Tag: ED

ED

  • Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তের জাল গুটিয়ে আনছে ইডি, নোটিশ ১২টি পুরসভাকে

    Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তের জাল গুটিয়ে আনছে ইডি, নোটিশ ১২টি পুরসভাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে (Recruitment Scam) বৃহস্পতিবার ইডির (Recruitment Scam) তরফ থেকে ১২টি পুরসভাকে পাঠানো হয়েছে নোটিশ। অন্যদিকে, সকালেই ইডি দফতরে হাজির হতে দেখা যায় অয়ন শীলের হিসাব রক্ষককে। প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি প্রশ্ন করেছিলেন ইডির আইনজীবীকে, এত গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলির (Recruitment Scam) তদন্তের অগ্রগতি কোথায়! তারপরেই পুর-নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায়  ইডি ফের তেড়েফুঁড়ে নামল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

    বুধবারই ডায়মন্ড হারবার পুরসভাকে নোটিশ পাঠানো হয়

    বুধবারই ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ২০১৬ সালের একটি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে নোটিশ পাঠায় ইডি (Recruitment Scam)। এই তালিকায় ফের বৃহস্পতিবার জুড়লো আরও ১১ টি পুরসভার নাম। বুধবার সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে প্রকাশ্যে আসে ডায়মন্ড হারবার পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান মীরা হালদারের বিবৃতি (Recruitment Scam)। তিনি জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গেই হয়েছে। জানা গিয়েছে, যে ১২টি পুরসভার কাছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা নথি (Recruitment Scam) চেয়ে পাঠিয়েছে, সেখানে কলকাতার আশেপাশে দমদম, কামারহাটি, পানিহাটির মতো পুরসভাগুলি রয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে যে সমস্ত নিয়োগ ওখানে হয়েছে, তার যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে নোটিশে।

    শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তেই উঠে আসে পুর নিয়োগ-দুর্নীতি

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে উঠে আসে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। হুগলির বলাগড়ের এই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে ইডি। সেখান থেকে যোগসূত্র পাওয়া যায় অয়ন শীলের। পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অয়ন শীলের ফ্ল্যাটে হানা দেয়। পুরসভায় নিয়োগ-দুর্নীতির নথি এবং বিপুল পরিমাণে ওএমআর শিট উদ্ধার হয় অয়নের ফ্ল্যাট থেকে। গ্রেফতার হয় অয়ন (Recruitment Scam)। জানা যায়, অয়নের সংস্থাই পুরসভার নিয়োগগুলিতে ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্ব পেত। এর পরেই রাজ্যের পুরসভাগুলিতে নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে কোমর বেঁধে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বৃহস্পতিবারে আরও একবার তৎপরতা দেখা দিল পুর নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর নিয়োগ দুর্নীতি! ইডির নোটিশের উত্তর পাঠাল ডায়মন্ডহারবার পুরসভা

    ED: পুর নিয়োগ দুর্নীতি! ইডির নোটিশের উত্তর পাঠাল ডায়মন্ডহারবার পুরসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে ডায়মন্ডহারবার পুরসভার নাম আগেই জড়িয়েছিল বলে জানা গিয়েছে (ED)। তদন্তের স্বার্থে পুরসভাকে বেশ কিছু প্রশ্ন সম্বলিত নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। এবার সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর ইডিকে পাঠালো পুরসভা। জানা গিয়েছে, ইডির (ED) প্রশ্ন ছিল যে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছিল? পাশাপাশি তাঁদের নাম, ঠিকানা সহ অন্যান্য তথ্যও চেয়ে পাঠানো হয়েছিল নোটিশে। সেই সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডায়মন্ডহারবার পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান প্রণব দাস।

    ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ১৬ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় পুরসভায়

    প্রসঙ্গত ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ১৬ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় পুরসভায় (ED)। অভিযোগ, এই নিয়োগের জন্য প্রশ্নপত্রের তৈরি করে অয়ন শীলের সংস্থা। চেয়ারম্যানের অবশ্য দাবি যে অয়ন শীলকে তিনি চিনতেন না এবং পুরসভার ব্যবস্থাপনাতেই পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়। চেয়ারম্যানের আরও দাবি, স্বচ্ছভাবেই ১৬ জনকে নিয়োগ করা হয়। জানা গিয়েছে যাঁদের নিয়োগ (ED) করা হয় তাঁরা প্রত্যেকেই ওই পুরসভার অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। জানা গিয়েছে ওই ১৬ জনের মধ্যে ৩ জন বহিরাগত এবং বাকি ১৩ জন স্থানীয়। তখন পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শহরের ১০ নম্বরের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীরা হালদার।

    কী বলছেন পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান মীরা হালদার?

    পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান মীরা হালহার অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন (ED)। তিনি বলেন, ‘‘২০১৬-২০১৭ সালের মধ্যে ওই নিয়োগ হয়েছে। তারিখটা সঠিক বলতে পারব না। তবে নিয়োগ স্বচ্ছ ভাবেই হয়েছে। বোর্ড অফ কাউন্সিল বৈঠক করে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর একটি এজেন্সির মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হয় (ED)।’’ মীরাদেবীর আরও সংযোজন, ‘‘টেন্ডারের মাধ্যমে একটি সংস্থাকে পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাতে অয়ন শীল বলে কে আছেন কিংবা না আছেন, তা জানা সম্ভব ছিল না।’’  প্রসঙ্গত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত করতে গিয়েই উঠে আসে অয়ন শীলের নাম এবং সেখান থেকেই সন্ধান মেলে রাজ্যে ৬০ পুরসভায় পুর নিয়োগ দুর্নীতির (ED)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেককে কেন তলব নয়? ইডির কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: অভিষেককে কেন তলব নয়? ইডির কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি  নিয়ে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ইডির কাছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ নেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইডিকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি

    দিনকয়েক আগেই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’-এর অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ কোম্পানির অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। সেখান থেকে মেলে বেশ কিছু নথি। তার পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করে। ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ এর প্রাক্তন সিইও হিসেবে রয়েছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। প্রসঙ্গত ইডির দাবি এই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ সংস্থাকে কাজে লাগানো হতো নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকার সাদা করার কাজে। ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ এর কাজ অবশ্য জানা গিয়েছে, পরামর্শদানে নামে বিভিন্ন সংস্থার কাছে টাকা নেওয়া। তবে কী ধরনের পরামর্শ ঠিক দেওয়া হতো, তা অবশ্য জানা যায়নি। যে সমস্ত কোম্পানিকে পরামর্শ দানের ভিত্তিতে তারা টাকা নিয়েছে সেই কোম্পানি বা সংস্থাগুলির অস্তিত্ব আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে ইডি। অন্যদিকে, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ সংস্থাটি যে তাঁরই এটা কার্যত মেনে নিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ নিজেও। সোমবার ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস এবং এখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ আমার সংস্থা।  

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ

    বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ যে ইডির বিজ্ঞপ্তিতেই বলা হচ্ছে ঐ সংস্থার মারফত কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। কিন্তু সেই বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাত্র একবারই তলব করা হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয়বার তলব কেন করা হয়নি সেটাই জানতে চেয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলার (Calcutta High Court)পরবর্তী শুনানি ১৪ সেপ্টেম্বর। অন্যদিকে, বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহা এদিন জানিয়েছেন যে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের জন্য গঠিত সিবিআই-এর বিশেষ তদন্তকারী দলই তদন্ত করবে পুর নিয়োগ দুর্নীতির। পাশাপাশি আদালতের (Calcutta High Court) নজরদারিতে চলবে এই দুর্নীতির তদন্ত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: চিটফান্ডকাণ্ডে ফের গ্রেফতারি, ইডির হাতে ধৃত চক্র গ্রুপের কর্ণধার পার্থ চক্রবর্তী

    ED: চিটফান্ডকাণ্ডে ফের গ্রেফতারি, ইডির হাতে ধৃত চক্র গ্রুপের কর্ণধার পার্থ চক্রবর্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিটফান্ডকাণ্ডে রাজ্য থেকে ফের গ্রেফতারি। এবার ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হলেন চক্র গ্রুপের কর্ণধার পার্থ চক্রবর্তী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন স্কিমের লোভ দেখিয়ে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল এই চক্র গ্রুপ। ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, চক্র গ্রুপের দুটি হোটেল চলত। তারমধ্যে তারাপীঠে দুটি এবং নিউটাউনে একটি। গতকালই তলব করা হয় পার্থ চক্রবর্তীকে এবং দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

    ২০০৭ সালেও গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চক্রবর্তী 

    তবে পার্থ চক্রবর্তীর এই গ্রেফতারি নতুন নয় বলেই জানা যাচ্ছে। ১৬ বছর আগে ২০০৭ সালে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল এই চিটফান্ড কর্ণধারকে। সে সময় গ্রেফতারি এড়াতে দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন পার্থ চক্রবর্তী। পরে দমদম বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। বাজার থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। স্বল্প সময়ে বেশি পরিমাণ রিটার্ন পাওয়ার লোভে প্রচুর মানুষ তাঁর সংস্থায় টাকা রাখতেন। প্রতারিত মানুষরা (ED) কলকাতার একাধিক থানায় পার্থ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে শুধুমাত্র চিটফান্ড ব্যবসা বা হোটেল ব্যবসাতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না পার্থ চক্রবর্তী। এক সময় একটি সংবাদপত্রও তিনি চালাতেন বলে জানা গিয়েছে। আবার বিভিন্ন মানুষকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে বহু টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে পার্থ চক্রবর্তী বিরুদ্ধে (ED)।

    চিটফান্ড দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (ED)

    অন্যদিকে চলতি মাসের ২১ তারিখ ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হন চিটফান্ড কর্তা বিশ্বপ্রিয় গিরি। তাঁর বিরুদ্ধে দেড় হাজার কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। পার্থ চক্রবর্তীর মতো বিশ্বপ্রিয়ও পুলিশকর্তাদের হাতে এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন। ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ কর্তারা তাঁকে গ্রেফতার করেছিলেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠায় ইডি (ED) রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। 

    অন্যদিকে প্রীতিময় চক্রবর্তী নামের আরও এক চিটফান্ড কর্তাকে দশদিনের ইডি (ED) হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। জানা গিয়েছে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা পিনকনের ধৃত ব্যবসায়ী কৌস্তুভ রায়ের সংস্থা থেকে ১৩৮ কোটি টাকা নিয়েছিলেন প্রীতিময় এবং এই পুরো টাকাটাই তিনি নেন ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পরামর্শ দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলেছে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’, বিস্ফোরক ইডি

    ED: পরামর্শ দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলেছে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’, বিস্ফোরক ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর আলিপুরের দফতরে হানা দেয় ইডি (ED)। জানা গিয়েছে, সেখানে নথির পাশাপাশি কম্পিউটারের হার্ডডিক্সও বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (ED)। এখান থেকেই নাকি একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে(ED)। প্রসঙ্গত,এই সংস্থারই চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন তিনি।

    কালোটাকা সাদা করাই কী ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর কাজ ছিল?

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (ED) সূত্রে খবর যে পরামর্শ দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কিন্তু তাদেরকে কী পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। আদৌ যে সংস্থাগুলিকে দেখানো হয়েছে, পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে, তাদের অস্তিত্ব আছে নাকি সেটাও তদন্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। ইতিমধ্যে সংস্থার কর্ণধারদের নামের লিস্ট বানিয়েছে ইডি (ED) এবং তাদের প্রত্যেককে ডেকে জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা (ED) সংস্থা মনে করছে আসলে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির কাজই ছিল নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকাকে সাদা করা। সেই কালো টাকার সাদা করারই একটা প্রক্রিয়া হলো পরামর্শ দেওয়ার নাম করে অন্য সংস্থার কাছ থেকে টাকা তোলা। 

    ইডির প্রেস বিবৃতিতে অভিষেকের নাম, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী (ED) সংস্থার প্রেস বিবৃতিতেও উঠে এসেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তাঁর এক্স অ্যাকাউন্ট পূর্বতন ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘‘কারও স্মৃতি আমি একটু তাজা করে দিতে চাই যিনি প্রায় বলে থাকেন এজেন্সি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলে পড়বেন। ফাঁসির মঞ্চের দরকার নেই, তদন্তকারী অফিসে গিয়ে সহযোগিতা করলেই হবে।’’

     

    আরও পড়ুুন: শাসকের কৌশল ব্যর্থ! ২৬ অগাস্ট খেজুরিতে শুভেন্দুর সভা হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় ইডির তলব ‘কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ’ বোলপুরের চেয়ারম্যানকে

    Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় ইডির তলব ‘কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ’ বোলপুরের চেয়ারম্যানকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের অগাস্ট মাস গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। প্রথমে আসানসোল জেলে থাকার পরে এখন তাঁর ঠাঁই তিহাড়ে। এবার এই মামলা নতুন দিকে মোড় পেল। ইডির রেডারে এবার বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ এবং তাঁর স্বামী সুদীপ্ত ঘোষ। দুজনকেই তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, ৪ অগাস্ট দিল্লিতে তলব করা হয়েছে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ এই দুই নেতা-নেত্রীকে। পাশাপাশি বোলপুর পুরসভার অপর কাউন্সিলর এবং এক ব্যবসায়ীকেও ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।

    কী বলছেন বীরভূম তৃণমূল নেতৃত্ব? 

    বীরভূম তৃণমূলের অন্যতম নেতা তথা বোলপুরের বিধায়ক রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘আমি জানি না হঠাৎ কেন তলব করা হল। তবে এ সব করে দলের মনোবল ভাঙা যাবে না।’’ পর্ণা-সহ বাকি তৃণমূলের নেতারা দিল্লিতে হাজিরা দিতে যাবেন কি না, সে ব্যাপারেও সঠিকভাবে কিছু বলতে পারেননি রাজ্যর মন্ত্রী। অনুব্রতহীন (Anubrata Mondal) বীরভূমে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল লেগেই রয়েছে। নতুনভাবে রাজনীতিতে ফিরে এসেছে কেষ্টর বিরোধী নেতা বলে পরিচিত কাজল সেখ। এমন অবস্থায় ফের একবার অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের (Anubrata Mondal) ইডির তলব জেলার রাজনীতিতে তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ পর্ণা 

    বীরভূমের রাজনীতিতে পর্ণা ‘কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ’ (Anubrata Mondal) বলেই পরিচিত। শুধু তাই নয় তদন্তে উঠে এসেছে, ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির সঙ্গেও পর্ণার যোগ ছিল। পাশাপাশি মণীশের একাধিক সম্পত্তিতেও পর্ণা-যোগ খুঁজে পায় ইডি। ২০২১ সালে বোলপুর পুরসভার মেয়াদ ফুরোয়। এরপরেই প্রশাসক নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, সেই সময়ে পর্ণাকে বসানো হয় বোলপুর পুরসভার প্রশাসক পদে। এরপর করোনা পরবর্তীকালে ২০২২ সালে পুরসভা ভোট হয়। ভোটের পরে ফের পর্ণাকেই চেয়ারম্যন করে তৃণমূল।

     

    আরও পড়ুুন: “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে”, শংসাপত্রকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • CBI-ED: আসানসোল কোর্টে চলা কেষ্টর মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার আর্জি ইডির

    CBI-ED: আসানসোল কোর্টে চলা কেষ্টর মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার আর্জি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের শুনানি চলছিল আসানসোল বিশেষ সিবিআই (CBI-ED) আদালতেও। এবার এই মামলাটি দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানাল ইডি (CBI-ED)। কেন্দ্রীয় সংস্থা আর্জি জানিয়েছে, তাদের এবং সিবিআইয়ের করা মামলাটি এক জায়গায় আনা হোক এবং তা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে স্থানান্তরিত করা হোক। সেখানেই চলুক মামলার বিচারপ্রক্রিয়া। ইডির এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী আগামী ১৯ অগাস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। দিল্লিতে মামলা স্থানান্তর হলে সাক্ষ্যগ্রহণও দিল্লিতে হবে। অর্থাৎ এখানকার সাক্ষীদের শুনানির দিনগুলিতে দিল্লি উড়ে যেতে হবে।

    কী বলছেন কেষ্টর আইনজীবী?

    শুক্রবার কেষ্টর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, ‘‘গরু পাচারের যে মামলাটি চলছে আসানসোল বিশেষ সিবিআই (CBI-ED) আদালতে, সেটি স্থানান্তরিত করার আবেদন জানানো হয়েছে। দিল্লির রাউজ এভিনিউ আদালতে যেখানে ইডির মামলা চলছে সেখানে স্থানান্তরিত হবে মামলাটি।’’ তবে মামলা স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, ‘‘আমরা আপত্তি জানাব। তার কারণ, এই মামলা দিল্লিতে চলে গেলে সাক্ষীদের দিল্লিতে যেতে হবে সাক্ষ্য দিতে। সমস্ত নথিও দিল্লিতে নিয়ে যেতে হবে। তাই আমরা আপত্তি জানাব। সরকার মনে করলে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতকে ইডির (CBI-ED) বিশেষ আদালত হিসেবেও ব্যবহার করতে পারে। যদি তাই হয়, তা হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে অনেকটা। এখন দেখার আসানসোলের বিচারক কী রায় দেন বা সরকার কী পদক্ষেপ করে।’’

    তিহাড় জেলে বন্দী রয়েছেন কেষ্ট

    গত বছরের ১১ অগাস্ট গ্রেফতার (CBI-ED) হন অনুব্রত। চলতি বছরের মার্চ মাসে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় দিল্লিতে। সেখানে অনুব্রতর সঙ্গে রয়েছেন একদা তাঁর সহকারী সায়গল। তিহাড়ে রয়েছেন গরু পাচার মলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক এবং ধৃত বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার। পাশাপাশি কেষ্ট কন্যাও বর্তমানে রয়েছেন তিহাড়ে। একাধিকবার তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডির! ২০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

    Kalighater Kaku: সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ইডির! ২০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করল ইডি। গ্রেফতারির ৫৯ দিনের মাথায় এই চার্জশিট পেশ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মোট ১২৬ পাতার এই চার্জশিটে কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে তদন্তকারী সংস্থা। যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ২০ কোটি টাকার তছরূপের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন কালীঘাটের কাকু। প্রিভেনশন অফ কোরাপশন অ্যাক্টের ৪ নম্বর ধারায় চার্জশিট জমা দেয় ইডি।

    কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) বিরুদ্ধে  চার্জশিট পেশ করল ইডি

    এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে এই চার্জশিট পেশ করে ইডি। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে ১২৬ পাতার চার্জশিটে রয়েছে প্রায় ৭০০০ পাতার নথি। এদিন ট্রাঙ্কে করে কাগজ এনে তা জমা দেন ইডির অফিসাররা। সূত্রের খবর, সুজয়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ এনেছে ইডি। সুজয়কৃষ্ণ দুটি সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। চার্জশিটে নাম রয়েছে ওয়েলথ উইজার্ড প্রাইভেট লিমিটেড এবং এসডি কনসালটেন্সির। এই সংস্থাগুলির সাহায্যে কালো টাকা সাদা করা হতো বলে নিশ্চিত ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি শেয়ারে বিনিয়োগের মাধ্যমেও সুজয়কৃষ্ণ কালো টাকা সাদা করতেন বলে অভিযোগ। কীভাবে কালো টাকা সাদা করা হতো তার উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে।

    কাকুর জামিনের আবেদন খারিজ

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) জামিনের আবেদন ফের খারিজ করে ব্যাঙ্কশাল আদালত। সম্প্রতি তাঁর হৃদযন্ত্রের ধমনীতে সমস্যা ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর ওপেন হার্ট সার্জারিও করানো হতে পারে বলে খবর মিলেছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে জামিনের আবেদন করেন কাকুর আইনজীবী। এবিষয়ে বিচারক বলেন, ‘‘বাংলার গর্ব হল এসএসকেএম হাসপাতাল। সেখানে চিকিৎসা করান।’’ তবে কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) ধারণা, তাঁর অস্ত্রোপচার বেসরকারি হাসপাতালেও করতে হতে পারে। তাই নিম্নআদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কাকু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গ উঠতেই সাংবাদিকের প্রশ্ন এড়ালেন মন্ত্রী মলয় ঘটক

    TMC: ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গ উঠতেই সাংবাদিকের প্রশ্ন এড়ালেন মন্ত্রী মলয় ঘটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-সিবিআইয়ের তলবে হাজিরা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়ালেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। কয়লাপাচার কাণ্ডে এই নিয়ে ১৩ বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তলব এড়িয়ে গিয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী। এদিন, নানুরে শহীদ স্মরণ (TMC) সভায় যোগ দেন তিনি। সভা শেষে সটান গাড়িতে চেপে পরেন। যাতে সাংবাদিকদের এড়ানো যায়! এবার কি হাজিরা দেবেন? প্রশ্ন করতেই মন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনাকে কেন বলব?’’ এই বলেই গাড়ির কাঁচ তুলে দেন তিনি। অর্থাৎ, কয়লা পাচার কাণ্ডে হাজিরা দেবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে যান রাজ্যের আইনমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, কয়লাপাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে একাধিক পুলিশ কর্তারও। তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমেত তাঁর স্ত্রী ও শ্যালিকাও রয়েছেন ইডি রেডারে।

    ১২ জুলাই ফের তাঁকে সমন পাঠিয়েছিল ইডি

    শেষবারের মতো গত ১২ জুলাই তাঁকে হাজিরার নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। চলতি সপ্তাহেই তাঁর দিল্লিতে গিয়ে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, মন্ত্রীমশাই চিঠি দিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত কিছু কর্মসূচি থাকার কারণে তিনি দিল্লি যেতে পারছেন না। পঞ্চায়েত ভোটের (TMC) আগে ২০ ও ২৬ জুন তাঁকে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি। সেইসময় রাজ্যের মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না। ভোটপর্ব মিটলে তিনি হাজিরা দেবেন। কিন্তু তখনও হাজিরা দেননি মন্ত্রী (TMC)

    কী পদক্ষেপ করতে পারে ইডি?

    এদিকে, বার বার ডাকা সত্ত্বেও মলয় ঘটক (Moloy Ghatak) যেভাবে হাজিরা এড়াচ্ছেন, তা আদালত অবমাননার সামিল বলে মনে করছে ইডি। এ নিয়ে আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলেও কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর। নিয়ম অনুযায়ী, তদন্তকারী সংস্থা যাকে হাজিরার জন্য ডাকবে তাকে যেতে হবে। না গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ইডি-র। এক্ষেত্রে, তদন্তকারী সংস্থা আদালতের কাছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যুর জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি তারা মনে করেন যে তিনি শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদ এড়ানোর জন্যই এই কাজ করছেন তবে তাকে গ্রেফতারির জন্য আদালতের কাছে ওয়ারেন্ট ইস্যুর আবেদনও করতে পারেন। কারণ ইডির গ্রেফতার করার ক্ষমতা রয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: নেটওয়ার্ক খারাপ! তিহাড় বন্দি কেষ্টর শুনানি হলনা আসানসোল আদালতে

    Anubrata Mondal: নেটওয়ার্ক খারাপ! তিহাড় বন্দি কেষ্টর শুনানি হলনা আসানসোল আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং তাঁর একদা দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে এই শুনানি ছিল। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতর আইনজীবীরা এদিন আদালতে উপস্থিতও ছিলেন। কিন্তু বাধা খারাপ নেটওয়ার্ক। কোনওভাবেই তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগই করা গেল না। বারবার সংযোগ করতে চেয়েও এদিন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় আসানসোল আদালতের। শুক্রবার তাই শুনানি সত্ত্বেও জামিনের কোনও আবেদন করতে পারলেন না, কেষ্টর আইনজীবীরা।

    নিয়োগ দুর্নীতিতেও কেষ্ট?

    গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। জানা গিয়েছে, এবার আরও এক দুর্নীতিতে জড়িয়েছে কেষ্টর নাম।  সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতেও এবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে। সূত্রের খবর এনিয়ে উদ্যোগ নিতেও শুরু করেছে ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, একধাপ এগিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বয়ান রেকর্ড করার জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে বিশেষ আবেদন জানিয়েছে ইডি। আগামী ২০ জুলাই বিচারক রঘুবীর সিং-এর বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি রয়েছে বলে খবর ইডি সূত্রে। ইডি-র আর্জি আদালতে মঞ্জুর হলে তারা তিহাড় জেলে গিয়ে কেষ্টকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে পারবে। 

    সুকন্যার নামে পেট্রল পাম্পের হদিশ

    সিবিআই তদন্তে উঠে এল নতুন তথ্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, বীরভূমে একটি পেট্রল পাম্প অনুব্রতের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং তৃণমূল (Anubrata Mondal) নেতার ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের নামে রয়েছে। সিবিআই এর আরও অভিযোগ, খন্দকার কনস্ট্রাকশন নামে একটি কোম্পানিতে বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা জমা হয়েছে। সিবিআই এর দাবি,  ওই কোম্পানির মালিক সায়গলের সম্পর্কে শ্যালক। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, অনুব্রতের নামে চারটি পেট্রল পাম্প থাকার কথা এর আগে আদালতকে জানিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি, নতুন একটি চালকলের খোঁজও পেয়েছে সিবিআই। এই চালকলের সঙ্গে কেষ্টর প্রত্যক্ষ আর্থিক লেনদেন হতো বলে খবর। অন্যদিকে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জমি কেনা বেচা নিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। সিবিআই আদালতে বিচারককে জানিয়েছে, কেষ্টর জমিগুলোর রেজিস্ট্রি হয়েছ নগদ টাকায়। প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি নগদ অর্থে জমির রেজিস্ট্রি হয়েছে, কিন্তু তা নিয়ে রেজিস্ট্রি অফিস কোনও প্রশ্নই নাকি তোলেনি। এতেই বোঝা যায়, কেষ্ট কতটা প্রবাবশালী, মত ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share