Tag: DRDO

DRDO

  • DRDO SWiFT: চালকবিহীন যুদ্ধবিমানের সফল পরীক্ষা ডিআরডিও’র! উচ্ছ্বসিত প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    DRDO SWiFT: চালকবিহীন যুদ্ধবিমানের সফল পরীক্ষা ডিআরডিও’র! উচ্ছ্বসিত প্রতিরক্ষামন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক ক্ষেত্রে আবারও সাফল্য ভারতের। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়া সামরিক বিমান এবার আকাশপথে শত্রুপক্ষের উপরে আঘাত হানতে সক্ষম হবে কোনওরকম চালক ছাড়াই! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে ভারত। সাম্প্রতিককালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও ব্যবহার হয়েছে এই ধরনের যুদ্ধবিমান। ভারতে তৈরি হওয়া স্বয়ংক্রিয় এই সামরিক বিমান সফলভাবে পরীক্ষা করা হল শুক্রবার। এই পরীক্ষামূলক স্টেলথ কমব্যাট ড্রোনের নাম দেওয়া হয়েছে স্টেলথ উইং ফ্লাইং টেস্টবেড (Stealth Wing Flying Testbed) বা সংক্ষেপে সুইফ্ট (SWiFT)। 

    কর্নাটকের চিত্রদুর্গায় এই বিমান পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতেই এমন বিমান বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। স্বয়ংক্রিয় এই যুদ্ধবিমানের সফল পরীক্ষার পরে অভিনন্দন জানিয়ে ট্যুইট করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।

    [tw]


    [/tw][tw]


    [/tw]

    এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও DRDO তাদের ট্যুইটারে প্রকাশ করেছে। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে ট্যুইটবার্তায় জানানো হয়েছে, “আমরা একটি যুদ্ধবিমান (Indigenous Aircraft) তৈরি করার চেষ্টায় ছিলাম। এমতাবস্থায়, ভারতেই তৈরি যুদ্ধবিমানটি সফলভাবে পরীক্ষা করা হল। নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় সাফল্য।  এই বিমানে কোনও পাইলটের প্রয়োজন নেই। পরীক্ষার সময় টেক অফ করার পরে নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত উড়ে গিয়েছে বিমানটি। তারপরে সেটি নিখুঁতভাবে মাটিতে নেমে আসে।” এই বিমানটি তৈরি করেছে ডিআরডিও-র অধীনে থাকা এরোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এসট্যাবলিশমেন্ট। একটি ছোট ফ্যানের মাপের ইঞ্জিন ব্যবহার করেই উড়তে পারে এই যুদ্ধবিমান। একে আরও কার্যকরী করে তোলার চেষ্টা করা হবে। এই পরীক্ষামূলক ছোট যানের উপর আরও গবেষণা চালানো হবে। সেই গবেষণা সফল হলে একটি বড় মডেল তৈরি করা হবে। সূত্রের খবর, সেই বড় যানের নাম দেওয়া হবে, ‘ঘাতক’। পরবর্তীকালে সেটি বায়ুসেনায় ব্যবহার করা হবে। সম্প্রতি, বায়ুসেনার তরফ থেকে জানা গিয়েছিল, এবার ভারতেই চালকবিহীন যুদ্ধবিমান তৈরি করা হবে। এই বিমান তৈরি করে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়েছে ভারত, এমনটাই দাবি করেছে ডিআরডিও। এই পরীক্ষাকে  ‘মাইলস্টোন’ আখ্যা দিয়েছে তারা।

    [tw]


    [/tw][tw]


    [/tw]

    এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। টুইট করে তিনি লিখেছেন, “ডিআরডিওকে অনেক অভিনন্দন। এই যুদ্ধবিমান চালানোর পরীক্ষা আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার পথে অন্যতম সফল প্রয়াস। ভবিষ্যতেও এমন ভাবেই ভারতীয় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বদেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।”

    আরও পড়ুন: পৃথিবী থেকে নয় মহাকাশ থেকে কেমন লাগে সূর্যগ্রহণ? ছবি প্রকাশ করল নাসা

  • BrahMos ER Missile: ৩৫০ কিমি দূরে লক্ষ্যভেদে সফল ব্রহ্মস,  এবার ভারতের লক্ষ্য ৫০০ কিমি

    BrahMos ER Missile: ৩৫০ কিমি দূরে লক্ষ্যভেদে সফল ব্রহ্মস, এবার ভারতের লক্ষ্য ৫০০ কিমি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুখোই-৩০ (Su-30 MKI) যুদ্ধবিমান থেকে এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ ব্রহ্মস (Brahmos ER) মিসাইলের সফল পরীক্ষা করল ভারত। বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে একদম নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানে মিসাইলটি। বায়ুসেনার তরফে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।

    বায়ুসেনা জানিয়েছে, যুদ্ধবিমান থেকে এই মিসাইলের এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ বা সম্প্রসারিত পাল্লার মিসাইলের পরীক্ষা এই প্রথম করা হল।  এখন ৩৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে সুখোই থেকে ব্রহ্মস মিসাইল নিক্ষেপে সক্ষম ভারতীয় বায়ুসেনা বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তারা জানায়, ব্রহ্মস এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ ভার্সন (extended range version of BrahMos) সফলভাবে লক্ষ্যভেদ করেছে। এটা দেশের কাছে গর্বের।

    ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) তরফে জানানো হয়েছে, আগামীদিনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে এই নতুন স্ট্র্যাটেজি।  ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ব্রহ্মস মিসাইল প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম। শব্দের তিনগুণ গতিতে এটি ছুটতে পারে। এদিন যে এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ মিসাইলের পরীক্ষা করা হল, তার পাল্লা বৃদ্ধি করে ৩৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    এই সাফল্য একেবারে গেম চেঞ্জার, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। যুদ্ধের পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। সম্প্রসারিত পাল্লায় এটি আঘাত হানতে সক্ষম। সমুদ্রের ওপর বিপক্ষের বড়সড় প্রতিরক্ষাকে ভেঙে দিতেই ব্রহ্মস বেশি কার্যকরী। জলে হোক বা স্থলে একেবারে পিনের মতো লক্ষ্যেও সঠিকভাবে আছড়ে পড়তে সক্ষম ভারতীয় বায়ুসেনার এই বিমান। এই মিসাইলের সঙ্গে সুখোই যুদ্ধবিমানের যুগলবন্দি ভারতীয় সেনার সামরিক শক্তিকে আরও পোক্ত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। যুদ্ধ স্থলে হোক বা জলে, যেখানেই হোক না কেন, সেখানেই ব্রহ্মসের কার্যকারিতা প্রাসঙ্গিক।  

    এদিকে সূত্রের খবর, ভারত এর চেয়েও দূরপাল্লার মিসাইল তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ৫০০ কিমি আঘাত হানতে পারবে এই মিসাইল। ব্রহ্মসের সফলতার পিছনে বায়ুসেনা ছাড়াও ভারতীয় নৌবাহিনী, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO), হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড (HAL) এর ভূমিকা ছিল। প্রসঙ্গত, গত ৯ মার্চ ভারত ভুলবশত একটি ব্রহ্মস মিসাইল ছুড়ে ফেলেছিল। রুটিন পরীক্ষার সময় সেটি পাকিস্তানে চলে যায়। এরপরই প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, এটি পরীক্ষার সময় নিয়মমাফিক কার্যপ্রক্রিয়া (SOP) বজায় রাখতে হবে। এই ব্রহ্মস জল, স্থল, আকাশে আঘাত হানতে সক্ষম।

LinkedIn
Share