Tag: ED

ED

  • Abhishek Banerjee:  অভিষেকের আয়ের উৎস কী? মুখবন্ধ খামে আদালতে জানাল ইডি

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের আয়ের উৎস কী? মুখবন্ধ খামে আদালতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই অভিষেকের (Abhishek Banerjee) আয়ের উৎস কী? একথা জানতে চেয়ে ইডিকে প্রশ্ন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় সংস্থা সেই জবাব জমা দিল মুখবন্ধ খামে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’কে ব্যবহার করা হতো, কালো টাকা সাদা করতে, এই অভিযোগ আগেই উঠেছে। এবার এই সংস্থা সংক্রান্ত রিপোর্টও ইডি জমা করল আদালতে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে ওই রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত দেখেননি বিচারপতি। সূত্রের খবর, তিনি জানিয়েছেন রিপোর্ট দেখার পরেই এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য করবেন।

    মঙ্গলবারের শুনানি 

    মঙ্গলবারই বিচারপতি অমৃতা সিনহা ইডিকে প্রশ্ন করেন ২০১৪ সালের পর থেকে সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে অভিষেকের এবং তাঁর আয়ের উৎস ঠিক কি? সেদিন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়ানও রেকর্ড করা হয়। ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পাতার নথি আগেই জমা করেছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)।  ইডির আইনজীবী মঙ্গলবার আদালতে বলেন, ‘‘যে নথি এসেছে, তা থেকে নিশ্চিত করে বলতে পারি, কোনও কিছুই গোপন না করে তদন্তের আরও অগ্রগতি হবে।’’ ইডির আইনজীবীর কাছে একথা শোনার পরে বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেন, ‘‘যে পরিমাণ নথি জমা পড়েছে, তা ইঙ্গিত দিচ্ছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। ওই নথি অনুযায়ী যে সম্পত্তি কেনা বা লেনদেন হয়েছে, তা কি খুঁজে দেখেছেন আপনারা? আদালত যা জানতে চাইছে, তা কি খুঁজে দেখেছেন? আয়ের উৎস খুঁজে দেখেছেন? আইন আপনাদের ক্ষমতা দিয়েছে। এটাই তো আপনাদের তদন্তের মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত।’’

    মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ ডিসেম্বর

    প্রসঙ্গত, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য আগেই আদালতে বিশদে জানাতে বলেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। যার মধ্যে ছিল সংস্থার ৬ জন ডিরেক্টরের নাম, সংস্থার আর্থিক লেনদেন, এই সংস্থা কারা ক্লায়েন্ট, তাঁদের নাম, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, পাশাপাশি সিইও হিসেবে অভিষেকের সম্পত্তির বিস্তারিত বিবরণ, সংস্থার যাঁরা কাজ করেন তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, কে কবে থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন তার বিবরণ, সংস্থা কেন ঠিকানা পরিবর্তন করল ইত্যাদি বিষয়ে। জানা গিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ ডিসেম্বর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সাত সকালেই আয়কর হানা

    ED: প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সাত সকালেই আয়কর হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলের (Asansol) রানিগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলির বাড়িতে বুধবার সকালেই আয়কর দফতর হানা দেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট নটি গাড়িতে করে বুধবার ভোর পাঁচটা নাগাদ আয়কর দফতরের আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসে পৌঁছান। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেন। সূত্রের খবর, আয়কর সংক্রান্ত এই অভিযান চলছে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এখান থেকেও কি মিলবে টাকার পাহাড়, জানতে উৎসুক সাধারণ মানুষ।

    বিধায়কের দুটি বাড়িতে চলছে অভিযান

    স্থানীয় সূত্রের খবর, রানিগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলির রাজনৈতিক জীবনের প্রথম দিকে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি কিছুদিনের জন্য লালুপ্রসাদের আরজেডি’তে যোগ দেন। পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে আসানসোল (Asansol) পুরসভার কাউন্সিলার ও পরে রানিগঞ্জ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক হিসাবে জয়লাভ করেন। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী নার্গিস বানু আসানসোল পৌর নিগমের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার। রানিগঞ্জের প্রাক্তন এই বিধায়কের বার্নপুরের রহমতনগরে দুটি বাড়িতে অভিযান চলছে। ভোর ৫টা থেকে তাঁর বাড়ির বাইরে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রচুর মানুষের ভিড় জমে গিয়েছে সোহরাবের বাড়ির বাইরে। তবে ঠিক কোন কেন্দ্রীয় এজেন্সি এই অভিযান চালাচ্ছে, তা কিন্তু স্পষ্ট নয় স্থানীয়দের কাছে। সোহরাব ছাড়াও বার্নপুরের আর এক লোহা কারবারি এবং প্রোমোটার ইমতিয়াজ আহমেদ খানের অফিস এবং বাড়িতে, আসানসোলের এক লোহা এবং বালির কারবারির বাড়িতেও সকাল থেকে আয়কর হানা চলছে। 

    রাজ্যে ৩৫ জায়গায় আয়কর হানা চলছে!

    পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল (Asansol), রানিগঞ্জ থেকে কলকাতা-একাধিক জায়গায় আয়কর দফতরের অভিযান চলছে। এছাড়া বার্নপুরের ধরমপুরে একাধিক বাড়িতে আয়কর হানা চলছে। একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, মূলত বালি এবং লোহা কারবারিদের বাড়িতে এই অভিযান হচ্ছে। সব মিলিয়ে রাজে ৩৫ জায়গায় একই সঙ্গে আয়কর হানা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেকের আয়ের উৎস কী? ইডির কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি সিনহা

    Calcutta High Court: অভিষেকের আয়ের উৎস কী? ইডির কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নথি জমা করেছেন। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাঁর আয়ের উৎস ঠিক কী? আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২০১৪ সালের পর থেকে বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে অভিষেকের।

    কী বললেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা?

    মঙ্গলবার ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির ৫,৫০০ পাতার নথি জমা পড়েছে। তাঁরা তা খতিয়ে দেখছেন। সেকশন ৫০ অনুযায়ী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বয়ানও রেকর্ড করেছে ইডি। ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘যে নথি এসেছে তা থেকে নিশ্চিত করে বলতে পারি, কোনও কিছুই গোপন না করে তদন্তের আরও অগ্রগতি হবে।’’ এর পরেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনাদের কথা মতো যে পরিমাণ নথি জমা পড়েছে, তা ইঙ্গিত দিচ্ছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। যদি সম্পত্তির পরিমাণ কম হত, তা হলে এই নথি আসত না। এটা ঠিক তো?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই নথি অনুযায়ী যে সম্পত্তি কেনা বা লেনদেন যা হয়েছে, তাতে করে আপনারা কি খুঁজে দেখেছেন এর আয়ের উৎস কী?’’  ইডির আইনজীবী এদিন আরও জানিয়েছেন, প্রচুর নথি জমা পড়েছে। অনেক নথি বলছে টাকা এসেছে। ওই কোম্পানির কত উৎপাদন হয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Calcutta High Court) বলেন, ‘‘আদালত যা জানতে চাইছে, তা কি খুঁজে দেখেছেন? আয়ের উৎস কী? আইন আপনাদের সেই ক্ষমতা দিয়েছে। বলা ভালো, এটাই আপনাদের তদন্তের মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত।’’ তার পরেই আইনজীবী জানান, আয়ের উৎস নিয়ে তাঁরা অপরাধ উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করছেন।

    শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়েছে অভিষেকের আর্জি

    প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ এবং সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta High Court) তদন্তে তদারকি করছে বলে সম্প্রতি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে আইনজীবী। অভিষেকের আইনজীবীর অভিযোগ ছিল, আদালত তদন্তের প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ন্ত্রণ করছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে ১০ বছর আগের নথি চাওয়া হচ্ছে। শীর্ষ আদালত অবশ্য অভিষেকের আইনজীবীর আনা এই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। ইডি তদন্তের স্বার্থে এমন নথি চাইতে পারে বলেই জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। এখনও পর্যন্ত লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষবারের মতো ইডি দফতরে তিনি হাজিরা দিয়েছেন চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: সমবায়ের ঋণদানেও জালিয়াতি! তদন্তে নেমে সিবিআই-ইডি’র আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ

    Alipurduar: সমবায়ের ঋণদানেও জালিয়াতি! তদন্তে নেমে সিবিআই-ইডি’র আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ঋণদান সমবায় সমিতির ঋণপ্রদানে বহু জালিয়াতির তথ্যপ্রমাণ হাতে পেল সিবিআই। সমবায় থেকে বিভিন্ন সময় ঋণ নিয়েছেন, এমন ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন। ইতিমধ্যে ওই সমবায় থেকে ঋণদানের বেশ কিছু রেজিস্টার সহ নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে। ঋণগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে সেই হিসেব মেলাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের। ঋণগ্রহীতাদেরও যেন মাথায় বাজ পড়ার অবস্থা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিপুল পরিমাণ অর্থ তছরুপ করেছেন সমবায়ের আধিকারিক ও কর্মীদের একাংশ। পরিকল্পিতভাবে সমবায়ের টাকা লুটপাট করা হয়েছে। তবে, সমবায়ের টাকা নযছয় করার পিছনে কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে কিনা, সেটাই তদন্তকারীরা খুঁজতে শুরু করেছেন। শাসক দলের এক প্রভাবশালী নেতার আত্মীয়কে সিবিআই বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে, তবে এ নিয়ে তদন্তকারীরা এখনই মুখ খুলতে নারাজ।

    ঋণগ্রহীতাদের জিজ্ঞাসাবাদ (Alipurduar) 

    আলিপুরদুয়ার সমবায় ঋণদান সমিতির প্রায় ৫০ কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সিবিআই ও ইডি যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। সমবায়ের কর্মী-আধিকারিকদের একাংশের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই সমবায় থেকে যাঁরা ঋণ নিয়েছিলেন, আদৌ কি তাঁদের ঋণ দেওয়া হয়েছিল? এনবিএসটিসির এক কর্মী পার্থ সেনগুপ্ত বলেন, সিবিআইয়ের নোটিশ পেয়ে আলিপুরদুয়ারে ছুটে এসেছি। ২ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। তার অনেকটা পরিশোধ করেছি। বাকি ঋণ শোধ করতেও গিয়েছিলাম। কিন্তু গিয়ে দেখি সমবায়ের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিস্তারিত সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের জানিয়েছি। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) পুরসভার এক কর্মী সিবিআই নোটিস পেয়ে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হন। পৌরসভার ওই কর্মী বলেন, বাবা এক লক্ষ টাকা সমবয় থেকে ঋণ নিয়েছিলেন, উনি মারা গিয়েছেন। এখন তদন্তকারীদের কাছে যে রেকর্ড দেখছি, তাতে ঋণের পরিমাণে এক লক্ষ নব্বই হাজার টাকা লেখা রয়েছে। এতেই আমার সন্দেহ হচ্ছে, বাকি টাকা ঋণ না দিয়ে মৃত বাবার নামে লিপিবদ্ধ করে সমবায়ের কেউ সেই টাকা হাতিয়ে নিতে পারে। চিলাপাতার একটি রিসর্টের কর্মী তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, তিনি মাত্র ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর নামে দু’ লক্ষ টাকা ঋণের বোঝা কিভাবে হল, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। কোটমোড় এলাকার এক জেরক্স ব্যবসায়ী বলেন, সমবায়ের এক কর্মী এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা আমাকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু সেই ঋণের টাকা একবারে পাইনি, ঋণ পাইয়ে দেওয়ার জন্য আমার কাছে চার হাজার টাকা সেই সমবায় কর্মী বকশিস আদায় করেছিল। পুরো বিষয়টি সিপিআই তদন্তকারীদের জানিয়েছি।

    মূল মাথার হদিশ চলছে (Alipurduar) 

    আলিপুরদুয়ারের সমবায় দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই সমবায়ের কর্মী, আধিকারিক থেকে পরিচালন কমিটির পদাধিকারী, এমনকি এজেন্টদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। সম্প্রতি তাঁরা ঋণ গ্রহীতাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে আর্থিক তছরুপের সুলুক সন্ধান করার চেষ্টা করছেন। কেন্দ্রীয় আরেকটি সংস্থা ইডি সম্প্রতি ওই সমবায়ের আধিকারিক ও কয়েকজন পদাধিকারীকে কলকাতায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। সমবয় (Alipurduar) বিপুল পরিমাণ অর্থ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে নয়ছয় করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছেন। তবে ওই আর্থিক তছরুপের পিছনে বড়সড় মাথার হাত না থাকলে এসব সম্ভব হতে পারে না। তাই কিছু কর্মী-আধিকারিকদের দুর্নীতির সরাসরি যোগসূত্র থাকলেও এখনই তাদেরকে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা গ্রেফতার না করে, দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রভাবশালী মূল মাথার হদিশ পেতে চাইছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে অস্বস্তিতে অভিষেক

    Abhishek Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে অস্বস্তিতে অভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছে যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের যে কোনও নির্দেশে হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত। এদিন শীর্ষ আদালত জানায়, বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ ও বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করবে না শীর্ষ আদালত। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) করা একটি আবেদনের শুনানি ছিল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের করা আবেদন এদিন খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত।

    অভিষেকের দাবি ঠিক কী ছিল? 

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এক্ষেত্রে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দাবি ছিল, হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ-এর নির্দেশগুলিতে তাঁর পরিবারের উপরেও প্রভাব পড়ছে। কারণ কম সময়ের ব্যবধানে তাঁকে ১০ বছরের নথি চাওয়া হচ্ছে। আদালত ইডির তদন্তে তদারকি করছে বলেও অভিযোগ আনেন তৃণমূল সাংসদ।

    চাপ ও অস্বস্তি দুটোই বাড়ল অভিষেকের

    এই পরিপ্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় যে অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। এর পাশাপাশি সিঙ্গেল বেঞ্চ যে এক্তিয়ারের মধ্যে থেকেই কাজ করছে সে কথাও বলে ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘‘সিঙ্গল বেঞ্চ নিজের এক্তিয়ার লঙ্ঘন করেনি। অভিষেক ওই কোম্পানিতে (লিপস অ্যান্ড বাউন্স) দু’বছর ডিরেক্টর ছিলেন। বর্তমানে অভিষেক কোম্পানির সিইও। তিনি এক জন সাংসদও। ফলে তথ্য এবং নথি প্রকাশ করলে তাতে অসুবিধার কিছু হবে না বলে মনে করে আদালত।’’ ডিভিশন বেঞ্চে তাঁর আবেদন খারিজ হলে অভিষেক (Abhishek Banerjee) দ্বারস্থ হন শীর্ষ আদালতে। শুক্রবার অভিষেকের আইনজীবী জানান, আদালতের নজরদারিতে তদন্ত করছে ইডি। সুপ্রিম কোর্ট এদিন তা খারিজ করে দেয়। এরফলে চাপ ও অস্বস্তি দুটোই বাড়ল অভিষেকের, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ‘জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এজেন্ট উত্তরবঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে!’ ইডি-কে চিঠি দিলেন বিজেপি বিধায়ক

    ED: ‘জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এজেন্ট উত্তরবঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে!’ ইডি-কে চিঠি দিলেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিতে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলে রয়েছেন। কিন্তু, শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গে তাঁর এজেন্টরা কেন এখনও ইডির (ED) আতশকাচের তলায় এল না। কীভাবে তাঁরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন? এই প্রশ্নে শিলিগুড়ি সহ গোটা উত্তরবঙ্গে তদন্তে আসার জন্য ইডিকে চিঠি দিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষ। সেই চিঠিতে উত্তরবঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রধান এজেন্ট হিসেবে বিমল রায়ের নাম উল্লেখ করেছেন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যে অভিযোগে জেলে রয়েছেন, তার দোসর হিসেবে শিলিগুড়ির বিমল রায়কে ইডি তদন্তে ছাড় দিতে পারে না বলে দাবি বিজেপি বিধায়কের।

    কে এই বিমল রায়?

    জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতারের পর রেশন দুর্নীতি নিয়ে শিলিগুড়ির বিমল রায়ের নাম বিভিন্ন মহল থেকে উঠে এসেছে। শিলিগুড়ির মাটিগাড়া ব্লকের পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা বিমল রায় রেশন ব্যবসার নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছিলেন। শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গে রাজ্যের খাদ্য দফতর তথা রেশন ব্যবস্থার তিনিই ছিলেন শেষ কথা। নিজের পরিবারের জন্য রেশনের একাধিক লাইসেন্স রয়েছে তাঁর। অভিযোগ, রেশন ডিলারশিপ ও ডিস্ট্রিবিউটরের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁর পছন্দ-অপছন্দ শেষ কথা হয়ে উঠেছিল। খাদ্য দফতরে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগেও বিমলবাবু শেষকথা ছিলেন। তাঁর ইচ্ছেতে রাতারাতি রেশন কার্ড তৈরি হয়েছে। খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের কাছে বিমল রায় ছিলেন ‘রায় সাহেব’। রায় সাহেবের ভয়ে সকলেই তটস্থ থাকতেন। 

    ইডিকে কেন উত্তরবঙ্গে আহ্বান বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের? (ED)

    বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, শিক্ষা, গরু পাচার, শিক্ষক সহ বিভিন্ন দফতরে নিয়োগ দুর্নীতি, খাদ্য দফতরে একের পর এক দুর্নীতিতে জেলে রয়েছেন তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা। শিলিগুড়ি সহ গোটা উত্তরবঙ্গেও তাদের এজেন্টরা রয়েছেন। এদের মাধ্যমে এখান থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা কলকাতায় চলে যেত। সেই টাকা রিয়েল এস্টেট থেকে শুরু করে ক্র্যাশার, পর্যটন ব্যবসায় খাটানো হয়েছে। বিমল রায় সেরকমই একজন প্রভাবশালী এজেন্ট। তাঁর নিজের ও তাঁর পরিবারের নামে দুটি রেশন ডিলার ও একটি ডিস্ট্রিবিউটরের লাইসেন্স রয়েছে। খাদ্য দফতরের নিয়ম অনুযায়ী যা অবৈধ। তাহলে বিমল রায় কীভাবে এই লাইসেন্সগুলি পেয়েছিলেন, এই প্রশ্নের উত্তরেই রয়েছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর রেশন দুর্নীতির সঙ্গে বিমল রায়ের ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকার দিকটি। কিন্তু, আমরা আশ্চর্যের সঙ্গে দেখতে পাচ্ছি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর এখনও বিমল রায় ও অন্যান্য এজেন্টরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তদন্তের স্বার্থে অবিলম্বে ইডির (ED) শিলিগুড়ি সহ  উত্তরবঙ্গে আসা দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Prakash Raj: ১০০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় ইডি-র সমন অভিনেতা প্রকাশ রাজকে

    Prakash Raj: ১০০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় ইডি-র সমন অভিনেতা প্রকাশ রাজকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ইডির আতস কাচের তলায় অভিনেতা প্রকাশ রাজ। ১০০ কোটি টাকার পঞ্জি কেলেঙ্কারি মামলায় প্রকাশ রাজকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগেই ২০ নভেম্বর প্রণব জুয়েলার্স নামে তামিলনাড়ুর এক সংস্থার বিভিন্ন সম্পত্তিতে তল্লাশি চালায় ইডি। এরপরেই এই মামলায় তদন্তের স্বার্থে সমন পাঠানো হল প্রকাশ রাজকে। প্রসঙ্গত, এই সংস্থার ব্রান্ড অ্যাম্বাসডর ছিলেন প্রকাশ রাজ (Prakash Raj)। মনে করা হচ্ছে এই কাণ্ডে অভিনেতাও যুক্ত থাকতে পারেন। তবে সবটাই তদন্তের পর জানা যাবে!

    আরও পড়ুন: চলতি অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসেই ৮০০ কোটি ডলারের মোবাইল রফতানি ভারতের

    ৫ ডিসেম্বর হাজিরা দিতে বলা হয়েছে প্রকাশ রাজকে

    ওই জুয়েলার্সের বিভিন্ন সম্পত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা প্রায় ২৪ লাখ টাকা এবং ১২ কেজি সোনার গয়না উদ্ধার করেছে বলে জানা গিয়েছে।  এই মামলাতেই আগামী ৫ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে প্রকাশ রাজকে (Prakash Raj)। প্রণব জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে সোনায় বিনিয়োগের বিষয়ে একটি ভুয়ো প্রকল্প চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: “দলকে হাইজ্যাক করেছেন ভাইপো, ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর 

    বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছে ওই সংস্থা

    তামিলনাড়ুর ওই প্রণব জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে ওই স্বর্ণ প্রতিষ্ঠান সোনা কিনে বিনিয়োগ এবং তার বিনিময়ে মোটা টাকা ফেরানোর প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা তুলেছে। আরও অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়সীমা পার হলেও সাধারণ মানুষকে সুদ সমেত অর্থ ওই সংস্থা ফিরিয়ে দিতে পারেনি। দুর্দান্ত রিটার্ন বা লাভের প্রলোভন দেখালেও বাস্তবে এক পয়সাও রিটার্ন পাওয়া যায়নি, এমনটাই অভিযোগ আমানতকারীদের। এরপরেই সংস্থার বিরুদ্ধে তিরুচিরাপল্লীতে একটি এফআইআর দায়ের করেছিল অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা। অভিযোগে বলা হয়, এই সংস্থা প্রতিশ্রুতি পূরণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: বালুর অসুখ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই নয়া মেডিক্যাল বোর্ড গঠন, দলে কার্ডিওলজিস্টও

    Ration Scam: বালুর অসুখ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই নয়া মেডিক্যাল বোর্ড গঠন, দলে কার্ডিওলজিস্টও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতেই শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর অসুস্থতা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়। অবশেষে মন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ১১ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করার কথা জানাল এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউরোমেডিসিন মেডিসিন, কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি, অর্থোপেডিক এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে এই নতুন মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রথমে মন্ত্রী ভর্তি হন কার্ডিওলজি বিভাগে, অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর হার্টের কোনও সমস্যাই নেই (Ration Scam)। এরপর চাপে পড়ে বালুর মেডিক্যাল বোর্ডে রাতারাতি অন্তর্ভুক্ত করা হল হৃদরোগ-বিশেষজ্ঞকে।

    সহকর্মীদের ধারা বজায় রাখলেন বালু

    প্রথমে এসএসকেএম-এর ইমার্জেন্সিতে আড়াই ঘণ্টা ধরে তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। সেই সময় কার্ডিওলজি বিভাগের ডাক্তাররা তাঁকে দেখে জানান, তাঁর হার্টের কোনও সমস্যা নেই। এরপর মন্ত্রীর চিকিৎসা শুরু করেন নিউরোমেডিসিন বিভাগের ডাক্তাররা। আদৌ কি মন্ত্রী অসুস্থ! নাকি তাঁর পুরনো সহকর্মীদের ধারা তিনি বজায় রাখছেন! এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কারণ সিবিআই-ইডির সমন পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা-মন্ত্রী এর আগে ভর্তি হয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে (Ration Scam)। ১০ বছর আগে মদন মিত্রকে দিয়ে শুরু হয়েছিল, এরপরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অনুব্রত মণ্ডল কেউই বাদ যাননি। এসএসকেএম-কে ঘুঘুর বাসা বলে গতকালই তোপ দাগেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘জেলে যাওয়া নেতা-মন্ত্রীদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে এসএসকেএম হাসপাতাল।’’

    হাসপাতালে ইডি

    বুধবারই হাসপাতালে আসেন ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, গতকাল হাসপাতালের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ইডি অফিসাররা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভর্তি হওয়া মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতেই হাসপাতালে এসেছিলেন ইডি-এর অফিসাররা। পাশাপাশি মনে করা হচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর শারীরিক অবস্থা জানতেও হাসপাতালে আসতে পারেন ইডি গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট কালীঘাটের কাকু ভর্তি হন এসএসকেএম-এ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: বাকিবুর সম্পর্কে আরও তথ্য পেতে এবার খাদ্য দফতরে চিঠি পাঠাল ইডি

    Ration Scam: বাকিবুর সম্পর্কে আরও তথ্য পেতে এবার খাদ্য দফতরে চিঠি পাঠাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় গ্রেফতার হওয়া বাকিবুর রহমান সম্পর্কে তথ্য পেতে এবার খাদ্য দফতরের কাছে চিঠি পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া থেকে বাকিবুর রহমানের মিলে কত পরিমাণ চাল এবং গম এসেছে এবং কত আটা ও চাল বিলি করা হয়েছে, সেই তথ্যই চাওয়া হয়েছে। বাকিবুরের মিল যতদিন এই কাজ করেছে খাদ্য দফতরের সঙ্গে, ঠিক ততদিনেরই হিসাব চাওয়া হয়েছে।

    খোলাবাজারে বিক্রি হতো রেশনসামগ্রী

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের দুর্গা্পুজোর আগেই গ্রেফতার করা হয় বাকিবুর রহমানকে (Ration Scam)। জানা গিয়েছে, খাদ্য দফতর থেকে বাকিপুরের মিলেই আসতো চাল-গম এবং সেখান থেকে গম ভাঙিয়ে আটা ও চাল বিলি করা হতো। প্রথমে বাকিবুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে তদন্তকারীরা হদিশ পান নদিয়ার আটা এবং চাল কল ‘মেসার্স এমপিজি রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেড’-এর। জানা গিয়েছে, ওই চাল এবং আটাকল সংস্থার ডিরেক্টর খোদ বাকিবুর। এখান থেকেই খোলা বাজারে বিক্রি করার জন্য সরকারি রেশন সরানো হতো।

    কীভাবে এই দুর্নীতি হত?

    ইডির নথিতে বলা হয়েছে, মিল মালিকরা সরকারি অর্থ মিলিয়ে নিতেন। তবে তার বিনিময়ে যে পরিমাণ চাল এবং আটা সরবরাহ করা হত, তার হিসাব মিলত না (Ration Scam)। প্রতি এক কেজি আটার দামে ২০০ গ্রাম করে কম আটা দেওয়া হত। কখনও সখনও এই চুরির পরিমাণ দাঁড়াতো ৪০০ গ্রাম। রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। জানা গিয়েছে চাল এবং আটাকলের মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।

    বুধবারই বাকিবুরকে কোর্টে হাজির করা হয়

    অন্যদিকে বুধবারই বাকিবুর রহমানকে আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত এদিন তাঁকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ইডির আইনজীবী এদিন কোর্টে (Ration Scam) জানান, গমের পর এখন চালের কারবার নিয়েও তদন্ত চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ইডির আরও দাবি, ধান কেনার ক্ষেত্রে খাদ্য দফতরে ভুয়ো অফিসার এবং ভুয়ো সমবায় সমিতির মাধ্যমেই লেনদেন করা হত। কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার সময় অনেকেই খাদ্য দফতরের ভুয়ো অফিসার সেজে যেতেন, আবার ভুয়ো সমবায় সমিতির সিলও ব্যবহার করা হতো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: হার্টের সমস্যা নেই, অথচ বালু রয়েছেন এসএসকেএম-এর কার্ডিওলজি বিভাগে!

    Ration Scam: হার্টের সমস্যা নেই, অথচ বালু রয়েছেন এসএসকেএম-এর কার্ডিওলজি বিভাগে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শারীরিক অসুস্থতার কারণে এসএসকেএম-এ ভর্তি হলেন রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রাজ্যের মন্ত্রীর নেই হার্টের সমস্যা, অথচ ভর্তি কার্ডিওলজি বিভাগে। বিরোধীরা অবশ্য বলছেন, এটা রাজনৈতিক অসুখ। এদিনই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ মন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, ‘‘এসএসকেএম একটা ঘুঘুর বাসা। সব নেতা ওখানে যেতে চান। ওখানে রিপোর্ট তৈরি করা হয়। রাজ্য সরকারের মন মোতাবেক সব কিছু হয়। প্রথম থেকেই সবাই ওখানে যাওয়ার চেষ্টা করেন। জানিনা কোর্ট কেন অনুমতি দিচ্ছে। ইডি-সিবিআই আটকানোর চেষ্টা করে হয়তো সফল হয়নি। ওখানে গিয়ে ওরা একটা মৃত সঞ্জীবনী পায়। হয় জামিন হবে, নাহলে সুস্থ হবেন। অসুস্থ কেউ নয়। আরাম করার ভালো ব্যবস্থা।’’

    দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের আশ্রয়স্থল এসএসকেএম

    এসএসকেএম যেন সিবিআই-ইডির (Ration Scam) হাত থেকে বাঁচার একটা বড় আস্তানা হয়ে উঠেছে। এখন নয়, ১০ বছর আগেই সারদাকাণ্ডে সমন পেয়ে মদন মিত্র শুরু করেছিলেন। এর পরবর্তীকালে একই ধারা বজায় রাখেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএম থেকে সোজা পাঠানো হয় ভুবনেশ্বরের এইমস হাসপাতালে। সেখানে অবশ্য চিকিৎসকরা তাঁকে ফিট সার্টিফিকেট দেন। এরপরে ইডি তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। আবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বাইপাস সার্জারি করে ভর্তি হন এসএসকেএম-এ।

    কার্ডিওলজি বিভাগের পাঁচ নম্বর কেবিনে বালু

    রাজ্যের বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য কার্ডিওলজি বিভাগের (Ration Scam) পাঁচ নম্বর কেবিনে বর্তমানে রয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন কার্ডিওলজি বিভাগে, অথচ তিনি হার্টের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে নেই। নিউরোলজি বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁকে চিকিৎসা করছেন বলে জানা গিয়েছে। জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসার জন্য যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে সেখানেও কার্ডিওলজি বিভাগের কোনও চিকিৎসক নেই বলে জানা গিয়েছে। এসএসকেএম-এ আসার পরেই ইমার্জেন্সিতে আড়াই ঘণ্টা ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন বালু। এই সময়ের মধ্যেই তাঁকে একাধিক পরীক্ষা করানো হয়। দেখে যান কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরা। তাঁরা বলেন, বুকে সেরকম কোনও সমস্যা নেই মন্ত্রীর। তাঁদের পরেই আসেন নিউরোলজি বিভাগের চিকিৎসকরা। এরপরই ঠিক হয় মন্ত্রীকে নিউরোলজি মেডিসিনের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করা হবে।

    হাসপাতালে ইডি

    বুধবারই হাসপাতালে আসেন ইডি আধিকারিকরা। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে তার ঠিক দু’ঘণ্টা আগেও হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে দেখা গিয়েছে ইডি আধিকারিকদের (Ration Scam)। জানা গিয়েছে, হাসপাতালের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ইডি অফিসাররা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভর্তি হওয়া মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতেই হাসপাতালে এসেছেন ইডি-এর অফিসাররা। পাশাপাশি মনে করা হচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর শারীরিক অবস্থা জানতেও হাসপাতালে আসতে পারেন ইডি গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট কালীঘাটের কাকু ভর্তি হন এসএসকেএম-এ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share