Tag: ED

ED

  • ED: নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রীর বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি ইডি-র, বাজেয়াপ্ত ৪১ লক্ষ টাকা

    ED: নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রীর বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি ইডি-র, বাজেয়াপ্ত ৪১ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বোলপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তদন্তের খবর পেয়ে দলীয় কর্মসূচি ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসেন মন্ত্রী। রাত ১০টা ৪০ নাগাদ তাঁর বাড়ি থেকে বের হন ইডি (ED) আধিকারিকরা। দিনভর তল্লাশি চালিয়ে ইডি আধিকারিকরা কী করলেন তা নিয়ে শনিবার জেলাজুড়ে জোর চর্চা চলছে। জানা গিয়েছে, ৪১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    মন্ত্রীর বাড়িতে দিনভর তল্লাশি চালিয়ে কী পেল ইডি? (ED)

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোজা বীরভূমে অনুব্রতের গড়ে হানা দেয় ইডি (ED)। ইডি সূত্র অনুযায়ী, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে ইডির হাতে ধৃত তৃণমূল প্রাক্তন যুবনেতা কুন্তল ঘোষের কাছ থেকেই বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহার নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। কুন্তলের কাছ থেকে ১০০ জনের নাম লেখা তালিকায় ছিল তাঁর নামও। তালিকায় থাকা এই ১০০ জন শিক্ষক নিয়োগের নামে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত বলে কুন্তল ইডির কাছে বয়ান দেয়। তার ভিত্তিতেই শুক্রবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার নিচুপট্টির বাড়িতে সকাল ৮টা ৪০ নাগাদ পৌঁছে যান ইডির ৮ থেকে ১০ জনের আধিকারিক দল। সঙ্গে ছিল বিশাল কেন্দ্রীয়বাহিনী। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার ১৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশির পর ইডি আধিকারিকরা মন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, একাধিক নথিপত্র পরীক্ষা করে কিছু কিছু বাজেয়াপ্তও করেছেন বলে খবর। সূত্রের খবর, মন্ত্রীকে একদিন ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠানো হতে পারে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার নাম পেয়েই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। সূত্রের খবর, মন্ত্রীর ছেলে ও স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এদিন। বাজেয়াপ্ত হয়েছে জমির দলিল ও বেশ কিছু নথিপত্র এবং নগদ ৪১ লক্ষ টাকা। সেগুলি কীসের, তা খতিয়ে দেখবে ইডি।

    আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের মুখে পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মী খুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বললেন মন্ত্রী?

    ইডি (ED) বোলপুরের বাড়িতে হানা দেওয়ার সময় মন্ত্রী এই বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ছিলেন মুরারইয়ে গ্রামের বাড়িতে। ইডি হানার খবর পেয়ে দুপুর প্রায় ২টো নাগাদ বোলপুর এসে পৌঁছন। তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ইডি। মুরারই থেকে বোলপুর আসতে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগার কথা। কিন্তু মন্ত্রী প্রায় ৫ঘণ্টা পর এলেন কেন? মন্ত্রী এই বিষয়ে খোলসা করে কিছু বলতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, “আমাকে যা যা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে,আমি সেসবের উত্তর দিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: ২৮ মার্চ পর্যন্ত কেজরিওয়ালের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত

    Arvind Kejriwal: ২৮ মার্চ পর্যন্ত কেজরিওয়ালের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। ইডি লকআপে গতকাল রাত কাটাতে হয়েছে আপ সুপ্রিমোকে। এদিন তাঁকে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হয়। দিল্লির কোর্ট কেজরিওয়ালকে ৬ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। প্রসঙ্গত, এদিন ইডির আইনজীবী প্রথমে কেজরিওয়ালের ১০ দিনের ইডি হেফাজত চেয়েছিলেন। কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) পক্ষে আইনজীবী হিসেবে আদালতে সওয়াল করেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে এদিন আদালত কেজরিওয়ালকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। আদালতে ইডি জানিয়েছে, আবগারি নীতি প্রণয়নের সঙ্গে কেজরিওয়াল সরাসরি জড়িত ছিলেন।

    আরও পড়ুন: “ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি”, বলাগড়ের সভায় স্পষ্ট ইঙ্গিত শুভেন্দুর

    দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড কেজরিওয়াল 

    ১০০ কোটির আবগারি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে আম আদমি পার্টির সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি হাওয়ালার মাধ্যমে গোয়ায় ৪৫ কোটি টাকা পাঠানোর মারাত্মক অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই টাকা গোয়া নির্বাচনে দলীয় কাজে ব্যবহার করেছে আপ, এমনটাই অভিযোগ। দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) গ্রেফতারির বিষয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ইডির আইনজীবী।

    মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি কেজরিওয়াল 

    ইডির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী নিবাসের খুব কাছেই থাকতেন বিজয় নায়ার নামের এক ব্যক্তি। তিনি কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে দাবি ইডির। লেনদেনের বিষয়ে তিনি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতেন বলে দাবি ইডির। প্রসঙ্গত, ইডি-র হাতে গ্রেফতারের পরেও মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি কেজরিওয়াল।

    গতকাল গ্রেফতার, রক্ষাকবচ দেয়নি কোর্ট

    ইডি যাতে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না করে, সেই আর্জি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। আদালতে পেশ করা আবেদনে কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বলেন, “ইডি নিশ্চয়তা দিক যে তাদের সমনে সাড়া দিলে আমার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হবে না।” কিন্তু, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি ধোপে টেকেনি। মেলেনি রক্ষাকবচ। গতকালই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দুয়ারে হাজির হয় ইডি। ঘণ্টা দুয়েক তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহানকাণ্ডে সিবিআই হানা দিল ইটভাটায়, তল্লাশি ঘনিষ্ঠ মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতেও

    Sandeshkhali: শাহজাহানকাণ্ডে সিবিআই হানা দিল ইটভাটায়, তল্লাশি ঘনিষ্ঠ মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ডে শাহজাহানের একের পর এক অনুগামীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। শাহজাহানের ভাই আলমগীর শেখকে কয়েকদিন আগেই সিবিআই গ্রেফতার করেছে। তাঁর সঙ্গে ইডি ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও দুজন তৃণমূল নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। এবার সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের সুতো কোথায় কোথায় গিঁট জড়িয়ে রয়েছে, সেই সন্ধানে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    ইটভাটায় হানা সিবিআইয়ের (Sandeshkhali)

     ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার নেপথ্যে কী ছিল, সেই রহস্য উদঘাটনে আসরে নেমেছে সিবিআই। সেই সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার মিনাখাঁর এক ইটভাটায় হানা দিয়েছে সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। ইডির ওপর সেদিনের হামলার ঘটনায় এই ইটভাটারই এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের একটি টিম হানা দিয়েছে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ এক মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতেও। ওইমাছ ব্যবসায়ীর নাম আলি হোসেন ঘরামি। সূত্রের খবর, ইডির ওপর হামলার ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআই-এর আতস কাচের তলায় রয়েছেন এই ব্যক্তিও। উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি ইডির তদন্তকারী অফিসারদের একটি টিম গিয়েছিল সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায়। রেশন দুর্নীতিরঅভিযোগের তদন্তে। গন্তব্য ছিল, সন্দেশ (Sandeshkhali) খালির শেখ শাহজাহানের বাড়ি। সেদিন শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকতে পারেনি ইডি। তার আগেই এক তীব্র জনরোষের মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের। আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির অফিসাররা। মাথা ফেটেছিল। রক্ত ঝরেছিল। সেদিন থেকেই এলাকা থেকে বেপাত্তা ছিল শেখ শাহজাহান। দীর্ঘদিন অধরা থাকার পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং তার ওপরে ইডির ওপর হামলার ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে।

    আরও পড়ুন: মন্দিরে পুজো দিয়ে অনন্ত মহারাজকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন নিশীথ

    শাহজাহান নিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আসরে নেমেছে সিবিআই

    শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর ঘনিষ্ঠদের গ্রেফতারের দাবিতে পথে নামেন সন্দেশখালিবাসী (Sandeshkhali)। দুদিন আগেই দুই তৃণমূল নেতাকে তাড়়া করে ঘরবন্দি করে দেন এলাকাবাসী। ইডি-র ওপর হামলার ঘটনার তদন্তে নেমেই একের পর এক তথ্য উঠে আসছে সিবিআই-এর তদন্তকারী দলের হাতে। সেদিন থেকে কোথায় কোথায় গা ঢাকা দিয়েছিল শাহজাহান? কারাই বা তাকে সাহায্য করেছিল গা ঢাকা দিতে? সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আসরে নেমেছে সিবিআই- এর টিম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: আবগারি মামলায় কেজরিওয়ালকে নবমবার তলব করল ইডি

    Arvind Kejriwal: আবগারি মামলায় কেজরিওয়ালকে নবমবার তলব করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নবমবার তলব করল ইডি। আগামী ২১ মার্চ তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এর আগে কোনও বারই হাজিরা দেননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তাই উঠছে প্রশ্ন। এই তলবেও কি সাড়া দেবেন তিনি? অন্যদিকে, আবগারি দুর্নীতি মামলায় শনিবার সকালে দিল্লির আদালতে সশরীরে হাজিরা দেন আম আদমি পার্টির প্রধান। ইডি তাঁকে ৮ বার সমন পাঠালেও প্রতিবারই এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তাই এনিয়ে ইডির তরফে অভিযোগ জানানো হয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। আদালতে ইডি জানায়,  সরকারি অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন কেজরিওয়াল, দলের হয়ে ভোটের প্রচারও করছেন। অথচ ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারছেন না। ইডির পূর্বের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার তাঁকে কোর্টে হাজিরা দিতে বলা হয় এবং সবকিছু মেনে তিনি হাজির হন।

    ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতের শুনানিতে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন কেজরিওয়াল

    তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একই অভিযোগ তুলে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর (Arvind Kejriwal) বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে গত ৩ ফেব্রুয়ারি আবেদন জানানো হয় কোর্টে। ৭ ফেব্রুয়ারিতে সেই মামলার শুনানিতে দিল্লির আদালত নির্দেশ দেয়, আদালতে হাজির হয়ে জবাবদিহি করতে হবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। গত মাসের ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতের শুনানিতে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন কেজরিওয়াল। সশরীরে হাজির না থাকার কারণ হিসেবে কেজরিওয়াল তখন জানিয়েছিলেন, দিল্লি বিধানসভায় তাঁকে আস্থা ভোটে হাজির থাকতে হবে। তাই সশরীরে তিনি উপস্থিত থাকতে পারছেন না।

    ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ হয় না

    এর আগে কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল আম আপনি পার্টির তরফে জানানো হয়, ১২ মার্চের পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন কেজরিওয়াল। কিন্তু ইডির তরফে সাফ জানানো হয়েছে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ হয় না। কেজরিওয়াল কেন বার বার হাজির এড়িয়ে যাচ্ছেন এনিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। আবগারি দফতরে বিপুল দুর্নীতি সামনে আসতেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। বর্তমানে জেলে রয়েছেন তিনি। গ্রেফতারির ভয়েই কি হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)? এনিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহজাহানের ভাই আলমগীরসহ তিনজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহজাহানের ভাই আলমগীরসহ তিনজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডি-র ওপর হামলার ঘটনায় ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে সিবিআই। আগেই শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। পরে, সন্দেশখালিতে একাধিকবার হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। শাহজাহানের আত্মীয় ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের নোটিশ ধরিয়েছিল সিবিআই। নোটিশ পেয়ে শনিবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর ও তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহ ১৫ জন বাসিন্দা। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর আলমগীর সহ শাহজাহানের আরও দুই ঘনিষ্ঠকে গ্রেফতার করা হয়।

    ৯ ঘণ্টা জেরার পরই গ্রেফতার শেখ আলমগীর (Sandeshkhali)

    গত ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন শেখ শাহজাহান। শাহজাহানকে বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে থাকার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছিলেন তাঁর ভাই শেখ আলমগীর। এমনই আশঙ্কা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেশখালি (Sandeshkhali) গিয়ে সিবিআই কর্তারা গত বৃহস্পতিবার অফিসে হাজিরার জন্য আলমগীরের বাড়িতে নোটিশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি হাজিরা দেননি। এরপর শুক্রবার ফের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। শনিবার বেলা ১১টার সময় হাজিরার জন্য বলা হয়েছিল। সেই মতো শনিবার সকালে সিবিআই অফিসে পৌঁছান আলমগীর। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব। দীর্ঘ ৯ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীরকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ইডির তদন্তকারী দলের ওপর হামলার ঘটনার তদন্তে এদিন মোট ১৫ জনকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সিবিআই-এর অফিসে। সেই তালিকায় ছিলেন সন্দেশখালি ব্লকের তৃণমূল ছাত্র পরিষেদের প্রেসিডেন্ট মাফুজার মোল্লা ও অপর এক তৃণমূল নেতা সিরাজুল মোল্লাও।

    ইডি হামলায় যোগ মিলল শাহজাহান ঘনিষ্ঠের

    গত ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার সময় উন্মত্ত জনতাকে সংঘবদ্ধ করার ক্ষেত্রে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রেসিডেন্ট মাফুজার মোল্লা ও অপর এক তৃণমূল নেতা সিরাজুল মোল্লার ভূমিকা ছিল বলে সন্দেহ সিবিআই কর্তাদের। সূত্রের খবর, এই মাফুজার মোল্লা ও সিরাজুল মোল্লা উভয়েই শেখ শাহজাহানের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ ছিল। হামলার ঘটনায় তাঁদের যোগ সূত্র ধরেই তাঁদের ডাকা হয়েছিল সিবিআই অফিসে। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসাররা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন। কিন্তু, উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় এই দুজনকেও গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহানের ৮ দিনের সিবিআই হেফাজত, গোডাউনে সারি সারি গাড়ির হদিশ

    Sandeshkhali: শাহজাহানের ৮ দিনের সিবিআই হেফাজত, গোডাউনে সারি সারি গাড়ির হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সকালেই বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয় শেখ শাহাজাহানকে। এদিন বিকালে আট দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল বসিরহাট মহকুমা আদালত। শেখ শাহজাহানকে ঘনিষ্ঠ বাকি সাতজনকে পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল বসিরহাট মহকুমা আদালত। পাশাপাশি এদিন ফের সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়ায় অভিযান চালায় ইডি। সেখানে একটি গোডাউনে সারি সারি গাড়ির হদিশ পায় ইডি। সন্দেশখালিতে শাহজাহানের মাছের ডেরায় হানা দেয় ইডি।

     গোডাউনে মিলল সারি সারি গাড়ি (Sandeshkhali)

    গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের ডেরায় হানা দেওয়ার সময় এরকম একাধিক গাড়ির সন্ধান পেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়ায় সন্ধান মিলল গাড়ির গোডাউনের। শাহজাহানের রাজনৈতিক গুরু মসলিন শেখ হচ্ছেন ওই গোডাউনের মালিক। গাড়ির গোডাউনের মধ্যে রয়েছে চারটি গাড়ি, তার মধ্যে শেখ শাহজাহান ও শেখ আলমগীরের গাড়িও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চারটি গাড়ির মধ্যে রয়েছে একটি হুডখোলা গাড়িও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ির এই গোডাউনের মালিক মসলিন শেখের হাত ধরেই রাজনীতিতে আসেন শেখ শাহজাহান। সেই মসলিন শেখের গোডাউনেই এই বিলাসবহুল গাড়িগুলির সন্ধান পান ইডির অফিসাররা। এদিন সকাল থেকেই সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় অভিযান চালাচ্ছে ইডির তদন্তকারী দল। শাহজাহানের মাছের যে কারবার ছিল, সেই ডেরায় এদিন ইডি হানা দেয়। বেশ কিছু তথ্য পায়।

    আরও পড়ুন: পার্থ ভৌমিক সন্দেশখালি ছুটেছিলেন শাহজাহান, উত্তম ও শিবুদের বাঁচাতে, বিস্ফোরক অর্জুন

    গুপ্তধনের সন্ধানে ইডি!

    এই গাড়ির গোডাউনটির চাবি পেতে গিয়েও শুরুতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল ইডির। পরবর্তীতে ওই গোডাউন সংলগ্ন একটি দোকান থেকে সেই চাবি পান ইডির অফিসাররা এবং গোডাউন খুলতেই বেরিয়ে আসে একের পর এক সারিবদ্ধ গাড়ি। কিন্তু, কী কারণে এই গাড়িগুলিকে লোকচক্ষুর আড়ালে রেখে দেওয়া হয়েছিল সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। এগুলি কি শুধুই গাড়ি, নাকি এর মধ্যে কোনও গোপন নথি-পত্রেরও খোঁজ পাওয়া যেতে পারে? আপাতত সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে গুপ্তধনের সন্ধান চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সন্দেশখালিতে এবার শাহজাহানের ভাইকে নোটিশ দিল সিবিআই

    CBI: সন্দেশখালিতে এবার শাহজাহানের ভাইকে নোটিশ দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের ডেরায় ইডি হানা দিয়েছে। তার আগেই বুধবার শেখ শাহজাহানের ছোট ভাই শেখ আলমগীরের বাড়িতে নোটিশ ধরাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। বৃহস্পতিবার মধ্যে নিজাম প্যালেসে সিবিআই অফিসে গিয়ে দেখা করা জন্য বলা হয়েছে।

    শাহজাহানের ভাইয়ের বাড়িতে নোটিশ (CBI)

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয় ইডির তদন্তকারী দল। আর সেদিন থেকেই কার্যত উধাও হয়ে যান শেখ শাহজাহান। পরে, মিনাখাঁ থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতা করে। কয়েকদিন পর সিবিআই (CBI) তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সন্দেশখালিতে সিবিআই আধিকারিকরা এসে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ অনেকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সূত্রের খবর, একাধিক গোপন ডেরায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন শেখ শাহজাহান। আর সেক্ষেত্রে তাঁকে কারা কারা সাহায্য করেছিলেন, সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবার আসরে নেমেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সেই সংক্রান্ত বিষয়েই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শেখ আলমগীরের ডাক পড়েছে সিবিআই অফিসে। বুধবার সকাল থেকে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের সঙ্গে সম্পর্কিত একাধিক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই। হাজিরার নোটিশ ধরিয়েছে। সেরকমই শাহজাহানের ছোট ভাই শেখ আলমগীরের বাড়িতেও এবার হাজিরার নোটিশ দিল সিবিআই।

    শাহজাহানের ভাই ছাড়াও আর কাদের নোটিশ দিল?

    বুধবার সন্দেশখালির একাধিক বাড়িতে নোটিশ ধরিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা(CBI)। সূত্রের খবর, এদিন শাহজাহানের ভাই আলমগীরের বাড়িতে নোটিশ দিতে গেলেও, আলমগীরের দেখা পাননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসাররা। এদিকে শুধু শাহজাহানের ছোটভাই শেখ আলমগীরের বাড়িতেই নয়, এর পাশাপাশি আসানুর শেখের বাড়িতেও হাজিরার নোটিশ ধরিয়েছে সিবিআই। নোটিশ হয়েছে আখতার মীর, হাবিবুর আকুঞ্জির বাড়িতেও। নোটিশ ধরানো হয়েছে শাহজাহানের ছায়াসঙ্গী বলে পরিচিত আবু হোসেন মোল্লার বাড়িতেও। ইডি হামলা এবং শাহজাহানকে বেপাত্তা হতে কারা সাহায্য করেছিলেন তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে নোটিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সন্দেশখালিতে ছেঁড়া হল সিবিআইয়ের দেওয়া নোটিশ, শোরগোল

    CBI: সন্দেশখালিতে ছেঁড়া হল সিবিআইয়ের দেওয়া নোটিশ, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনায় শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নেওয়ার পর সন্দেশখালিতে একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে সিবিআই (CBI)। শাহজাহান ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। সোমবার বিকেলে আকুঞ্জিপাড়া এলাকায় নোটিশ দিতে ঢুকেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন ন্যাজাট থানার পুলিশকর্মীরাও। সেই সময়েই রহমান আকুঞ্জি নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নোটিশ ধরাতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসাররা। রহমান আকুঞ্জির বাড়ির এক সদস্য নোটিশটি গ্রহণ করলেও, পরক্ষণেই বাড়ির অপর এক সদস্য সেই গ্রহণ করা নোটিশ ছিঁড়ে ফেলেন। সিবিআই আধিকারিকদের সামনে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সিরাজের গ্রেফতারের দাবিতে ফের অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (CBI)

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালি ইডি অভিযান চালানোর সময় শাহজাহান বাহিনী হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় গাড়িও। বনগাঁয় ইডি হানার সময় সেখানেও হামলার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার ফের সিবিআই আধিকারিকরা সন্দেশখালি যান। সিবিআই (CBI)ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে আকুঞ্জিপাড়ায় রহমান আকুঞ্জি ও আবিবুর আকুঞ্জিকে নোটিশ দিতে গিয়েছিল সিবিআই-এর তদন্তকারী দল। মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে সন্দেশখালির ঘটনার সাক্ষী হিসেবে তলব করা হয় তাঁদের। সেই সূত্র ধরেই তাঁদের বাড়িতে নোটিশ পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন সিবিআই-এর অফিসাররা। সিবিআই আধিকারিকরা নোটিশ দিতেই একজন নোটিশ ছিঁড়ে দেন। তবে, কেন সিবিআইয়ের দেওয়া নোটিশ ছিঁড়ে দিলেন তা নিয়ে তিনি কোনও কথা বলেননি। তবে, যিনি প্রথম নোটিশটি গ্রহণ করেছিলেন তিনি এই ঘটনায় বেশ বিব্রত হয়ে পড়েন। বাড়ির অপর সদস্য কী কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে সিবিআই অফিসারদের কাছে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন এবং নোটিশের অপর একটি কপি যাতে দেওয়া হয়, সেই অনুরোধ করেন। সেই মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে নোটিশের একটি প্রতিলিপি রহমান আকুঞ্জির পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নতুন করে আবার নোটিশ গ্রহণ করেন রহমান আকুঞ্জির বাড়ির সদস্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ইডির ওপর হামলা, শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যোগ সিবিআই-এর

    Sandeshkhali: ইডির ওপর হামলা, শাহজাহানের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যোগ সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তল্লাশি অভিযানের সময় গত জানুয়ারিতে ইডির ওপর হামলা! অবশেষে শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার, আক্রান্ত ইডি আধিকারিকদের বয়ান দাখিল করে সিবিআই। শুক্রবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের বাড়ি সমেত বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপরই ধৃত নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা যোগ করল সিবিআই। শুক্রবার এক বিবৃতিতে সিবিআই জানিয়েছে, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার অভিযোগে যে মামলা দায়ের হয়, তার প্রেক্ষিতেই শুক্রবার ওই স্থানে অভিযান চালানো হয়। তদন্তের সুবিধার্থে ফরেন্সিক দলের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। পুরো অভিযানে বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

    জেরায় কী জানাল শাহজাহান?

    বগটুইকাণ্ডে যেমনটা হয়েছিল, সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali) তদন্তেও থ্রিডি লেজার স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন সরবেড়িয়া থেকে সিবিআই আলি গাজি নামে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ একজনের বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের একটি দল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইডিকে ভয় পেয়েই শাহজাহান এতদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন। সিবিআই-এর জেরায় এমনটাই জানিয়েছেন শাহজাহান। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে শাহজাহান জানান, সরবেড়িয়ার বাড়িতে থাকলে তিনি প্রতিদিনই মর্নিং ওয়াকে বের হন। সেইমতো তিনি ৫ জানুয়ারিও সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়িতে ইডি এসেছে শুনে এবং ইডির ফোন পেয়েই তিনি ভয় পেয়ে যান। ইডির হাতে গ্রেফতার হতে পারেন, এই ভয়েই তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি।

    মঙ্গলবারই তদন্তভার নেয় সিবিআই

    প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার নেয় সিবিআই। গত বুধবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনা নিয়ে মোট তিনটি এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তার মধ্যে একটি এফআইআর হয় ইডির ওপর হামলার ঘটনায়। বাকি দু’টির মধ্যে একটি রাজ্য পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং অন্যটি রেশন বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগে। প্রথমে খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করা না হলেও তা শুক্রবারই যুক্ত করেছে সিবিআই।

    বুধবার থেকে সিবিআই হেফাজতে শাহজাহান

    এর আগে, শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি ধারায় মামলা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। ন্যাজাট থানায় দায়ের হওয়া ওই মামলাগুলিতে ডাকাতি থেকে শুরু করে খুনের চেষ্টা ইত্যাদি রয়েছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নেতা শাহজাহান গ্রেফতার হয় রাজ্য পুলিশের হাতে। বসিরহাট কোর্ট তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এর পরে হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার সন্ধ্যায় শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: হামলার দিন শাহজাহানকে তিনি ফোন করেছিলেন, আগেভাগেই স্বীকার তৃণমূল বিধায়কের!

    Sandeshkhali: হামলার দিন শাহজাহানকে তিনি ফোন করেছিলেন, আগেভাগেই স্বীকার তৃণমূল বিধায়কের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এই টালমাটাল পরিস্থিতির সূচনা হয়েছিল চলতি বছরের ৫ই জানুয়ারি। সেদিন শাহজাহান বাহিনী ইডি’র ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল। শাহজাহানের দাপটের কথা যতই তারপর থেকে প্রকাশ্যে এসেছে, ততই একটা প্রশ্ন জোরালো হয়েছে। তা হল, তাঁর মাথায় কার কার হাত রয়েছে অর্থাৎ তৃণমূলের কোন কোন প্রভাবশালী নেতা তাঁর এই ধরনের অমানবিক অত্যাচারে মদত জুগিয়ে গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই শাহজাহানের ফোনের কল লিস্ট জোগাড় করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর সেই খবর পাওয়া মাত্রই সেখানকার বিধায়ক সুকুমার মাহাতো সাফাই গাইতে ময়দানে নেমে পড়েছেন। নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে সেদিন তিনি শাহজাহানকে ফোন করেছিলেন।

    কী বললেন বিধায়ক? (Sandeshkhali)

    স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “ওইদিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ আমি শাহজাহানকে ফোন করেছিলাম।” আর সেই ফোন তিনি নাকি নিজের ইচ্ছায় করেননি, করেছিলেন হাজি নুরুলের নির্দেশ মেনে। ফোনে তিনি শাহজাহানকে (Sandeshkhali) কী বলেছিলেন? সুকুমার মাহাতোর কথায়, “ইডির ওপর যাতে হামলা না হয়, সেই পরামর্শই আমি ওকে দিয়েছিলাম। যদিও ততক্ষণে সমস্ত ঘটনা ঘটে গিয়েছে।” তৃণমূলের প্রভাবশালী তত্ত্ব এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই সামনে এসেছে। তাই সুযোগ বুঝে তৃণমূলের সঙ্গেও দূরত্ব তৈরিতে নেমেছেন ওই বিধায়ক। তিনি বলেন, “আমি তেমনভাবে দল করি না। শুধু উন্নয়নের কাজকর্ম দেখছি।” তাঁর দাবি, তিনি রাজনৈতিকভাবে কোনও প্রভাবশালী নেতাও নন।

    ৩ মিনিটে ২৮টি ফোন? (Sandeshkhali)

    এদিকে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সেদিন ইডির তল্লাশি অভিযান শুরু হওয়ার পর ৩ মিনিটে মোট ২৮ টি ফোন করেছিলেন শাহজাহান। তাঁর নিজের হেফাজতে ছিল দুটি ফোন। ফোনগুলি করা হয়েছিল সেখান থেকেই। যেহেতু এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে তদন্তে নেমেছিল ইডি, তাই তারা শুরুতেই ফোনের কল লিস্ট জোগাড় করে ফেলেছিল। এরপর সিবিআই যখন তদন্তের নির্দেশ পায়, তখন সেই কল লিস্ট (Sandeshkhali) তারা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। তৃণমূল বিধায়কের কাছে এটা পরিষ্কার যে কল লিস্ট অনুযায়ী তাঁরও ডাক আসবে। তাই আগেভাগেই তিনি সাফাই দেওয়া শুরু করে দিয়েছেন, এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share