Tag: ED

ED

  • Sheikh Shahjahan: ‘তৃণমূল প্রধানের বাড়িতেই ছিলেন শাহজাহান’! বিস্ফোরক সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক

    Sheikh Shahjahan: ‘তৃণমূল প্রধানের বাড়িতেই ছিলেন শাহজাহান’! বিস্ফোরক সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে, এই হামলার মূল হোতা শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) হদিশ পায়নি পুলিশ। যা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই আবহের মধ্যে সিপিএমের সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

    ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তৃণমূলের প্রধানের বাড়িতেই শাহজাহান! (Sheikh Shahjahan)  

    সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, ইডি আধিকারিদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোড়াকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মনিকা রায়ের আশ্রয়েই ছিলেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) । আমাদের কাছে খবর আছে ও সন্দেশখালির ছোট কলাগাছি নদী পেরিয়ে কোড়াকাটিতে গিয়েছে। কোড়াকাটির প্রধানের বাড়িতেই সে রাতে ছিল। আমাদের পক্ষ থেকে পুলিশকে নানাভাবে জানানোর চেষ্টা করেছি। অথচ পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করছে না। পুলিশ সব জানে। কী খাচ্ছে, কী করছে সব জানে ন্যাজাট থানার পুলিশ। আমার মনে হয় শেখ শাহজাহান যে টাকা কামিয়েছে সন্দেশখালি থেকে তা তো ও একা ভোগ করেনি। তাই ও ধরা পড়লে অনেক রাঘববোয়ালের নাম যে আসবে এতে কোনও সন্দেহ নেই। শাহজাহান সন্দেশখালিতেই আছে। এখানেই ওর আসল নিরাপত্তা।

    পঞ্চায়েত প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    কোড়াকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনিকা রায় বলেন, নিরাপদ সর্দার তো পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করতে পারেন। পুলিশ তো আর আমার কেনা নয়। পুলিশ এসে আমার বাড়িতে এসে তদন্ত করে দেখতে পারত শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)  ভাই আছে কিনা! আইন আইনের মতো চলবে। আমরা তো নিচুতলার কর্মী। কিন্তু, ভাই (শেখ শাহজাহান) ভাইয়ের মতো এগিয়ে যাবে। ২০ দিন হল আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। ভাই আমাদের ফোন করে না। আমরাও ভাইকে ফোন করি না। কোথায় আছে জানি না। নিজের মতোই আছে।ভাইকে আমরা পিতার মতো ভালবাসি। শ্রদ্ধা করি। ও তো জনগণের প্রতিনিধি। গরিব মানুষের পাশে থাকে সর্বদা। আমাদের সবাইকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। উনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন না। উনি নিশ্চয় আইনের আশ্রয় নিয়ে আইনের পথে চলছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই আর রাজ্য পুলিশকে নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই আর রাজ্য পুলিশকে নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১২ দিন অতিক্রান্ত। এখনও অধরা সন্দেশখালি-কাণ্ডের (Sandeshkhali Case) অন্যতম অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। নিখোঁজ শাহজাহানের খোঁজে এবার বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিটের মাথায় থাকবেন সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের একজন করে এসপি পদমর্যাদার অফিসার। তবে ওই বিশেষ তদন্তকারী দলে ন্যাজাট থানার কোনও পুলিশ আধিকারিক বা কর্মী থাকতে পারবেন না। বুধবার এই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। 

    কী বলল আদালত

    সন্দেশখালি-কাণ্ডে (Sandeshkhali Case) মোট তিনটি এফআইআর হয়েছে ন্যাজাট থানায়। তার মধ্যে একটি এফআইআর করেছে ইডি। একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। তৃতীয় এফআইআরটি করেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়ির কেয়ারটেকর। আদালত জানিয়েছে, প্রথম দুটি এফআইআরের তদন্ত করবে সিট। দলে সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের এসপি পদমর্যাদার অফিসার থাকবে। । রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে তাদের তরফে বিশেষ তদন্তকারী দলে থাকবেন ইসলামপুর পুলিশ ডিস্ট্রিক্টের এসপি জাসপ্রীত সিং। তবে সিবিআইয়ের তরফে এখনও কোনও আধিকারিকের নাম বলা হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রয়োজনে আধা সেনা ও রাজ্য পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারবে সিট। 

    আরও পড়ুন: আরও চাপে শাহজাহান! বিজেপি কর্মী খুনের মামলার কেস ডায়েরি চাইল হাইকোর্ট

    আদালতে রিপোর্ট জমা দেবে সিট

    বিচারপতি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আদালতের নজরদারিতেই চলবে যৌথ তদন্ত। এই বিশেষ তদন্তকারী দল রাজ্য বা কেন্দ্র কোথাও রিপোর্ট জমা দিতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া জমা দেওয়া যাবে না চূড়ান্ত রিপোর্টও। গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে মারধর খেয়েছিলেন ইডি অফিসাররা। শাহজাহানকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। এই অবস্থায় ইডি আদালতে দাবি করে যে সন্দেশখালি কাণ্ডে তদন্তের ভার রাজ্য পুলিশের হাত থেকে নিয়ে সিবিআইকে দেওয়া হোক। তবে এসব ক্ষেত্রে সাধারণত যৌথ তদন্তের নির্দেশই দিয়ে থাকে আদালত। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে সিটকে যাবতীয় নথি দিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিন তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে বিশেষ তদন্তকারী দল বা (সিট)-কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bakibur Rahaman: রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য, বাকিবুরের অ্যাকাউন্টে নগদ ২২৮ কোটি টাকা!

    Bakibur Rahaman: রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য, বাকিবুরের অ্যাকাউন্টে নগদ ২২৮ কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডির দাবি, এই ঘটনায় ধৃত বাকিবুর রহমানের (Bakibur Rahaman) এনপিজি রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল নগদ ২২৮ কোটি টাকা। বাকিবুরের অ্যাকাউন্টে এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে এল, সে সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কোনও তথ্য মেলেনি বলেই চার্জশিটে দাবি ইডির।

    বিপুল পরিমাণ নগদ

    চার্জশিটে আরও দাবি করা হয়েছে, জেরায় বাকিবুর দাবি করেন চাল-আটা বেচেই তাঁর মিলের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ২২৮ কোটি টাকা। যদিও ইডির দাবি, রেশন কেলেঙ্কারির টাকাই ঘুরপথে জমা পড়েছে বাকিবুরের মিলের অ্যাকাউন্টে। চার্জশিটের ৪৪ নম্বর পাতায় ইডি জানিয়েছে, বাকিবুরের সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের রেকর্ড খতিয়ে দেখতে গিয়েই এই বিপুল পরিমাণ নগদ জমা পড়েছে বলে জানতে পারেন ইডির তদন্তকারীরা।

    টাকার উৎস কী

    চার্জশিটে (Bakibur Rahaman) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বাকিবুরের রাইস মিলের অ্যাকাউন্টে সব মিলিয়ে জমা পড়েছে ৪১৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে নগদে জমা পড়েছে ২২৮ কোটি টাকা। বাকিবুরের সংস্থার চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট জয়শঙ্কর গুপ্ত জানিয়েছেন এই টাকার উৎস সম্পর্কে কিছু জানাননি বাকিবুর। জানিয়েছিলেন, চাল-আটা বিক্রির টাকা জমা পড়েছে নগদে। যেহেতু নগদে টাকা জমা পড়েছে, তাই টাকার উৎস খতিয়ে দেখার কোনও সুযোগ তাঁর কাছে ছিল না।

    আরও পড়ুুন: প্রচুর বাংলাদেশি মুদ্রার সন্ধান! জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে যোগ নেই দাবি রেশন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্করের

    ইডির অনুমান, এই ২২৮ কোটি টাকার পুরোটাই রেশন কেলেঙ্কারির। রেশনের চাল খোলা বাজারে সস্তায় বিক্রি করে নগদে দাম নিয়েছেন বাকিবুর। পরে সেই চালকে তাঁর মিলের চাল বলে খাতায়-কলমে দেখিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন দুর্নীতি। রেশন কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে বাকিবুরের একাধিক সংস্থার খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে কয়েকটি সংস্থা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন বাকিবুর ও রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পরিবারের সদস্যরা। ইডির অনুমান, এভাবেই বিভিন্ন সংস্থার অ্যাকাউন্টে নগদে লেনদেন করে রেশন কেলেঙ্কারির কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করেছেন বাকিবুর (Bakibur Rahaman) ও মন্ত্রিমশাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দিতে আদালতে আবেদন জানাবে ইডি

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দিতে আদালতে আবেদন জানাবে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের হাত থেকে সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Case) তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআইয়ের হাতে। কলকাতা হাইকোর্টে এই মর্মে নতুন করে আবেদন জানাতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রসঙ্গত, সোমবারই ইডি তাদের দায়ের করা মামলাটিকেও সিবিআই কিংবা এনআইএকে দেওয়ার আবেদন করেছিল।

    সিবিআই চেয়ে মামলা

    সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ইডির আইনজীবী এসভি রাজু ও ধীরজ ত্রিবেদী। সোমবার সেই মামলায়ই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের আইনজীবী। তিনি বলেন, “আমার মক্কেলও ওই মামলায় যুক্ত হতে চান।” গত পাঁচ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়িতে তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা। জখম হন দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের দুই জওয়ানও জখম হন।

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ করে ইডি। পাঁচ (Sandeshkhali Case) জানুয়ারির ওই ঘটনার পরেই গা ঢাকা দেন তৃণমূল নেতা। এই মামলায় যুক্ত হতে চান বলে সোমবার আইনজীবী মারফত কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন শাহজাহান। তাঁর আরও আবেদন, এই ঘটনায় তাঁর বক্তব্যও শোনা হোক। আবেদন শোনার পর শাহজাহানের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করে আদালত। বিচারপতি জানতে চান, ওই ঘটনায় কতজন গ্রেফতার হয়েছেন। ইডির ওপর হামলার পর পরই কেন রাজ্য পুলিশ শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেনি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন, এখনও অধরা শাহজাহান

    সোমবার মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন জানালেও, মঙ্গলবার শাহজাহান জানান, তিনি এখনই ওই মামলায় যুক্ত হতে চান না। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এমনই জানান অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার আইনজীবী। তিনি জানান, সোমবার সন্দেশখালির নিখোঁজ তৃণমূল নেতার তরফ মামলায় যুক্ত হওয়ার যে আবেদন করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। আদালত মনে করলে মামলায় যুক্ত হবেন তাঁর মক্কেল। শাহজাহানের আইনজীবীর কাছে বিচারপতি জানতে চান, তাঁর মক্কেল কেন আত্মসমর্পণ করেননি? শাহজাহানের আইনজীবী বলেন, “আমার অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ইডির অভিযান সঠিক ছিল না।” বিচারপতি বলেন, “তবুও ইডির সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত আপনার (Sandeshkhali Case)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Vijay Mallya Nirav Modi: ‘পলাতক’ দুই ঋণখেলাপির খোঁজে লন্ডন যাচ্ছেন গোয়েন্দারা!

    Vijay Mallya Nirav Modi: ‘পলাতক’ দুই ঋণখেলাপির খোঁজে লন্ডন যাচ্ছেন গোয়েন্দারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা ঋণখেলাপি। পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ব্রিটেনে। ঋণখেলাপি সেই বিজয় মালিয়া ও নীরব মোদির (Vijay Mallya Nirav Modi) খোঁজে এবার লন্ডন পাড়ি দিচ্ছে সিবিআই-ইডি এবং এনআইএর পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের দল। বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে ব্রিটেনের সর্বোচ্চ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ওই দুই ঋণখেলাপির প্রত্যর্পণের চেষ্টা করবে ওই তদন্তকারী দল। এজন্য ব্রিটেনের সর্বোচ্চ প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলবেন ওই দলের সদস্যরা। সিবিআই-ইডি এবং এনআইএর আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত এই দলের লন্ডন সফর নিয়ে অবশ্য এখনও কিছু বলা হয়নি কেন্দ্রের তরফে।

    নীরব-বিজয়-সঞ্জয়

    নীরব মোদি হিরে ব্যবসায়ী। বিজয় মালিয়া কিংফিশার এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন মালিক। এই দুই (Vijay Mallya Nirav Modi) ঋণখেলাপি ছাড়াও আরও এক পলাতক ব্যবসায়ীর প্রত্যর্পণের বিষয়েও গতি আনতে চাইছে নয়াদিল্লি। তিনি অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারি। ইউপিএ জমানায় একাধিক অস্ত্রচুক্তিতে তিনি মধ্যস্থতা করেছিলেন বলে অভিযোগ। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরার ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি লন্ডন ও দুবাইয়ে সম্পত্তি কিনেছেন।

    প্রত্যর্পণের চেষ্টা চলবে

    অর্থনৈতিক অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তপ্রক্রিয়া চললে এক দেশ অন্য দেশের সঙ্গে তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান করবে বলে চুক্তি রয়েছে নয়াদিল্লি ও লন্ডনের মধ্যে। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও নীরব ও বিজয়কে প্রত্যর্পণের চেষ্টা করলেও, আইনি জটে এখনও তা সম্পন্ন হয়নি। সেই কারণেই ফের একবার চেষ্টা করছে ভারত।

    জানা গিয়েছে, ব্রিটেন পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষস্তরে কথা বলে পলাতক নীরব, বিজয় ও সঞ্জয়কে দেশে ফেরানোর চেষ্টার পাশাপাশি বিদেশে তাঁদের নামে-বেনামে কেনা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদনও জানাবে সিবিআই-ইডি এবং এনআইএ আধিকারিকদের সমন্বয়ে গঠিত ভারতীয় গোয়েন্দাদের দলটি।

    আরও পড়ুুন: ফ্ল্যাট ‘প্রতারণা’কাণ্ডে বিপাকে তৃণমূলের নুসরত, কী বলল আদালত?

    প্রসঙ্গত, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের বিপুল পরিমাণ টাকা তছরুপের অভিযোগে কাঠগড়ায় নীরব। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পালানোর অভিযোগ লিকার ব্যারন বিজয়ের বিরুদ্ধে। আর সঞ্জয় দেশ ছাড়েন ২০১৬ সালে, ইডি এবং আয়কর দফতর তদন্ত শুরু করতেই (Vijay Mallya Nirav Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ration Scam: শঙ্কর আঢ্যর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের অফিসে ইডির হানা, রেশন দুর্নীতিতে শহরে তল্লাশি

    Ration Scam: শঙ্কর আঢ্যর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের অফিসে ইডির হানা, রেশন দুর্নীতিতে শহরে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের ১০ দিন পর আবার রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে শহরের নানা প্রান্তে ইডির তল্লাশি। শহরের চার জায়গায় তদন্তে নামল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সোমবার সকালে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে শঙ্কর আঢ্যর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অরবিন্দ সিংয়ের অফিসে হানা দেয় ইডি (ED Raid) । কলকাতার অন্তত ছয়টি জায়গায় এদিন ভোর থেকে তল্লাশি চালাচ্ছে আধিকারিকরা।

    কোথায় কোথায় তল্লাশি

    রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় আবারও ইডির হানা (ED Raid) কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ। তার মধ্যে যেমন রয়েছে বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা এই মামলায় ইতিমধ্যেই ধৃত শঙ্কর আঢ্যর অফিস, তেমনই রয়েছে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে তাঁর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অরবিন্দ সিংয়ের অফিসও। সেক্টর ফাইভের ওই অফিসের ১২ তলায় চলছে তল্লাশি। গোটা চত্বর ঘিরে ফেলেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ওই অফিসের নীচে নিরাপত্তায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এমনকী মহিলা জওয়ানদেরও সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। কিছু দিন আগে পুরসভায় নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। লেকটাউনে তাঁর দু’টি বাড়িতে দীর্ঘ ক্ষণ তল্লাশি চলে। সেই সঙ্গে একই দিনে ইডি গিয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বৌবাজারের বাড়ি এবং বিরাটীতে আর এক তৃণমূল কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতেও। 

    আরও পড়ুন: মাঘের শুরুতেই বৃষ্টি! মকর সংক্রান্তিতে ঠান্ডার দাপট, বাংলায় শূন্যে নামল দৃশ্যমানতা

    কেন তল্লাশি

    উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে একটি মেরুন ডায়েরি। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আগের আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ওই ডায়েরিটি। ইডি সূত্রে খবর, ওই ডায়েরিতে পাওয়া গিয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাতে রয়েছে লেনদেনের হিসেব। মন্ত্রীর হয়ে অভিজিৎ কোথায়, কাদের কাছ থেকে, কত টাকা তুলেছেন, তা লেখা রয়েছে ওই ডায়েরিতে এমনই দাবি ইডি-র। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিজিৎ দাস ইতিমধ্যেই বয়ান দিয়েছেন যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশেই টাকা নিয়েছিলেন তিনি। এরপরেই ইডি আধিকারিকরা তদন্ত করে সেক্টর ফাইভে শঙ্কর আঢ্যর ওই চার্ডার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট অফিসের খোঁজ পান। সেই মতো এদিন তল্লাশি চালানো হয়েছে ওই অফিসে। এর আগে রেশন মামলায় গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতেও গিয়েছিল ইডি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: এবার ভুতুড়ে চাকরির হদিশ! ৫৮ শিক্ষকের নিয়োগ সম্পর্কে জানে না খোদ এসএসসি

    Recruitment Scam: এবার ভুতুড়ে চাকরির হদিশ! ৫৮ শিক্ষকের নিয়োগ সম্পর্কে জানে না খোদ এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় নয়া ‘চাঞ্চল্যকর’ তথ্য সামনে এল। এবার ভুতুড়ে চাকরি ধরা পড়ল। যে চাকরি গুলি সম্পর্কে এসএসসি নিজেই জানে না। অথচ বহাল তবিয়তে মাস পোহালে বেতনও তুলছেন ওই ভুতুড়ে শিক্ষকরাও। জানা গিয়েছে ৫৮ জন শিক্ষকের চাকরি পাওয়া নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’ রয়েছে খোদ এসএসসির কাছে। কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে এসএসসি জানিয়েছে, ওই ৫৮ জন শিক্ষকের কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। ওই শিক্ষকদের পার্সোনালিটি টেস্ট, ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি। এমনকি নিয়োগের প্যানেলও তাঁদের নাম ছিল না। ফলে তাঁরা কী ভাবে চাকরি পেলেন তা নাকি এসএসসি জানেনা।

    কীভাবে পাওয়া গেল ৫৮ জনের সন্ধান?

    স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)  মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। শাসকদলে বেশ কিছু রাঘববোয়াল থেকে মন্ত্রী-বিধায়ক এই মামলায় বর্তমানে গারদের অন্দরে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আদালতের নির্দেশ মতো তদন্তে উঠে আসা তথ্য এসএসসিকে পাঠানো হয় সিবিআই-এর তরফে। ওই তথ্য যাচাই করে বেআইনি নিয়োগ সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান কোর্টকে জানায় এসএসসি। গত সপ্তাহে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে এসএসসি ৫৮ জন শিক্ষকের নাম আদালতে রিপোর্ট আকারে জমা দেয়। সেখানেই এসএসসি জানায়, নবম-দশম শ্রেণিতে ৪০ জন এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ১৮ জন শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরা কী ভাবে চাকরি (Recruitment Scam)  পেয়েছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাঁদের কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

    মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সপ্তাহে

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam)  সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পাওয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে । পরীক্ষা না দিয়েও অনেক অযোগ্য প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। এবার উঠল নতুন অভিযোগ। ৫৮ জনের ভুতুড়ে চাকরি। কী ভাবে তাঁরা চাকরির সুপারিশপত্র পেলেন তা খুঁজছে খোদ এসএসসিও। আগামী সপ্তাহে আবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Ration Scam: রেশন দুর্নীতির দায়ে ধৃত তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর পরিবারকে তলব ইডি-র 

    Ration Scam: রেশন দুর্নীতির দায়ে ধৃত তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর পরিবারকে তলব ইডি-র 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে ধৃত তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর পরিবারের সদস্যদের তলব করেছিল ইডি। শুক্রবার তাঁর মা, মেয়ে ও ভাইয়ের স্ত্রী ইডি-র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন।  সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় এজেন্সির (Central Agency) অনুমান, সপরিবারে রেশন দুর্নীতিতে জড়িত বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য (Shankar Adhya)। 

    কেন তলব ইডি-র

    শঙ্কর আঢ্য তাঁর মা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ভাইয়ের নামে বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থা খুলেছিলেন , বলে দাবি ইডি-র। রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই ৯৫ বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থার হদিশ মিলেছে। ৬টি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থা শঙ্কর ও তাঁর পরিবারের নামে, বাকি সংস্থা ছিল ‘ভুয়ো নামে’, আদালতে জমা দেওয়া তালিকায় এই তথ্য জানিয়েছে ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে দাবি, যে সব মুদ্রা বিনিময় বা ফোরেক্স সংস্থার মাধ্যমে দুবাই ও বাংলাদেশে টাকা পাচার করা হয়েছে, তার মধ্যে একাধিক সংস্থা রয়েছে শঙ্কর আঢ্য ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, শঙ্কর আঢ্যর নিজের নামে যেমন রয়েছে এস আর আঢ্য ফিনান্স প্রাইভেট লিমিটেড, তেমনই তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যর নামে রয়েছে অর্পণ ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড।

    আরও পড়ুন: ‘‘ব্যাগ গোছাতে শুরু করুন’’, ইডি হানায় খোঁচা শুভেন্দুর, ‘‘খেলা শুরু হয়েছে’’, কটাক্ষ দিলীপের

    কোন কোন সংস্থা পরিবারের নামে

    এদিন শঙ্কর আঢ্যকে মেডিক্যালের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বেরোনোর সময় শঙ্কর তাঁর পরিবারের সদস্যদের তলব প্রসঙ্গে বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে যাকে খুশি ডাকতেই পারে এজেন্সি।’ তদন্তকারীদের অনুমান, কালো টাকা কীভাবে সাদা করা হবে, সেই ষড়যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল শংকর আঢ্যর। যাতে পরিবারের সদস্যদেরও যুক্ত করেছিলেন তিনি। শঙ্কর আঢ্যর পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যও এস আর আঢ্য ফিনান্স প্রাইভেট লিমিটেডের অংশীদার। শঙ্কর আঢ্যর ছেলে শুভ আঢ্য ও শ্যালক অমিত ঘোষের নামে রয়েছে শঙ্কর ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড। মেয়ে ঋতুপর্ণা আঢ্যর নামে রয়েছে অর্পণ ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড। ভাই মলয় আঢ্য ও মা শিবানী আঢ্যর নামে রয়েছে আঢ্য ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড। ইডি সূত্রে দাবি, এভাবেই নিজের মা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও ভাইয়ের নামে বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থা খুলে বিদেশে টাকা পাচারের কারবার ফেঁদে বসেছিলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সহ সভাপতি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED in Sujit Bose House: সন্দেশখালি থেকে শিক্ষা! মাথায় হেলমেট, হাতে ঢাল নিয়ে দমকলমন্ত্রীর বাড়িতে ইডি

    ED in Sujit Bose House: সন্দেশখালি থেকে শিক্ষা! মাথায় হেলমেট, হাতে ঢাল নিয়ে দমকলমন্ত্রীর বাড়িতে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি এবং বনগাঁর ঘটনার থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়ে অভিযানের সময় সাবধানী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED in Sujit Bose House)। পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শুক্রবার সকালে তিন জায়গায় নতুন করে অভিযানে নেমেছে ইডি। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় এবং উত্তর দমদম পুরসভার কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে পৌঁছয় ইডির আধিকারিকরা। এদিন আত্মরক্ষার জন্য বাহিনীর হাতে ছিল ঢাল এবং মাথায় হেলমেট। বাহিনীর বেশির ভাগ সদস্যের হাতে লাঠিও চোখে পড়েছে।

    কেন এই পদক্ষেপ

    সন্দেশখালি থেকে বনগাঁ দুর্নীতির (ED Raid) তদন্তে তল্লাশিতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। হামলার শিকার হয়েছিল তাদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীও (Central Force)। তাই এবার বাড়তি সতর্ক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  এর আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিভিন্ন অভিযানে যত সংখ্যক সিআরপিএফ দেখা যেত, এদিন সব জায়গাতেই তার চেয়ে বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযানে যাওয়া বহু জওয়ানকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতেও দেখা গিয়েছে। 

    বডি প্রোটেক্টর শিল্ড

    শুক্রবার পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযান চলে শহরের নানা প্রান্তে। এই সময় দেখা যায়, মন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) বাড়ির সামনে পাহারায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মাথায় রয়েছে হেলমেট। গায়ে বডি প্রোটেক্টর শিল্ড। উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনেও একই দৃশ্য চোখে পড়ে। সেখানে আবার সিআরপিএফ-এর সঙ্গে ছিল কাঁদানে গ্যাসও। বউবাজারে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের (Tapash Roy) বাড়ির সামনে ঢাল আর লাঠি নিয়ে পাহারা দিতে দেখা যায় জওয়ানদের। 

    আরও পড়ুন: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে হানা ইডি-র

    বিশেষ নির্দেশ

    ঠিক এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ, গত শুক্রবার সকালে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে বনগাঁ এবং সন্দেশখালিতে হানা দিয়েছিল ইডি। কিন্তু তল্লাশি অভিযানে গিয়ে কার্যত মার খেতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকদের। আক্রান্ত হন ইডির তিন অফিসার। তাঁদের মধ্যে এক জনের আঘাত ছিল গুরুতর। সেই সময় ইডির অফিসারদের ল্যাপটপ, মোবাইল, ব্যাগ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই একই দিনে বনগাঁতেও বাধার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। ইডি সূত্রে খবর, সন্দেশখালি এবং বনগাঁ ‘মডেল’-এর যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই কারণেই শুক্রবারের তদন্ত অভিযানে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সাবধানী কেন্দ্রীয় বাহিনীও। এই ঘটনার পরই জওয়ানদের নির্দেশ দেওয়া হয়, এই ধরনের অভিযানের সময়, মাথায় পরতে হবে হেলমেট, থাকবে বডি প্রোটেক্টর জ্যাকেট, লাঠি রাখাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা-সহ পাঁচটি অডিয়ো ক্লিপ ফরেন্সিকে পাঠাল ইডি

    Kalighater Kaku: ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা-সহ পাঁচটি অডিয়ো ক্লিপ ফরেন্সিকে পাঠাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটের ‘কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠাল ইডি। গত সপ্তাহেই ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ এবার সেগুলিকে পরীক্ষার জন্য সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ ইডির তরফে দ্রুত নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

    কেন পাঠানো হল রেকর্ডিং ক্লিপিং

    ইডি সূত্রে খবর, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনার সঙ্গে পাঁচটি রেকর্ডিং ক্লিপিংও পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার জন্যই রেকর্ডিং ক্লিপিংগুলি পাঠানো হয়েছে। দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা বার বার বলেছে ইডি। সূত্রের খবর, ‘কাকু’র একাধিক ভয়েস কল রেকর্ডিং মোবাইল থেকে উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ওই কথোপকথন একাধিক ভাগে ভাগ করে তার সঙ্গে মিলিয়েই গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজয়কৃষ্ণের (Sujay Krishna Bhadra) কন্ঠস্বর মেলাতে পারলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে, এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। কণ্ঠস্বর রেকর্ড করার সিদ্ধান্ত যখন নেওয়া হয় ইডির তরফ থেকে, ঘটনাচক্রে তার পরেই এসএসকেএমে ভর্তি হয়ে যান তিনি।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমার কাজকর্ম একটা শ্রেণিকে বিপদে ফেলেছে’’, মন্তব্য বিচারপতির

    প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি আছেন ‘কাকু’। তিনি ‘গুরুতর’ অসুস্থ হওয়ায় এসএসকেএম তাঁকে ছুটি দিতে পারছে না। এমনকি, জোকার ইএসআই হাসপাতালে গিয়ে কণ্ঠস্বরের নমুনা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এসএসকেএম হাসপাতালের ডাক্তারেরা আপত্তি করেছিলেন বলে ইডি-র অভিযোগ। সম্প্রতি বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় রুদ্ধদ্বার শুনানি করে নির্দেশ দেন,‘কাকু’-র কণ্ঠস্বরের নমুনা নিতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করলে এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিচারপতি। তারপরেই জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এবার সেই নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share