Tag: Dengue

Dengue

  • Dengue: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    Dengue: ‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ রাজ্য’, হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেলেও ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ কমছে না। বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যুর সংখ্যাও আশঙ্কাজনক। এমন অবস্থায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। এর আগেও ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এবার এই ইস্যুতেই দায়ের হল মামলা। এবার এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: শিক্ষাসচিবের হাজিরা নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ! রাতেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য

    এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনেরও বেশি মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধী দলগুলি। ডেঙ্গি নিয়ে নজরদারি চালানোর জন্য একটি ‘মনিটরিং সেল’ গঠন করার পাশাপাশি ডেঙ্গি মোকাবিলায় মেডিক্যাল কমিশন গঠনের আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী। মামলাটি দায়ের করেছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক সঞ্জীব কুমার মুখোপাধ্যায়। আগামী মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি হবে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। 

    কী বলেন মামলাকারীর আইনজীবী?

    মামলাকারীর আইনজীবী জানান, রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গত কয়েকদিনে রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। গত ১৬ নভেম্বর মালদায় ১৩ বছরের এক কিশোর ডেঙ্গিতে মারা যায়। কলকাতা পুরসভা সহ অন্যান্য পুরসভা ডেঙ্গি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিও ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যার্থ। হাসপাতালগুলিতে প্লেটলেটের অভাব রয়েছে। তাই এ বিষয়ে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন রয়েছে। মেডিক্যাল কমিশন ও মনিটারিং সেল গঠনের পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ডেঙ্গি সংক্রমণ বৃদ্ধিই শুধু নয়, রাজ্যের বিরুদ্ধে ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রান্ত তথ্য চাপা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীও অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে ডেঙ্গি সংক্রান্ত কোনও তথ্য দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী তথ্য প্রকাশ করা যায় না। তাই তথ্য পোর্টালে দেওয়া হচ্ছে না। অন্য রাজ্যেও ডেঙ্গি হচ্ছে, সেই সব রাজ্যও তথ্য দিচ্ছে না বলে দাবি করেছেন মমতা। কিন্তু রাজ্যের এই দাবি মানতে নারাজ বিরোধীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

      

     

     

  • High Court on Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ? রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

    High Court on Dengue: ডেঙ্গি মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ? রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকার কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। ডেঙ্গি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা চাইল আদালত। এই বিষয়ে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে নবান্নকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    ডেঙ্গি নিয়ে মামলা

    ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার ব্যর্থ এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন চিকিৎসক সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। তাঁর আইনজীবী শমীক বাগচী জানান, এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারকে যে সমস্ত নির্দেশ দিয়েছিল সেগুলি কতদূর কার্যকর হয়েছে তাই জানাতে বলা হয়েছে হলফনামায়। মামলাকারীরা কলকাতা পুরসভা এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেও এই মামলায় যুক্ত করেছেন। তবে এ দিন পুরসভার তরফে কোনও কৌঁসুলি শুনানিতে হাজির ছিলেন না। কোর্টের নির্দেশ, কলকাতা পুর এলাকায় ডেঙ্গি প্রতিরোধে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানিয়ে পুরসভাকে আদালতে আলাদা হলফনামা জমা দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: “কোভিড মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয় সরকার”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    রাজ্যের যুক্তি সমর্থন যোগ্য নয়

    এদিন শুনানির সময় রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়, শীত আসছে। তাপমাত্রা কমলে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কিন্তু হাইকোর্ট সেই যুক্তি পুরোপুরি মেনে নেয়নি। ডিভিশন বেঞ্চ মনে করিয়ে দিয়েছে, ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যুতে প্রশাসন দায় এড়াতে পারবে না। ডেঙ্গির ভয়াবহতা উল্লেখ করে আইনজীবী জানান, রাজ্যে সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে। গত কয়েকদিনে সারা রাজ্য জুড়ে বেশ কয়েকজন মারাও গিয়েছেন। মৃতের তালিকায় রয়েছে শিশুরাও। ডেঙ্গি রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্লাড ব্যাঙ্কে পর্যাপ্ত প্লেটলেটও পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে এটা স্পষ্ট যে, রাজ্যে ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রশাসন ব্যর্থ।  তাই এবিষয়ে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন রয়েছে। মেডিক্যাল কমিশন ও মনিটারিং সেল গঠনের পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Dengue: জেনে নিন ‘ডেঙ্গি’- র অ আ ক খ…

    Dengue: জেনে নিন ‘ডেঙ্গি’- র অ আ ক খ…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি মশার (Dengue mosquito)আতঙ্কে ভুগছে সারা রাজ্য। ডেঙ্গি রোগের বাহক মশার নাম এডিস ইজিপ্টাই (Dengue mosquito) । বলা হয়ে থাকে এডিস মশার (Dengue Mosquito) প্রথম উৎপত্তি স্থান ছিল আফ্রিকায়। বর্ষাকাল এবং অতিরিক্ত আর্দ্র পরিবেশে এডিস মশার(Dengue Mosquito) দ্রুত বংশ বিস্তার হয়।  একসময় আফ্রিকা থেকে জাহাজের মাধ্যমে সমুদ্রপথে আমেরিকা এবং এশিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই মশা। 

    কীভাবে চিনবেন এডিস মশা (Dengue mosquito)? 

    এডিস ইজিপ্টাই (Dengue mosquito) মশা খালি চোখে দেখে শনাক্ত করা সম্ভব। কিভাবে শনাক্ত করবেন আসুন জানা যাক।

    ১) ডেঙ্গি রোগ বহনকারী এই মশার (Dengue mosquito) দেহে সাদা কালো ডোরাকাটা দাগ থাকে, তাই এটিকে অনেক সময়  টাইগার মশাও বলা হয়ে থাকে। খালি চোখে দেখলেই বুঝতে পারবেন।

    ২) এডিস মশা (Dengue mosquito) মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। অর্থাৎ খুব বড়ো বা খুব ছোট হয়না। 

    ৩) এডিশ মশার (Dengue Mosquito) অ্যান্টেনা বা শুঙ্গটি কিছুটা লোমশ দেখতে হয়।

    ৪) এডিস মশার(Dengue mosquito) অ্যান্টেনায় অনেকটা দাড়ির মত থাকে। পুরুষ মশার অ্যান্টেনা স্ত্রী মশার চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি লোমশ দেখতে হয়।

    ৫) পুরনো টায়ার, লন্ড্রি ট্যাংক, ঢাকনাবিহীন চৌবাচ্চা, ড্রাম বা ব্যারেল, অন্যান্য জলাধার, পোষা প্রাণীর পাত্র, নির্মাণাধীন ভবনের ব্লক, ফেলে রাখা বোতল ও টিনের ক্যান, গাছের ফোকর ও বাঁশ, দেয়ালে ঝুলে থাকা বোতল, পুরনো জুতা, ফুলের টব, পরিত্যক্ত খেলনা, ছাদে, অঙ্কুরোদগম উদ্ভিদ, বাগান পরিচর্যার জিনিসপত্র, ইটের গর্ত ও অপরিচ্ছন্ন সুইমিং পুলে এডিস মশা (Dengue Mosquito) জন্ম নেয়।

    এডিস মশা (Dengue Mosquito) কখন কামড়ায়?

    ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) দিনের বেলায় সব চেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে বলেই বিশেষজ্ঞ দের মত রয়েছে। বলা হয় যে সকাল ও বিকেলে ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) কামড়ানোর সম্ভাবনা সব চেয়ে বেশি। গবেষণা অনুসারে, মশা দিনের বেলায় সব চেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে, সূর্যোদয়ের প্রায় ২ ঘন্টা পরে এবং সূর্যাস্তের কয়েক ঘন্টা আগে। যদিও, এডিস ইজিপ্টাই (Dengue Mosquito) মশা সূর্যাস্তের পরেও মানুষকে কামড়াতে পারে বলেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এডিস মশা (Dengue Mosquito) একাধিক বার কামড়াতে পারে, যখন তাদের ডিম পাড়ার সময় হয়। ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) শরীরের বিভিন্ন অংশ, যেমন পায়ের গোড়ালি, কনুইয়ের চারপাশে কামড়ায়। ডেঙ্গি মশার(Dengue Mosquito) একটি কামড়ই একজন ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারে।

    আরও পড়ুন: আসামে নাবালিকা পরিচারিকা খুন মামলায় নয়া মোড়, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার জেলাশাসক

    ‘ডেঙ্গি’ শব্দটি এলো কোথা থেকে 

    আফ্রিকার সোয়াহিলি ভাষায় একটি  প্রবাদ আছে ‘কান্ডডিঙ্গা পেপো’। এখান থেকেই থেকে ‘ডেঙ্গি’ নামটি এসেছে বলে মনে করা হয়। এই শব্দের অর্থ- শয়তানের শক্তির কাছে আটকে যাওয়ার মতো ব্যথা। ডেঙ্গি হলে শরীরে ব্যাথা যন্ত্রণা হয় যে। কারও কারও ধারণা স্প্যানিশ ডেঙ্গি শব্দ থেকে এ রোগের নামকরণ করা হয়, যার অর্থ ‘হাড়ভাঙা জ্বর’। ‘দুষ্ট আত্মার সংস্পর্শে এলে মানুষের হাড়গোড় ভাঙার ব্যাথার যন্ত্রণা সমেত জ্বর হয়। অনেকের ধারণা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের গোলাম বা দাসরা এ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকটা এঁকে বেঁকে হাঁটতো, তখন তাদের হাঁটার ভঙ্গিমা ডান্ডি নৌকার মতো হতো বলে, এই জ্বরকে বলা হতো ‘ডান্ডি ফিভার’, সেখান থেকে ডেঙ্গি নাম। 

    ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) কামড়ের লক্ষণ 

    সাধারণ ডেঙ্গি মশা কামড় দিলে (Dengue Mosquito)  চোখে পড়ে মূলত নিম্নলিখিত এই লক্ষণগুলি-

    ১.  তীব্র জ্বর এবং এই জ্বর সাধারণত দুই থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়।
    ২. মাথায় তীব্র যন্ত্রণা
    ৩. চোখের পেছনের অংশে যন্ত্রণা।
    ৪. জ্বরের পাশাপাশি সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
    ৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা সঙ্গে কোমরে ব্যথা।
    ৬. গা বমি দেওয়া।
    ৭. ত্বকে র‌্যাশ কিংবা লাল লাল দানা  দেখা দেয়া।

    রক্তপাতসহ ডেঙ্গিজ্বরের ক্ষেত্রে :

    ১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ কিংবা বমির সঙ্গে রক্তপাত।
    ২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে কিংবা পেটে জল জমে যাওয়া।

    ডেঙ্গি প্রতিরোধে করণীয়:

    একথা মনে রাখতে হবে যে ডেঙ্গি ভাইরাসের কোন স্বীকৃত টিকা বা ভ্যাকসিন নেই। সুতরাং জীবাণুবাহী ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) নিয়ন্ত্রণ করা এবং তার কামড় থেকে নিজে সুরক্ষিত রাখতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েকটি কর্মসূচীর সুপারিশ করেছে: (১) ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) নিয়ন্ত্রণে প্রচার, সামাজিক সক্রিয়তা, এবং জনস্বাস্থ্য সংগঠন গুলিকে শক্তিশালী করতে আইন প্রণয়ন করতে হবে প্রতিটি দেশকে। (২) স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিটি বেসরকারি সংস্থার সাথে সরকার কে সমন্বয় রেখে চলতে হবে। (৩) প্রতিটি দেশের সম্পদের সর্বাধিক ব্যবহার করতে হবে ডেঙ্গি মশার (Dengue Mosquito) নিয়ন্ত্রণের জন্য। (৪) ডেঙ্গি প্রাদুর্ভাব এর সময় সরকার কে প্রমাণ ভিত্তিক সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) কে নিয়ন্ত্রণ করার প্রাথমিক পদ্ধতি হ’ল এর বৃদ্ধির পরিবেশকে ধ্বংস করে ফেলা। জল জমার জায়গা খালি করে অথবা কীটনাশক প্রয়োগ করে অথবা এইসব জায়গায় বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল এজেন্টপ্রয়োগ করে, ডেঙ্গি মশাকে (Dengue Mosquito) নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মানব স্বাস্থ্যের উপর কীটনাশকের কুপ্রভাব ব্যাপক। তাই এই কথাকে মাথায় রেখে পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি তে  জমা জল কম করাটাই ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে ভাল উপায়। বিশ্রামের সময় মশারি ব্যবহার  করে ডেঙ্গি মশার (Dengue Mosquito) কামড় এড়ানো যেতে পারে।

    আমরা কী কী করতে পারিে? 

    ১. বাড়ির আশপাশ যতটা সম্ভব পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করতে হবে।

    ২.  ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলতে হবে এবং জল জমার পাত্র থেকে দ্রুত জল বের করতে হবে।

    ৩. ডেঙ্গু মশা (Dengue Mosquito) নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত তিন বার স্প্রে বা ফগিং করতে হবে‌।

    ৪. পাড়ার আশপাশে কোথাও জল জমে থাকলে, সকলে মিলে পরিষ্কার করতে হবে‌।

    ৫. রাত্রি বা দিনে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে।

    ৬. বৃষ্টির জল দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে কোথাও জমতে দেওয়া যাবেনা । কারণ , এডিস মশা (Dengue Mosquito) এই জায়গাতেই ডিম পাড়ে।

    ৭. ডেঙ্গু মশার(Dengue Mosquito) প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির পাশাপাশি ম্যাট ব্যবহার করতে হবে।

    ৮. এডিস মশা(Dengue Mosquito) যেহেতু দিনের বেলাতে কামড়ায় তাই , দিনের বেলায় সাবধানতা বেশী অবলম্বন করতে হবে।

    কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে?

    মশা তাহলে আমাদের জন্য শুধু বিরক্তির কারণই নয় বরং ক্ষুদ্র এই পতঙ্গ থেকে যেকোনো মানুষের জীবন নাশের ঝুঁকিও থাকছে। এটা আমরা খুব ভালো করেই জানি। তাই সাবধানতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মশা, মশাবাহিত রোগ, মশার দমনে এখন আর উদাসীন থাকলে চলবে না। যেভাবে ডেঙ্গি বাড়ছে। মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ডেঙ্গি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়না। ডেঙ্গি মশার (Dengue Mosquito) কামড় খেয়ে হাসপাতাল যাওয়ার থেকে ডেঙ্গি মশার (Dengue Mosquito) থেকে সাবধানতা অবলম্বন করাটা বেশি জরুরী। ডেঙ্গি প্রতিকারের চেয়ে মশার প্রতিরোধই হবে যুক্তিযুক্ত। মশা নিয়ন্ত্রণ সফল করতে পারলে নিশ্চিত ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা কমবে এবং ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। তাই এ বছর ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে মশা দমনে আমাদেরকে বেশী মনোযোগী হতে হবে। আর এ জন্যে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নাই।

    ডেঙ্গি মশা (Dengue Mosquito) কিন্তু আমাদের ঘরের ভেতরেও বংশবৃদ্ধি করতে পারে যেমন- আমাদের  ঘরের ভিতরে ফুলদানি, রান্নাঘরে বা বাথরুমে জমে থাকাজল, কলসি বা বালতিতে রেখে দেওয়া পানি প্রভৃতিতে। তাই ঘরের ভিতরের এসব স্থানগুলো আমাদেরকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে যাতে মশারা বংশবৃদ্ধি করতে না পারে। বাড়ির মহিলারা এ কাজে বেশি সচেতন হতে পারেন। ব্যক্তিগত সচেতনতা বাড়াতে মশা সর্ম্পকে আমাদেরকে কিছু সাধারণ জ্ঞান রাখতে হবে যেমন- কোন প্রজাতির মশা আমাদের জন্য ক্ষতিকর বা কোন মশা কখন কামড়ায়, মশাদের জীবনচক্র কেমন, কোথায় কিভাবে বংশবৃদ্ধি করে ইত্যাদি। মশা সম্পর্কে ধারণা থাকলে মশা দমন কিছুটা সহজ হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Dengue in West Bengal: পুর কর্মীর অভাবেই বাড়ছে ডেঙ্গি, জানাল স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট

    Dengue in West Bengal: পুর কর্মীর অভাবেই বাড়ছে ডেঙ্গি, জানাল স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue In West Bengal) সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। আর ডেঙ্গি সংক্রমণের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে কলকাতা। শহরে লাগামহীন এই সংক্রমণের জন্য দায়ী নজরদারির অভাব। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে এমনি উল্লেখ করা হয়েছে। 

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে কী জানা গিয়েছে?

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার নজরদারি কর্মীর অভাব রয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় (Dengue In West Bengal) ওয়ার্ড ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হয়নি। আর তার জেরেই বিপত্তি। সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতার সব ওয়ার্ডে জনসংখ্যা এক নয়। কিন্তু ডেঙ্গি মোকাবিলায় কর্মী সংখ্যা এক। অর্থাৎ, যেখানে নজরদারি বেশি প্রয়োজন, সেখানে পর্যাপ্ত কর্মীর অভাব রয়েছে। আর তার জেরেই বাড়ছে বিপদ। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর কলকাতার তুলনায় দক্ষিণ কলকাতার ওয়ার্ডগুলোতে জনসংখ্যা বেশি। কিন্তু সেখানে অতিরিক্ত পুর কর্মী নেই। যেমন কোনও ওয়ার্ডে বাসিন্দা সংখ্যা ১০ হাজার, আবার কোথাও বাসিন্দা ২৫ হাজার। কিন্তু দেখা গিয়েছে, ১০ হাজার মানুষের নজরদারির জন্য যত সংখ্যক পুর কর্মী নিযুক্ত হয়েছেন, ২৫ হাজারেও সংখ্যাটা এক। ফলে, কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। 

    সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী পুরসভার এই ঢিলেঢালা মনোভাবে অত্যন্ত বিরক্ত। তিনি বৈঠকে জানিয়েছেন, একাধিকবার ঠিক করা হয়েছে, দিনে দু’বার পুর কর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নজরদারি করবেন। জল জমা থেকে জ্বরের খবর, সবটাই পুরসভার কাছে থাকবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকতেই রোগ মোকাবিলা সহজ। কিন্তু বাস্তবে কলকাতার অধিকাংশ জায়গায় এই নজরদারি হয়নি (Dengue In West Bengal)। একটি বাড়িতে দু’বেলা যাওয়া তো দূর অস্ত। অনেক ওয়ার্ডে প্রত্যেক বাড়িতে দিনে একবার ও পুর কর্মী যাননি, এমন ঘটনাও ঘটেছে। ফলে, নজরদারির গাফিলতি স্পষ্ট। 

    জুলাই মাস থেকেই ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছিল (Dengue In West Bengal)। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুরসভাকে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল। এলাকা পরিষ্কার, জ্বর হলে দ্রুত রিপোর্ট পাওয়া, কোনও ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পেলে, সেখানে বিশেষ সক্রিয় থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ ঠিকমতো হয়নি। আর তার জেরেই কলকাতায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়ানক আকার নিয়েছে। দিনে দু’হাজারের কাছাকাছি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৭০ জনের বেশি ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভা জানিয়েছে, কর্মীরা সক্রিয় আছেন। এলাকা পরিদর্শনের কাজ চলছে। যেখানে বাড়তি কর্মী প্রয়োজন, সেখানে অন্য জায়গা থেকে কর্মী পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টাও হচ্ছে। 

    তবে পুরসভার এই যুক্তিতে খুশি নয় স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, পুরসভাকে পাঠানো রিপোর্টে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, নজরদারির জন্য আলাদা কর্মী নিয়োগ না করলে ডেঙ্গি মোকাবিলা করা যাবে না। পরিস্থিতির ও উন্নতি হবে না (Dengue In West Bengal)। 

    স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, নজরদারিতে গাফিলতি অবশ্য শুধু কলকাতা নয়, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, হাওড়া, হুগলি সহ একাধিক জায়গার পুরসভাতেই রয়েছে। বিশেষত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ওয়ার্ড ভিত্তিক নজরদারির বিশেষ অভাব রয়েছে। ফলে, সেখানে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে (Dengue In West Bengal)। 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বছরের অর্ধেক সময় প্রশাসন, ডেঙ্গি হয়েছে, এটা মানতেই চায় না। আর তাতেই সমস্যা বাড়ে। পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন প্রশাসনের হুঁশ ফেরে। প্রত্যেক বছর ডেঙ্গিতে কয়েক’শ মানুষ মারা যাচ্ছেন (Dengue In West Bengal)। তারপরেও কেন রাজ্য সরকারের পরিকল্পনায় গাফিলতি থাকছে? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে পুর দফতর কোথাও পাওয়া যায়নি।

  • Suvendu Adhikari: ডেঙ্গি ইস্যুতে বিজেপির বিক্ষোভে তপ্ত বিধানসভা, মশারি বিলি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ডেঙ্গি ইস্যুতে বিজেপির বিক্ষোভে তপ্ত বিধানসভা, মশারি বিলি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি (Dengue) ইস্যুতে বিজেপি (BJP) বিধায়কদের বিক্ষোভের জেরে তপ্ত বিধানসভা। পদ্ম শিবিরের আনা মুলতুবি প্রস্তাব গৃহীত না হওয়ায় মঙ্গলবার বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভা চত্বরে তাঁরা মশারি ও মশার মডেল নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিধানসভার বাইরে পথ চলতি মানুষদের মশারিও বিলি করা হয় বিজেপির তরফে। এদিন বাইরে বেরিয়ে বাসে বাসে মশারি বিলি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পদ্ম শিবিরের অন্য বিধায়করাও।

    দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেঙ্গি…

    কিছুদিন আগে পর্যন্তও রাজ্যে চোখ রাঙিয়েছিল করোনা। করোনা পিছু হঠতেই এবার কলকাতায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেঙ্গি। কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে ডেঙ্গি রোধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে পথে নামে বিজেপি। ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত রোধে রাজ্য সরকার ব্যর্থ, এই অভিযোগ তুলে এদিন বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনেন শিলিগুড়ির বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষ। বিজেপি বিধায়করা জানান, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বিধানসভায় আলোচনাও করতে চান তাঁরা। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, মুলতুবি প্রস্তাব গৃহীত হলে বিধানসভায় আলোচনায় অংশ নেবেন বিজেপি বিধায়কররা। তবে সে প্রস্তাব নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার অনুমতি দেননি অধ্যক্ষ। এরই প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, আমাদের মুলতুবি প্রস্তাব পড়তে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে কোনও আলোচনা করতে দেওয়া হয়নি। আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে অধ্যক্ষকে জানিয়েছিলাম যে বিধানসভায় তো স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা স্বাস্থ্য দফতরের কেউ আসেন না। তাই আমাদের অনুরোধ ছিল, রাজ্য সরকারের কোনও মন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে জানান, এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার বিরোধী পক্ষের কোনও বক্তব্য শুনতে নারাজ। শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এতদিন পর সোমবার একটি রিভিউ মিটিং ডাকেন। আজ অধ্যক্ষ আমাদের বললেন মুলতুবি প্রস্তাব বিধানসভায় পড়তে পারাই যথেষ্ট। তাই আমরা বিক্ষোভ দেখাই।

    আরও পড়ুন: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    বিধানসভা চত্বরে একপ্রস্ত বিক্ষোভ দেখানোর পর শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), মনোজ টিগ্গা, অগ্নিমিত্রা পাল সহ একাধিক বিজেপি বিধায়ক বিধানসভা লাগোয়া রাস্তায় ডেঙ্গি ইস্যুতে রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রতিবাদ করেন। প্রতীকী মশা নিয়ে, মশারির মধ্যে ঢুকে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। বিলি করেন মশারিও। এদিকে, সোমবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের এলাকা চেতলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপও দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bengal Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ! ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য দফতরের

    Bengal Dengue: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ! ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক (Bengal Dengue)। ডেঙ্গির দাপট বেড়েই চলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যাও। ফলে রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। আর এই পরিস্থিতিতে ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এই নির্দেশিকা নিয়ে বৈঠকও হয়েছে নবান্নে।

    ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি

    রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তার জন্য প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলিতে ‘ফিভার ক্লিনিক’ পুরোদমে সচল রাখতে হবে (Bengal Dengue)। যাঁরা জ্বর নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসবেন, তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করে রাখতে হবে। পরে যাতে তাঁদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করা যায়।

    হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গি রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা ল্যাব পরিষেবা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তাদের রক্ত পরীক্ষা করার পর ওই দিনই রিপোর্ট দিতে হবে ল্যাব কর্তৃপক্ষকে। যাতে চিকিৎসা যথাযথভাবে করা যায়। এর পাশাপাশি সহকারি সুপার পদমর্যাদার একজন স্বাস্থ্য আধিকারিককে ডেঙ্গি পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য নিযুক্ত থাকতে হবে। আবার কোনও ব্যক্তি যদি ডেঙ্গি সন্দেহে ভর্তি হন, তাঁকেও পরীক্ষার দিনই রিপোর্ট দিতে হবে (Bengal Dengue)।

    আরও পড়ুন: বেসরকারি পরীক্ষাগারে গেলেই ধরা পড়ছে ডেঙ্গি! আর সরকারি কেন্দ্রে?

    স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে, রক্তের রিপোর্ট দেখে যদি কিছু সংকটজনক মনে হয় ও রক্তে অস্বাভাবিক কিছু থাকলে দ্রুত সতর্ক করতে হবে চিকিৎসকদের। ডেঙ্গি (Bengal Dengue) নিয়ে যাবতীয় বিষয় পর্যালোচনার জন্য নিযুক্ত থাকতে হবে এক জন সহকারী সুপার।

    দেখা গিয়েছে, ডেঙ্গি মোকাবিলায় নার্সিং পরিষেবার উপর বিশেষ জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর (Bengal Dengue)। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেঙ্গি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে হবে। নার্সিং পরিষেবা যাতে যথাযথ থাকে সেটা বার বার পর্যালোচনা করতে হবে। ডেঙ্গি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে নথিভুক্ত করতে হবে।

    যেসব নার্সিং সুপাররা ডিউটিতে থাকবেন, তাঁদের ডেঙ্গি রোগীদের অবস্থা পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট সুপারিনটেন্ডেন্টকে জানাতে হবে (Bengal Dengue)। রোগীদের শারীরিক অবস্থা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য বারবার পর্যালোচনা করতে হবে।

    এছাড়া, প্রতি সপ্তাহে হাসপাতালে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসতে হবে কর্তৃপক্ষকে (Bengal Dengue)। হাসপাতাল চত্বরে বাধ্যতামূলক ভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে।

    নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে যে, হাসপাতালের দেওয়ালে ডেঙ্গি সচেতনতামূলক পোস্টার রাখতে হবে (Bengal Dengue)। এছাড়া, হাসপাতালে পতঙ্গবিদদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। ব্লাড ব্যাংকে যথেষ্ট প্লেটলেট মজুত আছে কি না, তা-ও নজরে রাখার নির্দেশ দিয়েছে দফতর।

    এই সব নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। আর বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব, এই ১৪ দফা নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সরকারি হাসপাতালগুলিকে (Bengal Dengue)।

  • Dengue: ডেঙ্গি নিয়ে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতায় বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

    Dengue: ডেঙ্গি নিয়ে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতায় বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণ। মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক। এই নিয়ে ক্রমাগত বিরোধীরা আক্রমণ করছে রাজ্য সরকারকে। রাজ্যের বিরুদ্ধে ডেঙ্গি নিয়ে তথ্য-গোপনের অভিযোগও করেছেন বিরোধীরা। এবার বিরোধীদের সেই অভিযোগের পক্ষেই কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, বারবার কেন্দ্র তথ্য চাইলেও রাজ্যের তরফে তা মিলছে না। 

    কী অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর? 

    কলকাতায় নাইসেডের অনুষ্ঠানে এসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার অভিযোগ করে বলেন, “ডেঙ্গি নিয়ে কেন্দ্রকে সঠিক দিচ্ছে না রাজ্য। বারবার বলা সত্ত্বেও কেন্দ্রের থেকে তথ্য গোপন করছে রাজ্য। দ্রুত ডেঙ্গি আক্রান্তর পরিসংখ্যান সামনে আনা প্রয়োজন। ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্যকে টাকা দেয় কেন্দ্র। সব রাজ্য তথ্য দিলেও বাংলা দেয় না। বিভিন্ন সময়ে ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যকে সাহায্য করে কেন্দ্র। কিন্তু সঠিক তথ্য না দিলে পশ্চিমবঙ্গকে সাহায্য করা সম্ভব নয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের তরফে ডেঙ্গি সংক্রান্ত কোনও তথ্য কেন্দ্রকে দেওয়া হয়নি।”

    আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্যে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের ঘোষণা কেন্দ্রের 

    কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর এই অভিযোগের উত্তরে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্রকে ডেঙ্গি-তথ্য জানাতে বাধ্য নয় রাজ্য।”

    প্রসঙ্গত, জাতীয় ভেক্টর কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ওয়েবসাইটে গত মে মাসে শেষ ডেঙ্গি সংক্রান্ত তথ্য পাঠিয়েছিল রাজ্যে। তবে তারপরে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫০,০০০ – এরও গণ্ডি ছাড়িয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রকে আর কোনও তথ্য পাঠায়নি রাজ্য। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধান্ত নিয়োগী বলেন, “অনেক মাস অবধি তথ্য পাঠানো হয়েছে। হয়তো কিছু জায়গায় তথ্য ওঠেনি। অনেক সময় তথ্য পাঠানোর পরেও দেরি করে আপডেট করা হয়।”    

    অন্যদিকে ডেঙ্গি নিয়ে কলকাতার বোরোগুলিতে বিক্ষোভ করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। এ নিয়ে একটি বৈঠকও করবে রাজ্য বিজেপি। মূলত বোরো ভিত্তিক বিক্ষোভ চালাবে বিজেপি। ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ পশ্চিমবঙ্গ সরকার, মূলত এই অভিযোগেই বিক্ষোভ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Dengue Treatment at Home: বাড়িতেই করা যাবে ডেঙ্গির চিকিৎসা? ট্রিটমেন্ট সম্ভব কীভাবে?

    Dengue Treatment at Home: বাড়িতেই করা যাবে ডেঙ্গির চিকিৎসা? ট্রিটমেন্ট সম্ভব কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ মারাত্মক বাড়ছে। জ্বর হলেই এখন রক্ত পরীক্ষা আবশ্যক। ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ হলেই যে হাসপাতালে ভর্তি হতেই হবে, এমন কিন্তু মানে নেই! বাড়িতেই করা যেতে পারে ডেঙ্গির চিকিৎসা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্লেটলেট না কমলে বাড়িতে থেকেই ডেঙ্গি চিকিৎসা সম্ভব। তবে, কয়েক দিকে নজর দিতে হবে। ডেঙ্গির চিকিৎসার কয়েক বিষয়ে বাড়ির লোক সতর্ক থাকলেই বড় বিপদ এড়ানো যাবে (Dengue Treatment at Home)। 

    ডেঙ্গি চিকিৎসায় কী কী নজরে থাকবে? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তকে সব সময় মশারির মধ্যে রাখতে হবে। কারণ, তার থেকে অন্যদের রোগ ছড়াতে পারে। মশাবাহিত এই রোগ থেকে পরিজনদের বাঁচাতে ও রোগীকেও দ্রুত সুস্থ করতে মশারি টাঙানো জরুরি।  ডেঙ্গি রোগী বাড়িতে থাকলে, ডেঙ্গি চিকিৎসায় আরেকটি বিষয় অত্যন্ত জরুরি (Dengue Treatment at Home)। দেখতে হবে, রোগীর দেহ থেকে কোনও ভাবে রক্তপাত হচ্ছে কিনা! যদি কোনও ক্ষত না থাকা সত্ত্বেও ডেঙ্গি রোগীর রক্তপাত হয়, তাহলে কিন্তু রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তখন ডেঙ্গি ট্রিটমেন্টের জন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

    বাড়িতে রেখে ডেঙ্গি চিকিৎসা করলে রোগীর খাবারে বিশেষ নজরদারি জরুরি (Dengue Treatment at Home)। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি চিকিৎসায় বিশেষ কোনও ওষুধ নেই। মূলত নজরদারি করা হয়। তাই বাড়িতেও সেই একরকম নজরদারি করলে ডেঙ্গি চিকিৎসায় দ্রুত সাড়া পাওয়া যাবে। ডেঙ্গি রোগী শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই ডেঙ্গি চিকিৎসায় রোগী কী খাচ্ছে, সেটা দেখা দরকার। 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গিতে ভুগছেন? রক্তে প্লেটলেটের পরিমাণ বাড়াতে খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি রোগীর দেহে জলের পরিমাণ কমে গেলে প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হতে পারে (Dengue Treatment at Home)। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ডেঙ্গি চিকিৎসায় জল অত্যন্ত জরুরি। রোগীর দেহে যাতে কোনও ভাবেই জলের পরিমাণ না কমে, তা দেখতে হবে। তাই বারবার জল খাওয়ানো দরকার। তাছাড়া ফলের রস, দুধ এই রকম তরল জাতীয় খাবার বারবার খেতে হবে। কারণ, এগুলো যেমন দেহে তরলের পরিমাণ ঠিক রাখবে, তেমনি প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলবে। বিশেষত লেবুর রস ডেঙ্গি রোগীকে নিয়মিত খাওয়ানো জরুরি। কারণ, লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। 

    ডেঙ্গি রোগীর মেনুতে নিয়মিত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার রাখতেই হবে। অর্থাৎ, ভাত কিংবা রুটি খেতে হবে। কারণ, কার্বোহাইড্রেট দেহে এনার্জি জোগায়। ডেঙ্গি আক্রান্তেরা খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই আক্রান্তের দ্রুত সুস্থ হতে স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য এনার্জি জরুরি (Dengue Treatment at Home)। 

    ডেঙ্গি চিকিৎসায় পেঁপে আর আমলকি বিশেষ সাহায্য করে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ডেঙ্গি আক্রান্ত পেঁপে পাতার রস খেলে প্লেটলেট কমে না। তবে, অনেকের আবার পেঁপে পাতার রস খেয়ে কলেরার উপসর্গ দেখা দেয়। তাই যদি সেই রকম কিছু উপসর্গ হয়, তাহলে পেঁপে পাতার রস না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তবে, খাবারের তালিকায় পেঁপে রাখা ভালো বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ, ডেঙ্গি রোগীর এমন সবজি খাওয়া দরকার, যা সহজপাচ্য অথচ পুষ্টিগুণ অনেক। তাতে একদিকে যেমন শরীরে অন্য কোনও রোগ বাসা বাঁধবে না। আরেক দিকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। তাই পেঁপে, পটল, কাঁচকলার মতো সবজি ডেঙ্গি চিকিৎসায় বিশেষ উপকারী (Dengue Treatment at Home)। 

    ডেঙ্গি রোগী খাওয়ার পরে নিয়ম করে আমলকি খেলে বিশেষ উপকার পাবে। আমলকি হজম করাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই ডেঙ্গি চিকিৎসায় আমলকিকেও খাবারের তালিকায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 
    তবে, দুধ, ফল, সবজির সঙ্গে প্রত্যেক দিন প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ডিম, মাছ মাংস নিয়ম করে খেলে রোগী দ্রুত সুস্থ হবে। ডেঙ্গি চিকিৎসায় বিশেষ ফল পাওয়া যাবে (Dengue Treatment at Home)।

  • East Bengal: ডেঙ্গি এবার ময়দানেও! আক্রান্ত ইস্টবেঙ্গল এফসির অধিনায়ক, হাসপাতালে ভর্তি সৌভিক চক্রবর্তী

    East Bengal: ডেঙ্গি এবার ময়দানেও! আক্রান্ত ইস্টবেঙ্গল এফসির অধিনায়ক, হাসপাতালে ভর্তি সৌভিক চক্রবর্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর থেকে দক্ষিণ রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, খাস কলকাতাতেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজারের বেশি মানুষ। গোটা রাজ্যে সংখ্যাটা ৫০ হাজার  ছুঁইছুঁই! রাজ্যের তুলনায় কলকাতায় পজিটিভি রেট দ্বিগুণ। ডেঙ্গি এবার হানা দিল ময়দানেও। ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হলেন ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) অধিনায়ক,দলের নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার সৌভিক চক্রবর্তী।  চলতি মরসুমে টানা সাতটি ডার্বি হেরেছে লাল হলুদ শিবির। গত পাঁচ ম্যাচে চারটি ম্যাচ হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। এর মধ্যে অধিনায়কের অসুস্থতা চিন্তায় ফেলেছে দলকে।

    আরও পড়ুন: বাড়ছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ, কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যের

    দলীয় সূত্রে খবর, ২ দিন আগে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গেছে। এর আগে, গত বছর গোড়ালিতে চোটের জন্য় ইস্টবেঙ্গল দলে ছিলেন না সৌভিক। এবার কি খেলতে পারবেন? আপাতত বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল অধিনায়কের খেলা অনিশ্চিত। পুজোর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন সৌভিক। 

    আরও পড়ুন: ফের করোনার দাপট ভারতে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

    শীত পড়তে এখনও বেশ দেরি। তার আগে শহরে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে কলকাতা ও সল্টলেকের তিনজনের মৃত্য়ু হয়েছে। এদিকে জেলাগুলিতেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাওড়ায় ডেঙ্গি বাড়ছে, হুগলির কিছু এলাকা ক্রমেই ডেঙ্গির হটস্পট হয়ে উঠছে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে নবান্নে। তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। জানা গেছে, কলকাতা পুরসভা মাস্টার প্ল্যান তৈরি করছে। এবার থেকে শহরের আনাচ কানাচে কোন বাড়ির চারপাশে আবর্জনা, জল জমছে তা চিহ্নিত করা হবে। ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালানো হবে। আক্রান্ত এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে মানুষজনকে সচেতন করার কাজ শুরু হবে। কিন্তু কবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue and Covid: কোভিড না ডেঙ্গি, বুঝবেন কী করে?

    Dengue and Covid: কোভিড না ডেঙ্গি, বুঝবেন কী করে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় জ্বর হওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। জ্বর মানেই ডেঙ্গি বা কোভিডই (Dengue or Covid) হবে এমনটা নাও হতে পারে। তবে এই ভয় একেবারেই নেই এটা ভাবারও কোনও কারণ নেই। কী করে বুঝবেন ডেঙ্গি না কোভিড হয়েছে? তাই জ্বর হলে ডেঙ্গি বা কোভিড বুঝতে হলে, সব উপস্বর্গগুলিই (Symptoms) জানতে হবে। তবে এই মুহূর্তে কোভিড সংক্রমণের প্রবণতা কমলেও, ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। তাই থাকতে হবে সতর্ক। কোনও উপসর্গ দেখলেই অবহেলা করা যাবে না। সঙ্গে সঙ্গেই করিয়ে নিন পরীক্ষা।

    ডেঙ্গি এবং কোভিডের উপসর্গ 

    ডেঙ্গি হলে, জ্বরের সঙ্গে চোখের পিছনে ব্যথা হবে। জ্বরের সঙ্গে পেশিতে ব্যাথা হবে। বমিবমি ভাবে, মাথা যন্ত্রনা, হাড়ে ব্যাথাও হতে পারে। কোভিডের ক্ষেত্রেও শরীরে ব্যাথা হব এবং মাথা ভার হয়ে থাকবে। গলা খুসখুস, সর্দি জমা, এমনকি শ্বাসকষ্ট অবধি হতে পারে। এরকম অবস্থা হলে বাড়ি বসে না থেকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দরকারে কোভিড হয়েছে কিনা বুঝতে আরটি-পিসিআর কিংবা ডেঙ্গি হয়েছে কিনা বুঝতে এনএস ১ পরীক্ষা করালেই ধরা পড়বে ঠিক কোন রোগ হয়েছে। তবে সবসময় জ্বর মানেই কোভিড না ডেঙ্গি হয়েছে এরকম ভাবারও কোনও কারণ নেই? সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জাও হতে পারে। তাই জ্বর হলে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সরকারি গাইড লাইন মেনে চলুন।

    আরও পড়ুন: ইসলাম, খ্রিস্টানে ধর্মান্তরিত দলিতদের তফসিলি আওতাভুক্ত করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি 

    রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও আশঙ্কাজনক। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে থাকবেন অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। ডেঙ্গি সংক্রমণ সামাল দিতে মুখ্য সচিব নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব-সহ স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের জরুরি তলব করা হয় নবান্নে। জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয় নবান্নের। ডেঙ্গি সংক্রমণের পিছনের এই বাড়বাড়ন্তর কারণ কী? সেই উত্তর খুঁজতেই আলোচনায় বসেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এদিকে ইতিমধ্যেই রাজ্যের ডেঙ্গি-পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ট্যুইট করে জানিয়েওছেন সে কথা। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “রাজ্যের ডেঙ্গি-পরিস্থিতি অযোগ্য সরকারের হাতের বাইরে। আর্থিক সঙ্কটের কারণেই পরিস্থিতি এত ভয়াবহ। দেউলিয়ার পথে রাজ্য সরকার। এর ফল ভুগছে জনস্বাস্থ্য। প্রাণ হারাচ্ছেঞ মানুষ, পরিস্থিতি ভয়াবহ।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share