Tag: Durga Puja

Durga Puja

  • Durga Puja: পুজোর আনন্দে মাতলেন রানি-সুস্মিতা! রাত পোহালেই দশমী, জেনে নিন দেবী বরণের নিয়ম

    Durga Puja: পুজোর আনন্দে মাতলেন রানি-সুস্মিতা! রাত পোহালেই দশমী, জেনে নিন দেবী বরণের নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোখের পলকে কেটে গেল পুজোর দিনগুলি। এসে গেল নবমীর বিকেল। রাত পোহালেই বিজয়া দশমী। এবার উমা ফিরবেন শিবের ঘরে। আবার একটা বছরের লম্বা অপেক্ষায় দিন গুনবে বাঙালি। মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর ৬ কার্তিক বিজয়া দশমী। বিসর্জন হবে সকাল ৮টা ৩২ মিনিট থেকে সকাল ৯টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত। ভাসানের পুজো শেষ হওয়ার পরই সিঁদুর খেলা শুরু হবে। এটিকে সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করা হয়। 

    কীভাবে বরণ করবেন 

    দশমীর দিন থালায় দুটো পান পাতা, ফুল, ধান-দুর্বা, সিঁদুর, রুপো ও সোনা, মিষ্টি, পানের খিলি, ঠাকুরের গ্লাসে জল নিয়ে ঠাকুর বরণে যান মহিলারা। প্রথমে পান পাতা দিয়ে আলতা-সিঁদুর পরে সধবা স্ত্রীরা মাকে বরণ করেন। লাল বস্ত্র পরে বরণের কাজ করা হয়। চলতি বছরে দেবীর গমন হবে ঘোটকে। যা খুব একটা শুভ হিসেবে ধরা হয় না। এই সময় ছত্রভঙ্গ পরিস্থিতি হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে। দেবী বরণের পর অনেক জায়াগায় শুরু হয় ধুনুচি নাচ। নবমীর রাতেও চলে ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা। ইতিমধ্যেই চলতি বছরের পুজোয় অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের ধুনুচি নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মেয়ে আলিসাকে নিয়ে তিনি মুম্বইয়ের একটি পুজো মণ্ডপে যান। গোলাপি শাড়ির সঙ্গে ম্যাচ করে কানের দুল ও পনিটেলে খুব সুন্দর লাগছিল তাঁকে।

    পুজোয় মাতলেন রানি-কাজল

    বম্বে সার্বজনীন দুর্গাপুজো প্যান্ডেলে বলি তারকা রানি মুখার্জি, কাজল, বিদ্যা ব্যালান থেকে শুরু করে একাধিক অভিনেত্রী ভিড় করেছিলেন। বাঙালিয়ানায় ভরপুর থাকে এই পুজো মণ্ডপের পরিবেশ। পুজোর পাশাপাশি ভোগ খাওয়াও থাকে এখানকার বিশেষ আকর্ষণ। শনিবার সকালে একফ্রেমে ধরা দিয়েছিলেন রানি, তানিশা, সর্বানী মুখোপাধ্যায়রা। শনিবার সকাল থেকেই রানির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল কিয়ারাকেও। ওইদিন রানির সঙ্গে বসে পুজোর ভোগও খান কিয়ারা। চামচ নয়, হাতে করেই চেটেপুটে ভোগ খেতে দেখা গেল তাঁদের। খাওয়ার সঙ্গে চলল গল্প ও আড্ডা। এরই মাঝে নজর কাড়ে কুমার শানুর দুর্গাপুজো। শোভাবাজার রাজবাড়ির আদেলে তৈরি হয়েছিল এই পুজোর মণ্ডপ। বাণিজ্যনগরীতে কলকাতার ছোঁয়া এনে দিতেই এই পরিকল্পনা বলে মনে করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ‘বাংলায় সুরাজ্য স্থাপনের জন্য ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রয়োজন’, বললেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ

    Birbhum: ‘বাংলায় সুরাজ্য স্থাপনের জন্য ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রয়োজন’, বললেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় সুরাজ্য স্থাপনের জন্য ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রয়োজন। শুক্রবার বীরভূমের (Birbhum) তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিয়ে একথা বললেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত। তিনি বলেন, বাংলায় সুরাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন। তারজন্য এখানে ডবল ইঞ্জিন সরকার চাই। আমি মায়ের কাছে প্রার্থনা করলাম, বাংলায় সুরাজ্য এনে দাও। বাংলায় বদল আনতে হবে। মোদীর সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা এখানকার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। যতদিন বাংলায় বদল না আসবে ততদিন সুদিন ফিরবে না। মানুষের কল্যাণে এখানকার সরকার বদলের প্রয়োজন। বাংলার মানুষের উচিত এই সরকার বদল করে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত সুবিধা ভোগ করা।

    তৃণমূল সরকার নিয়ে কী বললেন প্রমোদ?

    গোয়া নির্বাচনে তৃণমূল অংশগ্রহণ করে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে এদিন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ তৃণমূলের নাম না করে বলেন, গোয়ার প্রচুর পর্যটক যান। সেরকমই কিছু রাজনৈতিক পর্যটক ২০২২ সালে গোয়া গিয়েছিলেন। সেখানে নতুন সকালের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু, গোয়াতে নয়, এবার এই বাংলায় নতুন সূর্য উঠবে।

    কেষ্ট গড়ে (Birbhum) পুজো উদ্ধোধনে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী

    কেষ্ট গড় বলে পরিচিত বীরভূম (Birbhum)। কিন্তু গত বছর থেকে তাঁর ঠিকানা তিহাড়েই। এবারও যা ভাবগতি, সেখান থেকে তার ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এবার কেষ্ট গড়েই পুজোর উদ্বোধনে এসেছেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। জেলার একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। শুক্রবার অন্ডাল বিমানবন্দরে নেমে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত সোজা চলে যান বক্রেশ্বর মন্দির। সেখান থেকে বেরিয়ে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ একাধিক জেলা নেতৃত্ব। এরপর বিকেল চারটে নাগাদ বিজেপি বীরভূম জেলা কার্যালয়ে চায়ের আসরে যোগ দেন তিনি। পরে, বীরভূম শ্যামাপ্রসাদ স্মারক সমিতির দুর্গাপুজো উদ্বোধন করেন তিনি। সিউড়ি, দুবরাজপুরের একাধিক পুজো উদ্বোধন করে রানিগঞ্জের উদ্দেশে তিনি বেরিয়ে যান। সেখানেও একাধিক পুজো উদ্বোধনের কথা রয়েছে তাঁর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sreebhumi Puja Pandel: আতঙ্ক ‘শ্রীভূমি’! প্রতিপদেই থিকথিকে ভিড়, যানজটে আটকে বিমানযাত্রী, অসুস্থ রোগী, শিশু ও বয়স্কেরা

    Sreebhumi Puja Pandel: আতঙ্ক ‘শ্রীভূমি’! প্রতিপদেই থিকথিকে ভিড়, যানজটে আটকে বিমানযাত্রী, অসুস্থ রোগী, শিশু ও বয়স্কেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘড়িতে তখন রবিবার সন্ধ্যা ৬টা! যশোর রোড লেকটাউনের মুখ থেকে কোলে শিশু-কন্যাকে নিয়ে নেমে পড়লেন মা। বাস ঢুকবে না ভিআইপি রোডের দিকে। পুলিশ জানাল, রাস্তা বন্ধ। কারণ, শ্রীভূমি! অটোর লাইনে দাঁড়িয়ে শ-দেড়েক মানুষ। রিক্সা নেই! রাস্তায় যেন জনসমুদ্র। প্রতিপদ না সপ্তমীর (Durga Puja 2023) সন্ধ্যা বোঝা দায়! গন্তব্য শ্রীভূমি।

    তীব্র যানজট, দিশেহারা মানুষ

    লেকটাউনের শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব (Sreebhumi Sporting Club))। শ্রীভূমির এবারের থিম, ডিজনিল্যান্ড। যা দেখতে ইতিমধ্যে লোকের ভিড় (Traffic jam) বাড়তে শুরু করেছে। আর এই ভিড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে যান চলাচলেও। বলা ভাল, লেকটাউনে ব্রিজে ওঠার মুখ একেবারে থমকে গিয়েছে। তাই যাঁরা বিমানবন্দর যাবেন, তাঁদের অন্য পথে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি হেলায় উড়িয়ে কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ছে ‘শ্রীভূমি’আতঙ্ক। লেকটাউন ব্রিজে ওঠার মুখে তীব্র যানজট। খুব ধীরে গাড়ি এগোচ্ছে। বলা যায়, যে পথ যেতে ২০-৩০ মিনিট সময় লাগে, সেটা পৌঁছতে রবিবার সময় লেগেছে ১ ঘণ্টা। শয়ে-শয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে।

    ঘুরপথে বিমানবন্দরে

    বাইপাস থেকে এয়ারপোর্ট যাওয়ার সহজতম রুট হল লেকটাউন ব্রিজ। কিন্তু, যেরকম যানজট হয়েছে, সেখানে এয়ারপোর্ট পৌঁছতে অনেকটা বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। তাই এয়ারপোর্ট যেতে হলে চিংড়িঘাটা ফ্লাইওভার থেকে নিউ টাউনের রাস্তা ধরার পরামর্শ দিচ্ছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ। যদিও সেক্ষেত্রে অনেকটা রাস্তা ঘুরতে হবে। কিন্তু, যানজট এড়াতে এবং সময়ের মধ্যে এয়ারপোর্ট পৌঁছতে আর কোনও উপায় দেখছে না পুলিশ। বিমানবন্দর মুখী বাইপাস, বা হাডকো মোড় থেকে উল্টোডাঙা মেন রোডের দিকে যান চলাচল সন্ধার পর থেকেই কিছুটা ধীর গতিতে চলতে শুরু করছে।

    আরও পড়ুন:কলকাতায় রামমন্দির! উদ্বোধনে অমিত শাহ, দুপুর ২টোয় বিমানবন্দরে নামবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    বন্ধ রাস্তা

    ভিআইপি ব্রিজ থেকে কলকাতা স্টেশন রোড এবং ক্যানাল সার্কুলার রোডের মুখে সন্ধ্যার পর থেকেই প্রচণ্ড জ্যাম হতে শুরু করে দিয়েছে। গাড়ি চলাচলের গতি অনেকটাই কমে গিয়েছে। প্রতিপদের রবিবার যা অবস্থা তাতে আগামী, রবিবার অষ্টমীর দিনে ভিড় সামলানো পুলিশের পক্ষে সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তাও যে শ্রীভূমি-আতঙ্ক কাটাতে পারল না, তা রবিবার প্রতিপদে তালগোল পাকানো যান-ব্যবস্থাতেই পরিষ্কার হয়ে গেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: রোদ ঝলমলে আকাশ পুজোয়, মনোরম আবহাওয়ায় জমবে মজা

    Weather Report: রোদ ঝলমলে আকাশ পুজোয়, মনোরম আবহাওয়ায় জমবে মজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময় হয়ে গিয়েছে বর্ষা বিদায়ের। তবে ঠিক কবে রাজ্য থেকে বর্ষা বিদায় নেবে, তা এখনও জানানো (Weather Report) হয়নি সরকারিভাবে। তবে পুজোয় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। পঞ্চমী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত আবহাওয়া থাকবে মনোরম। নবমী এবং দশমীতেও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে কিছু অঞ্চলে আকাশ থাকবে আংশিক মেঘাচ্ছন্ন। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব অনুভূত হবে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভোরের দিকে ও সন্ধে নামার পর হালকা শীতের অনুভূতি হতে পারে।

    মেঘমুক্ত আকাশ দক্ষিণে

    রাত পোহালেই মহালয়া। এদিন আকাশ থাকবে মেঘমুক্ত। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া থাকবে মনোরম। দু এক জায়গায় দেখা যেতে পারে আংশিক মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। আজ, শুক্রবার থেকেই কমতে থাকবে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। ক্রমশ প্রভাব বিস্তার করতে থাকবে উত্তুরে হাওয়া। শনিবার (Weather Report) দক্ষিণবঙ্গে রোদ ঝলমলে আকাশ থাকলেও, হালকা বৃষ্টি হতে পারে উত্তরে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। তবে সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গেও আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক।

    বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই

    পুজো-পর্বে অবশ্য গোটা বাংলায়ই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ষষ্ঠী থেকে মহাষ্টমী পর্যন্ত দিনগুলি থাকবে রোদ ঝলমলে। তাই চুটিয়ে উপভোগ করা যাবে ঠাকুর দেখার আনন্দ। রাতে এবং ভোরের দিকে কয়েকটি জেলায় হালকা শীত অনুভূত হবে। তাই যাঁরা রাতের বেলায় ঠাকুর দেখতে বেরোন, তাঁদের ক্লান্তি হবে কম। নবমী, দশমীতেও একই রকম আবহাওয়া থাকার কথা।

    এদিকে, বর্ষা বিদায় রেখা গিয়েছে রক্সৌল, ডালটনগঞ্জ এবং বিজাপুরের ওপর দিয়ে। তাই বর্ষা বিদায়ের পরিস্থিত অনুকূল। যে কোনও মুহুর্তে বর্ষা বিদায় নিতে শুরু করবে বাংলা ও ওড়িশা থেকে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্ষা বিদায় নেবে তেলঙ্গনা, মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটক থেকে। উত্তর-পশ্চিম ভারতের (Weather Report) পার্বত্য এলাকায় শুক্রবার ঢুকবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। শনিবার সেটি প্রভাব বিস্তার করবে সমতলের রাজ্যগুলিতে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অন্তঃসত্ত্বার পেট ফালা ফালা করা, পাশে পড়ে গর্ভস্থ শিশু’’! প্রকাশ্যে হামাস জঙ্গিদের বর্বরোচিত হামলা

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগামী তিন-চারদিন দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুকনো থাকবে। শুধুমাত্র সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলাগুলোর আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। তবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “কয়েকজন জালি হিন্দুর জন্য পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজো উদ্বোধন”! মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: “কয়েকজন জালি হিন্দুর জন্য পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজো উদ্বোধন”! মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার আগে পিতৃপক্ষেই আজ, বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেশ কিছু পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে মহালয়া থেকে শুরু হত দুর্গা পুজোর উদ্বোধন। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে মাতৃপক্ষের সূচনা হলেই মূলত পুজো উদ্বোধন হত। 

    কী বললেন শুভেন্দু

    সনাতন হিন্দু ধর্মে পিতৃপক্ষে কোনও শুভ কাজ করা উচিত নয়। কিন্তু মাতৃপক্ষ বা দেবীপক্ষের আগেই পুজোর উদ্বোধন করায় সমালোচনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, “কোনো কালচারাল অনুষ্ঠান নয় দুর্গাপুজো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু জালি হিন্দুর জন্য পিতৃপক্ষে দুর্গা পুজোর উদ্বোধন করবেন।” বিজেপির স্পোর্টস অ্যান্ড ক্লাব রিলেশন সেলের অনুষ্ঠানে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী আজ জানান, “মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি বসে পুজোর ফিতে কাটবেন পিতৃপক্ষে। ১২ তারিখ থেকে সব করবেন। পারেও বটে। আগের বছরও এটা করেছিলেন।” এরই সাথে বিরোধী দলনেতার সংযোজন, “অন্য ধর্মের জন্য উনি যদি এটা করতেন তাহলে ট্রেন বন্ধ হয়ে যেত, ইট পড়ত বাসে। ৩৭ টা বাস পোড়ানো হত সাঁতরাগাছিতে। গোটা একটা ট্রেন জ্বলে যেত হাজারদুয়ারিতে। আমরা মনে করি দুর্গাপুজো হবে শাস্ত্রমতে। আমি যদি সঠিক হিন্দু হই, বিশুদ্ধ সনাতনী হই, বিশুদ্ধ রাষ্ট্রবাদী হই তাহলে শুভ কাজ করব না পিতৃপক্ষে।”

    আরও পড়ুন: লেনদেন কত? টাকার উৎস কী? সাড়ে ৮ ঘণ্টা ধরে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    কী করবেন মুখ্যমন্ত্রী

    বিকেল চারটে নাগাদ প্রথমে শ্রীভূমির পুজো ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর একে-একে অন্যগুলি। চলতি বছর সাড়ে আটশো পুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। হাঁটুতে চোটের কারণে সশীরে উপস্থিত থাকতে পারছেন না তিনি। তার বদলে ভার্চুয়ালি প্রায় ৮০০-র বেশি পুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। প্রথম দিন শ্রীভূমি-সহ কলকাতার ৬টি পুজোর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। গত বছর মুখ্যমন্ত্রী মহালয়ার দুদিন আগে কিছু পুজোর উদ্বোধন করেন। পিতৃপক্ষে পুজো উদ্বোধন নিয়ে সেবার তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এবারও পিতৃপক্ষের মধ্যে দুর্গাপুজো উদ্বোধন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hilsa Import: আজ রাজ্যে আসছে প্রায় ৪ হাজার টন পদ্মার ইলিশ! বাজারে মিলবে কবে থেকে?

    Hilsa Import: আজ রাজ্যে আসছে প্রায় ৪ হাজার টন পদ্মার ইলিশ! বাজারে মিলবে কবে থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গে ৩,৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির (Hilsa Import) ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এগ্রিমেন্ট সই সাবুদের পর এবার পাতে বাংলাদেশের ইলিশ পড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। ৭০ জন ভারতীয় আমদানিকারকের হাত ধরে ২১ থেকে ২৫টি কনসাইনমেন্টে রাজ্যে আসছে পদ্মা-মেঘনার ইলিশ (Bangladeshi Hilsa)। 

    পুজোর আগেই পাতে ইলিশ

    ২০২২ সালে ৩৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির (Hilsa Import) অনুমোদন দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছিল অক্টোবরে। ফলে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাবে এই দেশের আমদানিকারীরা শেষ পর্যন্ত ঘরে তুলতে পেরেছিলেন মাত্র ৩০০০ মেট্রিক টন। এবার জুলাই থেকেই তাই আমদানিকারীদের চেষ্টা ছিল বেশি সময় ধরে বা সময় এগিয়ে এনে ধাপে ধাপে গোটা কনসাইমেন্ট ঘরে তোলার। দু’দিন দেরি হলেও, সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার আশা ষোলো আনা রয়েছে। পাঁচ দিনের ব্যবধানে ধাপে ধাপে মোট ২১ থেকে ২৫টি আলাদা কনসাইনমেন্টে  প্রায় ৭০ জন আমদানকারির হাত ধরে মোট ৩৫০০ থেকে ৪০০০ মেট্রিক টন বাংলাদেশি ইলিশ (Bangladeshi Hilsa) এই রাজ্যে ঢুকবে ভাইফোঁটা পর্যন্ত। 

    ইলিশের চাহিদা বাংলায় বেশি

    বাংলাদেশের ইলিশের (Bangladeshi Hilsa)চাহিদা এ রাজ্যেই সবথেকে বেশি। যদিও ইলিশ রফতানিতে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সেই কারণে এবার অনেক আগে থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ওপারের ইলিশ আনার (Hilsa Import) প্রচেষ্টায় ছিলেন। ভারতে এবার ৫০০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির ছাড়পত্র দিয়েছে হাসিনা সরকার। এর মধ্যে দেশের অন্যান্য প্রান্তে যাচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ মেট্রিক টন ইলিশ। বাকি পুরোটাই এই রাজ্যের বাঙালির পাতে।

    আরও পড়ুুন: হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে চলে এলেন প্রধানমন্ত্রী, ফলোয়ারের সংখ্যা ছাড়াল ১০ লাখ 

    দাম মধ্যবিত্তের নাগালে

    সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই পেট্রাপোলে সীমান্তে চলে আসছে অনুমোদিত কয়েক টন ইলিশ (Hilsa Import)। এ নিয়ে ‘ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক আনোয়ার মাকসুদ বলেন, ‘‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের তরফে ৩,৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি পেয়েছি। আগামিকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকবে বাংলাদেশের ইলিশ (Bangladeshi Hilsa)। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে রফতানিকৃত ইলিশ চলে আসবে এ রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গের বাজারে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বাংলাদেশি ইলিশ পাওয়া যাবে।’’ তিনি জানান, শনিবার থেকে পাইকারি বাজারে ঢুকে পড়তে পারে বাংলাদেশি ইলিশ। শুরুর দিকে দাম হয়তো একটু বেশি থাকবে। ১ কেজি ইলিশ পাইকারি বাজারে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে। ৭০০ গ্রামের ইলিশগুলো ৭০০-৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হবে,বলে জানান তিনি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023 : উৎসবের অধিকার সবার! নিউটাউনে বিজেপির দুর্গাপুজোয় অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Durga Puja 2023 : উৎসবের অধিকার সবার! নিউটাউনে বিজেপির দুর্গাপুজোয় অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দুর্গাপুজো পুজো হলেও শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, আসলে এটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব।’ দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। একটি মেলার মাঠে কলকাতার এক পুজো সংগঠন দুর্গাপুজো করার অনুমতি পাবে কিনা সেই মামলায় শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টচার্য এই মত দেন।

    পুজোর অনুমতি

    জনসাধারণের জন্য নির্দিষ্ট মেলার মাঠ, পার্কে পুজো (Durga Puja 2023) করা যাবে কিনা এবং পুজোর অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিল এক পুজো কমিটি। ওই কমিটির লোকেরা বিজেপি কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মেলার জন্য নির্দিষ্ট অনুমতি না পেয়ে হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেন ‘মানবজাতি কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ নামে সংগঠন। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে। বিচারপতি জানান, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৯ মোতাবেক সকল নাগরিকের স্বাধীন ভাবে চিন্তাভাবনা প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকারের মধ্যে দুর্গাপুজোর মতো উৎসবও রয়েছে। ফলে এই অধিকার খর্ব করা যায় না। হাই কোর্টের নির্দেশ, নিউটাউন মেলা গ্রাউন্ডে পুজো করতে পারবে ‘মানবজাতি কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ নামে মামলকারী সংগঠনটি। এলাকায় এই সংগঠনের সদস্যেরা বিজেপিকর্মী হিসাবেই পরিচিত।

    আরও পড়ুুন: গ্রিসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    কর্তৃপক্ষের তরফে আদালতে (Calcutta High Court) দাবি করা হয়, সংবিধানে ২৫ ধারা অনুযায়ী জনসাধারণের জন্য তৈরি পার্ক, রাস্তা এবং ফুটপাতে কোনও ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যাবে না। এই দাবি সম্পূর্ণ খারিজ করে বিচারপতি ভট্টাচার্য পর্যবেক্ষণে জানান, ‘একথা সর্বজনবিদিত, যে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) শুধু ধর্মীয় পুজোর্চনা নয়, এটি আসলে নারী শক্তির উদযাপন। দুর্গাপুজো শুধু পুজো নয়, বিভিন্ন সংস্কৃতির মেলবন্ধন। পুজোর্চনার থেকেও সেখানে উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আনন্দের ভাগটা অনেকটা বেশি। পুজোর থেকেও উদযাপনটাই প্রত্যক্ষ। এই সমস্ত কিছুর কারণেই দুর্গাপুজোকে শুধুই একটা সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আচরণ বা রীতিনীতি পালন হিসেবে দেখা ঠিক হবে না, এর প্রকৃতি আদতে ধর্মনিরপেক্ষ। অতএব একে শুধু এক সম্প্রদায়ের ধর্মীয় রীতিনীতি পালন বলে দাগিয়ে দেওয়া আসলে দুর্গাপুজোর মান হ্রাস করবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: কেন নতুন দুর্গাপুজোর অনুমতি নয়? কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে হিডকো

    Durga Puja: কেন নতুন দুর্গাপুজোর অনুমতি নয়? কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে হিডকো

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: দুর্গা পুজোর অনুমতি চেয়ে  আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন নিউ টাউনের একটি পুজোর উদ্যোক্তারা। গত বছর পুজোর অনুমতি পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল ‘নিউ টাউন ইন্টেলেকচুয়াল’ নামে একটি সংগঠনকে। তাদের দাবি, নিউ টাউন মেলা প্রাঙ্গনে পুজোর অনুমতি দিতে হবে তাদের। গত বছর আদালতের হস্তক্ষেপে মেলা প্রাঙ্গনে পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    দুর্গাপুজোর অনুমতি না দেওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন পুজো কমিটির লোকেরা। তাঁদের দাবি, সরকার বিরোধী পক্ষের লোক হওয়ায় তাঁদের পুজো করতে দেওয়া হচ্ছে না।  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে পুজো উদ্যোক্তাদের একাংশ আবেদন করেন। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে পুজো উদ্যোক্তারা প্রশ্ন তোলেন, পাশেই কেএমডিএ কর্তা দেবাশিস সেনের স্ত্রীর উদ্যোগে একটি দুর্গা পুজো হয়। সেই পুজোর জৌলুস যাতে কমে না যায়, সেই কারণেই কি নতুন পুজোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না? হিডকোর আইনজীবী জানিয়েছেন, গত বছর ব্যতিক্রমীভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাদের দাবি, আগের বার যেখানে পুজো হয়েছিল, এবার সেখানে অনুমতি দিলে ট্রাফিকের সমস্যা হতে পারে। তিনি আরও জানান, ট্রাফিক ছাড়াও হাউজিংয়ের পুজো হয়। বিগত বছরে বাস স্ট্যান্ডের পরিবর্তে মেলা প্রাঙ্গণে পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়। তখন বিচারপতি জানতে চান, তাহলে এই বছর সেই জায়গায় অনুমতি দিতে বাধা কোথায়? কী কারণ পুজোর অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না তা জানাতে বলেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: আর দিতে হবে না ‘পেনাল ইন্টারেস্ট’! গ্রাহকদের সুরাহায় নানা নির্দেশ আরবিআইয়ের

    মামলাকারী সংগঠনের তরফে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারির দাবি, “কলেজের উৎসব-সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অনুমতি দেওয়া হয় মেলা প্রাঙ্গনে, তাহলে পুজোয় কেন নয়? ওখানে সার্ভিস রোড আছে। ফলে যানজট হওয়ার কথা নয়। অথযা যানজটের বাহানা দেওয়া হচ্ছে।” দীর্ঘ শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।  এই মর্মে হিডকোর জবাব চেয়েছেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Saraswati Puja: সরস্বতীপুজোয় থিমের ছোঁয়া, কলকাতার কোন প্যান্ডেলে কী থিম, জানুন

    Saraswati Puja: সরস্বতীপুজোয় থিমের ছোঁয়া, কলকাতার কোন প্যান্ডেলে কী থিম, জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন কেবল কালীপুজো (Kali Puja), দুর্গাপুজোতেই (Durga Puja) দেখা যেত থিমের ছড়াছড়ি। এবার থিমের ছোঁয়া চলে এল সরস্বতী পুজোয়ও (Saraswati Puja)। দুর্গাপুজো গোটা বঙ্গদেশজুড়ে হলেও, কালী সহ অন্যান্য দেবদেবীর পুজো একেকটা অঞ্চলে হয় জাঁকজমক সহকারে। যেমন গোটা বাংলায় কালীপুজো হলেও, বারাসতে কালীপুজো হয় থিমের, কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে। কাটোয়ায় কার্তিক পুজো হয় থিমের। নদিয়ায় রাস উৎসব হয় ঘটা করে। সেখানেও থিমের ছড়াছড়ি।কালনার সরস্বতী পুজোও হয় জাঁকজমক সহকারে। এখানেও থিমের ছড়াছড়ি।

    থিমের পুজো…

    হাওড়ার খালনায় কয়েক লক্ষ টাকা করে খরচ করে হয় লক্ষ্মীপুজো। সেখানেও দেখা যায় নানান থিম। এবার তার রেশ এসে লাগল সরস্বতী পুজোয়ও। দুর্গাপুজোর মতো সরস্বতী পুজোয় থিম করা হয়েছে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করে। তবে দুর্গাপুজোয় যেমন অনায়াসেই স্পনসর মেলে সরস্বতী পুজোয় তা হয় না। তাই সরস্বতীপুজোয় যাঁরা থিমের কথা ভাবেন, তাঁদের ভরসা করতে হয় দাতাদের ওপর। কোনও কোনও উদ্যোক্তা আবার দুর্গাপুজোর বাজেট কিছুটা কাটছাঁট করে তুলে রেখে দেন সরস্বতীপুজোয় খরচ করবেন বলে।

    ঘটা করে দু্র্গাপুজো করে টালা প্রত্যয়। তারা সরস্বতীপুজোও (Saraswati Puja) করে জাঁকজমক সহকারে। এবার বাণীবন্দনায় তাঁদের বাজেট ১৫ লক্ষ টাকা। এদের এবারের থিম, চলো ভালবাসার বর্ণমালায় ফেরা যাক। এখানে মণ্ডপের উচ্চতা ৪৬ ফুট। প্রতিমা ১৪ ফুটের। এই মণ্ডপে এলে নল্ট্যালজিক হয়ে পড়বেন দর্শক। উদ্যোক্তাদের তরফে ধ্রুবজ্যোতি বসু বলেন, এই মণ্ডপে এলে অতীতের সরস্বতী পুজোর সকালে ফেরা যাবে। দর্শক হয়ে পড়বেন নস্ট্যালজিক। তিনি জানান, দুর্গাপুজোর ফান্ডের একটা অংশ সরিয়ে রাখা হয়েছিল সরস্বতীপুজোর জন্য।

    আরও পড়ুুন: মুখোমুখি জেরায় একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তাপস-কুন্তল, একে অপরকে দোষারোপ

    আমহার্স্ট স্ট্রিটের বিদ্যাসাগর সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) কমিটির এবারের বাজেট ৫ লক্ষ টাকা। এই পুজোর মাথায় রয়েছেন তৃণমূল নেতা পিয়াল চৌধুরী। তিনি জানান, পুরো খরচই এসেছে ডোনেশন থেকে। পিয়াল বলেন, সরস্বতী পুজোয় স্পনসর মেলে না। তাই আমরা ডোনেশনের ওপরই নির্ভর করেছিলাম। মানুষ দিয়েছেন দেরাজ হস্তে। আমরা বাইরে কোথাও চাঁদা তুলতে যাইনি।   

    উত্তর কলকাতার হাতিবাগান সংহতির এবারের সরস্বতীপুজোর (Saraswati Puja) বাজেট ৯ লক্ষ টাকা। ২৮ ফুটের অতিকায় প্যান্ডেলে রয়েছে ১৫ ফুটের দেবী প্রতিমা। ক্লাবের সম্পাদক রাজদীপ পাত্র বলেন, গত দুবছর ধরে আমরা থিমের পুজো করে আসছি। আমরা আগের থেকে অনেক কর্পোরেট স্পনসরও পাচ্ছি।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Durga Puja: আজ বিদায়ের পালা! জেনে নিন বিজয়া দশমীর অর্থ 

    Durga Puja: আজ বিদায়ের পালা! জেনে নিন বিজয়া দশমীর অর্থ 

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়: দশমী’ মানেই দুর্গা পুজোর শেষ। বন্ধুদের সাথে রেষ্টুরেন্টে খাওয়া, রাত পর্যন্ত মন্ডপের চেয়ারে বসে আড্ডা, অষ্টমীর সন্ধিক্ষণের উপবাস, মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা দর্শন, নবমীর পুষ্পাঞ্জলি সব কিছুতে ইতি টানে দশমী তিথি‌।  অপেক্ষায় থাকতে হয় আরও একটা বছর। বেশীরভাগ দুর্গাপুজো শেষ হয় দশমীতেই। এই দিনেই মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়, কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকে , যেমন বিজয়া দশমী বৃহস্পতিবারে হলে সাধারণত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় না। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে পিতৃগৃহ মানে সোজা কথায় বাপের বাড়ি ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে পাড়ি দেন দেবী উমা। সেই কারণেই এই তিথিকে ‘বিজয়া দশমী’ বলা হয়। মা উমা সকলকে কাঁদিয়ে নিজের চার সন্তানকে সঙ্গে করে কৈলাসে ফিরে যান।

    দশমী প্রসঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের একটি কাহিনী উল্লেখযোগ্য। রানী রাসমণীর জামাতা মথুরবাবু একসময় আবেগপ্রবন হয়ে দশমীর দিনেও মা দুর্গাকে বিসর্জন দেবেন না বলে জেদ ধরে বসেন। তখন রামকৃষ্ণদেব তাঁকে বোঝান, বিজয়ার অর্থ দেবীমা ও সন্তানের বিচ্ছেদ নয়। তিনি আরও বলেন যে, মা কখনও তার সন্তানের থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেন না। এতদিন মা দালানে বসে পুজো নিয়েছেন এরপর মা মনের মন্দিরে বসে পুজো নেবেন। এরপরেই মথুর শান্ত হন এবং বিসর্জন দেওয়া হয় মা দুর্গার প্রতিমা।

    আরও পড়ুন: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    দশমী ঘিরে একটি পৌরাণিক কাহিনীও রয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী, মা দুর্গা ন’দিন ন’ রাত্রি ব্যাপী প্রবল যুদ্ধ করেন মহিষাসুরের বিরুদ্ধে। অবশেষে দশমী তিথিতে মায়ের হাতে বধ হয় রম্ভা পুত্র মহিষাসুর। মহিষাসুরমর্দিনী হয়ে ওঠেন মা দুর্গা। ঋষি কাত্যায়নের আশ্রমে এই মহিষাসুর বধের জন্যই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের তেজ থেকে সৃষ্ট হয়েছিল এক নারী মূর্তি। মহিষাসুরের ওপর ব্রহ্মার বরদান ছিল যে কোন পুরুষ তাকে বধ করতে পারবে না। এই কাহিনী আমরা সকলেই শুনেছি। সমস্ত আসুরিক শক্তির ওপর বিজয় প্রাপ্তি হয়েছিল অত্যাচারী মহিষাসুর বধের মধ্যে দিয়ে। সমস্ত দেবতা কূল বিজয় উৎসবে মেতেছিল। তাই এই একে বিজয়া দশমী বলা হয়।

    অন্য একটি কাহিনী অনুযায়ী, দেবী দুর্গার দক্ষকন্যা সতী হয়ে জন্মগ্রহণ এবং স্বামী নিন্দা সইতে না পেরে মৃত্যুবরণের গল্প আমাদের সকলেরই জানা। এরপর  ৫১টি অংশে সতীর মৃত দেহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার পর শিব যখন তাণ্ডব থামালেন, তখন বিষ্ণু তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন দক্ষরাজকে ক্ষমা করে দিতে। শিব সেই অনুরোধ ফেলতে পারেননি। উপরন্তু সন্তানহারা বাবার দুঃখ ঘোচানোর জন্য তিনি বলেন, এর পরের জন্মে সতী জন্ম নেবেন হিমালয়রাজ হিমাবত কন্যা পার্বতী রূপে। তখন প্রতি বছর বিজয়া দশমীর দিন পার্বতী আসবেন দক্ষপুরীতে। সতীর বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি দিনের জন্য দেখা করতে! তাই আজ পার্বতীর ঘরে ফেরার দিনও বটে বলে পৌরাণিক মত রয়েছে‌। এছাড়াও আজকের তিথিতেই রাক্ষসরাজ রাবণের উপর ভগবান রামচন্দ্র বিজয় প্রাপ্ত করেছিলেনবলে মনে করা হয়। তাই এটা বিজয়া দশমী। এদিন ছোটরা বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে, মিষ্টি মুখ করানো হয় মা উমার। মহিলা দের মধ্যে সিঁদুর খেলার রীতি দেখা যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share