Tag: ED

ED

  • Madan Mitra: ‘লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে যাচ্ছেন সৌগত’, কেন বললেন মদন?

    Madan Mitra: ‘লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে যাচ্ছেন সৌগত’, কেন বললেন মদন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে নাজেহাল অবস্থা তৃণমূল পরিচালিত কামারহাটি পুরসভার। ইডি-র ডাকে বার বার সিজিওতে ছুটতে হচ্ছে পুর চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে। এরই মধ্যে বিজয়া সম্মেলনীতে প্রকাশ্যে গোপালকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। গোপালের পাশে দাঁড়িয়ে কার্যত বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের মতো দলের বিধায়ক তথা ‘কালারফুল বয়’ মদন মিত্র (Madan Mitra) বেলাগাম আক্রমণ করেছেন। সৌগতবাবুর মতো বর্ষীয়ান নেতাকে যে ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে. বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারাও সেই ঢঙে কথা বলেন না। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই কি কামারহাটি কাণ্ড নিয়ে দমদম লোকসভায় তৃণমূলের চেহারা বেআব্রু হয়ে গেল। সাংসদের নাম করে বিধায়ক মদনের কড়া সমালোচনার ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল।

    কামারহাটি নিয়ে সৌগত রায় ঠিক কী বলেছেন?

    কামারহাটিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। মঞ্চে উপস্থিত গোপাল সাহার পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, কামারহাটি পুরসভায় ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না। কোন অর্ডার পাস হচ্ছে না। মানুষ কোনও পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন। পরিষেবা দেওয়াটা সবার আগে দরকার। এই পুরসভায় এত কাউন্সিলার আছে, নিজেদের মধ্যে অন্য গল্প না করে নাগরিক পরিষেবা যাতে আরও উন্নত করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা উচিত। এমনকী পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে নাগরিক পরিষেবা উন্নত করার জন্য ধমক দেন তিনি।

    সৌগত রায়কে নিয়ে ঠিক কী বলেছেন মদন? (Madan Mitra)

    সৌগত রায়ের বক্তব্য সামনেই আসতেই মুখ খুলেছেন তৃণমূলের ‘কালারফুল বয়’ (Madan Mitra)। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, ওনার (সৌগত রায়) একটাই উদ্দেশ্য, যেই গোপালকে ইডি ডাকল, তখন উনি বলতে শুরু করলেন, ঠাকুর ঘরে কে? আমি তো কলা খাইনি’। ‘কী বোঝাতে চাইছেন? পুর দুর্নীতিতে আমি নেই! গোপালরা দুর্নীতি করেছে? যা বলার স্পষ্ট বলুন’। ‘আর ৯ বছরে এসব চোখে পড়ল না, এসব ভোটের আগে ঠিক মনে হল আপনার, কোথায় একটা গন্ধ আছে মনে হচ্ছে’। ‘দলের খাবেন আর সুযোগ পেলেই দলের পিছনে পিন বাজি? অথচ, আপনার বাংলোটা শ্রেষ্ঠ বাংলো, আপনি মন্ত্রী থাকাকালীন ম্যানেজ করে নিয়েছেন, আর এখন গোপাল ভূত, আর আপনি রাজা হয়ে গেলেন’। ‘কিছু বলার থাকলে পার্টির মধ্যে বলুন, তবে আপনার গুণ আছে, পিসি সরকারের ম্যাজিকের মত পাল্টি খাওয়া’।

    লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে যাচ্ছেন সৌগত, দাবি মদনের

    তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, ‘সৌগত রায় ১৫ বছরে ১০টা ছেলে দেখান, যারা আপনার কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছে’। ‘বেশি কিছু বলবেন না, দিনকাল ভালো নয় তো’। ‘হঠাৎ আপনি মেরুকরণ করে গিরগিটির মতো পাল্টাচ্ছেন কেন? জেনে রেখে দেবেন, মদন মিত্র আছে’। ‘আপনার ডানদিকে বাঁদিকে যাঁরা ঘোরেন, ওরা তো সব চোর’ । কংগ্রেস আমলে পুরানো ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে মদন বলেন,  ‘লোকে জানে আপনি শিক্ষিত, কিন্তু ৭৭ সালে এমন রিগিং করেছিলেন, যে এসডিপিওকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তারপর থেকে বারাকপুর হাতছাড়া হয়ে গেল’। এরপর এসব বলার জন্য দল ব্যবস্থা নেবে ধরে নিয়ে মদন মিত্র বলেন. ‘পার্টির কাছে ক্ষমা চাইছি, এইসব কথা বলার জন্য আমার শাস্তি হতে পারে, উত্তর চাইতে পারে, কিন্তু উত্তর আমি দেব’। ‘তবে এটাও বলে রাখি, স্পেসিফিক কিছু না পেলে মদন মিত্ৰ বলে না’। ‘ওনার (সৌগত রায়) বলার স্টাইলটা যেন মনে হচ্ছে, লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে এগোচ্ছে। তবে, কিছু যায় আসে না, তুড়ি মারব, উড়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: ‘কামারহাটি পুরসভায় কাজ হচ্ছে না’, চেয়ারম্যানকে ধমক দিয়ে বললেন সাংসদ সৌগত

    Kamarhati: ‘কামারহাটি পুরসভায় কাজ হচ্ছে না’, চেয়ারম্যানকে ধমক দিয়ে বললেন সাংসদ সৌগত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তোলপাড় কামারহাটি (Kamarhati) পৌরসভা। পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে মাঝেমধ্যেই সিজিও তো ডাকছে ই়ডি। তার বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডির তদন্তের মধ্যেই কামারহাটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তকে সাসপেন্ড করল পুর কর্তৃপক্ষ। এই তমালবাবুর বিরুদ্ধে বিপুল সম্পত্তি তৈরির অভিযোগ ওঠে। তমালবাবুকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। কিছু নথি ও পাওয়া গিয়েছিল তার কাছ থেকে। এরপরেই তাকে সাসপেন্ড করে দেওয়ার ঘটনায় নিয়োগ দুর্নীতির কোনও ইস্যু রয়েছে কিনা তা নিয়েও গোটা পুরসভা জুড়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এই সব ঘটনা নিয়ে যখন কামারহাটি জুড়ে তোলপাড় চলছে, তখন বিস্ফোরক অভিযোগ করলে দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর কথায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।  প্রকাশ্যে তৃণমূল সাংসদদের বক্তব্যে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে কামারহাটি পুর কর্তৃপক্ষ।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল সাংসদ? (Kamarhati)

    কামারহাটিতে (Kamarhati) তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। মঞ্চে উপস্থিত গোপাল সাহার পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, কামারহাটি পুরসভায় ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না। কোন অর্ডার পাস হচ্ছে না। মানুষ কোন পরিষেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন। পরিষেবা দেওয়াটা সবার আগে দরকার। এই পুরসভায় এত কাউন্সিলর আছে, নিজেদের মধ্যে অন্য গল্প না করে নাগরিক পরিষেবা যাতে আরও উন্নত করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা উচিত।  এমনকী পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে নাগরিক পরিষেবা উন্নত করার জন্য ধমক দেন। সাসপেন্ড হওয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি কি মহাপুরুষ। তিনি নেই বলে কাজ হবে না, এটা তো চলতে পারেনা।

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, সৌগত দা আমাদের অভিভাবক। তিনি পুরসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও ধমক দেননি। তার নির্দেশ মেনে আগামী দিনে পুরসভা পরিচালনা করা হবে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন,, আমাদের মতো কোনও বিরোধী দল এই অভিযোগ করছে না। তৃণমূল দলের সাংসদ প্রকাশ্যেই বলছে কামারহাটি পুরসভা কোনও কাজ করছে না। এর থেকে লজ্জার আর কিছু হয় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী মামলার হুঁশিয়ারি দিলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থামবে না’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী মামলার হুঁশিয়ারি দিলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থামবে না’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বাজার এলাকায় বিজয়া সম্মেলনীতে উপস্থিত হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, একাধিক দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্য সরকারের একের পর এক মন্ত্রীরা সবাই জেলে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতিগ্রস্তদের আড়াল করছেন। নিজের মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের আগলে রাখতে এবং নির্দোষ প্রমাণ করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিন্তু, যতই ভয় দেখাক না কেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা থামবে না। রাজ্য সরকারের যে পাহাড় সমান দুর্নীতি, সেই দুর্নীতির মুখোশ এবার সাধারণ মানুষের সামনে খুলে গিয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলার রাজনীতিতে অবদান হল অশিক্ষিত লোকেদের রাজনীতিতে আনা। মুখ্যমন্ত্রী এই মন্ত্রে বিশ্বাস করেন “কাজের সময় কাজী, আর কাজ ফুরালেই পাজি”। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে বলছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন, তাদেরকে জেরা করা প্রয়োজন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা বলছেন, তিনি কিছু জানেন না। দশ বছর ধরে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক চুরি করে যাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী জানেন না এই কথা বললে আর কেউ বিশ্বাস করবে না।

    দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    আগামী লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নিজেদের ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় পদ্ম ফোটাতে মরিয়া প্রচেষ্টা শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। কর্মীদের চাঙা করতে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) এদিন বলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি প্রার্থী ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করবে। মানুষ এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে আর দেখতে চাইছে না। বিজেপি একমাত্র পারবে দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়ে তুলতে। তাই, জোটবদ্ধ হয়ে কর্মীদের এখন থেকে লড়াই করার ডাক দিলেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kuntal Ghosh: রাজারহাটের ফ্ল্যাট কি কুন্তলের বেনামি সম্পত্তি? জানতে হাজির ইডি

    Kuntal Ghosh: রাজারহাটের ফ্ল্যাট কি কুন্তলের বেনামি সম্পত্তি? জানতে হাজির ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) রাজারহাটের ফ্ল্যাটে মঙ্গলবার হানা দিল ইডি। প্রসঙ্গত নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুন্তল ঘোষ বর্তমানে জেলে বন্দি রয়েছেন। কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে এদিন তল্লাশি চালাতে মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সের দফতর থেকে ইডি আধিকারিকরা পৌছান রাজারহাটের ফ্ল্যাটে। জানা গিয়েছে, এই ফ্ল্যাট থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল কুন্তল ঘোষকে। গ্রেফতারের পর ফ্ল্যাটের মালিক এখন নিজেই সেখানে থাকেন।

    কুন্তলের ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাট আসলে বেনামি সম্পত্তি নয় তো?

    ইডির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়েছে বর্তমানে। কুন্তল এই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন বলে জানা যায়। বর্তমানে যিনি ফ্ল্যাটে আসেন তিনি কি আসল মালিক? কবে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন? কার কাছ থেকে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন? কত টাকার বিনিময়ে কিনেছিলেন? এ সমস্ত কিছুই জানতে চাইছে তদন্তকারীরা। আসলে কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) কোনও বেনামি সম্পত্তি সুকৌশলে বিক্রি করা হয়েছে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা এবং সে কারণে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলছেন তদন্তকারীরা।

    জানুয়ারি মাসেই গ্রেফতার হন কুন্তল

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই হুগলির তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করে ইডি। ২৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কুন্তল ঘোষকে। এর পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। বেসরকারি কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডল নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের নেতা কুন্তলের যোগসাজশের কথা জানান ইডি আধিকারিকদের। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই কুন্তলের (Kuntal Ghosh) ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। কুন্তলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন তাপস মণ্ডল। তাঁর দাবি ছিল, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা নিয়েছেন কুন্তল। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছেন কুন্তল বলে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ পান ইডি আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ফের উদ্ধার হল ডায়েরি! কী লেখা রয়েছে তাতে?

    Ration Scam: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ফের উদ্ধার হল ডায়েরি! কী লেখা রয়েছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারদা কেলেঙ্কারি তদন্তে উঠে আসা লাল ডায়েরি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল সারা রাজ্যে। ইতিমধ্যে রেশন কেলেঙ্কারিতে (Ration Scam) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত-সহায়ক অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে মেরুন ডায়েরি উদ্ধার করেছে ইডি। ফের এক ডায়েরির সন্ধান পেল কেন্দ্রীয় সংস্থা, রেশন দুর্নীতির তদন্তে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, উদ্ধার হওয়া এই ডায়েরিগুলি গুরুত্বপূর্ণ নথি হতে পারে তদন্তে। জানা গিয়েছে, বাকিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকেই ওই ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে।

    বেআইনি কার্যকলাপের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ নথিভুক্ত থাকতো উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে

    প্রসঙ্গত, ইডির দাবি, ওই ব্যবসায়ী স্বীকারও করেছেন যে বাকিবুরের নির্দেশেই গমকল থেকে আটা তৈরি হওয়ার পর সরকারি খাদ্য সামগ্রীর ২০ থেকে থেকে ৩০ শতাংশ সরিয়ে ফেলা হতো। পরে তা খোলা বাজারে বিক্রি করা হতো। এই বেআইনি কার্যকলাপের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ নথিভুক্ত থাকতো উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে (Ration Scam)। কোথায় কোথায় সেই আটা প্যাকেট করা হতো, সেই সমস্ত জায়গারও সন্ধান মিলেছে ওই ডায়েরিতে। অন্তত এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। শুধু তাই নয় ওই ডায়েরি থেকে মিলেছে বেশ কয়েকজন মিল মালিক এবং প্যাকেজিং সংস্থার নামও।

    রেশন দুর্নীতিতে ইডির তল্লাশিতে উদ্ধার হল বেআইনি ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা

    অন্যদিকে, রেশন দুর্নীতিতে ইডির তল্লাশিতে উদ্ধার হল বেআইনি ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে ‘অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেড’-এর অফিসে হানা দেয় ইডি। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ১ কোটি টাকা। অন্যান্য জায়গায় তল্লাশিতেও মিলেছে নগদ ৪০ লাখ টাকা। রেশন দুর্নীতির তদন্তে শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় হানা দেয় ইডি। ২৭ ঘণ্টারও বেশি তল্লাশি চালিয়ে এই নগদ উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে। আবার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে রেশন দুর্নীতিতে। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির নজরে একাধিক ব্যবসায়ী রয়েছেন যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অঙ্কিত চান্দকদর। তাঁর সূত্র ধরেই বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি যোগ পাওয়া গিয়েছে। চান্দকর পরিবারেরই সদস্য হলেন দীপেশ চান্দকর। ২০০৪ সালে বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন দীপেশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের সিজিওতে বরানগরের চেয়ারপার্সন, টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যানও

    ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের সিজিওতে বরানগরের চেয়ারপার্সন, টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক চেয়ারম্যানকে সিজিওতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল ইডি (ED)। সোমবারই বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক এবং কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে সিজিওতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। সেখানে দুজনেই নথি জমা করে আসেন। মঙ্গলবার দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে এবার টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী সিজিওতে হাজিরা দেন। পাশাপাশি এদিন ফের বরানগরের চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক হাজিরা দেন।

    ফাইল নিয়ে টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান হাজিরা দিলেন সিজিওতে (ED)

    বারাকপুর মহকুমার কামারহাটি, বরানগরের পাশাপাশি টিটাগড় পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরে বহু কর্মীর নিয়োগ হয়। সেই সময় টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন প্রশান্ত চৌধুরী। তবে, অয়নের সংস্থার তৈরি প্যানেলে নাম থাকার পরও শুধুমাত্র চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ার কারণে মহিলা এক চাকরিপ্রার্থী পুরসভায় চাকরি পাননি। ওই চাকরিপ্রার্থীর বাড়ি হুগলির চুঁচুড়ায়। তিনি অয়ন শীলের পাশাপাশি প্রশান্তবাবুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর এই বিষয়টি নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়েছিল। এরপরই ইডি টিটাগড় পুরসভায় এসে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তদন্ত করতে আসে। পরে, প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। পুরসভা থেকে বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীকে সিজিওতে ডেকে পাঠানো হয়। এদিন সকাল ১০.২০ মিনিট নাগাদ তিনি সিজিওতে যান। ফাইলে একাধিক কাগজপত্র নিয়ে এদিন তিনি হাজির হন। পাশাপাশি কিছুক্ষণ পরই এদিন ফের বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক সিজিওতে হাজির হন। জানা গিয়েছে, সোমবারই অপর্ণা মৌলিক প্রায় সাত ঘণ্টা সিজিওতে ছিলেন। গোপাল সাহাও সেখানে দীর্ঘক্ষণ ছিলেন। তবে, এদিন গোপাল সাহাকে ডাকা হয়নি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে চেয়ারম্যানদের কতটা ভূমিকা ছিল, তা ইডি (ED) আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। তাছাড়া, পুর কর্মী, অয়ন শীলের কাছে থেকে যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার সঙ্গে চেয়ারম্যানদের বক্তব্য জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি-র ডাকে ফের সিজিওতে কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল

    ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি-র ডাকে ফের সিজিওতে কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের একাধিক পুরসভার পাশাপাশি কামারহাটি পুরসভাতেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে এই পুরসভায় শতাধিক কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। আর এই নিয়োগের সময় চেয়ারম্যান ছিলেন গোপাল সাহা। তিনি এখনও পুরসভার চেয়ারম্যান রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নামও জড়িয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের গোপাল সাহাকে তলব করে ইডি (ED)। সোমবার সকালেই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন গোপালবাবু। বেশ কিছু নথি নিয়ে ইডি দফতরে ঢোকেন তিনি। তাঁর হাতে একটি ফাইল ছিল। কিছু নথি জমা দিতেই তিনি গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    এর আগেও পুর চেয়ারম্যানকে তলব করেছিল ইডি (ED)

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বারাকপুর মহকুমায় বরানগর, হালিশহর, টিটাগড় পুরসভার সঙ্গে কামারহাটি পুরসভার নাম জড়ায়। দু দফায় কামারহাটি পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরে নিয়োগ হয়েছিল। অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীও চাকরি পেয়েছিলেন ‘বিতর্কিত’ প্যানেলে। সেপ্টেম্বর মাসে কামারহাটি পুরসভার কাছ থেকে বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (ED)। পুরসভার ৩৪ জন কর্মীকেও তলব করা হয়েছিল। তাদের কাছে তথ্য পাওয়ার পর পরই কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহার বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছিল। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সেই জের কাটতে না কাটতেই কয়েকদিন আগেই ইডি তলব করেছিল গোপাল সাহাকে। সেখানে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। এবার ফের তাঁকে ইডি তলব করল। তবে, কামারহাটি বিধানসভার বিধায়ক মদন মিত্রের দক্ষিণেশ্বর এবং ভবানীপুরের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি হয়েছিল। এবার কামারহাটির পুরসভার চেয়ারম্যানকে ইডি ফের তলব করায় মহকুমা জুড়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের কী বক্তব্য?

    এর আগেও ইডি-র (ED) ডাকে সিজিওতে গিয়েছিলেন গোপালবাবু। জেরার পর তিনি বলেছিলেন, ‘ওরা একটা তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তের প্রয়োজনে আমাকে ডাকতেই পারে। আমাকে যখনই ডাকছে, যাচ্ছি। যা প্রশ্ন করছে, উত্তর দিচ্ছি। তাতে সময় লাগছে ঠিকই, কিন্তু ওরা ওদের কাজ করছে। আমরা সবরকমভাবে সহযোগিতা করছি।’

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ছিটে বেড়ার বাড়ি থেকে অট্টালিকা! উল্কার গতিতে উত্থান রেশন ডিলার নিতাইয়ের

    ED: ছিটে বেড়ার বাড়ি থেকে অট্টালিকা! উল্কার গতিতে উত্থান রেশন ডিলার নিতাইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই রাজ্যের একাধিক জায়গার পাশাপাশি রানাঘাটে রেশন ডিলার নিতাই ঘোষের চালকলে ইডি (ED) হানা দেয়। শুধু চালকল নয়, রানাঘাট শহরের ওল্ড বহরমপুর রোডের পাশে থাকা অট্টালিকার মতো বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিতেই নিতাই ঘোষকে নিয়ে জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়।

    কে এই নিতাই ঘোষ? (ED)

    ছোট একটা বেড়ার ঘরে বাবার সঙ্গে গরুর গাড়ির চাকা তৈরির কাজ করতেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময় রানাঘাট শহরের রেশন ডিলার বিশ্বনাথ পালের দোকানের কর্মী ছিলেন নিতাই। অল্প দিনের মধ্যেই পাল পরিবারের বিশ্বাস অর্জন করেন তিনি। তারপর রেশন ডিলারের লাইসেন্সও হাতে আসে নিতাইয়ের। শুরু হয় রেশন সামগ্রীর ব্যবসা। এক সময়ে বিশ্বনাথ ও নিতাই যৌথ ভাবে ব্যবসা করতেন। পরে নিতাই নিজের আধিপত্য বিস্তার করেন ও ব্যবসা বাড়িয়ে অন্যান্য রেশন ডিলারদের নিজের ছত্রচ্ছায়ায় নিয়ে আসেন। অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, যৌথ ভাবে ব্যবসা করার সময় থেকেই রেশন সামগ্রী কালোবাজারি করার কাজে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় খাদ্য সরবরাহ দফতরের দেওয়া রেশন সামগ্রীর বদলে নিম্নমানের সামগ্রী উপভোক্তাদের দেওয়ার অভিযোগ ছিল। রাস্তার পাশে তাঁদের গরুর গাড়ি চাকা তৈরি করার ভাঙাচোরা ঘরটা এখনও রয়েছে। তার পাশেই উঠেছে তিনতলা বাড়ি। বছর আটেক আগে আনুলিয়ায় চালকল তৈরি করে ব্যবসার পরিধি বাড়ান নিতাই। রানাঘাট রেল বাজারে তাঁর পাইকারি মুদির দোকানও রয়েছে। বর্তমানে রেশন সামগ্রীর ব্যবসা ছাড়াও চালকলের মালিক সেই নিতাই ঘোষই। এমনকী তিনি এখন পশ্চিমবঙ্গ এম আর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের রানাঘাট শাখার সম্পাদকও।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রেশন সামগ্রী নিয়ে অবৈধ কারবার করার জন্য বাম জামানা থেকেই পুলিশ, প্রশাসন ও নেতাদের হাত ছিল তাঁর মাথায়। সরকার বদলের পর শাসক দলের নেতাদের হাত ছিল তাঁর মাথায়। তবে, তিনি কখনও কোনও দলের সামনে আসতেন না। টাকার জোগান দিয়ে নেতাদের মুঠোয় রাখতেন তিনি। ফলে, তাঁকে খুব বেশি কেউ চিনত না। তবে, সামান্য রেশন দোকানের কর্মী থেকে তাঁর উল্কার গতিতে উত্থান নিয়ে এলাকায় চর্চা ছিল। ইডি (ED) তাঁর বাড়িতে হানা দিতেই তিনি ফের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: আটা দুর্নীতির তদন্তে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ ইডির, তৈরি করা হয় ভুয়ো কৃষক সংগঠনও

    Ration Scam: আটা দুর্নীতির তদন্তে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ ইডির, তৈরি করা হয় ভুয়ো কৃষক সংগঠনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) কালো টাকা সাদা করতে ভুয়ো কৃষক সংগঠনও গড়ে তুলেছিলেন বাকিবুর রহমান। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ইডির হাতে। ইডি আধিকারিকদের দাবি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যখন খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখনই পশ্চিমবঙ্গে ‘ফার্মারস ফোরাম’ নামে একটি কৃষক সংগঠন গড়ে তোলা হয়। ওই সংগঠনের অন্যতম কর্ণধার ছিলেন রাইস মিল মালিক বাকিবুর রহমান। অন্যদিকে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্য পুলিশের ভূমিকাতেও সন্দেহ তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। শুধু চাল নয়, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) আটা নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করছে ইডি। এই সংক্রান্ত  তিনটি মামলাও দায়ের হয় নদিয়ার কোতোয়ালি, নবদ্বীপ এবং কৃষ্ণনগর থানায় ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে।

    রেশনে আটা নিয়ে দুর্নীতি

    সেই মামলা খতিয়ে দেখতে গিয়ে ইডি জানতে পারে, খোলাবাজারে সরকারি স্ট্যাম্প দেওয়া আটা বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। ইডি সূত্রে খবর, আটা ভাঙানো হতো বাকিবুরের মিলে। অথচ আশ্চর্যজনকভাবে রাজ্য পুলিশের তদন্তে একবারও উঠে আসেনি বাকিবুরের নাম (Ration Scam)! ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, বাকিবুরের নদিয়াজুড়ে একাধিক চাল কল রয়েছে। তদন্তের সময় পুলিশ কেন তার রাইস মিলগুলিতে হানা দিল না? প্রভাবশালী মন্ত্রীর হাত বাকিবুরের মাথায় ছিল বলেই কি পুলিশি তদন্ত থেকে বেঁচে ছিলেন রাকিবুর? অন্যদিকে জানা গিয়েছে, ভুয়ো কৃষক সংগঠনের নামে  ভুয়ো শস্যদানা কেনাবেচায় ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের নামের তালিকাও তৈরি করা হয়েছিল। সেই তালিকার মাধ্যমেই সরকারি ভাবে দেখানো হতো শস্য কেনাবেচা হয়েছে অর্থাৎ সংগঠনও ভুয়ো, শস্য কেনাবেচার প্রক্রিয়াটাও ছিল ভুয়ো। কিন্তু খাতায়-কলমে তাতে বাস্তবে হয়েছে বলে দেখানো হতো।

    বাকিবুর-জ্যোতিপ্রিয়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা

    চলতি মাসের ১৩ তারিখে ঠিক দুর্গাপুজোর আগেই গ্রেফতার করা হয় বাকিবুরকে। অন্যদিকে, দুর্গাপুজোর পরেই ২৬ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ঘটনাক্রমে, বাকিবুর রহমানের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যে। তবে বর্তমানে কেন্দ্রীয় সংস্থার হেফাজতেই রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। এমন অবস্থায় বাকিবুর রহমান ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে আরও অনেক তথ্য সামনে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এখানেই শেষ নয়, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের (Ration Scam) জাল যে অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে, তা মানছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: সোমবার রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড় জ্যোতিপ্রিয়র, শুরু হল ইডি হেফাজতের মেয়াদ

    Ration Scam: সোমবার রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড় জ্যোতিপ্রিয়র, শুরু হল ইডি হেফাজতের মেয়াদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার টানা একুশ ঘণ্টা বাড়িতে তল্লাশির (Ration Scam) পরে গভীর রাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে দশ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ শুনে মূর্ছা যান মন্ত্রী। সে সময় তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাতে ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন জ্যোতিপ্রিয়। তাঁকে বেশ সুস্থই দেখাচ্ছিল। নিজে পায়ে হেঁটে ইডি অফিসারদের সঙ্গে হাসপাতাল থেকে বের হন মন্ত্রী। তবে এদিন সংবাদমাধ্যম তাঁকে ঘিরে ধরলেও কোনওরকম প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয়।

    সোমবার দুপুরেই সিদ্ধান্ত হয় হাসপাতাল থেকে ছাড় পাবেন মন্ত্রী

    জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বৈঠক বসেছিল বেসরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল বোর্ড। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, মন্ত্রী সুস্থ হয়ে গিয়েছেন এবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। সন্ধ্যাতেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইডির দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক। এরপরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে তাঁকে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মূল গেট দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকানো হয়নি। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁকে অন্য একটি গেট দিয়ে ঢোকানো হয়। সিজিও কমপ্লেক্সে (Ration Scam) ঢোকার সময় গাড়ি থেকে নেমেই ইডি অফিসারদের সঙ্গে হেঁটে লিফটে ওঠেন জ্যোতিপ্রিয়। এ সময়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে কোনও বিবৃতি দেননি। কিছুক্ষণ পর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক আসেন ইডির দফতরে। জানা গিয়েছে, তিনি কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র,  খাবার এবং জামাকাপড় নিয়ে এসেছিলেন।

    শুরু হল জ্যোতিপ্রিয়র ইডি হেফাজতের মেয়াদ

    প্রসঙ্গত, আদালত এর আগেই নির্দেশ দিয়েছিল যে যতদিন পর্যন্ত মন্ত্রী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকবেন তা ইডি হেফাজতের মেয়াদের দিন হিসেবে গণনায় ধরা হবে না। অর্থাৎ এবার শুরু হচ্ছে জ্যোতিপ্রিয়র (Ration Scam) ইডি হেফাজতের মেয়াদ। তবে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিলেও আদালতের নির্দেশ মোতাবেক প্রতিদিনই তাঁর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার রাতে বেসরকারি হাসপাতালের তরফে যে মেডিকেল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, মন্ত্রীকে বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসকরা দেখেছেন। শল্য চিকিৎসক, স্নায়ুর চিকিৎসকরা তাঁকে ফিজিওথেরাপি করানোর পরামর্শও দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share