Tag: ED

ED

  • Sandeshkhali Case: ইডির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ, সন্দেশখালিকাণ্ডে জানাল আদালত

    Sandeshkhali Case: ইডির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ, সন্দেশখালিকাণ্ডে জানাল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইডির বিরুদ্ধে করা এফআইআর নিয়ে কোনও তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ। সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল পুলিশ। শুরু করেছিল তদন্তও। এদিন সেই তদন্তেই স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ।

    কেস ডায়েরি তলব

    রাজ্যের কাছে এই ঘটনার কেস ডায়েরিও তলব করেছে আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে করা এফআইআর নিয়ে রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। ইডি আধিকারিকেরা কি শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকেছিলেন? প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, অনেক চেষ্টা করেও শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি তাঁরা। সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) একই দিনে তিনটি এফআইআর দায়ের হয়েছিল থানায়। এর মধ্যে দুটি এফআইআরের বয়ানে কোনও মিল নেই।

    বিচারপতির প্রশ্ন?

    সেই প্রেক্ষিতেই বিচারপতি মান্থার প্রশ্ন, “এফআইআর নেওয়ার আগে পুলিশ কি ন্যূনতম অনুসন্ধান করেছিল?” তাঁর পর্যবেক্ষণ, “ধরুন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ওপর আক্রমণ হয়েছে। ন্যূনতম অনুসন্ধান না করেই কি সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর লিখতে বসে যাবেন? আপনার রায় কি সে কথা বলছে? পুলিশের দুটি অভিযোগ নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। একটি ঘটনার সঙ্গে অন্যটিকে মেলানো যাচ্ছে না।” তিনি বলেন, “প্রথমে একটি বয়ানে পুলিশ এফআইআর নিল। ওসি স্বাক্ষর করে দিলেন। আবার দুপুরে আর একজন গিয়ে থানায় উল্টো ঘটনা বললেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেও এফআইআর করা হল। আর তাতেও ওসি সই করে দিলেন!”

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানকে গ্রেফতারে দাবিতে ন্যাজাট থানা ঘেরাও সুকান্তর, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, “পুলিশের একবারও মনে হল না, একটু আগে এই একই ঘটনা নিয়ে এফআইআর নেওয়া হয়েছে? আগে যিনি এসেছিলেন তিনি অন্য কথা বলেছেন। তখন দ্বিতীয় জনকে পুলিশ তো সেকথা বলবে। তা না করে চোখ বন্ধ করে ওসি স্বাক্ষর করে দিলেন! এটা পুলিশের কী ধরনের বোকামি?” বিচারপতি জানান, এক্ষেত্রে চালাকি করা হতে পারে। তাই কোন এফআইআর আগে হয়েছে, কোনটি পরে, তা জানতে এফআইআরের কপি তিনি পাঠাতে পারেন ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে (Sandeshkhali Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Farooq Abdullah: টাকা তছরুপের অভিযোগ! কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে তলব ইডির

    Farooq Abdullah: টাকা তছরুপের অভিযোগ! কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকাতেও দুর্নীতি! এবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে (Farooq Abdullah) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাল ইডি (Enforcement Directorate)। বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)-এর নেতা ফারুক আবদুল্লাকে তাদের শ্রীনগরের দফতরে হাজির থাকতে বলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে আর্থিক বেনিয়মের (Money Laundering) তদন্তেই সমন পাঠানো হয়েছে ফারুক আবদুল্লাকে। 

    ইডির অভিযোগ

    ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এই যে, জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার ঘটিয়ে তিনি টাকা নয়ছয় করেছেন। ভারতের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই-এর থেকে প্রাপ্ত টাকা ফারুকের আমলে বেআইনিভাবে অনেকের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। আজ, ১১ জানুয়ারি শ্রীনগরের ইডি অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ফারুক আবদুল্লাকে। যদিও তিনি হাজিরা দেবেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ফারুকের বয়স ৮৬। বয়সজনিত কারণে তিনি হাজিরা এড়াতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে খবর। 

    কখন হয়েছিল এই দুর্নীতি

    ২০০১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফারুক তাঁর রাজ্যের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। অভিযোগ, টাকা তছরুপের ঘটনাটি ঘটে ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে। অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেট বোর্ডের জন্য বরাদ্দ টাকা বিভিন্নভাবে হাতিয়ে নেওয়া হত। অ্যাসোসিয়েশনের তহবিলে যে টাকা জমা পড়ার কথা, তা অ্য়াসোসিয়েশনের অধিকর্তা সহ একাধিক ব্যক্তির ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত। তদন্তকারীদের দাবি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিজের পদের অপব্যবহার করেছিলেন এবং বহু লোকজনকে নিয়োগ করেছিলেন, যারা বিসিসিআই-র তহবিল তছরুপ করার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।

    আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক, কী আর্জি তৃণমূল নেতার?

    উল্লেখ্য, এই একই মামলায় তদন্ত করছে আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। তারা ইতিমধ্যেই মামলায় একটি চার্জশিট পেশ করেছে। সিবিআইয়ের চার্জশিটের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে ইডি। ২০২২ সালে ইডির চার্জশিটে শ্রীনগরের লোকসভার সাংসদ ফারুক আবদুল্লার নাম ছিল। ইডির দাবি, ফারুকের সময় ৪৫ কোটিরও বেশি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sukanta Majumdar: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি অফিসারদের ওপর হামলার অর্থ ভারতের সংবিধানের ওপর হামলা। বিজেপি ছেড়ে কথা বলবে না। ইডি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, রাজ্য সরকারের ভুয়ো কোনও সংস্থা নয়। বুধবার গঙ্গাসাগরে গিয়ে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি গঙ্গাসাগরের মেলার খরচ নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন তিনি।

    মেলার ২০০ কোটি কোথায় যায়, প্রশ্ন সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেলা উদ্বোধনে এসে বলেছিলেন, গঙ্গাসাগর মেলায় কেন্দ্রীয় কোনও সাহায্য মেলে না। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বুধবার বলেন, মেলার সাহায্য পেতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাতে হবে। উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীকে ডাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগাতে হবে। এখানে মেলা দেখে মনে হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, হেলিকপ্টার সার্ভিসটা কোথায়? ১৯ কোটি টাকা কোথায় যায়, সেটার কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না। আর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গঙ্গাসাগর মেলা করতে ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়. সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত এদিন বলেন, ২০০ কোটি টাকা কোথায় যায়, সেটা খোঁজ নিয়েছেন? মুখ্যমন্ত্রীর ছবির পিছনে সব টাকা কি খরচ হয়ে যায়?

    ইডি-র ওপর হামলা নিয়ে সরব সুকান্ত

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আগামীকাল ইডি-র ওপর হামলার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করার কর্মসূচি রয়েছে রাজ্য বিজেপির। ইডি ভারতীয় সংবিধানের দ্বারা পরিচালিত হয়। লোকসভায় ও রাজ্যসভায় আইন প্রণয়ন করে নিয়োগ করা হয়েছে। ইডি অফিসারদের ওপর হামলা মানে ভারতবর্ষের সংবিধানের উপর হামলা। এই হামলা ভারতবর্ষের সর্বভৌমত্বের উপর হামলা। বিচ্ছিন্নবাদী মানসিকতা, পশ্চিমবঙ্গকে ভারতবর্ষ থেকে আলাদা করার মানসিকতা। এই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে বিজেপি লড়ছে। যারা ইডি অফিসারদের ওপর হামলা করেছে, তাদেরকে তো গ্রেফতার করতে পারবে না, বরং তাদেরকে ‘বঙ্গরত্ন পুরস্কার’ দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর হার্মাদরা তো ভোটে জেতায়। মুখ্যমন্ত্রী কি জনতার ভোটে জেতে! তৃণমূল সরকার যে কাজ করছে সেটি ভারতবর্ষের সংবিধানের ওপর আক্রমণ, ভারতবর্ষের সর্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ। ইডি উপর যেভাবে আক্রমণ হয়েছে, যেভাবে আইন ভাঙা হয়েছে আমরা ছেড়ে কথা বলবো না। সময় আসছে বিজেপি সরকার তৈরি হবে। যে বাড়ির তালা ভাঙা যায়নি, সেই বাড়িতে বুলডোজার চলবে।

    গঙ্গাসাগরে সুকান্ত

    দলীয় একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে বুধবার গঙ্গাসাগরে পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে গঙ্গাস্নান করেন তিনি। গঙ্গাস্নানের পর তিনি কপিলমুনির মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। এরপর গঙ্গাসাগর মেলা চত্বর ঘুরে দেখেন তিনি। শুধুমাত্র এ রাজ্যই নয়, ভিন রাজ্য থেকেও এই মুহূর্তে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন গঙ্গাসাগরে। গঙ্গাসাগরে বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে মামলা ইডির, বয়ান রেকর্ডে সিজিওতে বসিরহাট পুলিশ

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে মামলা ইডির, বয়ান রেকর্ডে সিজিওতে বসিরহাট পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) তাদের উপরে হামলার ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, রেশন দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি করতে গিয়ে তাদের আধিকারিকদের উপর হামলা করা হয়েছে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ইডিকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আগামী কাল বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে বুধবারই ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছল বসিরহাটের পুলিশ। এদিনই ইডি অফিসারদের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    হাইকোর্টে ইডি

    বুধবার হাইকোর্টে ইডি-র অভিযোগ, ‘রেশন দুর্নীতির মামলায় তল্লাশি করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন অফিসাররা। উলটে আমাদের অফিসারদের বিরুদ্ধেই পুলিশ এফআইআর করেছে বলে শুনতে পাচ্ছি। সব সংবাদমাধ্যমে এটা প্রচার হচ্ছে। আমরা বসিরহাট কোর্টেও খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু সেখানেও এমন কোনও এফআইআর কপি যায়নি। ওয়েবসাইটে আপলোডও করা হয়নি। উলটে পুলিশ প্রতিদিন আমাদের অফিসে গিয়ে খোঁজ করছে, কোন কোন অফিসার সেদিন সেখানে গিয়েছিলেন। আমাদের আশঙ্কা হেনস্থা করার জন্য তাঁদের নামেও নতুন অভিযোগ দায়ের করবে।’ এদিন ইডির আবেদন শোনার পর মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগামী কাল বৃহস্পতিবারই মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    তৎপর কেন্দ্র

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) ঘটনায় তৎপর হয়েছে কেন্দ্রও। রাজ্যে এসে দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে দফায় দফায় বৈঠক করেন ইডির ডিরেক্টর। কথা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বৈঠকে ছিলেন সিআরপিএফ, এনআইএ, এসএসবি, সিআইএসএফ ও আইটি-র কর্তার। সেখানে দফতরের আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ! পড়ুয়াকে লাগাতার হেনস্থার অভিযোগে তোলপাড়

    সিজিও কমপ্লেক্সে পুলিশ

    অন্যদিকে সন্দেশখালির ঘটনায় (Sandeshkhali Incident) তল্লাশি অভিযানে যাওয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের বয়ান রেকর্ড করতেই বসিরহাটের ডিএসপি-র নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সিজিওতে পৌঁছেছে বলে সূত্রের খবর। সঙ্গে রয়েছে পুলিশের ক্যামেরাম্যানও। বুধবার ১২টা নাগাদ বসিরহাট পুলিশ সিজিও কমপ্লেক্সে যায়। তবে ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর বয়ান রেকর্ডের জন্য উপস্থিত না থাকার কারণে কিছুক্ষণ পরে পুলিশ সিজিও কমপ্লেক্স ছেড়ে বেড়িয়ে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: চাপ বাড়ল কাকুর, ‘‘কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলবে’’, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Kalighater Kaku: চাপ বাড়ল কাকুর, ‘‘কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলবে’’, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একক বেঞ্চের পরে ডিভিশন বেঞ্চেও জোর ধাক্কা খেলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater kaku)। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ বিষয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশই কার্যকর হবে, একথা সাফ জানালেন বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবারই ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনার পরবর্তী প্রক্রিয়ার উপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

    ইডির তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে

    নিয়োগ মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণের (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এনিয়ে বুধবারই হাইকোর্টে ইডির আইনজীবী তাঁর সওয়ালে বলেন, ‘‘আমরা তদন্ত শেষ করব কীভাবে? গোটা রাজ্য আমাদের বিরুদ্ধে। প্রতি পদে তদন্তে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’’ ইডির আইনজীবীর কথায় উঠে আসে সন্দেশখালির ঘটনাও। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের তদন্তকারী আধিকারিকদের মারধর করা হচ্ছে। এফআইআর করা হচ্ছে।’’ এর পর ইডির আইনজীবী বলেন, কী ভুল রয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার ওই নির্দেশে? তিনি তো নির্দেশে লিখেছেন যে, কণ্ঠস্বরের নমুনা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ ছাড়া বিচার প্রক্রিয়ায় প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না।

    কী বললেন বিচারপতি সৌমেন সেন

    যদিও কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন এদিন তুলতে দেখা গিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চকে। বিচারপতি সেনের মন্তব্য, ‘‘আইন অনুযায়ী প্রত্যেক অভিযুক্তের কিছু অধিকার থাকে। আইন অনুযায়ী তিনি এই নমুনা দিতে অস্বীকার করতে পারেন। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিংহ সঠিক কাজ করেননি। বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে যখন এই একই বিষয়বস্তু নিয়ে মামলা বিচারাধীন তখন বিচারপতি অমৃতা সিংহের এই নির্দেশ সঠিক নয়। এটা বিচারবিভাগীয় পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে এবং বিচারবিভাগীয় আচরণবিধির ক্ষেত্রে সঠিক উদাহরণ নয়। এটা মারাত্মক প্রবণতা।’’ প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানি চলে। এরপরেই সুজয়কৃষ্ণকে (Kalighater Kaku) সঙ্গে নিয়ে রাতে অ্যাম্বুল্যান্সে করে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছন ইডির আধিকারিকরা। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্যের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    ED: সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্যের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে এবার রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুক্রবার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির (ED) তিন আধিকারিক।

    কী জানতে চেয়েছে শাহের মন্ত্রক?

    ঘটনার পরে পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লেখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে তাঁকে চিঠি লেখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তারপর মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করল শাহের মন্ত্রক। সন্দেশখালিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কতজন ধরা পড়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে, এসবই জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই সূত্রেই শুক্রবার সকালে ইডির কয়েকজন আধিকারিক অভিযানে গিয়েছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে।

    ইডির অভিযান

    শাহজাহানের বাড়ি সরবেড়িয়া গ্রামে। সাত সকালে বাড়িতে গিয়ে শাহজাহানের নাম ধরে ডাকেন ইডি কর্তারা। ঘণ্টাখানেক ধরে ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও দরজা খোলেনি শাহাজাহানের বাড়ির। এর পরেই দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, এই সময় শাহজাহানের অনুগামীরা ইডি কর্তাদের বেধড়ক মারধর করেন। তাঁদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় আধিকারিকদের গাড়িতে। মারের চোটে জখম হন ইডির তিন আধিকারিক (ED)। জখম হয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও।

    আরও পড়ুুন: ইডির চার্জশিটে স্ত্রী ও দুই মেয়ের নাম, লোকসভা ভোটের আগে বিপাকে লালু

    ঘটনায় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ইডি। সেই কারণে সোমবার রাতে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন। মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন এনআইএ, এসএসবি, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ এবং আইটির কর্তারাও। বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রাজভবনে যান নবীন। সেখানে বৈঠক করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও। জখম ইডি কর্তাদের সঙ্গেও দেখা করেন ইডির ডিরেক্টর।

    ইডি জানিয়েছে, সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গে মিলে যখন আধিকারিকরা শাহজাহানের বাড়ির দরজা ভাঙার চেষ্টা করছিল, তখনও তিনি বাড়িতেই ছিলেন বলে মোবাইল লোকেশনে জানা যাচ্ছিল। তার পরেই শুরু হয় আধিকারিকদের ওপর হামলা। এদিকে, শুক্রবার ওই হামলার ঘটনায় ইডির এক তদন্তকারীর ল্যাপটপ খোয়া গিয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগে ইডি (ED) কর্তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ed Director: কলকাতায় ইডির ডিরেক্টর, বৈঠক করলেন রাজ্যপালের সঙ্গেও

    Ed Director: কলকাতায় ইডির ডিরেক্টর, বৈঠক করলেন রাজ্যপালের সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরে আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ইডি। যার জেরে সোমবার রাতে দিল্লি থেকে কলকাতায় এলেন ইডির ডিরেক্টর (Ed Director) রাহুল নবীন। মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন এনআইএ, এসএসবি, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ এবং আইটির কর্তারা।

    রাজ্যপাল-ইডি ডিরেক্টর বৈঠক

    বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রাজভবনে যান নবীন। সেখানে বৈঠক করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও। ইডির প্রতিটি অভিযানে তদন্তকারীদের সঙ্গে থাকেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তাই নবীন এদিন কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গেও। এদিনের বৈঠকে রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি ও নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতিও খতিয়ে দেখেন তিনি (Ed Director)। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই সূত্রেই শুক্রবার সকালে ইডি হানা দিতে গিয়েছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে।

    আক্রান্ত ইডি কর্তারা 

    শাহজাহানের বাড়ি সরবেড়িয়া গ্রামে। সাত সকালে বাড়িতে গিয়ে শাহজাহানের নাম ধরে ডাকেন ইডি কর্তারা। ঘণ্টাখানেক ধরে ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও দরজা খোলেনি শাহাজাহানের বাড়ির। এর পরেই দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, এই সময় শাহজাহানের অনুগামীরা ইডি কর্তাদের বেধড়ক মারধর করেন। তাঁদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় আধিকারিকদের গাড়িতে। মারের চোটে জখম হন ইডির তিন আধিকারিক।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    বনগাঁয় প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃণমূলের শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে গিয়েও আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। সন্দেশখালির ঘটনায় এফআইআর করে ইডি। তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আধিকারিকরা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে কলকাতায় চলে আসেন নবীন। মঙ্গলবার করেন বৈঠক। বৈঠক শেষেই বেরিয়ে যান নবীন। তিনি (Ed Director) যে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, সে ব্যাপারেও বিবৃতি জারি করা হয়নি রাজভবনের তরফে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Land For Jobs Case: ইডির চার্জশিটে স্ত্রী ও দুই মেয়ের নাম, লোকসভা ভোটের আগে বিপাকে লালু

    Land For Jobs Case: ইডির চার্জশিটে স্ত্রী ও দুই মেয়ের নাম, লোকসভা ভোটের আগে বিপাকে লালু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের মুখে বিপাকে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদের দল আরজেডি। লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর রাবড়ি দেবী এবং মেয়ে মিসা ভারতীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল ইডি। রেলে জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় (Land For Jobs Case) রাবড়ি ও মিসার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

    ইডির চার্জশিটে কারা?

    ইডির চার্জশিটে নাম রয়েছে লালুর আর এক মেয়ে হেমা যাদব, লালু পরিবারের ঘনিষ্ঠ অমিত কাত্যাল, রেলের কর্মী এবং সুবিধাভোগী (অভিযোগ) হৃদয়ানন্দ চৌধুরী, একে ইনফোসিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড ও এক্সপোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুই সংস্থা এবং ওই দুই সংস্থার ডিরেক্টর শরিকুল বারীর নামও। লালু ও তাঁর ছেলে তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধেও ওই মামলায় তদন্ত করছে ইডি। প্রথম ইউপিএ সরকারে রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু। অভিযোগ, ওই সময় বিহারের বহু যুবককে জমি ও টাকার বিনিময়ে (Land For Jobs Case) রেলে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। কাঠগড়ায় তোলা হয় রাবড়ি ও তাঁর দুই মেয়ে মিসা ও হেমাকে।

    ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে রেলে চাকরি

    সিবিআইয়ের দাবি, লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকার সময় বহু ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে মুম্বই, জব্বলপুর, কলকাতা সহ রেলের বিভিন্ন জোনে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এজন্য তাঁদের কাছ থেকে জমি বা মোটা টাকা নিয়েছিলেন লালুর পরিবার ও ঘনিষ্ঠ নেতারা। অভিযোগ পেয়ে জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মূলে পৌঁছতে তদন্তে নামে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    ইডির আগে তদন্ত করেছিল সিবিআই-ও। ২০২২ সালের ২০ মে সিবিআই হানা দেয় দিল্লি, পাটনা-সহ দেশের ১৫টি জায়গায়। লালুর দল আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। ওই বছরেরই ২২ অক্টোবর লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। ওই চার্জশিটে লালু-পত্নী রাবড়ি এবং দুই কন্যা মিসা ও হেমার নামও ছিল। এই চারজন বাদে আরও ১২ জনের নামও ছিল সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটে। এবার ইডির চার্জশিটেও নাম রয়েছে রাবড়ি, মিসা এবং হেমার। মঙ্গলবার দিল্লির পিএমএলএ আদালতে চার্জশিট (Land For Jobs Case) পেশ করেছে ইডি। ১৬ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

    পদ্ম শিবিরকে ধরাশায়ী করতে গঠিত হয়েছে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ইন্ডি। এই জোটে রয়েছে লালুর দলও। সপরিবারে অভিযুক্ত লালুর দলকে নিয়ে ইন্ডি জোটের নেতারা কী করেন, এখন সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: চালকল মালিকদের থেকে নিজেই কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়! দাবি ইডি-র

    Ration Scam: চালকল মালিকদের থেকে নিজেই কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়! দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) সরাসরি যুক্ত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইডির দাবি, নিজেই কাটমানি নিতেন মন্ত্রী। বন দফতরে বসে কৃষকদের সঙ্গে ধান কেনার চুক্তি করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। এমনকী চালকল মালিকদের থেকে নিয়মিত ‘কাটমানি’ নিতেন তিনি। প্রতি কুইন্টালে ২০ টাকা করে ‘কাটমানি নেওয়া হত’ বলে ইডির দাবি। 

    ধান কেনার চুক্তিপত্র

    ইডি সূত্রে খবর, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনমন্ত্রীর পদে আসার পরও সমানভাবেই দুর্নীতি (Ration Scam) চালিয়ে যেতেন। বন দফতরে বসে কৃষকদের সঙ্গে ধান কেনার চুক্তি করেছিলেন তিনি। বন দফতরের তল্লাশি চালিয়ে কৃষকদের থেকে সরাসরি ধান কেনার প্রায় ১০০টি চুক্তিপত্র মিলেছে, বলে দাবি ইডির। ধান কেনাবেচায় মন্ত্রী নিজেই কমিশন নিতেন। সমস্ত রাইস মিল মালিকদের এই কমিশন দিতে হত। প্রতি কুইন্টালে ২০ টাকা কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়। কৃষি সমবায় সমিতির মাধ্যমে মন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যেত কমিশন। আদালতের রিপোর্টে বিস্ফোরক দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    নিয়মিত ‘কাটমানি’ সংগ্রহ

    খাদ্যমন্ত্রীর পদে বসে থেকে চালকল মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত ‘কাটমানি’ নিতেন জ্যোতিপ্রিয়। রেশন বণ্টন (Ration Scam) মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির পরেই জানা গিয়েছিল এই খবর। আদালতের শুনানিতেও এই দাবিই বহাল রাখল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। খাদ্যমন্ত্রী হিসাবে পদাধিকার বলে ওই দফতরেরই অধীনস্থ ‘পশ্চিমবঙ্গ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ সংস্থা’র চেয়ারম্যান ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। ওই সংস্থার মাধ্যমেই চলত কাটমানি দেওয়া-নেওয়া। কুইন্টাল পিছু খাদ্যশস্যে এই ‘কাটমানি’ জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর সঙ্গীরা নিয়মিত নগদে নিয়ে থাকতেন বলেও আদালতে দাবি করেছে ইডি।

    আরও পড়ুন: সহায়ক মূল্যে চাষিদের পরিবর্তে ব্যবসায়ীদের থেকে ধান কেনা হচ্ছে! চাঞ্চল্য

    মূল চাঁই বাকিবুর

    এক দশকেরও বেশি সময় ধরে উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার বহু চাল এবং আটাকলে রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) সিন্ডিকেট চলেছে বলে প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির তদন্তকারীরা তখনই দাবি করেছিলেন, এই সিন্ডিকেটের অন্যতম চাঁই ছিলেন ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। এ বার সেই সম্পর্কিত একাধিক তথ্য জমা করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০২১ সালের পয়লা ডিসেম্বর থেকে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর— এই ২২ মাসের সময়কালে বাকিবুরের ‘মেসার্স এনপিজি রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেড’ একাই তার ডিস্ট্রিবিউটর বা সরবরাহকারীদের কাছে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৫০০ কুইন্টালেরও বেশি আটা (১,৪২,৫০০.৯৯৯৫ কুইন্টাল) কম সরবরাহ করেছে। যা মোট নির্ধারিত পরিমাণের ২৫.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ, যত আটা সরবরাহ করার কথা, তার চার ভাগের এক ভাগ আটা সরবরাহই করা হয়নি। অথচ, সেই বাবদ টাকা কিন্তু সরকার দিয়েছে। ইডির তদন্তে উঠে এসেছে যে, বাকিবুর চাল এবং আটার দুর্নীতির মাধ্যমে নগদে ৯০০ কোটিরও বেশি অর্থ কামিয়েছেন। যে দুর্নীতিলব্ধ অর্থের একটি অংশ তিনি পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন খাদ্য এবং সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিবৃতি জারি ইডির, কী বলল জানেন?

    ED: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিবৃতি জারি ইডির, কী বলল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন ইডির (ED) দুই কর্তা। জখম হয়েছিলেন সিআরপিএফের দুই জওয়ানও। শুক্রবার সকালের ওই ঘটনার পরে ওই দিনই সন্ধেয় বনগাঁয় গিয়েও প্রায় একইরকম পরিস্থিতির মুখে পড়েন ইডির আধিকারিকরা।

    ইডির বিবৃতি

    ঘটনায় মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। তা সত্ত্বেও রাজ্যের শাসক দলের সাফাই ছিল, পুলিশকে না জানিয়ে যাওয়ায়ই ঘটনাটি ঘটেছে। সোমবার ওই ঘটনায় বিবৃতি জারি করেছে ইডি। সন্দেশখালির ঘটনায় পুলিশের পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তুলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। ইডির প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টি ৪৬ মিনিটে ই-মেইল মারফত অভিযানের বিষয়টি জানানো হয় বনগাঁর পুলিশকে। বিকেল ৪টে নাগাদ পুলিশ সুপারের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা হয়।

    এফআইআরের প্রতিলিপি মেলেনি

    তাঁদের কাছে ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তা চাওয়া হয়। তার পরেও যে জায়গায় তল্লাশি চলছিল, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সেখানে বড় জমায়েত হয়। পরে ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ইডি জানিয়েছে, ওই ঘটনায় কোনও ইডি আধিকারিক আক্রান্ত হননি। কেন্দ্রীয় সংস্থার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে বনগাঁ থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। এফআইআরের প্রতিলিপি তারা এখনও হাতে পায়নি। সন্দেশখালিকাণ্ডে ন্যাজাট থানায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তার প্রতিলিপিও হাতে আসেনি।

    আরও পড়ুুন: মোদির প্রতি বিরূপ মন্তব্য, মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা

    এদিকে, সন্দেশখালিকাণ্ডে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রককে রিপোর্ট দিয়েছে ইডি (ED)। আবার সিআরপিএফের মাধ্যমেও ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পৌঁছছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। ইডি এবং সিবিআই যৌথভাবে রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। তিনি রিপোর্ট পাঠাবেন রাষ্ট্রপতিকে। এদিকে, শাহজাহানকে ধরতে নবান্নের ওপর তৈরি হচ্ছে চাপ। শাহজাহানের গতিবিধি জানতে ও তাকে ধরতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থাকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্দেশখালিতে শাহজাহনের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির দুই কর্তা। তাঁদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটের টুকরো। এর (ED) পরেই লাঠিচার্জ করেন নিরাপত্তা রক্ষীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

     

LinkedIn
Share