Tag: ED

ED

  • TET Scam: মানিকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে ‘আরকে’, ‘ডিডি’,  রহস্যের আড়ালে কারা?

    TET Scam: মানিকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে ‘আরকে’, ‘ডিডি’,  রহস্যের আড়ালে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট কেলেঙ্কারিতে (TET Scam) ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের ফোনে রহস্যজনক দুই নাম। দুটি নামই সংক্ষেপে। একটি আরকে (RK), অন্যটি ডিডি (DD)। এই দুই রহস্যজনক ব্যক্তির সঙ্গে একাধিকবার চ্যাট হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। প্রশ্ন হল, কে এই আরকে? ডিডি-ই বা কে?

    টেট কেলেঙ্কারিতে (TET Scam) গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। অভিযোগ, টেটে সাদা খাতা জমা দেওয়া সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া হয়েছে অযোগ্যদের। নিয়ম মেনে প্রকাশ করা হয়নি মেধাতালিকাও। টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল থাকা সত্ত্বেও সকলের নম্বর বাড়ানো হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে মানিককে। স্বজনপোষণের অভিযোগও উঠেছে মানিকের বিরুদ্ধে।

    টেট কেলেঙ্কারিতে (TET Scam) মানিককে গ্রেফতার করার পর তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই মোবাইল ঘাঁটতেই বেরিয়ে এসেছে রহস্যজনক দুই নাম। আরকে এবং ডিডি। এই দুজনের সঙ্গেই চ্যাট করেছেন মানিক। একটি চ্যাটে এও বলা হয়েছে, ফাইনাল লিস্ট তৈরি করে ডিডিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা ইডি দেখেও নিয়েছে। এখানেই ঘনিয়েছে রহস্য। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, এই যে আরকে কিংবা ডিডি নতুবা ইডি এঁরা কে? এঁরা কি পার্টির কেউ নাকি শিক্ষা দফতরের কর্তা? যদি দলের কেউ হন, তাহলে তিনি কে? শিক্ষা দফতরের হলেও, প্রশ্ন এঁরা কে?

    আরও পড়ুন : মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির

    মানিক যে টাকা নিয়েছিলেন, সে অভিযোগ সংক্রান্ত মেসেজ আগেই পেয়েছে ইডি। চার্জশিটে তারা উল্লেখ করেছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইল ঘেঁটে একটি মেসেজ পেয়েছে তারা। ওই মেসেজে পার্থকে কেউ বলছেন, মানিক ইজ টেকিং মানি, যা তা ভাবে। অন্য একটি মেসেজে লেখা হয়েছিল, আবারও টাকা নিয়ে করবে, আবার কেস হবে, আবার পার্টি খাস্তা হবে। প্লিজ, এটা দেখুন, লাভ। সেই মেসেজ মানিককেই ফরওয়ার্ড করেছিলেন পার্থ। যদিও মানিকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি পার্থ। অথচ ওই সময় পার্থ ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী আর মানিক ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান। কোনও এক ব্যক্তির সতর্কতা সত্ত্বেও পার্থ কেন মানিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি, সে প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Arvind Kejriwal: ‘‘কর্মের ফল’’! কেজরির গ্রেফতারি নিয়ে মত গুরু আন্নার, কী বললেন প্রণব-কন্যা?

    Arvind Kejriwal: ‘‘কর্মের ফল’’! কেজরির গ্রেফতারি নিয়ে মত গুরু আন্নার, কী বললেন প্রণব-কন্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজিরওয়ালের (Arvind Kejriwal) গ্রেফতারি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তাঁর রাজনৈতিক গুরু আন্না হাজারে। সবটাই ‘কর্মের ফল’ বলে দাবি করেন তিনি। একই মত প্রাক্তন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়েরও। আবগারি দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আপাতত তিনি ইডি হেফাজতে রয়েছেন।

    কী বললেন আন্না

    কেজিরওয়ালের (Arvind Kejriwal) গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তাঁর একসময়কার গুরু আন্না হাজারে বলেন, ‘কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর তাঁর সরকারের আবগারি নীতি নিয়ে আমি দু’বার চিঠি লিখেছিলাম। আমি দুঃখ পেয়েছিলাম। উনি আমার কথা শোনেননি। এবার তাঁকে গ্রেফতার হতে হল।’ তাঁর সংযোজন, ‘অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মণীশ সিসোদিয়া যখন নতুন নতুন এসেছিলেন, আমি বলেছিলাম সর্বদা দেশের ভালোর জন্য কাজ করবে। তবে তাঁরা দু’জনেই এই নির্দেশ শোনেননি। আর আমি ওঁকে কোনও উপদেশ দেব না। আইন আর সরকার যা করার করে নিক। কেজরিওয়াল নিজের কর্মের ফল ভোগ করছেন।’

     

    ২০১১ সালে তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন আন্না হাজারে। সেই সময় আন্নার আন্দোলনে শামিল হন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। সেই আন্দোলনের হাত ধরেই রাজধানীর রাজনীতির শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। ২০১২ সালে নিজের রাজনৈতিক দলও গঠন করেন। পরে নিজের দল আম আদমি পার্টি নিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রবেশ করেন। সেই থেকেই গুরু আন্না হাজারের সঙ্গে মতান্তর তৈরি হয় তাঁর।

    আরও পড়ুন: বিজেডির সঙ্গে জোট নয়, লোকসভা নির্বাচনে ওড়িশায় একাই লড়বে বিজেপি

    প্রণব-কন্যার অভিমত

    ‘কর্মের পরিণতি’। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতার (Arvind Kejriwal) হওয়ার পর ঠিক এই ভাষাতেই সরব হলেন প্রাক্তন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেত্রী শীলা দীক্ষিতের বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীন, ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছিলেন কেজরিওয়াল ও আন্না হাজারে গ্রুপ। তাঁর মতে, যাঁরা একমসময় ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছিলেন, তাঁরাই আজ নিজেদের কাজকর্মের ফল ভোগ করছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি পোস্ট করেন, ‘কংগ্রেস ও শীলা দীক্ষিতজির বিরুদ্ধে ট্রাঙ্ক-ভর্তি প্রমাণ আছে বলে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছিলেন উনি ও আন্না হাজারে গ্রুপ। এখনও পর্যন্ত সেই ট্রাঙ্ক কেউ দেখেননি। কর্মের পরিণতি !’

    আবগারি দুর্নীতি মামলায় ২১ মার্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। হাইকোর্টে আগাম জামিনের আর্জি খারিজের পরেই আপ প্রধানকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ ও পরে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার কেজরিওয়ালকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “বাংলাতেও আমরা এই দৃশ্য দেখতে পারি”, কাকে খোঁচা দিলেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: “বাংলাতেও আমরা এই দৃশ্য দেখতে পারি”, কাকে খোঁচা দিলেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাতেও আমরা এই দৃশ্য দেখতে পারি।” দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতার হয়েছেন ইডির হাতে। সেই প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “সেই সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী যাঁদের নাম দুর্নীতিতে বার বার জড়িয়েছে, তাঁদের বলব, দুর্নীতি থেকে সরে থাকুন। তাঁরাও পদে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার হতে পারেন।” এর পরেই সুকান্ত বলেন, “পশ্চিমবঙ্গেও আমরা এই ছবি দেখতে পারি।”

    কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে দুর্নীতির নজির নেই বলেও দাবি করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। বলেন, “আমি বলব, তৃণমূলের ভাগ্য ভাল যে এত দিন পরেও মুখ্যমন্ত্রী ও ভাইপো জেলের বাইরে রয়েছেন… ভালো জ্যোতিষী দেখান মনে হচ্ছে। না হলে এত দিনে জেলে থাকার কথা ছিল।” এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতির মুখে উঠে এসেছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের প্রসঙ্গও। সুকান্ত বলেন, “হেমন্ত সোরেন হোন বা মণীশ সিসোদিয়া (দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী) দু’জনেই তো জামিন পাওয়ার জন্য বার বার চেষ্টা করছেন। পাচ্ছেন না কেন? কারণ ইডি বার বার আদালতকে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে তাঁদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ইডি এনেছে, তার সত্যতার স্বপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সত্যতার প্রমাণ রয়েছে বলেই তো আদালত জামিন দিচ্ছে না।”

    “দুর্নীতি থেকে দূরে থাকুন”

    সুকান্ত বলেন, “বোঝাই যাচ্ছিল যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দিকে যাচ্ছিল ইডি। এই ঘটনা চোখ খুলে দিল যে কর্মরত অবস্থায়ও মুখ্যমন্ত্রীদের গ্রেফতার করা যায়।” এর পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমি সেই সব মুখ্যমন্ত্রীদের বলব যে দুর্নীতি থেকে দূরে থাকুন। আর সাবধানে থাকুন। যাঁদের নাম দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছে তাঁরাও গ্রেফতার হতে পারেন।” প্রসঙ্গত, আবগারি নীতি মামলায় ৯ বার সমন পাঠানো হয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। কোনওবারই সাড়া দেননি তিনি।

    আরও পড়ুুন: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

    গ্রেফতারি এড়াতে বৃহস্পতিবার কেজরিওয়াল দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এর পরেই তাঁর দিল্লির বাসভবনে হানা দেয় ইডি। তল্লাশির পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় কেজরিওয়ালকে। ততক্ষণে কেজরির তরফে দ্রুত শুনানির আর্জি করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মধ্যরাতে শুনানি সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। তার পরেই গ্রেফতার করা (Sukanta Majumdar) হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Arvind Kejriwal: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

    Arvind Kejriwal: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Liquor Policy Case) অবশেষে গ্রেফতার হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। এই মামলায় ৯ বার ইডি-র সমন এড়িয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তাও শেষরক্ষা হলো না। বৃহস্পতিবারই এই মামলায় কেজরিওয়ালকে কোনও প্রকার রক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করে দিল্লি হাইকোর্ট। এর পরই, এদিন সন্ধ্যায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দলটিতে রয়েছেন ১২ জন আধিকারিক। জানা যায়, একেবারে, ওয়ারেন্ট নিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। রাত ৯টা নাগাদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর মোবাইল ফোন।

    আবগারি নীতি মামলায় গ্রেফতার (Arvind Kejriwal)

    আবগারি নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টির কয়েকজন নেতাকে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন (Arvind Kejriwal) দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহও। চলতি সপ্তাহেই গ্রেফতার করা হয় বিআরএস নেত্রী কে কবিতাকে। এবার গ্রেফতার হলেন খোদ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে, এই মামলায় ইডি ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। নানা অজুহাতে প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।

    রক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করে হাইকোর্ট

    ইডি যাতে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ না করে, সেই আর্জি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। এদিন আদালতে পেশ করা আবেদনে কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) বলেন, “ইডি নিশ্চয়তা দিক যে তাদের সমনে সাড়া দিলে আমার বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ (Liquor Policy Case) করা হবে না।” কিন্তু, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি ধোপে টেকেনি। মেলেনি রক্ষাকবচ। তার পরেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দুয়ারে হাজির হয় ইডি। ঘণ্টাদুয়েক তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। তবে, তার আগে, শেষ মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন কেজরিওয়াল। গ্রেফতারি আসন্ন বুঝতে পেরে শেষ মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। আর্জি জানিয়েছিলেন জরুরিভিত্তিতে শুনানির। যদিও সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মধ্যরাতে শুনানি হবে না এই মামলার। সুপ্রিম কোর্টে শুনানি না হওয়ায় রাতেই গ্রেফতার করা হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। 

    আরও পড়ুুন: তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) বাসভবন চত্বরে জারি ১৪৪ ধারা

    এদিকে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির পরেই তাঁর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আপ কর্মী, সমর্থকেরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের আশপাশে জারি করা হয়েছে ১১৪ ধারা। শুক্রবার পিএমএলএ আদালতে হাজির করানো হবে আপ প্রধানকে। দেশের ইতিহাসে কেজরিওয়ালই (Arvind Kejriwal) প্রথম, যিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন গ্রেফতার হলেন। এর আগে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকেও গ্রেফতার করে ইডি। তবে গ্রেফাতারির আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি (Liquor Policy Case)। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদির মুখে ইডির প্রশংসা, তির্ষক বাণ হানলেন বিরোধীদের

    PM Modi: মোদির মুখে ইডির প্রশংসা, তির্ষক বাণ হানলেন বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ায় ইডির ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার এই উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপে বিরোধীরা উদ্বিগ্ন বলেও শনিবার জানান তিনি।

    ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ (PM Modi)

    ‘ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৪’-এ ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। বিগত বছরগুলিতে এই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে আমার সরকার।” তিনি এও জানান, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সম্পূর্ণ স্বাধীন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতির ক্ষেত্রে আমাদের আমাদের আমলে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। তাই যে কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে।”

    ইডির সাফল্যের খতিয়ান

    ইডির সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “২০১৪ সাল পর্যন্ত পিএমএলএ-র অধীনে মামলা দায়ের হয়েছিল ১ হাজার ৮০০টি। আর গত ১০ বছরে দায়ের হয়েছে ৪ হাজার ৭০০টি মামলা। ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকা। গত ১০ বছরে তা বেড়ে হয়েছে এক লাখ কোটিরও বেশি টাকা।” এদিন বিরোধী দলগুলিকেও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই কারণে তারা দিনরাত মোদিকে গালাগালি দিতে ব্যস্ত। এই নির্বাচনের সময় বিরোধীরা কাগজে কলমে স্বপ্ন বুনছে, অন্যদিকে মোদি স্বপ্ন ছাড়িয়ে গ্যারান্টি দিচ্ছেন।”

    আরও পড়ুুন: ‘কাচের ঘরে বসে ঢিল মারার দরকার নেই’, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন, সাইবার ক্রাইম এবং মাদক পাচার করতে গিয়ে ইডির হাতে অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন, মাদক পাচার, সাইবার ক্রাইম এসব ক্ষেত্রেও ইডি অনেককেই গ্রেফতার করেছে। ফাঁস করেছে অনেক বড়সড় চক্রের পর্দা। বাজেয়াপ্ত করেছে হাজার কোটি টাকারও বেশি।” তিনি বলেন, “যখন এরকম কিছু ঘটে, তখন কিছু লোকের সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তারা গেল গেল রব তোলে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই কারণেই বিরোধীরা দিবারাত্র মোদির মুণ্ডপাত করছেন। তবে দেশ তাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বিরোধীদের এই অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।” প্রসঙ্গত, সংসদের বাজেট অধিবেশনেও দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেছিলেন, “দেশকা লুটা হুয়া মাল দেনা হি পড়েগা (দেশের লুট করা টাকা ফেরত দিতেই হবে)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই-এর তলব, নিজাম প্যালেসে শাহজাহানের ভাই সহ ৬

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই-এর তলব, নিজাম প্যালেসে শাহজাহানের ভাই সহ ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির উপর হামলার ঘটনায় সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে শনিবার সকালে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন শাহজাহান শেখের  (Sheikh Shajahan) ভাই আলমগির শেখ। এই ঘটনায় শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ প্রায় ১৫ জনকে তলব করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ইডি-র উপর হামলার ঘটনায় শেখ শাহজাহান সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। একই সঙ্গে শনিবার পৃথক মামলায় সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) কয়েক জনকে তলব করেছে ইডিও। তাঁদের সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। শাহজাহানের দুই ভাই আলমগির এবং সিরাজ শেখকে আগামী সপ্তাহে তলব করেছে ইডি।

    নিজাম প্যালেসে আলমগির

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) ইডির উপর হামলার ঘটনায় সিবিআই শাহজাহানের ভাই আসমগির-সহ আরও কয়েকজনকে ডেকে পাঠায়। তদন্তভার হাতে নিয়েই, দফায় দফায় সন্দেশখালিতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায়,একের পর এক অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে নোটিস দিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নিজাম প্যালেসে তলব করা হয় শেখ শাহজাহানের একাধিক ঘনিষ্ঠকে। বৃহস্পতিবার তলব করা হয়েছিল শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীর শেখকে। কিন্তু সিবিআই তলবে গরহাজির ছিলেন আলমগির শেখ। তবে এদিন নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন তিনি। নিজাম প্যালেসে আসেন বনগাঁ থানার তদন্তকারী আধিকারিক। তাঁর বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই (CBI)। বেলা ১২ টা থেকে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরু হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: “হিন্দু বা মুসলিম পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতীয়” বললেন অমিত শাহ

    তদন্তে ইডি

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। তারাও কিছু দিন আগে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) গিয়েছিল এবং কয়েক জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। তার ভিত্তিতে শনিবার সিজিওতে ডাকা হয়েছে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ দু’জনকে। শুক্রবারও তারা সংশ্লিষ্ট দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি শেখ শাহজাহান বাহিনীর মোট তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান মোসলেম শেখের সরবেড়িয়া নতুন বাজারের গোডাউন থেকে গাড়িগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তিনটি গাড়ির মধ্য়ে একটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন শেখ শাহজাহানের নামে। আরেকটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগিরের নামে। তৃতীয় গাড়ির মালিকানা পাঞ্জাবের একটি সংস্থার নামে। শেখ শাহাজাহানের মালিকানাধীন গাড়িটি ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি কেনা হয়। দাম ১৩ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Santiago Martin: নির্বাচনী বন্ডে সব চেয়ে বেশি টাকা দিয়েছেন সান্তিয়াগো, তিনি কে জানেন?

    Santiago Martin: নির্বাচনী বন্ডে সব চেয়ে বেশি টাকা দিয়েছেন সান্তিয়াগো, তিনি কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়শি দেশ মায়ানমারে তিনি গিয়েছিলেন শ্রমিকের কাজে। সেখান থেকেই তিনি হয়েছেন লটারি কিং। সেই সান্তিয়াগো মার্টিনের (Santiago Martin) সংস্থাই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে সব চেয়ে বেশি টাকা দান করেছে। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সান্তিয়াগোর সংস্থা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে দিয়েছে ১ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে লটারি কিংয়ের কেরামতি!

    কে এই সান্তিয়াগো? (Santiago Martin)

    সান্তিয়াগো (Santiago Martin) একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট চালান। এই ট্রাস্টের ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, মায়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গনে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। ভারতে ফেরেন ১৯৮৮ সালে। শ্রমিকের কাজ করে যে টাকা জমিয়েছিলেন, তা দিয়ে তামিলনাড়ুতে শুরু করেন লটারি ব্যবসা। পরে তাঁর এই ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ে কেরল, কর্নাটক এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে। পরে নেপাল ও ভুটানেও ছড়িয়ে পড়ে তাঁর লটারি ব্যবসা। উত্তর-পূর্বে সরকারি লটারি স্কিমগুলি পরিচালনার ভারও নিয়েছিলেন সান্তিয়াগো। লটারি ব্যবসার টাকা তিনি বিনিয়োগ করেন নির্মাণ শিল্প, রিয়েল এস্টেট, বস্ত্র এবং হোটেল ব্যবসায়। অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ লটারি ট্রেড অ্যান্ড অ্যালায়েড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্টও তিনি। তাঁরই প্রচেষ্টায় ওয়ার্ল্ড লটারি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হয়েছে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড। এটাই তাঁর সংস্থার নাম।

    সান্তিয়াগোর (Santiago Martin) সংস্থায় তল্লাশি!

    যে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসকে ‘দাতা’র ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে, সেই সংস্থার বিরুদ্ধেই তহবিল তছরুপ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৯ সালে এই অভিযোগের তদন্তে নামে ইডি। তার আগে সংস্থার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। চার্জশিটে বলা হয়েছিল, সান্তিয়াগো মার্টিন (Santiago Martin) ও তাঁর সংস্থা ২০০৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১০ সালের অগাস্ট পর্যন্ত পুরস্কার বিজয়ীর টিকিটের সংখ্যা বাড়িয়ে ৯১০ কোটি টাকা ক্ষতি করেছে সিকিম সরকারের। সিবিআই চার্জশিট পেশ করার পরেই তদন্ত শুরু করে ইডি। গত মে মাসে সংস্থার কোয়েম্বত্তুর ও চেন্নাইয়ের অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়। ৯৬৬ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে হায়দরাবাদের মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার। এই তালিকায় রয়েছে ভারতী এয়ারটেল, ইন্ডিগো, আইটিসি সহ একাধিক সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘গলাকাটা দামে বিক্রি হয়েছে চাকরি’’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “৩৫টি প্লটের মালিক যে পরিবার, তাদের খাওয়ার অভাব?” অভিষেককে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “৩৫টি প্লটের মালিক যে পরিবার, তাদের খাওয়ার অভাব?” অভিষেককে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বৃহস্পতিবার বিজেপি কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অঞ্চল সম্মেলন করেন। বস্তুতপক্ষে, এদিনের অঞ্চল সম্মেলন পাড়া বৈঠকের রূপ নেয়। এদিন বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূষিলা এলাকায় সুকান্ত মজুমদার দেওয়াল লিখন করেন। এরপর কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি নিজের নির্বাচনী প্রচারও সেরে নেন তিনি।

     অনুপ্রবেশকারীদের আমরা বাংলাতে জায়গা দেব না (Sukanta Majumdar)

    এদিন একইভাবে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কর্মীদের সঙ্গে অঞ্চল সম্মেলনের পাশাপাশি পাড়া বৈঠক ও নির্বাচনী প্রচার করেন তিনি। এদিন এই বৈঠক থেকে রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তিনি কথা বলেন। সিএএ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধীরা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। CAA মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কারও নাগরিকত্বতা নষ্ট হবে না। সব থেকে কথা হচ্ছে CAA হচ্ছে অপশনাল। আপনি চাইলেই আবেদন করতে পারেন, না চাইলে আপনি আবেদন করবেন না। কিন্তু, আমাদের বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। CAA লাগু হয়েছে, যাদের ইচ্ছে হবে তারা CAA তে আবেদন করবে। বাংলায় অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, বাংলাতে শরণার্থীরা স্বাগত। কিন্তু, অনুপ্রবেশকারীদের আমরা বাংলাতে জায়গা দেব না। এই দেশ ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছিল, এটাই সত্যি। আর এটাই আমাদেরকে মানতে হবে।

    আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিং

    ফের শাহজাহানকে নিয়ে তৎপর ইডি

    সন্দেশখালিতে ইডি হানা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “শেখ শাহজাহান তো বিশাল বড় একটা চক্র চালাত। দেখতে পাচ্ছেন না শাহাজানকে বাঁচানোর জন্য কত চেষ্টা। এখন ইডি ধরেছে। এখন শেখ শাহাজানকে তাজমহল দেখাবে ইডি। দেখবেন সব বেরিয়ে আসবে। শাহজাহানের টাকা বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়েছে। কারণ, চিটফান্ডের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাওয়ার অভাব আছে, বাংলার মানুষকে বোকা পেয়েছেন নাকি। ৩৫টি প্লটের মালিক যে পরিবার, তাঁদের খাওয়ার অভাব? খাওয়ার অভাব এসে দেখুক, বাংলার গ্রামে গঞ্জের মানুষদের। সুখে আছেন তো বুজতে পারছেন না, গরিব সাজার নাটক করছেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: মিলল না আগাম জামিন, শাহজাহানের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    Sheikh Shahjahan: মিলল না আগাম জামিন, শাহজাহানের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে সন্দেশালিকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। মঙ্গলবার তাঁর আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডির হাত থেকে রেহাই পেতে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন শেখ শাহজাহান। কিন্তু এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ইডির হেফাজতে অন্য এক অভিযুক্তের মারফত শাহজাহানের নাম উঠে এসেছে। বর্তমানে সেই ঘটনার তদন্ত চলছে। এই প্রেক্ষিতে আগাম জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। 

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। তাঁকে দফায় দফায় জেরা করে সন্দেশখালিতে হামলার দিনের ঘটনার বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মাঝে ইডির হাত থেকে রেহাই পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা। উল্লেখ্য, এর আগে বসিরহাটের পিএমএলএ কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া ওই নেতা। সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এদিন শাহজাহানের আইনজীবী সব্যসাচী ব্যানার্জী বলেন, “শাজাহানের বিরুদ্ধ সরাসরি কোনো অভিযোগ নেই । তাঁকে ইডি অফিসারদের হামলায় মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই ইডি কিসের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেবে? এই বক্তব্যকে খারিজ করে ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী আদালতে জানান, রেশন দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে শাহজাহানের নাম উঠে আসে। ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর মামলায় তাঁকে এখনও গ্রেফতার করেনি ইডি। 

    আরও পড়ুন: ‘অস্বস্তিকর প্রশ্ন করলেই এসএসসি চুপ থাকে’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের কটাক্ষ

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    দুপক্ষের সওয়াল জবাবের পর শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। ইডি জানায়, শাহজাহান প্রবল প্রভাবশালী। তাকে রক্ষা করতে উঠেপড়ে লেগেছিল রাজ্য সরকার। এমনকী আদালতের নির্দেশের পরেও তাকে গ্রেফতার করেনি রাজ্য পুলিশ। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। যার জাল বাংলাদেশ পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে। তাকে আগাম জামিন মঞ্জুর করলে তদন্তে প্রভাব পড়বে। ইডির ওপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে সিবিআই হেফাজতে রয়েছে শেখ শাহজাহান। বৃহস্পতিবার ফের তাকে আদালতে পেশ করবেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ ফুরোলেই শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: তৃণমূলের ১০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত, ইডির পদক্ষেপকে স্বাগত শুভেন্দুর

    TMC: তৃণমূলের ১০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত, ইডির পদক্ষেপকে স্বাগত শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যালকেমিস্ট মামলার তদন্তে নেমে তৃণমূলের (TMC) ১০ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি।  সোমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। ইডির (ED)দিল্লি আঞ্চলিক দফতর তৃণমূলের এই টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। ইডির টাকা ‘আটক’ করার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    ইডির বিবৃতি

    ইডি জানিয়েছে, চিটফান্ড সংস্থা অ্য়ালকেমিস্ট গ্রুপের আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্তে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকার একটি ডিমান্ড ড্রাফট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। তার ঠিক আগে অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে ইডির এই পদক্ষেপ স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা অস্বস্তি বাড়িয়েছে শাসক শিবিরের। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে প্রেস বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের থেকে ১৮০০ কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের অর্থ তুলেছিল অ্যালকেমিস্ট গ্রুপ। ওই সংস্থার মালিক রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কেডি সিং।  

    শুভেন্দুর বার্তা

    ডির দিল্লি অফিসের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি ইডি দিল্লি জোনাল অফিস কর্তৃক তৃণমূলের ১০.২৭ কোটি বাজেয়াপ্ত করাকে স্বাগত জানাচ্ছি। অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের সঙ্গে বেআইনি লেনদেনে জড়িত এই টাকা। তবে এটি হিমশৈলের চূড়ামাত্র। তবে ফাঁদটি যদি আরও শক্ত করা যায় তাহলে ১০ হাজার গুণ টাকা উদ্ধার হবে। ’

    এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অ্যালকেমিস্ট মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তলব করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই মামলায় প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ হিসাবেই অরূপকে তলব করা হয়েছে। তৃণমূলের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতে ডাকা হয়েছিল তাঁকে। ২০১৪ সালের ভোটের প্রচারে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে অরূপের কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share