Tag: ED

ED

  • Abhishek Banerjee: হাইকোর্টের কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি! রাতেই ইডি দফতরে গেল অভিষেকের নথি

    Abhishek Banerjee: হাইকোর্টের কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি! রাতেই ইডি দফতরে গেল অভিষেকের নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার রাত বারোটার আগেই ইডির কাছে যাবতীয় নথি জমা করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারে উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল যে ১০ অক্টোবরের মধ্যে নথি যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জমা না করেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারবে ইডি।  মনে করা হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের এই কড়া নির্দেশের পরেই তড়িঘড়ি নথি জমা করতে উদ্যোগী হন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।

    ইডির অভিযোগ 

    ইডি তরফে আদালতে এদিন অভিযোগ জানানো হয় যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে নির্দেশ মানছেন না এবং তাঁর কাছ থেকে কোনও নথিও জমা দেওয়া হয়নি। সেইমতো বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) আদালতের নির্দেশ না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত সময়সীমাও বেঁধে দেয় কোর্ট। এদিন দুই ব্যক্তিকে নথি হাতে ঢুকতে দেখা যায় ইডি দফতরে।

    গত সপ্তাহেই হাজিরা এড়াতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক 

    ইডি অফিসে নথি জমা দেওয়া সংক্রান্ত মামলার শুনানি গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টে সম্পন্ন হয়েছিল। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। মামলার শুনানিতে চলতি মাসের ৫ তারিখে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল যে সমস্ত নথি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জমা দিতে হবে এবং তার সময়সীমা হাইকোর্ট নির্ধারণ করেছিল ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। গত সপ্তাহেই সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণের ব্যাখ্যা চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যান অভিষেক। সেখানেই বিচারপতি অভিষেকের আইনজীবী বলেন, ‘‘মাথায় রাখবেন, এটা কোনও সরাসরি তদন্ত নয়। কোর্টের নজিরদারিতে তদন্ত চলছে। তাই সিঙ্গল বেঞ্চ এটা করতে পারে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থার কাছে জবাব চাইতেই পারে সিঙ্গল বেঞ্চ। এমনকি, কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চললে আদালত যদি তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হয়, তবে নতুন নির্দেশও দিতে পারেন বিচারপতি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ইডি দফতরে হাজিরা এড়ালেন অভিষেকের বাবা

    Abhishek Banerjee: ইডি দফতরে হাজিরা এড়ালেন অভিষেকের বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর। শনিবার তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি এদিন উপস্থিত হননি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন যে বিশেষ কাজ থাকায় তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শুক্রবার তলব করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তিনিও শুক্রবার হাজিরা দেননি।

    ১২০০ পাতার নথি পাঠিয়েছেন অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। ইডি সূত্রে খবর, ১২০০ পাতার নথি পাঠিয়েছেন অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত তাঁর সেই নথি খতিয়ে দেখবেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের কর্তারা। পরবর্তীকালে ফের তাঁকে তলব করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

    অভিষেকের স্ত্রীকে তলব

    অন্যদিকে, এর আগেও অভিষেকের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল ইডি। পরবর্তীকালে চলতি মাসের ১১ তারিখ তাঁকে ফের তলব করা হয়েছে। চলতি মাসের ৩ তারিখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তলব করা হয়েছিল। তিনি সেদিন হাজিরা দেননি। এরপর ফের ৯ অক্টোবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়। তবে সেই তলবকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলা বর্তমানে আদালতের বিচারাধীন।

    আদালতের নির্দেশে তদন্ত

    নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যোগ সূত্রে উঠে আসে লিপস অ্য়ান্ড বাউন্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার নাম। জানা যায়, এই সংস্থাটির সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর হিসেবে নাম রয়েছে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বাবা-মা এবং স্ত্রী রুজিরা বন্দোপাধ্যায়ের। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ওই সংস্থার ডিরেক্টরদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাই এই তলব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তল্লাশিতে ১২ ঘণ্টা পার, আড়াই কোটির ফ্ল্যাটের হদিশ পেল ইডি

    ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তল্লাশিতে ১২ ঘণ্টা পার, আড়াই কোটির ফ্ল্যাটের হদিশ পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় বারাকপুর মহকুমা। বৃহস্পতিবার সাত সকালেই ইডি (ED) আধিকারিকরা বরানগর, কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান এবং টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বা়ড়িতে হানা দেন। সকাল থেকে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের বাড়িতে ইডির আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তল্লাশি চালান। ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সেই তল্লাশি চলছে। কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল সাহা, বরানগর পুরসভার চেয়ারম্যান অপর্ণা মৌলিক, টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভার এক কর্মী মীজানুর রহমানের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় তাই ব্যাপক উত্তেজনা।

    অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে পুরসভায় নিয়োগ, তদন্তে ইডি (ED)

    কামারহাটি পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে প্রায় ৩০০ কর্মীর নিয়োগ হয়েছিল। অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর নিয়োগও এই পুরসভায় হয়। এর আগে অয়নের সংস্থার মাধ্যমে চাকরি হওয়া ৩৩ জন কর্মীকে ইডি আধিকারিকরা ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বরানগর পুরসভায় অয়নের সংস্থার মাধ্যমে ২৮০ জনের নিয়োগ হয়েছিল। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতা আশিস দে-র ছেলে বরানগর পুরসভায় নিয়োগপত্র পান। জানা গিয়েছে, চাকরি পাওয়ার পরও তিনি বীরভূমের বাড়িতেই থাকতেন। তৃণমূলের রাজ্য নেতার ছেলে বলে কারও তাঁকে ঘাঁটানোর সাহস ছিল না। এদিন ইডি হানা নিয়ে তৃণমূল নেতা আশিস দে-র বা তাঁর ছেলের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এই পুরসভার ৩২ জন কর্মীকে এর আগে ইডি আধিকারিকরা ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পান। জানা গিয়েছে, এই বরানগর পুরসভায় কামারহাটির তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের চাকরি হয়েছিল। একইভাবে কামারহাটি পুরসভায় বরানগরের তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের চাকরি হয়েছিল। এই নিয়োগে দুই পুরসভার চেয়ারম্যানদের ভূমিকা ইডি (ED) আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। একইসঙ্গে টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভার কর্মী মীজানুর রহমানের নিয়োগ দুর্নীতিতে ভূমিকা খতিয়ে দেখতে ইডি দিনভর তল্লাশি চালায়। একজনের আড়াই কোটি টাকার ফ্ল্যাটের হদিশ পেয়েছে ইডি আধিকারিকরা। তবে, সংবাদ মাধ্যমের সামনে ইডি আধিকারিকরা মুখ খুলতে চাননি। 

    কামারহাটি পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যানকে জেরা করলেন ইডি (ED) আধিকারিকরা

    কামারহাটি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তুষার চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর চেম্বারে ঘন্টা দেড়েক জেরা করা হয়। তাঁর মোবাইলের কন্টাক্ট লিস্টে অয়ন নাম দেখেই সন্দেহের চোখে তাকান ইডি-র (ED) তদন্তকারীরা। জানতে চান, কে এই অয়ন? তুষারবাবু জানান, এটা অয়ন মিত্র। অয়ন শীল নয়। সল্টলেক স্টেডিয়াম সংলগ্ন এক রেস্তোরাঁর ম্যানেজার ছিলেন অয়ন মিত্র। এরপরে অয়ন শীল নিয়েও বেশ কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির তদন্তকারীরা। তারপরে তুষারকে পুরসভায় তাঁর নিজের ঘরে বসার অনুমতি দেওয়া হয়। এখনও এস্টাব্লিশমেন্ট ডিপার্টমেন্টে এবং পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। ভাইস চেয়ারম্যান অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় কামারহাটি পুরসভায় ব্যাহত পরিষেবা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ইডি-র নজরে এবার মার্বেল মোড়া তৃণমূলের কার্যালয়, কেষ্ট ঘনিষ্ঠ চারজনকে দিল্লিতে তলব

    Anubrata Mondal: ইডি-র নজরে এবার মার্বেল মোড়া তৃণমূলের কার্যালয়, কেষ্ট ঘনিষ্ঠ চারজনকে দিল্লিতে তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত বীরভূম জেলায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এখন তিহার জেলে রয়েছেন। দিল্লিতে এই মামলার বিচার চলছে। এরমধ্যে অনুব্রতের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত বোলপুর শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শিবনাথ রায় সহ চার জনকে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। ৩ অক্টোবর থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে তাঁদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। যা নিয়ে বীরভূম জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন ইডি-র তলব? (Anubrata Mondal)

    পাঁচ বছর আগে রথযাত্রার দিন বোলপুর শহর তৃণমূলের কার্যালয়ের উদ্বোধন করেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) । তিন তলা ভবনটির অধিকাংশ ঘর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। মেঝেয় দামি মার্বেল। রয়েছে ফলস সিলিং। বিল্ডিং জুড়ে বসানো রয়েছে সিসি ক্যামেরা। ঝাঁ চকচকে পার্টি অফিস দেখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একবার অনুব্রত উত্তর দিয়েছিলেন, ‘২০১৩ সালে আমি এই বাড়ি ন্যায্য মূল্যে কিনেছিলাম।’ এবার সেই বাড়িই এ বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) নজরে! কার টাকায় এই বিলাসবহুল দলীয় অফিস তৈরি হল, তারই তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সূত্রের খবর, ভবন তৈরিতে কয়েক কোটি টাকা খরচের উৎস কী, তা তদন্ত করে দেখতে চায় ইডি। সেই সূত্রেই  কোন পথে এত টাকা এসেছিল, মূলত সেটা জানতেই এই চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি। ওই দলীয় কার্যালয়ে থাকা মা কালীর বিপুল অঙ্কের গয়নাও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুরের বিশাল দলীয় কার্যালয়টি প্রথমে তৃণমূল নেতা তথা কাউন্সিলার শিবনাথ রায় এবং বোলপুর পুরসভার তিন কর্মীর নামে কেনা হয়েছিল। পরে অনুব্রতের তৈরি করে দেওয়া ট্রাস্টের নামে সেটি হস্তান্তর করা হয়। শিবনাথ-সহ ওই চার জনকেই তলব করা হয়েছে।

    অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলার কী বললেন?

    তৃণমূল কাউন্সিলার শিবনাথ বলেন, ইডির সমন পেয়েছি। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় কেনার সময় অনুব্রত আমাদের কয়েক জনকে বেশ কিছু জায়গায় সই করিয়েছিলেন। আমার মনে হয় তার জন্যই ডেকে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে সবরকমভাবে সহযোগিতাও করব। তবে এত তাড়াতাড়ির মধ্যে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয় বলে ই-মেল করে জানিয়েছি ইডি-কে।

    রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তরজা

    সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, যা কালো টাকা বা যা বেআইনি সম্পদ, তার সবটা অনুব্রত একা নয়, সবাই মিলেই করেছেন। সুতরাং সত্য উদ্ঘাটন করতে গেলে সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। বিজেপির বোলপুর সংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডলের দাবি, অনুব্রতের অনুগামীরা কালো টাকার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শুধু সময়ের অপেক্ষা। আরও বহু জনকে ডাকবে। তৃণমূলের জেলা সহ- সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বোলপুরের জেলা পার্টি অফিসের ট্রাস্টি সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ওই চার জনকে ডাকা হয়েছে বলে জেনেছি। বিরোধীরা ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।

    অন্যদিকে, ইডি-র নজরে পার্টি অফিস থাকার পাশপাশি  নানুরের হোসেনপুরের পরে এ বার বোলপুরের বাহিরি-পাঁচশোয়া এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে অনুব্রতের নাম ও ছবি আগেই মোছা হয়েছিল বলে খবর। সেই চুনকাম করা অংশের উপরে সম্প্রতি সাঁটানো হয়েছে তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের ছবি। এমন ঘটনায় ফের তৃণমূলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে, দলের জেলা সভাপতি থাকা সত্ত্বেও কি অনুব্রতের অস্তিত্ব ধীরে ধীরে  মুছে ফেলতে চাইছে দল?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ বহাল রাখল হাইকোর্ট, রইল না তদন্তে বাধা

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ বহাল রাখল হাইকোর্ট, রইল না তদন্তে বাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে ইডির করা অভিযোগ খারিজ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ইডির অভিযোগ বা ইসিআইআর-এর খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। শুক্রবার এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘‘তদন্ত চলছে। এই পরিস্থিতিতে ইসিআইআর খারিজের আবেদন অপরিণত অবস্থায় রয়েছে। তাই এই নিয়ে আদালত এখনই কোনও নির্দেশ দেবে না।’’

    বাধা রইল ইডির তদন্তে

    শুক্রবার হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণের ফলে ইডির তদন্তে আর কোনও বাধা রইল না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, এই মামলায় ১৩ সেপ্টেম্বর সল্টলেকের ইডি দফতরে হাজিরা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এর আগে ২১ অগাস্ট প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেখানে বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছু নথি। পরবর্তীকালে ২৩ অগাস্ট ইডির প্রেস বিবৃতিতে লিপস অ্যান্ড বাউন্সের সিইও হিসেবে উঠে আসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের (Abhishek Banerjee) নাম। ইডির এই প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত লিপস অ্যান্ড বাউন্সের ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র গ্রেফতার হতেই তদন্তে জড়ায় লিপস অ্যান্ড বাউন্স সংস্থার নাম। অভিযোগ, ওই কোম্পানির মাধ্যমেই নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতেন কালীঘাটের কাকু। এক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে থাকা তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেরও হদিস পায় ইডি।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর চিঠির সূত্র ধরেই উঠে আসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম। তৃণমূলের যুবনেতার দাবি ছিল যে অভিষেকের নাম বলার জন্য নাকি তাঁকে চাপ দিচ্ছে ইডি-সিবিআই। পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণে বলেন যে প্রয়োজন পড়লে সিবিআই বা ইডি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই একই নির্দেশ পরবর্তীকালে বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ঝালদা পুরসভাকে নোটিস পাঠাল ইডি, জেলাজুড়ে শোরগোল

    ED: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ঝালদা পুরসভাকে নোটিস পাঠাল ইডি, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার নাম জড়াল পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা। ইতিমধ্যেই ইডির (ED) পক্ষ থেকে এই পুরসভায় নোটিস ধরানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইডি এই পুরসভায় নোটিস পাঠানোয় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে বারাকপুর মহকুমার ৬টি পুরসভাকে ইডি নোটিস পাঠিয়েছিল। এমনকী কামারহাটি পুরসভার একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির মূল পান্ডা অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী কামারহাটি পুরসভায় চাকরি করেন। অয়ন শীলের সংস্থার প্যানেলে তাঁর চাকরি হয়েছিল। ইডি তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। এরপর কয়েকদিন আগে ডায়মন্ডহারবার পুরসভাকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি নোটিস করেছিল। এবার সেই তালিকা চলে এল ঝালদা পুরসভা।

    ইডি (ED) নোটিস প্রসঙ্গে কী বললেন পুরসভার প্রধান করণিক?

    এ প্রসঙ্গে ঝালদা পুরসভার প্রধান করণিক গৌতম গোস্বামী বলেন, সোমবার ডাক যোগে ও ইমেলে এই নোটিস পান। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে যে সব নিয়োগ হয়েছে তাঁদের বায়োডাটা-সহ সমস্ত নথি জমা করতে হবে। সেইসঙ্গে সেই সময় থেকে পুরপ্রধান, নির্বাহী আধিকারিক-সহ পুর কর্মচারীদের নাম, ফোন নম্বর এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে। সেইভাবে প্রস্তুতিও নিচ্ছে পুরসভা। পুরসভার পক্ষ থেকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করা হবে।

    বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    প্রসঙ্গত, পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর হয়েছে ইডি (ED)। ২০১৬-১৭ সালে নিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চেয়ে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলেই দাবি বর্তমান চেয়ারম্যানের। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুরসভাগুলিতেও নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ইডি, সিবিআই। তার ভিত্তিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, পুর-দুর্নীতিরও তদন্ত হওয়া উচিত এবং তা করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত ২১ এপ্রিল পুরসভায় দুর্নীতির তদন্তভারও সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই তদন্ত করছে ইডিও। বিরোধীদের বক্তব্য, আমরা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বার বার সরব হয়েছিলাম। এবার সেটাই প্রমাণিত হল। আমাদের বিশ্বাস, ইডি প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ইন্ডি জোটের বৈঠকের দিনই ইডির তলব অভিষেককে

    Abhishek Banerjee: ইন্ডি জোটের বৈঠকের দিনই ইডির তলব অভিষেককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নোটিস পাঠাল ইডি। ১৩ সেপ্টেম্বর হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ওই নোটিসে। প্রসঙ্গত ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডি জোটের সমন্বয় কমিটির প্রথম বৈঠক রয়েছে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এই কমিটিতে রয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ এ নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) লেখেন, ‘‘১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রথম বৈঠক। ওই কমিটির আমি একজন সদস্য। অথচ একটু আগেই আমাকে ইডির তরফে নোটিস পাঠানো হল। ওইদিনই আমাকে তলব করেছে ওরা।’’

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ 

    প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগেও তলব করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। ধৃত কুন্তল ঘোষের একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ডেকে পাঠায় ইডি। পরবর্তীকালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। কালীঘাটের কাকুর মারফত সন্ধান মেলে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ইডি জানতে পারে এক সময় এই সংস্থার সিইও ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন তোলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যদি ওই সংস্থার সিইও থাকেন, তাহলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি কোনও পদক্ষেপ কেন নিচ্ছে না?’’ বিচারপতি অমৃতা সিনহা সেদিন নির্দেশ দেন, এসংক্রান্ত তথ্য ১৪ সেপ্টেম্বর জমা দিতে হবে হাইকোর্টে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেরা করতে তাই ১৩ সেপ্টেম্বর ডেকে পাঠানো হল ডায়মন্ডহারবারের সাংসদকে।  প্রসঙ্গত, ১২ সেপ্টেম্বর স্পেন ও দুবাই সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঠিক তার পরের দিনই ডেকে পাঠানো হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে (Abhishek Banerjee) তলব করা হয়েছিল পঞ্চায়েত ভোটের আগে।

    কী বলছে বিজেপি

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Abhishek Banerjee) তলব নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ইডি, সিবিআই নিয়ে যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা তৃণমূল বলছে, এসব শুনে মানুষ ক্লান্ত। তদন্তকারী সংস্থা কখন, কাকে ডাকবে, সেটা তো তাদেরই বিষয়। আর আমরা তো চাই ইন্ডি জোট আরও শক্তিশালী হোক। ভারতবর্ষের কোথায় কী জোট হচ্ছে, আমাদের জানার দরকার নেই। আমরা চাই বাংলা থেকে এই জোট আরও শক্তিশালী হোক।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: কোটিপতি প্রাক্তন পোস্টমাস্টার! তদন্তে পাঁশকুড়ার বাড়িতে ইডির তল্লাশি

    ED: কোটিপতি প্রাক্তন পোস্টমাস্টার! তদন্তে পাঁশকুড়ার বাড়িতে ইডির তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে প্রাক্তন পোস্টমাস্টারের বাড়িতে তল্লাশি চালাল ইডি (ED)। গ্রাহকদের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল প্রাক্তন পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই প্রাক্তন পোস্টমাস্টারের নাম লক্ষ্মণচন্দ্র হেমব্রম। রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালায় ইডির তদন্তকারী দল। বিষয়টি জানাজানি হতেই পাঁশকুড়াজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই পোস্টমাস্টারের আদি বাড়ি পাঁশকুড়ার নস্কর দিঘিতে। তবে বর্তমানে তিনি পাঁশকুড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিশাল জায়গা কিনে প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করেছেন।

    গৃহশিক্ষক থেকে পোস্টমাস্টার হয়ে কোটিপতি!

    জানা গিয়েছে, লক্ষ্মণের বাবা, মা দিনমজুর ছিলেন। প্রথম জীবনে লক্ষ্মণ টিউশনি করতেন। পরে, ডাক বিভাগে চাকরি পান। ২০১৮ সালে লক্ষ্মণচন্দ্র হেমব্রম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার রামচন্দ্রপুরে পোস্টমাস্টার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ওই সময় বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। কারণ, সেই সময় বিভিন্ন ক্লাব, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তিনি টাকা ঢালতেন। ওই সময়েই গ্রাহকরা পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার অর্থ তছরুপের অভিযোগ আনেন। অভিযোগ আসার পরেই ওই ব্যক্তিকে কোলাঘাটের নতুন বাজারের পোস্টমাস্টার হিসাবে নিযুক্ত করে বিভাগীয় দফতর। এরপর অর্থ তছরুপের অভিযোগের ভিত্তিতেই ২০১৯ সালে বিভাগীয় দফতর চাকরি থেকে অপসারিত করে তাঁকে। ২০২০ সালে অভিযোগের ভিত্তিতেই পাঁশকুড়া থানার পুলিশ প্রাক্তন পোস্টমাস্টারকে আটক করে। তবে, পরবর্তী সময়ে তিনি জামিনে মুক্ত হন। তবে, ওই পাঁচ কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তকারী দল ইডি (ED) তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে  থাকে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, সম্প্রতি সিজিও কমপ্লেসে ডেকে পাঠানো হয় লক্ষ্মণকে। কিন্তু, তিনি যাননি। তাই মঙ্গলবার তদন্তকারী দল তার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। প্রথমে বাড়িতে প্রবেশ করে প্রত্যেকের মোবাইল নিজেদের হেফাজতে নেয়। তারপরেই পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত খুঁটিনাটি দেখা হয়। রাত ন’টা পর্যন্ত চলে তল্লাশি।

    নিজের সম্পত্তি প্রসঙ্গে কী বললেন প্রাক্তন পোস্টমাস্টার?

    লক্ষ্মণ বলেন, ইডি (ED) আধিকারিকরা বাড়িতে এসে সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। বলেছেন, কাগজপত্র সব ঠিক আছে। আমাকে ৮ তারিখ সিজিও কমপ্লেক্সে যেতে বলা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে আর্থিক অভিযোগ রয়েছে তা ঠিক নয়।

    ইডি হানা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    পাঁশকুড়া থানার আইসি আশিস মজুমদার বলেন, কাউকে না জানিয়ে ইডি (ED) আসে। থানার কাছে কোনও তথ্য ছিল না। জানা গিয়েছে, ফের আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে লক্ষ্মণকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ইডির আবেদনে আসানসোল থেকে গরুপাচার মামলা সরল দিল্লিতে, চাপ বাড়ল কেষ্টর

    Anubrata Mondal: ইডির আবেদনে আসানসোল থেকে গরুপাচার মামলা সরল দিল্লিতে, চাপ বাড়ল কেষ্টর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত থেকে গরুপাচার মামলা এবার সরল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। এর ফলে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে যাবতীয় গরু পাচার সংক্রান্ত মামলার শুনানি দিল্লিতে হবে। বুধবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ আদালত।

    ২৮ জুলাই মামলা স্থানান্তরের আবেদন জানিয়েছিল ইডি

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৮ জুলাই আসানসোলের আদালত থেকে মামলা সরানোর আবেদন জানিয়েছিল ইডি সেই আবেদনই দিন মঞ্জুর করলেন সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এরফলে মামলার যাবতীয় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব দিল্লিতেই হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে পশ্চিমবঙ্গেই তার বিচার প্রক্রিয়ার চলুক এনিয়ে আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal), তা খারিজ হয়ে যায় দিল্লি রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে। কেন এই মামলা আসানসোল থেকে দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যেতে যান?  বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এই প্রশ্নের জবাবে ২০০৫ সালে অর্থমন্ত্রকে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিকে তুলে ধরে ইডি। ঐ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ৪৪/১/সি ধারায় মামলা স্থানান্তরের আবেদন করতে ইডি।

    গরুপাচার মামলায় গত মার্চ থেকে তিহাড়ে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)

    প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি এবং সিবিআই। সিবিআই এর হাতে ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গ্রেফতার হন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সেই মামলার শুনানি শুরু হয় আসানসলের সিবিআই আদালতে। যদিও পরবর্তীকালে ইডি তাঁকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে এবং দিল্লির তিহাড় জেলে নিয়ে যায়। গত মার্চ থেকেই দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও বর্তমানে তিহাড় জেলে রয়েছেন। এই মামলায় আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন এনামুল হক এবং বিএসএফের কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার। মামলা আসানসোল থেকে দিল্লিতে সরাতে চেয়ে এর আগেও দুবার আবেদন করেছিল ইডি তবে তৃতীয়বারের আবেদন গ্রহণ করেছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: নিয়োগ দুর্নীতিতে বারাকপুরের ৬টি পুরসভায় ইডি-র নোটিশ ঘিরে তোলপাড়

    Barrackpore: নিয়োগ দুর্নীতিতে বারাকপুরের ৬টি পুরসভায় ইডি-র নোটিশ ঘিরে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে বারাকপুর (Barrackpore) মহকুমায় ৬টি পুরসভাকে নোটিশ পাঠাল ইডি। নতুন করে এই নোটিশ ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে বারাকপুর মহকুমার জুড়ে। ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে পুরসভাগুলিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কোন কোন পুরসভাকে নোটিশ পাঠাল ইডি?(Barrackpore)

    ইডি ও পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাকপুর (Barrackpore) মহকুমায় বরানগর, কামারহাটি, পানিহাটি, টিটাগড়, হালিশহর এবং নিউ ব্যারাকপুর পুরসভাতে ইডি নোটিশ পাঠিয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ধারণা, অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে এই সব পুরসভাগুলিতে কয়েক দফায় নিয়োগ হয়েছে। আর সেই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলেই তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা মনে করছেন। ইতিমধ্যে কামারহাটি পুরসভায় অয়ন শীল এর বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী নিয়োগ হয়েছেন। এই অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে কোথাও একবার, কোথাও দুবার বা তিনবারে টিটাগড়, হালিশহর সহ একাধিক পুরসভায় বহু কর্মী নিয়োগ হয়েছিলেন। বরানগর এবং কামারহাটি পুরসভায় স্থানীয় তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রাও চাকরি পেয়েছেন। এমনকী অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বীরভূমের এক তৃণমূল নেতার ছেলেও বরানগর পুরসভায় চাকরি করছেন।  স্বাভাবিকভাবে অয়ন শীল এর তালিকায় ব্যারাকপুর মহকুমায় যে সমস্ত পুরসভায় নিয়োগ হয়েছিল, সেখানে দুর্নীতি হয়েছে বলেই অন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা মনে করছেন। এর আগে সিবিআই এর পক্ষ থেকে এই সব পুরসভায় নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কামারহাটি পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে চাকরি পাওয়া এরকম ৩১ জনকে তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। আরও বেশ কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে জানা গিয়েছে। এরই মধ্যে নতুন করে বারাকপুর মহকুমার ৬টি পুরসভাকে ইডি নোটিশ দেওয়ায়  বারাকপুর মহকুমা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ইডি-র নোটিশ নিয়ে কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যানরা?

    এই বিষয়ে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, তদন্তকারী সংস্থা যে সমস্ত বিষয় জানতে চেয়েছিল, আমরা তা লিখিত আকারে জানিয়ে দিয়েছি। পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, আমাদের পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে কোনও নিয়োগ হয়নি। এর আগেও আমরা জানিয়েছি। আমরা একই কথা এই সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছি। নিউ বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবীর সাহা বলেন, ইডি-র পক্ষ থেকে যে সমস্ত তথ্য চাওয়া হয়েছিল, পুরসভার পক্ষ থেকে সমস্ত তথ্য দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share