Tag: Delhi

Delhi

  • Satyendar Jain: কারাগারে ‘আম’ মন্ত্রীর রাজকীয় ভোজ! সত্যেন্দ্র জৈনের নয়া ভিডিও ভাইরাল

    Satyendar Jain: কারাগারে ‘আম’ মন্ত্রীর রাজকীয় ভোজ! সত্যেন্দ্র জৈনের নয়া ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপের দায়ে অভিযুক্ত দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendra Jain) তিহাড়ের জেলে বসে খাচ্ছেন রাজকীয় খাবার। জেলে তেল মালিশের পর সদ্য আপ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের এই ভিডিও ভাইরাল। ওজন কমে গিয়েছে আঠাশ কেজি। যথেষ্ট খাবার দেওয়া হচ্ছে না জেলে। আদালতে এমন অভিযোগই করেছিলেন দিল্লির জেলবন্দি মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তার এক দিন পরেই প্রকাশ্যে এল একটি সিসিটিভি ফুটেজ, যেখানে দেখা গিয়েছে জেলের কুঠুরিতে বসে ফল, স্যালাড খাচ্ছেন সত্যেন্দ্র। তিহাড় জেলের একটি সূত্র বলছে, প্রকাশ্যে আসা ফুটেজ সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের তিনটি দিনের। সূত্রটির দাবি, এই ফুটেজ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, সত্যেন্দ্রের পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, জেলে থেকে দিল্লির মন্ত্রীর ওজন আঠাশ কেজি কমেনি। বরং ৮ কেজি বেড়েছে।

    নতুন ভিডিও

    বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা সম্প্রতি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে, আর্থিক তরুপের দায়ে গ্রেফতার হওয়া আপ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendra Jain) জেলের ভিতর নিজের পছন্দের খাবার খাচ্ছেন। ট্যুইটারে পুনাওয়ালা লেখেন, “জনমাধ্যমে আরও একটি ভিডিও সামনে এসেছে। ধর্ষকের কাছ থেকে মালিশ নেওয়ার পর এখন রাজকীয় খাবার উপভোগ করছেন সত্যেন্দ্র জৈন। তাঁকে সেলের মধ্যে কর্মীরা খাবার দিয়ে যাচ্ছেন, যেন কোনও রিসোর্টে বেড়াতে গিয়েছেন তিনি! কালো টাকার কারবারি যেন জেলের ভিতর ভিভিআইপি সুবিধা পান, তা কেজরিওয়ালজি নিজে নিশ্চিত করেছেন”। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, খিদে বৃদ্ধিকারক খাবার দিয়ে ভোজন শুরু করার পর স্যালাড সহ অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছেন মন্ত্রী। সেইসঙ্গে তাঁর জন্য কেনা পানীয় জলের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। একজন কর্মী তাঁকে খাবার সাজিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে তাঁর চেয়ারের কাছে একটি ডাস্টবিনও রেখে দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: জেলে সত্যেন্দ্রকে মালিশ করা ব্যক্তি ধর্ষণে অভিযুক্ত বন্দি! সরব বিজেপি

    বিতর্কের কেন্দ্র

    উল্লেখ্য,গত কয়েক দিন ধরেই সত্যেন্দ্র জৈনকে (Satyendra Jain) ঘিরে একাধিক ভিডিও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। যা নিয়ে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বিতর্কের কেন্দ্রে থেকেছেন।সত্যেন্দ্রর আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেছিলেন, গত ছ’মাসে শুধুই ফল, সব্জি, দানাশস্য, শুকনো ফল এবং খেজুর খেয়ে রয়েছেন। প্রত্যেক জেলবন্দির জন্য যে রেশন বরাদ্দ থাকে, তার আওতায় ওই ফলমূল কিনে খেয়েছেন বলে দাবি সত্যেন্দ্রের। অভিযোগ ছিল, গত ছ’মাস ধরে ধর্মীয় উপবাস করছেন সত্যেন্দ্র। তা সত্ত্বেও তাঁকে ফল, সব্জি, শুকনো ফল, খেজুর দিচ্ছেন না জেল কর্তৃপক্ষ। এর ফলে সত্যেন্দ্রর শরীরে ‘প্রোটিন ও আয়রনের ঘাটতি’ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। এই অবস্থায় প্রকাশ্যে এল এই ভিডিও ফুটেজ। যা নিয়ে পুরভোটের আগে দিল্লির রাজনীতি সরগরম।

  • Satyendar Jain: জেলে সত্যেন্দ্রকে মালিশ করা ব্যক্তি ধর্ষণে অভিযুক্ত বন্দি! সরব বিজেপি

    Satyendar Jain: জেলে সত্যেন্দ্রকে মালিশ করা ব্যক্তি ধর্ষণে অভিযুক্ত বন্দি! সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিহার জেলের ভিতর ভিআইপি পরিষেবা-ই পাচ্ছেন আপ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendar Jain)। ইতিমধ্যেই জেলের অন্দরে সত্যেন্দ্র জৈনের পা মালিশের ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড় দেশ। এরই মধ্যে নয়া তথ্য আগুনে ঘি ঢালার কাজ করল। জানা গিয়েছে, ভিডিও-য় যে ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছিল আপ নেতার (Aam Aadmi Party) পায়ে তেল মালিশ করতে, সে আদতে কোনও ফিজিওথেরাপিস্টই নয়। তিনি একজন ‘রেপিস্ট’। ধর্ষণের অভিযোগে তিহার জেলে রয়েছে সে।

    কী হয়েছিল

    সম্প্রতি আপ মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের (Satyendar Jain) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে জেলের ভিতরে বিছানায় আয়েশ করে শুয়ে আছেন আম আদমি পার্টির (আপ) মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তার ঠিক পায়ের নীচের দিকে বসে এক ব্যক্তি মন্ত্রীর পা মালিশ করছেন। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। আর্থিক তছরুপে তিহার জেল বন্দি আপ মন্ত্রীকে ‘ভিআইপি’ পরিষেবা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই ভিডিও সামনে আসতে আপের তরফে বলা হয়েছিল, সত্যেন্দ্র অসুস্থ। তাঁর ফিজিও থেরাপি চলছে। তবে কিন্তু যাঁকে থেরাপিস্ট বলে দাবি করা হয়েছে, তিনি আসলে কোনও থেরাপিস্ট নন, জেলের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।

    আরও পড়ুন: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    কে পা টিপছেন

    দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি ২০২১ সালে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল রিঙ্কু। বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি সে। তার বিরুদ্ধে নিজের মেয়েক ধর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে। বিজেপির মুখপাত্র শাহজাদ পুনাওয়ালা এ প্রসঙ্গে ট্যুইট করেন, “আচ্ছা, যাকে থেরাপিস্ট হিসাবে দেখানো হচ্ছিল, সে কোনও থেরাপিস্ট নয়! সে আসলে একজন ধর্ষক। ওর নাম রিঙ্কু। ওর বিরুদ্ধে পকসো এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় মামলা চলছে। কেন এক জন ধর্ষককে থেরাপিস্ট বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে? কেজরিওয়ালকে এর জবাব দিতে হবে। এই দাবির মধ্যে দিয়ে উনি থেরাপিস্টদের অপমান করেছেন।” সুর চড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরও। তিনি ট্যুইট করে বলেন, “আম আদমি পার্টি নতুন করে রাজনীত তৈরি করছে। পকসো মামলায় অভিযুক্তকে ফিজিওথেরাপিস্ট সাজানো হচ্ছে। মন্ত্রীরা আর্থিক তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত, আবগারি দুর্নীতি মামলায় সরকার জর্জরিত। দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে মানুষকে বোকা বানানোর রাজনীতি চলছে।”

  • Anubrata Mondal: ইডির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ অনুব্রত! সওয়াল করলেন কপিল সিব্বল

    Anubrata Mondal: ইডির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ অনুব্রত! সওয়াল করলেন কপিল সিব্বল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্টকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে মরিয়া ইডি। গরুপাচার মামলার তদন্তে রাজধানীতে নিয়ে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেষ্টর প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট চেয়ে, গত সপ্তাহে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানায় ইডি। তারই পাল্টা হিসেবে গরুপাচার মামলায় এবার ইডির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ অনুব্রত মণ্ডল। ইডির আবেদন খারিজের দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।

    আরও পড়ুন: ‘‘অপেক্ষা করুন, ছবি আসছে, সব সামনে আসবে!’’ শুভেন্দুর নিশানায় কে?

    অনুব্রতের হয়ে কপিল সিব্বল

    বাংলার মামলায় দিল্লিতে এনে কেন জেরা করতে হবে? এই প্রশ্ন তুলে অনুব্রতর পক্ষে দিল্লি হাইকোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। অনুব্রতের শারীরিক অবস্থা দেখিয়ে দিল্লি যাত্রা এড়ানোর কথা বলা হয়েছে। আগামী শুক্রবার মামলার শুনানি। ফলে এখনই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারছে না ইডি (Enforcement Directorate)।  মঙ্গলবার আদালতে অনুব্রতের হয়ে সিব্বল জানান যে,পশ্চিমবঙ্গে এই মামলায় অধিকাংশ অভিযোগ উঠেছে। ফলে বাংলাতেই অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক ইডি। সিব্বলের এই যুক্তির বিরোধিতা করে অনুব্রতের দেহরক্ষী তথা গরু পাচার মামলায় ধৃত সায়গল হোসেনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির তরফে বলা হয়,সায়গলকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: বুধবার থেকে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু মহাগুরুর! আজ কলকাতায় এলেন মিঠুন

    ইডির মামলা

    ইডির আবেদনের বিরোধিতা করে দিল্লি হাই কোর্টে এই মামলা হওয়ায় অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া নিয়ে ইডির করা মামলার শুনানি মঙ্গলবার হয়নি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে।  গত শুক্রবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তৃণমূল নেতার নামে ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট’ জারি করার আবেদন করেন ইডির আইনজীবীরা। সেই আবেদন গ্রহণ করেও কোনও নির্দেশ দেননি বিচারক। এদিন ছিল শুনানি। কিন্তু তা স্থগিত হয়ে যায়। ইডির যুক্তি ইতিমধ্যেই এই মামলায় দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, অনুব্রতকন্যা সুকন্যাকেও। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রত ও সুকন্যার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক নয়া তথ্য মিলেছে। সূত্রের খবর, সেই তথ্যের ভিত্তিতে অনুব্রতকে আরও বিশদে জেরা করতে চায় ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • AAP: দিল্লি পুরভোটের টিকিট মেলেনি, বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে আত্মহত্যার হুমকি আপ নেতার

    AAP: দিল্লি পুরভোটের টিকিট মেলেনি, বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে আত্মহত্যার হুমকি আপ নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত সকালে এক প্রস্ত নাটক দিল্লির (Delhi) বুকে! পুরভোটের টিকিট না পেয়ে রবিবার হাই টেনশন বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে পড়লেন আম আদমি পার্টির (AAP) এক প্রাক্তন কাউন্সিলর। টিকিট না পেলে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার হুমকিও দিলেন প্রাক্তন ওই আপ কাউন্সিলর। হাই টেনশন বিদ্যুতের খুঁটি থেকে তাঁকে নামাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় প্রশাসনের লোকজনকে।  

    ক্ষোভের কারণ…

    দিল্লি পুরসভার নির্বাচন হবে ৪ ডিসেম্বর। ইতিমধ্যেই প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে আম আদমি পার্টি (AAP)। ওই প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে ১৩৪ জনের। এর মধ্যে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ৭০। দিল্লি পুরসভার প্রবীণ কাউন্সিলর মুকেশ গোয়াল কংগ্রেস ছেড়ে কিছুদিন আগে যোগ দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলে। তাঁকে টিকিট দিয়েছে আপ। আদর্শ নগর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। কংগ্রেস ছেড়ে আপে ভিড়েছেন জনৈক গুড্ডি দেবী। তাঁকেও প্রার্থী করেছে কেজরিওয়ালের দল। তিনি প্রার্থী হয়েছেন টিমরপুরের মালকানগঞ্জে। ভিন দল থেকে আসা লোকজন টিকিট পেয়ে যাওয়ায় অসন্তোষের আগুন ক্রমেই ধূমায়িত হচ্ছে আপের (AAP) অন্দরে। এই দলের একাংশের অভিযোগ, অন্য দল থেকে এলেই প্রার্থী করা হচ্ছে। শনিবার আপ দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। ওই তালিকায় নাম রয়েছে ১১৭ জনের। প্রথম দফা ও দ্বিতীয় দফা কোনও প্রার্থী তালিকায়ই নাম নেই আপের প্রাক্তন কাউন্সিলর হাসিবউল হাসানের।

    আরও পড়ুন: অমিত শাহের সঙ্গে করমর্দনের ছবি ভাইরাল, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ধোনি?

    জানা গিয়েছে, সেই ক্ষোভ থেকেই এদিন প্রাক্তন ওই আপ (AAP) কাউন্সিলর দিল্লির শাস্ত্রী পার্ক মেট্রো স্টেশনের কাছে হাই টেনশন বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে পড়েন। যতক্ষণ না প্রার্থী হওয়ার আশ্বাস পাচ্ছেন, ততক্ষণ নামবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। দেন আত্মহত্যা করার হুমকিও। ঘটনায় হকচকিয়ে যান পথ চলতি মানুষজন। তাঁরা তাঁকে নীচে নেমে আসতে অনুরোধ করেন। তাতে অবশ্য কান দেননি তিনি। তাঁর অভিযোগ, দল ভুল পথে চলছে। তিনি জানান, আপ (AAP) নেতারা ঠকিয়েছেন তাঁকে। পূর্ব দিল্লির গান্ধীনগর এলাকার কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, দলের তরফে কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তার পরেও দেওয়া হয়নি টিকিট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BJP: কেজরির ‘গুজরাট ডিলে’র অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা, সাফ জানাল বিজেপি

    BJP: কেজরির ‘গুজরাট ডিলে’র অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা, সাফ জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে (Gujarat) ভোট প্রচারে গিয়ে আম আদমি পার্টির (AAP) নেতা তথা দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) দাবি করেছিলেন, বিজেপির (BJP) তরফে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে (Gujarat Assembly polls) থেকে তাঁকে সরে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি এও দাবি করেছিলেন, এর বদলে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈনকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। আপ নেতার এহেন অভিযোগ অস্বীকার করল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, কেজরিওয়ালের অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। বিজেপির মুখপাত্র সঈদ জাফর ইসলাম বলেন, ভোটের আগে গুজরাটবাসীকে বিপথগামী করতে এবং আম জনতার কাছে বিজেপির ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করতেই এসব বলা হচ্ছে।

    ডিসেম্বরে ১ ও ৫ তারিখে দু দফায় ভোট হবে গুজরাটে। এই বিধানসভার আসন সংখ্যা ১৮২। গত আড়াই দশক ধরে রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি (BJP)। এ রাজ্যে ক্রমেই বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। দলের হয়ে গুজরাট চষে বেড়াচ্ছেন কেজরি স্বয়ং। শনিবার এক জনসভায় তিনি বলেন, ওরা (বিজেপি) আমার কাছে এসেছিল, বলেছিল যদি আমি গুজরাট নির্বাচনে অংশ না নিই, তাহলে সত্যেন্দর জৈনকে ছেড়ে দেওয়া হবে। গ্রেফতার করা হবে না মণীশ সিসোদিয়াকেও। তবে বিজেপির তরফে তাঁকে কে এই প্রস্তাব দিয়েছিল এদিন তা খোলসা করেননি কেজরি। তিনি শুধু বলেন, নিজের লোকের নাম কীভাবে বলব? আমার লোকের মাধ্যমেই ওঁরা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিজেপি (BJP) কখনও সরাসরি প্রস্তাব দেয় না। ওরা একজনের থেকে অন্যজনের কাছে যায়। তারপর আরও একজনের কাছে যায়। তারপর কোনও বন্ধুর কাছে যায়। তারপর সেই বার্তা আপনার কাছে আসে।

    আরও পড়ুন: টাকায় লক্ষ্মী-গণেশের ছবি ছাপানোর আবেদন কেজরির, কী বলল বিজেপি?

    কেজরির দাবি নস্যাৎ করে জাফর ইসলাম বলেন, এটি সর্বৈব মিথ্যা কথা। উনি দিল্লি ও দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন। আন্না হাজারেকে ব্যবহার করে উনি ক্ষমতায় এসেছেন। পরে তাঁকে ছেড়ে দিয়েছেন। ক্ষমতা দখলের জন্য উনি যে কাউকে বিভ্রান্ত করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • 100 Days Work: বন্ধ ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা, নেই বিকল্প কাজ, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিপাকে রাজ্য সরকার

    100 Days Work: বন্ধ ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা, নেই বিকল্প কাজ, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিপাকে রাজ্য সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের দেওয়া টাকায় হয়েছে খয়রাতি। টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একশো দিনের কাজ (100 Days Work) প্রকল্প। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে চাপ। বিভিন্ন সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করছেন, বিকল্প কাজ দেওয়া হচ্ছে। তবে তা যে নিছকই ফাঁকা আওয়াজ মাত্র, সরকারি নির্দেশেই তা স্পষ্ট।

    সম্প্রতি একটি সার্কুলার জারি করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। ওই সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দফতরের তরফে জবকার্ড (Job Card) হোল্ডারদের যে কাজ দেওয়া হচ্ছে, তা সন্তোষজনক নয়। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এই সার্কুলারের নীচেই কী কী করতে হবে, তা বলে দেওয়া হয়েছে।

    প্রথম করণীয় কর্তব্য হিসেবে বলা হয়েছে, যে সব অদক্ষ শ্রমিকের জবকার্ড রয়েছে, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে কেবল তাঁদেরই নিযুক্ত করতে হবে। দ্বিতীয় কর্তব্য হল, যাঁরা কোনওভাবে কাজে নিযুক্ত হয়েছেন, অথচ জবকার্ড নেই, জেলা প্রশাসনের উচিত তাঁদের তা অবিলম্বে দিয়ে দেওয়া। মুখ্য সচিবের জারি করা ওই নির্দেশিকায় হইচই রাজ্যজুড়ে। 

    একশো দিনের কাজ প্রকল্পে জবকার্ড হোল্ডাররা যাতে কাজ পান, তার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। গরিব মানুষ যাতে উপকৃত হন, সেজন্য একাধিক প্রকল্পও চালু করেছে মোদি সরকার। অভিযোগ, সেই সব কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে রাজ্যের প্রকল্প বলে চালানো হচ্ছিল। একশো দিনের কাজেও বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। কেন্দ্রের দেওয়া টাকায় হয়েছে খয়রাতি। শেয়ালকে কুমির ছানা দেখানোর মতো একই কাজকে বিভিন্নভাবে দেখানো হয়েছে। সেই ‘চুরি’র পর্দা ফাঁস হয়ে যেতেই টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। 

    পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় প্রকল্প খরচে অনিয়মের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বকেয়া টাকা দিতে দিল্লি যে নারাজ, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রকের মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের অধিকর্তা ধরমবীর ঝা রাজ্যের পঞ্চয়েত সচিব পি উল্গানাথনকে চিঠি দিয়ে এই অবস্থানের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। রাজ্যে গ্রামান্নোয়ন প্রকল্পে খরচের অনিয়ম নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল যে সব প্রশ্ন তুলেছিল তা কার্যকর করা নিয়ে রাজ্য সরকারের অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টে দিল্লি যে সন্তুষ্ট নয়, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছে এই চিঠিতে।

    প্রায় ২ কোটি টাকা ভুয়ো খরচ হয়েছে বলে কেন্দ্রকে পাঠানো অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টে উল্লেখ করেছে রাজ্য সরকার। পরের চিঠিতে কেন্দ্রীয় অধিকর্তা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল বাংলায় এসে মাটি ফেলার কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সেই সব কাজে খরচ হওয়া সমস্ত টাকা উদ্ধার করতে হবে। এই কাজে যে সব সরকারি কর্মচারি বা পঞ্চায়েত কর্মী টাকা আত্মসাৎ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। কেন্দ্রের মতে, চালু রাস্তার ওপর মাটি ফেলার নাম করে তহবিল তছরুপ করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে জব কার্ড হোল্ডারের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। এঁরা সবই অদক্ষ শ্রমিক। রাজ্য সরকার দাবি করেছিল, ১৬টি সরকারি দফতর থেকে জবকার্ড হোল্ডার এই অদক্ষ শ্রমিকদের বিকল্প কাজের সুযোগ করে দেওয়া হবে। কিন্তু, গত মে মাস থেকে এই দফতরগুলি মাত্র ২৮ লক্ষ ৪৪ হাজার জবকার্ড হোল্ডারকে গড়ে ১৮ দিন কাজ দিতে পেরেছে। ফলে, কাজ না থাকায় জব কার্ড হোল্ডারদের একটা বড় অংশ কাজ পাচ্ছেন না। তাই এখন জবকার্ড বিলিতে কাটছাঁট করতে চাইছে রাজ্য।

    আরও পড়ুন: নবান্নে এখনই বৈঠক হচ্ছে না অমিত শাহ- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, বাতিল হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলা সফর

    স্বাভাবিকভাবেই নবান্নের এখন জোড়া চিন্তা। এক, কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া টাকা পাওয়া এবং দুই, গ্রামবাংলার কর্মহীন মানুষকে বিকল্প কর্মসংস্থান দেওয়া। আপাতত তারই পন্থা হাতড়াচ্ছে নবান্ন। সেই কারণেই সরকারি সার্কুলার বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • EWS Flats: দুর্বিষহ জীবন থেকে টেনে তোলায় মোদিকে ধন্যবাদ, ফ্ল্যাট পেয়ে জানালেন দিল্লির বস্তিবাসী

    EWS Flats: দুর্বিষহ জীবন থেকে টেনে তোলায় মোদিকে ধন্যবাদ, ফ্ল্যাট পেয়ে জানালেন দিল্লির বস্তিবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন তাঁরা থাকতেন বস্তিতে। দিল্লির (Delhi) কালকাজিতে তাঁদের জন্য তৈরি হয়েছে ঝাঁ চকচকে আবাসন। বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্পের অধীনেই অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য তৈরি হয়েছে ওই ফ্ল্যাট। বুধবার তাঁদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ৩ হাজার ২৪ জনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ওই চাবি। মাথার ওপর পাকা ছাদ পেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না উপকৃত বস্তিবাসীরা।

    দিল্লির বিজ্ঞানভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বস্তিবাসীদের হাতে ফ্ল্যাটের (EWS Flats) চাবি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। মঞ্চে আসা কয়েক জনের হাতে চাবি তুলে দিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। তার পরেই মোদি বলেন, বিজ্ঞান ভবনে তো অনেক সম্মেলন হয়। মানুষ আসেন কোট-টাই পরে। কিন্তু আজ উপস্থিত পরিবারগুলির মধ্যে যে উৎসাহ ও উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে, তা বিরল। হাজার হাজার গরিব ভাইবোনেদের কাছে আজ একটি বড়দিন।

    এদিন অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য যে ফ্ল্যাট (EWS Flats) হয়েছে, তার চাবি পেয়েছেন ঊষা রায়ও। তিনি বলেন, আমি রোমাঞ্চিত। গত চল্লিশ বছর ধরে দিল্লিতে রয়েছি। শেষমেশ নিজের বাড়ি পেলাম। আমার ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ উন্নত হল। দুর্বিষহ জীবন থেকে আমাদের টেনে তোলায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।

    আরও পড়ুন: যারা ভারতের ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে, তাদের থেকে সাবধান, বললেন মোদি

    ওই প্রকল্পে ফ্ল্যাট (EWS Flats) পেয়েছেন আশালতা হালদারও। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনিও। আশালতা বলেন, গত ৩৫ বছর ধরে দিল্লিতে বাস করছি। আমাদের জীবন উন্নত করার একটা সুযোগ পেয়ে আমরা খুশি। এতদিন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কোনওমতে বেঁচেছিলাম। এতদিনে নতুন বাড়ি পেলাম। আমার মেয়ে খুব খুশি। এবার সে ভালভাবে পড়াশোনাটা করতে পারবে।

    ওই প্রকল্পে মাথার ওপর পাকা ছাদ পেয়েছেন ধরমবীরও। চল্লিশ বছর ধরে দিল্লিতে রয়েছেন। একটা ওয়ার্কশপে সুপারভাইজারের কাজ করেন। তিনি বলেন, মোদিজি গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দিয়েছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। ধরমবীর বলেন, এখন আর কোনও চিন্তা নেই। এমনকি খেতে না পেলেও, বুঝব মাথার ওপর ছাদটা তো অন্তত রয়েছে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mallikarjun Kharge: মাথায় কাঁটার মুকুট! আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের দায়িত্ব নিলেন খাড়গে

    Mallikarjun Kharge: মাথায় কাঁটার মুকুট! আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের দায়িত্ব নিলেন খাড়গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আক্ষরিক অর্থেই কাঁটার মুকুট পরে দলের দায়িত্ব নিলেন প্রবীণ কংগ্রেস (Congress) নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। দিল্লিতে (Delhi) কংগ্রেসের সদর দফতরে জয়ের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয় তাঁর হাতে। এদিন দায়িত্ব নেওয়ার আগে রাজঘাটে গিয়ে মাহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাও জানান কংগ্রেসের নয়া প্রেসিডেন্ট।

    চলতি বছরেই রয়েছে দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। পরের বছর অগ্নিপরীক্ষা দুই রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের। ২০২৪ সালে রয়েছে সাধারণ নির্বাচন। দায়িত্ব নিয়েই এই তিন অস্ত্রের ধাক্কা সামলাতে হবে অশীতিপর এই কংগ্রেস নেতাকে। এদিন দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একাধিক রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। জগজীবন রামের পঞ্চাশ বছর পরে ফের কোনও দলিত সভাপতি পেল কংগ্রেস। নিজলিঙ্গাপ্পার পরে কর্নাটক থেকে কংগ্রেসের দ্বিতীয় সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। শশী থারুরকে ৬ হাজার ৮২৫ ভোটে হারিয়েওছেন কংগ্রেসের নয়া প্রেসিডেন্ট।

    এদিন দায়িত্ব নিয়েই খাড়গে (Mallikarjun Kharge) বলেন, আমরা উদয়পুর চিন্তন শিবিরে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দলের পঞ্চাশ শতাংশ পদে বসাব ৫০ বছরের নীচের বয়সের নেতাদের। আপনাদের সকলের সমর্থন নিয়ে আমরা সেদিকে এগোব। বিজেপি এবং আরএসএসকে নিশানা করে কংগ্রেসের নয়া সভাপতি বলেন, যাঁরা ঘৃণা ছড়াচ্ছেন আমরা তাঁদের পরাজিত করব। যাঁরা ভারত ভাগ করতে চান, পরাজিত করব তাঁদেরও। কর্নাটকের এই কংগ্রেস নেতা (Mallikarjun Kharge) বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশ দেখছে মিথ্যে এবং প্রতারণার রাজনীতি। কংগ্রেস যে গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি করছিল, তা ভেঙে ফেলারও চেষ্টা চলছে। কিন্তু কংগ্রেসের আদর্শ ভারতের সংবিধান ভিত্তিক। এখন সেই সংবিধান রক্ষা করার সময়।

    আরও পড়ুন: ‘গীতা-জিহাদ’ মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়, শিবরাজের ব্যাপারে হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস?

    কংগ্রেসের ভিত্তি যে গণতন্ত্র, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। বলেন, আমি একজন সাধারণ কংগ্রেস কর্মী হিসেবে উঠে এসেছি। আমাকে প্রেসিডেন্ট পদে বসানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আমি এক শ্রমিকের ছেলে, আজ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, কংগ্রেসই এক মাত্র দল যেখানে অন্তবর্তী গণতন্ত্র রয়েছে। আমার ভোট জয়ে তা প্রমাণিত হয়েছে আরও একবার। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার প্রশংসা করে খাড়গে বলেন, দলের বার্তা তৃণমূলস্তরে পৌঁছে দিতে এটা একটা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। কংগ্রেস অনেক ভাল কাজ করেছে বলেও জানান খাড়গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Chinese Monk:  বৌদ্ধ সাধুর বেশে চিনা গুপ্তচর! জানেন দিল্লি পুলিশের কাছে কী বললেন ওই মহিলা?

    Chinese Monk: বৌদ্ধ সাধুর বেশে চিনা গুপ্তচর! জানেন দিল্লি পুলিশের কাছে কী বললেন ওই মহিলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর পরনে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মতো পোশাক। মাথায় চুল ছোট করে কাটা। দেখে মনে হবে যেন সন্ন্যাসিনী। সাধনাই তাঁর পথ। বোঝার উপায় নেই এই সহজ জীবনযাত্রার আড়ালে গত তিন বছর ধরে তিনি চিনের হয়ে গুপ্তচরের (China Spy)কাজ করছেন। পরিচয় দিচ্ছেন তিনি নেপালি ভিক্ষুক। দিল্লি পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, তিব্বতের রিফিউজিদের মধ্যে বসবাস করছিলেন এক চিনা মহিলা। গত তিন বছর ধরে সন্ন্যাসিনীর বেশ ধরে কাজ করছিলেন তিনি। গত সোমবার তাঁকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। তদন্ত শুরু করতেই জানা যায়, বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশ ধরে ভারতে থাকতেন ওই মহিলা। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু ভুয়ো পরিচয়পত্রও পাওয়া গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: কেদারনাথ মন্দিরে পুজো করলেন মোদি, শিলান্যাস করলেন রোপওয়ের

    পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর দিল্লির মজনু কা টিলা এলাকায় তিব্বতিদের শরণার্থী শিবির থেকে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত মহিলার পরিচয়পত্র ঘেঁটে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁর নাম দোলমা লামা। তিনি প্রথমে নিজেকে নেপালের নাগরিক বলে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কাঠমান্ডুতে বাড়ি তাঁর। তবে পুলিশের দাবি, আদতে ওই মহিলার নাম কাই রুয়ো। ‘ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার’ (এফআরআরও) সূত্রে দাবি করা হয়েছে, চিনা পাসপোর্ট নিয়ে ২০১৯ সালে ভারতে এসেছিলেন কাই রুয়ো। তার পর নেপালি সন্ন্যাসিনী পরিচয় নিয়ে উত্তর দিল্লিতে থাকা শুরু করেন ওই মহিলা। ওই চিনা নাগরিককে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, তিনটি ভাষা জানেন তিনি। ইংরাজি, নেপালি ও ম্যান্ডারিন ভাষায় কথা বলতে ও বুঝতে পারেন ওই মহিলা। 

    আরও পড়ুন: দীপাবলির উপহার! ২২ অক্টোবর ৭৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মোদি

    জেরায়, দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) কাছে তিনি জানান, চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা তাঁকে খুন করতে চেয়েছিল। তবে সেই জন্যই তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন কিনা, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি ওই চিনা মহিলা। ভারতে কি চরবৃত্তির জন্যই এসেছিলেন ওই মহিলা? কেনই বা সাধু সেজে নিজেকে নেপালের বাসিন্দা বলে দাবি করলেন তিনি? ঠিক কী উদ্দেশ্যে? এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা। তাঁদের দাবি, ভারত বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত ছিলেন ওই মহিলা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanya Mondal: এবার কেষ্টকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব ইডির

    Sukanya Mondal: এবার কেষ্টকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যাকেও (Sukanya Mondal) দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর আগে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলকেও দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আগামী ২৭ অক্টোবর ইডির সদর দফতরে তলব করা হয়েছে তাঁকে। অনুব্রতর বাড়ি থেকে পাওয়া নথি এবং সায়গলকে জেরা করে অনেক তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। 

    আরও পড়ুন : দুরন্ত এক্সপ্রেসে ডাকাতি! বিহারে বন্দুকের মুখে সব হারালেন যাত্রীরা

    গোয়েন্দাদের দাবি, গরুপাচার মামলার টাকা থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছিলেন অনুব্রতকন্যাও। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে বোলপুরের বাড়িতে দেখা করতে গেলেও তিনি তদন্তকারী অফিসারদের সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ ৷ গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষীকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইডি। এর মাঝেই সুকন্যাকেও দিল্লিতে তলব করায় জল্পনা বাড়ছে। জানা গিয়েছে, এখন রাজ্যে নেই কেষ্ট-কন্যা। ব্যক্তিগত কাজে অনুব্রতের মেয়ে রাজ্যের বাইরে গিয়েছেন। সূত্রের খবর, তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর চিকিৎসা করাতে চেন্নাই গিয়েছেন সুকন্যা।  

    আরও পড়ুন : নানারকমের সোনার অলঙ্কারই অনুব্রতের কালী প্রতিমার বৈশিষ্ট্য! জানেন কী কী রয়েছে সেই তালিকায়? 

    এই মামলাতেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে হেফাজতে নিয়েছে ইডি। গোয়েন্দারা চেয়েছিলেন, দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। কিন্তু আদালত অনুমতি দেয়নি। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু উচ্চ আদালতও ইডির আর্জি খারিজ করে দিয়ে বলেছে, দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার কী প্রয়োজন? কলকাতায় কি ইডির অফিস নেই?  

    এবার প্রশ্ন সুকন্যা কি আদেও ইডির ডাকে সারা দিয়ে দিল্লি যাবেন? নাকি নিজের বাবার পথে হেঁটেই  গোয়েন্দাদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তলবে সাড়া দেবেন না। এখন সবার নজর সেই দিকেই। 

    প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। সুকন্যা মণ্ডলের সম্পত্তিও এখন সিবিআই স্ক্যানারে। সুকন্যার আয়ের সঙ্গে সম্পত্তির কোনও সঙ্গতি নেই বলেও দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। তাই তাঁর সঙ্গে কথা বলা জরুরি বলে মনে করছে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
LinkedIn
Share