Tag: ED

ED

  • Hemant Soren: হেমন্তের দিল্লির বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত গাড়ির মালিক কংগ্রেস সাংসদ, দাবি ইডির

    Hemant Soren: হেমন্তের দিল্লির বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত গাড়ির মালিক কংগ্রেস সাংসদ, দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি জালিয়াতি মামলায় ধৃত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের দিল্লির বাসভবন থেকে বাজেয়াপ্ত  দামি গাড়িটি আসলে কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ শাহুর। ইডি সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, গত বছর রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ ধীরজের বাড়ি থেকে বিপুল নগদ উদ্ধার করা হয়েছিল। ধীরজকে ওই গাড়ি প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে ইডি।

    গাড়ি আসলে কার

    ঘটনাচক্রে ধীরজ শাহুর বাড়ি, অফিস-সহ একাধিক জায়গা থেকে মাস দুয়েক আগেই সাড়ে তিনশো কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ডিসেম্বরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল অর্থ উদ্ধার করেছিল ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট। যদিও তিনি দাবি করেছিলেন, ওই বিপুল অর্থের সঙ্গে কোনও যোগ নেই কংগ্রেসের। সমগ্র টাকা উদ্ধারে ১০ দিন সময় লেগেছিল। ইডি সূত্রের দাবি, গাড়িটি কংগ্রেস সাংসদ শাহুর নামে নথিভুক্ত। কিন্তু হেমন্তের দিল্লির বাসভবনে সেই গাড়ি ছিল কেন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সেজন্যই জেরা করা হতে পারে ধীরজকে।

    আরও পড়ুন: ‘ভোটের গিমিক, দিশাহীন’! রাজ্য বাজেট নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    বাজেয়াপ্ত গাড়ির বঙ্গ যোগ

    জমি জালিয়াতি মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি ইডির হাতে গ্রেফতার হন হেমন্ত। ৬০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। নিজের রক্ষাকবচের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন হেমন্ত। কিন্তু শীর্ষ আদালতে গিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।তাঁর দিল্লির বাসভবন থেকে বাজেয়াপ্ত গাড়ির সঙ্গে বঙ্গ যোগও রয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যে গাড়ি রয়েছে, তার রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিল কলকাতার এক ব্যবসায়ী যোগেশ আগরওয়াল। রিয়েল এস্টেট এবং মোটর প্রশিক্ষণ স্কুলের ব্যবসা রয়েছে যোগেশের। ফলে, মোটর ট্রেনিং স্কুলের আড়ালে দুর্নীতির চক্র রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সন্দেহ এবং সেটা কী ধরনের দুর্নীতি, ইডি তা খতিয়ে দেখতে চাইছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • MGNREGA Scam: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, ইডির তলব সরকারি আমলা থেকে নির্মাণ সহায়ক কর্মীদের

    MGNREGA Scam: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, ইডির তলব সরকারি আমলা থেকে নির্মাণ সহায়ক কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ১০০ দিনের কাজের (MGNREGA Scam) প্রকল্পের দুর্নীতির তদন্তে ঝোড়ো ব্যাটিং চালাচ্ছে ইডি। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই একসঙ্গে ছ’টি জায়গায় তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির তদন্ত ইতিমধ্যেই ডাব্লুবিসিএস অফিসার সহ ডেপুটি কালেক্টর এবং কয়েকজন নির্মাণ সহায়কের কর্মীর বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার ওই সমস্ত ব্যক্তিদের তলব করা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে। জানা গিয়েছে, এটাই শেষ নয়। আগামী দিনে আরও একাধিক সরকারি কর্মচারী, অফিসারকে তলব করা হবে। বেশ কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে মিলেছে তথ্য। তাঁদেরকে পর পর তলব করা হবে। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ (MGNREGA Scam) অনেক দিন আগে থেকেই তুলেছিল বিরোধীরা। এই নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। বেলডাঙায় দু’টি, ধনিয়াখালিতে ১টি, এছাড়া অন্যান্য ২টি জায়গায় এই নিয়ে  থানায় মামলাও দায়ের হয়।

    কবে কাকে তলব করা হল?

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ডেপুটি কালেক্টর সঞ্চয়ন পানকে তলব করা হয়েছে সিজিও-তে। ওই একই দিনে হাজিরা দিতে ডাকা হয়েছে নির্মাণ সহায়ক কর্মী সন্দীপ সাধুখাঁ-কে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি তলব করা হয়েছে ডাব্লুবিসিএস অফিসার শুভ্রাংশু মণ্ডলকে। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের নথি পত্র সমেত হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের (MGNREGA Scam)।

    ভুয়ো জব কার্ড বানিয়ে চলত দুর্নীতি

    গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে ভুয়ো জব কার্ড বানিয়ে দুর্নীতি চলেছে বছরের পর বছর। জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজ করেননি, এমন অনেক প্রাপকের নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (MGNREGA Scam) তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের টাকা সরানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অনুমান ১.৭৯ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে এই প্রকল্পে। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই চুঁচুড়া, ঝাড়গ্রাম, বহরমপুর এবং কলকাতার সল্টলেকেও তল্লাশি চালিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। সকালেই চলে ঝাড়গ্রামের ডব্লুবিসিএস অফিসার শুভ্রাংশু মণ্ডলের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান। সল্টলেক সেক্টর-ওয়ানের ইবি ব্লকে অবস্থিত ডেপুটি কালেক্টর সঞ্চয়ন পানের বাড়িতেও চলে তল্লাশি। চন্দননগরে হরিদ্রাডাঙা এলাকায় সন্দীপ সাধুখাঁর বাড়িতেও পৌঁছে যান গোয়েন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য পুলিশ যে যে মামলা রুজু করছে, সেগুলির উপরেও আপাতত অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ  দিয়েছে আদালত। সন্দেশখালি কাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) কারা তদন্ত করবে, সিবিআই না রাজ্য, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি এবং রাজ্য দু’পক্ষই। বুধবার সেই মামলা সংক্রান্ত একটি নির্দেশে আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিল হাই কোর্ট। যার ফলে আপাতত সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্ত অন্তত এক মাস পিছিয়ে গেল বলে মনে করছেন আইনজীবী এবং রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    ইডির সওয়াল

    ইডি প্রথম থেকেই চেয়েছিল, সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) তদন্ত করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই মর্মে তারা কলকাতা হাইকোর্টে আর্জিও জানিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁর নির্দেশে জানিয়ে দেন, শুধু সিবিআই নয়, এই মামলার তদন্ত করতে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) তৈরি করা হবে। সেই সিটের মাথায় থাকবেন সিবিআই এবং রাজ্য, দু’তরফেরই এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। এ ছাড়া দু’পক্ষেরই সমান সংখ্যক সদস্য সিটে থাকবে বলে জানিয়েছিল আদালত। বিচারপতি এ-ও জানিয়েছিলেন আদালতের নজরদারিতে এই তদন্ত হবে। এরপর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় ইডি। 

    কী বলল আদালত

    এদিনের শুনানির সময়ে ইডি-র আইনজীবী  এস ভি রাজু সওয়াল করেন, “খুব সিরিয়াস একটি বিষয়। রাজ্য এক্ষেত্রে তদন্ত করলে পক্ষপাতদুষ্ট হবে।” তিনি আদালতে জানান,  সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল রাজ্য তদন্তে অসন্তুষ্ট। তাও রাজ্য পুলিশকে রাখা হয়। একজন মন্ত্রী জড়িত, সেখানে রাজ্য পুলিশ কীভাবে তদন্ত করতে পারে? তাঁর কথায়, “জয়েন্ট টিম এর পারপাস ক্লিয়ার করতে পারবে না।” সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি। এদিনের শুনানিতে ইডি-র বক্তব্যের পর প্রধান বিচারপতি আর কারোর বক্তব্য শুনতে চাননি। তিনি সরাসরি সিট গঠনের ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন। একইভাবে রাজ্য সরকারের পুলিশ যে কটি তদন্ত করছিল, সব কটির ওপরই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে এরাজ্যে রোহিঙ্গারা, এনআইএ-র জালে ১৬ বাংলাদেশি টাউট

    বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ আপাতত স্থগিত থাকবে। কোনও এফআইআরের উপরই তদন্ত করতে পারবে না রাজ্য পুলিশও। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। ৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলেও জানায় বেঞ্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: রেশন মামলায় পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    Ration Scam: রেশন মামলায় পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় পুলিশের তদন্তের ওপরে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। বিচারপতি এদিন জানিয়েছেন, মামলায় এখনও যদি পুলিশি তদন্ত চলে তাহলে তা স্থগিত থাকবে এবং নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়াও চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে রেশন দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল (Ration Scam)। এদিনের নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্ট ৫ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি এই মামলায় রাজ্যের কাছে কেস ডায়েরিও চেয়ে পাঠিয়েছে উচ্চ আদালত।

    ২০১৯ সালে বালিগঞ্জ থানায় প্রথম এফআইআর

    এদিন উচ্চ আদালত তাদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে যে ২০১৯ সালে বালিগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া এফআইআর-এর ভিত্তিতে রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) মামলা শুরু হয়েছিল। তবে সেই মামলা যদি পুলিশ এখনও চালিয়ে নিয়ে যায়, তবে তা অবিলম্বে স্থগিত করতে হবে। প্রসঙ্গত রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ছয়টি মামলার তদন্ত করছিল রাজ্য পুলিশ। এবং এই মামলাগুলিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তদন্তে নেমে তারা জানতে পেরেছে, দুর্নীতি সংক্রান্ত ছ’টি এফআইআর রাজ্য পুলিশের কাছে দায়ের হলেও পুলিশ দুর্নীতিগ্রস্তদের ধরা তো দূরের কথা, তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি, বরং তদন্ত বন্ধ করেছে। তাই শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে ইডি আর্জি জানিয়েছিল রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত যে সমস্ত মামলার তদন্ত রাজ্য পুলিশ করছে তা যেন সিবিআই এর হাতে অবিলম্বে তুলে দেওয়া হয়।

    গত ডিসেম্বরে জমা পড়ে প্রথম চার্জশিট

    প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসেই রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলার প্রথম চার্জশিট আদালতে জমা করে ইডি। ১২ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এই চার্জশিট পেশ করা হয় আদালতে। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বাকিবুর রহমান ছাড়াও আরও দশটি কোম্পানির উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে, সেই সময় ইডি জানিয়েছিল এই দুর্নীতিতে আর্থিক অঙ্ক প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: রেশন সংক্রান্ত সব মামলা সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি, আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডির

    Ration Scam: রেশন সংক্রান্ত সব মামলা সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি, আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট ইডি। রেশনের আটা বিলি ও চাল কেনা সংক্রান্ত রাজ্য পুলিশের দায়ের করা সব ক’টি মামলা এবার সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানো হোক, চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে ইডি। হাইকোর্টে ইডির আবেদন, রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) সংক্রান্ত রাজ্য পুলিশের দায়ের করা মামলাগুলির তদন্তভার তুলে দেওয়া হোক সিবিআই-এর হাতে।

    কেন এই আবেদন

    ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) সংক্রান্ত ছ’টি এফআইআর রাজ্যের পুলিশের তদন্তাধীন থাকা সত্ত্বেও পুলিশ অপরাধীকে ধরা তো দূর তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি। উপরন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে তথ্য প্রমাণ হাতে থাকা সত্ত্বেও তদন্ত বন্ধ করে রেখেছে। হাইকোর্টকে (Calcutta High Court) ইডির অনুরোধ, রেশন সংক্রান্ত যে সমস্ত মামলা রাজ্য পুলিশের তদন্তাধীন ছিল, তা যেন সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শুক্রবারই হাইকোর্টে এই আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। ইডির অভিযোগ রেশন দুর্নীতির সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা মন্ত্রী জড়িত থাকার কারণে উপযুক্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফে রেশন দুর্নীতির তদন্ত এগিয়েছে এক তরফা ভাবে। 

    আরও পড়ুন: হেমন্ত সোরেনের ৫ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত

    বিস্মিত ইডি

    বাংলায় রেশন সংক্রান্ত (Ration Scam) আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করছে ইডি। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই তারা গ্রেফতার করেছে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী তথা চাল-গমের মিলের মালিক বাকিবুর রহমান এবং বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকেও। রেশন কাণ্ডে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা সন্দেশখালির শাহজাহান শেখকেও খুঁজছে ইডি। রেশন সংক্রান্ত রাজ্য পুলিশের ছ’টি মামলার মধ্যে দু’টি এফআইআর দায়ের হয়েছিল কলকাতায়। বাকি চারটি দায়ের হয় নদিয়া জেলায়। ইডি এই এফআইআরের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছিল। শুক্রবার হাই কোর্টকে তারা জানিয়েছে, ‘‘মামলাগুলির কি অগ্রগতি হয়েছে, তা জানতে চেয়ে রাজ্য পুলিশের ডি়জিকে চিঠি দিয়েছিল তারা। একই সঙ্গে এই মামলায় যুক্ত থাকা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও চিঠি দেওয়া হয়েছিল ডিজিপিকে। কিন্তু কোনও প্রশ্নেরই জবাব আসেনি।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hemant Soren: হেমন্ত সোরেনের ৫ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত

    Hemant Soren: হেমন্ত সোরেনের ৫ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। তবে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। এরপরেই ঝাড়খণ্ডের বিশেষ আদালত হেমন্ত সোরেনকে পাঁচদিনের ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল।

    বৃহস্পতিবারই কোর্টে তোলা হয় হেমন্তকে

    বুধবার সন্ধ্যায় হেমন্তকে (Hemant Soren) গ্রেফতার করার পর বৃহস্পতিবারই রাঁচির বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে ইডির তরফ থেকে ১০ দিনের হেফাজত চাওয়া হয় হেমন্তকে। তবে বৃহস্পতিবার আদালত কোনও নির্দেশ দেয়নি। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হন জেএমএম নেতা। হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) মামলার শুনানির জন্য তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। সদস্য হিসেবে ছিলেন বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী। বেঞ্চ তাঁর মামলা খারিজ করায়, শুক্রবার পাঁচ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত। 

    ৬০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ

    প্রসঙ্গত হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) বিরুদ্ধে বিপুল আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ৬০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাঁচিতে তাঁর বাসভবনে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ চালায় ৭ ঘণ্টা। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। হেমন্তর গ্রেফতারির পরে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা তখন বিধানসভায় পরিষদীয় দলের নেতা ঠিক করে চম্পাই সোরেনকে। প্রসঙ্গত, প্রথমে দিল্লির বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সেখানেও চলে তল্লাশি। পরবর্তীকালে তাঁর বহু মূল্যের গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেন ইডি আধিকারিকরা। তারপর থেকেই বেপাত্তা হয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। জানা গিয়েছে, বুধবার তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতারির সময় কেন্দ্রীয় সংস্থা বাজেয়াপ্ত করে নগদ ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা। এর পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত বহু নথিও উদ্ধার হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hemant Soren: ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে হেমন্ত সোরেন

    Hemant Soren: ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে হেমন্ত সোরেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। বৃহস্পতিবার সেই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হেমন্ত। হেমন্তের হয়ে লড়ছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি জানান, শীর্ষ আদালত হেমন্তের আবেদন গ্রহণ করেছে। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হবে আবেদনের। তবে রাঁচি হাইকোর্টকে এড়িয়ে হেমন্ত কেন সটান সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন, সে প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।

    ভুয়ো নথির মাধ্যমে জমি কেনাবেচা

    হেমন্তের (Hemant Soren) বিরুদ্ধে সেনার জমি ভুয়ো নথির মাধ্যমে কেনাবেচার অভিযোগ রয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, এই দুর্নীতি মামলার অধিকাংশ টাকা লেনদেনের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সব বেআইনি আর্থিক লেনদেনের হদিশও মিলেছে। ইডির হাতে এ সংক্রান্ত সব তথ্যপ্রমাণ এসেছে। বেআইনিভাবে কেনা জমিগুলির ওপর হেমন্তের পরিবারের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগ রয়েছে। সে সংক্রান্ত নথিও ইডির হাতে এসেছে।

    বাজেয়াপ্ত বহুমূল্যের বাড়ি

    হেমন্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে আগে ছ’  বার চিঠি দিয়েছিল ইডি। প্রতিবারই নানা অছিলায় হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। সপ্তমবার তলব করার পরে হাজিরা দেন হেমন্ত। টানা জেরার পর এদিন রাতেই করা হয় গ্রেফতার। ২৯ জানুয়ারি হেমন্তের দিল্লির বাসভবনেও গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তাঁকে না পেয়ে বহুমূল্য বাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের টানা জেরায় যেসব উত্তর দেন হেমন্ত, তাতে নানা অসঙ্গতি মিলেছে। এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত প্রেম প্রকাশ, অমিত আগরওয়াল এবং তৎকালীন ডিসি ছবি রঞ্জনের সঙ্গে তাঁর যোগসাজশ পেয়েছে ইডি। বেআইনি খননের ক্ষেত্রেও তদন্ত চলাকালীন হেমন্তের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘ব্যাস কা তেহখানা’য় মধ্যরাতে পুজো হিন্দু পক্ষের

    এদিনই যে তিনি গ্রেফতার হচ্ছেন, তা আগেই আঁচ করে ফেলেছিলেন ঝাড়খণ্ডের পদত্যাগী মুখ্যমন্ত্রী (Hemant Soren)। অনুগামীদের উদ্দেশে ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “ইডি আমাকে আজ গ্রেফতার করতে এসেছে। সারাদিন আমায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ওরা আমায় পরিকল্পনামাফিক গ্রেফতার করবে। এমন একটি মামলায় আমায় গ্রেফতার করা হচ্ছে, যার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। ইডি আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পায়নি। ওরা আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Champai Soren: ইডি হেফাজতে হেমন্ত, নতুন মুখ্যমন্ত্রী ‘ঝাড়খণ্ডের বাঘ’ চম্পাই সোরেন! জানেন কে ইনি?

    Champai Soren: ইডি হেফাজতে হেমন্ত, নতুন মুখ্যমন্ত্রী ‘ঝাড়খণ্ডের বাঘ’ চম্পাই সোরেন! জানেন কে ইনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব ঠিক চললে, ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন চম্পাই সোরেন। অন্তত এখনও পর্যন্ত এমনটাই খবর। বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে বুধবার রাতে হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে হেমন্ত ইস্তফা দিতেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়করা মন্ত্রিসভার প্রবীণ মন্ত্রী চম্পাই সোরেনকে বিধায়ক দলের নেতা নির্বাচিত করেন। ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রিসভায় পরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন চম্পাই (Champai Soren)। তার সঙ্গেই তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং পিছিয়ে পড়া অংশের উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রীও তিনি। পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (Jharkhand Mukti Morcha) ভাইস প্রেসিডেন্ট।

    কে এই চম্পাই সোরেন

    ১৯৫৬ সালের নভেম্বরে ঝাড়খণ্ডের সেরিকেলা-খারসাওয়ান জেলায় জিলিনগোড়া (Jilinggora) গ্রামে জন্ম চম্পাই সোরেনের। কৃষক পরিবারের সন্তান চম্পাইয়ের পদবী সোরেন হলেও তিনি শিবু সোরেনের পরিবারের কেউ নন। বিহার ভেঙে ঝাড়খণ্ডকে আলাদা রাজ্য করার যে আন্দোলন তাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল এই চম্পাই সোরেনের। ঝাড়খণ্ড আন্দোলনে  চম্পাইয়ের ভূমিকা এতটাই দাপুটে ও উগ্র ছিল যে তাঁকে ঝাড়খণ্ডের বাঘ (Jharkhand Tiger) বলা হয়। ২০০৫ সালে বিজেপির লক্ষ্ণণ টুডুকে হারিয়ে প্রথম জয় পেয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে সেরিকেলা (Serikela Assembly) বিধানসভা থেকেই জিতেছেন। দলের প্রবীণ বিধায়ক ও বহুদিনের লড়াকু নেতার উপরই আস্থা রাখছে জেএমএম।

    আরও পড়ুন: ইডির হাতে গ্রেফতার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন

    কেন মুখ্যমন্ত্রী নয় কল্পনা

    লালু-রাবড়ী মডেল বাস্তবায়িত হল না ঝাড়খণ্ডে। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন না হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেন। জেএমএম সূত্রের খবর, ঝাড়়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন চম্পাই সোরেন। যদিও এখনও রাজ্যপাল তাঁকে ডাকেননি। সূত্রের দাবি, চার দলীয় বিধায়কের আপত্তিতেই নিজের স্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী করতে পারেননি হেমন্ত। সেই ‘বিদ্রোহী’ গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন হেমন্তেরই বৌদি তথা জেএমএম বিধায়ক সীতা সোরেন। দুমকা জেলার জামা কেন্দ্রের তিন বারের বিধায়ক সীতা জেএমএম প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রয়াত দুর্গা সোরেনের স্ত্রী। হেমন্ত সক্রিয় রাজনীতিতে আসার আগে দুর্গাই ছিলেন শিবুর রাজনৈতিক সহকারী। বিধানসভাতেও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ২০০৯ সালে দুর্গার মৃত্যুর পরে সক্রিয় রাজনীতিতে এসেছিলেন সীতা। রাজনীতিতে আসা ইস্তক বহুবার হেমন্তের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি। মন্ত্রী না করায় দীর্ঘ দিন ধরেই হেমন্ত গোষ্ঠীর উপর ক্ষুব্ধ সীতা। দলীয় সূত্রে খবর, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন প্রভাবশালী বিধায়ক চামরা লিন্ডাও। মূলত সীতার আপত্তিতেই বনবাস কল্পনার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Hemant Soren: বিদ্রোহ হেমন্তের পরিবারে, কল্পনাকে মুখ্যমন্ত্রী চান না জেএমএমের সিংহভাগ বিধায়ক!

    Hemant Soren: বিদ্রোহ হেমন্তের পরিবারে, কল্পনাকে মুখ্যমন্ত্রী চান না জেএমএমের সিংহভাগ বিধায়ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির প্রশ্নবাণের মুখে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। রাঁচিতে জমি কেনাবেচায় আর্থিক অনিয়ম ও নথি জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সপ্তমবারের জন্য তলব করা হয়েছিল হেমন্তকে। এর আগে ছ’ বার সমন পেয়েও হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। বুধবার দিলেন হাজিরা।

    সাদা কাগজে সই!

    ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তাঁর দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়করা। যদি হেমন্তকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন তাঁর স্ত্রী কল্পনা। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে তাঁর স্ত্রীকে যাতে বিদ্রোহের মুখে পড়তে না হয়, সেজন্য দলীয় বিধায়কদের সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, স্ত্রী কল্পনা এবং মন্ত্রী চম্পাই সোরেনের মধ্যে কোনও একজন যাতে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে পারেন, তাই এই ব্যবস্থা।

    বিজেপি সাংসদের দাবি

    তবে হেমন্তের (Hemant Soren) পরে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কল্পনার বসাটা নিছক কেক ওয়াক হবে না বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের দাবি, কল্পনা মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিদ্রোহ শুরু হয়েছে হেমন্তের দলের অন্দরে। তিনি জানান, ২৯ জন বিধায়কের মধ্যে ১৮ জনই চান না মুখ্যমন্ত্রীর তখতে বসুন কল্পনা। তিনি বলেন, “জেএমএমের ১৮ জন বিধায়ক বসন্ত সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে দেখতে চান।” দুমকার বিধায়ক বসন্ত হেমন্তের ভাই। ঝাড়খণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার আরও একজন। তিনি হলেন হেমন্তের বড় দাদা প্রয়াত দুর্গা সোরেনের স্ত্রী সীতা।

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্ট চত্বরে হিন্দুদের পুজোর অনুমতি এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    ঝাড়খণ্ড বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ৮১। শাসক জোটের পক্ষে রয়েছেন ৪৯ জন। এর মধ্যে হেমন্তের দলের বিধায়কের সংখ্যা ২৯। বাকি কুড়িজনের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি, বাম এবং আরজেডির বিধায়ক। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার হেমন্তের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ৩৫ জন। বাকিরা সীতার পাশে রয়েছেন বলে খবর। সীতা বলেন, “আমি সোরেন পরিবারের বড় বউমা। আমার প্রয়াত স্বামী দীর্ঘদিন ধরে ঝাড়খণ্ডকে পৃথক রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। আমি হেমন্তকে তাঁর উত্তরাধিকার বলে মনে করি, অন্য কিছু নয়।” তিনি বলেন, “গুরুজি (শিবু সোরেন) এবং আমার স্বামীর জল-জঙ্গল-জমিনের স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”

    সীতার বক্তব্যের নির্যাস, মুখ্যমন্ত্রীর (Hemant Soren) পদের দাবিদার তিনিই। আর যদি তা হয়, তাহলে বনবাসে যেতে হবে সীতাকে নয়, কল্পনাকে! এদিকে, বাংলার মতো ঝাড়খণ্ডেও ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সে রাজ্যের পুলিশ। রাঁচির পুলিশ সুপার চন্দন সিনহা বলেন, ইডি আধিকারিকরা মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। তাই দায়ের হয়েছে এফআইআর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Recruitment Scam: সুজিত-ঘনিষ্ঠ নিতাইকে তলব ইডির, সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবরাজের

    Recruitment Scam: সুজিত-ঘনিষ্ঠ নিতাইকে তলব ইডির, সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবরাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ, বুধবার বিধাননগরের মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীকে (Debraj Chakraborty) তলব করেছে সিবিআই। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ দেবরাজ হাজির হন নিজাম প্যালেসে। অন্যদিকে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্তকে তলব করেছে ইডি।  চলতি সপ্তাহেই ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে তাঁকে। একসময় মন্ত্রী সুজিত বসুর ব্যক্তিগত আপ্ত সহায়ক ছিলেন নিতাই।

    নিজাম প্যালেসে দেবরাজ

    গত ২৫ তারিখে দেবরাজ চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই (CBI) প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল দেবরাজকে। তা সত্ত্বেও জিজ্ঞাসাবাদ অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছিল বলে দাবি সিবিআইয়ের। তাছাড়া বিধাননগরের মেয়র পারিষদ সব নথিও জমা দিতে পারেননি বলে সিবিআইয়ের দাবি। আজ তাই নিজাম প্যালেসে ফের তলব করা হয়েছে দেবরাজ চক্রবর্তীকে। তাঁকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি নিয়ে আসার কথা বলেছিল সিবিআই। বুধবার সেই নথি নিয়েই সম্ভবত তিনি এসেছেন নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় তাঁর যোগাযোগের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে দেবরাজ বলেন, ‘‘নিয়োগ বা বদলি সংক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণভিত্তিক। আমি তদন্তে সহযোগিতা করছি।’’ 

    আরও পড়ুন: গ্রেফতারির আশঙ্কা! আজ ইডির সামনে হেমন্ত, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কি স্ত্রী কল্পনা সোরেন?

    নিতাইকে ইডির তলব

    পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ইডি তলব করল নিতাই দত্তকে। দক্ষিণ দমদম পুর সভার ভাইস চেয়ারম্যান তিনি। একসময় মন্ত্রী সুজিত বসুর ব্যক্তিগত আপ্ত সহায়ক ছিলেন এই নিতাই। এর আগেও তাঁর বাড়িতে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। নিতাই দত্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় সাত পাতার নথি উদ্ধার করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। দক্ষিণ দমদম পুর সভার ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা আধিকারিকদের দাবি ছিল, পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত নিতাই দত্ত। কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পেয়েছেন নিতাইয়ের স্ত্রী ও ভাই। চলতি সপ্তাহেই তাঁকে ইডি দফতরে হাজিরার নোটিস পাঠানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share