাণ্ডের তদন্ত নেমে ইডি সুকন্যার (Sukanya Mondal) নামে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পায়। বোলপুরে তাঁর নামে রয়েছে একাধিক জমি। এমনকী, ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটও রয়েছে সুকন্যার নামে। যা হিসাব বহিঃর্ভূত সম্পত্তি বলে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাঁদের মনে হচ্ছে, সুকন্যার নামে যে অর্থ ও সম্পত্তির হদিশ তাঁরা পেয়েছেন, তা মূলত গরুপাচার কাণ্ডে প্রাপ্ত অনুব্রত মণ্ডলের ভাগের অংশ বলেই মনে করছে ইডি।

    আরও পড়ুন: শুক্রবার ১২ ঘণ্টার উত্তরবঙ্গ বন‍্‍ধ ডাকল বিজেপি, কেন?

    গ্রেফতারের পর বুধবার রাতেই সুকন্যার মেডিকেল টেস্ট হয়। সূত্রের খবর, এক বান্ধবী গিয়ে সুকন্যাকে (Sukanya Mondal) জামা-কাপড় দিয়ে আসেন। ইডি অফিসেই নৈশভোজ সারেন অনুব্রত কন্যা। বৃহস্পতিবার তাঁকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হয়। তিন দিনের হেফাজত চেয়ে ইডির আইনজীবীরা আবেদন করেন বিচারকের কাছে। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। সওয়াল চলাকালীন ইডির আইনজীবীরা যে সব তথ্য সামনে রেখেছেন, তা চমকে দেওয়ার মতোই। গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে যে সব গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে, সেখানে নাম রয়েছে সুকন্যার। তাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গরুপাচার কাণ্ডে সুকন্যাও জড়িত বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এই মামলার সঙ্গে অন্য কোনও প্রভাবশালী জরিত কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এদিকে, সুকন্যার আইনজীবী অমিত কুমারের বক্তব্য, ‘আমার মক্কেল তদন্তে সব রকম সাহায্য করছে। তবুও তাঁকে গ্রেফতার করল ইডি। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। আমরা উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WFI: ‘আমাদের আন্দোলনে সব দলকে স্বাগত’, বললেন কুস্তিগিররা

    WFI: ‘আমাদের আন্দোলনে সব দলকে স্বাগত’, বললেন কুস্তিগিররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত অবস্থান বিক্ষোভে ইতি টানলেন কুস্তিগিররা (Wrestlers)। দিল্লির (Delhi) যন্তর-মন্তরে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা রেস্টলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রধান (WFI) ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের গ্রেফতারির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। সেই দাবিতেই বসেছিলেন অবস্থান বিক্ষোভে। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানিয়েছেন অলিম্পিক জয়ী বজরং পুনিয়া।

    রেস্টলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রধানের (WFI) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    তিনি এও জানান, বিজেপির ওই সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরবেন না তাঁরা। ওই একই দাবিতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশের কুস্তিগিররা যাঁদের মধ্যে রয়েছেন বজরং পুনিয়া, বিনেশ ফোগাট, রবি ধাইয়া এবং সাক্ষী মালিকও এই যন্তরমন্তরেই বসেছিলেন ধর্নায়। সেই সময় তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল এই বলে যে, রেস্টলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিগ্রহ এবং অভব্য আচরণের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করা হবে। সেই আশ্বাস পেয়েই ধর্না তুলে নেন তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: শিক্ষার স্থান হিজাবের উপরে, এমনই মত কর্নাটক উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম হওয়া তবসুমের

    তারকা কুস্তিগির পুনিয়া বলেন, এক নাবালিকা সহ মোট সাত মহিলা কুস্তিগিরকে যৌন নিগ্রহ করা হয়েছে বলে শুক্রবার দিল্লির কনটপ্লেস থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তিনি (WFI) বলেন, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এখনও এফআইআর দায়ের হয়নি। পুনিয়া বলেন, এবার আমরা কাউকে ফেরাব না। যাঁরাই আমাদের প্রতিবাদ আন্দোলনকে সমর্থন করবেন, তাঁরাই আসতে পারেন এবং আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন। পুনিয়া বলেন, এবার দেশের সব রাজনৈতিক দলকেই আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা বিশেষ কোনও পার্টির অনুমোদন চাই না। ঘটনার প্রেক্ষিতে দিল্লির মহিলা পুলিশ কমিশনার এফআইআর দায়ের করার জন্য নোটিশ দিয়েছে দিল্লি পুলিশকে।

    এদিকে, এদিনই তদন্তকারী কমিটির কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এই তদন্ত (WFI) কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। ব্রিজভুষণের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই গড়া হয়েছিল তদন্ত কমিটি। দিল্লি পুলিশের এক কর্তা বলেন, তদন্ত কমিটির কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, সাতজন ক্রীড়াবিদ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কমিটির রিপোর্ট পেলে পুরো বিষয়টি সামনে আসবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid-19: সাত মাসে সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা! ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পজিটিভ ১১ হাজার ১০৯ জন

    Covid-19: সাত মাসে সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা! ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পজিটিভ ১১ হাজার ১০৯ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের করোনা (Covid-19) গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১০৯ জন, যা গতকালের আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। দেশে একদিনেই ফের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের গণ্ডি পার করায় বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর (Active Cases) সংখ্যা বেড়ে ৪৯ হাজার ৬২২-তে পৌঁছেছে। বিগত সাত মাসে এটাই সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। অন্যদিকে, দেশে একদিনেই করোনা সংক্রমণে মৃত্যু (COVID Deaths) হয়েছে ২৯ জনের। 

    নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা

    স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে (Covid-19) মৃত্যুর হার ১.১৯ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮.৭১ শতাংশ। সুস্থতার হার স্বস্তিতে রাখলেও ঊর্ধ্বমুখী রেখচিত্র চিন্তায় রাখছে স্বাস্থ্য মন্ত্রককে। যে রাজ্যগুলির সংক্রমণ সবথেকে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম হল দিল্লি। রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫২৭ জন। বর্তমানে রাজ্যে সংক্রমণের হার ২৭.৭৭ শতাংশ। সংক্রমণ বাড়ছে মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যেও। বৃহস্পতিবার শুধুমাত্র মুম্বইয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৪ জন।

    আতঙ্কের কারণ নেই

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, করোনার সাময়িক প্রভাব বাড়ালেও আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। দেশ জুড়ে আগামী আট থেকে দশ দিনে ধাপে ধাপে সংক্রমণ বাড়লেও তার পর থেকে তা আবার কমতে শুরু করবে। স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, আগামী মাসের গোড়া থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠতে শুরু করবে। চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং করোনার পরীক্ষা করানোর মতো বিধির দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। চিকিৎসকদের মতে, কোনও ভাবেই অসাবধান হওয়া যাবে না। 

    আরও পড়ুুন: শুরু সলতে পাকানোর কাজ, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে?

    এরই মধ্যে নতুন কোভিড (Covid-19) গাইডলাইন প্রকাশ করেছে হরিয়ানা। সেখানকার স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ জারি করেছে, সমস্ত স্কুল, কলেজ, শপিং মল, হসপিটাল, অফিস-সহ সমস্ত পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার। সমস্ত জায়গায় প্রবেশ করার সময়ে থার্মাল টেম্পারেচার স্ক্যানার বসাতেই হবে। বাচ্চা এবং বয়স্কদের ভিড়ে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। কিডনি, হার্টের অসুখ বা অন্য কোনও শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও অধিক সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। হাত মেলানো, জড়িয়ে ধরা এসব শারীরিক সংস্পর্শ এড়াতে হবে, যেখানে সেখানে থুতু ফেলা চলবে না। বিয়ে বা কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান বিধি মেনেই করতে হবে। পাশাপাশি, কোনওরকম সর্দি, কাশি, জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলেই সরকারি কর্মীদের অফিস না এসে বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে কোভিড টেস্ট করানোর কথাও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ থেকে দিল্লিতে ধর্না রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    DA Protest: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ থেকে দিল্লিতে ধর্না রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ন্যায়ে বকেয়া ডিএ-র (DA Protest) দাবিতে আজ, সোমবার থেকে দিল্লির যন্তর-মন্তরে দু’দিনের অবস্থানে বসছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। একইসঙ্গে কলকাতাতেও আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, দিল্লিতে ধর্নায় বসবেন ১২০০ ডিএ আন্দোলনকারী। তবে অমিত শাহের মন্ত্রকের শর্তে সেই সংখ্যা কমিয়ে ৫০০ করতে হয়েছে আন্দোলনকারীদের।

    রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিতে অফিসে ছুটি নিয়ে রবিবার সকালেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রায় আড়াইশো জন রাজ্য সরকারি কর্মচারী। আরও শ’তিনেক কর্মী এদিন সকালে পৌঁছেছেন। বকেয়া (DA Protest) আদায়ে আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। মঞ্চ নেতৃত্বের দাবি, সকলেই তাঁদের দেখা করার সময় দিয়েছেন। এ দিকে দিল্লিতে এই অবস্থান চলাকালীনই কাল, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা। সেদিকেও নজর থাকবে ডিএ ধর্নায় অংশ নেওয়া সরকারি কর্মীদের। 

    কড়া পদক্ষেপ নবান্নের!

    এদিকে জানা গিয়েছে, মহার্ঘ ভাতার দাবিতে দিল্লিতে দু’দিনের ধর্নায় অংশ নিতে যাওয়া সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে নবান্ন। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার চিন্তা ভাবনা চলছে উচ্চ পর্যায়ে। তবে তাতে দিল্লি ধর্না কর্মসূচি বাতিল হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে উত্খাতের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষের বক্তব্য, ‘সরকারি কর্মীরা দিল্লির অবস্থানে গিয়েছেন ছুটি নিয়ে। কলকাতা ময়দানেও তাঁরা ছুটি নিয়েই অবস্থান চালাচ্ছেন।’ কিন্তু নবান্নর কর্তাদের প্রশ্ন, সকলে মিলে এ ভাবে ছুটি নিয়ে সরকার-বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া যায়? সরকারের মত, কর্মচারীদের ধর্নার ফলে সরকারি পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে আমজনতার। তাই ধর্নায় যোগ দেওয়া সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। অপরদিকে ডিএ (DA Protest) আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সরকারকে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আন্দোলনকারীদের তরফে ৩ প্রতিনিধি এবং সরকারের তরফে মুখ্যসচিব ও অর্থসচিব সেই বৈঠকে থাকবেন। আগামী ১৭ এপ্রিল সেই বৈঠক হওয়ার কথা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: যন্তর-মন্তরে ধর্না, রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জি! ডিএ-র দাবিতে দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা

    DA Protest: যন্তর-মন্তরে ধর্না, রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জি! ডিএ-র দাবিতে দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ন্যায়ে ডিএ-র (DA Protest) দাবিতে এবার দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। দিল্লির যন্তরমন্তরে কয়েকশো আন্দোলনকারী ১০ এবং ১১ এপ্রিল বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ধর্না দেবেন। কলকাতায় শহিদ মিনারের নীচেও কর্মসূচি চলবে। যন্তর মন্তরে ধর্না কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। 

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ৫০০ জন সরকারি কর্মচারী হাওড়া রাজধানী আর শিয়ালদহ রাজধানী ধরে দিল্লি যাবেন। হাওড়া দিয়ে ২০০ জনের মতো যেতে পারেন। আন্দোলনের মূল নেতা ভাস্কর ঘোষও সম্ভবত হাওড়া দিয়েই যাবেন৷ যাত্রা চলবে আগামিকালও। রাজধানীতে ধর্না কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তাঁরা। একই সঙ্গে কেন্দ্রের নিয়ম মেনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা। রাষ্ট্রপতির কাছে নিজেদের ন্যায্য দাবির (DA Protest) কথা তুলে ধরবেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, দিল্লি গিয়ে রাষ্ট্রপতি ছাড়াও উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে ডেপুটেশন দেবেন সরকারি কর্মচারীরা।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতি

    শহিদ মিনার চত্বরে টানা ৪৪ দিন ধর্নার পরেও সরকারের কাছ থেকে বকেয়া ডিএ (DA Protest) নিয়ে আশার আলো দেখতে পায়নি রাজ্য সরকারি কর্মীরা। অন্যান্য রাজ্যের মহার্ঘ্য ভাতার অঙ্ক তুলনায় বেশি হলেও এ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে তা কেন্দ্রীয় হারের তুলনায় অনেকটাই কম। এই অভিযোগে শহিদ মিনারের নীচে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবি সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে এক ছাতার তলায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মচারীরা। এবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নার অনুমতি দিল অমিত শাহের মন্ত্রক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সেই অনুমতি মেলার পরেই আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে এবার রাজধানী সফরের তোড়জোড় তুঙ্গে এরাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশের।  

    আরও পড়ুন: অচেনা সাজ! সুখোই-৩০ এমকেআই ওড়ালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    সম্প্রতি ডিএ (DA Protest) ইস্যু নিয়ে রাজ্যকে বিশেষ নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে যৌথ মঞ্চের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে রাজ্য সরকারকে। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, “ডিএ আবেদন নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। সরকারের সঙ্গে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা শুরু হওয়া উচিত। আন্দোলনকারীদের তরফে ৩ জন থাকতে পারেন। সরকারের তরফে মুখ্যসচিব বা এই স্তরের আধিকারিক আলোচনায় থাকুন।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Chit Fund Scam: চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেফতার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ

    Chit Fund Scam: চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেফতার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এবং তার ছেলে ও পুত্রবধূকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। অভিযোগ ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ও তাঁর পরিবার ৩৬ জনের সঙ্গে ২০ কোটি টাকারও বেশি প্রতারণা করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন ইকবাল বাহাদুর সিং বাওয়েজা, তাঁর ছেলে পারমিত সিং বাওয়েজা এবং তাঁর পুত্রবধূ জসনীত কৌর বাওয়েজা।

    প্রতারণা চক্র

    পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ২০৯, ৩৪ এবং ১২০ বি ধারা এবং প্রাইজ চিটস এবং মানি সার্কুলেশন স্কিম (ব্যানিং) আইনের ৪, ৫, এবং ৬ এর অধীনে অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। সুরজিৎ সিং আনন্দ নামে একজন অভিযোগ করেছেন যে ইকবাল, পারমিত, জসনীত পিএসবি নামে একটি চিট ফান্ড চালাচ্ছেন। তারা রাজৌরি গার্ডেনে একটি ইলেকট্রনিক্স শোরুম এবং একটি ব্যাঙ্কুয়েট হল চালাচ্ছিল বলেও অভিযোগ।

    ভাল রিটার্নের লোভ

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মানুষকে ভাল রিটার্নের লোভ দেখিয়ে বিনিয়োগ করতে প্ররোচিত করতেন ইকবালরা। ঋণের নামে বিপুল পরিমাণ টাকা (প্রায় ২০ কোটি টাকা) বাজার থেকে তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে এই চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে যুক্ত আরও কয়েকজনের খোঁজ চলছে। ইতিমধ্যেই অভিযোগকারীদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্তদের জেরা করছে পুলিশ। প্রাসঙ্গিক ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টও যাচাই করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: রাম নবমীর মিছিলে নজরদারি ড্রোনের! বসানো হল কয়েকশো সিসিটিভি ক্যামেরা, কোথায় জানেন?

    ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ইওডব্লিউ) অনিয়েশ রায় বলেছেন যে অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। পুলিশ তাঁদের খোঁজ করে। অবশেষে মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের পান্নাতে তাঁদের খোঁজ মেলে। বুধবার পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেছে। ইকবাল সরকারি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পর, তিনি তার অবসরের অর্থ দিয়ে একটি চিট-ফান্ড কোম্পানি খোলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও এর সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা উচ্চ সুদে মানুষের থেকে টাকা তুলতেন এবং পরে তা ঘুরিয়ে দিতেন। তাঁরা বিনিয়োগের নিরাপত্তা হিসাবে জনসাধারণকে চেক, প্রতিশ্রুতি নোট, অর্থপ্রদানের রসিদ ইত্যাদি দিতেন। কিন্তু পুরোটাই বেআইনি বলে দাবি পুলিশের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Satish Kaushik: ১৫ কোটি টাকার জন্য খুন করা হতে পারে সতীশকে, দাবি মহিলার

    Satish Kaushik: ১৫ কোটি টাকার জন্য খুন করা হতে পারে সতীশকে, দাবি মহিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ কোটি টাকার জন্য খুন করা হয়ে থাকতে পারে সতীশ কৌশিককে (Satish Kaushik)। দিল্লির (Delhi) যে ব্যবসায়ীর খামারবাড়িতে হোলি পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল, তাঁর স্ত্রীর দাবি সতীশকে বিষ দিয়ে থাকতে পারেন তাঁর স্বামী। দিল্লি পুলিশের (Police) কাছে এই মর্মে অভিযোগও জানিয়েছেন ওই মহিলা। একটি চিঠিতে তিনি জানান, তাঁর স্বামীকে ১৫ কোটি টাকা ধার দিয়েছিলেন সতীশ। সেই টাকা ফেরত চেয়ে ব্যবসায়ীর সঙ্গে একবার বিদেশেও দেখা করেন সতীশ।

    সতীশ কৌশিক (Satish Kaushik)…

    ওই মহিলার দাবি, টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে ওঁদের দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কিও হয়েছিল। সতীশকে টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন বলে নাকি কথাও দিয়েছিলেন তিনি। ওই মহিলার দাবি, তাঁর স্বামীর খামারবাড়িতে হোলি পার্টিতে এসে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা। তাই অভিযোগকারিণীর ধারণা, তাঁর স্বামীই টাকা ফেরত দেওয়া থেকে বাঁচতে সতীশকে বিষজাতীয় কিছু দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, দিল্লির ওই খামারবাড়ি থেকে বেশ কিছু সন্দেহজনক ওষুধ উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য ইতিমধ্যেই তলব করা হয়েছে ওই মহিলাকে।

    ওই মহিলা এমনতর দাবি করলেও, প্রয়াত অভিনেতার (Satish Kaushik) পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। সতীশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে দিল্লি পুলিশ। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাখা হয়েছে সতীশের হৃৎপিণ্ড ও রক্তের নমুনা। প্রসঙ্গত, ৯ মার্চ আচমকাই সতীশের প্রয়াণের খবর আসে। তাঁর ম্যানেজার সন্তোষ রাই বলেন, সে রাতে সাড়ে আটটা নাগাদ খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েন অভিনেতা। কারণ পরের দিন ভোরের ফ্লাইট ধরে মুম্বই ফেরার কথা ছিল তাঁর। রাত্রি ১১টা নাগাদ আমাকে ডাকেন। ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড ঠিক করে দিতে বলেন। তার পর আমি ঘরে চলে যাই। রাত ১২.০৫ নাগাদ চিৎকার করে আমায় ডাকেন। ছুটে গেলাম ওঁর ঘরে।

    আরও পড়ুুন: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    বললেন, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ডাক্তারের কাছে নিয়ে চলো। সন্তোষ বলেন, কিছু দূর এগোনোর পরেই ওঁর (Satish Kaushik) বুকের ব্যথা বাড়তে থাকে। তাড়াতাড়ি চলো বলতে বলতে আমার কাঁধে মাথা দিয়ে বলেন, আমি মরতে চাই না। আমাকে বাঁচাও। সন্তোষ বলেন, হাসপাতাল পৌঁছতে আট মিনিট সময় লেগেছিল। কিন্তু তার আগেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর দাবি, সেদিন সকালেই সতীশ তাঁকে বলেছিলেন, মেয়ে বংশীকার জন্য বাঁচতে চাই। তবে মনে হচ্ছে, বেশি দিন বাঁচব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share