Tag: ED

ED

  • Ration Scam: আটা দুর্নীতির তদন্তে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ ইডির, তৈরি করা হয় ভুয়ো কৃষক সংগঠনও

    Ration Scam: আটা দুর্নীতির তদন্তে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ ইডির, তৈরি করা হয় ভুয়ো কৃষক সংগঠনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) কালো টাকা সাদা করতে ভুয়ো কৃষক সংগঠনও গড়ে তুলেছিলেন বাকিবুর রহমান। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ইডির হাতে। ইডি আধিকারিকদের দাবি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যখন খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখনই পশ্চিমবঙ্গে ‘ফার্মারস ফোরাম’ নামে একটি কৃষক সংগঠন গড়ে তোলা হয়। ওই সংগঠনের অন্যতম কর্ণধার ছিলেন রাইস মিল মালিক বাকিবুর রহমান। অন্যদিকে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্য পুলিশের ভূমিকাতেও সন্দেহ তৈরি হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। শুধু চাল নয়, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) আটা নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করছে ইডি। এই সংক্রান্ত  তিনটি মামলাও দায়ের হয় নদিয়ার কোতোয়ালি, নবদ্বীপ এবং কৃষ্ণনগর থানায় ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে।

    রেশনে আটা নিয়ে দুর্নীতি

    সেই মামলা খতিয়ে দেখতে গিয়ে ইডি জানতে পারে, খোলাবাজারে সরকারি স্ট্যাম্প দেওয়া আটা বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। ইডি সূত্রে খবর, আটা ভাঙানো হতো বাকিবুরের মিলে। অথচ আশ্চর্যজনকভাবে রাজ্য পুলিশের তদন্তে একবারও উঠে আসেনি বাকিবুরের নাম (Ration Scam)! ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, বাকিবুরের নদিয়াজুড়ে একাধিক চাল কল রয়েছে। তদন্তের সময় পুলিশ কেন তার রাইস মিলগুলিতে হানা দিল না? প্রভাবশালী মন্ত্রীর হাত বাকিবুরের মাথায় ছিল বলেই কি পুলিশি তদন্ত থেকে বেঁচে ছিলেন রাকিবুর? অন্যদিকে জানা গিয়েছে, ভুয়ো কৃষক সংগঠনের নামে  ভুয়ো শস্যদানা কেনাবেচায় ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের নামের তালিকাও তৈরি করা হয়েছিল। সেই তালিকার মাধ্যমেই সরকারি ভাবে দেখানো হতো শস্য কেনাবেচা হয়েছে অর্থাৎ সংগঠনও ভুয়ো, শস্য কেনাবেচার প্রক্রিয়াটাও ছিল ভুয়ো। কিন্তু খাতায়-কলমে তাতে বাস্তবে হয়েছে বলে দেখানো হতো।

    বাকিবুর-জ্যোতিপ্রিয়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা

    চলতি মাসের ১৩ তারিখে ঠিক দুর্গাপুজোর আগেই গ্রেফতার করা হয় বাকিবুরকে। অন্যদিকে, দুর্গাপুজোর পরেই ২৬ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ঘটনাক্রমে, বাকিবুর রহমানের ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যে। তবে বর্তমানে কেন্দ্রীয় সংস্থার হেফাজতেই রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। এমন অবস্থায় বাকিবুর রহমান ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে আরও অনেক তথ্য সামনে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এখানেই শেষ নয়, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের (Ration Scam) জাল যে অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে, তা মানছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: সোমবার রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড় জ্যোতিপ্রিয়র, শুরু হল ইডি হেফাজতের মেয়াদ

    Ration Scam: সোমবার রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড় জ্যোতিপ্রিয়র, শুরু হল ইডি হেফাজতের মেয়াদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার টানা একুশ ঘণ্টা বাড়িতে তল্লাশির (Ration Scam) পরে গভীর রাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে দশ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ শুনে মূর্ছা যান মন্ত্রী। সে সময় তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাতে ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন জ্যোতিপ্রিয়। তাঁকে বেশ সুস্থই দেখাচ্ছিল। নিজে পায়ে হেঁটে ইডি অফিসারদের সঙ্গে হাসপাতাল থেকে বের হন মন্ত্রী। তবে এদিন সংবাদমাধ্যম তাঁকে ঘিরে ধরলেও কোনওরকম প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয়।

    সোমবার দুপুরেই সিদ্ধান্ত হয় হাসপাতাল থেকে ছাড় পাবেন মন্ত্রী

    জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বৈঠক বসেছিল বেসরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল বোর্ড। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, মন্ত্রী সুস্থ হয়ে গিয়েছেন এবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। সন্ধ্যাতেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইডির দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক। এরপরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে তাঁকে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মূল গেট দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকানো হয়নি। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁকে অন্য একটি গেট দিয়ে ঢোকানো হয়। সিজিও কমপ্লেক্সে (Ration Scam) ঢোকার সময় গাড়ি থেকে নেমেই ইডি অফিসারদের সঙ্গে হেঁটে লিফটে ওঠেন জ্যোতিপ্রিয়। এ সময়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে কোনও বিবৃতি দেননি। কিছুক্ষণ পর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক আসেন ইডির দফতরে। জানা গিয়েছে, তিনি কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র,  খাবার এবং জামাকাপড় নিয়ে এসেছিলেন।

    শুরু হল জ্যোতিপ্রিয়র ইডি হেফাজতের মেয়াদ

    প্রসঙ্গত, আদালত এর আগেই নির্দেশ দিয়েছিল যে যতদিন পর্যন্ত মন্ত্রী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকবেন তা ইডি হেফাজতের মেয়াদের দিন হিসেবে গণনায় ধরা হবে না। অর্থাৎ এবার শুরু হচ্ছে জ্যোতিপ্রিয়র (Ration Scam) ইডি হেফাজতের মেয়াদ। তবে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিলেও আদালতের নির্দেশ মোতাবেক প্রতিদিনই তাঁর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার রাতে বেসরকারি হাসপাতালের তরফে যে মেডিকেল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, মন্ত্রীকে বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসকরা দেখেছেন। শল্য চিকিৎসক, স্নায়ুর চিকিৎসকরা তাঁকে ফিজিওথেরাপি করানোর পরামর্শও দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sisodia: জামিন খারিজ সিসোদিয়ার, সিবিআই-এর অভিযোগকে কার্যত মান্যতা দিল শীর্ষ আদালত

    Sisodia: জামিন খারিজ সিসোদিয়ার, সিবিআই-এর অভিযোগকে কার্যত মান্যতা দিল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার (Sisodia) জামিন ফের খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আবগারি দফতরের মামলায় ৩৩৮ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি প্রায় প্রতিষ্ঠিত। এতেই কার্যত সিবিআই-এর অভিযোগকে মান্যতা দিল শীর্ষ আদালত, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ সিবিআই-এর দাবি ছিল, ২০২১ সালে দিল্লির সরকার কয়েকজন মদ ব্যবসায়ীকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অনেক সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল। 

     ৭ মাস ধরে জেলে রয়েছেন আম আদমি পার্টির এই শীর্ষ নেতা

    প্রসঙ্গত, আবগারি দফতরের দুর্নীতি মামলায় বিগত ৭ মাস ধরে জেলে রয়েছেন আম আদমি পার্টির এই শীর্ষ নেতা। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির অভিযোগে সিসোদিয়াকে (Sisodia) গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এরপর থেকে একাধিক বার কোর্টের সামনে জামিনের আর্জি জানিয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু প্রতিবারই তাঁর জামিন খারিজ হয়ে যায়। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শ্রী সিসোদিয়া। সোমবারই এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ।

    অভিযোগ আপ সরকারের আবগারি নীতি নিয়েই 

    সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে সিবিআইকে আবগারি দফতরের তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ রয়েছে, তদন্তের গতি যদি মন্থর হয়ে যায় সেক্ষেত্রে পরবর্তীকালে জামিনের আবেদন করতে পারবেন সিসোদিয়া।
     প্রসঙ্গত, এই মামলাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও জেরা করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। আবার আপ পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহও গ্রেফতার হয়েছেন। প্রসঙ্গত, দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, যে আবগারি নীতি তৈরি করেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার তাতেই বড়সড় বেনিয়াম হয়েছিল। সেই নীতির কারণে আর্থিক সুবিধা পাচ্ছিলেন সিসোদিয়া (Sisodia)। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এদিনের শীর্ষ আদালতে পর্যবেক্ষণে ফের চাপে পড়ল আপ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: রেশন-দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ নিউ দিঘার হোটেলে! ‘বালু-বাকিবুর’ যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    ED: রেশন-দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ নিউ দিঘার হোটেলে! ‘বালু-বাকিবুর’ যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই নদিয়ার রানাঘাটে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাকিবুর রহমানের রেশন দুর্নীতির টাকা দিঘার হোটেলে বিনিয়োগ হয়েছে। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ যে সঠিক, তা দিঘার হোটেলে ইডি-র (ED) নজরদারি শুরু করার ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে। বেনামে সম্পত্তির যোগ খুঁজতে এবার কি পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকতে শহরে আসবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? তা নিয়ে জেলা জুড়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পর থেকেই নিউ দিঘার হোটেল নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বালুর তিনটি হোটলের নামের তালিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘হোটেল মেঘবালিকা, বিচ ভিউ এবং বি ভিউ রিসর্ট। এই হোটেলগুলির মালিক অজয় দাস, দেবাশিস দাস ও সম্রাট। ৫০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে বালু তাঁর স্ত্রী এবং আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের নামে করিয়ে নিয়েছে।’

    দিঘায় চারটি হোটেলের হদিশ (ED)

    সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দিঘায় চারটি হোটেলের সঙ্গে বনমন্ত্রীর যোগ খতিয়ে দেখছেন ইডি (ED) আধিকারিকরা। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ তিনজনকে নিয়ে একটি সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থা ওই চারটি হোটেল দেখভাল করে। এর মধ্যে একটি হোটেলে বাকিবুরের যাতায়াত ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা চারটি হোটেলে বিনিয়োগ হয়েছিল। হলিডে হোম ঘাট সংলগ্ন এলাকা এবং তার থেকে খানিকটা দূরে পর পর চারটি হোটেল রয়েছে। তার মধ্যে একই নামে দু’টি হোটেল আছে। চারটির মধ্যে একটি হোটেল কেনা হলেও বাকি তিনটি নতুন নির্মাণ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে একটি পুরনো হোটেল কিনে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সেটি ‘থ্রি-স্টার’ ক্যাটিগরির হোটেল। ২০১৬-১৭ সাল নাগাদ পর পর তিনটি হোটেল নির্মাণ হয়েছে। যদিও এই হোটেলগুলির পক্ষে মন্ত্রীযোগের বিষয়টি স্বীকার করা হয়নি। সবই অপপ্রচার বলেই দাবি তাদের।

    দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের কী বক্তব্য?

    দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন কর্মকর্তার বক্তব্য, ওই চারটি হোটেলের সঙ্গে ধৃত মন্ত্রীকে না দেখলেও বাকিবুর যোগ রয়েছে। এই ডিরেক্টরদের অনেকেই উত্তর ২৪ পরগনা এলাকার বাসিন্দা। মন্ত্রীর বিভিন্ন সংস্থার ডিরেক্টরদের নিয়ে একটি গ্রুপ রয়েছে। সেই গ্রুপ এইসব হোটেল দেখভাল করে। তবে, হোটেল তৈরিতে কারা টাকা বিনিয়োগ করেছে তা আমরা বলতে পারব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের ইডি-র জেরার মুখে কামারহাটির চেয়ারম্যান, কী বললেন?

    ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের ইডি-র জেরার মুখে কামারহাটির চেয়ারম্যান, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে কড়া হাতে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। রাজ্যের একাধিক পুরসভায় হানা দিয়ে প্রচুর তথ্য প্রমাণ জোগাড় করেছে ইডি। রাজ্যের অন্য পুরসভার মতো বারাকপুরের কামারহাটি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই ঘটনায় কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে ডেকে পাঠায় ইডি (ED)। তাঁকে প্রায় ১৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

    পুজোর আগে চেয়ারম্যানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি (ED)

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির পান্ডা অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে কামারহাটি পুরসভায় কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী এই পুরসভায় কর্মরত রয়েছেন। এর আগে একাধিকবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পুরসভায় হানা দেয়।  এর আগে অয়নের সংস্থার হাত ধরে নিয়োগ হওয়া বেশ কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সেই জের কাটতে না কাটতেই দুর্গা পুজোর আগেই কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাঁর বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁর দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় ইডি (ED)। পাশাপাশি পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু তথ্য প্রমাণ ইডি-র হাতে আসে। এবার সেই সূত্র ধরেই কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানকে ডেকে ইডি আধিকারিকরা দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন।

    ইডি-র জেরার পর কী বললেন কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান?

    কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, আমাকে যখনই ডাকছে তখনই যাচ্ছি। যা প্রশ্ন করছে তার উত্তর দিচ্ছি। তাদের কর্তব্য তারা করছে। আমার কর্তব্য আমি করছি। আগামীদিনেও ডাকলে যাব। যা উত্তর দেওয়ার দেব। তবে, বার বার ইডি-র (ED) তলব এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকে থাকায় পুরসভার কাজে ক্ষতি হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, বার বার ডাকায় সময় বেশি লাগছে। তাতে একটা অসুবিধা হচ্ছে। পুরসভার কাজে ব্যাঘাত হচ্ছে। ব্যক্তিগত কাজেও সমস্যা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sujit Bose: আগেই ইডিকে তোপ! পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে বালুকে দেখে কি আতঙ্কিত সুজিত?

    Sujit Bose: আগেই ইডিকে তোপ! পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে বালুকে দেখে কি আতঙ্কিত সুজিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে জেলযাত্রা শুরু হয়েছে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের পর সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এবার লাইনে কে? এই প্রশ্নই যখন ঘুরপাক খাচ্ছে তখন নিজের গ্রেফতারির আশঙ্কা প্রকাশ করতে শোনা গেল মন্ত্রী সুজিত বসুকে (Sujit Bose)। এতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কি পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার হাজতবাস হতে চলেছে রাজ্যের দমকলমন্ত্রীর?

    মন্ত্রী ঘনিষ্ঠের বাড়িতে তল্লাশি ইডির

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে মন্ত্রীর একদা আপ্ত-সহায়ক বর্তমানে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। ১২ ঘণ্টা ধরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এর পাশাপাশি সুজিত ঘনিষ্ঠ দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের নামও উঠে আসে ইডির আতস কাঁচের তলায়। এতেই জল্পনা বাড়ছে। পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজিত বসুর (Sujit Bose) দরজায় কার্যত পৌঁছে গিয়েছে ইডি। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার রাস্তা এখন থেকেই খুঁজে বেড়াচ্ছেন সুজিত (Sujit Bose)। শনিবারই এক পথসভায় রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, ‘‘নিতাই আমার আপ্তসহায়ক ছিল। প্রথম বার কাউন্সিলর হয়েছে, এখন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছে। ওর বাড়িতে গিয়ে ১২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি করেছে, কিছুই পায়নি। তার পর এখন আমার নাম বলার জন্য ওর ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে।’’ সুজিতের এমন বিবৃতির কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এবিষয়ে বলেন, “রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়ার অধিকার তৃণমূল হারিয়েছে। দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূলের কোনও নেতার আর জনমনে কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। রাজ্য সরকারের প্রাথমিক তিনটি বিষয় থাকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য। এরা গরিব মানুষের মুখের খাদ্য বিক্রি করে দিয়েছে।”  

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতি

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই  উঠে আসে প্রোমোটার অয়ন শীলের নাম। তাঁর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে পুরসভার চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার অসংখ্য ওএমআর শিট উদ্ধার করে ইডি। গ্রেফতার হন অয়ন। তাঁকে জেরা করে জানা যায়, রাজ্যের ৬০টিরও বেশি পুরসভায় চাকরি বিক্রির কথা। ইডির দাবি, চাকরি বিক্রি করতেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীরা। পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার ইডির র‌্যাডারে কি সুজিত (Sujit Bose)? আগামী দিনেই জানা যাবে প্রশ্নের উত্তর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • ED: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলে এত দুর্নীতিগ্রস্ত! বালুর নাম মুখে আনতে লজ্জা লাগে’, বললেন মন্ত্রীর গ্রামের বাসিন্দারা

    ED: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলে এত দুর্নীতিগ্রস্ত! বালুর নাম মুখে আনতে লজ্জা লাগে’, বললেন মন্ত্রীর গ্রামের বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারিতে অবাক পূৰ্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর ব্লকের পূর্ব খাঁপুর গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের প্রিয় বালুর নাম যে রেশন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাবে, তা ভাবতেও পারছেন না খাঁপুরবাসী। তবে, ইডি-র (ED) সূত্র ধরে বিপুল সম্পত্তির বিষয়টি সামনে আসতেই পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর ব্লকের এই গ্রামেই জন্ম রাজ্যের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই মন্ত্রীর। এভাবে দুর্নীতির অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হওয়ায় গ্রামবাসীরা ছি: ছি: করছেন।

    স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলে বালু দুর্নীতির দায়ে ইডি-র জালে (ED)

    রেশন দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)(ED) কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি চলার পর বাড়ি থেকে বালুকে গ্রেফতার করে। বালু মন্তেশ্বরের খাঁপুরে চতুর্থ শ্রেণি অবধি পড়াশোনা করেছিলেন। তারপর গিয়েছিলেন কলকাতায়। বর্ধমান জেলার খাঁপুরেও পুরনো বাড়ি ছিল তাঁদের। সেই বাড়ি ভেঙে প্রাসাদোপম বাড়ি বানানো হয়েছে। ওই গ্রামে জ্যোতিপ্রিয়ের দাদা দেবপ্রিয় মল্লিকের একটি বাড়ি রয়েছে। তাঁর বাবা শক্তিপদ মল্লিক ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। এরকম স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগে অবাক গ্রামবাসীরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেসে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন বালু। পরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় তৃণমূলের দীর্ঘদিন জেলা সভাপতি ছিলেন তিনি। বিরোধীদের অভিযোগ, গত কয়েক বছরে জ্যোতিপ্রিয়র সম্পত্তি কয়েক গুণ বেড়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দদের কী বক্তব্য?

    ইডির (ED) হাতে বালুর গ্রেফতারির পর খাঁপুর গ্রামেরের বাসিন্দারা বলেন, একজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলে এতটাই দুর্নীতিগ্রস্ত তা ভাবতে অবাক লাগছে। এই গ্রামের ছেলে ক্যাবিনেট মন্ত্রী হয়েছে বলে আমরা গর্ব করতাম।  আর এখন তাঁর নাম মুখে আনতে লজ্জা লাগছে। কী ভাবে এই বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন বালু? তাই গ্রামের মানুষ চাইছেন, সঠিকভাবে তদন্ত হোক এবং সত্যি সামনে আসুক। রেশনে দুর্নীতি হয়েছে বলা হছে। তদন্ত হলেই সঠিক বিষয়টি জানা যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Distribution Scam: জ্যোতিপ্রিয়-বাকিবুর যোগের হদিশ, ভুয়ো সংস্থায় বিনিয়োগ কোটি কোটি টাকা!

    Ration Distribution Scam: জ্যোতিপ্রিয়-বাকিবুর যোগের হদিশ, ভুয়ো সংস্থায় বিনিয়োগ কোটি কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Ration Distribution Scam) মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন দু’জনেই। একজন ছিলেন খাদ্য দফতরের মন্ত্রী, বর্তমানে বনমন্ত্রী। আর একজন ব্যবসায়ী। প্রথম জন তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর দ্বিতীয় জন বাকিবুর রহমান। দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইডি।

    ভুয়ো সংস্থায় কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ

    এমতাবস্থায় ইডির তদন্তকারীরা জেনেছেন, জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে বাকিবুরের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। তদন্তে নেমে ইডির আধিকারিকরা জেনেছেন, দুই পরিবারের সদস্যরা একযোগে একাধিক সংস্থা চালাতেন। ওই সব সংস্থা আবার বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থায় কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করত। ইডি সূত্রে খবর, এ পর্যন্ত যেসব তথ্য তদন্তকারীদের হাতে এসেছে, তা থেকেই স্পষ্ট হয়েছে দুই পরিবারের যোগ। ইডি সূত্রে খবর, আপাতত তিনটি সংস্থার খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

    তিন সংস্থায় যোগ জ্যোতিপ্রিয়র 

    এই তিন সংস্থা হল ‘শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং ‘গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড’। এই তিন সংস্থার মারফত ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হয়েছে অন্তত ১২ কোটি টাকা। এই (Ration Distribution Scam) সংস্থাগুলির প্রতিটির সঙ্গেই কোনও না কোনওভাবে যোগ রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরের পরিবারের। শুধু তাই নয়, ২০২২ সালে এই কোম্পানিগুলির সব সম্পত্তি বিক্রি করে লাটে তুলে দেওয়া হয়েছে সংস্থাগুলি। বিক্রি বাবদ পাওয়া গিয়েছিল ২০ কোটি ২৪ লক্ষ ১৬ হাজার ১৯৪ টাকা। বাকিবুরের শ্যালক অভিষেক বিশ্বাসের নামে থাকা একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ওই টাকা গিয়েছে বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘রেশন কেলেঙ্কারিতে খতিয়ে দেখা হোক মমতার ভূমিকা’, ইডিকে আর্জি শুভেন্দুর

    এদিন আদালতে ইডির দাবি, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে সরাসরি যোগ রয়েছে মন্ত্রীর। অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া মেরুন ডায়েরিতে বালুদা (জ্যোতিপ্রিয়র ডাক নাম) নামের উল্লেখ রয়েছে। ইডির দাবি, তিনটি ভুয়ো সংস্থা খুলে ১২ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। বাড়ির রাঁধুনির নামেও ভুয়ো কোম্পানি খুলেছিলেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, ওই তিন সংস্থায় জমা পড়েছে ৮ কোটি টাকা।

    ইডি সূত্রে খরব, ওই তিন সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী মণিদীপা এবং মেয়ে প্রিয়দর্শিনী। এই প্রিয়দর্শিনী আবার উচ্চ শিক্ষা সংসদের সচিব। সংস্থাগুলিতে যুক্ত ছিলেন বাকিবুরের পরিবারের সদস্যরাও (Ration Distribution Scam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

    Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হল রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick)। বৃহস্পতিবার প্রায় ২১ ঘণ্টা ধরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। এরপরেই রাত ৩:২০ নাগাদ তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, পুজোর আগে রেশন দুর্নীতি মামলায় বাকিবুর রহমান নামে এক রেশন ডিলার গ্রেফতার হন। তারপরে পুজো শেষ হতেই রেশন দুর্নীতির তদন্তে দ্বাদশীর দিন সাতসকালে মন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছায় ইডি। তাঁর সল্টলেকের দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালাতে থাকেন কেন্দ্রীয় সংস্তার আধিকারিকরা। পরে বেনিয়াটোলে তাঁর পৈত্রিক বাড়িতেও উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় সংস্থার অন্য একটি টিম। এর পাশাপাশি মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক অমিত দের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চলে তবে মন্ত্রী আপ্তসহায়কের বাড়ি থেকে রাত বারোটা নাগাদই বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা।

    গ্রেফতারির ঘটনাক্রম

     রাত যত বাড়তে থাকে মন্ত্রীর (Jyotipriya Mallick) বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। সূত্রের খবর , রাত ২টোর পর থেকেই গ্রেফতারির তোড়জোড় শুরু হয়। রাত ঠিক ২:৪৫ মিনিটে জ্যোতিপ্রিয় বাড়ির সামনে প্রস্তুত হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাত ২:৫৫ মিনিট নাগাদ ইডির গাড়ি আসে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র বাড়ির সামনে। রাত ৩:২০ নাগাদ মন্ত্রীকে বাড়ির ভিতর থেকে বের করা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তায় তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সের দিকে নিয়ে যায় ইডি।

    শুক্রবারই আদালতে পেশ করা হবে মন্ত্রীকে 

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছরের জুলাই মাসে তৎকালীন মমতা মন্ত্রিসভার সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এবার ফের রাজ্যের আর এক মন্ত্রী কেন্দ্রীয় সংস্থার জালে। স্বাভাবিক ভাবেই এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির। জানা গিয়েছে শুক্রবারই আদালতে পেশ করা হবে জ্যোতিপ্রিয়কে। তার আগে বর্তমানে সিজিও কমপ্লেক্সে চলছে মন্ত্রীর জেরা পর্ব। নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচারের মতো একাধিক অভিযোগে এর আগে বিদ্ধ হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এবার শাসক দলের রেশন বণ্টনের দুর্নীতিও সামনে এল। বছর ঘুরলেই রয়েছে লোকসভা ভোট তার আগে বেশ বেকায়দায় শাসক দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: জ্যোতিপ্রিয়র পর হাওড়ায় মন্ত্রী ঘনিষ্ঠর বাড়িতেও হানা ইডির, জেলাজুড়ে শোরগোল

    ED: জ্যোতিপ্রিয়র পর হাওড়ায় মন্ত্রী ঘনিষ্ঠর বাড়িতেও হানা ইডির, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই রেশন বন্টন দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাকিবুর রহমানের বাড়িতে ইডি (ED) তল্লাশি চালায়। পরে, তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়ে ইডি তাকে গ্রেফতার করে। ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের তার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সেই দুর্নীতির সূত্র ধরেই ইডি ফের বৃহস্পতিবার সাত সকালেই বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় হানা দেয়। তারমধ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থার অন্য একটি দল পৌঁছে গেল হাওড়ায়।

    হাওড়়ায় কেন হানা দিলেন ইডি আধিকারিকরা? (ED)

    বৃহস্পতিবার হাওড়ার ব্যাঁটরা থানার কদমতলার ভগবান চ্যাটার্জি লেনের একটি বাড়িতে হানা দেন ইডির (ED) ছয় আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। স্থানীয়দের দাবি, যে বাড়িতে ইডি আধিকারিকেরা ঢুকেছেন, সেটি অভিজিৎ দাস নামে এক ব্যক্তির। তাঁর সঙ্গে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের সম্পর্ক রয়েছে। এদিন সাত সকালেই রেশন বণ্টন দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর আপ্তসহায়কের বাড়িতে হানা দেয় ইডি, ঘটনাচক্রে, সে দিনই হাওড়ায় অভিজিতের বাড়িতেও অভিযান চালাচ্ছে ইডি। সেই সূত্রেই স্থানীয়দের অনুমান, জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের খাতিরেই হয়তো অভিজিতের বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি। যদিও ইডির তরফে এ ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি।

    কে এই অভিজিৎ দাস?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে এই অভিজিৎ দাসের পেশা ওষুধের ব্যবসা। তবে, এই ব্যক্তির উত্থান বেশ চমকপ্রদ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে জানা যাচ্ছে, এই অভিজিৎ দাস জীবনের শুরুর দিকে রেলের এক ক্যাটারিং সংস্থায় খাদ্য সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন হেভিওয়েটদের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠতে শুরু করেন। মাঝে একটা সময়ে এলাকাবাসীদের কাছে নিজেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্তসহায়ক বলেও পরিচয় দিতেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, পেল্লায় সেই প্রাসাদোপম বাড়ির নীচে মাঝে মধ্যেই খাদ্য দফতরের সরকারি নীল বাতি দেওয়া গাড়িও আসত। তবে, হঠাৎ করে তাঁর বাড়িতে ইডির হানায় কিছুটা হতবাক এলাকাবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এলাকায় ভাল মানুষ হিসেবেই পরিচিতি ছিলেন তিনি।

    ইডির হানার সময় বাড়িতেই ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়

    এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের একাধিক বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি (ED)। দীর্ঘক্ষণ ধরে বাড়ির ভিতরেই রয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে, ইডির হানার সময় বাড়িতেই ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। মন্ত্রীর পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তাঁর আপ্তসহায়ক অমিত দে’র নাগেরবাজারের ফ্ল্যাটেও হানা দেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকেরা। কিন্তু, সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না অমিত। ইডি সূত্রে খবর, রেশন বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পর নাম উঠে এসেছে জ্যোতিপ্রিয়ের। সেই সূত্রেই মন্ত্রী এবং তাঁর আপ্তসহায়কের বাড়িতে অভিযান ইডির। সেই একই সূত্রে হাওড়ার কদমতলায় অভিজিতের বাড়িতেও ইডি অভিযান চালাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share