Tag: ED

ED

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির ‘সেতু’ প্রসন্নর ২০০টি অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৭০ কোটি টাকা! আদালতে দাবি ইডির

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির ‘সেতু’ প্রসন্নর ২০০টি অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৭০ কোটি টাকা! আদালতে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ ‘দুর্নীতি’তে (SSC Scam) ধৃত প্রসন্ন রায়ের ২০০টিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৭০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। আদালতে বিস্ফোরক দাবি ইডির। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রসন্নকে গ্রেফতার করে ইডি। বুধবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে প্রসন্নের মামলার শুনানি ছিল। আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে একেবারে মিডলম্যান হিসাবে কাজ করতেন প্রসন্ন। এদিন আগামী সোমবার পর্যন্ত প্রসন্নকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।

    আদালতে ইডির দাবি

    আদালতে ইডি লিখিত আকারে জানিয়েছে, প্রসন্নর নামে ১০০টির বেশি সংস্থা রয়েছে। তিনি একাই ২০০টির বেশি অ্যাকাউন্টের মালিক অথবা নিয়ন্ত্রক। প্রসন্ন বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছেন বলেও দাবি করেছে ইডি। তারা জানিয়েছে, ওই সমস্ত সম্পত্তি কেনা হয়েছে অত্যন্ত কম দামে। অভিযোগ, এ ভাবে ‘দুর্নীতি’র টাকা কাজে লাগিয়েছেন প্রসন্ন। ইডির দাবি, গ্রেফতারের পর প্রসন্নকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং সংশ্লিষ্ট তদন্তের মাধ্যমে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ইডি আরও জানিয়েছে, যে সময়ের মধ্যে এসএসসি নিয়োগে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ উঠেছে, সেই সময়ে প্রসন্নর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে অন্তত ৭০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। প্রসন্নই সেই লেনদেন সম্পর্কে জেরার মুখে ইডিকে জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘মমতার পুলিশের সেফ কাস্টডিতে শাহজাহান’’, বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    প্রসন্নর ইডি হেফাজত

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রসন্ন রায়ের ছক কাজে লাগানো হয়েছিল। ইডি অফিসাররা তদন্ত করে জানতে পারেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসপি সিনহা, জীবনকৃষ্ণ সাহা–সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তাব্যক্তির ঘনিষ্ঠ লোক ছিলেন প্রসন্ন রায়। আগে সিবিআইয়ের চার্জশিটে বলা হয়েছিল, যারা অর্থের বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে, তারা এই প্রসন্ন রায়ের হাতেই টাকা দিয়েছে। সেই টাকা এই দুর্নীতির রাঘব বোয়ালদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন প্রসন্ন রায়। কেন্দ্রীয় সংস্থা আদালতে জানায়, এই ‘দুর্নীতি’র শিকড় পর্যন্ত পৌঁছতে প্রসন্ন নিয়ন্ত্রিত সমস্ত সংস্থা নিয়ে বিশদে তদন্ত প্রয়োজন। তাই তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। এর পরেই প্রসন্ন রায়ের ইডি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশে ইডির হেফাজতে থাকবে প্রসন্ন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: আবগারি মামলায় ফের কেজরিওয়ালকে তলব ইডির, এই নিয়ে সাতবার

    Arvind Kejriwal: আবগারি মামলায় ফের কেজরিওয়ালকে তলব ইডির, এই নিয়ে সাতবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ফের তলব করল ইডি।  এ নিয়ে সপ্তমবার সমন জারি করা হল। আগে প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন আপ প্রধান। এবার আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি হাজিরা দেওয়ার জন্য দিল্লি মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠতম সমন পাঠিয়ে গত ১৯ তারিখ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু আগের পাঁচবারের মতো সেবারও কেজরিওয়াল তলবে সাড়া দেননি। 

    আপ-এর বক্তব্য

    আম আদমি পার্টির তরফে দাবি করা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে তিনি যাতে প্রচার করতে না পারেন তার চেষ্টাই করা হচ্ছে। কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করার উদ্দেশ্য নিয়েই এই সমন। কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে পঞ্চম সমন পাঠানোর পর ইডি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। এরপর দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে সশরীরে হাজিরা দিয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করতে বলেছিলেন বিচারক। গত শনিবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। ওই দিন আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিয়ে সশীরের হাজিরার জন্য অন্য এক দিন ধার্য করার আবেদন করেছিলেন অরবিন্দ। আপ সুপ্রিমোর সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়। আগামী ১৬ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য হয়েছে। তারই মধ্যে ফের তলব করা হল কেজরিওয়ালকে।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিই হোক পাখির চোখ, তাই কি বাতিল শাহি সফর?

    প্রায় দু’বছর হতে চলল দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া মদ দুর্নীতির মামলায় জেলে রয়েছেন। বিগত কয়েক মাস ধরে জেলবন্দি আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংও। ওই একই মামলায় এবার তলব খোদ কেজরিওয়ালকে। তবে, হাজিরা সংক্রান্ত মামলা আদালতে বিচারাধীন। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার আগে কীভাবে ইডি সমন জারি করে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আপ। প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে প্রথম সমন পাঠানো হয়েছিল গত ২ নভেম্বর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • SSC Recruitment Case: এসএসসিতে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রসন্ন!

    SSC Recruitment Case: এসএসসিতে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন প্রসন্ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC Recruitment Case) গ্রেফতার হয়েছেন প্রসন্ন রায়। তিনি একাই ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে। শিক্ষা দফতরের আধিকারিক ও অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজটি করতেন তিনিই। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় মঙ্গলবার আদালতে এমনই দাবি করল ইডি। প্রসন্ন ও তাঁর পরিচিতদের ৯০টি সংস্থা রয়েছে বলেও দাবি ইডির।

    গ্রেফতার প্রসন্ন

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় প্রসন্নকে। এর আগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। মুক্তি পেয়েছিলেন জামিনে। এদিন রাতে ফের হলেন গ্রেফতার। এবার অবশ্য ইডির হাতে। মঙ্গলবার তাঁকে তোলা হয় নগর দায়রা আদালতে। সেখানেই ইডির দাবি, প্রসন্ন শিক্ষা দফতরের আধিকারিক ও অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে সেতু বন্ধনের কাজ করতেন। অযোগ্য প্রার্থীদের (SSC Recruitment Case) কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিতেন। ওএমআর শিটে কারচুপিও করতেন বলে দাবি ইডির।

    ওএমআর শিটে কারচুপি

    আদালতে ইডি জানিয়েছে, কেলেঙ্কারি থেকে ১০০ কোটি টাকা তুলেছেন প্রসন্ন। মোট ২ হাজার ৮১জনকে অবৈধভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে নবম-দশমের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ১ হাজার ১৩৫জনকে। আর একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ৯৪৬জনকে। অনেক চাকরিপ্রার্থীর ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। ইডি আরও জেনেছে, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ১৮৩জনকে। ইডির দাবি, এই অবৈধ নিয়োগের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন প্রসন্ন। তাঁর অফিস থেকে ৩৯০টি দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৬-২০২১ সালের মধ্যে প্রচুর টাকার সম্পত্তি কিনেছেন প্রসন্নর পরিবার। তাঁর সংস্থার নামেও কেনা হয়েছে সম্পত্তি। কারচুপি করা হয়েছে সম্পত্তির দামেও। ইডি জানিয়েছে, প্রসন্নর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে ২০০টি। সেগুলিতেও জমা করা হয়েছে প্রচুর নগদ টাকা।

    আরও পড়ুুন: ৩৬ কোটি বরাদ্দ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জন্য, ভার্চুয়াল শিলান্যাস করলেন মোদি

    প্রসন্নর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিংহের ঘনিষ্ঠ। তিনি একজন মিডলম্যান। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তাঁর। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে প্রসন্নকে সাত দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি (SSC Recruitment Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে মমতা-পুলিশ রক্ষা করছে বলে এবার সন্দেহ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলায় এই মন্তব্য করতে শোনা যায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। বিচারপতি বলেন, ‘‘এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না আমরা জানি না। তবে মনে হচ্ছে, হয় রাজ্য পুলিশ তাঁকে রক্ষা করছে, না হলে তিনি পুলিশের আওতার বাইরে চলে গিয়েছেন।’’

    শাহজাহানকে নিয়ে কেন্দ্র করে এত সমস্যা!

    প্রধান বিচারপতি পলাতক শাহজাহানকে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এসে আত্মসমর্পণ করার কথা বলতে পারেন বলেও জানিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির নিজের ভাষায়, ‘‘শেখ শাহজাহানকে আমরা এই কোর্টে আসতে বলতে পারি। ইডি, সিবিআই এবং পুলিশ সবাই থাকবে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় তাঁকে আমরা এখানে আত্মসমর্পণ করতে বলতে পারি। এত দিন ধরে ওই ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে এত সমস্যা। শাহজাহান প্রকাশ্যে এসে তো বলতে পারেন, এই সব অভিযোগ সঠিক নয়। কারও জমি নেওয়া হয়নি। তা না করে ওই ব্যক্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদি তিনি পালিয়ে বেড়ান, তবে স্বাভাবিক ভাবে সমস্যা আরও বাড়বে। তাঁর সমর্থকেরাই সমস্যা তৈরি করতে পারে।’’

    মূল মাস্টারমাইন্ড শাহজাহান 

    এদিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) মন্তব্যে সন্দেশখালির মূল মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উঠে এসেছে শাহজাহানের নাম। শাহজাহানকে কটাক্ষ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এক জন ব্যক্তি পুরো সমস্যার জন্য দায়ী। অথচ তিনি কিনা জনপ্রতিনিধি! মানুষ তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করেছেন। যেখানে জনগণের স্বার্থে ওই ব্যক্তির কাজ করা উচিত, সেখানে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, তিনি জনগণের ক্ষতিই করেছেন।’’

    পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ

    সন্দেশখালি ইস্যুতে পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) এবং তিনি বলেন, ‘‘মামলা দায়ের হয়েছে, অথচ রাজ্য পুলিশ তাঁকে (শাহজাহানকে) ধরতে পারছে না। তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ১৮ দিনের বেশি হয়ে গেল কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না আমরা জানি না। কিন্তু তাঁকে সমর্থন করা উচিত নয় রাজ্যের।’’

    মামলায় যুক্ত করা হল ইডি-সিবিআইকে

    পাশাপাশি, এ দিনই প্রধান বিচারপতি সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলায় যুক্ত করেন ইডি এবং সিবিআইকে। প্রসঙ্গত, মহিলাদের উপর অত্যাচার এবং জমি দখল করে নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সেখানে। এবিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছেন বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়। ওই মামলা এবার থেকে শুনবেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)। আগামী সপ্তাহের সোমবারে এই মামলার শুনানি হবে। সেদিন মামলার সব পক্ষকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

    সন্দেশখালি প্রেক্ষাপট

    গত ৫ জানুয়ারি থেকে শাহজাহানের খোঁজ চলছে তবে এখনও তিনি বেপাত্তা রয়েছেন। ৫ জানুয়ারি সকালে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যান ইডির আধিকারিকরা। সেখানে ৮০ থেকে ১০০ জনের উন্মত্ত জনতা গাড়ি ভাঙচুর করে তাঁদের। মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয় ইডি অফিসারদের। এই ঘটনায় আবার ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় ন্যাজাট থানায়। সেখানে শাহজাহানের বাড়ির কেয়ারটেকারের অভিযোগের ভিত্তিতে সেই অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। এরপরেই সেখানে শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দার নামের শাহজাহানের দুই শাগরেদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সন্দেশখালির মানুষজন। হাজার হাজার মহিলা রাস্তায় নামেন তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্য রাজনীতিতে সন্দেশখালি নিয়ে জোর চর্চা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: মমতার জেলা সফরের পরদিনই অনুব্রতর পার্টি অফিসে হানা দিল ইডি

    ED: মমতার জেলা সফরের পরদিনই অনুব্রতর পার্টি অফিসে হানা দিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় বীরভূমের “বেতাজ বাদশা” অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে রয়েছেন। সোমবার বিকেলে তাঁর খাসতালুক বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় ইডি (ED) আধিকারিকরা হানা দেন। অনুব্রত মণ্ডল যে দলীয় কার্যালয়ে বসতেন, সেখানে হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। রবিবার বীরভূমের সিউড়ি থেকে অনুব্রতের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পরদিনই কেষ্ট গড়ে হানা দিল ইডি। যা নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    তৃণমূল কার্যালয়ের আগে ভূমি দফতরে ইডি (ED)

    তৃণমূল কার্যালয়ে যাওয়ার তার আগে ইডির (ED) তিন আধিকারিক বোলপুর মহকুমা ভূমি সংস্কার দফতরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা বিএলআরও-র সঙ্গে কথা বলেন। একটি সূত্রে খবর, অফিসে বসে কেষ্ট মণ্ডলের তৃণমূল কার্যালয় যে জমির উপর তৈরি তার কাগজপত্র দেখেন। আশপাশের জায়গার হিসাব নেন। কার্যালয়ের আশপাশের দোকানগুলি সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন তাঁরা। বস্তুত, অনুব্রত গরুপাচার মামলায় গ্রেফতারের আগে তাঁর বাড়ির কাছে ঝাঁ চকচকে দলীয় কার্যালয় তৈরিতে খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। যা নিয়ে জেলা জুড়ে চর্চা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রতি বছর ওই কার্যালয়ে জাঁকজমকভাবে কালী পুজো করতেন কেষ্ট। ওই কার্যালয়ে কালীপুজোর সময় মূর্তিতে যে সোনার গয়না পরানো হয়, সে নিয়েও চর্চা ছিল জেলা জুড়ে। এত গয়নার টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিন ইডি আধিকারিকরা সেই কার্যালয়ে হানা দিতেই নতুন করে ফের চর্চা শুরু হয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এদিন বিকেলে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে ইডির (ED) একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। আধিকারিকেরা গাড়ি থেকে নেমেই কার্যালয়ের মাপজোক শুরু করে দেন। ওই কার্যালয়ের বিল্ডিংয়ে বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। আশপাশের দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কার্যালয় যে বিল্ডিংয়ে সেখানে দোকান ভাড়া নেওয়ার সময় কার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছিলেন, কে ভাড়া দিয়েছিলেন এবং ভাড়ার টাকা কাকে দিতে হয়, সব বিষয় নিয়ে ইডি আধিকারিকরা কথা বলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: রেশন দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ ঢাকার কাপড়ের দোকানে! ধৃত বিশ্বজিতের ইডি হেফাজত

    Ration Scam: রেশন দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ ঢাকার কাপড়ের দোকানে! ধৃত বিশ্বজিতের ইডি হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) গ্রেফতার হওয়া বিশ্বজিৎ দাসকে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।  শুক্রবার এই নির্দেশ দেন বিশেষ ইডি আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক শুভেন্দু সাহা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার শংকর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের কলকাতার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি৷ এর পর বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করেন ইডির আধিকারিকরা। গ্রেফতারির আগের মুহূর্তে বিশ্বজিৎ বাংলাদেশে ছিলেন বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। ফেরেন মঙ্গলবারই। বিমানবন্দরে তাঁকে পাকড়াও করে ইডি। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্রে কাপড়ের ব্যবসায় বিশাল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগও করেছেন রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) ধৃত বিশ্বজিৎ দাস, এমনটাই দাবি গোয়েন্দাদের৷ 

    বিশ্বজিৎকে জেরা করে কী জানতে পারলেন গোয়েন্দারা?

    বিশ্বজিৎকে জেরা করে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ঢাকায় বিশ্বজিতের একটি বড় কাপড়ের দোকান রয়েছে৷ এখানেই জোরালো হচ্ছে হাওয়ালার মাধ্য়মে (Ration Scam) দুর্নীতির টাকা বাংলাদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে বিশ্বজিতের ভূমিকা। তদন্তকারীদের দাবি, শুধু দুবাইতে নয়, বাংলাদেশে কাপড়ের ব্যবসার মাধ্যমেও রেশন দুর্নীতির টাকা পাচার হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসেই রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হন বনগার তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য৷ তাঁকে জেরা করেই বিশ্বজিতের নাম পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা৷

    টাকা পাচারের মাস্টারমাইন্ড বিশ্বজিৎ

    ইডির দাবি, বিশ্বজিৎ দাসই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের (Ration Scam) বিপুল টাকা বিদেশে পাচার করতেন৷ তাঁর হাতেই কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশে পাচার করেছে৷ গোয়েন্দাদের মতে, কালো টাকা পাচারের ক্ষেত্রে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এমন কয়েকজন ব্যবসায়ীকে বেছে নিয়েছিলেন। যাঁদের আন্তর্জাতিক কারবার ও বিদেশেও একাধিক ব্যবসা আছে৷ ইডির সন্দেহের তালিকায় রয়েছে এমন আরও চার ব্যবসায়ী। আগামী সপ্তাহে তাঁদেরও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন গোয়েন্দারা। তদন্তের জাল ক্রমশই গুটিয়ে আনছে ইডি।

     

    আরও পড়ুন: মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা লোকসভা ভোট! রাজ্যে নোডাল অফিসার নিয়োগ কমিশনের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বাংলাদেশ যোগ! গ্রেফতারির আগে সেখানেই ছিলেন বিশ্বজিৎ

    Ration Scam: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বাংলাদেশ যোগ! গ্রেফতারির আগে সেখানেই ছিলেন বিশ্বজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) দু’দিন আগেই গ্রেফতার হয়েছে শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিৎ দাস। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে গ্রেফতারির আগে এই ব্যবসায়ী বাংলাদেশে গিয়েছিলেন ৷ আর এই তথ্য সামনে আসতেই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বাংলাদেশ যোগ রয়েছে বলে মনে করছে ইডি ৷ তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, বাংলাদেশ থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে দুবাই চলে যেত টাকা। সেই লিঙ্কই এখন খুঁজছে ইডি। বালু ও শঙ্করের কালো টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাঠাতে কি ভূমিকা নিতেন বিশ্বজিৎ? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মনে। পাশাপাশি ইডি-র আরও সন্দেহ এ রাজ্যের পাশাপাশি এই দুর্নীতিতে সে দেশের (বাংলাদেশ) ব্যবসায়ীরাও (Ration Scam) যুক্ত থাকতে পারেন। প্রসঙ্গত, ইডি ইতিমধ্যে আদালতে জানিয়েছে, বালুর ২০০০ কোটি টাকা শঙ্করের মাধ্যমে দুবাই পাঠানো হয়েছে, সেই টাকার একটা অংশ দুবাইয়ে গিয়ে নিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ।

    মঙ্গলবার বিশ্বজিৎ-এর বাড়িতে হানা দেয় ইডি

    মঙ্গলবার বিশ্বজিতের বাড়িতে তল্লাশি (Ration Scam) অভিযান চালায় ইডি। এর পাশাপাশি অভিযান হয়েছিল বড়বাজারের আর একটি স্থানেও। জানা গিয়েছে, সেখান থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে ইডি। নথিপত্র ঘেঁটে ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ চলতি সপ্তাহের বুধবার সকালে বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করে ইডি। তবে গ্রেফতারির আগের মুহূর্তে যে বিশ্বজিৎ বাংলাদেশে ছিলেন তা জানতে পারেন গোয়েন্দারা। আর তাতেই দানা বাঁধছে সন্দেহ। রেশন দুর্নীতিতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের যোগ ছিল কিনা তা এবার খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷

    হাওয়ালার লেনদেনের চিরকূট বিশ্বজিৎ বাড়িতে

    প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) বিশ্বজিৎ দাসের হাওয়ালা যোগ আদালতে আগেই জানিয়েছিল ইডির তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, বিশ্বজিৎ বাড়ি ও অফিস থেকেও উদ্ধার হয়েছে হাওয়ালার লেনদেনের চিরকূট। বাড়িতে ইডি হানার খবর পাওয়া মাত্রই বাংলাদেশ থেকে কলকাতা উড়ে আসেন বিশ্বজিৎ। দীর্ঘক্ষণ ধরে তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিশ্বজিৎ-কে। তারপরেই আটক করা হয় তাঁকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন! বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়াকে তলব ইডির

    Mahua Moitra: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন! বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়াকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষকাণ্ডে বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আগামী সোমবারই ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন ওই সাংসদকে। বৃহস্পতিবারই ইডির তরফে সমন পাঠানো হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করার একটি মামলায় তাঁকে তলব করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেবকে তলব করেছে ইডি। তলব এসেছে মুকুল রায়েরও। এরই মধ্যে মহুয়াকে তলবের খবর সামনে এল। তবে মহুয়া যাবেন কি না, তা প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

    ১৯ ফেব্রুয়ারি তলব মহুয়াকে

    ইডি সূত্রে খবর, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে মহুয়াকে জবানবন্দি দিতে বলা হয়েছে। তাঁর সেই জবানবন্দি ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট (ফেমা) আইনের অধীনেই রেকর্ড করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, সিবিআইও পৃথক তদন্ত করছে মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে ৷ লোকপালের নির্দেশ মতো মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত করছে সিবিআই। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার অভিযোগ এনেছিলেন। প্রসঙ্গত, লোকসভার এথিক্স কমিটিই সুপারিশ করে দর্শন হীরানন্দানি ও মহুয়ার (Mahua Moitra) লেনদেনের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ওই আর্থিক বিষয়ে তদন্ত করার মতো প্রযুক্তিগত কাঠামো কমিটির নেই। তাই যেন সরকার তার তদন্ত করে।

    ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন!

    গত ডিসেম্বরেই সাংসদ পদ যায় মহুয়ার। মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দুবাই-কেন্দ্রিক ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে উপহার ও টাকা নিয়ে সংসদে শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই প্রশ্নে তিনি আদানির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। সাংসদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ডও দর্শনকে মহুয়া দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের। একই অভিযোগ করেছিলেন মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid in Kolkata: ফিরল বড়ঞার ছবি! ইডি আসতেই পাশের বাড়িতে ফোন ছুড়লেন ব্যবসায়ী

    ED Raid in Kolkata: ফিরল বড়ঞার ছবি! ইডি আসতেই পাশের বাড়িতে ফোন ছুড়লেন ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলার মঙ্গলবার ফের একবার তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি (ED Raid in Kolkata)। সকালে সল্টলেক-সহ ছয় জায়গায় হানা দেয় ইডি। এদিনের তল্লাশিতে ফিরে এল বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ক্রিয়াকলাপের প্রতিচ্ছবি। গত বছরে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হানা দেয়। সে সময়ই নিজের মোবাইল ফোনটি পুকুরে ফেলে দেন বিধায়ক। তা উদ্ধার করতে কালঘাম ছোটে তদন্তকারীদের। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা আসছেন এ খবর পেয়েই নিজের দু’টি মোবাইল পাশের বাড়ির ছাদে ছুড়ে দেন কৈখালির জনৈক ব্যবসায়ী। পরে পাশের বাড়ি থেকে সেই মোবাইল দু’টি উদ্ধার করেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ ছিল কি ফোনে?

    কৈখালির ওই ব্যবসায়ী ফোন ছুড়ে ফেলে দেওয়াতে, তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন, দু’টি ফোনে ‘আর্থিক দুর্নীতি’ সংক্রান্ত অনেক তথ্য লুকিয়ে থাকতে পারে। আর সেই কারণেই তড়িঘড়ি প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়। আপাতত ফোন দু’টি বাজেয়াপ্ত করে সেই ফোনের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাত সকালেই ফের সক্রিয় ইডি। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ তদন্তকারীরা পৌঁছে যান সল্টলেকের আইবি ব্লকের একটি বাড়িতে। এছাড়াও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ইডি আধিকারিকেরা নিউ আলিপুর, পার্ক স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট, বাগুইহাটি, কৈখালি এলাকার আরও পাঁচটি জায়গায় হানা (ED Raid in Kolkata) দিয়েছেন জানা গিয়েছে। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।

    এক বিশ্বজিৎ দাসকে খুঁজছে ইডি, কে তিনি?

    সূত্রের খবর, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ সল্টলেকে আইবি ব্লকে যেখানে হানা দেয় ইডি-র (ED Raid in Kolkata) দল, তা বিশ্বজিৎ দাস নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি। জানা গিয়েছে, সেই সময় বিশ্বজিৎ বাড়িতে ছিলেন না। ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ দেখিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন ইডি আধিকারিকেরা। বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এদিন বিশ্বজিতের দুটো ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলে। তাঁর আমদানি রফতানির ব্যবসা আছে। পাশাপশি ফরেন মানি এক্সচেঞ্জেরও ব্যবসা আছে বলে জানা গিয়েছে। ইডি-র দাবি, এই বিশ্বজিৎ রেশনকাণ্ডে ধৃত শঙ্কর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ। এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে রেশনকাণ্ডের মাধ্যমে টাকা নয়-ছয় হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • 100 Days Job Corruption: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, বোনকে নিয়ে ইডি দফতরে রথীন্দ্রকুমার দে

    100 Days Job Corruption: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, বোনকে নিয়ে ইডি দফতরে রথীন্দ্রকুমার দে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি অফিসে হাজিরা দিলেন একশো দিনের কাজে ‘দুর্নীতি’র দায়ে অভিযুক্ত প্রাক্তন পঞ্চায়েত কর্মী রথীন্দ্রকুমার দে। ইডির তলবে সাড়া দিয়ে বোন ইতি চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন রথীন্দ্রকুমার। একশো দিনের কাজের টাকা নয়ছয় করার মামলা দায়ের হয়েছে মুর্শিদাবাদের দুই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে এক জন প্রাক্তন পঞ্চায়েত কর্মী রথীন্দ্রকুমার এবং অন্য জন, মুর্শিদাবাদ জেলার মনরেগা প্রকল্পের বর্তমান নোডাল অফিসার সঞ্চয়ন পান। 

    ইডির জিজ্ঞাসাবাদ

    শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ ইডি দফতরে যান মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাক্তন নির্বাহী সহায়ক রথীন্দ্রকুমার দে ও তাঁর বোন ইতি চট্টোপাধ্যায় ৷ এদিন তাঁরা ইডি অধিকারিকদের হাতে কিছু নথি তুলে দেন। রথীন্দ্রকুমার দে-র আইনজীবীর অভিযোগ, সেই নথিতেই প্রমাণ রয়েছে যে, দুর্নীতি হয়েছে বুঝতে পেরে উপরমহলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন রথীন্দ্র ৷ তবে তাঁর কথায় আমলই দেওয়া হয়নি ৷ ইডি সূত্রে খবর, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    দুর্নীতির অভিযোগ

    মঙ্গলবার সকালে একশো দিনের কাজে দুর্নীতির তদন্তে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের মধুপুরের কালীবাড়ি এলাকায় দুই সরকারি কর্মীর বাড়িতে ইডি কর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসেন। তাঁদের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালানোর পর বুধবার ইডি দফতরে হাজিরার নোটিস দেওয়া হয় রথীন্দ্রকে। তাঁর বোনকেও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়। সেই নির্দেশ মেনেই কলকাতার ইডি দফতরের হাজিরা দিলেন রথীন্দ্র এবং তাঁর বোন। ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বেলডাঙা ১ ব্লকের বিডিও বিরূপাক্ষ মিত্র এই পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তুলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তখন রথীন্দ্র বেলডাঙা ১ এর সুজাপুর-কুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এগ্‌‌জিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত। সেই অভিযোগের তদন্ত শেষে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয় রথীন্দ্রকে। এমনটাই দাবি ইডি কর্তাদের। 

    আরও পড়ুুন: ব্যালটের পর এবার বিজেপি কর্মীর কান কামড়ে গিলে খেলেন তৃণমূল কর্মী!

    রথীন্দ্রকুমারের দাবি

    প্রাক্তন পঞ্চায়েত কর্মী রথীন্দ্রকুমারের দাবি, চাকরি করার সময় তিনি বেশ কিছু দুর্নীতি হতে দেখেন। এই নিয়ে জেলা প্রশাসন ও রাজ্যের আমলাকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হলেও তৎকালীন জেলা প্রশাসন এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি । উলটে দুর্নীতিগ্রস্ত জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি ও তৎকালীন এডিএম, জেলা পরিষদ ক্ষমতার অপব্যবহার করেন ৷ নওদা ও বেলডাঙা এক ব্লকের বিডিও এবং পুলিশের সহায়তায় গ্রামের মানুষকে ভয় দেখিয়ে সই নকল করে তাঁর বিরুদ্ধে লিখিয়ে নেওয়া হয় ৷ কোনও শোকজ ছাড়াই মিথ্যা মামলায় তাঁকে অভিযুক্ত করে চাকরি থেকে বিতাড়িত করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share