Tag: ED

ED

  • Kalighater Kaku : এসএসকেএম-এর থেকে রিপোর্ট তলব! সুজয়কৃষ্ণকে দেখতে হাসপাতালে ইডি

    Kalighater Kaku : এসএসকেএম-এর থেকে রিপোর্ট তলব! সুজয়কৃষ্ণকে দেখতে হাসপাতালে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ আছেন কেমন? সরেজমিনে সোমবার হাসপাতালে গেলেন ইডি-র এক আধিকারিক। খুব অল্প সময় তিনি পিজি-তে ছিলেন, বলে খবর। কার্ডিয়োলজি বিভাগে গিয়ে কাকুর অবস্থা জেনে আসেন ওই অফিসার। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। এ বিষয়ে কলকাতা থেকে একটি রিপোর্ট পাঠানো হবে দিল্লিতে, ইডি কর্তাদের কাছে। 

    কেন হাসপাতালে ইডি

    ‘আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ায়’ গত শুক্রবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে এসএসকেএম থেকে জোকা ইএসআই-তে নিয়ে যেতে পারেনি ইডি। অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে গিয়েও ফিরে যেতে হয়েছিল তাদের। ইডিকে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় কার্ডিয়োলজির এক নম্বর কেবিন থেকে ‘কাকু’কে আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এবার সুজয়কৃষ্ণের মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ দেখা গেল ইডি কর্তাদের মধ্যে। কাকু কতখানি অসুস্থ সেটাই স্পষ্ট নয় এসএসকেএমের মেডিক্যাল রিপোর্ট থেকে। ইডি সূত্রে খবর, কাকুর সিএবিজি গ্রাফ্ট ভেসেল (CABG GRAFT VESSLE) রিপোর্টও নেই। হার্টের চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্ট এটি। সেই রিপোর্ট চেয়ে এবার এস‌এসকেএমকে চিঠি দিল ইডি।

    আরও পড়ুন: মহুয়াকে ৩০ দিনে বাংলো খালির নির্দেশ! মন্ত্রককে চিঠি সংসদের আবাসন কমিটির

    বৈঠকে এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ড

    অন্যদিকে কাকুর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার ফের বৈঠকে বসে এসএসকেএমের মেডিক্যাল বোর্ড। ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, এম‌এসভিপি পীযূষ রায় ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেডিক্যাল বোর্ডের তিন সদস্য কার্ডিওলজিস্ট দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়, অসিত দাস, গৌতম দত্ত। আইসিসিইউ থেকে স্থানান্তরের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল যে, শুক্রবারই সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠাতে চায় তারা। নিয়োগ মামলায় সুজয়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। তিনি দীর্ঘ দিন ধরেই এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর গলার স্বরের নমুনা অনেক দিন ধরে সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। কিন্তু বার বার তাতে বাধা আসছে বলে অভিযোগ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: ১০০ কোটির কেলেঙ্কারি! রেশন দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডির

    Ration Scam: ১০০ কোটির কেলেঙ্কারি! রেশন দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় চার্জশিট পেশ করল ইডি। মঙ্গলবার ১২টা নাগাদ কলকাতার নগর দায়রা আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়। ইডি সূত্রে খবর, চার্জশিটে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick), মিল ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান ছাড়াও রয়েছে দশটি ভুয়ো সংস্থার নাম রয়েছে। আদালত সূত্রের খবর, ১৬২ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। কীভাবে রেশনের টাকা ঘুরপথে বেহাত হয়েছিল, আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার।

    চার্জশিটে থাকা ১০টি সংস্থা কার নামে

    এদিন সকালে বিশেষ ইডি আদালতে চার্জশিট পেশ করে ইডি। রাজ্যের একাধিক দুর্নীতি (Ration Scam) মামলার তদন্ত করতে গিয়ে খাদ্যবণ্টন ব্যবস্থায় ব্যাপক কারচুপির তথ্য নজরে আসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। গ্রেফতার করা হয় ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান ও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ইডি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, রেশন দুর্নীতির টাকা অন্য খাতে বিনিয়োগ করতে কেবল নিজের স্ত্রী-কন্যাই নন, শ্যালক এবং শাশুড়িকেও ব্যবহার করেছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় অবৈধ উপায়ে পাওয়া টাকাকে বৈধ করতে জ্যোতিপ্রিয় ভুয়ো সংস্থা খুলেছিলেন বলেও দাবি করে ইডি। এই সংস্থাগুলির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়-‘ঘনিষ্ঠ’ মিল মালিক বাকিবুর রহমানও। চার্জশিটে থাকা ১০টি সংস্থার মধ্যে পাঁচটি বাকিবুর এবং বাকি পাঁচটি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামে নথিভুক্ত বলে খবর।

    আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক! হঠাৎ কেন ঘুম ভাঙল প্রশাসনের?

    জ্যোতিপ্রিয়-বাকিবুর যোগসাজশ

    রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় সোমবারই আদালতে প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। কীভাবে রেশনের টাকা ঘুরপথে বিভিন্নজনের হাতে পৌঁছত, তাতে কারা কারা জড়িত, চার্জশিটে এসবেরই বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন তদন্তকারীরা। এদিন আদালতে ৩০০০ পাতার নথি জমা দিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই মামলার তদন্ত যত এগোয়, ততই স্পষ্ট হতে থাকে, রেশন দুর্নীতিতে জ্যোতিপ্রিয়-বাকিবুরের যোগসাজশের বিষয়টি। আচমকা বাকিবুর রহমানের ধনী হয়ে ওঠার নেপথ্যে খাদ্যমন্ত্রীর ‘আশীর্বাদ’ ছিল বলে ইডির দাবি। এদিন চার্জশিটেও সেই যোগসাজশের উল্লেখ রয়েছে বলে খবর। জ্যোতিপ্রিয়র মদতেই বাকিবুরের দুর্নীতি দিনকেদিন বেড়ে গিয়েছে। এমনকী দুর্নীতির টাকা উপার্জন করে বাকিবুর সেই টাকা ঘুরপথে মন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন, এমন বিস্ফোরক তথ্যও উল্লেখ করেছে ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sujay Krishna Bhadra: সুজয়ের নজরদারিতে মোতায়েন জওয়ান, মন্ত্রীর জন্য ‘তৃতীয় নয়ন’

    Sujay Krishna Bhadra: সুজয়ের নজরদারিতে মোতায়েন জওয়ান, মন্ত্রীর জন্য ‘তৃতীয় নয়ন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’জনেই গ্রেফতার হয়েছেন দুর্নীতির মামলায়। দু’জনের সঙ্গেই রয়েছে তৃণমূল যোগ। দু’জনেই রয়েছেন এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ এই দু’জনের ওপরই কড়া নজর রাখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    নজরদারির রকমফের

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এসএসকেএমের যে কেবিনে ভর্তি রয়েছেন তিনি, তার বাইরে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। আদালতের নির্দেশেও লাগানো হয়েছে এই ‘চোখ’। তাই গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রীর সঙ্গে কারা দেখা করতে আসছেন, তা সবই ধরা থাকছে ক্যামেরার ফুটেজে। আর সুজয়কৃষ্ণ (Sujay Krishna Bhadra) ভর্তি রয়েছেন হৃদরোগ বিভাগের ইনটেনসিভ করোনারি কেয়ার ইউনিটে। তাঁর ওপর নজরদারি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআইএসএফের জওয়ানরা।

    এখনও মেলেনি ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা 

    সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য তা পাঠাতে চায় ইডি। সেই নমুনা সংগ্রহ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তদন্তকারীরা। যদিও শনিবার পর্যন্তও সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারেনি ইডি। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তদন্তকারীরা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, গলার স্বরের নমুনা দিতে প্রস্তুত নন সুজয়কৃষ্ণ। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ইডি একটি অডিও রেকর্ডিং উদ্ধার করে। সেখানে সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বর শোনা গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে আদালতের সম্মতিও মিলেছে। তার পরেও কালীঘাট ঘনিষ্ঠ কাকুর গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারছেন না তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: ৪০ জায়গায় হানা এনআইএ-র, জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত সন্দেহ গ্রেফতার ১৩

    শনিবার সকালেও সুজয়কৃষ্ণের স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে হাসপাতালে চলে যান তদন্তকারীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। সুজয়কৃষ্ণকে যে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে, সে খবর ইডিকে জানানো হয়নি বলে ইডি সূত্রে খবর। তাই সুজয়কৃষ্ণের নজরদারিতে সর্বক্ষণ মোতায়েন থাকবেন সিআইএসএফের দু’ জন জওয়ান। সুজয়কৃষ্ণ (Sujay Krishna Bhadra) রয়েছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের ১৮ নম্বর বেডে। এই বেডের সামনেই চব্বিশ ঘণ্টা প্রহরায় থাকবেন সশস্ত্র দুই জওয়ান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: নজরে নিয়োগ দুর্নীতির জাল! বরানগরে প্রয়াত শিক্ষকের বাড়িতে ইডি

    ED: নজরে নিয়োগ দুর্নীতির জাল! বরানগরে প্রয়াত শিক্ষকের বাড়িতে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে রয়েছেন। তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এখনও জেলে। দুর্নীতির শিখড়ে পৌঁছাতেই ইডি সব জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের তৎপরতা দেখা গেল ইডির। বরানগরে বাসিন্দা শুভ্রাংশু মৈত্র নামে প্রয়াত এক শিক্ষকের ফ্ল্যাটে ইডি (ED) আধিকারিকরা অভিযান চালান। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের তল্লাশি অভিযান চলে। ওই শিক্ষক বছর খানেক আগেই প্রয়াত হয়েছেন। তিনি উত্তরবঙ্গের বালুরঘাটে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন।

    প্রয়াত শিক্ষকের বাড়িতে কেন ইডি? (ED)

    ইডির (ED) আধিকারিকরা তদন্তে নেমে জানতে পারেন, প্রয়াত ওই শিক্ষকের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। একজন শিক্ষকের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে এত টাকা কী করে এল তা জানতেই ইডির অফিসাররা হানা দিয়েছেন বলে সূত্রের দাবি। জানা যাচ্ছে, প্রয়াত শিক্ষকের স্ত্রী অতীতে একটি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। ভুয়ো পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন নথি তৈরি করে বিপুল পরিমাণ টাকা সরিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে। ইডি সূত্রের দাবি, কীভাবে ওই বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেন হল, সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসাররা। সেক্ষেত্রে, এই টাকার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছেন ইডির গোয়েন্দারা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বিপুল অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠে এসেছে। সেক্ষেত্রে ঘুরপথে একাধিক ব্যক্তি লাভবান হয়েছেন বলে সন্দেহ তদন্তকারী অফিসারদের। উত্তরবঙ্গেও নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির টাকা বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছে। তারমধ্যে শাসক দলের ঘনিষ্ঠ রয়েছেন অনেকে। প্রয়াত ওই শিক্ষকের বাড়িতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেনের পিছনে কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: আজ কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করতে চেয়েছিল ইডি, রাতেই বুকে ব্যথা নিয়ে আইসিইউতে সুজয়কৃষ্ণ!

    Kalighater Kaku: আজ কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করতে চেয়েছিল ইডি, রাতেই বুকে ব্যথা নিয়ে আইসিইউতে সুজয়কৃষ্ণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku)। সেই মতো সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এসএসকেএম থেকে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্স সমেত পৌঁছান ইডির আধিকারিকরা। তবে গতকাল রাত থেকেই ফের নাকি কালীঘাটের কাকুর নাকি বুকের ব্যথা শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালে হাসপাতালে পৌঁছে ইডি আধিকারিকরা তা জানতে পারেন। গতরাতেই সুজয়কৃষ্ণকে ফের আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, একটি বেসরকারি হাসপাতালে বাইপাস সার্জারি অপারেশন করার পরে, অগাস্ট মাস থেকেই এসএসকেএম-এ রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। হঠাৎ কণ্ঠস্বর পরীক্ষার আগের দিন রাতে কালীঘাটের কাকুর ফের অসুস্থ হওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে কি নিয়োগ-দূর্নীতির তদন্ত এভাবেই এড়িয়ে যেতে চাইছেন সুজয়কৃষ্ণ (Kalighater Kaku)? তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা হলে আরও কী বড় নেতার নাম সামনে আসতে পারে?

    সহকারী সুপারের সঙ্গে কথা ইডির

    প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা গিয়েছে, কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে ইতিমধ্যে এসএসকেএম-এর সহকারী সুপারের সঙ্গে কথা বলছেন ইডি আধিকারিকরা। সিবিআই বা ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া শাসকদলের নেতাদের যেন স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে এসএসকেএম। রেশন দুর্নীতিতে এর আগে গ্রেফতার হওয়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে ভর্তি হয়েছেন এসএসকেএমে। সাধারণ রোগীদের এনিয়ে ক্ষোভও চরমে পৌঁছয়।

    ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে তদন্ত 

    গুরুতর অসুস্থদের জন্য বেড না মিললেও, তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা সহজেই ভর্তি হয়ে যান সেখানে। এর আগে এসএসকেএম হাসপাতাল জানিয়েছিল যে ভয়ঙ্কর রকমের মানসিক চাপে রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ (Kalighater Kaku)। তাই তিনি গলার স্বরের নমুনা দিতে পারছেন না। অন্যদিকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলা তদন্ত শেষ করতে হবে ইডিকে, আদালতের এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ রয়েছে। সে কারণেই কাল বিলম্ব করতে চাইছে না ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Moloy Ghatak : বালুর পর এবার মলয়, সিবিআই রেডারে আইনমন্ত্রীই! পাঁচ অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব

    Moloy Ghatak : বালুর পর এবার মলয়, সিবিআই রেডারে আইনমন্ত্রীই! পাঁচ অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Scam) আগেই নাম জড়িয়েছিল আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের (Moloy Ghatak)। এবার তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট চাইল সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই। কলকাতায় বেসরকারি ব্যাঙ্কের কাছ থেকে সেই নথি তলব করা হয়েছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় কেওয়াইসি হিসাবে যে সমস্ত নথি ব্যবহার করা হয়েছে, সেই নথিও চেয়েছে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    ১৩ ডিসেম্বর মধ্যে তথ্য জমা

    কয়লা পাচার কাণ্ডে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak) ১২ বার তলব করা হলেও এখনও অবধি ইডির সামনে তিনি একবার হাজিরা দিয়েছেন। এবার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে মলয় ঘটক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সিবিআই সূত্রে খবর, আইনমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মিলিয়ে মোট পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কলকাতার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখা থেকে মলয় ও তাঁর পরিবারের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য তলব করা হয়েছে। অ্যাকাউন্ট খোলার পর থেকে যাবতীয় লেনদেনের তথ্য ১৩ ডিসেম্বর মধ্যে নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরের জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির পরই অদিতি মুন্সীর ছুটির আর্জি মঞ্জুর স্পিকারের

    কী দেখতে চাইছে সিবিআই

    উল্লেখ্য, কয়লা পাচার কাণ্ডে বহুদিন ধরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আতস কাঁচের তলায় রয়েছেন মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)। এবার মলয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তাঁদের নজরে। অ্যাকাউন্ট খোলার পর থেকে লেনদেনে কোনও অনিময় হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কলয়া পাচারকাণ্ডে মলয়ের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের এই তৎপরতা আইনমন্ত্রীর উপর আরও চাপ বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক থেকে ওই পাঁচটি অ্যাকাউন্টের নথি খতিয়ে দেখে মলয়ের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টে রক্ষাকবচের আবেদন জানিয়েছিলেন মন্ত্রী। দায়ের হওয়া অভিযোগ বা ইসিআইআর খারিজ করার আবেদনের পাশাপাশি দিল্লিতে তলব না করে কলকাতায় তলবের জন্যও আবেদন জানিয়েছিলেন মলয়। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kuntal Ghosh: ‘‘কালীঘাটের কাকুর নামে কুন্তল আমার কাছ থেকে টাকা তুলত’’, ফের মুখ খুললেন তাপস

    Kuntal Ghosh: ‘‘কালীঘাটের কাকুর নামে কুন্তল আমার কাছ থেকে টাকা তুলত’’, ফের মুখ খুললেন তাপস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এদিনই আদালতে তোলা হয় ধৃত তাপস মণ্ডলকে। জেল থেকে কোর্টে যাওয়ার পথেই গাড়ি থেকে মুখ বাড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন তাপস। নিশানা করেন কালীঘাটের কাকু ও কুন্তল ঘোষকে। এদিন তাপস মণ্ডলকে বলতে শোনা যায়, ‘‘কুন্তল (Kuntal Ghosh) তো ‘কালীঘাটের কাকু’র নামেই টাকা তুলত আমার কাছ থেকে। এখন অন্য কথা বলছে কেন বুঝতে পারছি না।’’ প্রসঙ্গত চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি তাপস মণ্ডলকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন তাপস। একাধিক বেসরকারি বিএড কলেজও চালাতেন তিনি।

    তাপসের গলায় আফসোসের সুর 

    এদিন কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তাপস মণ্ডল অভিযোগ করেন যে তদন্তকে বিপথে চালিত করছে কুন্তল (Kuntal Ghosh)। তাপস মন্ডল বলেন, ‘‘কুন্তলের জন্যই ফেঁসে গেলাম।’’ ঠিক এই কারণে তাপসের গলায় এদিন ছিল আফসোসের সুরও। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত গোপাল দলপতির বিষয়ে তাপস মণ্ডল বলেন,  ‘‘কুন্তল কেন গোপাল দলপতির নাম বলছে জানি না। ও তো আমার থেকে টাকা নিয়ে কুন্তলকে (Kuntal Ghosh) দিয়েছে।’’ এদিন তবে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি তাপস মণ্ডল।

    চলতি বছরের জানুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয় কুন্তল ঘোষকে

    চাকরি দেওয়ার নাম করে বাজার থেকে কুন্তল কোটি কোটি টাকা তুলেছে, এই অভিযোগে জানুয়ারি মাসে গ্রেফতার করা হয় কুন্তলকে। কীভাবে টাকা তোলা হয়েছে? ইডি আদালতে দাবি করেছে, ১৩০ জনের থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছেন কুন্তল। শুধু তাই নয়, ১২০০ জনের থেকে ২০ হাজার করে নেওয়া হয়েছে। এর আগে আদালতে ইডি জানিয়েছিল, কুন্তলের (Kuntal Ghosh) বাড়ি থেকে ২৫০টি ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয, সেই ওএমআর শিটগুলি ছিল গত ১১ ডিসেম্বর নেওয়া টেট পরীক্ষার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: মানসিক সমস্যায় ভুগছেন কালীঘাটের ‘কাকু’! এসএসকেএম-এর রিপোর্ট মানতে নারাজ ইডি

    Recruitment Scam: মানসিক সমস্যায় ভুগছেন কালীঘাটের ‘কাকু’! এসএসকেএম-এর রিপোর্ট মানতে নারাজ ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানসিক সমস্যায় ভুগছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ সেই জন্যই গলার স্বরের নমুনা দিতে পারছেন না। এমনটাই দাবি এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। যদিও এই রিপোর্ট মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তাদের দাবি, পরিকল্পিত ভাবে তদন্ত বিলম্বিত করতে এই কাজ করা হচ্ছে।

    কেন কণ্ঠস্বরের নমুনা চায় ইডি

    আদালতের নির্দেশে ইডির আধিকারিকরা চলতি সপ্তাহেই সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চান। গত ৩০ মে ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ। তার আগে সুজয় ঘনিষ্ঠ হাওড়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, এই যুবকের মাধ্যমেই নিয়োগ দুর্নীতির টাকা লেনদেন করতেন সুজয়। ওই যুবকের ফোন থেকে একটি কল রেকর্ডিং পাওয়া যায়। যাতে সুজয়কৃষ্ণকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ফোন থেকে সমস্ত তথ্য মুছে ফেলো।’ সেই বক্তব্য কাকুরই কি না তা জানতে গত ৬ মাস ধরে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করে যাচ্ছে ইডি। 

    এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সুজয়ের উপর মানসিক চাপ রয়েছে। গলার স্বরের নমুনা দিতে গেলে সেই চাপ আরও বৃদ্ধি পাবে। তাতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। তাই নমুনা সংগ্রহে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া যাচ্ছে না। মানসিক চাপের সমস্যা মেটাতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গেও পরামর্শ করা হতে পারে। হাসপাতালের এই যুক্তি মানতে রাজি নয় ইডি। তাদের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নমুনা সংগ্রহ না করার জন্য যে যুক্তিগুলি দিচ্ছেন, তা ভিত্তিহীন। যে মেডিক্যাল বোর্ড ‘কালীঘাটের কাকু’কে দেখছে, তার নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আদালতে ইডি এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের অভিযোগ, স্বরের নমুনা নিতে বাধা দিয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ আসলে ইডির কাজে এবং বিচারপ্রক্রিয়াতেই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। 

    আরও পড়ুন: বোলিংয়ে বিশেষ নজর! আইপিএল নিলামে নাইটদের ভাবনায় কারা?

    ইডির দাবি

    এরপরই ইডির তরফে আদালতে আবেদন করা হয়, জোকা ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে কালীঘাটের কাকুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর। ইডির আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। ইডি সূত্রে খবর, সেই নির্দেশ হাতে পেয়েই সোমবার ছুটির দিনেও কাকুর কণ্ঠস্বর সংগ্রহে তৎপর হয়েছেন তদন্তকারীরা। আদালতের নির্দেশের কথা জানিয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ, জোকা ইএসআই হাসপাতালকে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা। যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চলতি সপ্তাহেই নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Moloy Ghatak: মিলল না রক্ষাকবচ, জেরা করতে পারবে ইডি, মলয়ের আর্জি খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

    Moloy Ghatak: মিলল না রক্ষাকবচ, জেরা করতে পারবে ইডি, মলয়ের আর্জি খারিজ দিল্লি হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। ইডির তরফে কয়লা পাচার মামলাতে গত দু বছরে ১২ বার তলব করা হয়েছে রাজ্যের আইনমন্ত্রী। কিন্তু মাত্র একবার তিনি হাজির হয়েছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনমন্ত্রী (Moloy Ghatak) উচ্চ আদালতে আর্জি জানান যে ভবিষ্যতে তাঁকে যেন ইডি তলব না করে! এ নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মা জানান, মলয়ের এমন আবেদনে সাড়া দেওয়া হবে না। কোনও রক্ষাকবচও আইনমন্ত্রীকে দেওয়া হবে না।

    ইডির কাজে কোনওভাবে বাধা সৃষ্টি করা যাবেনা

    প্রসঙ্গত এর আগেই দিল্লি হাইকোর্ট (Moloy Ghatak) থেকে রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন মলয় এবং এর পাশাপাশি তাঁর আর্জি ছিল যে দিল্লিতে নয় কলকাতার অফিসে তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্ট এই মর্মে জানায় যে কলকাতা অফিসে ডেকে আইনমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি। তলব না দেওয়ার কারণ হিসেবে নিজের ব্যস্ততার কথাও তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ যে তদন্তকারী সংস্থাকে ২৪ ঘণ্টা আগে নোটিশ দিতে হবে রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে। শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট যে পর্যবেক্ষণ দেয় তাতে দেখা গেল যে আগের সমস্ত নির্দেশই বহাল রেখেছে আদালত। এর পাশাপাশি স্পষ্টভাবে দিল্লি হাইকোর্ট (Moloy Ghatak) জানিয়ে দিয়েছে, ইডি অফিসারদের কাজে কোনও ভাবেই যেন বাধা না দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ক্ষতি হবে এমন কিছু যেন না করা হয়। প্রসঙ্গত, মলয় ঘটকের আসানসোলের বাড়ি এবং কলকাতার আবাসনেও এর আগে একাধিকবার তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।

    ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মলয়কে প্রথম তলব করে ইডি

    ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কয়লা পাচার মামলায় প্রথম তলব করা হয় রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে। সেই সময় থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সামনে তিনি হাজির হননি। পরপর একাধিক সমান আসতে থাকে মলয় ঘটকের (Moloy Ghatak) নামে। মন্ত্রী অবশ্য দাবি করেন, দিল্লির অফিসে হাজিরা দিলে তাঁকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতে পারে। হুমকি দিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইডি তলব যেন না করে তাঁকে সেই আর্জি জানিয়েছিলেন মলয়। তবে তাঁর আবেদনে কোনও সাড়া  এদিন দিল না দিল্লি হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: ধান বিক্রি করেও মেলেনি সহায়ক মূল্য, তদন্ত শুরু ইডির

    Ration Scam: ধান বিক্রি করেও মেলেনি সহায়ক মূল্য, তদন্ত শুরু ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধান বিক্রি করলে মেলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য। অথচ ধান বেচেও, মেলেনি ওই মূল্য। এ নিয়ে কলকাতা পুলিশে দায়ের হয় অভিযোগ। সেটা ২০১৮ সাল। সেই সময় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন রেশন বণ্টন (Ration Scam) কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

    ভুক্তভোগীর অভিযোগ

    ২০১৮ সালে অভিযোগ দায়ের হলেও, কোনও এক অজানা কারণে এগোয়নি তদন্ত। এফআইআরে উল্লেখ করা হয়, ধান কেনার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কৃষকরা পাননি। তা আত্মসাৎ করেছে রাইস মিল। এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের বাসিন্দা স্বপন সাঁতরাও। স্বপনের অভিযোগ, অঙ্কিত রাইস মিলের দুই প্রতিনিধি ২০১৭ সালে তাঁর কাছে গিয়েছিল। তাঁরা তাঁকে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে বলেছিল। তিনি প্রথমে রাজি হননি। পরে পাঁচ হাজার টাকার টোপ দিয়ে তাঁর নামে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। ওই অ্যাকাউন্টে ধান কেনার ২ লক্ষ টাকা জমা পড়ে। পরে রাইস মিল কর্তৃপক্ষ তা তুলেও নেয়। তিনি বলেন, “বসে বসে সব অ্যাকাউন্ট করেছিল। সেখানে টাকা ঢোকাত। অন্য ধানও আমাদের অ্যাকাউন্টে বিক্রি করত। আমাকে বলেছিল এজন্যও আমাকে পাঁচ হাজার করে টাকা দেবে। পরে দিয়েছে ৪০০-৫০০ টাকা।”

    মামলা হাতে নিল ইডি

    এবার (Ration Scam) সেই মামলাও হাতে নিল ইডি। ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে ভবানীপুর ও ২০১৯ সালে বালিগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলার ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে ইডি। জানা গিয়েছে, জনৈক হিতেশ চাণ্ডক ও দীপেশ চাণ্ডক দুজনেই অঙ্কিত ইন্ডিয়া রাইস মিল কর্তৃপক্ষের লোক। এই মিলের সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। এই মিলে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। প্রকাশ্যে এসেছে বেশ কিছু অভিযোগও।

    আরও পড়ুুন: ‘‘হিন্দুদের জন্যই ভারতবর্ষে গণতন্ত্র রয়েছে’’, মত জাভেদ আখতারের

    বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ইদানিংকালে কোনও চাষি বাংলায় ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পেরেছেন? ধান বিক্রি করবে বললেই এলাকায় ফড়ে, দালাল পৌঁছে যায়। বাধ্য হচ্ছে চাষিরা কম দামে ফসল বিক্রি করতে। আর সেই দাম নিয়ে মাঝখান থেকে একটা চক্র ৩০০ টাকা করে লাভ নিয়ে চলে যাচ্ছে। মার খাচ্ছেন প্রান্তিক (Ration Scam) কৃষকরা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

LinkedIn
Share