Tag: Donald Trump

Donald Trump

  • NRI: আমেরিকার প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য সুখবর, রেমিট্যান্স ট্যাক্স কমে হল ১ শতাংশ, কতটা লাভ হল ভারতের?

    NRI: আমেরিকার প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য সুখবর, রেমিট্যান্স ট্যাক্স কমে হল ১ শতাংশ, কতটা লাভ হল ভারতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবাসী ভারতীয়দের (NRI) জন্য সুখবর শোনাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। সে দেশের সেনেট ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’-এ একটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে। এই সংশোধনের ফলে রেমিট্যান্স (প্রবাসীরা যে অর্থ নিজের দেশে পাঠান)-এর (Remittance Tax) ওপর কর ৩.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে মাত্র ১ শতাংশ। এই সুখবর শোনা গেল এমন একটা সময়, যখন বিশ্বজুড়ে প্রবাসী ভারতীয়রা ব্যাপক উদ্বেগে ছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, আন্তর্জাতিক অর্থ পাঠানোয় ভারী আর্থিক বোঝা চাপবে।

    ব্যাপক উদ্বেগ (NRI)

    জানা গিয়েছে, প্রথমে বিলটিতে ৫ শতাংশ কর প্রস্তাব করা হয়েছিল। হাউস সংস্করণে এটাই কমিয়ে করা হয়েছিল ৩.৫ শতাংশ। এই হারও ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করে। কারণ প্রবাসী ভারতীয়রা ফি বছর ভারতে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠান। রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেই ভারতের মোট রেমিট্যান্সের ২৭.৭ শতাংশ এসেছে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সংশোধিত সংস্করণ অনুযায়ী, এখন থেকে আমেরিকাভিত্তিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে স্থানান্তর এবং সে দেশে ইস্যু করা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে করা লেনদেনগুলি রেমিট্যান্স কর থেকে ছাড় পাবে। এই পরিবর্তন প্রবাসী ভারতীয়দের পক্ষ থেকে স্বাভাবিক পারিবারিক ও ব্যক্তিগত রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও সুরক্ষা দেবে।

     যোগ্য রেমিট্যান্সের ওপর প্রযোজ্য

    এই কর কেবলমাত্র (NRI) ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এর পরে করা যোগ্য রেমিট্যান্সের ওপর প্রযোজ্য হবে। ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলির প্রস্তুতির জন্য হাতে যথেষ্ট সময় থাকবে। এই এক্সসাইজ করটি কেবল যাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন, তাঁদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী, ছাত্রছাত্রী এবং গ্রিন কার্ডধারীরাও। ট্রাম্প প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্তের ফলে বহু ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন বাসিন্দার আর্থিক সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়তে পারে (Remittance Tax)।যদিও ১ শতাংশ করের হারটি সাধারণ মনে হতে পারে, তবে এর প্রভাব যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এটি এখনও উচ্চমূল্যের লেনদেনগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে, যেমন এনআরই অ্যাকাউন্টে জমা, সম্পত্তি বিনিয়োগ এবং কর্পোরেট পুনর্বাসন কর্মসূচি ইত্যাদি। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা-পরবর্তী আয়ও যদি করমুক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে স্থানান্তর না করা হয়, তবে এটি এই করের আওতায় পড়তে পারে।

    স্বল্পমেয়াদে স্বস্তি

    যদিও কমিয়ে দেওয়া করহার স্বল্পমেয়াদে স্বস্তি এনে দেয়, তবে অনেক এনআরআই এখন আরও স্পষ্ট নির্দেশনা ও সম্ভাব্য বৃহত্তর কর-ছাড়ের দাবি জানাচ্ছেন, বিশেষ করে পরিবারের জন্য পাঠানো প্রয়োজনীয় অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে। আইনটির কার্যকর রূপ চূড়ান্ত হলে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মতো দেশের মধ্যে ভবিষ্যতের আর্থিক লেনদেনের গতিপথ নির্ধারণ করবে। এদিকে, প্রবাসী ভারতীয়রা গত অর্থবর্ষে দেশে ১৩৫.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড। রিজার্ভ ব্যাংকের প্রকাশিত সাম্প্রতিক পেমেন্ট ব্যালেন্স ডেটা অনুযায়ী, প্রবাসী ভারতীয়দের পাঠানো ‘ব্যক্তিগত হস্তান্তর’ এর মাধ্যমে মোট প্রাপ্ত অর্থ আগের বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি (NRI)।

    প্রবাসী রেমিটেন্সের সবচেয়ে বড় প্রাপক ভারত

    ভারত গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রবাসী রেমিটেন্সের সবচেয়ে বড় প্রাপক দেশ। ২০১৬-১৭ সালে যেখানে এই অঙ্ক ছিল ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, সেখানে আট বছরের মধ্যে তা হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি (Remittance Tax)। রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ মার্চ শেষ হওয়া অর্থবর্ষে মোট কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ইনফ্লোর ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মধ্যে রেমিটেন্সের অংশ ছিল ১০ শতাংশেরও বেশি। আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ গৌরী সেনগুপ্ত বলেন, “ক্রুড অয়েলের দাম কম থাকা সত্ত্বেও রেমিটেন্সের জোরালো প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।” তিনি বলেন, “এর কারণ হল দক্ষ শ্রমশক্তির একটি ক্রমবর্ধমান অংশ উন্নত দেশ যেমন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং সিঙ্গাপুরে অভিবাসন করছে। আরবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই তিনটি দেশ থেকে মোট রেমিটেন্সের প্রায় ৪৫ শতাংশ আসে,” তিনি বলেন, “তবে জিসিসি (GCC) দেশগুলির অংশ ক্রমেই কমে আসছে (NRI)।”

    প্রবাসী আয়ের ওপর প্রভাব

    তেলের দাম প্রায়ই গাল্ফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (GCC) দেশগুলির কাছ থেকে প্রবাসী আয়ের ওপর প্রভাব ফেলে। ভারতের শীর্ষ ব্যাঙ্কের একটি গবেষণাপত্র থেকে জানা গিয়েছে. ভারত এখনও ২০০ মার্কিন ডলার পাঠানোর জন্য বিশ্বের অন্যতম স্বল্প-ব্যয়বহুল দেশ হিসেবে রয়ে গিয়েছে। কারেন্ট অ্যাকাউন্টের অন্যান্য প্রধান উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে সফটওয়্যার পরিষেবা আয় এবং ব্যবসায়িক পরিষেবা আয়। প্রতিটিই গত অর্থবর্ষে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সীমা অতিক্রম করেছে (Remittance Tax)। এই তিনটি উৎস (প্রবাসী আয়, সফটওয়্যার পরিষেবা ও ব্যবসায়িক পরিষেবা) মিলে মোট কারেন্ট অ্যাকাউন্টের আয়ের ৪০ শতাংশের বেশি অংশ জোগান দিয়েছে (NRI)।

  • Iran: ড্যাডি ট্রাম্প! চাপে পড়লেই ইজরায়েলকে বাবার শরণ নিতে হয়, কটাক্ষ ইরানের

    Iran: ড্যাডি ট্রাম্প! চাপে পড়লেই ইজরায়েলকে বাবার শরণ নিতে হয়, কটাক্ষ ইরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল ও ইরানের (Iran) টানাপড়েনের আবহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ নিয়ে সরব হলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তাঁর কটাক্ষ, “চাপে পড়লেই ইজরায়েলকে আমেরিকার শরণ নিতে হয়। ট্রাম্পই ইজরায়েলের ‘বাবা’, তার ছায়া ছাড়া ওরা অচল।”

    তোপ ইজরায়েলকে (Iran)

    শনিবার এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আরাকচি লেখেন, “ইজরায়েল বুঝে গেছে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের ভয় থেকে বাঁচতে গেলে তাদের ‘বাবা’র শরণ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।” তিনি আরও মন্তব্য করেন, “যদি কেউ এখনও আমাদের সামরিক ক্ষমতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তায় থাকে, তাহলে আমরা সেই বিভ্রান্তি দূর করতে জানি (Iran)।” আরাকচি স্পষ্ট ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “তেল আভিভ যেন বুঝে নেয় তেহরান প্রয়োজনে তার প্রকৃত শক্তি দেখাতে একটুও পিছপা হবে না।”

    ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেলও একই মন্তব্য করেন

    আরাকচির এই ‘বাবা’ বা ‘ড্যাডি’ মন্তব্য অবশ্য প্রথম নয়। কিছুদিন আগেই ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুট ট্রাম্পকে ‘ড্যাডি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। সেই টার্মই এবার ব্যবহার করলেন আরাকচি, আরও তীব্র সুরে। তাঁর মতে, “ইজরায়েলের সীমাবদ্ধতা এতটাই, যে ওদের বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত বাবার কাছেই ছুটে যেতে হয়।”

    ট্রাম্পকে সরাসরি আক্রমণ (Iran)

    ট্রাম্পের দিকেও আক্রমণের তির ছুড়েছেন আরাকচি। তাঁর মন্তব্য, “আমাদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই-কে অপমান করলে কোটি কোটি ইরানির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে। যদি সত্যিই শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চান, তাহলে ভাষা ও মনোভাব দুটোই পাল্টাতে হবে।”

    চাইলে খামেনেই-কে হত্যা করতে পারতেন, দাবি ট্রাম্পের

    উল্টো দিকে, ট্রাম্প দাবি (US Strikes) করেছেন, তিনি চাইলে খামেনেই-কে হত্যা করতে পারতেন, কারণ তাঁর অবস্থান সম্পর্কে আমেরিকার কাছে পরিষ্কার তথ্য ছিল। ট্রাম্পের ভাষায়, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম না মারার।” ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলার কথাও একসময় বিবেচনা করেছিলেন (US Strikes)। কিন্তু ইরানের ‘ঘৃণা ও আক্রোশ’ দেখে তিনি মত বদলান। তবে ইরানও জানিয়ে দিয়েছে, তারা আপাতত কোনও পরমাণু আলোচনায় আগ্রহী নয়। আগামী সপ্তাহে ট্রাম্প আলোচনা শুরু করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তেহরান সেই প্রস্তাব স্পষ্টভাবে খারিজ করে দিয়েছে।

  • Iran-Israel Ceasefire: ফের আগেভাগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ট্রাম্পের! দাবি ওড়াল ইরান, কী বলল তেহরান?

    Iran-Israel Ceasefire: ফের আগেভাগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ট্রাম্পের! দাবি ওড়াল ইরান, কী বলল তেহরান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও আগবাড়িয়ে যুদ্ধবিরতি (Iran-Israel Ceasefire) ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ১২ দিন ব্যাপী যুদ্ধপরিস্থিতি শেষে, ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেলন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান এবং ইজরায়েলের তরফে বিবৃতি আসার আগেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করে দুই দেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সম্মুখ সমরে থাকা ইরান এবং ইজরায়েল কী বলছে? তারা কি যুদ্ধবিরতিতে রাজি? উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের দাবিকে ফুৎকার মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। এদিন তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্য়মগুলিকে জানান, ‘ইরানের সঙ্গে কোনও প্রকারের সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি হয়নি।’ এর আগে, মে মাসে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত চলাকালীনও, সাত তাড়াতাড়ি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন ট্রাম্প। ভারত বরাবরই ট্রাম্পের সেই দাবিকে অস্বীকার করে।

    ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা

    মঙ্গলবার ভোররাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষবিরতিতে (Iran-Israel Ceasefire) রাজি হয়েছে। সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প (Donald Trump) লেখেন, ‘আগামী ছ’ঘণ্টার মধ্যে ইরান-ইজরায়েল দু’পক্ষই সম্পূর্ণ সংঘর্ষবিরতিতে যাবে। এর শুরুটা করবে ইরান (প্রথম ১২ ঘণ্টা)। তাকে অনুসরণ করবে ইজরায়েল (পরের ১২ ঘণ্টা)। একপক্ষের সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করলে অপর পক্ষও শান্তি বজায় রাখবে। ২৪ ঘণ্টা পর বারো দিন ব্যাপী যুদ্ধের ইতি।’ সিএনএন জানিয়েছে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, দেশের বিদেশ সচিব তথা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ তৃতীয় পক্ষ মারফত ইরানের সঙ্গে কথাবার্তা চালান। হোয়াইট হাউসের তরফে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়, যাতে সম্মত হয় ইজরায়েল। তবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের তরফে শর্ত দেওয়া হয়েছে যে, ইরান যদি হামলা না চালায়, তারাও আর আঘাত হানবে না।

    ট্রাম্পের দাবি অসত্য

    যুদ্ধবিরতি (Iran-Israel Ceasefire) সংক্রান্ত ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ইরান। তেহরান জানিয়ে দিয়েছে, যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত কোনও সমঝোতাই হয়নি। তবে ইজরায়েল নতুন করে হামলা না-করলে, তারাও আর সংঘাতে জড়াতে চায় না। এমনটাই জানিয়েছে ইরান। ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলি ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকেই, ওই দাবিকে অস্বীকার করে আসছিল। বিভিন্ন সরকারি সূত্র মারফত তেহরানের সংবাদমাধ্যমগুলি ট্রাম্পের ঘোষণাকে ‘অসত্য’ বলে দাবি করছিলেন। শেষে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১৬ মিনিটে তেহরানের অবস্থান স্পষ্ট করেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তিনি লেখেন ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি ইজরায়েল এই হামলা শুরু করেছে। ইরান নয়। ইজরায়েল যদি আক্রমণ বন্ধ করে, তাহলে ইরানও সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে। আমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই।’ এর পর ইরানের সরকারি সংবাদ মাধ্যম জানিয়ে দেয় ভোর চারটেের পর থেকে  ইরান সংঘর্ষ বিরতিতে রয়েছে। তবে তার আগে ইজরায়েলে ৫টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।

    সংঘর্ষ বিরতির আভাস!

    আরাগচি সমাজমাধ্যমে লেখেন, এখনও পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি (Iran-Israel Ceasefire) বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে কোনও স্থির সমঝোতা হয়নি। তবে স্থানীয় সময় অনুসারে ভোর ৪টের (ভারতীয় সময়ে সকাল ৬টা) পর থেকে ইজরায়েল হামলা বন্ধ করলে ইরানও নতুন করে সংঘর্ষে জড়াতে অনিচ্ছুক। একই সঙ্গে তিনি এ-ও দাবি করেছেন, ইরান কোনও সংঘর্ষ শুরু করেনি। ইজরায়েলই ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল। ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত ট্রাম্প যে দাবি করেছিলেন, তা এই পোস্টে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী। তবে ওই পোস্টটির কিছু ক্ষণ পরেই সমাজমাধ্যমে আরও একটি পোস্ট করেন আরাগচি। সেখানে তিনি লেখেন, ভোর ৪টে (স্থানীয় সময়) বাজার আগে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইরানের সামরিক বাহিনী ইজরায়েলি আক্রমণের জবাব দিয়ে গিয়েছে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শত্রুপক্ষের হামলার জবাব দেওয়ার জন্য ইরানের সেনাকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় এই পোস্টের মাধ্যমে সংঘর্ষবিরতি শুরু হওয়ার আভাস দিয়েছেন আরাগচি? তবে,  ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির পরও তেহরানে ইজরােলি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে।

    ট্রাম্পের দাদাগিরি!

    হোয়াইট হাউসের দাবি, আমেরিকার জন্যই এই যুদ্ধবিরতি (Iran-Israel Ceasefire) সম্ভব হয়েছে। আমেরিকা তাদের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালানোর পরই সুর নরম করেছে ইরান। সূত্রের খবর এই যুদ্ধবিরতিতে কাতার মধ্যস্থতা করেছে। সিএনএন-এর খবর অনুযায়ী, কাতারে আমেরিকার সেনাঘাঁটিতে ইরান হামলা চালানোর পর, দেশের এমিরকে মধ্যস্থতা করতে অনুরোধ জানান খোদ ট্রাম্প। সেই মতো কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল-থানি ইরানকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করান। এর পর ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চলাকালীন একইভাবে সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। জানান, তাঁর জন্যই বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। পাকিস্তান সেই নিয়ে কোনও আপত্তি না করলেও, ট্রাম্পের সেই দাবি বারবার নস্যাৎ করেছে ভারত। দিল্লি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে তৃতীয় কোনও পক্ষের ভূমিকা ছিল না। ভারত এবং পাকিস্তান পারস্পরিক সম্মতিতেই যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছয়। ঠিক একইভাবে এবার ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করলেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের সংঘর্যবিরতির দাবি সরাসরি খণ্ডন করেছে তেহরান। এমনকি ইজরায়েলও সরকারিভাবে এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি।

  • Pakistan sell out Ummah: ইরানকে পিছন থেকে ছুরি! কেন ট্রাম্পের কাছে ইসলামিক ঐক্য-কে বিক্রি করল পাকিস্তান?

    Pakistan sell out Ummah: ইরানকে পিছন থেকে ছুরি! কেন ট্রাম্পের কাছে ইসলামিক ঐক্য-কে বিক্রি করল পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে আমেরিকার হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। ২১শে জুন, গত রবিবার ভোর রাতে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল ওয়াশিংটন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের নাতান্‌জ, ফোরডো এবং ইসফাহান পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। ‘বাংকার বাস্টার’ নামে পরিচিত অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে চালানো এই হামলায় ওইসব কেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগ পরিকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন। তবে ইরান দাবি করেছে, ক্ষয়ক্ষতি ছিল সামান্য এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি থেমে যাবে না। আন্তর্জাতিক স্তরে এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযানে কারা কারা সহযোগিতা করেছে, তা প্রকাশ করেনি। তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূত্রের দাবি—এই অভিযানে পাকিস্তান (Pakistan sell out Ummah) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

    পাকিস্তানের ভূমিকা

    আমেরিকা যখন ইরানে (USA attack on Iran) সামরিক হামলা চালাল, তখন মোদি ও ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের মধ্যে ৪৫ মিনিটের ফোনালাপ হয়। মোদি সেখানে উত্তেজনা প্রশমনের ডাক দেন, আর পেজেশকিয়ান ভারতকে “বন্ধু” বলে উল্লেখ করেন—বলেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে ভারতের ভূমিকা ও কণ্ঠস্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে পাকিস্তান কিন্তু এই হামলা নিয়ে প্রায় নীরব। মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানই যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের আকাশপথ ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিল। অতীতে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতার আশায় যুক্তরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ানোর পাকিস্তানি ইতিহাস এই সন্দেহকে আরও জোরালো করছে।

    পাকিস্তানের কৌশলগত সাহায্য

    পাকিস্তানের ৯০০ কিমি ইরান সীমান্ত থাকায়, আমেরিকার জন্য পাকিস্তান কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে ইরানের পক্ষে কথা বললেও, পাকিস্তান ভেতরে ভেতরে উলটো চাল দিচ্ছে। ভারত বরাবরই পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের মুখ হিসেবে দেখে। আর ট্রাম্প আসলে পাকিস্তানকে পাশে পেতে চান ইরান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে। পাকিস্তানও ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানায়—চমৎকার লেনদেন! সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং উন্নতমানের ড্রোন ও যুদ্ধবিমান সরবরাহের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে—ইসলামী ঐক্য বা উম্মাহ’র কথা বলা পাকিস্তান কি আবারও তা বিসর্জন দিল কিছু সুবিধার বিনিময়ে?

    আবারও বিশ্বাসঘাতকতা?

    ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর হাতে নিহত হন কুখ্যাত জঙ্গি নেতা ওসামা বিন লাদেন। যদিও পাকিস্তান সরকার দাবি করে, তারা এই অভিযানের বিষয়ে কিছুই জানত না, কিন্তু একজন এত বড় সন্ত্রাসীর দীর্ঘদিন পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা ও তাকে খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে মার্কিন সহায়তা পাওয়ার প্রশ্নে সন্দেহ থেকেই যায়। একইভাবে, ইরানের মতো ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ও মুসলিম দেশের উপর যুক্তরাষ্ট্র এমন বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালাবে, আর পাকিস্তান কিছুই জানবে না বা সহযোগিতা করবে না—এমনটা বিশ্বাস করাও কঠিন।

    ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ রাষ্ট্রকে পেছন থেকে ছুরি?

    উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনীর সম্প্রতি ট্রাম্পের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সফরে ছিলেন। এই সফরের ফলাফল হিসেবেই কি পাকিস্তান ‘বন্ধুত্বপূর্ণ মুসলিম’ দেশ ইরানকে পেছন থেকে ছুরি মারল? যদি পাকিস্তান সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করে থাকে, তাহলে এটি হবে মুসলিম উম্মাহর প্রতি সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা। মুখে ইসলামি ভ্রাতৃত্বের কথা বললেও, বাস্তবে মুসলিম দেশগুলোর বিপক্ষে কাজ করছে পাকিস্তান? আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের পতনে পাকিস্তানের ভূমিকা এবং ওসামা ইস্যুতে পাকিস্তানের ভূমিকা স্মরণ করলে, এটি নতুন কিছু নয়।

    পাকিস্তান কীভাবে সাহায্য করতে পারে

    যুদ্ধকবলিত অর্থনীতি, আইএমএফ-এর চাপে থাকা রাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে পড়ে পাকিস্তান হয়তো সামান্য সাহায্যের আশায় যুক্তরাষ্ট্রকে এই সুবিধা দিয়েছে। সামান্য অস্ত্রচুক্তির জন্য যদি পাকিস্তান উম্মাহর পিঠে ছুরি চালায়, তাহলে ইয়েমেন, সিরিয়াসহ অন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলিরও সাবধান হওয়া দরকার। আন্তর্জাতিক মহলের অনুমান, পাকিস্তান আমেরিকাকে সীমিত সময়ের জন্য তাদের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে। গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। প্রশ্ন উঠছে ভারতের সন্ত্রাসবাদবাদ বিরোধী অবস্থান ও অপারেশন সিঁদুরের পর সারা বিশ্বের কাছে ইসলামিক ঐক্য নিয়ে ধর্মের তাস খেলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। এখন ইরানের বিপক্ষে মার্কিন সামরিক তৎপরতা দেখে-শুনেও তেহরানকে কেন সতর্ক করল না পাকিস্তান। ইসলামাবাদের কাজের কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ হয়তো পাওয়া যাবে না, কিন্তু পাকিস্তানের নীরবতা ও কৌশলী মনোভাব অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।

     

     

     

     

  • USA: ইরানে আক্রমণ মার্কিন সেনার! হামলা ৩ পরমাণু কেন্দ্রে, এবার ফিরবে শান্তি, বললেন ট্রাম্প

    USA: ইরানে আক্রমণ মার্কিন সেনার! হামলা ৩ পরমাণু কেন্দ্রে, এবার ফিরবে শান্তি, বললেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Trump) ঘোষণা করেন যে, তাঁরা ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছেন এবং ইরানের বিরুদ্ধে ও ইজরায়েলের পক্ষে এই যুদ্ধে যোগ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। প্রসঙ্গত, শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন যে, ইজরায়েলের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এই যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি দুই সপ্তাহ সময় নেবেন। কিন্তু ঠিক দু’দিনের মাথাতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাল।

    কোন তিন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালাল মার্কিন বিমান বাহিনী?

    ইরানের ফোর্ডো, নাটানজ ও এসফাহান, এই তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলার পর সব বিমান বর্তমানে নিরাপদে ইরানের আকাশসীমার বাইরে অবস্থান করছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই একটি পোস্টে লিখেছেন, মহান মার্কিন যোদ্ধাদের অভিনন্দন। বিশ্বে আর কোনও সামরিক বাহিনী এটি করতে পারত না, যা তারা করে দেখিয়েছে। এখন শান্তির সময়। তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েল এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ইরানকে এখন এই যুদ্ধ শেষ করতেই হবে।

    কী বললেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু?

    এই হামলার পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, “রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প এবং আমি প্রায়ই বলি, শক্তির মাধ্যমে শান্তি আসে। প্রথমে শক্তি, তারপর শান্তি।” প্রসঙ্গত, ইরানে এই হামলা চালানোর পরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানেই তিনি বলেন, “ইজরায়েলের সঙ্গে বিরোধ শেষ না করলে ইরানের ওপর আরও হামলা চালানো হবে।”
    সাংবাদিকদের তিনি (Trump) বলেন, “হয় শান্তি আসবে, নয়তো এভাবেই যুদ্ধ চলবে।” মার্কিন রাষ্ট্রপতি (USA) বলেন, “এই হামলার উদ্দেশ্য হল ইরানের পারমাণবিক উৎপাদন এবং পরমাণু বোমার হুমকিকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া।”

  • PM Modi: “বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…”, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিনয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি কারণ…”, খোলসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমায় আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম মহাপ্রভুর ভূমিতে যাওয়া আমার খুব প্রয়োজন। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি।” শুক্রবার কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ওড়িশার ভুবনেশ্বরে জনতা ময়দানে রাজ্যে বিজেপি সরকারের এক বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি জানালেন, কীভাবে তিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতির (Donald Trump) আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

    ট্রাম্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাত্র দু’দিন আগে আমি জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডায় ছিলাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আমায় ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যেহেতু আপনি ইতিমধ্যেই কানাডায় আছেন, তাই ওয়াশিংটনে কেন থামবেন না? আমরা এক সঙ্গে খাবার খাব এবং কথা বলব।” মোদি বলেন, “তিনি অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে আমন্ত্রণটি জানিয়েছিলেন। আমায় আমন্ত্রণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম মহাপ্রভুর ভূমিতে ভ্রমণ করা আমার খুব প্রয়োজন। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে তাঁর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছি। আপনাদের ভালোবাসা ও ভগবানের প্রতি ভক্তিই আমায় এখানে এনেছে।”

    মহাপ্রভু আমাদের আদর্শ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পুরো ওড়িশা ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। মহাপ্রভু আমাদের আদর্শ এবং অনুপ্রেরণা এবং মহাপ্রভুর আশীর্বাদে পুরী শ্রীমন্দির সম্পর্কিত সমস্যাগুলিও সমাধান করা হয়েছে। কোটি কোটি ভক্তের অনুরোধকে সম্মান করতে আমি মুখ্যমন্ত্রী মাঝি এবং তাঁর সরকারকে অভিনন্দন জানাই।” তিনি বলেন, “এখানে সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই শ্রীমন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে। রত্নভান্ডারও খুলে দেওয়া হয়েছে এবং এটি রাজনৈতিক জয়-পরাজয়ের বিষয় নয়। কোটি কোটি ভক্তের বিশ্বাসকে সম্মান করার জন্য একটি করা হয়েছে।”

    বিজেপি জমানায় ওড়িশার প্রভূত উন্নতি

    বিজেপি জমানায় যে ওড়িশার প্রভূত উন্নতি হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ওড়িশার দরিদ্র পরিবারগুলি আয়ুষ্মান যোজনার সুবিধা পেতে পারত না। কিন্তু এখন রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত জন আরোগ্য যোজনা এবং গোপবন্ধু জন আরোগ্য যোজনা উভয়ই বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফলস্বরূপ, ওড়িশার প্রায় তিন কোটি মানুষ নিখরচায় চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।” নকশাল দমন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “বিজেপি সরকার হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে এবং উপজাতি এলাকার উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ফলস্বরূপ, নকশাল সম্পর্কিত (Donald Trump) হিংসা এখন মাত্র ২০টি জেলায় সীমাবদ্ধ। দেশ থেকে নকশালবাদ নির্মূল করা হবে। এটা মোদির গ্যারান্টি (PM Modi)।”

  • Trump Munir Meet: ট্রাম্প-মুনির বৈঠক! কেন পাকিস্তানের প্রতি ‘হঠাতই সদয়’ আমেরিকা?

    Trump Munir Meet: ট্রাম্প-মুনির বৈঠক! কেন পাকিস্তানের প্রতি ‘হঠাতই সদয়’ আমেরিকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি অভিবাসীদের হাতে ট্রোলড হন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির (Trump Munir Meet)। জনসমক্ষে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তবে এতকিছুর পরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর এক গোপন বৈঠক হয়। এই বৈঠক ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাকিস্তানের প্রতি ‘হঠাতই সদয়’ হওয়ার পিছনে একাধিক কৌশলগত স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে।

    পারমাণবিক অস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র

    প্রথমত, ধারণা করা হচ্ছে যে, পাকিস্তানের (Trump Munir Meet) কয়েকটি অঞ্চলে — বিশেষ করে নূর খান ও কিরানা হিলস এলাকায় — আমেরিকার গোপন পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ রয়েছে। ভারতের বিমান হামলার পর ওই অঞ্চলগুলিতে মার্কিন উপস্থিতি ও নিয়ন্ত্রণ স্পষ্টভাবে বেড়ে যায় বলে অনেকেই দাবি করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিও, যেখানে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ইমতিয়াজ গুল দাবি করছেন, নুর খান এয়ারবেস এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানের সেনা আধিকারিকরাও প্রবেশ করতে পারছেন না। তাদের কোনও কিছু করতে দেওয়া হচ্ছে না। ওই বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, পাকিস্তানের নূর খান এয়ারবেসে আমেরিকার কার্গো আসা-যাওয়া করত। ওই কার্গোর ভিতরে কী থাকে, সেই সম্পর্কে পাকিস্তান সেনাও জানে না। একদিন যখন মালপত্র নামানো হচ্ছিল, পাক বায়ুসেনার এক শীর্ষ আধিকারিক, মার্কিন মেরিনকে প্রশ্ন করেন যে কার্গোর ভিতরে কী রয়েছে। মার্কিন নৌসেনা সাফ জানায়, তারা কিছু জানাতে পারবে না। জোরাজুরি করতেই, সঙ্গে সঙ্গে তার মাথায় পিস্তল তাক করে ওই মার্কিন সেনা। অর্থাৎ এখন পাকিস্তানের এয়ারবেসের ভিতরে কী হচ্ছে, তা পাকিস্তান নিজেই জানতে পারছে না। আমেরিকা এই এয়ারবেসের কার্যত দখল নিয়ে নিয়েছে। তাই পাকিস্তানকে ভেঙে পড়তে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নিরাপদ নয়। প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক দীপক ভোরার মতে, আসলে পাকিস্তানের নিজের বলে কিছুই নেই পুরোটাই অন্যের থেকে নেওয়া।

    ট্রাম্প পরিবারের ক্রিপ্টো ব্যবসা

    দ্বিতীয়ত, ট্রাম্প (Trump Munir Meet) পরিবারের পাকিস্তানে বড়সড় ক্রিপ্টো ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে বলে গুঞ্জন। পাকিস্তানের মুদ্রার প্রতি জনগণের আস্থা কমে যাওয়ায় অনেকেই এখন ক্রিপ্টোকারেন্সির দিকে ঝুঁকছেন। এই নতুন বাজারে প্রবেশের একটি সুবর্ণ সুযোগ দেখছে ট্রাম্প পরিবার। পাকিস্তানে ব্লকচেইন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতে প্রবেশ করছে ট্রাম্প পরিবার-নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি ‘ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল’ (ডব্লিউএলএফ)। ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ডিফাই ও ক্রিপ্টোকারেন্সি কোম্পানির ৬০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুই পুত্র এরিক ট্রাম্প ও ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং জামাতা জ্যারেড কুশনারের হাতে। ডব্লিউএলএফ-এর সহ-সভাপতি হিসেবে আছেন জ্যাকারি উইটকফ, যিনি ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক অংশীদার স্টিভ উইটকফের পুত্র। কোম্পানিটি ব্লকচেইন প্রযুক্তি, স্টেবলকয়েন এবং ডিফাই খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করছে।

    ২০২৫ সালের ২৬ এপ্রিল, ইসলামাবাদে পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রকের উদ্যোগে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিলের সঙ্গে একটি ‘লেটার অফ ইনটেন্ট’ (প্রস্তাবপত্র) সই করে ডব্লিউএলএফ। এই কাউন্সিলটি গঠিত হয় মাত্র এক মাস আগে, যার নেতৃত্বে আছেন বিলাল বিন সাকিব – পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীর উপদেষ্টা। চুক্তির আওতায় পাকিস্তানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও ডিজিটাল রূপান্তরের লক্ষ্যে ব্লকচেইন প্রযুক্তির ব্যবহার, সম্পদ টোকেনাইজেশন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রেমিট্যান্সের জন্য স্টেবলকয়েন চালু এবং ডিফাই পাইলট প্রকল্পের জন্য নিয়ন্ত্রক স্যান্ডবক্স তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব রক্ষা করা আমেরিকার নিজেদের আর্থিক স্বার্থ রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

    ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহ

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের আবহে পাকিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণেও ট্রাম্প (Trump Munir Meet) কাছে টানছেন মুনিরকে। আমেরিকা এই যুদ্ধে সরাসরি যোগ দিলে হয়তো ইরানের পাশের দেশ পাকিস্তানে ফের ঘাঁটি গাড়তে চাইবে তারা। সেই লক্ষ্যেই পাকিস্তানকে নিরপেক্ষ অবস্থান নিতে বাধ্য করছে আমেরিকা। ইসলামিক বিশ্বের যে কথা এতদিন ইসলামাবাদ বলে এসেছে। তা-ও আসলে ভাঁওতা। ইসলামিক বিশ্বে সংঘাত একটি জটিল সমস্যা। তা সে শিয়া-সুন্নি বিভেদই হোক বা বিভিন্ন দেশ ও গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতা এবং প্রভাব বিস্তারের আকাঙ্খা। আর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু বলেও কিছু নেই — আছে কেবলমাত্র স্থায়ী স্বার্থ। ভূরাজনীতির জগৎ আবেগের উপর নির্ভর করে না, বরং জনগণের চাহিদার উপর নির্ভর করে। একটি দেশের জন্য যা কিছু ভালো তা তার স্থায়ী স্বার্থ এবং যে দেশ এটি অর্জনে তাকে সহায়তা করে সেই দেশ তার বন্ধু। এই নীতিকেই সামনে রেখে ভারতও তার বিদেশনীতি পরিচালনা করছে, যেখানে দেশের স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া হচ্ছে।

  • Donald Trump: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরাই”! ভোল বদল ট্রাম্পের

    Donald Trump: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওরাই”! ভোল বদল ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওরা দুজনই পরমাণু শক্তিধর দেশ। সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই নিয়েছে।” ঠিক এই ভাষাতেই ভারত-পাকিস্তানকে সংঘর্ষ বিরতির (India Pakistan Ceasefire) ক্রেডিট দিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মঙ্গলবার পর্যন্তও ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতির ক্রেডিট নিজেকেই দিচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বুধবার তিনি ফোনে প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। সেই সময় মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিয়েছে ভারত-পাকিস্তান নিজেরাই। তৃতীয় কোনও পক্ষকে হস্তক্ষেপ করতে হয়নি। তার পর এদিন প্রায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিলেন, ওরা পরমাণু শক্তিধর দেশ। সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই নিয়েছে।

    ট্রাম্পের বক্তব্য (Donald Trump)

    বুধবার হোয়াইট হাউসে পাক সেনাপ্রাধন আসিম মুনিরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন ট্রাম্প। ‘পাকিস্তানকে ভালোবাসি’ বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এহেন আবহেই সুর বদলে ফেললেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট। মধ্যাহ্নভোজ শেষে ট্রাম্প বলেন, “আমি ওঁকে (মুনিরকে) ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ ওঁরা যুদ্ধের পথে হাঁটেননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। ভারতের সঙ্গে আমরা বাণিজ্যিক চুক্তি করছি। পাকিস্তানের সঙ্গেও বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে কাজ চলছে।” তিনি বলেন, “কয়েক সপ্তাহ আগেই মোদির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। কথাও হয়েছে। আমি খুব খুশি যে, দুই স্মার্ট ব্যক্তি যুদ্ধের পথে হাঁটেননি। উভয় দেশের নেতারা খুবই বিচক্ষণ। সময়ে যুদ্ধ থামিয়েছে। পরমাণু যুদ্ধ হতে পারত। কারণ দুটিই পরমাণু শক্তিধর দেশ। ওরাই সিদ্ধান্ত নিল।”

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তার জেরে কার্যত লেজেগোবরে দশা হয় ইসলামাবাদের (Donald Trump)। তার পরেই ভারতকে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান। সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় ভারত। স্থগিত রাখা হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারত ও পাকিস্তানের তরফে এই যুদ্ধবিরতি (India Pakistan Ceasefire) ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ট্রাম্প বারংবার বলতে থাকেন, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করার কৃতিত্ব তাঁরই। তিনি দাবি করেছিলেন, তিনি উভয় পক্ষের সঙ্গে অনেক বাণিজ্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই শান্তি স্থাপন করেছেন। পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পর বস্তুত ঢোক গিললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানিয়ে দিলেন, সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত ওরাই (ভারত-পাকিস্তান) নিয়েছে (Donald Trump)।

  • PM Modi: “পাকিস্তানের বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেবে না,” ট্রাম্পকে সাফ জানালেন মোদি

    PM Modi: “পাকিস্তানের বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেবে না,” ট্রাম্পকে সাফ জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত কখনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততা মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।” মঙ্গলবার রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) ফের একবার এ কথা মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে তাঁর প্রায় ৩৫ ধরে কথোপকথন হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আরও একবার স্পষ্ট করে দেন ভারতের অবস্থান।

    ভারতের পদক্ষেপ পরিমিত (PM Modi)

    চলতি বছরের ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তারই প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পড়শি দেশের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। এই প্রেক্ষাপটেই এদিন কথা হয়েছে ট্রাম্প এবং মোদির। ফোনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ভারতের এই পদক্ষেপ ছিল পরিমিত, সুনির্দিষ্ট এবং উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী নয়’।

    বিক্রম মিস্রির বক্তব্য

    বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিক্রম মিস্রি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে আমেরিকার কোনও ভূমিকা ছিল না। তিনি বলেন, “অভিযান চলাকালীন ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও মধ্যস্থতা বা বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অনুরোধ করেনি বা আলোচনা করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের গুলির জবাবে ভারত মর্টার শেল ছুড়েছে। আমরা সন্ত্রাসবিরোধী এক সক্রিয় অভিযানে রয়েছি এবং এখন সন্ত্রাসবাদকে আমরা আর ছায়াযুদ্ধ বলে মনে করি না। এটা সরাসরি যুদ্ধই।” প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র পাকিস্তানের অনুরোধের পরেই। এই অনুরোধ করা হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে যে সামরিক যোগাযোগ চ্যানেল রয়েছে, তার মাধ্যমে। এর পরেই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই প্রক্রিয়ায় কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপ ছিল না। প্রসঙ্গত, ভারত-পাক যুদ্ধ বিরতির পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে তাঁরই হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন দাবি যে নেহাৎই অর্থহীন, পরোক্ষভাবে ট্রাম্পকে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদি (PM Modi)।

    সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোদির বক্তব্য

    কানাডায় আয়োজিত জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন (Donald Trump) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারত জি৭-এর সদস্য নয়। তিনি ছিলেন আমন্ত্রিত দেশের প্রতিনিধি। তাঁকে আহ্বান জানিয়েছিলেন আয়োজক দেশের প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি স্বয়ং। সেখানে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদির ভাষণে অবধারিতভাবে উঠে আসে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত জঙ্গি হামলা শুধুমাত্র পহেলগাঁওয়ের ওপর হামলা ছিল না। এটি ছিল প্রতিটি ভারতীয়ের আত্মা, পরিচয় এবং মর্যাদার ওপর হামলা। এটি ছিল সমগ্র মানবতার ওপর এক আঘাত।” সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে যাতে দ্বিমুখী নীতি প্রয়োগ করা না হয় এবং এর বিরুদ্ধে যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে বৈশ্বিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, বিশ্বনেতাদের কাছে সেই আহ্বানও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    মোদি-ট্রাম্পের পার্শ্ববৈঠক বাতিল 

    জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকেই পার্শ্ববৈঠক হওয়ার কথা ছিল মোদি ও ট্রাম্পের। কিন্তু ট্রাম্পকে তাড়াতাড়ি ওয়াশিংটন ফিরে যেতে হওয়ায়, সেই বৈঠক হয়নি। ট্রাম্পের অনুরোধে ফোনালাপের ব্যবস্থা করা হয়। পহেলগাঁও হামলার পর এটাই ছিল ট্রাম্প-মোদির প্রথম বিশদ আলোচনা। পাকিস্তান থেকে সম্ভাব্য জঙ্গি হুমকি সম্পর্কে আগে মার্কিন উপ-রাষ্ট্রপতি ভ্যান্স যে একটি সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, এদিন ফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তা স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “ভারত সেই অনুযায়ী কঠোর ও সুনির্দিষ্টভাবে জবাব দিয়েছে, যেমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল (PM Modi)।”

    ‘কোয়াড’ সম্মেলনে আহ্বান

    এদিকে, এদিন ফোনেই মোদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে (Donald Trump) পরবর্তী ‘কোয়াড’ সম্মেলন উপলক্ষে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান। মিস্রি জানান, ট্রাম্প আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। জানিয়েছেন তিনি ভারতে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছর কোয়াড সম্মেলন হবে ভারতে। মিস্রি বলেন, “কোয়াডের পরবর্তী বৈঠকের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভারতে আসার আমন্ত্রণ পেয়ে উচ্ছ্বসিত।” ভারতের বিদেশ সচিব বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি কানাডা থেকে ফেরার পথে যুক্তরাষ্ট্রে থামবেন কি না। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় (Donald Trump) প্রধানমন্ত্রী মোদি তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন ট্রাম্পকে। এরপর উভয় নেতাই সিদ্ধান্ত নেন অদূর ভবিষ্যতে তাঁরা সাক্ষাতের চেষ্টা করবেন (PM Modi)।”

  • Donald Trump: অগ্নিগর্ভ লস অ্যাঞ্জেলেস, বিক্ষোভ-সংঘর্ষ দমনে এবার নামানো হল মেরিনবাহিনীকে

    Donald Trump: অগ্নিগর্ভ লস অ্যাঞ্জেলেস, বিক্ষোভ-সংঘর্ষ দমনে এবার নামানো হল মেরিনবাহিনীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারদিন ধরে চলা বিক্ষোভ-সংঘর্ষ দমনে এবার লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তায় নামানো হচ্ছে আমেরিকার নৌসেনার মেরিনবাহিনীকে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে ক্যালিফর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস (Los Angeles)। পরিস্থিতি সামাল দিতে আগেই ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এবার আন্দোলন দমন করতে আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড পাঠাচ্ছেন তিনি। এর পাশাপাশি ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর গাভিন নিউসামকে গ্রেফতারির প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প।

    মেরিনবাহিনী (Donald Trump)

    মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আপাতত মেরিনবাহিনীর প্রায় ৭০০ সদস্যকে লস অ্যাঞ্জেলেসে মোতায়েন করা হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যেরা লস অ্যাঞ্জেলেসে না পৌঁছোচ্ছেন, ততক্ষণ মেরিনবাহিনীকে শহরে মোতায়েন রাখা হবে। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে ঘিরে গত কয়েক দিনে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস শহর। হিংসার আশ্রয় নিলে ফল ভালো হবে না বলে বিক্ষোভকারীদের আগেই কড়া বার্তা দিয়ে রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নরের আপত্তি

    প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্তে শুরু থেকেই আপত্তি জানান ক্যালিফর্নিয়া প্রদেশের ডেমোক্র্যাট গভর্নর নিউসাম। এই সিদ্ধান্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে উসকানিমূলক বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর ফলে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিলেন নিউসাম। যদিও গভর্নরের এই কথায় কর্ণপাত করেননি ট্রাম্প। ক্যালিফর্নিয়া প্রশাসনের সমালোচনা করে এক্স হ্যান্ডেলে ট্রাম্প লিখেছেন, “যদি ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর, লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র নিজেদের কাজ করতে না পারেন, সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হবে।” বিক্ষোভকারীদের দাঙ্গাবাজ ও ডাকাত বলেও উল্লেখ করেন ট্রাম্প। এই আবহে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ক্যালিফর্নিয়ার প্রশাসন। উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছেন নিউসাম।

    লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন

    গভর্নরের অভিযোগ, কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা জানান, নিউসামের সঙ্গে আলোচনা না করেই ট্রাম্প বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, এই সিদ্ধান্তের ফলে ট্রাম্প তাঁর নিজের সীমা অতিক্রম করেছেন। ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “এখানে কোনও বিদ্রোহ নেই। প্রেসিডেন্ট তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থে এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন (Donald Trump)।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের হুঁশিয়ারি

    শনিবারই ট্রাম্প প্রশাসনের বর্ডার জার টম হুমান হুঁশিয়ারি (Los Angeles) দিয়েছিলেন, “ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর নিউসাম হোন বা লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস, বা অন্য কেউ – যিনিই অভিবাসন সংস্থার কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।” সোমবার ট্রাম্পের মুখেও সেই হুঁশিয়ারিই শোনা গিয়েছে। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি যদি টমের জায়গায় থাকতাম, আমিও তা-ই করতাম। আমার মনে হয়, এটাই ভালো। গাভিন প্রচারে থাকতে চান। আমার মনে হয়, এটা ভালোই হবে।”

    নির্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প

    ২০২৪ সালে নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প নির্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। রোজ ৩ হাজার বেআইনি অভিবাসীকে গ্রেফতার করে বিতাড়িত করার লক্ষ্য ছিল ট্রাম্পের। আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্ত বন্ধ করাও ট্রাম্পের লক্ষ্য ছিল (Donald Trump)। অবৈধ অভিবাসীদের রুখতে কঠোর পদক্ষেপের কথা আগেই জানিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। সেই পদক্ষেপের মধ্যে ছিল কর্মস্থল বা আদালত চত্বরের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় অভিযান চালানো। ট্রাম্প বলেছিলেন, ডেমোক্র্যাটিক প্রদেশ ক্যালিফর্নিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়া হয়, যা দেশের পক্ষে বিপজ্জনক।

    অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার

    অভিবাসন দমন এজেন্সি সূত্রে খবর, গত শুক্রবার একটি কর্মস্থলে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ৪৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে। ওই দিন গ্রেটার এলএ-তেও আরও ৭৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই অভিযান ট্রাম্পের নয়া অভিবাসন নীতির অংশ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের (Los Angeles)। এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লস অ্যাঞ্জেলেস। ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামেন বৈধ নথি না থাকায় অভিযুক্ত অভিবাসীরা (Donald Trump)।

    ফেডারেল ডিটেনশন সেন্টারের সামনে জড়ো হন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। ধৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। সেখানে পুলিশ বাধা দিতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। পুলিশের অভিযোগ, তাঁদের দিকে ইট ছুড়তে শুরু করে উন্মত্ত জনতা। একাধিক গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন দোকানে চলে অবাধে লুটপাট। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিনা প্ররোচনায়ই নিরস্ত্র জনতার ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাস (Los Angeles)। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামাল দিতেই মোতায়েন করা হয় বাহিনী (Donald Trump)।

LinkedIn
Share