Tag: ED

ED

  • Shahjahan Sheikh: শাহজাহানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, নিজাম প্যালেসে হাজিরা দুই তৃণমূল নেতার

    Shahjahan Sheikh: শাহজাহানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, নিজাম প্যালেসে হাজিরা দুই তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সন্দেশখালির শাহজাহান শেখের (Shahjahan Sheikh) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি। সূত্রের খবর, যে দুটি অ্যাকাউন্ট ইডি ফ্রিজ করেছে, তার একটি ব্যক্তিগত, অন্যটি ‘মেসার্স শেখ সাবিনা ফিশ সাপ্লাই ওনলি’র অ্যাকাউন্ট। শাহজাহানের আরও বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যও চেয়েছে ইডি।

    ইডির নজর শাহজাহানের ১৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে (Shahjahan Sheikh)

    প্রাথমিকভাবে শাহজাহানের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৩৭ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য হাতে পেয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। তাঁদের শ্যেন দৃষ্টি শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) প্রায় ১৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ওপর। তদন্তকারীরা জেনেছেন, এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমেও লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা। নিয়ম মেনে এই অ্যাকাউন্টগুলিতে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। এই বিপুল পরিমাণ টাকা শাহজাহান কাদের পাঠিয়েছিল, তা জানতেই এসকে সাবিনা নামের সংস্থার অ্যাকাউন্টটিও ফ্রিজ করেছে ইডি। প্রসঙ্গত, শাহজাহানের এই সংস্থাটির নাম রাখা হয়েছে তাঁর মেয়ের নামে।

    কীর্তিমান শাহজাহান!  

    শাহজাহান ছিলেন তৃণমূলের নেতা। পরে ইডির তদন্তকারীদের মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পরে পরেই তাঁকে ঝেড়ে ফেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। দলীয় নেতৃত্বের আশীর্বাদী হাত থাকায় কার্যত বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন শাহজাহান। মাছের কারবারের আড়ালে নানা কুকর্মও করে বেড়াতেন বলে অভিযোগ। এভাবে কামানো কালো টাকা সাদা করতেন শাহজাহান। জানা গিয়েছে, শাহজাহান প্রথমে নগদ অর্থ তুলে দিতেন কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার হাতে। পরে সেই টাকাই জমা করাতে বলতেন তাঁর অ্যাকাউন্টে।

    আরও পড়ুুন: কংগ্রেস থেকে ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার সঞ্জয় নিরুপম, যোগ দিচ্ছেন শিন্ডে-শিবিরে?

    এদিকে, শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে ইডির আধিকারিকরা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বুধবার ইডি তলব করেছিল ১৩ জনকে। ওই ঘটনায় ইডি সমন পাঠিয়েছিল হাটগাছি ৬৪ নম্বর বুথের সভাপতি আকবর মোল্লা এবং স্থানীয় তৃণমূল কর্মী আবদুল মতিন শেখকে। বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে এসেছেন তাঁরা।

    প্রসঙ্গত, রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁকে জেরা করায় উঠে আসে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের নাম। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে জখম হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। এই ঘটনায়ই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূলের নাম। তাই কেবল শাহজাহানকে (Shahjahan Sheikh) ছেঁটে ফেলে আদৌ কোনও লাভ হবে কিনা, সে প্রশ্ন উঠেছে সন্দেশখালির তৃণমূলের অন্দরেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: ‘আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন’-এ মহুয়ার বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের ইডির

    Mahua Moitra: ‘আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন’-এ মহুয়ার বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করল ইডি। জানা গিয়েছে, ‘আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন’-এ দায়ের করা হয়েছে মামলাটি। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহতেই ঘুষকাণ্ডে বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়াকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি কিন্তু সে সময় সাড়া দেননি তিনি। না যাওয়ার কারণে হিসেবে ভোটের প্রচারকেই উল্লেখ করেন মহুয়া। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নতুন করে ফের সমন জারি করেছে মহুয়া এবং তাঁর পরিচিত দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকে। জানা গিয়েছে, দুজনকে বিদেশি মুদ্রা বিনিময় আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

    মহুয়ার বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই

    প্রসঙ্গত মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) এর আগে দুবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি কিন্তু দুবারে সেই তলব এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। দিল্লি যাননি। সম্প্রতি, সংসদে ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ প্রমাণিত হয় মহুয়ার বিরুদ্ধে। তাঁর সাংসদ পদও খারিজ হয়। এই মামলার তদন্তেই তাঁর কলকাতার বাড়ি এবং করিমপুরের অফিসে তল্লাশি চালায় সিবিআইয়ের একটি দল। পাশাপাশি এবার ইডিও মামলা করল কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। 

    নজরে বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট

    জানা গিয়েছে, মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) একটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়েই সন্দেহ দানা বাঁধছে। এই কারণেই  তাঁকে তৃতীয়বার সমন পাঠানো হয়েছে। মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, দুবাই কেন্দ্রিক ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা সমেত অন্যান্য উপহার সামগ্রীর বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করতেন। পরবর্তীকালে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়। লোকসভার এথিক্স কমিটির সামনে এর কোনও সদুত্তর না দিতে পেয়ে মহুয়া আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগ করেন কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, মহুয়ার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ সামনে আনেন ঝাড়খণ্ডের সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং একদা তাঁর প্রাক্তন বন্ধু তথা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহদ্রাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে ১৩৭ কোটি কালো টাকা সাদা করেছে শাহজাহান!

    Sheikh Shahjahan: চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে ১৩৭ কোটি কালো টাকা সাদা করেছে শাহজাহান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের নেতা হওয়ার সুবাদে একের এক অন্যায় করে চলেছিল সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। মাথায় দলীয় নেতার আশীর্বাদী হাত থাকায় ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল তৃণমূলের এই ‘বাদশা’। তদন্তকারীরা জেনেছেন, চিংড়ি মাছের ব্যবসার আড়ালে ১৩৭ কোটি কালো টাকা সাদা করেছে শাহজাহান। সেই টাকা লেনদেনের নথিও সংগ্রহ করেছে ইডি।

    একের পর এক অনৈতিক কাজ!

    জমি দখল, ভেড়ি দখলের মতো কাজও করে শাহজাহান লুটেছিল কোটি কোটি টাকা। শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) নিয়ন্ত্রিত এসকে সাবিনা ফিশারিজ সংস্থায় ১০৪ কোটি টাকা ঢুকেছিল ম্যাগনাম এক্সপোর্টসের মাধ্যমে। অনুপ কুমার সোম নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গত অর্থবর্ষে শাহজাহানের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ৩৩ কোটি টাকা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, শাহজাহানের চিংড়ি মাছের ব্যবসার প্রায় ৪০ শতাংশ মাছের জোগান আসত অন্যের দখল করা ভেড়ি থেকে। তাঁর নিজের ভেড়ি থেকে আসত ১০ শতাংশ মাছ। আর বাকি ৫০ শতাংশ মাছ শাহজাহান কিনতেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।

    মাছ ব্যবসায়ীদের হুমকি দিত শাহজাহান!

    এলাকায় শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) যে একছত্র অধিপতি হতে চেয়েছিলেন, তারও প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জেনেছেন, উনিশ সালে স্থানীয় চিংড়ি ব্যবসায়ীদের নিয়ে মিটিং করেন শাহজাহান। সেখানে তাঁদের হুমকি দিয়ে রাখে শাহজাহানের শাগরেদরা। জানিয়ে দেয়, তাঁদের সব মাছ বিক্রি করতে হবে তৃণমূল নেতা (অধুনা বহিষ্কৃত) শাহজাহানকে। অন্যত্র মাছ বিক্রি করলে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেয় শাহজাহান। প্রাণভয়ে শাহজাহানের ঠিক করে দরেই তাকে মাছ বিক্রি করতেন চিংড়ি ব্যবসায়ীরা। ইডি শাহজাহান ঘনিষ্ঠ অন্তত ২০ জনের নাম জানতে পেরেছে, যারা দখল করা ভেড়ির মালিক। তারা সমস্ত চিংড়ি বিক্রি করত শাহজাহানকে। মাছ বিক্রির টাকা পৌঁছে যেত শাহজাহানের দুই ভাই এবং শাগরেদ উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাদের অ্যাকাউন্টে।

    আরও পড়ুুন: “আপনার বাড়ির নাম যদি বদলে দিই, বাড়িটা আমার হয়ে যাবে?”, চিনকে তোপ জয়শঙ্করের

    শাহজাহানের নির্দেশে সেই টাকা ব্যবহার করা হত জমি কিনতে কিংবা অন্য কোনও কাজে। জমি কেনা হত আবু সিদ্দিকি হাফিজিয়া ট্রাস্টের নামে। এই ট্রাস্টটি শাহজাহানের বাবার নামে। জমি দখলের কালো টাকা সাদা করা হয়েছে ওই ট্রাস্টের মাধ্যমে। সোমবার আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, “জমি দখলের কালো টাকা চিংড়ি ব্যবসার লেনদেন হিসেবে দেখানো হত। সেই ব্যবসা শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) মেয়ে শেখ সাবিনার নামে।” ইডির দাবি, চিংড়ি কেনাবেচা করে নয়ছয় করা হয়েছে দুর্নীতির টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
  • Sheikh Shahjahan: ফের ইডি হেফাজতে শাহজাহান, সন্দেশখালিতে কী চলত, আদালতে বলল তদন্তকারীরা

    Sheikh Shahjahan: ফের ইডি হেফাজতে শাহজাহান, সন্দেশখালিতে কী চলত, আদালতে বলল তদন্তকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandesh Khali) আদিবাসীদের জমি কেড়ে নিয়ে টাকার বিনিময়ে সেই জমি অন্যদের ব্যবহার করতে দিতেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। নগদ অর্থের বিনিময়ে বেনামে জমি ব্যবহার করা হত। আদালতে সোমবার এই কথা জানায় ইডি। সেই কালো টাকা সাদা করতে মাছের ভেড়ির ব্যবসা চলত। তাই  দেশের স্বার্থে, সন্দেশখালির মানুষের স্বার্থে শাহজাহানকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মামলার আরও গভীরে পৌঁছতে চায় ইডি। এদিন ইডির সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে আদালত। আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত শাহজাহানকে ইডি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

    কী বলল ইডি

    সোমবার শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) বিশেষ ইডি আদালতে পেশ করার পর, ইডির আইনজীবীরা তুলে ধরেন কী কী চলত সন্দেশখালিতে (Sandesh Khali)। আদালতে ইডির আইনজীবী জানান, জমি ও মাছের ভেড়ি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল বলে আদালতে দাবি করেন ইডির আইনজীবী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, সেখানে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করা হয়েছিল, যার কিংপিন বা মাস্টারমাইন্ড ছিলেন শাহাজাহান। সঙ্গে আরও অনেককে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান ইডির আইনজীবী। শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষ নিজেদের ভেড়ির মালিক দেখিয়েও উপার্জন করেছেন বলে দাবি ইডির। তাদের আরও দাবি, জমি দখলের কালো টাকা চিংড়ির ব্যবসার মাধ্যমে সাদা করা হত। টাকাটা চিংড়ি ব্যবসার লেনদেন হিসাবে দেখানো হত। সেই ব্যবসা শাহজাহানের মেয়ে শেখ সাবিনার নামাঙ্কিত। ইডির দাবি, চিংড়ি বেচা-কেনা করে দুর্নীতির টাকা নয়ছয় করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভারতে চলবে না পেট্রল-ডিজেল গাড়ি! কী বললেন নিতিন গড়করি?

    শাহজাহানের ‘ফাঁসি’র দাবি

    আদালতের লকআপে প্রবেশের সময় ভিড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে হোঁচট খান শাহজাহান। এ দিকে সে সময় আইনজীবীদের একাংশ তাঁর ফাঁসি চেয়ে স্লোগান তোলেন। তাঁকে দুষ্কৃতী বলেও তোপ দাগেন। স্লোগান দেওয়া আইনজীবীদের এক জন বলেন, “শাহজাহান(Sheikh Shahjahan) যা করেছেন, তাতে ফাঁসিও ওঁর শাস্তির জন্য যথেষ্ট নয়।” সোমবার আদালতে ইডি দাবি করে, কিছু নথি দেখিয়ে জেরা করার সময় তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন শাহজাহান। প্রশ্নও এড়িয়ে গিয়েছেন। এ ছাড়াও তদন্তে বেশ কয়েকটি নতুন নাম উঠে এসেছে। ইডির আশঙ্কা, এই পরিস্থিতিতে শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা না হলে, যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তাঁরা পালিয়ে যেতে পারেন বা নাগালের বাইরে চলে যেতে পারেন। সব কথা শুনে আদালত এদিন ইডির দাবি মেনে শাহজাহানকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত হেফাজতে পাঠানোর কথা জানায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: তলব সত্ত্বেও আসেননি, সন্দেশখালির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে ফের নোটিস সিবিআইয়ের

    Sandeshkhali: তলব সত্ত্বেও আসেননি, সন্দেশখালির পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে ফের নোটিস সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহানকে হেফাজতে নেওয়ার পর থেকেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) একাধিকবার সিবিআই হানা দিয়েছে। শাহজাহান বাহিনীর অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। শাহজাহানের ভাই আলমগীরও সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছে। এই আবহের মধ্যে শুক্রবার ফের সিবিআই হানা দিল সন্দেশখালিতে। এবার আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আলিম মোল্লার বাড়িতে নোটিস দিল সিবিআই। হাজিরার জন্য ফের ডাক পড়েছে আব্দুল আলিমের।

    কে এই আব্দুল আলিম? (Sandeshkhali)

    শুক্রবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসারদের একটি টিম প্রথমে গিয়েছিল সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ন্যাজাট থানায়। তারপর সেখান থেকে আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে যান সিবিআই অফিসাররা। প্রসঙ্গত, এই আব্দুল আলিমকে  তৃতীয়বার নোটিস দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির ওপর হামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নিজামে ডাকছে সিবিআই। কিন্তু আগের দু’বারের নোটিসের পরও হাজিরা দেননি তিনি। এবার ফের নিজাম প্যালেসে হাজিরার জন্য তৃতীয় দফায় আব্দুল আলিমের বাড়িতে নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আব্দুল আলিম নামে এই ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী। তবে, তাঁর স্ত্রী আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন ইডির অফিসাররা। কিন্তু, ইডির অফিসাররা সেদিন শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকা তো দূরে থাক, উল্টে এক তীব্র জনরোষের মুখে পড়েছিলেন ইডির অফিসাররা। তারপর থেকেই এলাকা থেকে দীর্ঘদিন বেপাত্তা থাকার পর অবশেষে গ্রেফতার হয়েছে শাহজাহান। এবার ইডি হামলার ঘটনায় বাকি জড়িতদের খোঁজেই বার বার হানা দিচ্ছে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের পর শাহজাহানকে জেরা করতে চায় ইডি-ও, কোর্টে আবেদন আজই?

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির ওপর হামলার ঘটনায় ঠিক কী হয়েছিল, সেই নিয়ে এবার তদন্তে নেমেছে অপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আব্দুল আলিমকে প্রথমে ১৩ মার্চ নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু, সেই নোটিসে হাজিরা দেননি তিনি। এরপর ফের দ্বিতীয় নোটিস পাঠানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। তারপরও নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে দেখা যায়নি তাঁকে। কী কারণে বার বার হাজিরা এড়াচ্ছেন এই ব্যক্তি? আব্দুল আলিমের পরিবারের অবশ্য বক্তব্য, ওই ব্যক্তি শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাই যেতে পারছেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সিবিআইয়ের পর শাহজাহানকে জেরা করতে চায় ইডি-ও, কোর্টে আবেদন আজই?

    Sandeshkhali: সিবিআইয়ের পর শাহজাহানকে জেরা করতে চায় ইডি-ও, কোর্টে আবেদন আজই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। তারপর থেকে অনেক ঘটনাক্রম। একাধিক সমন। কিন্তু ইডির মুখোমুখি হননি শাহজাহান। তবে এবার বসিরহাট জেলে থাকা সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শাহজাহান শেখকে জেরা করতে চাইছে ইডি। জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ শনিবার এ ব্যাপারে বসিরহাট মহকুমা আদালতে আবেদন করতে পারে ইডি। এমনটাই খবর সূত্রের।

    শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতেও নেওয়ার কথা ভাবছে ইডি

    সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহজাহানকে গ্রেফতার করে প্রথমে রাজ্য পুলিশ। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। তার পর থেকে সিবিআইয়ের হেফাজতে ছিলেন একদা সন্দেশখালির এই স্বঘোষিত বাঘ। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই তাঁর ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট মহকুমা আদালত। প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের পাশাপাশি শাহজাহানের বিরুদ্ধে (Sandeshkhali) আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সূত্রের খবর, সেই মামলাতেই শাহজাহানকে জেরা করতে চায় ইডি। জানা গিয়েছে, ইডির নজরে রয়েছে শাহজাহানের নামাঙ্কিত ওই মার্কেট এবং ধামাখালির একটি মাছের বাজারও। সামান্য মাছের ব্যবসা (Sandeshkhali) থেকে শাহজাহান কীভাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছেন, সেটাও খতিয়ে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা। তবে শুধু জেরাই নয়, সূত্রের খবর, শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতেও নেওয়ার কথা ভাবছে ইডি। সেই মতো কলকাতার বিশেষ ইডি আদালতে আবেদনও করতে পারে তারা বলে জানা গিয়েছে।

    শাহজাহানের প্রায় ১৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে

    ইডি সূত্রে আরও খবর মিলেছে, সম্প্রতি শাহজাহানের প্রায় ১৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে জমি, ফ্ল্যাট, মাছের ভেড়ি। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালি (Sandeshkhali), সরবেড়িয়া এবং কলকাতায় সেই সব সম্পত্তি রয়েছে। আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত মামলায় সন্দেশখালির বেশ কয়েকটি জায়গায় ইতিমধ্যেই তল্লাশিও চালিয়েছে ইডি। ইডি সূত্রে আরও খবর, শাহজাহান মার্কেটের কাছে একটি মুদি দোকানের গুদাম থেকে দু’টি গাড়িও উদ্ধার হয়েছে। ইডির দাবি, একটি শাহজাহান আর অন্যটি তাঁর ভাই আলমগির শেখের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদন খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে, অতঃ কিম?

    Arvind Kejriwal: কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদন খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে, অতঃ কিম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামিনের আবেদন খারিজ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal)। আবগারি দুর্নীতি মামলায় আপাতত তাঁকে থাকতে হচ্ছে ইডি হেফাজতেই। দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৩ এপ্রিল।

    জামিনের আবেদন কেজরির (Arvind Kejriwal)

    গত বহস্পতিবার আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতারির বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন আপ সুপ্রিমো। ইডির গ্রেফতারিতে তাঁর সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে দাবি করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। ইডি এখনও তাঁর দোষ প্রমাণ করতে পারেনি বলেও জামিনের আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়। এর পরেই বুধবার শুনানির পর ইডির জবাব তলব করে আদালত। জবাব দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে সাত দিন সময় দিয়েছে আদালত। জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে (Arvind Kejriwal) এই মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

    হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই 

    ২৮ মার্চ শেষ হচ্ছে কেজরিওয়ালের ইডি হেফাজতের প্রথম দফার মেয়াদ। এদিনই তাঁকে দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই। বৃহস্পতিবার ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে কেজরিওয়ালের। তাঁকে ফের তোলা হবে আদালতে। সূত্রের খবর, সেখানেই তাঁকে হেফাজতে পেতে সওয়াল করবে সিবিআই।  

    আরও পড়ুুন: কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য, আমেরিকাকে ‘সমঝে’ দিল ভারত

    এদিকে জেলে বসেই সরকার চালিয়ে যাবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কেজরিওয়াল। জেল থেকেই তিনি দিচ্ছেন যাবতীয় নির্দেশ। তা পালন করে চলেছেন আপ পরিচালিত মন্ত্রিসভার সদস্যরা। জানা গিয়েছে, জেল থেকেই চিঠি লিখে মন্ত্রীদের বিভিন্ন নির্দেশ দিচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তবে ওই চিঠি প্রকৃতই কেজরিওয়ালের লেখা কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলেও দাবি করেছেন দিল্লির বিজেপি নেতৃত্ব। দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা অবশ্য বলেন, “আমি দিল্লিবাসীকে এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে জেলে বসে সরকার চালানো যাবে না (Arvind Kejriwal)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pinarayi Vijayan: আর্থিক অনিয়মের মামলা দায়ের কেরলের  সিপিএমের মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ের বিরুদ্ধে

    Pinarayi Vijayan: আর্থিক অনিয়মের মামলা দায়ের কেরলের  সিপিএমের মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আর্থিক অনিয়মের মামলা দায়ের হল কেরলের মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য পিনারাই বিজয়নের (Pinarayi Vijayan) মেয়ে বীণার বিরুদ্ধে। বীণার একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা রয়েছে। অভিযোগ, দুটি সংস্থা থেকে বীণার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় বেআইনি অর্থ ট্রান্সফার হয়েছিল। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা দায়ের করল ইডি।

    বীণার বিরুদ্ধে অভিযোগ (Pinarayi Vijayan)

    বীণার স্বামী মহম্মদ রিয়াজ কেরলের পর্যটনমন্ত্রী। রিয়াজের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কোচির দুই সংস্থা কোচি মিনারেলস ও রুটাইল লিমিটেড বীণার সংস্থায় ১.২১ কোটি টাকা দিয়েছিল। এই দুই সংস্থায়ই সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ করে বীণার আইটি সংস্থা। তাই বীণার সংস্থায় (Pinarayi Vijayan) এই বিপুল পরিমাণ টাকা দেওয়ার বিষয়টি বেআইনি লেনদেন বলে প্রকাশ্যে আসে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম মারফত। জানুয়ারিতে অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রের কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক।

    কর্নাটক হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের 

    কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিসও বীণার সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কর্নাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এক্সালজিক সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থা। এই সংস্থার পিটিশন খারিজ করে দেয় কর্নাটক হাইকোর্ট। তার পরেই মামলা দায়ের হয় মার্চে। এ বিষয়ে বিজয়ন কিংবা সিপিএমের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    কেবল বীণা নন, মামলা দায়ের হয়েছে তাঁর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ও আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। বেসরকারি দু’টি সংস্থা অবৈধভাবে বীণার সংস্থায় অর্থ দিয়েছে বলে অভিযোগ। এর পরেই প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের অধীনে মামলা রুজু করে ইডি। এই মামলায় জড়িতদের শীঘ্রই ইডি তলব করতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুুন: কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য, আমেরিকাকে ‘সমঝে’ দিল ভারত

    কেরলের পর্যটনমন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, কোচি মিনারেলস ও রুটাইল লিমিটেডে সফটওয়্যার ডেভেলেপমেন্টের কাজ করার কথা ছিল বীণা আইটি সংস্থার। ইডির দাবি, ওই দুই সংস্থা ও বীণার সংস্থার মধ্যে লেনদেন হয়েছিল ১.২১ কোটিরও বেশি টাকা। কিন্তু কোনও কাজই হয়নি। কাজের নামে বেআইনি অর্থ লেনদেন করা হয়েছিল বলেই অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (Pinarayi Vijayan)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন মামলায় দিল্লিতে তলব তৃণমূলের মহুয়াকে

    Mahua Moitra: বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন মামলায় দিল্লিতে তলব তৃণমূলের মহুয়াকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) ফের তলব দিল্লিতে। বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের একটি মামলায় তলব করা হয়েছে তাঁকে। ২৮ মার্চ ইডির সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় আগেও একবার মহুয়াকে সমন পাঠিয়েছিল ইডি। সেবার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের এই নেত্রী। এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকেও। তাঁকে আগেও দু’বার তলব করেছিল কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা।

    বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন (Mahua Moitra)

    বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকদের নজরে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের কয়েকটি ঘটনা রয়েছে। একটি নন-রেসিডেন্ট এক্সটারনাল অ্যাকাউন্টের লেনদেনও নজরে রয়েছে তাঁদের। এসব ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তলব করা হয়েছে মহুয়া ও হীরানন্দানিকে। সংসদে ঘুষ নিয়ে প্রশ্নকাণ্ডে মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে লোকপাল। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে মহুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়। শনিবার সকালে মহুয়ার কলকাতার বাড়ি সহ চারটি ডেরায় তল্লাশি চালায় সিবিআই।

    ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ড

    ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিবিআই। তার জেরে ডিসেম্বর মাসে লোকসভার সাংসদ পদ খারিজ করা হয় মহুয়ার। লোকসভার এথিক্স কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। এই ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন মহুয়া। লোকসভা থেকে বহিষ্কারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহুয়া। সেই মামলাটি এখনও চলছে সুপ্রিম কোর্টে।

    জানা গিয়েছে, এথিক্স কমিটির রিপোর্টে তৃণমূল সাংসদের (মহুয়ার) লোকসভার লগইন আইডি অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার বিষয়টিকে অনৈতিক আচরণ ও সংসদের অবমাননা হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল। এথিক্স কমিটির রিপোর্টে মহুয়াকে কড়া শাস্তি দেওয়ার সুপারিশও করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এবারও কৃষ্ণনগর কেন্দ্রেই তৃণমূলের প্রার্থী মহুয়া। ৩১ মার্চ এই কেন্দ্র থেকেই প্রচার শুরু করার কথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মহুয়ার (Mahua Moitra) প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির অমৃতা রায়, কৃষ্ণনগরে যিনি ‘রানি মা’ নামেই খ্যাত।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির রেখা পাত্রের পর এবার কৃষ্ণনগরের রানিমাকে ফোন মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Liquor Policy Case: দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় এবার জেলে পাঠানো হল কবিতাকে

    Delhi Liquor Policy Case: দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় এবার জেলে পাঠানো হল কবিতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি আবগারি নীতি মামলায় (Delhi Liquor Policy Case) ১৪ দিনের জন্য জেলে পাঠানো হল ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী কে কবিতাকে। ১৫ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরে ছিলেন ইডি হেফাজতে। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার তোলা হয় দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালতে।

    বিচার বিভাগীয় হেফাজতের দাবি ইডির (Delhi Liquor Policy Case)

    সেখানে ইডির তরফে কবিতার ১৫ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত চাওয়া হয়। কারণ তাহলে তিহাড় জেলে পাঠানো হবে না কবিতাকে। সেক্ষেত্রে তাঁকে রাখা হবে ইডির লকআপে। এতে সুবিধা হবে তদন্তের। তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে বছর চল্লিশের কবিতাকে তাঁর হায়দরাবাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ (Delhi Liquor Policy Case), কবিতা ও অন্যদের সঙ্গে দিল্লি আবগারি নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সুবিধা পাওয়ার জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া সহ আপের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। এর বিনিময়ে তিনি আপ নেতাদের ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন।

    ছ’টি চার্জশিট দাখিল ইডির

    ইডি সূত্রে খবর, ২০২২ সালে একটি মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা সারা দেশের ২৪৫টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া, আপ নেতা সঞ্জয় সিং-সহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল কিছু মদও। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় সব মিলিয়ে মোট ছ’টি চার্জশিট দাখিল করেছে ইডি। অ্যাটাচ করা হয়েছে ১২৮ কোটিরও বেশি টাকা।

    আরও পড়ুুন: “আমায় বাঁচান”, আর্তি চাকরির খোঁজে রাশিয়ায় গিয়ে ‘ফেঁসে’ যাওয়া বঙ্গবাসীর

    এদিন আদালতে কবিতার তরফে আবেদন করা হয় জামিনের। তাঁর নাবালক ছেলের স্কুলে পরীক্ষা রয়েছে। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক, আবেদন করা হয় কবিতার তরফে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কবিতার জামিনের আবেদন শুনবেন নিম্ন আদালত। শুনানি হবে ১ এপ্রিল। কবিতার জামিনের আবেদনের বিরুদ্ধে ইডির তরফে বলা হয়, এটা স্পষ্ট যে অবৈধভাবে সুবিধা পেতে কবিতা সরকারি কর্তৃপক্ষকে টাকা দেওয়ায় যুক্ত ছিলেন। তিনি যে ১০০ কোটি টাকাও অন্যের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিলেন তাও স্পষ্ট। কবিতা প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে সাহায্য করছেন না বলেও অভিযোগ ইডির। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, কবিতা তদন্তে সাহায্যও করছেন না (Delhi Liquor Policy Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share