Tag: ED

ED

  • PM Modi: মোদির মুখে ইডির প্রশংসা, তির্ষক বাণ হানলেন বিরোধীদের

    PM Modi: মোদির মুখে ইডির প্রশংসা, তির্ষক বাণ হানলেন বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ায় ইডির ভূয়সী প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার এই উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপে বিরোধীরা উদ্বিগ্ন বলেও শনিবার জানান তিনি।

    ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ (PM Modi)

    ‘ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৪’-এ ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। বিগত বছরগুলিতে এই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে আমার সরকার।” তিনি এও জানান, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সম্পূর্ণ স্বাধীন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতির ক্ষেত্রে আমাদের আমাদের আমলে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। তাই যে কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে।”

    ইডির সাফল্যের খতিয়ান

    ইডির সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “২০১৪ সাল পর্যন্ত পিএমএলএ-র অধীনে মামলা দায়ের হয়েছিল ১ হাজার ৮০০টি। আর গত ১০ বছরে দায়ের হয়েছে ৪ হাজার ৭০০টি মামলা। ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকা। গত ১০ বছরে তা বেড়ে হয়েছে এক লাখ কোটিরও বেশি টাকা।” এদিন বিরোধী দলগুলিকেও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই কারণে তারা দিনরাত মোদিকে গালাগালি দিতে ব্যস্ত। এই নির্বাচনের সময় বিরোধীরা কাগজে কলমে স্বপ্ন বুনছে, অন্যদিকে মোদি স্বপ্ন ছাড়িয়ে গ্যারান্টি দিচ্ছেন।”

    আরও পড়ুুন: ‘কাচের ঘরে বসে ঢিল মারার দরকার নেই’, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন, সাইবার ক্রাইম এবং মাদক পাচার করতে গিয়ে ইডির হাতে অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন, মাদক পাচার, সাইবার ক্রাইম এসব ক্ষেত্রেও ইডি অনেককেই গ্রেফতার করেছে। ফাঁস করেছে অনেক বড়সড় চক্রের পর্দা। বাজেয়াপ্ত করেছে হাজার কোটি টাকারও বেশি।” তিনি বলেন, “যখন এরকম কিছু ঘটে, তখন কিছু লোকের সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তারা গেল গেল রব তোলে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই কারণেই বিরোধীরা দিবারাত্র মোদির মুণ্ডপাত করছেন। তবে দেশ তাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বিরোধীদের এই অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।” প্রসঙ্গত, সংসদের বাজেট অধিবেশনেও দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেছিলেন, “দেশকা লুটা হুয়া মাল দেনা হি পড়েগা (দেশের লুট করা টাকা ফেরত দিতেই হবে)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই-এর তলব, নিজাম প্যালেসে শাহজাহানের ভাই সহ ৬

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই-এর তলব, নিজাম প্যালেসে শাহজাহানের ভাই সহ ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির উপর হামলার ঘটনায় সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে শনিবার সকালে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন শাহজাহান শেখের  (Sheikh Shajahan) ভাই আলমগির শেখ। এই ঘটনায় শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ প্রায় ১৫ জনকে তলব করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ইডি-র উপর হামলার ঘটনায় শেখ শাহজাহান সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। একই সঙ্গে শনিবার পৃথক মামলায় সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) কয়েক জনকে তলব করেছে ইডিও। তাঁদের সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। শাহজাহানের দুই ভাই আলমগির এবং সিরাজ শেখকে আগামী সপ্তাহে তলব করেছে ইডি।

    নিজাম প্যালেসে আলমগির

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) ইডির উপর হামলার ঘটনায় সিবিআই শাহজাহানের ভাই আসমগির-সহ আরও কয়েকজনকে ডেকে পাঠায়। তদন্তভার হাতে নিয়েই, দফায় দফায় সন্দেশখালিতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায়,একের পর এক অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে নোটিস দিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নিজাম প্যালেসে তলব করা হয় শেখ শাহজাহানের একাধিক ঘনিষ্ঠকে। বৃহস্পতিবার তলব করা হয়েছিল শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীর শেখকে। কিন্তু সিবিআই তলবে গরহাজির ছিলেন আলমগির শেখ। তবে এদিন নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন তিনি। নিজাম প্যালেসে আসেন বনগাঁ থানার তদন্তকারী আধিকারিক। তাঁর বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই (CBI)। বেলা ১২ টা থেকে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরু হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: “হিন্দু বা মুসলিম পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা ভারতীয়” বললেন অমিত শাহ

    তদন্তে ইডি

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। তারাও কিছু দিন আগে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) গিয়েছিল এবং কয়েক জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল। তার ভিত্তিতে শনিবার সিজিওতে ডাকা হয়েছে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ দু’জনকে। শুক্রবারও তারা সংশ্লিষ্ট দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি শেখ শাহজাহান বাহিনীর মোট তিনটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান মোসলেম শেখের সরবেড়িয়া নতুন বাজারের গোডাউন থেকে গাড়িগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তিনটি গাড়ির মধ্য়ে একটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন শেখ শাহজাহানের নামে। আরেকটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগিরের নামে। তৃতীয় গাড়ির মালিকানা পাঞ্জাবের একটি সংস্থার নামে। শেখ শাহাজাহানের মালিকানাধীন গাড়িটি ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি কেনা হয়। দাম ১৩ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Santiago Martin: নির্বাচনী বন্ডে সব চেয়ে বেশি টাকা দিয়েছেন সান্তিয়াগো, তিনি কে জানেন?

    Santiago Martin: নির্বাচনী বন্ডে সব চেয়ে বেশি টাকা দিয়েছেন সান্তিয়াগো, তিনি কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়শি দেশ মায়ানমারে তিনি গিয়েছিলেন শ্রমিকের কাজে। সেখান থেকেই তিনি হয়েছেন লটারি কিং। সেই সান্তিয়াগো মার্টিনের (Santiago Martin) সংস্থাই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে সব চেয়ে বেশি টাকা দান করেছে। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সান্তিয়াগোর সংস্থা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে দিয়েছে ১ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার এই তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে লটারি কিংয়ের কেরামতি!

    কে এই সান্তিয়াগো? (Santiago Martin)

    সান্তিয়াগো (Santiago Martin) একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট চালান। এই ট্রাস্টের ওয়েবসাইট থেকে জানা গিয়েছে, মায়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গনে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। ভারতে ফেরেন ১৯৮৮ সালে। শ্রমিকের কাজ করে যে টাকা জমিয়েছিলেন, তা দিয়ে তামিলনাড়ুতে শুরু করেন লটারি ব্যবসা। পরে তাঁর এই ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ে কেরল, কর্নাটক এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে। পরে নেপাল ও ভুটানেও ছড়িয়ে পড়ে তাঁর লটারি ব্যবসা। উত্তর-পূর্বে সরকারি লটারি স্কিমগুলি পরিচালনার ভারও নিয়েছিলেন সান্তিয়াগো। লটারি ব্যবসার টাকা তিনি বিনিয়োগ করেন নির্মাণ শিল্প, রিয়েল এস্টেট, বস্ত্র এবং হোটেল ব্যবসায়। অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ লটারি ট্রেড অ্যান্ড অ্যালায়েড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্টও তিনি। তাঁরই প্রচেষ্টায় ওয়ার্ল্ড লটারি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হয়েছে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড। এটাই তাঁর সংস্থার নাম।

    সান্তিয়াগোর (Santiago Martin) সংস্থায় তল্লাশি!

    যে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসকে ‘দাতা’র ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে, সেই সংস্থার বিরুদ্ধেই তহবিল তছরুপ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৯ সালে এই অভিযোগের তদন্তে নামে ইডি। তার আগে সংস্থার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। চার্জশিটে বলা হয়েছিল, সান্তিয়াগো মার্টিন (Santiago Martin) ও তাঁর সংস্থা ২০০৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১০ সালের অগাস্ট পর্যন্ত পুরস্কার বিজয়ীর টিকিটের সংখ্যা বাড়িয়ে ৯১০ কোটি টাকা ক্ষতি করেছে সিকিম সরকারের। সিবিআই চার্জশিট পেশ করার পরেই তদন্ত শুরু করে ইডি। গত মে মাসে সংস্থার কোয়েম্বত্তুর ও চেন্নাইয়ের অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়। ৯৬৬ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে হায়দরাবাদের মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার। এই তালিকায় রয়েছে ভারতী এয়ারটেল, ইন্ডিগো, আইটিসি সহ একাধিক সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘গলাকাটা দামে বিক্রি হয়েছে চাকরি’’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পর্যবেক্ষণ বিচারপতি সিনহার

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “৩৫টি প্লটের মালিক যে পরিবার, তাদের খাওয়ার অভাব?” অভিষেককে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “৩৫টি প্লটের মালিক যে পরিবার, তাদের খাওয়ার অভাব?” অভিষেককে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বৃহস্পতিবার বিজেপি কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অঞ্চল সম্মেলন করেন। বস্তুতপক্ষে, এদিনের অঞ্চল সম্মেলন পাড়া বৈঠকের রূপ নেয়। এদিন বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূষিলা এলাকায় সুকান্ত মজুমদার দেওয়াল লিখন করেন। এরপর কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি নিজের নির্বাচনী প্রচারও সেরে নেন তিনি।

     অনুপ্রবেশকারীদের আমরা বাংলাতে জায়গা দেব না (Sukanta Majumdar)

    এদিন একইভাবে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কর্মীদের সঙ্গে অঞ্চল সম্মেলনের পাশাপাশি পাড়া বৈঠক ও নির্বাচনী প্রচার করেন তিনি। এদিন এই বৈঠক থেকে রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তিনি কথা বলেন। সিএএ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধীরা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। CAA মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কারও নাগরিকত্বতা নষ্ট হবে না। সব থেকে কথা হচ্ছে CAA হচ্ছে অপশনাল। আপনি চাইলেই আবেদন করতে পারেন, না চাইলে আপনি আবেদন করবেন না। কিন্তু, আমাদের বিরোধীরা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। CAA লাগু হয়েছে, যাদের ইচ্ছে হবে তারা CAA তে আবেদন করবে। বাংলায় অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, বাংলাতে শরণার্থীরা স্বাগত। কিন্তু, অনুপ্রবেশকারীদের আমরা বাংলাতে জায়গা দেব না। এই দেশ ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছিল, এটাই সত্যি। আর এটাই আমাদেরকে মানতে হবে।

    আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বারাকপুরের “বেতাজ বাদশা” অর্জুন সিং

    ফের শাহজাহানকে নিয়ে তৎপর ইডি

    সন্দেশখালিতে ইডি হানা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “শেখ শাহজাহান তো বিশাল বড় একটা চক্র চালাত। দেখতে পাচ্ছেন না শাহাজানকে বাঁচানোর জন্য কত চেষ্টা। এখন ইডি ধরেছে। এখন শেখ শাহাজানকে তাজমহল দেখাবে ইডি। দেখবেন সব বেরিয়ে আসবে। শাহজাহানের টাকা বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়েছে। কারণ, চিটফান্ডের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাওয়ার অভাব আছে, বাংলার মানুষকে বোকা পেয়েছেন নাকি। ৩৫টি প্লটের মালিক যে পরিবার, তাঁদের খাওয়ার অভাব? খাওয়ার অভাব এসে দেখুক, বাংলার গ্রামে গঞ্জের মানুষদের। সুখে আছেন তো বুজতে পারছেন না, গরিব সাজার নাটক করছেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: মিলল না আগাম জামিন, শাহজাহানের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    Sheikh Shahjahan: মিলল না আগাম জামিন, শাহজাহানের আর্জি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে সন্দেশালিকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। মঙ্গলবার তাঁর আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডির হাত থেকে রেহাই পেতে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন শেখ শাহজাহান। কিন্তু এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ইডির হেফাজতে অন্য এক অভিযুক্তের মারফত শাহজাহানের নাম উঠে এসেছে। বর্তমানে সেই ঘটনার তদন্ত চলছে। এই প্রেক্ষিতে আগাম জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। 

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। তাঁকে দফায় দফায় জেরা করে সন্দেশখালিতে হামলার দিনের ঘটনার বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরই মাঝে ইডির হাত থেকে রেহাই পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা। উল্লেখ্য, এর আগে বসিরহাটের পিএমএলএ কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া ওই নেতা। সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এদিন শাহজাহানের আইনজীবী সব্যসাচী ব্যানার্জী বলেন, “শাজাহানের বিরুদ্ধ সরাসরি কোনো অভিযোগ নেই । তাঁকে ইডি অফিসারদের হামলায় মদত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই ইডি কিসের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেবে? এই বক্তব্যকে খারিজ করে ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী আদালতে জানান, রেশন দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে শাহজাহানের নাম উঠে আসে। ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর মামলায় তাঁকে এখনও গ্রেফতার করেনি ইডি। 

    আরও পড়ুন: ‘অস্বস্তিকর প্রশ্ন করলেই এসএসসি চুপ থাকে’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের কটাক্ষ

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    দুপক্ষের সওয়াল জবাবের পর শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। ইডি জানায়, শাহজাহান প্রবল প্রভাবশালী। তাকে রক্ষা করতে উঠেপড়ে লেগেছিল রাজ্য সরকার। এমনকী আদালতের নির্দেশের পরেও তাকে গ্রেফতার করেনি রাজ্য পুলিশ। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। যার জাল বাংলাদেশ পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে। তাকে আগাম জামিন মঞ্জুর করলে তদন্তে প্রভাব পড়বে। ইডির ওপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে সিবিআই হেফাজতে রয়েছে শেখ শাহজাহান। বৃহস্পতিবার ফের তাকে আদালতে পেশ করবেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ ফুরোলেই শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: তৃণমূলের ১০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত, ইডির পদক্ষেপকে স্বাগত শুভেন্দুর

    TMC: তৃণমূলের ১০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত, ইডির পদক্ষেপকে স্বাগত শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যালকেমিস্ট মামলার তদন্তে নেমে তৃণমূলের (TMC) ১০ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি।  সোমবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। ইডির (ED)দিল্লি আঞ্চলিক দফতর তৃণমূলের এই টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। ইডির টাকা ‘আটক’ করার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    ইডির বিবৃতি

    ইডি জানিয়েছে, চিটফান্ড সংস্থা অ্য়ালকেমিস্ট গ্রুপের আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্তে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকার একটি ডিমান্ড ড্রাফট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। তার ঠিক আগে অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে ইডির এই পদক্ষেপ স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা অস্বস্তি বাড়িয়েছে শাসক শিবিরের। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে প্রেস বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, বিনিয়োগকারীদের থেকে ১৮০০ কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের অর্থ তুলেছিল অ্যালকেমিস্ট গ্রুপ। ওই সংস্থার মালিক রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কেডি সিং।  

    শুভেন্দুর বার্তা

    ডির দিল্লি অফিসের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি ইডি দিল্লি জোনাল অফিস কর্তৃক তৃণমূলের ১০.২৭ কোটি বাজেয়াপ্ত করাকে স্বাগত জানাচ্ছি। অ্যালকেমিস্ট গ্রুপের সঙ্গে বেআইনি লেনদেনে জড়িত এই টাকা। তবে এটি হিমশৈলের চূড়ামাত্র। তবে ফাঁদটি যদি আরও শক্ত করা যায় তাহলে ১০ হাজার গুণ টাকা উদ্ধার হবে। ’

    এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অ্যালকেমিস্ট মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তলব করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই মামলায় প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ হিসাবেই অরূপকে তলব করা হয়েছে। তৃণমূলের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতে ডাকা হয়েছিল তাঁকে। ২০১৪ সালের ভোটের প্রচারে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে অরূপের কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনায় এবার সাক্ষীদের নিরাপত্তা দেওয়ার আর্জি জানানো হল কলকাতা হাইকোর্টে। সিবিআই নাকি পুলিশ, কে দেবে নিরপত্তা? এব্যাপারে হাইকোর্ট ভরসা রাখল সিবিআই-এর ওপরেই। তাদেরই নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি দেখতে বলল হাইকোর্ট। শুনানির শুরুতেই পুলিশের ওপর সন্দেশখালির মহিলাদের ভরসা না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে উচ্চ আদালত। হাইকোর্ট এদিন প্রশ্ন তোলে, ‘‘রাজ্য পুলিশে আস্থা নেই সন্দেশখালির মহিলাদের। তাহলে তাঁদের নিরাপত্তা কে দেবে?’’ এছাড়াও মামলা বর্তমানে সিবিআইয়ের হাতে, তাই এই মামলার সঙ্গে জড়িত সাক্ষীদের নিরাপত্তার দিকটিও সিবিআইয়ের-ই দেখা উচিত বলেই মনে করেছে কোর্ট। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    সিবিআই দেবে নিরাপত্তা

    কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবারই জানিয়েছে, বিশেষত যাঁরা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) থাকেন, তাঁদের জীবন-জীবিকার নিরাপত্তার প্রয়োজন। যেহেতু সিবিআইয়ের হাতে এখন তদন্ত হস্তান্তর করা হয়েছে, তাই সিবিআইকেই এই মামলায় যাঁরা সাক্ষী হিসাবে কোনও বয়ান দিয়েছেন বা কথা বলেছেন, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে নির্দিষ্ট আইন ও নির্দেশিকা মেনে।

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    এদিন আদালতে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল জানিয়েছেন, সন্দেশখালির (Sandeshkhali)  প্রায় ৮০ জন আক্রান্ত মহিলা বয়ান দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে লিখিত আবেদন জমা করার নির্দেশ দেন। আদালতবান্ধব জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে।  কিন্তু বিডিও কীভাবে সেই জমি ফেরত দিচ্ছেন?’’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে শুরু করে জমি কেড়ে নেওয়া সংক্রান্ত যে সমস্ত অভিযোগ আসছে সমস্ত কিছু শোনা হবে। কিন্তু তার আগে সব পক্ষকে তাদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জানাতে হবে।’’ জানা গিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি  ৪ এপ্রিল। এদিন ইডির কৌঁসুলি হাইকোর্টে জানান, রাজ্যকে অনুরোধ করা হচ্ছে বাকি এফআইআর তাদের হস্তান্তর করা হোক। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এখন সন্দেশখালিতে কেউ না গেলেই ভালো হবে।’’

     

    আরও পড়ুুন: “আরও ১০ বছরও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদি”, সাফ জানালেন শাহ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raids: পার্থ ঘনিষ্ঠ পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়ি সহ শহরের ৩ জায়গায় হানা ইডির, এবার কোন মামলায়?

    ED Raids: পার্থ ঘনিষ্ঠ পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়ি সহ শহরের ৩ জায়গায় হানা ইডির, এবার কোন মামলায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকাল থেকে ইডি হানা (ED Raids) চলছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলায়। এদিন পার্থ ঘনিষ্ঠ এক পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়িতেও হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এদিন ইডি আধিকারিকরা পৌঁছে যান রাজারহাটের কাশীনাথপুরের চন্দন চট্টোপাধ্যায় নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে। সেখানে শুরু হয়েছে তল্লাশি (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩ জায়গায় তল্লাশি চলছে)। প্রসঙ্গত বলে রাখা প্রয়োজন, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা, সিবিআই এবং ইডি।

    রাজারহাটে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা

    জানা গিয়েছে, রাজারহাটে যাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি (ED Raids), সেই চন্দন চট্টোপাধ্যায় জমি বাড়ির দালালি সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে এদিন মহিলা জওয়ানদেরও দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে চন্দন চট্টোপাধ্যায় কোনও যোগাযোগ থাকতে পারে জেনেই এই তল্লাশি চলছে।

    আরও পড়ুন: ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়াল মোদি সরকার, রাজ্যের সঙ্গে ফারাক বেড়ে ৪০ শতাংশ

    নাগেরবাজারে চলছে তল্লাশি

    এর পাশাপাশি, তল্লাশি অভিযান চলছে নাগেরবাজারের ডায়মন্ড সিটি নর্থের একটি ফ্ল্যাটে। সেখানে কমল আগরওয়াল নামের এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, যাঁর বাড়িতে তল্লাশি (ED Raids) চালানো হচ্ছে, তিনি অনেক দিন আগেই কমপ্লেক্স ছেড়ে চলে গিয়েছেন।

    পার্শ্ব শিক্ষকের বাড়িতে হানা ইডির 

    নিউটাউনের পাথরঘাটা এলাকায় আবদুল আমিন নামের এক পার্শ্বশিক্ষকের বাড়িতেও এদিন সকালে হানা দিয়েছেন ইডির পাঁচ আধিকারিক। সূত্রের খবর, এই শিক্ষক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। ইডির (ED Raids) পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে, রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    আরও পড়ুন: চাকরির টোপ দিয়ে ‘মানব’ পাচার রাশিয়ায়, চক্রের খোঁজে ভারতজুড়ে সিবিআই তল্লাশি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ৫৬০ ভরি! কেষ্টর কালীপ্রতিমার গয়না রাখা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকারে ইডির তল্লাশি

    Anubrata Mondal: ৫৬০ ভরি! কেষ্টর কালীপ্রতিমার গয়না রাখা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকারে ইডির তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্কের লকারে রাখা রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের  (Anubrata Mondal) কালীপ্রতিমার গয়না। বীরভূমের (Birbhum) বোলপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত সেই ব্যাঙ্কে চলছে ইডির তল্লাশি। ২০২১ সালে সোনার মুকুট, কানের দুল, গলার হার মিলিয়ে ৫৬০ ভরি সোনার গয়না দিয়ে মা কালীকে সাজানো হয়েছিল। এই গয়নার আনুমানিক মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা। উল্লেখ্য এই সোনার অলঙ্কারে কালীপুজো হতো বেশ ধুমধাম করে। বর্তমানে কেষ্ট মণ্ডল গরু পাচার মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা আজ ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে তাল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    তল্লাশিতে উদ্ধার গহনা (Anubrata Mondal)

    ঠিক দুপুর ১২ টার সময় বোলপুরের (Birbhum) একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সামনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির অফিসারেরা গাড়ি নিয়ে হাজির হন। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে গোটা ব্যাঙ্ককে ঘিরে ফেলা হয়। এরপর ব্যাঙ্কের ভিতরে প্রবেশ করেন ইডির ৫ জন অফিসার। বোলপুর তৃণমূল পার্টি অফিসের ভিতরে পুজো হত এই কালীপ্রতিমার। এই পুজো কেষ্ট মণ্ডলের পুজো এবং প্রতিমার গায়ে থাকত এই বিপুল পরিমাণের গয়না। এই গয়নাকে পুজোর পর রাখা হত ব্যাঙ্কের লকারে। ফলে এই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্যই তল্লাশি অভিযান চালায় তদন্তকারী অফিসারেরা। ব্যাঙ্ক থেকে একাধিক কাজপত্র এবং নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    ২০১১ সাল থেকে

    ১৯৮৮ থেকে এই কালীপুজো শুরু হলেও কার্যত ২০১১ সালের পর থেকেই এই পুজোর জাঁকজমক বৃদ্ধি পায়। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুজোর ব্যাপক আয়োজন বৃদ্ধি পায়। সবটার নেতৃত্বে থাকতেন বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। ২০২০ সালে এই পুজোর প্রতিমাকে ৩০০ ভরির সোনার গয়না দিয়ে সাজানো হয়েছিল। ২০২১ সালে সোনার মুকুট, বাউটি, বাজুবন্ধন, কানের দুল, গালার হার, হাতের আংটি, কোমরের বিছে মিলিয়ে প্রায় ৫৬০ ভরির গয়না দিয়ে সাজিয়ে ছিলেন এই তৃণমূল নেতা। এই গয়নার বাজার মূল্য প্রায় কয়েক কোটি টাকা। ফলে সম্পত্তির উৎস ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য সন্ধান করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। তবে অনুব্রতর গ্রেফতারের পর থেকেই পুজোতে ভাটা দেখা দেয়। সোনার গয়নার বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে ইমিটেশনের গয়না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Distribution Case: হাওয়ালার মাধ্যমে ৭৫০ কোটি টাকা পাচার করেছিলেন তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয়!

    Ration Distribution Case: হাওয়ালার মাধ্যমে ৭৫০ কোটি টাকা পাচার করেছিলেন তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওয়ালার মাধ্যমে ৭৫০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই বিপুল পরিমাণ টাকারই ০.৫ শতাংশ পেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা তথা বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় প্রথম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে (Ration Distribution Case) এমনই জানিয়েছে ইডি।

    সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট ইডির (Ration Distribution Case)

    মঙ্গলবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে এই চার্জশিট জমা দেয় ইডি। তাতেই নাম রয়েছে শঙ্করের। রয়েছে তাঁর কোম্পানির নামও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির দাবি, জ্যোতিপ্রিয়র বিপুল পরিমাণ টাকা, বিদেশি মুদ্রায় রূপান্তরিত করে শঙ্কর ০.৫ শতাংশ করে কমিশন পেয়েছেন। সেখান থেকেই কোটি টাকা রোজগার করেছেন তিনি। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Ration Distribution Case) ৫ জানুয়ারি শঙ্করের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। ওই রাতেই গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের এই নেতাকে। এই গ্রেফতারির দু’ মাসের মাথায় এদিন দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ করল ইডি।

    কী রয়েছে চার্জশিটে?

    চার্জশিটটির পৃষ্ঠা সংখ্যা ৮৩। তাতে শঙ্করের পাশাপাশি রয়েছে তাঁর চারটি কোম্পানির উল্লেখও। চার্জশিটে বলা হয়েছে, রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর টাকা বিদেশি মুদ্রায় রূপান্তরিত করতে সাহায্য করেছেন শঙ্কর। তার বদলে পেয়েছেন কমিশন। জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে যে শঙ্করের যোগাযোগ ছিল, তা প্রথম থেকেই দাবি করেছিল ইডি। হাসপাতাল থেকে মেয়েকে লেখা জ্যোতিপ্রিয়র চিঠিতেও শঙ্করের উল্লেখ ছিল বলেও দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

    আরও পড়ুুন: “হিংসামুক্ত নির্বাচন করতে হবে”, রাজ্যকে নির্দেশ রাজীব কুমারের

    এদিন ইডি যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ২০১১ সাল (এই বছরই ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল) থেকে ২০২২ সালের মধ্যে হাওয়ালার মাধ্যমে সাড়ে সাতশো কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। কমিশন বাবদ তারই ০.৫ শতাংশ পেয়েছিলেন শঙ্কর। ইডির অভিযোগ, বিদেশে শঙ্কর লেনদেন করেছেন ২০ হাজার কোটি টাকা। এই টাকার মধ্যে অন্তত ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা জ্যোতিপ্রিয়র।

    প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Ration Distribution Case) মামলায় ইডি প্রথম চার্জশিট পেশ করে গত ১২ ডিসেম্বর। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তবে তদন্তে সেই টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেও দাবি করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার চার্জশিটে জানা গেল বিদেশে পাচার হওয়ার টাকার পরিমাণ ৭৫০ কোটি টাকা (Ration Distribution Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share