Tag: ED

ED

  • Sheikh Shahjahan: মিলল না আগাম জামিন, শাহজাহানের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    Sheikh Shahjahan: মিলল না আগাম জামিন, শাহজাহানের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে সন্দেশালিকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। মঙ্গলবার তাঁর আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডির হাত থেকে রেহাই পেতে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন শেখ শাহজাহান। কিন্তু এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ইডির হেফাজতে অন্য এক অভিযুক্তের মারফত শাহজাহানের নাম উঠে এসেছে। বর্তমানে সেই ঘটনার তদন্ত চলছে। এই প্রেক্ষিতে আগাম জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। 

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। তাঁকে দফায় দফায় জেরা করে সন্দেশখালিতে হামলার দিনের ঘটনার বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মাঝে ইডির হাত থেকে রেহাই পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা। উল্লেখ্য, এর আগে বসিরহাটের পিএমএলএ কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া ওই নেতা। সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এদিন শাহজাহানের আইনজীবী সব্যসাচী ব্যানার্জী বলেন, “শাজাহানের বিরুদ্ধ সরাসরি কোনো অভিযোগ নেই । তাঁকে ইডি অফিসারদের হামলায় মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই ইডি কিসের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেবে? এই বক্তব্যকে খারিজ করে ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী আদালতে জানান, রেশন দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে শাহজাহানের নাম উঠে আসে। ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর মামলায় তাঁকে এখনও গ্রেফতার করেনি ইডি। 

    আরও পড়ুন: ‘অস্বস্তিকর প্রশ্ন করলেই এসএসসি চুপ থাকে’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের কটাক্ষ

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    দুপক্ষের সওয়াল জবাবের পর শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। ইডি জানায়, শাহজাহান প্রবল প্রভাবশালী। তাকে রক্ষা করতে উঠেপড়ে লেগেছিল রাজ্য সরকার। এমনকী আদালতের নির্দেশের পরেও তাকে গ্রেফতার করেনি রাজ্য পুলিশ। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। যার জাল বাংলাদেশ পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে। তাকে আগাম জামিন মঞ্জুর করলে তদন্তে প্রভাব পড়বে। ইডির ওপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে সিবিআই হেফাজতে রয়েছে শেখ শাহজাহান। বৃহস্পতিবার ফের তাকে আদালতে পেশ করবেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ ফুরোলেই শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: তৃণমূলের ১০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত, ইডির পদক্ষেপকে স্বাগত শুভেন্দুর

    TMC: তৃণমূলের ১০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত, ইডির পদক্ষেপকে স্বাগত শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যালকেমিস্ট মামলার তদন্তে নেমে তৃণমূলের (TMC) ১০ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি।  সোমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। ইডির (ED)দিল্লি আঞ্চলিক দফতর তৃণমূলের এই টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। ইডির টাকা ‘আটক’ করার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    ইডির বিবৃতি

    ইডি জানিয়েছে, চিটফান্ড সংস্থা অ্য়ালকেমিস্ট গ্রুপের আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্তে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকার একটি ডিমান্ড ড্রাফট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। তার ঠিক আগে অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে ইডির এই পদক্ষেপ স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা অস্বস্তি বাড়িয়েছে শাসক শিবিরের। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে প্রেস বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের থেকে ১৮০০ কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের অর্থ তুলেছিল অ্যালকেমিস্ট গ্রুপ। ওই সংস্থার মালিক রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কেডি সিং।  

    শুভেন্দুর বার্তা

    ডির দিল্লি অফিসের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি ইডি দিল্লি জোনাল অফিস কর্তৃক তৃণমূলের ১০.২৭ কোটি বাজেয়াপ্ত করাকে স্বাগত জানাচ্ছি। অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের সঙ্গে বেআইনি লেনদেনে জড়িত এই টাকা। তবে এটি হিমশৈলের চূড়ামাত্র। তবে ফাঁদটি যদি আরও শক্ত করা যায় তাহলে ১০ হাজার গুণ টাকা উদ্ধার হবে। ’

    এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অ্যালকেমিস্ট মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তলব করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই মামলায় প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ হিসাবেই অরূপকে তলব করা হয়েছে। তৃণমূলের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতে ডাকা হয়েছিল তাঁকে। ২০১৪ সালের ভোটের প্রচারে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে অরূপের কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনায় এবার সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেওয়ার আর্জি জানানো হল কলকাতা হাইকোর্টে। সিবিআই নাকি পুলিশ, কে দেবে নিরপত্তা? এব্যাপারে হাইকোর্ট ভরসা রাখল সিবিআই-এর ওপরেই। তাদেরই নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি দেখতে বলল হাইকোর্ট। শুনানির শুরুতেই পুলিশের ওপর সন্দেশখালির মহিলাদের ভরসা না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে উচ্চ আদালত। হাইকোর্ট এদিন প্রশ্ন তোলে, ‘‘রাজ্য পুলিশে আস্থা নেই সন্দেশখালির মহিলাদের। তাহলে তাঁদের নিরাপত্তা কে দেবে?’’ এছাড়াও মামলা বর্তমানে সিবিআইয়ের হাতে, তাই এই মামলার সঙ্গে জড়িত সাক্ষীদের নিরাপত্তার দিকটিও সিবিআইয়ের-ই দেখা উচিত বলেই মনে করেছে কোর্ট। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    সিবিআই দেবে নিরাপত্তা

    কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবারই জানিয়েছে, বিশেষত যাঁরা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) থাকেন, তাঁদের জীবন-জীবিকার নিরাপত্তার প্রয়োজন। যেহেতু সিবিআইয়ের হাতে এখন তদন্ত হস্তান্তর করা হয়েছে, তাই সিবিআইকেই এই মামলায় যাঁরা সাক্ষী হিসাবে কোনও বয়ান দিয়েছেন বা কথা বলেছেন, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে নির্দিষ্ট আইন ও নির্দেশিকা মেনে।

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    এদিন আদালতে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল জানিয়েছেন, সন্দেশখালির (Sandeshkhali)  প্রায় ৮০ জন আক্রান্ত মহিলা বয়ান দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে লিখিত আবেদন জমা করার নির্দেশ দেন। আদালতবান্ধব জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে।  কিন্তু বিডিও কীভাবে সেই জমি ফেরত দিচ্ছেন?’’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে শুরু করে জমি কেড়ে নেওয়া সংক্রান্ত যে সমস্ত অভিযোগ আসছে সমস্ত কিছু শোনা হবে। কিন্তু তার আগে সব পক্ষকে তাদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জানাতে হবে।’’ জানা গিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি  ৪ এপ্রিল। এদিন ইডির কৌঁসুলি হাইকোর্টে জানান, রাজ্যকে অনুরোধ করা হচ্ছে বাকি এফআইআর তাদের হস্তান্তর করা হোক। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এখন সন্দেশখালিতে কেউ না গেলেই ভালো হবে।’’

     

    আরও পড়ুুন: “আরও ১০ বছরও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদি”, সাফ জানালেন শাহ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raids: পার্থ ঘনিষ্ঠ পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়ি সহ শহরের ৩ জায়গায় হানা ইডির, এবার কোন মামলায়?

    ED Raids: পার্থ ঘনিষ্ঠ পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়ি সহ শহরের ৩ জায়গায় হানা ইডির, এবার কোন মামলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকাল থেকে ইডি হানা (ED Raids) চলছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলায়। এদিন পার্থ ঘনিষ্ঠ এক পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়িতেও হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এদিন ইডি আধিকারিকরা পৌঁছে যান রাজারহাটের কাশীনাথপুরের চন্দন চট্টোপাধ্যায় নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে। সেখানে শুরু হয়েছে তল্লাশি (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ জায়গায় তল্লাশি চলছে)। প্রসঙ্গত বলে রাখা প্রয়োজন, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা, সিবিআই এবং ইডি।

    রাজারহাটে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা

    জানা গিয়েছে, রাজারহাটে যাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি (ED Raids), সেই চন্দন চট্টোপাধ্যায় জমি বাড়ির দালালি সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে এদিন মহিলা জওয়ানদেরও দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে চন্দন চট্টোপাধ্যায় কোনও যোগাযোগ থাকতে পারে জেনেই এই তল্লাশি চলছে।

    আরও পড়ুন: ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদি সরকার, রাজ্যের সঙ্গে ফারাক বেড়ে ৪০ শতাংশ

    নাগেরবাজারে চলছে তল্লাশি

    এর পাশাপাশি, তল্লাশি অভিযান চলছে নাগেরবাজারের ডায়মন্ড সিটি নর্থের একটি ফ্ল্যাটে। সেখানে কমল আগরওয়াল নামের এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, যাঁর বাড়িতে তল্লাশি (ED Raids) চালানো হচ্ছে, তিনি অনেক দিন আগেই কমপ্লেক্স ছেড়ে চলে গিয়েছেন।

    পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়িতে হানা ইডির 

    নিউটাউনের পাথরঘাটা এলাকায় আবদুল আমিন নামের এক পার্শ্বশিক্ষকের বাড়িতেও এদিন সকালে হানা দিয়েছেন ইডির পাঁচ আধিকারিক। সূত্রের খবর, এই শিক্ষক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। ইডির (ED Raids) পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে, রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    আরও পড়ুন: চাকরির টোপ দিয়ে ‘মানব’ পাচার রাশিয়ায়, চক্রের খোঁজে ভারতজুড়ে সিবিআই তল্লাশি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ৫৬০ ভরি! কেষ্টর কালীপ্রতিমার গয়না রাখা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকারে ইডির তল্লাশি

    Anubrata Mondal: ৫৬০ ভরি! কেষ্টর কালীপ্রতিমার গয়না রাখা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকারে ইডির তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্কের লকারে রাখা রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের  (Anubrata Mondal) কালীপ্রতিমার গয়না। বীরভূমের (Birbhum) বোলপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত সেই ব্যাঙ্কে চলছে ইডির তল্লাশি। ২০২১ সালে সোনার মুকুট, কানের দুল, গলার হার মিলিয়ে ৫৬০ ভরি সোনার গয়না দিয়ে মা কালীকে সাজানো হয়েছিল। এই গয়নার আনুমানিক মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা। উল্লেখ্য এই সোনার অলঙ্কারে কালীপুজো হতো বেশ ধুমধাম করে। বর্তমানে কেষ্ট মণ্ডল গরু পাচার মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা আজ ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে তাল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    তল্লাশিতে উদ্ধার গহনা (Anubrata Mondal)

    ঠিক দুপুর ১২ টার সময় বোলপুরের (Birbhum) একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির অফিসারেরা গাড়ি নিয়ে হাজির হন। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে গোটা ব্যাঙ্ককে ঘিরে ফেলা হয়। এরপর ব্যাঙ্কের ভিতরে প্রবেশ করেন ইডির ৫ জন অফিসার। বোলপুর তৃণমূল পার্টি অফিসের ভিতরে পুজো হত এই কালীপ্রতিমার। এই পুজো কেষ্ট মণ্ডলের পুজো এবং প্রতিমার গায়ে থাকত এই বিপুল পরিমাণের গয়না। এই গয়নাকে পুজোর পর রাখা হত ব্যাঙ্কের লকারে। ফলে এই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্যই তল্লাশি অভিযান চালায় তদন্তকারী অফিসারেরা। ব্যাঙ্ক থেকে একাধিক কাজপত্র এবং নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    ২০১১ সাল থেকে

    ১৯৮৮ থেকে এই কালীপুজো শুরু হলেও কার্যত ২০১১ সালের পর থেকেই এই পুজোর জাঁকজমক বৃদ্ধি পায়। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুজোর ব্যাপক আয়োজন বৃদ্ধি পায়। সবটার নেতৃত্বে থাকতেন বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ২০২০ সালে এই পুজোর প্রতিমাকে ৩০০ ভরির সোনার গয়না দিয়ে সাজানো হয়েছিল। ২০২১ সালে সোনার মুকুট, বাউটি, বাজুবন্ধন, কানের দুল, গালার হার, হাতের আংটি, কোমরের বিছে মিলিয়ে প্রায় ৫৬০ ভরির গয়না দিয়ে সাজিয়ে ছিলেন এই তৃণমূল নেতা। এই গয়নার বাজার মূল্য প্রায় কয়েক কোটি টাকা। ফলে সম্পত্তির উৎস ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য সন্ধান করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। তবে অনুব্রতর গ্রেফতারের পর থেকেই পুজোতে ভাটা দেখা দেয়। সোনার গয়নার বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে ইমিটেশনের গয়না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Distribution Case: হাওয়ালার মাধ্যমে ৭৫০ কোটি টাকা পাচার করেছিলেন তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয়!

    Ration Distribution Case: হাওয়ালার মাধ্যমে ৭৫০ কোটি টাকা পাচার করেছিলেন তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওয়ালার মাধ্যমে ৭৫০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই বিপুল পরিমাণ টাকারই ০.৫ শতাংশ পেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা তথা বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় প্রথম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে (Ration Distribution Case) এমনই জানিয়েছে ইডি।

    সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট ইডির (Ration Distribution Case)

    মঙ্গলবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে এই চার্জশিট জমা দেয় ইডি। তাতেই নাম রয়েছে শঙ্করের। রয়েছে তাঁর কোম্পানির নামও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির দাবি, জ্যোতিপ্রিয়র বিপুল পরিমাণ টাকা, বিদেশি মুদ্রায় রূপান্তরিত করে শঙ্কর ০.৫ শতাংশ করে কমিশন পেয়েছেন। সেখান থেকেই কোটি টাকা রোজগার করেছেন তিনি। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Ration Distribution Case) ৫ জানুয়ারি শঙ্করের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। ওই রাতেই গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের এই নেতাকে। এই গ্রেফতারির দু’ মাসের মাথায় এদিন দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ করল ইডি।

    কী রয়েছে চার্জশিটে?

    চার্জশিটটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ৮৩। তাতে শঙ্করের পাশাপাশি রয়েছে তাঁর চারটি কোম্পানির উল্লেখও। চার্জশিটে বলা হয়েছে, রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর টাকা বিদেশি মুদ্রায় রূপান্তরিত করতে সাহায্য করেছেন শঙ্কর। তার বদলে পেয়েছেন কমিশন। জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে যে শঙ্করের যোগাযোগ ছিল, তা প্রথম থেকেই দাবি করেছিল ইডি। হাসপাতাল থেকে মেয়েকে লেখা জ্যোতিপ্রিয়র চিঠিতেও শঙ্করের উল্লেখ ছিল বলেও দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

    আরও পড়ুুন: “হিংসামুক্ত নির্বাচন করতে হবে”, রাজ্যকে নির্দেশ রাজীব কুমারের

    এদিন ইডি যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ২০১১ সাল (এই বছরই ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল) থেকে ২০২২ সালের মধ্যে হাওয়ালার মাধ্যমে সাড়ে সাতশো কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। কমিশন বাবদ তারই ০.৫ শতাংশ পেয়েছিলেন শঙ্কর। ইডির অভিযোগ, বিদেশে শঙ্কর লেনদেন করেছেন ২০ হাজার কোটি টাকা। এই টাকার মধ্যে অন্তত ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা জ্যোতিপ্রিয়র।

    প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Ration Distribution Case) মামলায় ইডি প্রথম চার্জশিট পেশ করে গত ১২ ডিসেম্বর। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তবে তদন্তে সেই টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেও দাবি করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার চার্জশিটে জানা গেল বিদেশে পাচার হওয়ার টাকার পরিমাণ ৭৫০ কোটি টাকা (Ration Distribution Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali Incident: শাহজাহানের সঙ্গে সম্পর্ক! সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তম-শিবুকে জেরা করতে চায় ইডি

    Sandeshkhali Incident: শাহজাহানের সঙ্গে সম্পর্ক! সন্দেশখালিকাণ্ডে উত্তম-শিবুকে জেরা করতে চায় ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি-কাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাকে জেরা করতে চায় ইডি। এলাকায় শাহজাহানের ‘ডান হাত’ হিসাবেও পরিচিত ছিলেন উত্তম ও শিবু। তাঁদের বিরুদ্ধেও জমি হাতিয়ে নেওয়া থেকে নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন অভিযোগে সরব হয়েছিলেন  সন্দেশখালির বাসিন্দারা। উত্তম ও শিবুর কোটি টাকার সম্পত্তির আভাসও পেয়েছে ইডি। 

    ইডির সন্দেহ

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে ধৃত উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে দিল্লির ইডি সদর দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যের অফিসাররা। লিগ্যাল সেলের সঙ্গেও আলোচনা করছেন ইডি আধিকারিকরা। আলোচনা করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের সঙ্গেও । ইডির দাবি, উত্তম সর্দার এবং শিবুর হাজরার সম্পত্তির খতিয়ানের তথ্য যাচাই করার পর রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে পেতে তাদের সুবিধা হবে। উত্তম ও শিবু দুজনেই শেখ শাহজাহানের কতটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন, সেই তথ‌্যও সংগ্রহ করতে চায় তদন্তকারীরা। 

    আরও পড়ুন: “দারুন বলেছেন”, মুইজ্জুর উদ্দেশে করা জয়শঙ্করের মন্তব্যের প্রশংসায় বিগ বি

    শাহজাহান যোগ

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরাসরি মামলা দায়ের করেছে ইডি। সেই সূত্র ধরে, শাহজাহানের টাকার লেনদেনের খোঁজে তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি ও অফিসে ইডি তল্লাশিও চালিয়েছে ৷ একইসঙ্গে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাট থানায় হওয়া মোট চারটি মামলা বর্তমানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের নজরে আছে। ইডির সন্দেহ, শাহজাহান বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এমনকী, ভুয়ো সংস্থার মাধ‌্যমেও একাধিক দুর্নীতির টাকা পাচার করেছেন। ইডির বিশ্বাস,  শাহজাহানের নামে ও বেনামে বিভিন্ন ব‌্যবসা এবং টাকা লেনদেনের তথ‌্যও জানে তাঁর দুই সঙ্গী উত্তম ও শিবু।  ইতিমধ্যেই শেখ শাহজাহানের তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। ভবানী ভবনে তদন্তকারীরা ধৃত তৃণমূল নেতাকে দফায় দফায় জেরা করছে। আর সেই জেরার মুখে প্রাথমিকভাবে ঔদ্ধত্য দেখালেও ধীরে ধীরে ভোলবদলাতে শুরু করেছেন সন্দেশখালির ‘বাঘ’! তদন্তে সহযোগিতা করছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahadev Online Betting App: মহাদেব অনলাইন বেটিং মামলায় ৫৮০ কোটি টাকা ‘ফ্রিজ’ করল ইডি

    Mahadev Online Betting App: মহাদেব অনলাইন বেটিং মামলায় ৫৮০ কোটি টাকা ‘ফ্রিজ’ করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাদেব অনলাইন বেটিং অ্যাপ (Mahadev Online Betting App) মামলায় বেআইনিভাবে আয় করা ৫৮০ কোটি টাকা ফ্রিজ করল ইডি। এছাড়াও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তল্লাশি অভিযানের মাধ্যমে ১.৮৬ কোটি টাকা এবং ১.৭৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই বেটিং সংস্থার বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযানে নামে। দিল্লি, কলকাতা, রায়পুর, ইন্দোর ও গুরুগ্রামে এই অভিযান চালানো হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বেটিং অ্যাপের মাধ্যমে অন্তত ৬ হাজার কোটি টাকা বেআইনিভাবে আয় করেছে এই সংস্থা। বিপুল অঙ্কের টাকা হাওলার মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা। বেটিং অ্য়াপের (Mahadev Online Betting App) মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার কাজও চলত বলে জানতে পেরেছেন ইডির গোয়েন্দারা।

    আরও ২টি বেটিং অ্যাপ চালাত এই সংস্থা 

    জানা গিয়েছে, এই বেটিং সংস্থার তরফ থেকে ‘রেডি আন্না’ এবং ‘ফেয়ার প্লে’- এর মতো অন্যান্য অনলাইন বেটিং-ও চালানো হতো। ইডি আধিকারিকরা তদন্তে জানতে পেরেছেন, কলকাতার বাসিন্দা হরিশঙ্কর টিবরেওয়াল নামের একজন বর্তমানে দুবাইয়ে থাকেন। যিনি মহাদেব বেটিং অ্যাপের বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। টাকা পাচারে তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখছে ইডি। অনলাইন বেটিং অ্যাপের (Mahadev Online Betting App) এই মামলাতে ইতিপূর্বেই অসীম দাস, ভীম সিং যাদব, চন্দ্রভূষণ বর্মা, অনিল কুমার আগরওয়াল প্রমুখ ব্যক্তিদের ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে ইডি।

    বলিউড যোগ?

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই মামলায় ছত্তিশগড়ের একাধিক রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি আমলার যোগ রয়েছে। ইডির দাবি, এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ছত্তিশগড় ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, মুম্বই ও দিল্লির ১৫ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। মহাদেব বেটিং অ্যাপ (Mahadev Online Betting App) মামলায় বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতা ও বলিউড অভিনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ইডি অফিসে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী! কোন পথে এগোচ্ছে তদন্ত?

    Sheikh Shahjahan: ইডি অফিসে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী! কোন পথে এগোচ্ছে তদন্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহাজাহান। গত ৫ জানুয়ারি তাঁকে ধরতে গিয়েই আক্রান্ত হয় ইডি। সে থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। টানা ৫৫ দিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন শাহজাহান। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও ইডির দাবি, তথ্য লোপাটের চেষ্টা করা হবে। এমনকী শাহজাহানকে আড়াল করবে রাজ্য পুলিশ। তাই দ্রুত শাহজাহানকে ঘিরতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চলছে তারই প্রস্তুতি। এরইমধ্যে ইডি ডেকে পাঠিয়েছে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্ত,  অরূপ সোমকে।

    অরূপ সোমকে তলব

    শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হতেই তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী অরূপ সোমকে ডেকে পাঠাল এনফোরেসমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইডি’র সমন পেলেন তিনি। অনুমান, শাহজাহানের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতেই এই তলব। চলতি সপ্তাহেই অরূপের দক্ষিণ কলকাতার বিজয়গড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের চিংড়ি মাছের ব্যবসা সংক্রান্ত মামলায় তলব করা হয়েছে ব্যবসায়ীকে। এই ব্যবসায়ী শাহজাহানের থেকে চিংড়ি মাছ নিয়ে অন্যান্য কোম্পানিদের বিক্রি করত বলে জানা গিয়েছে। এই কোম্পানির সঙ্গেই শেখ শাহজাহানের ব্যবসায়িক যোগাযোগ ছিল। তদন্তকারীরা মনে করছেন যে, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে যেহেতু শেখ শাহজাহান ওতপ্রোতভাবে যুক্ত, ফলে তাঁর অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি কালো টাকা আসত ৷ সেই কালো টাকা অরূপ সোমের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হত মাছের ব্যবসার নামে। ফলে কতবার কত কোটি টাকা তাঁদের মধ্যে লেনদেন হয়েছে, সেই সমস্ত বিশদে জানার জন্যই ফের অরূপ সোমকে ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    আরও পড়ুন: ইডি থেকে বাঁচতেই কি ইডি’র ওপর হামলার দায় স্বীকার শাহজাহানের?

    অরুণ সেনগুপ্তকে জেরা

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠ বিরাটির ব্যবসায়ী অরুণ সেনগুপ্তও হাজির হলেন ইডির দফতরে। সোমবারই তাঁর মেয়ে এসেছিলেন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে। সূত্রের খবর, বেশ কিছু নথি নিয়ে সোমবার তদন্তকারী সংস্থার দফতরে যান অরুণ-কন্যা। এরপরই এদিন যান অরুণ নিজে। আমদানি-রফতানির সংস্থা রয়েছে তাঁরও। চিংড়ি মাছের আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত কাজ করে তাঁর সংস্থা। শেখ শাহজাহান সম্পর্কে দ্বিতীয় যে ইসিআইআর হয়েছে, মূলত তা অরুণ সেনগুপ্তের সংস্থার একটি পুরনো এফআইআরের ভিত্তিতে। অরুণ সেনগুপ্ত সি ফুড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনেরও সদস্য। ইডি সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহানের সঙ্গে অরুণ সেনগুপ্তের সংস্থার লেনদেন সংক্রান্ত যোগ ছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shahjahan Sheikh: পুলিশি হেফাজতে শাহজাহান, তথ্য লোপাটের আশঙ্কায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ ইডি

    Shahjahan Sheikh: পুলিশি হেফাজতে শাহজাহান, তথ্য লোপাটের আশঙ্কায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে (Shahjahan Sheikh) ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আশঙ্কা, এর জেরে রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় যে তদন্ত ইডি করছে, তার অনেক তথ্য ও নথি নষ্ট হতে পারে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ইডি। ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী বলেন, “রাজ্য পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। তাই ইডি যে মামলার তদন্ত করছে, তার অনেক তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করে দেওয়া হতে পারে।”

    শাহজাহানের পুলিশি হেফাজত

    টানা ৫৫ দিন লুকিয়ে থাকার পরে বৃহস্পতিবার কাকভোরে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এদিন তোলা হয় আদালতে। তাঁকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন করে পুলিশ। যদিও আদালত তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আদালতে জমা দেওয়া নথিতে শাহজাহানকে (Shahjahan Sheikh) অত্যন্ত প্রভাবশালী বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ। তাঁকে জামিন দিলে সন্দেশখালি ও ন্যাজাট থানা এলাকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের। এদিনই শাহজাহানকে কলকাতার ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের সদর দফতরে নিয়ে আসে পুলিশ।

    দ্রুত শুনানি হোক

    সিট গঠন সক্রান্ত যে মামলা ছিল, এদিন মূলত তা নিয়েই আদালতে হাজির হন ইডির কর্তারা। তাঁরা চান, দ্রুত শুনানি হোক মামলাটির। প্রধান বিচারপতির কাছে এ নিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে ইডির তরফে। এদিন ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে চিঠি দিয়ে বলেন, “সিট গঠন সংক্রান্ত ডিভিশন বেঞ্চের মামলাটি ৬ মার্চ শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: “এটা গ্রেফতার নয়, মিউচুয়াল অ্যাডজাস্টমেন্ট”, শাহজাহান প্রসঙ্গে তোপ শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্য পুলিশকে নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশের ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই তদন্তে রাজ্য পুলিশকে নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছিল। ইডি এর বিরোধিতা করেছিল। ইডির আধিকারিকদের ওপর হামলার পরে পরেই গা ঢাকা দেন শাহজাহান। তখনই তথ্য লোপাটের আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তৃণমূলের এই অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতার পুলিশি হেফজত হওয়ায় আরও একবার তথ্য ও নথি লোপাটের আশঙ্কা করল ইডি (Shahjahan Sheikh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share