Tag: Donald Trump

Donald Trump

  • Vivek Ramaswamy: মার্কিন ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসছেন বিবেক রামস্বামী, কেন তাঁকে বাছলেন ট্রাম্প?

    Vivek Ramaswamy: মার্কিন ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসছেন বিবেক রামস্বামী, কেন তাঁকে বাছলেন ট্রাম্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিম ট্রাম্পে (Donald Trump) জায়গা পাচ্ছেন ‘গর্বিত হিন্দু’ বিবেক রামস্বামী (Vivek Ramaswamy)। আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই ইতিমধ্যেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছেন তিনি। তাঁর মন্ত্রিসভায় কারা ঠাঁই পাবেন, তা ঠিক করতে শুরু করে দিয়েছেন রিপাবলিকান এই নেতা। শপথ গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করেই মন্ত্রিসভার সদস্যদের বাছাই করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    টিম ট্রাম্পে জায়গা (Vivek Ramaswamy)

    তখনই জানা গিয়েছে, টিম ট্রাম্পে জায়গা পেয়েছেন ‘গর্বিত হিন্দু’ বিবেক রামস্বামী। প্রথমে রিপাবলিকান পার্টিতে প্রেসিডন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন রামস্বামী। পরে সরে দাঁড়িয়ে সমর্থন করেন ট্রাম্পকে (Donald Trump)। তার পর থেকে সময় যত গড়িয়েছে ট্রাম্পের সঙ্গে রামস্বামীর সম্পর্কের গাঁটছড়া ততই মজবুত হয়েছে। রামস্বামীকে (Vivek Ramaswamy) দেশপ্রেমিক আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের মতো তিনিও বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে অবৈধ অভিবাসীদের স্বদেশে ফেরত পাঠাবেন। তিনি বলেছিলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের প্রতি কোনও ধরনের নমনীয়তা দেখানো হবে না। তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আমরা এই অবৈধ বসবাসকারীদের এ দেশে থাকতে দেব না। তাদের সন্তানদের মার্কিন নাগরিকত্বও বাতিল করব।”

    ‘গর্বিত হিন্দু’

    নিউ হ্যাম্পশায়ারের এক ভোটার রামস্বামীর (Vivek Ramaswamy) ধর্মীয় পরিচয় জানতে চেয়েছিলেন। রামস্বামীর স্পষ্ট জবাব, “আমি হিন্দু। হিন্দু ধর্ম নিয়ে আমি গর্বিত। নিজের ধর্মীয় পরিচয় লুকোতে রাজি নই। আমার মতে, এতে ধর্মীয় স্বাধীনতার লড়াইয়ে আমি আরও বেশি করে তৎপর হতে পারব। কেরিয়ারের জন্য মিথ্যে কথা বলব না।” হার্ভার্ড ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক রামস্বামীর বয়স মাত্রই ৩৯। এই অল্প বয়সেই তিনি বিলিয়নেয়ার। তিনি ট্রাম্পের (Donald Trump) অন্যতম প্রধান সমর্থক। মনেপ্রাণে কট্টর পুঁজিবাদী। ভারতীয় অভিবাসী পিতামাতার সন্তান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন রামস্বামী। তিনি তাঁর বায়োটেক কোম্পানি রোভ্যান্ট সায়েন্সেসের মাধ্যমে প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছেন। প্রযুক্তি, ক্রিপ্টোকারেন্সি, ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছেন। ‘এক্সেলেন্স ক্যাপিটালিজম’ শব্দটিকে জনপ্রিয় করেছেন তিনি। এই ধারণা সামাজিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্যগুলির চেয়ে ব্যবসায়িক অগ্রাধিকারকে উৎসাহিত করে।

    আরও পড়ুন: ইউনূসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের আওয়ামি লিগের

    রামস্বামীর বায়োটেক থেকে রাজনীতিতে স্থানান্তর শুরু হয় ২০২১ সালে। এ বছরই প্রকাশিত হয় তাঁর বই— ওক, ইঙ্ক (ইনকর্পোরেশন)। এই বইতে তিনি কর্পোরেট আমেরিকার সামাজিক ইস্যুতে মনোযোগ দেওয়ার প্রবণতার সমালোচনা করেন। কট্টর পুঁজিবাদের সমর্থক হলেও রামস্বামী (Vivek Ramaswamy) যাপন করেন অতি সাধারণ মানের জীবন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     
     
  • Tulsi Gabbard: ট্রাম্প প্রশাসনে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান হচ্ছেন তুলসী গ্যাবার্ড, চেনেন তাঁকে?

    Tulsi Gabbard: ট্রাম্প প্রশাসনে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান হচ্ছেন তুলসী গ্যাবার্ড, চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মসূত্রে তিনি হিন্দু নন। ভারতের সঙ্গে তাঁর নাড়ির যোগটুকুও নেই। তবে নাম শুনলে মনে হতে পারে তিনি ভারতীয়। সেই তিনিই প্রকাশ্যে ভারতকে ভালোবাসার কথা বলেন। তাঁর মতে, হিন্দু ধর্ম শ্রেষ্ঠ ধর্ম, গীতা শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ। এই তিনি হলেন তুলসী গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)।

    তুলসী গ্যাবার্ড (Tulsi Gabbard)

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গীতা উপহার দিয়ে এক সময় খবরের শিরোনামে চলে এসেছিলেন তিনি। ফের এলেন এতদিন পর। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি গলা ফাটিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) হয়ে। বুধবার তুলসীকে তাঁর প্রশাসনে ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টর জাতীয় গোয়েন্দা প্রধানের পদে নিয়োগ করেছেন আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (এখনও অবশ্য শপথ নেননি ট্রাম্প)। তাঁর অধীনে ১৮টি বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগ কাজ করবে। এক সময় ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন তুলসি। ট্রাম্প তাঁকে ‘গর্বিত রিপাবলিকান’ অভিধায় ভূষিত করেছেন। ট্রাম্পের মতে, গোয়েন্দা সম্প্রদায়ে তিনি ‘নির্ভীক চেতনা’ নিয়ে আসতে পারবেন।

    কী বললেন ট্রাম্প?

    সম্প্রতি জারি করা এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, “ডেমেক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে, একজন প্রাক্তন প্রার্থী হিসেবে তাঁর উভয় দলের মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে – তিনি এখন গর্বিত রিপাবলিকান।” ট্রাম্প বলেন, “আমি জানি তুলসী তাঁর সুদীর্ঘ কর্মজীবনে যে নির্ভীক মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তা আমাদের গোয়েন্দা টিমেও বয়ে আনবেন। তিনি আমাদের সাংবিধানিক অধিকারগুলির পক্ষে কথা বলবেন এবং শক্তির মাধ্যমে শান্তি স্থাপন করবেন। তুলসী আমাদের সকলকে গর্বিত করবেন!”

    গোয়েন্দা ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর নির্দিষ্ট কোনও অভিজ্ঞতা নেই। তবে তুলসি (Tulsi Gabbard) সেনাবাহিনীর একজন অভিজ্ঞ সদস্য। দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন তিনি। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত হাওয়াইয়ের দ্বিতীয় জেলার কংগ্রেসওম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর্মি ন্যাশনাল গার্ডে কাজ করার সুবাদে ইরাক ও কুয়েতে মোতায়েন ছিলেন তুলসী। দু’বছর ধরে হাউস হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটিতেও কাজ করেছেন।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    নাম শুনলেই তাঁকে ভারতীয় বলে মনে হতে পারে। তবে তিনি ভারতীয় নন। তাঁর মা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর সন্তানদের হিন্দু নাম দিয়েছিলেন। তুলসি নিজেও (Donald Trump) হিন্দু হিসেবেই পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। যদিও তিনি আমেরিকান সামোয়ান বংশোদ্ভূত। তবুও শপথ নেওয়ার সময় তুলসীর (Tulsi Gabbard) হাতে ছিল ভগবদ্গীতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     

  • ISKCON: ট্রাম্পের বিপুল জয়ে উদ্বিগ্ন ইউনূস, ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নাও করা হতে পারে

    ISKCON: ট্রাম্পের বিপুল জয়ে উদ্বিগ্ন ইউনূস, ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নাও করা হতে পারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ব্যাপক আক্রমণের ঘটনা ঘটতে থাকে। এমন অবস্থায় প্রতিবাদ জানাতে দিকে দিকে শুরু হয় বিক্ষোভ সমাবেশ। ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিপুল জনসমাগম হয়। সেই জনজোয়ার নজর কাড়ে গোটা বিশ্বের। এই দুই সমাবেশেই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল ইসকন। এরপরে ইসকনের ওপর বাংলাদেশ সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে, এমন খবর রটে যায়। জল্পনার অবশ্য বিশেষ কিছু কারণও ছিল। বাংলাদেশে বর্তমানে ইউনূস সরকারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে জামাত-বিএনপির এবং হেফাজতে-ইসসামের হাতে। সেই মৌলবাদীরা সম্প্রতি ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে। চট্টগ্রামে বিপুল জনসমাগমের পরেই এক মৌলবাদী সমাজ মাধ্যমে ইসকন (ISKCON) বিরোধী পোস্ট করে। সংস্থাকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়। যার ফলে অশান্ত হয় চট্টগ্রাম। এই ঘটনায় ৫৮২ জনকে আটক করে পুলিশ। প্রশাসনের তরফ থেকেও বলা হয়, ধৃতরা প্রত্যেকেই ইসকনের সদস্য। অনেকে বলতে থাকেন, আসলে প্রশাসন অশান্তি ছড়ানোর জন্য মৌলবাদীদের বদলে ইসকনকে দায়ী করছে মূলত দুটি কারণে- প্রথমতঃ বাংলাদেশের প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে মৌলবাদীদের হাতে এবং দ্বিতীয়তঃ সে কারণেই ইসকনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে মৌলবাদীদের খুশি করতে চায় বাংলাদেশের প্রশাসন। তার পরেই যেন খেলা ঘুরতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump) নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যখন তিনি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ছিলেন, তখনই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন। তাই ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই উদ্বেগে রয়েছে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার। এমন অবস্থায় ওয়াকিবহাল মনে করছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ইসকনের (ISKCON) বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অন্ততপক্ষে আর নিতে পারবে না।

    ইউনূস আত্মবিশ্বাসী ছিলেন কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট হবেন

    বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূসের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। অনেকের ধারণা, ইউনূসকে বাংলাদেশে ক্ষমতার মসনেদ বসাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল ডেমোক্র্যাটরা। ২০২৪ সালের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ইউনূস আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস জিতবেন। ইউনূস ভেবেছিলেন, ডেমোক্র্যাট রাষ্ট্রপতির অধীনে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থাকে সেক্ষেত্রে তাঁর সোনায় সোহাগা হবে। বাংলাদেশে ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর যে ধরনের নির্যাতন চলছে, সে নিয়ে মার্কিন প্রশাসন কোনও কথা বলবে না। একইসঙ্গে কট্টরপন্থী ইসলামিক মৌলবাদীদের সঙ্গে ইউনূসের যোগকেও উপেক্ষা করে চলবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাই আশা ছিল কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট হবেন। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প বিপুল ভোটে জয়ী হতেই সে আশা ভেঙে যায়। বাংলাদেশে ধর্মীয়ভাবে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় গত ৩১ অক্টোবরই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে, এর প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ট্রাম্পের ওই পোস্টে ইউনূস ও তাঁর কট্টর মৌলবাদী ইসলামপন্থী বন্ধুরা খুবই অস্বস্তিতে পড়ে যান। নিজের পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘‘হিন্দু খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যে বর্বর অত্যাচার হচ্ছে বাংলাদেশে, তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ বর্তমানে উপদ্রুত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।’’

    কী বলছেন আওয়ামী লিগের নির্বাসিত নেতা?

    ট্রাম্পের এমন ট্যুইটবাণ ইউনূসকে হজম করতে হয়। তিনি তখনও আশায় মগ্ন ছিলেন যে কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে বদলে গিয়েছে। ইউনূস সরকার আশঙ্কিত যে কোনও মুহূর্তে নতুন মার্কিন প্রশাসন, বাংলাদেশের হিন্দু সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় নিয়ে ফের সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। ইউনূস নিজেও জানেন, এক্ষেত্রে তাঁর ডেমোক্র্যাট বন্ধুরা কিছুই করতে পারবেন না। স্বরাজ্য পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, এক আওয়ামী লিগের নির্বাসিত নেতা দাবি করেছেন, ‘‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় ইউনূস ও তাঁর প্রশাসনকে কঠিন তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে। কোনওভাবেই আর কট্টর ইসলামপন্থী মৌলবাদীদের প্রতি নরম হতে পারবে না ইউনূস।’’ আওয়ামী লিগের ওই নেতার আরও দাবি, ‘‘ইউনূস নিজেও জানেন যে ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা যদি হয় তবে সেখানে নজরদারি চালাতে থাকবে ট্রাম্প প্রশাসন এবং তিনি নিজেও মৌলবাদীদের খুশি করার মতো পদক্ষেপ করতে পারবেন না।’’

    মার্কিন দেশে রয়েছেন প্রচুর ইসকন (ISKCON) ভক্ত

    প্রসঙ্গত, অনেকেই বলছেন যে, ইউনূস প্রশাসন ইসকনের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসকনের প্রচুর প্রভাবশালী ভক্ত রয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন শিল্পপতি থেকে বিভিন্ন পেশাদাররা, যাঁরা প্রত্যেকেই রিপাবলিকানদের ঘনিষ্ঠ। এমনকী, খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইসকনের সুসম্পর্ক রয়েছে। আবার বেশ কিছু প্রভাবশালী ইসকন ভক্তের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ‘‘ট্রাম্পের সঙ্গে বহু পুরনো এবং দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ইসকনের। মার্কিন মুলুকে ইসকনের রথযাত্রার সূচনার নেপথ্যে বিরাট ভূমিকা ছিল ট্রাম্পের। ইসকনের রথযাত্রার অন্যতম বড় পৃষ্ঠপোষকও ট্রাম্প। 

    ট্রাম্প ও ইসকনের (ISKCON) ইতিহাস 

    ৪৮ বছর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জগন্নাথের রথ তৈরির জন্য মুফতে জায়গা দিয়েছিলেন। ১৯৭৬ সাল। মার্কিন মুলুকে প্রথমবার রথযাত্র উৎসবের উদ্যোগ চলছে। রথ কোথায় তৈরি করা হবে, তা নিয়ে ইসকনের কর্তারা যখন ধন্দে, তখনই প্রায় ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ট্রাম্প। জানা যায়, ইসকনের কর্তারা নিউইয়র্ক শহরের ধনী ব্যক্তিদের কাছে রথ বনানোর জন্য জায়গা চেয়ে অনুনয়-বিনয় করছেন। কেউ তাঁদের জায়গা দিচ্ছেন না। জায়গার খোঁজে তাঁরা যখন হন্যে হচ্ছেন, তখনই একদিন তাঁরা গেলেন ট্রাম্পের কাছে। সব শুনে তাঁর সেক্রেটারি বললেন, ওঁর সঙ্গে দেখা করে অনুরোধ জানাতে পারেন। তবে তাতে কাজ হবে না। ইসকনের কর্তারা ট্রাম্পের সেক্রেটারির হাতেই তাঁর জন্য নিয়ে যাওয়া মহাপ্রসাদ তুলে দিয়ে এসেছিলেন। এর কয়েক দিন পরেই এসেছিল ট্রাম্পের সই করা চিঠি। তার পরেই তাঁর একটি ফার্ম হাউসে শুরু হয় রথ তৈরির কাজ। মার্কিন মুলুকে সেই প্রথম গড়ায় রথের চাকা। ফলে, আমেরিকায় এখন ট্রাম্প ক্ষমতায় চলে আসার ফলে, বাংলাদেশে ইউনূস সরকারের ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দুরভিসন্ধি হয়ত সম্ভব হবে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: ‘‘ট্রাম্পের জয়ে অনেক দেশই উদ্বিগ্ন, তবে ভারত নয়’’, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    Donald Trump: ‘‘ট্রাম্পের জয়ে অনেক দেশই উদ্বিগ্ন, তবে ভারত নয়’’, সাফ জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মসনদে দারুণভাবে কামব্যাক করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ট্রাম্প ঝড়ে কার্যত উড়ে গিয়েছেন কমলা হ্যারিস। এদিকে ট্রাম্পের ফেরা নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের ইউনূস সরকার সহ অনেকেই। এই আবহে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানিয়ে দিলেন, ট্রাম্পের মসনদে বসা নিয়ে উদ্বেগে নেই দেশ। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘ট্রাম্পের জয়ে অনেক দেশই উদ্বিগ্ন, তবে ভারত নয়।’’

    গতকাল রবিবার মুম্বইতে এই কথাগুলি বলেন বিদেশমন্ত্রী

    রবিবার মুম্বইতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই বক্তব্য রাখেন বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) এস জয়শঙ্কর। কেমন হতে চলেছে ভারতের সঙ্গে মার্কিন দেশের সম্পর্ক? এ নিয়ে জয়শঙ্করের বক্তব্য, ‘‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রথম তিনজন রাষ্ট্রনেতার মধ্যে অন্যতম যিনি ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন টেলিফোনের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন প্রথম মার্কিন সফরে যান, তখন ওবামা ছিলেন প্রেসিডেন্ট। তারপরে হলেন ট্রাম্প (Donald Trump)। এরপর বাইডেন। তাহলে আপনারা অনুমান করতেই পারছেন যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কীভাবে সম্পর্কগুলিকে রেখে চলেছেন।’’

    ট্রাম্প (Donald Trump) প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হয় হাওডি মোদি

    প্রসঙ্গত, শেষবারের মতো ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্মানে আয়োজিত হয়েছিল ‘হাওডি মোদি’ অনুষ্ঠান। অন্যদিকে, এর ঠিক কয়েক মাস পরেই ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমেদাবাদে ট্রাম্পের সম্মানে মোদি অনুষ্ঠিত করেন ‘নমস্তে ট্রাম্প’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: আমেরিকায় ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় লাভবান হবে ভারত, বলছে রেটিং সংস্থা মুডিজ

    Donald Trump: আমেরিকায় ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় লাভবান হবে ভারত, বলছে রেটিং সংস্থা মুডিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মুডিজ রেটিংয়ের মতে, এর ফলে মার্কিন-চিন উত্তেজনা বাড়বে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিনিয়োগে সম্ভাব্য সীমাবদ্ধতার কারণে ভারত (India) ও অন্য এশীয় দেশগুলির লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

    কী বলছে মুডিজ (Donald Trump)

    গ্লোবাল রেটিং সংস্থা মুডিজের আশা, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের কৌশলগত খাতে মার্কিন বিনিয়োগ কঠোর হওয়ার ফলে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের প্রবাহ আরও বেশি করে চিন থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। এতে আদতে উপকৃত হবে ভারত। এটি ইতিবাচক হতে পারে ভারতের অর্থনীতি ও আসিয়ান (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া গোষ্ঠীভুক্ত) দেশগুলির পক্ষে। এই পরিবর্তন চিনের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মন্দা ডেকে আনবে আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধিতে। আমেরিকার এই পদক্ষেপের ফলে লাভবান হতে পারে ভারত ও আসিয়ান দেশগুলি। মুডিজ জানিয়েছে, ট্রাম্পের আইন প্রণয়ন ও এক্সিকিউটিভ ক্ষমতার মাধ্যমে অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের একাধিক বিকল্প থাকবে।

    ট্রাম্পের কর সংস্কার প্রস্তাব

    মুডিজের আশা, ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসন বাজেট, বাণিজ্য, জলবায়ু এবং অভিবাসন নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে। এগুলির সঙ্গে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতির বিস্তর ফারাক হবে। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্প কর সংস্কার প্রস্তাব করেছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল, সতেরো সালের ট্যাক্স কাটস অ্যান্ড জবস অ্যাক্ট স্থায়ী করা, কর্পোরেট ট্যাক্সের হার কমানো এবং আয়ের ওপর কর ছাড় দেওয়া। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই পরিকল্পনাগুলি, নির্দিষ্ট ট্যারিফের সঙ্গে মিলিয়ে, বিশেষ করে চিনা পণ্যের ওপর উচ্চ হারে ট্যারিফ প্রয়োগ করলে, আমেরিকার ফেডারেল ঘাটতি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: “কংগ্রেস-জেএমএমের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকুন”, বার্তা মোদির

    মুডিজের দাবি, ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি সুরক্ষামূলক বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত করতে পারে। ট্রাম্পের এই নীতি আমদানির ওপর নির্ভরশীল খাতগুলির (উৎপাদন, প্রযুক্তি এবং খুচরা) জন্য ঝুঁকিবহুল হতে পারে। সংস্থার দাবি, সুরক্ষামূলক পদক্ষেপগুলি বৈশ্বিক সরবরাহ (India) শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং আমদানি করা উপকরণ ও পণ্যের ওপর নির্ভরশীল খাতগুলির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Donald Trump: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত হবে, আশায় ভারত

    Donald Trump: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত হবে, আশায় ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) আসীন হওয়াটা (India US Trade Security Ties) এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। নতুন বছরের ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন তিনি। তাঁকে ঘিরে আশার আলো দেখছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। কারণ মার্কিন দেশে ক্ষমতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর ‘বন্ধু’। তবে উদ্বেগ যে একেবারেই নেই, তা নয়। উদ্বেগ রয়েছে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য বন্ধন নিয়ে। তবে, দ্রুত সেই উদ্বেগের নিরসন হয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত হবে, আশায় নয়াদিল্লি।

    ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump)

    ট্রাম্প হতে চলেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর সঙ্গে মোদির সম্পর্ক খুবই ভালো। এর আগের দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে ট্রাম্পের উদ্যোগেই হয়েছিল ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠান। গুজরাটে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সখ্যতার প্রমাণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পরেও ভারত-আমেরিকা সুসম্পর্ক বজায় থাকবে বলেও ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

    ভারতের পাশে ট্রাম্প

    ভারতের সঙ্গে ট্রাম্প (Donald Trump) বরাবরই সুসম্পর্ক রেখে চলেছেন। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে চিনা ফৌজ অনুপ্রবেশের সময় ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য দু’টি সি গার্ডিয়ান ড্রোনের লিজ মঞ্জুর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ট্রাম্প। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের সময় মোদি সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন ট্রাম্প। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রয়োজনীয়তাও উপলদ্ধি করেছিলেন। ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, ট্রাম্প (Donald Trump) ভারতে বৃহত্তর বিনিয়োগের পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: রাতভর অভিযান কাশ্মীরে সাফল্য সেনার, নিহত ২ জঙ্গি, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

    ভারতীয়দের আমেরিকায় বিনিয়োগ করার আহ্বান করেছিলেন। ডাম্পিং সমস্যায় চিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেছিলেন তিনি। এর আগের মেয়াদে ট্রাম্প ভারতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রাকৃতিক শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখার কথা বলেছিলেন তিনি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছিলেন ট্রাম্প। ভারতীয় বিমান বাহিনীর বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি ক্যাম্পে আক্রমণের সময় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভারতের পাল্টা আঘাত করার অধিকারকে স্বীকৃতিও দিয়েছিলেন তিনি। সংখ্যালঘু হিন্দু ও খ্রিস্টানদের ওপর মুসলমানদের হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনাও করেছিলেন ট্রাম্প।

    নানা বিষয়ে মতের মিল হওয়ায় ট্রাম্প যে ভারতের পাশেই থাকবেন, সে ব্যাপারে আশাবাদী (India US Trade Security Ties) ভারত। উদ্বেগ বলতে ওইটুকুই, সেটা হল বাণিজ্য চুক্তি। তবে, ট্রাম্পের (Donald Trump) দ্বিতীয় দফায় দ্রুত সেই উদ্বেগের নিরসন হয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক মজবুত হবে, আশায় নয়াদিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kashyap ‘Kash’ Patel: সিআইএ-র প্রধান ভারতীয় বংশোদ্ভূত? ‘বন্ধু’ মোদির রাজ্যে শিকড় থাকা কাশ্যপেই আস্থা ট্রাম্পের!

    Kashyap ‘Kash’ Patel: সিআইএ-র প্রধান ভারতীয় বংশোদ্ভূত? ‘বন্ধু’ মোদির রাজ্যে শিকড় থাকা কাশ্যপেই আস্থা ট্রাম্পের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় তিনি পরিচিত ক্যাশ নামে। আসল নাম কাশ্যপ প্যাটেল (Kashyap ‘Kash’ Patel)। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য তিনি সব কিছু করতে পারেন। মার্কিন মসনদে ফের বসতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তার পরেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ্যপ। শোনা যাচ্ছে, আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স এজেন্সি বা সিআইএ-র প্রধান পদে (CIA director) এই কাশ্যপকেই বসাতে চাইছেন ট্রাম্প।

    গুজরাটি বংশোদ্ভূত কাশ্যপ

    আমেরিকায় প্রতিরক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, কাশ্যপ (Kashyap ‘Kash’ Patel) গুজরাটি বংশোদ্ভূত। তাঁর বাবা-মা বড় হয়েছেন পূর্ব আফ্রিকায়। সত্তরের দশকে ইদি আমিন শাসিত উগান্ডা থেকে পালিয়ে যান কাশ্যপের বাবা। চলে আসেন আমেরিকায়। ১৯৮০ সালে নিউইয়র্কের গার্ডেন সিটিতে জন্ম হয় কাশ্যপের। সেখানেই বেড়ে ওঠেন।  আইন নিয়ে পড়াশোনার জন্য নিউইয়র্কে আসার আগে রিচমন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে স্নাতক হন কাশ্যপ। ব্রিটেনের ‘ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন’-এর ‘ফ্যাকাল্টি অফ ল’ থেকে আন্তর্জাতিক আইনেরও ডিগ্রি রয়েছে কাশ্যপের। 

    কর্মজীবন শুরু আইনজীবী হিসেবে

    আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন কাশ্যপ (Kashyap ‘Kash’ Patel)। খুন, মাদক পাচার এবং আর্থিক অপরাধ সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি জটিল মামলা লড়েন। ৪৪ বছর বয়সি কাশ্যপ প্রতিরক্ষা সচিব ক্রিস্টোফার মিলারের প্রাক্তন ‘চিফ অফ স্টাফ’ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আগে প্রেসিডেন্টের উপ-সহকারী এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে সন্ত্রাস দমনের সিনিয়র ডিরেক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন কাশ্যপ।

    আরও পড়ুন: ‘‘সেই ব্যক্তি কোথায়?’’ ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূসের!

    ট্রাম্প প্রশাসনে যোগদান

    ২০১৯ সালে একজন আইনজীবী হিসাবে তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসনে যোগদান করেন কাশ্যপ (Kashyap ‘Kash’ Patel)। দ্রুত পদোন্নতিও হয়। আল-বাগদাদি এবং কাসেম আল-রিমির মতো আইসিস এবং আল-কায়েদার নেতৃত্ব নির্মূল করা-সহ প্রথম ট্রাম্প সরকারের একাধিক পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার নেপথ্যে অন্যতম মাথা ছিলেন কাশ্যপ। প্রথম ট্রাম্প জমানায় আমেরিকার অনেক পণবন্দিকে মুক্ত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং ইন্টেলিজেন্স সংক্রান্ত হাউসের স্থায়ী নির্বাচন কমিটির সিনিয়র কাউন্সিল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন কাশ্যপ। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রভাবিত করার জন্য রাশিয়ার নাক গলানোর যে অভিযোগ উঠেছিল, তা নিয়ে তদন্তের নেতৃত্বও দেন তিনি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও অনুগামী কাশ্যপ। এবার তাঁকেই  সিআইএ-র মাথায় (CIA director) বসাতে চাইছেন ট্রাম্প। বন্ধু মোদির রাজ্যে শিকড় থাকা কাশ্যপেই ভরসা রাখছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Donald Trump: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী ট্রাম্প, সমস্যায় পড়তে পারেন কানাডার ট্রুডো

    Donald Trump: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী ট্রাম্প, সমস্যায় পড়তে পারেন কানাডার ট্রুডো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, কারও পৌষমাস, তো কারও সর্বনাশ! চার বছর বাদে নতুন বছরের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ হোয়াইট হাউসে ফিরছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তাঁর এই প্রত্যাবর্তনের খবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নৌকার পালে সুপবন বয়ে আনলেও, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পক্ষে ভালো নাও হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্যই হল, আমেরিকা ও তার দোসরদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের গাঁটছড়ার বন্ধন পোক্ত করা।

    বিপাকে পড়তে পারে ট্রুডোর দেশ (Donald Trump)

    ট্রাম্প ফের মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসছেন। এতে আদতে বিপাকে পড়বে ট্রুডোর দেশ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্প জমানায় দেখা দিতে পারে বাণিজ্য বিরোধ। যার জেরে ভয়ঙ্কর মন্দার মুখে পড়তে পারে কানাডা। কারণ কানাডার রফতানির ৭৫ শতাংশই যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন সীমান্ত পেরিয়ে হাজার হাজার মানুষ উত্তরে (Donald Trump) কানাডার দিকে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রেও বিপদে পড়বে ট্রুডোর দেশ।

    ধরাশায়ী হতে পারেন ট্রুডো

    আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা কানাডায়। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার ফল বলছে, কনজারভেটিভ প্রতিপক্ষের কাছে ধরাশায়ী হতে পারেন ট্রুডো। তাঁর দল লিবারেল পার্টির অবস্থাও হতে পারে করুণ। গত কয়েক বছরে কানাডার ধীর গতির অর্থনীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের দ্রুত বৃদ্ধি চলে এসেছে খবরের শিরোনামে। যার জেরে চিন ও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বৈচিত্রকরণের প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়েছে।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ট্রাম্প-ট্রুডোর সম্পর্ক অহি-নকুলের। ২০২২ সালে ট্রাম্প ট্রুডোকে ‘একজন চরম বামপন্থী উন্মাদ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। কারণ ট্রুডো সীমান্ত অতিক্রম করা ট্রাক চালকদের জন্য কোভিড টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করেছিলেন। ২০১৮ সালের জুন মাসে, কেবেকে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে চলে এসেছিলেন ট্রাম্প। ট্রুডোকে তিনি ‘খুবই অসৎ ও দুর্বল’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘সেই ব্যক্তি কোথায়?’’ ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূসের!

    ২০১৫ সাল থেকে কানাডার কুর্সিতে রয়েছেন ট্রুডো। ট্রাম্প জিততেই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নেমে পড়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। বুধবার ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “দুই দেশের মধ্যের বন্ধুত্ব বিশ্বে ঈর্ষণীয়।” ট্রুডো যখন আমেরিকা-কানাডার সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে প্রাণপাত করছেন, তখন নিশ্চিন্তে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কারণ মার্কিন প্রদেশে যিনি প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছেন, তিনি আসলে তাঁর ‘বন্ধু’ (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: ‘‘সেই ব্যক্তি কোথায়?’’ ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূসের!

    Donald Trump: ‘‘সেই ব্যক্তি কোথায়?’’ ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূসের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে ফের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলাকালীনই ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে হওয়া অত্যাচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এবার ক্ষমতায় এসে এই বিষয়টি যে তিনি সহজ ভাবে নেবেন না তা অনুমান করছে বাংলাদেশ। এর আগে, ২০১৬ সালের ভোটে জেতার পর বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলকে ট্রাম্প বলেছিলেন, “ঢাকার মাইক্রোফাইন্যান্সের সেই ব্যক্তি (Muhammad Yunus) কোথায়? শুনেছি, তিনি আমাকে হারাতে চাঁদা দিয়েছিলেন।” ফলে, এবার ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে ফেরা নিশ্চিত হতেই ঘুম উড়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের। 

    ট্রাম্পের দীপাবলি-পোস্ট

    সম্প্রতি ভারতকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েই বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে চলা অত্যাচারের প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। বাংলাদেশে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে বলেই উল্লেখ করেছিলেন তিনি। একইসঙ্গে বলেছিলেন, “আমি থাকলে এই ঘটনা কখনও ঘটতে দিতাম না।” বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূসের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক যে মধুর নয়, তা সকলের জানা। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের জয়ের পরে ইউনূস বলেছিলেন, তাঁদের রাজনৈতিক মতাদর্শ সম্পূর্ণ আলাদা। শুধু তাই নয়, ট্রাম্পকে দেওয়াল না গড়ে, দৃষ্টিভঙ্গী আরও উদার করে সেতু গড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ডেমোক্রাটদের সম্পর্ক ভালো। তাই  কূটনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, ডেমোক্র্যাট-ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus) যথেষ্ট চাপে পড়লেন ট্রাম্প ফিরে আসায়।

    ইউনূসে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

    তবে, ট্রাম্পের মনে ইউনূসের প্রতি যে একটা পুরনো ক্ষোভ রয়েছে, তা অজানা নয়। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের জয়ের পর, বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধি দল তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ওয়াশিংটনে যায়। প্রথম সাক্ষাতেই ট্রাম্প বলেছিলেন, “ঢাকার মাইক্রোফাইন্যান্সের সেই ব্যক্তি কোথায়? শুনেছি, তিনি আমাকে হারাতে চাঁদা দিয়েছিলেন।” ইঙ্গিত স্পষ্ট, ইউনূস ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন করেছিলেন। উল্টোদিকে, বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মদম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন ডেমোক্র্যাটদের সুসম্পর্কের কথা অনেকেই জানেন। বাংলাদেশের পালাবদলের পর সেদেশের সরকারের মাথায় বসেছেন অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস। এরপর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কিছুটা উন্নতি ঘটে। উল্লেখ্য, আগের শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে মার্কিন সরকারের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। এই সবের মাঝেই ইউনূস বাংলাদেশ সরকারের মাথায় বসার পর তাঁকে সবধরনের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। উল্লেখ্য, ইউনূসের সঙ্গে ক্লিনটনদের বেশ ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। এমনকী, সম্প্রতি তিনি আমেরিকায় গিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের মাথা’কে চিনিয়ে দিয়েছিলেন ক্লিনটনের ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানেই।

    ঘুম উড়েছে ইউনূসের

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) নির্বাচিত হতেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ট্রাম্পের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন আওয়ামী লিগ নেত্রী। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বাংলাদেশের জনগণের তরফে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে ফেরার অভিনন্দন জানিয়েছেন। আসলে দীপাবলির সময়ে ট্রাম্পের পোস্ট নিয়ে শঙ্কায় ইউনূস। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিলেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। কিন্তু কয়েক মাসেই বদলে গিয়েছে অনেক কিছু। একদিকে যেমন ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ জমছে, তেমনই বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্য়ালঘুদের উপরে হওয়া হামলার ঘটনাও গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে। সর্বশেষে, দীপাবলিতে ট্রাম্পের ‘‘আমি থাকলে…’’ বার্তায় ঘুম উড়েছে ইউনূসের। তাই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন, রাজনৈতিক সঙ্কটের মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশ পরিস্থিতির উপরে কী প্রভাব ফেলবে তা এখন ঢাকার কূটনৈতিক চর্চার কেন্দ্রে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন হাসিনার, কৌশলী বার্তা আওয়ামী লিগের

    Sheikh Hasina: আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন হাসিনার, কৌশলী বার্তা আওয়ামী লিগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানালেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। বুধবার, আওয়ামী লিগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।” তিনি ট্রাম্পের (Donald Trump) নেতৃত্বে বিগত সরকারের সময়ে বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সুসম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছেন। 

    ট্রাম্পের নেতৃত্বের প্রশংসা

    ট্রাম্প এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন। ট্রাম্প (Donald Trump) জিততেই হাসিনার (Sheikh Hasina) দল, আওয়ামী লিগ নেত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল করে দিয়েছে। আওয়ামী লিগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের “অসাধারণ নেতৃত্বের গুণাবলী”র প্রশংসা করেছেন হাসিনা। তিনি আরও বলেছেন, এই রিপাবলিকান নেতার প্রতি অগাধ আস্থা রেখেছে মার্কিন জনগণ। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসও ট্রাম্পকে বুধবার বিকেলে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: আমেরিকায় নতুন সকাল! ট্রাম্পকে অভিনন্দন বার্তা সুন্দর পিচাই, ববি জিন্দালদের

    আওয়ামী লিগের সুদিন!

    রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্পের জয়ে হাসিনা (Sheikh Hasina) ও আওয়ামী লিগের সুদিন ফিরতে পারে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, হোয়াইট হাউস ফের রিপাবলিকানদের দখলে যাওয়ায় চাপে পড়লেন ইউনূস। তিনি ডেমোক্র্যাটদের ঘরের লোক বলে পরিচিত। তার উপর ভোটের মুখে ট্রাম্প (Donald Trump) বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বাইডেন। ট্রাম্প কিন্তু মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশে এখন চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা চলছে। তিনি যে ইউনুসের সরকারকে ভাল চোখে দেখছেন না, তা এই মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে, হাসিনার তরফে এই শুভেচ্ছাবার্তা। আওয়ামী লিগ জানিয়েছে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময়, তাঁর সঙ্গে একযোগে কাজ করার কথা স্মরণ করেছেন শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয়, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক স্বার্থগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ফের একযোগে কাজ করার বিষয়ে তাঁর অঙ্গীকারও প্রকাশ করেছেন হাসিনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share