Tag: ED

ED

  • Anubrata Mondal: তিহাড়েই কেষ্ট! খারিজ আসানসোল জেলে ফেরার আবেদন

    Anubrata Mondal: তিহাড়েই কেষ্ট! খারিজ আসানসোল জেলে ফেরার আবেদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রতর (Anubrata Mondal) আসানসোল জেলে ফেরার আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পরে কেষ্ট মণ্ডলকে রাখা হয় আসানসোলের সংশোধনাগারে। ইডি হেফাজতে দিল্লি যাত্রা ঠেকাতে নানা কৌশল অবলম্বনও করতে দেখা যায় একদা বীরভূ্মের ত্রাসকে। যে পুলিশ তাঁর কথায় ওঠবস করতো তারাই মামলা ঠুকতে থাকে অনুব্রতর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীকে মারধর। দুবরাজপুর আদালতে হাজির করিয়ে মেলে বেশ কয়েকদিনের পুলিশ হেফাজত কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি, দিল্লি যেতেই হয়। প্রথমে দুসপ্তাহের ইডি হেফাজতে পরে তাঁর ঠাঁই হয় তিহাড়ে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, প্রভাবশালী অনুব্রত (Anubrata Mondal) আসানসোল জেলে বসেই পরিচালনা করতেন বীরভূমের সংগঠন, তিহাড়ে বসে তিনি তা করতে পারছেন না, তাই আসানসোল ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন তিনি। কোর্টের ভিতরে ও বাইরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলতেন কেষ্ট। জেল হেফাজতে থাকাকালীন শক্তিগড়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ল্যাংচা খেতেও দেখা গেছে তাঁকে। কিন্তু এখন তিহাড়ে দু’বার স্নান করার পর্যাপ্ত জলও মিলছে বলে অনুযোগ করেন কেষ্ট।

    আরও পড়ুুন: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    কী বললেন বিচারক?

    তিনি তিহাড়ে থাকবেন নাকি আসানসোলে ফিরবেন এবিষয়ে অনুব্রতের আবেদনের ভিত্তিতে ১ মে দীর্ঘ শুনানি হয়েছিল দিল্লির আদালতে। তবে সেই দিন কোনও নির্দেশ দেননি বিচারক। অনুব্রতের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। এদিনই বিচারক নির্দেশ দেন, অনুব্রত (Anubrata Mondal) তিহাড়েই থাকবেন। প্রসঙ্গত, ইডির আইনজীবী দিল্লির আদালতে আগে একাধিকবার বলেন, একজন অভিযুক্ত কীভাবে স্থির করতে পারেন তিনি কোন জেলে থাকবেন? দিল্লির আদালতে ইডির আইনজীবী অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) এও বলেন, তিহাড়কেই ঘর ভেবে ফেলুন। আগামী ৩-৪ বছর এখানেই থাকতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mandal: অনুব্রত ও তাঁর কন্যার বিপুল সম্পত্তির হদিশ, বাজারমূল্য কত জানেন?

    Anubrata Mandal: অনুব্রত ও তাঁর কন্যার বিপুল সম্পত্তির হদিশ, বাজারমূল্য কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) এখন তিহার জেলে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার তাঁদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলল। জানা গিয়েছে, বোলপুর শহরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) ২৪০ কাঠা জমির কাগজ সামনে এসেছে। আর এবার সরকারি খাতায় উঠে এল অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের ১২০ কাঠা জমির হিসাব। আর এই সমস্ত জমি রয়েছে বোলপুর পুরসভা এলাকায়।

    বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কবে কেনা হয়েছে, জানেন?

    বোলপুর পুরসভা এলাকায় প্রত্যেক কাঠা জমির দাম ৭ লক্ষ টাকা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) ২৪০ কাঠা ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের ১২০ কাঠা জমির আনুমানিক মূল্য ২৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। এই সকল জমি কেনা হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে। এমনকী ২০১৪ সালে একই দিনে ৭ টি জমি রেজিস্ট্রি হতে দেখা যাচ্ছে অনুব্রত (Anubrata Mandal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে। সুকন্যা মণ্ডলের এই ১২০ কাঠা জমির বাইরেও  শিবশম্ভু রাইস মিলে রয়েছে তাঁর জমি। এই রাইস মিলের নামেও বেশ কিছুটা সম্পত্তি রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে এখন বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি। আদালতে পেশ করার সময় ইডি এই নথিও সামনে আনতে পারে।

    এত জমি কেনার কারণ কী?

    মনে করা হচ্ছে, গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা এভাবেই জমিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, এই বেশিরভাগ জমি ফাঁকা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই জমিগুলি শুধুমাত্র বিনিয়োগ করার কাজেই লাগানো হয়েছে বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন। একজন সাধারণ মাছ ব্যবসায়ী থেকে কেষ্টর (Anubrata Mandal) রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠা এবং তাঁর সামান্য শিক্ষিকা মেয়ের এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দেখে চক্ষু চরক গাছ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি সামনে আসতেই উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। কিন্তু তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা প্রথম থেকেই মনে করছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal), তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে যা সম্পত্তি রয়েছে তার থেকেও অনেক বেশি পরিমাণ সম্পত্তি তাঁরা তাদের বিভিন্ন আত্মীয়র নামে বিনিয়োগ করে রেখেছেন। আর সেখানে দাঁড়িয়েই প্রশ্ন উঠছে, যদি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) ও তাঁর কন্যারই শুধুমাত্র বোলপুর শহরে ২৫ কোটি টাকার সম্পত্তি থেকে থাকে তাহলে তাঁদের আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে কত কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। সেটাই এখন তদন্তকারী আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে অয়ন পত্নী কাকলি, কী তথ্য উঠে এল?

    Recruitment Scam: ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে অয়ন পত্নী কাকলি, কী তথ্য উঠে এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির তলবে এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে যান নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ধৃত অয়ন শীলের স্ত্রী কাকলি। সূত্রের খবর, অয়ন শীলের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি মিলেছে, তাতে কাকলির নাম রয়েছে। কাকলির নামে কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও হদিস পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে। ইডি আধিকারিকরা ওই আকাউন্টগুলির লেনদেন খতিয়ে দেখছেন।
    শুধু কাকলি নয়, অয়নের ছেলে ও অয়নের কোম্পানির দুই কর্মচারীকেও তলব করা হয়েছে। তবে এদিন শুধু কাকলিকেই সিজিও কমপ্লেক্সে দেখা গেছে। প্রসঙ্গত, অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফোজ়োনে কাকলি অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন বলে ইডি সূত্রের খবর।

    অয়নের ছেলের পেট্রোল পাম্প নিয়োগ দুর্নীতির টাকায়

    ইডি সূত্রে খবর, অয়নের ছেলের নামে একটি পেট্রল পাম্পও রয়েছে। অনুমান, নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) তোলা টাকা এই ব্যবসায় লাগানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অয়নের অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। অয়ন ছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) ধৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্ধু। সূত্রের খবর, তাঁর অফিস থেকে ওএমআর শিট, চাকরিপ্রার্থীর তালিকা ইত্যাদি উদ্ধার হয়েছে। কিছু অ্যাডমিট কার্ডও পাওয়া গেছে।

    আরও পড়ুন: মিশনারিদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ! পৃথিবীর মধ্যে দ্রুত খ্রিস্টান জনসংখ্যা বাড়ছে নেপালে

    পুরসভার নিয়োগের ওএমআর শিট মিলেছে অয়নের বাড়ি থেকে

    কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, অয়নের কাছ থেকে যেসব ওএমআর শিট পাওয়া গেছে তা পুরসভা নিয়োগ (Recruitment Scam) সংক্রান্ত। এছাড়াও এমনকিছু তথ্য মিলেছে যেখানে অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম পাওয়া গেছে বলে ইডির দাবি।
    ইডির বক্তব্য, শ্বেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। তাঁর অ্যাকাউন্টে মোট ২৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে শ্বেতার যোগ রয়েছে কিনা তা এখনও তদন্ত সাপেক্ষ। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য শ্বেতাকেও ডাকা হয়।

     

    ইডি সূত্রে খবর, জেরায় শ্বেতা চক্রবর্তী অন্তত ৮ জন প্রভাবশালীর নাম বলেছেন

    অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন শ্বেতা। তাঁকে প্রায় ৫ ঘণ্টা জেরা করেন ইডির গোয়েন্দারা। শোনা যাচ্ছে, জেরায় শ্বেতা চক্রবর্তী অন্তত ৮ জন প্রভাবশালীর নাম বলেছেন যাঁরা নিয়মিত অয়নের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সূত্রের খবর, তিনি এও স্বীকার করে নিয়েছেন যে তাঁর বাবা মায়ের আকাউন্ট থেকে অয়ন কালো টাকা সাদা করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: ইডি-র চার্জশিটে কুন্তলের এজেন্ট হিসেবে নাম রায়গঞ্জের স্কুল শিক্ষকের! চাঞ্চল্য

    Scam: ইডি-র চার্জশিটে কুন্তলের এজেন্ট হিসেবে নাম রায়গঞ্জের স্কুল শিক্ষকের! চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) এবার কুন্তল-যোগ উত্তর দিনাজপুর জেলায়! কুন্তল ঘোষকে জেরার পর ইডির পেশ করা চার্জশিটে নাম এল এক শিক্ষকের। তাঁর নাম গৌতম তান্তিয়ার। তিনি আবার একজন  সমাজকর্মী। আর রায়গঞ্জের এক পশুপ্রেমী সংগঠনের তিনি সম্পাদকও। কুন্তল ঘোষকে জেরা করে যে এজেন্টদের নাম পাওয়া গিয়েছে তাদের মধ্যে নাম রয়েছে গৌতমবাবুর। এমনই একটি তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে এক প্রতিবেশী নিবারণ দেবনাথ বলেন, গৌতমবাবুর এনজিও-র সঙ্গে আমি যুক্ত রয়েছি। আর তাঁর একটি দোকান ভাড়া নিয়ে আমি ব্যবসা করি। এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। সোশ্যাল মিডিয়াতে নিয়োগ দুর্নীতির (Scam) সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির তালিকায়  তাঁর নাম দেখে অবাক লাগছে।

    কুন্তল ঘোষের এজেন্ট প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক গৌতম তান্তিয়া কী বললেন?

    নিজের নামের তালিকাকে ভুয়ো বলে দাবি করেন শিক্ষক গৌতমবাবু। তিনি বলেন, আমি কুন্তল ঘোষের নাম সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি। তার সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। কেন আমার নাম জড়ানো হল তা বুঝতে পারছি না। তাছাড়া আমার কাছে লিখিত কোনও কাগজপত্র আসেনি। ফলে, এটা ভুয়ো বলে মনে হচ্ছে। আর এখন তো সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। আমাকে বদনাম করাতে এসব কেউ করতে পারে। আর এই দুর্নীতির (Scam)  বিষয় নিয়ে যদি ইডি তলব করে, আমি সবরকমভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    কুন্তল ঘোষের এজেন্ট হিসেবে নাম সামনে আসতেই সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, এই সরকারের আমলে শিক্ষকরাও দুর্নীতির (Scam)  সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছে। কুন্তলকে জেরা করে এই জেলায় শুধু গৌতম তান্তিয়ার নাম উঠে আসলেও এমন আরও অনেক গৌতমবাবু এই জেলায় রয়েছে। সঠিক তদন্ত হলে তাদের নামও বেরিয়ে আসবে। আসলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Scam)  জাল প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে। ইডি তদন্ত করলেই সব অভিযুক্তরা ধরা পড়বে। আমরা চাই, নিয়োগ দুর্নীতির (Scam) সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ইডি ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • OMR Sheet: থরে থরে সাজানো ওএমআর শিট! অয়নের বাড়িতে মিলল চাকরি পরীক্ষার এই সব উত্তর পত্র

    OMR Sheet: থরে থরে সাজানো ওএমআর শিট! অয়নের বাড়িতে মিলল চাকরি পরীক্ষার এই সব উত্তর পত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ থরে থরে সাজানো ওএমআর (OMR Sheet) শিট! নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার অয়ন শীলের বাড়ি থেকে এক গাদা ওএমআর শিট (OMR Sheet)  উদ্ধার করেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই ওএমআর শিটগুলিকে সাজিয়ে ছবি তুলে তা টুইটারে প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির তরফে টুইটে জানানো হয়েছে, অয়নের বাড়ি থেকে বেশ কিছু সন্দেহজনক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও অয়ন শীলের সংস্থার এক ডিরেক্টেরের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার অয়ন শীলের সল্টলেকের ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাট থেকে যে ওএমআর শিটগুলি (OMR Sheet)  পাওয়া গিয়েছে এবং বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত যে নথি পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি অবৈধ নয়। সরকারিভাবে পুরসভার নিয়োগের কাজ করত অয়ন শীলের কোম্পানি। এমনই দাবি ওই ডিরেক্টরের। উল্লেখ্য, যে ওএমআর শিটগুলি পাওয়া গিয়েছে অয়ন শীলের বাড়ি থেকে, সেগুলি অব্যবহৃত নয়। ইডির টুইট করা ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে, রোল নম্বরের তথ্যের জায়গা এবং উত্তর মার্ক করার জায়গা, উভয় জায়গাতেই পেনের কালি রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচিত প্রোমোটার অয়ন শীলের বাড়িতে এত গাদা গাদা ওএমআর শিট কী করছে? সেই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। যদিও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অয়ন তদন্তকারী আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানিয়েছে,  তার সংস্থাকে ওএমআর শিট (OMR Sheet)  তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছে।

    অয়নের বাড়িতে কোন পরীক্ষার ওএমআর শিট ছিল? OMR Sheet

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে,  প্রত্যেকটি ওএমআর শিটই (OMR Sheet)  আসল। অধিকাংশই পুরসভার বিভিন্ন পদের পরীক্ষার ওএমআর শিট (OMR Sheet) । কোনওটি পিয়ন পদের জন্য। কোনওটি ক্লার্ক অথবা শ্রমিকের চাকরি পরীক্ষার জন্য। প্রত্যেকটিতেই পরীক্ষার্থীদের সই রয়েছে। তবে, সেই সব উত্তরপত্র পরীক্ষার হল থেকে হুগলির প্রোমোটার অয়নের বাড়িতে কোন পথে এল তা-ই আপাতত খতিয়ে দেখছেন ইডির গোয়েন্দারাঅয়নের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নিয়োগ দুর্নীতির এক সম্পূর্ণ অন্য দিক ইডির সামনে উন্মোচিত হয়েছে বলে আগেই দাবি করেছিল ইডি। সোমবার নগর দায়রা আদালতে অয়নের ইডি হেফাজত চেয়ে ইডির আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন, এত দিন তাঁরা ভেবে আসছিলেন শুধু স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হয়েছে। তবে, এখন দেখা যাচ্ছে পুরসভার নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই রকম দুর্নীতি হয়েছে।

    অয়নের হাত ধরে রাজ্যে কত পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে? OMR Sheet

    ইডি সূত্রে খবর, অয়নের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যে নথি তাঁদের হাতে এসেছে, তাতে স্পষ্ট অয়ন টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পুরসভার চাকরি ‘বিক্রি’ করতেন।  ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৬০টি পুরসভার নিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করেছেন অয়ন। পরীক্ষার্থীরা শুধু তাঁকে চাহিদা মতো টাকা ধরে দিলেই কাজ হয়ে যেত। কোনও না কোনও ভাবে বদলে যেত ওএমআর শিট। ইডির ধারণা বদলে যাওয়া ওএমআর শিট  (OMR Sheet) পৌঁছে যেত যথাস্থানে। আর আসল ওএমআর শিটগুলিই সম্ভবত চলে আসত অয়নের কাছে। ইডি সূত্রে খবর, অয়নের বাড়ি থেকে পুরসভার পিওন পদের পরীক্ষার ৫টি আসল ওএমআর শিট, সহকারী পদের দু’টি, শ্রমিক পদের ৬৯টি এবং আরও নানা পদের দু’টি উত্তরপত্র পাওয়া গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে আদালতে তুলে ইডি-র মুখে কৃষ্ণনাম কেন?

    ED: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে আদালতে তুলে ইডি-র মুখে কৃষ্ণনাম কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সোমবার ভোরে শান্তনু ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অয়ন শীলকে ইডি (ED) গ্রেপ্তার করেছে। ৩৭ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করার পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি (ED)  তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে বলে দাবি ইডি-র তদন্তকারীদের। প্রচুর নথিও উদ্ধার করেছেন তাঁরা। শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগ নয়, পুরসভা ও দমকলের নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। অভিযোগ, তাঁর কাছে থেকে হাজার হাজার প্রার্থীর তথ্য মিলেছে। চাকরি দেওয়ার নামে অয়ন ৫০ কোটি টাকা তুলেছেন বলেও অভিযোগ । সোমবারই তাঁকে পেশ করা হয়েছে আদালতে। কেন্দ্রীয় সংস্থার মতে, দুর্নীতি এত চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে একমাত্র শ্রীকৃষ্ণই বাঁচাতে পারে বাংলাকে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আরও দাবি, এখনও পর্যন্ত যা তথ্য তারা অয়নের অফিস ও বাড়ি থেকে পেয়েছে তার ভিত্তিতে এই দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু, এর বাইরেও বিপুল পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইলে এত তথ্য মিলেছিল, যাকে সোনার খনি বলে উল্লেখ করেছিল ইডি। এবার অয়ন শীলকে আদালতে পেশ করার পর ইডির (ED)  বক্তব্য, আমরা সোনার খনির খোঁজ পেয়েছি। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে এই ব্যক্তির হাত গোটা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই ব্যক্তির কোম্পানি ওএমআর শিট ছাপানোর দায়িত্বে ছিল। পুরসভার পরীক্ষায় প্রভাব খাটানো হত প্রভাবশালীদের দিয়ে, এমনটাও অভিযোগ কেন্দ্রীয় সংস্থার। ইডির (ED)  তরফে বলা হয়েছে, এই দুর্নীতি এতটা নীচে নেমেছে যে মজদুর ও টাইপিস্ট পদেও দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্যের ৬০ টির বেশি পুরসভার নিয়োগে অয়নের ক্ষমতা ছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। শুধু প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, গ্রুপ ডি নয়, রাজ্যু জুড়ে দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে আছে বলে অভিযোগ।

    এদিন আদালতে কী বলেছে ইডি ? ED

     এটা শুধু এসএসসি বা টেটে নিয়োগের দুর্নীতির বিষয় নয়। এই দুর্নীতি রাজ্য সরকারের সব দপ্তরে হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি পরিসংখ্যান খোলা আদালতেই বলে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় অন্তত পাঁচ হাজার বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। যার জন্য ৫০ কোটি টাকা তুলেছিলেন এই অয়ন শীল। ইডি এও বলেছে, সবটা এখানে বলা যাচ্ছে না। কেস ডায়েরিতে সবটা রয়েছে। বিচারকের উদ্দেশে ইডি-র আইনজীবী বলেন, সবটা দেখলে আপনি শিউরে উঠবেন। এদিন কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখে কৃষ্ণনামও শোনা গিয়েছে। আদালত কক্ষে ইডি বলে, মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় যেমন অর্জুনকে পথ দেখিয়েছিলেন ভগবান কৃষ্ণ, তেমন এখানেও শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া কেউ পথ দেখাতে পারবেন না। এর আগে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইল ফোনকে সোনার খনি বলেছিল ইডি। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি বলে, সেই ফোন থেকেই শান্তনু ও অয়নের চ্যাটের সন্ধান পান গোয়েন্দারা। কিন্তু, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে এও জানানো হয়, সেই খনি থেকে দুর্নীতি যোগের মাত্র ১০ শতাংশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ৯০ শতাংশ এখনও বাকি।

    কী বলেছেন অয়নের আইনজীবী?

    অয়নের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, একজন অভিযুক্তের কথায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁক মক্কেলকে, কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি। আর নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য পুরসভা অনুমতি দিয়েছিল, সরকার অনুমোদিত কোম্পানি দ্বারা নিয়োগ করা হত।  ইডি-র (ED)  পাল্টা প্রশ্ন, স্যর ওঁদের জিজ্ঞেস করুন ওএমআর শিটে দাগ দেওয়ার অনুমতি ছিল? সরকারের ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত দুর্নীতিতে ভরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dead: দুই সন্তানসহ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য! কোথায় জানেন?

    Dead: দুই সন্তানসহ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ঘরের ভিতর স্ত্রী সন্তানসহ একই পরিবারের চারজনের মৃতদেহ (Dead) উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রবিবার সাতসকালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের কুড়ুরিয়াডাঙা এলাকায়। স্বামী, স্ত্রীসহ দুই সন্তানের মৃত্যুর (Dead) ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। ঘটনার সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিশকে মৃতদেহ (Dead)  উদ্ধার করতে বাধা দেন মৃতের অত্মীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, মৃত্যুর আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁদের মৃত্যুর জন্য কারা দায়ী তা উল্লেখ করেছেন। সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তাঁদের দাবি, দুই সন্তান সহ স্বামী ও স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে। যদিও ঘটনার তদন্তে ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম অমিত মণ্ডল (৪২)। তিনি পেশায় জমি ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর স্ত্রী রূপা মণ্ডল (৩৪)। তাঁদের পুত্র মিমিত মণ্ডল(১০) ও শিশুকণ্যা নিকিতা মণ্ডল (২)। তাঁদের বাড়ি দুর্গাপুর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কুড়ুরিয়াডাঙায়। কী করে জানাজানি হল বিষয়টি? পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পারিবারিক হোয়াট’স অ্যাপ গ্রুপে সুইসাইড নোট দেখে মৃত অমিত মণ্ডলের শ্বশুর বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন। বাড়ির ভিতরে দেখা যায়, ঘরের ভেতর নীচে পড়ে রয়েছে  ১০ বছরের মিমিত মণ্ডলের নিথর দেহ। বিছানায় শিশুকণ্যার সঙ্গে পড়ে রয়েছে মা রূপা মণ্ডলের দেহ। সিলিংয়ে হাতবাঁধা অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ (Dead)  উদ্ধার হয় অমিতের। বিষয়টি জানাজানি  হতেই আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আসানসোল দুর্গাপর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতম বলেন, ফরেনসিক টিম নমুনা সংগ্রহ করেছে। দুজনকে আটক করা হয়েছে। সমস্ত ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    সুইসাইড নোটে কী লেখা রয়েছে? Dead

     অমিতের বাবা নরেশ মণ্ডল একসময় প্রভাবশালী প্রোমোটার ছিলেন। শিল্পশহর লাগোয়া জমির কেনাবেচা করতেন তিনি। বছর ছয়েক আগে কিডনির অসুস্থতায় মৃত্যু হয় তাঁর। বাবা বেঁচে থাকতে তাঁর সঙ্গে জমি কেনাবেচায় হাতপাকান অমিত। ফলে, ফুলেফেঁপে ওঠে তাঁদের সম্পত্তি। ওই জমি ব্যবসা থেকে কয়েক’শো কোটি টাকার সম্পত্তি তৈরি করেন। কুড়ুরিয়াডাঙায় বিলাসবহুল তাঁদের বাড়ি রয়েছে। সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুর (Dead)  পিছনে হাত রয়েছে তাঁর বড় মামার ছোটো ছেলে সুশান্ত নায়েক ওরফে নান্টু। সে মাস্টার মাইন্ড। এছাড়াও  মামার বাড়ির  অনেকে জড়িত রয়েছে। সুশান্ত নায়েক অন্ডালের সিঁদুলি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করে। এছাড়া মা বুলা রানি মণ্ডলের নাম রয়েছে। মা বাপের বাড়ির সকলকে ভালোবাসে। আমার ছেলেমেয়েদের দেখতে পারে না। আমাকে পছন্দ করে না। ছোটো মামার মেয়ে মিলি নায়েক ঘোষের নামও উল্লেখ রয়েছে। তিনি পান্ডবেশ্বরে বৈদ্যনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বড় মামার সেজো ছেলের বৌ শিলা নায়েক মণ্ডলের নাম রয়েছে। তিনি আমরাই প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ২০১২ সালে পরীক্ষা, ইন্টারভিউ  না দিয়ে তাঁরা সকলে চাকরি পেয়েছেন। সুশান্ত নায়েক সিপিএম, কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস সমস্ত দলই করেছেন। ওরাই আমাদের পরিবারকে শেষ করে দিল। প্রভাবশালী মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের যোগ রয়েছে তিনি উল্লেখ করেছেন। সুইসাইড নোটটি সিবিআই(CBI), ইডি (ED), রাজ্য পুলিশ এবং বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে তিনি ট্যাগ করেন।

    কী বললেন মৃতের আত্মীয়? Dead

    মৃতা রূপা মণ্ডলের মাসতুতো বোন সুদীপ্তা ঘোষ বলেন,” গতকাল রাতে জামাইবাবু বলল মা এসেছে বাড়িতে। আবারও অশান্তি হবে।” তিনি আরও বলেন,” সম্পত্তির বিবাদ। জামাইবাবুর মা বুলা রানি জামাইবাবু, দিদি ভাগ্নে, ভাগ্নিকে সহ্য করতে পারে না। সমস্ত সম্পত্তি জামাইবাবুর মামার ছেলেদের তিনি দিয়ে দিতে চান। তাই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে। আমাদের অনুমান পরিকল্পিত খুন। কারণ, বাড়ির সিসিটিভি উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাতে স্ট্রিট লাইট বন্ধ রাখা ছিল। আমাদের দাবি, বুলা রানি, সুশান্ত, প্রশান্ত সহ জামাইবাবুর মামার বাড়ির সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। ঘটনার সিবিআই (CBI) তদন্ত করা হোক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও বিপাকে তাপস, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও বিপাকে তাপস, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) সমস্যা আরও বাড়ল মানিক ভট্টাচার্য-ঘনিষ্ট তাপস মণ্ডলের। তাঁর ১২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে ফ্রিজ করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। ব্যাঙ্কগুলিকে চিঠি দিয়ে লেনদেন বন্ধ করতে বলা হয়েছে। 

    যেই অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট-সহ তাঁর সংস্থা ও কলেজের অ্যাকাউন্ট। অ্যাকাউন্টগুলির প্রতিটিতেই রয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা (SSC Scam)। কোনওটায় দু’কোটি তো কোনোটায় তিন কোটি। 

    ইডির তরফে জানা গিয়েছে, এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকেই মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যকে টাকা দিয়েছিলেন তাপস মণ্ডল (SSC Scam)। এদিনই মানিক ভট্টাচার্যের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত  করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এক মাসের মধ্যেই দেশ-বিদেশের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। মানিকের যেদিন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ এল, সেদিনই ফ্রিজ হল তাপসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।

    আরও পড়ুন: কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারকে ‘পর্যাপ্ত’ নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি মান্থার

    কেন ফ্রিজ করা হল তাপসের অ্যাকাউন্ট (SSC Scam)?

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, তাপসের নামের প্রতিটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই কোটি কোটি টাকা ছিল। সেই টাকা কোথা থেকে এল? তাপসের কাছে জানতে চান গোয়েন্দারা। এত টাকা আয়ের উৎস সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারেননি তাপস (SSC Scam)। আর তাতেই গোয়েন্দারা তাঁর অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নেন। তাপস মণ্ডলের একটি এনজিও রয়েছে। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের টাকা এনজিও-তে যেত বলে তদন্তকারীদের অনুমান। তাপস মামলা লড়ছেন। এবার প্রশ্ন উঠছে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে গেলে, মামলা লড়ার টাকা কোথা থেকে আসবে? 

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক ভট্টাচার্যের নাম জড়ানোর পরই তাপস মণ্ডলের নাম প্রকাশ্যে আসে। তাপসের সঙ্গে মানিকের পুত্রেরও নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এর পর বহু বার সিবিআই এবং ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয় তাপসকে। তিনি যদিও প্রথমে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে অর্থ নেওয়ার বিষয়ে তদন্তকারীদের বহু তথ্য দিয়েছেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে (SSC Scam)।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: মানিক মামলায় সিবিআইকে সতর্ক করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন?

    Justice Abhijit Gangopadhyay: মানিক মামলায় সিবিআইকে সতর্ক করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পরবর্তী শুনানিতে যেন উপস্থিত থাকেন সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবী। মানিক ভট্টাচার্য মামলায় (Manik Bhattacharya Case) এই বলে সিবিআইকে সতর্ক করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। ১৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল মানিক ভট্টাচার্যের মামলার। ওই দিন শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালতে হাজির ছিলেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। এরই প্রেক্ষিতে এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির সময় যেন উপস্থিত থাকেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত হয়নি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।  

    পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক…

    দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় নদিয়ার পলাশিপাড়ার বিধায়ক তৃণমূলের মানিক ভট্টাচার্যকে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এই তৃণমূল নেতা। সেই মামলার শুনানি ছিল ১৮ নভেম্বর। ওই দিন শুনানিতে হাজির ছিলেন না সিবিআইয়ের আইনজীবী। এদিন তা নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। সিবিআইয়ের তরফে তাঁকে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে ২৬ পাতার রিপোর্ট। তদন্ত চলছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০ ডিসেম্বর।

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম থেকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত সরকারের দিকে। বামেদের হটিয়ে তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় আসে ২০১১ সালে। তার পরের বছরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দায়িত্ব পান মানিক। ২০১২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পদে ছিলেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক। পরে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় সরিয়ে দেওয়া হয় মানিককে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই সরানো হয় তাঁকে। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এই তৃণমূল নেতা।

    আরও পড়ুন: “কোভিড মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয় সরকার”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    কেবল সিবিআই নয়, মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-ও। ৩২৫ জনকে পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি ৩.২৫ কোটি টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা নগদ নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Coal Smuggling Case: কয়লাপাচার কান্ডে ইডি তলব করল কলকাতা পুলিশের এসিপিকে

    Coal Smuggling Case: কয়লাপাচার কান্ডে ইডি তলব করল কলকাতা পুলিশের এসিপিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ইডির (Enforcement Directorate) নজরে কলকাতা পুলিশের এক এসিপি। কয়লা পাচারের অভিযোগে কেন্দ্রীয় এই তদন্ত সংস্থা কলকাতা পুলিশ বিভাগে কর্মরত এক অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন।

    শান্তনু সিনহা এসিপি (Shantanu Sinha, Assistant Commissioner of Police, IPS)

    ওই এসিপির নাম শান্তনু সিনহা (Shantanu Sinha)। তিনি একসময়ে কালীঘাট থানার দায়িত্বে ছিলেন। সূত্রের খবর আজ বুধবার সকাল ১১টা ৪০ নাগাদ দিল্লি ইডি অফিসে পৌঁছন ওই অফিসার। সংবাদসূত্রে জানা যাচ্ছে, দীর্ঘক্ষণ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি আধিকারিকেরা। ইডি অফিসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে ওঁকে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল।

    কালীঘাট থানা (Kalighat Police Station)

    প্রসঙ্গত, কালীঘাট থানায় ওসি থাকাকালীন মমতা ব্যানার্জিকে একবার মা বলে সম্বোধন করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এই অফিসার। বর্তমানে শান্তনু সিনহা কলকাতা পুলিশের ওয়েলফেয়ার কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন।

    কয়লা পাচার (Coal Smuggling)

    ইডি সূত্রে খবর তদন্তের সূত্র ধরেই শান্তনুর নামটি তদন্তে উঠে এসেছিল।তাই তথ্য যাচাই করতে তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এর আগেও রাজ্যের একাধিক আইপিএস অফিসারকে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি।

    কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সংঘাত (Centre State Conflict)

    রাজ্য কেন্দ্রের উভয়ের সংঘাতের মাঝে রাজ্যের এই শীর্ষ কর্মকর্তাদের দিল্লি তলব নিয়ে রাজনৈতিক মহল থেকেও নানা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। এর আগেও রাজ্যের এই অফিসারদের তলব করা নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রে বিজেপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। যদিও বিজেপি জানিয়েছে, ইডি একটি স্বতন্ত্র সংস্থা তারা রাজনৈতিক দলের উর্ধ্বে। তারা দোষীদের  খুঁজে বার করছে যদিও তৃনমূল পার্টির নেতারা একাধিক কেলেঙ্কারিতে এখন জেলে। তাই তৃনমূল ভয় পেয়ে এমন অভিযোগ করছে।

    এর আগে দিল্লিতে যে আট আইপিএস অফিসারকে তলব করা হয়েছিল ইডি-র তরফে তাঁদের প্রত্যেকেই কখনও না কখনও পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমে বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন।সেই তালিকায় ছিলেন জ্ঞানবন্ত সিং, সিলভা মুরুগান, কে কোটেশ্বর রাওয়ের মতো পুলিশ অফিসাররা। তাঁদের কেউ দিল্লিতে গিয়ে হাজিরা দিয়েছিলেন, আবার কেউ দেননি। যেসব জায়গাগুলি থেকেই মূলত কয়লা পাচারের অভিযোগ এসেছিল। কিন্তু শান্তনু ছিলেন কলকাতা পুলিশেই। ফলে তাঁকে তলব তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share