Tag: ECI

ECI

  • ECI: লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে সিআরপিএফের নিয়ন্ত্রণে, সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের

    ECI: লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে সিআরপিএফের নিয়ন্ত্রণে, সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা আর মাত্র ক’টা দিন। তারপরেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের বাজনা বেজে যাবে। ইতিমধ্যেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI) বেশ কিছু নজরকাড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার আগেই নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, প্রত্যেক বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও ২০১৯ এবং ২০২১ সালে এই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হলেও তাকে সম্পূর্ণভাবে মনিটর করেছে বিএসএফ। কিন্তু এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সব কিছুই মনিটর করবে সিআরপিএফ। শাসক থেকে বিরোধী, সকলেই বিএসএফের দিকে বিভিন্ন সময়ে আঙুল তুলেছে। আর সব কিছু পর্যালোচনা করেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর, জেলা নির্বাচনী আধিকারিক বা রিটার্নিং অফিসার থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী যেখানে যেখানে মোতায়েন হবে, তার সব কিছুই মনিটার করবে একমাত্র সিআরপিএফ।

    যোগাযোগ রক্ষার কাজও করবে সিআরপিএফ (ECI)

    পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত সব বিষয়ে কমিশন এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার কাজ করবে সিআরপিএফ। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার আগে থেকেই সব দিকের সব কাজ আগে থাকতেই শেষ করে রাখতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি এবং অতি সক্রিয়তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন করেছিল রাজ্যের শাসক দল। অন্যদিকে রাজ্যের শাসক তথা বিরোধী তর্জার মাঝেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI) জানিয়ে দিয়েছে, আসন্ন ২০২৪’ এর লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মোতায়েন করা থেকে শুরু করে সব কিছুই এবার মনিটর করবে সিআরপিএফ।

    আশায় বুক বাঁধছে মানুষ (ECI)

    এখন দেখার বিষয় একটাই, সম্প্রতি রাজ্যের শেষ হওয়া পঞ্চায়েত ভোটে মানুষের মধ্যে যে ছবি এখনও ঢুকে রয়েছে, সেই আতঙ্ককে দূর করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিজস্ব যে ভূমিকা তা যথাযথ ভাবে পালন করে আদপে সিআরপিএফ কতটা সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (ECI) গরিমাকে ধরে রাখতে কতটা তৎপর হতে পারে। তবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের যে ভূমিকা এখন থেকেই সাধারণ মানুষ দেখছে, তাতে আশায় বুক বাঁধছে মানুষ, হয়তো বা এবার রাজ্যে অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং রক্তপাতহীন লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Election Commission: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    Election Commission: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে গত শনিবার। ৭ দফায় ভোট হবে দেশজুড়ে। ইতিমধ্যে প্রথম দফার ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশও হয়ে গিয়েছে। এই আবহে নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) নিয়োগ আইনের উপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ তিন সদস্য-বিশিষ্ট। তাতে থাকেন একজন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং বাকি দুই জন নির্বাচন কমিশনার। কিন্তু গত মাসে আচমকা নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে ইস্তফা দেন অরুণ গোয়েল। অন্যদিকে, অরুণ গোয়েলের ইস্তফা দেওয়ার কয়েক দিন আগেই অবসর নেন অন্য এক নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) অনুপ পাণ্ডে। তার ফলে নির্বাচন কমিশনারের দুটো পদই শূন্য হয়ে যায়। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে গত ১৪ মার্চ নির্বাচন কমিশনারের দুটি শূন্য পদে, দুই আমলাকে নিয়োগ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কমিটি।

    নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দায়ের হয় মামলা

    নির্বাচন কমিশনারের পদে আনা হয় সুখবীর সিং সান্ধু এবং জ্ঞানেশ কুমারকে। এই নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) নিয়োগ নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দায়ের হয় মামলা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সমেত বাকি দুই নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের ক্ষেত্রে যে আইন রয়েছে সেই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়, সামনে নির্বাচন রয়েছে। এমন সময় এই আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা ঠিক নয়। আর যাঁদের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগও নেই।

    নিয়োগ কমিটি 

    সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দেয়, নবনিযুক্ত দুই নির্বাচন কমিশনারকে তাঁদের পদ থেকে সরানোর কোনও কারণ আদালত দেখছে না। সুপ্রিম কোর্ট এ দিন আরও জানিয়েছে, ভোটের মুখে কমিশনারদের (Election Commission) সরিয়ে দিলে তার প্রভাব নির্বাচনে পড়বে। প্রসঙ্গত, নয়া আইনে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে তাতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (চেয়ারপার্সন) একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (মেম্বার) এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা (মেম্বার)। আগের আইনে দেশের প্রধান বিচারপতিও থাকতেন। বর্তমান আইনে সেটা নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট ঘোষণার পরেও সরেনি সরকারি বিজ্ঞাপন-পোস্টার, ডেডলাইন দিল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: ভোট ঘোষণার পরেও সরেনি সরকারি বিজ্ঞাপন-পোস্টার, ডেডলাইন দিল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024)। দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আদর্শ আচরণবিধি বলবৎ হওয়ার পরেও সরানো হয়নি রাজনৈতিক দলের এমন পোস্টার, ব্যানার, হোর্ডিং, দেওয়াল লিখন দ্রুত সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এ বিষয়ে রাজ্যগুলির কাছ থেকে রিপোর্ট তলবও করেছে কমিশন। সরকারি বিজ্ঞাপনের যাবতীয় পোস্টার এবং ব্যানার সরিয়ে ফেলার জন্য রাজ্যগুলিকে সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে প্রচারমূলক পোস্টারগুলি সরিয়ে ফেলতে হবে।

    কমিশনের বিজ্ঞপ্তি

    বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, গত ১৬ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দিন থেকেই কার্যকর হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। সেই বিধি অনুযায়ী, কোথাও কোনও সরকারি বিজ্ঞাপন থাকতে পারে না। অভিযোগ, পোস্টার, ব্যানার বা দেওয়াল লিখনের আকারে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট ঘোষণা হওয়ার চার দিন পরেও থেকে গিয়েছে সরকারি বিজ্ঞাপন। তা নিয়ে কমিশনের কাছে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগও জমা পড়ছে। বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, বিমানবন্দর, জাতীয় সড়ক থেকে অবিলম্বে এই ধরনের অননুমোদিত সমস্ত পোস্টার, ব্যানার বা দেওয়াল লিখন সরিয়ে ফেলতে হবে। এর জন্য আর অতিরিক্ত সময় দেওয়া যাবে না।

    আরও পড়ুন: কলকাতায় কত বেআইনি নির্মাণ? কী করছে পুরসভা? প্রশ্ন শুভেন্দুর, ঠুকলেন আরটিআই

    কমিশনের বার্তা

    গোটা দেশে এবার সাত দফায় হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। তবে সব রাজ্যে সাত দফায় হবে এমনটা নয়। বাংলা, বিহার, উত্তর প্রদেশে হবে সাত দফায়। লোকসভা ভোট শুরু হচ্ছে ১৯ এপ্রিল। শেষ হচ্ছে ১ জুন। ফল প্রকাশ ৪ জুন। এদিকে ইতিমধ্যেই রাজ্যে পা পড়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর। দিকে দিকে চলছে টহল। কমিশনের (Election Commission) স্পষ্ট বার্তা, এই আবহে কোনও সরকারি প্রকল্পের প্রচারমূলক বিজ্ঞাপন বা দেওয়াল লিখন যেন না দেখা যায়।  সমস্ত পোস্টার, ব্যানার যত দ্রুত সম্ভব সরিয়ে নিতে হবে। ওই কাজ শেষ হয়েছে এই মর্মে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। কমিশনের ওই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে সব রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Lok Sabha Election 2024: কড়া কমিশন, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটে জড়িতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ

    Lok Sabha Election 2024: কড়া কমিশন, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটে জড়িতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024) ঘোষণা হতেই এবার আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে কড়া অবস্থান নিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে কমিশন যে খুবই চিন্তিত, তা প্রথমেই স্পষ্ট হয়ে য়ায়। সারা দেশে একমাত্র রাজ্য যেখানে ভোট করাতে কমিশন ৯২০ কোম্পানি বাহিনী চায়। ভোট ঘোষণার পরেই আইন শৃঙ্খলা নিয়ে কয়েক দফা নির্দেশ ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের পাঠিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দফতর।

    জেলা শাসকদের নির্দেশ- 

    ১) অতীতে হওয়া লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) যাদের বিরুদ্ধে বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ এসেছে, থানায় তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে।

    ২) যাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন চলাকালীন গুলি চালানোর অভিযোগ এসেছে, তাদেরও তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    ৩) যে সমস্ত ওয়ারেন্ট পড়ে আছে, তা কার্যকর করতে হবে।

    ৪) এসপি, সিপি-দের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে ঘন ঘন পর্যালোচনা করতে হবে।

    ৫) বিগত নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) চলাকালীন যাদের বিরুদ্ধে আইন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ ও কী কী ব্যবস্থা, তা তাদের নাম সহ বিস্তারিত ১৫ দিনের মধ্যে দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দফতরে পাঠাতে হবে।

    ৬) বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করতে অভিযান চালিয়ে যেতে হবে।

    ৭) কমিশনের তরফে ডিএম’দের বলা হয়েছে, যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে অভিযোগ এলেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটাকে নিষ্পত্তি করতে হবে। অভিযোগ কোনওভাবে ফেলে রাখা যাবে না।

    কমিশনে অভিযোগ জানাতে পারেন সাধারণ ভোটাররাও

    সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনার জন্য ইতিমধ্যে টোল-ফ্রি নম্বর (১৯৫০) চালু করেছে কমিশন। তাতে ফোন করে যে কেউ অভিযোগ জানাতে পারবেন বলেই জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন চালু করেছে বেশ কিছু অ্যাপও। এমনকী ভোটার লিস্টে নাম আছে কি না, সেটাও জেনে যাবেন ভোটাররা। প্রসঙ্গত, কলকাতায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ বৈঠকের সময় এসপি, ডিএম দের কড়া নির্দেশ দিয়েছিল। কোনও রকম হিংসা হলে কাউকে ছাড়া হবে না- এমন নির্দেশ দেয় কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ডিজি রাজীব কুমারকে দায়িত্ব থেকে সরানোর নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: ডিজি রাজীব কুমারকে দায়িত্ব থেকে সরানোর নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) ঘোষণার পরই  বড় পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে সরানোর নির্দেশ দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাজ্যের মুখ্য সচিব বিপি গোপালিককে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেখানে জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের ডিজির পদ থেকে অবিলম্বে রাজীব কুমারকে (DG Rajeev Kumar) সরাতে হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও দায়িত্বে তিনি থাকতে পারবেন না।

    কী বলল কমিশন

    আর্দশ আচরণবিধি লাগু হওয়ার পরই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Lok Sabha Election 2024) তরফে রাজীব কুমারকে (DG Rajeev Kumar) সরানোর নির্দেশ দেওয়া হল। রাজ্য পুলিশের নতুন ডিজি নিয়োগের আগে পর্যন্ত এই দায়িত্ব সামলাবেন রাজীবের ঠিক নীচের পদে যে অফিসার রয়েছেন, তিনি। এই পদে নতুন নিয়োগের জন্য সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে রাজ্য সরকারকে তিনটি নাম পাঠাতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। গত ডিসেম্বরে রাজ্য পুলিশের নয়া ডিরেক্টর জেনারেল বা ডিজি হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল রাজীব কুমারকে। এই আইপিএস অফিসারকেই রাজ্য পুলিশের সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগের তিন মাসের মধ্যেই তাঁকে সরানোর নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। 

    বিতর্কের কেন্দ্রে রাজীব

    ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও রাজীবকে তদানীন্তন পদ থেকে সরানো হয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024) ঘোষণার পর রাজীবকে ডেপুটেশনে দিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে রাজীব (DG Rajeev Kumar) দীর্ঘদিন ছিলেন রাজ্যের তথ্য প্রযুক্তি দফতরের সচিব। কলকাতা পুলিশের কমিশনার থাকাকালীন একাধিক বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল রাজীবের। ২০১৯ সালে সারদা মামলাতে রাজীবকে অভিযুক্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নামে সিবিআই। ২০১৩ সালে সারদা-কাণ্ডের তদন্তে ছিলেন রাজীবই। তাঁর বিরুদ্ধে সারদা মামলার তথ্য লোপাটের অভিযোগও ওঠে। 

    আরও পড়ুন: রাহুলের ‘শক্তি’-মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ মোদির, কী বললেন?

    অন্য রাজ্যেও বদল

    রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের পাশাপাশি ছ’টি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকেও লোকসভা ভোটের আগে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে— গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে অপসারণের আদেশ জারি করা হল। মিজোরাম, হিমাচল প্রদেশের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিপার্টমেন্টের সচিবকেও সরানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Polls 2024: নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা, কী করবেন নতুন ভোটাররা, জানেন?

    Lok Sabha Polls 2024: নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা, কী করবেন নতুন ভোটাররা, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা হয়ে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Polls 2024) নির্ঘণ্ট। গোটা দেশে নির্বাচন হবে সাত দফায়। নির্বাচন শুরু হবে ১৯ এপ্রিল। শেষ হবে ১ জুন। ফল প্রকাশ হবে তারও তিনদিন পর, ৪ জুন। এবার নতুন ভোটার রয়েছে ১.৮ কোটিরও বেশি। প্রথমবারের জন্য মতদান করবেন এঁরা। তাঁরা যাতে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন, তাই তাঁদের জন্য ডিটেলইড গাইড প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন।

    নাম নথিভুক্তিকরণ (Lok Sabha Polls 2024)

    যাঁরা প্রথমবার নির্বাচনী (Lok Sabha Polls 2024) প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন, তাঁদের বয়স ১৮-১৯ বছর। কমিশন তাঁদের ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে নাম নথিভুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছে। ন্যাশনাল ভোটারর্স সার্ভিস পোর্টালে তাঁদের পূরণ করতে হবে ফর্ম ৬। ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার্স বা অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার্সদের কাছে গিয়ে অফলাইনেও নাম নথিভুক্ত করতে পারেন তাঁরা। নাম নথিভুক্তিকরণের পর ভোটারদের যাচাই করে দেখতে হবে, তাঁদের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে কিনা। এলাকার ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কিংবা ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট পরীক্ষা করে জানতে হবে তাঁদের নাম নথিভুক্ত হয়েছে কিনা।

    ভোটদান প্রক্রিয়া

    যাঁর এলাকায় যেদিন ভোটগ্রহণ হবে, প্রথম ভোটাররা সেদিন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাবেন প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র নিয়ে। সেই পরিচয়পত্র তিনি দেখাবেন ফার্স্ট পোলিং অফিসারকে। তিনি সেটি দেবেন সেকেন্ড পোলিং অফিসারকে। তিনি ভোটারের বাঁ হাতের তর্জনীতে কালি লাগিয়ে দেবেন। যা প্রমাণ করবে যে, ভোটার তাঁর নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এরপর ভোটারকে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় স্বাক্ষর করতে হবে কিংবা বুড়ো আঙুলের ছাপ দিতে হবে। তারপরেই যেখানে ইভিএম রয়েছে, সেখানে গিয়ে ভোটার যাঁকে ভোট দেবেন, সেই প্রার্থীর নাম ও প্রতীকের পাশে থাকা বোতামে চাপ দেবেন। এই সময় ‘বিপ’ শব্দ হবে। যা জানিয়ে দেবে, ভোটারের ভোট দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ভোটার একটি কনফার্মেশন স্লিপও পাবেন। ভোট দিতে গিয়ে কোনওরকম সমস্যায় পড়লে প্রথমবার যাঁরা ভোট দিচ্ছেন, তাঁদের কথা বলতে বলা হচ্ছে প্রসাইডিং অফিসারের সঙ্গে (Lok Sabha Polls 2024)।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্য স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন, ভোটারদের জন্য ২৭ অ্যাপ ও পোর্টাল চালু কমিশনের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপরাধের রেকর্ড? ব্যাখ্যা দিতে হবে দলকে, জানাল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপরাধের রেকর্ড? ব্যাখ্যা দিতে হবে দলকে, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। তার মধ্যে অন্যতম হল অপরাধের ‘রেকর্ড’ থাকা ব্যক্তিকে কোনও দল (Lok Sabha Election 2024) যদি প্রার্থী হিসাবে বাছে, তাহলে ওই পার্টিকে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে, কেন এমনজনকে প্রার্থী হিসাবে বাছা হল। এর পাশাপাশি প্রার্থীকে নিজের সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতে হবে সংবাদমাধ্যমে। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। রাজীব কুমার বলেন, ‘‘সব রাজনৈতিক দলকে অপরাধের ‘রেকর্ড’ থাকা প্রার্থীদের টিকিট দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। প্রার্থীদের অন্তত তিন বার সংবাদমাধ্যমে নিজেদের তথ্য প্রকাশ করতে হবে।’’

    cVigil App-এর মাধ্যমে ভোটাররা প্রার্থীর অপরাধের রেকর্ড দেখতে পাবেন

    শনিবার দিল্লির বিজ্ঞানভবনে বিকাল ৩টে নাগাদ নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের সময় এই মন্তব্য করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশবার রাজীব কুমার। তিনি জানিয়েছেন, নিজের লোকসভা কেন্দ্রের (Lok Sabha Election 2024) প্রার্থীর হলফনামা দেখতে পাবেন সাধারণ মানুষও। দেখা যাবে তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অপরাধ মামলার রেকর্ডও। জানা গিয়েছে,  cVigil App-এর মাধ্যমে ভোটাররা প্রার্থীর অপরাধের রেকর্ড দেখতে পাবেন। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের কোনও রেকর্ড থাকলে, তাও দেখা যাবে। জানা যাবে তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণও।

    ১৮তম লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন

    পূর্ব ঘোষণা মতোই শনিবার ১৮তম লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। এদিন বিকাল ৩টে থেকে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। কমিশনের সাংবাদিক বৈঠকে জানা গিয়েছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোট ভোটার ৯৬.৮ কোটি (৪৯.৭ কোটি পুরুষ – ৪৭.১ কোটি মহিলা)। বুথের সংখ্যা ১০.৫ লাখ। দেশে মোট ৭ দফায় ভোট হবে, পশ্চিমবঙ্গেও তাই। একইসঙ্গে, রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের দিনও ঘোষণা করা হয়েছে এদিন। লোকসভা ভোটের সঙ্গেই ওই দুই কেন্দ্রে হবে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণও। লোকসভা নির্বাচন শুরু হচ্ছে ১৯ এপ্রিল থেকে, চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ভোট গণনা হবে ৪ জুন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ কমিশনের, বাংলায় ভোট ৭ দফায়, কবে কোন আসনে?

    Lok Sabha Election 2024: নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ কমিশনের, বাংলায় ভোট ৭ দফায়, কবে কোন আসনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব ঘোষণা মতোই শনিবার ১৮তম লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। এদিন বিকাল ৩টে থেকে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। কমিশনের সাংবাদিক বৈঠকে জানা গিয়েছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোট ভোটার ৯৬.৮ কোটি (৪৯.৭ কোটি পুরুষ – ৪৭.১ কোটি মহিলা)। বুথের সংখ্যা ১০.৫ লাখ। দেশে মোট ৭ দফায় ভোট হবে, পশ্চিমবঙ্গেও তাই। একইসঙ্গে, রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের দিনও ঘোষণা করা হয়েছে এদিন। লোকসভা ভোটের সঙ্গেই ওই দুই কেন্দ্রে হবে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণও। 

    কোন কোন তারিখে পশ্চিমবঙ্গে ভোট?

    প্রথম দফা – ১৯ এপ্রিল – কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে ভোট
    দ্বিতীয় দফা – ২৬ এপ্রিল – রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, দার্জিলিঙে ভোট
    তৃতীয় দফা – ৭ মে – মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুরে ভোট
    চতুর্থ দফা – ১৩ মে – বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বোলপুর, বীরভূম, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোলে ভোট 
    পঞ্চম দফা – ২০ মে – শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, হুগলি, বনগাঁ, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, আরামবাগে ভোট   
    ষষ্ঠ  দফা – ২৫ মে – পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, কাঁথি, তমলুক, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বিষ্ণুপুরে ভোট
    সপ্তম  দফা – ০১ জুন – উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, জয়নগর, বসিরহাট, বারাসত, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, দমদমে ভোট

    দুই বিধানসভায় উপ-নির্বাচন

    লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন৷ মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা ও উত্তর ২৪ পরগনার বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু। ৭মে ভগবানগোলা ও ১ জুন বরানগরে উপনির্বাচন হবে। ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি কিছু দিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন৷ অন্যদিকে বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় ওই আসনটিও খালি হয়েছে৷ সেই কারণেই এই দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন করাতে হচ্ছে৷ 

    ভোট গণনা ৪ জুন

    নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে ভোট গণনা ৪ জুন। অর্থাৎ মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হল, পুরো ভোট প্রক্রিয়া চলবে জুন মাস পর্যন্ত। বাংলায় ভোটার সংখ্যা ৭.৫৮ কোটি। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ৩.৮৫ কোটি এবং মহিলা ভোটার রয়েছে ৩.৭৩ কোটি। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ১০ মার্চ ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণা হয়েছিল। গতবারও সাত দফায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল নির্বাচন। ১১ এপ্রিল শুরু হয়েছিল ভোট এবং ২৩ মে হয় ভোটগণনা। বিজেপি পেয়েছিল ৩০৩টি আসন এবং কংগ্রেস পেয়েছিল ৫২টি আসন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Lok Sabha Election 2024: বঙ্গে কত দফায় ভোট? লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা শনিবার, জানাল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: বঙ্গে কত দফায় ভোট? লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা শনিবার, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। শুধু দিন ঘোষণার অপেক্ষা। তা-ও জানা যাবে আগামিকালই। কমিশনের তরফে ট্যুইট করে জানিয়ে দেওয়া হল, ভোটের সময়সূচী ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক বৈঠক শনিবার। ১৬ মার্চ বিকেল তিনটেয় অনুষ্ঠিত হবে এই সাংবাদিক বৈঠক। কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, বৈঠকটি ইসিআই-এর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লাইভ স্ট্রিম করা হবে।

    লোকসভার পাশাপাশি একই সঙ্গে কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিনও ঘোষণা করতে পারে কমিশন। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) সঙ্গেই অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, সিকিম এবং ওড়িশায় বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। পাশাপাশি, কয়েকটি বিধানসভার উপ-নির্বাচনে দিনক্ষণও ঘোষণা হতে পারে শনিবার।এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দুটি বিধানসভা আসন— মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা ও উত্তর ২৪ পরগনার বরানগর কেন্দ্রের উপনির্বাচনও। 

    কত ধাপে নির্বাচন

    রাজ্যে রাজ্যে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) কখন হবে, কত ধাপে এবং তার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাও জানিয়ে দেওয়া হবে দ্রুত। কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরপরই নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হবে এবং সে কারণে এই সময়ের পরে সরকার নতুন কোনও নীতি বা সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারবে না। বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনের জোড়া শূন্যপদে দুই অবসরপ্রাপ্ত আমলাকে নিয়োগ করা হয়। দেশের দুই নির্বাচন কমিশনারের পদে আসেন সুখবীর সিং সান্ধু এবং জ্ঞানেশ কুমার। এই দুই শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি। শূন্যপদ পূরণের পরই ভোটের দিন ঘোষণার কথা জানিয়ে দিল কমিশন।

    কবে থেকে লাগু নির্বাচনী আচরণবিধি

    সূত্রের খবর, বর্তমান লোকসভার (Lok Sabha Election 2024) মেয়াদ ১৬ জুন, ২০২৪ এ শেষ হবে। তাই নিয়ম অনুসারে  তার আগে নতুন লোকসভা গঠন করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে ভোট হতে পারে সাতেরও বেশি দফায় ভোটগ্রহণ হতে পারে। নির্বাচনের জন্য রাজ্যে থাকবে ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচনের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দেশ জুড়ে লাগু হয়ে যাবে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি। 

    আরও পড়ুন: নিউজ সার্ভিস চালু প্রসার ভারতীর, বিনামূল্যে মিলবে কপিরাইট-ফ্রি খবরাখবর

    ২০১৯ সালে সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাজ্যে। ২০১৯ সালে, ১০ মার্চ সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল এবং তারপরে লোকসভা নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেবার ১১ এপ্রিল শুরু হয়েছিল ভোটগ্রহণ। ২০১৯ সালে  ভোটের ফল ঘোষণা হয় ২৩ মে। এবার ভোটগ্রহণের প্রথম দফাটি হতে পারে ১৬ এপ্রিলের আশেপাশে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট পরিচালনা করতে ২,১৫০ পর্যবেক্ষক নিয়োগ কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: ভোট পরিচালনা করতে ২,১৫০ পর্যবেক্ষক নিয়োগ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) ভোট পরিচালনা করতে ২,১৫০ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল কমিশন। যার মধ্যে ৯০০ সাধারণ পর্যবেক্ষক (Election Observer) এবং ৪৫০ পুলিশ পর্যবেক্ষক রয়েছে। সোমবারই এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছে কমিশন (ECI)।

    ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে পর্যবেক্ষকদের (Election Observer) ফোন

    কমিশনে সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়া মাত্রই পর্যবেক্ষকরা বুথস্তরে গিয়ে কাজ শুরু করে দেবেন। যে কোনও অভিযোগ পাওয়া মাত্রই দ্রুত পদক্ষেপ করবেন পর্যবেক্ষকরা। সাধারণ ভোটার এবং রাজনৈতিক দলগুলির (Lok Sabha Election 2024) অভিযোগও শুনবেন পর্যবেক্ষকরা। ফোন এবং ই-মেল মারফত অভিযোগ জমা করতে পারবেন সাধারণ ভোটাররা। কমিশনের নির্দেশ, ফোন ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে হবে পর্যবেক্ষকদের (Election Observer) এবং সমস্ত ফোন ধরতে হবে। কমিশনের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, যে কোনও ভোটে পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। কমিশনের হয়ে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে তাঁরাই থাকেন।

    পর্যবেক্ষকদের (Election Observer) গাড়িতে লাগানো থাকবে জিপিএস

    কমিশনের নির্দেশ, নির্দিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রে (Lok Sabha Election 2024) দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকদের গোটা ভোট প্রক্রিয়া চলার সময় সেখানেই থাকতে হবে। তাঁদের গাড়িতে লাগানো থাকবে জিপিএস যন্ত্র। যাতে সহজেই তাঁদের লোকেশন জানা যায়। সমাজমাধ্যম, সংবাদমাধ্যমে পর্যবেক্ষকদের ফোন নম্বর এবং ই-মেল প্রকাশ করতে হবে, যাতে ভোটার থেকে প্রার্থী, সকলে তা জানতে পারেন। পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষার জন্য নিরাপত্তা এবং অন্য আধিকারিক নিয়োগ করবে জেলা নির্বাচনী দফতর। পর্যবেক্ষকদের সৎ ভাবে নিজের কাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন (Election Commission)। পরিস্থিতি সর্বদা পর্যবেক্ষণ করতে হবে তাঁদের। যথা সম্ভব বেশি সংখ্যক বুথে ঘুরে ঘুরে পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে হবে পর্যবেক্ষকদের। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে হবে, কোথাও কোনও অসুবিধা হচ্ছে কিনা জানতে হবে। বিশেষত সংবেদনশীল এলাকায় বেশি নজর দিতে হবে পর্যবেক্ষকদের (Election Observer)।

    প্রার্থী এবং জনসভার উপরেও নজর রাখবে কমিশন (ECI)

    প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলগুলির জনসভার (Lok Sabha Election 2024) উপরেও নজর রাখবেন পর্যবেক্ষকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, সেটাও দেখতে হবে পর্যবেক্ষকদের। কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর সুবিধার্থে যাতে বাহিনীকে ব্যবহার করা না হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে। সিইও দফতরের ওয়েবসাইটেও পর্যবেক্ষকদের সব নম্বর রাখতে হবে। শুধু ফোন নম্বর জানালেই হবে না, ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন পর্যবেক্ষকদের প্রত্যেকের ফোন কল রিসিভ করার ওপর বারবার জোর দিয়েছে কমিশন (Election Commission)। কারণ সব থেকে বেশি অভিযোগ এটাই আসে যে পর্যবেক্ষকদের ফোনে পাওয়া যায়নি। কোনও অভিযোগ এলে প্রথমে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে সেটা মেটাতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share