Tag: ED

ED

  • TMC Minister: মন্ত্রী-বিধায়ক থেকে রাঘব-বোয়াল, গত ১ বছরে চুরির অভিযোগে জেলে তৃণমূলের ৭ নেতা-মন্ত্রী

    TMC Minister: মন্ত্রী-বিধায়ক থেকে রাঘব-বোয়াল, গত ১ বছরে চুরির অভিযোগে জেলে তৃণমূলের ৭ নেতা-মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে (TMC Minister) তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের জেলযাত্রা শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের ২৩ জুলাই থেকে। সেসময় গ্রেফতার হন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিগত এক বছরে এভাবেই রাজ্যের শাসকদলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রীসহ একাধিক রাঘব বোয়াল গ্রেফতার হয়েছেন চাকরি চুরি, গরু চুরির অভিযোগে। শুক্রবার রেশনের চাল চুরির অভিযোগের গ্রেফতার হলেন মমতা মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

    আমরা এক নজরে দেখে নেব বিগত এক বছরে গ্রেফতার হওয়া নেতাদের তালিকা

    গ্রেফতার মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

    ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় (TMC Minister) ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি। রেশন বন্টন মামলায় চুরির অভিযোগে পুজোর আগেই গ্রেফতার হন বাকিবুর রহমান। তাঁর সূত্র ধরে উঠে আসে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম।

    গতবছরের জুলাইতে গ্রেফতার মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়

    ২০২২ সালে ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয় মমতা মন্ত্রিসভার (TMC Minister) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয় তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে।

    ২০২২ সালের অগাস্টে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা  অনুব্রত

    ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। তার আগে অবশ্য একাধিকবার অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে সিবিআই। তবে তিনি হাজিরা দেননি। অবশেষে বাড়ি গিয়ে তাঁকে জেরা করা হয় এবং গ্রেফতার করা হয়।

    ২০২২ সালের অক্টোবরে গ্রেফতার বিধায়ক মানিক

    ঠিক এক বছর আগে ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে।প্রসঙ্গত, মানিক ভট্টাচার্য ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। অভিযোগ সেসময়ই নিজের ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে নানা রকমের দুর্নীতি করেছিলেনতিনি। এমনকি টেটে সাদা খাতা জমা দিয়ে অনেকে চাকরিও পেয়েছিলেন মানিকের বদান্যতায়।

    ২০২৩ সালের এপ্রিলে গ্রেফতার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ

    ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল সিবিআই গ্রেফতার করে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে টানা ৬৫ ঘণ্টা তল্লাশি শেষে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের এই বিধায়ককে। 

    ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে গ্রেফতার যুব নেতা কুন্তল ঘোষ

    চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার। বেসরকারি বিএড কলেজের ব্যবসা চালাতেন তাপস মণ্ডল নামে জনৈক ব্যক্তি। তাপস মণ্ডলের সূত্র ধরেই উঠে আসে নিয়োগ দুর্নীতিতে (TMC Minister) কুন্তলের নাম।

    ২০২৩ সালের মার্চে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শান্তনু

    ২০২৩ সালের ১১ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার করা হয় কুন্তল ঘোষ ঘনিষ্ঠ শান্তনু বন্দোপাধ্যায়কে। হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনুর বিরুদ্ধে ওঠে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Kalighater Kaku: কোন অসুখে টানা দু’মাস হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণ? এসএসকেএমে আচমকা হানা ইডির

    Kalighater Kaku: কোন অসুখে টানা দু’মাস হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণ? এসএসকেএমে আচমকা হানা ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগাস্ট মাসে হাসপাতালে অস্ত্রপচার হয়েছে কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku)। অক্টোবর মাসের অর্ধেক দিন অতিবাহিত। প্রায় দু মাস হাসপাতালেই রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য এতদিন কেন তিনি হাসপাতালে? তা খতিয়ে দেখতেই হাসপাতালে হাজির হলেন ইডির কর্তারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আচমকা হানায় এসএসকেএম হাসপাতালে রীতিমতো আলোড়ন তৈরি হয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দার্ঘদিন হাসপাতালে কালীঘাচের কাকু ভর্তি থাকার ফলে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে না ইডি। অন্যদিকে আদালতেরও নির্দেশ রয়েছে, শীঘ্রই তদন্ত শেষ করার। তাই ইডির এই আচমকা হানা।

    সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে কথা ইডি অফিসারদের

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Kalighater Kaku) সঙ্গে ইডি অফিসাররা এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে কথাও বলেন। এর পাশাপাশি মঙ্গলবার চিকিৎসকদের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসারদেরও কথা বলতে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কী ধরনের সমস্যা রয়েছে! সেই সংক্রান্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তা হাতে পাওয়ার পরই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেবেন ইডি আধিকারিকরা। তারপরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এসএসকেএম হাসপাতাল যেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কাছ থেকে বাঁচার একমাত্র আস্তানা। এর আগেও সমন পেতেই মদন মিত্র বা পার্থ চট্টোপাধ্যায় অথবা অনুব্রত মণ্ডলদের এখানে ভর্তি হতে দেখা গিয়েছে।

    চলতি বছরের ৩০ মে গ্রেফতার হন কালীঘাটের কাকু

    প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি গ্রেফতার করে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে (Kalighater Kaku)। চলতি বছরের ৩০ মে গ্রেফতার হন কালীঘাটের কাকু। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র লিপস অ্যান্ড বাউন্সের অন্যতম কর্তা বলে নিজেকে দাবি করেছিলেন বারবার। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্যার সম্বোধনও করতে থাকেন তিনি। বহুবার তাঁকে তলব করে ইডি, তাঁর বাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টানা কয়েকমাস নজরদারি চালানোর পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ১০ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বের হলেন অভিষেকের আপ্তসহায়ক, কী তথ্য দিয়ে এলেন?

    ED: ১০ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বের হলেন অভিষেকের আপ্তসহায়ক, কী তথ্য দিয়ে এলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ, তারপর ইডি (ED) দফতর থেকে বের হতে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়কে। সোমবার দুপুর বারোটা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের আপ্ত সহায়ক। রাত দশটার কিছু আগে বের হন তিনি। তবে এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি সুমিত রায়। তবে তাঁকে কি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? সে সংক্রান্ত প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে সুমিতের জবাব ‘‘এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’

    আদালতে সুমিতের আর্জি খারিজ 

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ছাড়া এর আগে কয়লা পাচারকাণ্ডেও সুমিতের নাম উঠে এসেছিল বলে খবর। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন কিনা! নিয়োগের জন্য কেউ তাঁর দ্বারস্থ হয়েছিল কিনা! এ সমস্ত কিছুই জানতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সুমিতের বয়ান আপাতত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইডি (ED)
     নোটিশ পাওয়ার পর গত শুক্রবারই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেকের আপ্ত সহায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করার আর্জি ছিল সুমিতের। তবে এই আর্জি আদালতে খারিজ হয়ে যায়। কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, ভবিষ্যতে যদি কড়া পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তখন আদালতে তিনি আসতে পারেন।

    লিপস এন্ড বাউন্সের কর্মী ছিলেন সুমিত

    জানা গিয়েছে, লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থার কর্মী হিসেবেই এক সময় কাজ করতেন সুমিত। সেখানে ইডির উদ্ধার করা এক হাজার পাতার নথি সূত্র ধরেই সুমিতকে প্রশ্ন করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থায় তাঁকে কে নিয়োগ করেছিলেন! সেখানে কী ভূমিকা ছিল সুমিতের! কী কাজ তিনি করতেন সেখানে! এ সমস্ত কিছুই জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছে। প্রসঙ্গত, লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থা থেকে উদ্ধার হওয়া নথির ভিত্তিতে ডেকে পাঠানো হয় অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকেও। গত বুধবারই তিনি হাজিরা দেন। এর পাশাপাশি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ডাকা হয়েছিল ইডি দফতরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: মা-বাবা-স্ত্রীর পর এবার ইডির তলব অভিষেকের পিএকে

    Abhishek Banerjee: মা-বাবা-স্ত্রীর পর এবার ইডির তলব অভিষেকের পিএকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ইডির জালে জড়াচ্ছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)!  ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ মামলায় ইডি তলব করেছিল অভিষেককে। পরে তলব করা হয় তাঁর মা লতা, বাবা অমিত এবং স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অভিষেক এবং তাঁর মা-বাবা ইডির ডাকে সাড়া না দিলেও, বুধবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন রুজিরা।

    ইডির সমন পেলেন সুমিত রায়

    টানা প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা জেরা শেষে ছাড়া পেয়েছিলেন। এবার ইডির সমন পেলেন অভিষেকের (Abhishek Banerjee) পিএ সুমিত রায়। প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তলব করা হয়েছে তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে সুমিতকে তলব করা হয়েছে। ইডির নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সুমিত।

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’

    নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে ইডি গ্রেফতার করে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে। তাঁকে জেরা করতেই ঝুলি থেকে বিড়াল বের হয়। উঠে আসে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ নামে এক সংস্থার নাম। নিউ আলিপুরের এই সংস্থার সিইও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। যিনি আবার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকও। এই সংস্থায় ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিষেকের মা লতা এবং বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকেই ডেকে পাঠায় ইডি। আদালতের নির্দেশে ইডির হাতে নথি তুলে দিলেও, হাজিরা এড়ান অভিষেক। ইডির ডাকে সাড়া দেননি তাঁর মা এবং বাবাও। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি তলব করে ওই সংস্থার অধিকর্তা রুজিরাকে। বুধবার ইডি দফতরে হাজিরা দেন রুজিরা।

    আরও পড়ুুন: “তামাম বিশ্ব বুঝতে পারছে সন্ত্রাসবাদের বিপদ”, জি২০ স্পিকার সম্মেলনে বললেন মোদি

    তদন্তকারীদের অভিযোগ, চাকরি বিক্রি বাবদ বিভিন্ন জেলা থেকে যে টাকা আসত, সেই টাকা এজেন্টের কাছ থেকে সংগ্রহ করে ‘কালীঘাটের কাকু’ পৌঁছে দিতেন ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র দফতরে। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) পিএকে জেরা করে ইডি জানতে চায়, কোন কোন অ্যাকাউন্টে কত টাকা ঢুকেছে? এই টাকার লেনদেনের সঙ্গে প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তাও জানতে চান তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: বরানগরে কর্মী নিয়োগে তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ, মোটা টাকার খেলা! আর কী পেল ইডি?

    ED: বরানগরে কর্মী নিয়োগে তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ, মোটা টাকার খেলা! আর কী পেল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরানগর পুরসভায় কর্মী নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। একইসঙ্গে স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল পরিচালিত পুর বোর্ডের বিরুদ্ধে। পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অয়ন শীলকে গ্রেফতার করার পর তার কাছে পাওয়া তথ্য থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এই পুরসভায় কর্মী নিয়োগে নানা অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ইডি (ED)। আর এই সব কর্মী নিয়োগে মোটা টাকার খেলা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা মনে করছেন।

    পুরসভায় কর্মী নিয়োগ প্যানেলে কারা ছিলেন? (ED)

    পুর-নিয়োগ প্যানেলে কারা ছিলেন তা ইডি আধিকারিকদের স্ক্যানারে রয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১৭-১৮ সালে এই পুরসভায় অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। পরে, রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে ছিলেন চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক, তত্কালীন ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত রায়, এক্সিকিউটিভ অফিসার সুদীপ ভট্টাচার্য, কাউন্সিলার বিশ্বজিত্ বর্ধন এবং অনিন্দ্য রাউত। পুরসভার কর্মী পদে কয়েক হাজার ছেলেমেয়ে আবেদন করেছিলেন। তারমধ্যে ১৭০ জনকে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু, নিয়োগ হওয়ার পর যে তালিকা সামনে আসে তাতে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়়। রিক্রুটমেন্টের দায়িত্বে থাকা পদাধিকারীদের পরিবারের লোকজনের নাম সামনে আসে। এক সিআইসি সদস্যের পরিবারের লোকজনের নাম তালিকায় রয়েছে। এছাড়া একাধিক কাউন্সিলারদের ঘনিষ্ঠরা চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। শাসক দলের পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতা আশিস দে-র ওই নিয়োগে বড় ভূমিকা রয়েছে। এমনিতেই এই নেতার বাড়ি বীরভূম। গরু পাচার কাণ্ডের ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তিনি। তাঁর ছেলের চাকরিও বরানগর পুরসভায় হয়েছে। ওই নেতার হাত ধরে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক ছেলে এই পুরসভায় নিয়োগপত্র পেয়েছেন। স্রেফ শাসক দলের বদান্যতায় তাঁদের চাকরি হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এমনকী বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলার যাদের নিয়োগ করা হয়েছে, তারা নিয়মিত পুরসভায় পর্যন্ত আসে না বলে অভিযোগ। কিন্তু, তাদের নিয়মিত প্রতিমাসে বেতন হয়ে যায়। এরকম ২৫-৩০ জন কর্মী রয়েছেন। যা নিয়ে তৃণমূলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন। বোর্ড মিটিংয়ে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। 

    চেয়ারপার্সনের কী বক্তব্য?

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে  পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, নিয়ম মেনে পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। তবে, কাউন্সিলর বা রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের দায়িত্বে থাকলে তাঁর ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিতে পারবে না এমন কোনও নিয়ম নেই। পরীক্ষা দিতেই সকলেই চাকরি পেয়েছেন। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হয়েছে। আর কেউ পুরসভায় নিয়মিত না আসলে তাঁকে শো কজ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

    ৩২ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই অনেক তথ্য জানতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা

    পুরসভার ৩২ জন কর্মীকে ইডি সেপ্টেম্বর মাসে ডেকে পাঠায়। মূলত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ যাদের পুরসভায় চাকরি হয়েছে তারা ডাকা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নিয়োগে পুরসভার চেয়ারপার্সন এবং অনিন্দ্য রাউতদের ভূমিকা নিয়ে অনেক তথ্য জানতে পেরেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। নিয়োগের পিছনে মোটা টাকা আর্থিক লেনদেন হয়েছে, সেই বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। এমনিতেই ইডি (ED), সিবিআইয়ের স্ক্যানারে আসার পর থেকেই চেয়ারপার্সন পুরসভায় আসা অনিয়মিত হয়ে পড়ে। কাউন্সিলারদের একাংশের সঙ্গে নিয়োগ ইস্যুতে দুরত্ব তৈরি হয়েছে। কয়েকজিন আগে ইডি আধিকারিকরা হানা দিয়ে চেয়ারপার্সনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেন। তৃণমূল নেতা অনিন্দ্য রাউতের কাছে অনেক তথ্য পান। আর চেয়ারপার্সন কার কার সঙ্গে যোগাযাগ রাখতেন তা বোঝার চেষ্টা করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rujira Banerjee: লেনদেন কত? টাকার উৎস কী? সাড়ে ৮ ঘণ্টা ধরে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    Rujira Banerjee: লেনদেন কত? টাকার উৎস কী? সাড়ে ৮ ঘণ্টা ধরে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ডের পর এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির জেরার মুখে অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্ধ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠায় ইডি (ED)। সাড়ে ৮ ঘণ্টার পর ম্যারাথন জেরার পর ছাড়া পান রুজিরা।

    সাড়ে ৮ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা

    সকাল ১১টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকেছিলেন৷ বেরলেন যখন, তখন ঘড়িতে সন্ধে সাড়ে ৭টা৷ প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ৬ তলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে রইলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চলল জিজ্ঞাসাবাদ৷ এর আগে কয়লা দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই তলব করলেও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম তলব করা হয়েছিল অভিষেক জায়াকে৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সূত্রে আলোচনায় উঠে আসে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নামে এক সংস্থার নাম৷ সূত্রের খবর, এই সংস্থারই প্রাক্তন ডিরেক্টর ছিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

    জেরায় কী কী জানতে চাওয়া হল

    ইডি সূত্রে খবর, বুধবার সকাল থেকে মোট দু’দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রুজিরাকে। এদিন তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়। এক মহিলা আধিকারিকের উপস্থিতিতে রুজিরার  জেরা চলে। স্রেফ অভিষেক নন, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর ছিলেন তাঁর স্ত্রীও। ওই সংস্থায় রুজিরা কী কী দায়িত্ব পালন করতেন? এই কোম্পানিতে তাঁর ভূমিকা কী ছিল? লেনদেনের বিষযে কিছু জানতেন কি না, এই সংস্থা কী ধরনের পরিষেবা দেয়, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে এদিন তাঁকে ইডির তরফে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    আরও পড়ুুন: হাতে নয়া তথ্য, দাবি সিবিআইয়ের, তাই কি ফের খারিজ পার্থর জামিনের আর্জি?

    রুজিরাকে জেরা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর ডিরেক্টর ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল৷ যদিও তাঁরা শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসেননি৷ চিঠি দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ১২০০ পাতার নথি এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০০ পাতার নথি জমা করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন লুকোচুরি চলছে। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের অনেককেই ডাকা হয়েছিল। কোর্টের নির্দেশ মেনে তদন্তে সহযোগিতা করলে ভাল। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ আদালতের নির্দেশে হচ্ছে। তদন্তের গতি অত্যন্ত স্লথ। আদালতের তিরস্কারের পর বাধ্য হয়ে তৎপর হয়েছে ইডি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Newsclick: জেল হেফাজতে নিউজক্লিকের প্রবীর-অমিত, ফের সিবিআই হানা প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের বাড়ি, অফিসে  

    Newsclick: জেল হেফাজতে নিউজক্লিকের প্রবীর-অমিত, ফের সিবিআই হানা প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের বাড়ি, অফিসে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দিনের জেল হেফাজত নিউজক্লিকের (Newsclick) প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থর। ওই নিউজ পোর্টালের এইচআর অমিত চক্রবর্তীকেও পাঠানো হয়েছে ১০ দিনের জেল হেফাজতে। মঙ্গলবার দিল্লির একটি আদালত প্রবীর ও অমিতকে জেল হেফাজতে পাঠায়। প্রসঙ্গত, ৩ অক্টোবর দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের হাতে গ্রেফতার হন প্রবীর এবং অমিত। পরের দিন অতিরিক্ত সেশন কোর্ট তাঁদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায়।

    নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার ফের আদালতে তোলা হলে পাঠানো হয় জেল হেফাজতে। এদিনই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রবীর-অমিত। আদালতে প্রবীরের হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, “সব অভিযোগ মিথ্যে। চিন থেকে একটি পয়সাও আসেনি।” প্রসঙ্গত, নিউজক্লিকের (Newsclick) বিরুদ্ধে অভিযোগ, চিনপন্থী মার্কিন ধনকুবেরের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর ও অরুণাচল প্রদেশকে ‘বিতর্কিত’ এলাকা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এর পরেই দিল্লিতে ৩০ জন সাংবাদিকের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পরে গ্রেফতার করা হয় প্রবীর এবং অমিতকে।

    দিল্লি পুলিশের অভিযোগ

    এদিকে, বুধবারও প্রবীরের অফিস এবং বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। দায়ের হয়েছে এফসিআরএ মামলা। ইউএপিএ আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রবীর ও অমিতকে। ২০২১ সাল থেকে নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রবীরের সম্পত্তিও অ্যাটাচ করেছে তারা। দিল্লি পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে বলা হয়েছে, এই নিউজ পোর্টালের (Newsclick) মোটা টাকা এসেছে চিন থেকে। ভারতের সার্বভৌমত্বকে ভাঙার জন্য এই চক্রান্ত। পিএডিএস নামে একটি গ্রুপের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রবীর এসব করতেন বলে অভিযোগ। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে অন্তর্ঘাত করার ছকও কষা হয়েছিল।

    আরও পড়ুুন: হাতে নয়া তথ্য, দাবি সিবিআইয়ের, তাই কি ফের খারিজ পার্থর জামিনের আর্জি?

    দিল্লি পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, নিউজক্লিক প্রায় ৩৮ কোটি টাকা পেয়েছে চিনের সূত্র থেকে। চিনের পক্ষে খবর করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল ওয়েবসাইটটি। তারা যে ৩৮ কোটি টাকা পেয়েছিল, তার মধ্যে ২৯ কোটি টাকা পেয়েছিল এক্সপোর্ট সার্ভিস হিসেবে, এফডিআই হিসেবে পেয়েছিল ৯ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rujira Banerjee: ইডির দফতরে হাজিরা রুজিরার, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

    Rujira Banerjee: ইডির দফতরে হাজিরা রুজিরার, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার মধ্যরাতে স্বামী গিয়ে নথি জমা দিয়েছিলেন ইডিকে। আর পরের দিন সকালে ইডির দফতরে হাজির হলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। বুধবার সকাল সাড়ে ১০-১১টায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে তলব করেছিল ইডি। এদিন ১১টা বাজার মিনিট কয়েক আগেই ইডির দফতরে চলে আসেন রুজিরা।

    ইডির দফতরে রুজিরা

    এদিন সকাল থেকেই সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। চার দিকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছিল। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল যান চলাচল। ১১টা নাগাদ একটি সাদা ইনোভা গাড়ি করে চলে আসেন অভিষেক-পত্নী। গাড়ি থেকে নেমে কোনও দিকে না তাকিয়ে হনহনিয়ে ঢুকে পড়েন ইডির দফতরে।

    অভিষেক-জায়া ইডির মুখোমুখি হয়েছেন আগেও

    এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ইডির মুখোমুখি হয়েছেন অভিষেক-জায়া (Rujira Banerjee)। মাস চারেক আগেই কয়লা পাচার মামলায় রুজিরাকে সমন পাঠিয়েছিল ইডি। দুটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন, একটি সংস্থার আর্থিক লেনদেনের খতিয়ান ও এক হিসাবরক্ষকের বয়ানের ভিত্তিতে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সেবার জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব চলেছিল টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা। ২০২২ সালের জুন মাসেও শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন রুজিরা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘হামাসের ধাঁচে হামলা ভারতে’’! যুদ্ধের আবহে হাওয়া গরমের চেষ্টা খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনের

    তবে এবার যে রুজিরাকে (Rujira Banerjee) তলব করা হয়েছে, তা নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায়। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়ায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র। এই সংস্থার সিইও অভিষেক। সংস্থার ডিরেক্টর অভিষেকের বাবা অমিত এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংস্থারই অধিকর্তা ছিলেন অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা। এই চারজনকেই তলব করেছিল ইডি। যদিও রুজিরা বাদে বাকি তিনজনই এড়িয়েছেন হাজিরা। মঙ্গলবার মধ্য রাতের কিছু আগে গিয়ে ইডিকে নথি দিয়ে আসেন অভিষেক।

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় রুজিরার বিদেশ যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছিল লুক আউট নোটিশও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পরে অবশ্য সেই নোটিশ প্রত্যাহার করে ইডি। জানা গিয়েছে, এদিন ইডির তিন আধিকারিক জিজ্ঞাসাবাদ করছেন রুজিরাকে। এঁদের মধ্যে  রয়েছেন এক মহিলা আধিকারিকও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ranbir Kapoor: অনলাইন গেমিং গড়াপেটাকাণ্ডে ইডির তলব রণবীর কাপূরকে, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    Ranbir Kapoor: অনলাইন গেমিং গড়াপেটাকাণ্ডে ইডির তলব রণবীর কাপূরকে, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইন গেমিং গড়াপেটাকাণ্ডে ইডির (ED) তলব বলিউড অভিনেতা রণবীর কাপূরকে (Ranbir Kapoor)। শুক্রবার ইডির দফতরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেবল ঋষি-পুত্র নন, ইডির স্ক্যানারে রয়েছেন আরও অন্তত ১৫-২০ জন তারকা। এই তালিকায় রয়েছেন গায়ক আতিফ আসলাম, রাহত ফতেহ আলি খান, বিশাল দাদলানি, সুখবিন্দর সিংহ এবং নেহা কক্কর। তালিকায় রয়েছেন অভিনেতা টাইগার শ্রফ, এলি আব্রাম, সানি লিওনি, ভাগ্যশ্রী, পুলকিত সম্রাট, কৃতি খরবান্দা এবং নুসরত ভারুচা। কৌতুকাভিনেতা ভারতী সিংহ, কৃষ্ণা অভিষেকও রয়েছেন ইডির আতস কাচের তলায়।

    অনলাইন গেমিং অ্যাপের কর্ণধারের মেগা বিয়ে

    চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বিয়ে করেন মহাদেব অনলাইন গেমিং অ্যাপের কর্ণধার সৌরভ চন্দ্রকার। তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের একাধিক তারকা। এই সময় মহাদেব অ্যাপের সাফল্য উদযাপনেও পার্টি দিয়েছিলেন সৌরভ। সেখানেও যোগ দিয়েছিলেন বলিউডের বেশ কয়েকজন তারকা। সৌরভের সঙ্গে বলিউডের ওই তারকাদের সমীকরণ (Ranbir Kapoor) কী, মূলত তা-ই জানতে চান ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। অনলাইন গেমিংকাণ্ডে গড়াপেটা সম্পর্কে তাঁরা ওয়াকিবহাল কিনা, তাও জানতে চান তাঁরা।

    হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা!

    সাক্ষ্যপ্রমাণ অনুযায়ী, হাওয়ালার মাধ্যমে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল ১১২ কোটি টাকা। হোটেল বুকিংয়ের জন্য খরচ করা হয়েছিল ৪২ কোটি টাকা। সেই বিল মেটানো হয়েছিল নগদ টাকায়। ইডি সূত্রে খবর, মহাদেব অনলাইন বেটিং অ্যাপের কর্ণধারের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও হাওয়ালা অপারেশনের যোগসূত্র রয়েছে। যোগ রয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গেও। সেই কারণেই ‘অ্যানিমাল’-এর অভিনেতাকে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই ট্রেলর মুক্তি পেয়েছে রণবীর কাপূরের ছবি ‘অ্যানিমাল’-এর।

    আরও পড়ুুন: “সব নথি নিয়ে ইডির দফতরে যান”, অভিষেককে বলল ডিভিশন বেঞ্চ

    মহাদেব গেমিং বেটিং অ্যাপ আসলে একটি অনলাইন সাট্টা খেলার প্লাটফর্ম। এই সাট্টা অ্যাপের টার্নওভার ২ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। এই চক্রের খোঁজ পেতে কিছুদিন আগেই ইডি তল্লাশি চালায় কলকাতা, ভোপাল ও মুম্বইয়ে। সৌরভের ওই ইভেন্টে পারফর্ম করার জন্য ভাগ্যশ্রী, ভারতী সিংহ, সুখবিন্দর সিংহ এবং নেহা কক্করকে টাকা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ইডির তল্লাশিতে জানা গিয়েছে, মহাদেব বুক অ্যাপ ও সাট্টার এই মামলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ছত্তিশগড়ের কিছু রাজনীতিবিদ, পুলিশ অফিসার এবং রাজনৈতিক নেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: “সব নথি নিয়ে ইডির দফতরে যান”, অভিষেককে বলল ডিভিশন বেঞ্চ

    Abhishek Banerjee: “সব নথি নিয়ে ইডির দফতরে যান”, অভিষেককে বলল ডিভিশন বেঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির বিরুদ্ধে হিসেব বহির্ভূত অর্থের অভিযোগ। অভিযোগ থাকলে ডিরেক্টর বা সিইওকে জিজ্ঞাসাবাদে অসুবিধে কোথায়? আপনি সিইও হলে যে নথি চাওয়া হয়েছে, তা দিয়ে দিন। ১৮৮ এ, হরিশ মুখার্জি রোডের সম্পত্তির খতিয়ান সিঙ্গল বেঞ্চ চাইলে সমস্যা কোথায়? আপনি সাংসদ, আপনার সম্পত্তির খতিয়ান তো নির্বাচন কমিশনকেও দিতে হয়।” বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ইডির তলব প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণে এমনই জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। নথির তথ্যে সন্তুষ্ট না হলে তবেই অভিষেককে ডাকা হোক, ইডিকে প্রস্তাব আদালতের। অবশ্য বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, বিচারপতি সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।

    ‘ইডিকে নথি দিন’

    অভিষেকের আবেদন শোনার পর বিচারপতি সৌমেন সেনের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “ইডি শেষ যে সমন পাঠিয়েছিল, তাতে যা যা জানতে চাওয়া হয়েছিল, তা ইডিকে দিয়ে দিন। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে আপত্তি কোথায়?” নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়ায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির। এই মামলায় ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জেরা করে ওই কোম্পানির নাম জানতে পারেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    ‘এতে তো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়’

    এই সংস্থার সিইও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাই তলব করা হয় তাঁকে। এদিন বিচারপতি বলেন, “এটি একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এর সব তথ্য সামনে আসা উচিত। সিইও-র বিষয়ে যা জানতে চাওয়া হয়েছে, তাও জনসমক্ষে আনা প্রয়োজন। এতে তো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।”

    আরও পড়ুুন: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ মামলায় ফের ইডির তলব অভিষেককে, হাজিরার নির্দেশ রুজিরাকেও

    বিচারপতি বলেন, “মাথায় রাখবেন, এটা কোনও সরাসরি তদন্ত নয়। কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চলছে। তাই সিঙ্গল বেঞ্চ এটা করতেই পারে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থার কাছে জবাব চাইতেই পারে সিঙ্গল বেঞ্চ। এতদিন ধরে তদন্ত চলার পরেও কিছু পাওয়া যায়নি। সিঙ্গলবেঞ্চের বিচারপতি তো এ নিয়ে জানতে (Abhishek Banerjee) চাইবেনই।” তিনি বলেন, “আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চললে যদি তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টে আদালত সন্তুষ্ট না হয়, তাহলে আবার নির্দেশ দিতে পারে।” অভিষেকের আইনজীবীকে বিচারপতি সেন বলেন, “আপনি (অভিষেক) তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করুন। যে নথি চাওয়া হয়েছে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য দেওয়া উচিত। ১২ অক্টোবর ইডির দফতরে সব নথি নিয়ে যান।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share