Tag: ED

ED

  • CBI: সন্দেশখালিতে ছেঁড়া হল সিবিআইয়ের দেওয়া নোটিশ, শোরগোল

    CBI: সন্দেশখালিতে ছেঁড়া হল সিবিআইয়ের দেওয়া নোটিশ, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনায় শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নেওয়ার পর সন্দেশখালিতে একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে সিবিআই (CBI)। শাহজাহান ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। সোমবার বিকেলে আকুঞ্জিপাড়া এলাকায় নোটিশ দিতে ঢুকেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন ন্যাজাট থানার পুলিশকর্মীরাও। সেই সময়েই রহমান আকুঞ্জি নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নোটিশ ধরাতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসাররা। রহমান আকুঞ্জির বাড়ির এক সদস্য নোটিশটি গ্রহণ করলেও, পরক্ষণেই বাড়ির অপর এক সদস্য সেই গ্রহণ করা নোটিশ ছিঁড়ে ফেলেন। সিবিআই আধিকারিকদের সামনে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সিরাজের গ্রেফতারের দাবিতে ফের অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (CBI)

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালি ইডি অভিযান চালানোর সময় শাহজাহান বাহিনী হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় গাড়িও। বনগাঁয় ইডি হানার সময় সেখানেও হামলার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার ফের সিবিআই আধিকারিকরা সন্দেশখালি যান। সিবিআই (CBI)ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে আকুঞ্জিপাড়ায় রহমান আকুঞ্জি ও আবিবুর আকুঞ্জিকে নোটিশ দিতে গিয়েছিল সিবিআই-এর তদন্তকারী দল। মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে সন্দেশখালির ঘটনার সাক্ষী হিসেবে তলব করা হয় তাঁদের। সেই সূত্র ধরেই তাঁদের বাড়িতে নোটিশ পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন সিবিআই-এর অফিসাররা। সিবিআই আধিকারিকরা নোটিশ দিতেই একজন নোটিশ ছিঁড়ে দেন। তবে, কেন সিবিআইয়ের দেওয়া নোটিশ ছিঁড়ে দিলেন তা নিয়ে তিনি কোনও কথা বলেননি। তবে, যিনি প্রথম নোটিশটি গ্রহণ করেছিলেন তিনি এই ঘটনায় বেশ বিব্রত হয়ে পড়েন। বাড়ির অপর সদস্য কী কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে সিবিআই অফিসারদের কাছে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন এবং নোটিশের অপর একটি কপি যাতে দেওয়া হয়, সেই অনুরোধ করেন। সেই মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে নোটিশের একটি প্রতিলিপি রহমান আকুঞ্জির পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নতুন করে আবার নোটিশ গ্রহণ করেন রহমান আকুঞ্জির বাড়ির সদস্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ইডির ওপর হামলা, শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যোগ সিবিআই-এর

    Sandeshkhali: ইডির ওপর হামলা, শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যোগ সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তল্লাশি অভিযানের সময় গত জানুয়ারিতে ইডির ওপর হামলা! অবশেষে শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার, আক্রান্ত ইডি আধিকারিকদের বয়ান দাখিল করে সিবিআই। শুক্রবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের বাড়ি সমেত বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপরই ধৃত নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা যোগ করল সিবিআই। শুক্রবার এক বিবৃতিতে সিবিআই জানিয়েছে, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগে যে মামলা দায়ের হয়, তার প্রেক্ষিতেই শুক্রবার ওই স্থানে অভিযান চালানো হয়। তদন্তের সুবিধার্থে ফরেন্সিক দলের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। পুরো অভিযানে বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

    জেরায় কী জানাল শাহজাহান?

    বগটুইকাণ্ডে যেমনটা হয়েছিল, সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali) তদন্তেও থ্রিডি লেজার স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন সরবেড়িয়া থেকে সিবিআই আলি গাজি নামে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ একজনের বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইডিকে ভয় পেয়েই শাহজাহান এতদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন। সিবিআই-এর জেরায় এমনটাই জানিয়েছেন শাহজাহান। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে শাহজাহান জানান, সরবেড়িয়ার বাড়িতে থাকলে তিনি প্রতিদিনই মর্নিং ওয়াকে বের হন। সেইমতো তিনি ৫ জানুয়ারিও সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়িতে ইডি এসেছে শুনে এবং ইডির ফোন পেয়েই তিনি ভয় পেয়ে যান। ইডির হাতে গ্রেফতার হতে পারেন, এই ভয়েই তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি।

    মঙ্গলবারই তদন্তভার নেয় সিবিআই

    প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার নেয় সিবিআই। গত বুধবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনা নিয়ে মোট তিনটি এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তার মধ্যে একটি এফআইআর হয় ইডির ওপর হামলার ঘটনায়। বাকি দু’টির মধ্যে একটি রাজ্য পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং অন্যটি রেশন বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগে। প্রথমে খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করা না হলেও তা শুক্রবারই যুক্ত করেছে সিবিআই।

    বুধবার থেকে সিবিআই হেফাজতে শাহজাহান

    এর আগে, শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি ধারায় মামলা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। ন্যাজাট থানায় দায়ের হওয়া ওই মামলাগুলিতে ডাকাতি থেকে শুরু করে খুনের চেষ্টা ইত্যাদি রয়েছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নেতা শাহজাহান গ্রেফতার হয় রাজ্য পুলিশের হাতে। বসিরহাট কোর্ট তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এর পরে হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার সন্ধ্যায় শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: হামলার দিন শাহজাহানকে তিনি ফোন করেছিলেন, আগেভাগেই স্বীকার তৃণমূল বিধায়কের!

    Sandeshkhali: হামলার দিন শাহজাহানকে তিনি ফোন করেছিলেন, আগেভাগেই স্বীকার তৃণমূল বিধায়কের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এই টালমাটাল পরিস্থিতির সূচনা হয়েছিল চলতি বছরের ৫ই জানুয়ারি। সেদিন শাহজাহান বাহিনী ইডি’র ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল। শাহজাহানের দাপটের কথা যতই তারপর থেকে প্রকাশ্যে এসেছে, ততই একটা প্রশ্ন জোরালো হয়েছে। তা হল, তাঁর মাথায় কার কার হাত রয়েছে অর্থাৎ তৃণমূলের কোন কোন প্রভাবশালী নেতা তাঁর এই ধরনের অমানবিক অত্যাচারে মদত জুগিয়ে গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই শাহজাহানের ফোনের কল লিস্ট জোগাড় করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর সেই খবর পাওয়া মাত্রই সেখানকার বিধায়ক সুকুমার মাহাতো সাফাই গাইতে ময়দানে নেমে পড়েছেন। নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে সেদিন তিনি শাহজাহানকে ফোন করেছিলেন।

    কী বললেন বিধায়ক? (Sandeshkhali)

    স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “ওইদিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ আমি শাহজাহানকে ফোন করেছিলাম।” আর সেই ফোন তিনি নাকি নিজের ইচ্ছায় করেননি, করেছিলেন হাজি নুরুলের নির্দেশ মেনে। ফোনে তিনি শাহজাহানকে (Sandeshkhali) কী বলেছিলেন? সুকুমার মাহাতোর কথায়, “ইডির ওপর যাতে হামলা না হয়, সেই পরামর্শই আমি ওকে দিয়েছিলাম। যদিও ততক্ষণে সমস্ত ঘটনা ঘটে গিয়েছে।” তৃণমূলের প্রভাবশালী তত্ত্ব এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই সামনে এসেছে। তাই সুযোগ বুঝে তৃণমূলের সঙ্গেও দূরত্ব তৈরিতে নেমেছেন ওই বিধায়ক। তিনি বলেন, “আমি তেমনভাবে দল করি না। শুধু উন্নয়নের কাজকর্ম দেখছি।” তাঁর দাবি, তিনি রাজনৈতিকভাবে কোনও প্রভাবশালী নেতাও নন।

    ৩ মিনিটে ২৮টি ফোন? (Sandeshkhali)

    এদিকে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সেদিন ইডির তল্লাশি অভিযান শুরু হওয়ার পর ৩ মিনিটে মোট ২৮ টি ফোন করেছিলেন শাহজাহান। তাঁর নিজের হেফাজতে ছিল দুটি ফোন। ফোনগুলি করা হয়েছিল সেখান থেকেই। যেহেতু এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে তদন্তে নেমেছিল ইডি, তাই তারা শুরুতেই ফোনের কল লিস্ট জোগাড় করে ফেলেছিল। এরপর সিবিআই যখন তদন্তের নির্দেশ পায়, তখন সেই কল লিস্ট (Sandeshkhali) তারা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। তৃণমূল বিধায়কের কাছে এটা পরিষ্কার যে কল লিস্ট অনুযায়ী তাঁরও ডাক আসবে। তাই আগেভাগেই তিনি সাফাই দেওয়া শুরু করে দিয়েছেন, এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: শংকর আঢ্যকে গ্রেফতারের পরও হয়েছিল হামলা, তদন্তে নেমে সোজা বনগাঁয় সিবিআই

    CBI: শংকর আঢ্যকে গ্রেফতারের পরও হয়েছিল হামলা, তদন্তে নেমে সোজা বনগাঁয় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ জানুয়ারি বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্যের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। দিনভর তল্লাশির পর মধ্যরাতে শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করে তাঁর শিমুলতলার বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যান তাঁরা। সেই সময় সন্দেশখালি মডেলে হামলা চালানো হয়েছিল ইডি আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ওপর। পরবর্তীতে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ পেয়ে তদন্তে নামে সিবিআই (CBI)। ইডি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ওপর হামলার এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শংকর আঢ্যের বাড়ির সামনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট ধরে চারপাশ ঘুরে দেখেন সিবিআই কর্তারা। তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা।

    সন্দেশখালি মডেলেই প্রতিরোধ (CBI)

    তদন্তভার হাতে পেয়েই সিবিআই যেমন সন্দেশখালির ত্রাস শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে, ঠিক একই ভাবে সিবিআইয়ের (CBI) আরও একটি দল হানা দিয়েছিল বনগাঁয়। এই বনগাঁতেই রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে বাধা পেয়েছিল ইডি। এখানে কোনও আধিকারিক প্রহৃত হননি ঠিকই, কিন্তু সন্দেশখালি মডেলেই তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল।

    ঘটনার পুনর্নির্মাণ? (CBI)

    এদিন সিবিআই যা করল, তাকে সেদিনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ বলে চলে। সিবিআই আধিকারিকরা পুলিশ অফিসারের কাছ থেকে সেদিনের ঘটনার বিবরণ শোনেন। তাঁর বাড়ি ঘুরিয়ে দেখানোর পাশাপাশি এলাকার কোন কোন জায়গায় কতগুলি সিসিটিভি রয়েছে, তার পরিসংখ্যান নেয় সিবিআই। একই সঙ্গে সেদিন শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় কোন জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটেছিল, সেই জায়গাটিও তাঁরা ঘুরে দেখেন। সিবিআই আধিকারিকরা শংকর আঢ্যের বাড়ির ছবি তোলার পাশাপাশি তার বাড়ির সামনে রাস্তায় বিদ্যুতের পোলে লাগানো সিসিটিভির ছবিও তোলেন।

    তবে তাঁদের ওপর নতুন করে যাতে কোনও হামলার ঘটনা না ঘটে, তাই সিবিআই (CBI) আগে থেকেই সতর্ক ছিল। আধা সেনা নিয়েই তারা এলাকায় ঘোরে। পুলিশকে অবশ্য এদিন আগাগোড়া তাদের সহযোগিতা করতেই দেখা গিয়েছে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে বাধা দিচ্ছে পুলিশ, হাইকোর্টে অভিযোগ ইডির

    Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে বাধা দিচ্ছে পুলিশ, হাইকোর্টে অভিযোগ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি মামলার তদন্তে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বাধার অভিযোগ। এই মর্মে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল ইডি। চাওয়া হল সিবিআই। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই আবেদন করা হয়েছে।

    কী বললেন ইডির আইনজীবী?

    ইডির ওপর হামলার ৫৬ দিন পরে গ্রেফতার হন শেখ  শাহজাহান। তারপর থেকেই এই মামলার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডির আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদীর বক্তব্য, ‘‘তদন্তের নামে বারবার ইডি অফিসারদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু অভিযুক্তকে আদতে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জেরার প্রয়োজন।’’ গত ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী হিসেবে ইডির ডেপুটি ডিরেক্টরকে সিআইডি তলব করে। সোমবারই ভবানী ভবনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু গতকাল ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর যাননি। এবার আদালতে গিয়েই পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করল ইডি।

    কী বললেন সিবিআই-এর আইনজীবী?

    প্রসঙ্গত, ইডির হামলার ঘটনায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্দেশে বলা হয়, সিবিআই এবং রাজ্যের আধিকারিকরা যৌথভাবে এই মামলার তদন্ত করবে। তবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ (Calcutta High Court) দিয়েছিল। আগামী ৬ মার্চ ওই মামলার ফের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী এসভি রাজু এদিন বলেন, ‘‘যদি তদন্ত সিআইডির হাতে থাকে তাহলে তা সাংঘাতিকভাবে ব্যাহত হবে। তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে। তাই অবিলম্বে এই মামলার তদন্ত হস্তান্তর করা উচিত সিবিআইয়ের হাতে।’’

    তদন্ত দিকভ্রষ্ট হওয়ার আশঙ্কা সিবিআইয়ের

    এসভি রাজু আরও (Calcutta High Court) বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশ তদন্তকে বিভ্রান্ত করবে। অন্যদিকে ঘোরাতে চাইবে। যারা ইডি আধিকারিকদের উপর আক্রমণ করেছিল তাদের কিছু হল না। উলটে ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হয়েছে। ফলে অনুমান করা যায় এই মামলা পুলিশ চাইবে অন্যদিকে ঘোরাতে। রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আমরা সন্দিহান। সেই জন্য সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হোক তদন্তের দায়িত্ব।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ‘‘আমার নয়, টাকা ওর’’! ৫৪ কোটির মালিক কে? সম্পত্তি-জটে আটকে ‘অপা’-র মামলা

    ED: ‘‘আমার নয়, টাকা ওর’’! ৫৪ কোটির মালিক কে? সম্পত্তি-জটে আটকে ‘অপা’-র মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই নিয়োগ-দুর্নীতিতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে শুনানি চলাকালীন ইডির তরফে দাবি করা হয়, ‘‘স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৫৪ কোটি টাকার জন্য দু’জন নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে এবং দু’জনেই দাবি করছে, এটা তাঁর নয়, অপর জনের।’’ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ৫৪ কোটি টাকা যেন ফুটবল হয়ে গিয়েছে। কখনও পার্থর কোর্টে তো কখনও অর্পিতার কোর্টে। অথচ মালিকানা কেউ নিতে চাইছে না। সূত্রের খবর, গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানিতে অর্পিতা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন, তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন ঠিকই, কিন্তু এই বিপুল সম্পত্তির মালিক তিনি নন। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে অর্পিতার দুটি বাড়ি থেকেই কোটি কোটি টাকা এবং সোনার গয়না উদ্ধার করে ইডি।

    দুর্নীতির কিংপিন পার্থ, দুর্নীতির রানি অর্পিতা

    আদালতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আরও দাবি করে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতোই চলত যাবতীয় ব্যবসা। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক ব্যক্তিকে এই পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুর্নীতি সংগঠিত করতে ব্যবহার করেছেন বলেও দাবি ইডির (ED)। ইডির দাবি, অর্পিতা অতীতে দাবি করেছেন, যাবতীয় দুর্নীতির কিংপিন হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই। তবে অর্পিতাও যে দুর্নীতির সঙ্গে সমানভাবে যুক্ত, সে কথাও এদিন আদালতে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। ইডির তরফে এদিন বলা হয়, ‘‘অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই দুর্নীতির কিংপিন। আমরা বলছি, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় প্রকৃতপক্ষে এই দুর্নীতির রানি।’’

    ৬ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি

    বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের প্রশ্নের জবাবে ইডি আদালতে জানায়, পাঁচটি মামলায় ১৬৫ জন সাক্ষী রয়েছে। সেই শুনে বিচারপতি বলেন, ‘‘তাহলে অদূর ভবিষ্যতে নিম্ন আদালতে বিচারপর্ব শেষ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।’’ তখন ইডির (ED) তরফে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, ‘‘আমরা বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত রয়েছি। হাইকোর্ট নির্দেশ দিলে প্রত্যেকদিন নিম্ন আদালতে শুনানি করতে প্রস্তুত।’’ আগামী ৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা, তাহলে কাকা-ভাইঝি কীভাবে? আদালতে ইডি

    Recruitment Scam: সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন পার্থ-অর্পিতা, তাহলে কাকা-ভাইঝি কীভাবে? আদালতে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই মামলার শুনানিতে (Recruitment Scam) অর্পিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা আদালতে অস্বীকার করেছিলেন পার্থ। তাঁর আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, অর্পিতা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নয়, বরং ভাইঝির মতো! কিন্তু বৃহস্পতিবারের শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানাল, দুজনে সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন, তাহলে কাকা-ভাইঝি কীভাবে? নিজেদের দাবির স্বপক্ষে এদিন উচ্চ আদালতের তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে বিভিন্ন যুক্তিও খাড়া করে ইডি।

    পার্থ-অর্পিতা সম্পর্ক, উচ্চ আদালতে ইডির যুক্তি

    ১. পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে এদিন জানায় ইডি (Recruitment Scam)। সেই কারণেই নাকি দুজনে সন্তান দত্তক নিতেও সম্মত  হন। আদালতে এমনটাই দাবি ইডির।

    ২.  পার্থ কীভাবে অর্পিতার কাকা হয়ে গেলেন, সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলেও জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির (Recruitment Scam) মতে, অর্পিতার ৩১ টি এলআইসি পলিসিতে পার্থর নাম উল্লেখ রয়েছে।

    ৩. ইডির আরও দাবি, বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর অর্পিতার নাম রাখা হয়েছে। এর থেকেই প্রমাণিত হয়, তাঁদের দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ঠিক কতটা।

    ৪. পার্থ-অর্পিতা গোয়া ও থাইল্যান্ড ঘুরতে গিয়েছিলেন বলেও জানা যায়। ইডির দাবি, সেসময় জনৈক স্নেহময়ও তাঁদের সঙ্গে যান। স্নেহময়ের বয়ানে পার্থ-অর্পিতার সম্পর্কের কথা বলা  আছে বলে জানিয়েছে ইডি।

    ৫. কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, অপা নামে পার্থ-অর্পিতার যৌথ কোম্পানি রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, কাকা-ভাইঝির সম্পর্কের নাম এভাবে অপা হতে পারে না।

    কী বললেন ইডির আইনজীবী?

    ইডির আইনজীবী এদিন উচ্চ আদালতে বলেন, ‘‘নিম্ন আদালতে শুনানির সময় অর্পিতা বার বার দাবি করেছেন, এই দুর্নীতির ‘কিংপিন’ (Recruitment Scam) পার্থ। এর স্বপক্ষে তিনি কিছু তথ্যও দিয়েছিলেন। তাতে বোঝা যায়, দুর্নীতিতে অর্পিতাকে ব্যবহার করেছিলেন পার্থ। অর্থাৎ দুর্নীতিতে তাঁরা দু’জনেই জড়িত। তাঁদের মধ্যে কী ধরনের সম্পর্ক ছিল, আমরা জানি না। কিন্তু তথ্য বলছে, একে অপরের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক অবশ্যই ছিল। আমরা বলছি, অর্পিতা এই দুর্নীতির রানি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ইডি থেকে বাঁচতেই কি ইডি’র ওপর হামলার দায় স্বীকার শাহজাহানের?

    Sheikh Shahjahan: ইডি থেকে বাঁচতেই কি ইডি’র ওপর হামলার দায় স্বীকার শাহজাহানের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির উপর হামলার ঘটনা আদালতে কার্যত স্বীকার করে নিলেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। ‘সন্দেশখালির ত্রাস’ শাহজাহানের মতো এক তথাকথিত দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আদালতে এক কথায় স্বীকার করে নিলেন নিজের অপরাধ! অবাক রাজনৈতিক মহল। শাহজাহানের স্বীকারোক্তিই তো পুলিশের কেস শক্ত করে দিল। সহজেই আরও জিজ্ঞাসাবাদের ‘অজুহাতে’ পুলিশের হেফাজতে চলে গেলেন শেখ শাহাজাহান। তিনি কি নিজেই চাইছেন পুলিশের কাছে থাকতে, বা বলা ভালো, রাজ্যে থাকতে?

    পুলিশের দাবি

    মিনাখাঁ থেকে শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করার পর বৃহস্পতিবার সোজা তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। আদালতে তাঁকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন করে পুলিশ। যদিও আদালত শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এ দিন পুলিশ আদালতে জমা দেওয়া নথিতে শাহজাহানকে ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী’ বলে উল্লেখ করেছে। উল্লেখ করা হয়েছে ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে। তাঁকে জামিন দিলে সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) এবং ন্যাজাট থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেও মনে করছে পুলিশ।

    নথিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। যে সমস্ত সমাজবিরোধী গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়ির সামনে ইডি আধিকারিকদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাটে যুক্ত ছিল, তাদের চিহ্নিত করতে শাহজাহানই পথ বলেও নথিতে দাবি করেছে পুলিশ। লুট হওয়া মালপত্রের কিছুই এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার পরেই দাবি করা হয়েছে, শাহজাহান পুলিশকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি লুটের মাল উদ্ধার করতে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। তাই পুলিশ হেফাজতেই থাক শহজাহান। 

    শাহজাহানের স্বীকারোক্তি

    এদিন আদালতে মাত্র ১০ মিনিট সওয়াল জবাব হয়। শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেন সরকারি আইনজীবী। তখনই শাহজাহান বলেন, ‘‘সাত সকালে কোনও নোটিশ ছাড়া ইডির আধিকারিকরা আমার বাড়তে এসেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আমি গ্রেফতারির আশঙ্কা করে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই অনুগামীদের ইডি আধিকারিকদের ওপরে হামলা করার নির্দেশ দিই। তাদের জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিতে বলি।’’ এত সহজে দোষ স্বীকার করে নিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতা! প্রশ্ন উঠছে ইডির হাত থেকে বাঁচতেই এই স্বীকারোক্তি নয় তো? রাজ্য পুলিশের হেফাজতে থাকলে অন্তত কিছুদিন ঠেকানো যাবে ইডিকে।

    আরও পড়ুুন: “এটা গ্রেফতার নয়, মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট”, শাহজাহান প্রসঙ্গে তোপ শুভেন্দুর

    সেফ কাস্টোডিতে শাহজাহান!

    সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের মামলা আপাতত সিআইডির হাতে দেওয়া হয়েছে। তারাই এই সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করতে চলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শাহজাহানকে গ্রেফতার করে বসিরহাট থেকে বৃহস্পতিবার নিয়ে যাওয়া হয় ভবানী ভবনে। আগামী ১০ দিন তিনি সেখানেই থাকবেন। আদালত তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের গোয়ান্দারা শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, বলে খবর। পুলিশের আনা অভিযোগ এক প্রকার মেনে নিয়েছেন সন্দেশখালির নেতা। পুলিশকে  সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। সামনে লোকসভা নির্বাচন রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ইডি-র ওপর হামলার ঘটনাকে হাতিয়ার করেই শাহজাহানকে ইডি-র হাত থেকে বাঁচাতে চাইছে মমতার পুলিশ? ভোটের আগে ইডি ছুঁলে রক্ষে নেই তাই অন্তত কিছুদিন পুলিশের সেফ কাস্টোডিতে থাকাই ভাল! প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি এই গ্রেফতারি সত্যিই ফেক, এই কাস্টোডি মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট। যেমনটা বলছে বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Aroop Biswas: এবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস! অ্যালকেমিস্ট মামলায় তলব করল ইডি

    Aroop Biswas: এবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস! অ্যালকেমিস্ট মামলায় তলব করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যালকেমিস্ট মামলায় এবার রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে (Aroop Biswas) তলব করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই মামলায় প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ হিসাবেই অরূপকে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে তৃণমূলের নির্বাচনী খরচের উৎস জানতে তলব করা হয়েছে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে। 
     

    কেন তলব অরূপকে

    অ্যালকেমিস্ট মামলায় তদন্ত করছে ইডি। সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর কেডি সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী সংস্থা। সম্প্রতি মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কাঁচরাপাড়ায় মুকুলের বাড়িতেও যায় ইডি। সংস্থার এক কোষাধ্যক্ষ ও হিসাবরক্ষককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, তাঁদের বয়ানের ভিত্তিতেই ইডি মনে করছে, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলের যে নির্বাচনী খরচ তা নজরে আনা দরকার। ইডি সূত্রে খবর, মন্ত্রী নয়, তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ হিসাবেই অরূপকে (Aroop Biswas) তলব করা হয়েছে। তৃণমূলের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতেই এই তলব। ২০১৪ সালের ভোটের প্রচারে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে অরূপের কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে বলেই ওই সূত্রটির দাবি। অরূপ দক্ষিণ কলকাতার নেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন বলে পরিচিত। ববি হাকিমের মতই অরূপ বিশ্বাস দিদির ইনার সার্কেলে অন্যতম মুখ বলে শাসক দলের ভিতরে ও বাইরে ধারণা। অ্যালকেমিস্ট চিট ফান্ড মামলায় কয়েক কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ নিয়ে এবার তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠাল ইডি।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ‘১৭৪ ধারা’! স্থানীয় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরতের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

    ইডিকে চিঠি অরূপের

    অ্যালকেমিস্ট মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ কেডি সিংকে। ইডি সূত্রে খবর, তাঁরই সংস্থা ছিল ‘অ্যালকেমিস্ট ইনফ্রা রিয়্যালটি’। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে লগ্নিকারীদের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তোলার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। এই নিয়েই এবার অরূপকে (Aroop Biswas) ডেকে পাঠানো হয়। যদিও সমন পেয়েও তদন্তের মুখোমুখি মন্ত্রী হননি। পালটা সময় চেয়ে ইডিকে তিনি চিঠি দিয়েছেন বলেও খবর। সময় চাওয়ার পাশাপাশি সেই চিঠিতে তৃণমূলের বক্তব্যও তুলে ধরা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ অরূপ বিশ্বাস। তাঁর আবেদন বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই ইডির একটি সূত্রের দাবি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘‘আমরা পুলিশকে বলিনি যে, গ্রেফতার করা যাবে না’’, শাহজাহান ইস্যুতে জানাল হাইকোর্ট

    Sandeshkhali: ‘‘আমরা পুলিশকে বলিনি যে, গ্রেফতার করা যাবে না’’, শাহজাহান ইস্যুতে জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারবে রাজ্য পুলিশ। কোনও স্থগিতাদেশ তাতে দেওয়া হয়নি। সোমবারই এ কথা জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। প্রধান বিচারপতির এদিনের মন্তব্য এটাও সামনে আনল যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি সম্পর্কে এতদিন যা বলেছিলেন, তা একেবারেই মিথ্যা। প্রধান বিচারপতির নিজের ভাষায়, ‘‘স্পষ্টভাবে বলছি, পুলিশকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা পুলিশকে বলিনি যে, গ্রেফতার করা যাবে না।’’

    নোটিশ জারি হবে শাহজাহানের নামে

    সোমবারই প্রধান বিচারপতি শাহজাহানকে মামলায় যুক্ত করে নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে এবিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশ (Sandeshkhali) অনুযায়ী, সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা এবং ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে নোটিশ জারি করতে হবে। পাশাপাশি ইডি, সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশকেও মামলায় যুক্ত করতে বলা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৪ মার্চ।

    মিথ্যা প্রমাণিত অভিষেকের দাবি

    গত বুধবারই তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, শাহজাহানের (Sandeshkhali) গ্রেফতারির ক্ষেত্রে অন্তরায় আদালত। কোর্টই পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে। অভিষেক বলেন, ‘‘শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাজ্য সরকার। ইডি তাঁকে ধরতে পারেনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গিয়ে রাজ্য পুলিশের ওই এফআইআরের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ পেয়েছে। ফলে পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে আদালতই।’’ অভিষেকের এই দাবি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তারই প্রতিফলন ধরা পড়ল আদালতের এদিনের নির্দেশে।

    আইনি সহায়তা কেন্দ্রে অভিযোগ জানাতে পারবেন নির্যাতিতারা

    প্রসঙ্গত, সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে সন্দেশখালির একাধিক মামলা ওঠে। শুনানিতে বিজেপির আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়াল অভিযোগ জানিয়েছেন, পুলিশ সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলাদের অভিযোগ (Sandeshkhali) শুনছে না। উল্টে অভিযুক্তদের আড়াল করছ। এভাবে চলতে থাকলে নির্যাতিতারা কোনও দিনই বিচার পাবেন না। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে, নির্যাতিতা যদি চান জেলার আইনি সহায়তা কেন্দ্রে অভিযোগ জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে আইনি সহায়তা কেন্দ্রে যাঁরা অভিযোগ জানাবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। পরের শুনানিতে সেই সব অভিযোগের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।

     

    আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা বিলোপের কারণে জম্মু-কাশ্মীরে ৩০ বছর পরে পালিত হয়েছিল জন্মাষ্টমী, জানালেন অমিত শাহ

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share