Tag: ED

ED

  • Kalighater Kaku: চাপ বাড়ল কাকুর, ‘‘কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলবে’’, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Kalighater Kaku: চাপ বাড়ল কাকুর, ‘‘কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলবে’’, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একক বেঞ্চের পরে ডিভিশন বেঞ্চেও জোর ধাক্কা খেলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater kaku)। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ বিষয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশই কার্যকর হবে, একথা সাফ জানালেন বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবারই ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনার পরবর্তী প্রক্রিয়ার উপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

    ইডির তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে

    নিয়োগ মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণের (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এনিয়ে বুধবারই হাইকোর্টে ইডির আইনজীবী তাঁর সওয়ালে বলেন, ‘‘আমরা তদন্ত শেষ করব কীভাবে? গোটা রাজ্য আমাদের বিরুদ্ধে। প্রতি পদে তদন্তে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’’ ইডির আইনজীবীর কথায় উঠে আসে সন্দেশখালির ঘটনাও। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের তদন্তকারী আধিকারিকদের মারধর করা হচ্ছে। এফআইআর করা হচ্ছে।’’ এর পর ইডির আইনজীবী বলেন, কী ভুল রয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার ওই নির্দেশে? তিনি তো নির্দেশে লিখেছেন যে, কণ্ঠস্বরের নমুনা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ ছাড়া বিচার প্রক্রিয়ায় প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না।

    কী বললেন বিচারপতি সৌমেন সেন

    যদিও কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন এদিন তুলতে দেখা গিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চকে। বিচারপতি সেনের মন্তব্য, ‘‘আইন অনুযায়ী প্রত্যেক অভিযুক্তের কিছু অধিকার থাকে। আইন অনুযায়ী তিনি এই নমুনা দিতে অস্বীকার করতে পারেন। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিংহ সঠিক কাজ করেননি। বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে যখন এই একই বিষয়বস্তু নিয়ে মামলা বিচারাধীন তখন বিচারপতি অমৃতা সিংহের এই নির্দেশ সঠিক নয়। এটা বিচারবিভাগীয় পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে এবং বিচারবিভাগীয় আচরণবিধির ক্ষেত্রে সঠিক উদাহরণ নয়। এটা মারাত্মক প্রবণতা।’’ প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানি চলে। এরপরেই সুজয়কৃষ্ণকে (Kalighater Kaku) সঙ্গে নিয়ে রাতে অ্যাম্বুল্যান্সে করে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছন ইডির আধিকারিকরা। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্যের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    ED: সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্যের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে এবার রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুক্রবার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির (ED) তিন আধিকারিক।

    কী জানতে চেয়েছে শাহের মন্ত্রক?

    ঘটনার পরে পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লেখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে তাঁকে চিঠি লেখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তারপর মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করল শাহের মন্ত্রক। সন্দেশখালিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কতজন ধরা পড়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে, এসবই জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই সূত্রেই শুক্রবার সকালে ইডির কয়েকজন আধিকারিক অভিযানে গিয়েছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে।

    ইডির অভিযান

    শাহজাহানের বাড়ি সরবেড়িয়া গ্রামে। সাত সকালে বাড়িতে গিয়ে শাহজাহানের নাম ধরে ডাকেন ইডি কর্তারা। ঘণ্টাখানেক ধরে ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও দরজা খোলেনি শাহাজাহানের বাড়ির। এর পরেই দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, এই সময় শাহজাহানের অনুগামীরা ইডি কর্তাদের বেধড়ক মারধর করেন। তাঁদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় আধিকারিকদের গাড়িতে। মারের চোটে জখম হন ইডির তিন আধিকারিক (ED)। জখম হয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও।

    আরও পড়ুুন: ইডির চার্জশিটে স্ত্রী ও দুই মেয়ের নাম, লোকসভা ভোটের আগে বিপাকে লালু

    ঘটনায় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ইডি। সেই কারণে সোমবার রাতে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন। মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন এনআইএ, এসএসবি, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ এবং আইটির কর্তারাও। বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রাজভবনে যান নবীন। সেখানে বৈঠক করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও। জখম ইডি কর্তাদের সঙ্গেও দেখা করেন ইডির ডিরেক্টর।

    ইডি জানিয়েছে, সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে মিলে যখন আধিকারিকরা শাহজাহানের বাড়ির দরজা ভাঙার চেষ্টা করছিল, তখনও তিনি বাড়িতেই ছিলেন বলে মোবাইল লোকেশনে জানা যাচ্ছিল। তার পরেই শুরু হয় আধিকারিকদের ওপর হামলা। এদিকে, শুক্রবার ওই হামলার ঘটনায় ইডির এক তদন্তকারীর ল্যাপটপ খোয়া গিয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগে ইডি (ED) কর্তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ed Director: কলকাতায় ইডির ডিরেক্টর, বৈঠক করলেন রাজ্যপালের সঙ্গেও

    Ed Director: কলকাতায় ইডির ডিরেক্টর, বৈঠক করলেন রাজ্যপালের সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরে আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ইডি। যার জেরে সোমবার রাতে দিল্লি থেকে কলকাতায় এলেন ইডির ডিরেক্টর (Ed Director) রাহুল নবীন। মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন এনআইএ, এসএসবি, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ এবং আইটির কর্তারা।

    রাজ্যপাল-ইডি ডিরেক্টর বৈঠক

    বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রাজভবনে যান নবীন। সেখানে বৈঠক করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও। ইডির প্রতিটি অভিযানে তদন্তকারীদের সঙ্গে থাকেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তাই নবীন এদিন কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গেও। এদিনের বৈঠকে রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি ও নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতিও খতিয়ে দেখেন তিনি (Ed Director)। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই সূত্রেই শুক্রবার সকালে ইডি হানা দিতে গিয়েছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে।

    আক্রান্ত ইডি কর্তারা 

    শাহজাহানের বাড়ি সরবেড়িয়া গ্রামে। সাত সকালে বাড়িতে গিয়ে শাহজাহানের নাম ধরে ডাকেন ইডি কর্তারা। ঘণ্টাখানেক ধরে ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও দরজা খোলেনি শাহাজাহানের বাড়ির। এর পরেই দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, এই সময় শাহজাহানের অনুগামীরা ইডি কর্তাদের বেধড়ক মারধর করেন। তাঁদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় আধিকারিকদের গাড়িতে। মারের চোটে জখম হন ইডির তিন আধিকারিক।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    বনগাঁয় প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃণমূলের শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে গিয়েও আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। সন্দেশখালির ঘটনায় এফআইআর করে ইডি। তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আধিকারিকরা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে কলকাতায় চলে আসেন নবীন। মঙ্গলবার করেন বৈঠক। বৈঠক শেষেই বেরিয়ে যান নবীন। তিনি (Ed Director) যে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, সে ব্যাপারেও বিবৃতি জারি করা হয়নি রাজভবনের তরফে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Land For Jobs Case: ইডির চার্জশিটে স্ত্রী ও দুই মেয়ের নাম, লোকসভা ভোটের আগে বিপাকে লালু

    Land For Jobs Case: ইডির চার্জশিটে স্ত্রী ও দুই মেয়ের নাম, লোকসভা ভোটের আগে বিপাকে লালু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের মুখে বিপাকে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদের দল আরজেডি। লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রাবড়ি দেবী এবং মেয়ে মিসা ভারতীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল ইডি। রেলে জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় (Land For Jobs Case) রাবড়ি ও মিসার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

    ইডির চার্জশিটে কারা?

    ইডির চার্জশিটে নাম রয়েছে লালুর আর এক মেয়ে হেমা যাদব, লালু পরিবারের ঘনিষ্ঠ অমিত কাত্যাল, রেলের কর্মী এবং সুবিধাভোগী (অভিযোগ) হৃদয়ানন্দ চৌধুরী, একে ইনফোসিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড ও এক্সপোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুই সংস্থা এবং ওই দুই সংস্থার ডিরেক্টর শরিকুল বারীর নামও। লালু ও তাঁর ছেলে তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধেও ওই মামলায় তদন্ত করছে ইডি। প্রথম ইউপিএ সরকারে রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু। অভিযোগ, ওই সময় বিহারের বহু যুবককে জমি ও টাকার বিনিময়ে (Land For Jobs Case) রেলে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। কাঠগড়ায় তোলা হয় রাবড়ি ও তাঁর দুই মেয়ে মিসা ও হেমাকে।

    ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে রেলে চাকরি

    সিবিআইয়ের দাবি, লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকার সময় বহু ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে মুম্বই, জব্বলপুর, কলকাতা সহ রেলের বিভিন্ন জোনে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এজন্য তাঁদের কাছ থেকে জমি বা মোটা টাকা নিয়েছিলেন লালুর পরিবার ও ঘনিষ্ঠ নেতারা। অভিযোগ পেয়ে জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মূলে পৌঁছতে তদন্তে নামে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    ইডির আগে তদন্ত করেছিল সিবিআই-ও। ২০২২ সালের ২০ মে সিবিআই হানা দেয় দিল্লি, পাটনা-সহ দেশের ১৫টি জায়গায়। লালুর দল আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। ওই বছরেরই ২২ অক্টোবর লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। ওই চার্জশিটে লালু-পত্নী রাবড়ি এবং দুই কন্যা মিসা ও হেমার নামও ছিল। এই চারজন বাদে আরও ১২ জনের নামও ছিল সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে। এবার ইডির চার্জশিটেও নাম রয়েছে রাবড়ি, মিসা এবং হেমার। মঙ্গলবার দিল্লির পিএমএলএ আদালতে চার্জশিট (Land For Jobs Case) পেশ করেছে ইডি। ১৬ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

    পদ্ম শিবিরকে ধরাশায়ী করতে গঠিত হয়েছে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডি। এই জোটে রয়েছে লালুর দলও। সপরিবারে অভিযুক্ত লালুর দলকে নিয়ে ইন্ডি জোটের নেতারা কী করেন, এখন সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: চালকল মালিকদের থেকে নিজেই কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়! দাবি ইডি-র

    Ration Scam: চালকল মালিকদের থেকে নিজেই কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়! দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) সরাসরি যুক্ত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইডির দাবি, নিজেই কাটমানি নিতেন মন্ত্রী। বন দফতরে বসে কৃষকদের সঙ্গে ধান কেনার চুক্তি করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। এমনকী চালকল মালিকদের থেকে নিয়মিত ‘কাটমানি’ নিতেন তিনি। প্রতি কুইন্টালে ২০ টাকা করে ‘কাটমানি নেওয়া হত’ বলে ইডির দাবি। 

    ধান কেনার চুক্তিপত্র

    ইডি সূত্রে খবর, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনমন্ত্রীর পদে আসার পরও সমানভাবেই দুর্নীতি (Ration Scam) চালিয়ে যেতেন। বন দফতরে বসে কৃষকদের সঙ্গে ধান কেনার চুক্তি করেছিলেন তিনি। বন দফতরের তল্লাশি চালিয়ে কৃষকদের থেকে সরাসরি ধান কেনার প্রায় ১০০টি চুক্তিপত্র মিলেছে, বলে দাবি ইডির। ধান কেনাবেচায় মন্ত্রী নিজেই কমিশন নিতেন। সমস্ত রাইস মিল মালিকদের এই কমিশন দিতে হত। প্রতি কুইন্টালে ২০ টাকা কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়। কৃষি সমবায় সমিতির মাধ্যমে মন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যেত কমিশন। আদালতের রিপোর্টে বিস্ফোরক দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    নিয়মিত ‘কাটমানি’ সংগ্রহ

    খাদ্যমন্ত্রীর পদে বসে থেকে চালকল মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত ‘কাটমানি’ নিতেন জ্যোতিপ্রিয়। রেশন বণ্টন (Ration Scam) মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির পরেই জানা গিয়েছিল এই খবর। আদালতের শুনানিতেও এই দাবিই বহাল রাখল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। খাদ্যমন্ত্রী হিসাবে পদাধিকার বলে ওই দফতরেরই অধীনস্থ ‘পশ্চিমবঙ্গ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ সংস্থা’র চেয়ারম্যান ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। ওই সংস্থার মাধ্যমেই চলত কাটমানি দেওয়া-নেওয়া। কুইন্টাল পিছু খাদ্যশস্যে এই ‘কাটমানি’ জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর সঙ্গীরা নিয়মিত নগদে নিয়ে থাকতেন বলেও আদালতে দাবি করেছে ইডি।

    আরও পড়ুন: সহায়ক মূল্যে চাষিদের পরিবর্তে ব্যবসায়ীদের থেকে ধান কেনা হচ্ছে! চাঞ্চল্য

    মূল চাঁই বাকিবুর

    এক দশকেরও বেশি সময় ধরে উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার বহু চাল এবং আটাকলে রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) সিন্ডিকেট চলেছে বলে প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির তদন্তকারীরা তখনই দাবি করেছিলেন, এই সিন্ডিকেটের অন্যতম চাঁই ছিলেন ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। এ বার সেই সম্পর্কিত একাধিক তথ্য জমা করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০২১ সালের পয়লা ডিসেম্বর থেকে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর— এই ২২ মাসের সময়কালে বাকিবুরের ‘মেসার্স এনপিজি রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেড’ একাই তার ডিস্ট্রিবিউটর বা সরবরাহকারীদের কাছে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৫০০ কুইন্টালেরও বেশি আটা (১,৪২,৫০০.৯৯৯৫ কুইন্টাল) কম সরবরাহ করেছে। যা মোট নির্ধারিত পরিমাণের ২৫.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ, যত আটা সরবরাহ করার কথা, তার চার ভাগের এক ভাগ আটা সরবরাহই করা হয়নি। অথচ, সেই বাবদ টাকা কিন্তু সরকার দিয়েছে। ইডির তদন্তে উঠে এসেছে যে, বাকিবুর চাল এবং আটার দুর্নীতির মাধ্যমে নগদে ৯০০ কোটিরও বেশি অর্থ কামিয়েছেন। যে দুর্নীতিলব্ধ অর্থের একটি অংশ তিনি পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন খাদ্য এবং সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিবৃতি জারি ইডির, কী বলল জানেন?

    ED: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিবৃতি জারি ইডির, কী বলল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন ইডির (ED) দুই কর্তা। জখম হয়েছিলেন সিআরপিএফের দুই জওয়ানও। শুক্রবার সকালের ওই ঘটনার পরে ওই দিনই সন্ধেয় বনগাঁয় গিয়েও প্রায় একইরকম পরিস্থিতির মুখে পড়েন ইডির আধিকারিকরা।

    ইডির বিবৃতি

    ঘটনায় মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। তা সত্ত্বেও রাজ্যের শাসক দলের সাফাই ছিল, পুলিশকে না জানিয়ে যাওয়ায়ই ঘটনাটি ঘটেছে। সোমবার ওই ঘটনায় বিবৃতি জারি করেছে ইডি। সন্দেশখালির ঘটনায় পুলিশের পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তুলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। ইডির প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টি ৪৬ মিনিটে ই-মেইল মারফত অভিযানের বিষয়টি জানানো হয় বনগাঁর পুলিশকে। বিকেল ৪টে নাগাদ পুলিশ সুপারের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা হয়।

    এফআইআরের প্রতিলিপি মেলেনি

    তাঁদের কাছে ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তা চাওয়া হয়। তার পরেও যে জায়গায় তল্লাশি চলছিল, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সেখানে বড় জমায়েত হয়। পরে ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ইডি জানিয়েছে, ওই ঘটনায় কোনও ইডি আধিকারিক আক্রান্ত হননি। কেন্দ্রীয় সংস্থার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে বনগাঁ থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। এফআইআরের প্রতিলিপি তারা এখনও হাতে পায়নি। সন্দেশখালিকাণ্ডে ন্যাজাট থানায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তার প্রতিলিপিও হাতে আসেনি।

    আরও পড়ুুন: মোদির প্রতি বিরূপ মন্তব্য, মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা

    এদিকে, সন্দেশখালিকাণ্ডে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রককে রিপোর্ট দিয়েছে ইডি (ED)। আবার সিআরপিএফের মাধ্যমেও ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পৌঁছছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। ইডি এবং সিবিআই যৌথভাবে রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। তিনি রিপোর্ট পাঠাবেন রাষ্ট্রপতিকে। এদিকে, শাহজাহানকে ধরতে নবান্নের ওপর তৈরি হচ্ছে চাপ। শাহজাহানের গতিবিধি জানতে ও তাকে ধরতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থাকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্দেশখালিতে শাহজাহনের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির দুই কর্তা। তাঁদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটের টুকরো। এর (ED) পরেই লাঠিচার্জ করেন নিরাপত্তা রক্ষীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

     

  • Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়র চিঠিতে আরও ২ নামের খোঁজ! ফের ইডির জেরার মুখে মেয়ে প্রিয়দর্শিনী?

    Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়র চিঠিতে আরও ২ নামের খোঁজ! ফের ইডির জেরার মুখে মেয়ে প্রিয়দর্শিনী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mullick) রহস্য চিঠি নিয়ে তাঁর মেয়ে প্রিয়দর্শিনীকে জেরা করতে পারে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, রেশন দুর্নীতি থেকে উপার্জিত টাকা আর কার কার কাছে জমা রেখেছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,তা জানতে চাওয়া হবে প্রিয়দর্শিনীর কাছে। মেয়েকে লেখা গোপন চিঠিতে ৪ জনের নাম করেছিলেন বালু। তাদের মধ্যে ২ জনকে শনাক্ত করতে পারলেও বাকি ২ জনের পরিচয় নিয়ে নিশ্চিত হতে চান গোয়েন্দারা।

    কেন তলব করা হতে পারে প্রিয়দর্শিনীকে

    প্রসঙ্গত,  গত ১৬ ডিসেম্বর এসএসকেএম-এ ভর্তি বাবা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mullick) সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী ও দাদা দেবপ্রিয়। ইডি আদালতে জানিয়েছে, জ্যোতিপ্রির কেবিন থেকে বেরনোর সময় তল্লাশিতে প্রিয়দর্শিনীর কাছ থেকে জ্যোতিপ্রিয়র লেখা একটি চিঠি উদ্ধার হয়। সেই চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘টাকা দরকার হলে ডাকু, শাহজাহানের কাছে চাইবি।’ চিঠিতে আরও ২ জনের নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। যাদের কাছে জ্যোতিপ্রিয় মেয়েকে টাকা চাইতে বলেছেন। কিন্তু তারা কারা তা ইডি প্রকাশ্যে আনেনি। ইডি সূত্রে খবর, সেই ২ ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারছেন না আধিকারিকরা। তাঁদের আসল নাম পরিচয় জানতে প্রিয়দর্শিনীকে জেরা করার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের বিজেপির, শুনানি বৃহস্পতিবার

    কবে ইডির সামনে প্রিয়দর্শিনী

    সূত্রের খবর, ওই রহস্যময় ব্যক্তি কারা তা জানতে বালু কন্যাকে খুব শীঘ্রই তলব করতে পারেন গোয়েন্দারা। শুধু তাই নয়, তাঁদের কাছে জ্যোতিপ্রিয়র কত টাকা গচ্ছিত রয়েছে সেই প্রশ্নও করতে পারেন গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত, শনিবার মধ্যরাতে রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mullick) ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য। প্রায় ১৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।  গাড়ি করে শংকর আঢ্যকে নিয়ে বেরনোর সময় ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালায় শংকরের অনুগামীরা। হামলায় ভাঙে ইডির গাড়ির কাচ। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাঁকে আদালতে পেশ করার পরই ইডি দাবি করে, যে দিন জ্যোতিপ্রিয়র কেবিন থেকে সিসিটিভি তুলে নেওয়া হয়, সেই দিনই প্রিয়দর্শিনী দেখা করেন বাবার সঙ্গে। পরবর্তীতে জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ের থেকে ওই চিঠি উদ্ধার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করতে গিয়েও আক্রান্ত ইডি, ভাঙল গাড়ির কাচ

    Ration Scam: বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করতে গিয়েও আক্রান্ত ইডি, ভাঙল গাড়ির কাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করতে গিয়েও আক্রান্ত হল ইডি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ ওই নেতাকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের লক্ষ্য করে উড়ে আসে ইট, ভাঙে গাড়ির কাচ। 

    আক্রান্ত ইডি

    প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি। সন্দেহজনক লেনদেন এবং বক্তব্যে অসঙ্গতির কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। শুক্রবার রাতেই বনগাঁ থেকে শঙ্করকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন ইডির আধিকারিকেরা। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। শনিবার শঙ্করকে আদালতে হাজির করিয়ে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এমনটাই ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    গ্রেফতার শঙ্কর

    শঙ্করকে গ্রেফতার করে তাঁর বনগাঁর বাড়ি থেকে তাঁকে নিয়ে বেরনোর সময় বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয় ইডিকে। শুক্রবার সন্দেশখালিতে অভিযানে গিয়ে ভয়াবহ ভাবে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিক ও সিআরপিএফ জওয়ানরা। রাতে ফের আক্রান্ত হন তাঁরা। শঙ্করকে গাড়িতে তোলার সময় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বনগাঁ। মহিলাদের সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়ে ইডির গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতার অনুগামীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করায় পিছু হঠে বিক্ষোভকারীরা।  পিছনে ইডির একটি গাড়ির কাচ ইট মেরে ভেঙে দেন ধৃত তৃণমূল নেতার অনুগামীরা।

    আরও পড়ুন: ইডির উপর হামলায় যুক্ত কারা? ছবি দেখিয়ে তিন জনকে ‘শনাক্ত’ করলেন শুভেন্দু

    ইডির অনুমান

    ইডি সূত্রে খবর, শঙ্করের শ্বশুরবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ইডির দাবি, নথিপত্র ঘেঁটে লেনদেন সংক্রান্ত যে সকল তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা সন্দেহজনক। ইডি জানতে পেরেছেন,  শঙ্কর ওরফে ডাকুর একাধিক সংস্থা রয়েছে। ইডি-র অভিযোগ, শঙ্কর এবং তাঁর পরিবার একাধিক বিদেশি মুদ্রা বিনিময় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। রয়েছে অর্থলগ্নি সংস্থাও। ইডি নজরে সেই সংস্থা গুলির আর্থিক লেনদেন। শনিবার সকাল হতেই সিজিও কমপ্লেক্সে এসে হাজির হন শঙ্কর আঢ্যের স্ত্রী ও মেয়ে। তখনও আধিকারিকরা অফিসে এসে পৌঁছননি। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের অপেক্ষা করতে হয়। কিছু নথি দিয়ে তাঁরা চলে যান বলে ইডি সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sujay Krishna Bhadra: সুজয়কৃষ্ণ স্থিতিশীল! ‘কাকু’র শরীরে বড় জটিলতা নেই, ইডিকে জানাল এসএসকেএম

    Sujay Krishna Bhadra: সুজয়কৃষ্ণ স্থিতিশীল! ‘কাকু’র শরীরে বড় জটিলতা নেই, ইডিকে জানাল এসএসকেএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মাঝেমধ্যে হৃদ্‌স্পন্দনে ছন্দপতন ঘটলেও ওষুধের মাধ্যমে তা এখন অনেকটাই সুস্থ, ‘কালীঘাটের কাকু’। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Sujay Krishna Bhadra) ‘মেডিক্যাল রিপোর্ট’-এ এরকমই জানিয়েছে এসএসকেএম। কলকাতা হাইকোর্টে তা পেশও করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর শরীরে বড় কোনও সমস্যা নেই বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকেও জানিয়েছে এসএসকেএম হাসপাতাল। 

    কী বলছে এসএসকেএম-এর রিপোর্ট

    আদালত সূত্রে খবর, হাইকোর্টে এসএসকেএম হাসপাতালের হৃদ্‌রোগ বিভাগের তরফে জমা দেওয়া ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে, ৬২ বছরের সুজয়কৃষ্ণ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। তবে তাঁর রক্তচাপ (১০৬/৭০) এবং নাড়ির স্পন্দনে (৮৮/মিনিট) তেমন কোনও অস্বাভিকতা নেই। বুধবারের (৩ জানুয়ারি) ওই রিপোর্টে ইডি হেফাজতে থাকা সুজয়ের অন্য কোনও গুরুতর শারীরিক সমস্যার কথাও উল্লিখিত হয়নি। প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে প্রায় পাঁচ মাস পরে ‘কাকু’কে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বার করে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকেরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁকে আলাদা ঘরে নিয়ে গিয়ে একই বাক্য বার বার করে বলানো হয়। ওই সূত্রের খবর, কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও।

    ইডির রিপোর্ট

    ইডি সূত্রের খবর, সুজয়কৃষ্ণের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছিলেন তাঁর চিকিৎসক দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়। ইডি হাইকোর্টে যে রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, এসএসকেএমের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান তাঁদের জানিয়েছেন যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর শরীরে বড় কোনও সমস্যা (Major Complications) নেই। ডাক্তাররা তাঁর হৃদপিণ্ডে কোনও সিরিয়াস রিদম ডিসঅর্ডার (Ryth Disorder) পাননি। অর্থাৎ হৃদপিণ্ডের ছন্দ ঠিকই রয়েছে। চিকিৎসকদের মতামত নিয়ে ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা বুধবার রাতেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেন। 

    আরও পড়ুন: ইডির উপর হামলায় যুক্ত কারা? ছবি দেখিয়ে তিন জনকে ‘শনাক্ত’ করলেন শুভেন্দু

    কেন শয্যা দখল

    শরীরে বড় কোনও সমস্যা না থাকলেও কেন এখনও এসএসকেএম হাসপাতালের বেড দখল করে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এমনকী আদালতও এ নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে। পিজি হাসপাতাল হল উৎকর্ষতার দিক থেকে রাজ্যের অন্যতম নামী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। সাধারণ মানুষ সহজে পিজিতে চিকিৎসার জন্য বেড পান না। এই অবস্থায় শরীরে গুরুতর সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও সুজয়কৃষ্ণকে পিজিতে রেখে দেওয়া হয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালে সাধারণ মানুষ জায়গা পাচ্ছেন না। অথচ  কালীঘাটের কাকু সেখানে বেড দখল করে  রয়েছেন প্রায় ৪ মাস ধরে। কোন যুক্তিতে তিনি হাসপাতালে তা জানতে চাইছে আদালতও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা গেল দিল্লি, কীভাবে হয় এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট?

    Kalighater Kaku: কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা গেল দিল্লি, কীভাবে হয় এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার মধ্যরাতে ১৫ থেকে ২০ রকম ভঙ্গিতে কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku)। ইডি সূত্রে  জানা গিয়েছে, ওই ১৫-২০ রকম স্বরক্ষেপণের ভঙ্গি সংগ্রহ করতে দিল্লি থেকে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির এক বিশেষজ্ঞ এসেছিলেন কলকাতায়। নমুনা সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবারই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি। ইডির অনুমান, সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই কণ্ঠস্বরের নমুনার রিপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে। তার পরে তা পেশ করা হবে আদালতে।

    কী বলছেন ইডি আধিকারিক?

    ইডি সূত্রের খবর, ‘কাকু’র একাধিক ভয়েস কল রেকর্ডিং মোবাইল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল আগেই। ওই কথোপকথন একাধিক ভাগে ভাগ করা হয়, তার সঙ্গে মিলিয়েই গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, ‘‘সুজয় (Kalighater Kaku) ঠিক যেমন ভাবে ফোনে কখনও উচ্চস্বরে, কখনও নিম্নস্বরে কথা বলেছিলেন, ঠিক তেমন ভাবেই বুধবার রাতে তাঁকে কথা বলতে বলে, তাঁর গলার স্বরের নমুনা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে একই কথা একাধিক বার বলানো হয়েছে।’’

    কীভাবে হয় এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট?

    অপরাধীদের ধরতে ফরেন্সিক সায়েন্সে একাধিক পদ্ধতি রয়েছে, যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ, ডিএনএ অ্যানালিসিস ইত্যাদি। তার মধ্যেই একটি হল এই কণ্ঠস্বর পরীক্ষা বা ফরেন্সিক ভয়েস অ্যানালিসিস। একে অনেক সময় ফরেন্সিক ভয়েস কম্প্যারিসনও বলা হয়। মোবাইল ফোনের অডিও রেকর্ড, ভয়েস রেকর্ডিং-এর গলার স্বরের সঙ্গে অভিযুক্তের গলার স্বরের মিল আছে কিনা বা দুটি মানুষই একই কিনা তা বোঝা যায় এই পদ্ধতিতে। ভয়েস স্যাম্পেল বা কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। এর জন্য যাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হবে তাঁকে একটি লেখা পড়তে দেওয়া হয়। কীভাবে তিনি পড়ছেন, গলার পিচ বা তীব্রতা, স্বরের ফ্রিকুয়েন্সি বা কম্পাঙ্ক, উচ্চারণ পদ্ধতি, স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণ ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে দেখা হয়। কোনও প্রশ্নের উত্তর কীভাবে দিচ্ছেন, কোন ক্ষেত্রে গলার স্বরের তীব্রতা বাড়ছে, উত্তেজিত হলে গলার স্বরে কতটা বদল আসছে, ভয় বা টেনশন হলে স্বরে কী কী বদল হচ্ছে এসব কিছুও খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share