Tag: ED

ED

  • Jyotipriya Mallick: বালুর স্ত্রীর বিদেশযাত্রার টিকিট কাটেন বাকিবুর! দাবি ইডির

    Jyotipriya Mallick: বালুর স্ত্রীর বিদেশযাত্রার টিকিট কাটেন বাকিবুর! দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) পরিবারের বিদেশ সফরের টিকিট কেটেছিলেন বাকিবুর রহমান। ইডি সূত্রে খবর, জ্যোতিপ্রিয়ের স্ত্রীয়ের মরিশাস, আমেরিকা ঘোরার টিকিটের খরচ দিয়েছেন বাকিবুর। সূত্রের খবর, বাকিবুর ও ট্রাভেল এজেন্টের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও ইডির হাতে এসেছে। বাকিবুরের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। 

    ইডির হাতে গুরুত্বপূর্ণ নথি

    রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় পুজোর আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রভাবশালী ব্যবসায়ী তথা চালকল-আটাকলের মালিক বাকিবুর রহমানকে। বাকিবুরের গ্রেফতারির পর ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে গুঞ্জন পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। ইডির দাবি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পরিবারের বিদেশ সফরের খরচ দিয়েছিলেন বাকিবুর রহমান। গ্রেফতার ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এই সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে। এদিন ইডি আদালতে দাবি করে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী মণিদীপা ও বাকিবুরের স্ত্রীর একসঙ্গে মরিসাস ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরিকল্পনা ছিল। সেই মতো টিকিটও কাটা হয়। টিকিট কাটেন বাকিবুর রহমান। সেই নথি রয়েছে ইডির হাতে। এমনকী ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে বাকিবুরের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও তাদের কাছে রয়েছে বলে দাবি ইডির। টিকিট যে কাটা হয়েছিল তা মেনে নেন জ্যোতিপ্রিয়। 

    আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকার মালিক! জ্যোতিপ্রিয়ের সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    ইডি সূত্রে খবর, ২০১৭ সাল পর্যন্ত অন্তত ৩টি ভুয়ো সংস্থায় জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরের পরিবারের সদস্যরা যৌথভাবে বোর্ড অফ ডিরেক্টরের সদস্য ছিলেন। ইডি জানিয়েছে যে জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick)  স্ত্রী ও মেয়ে প্রথমে স্বীকার করতে চাননি যে গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমি়টেড, গ্রেসিয়াস ইনোভেশন প্রাইভেট লিমিটেড ও শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু এর পরই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এই তিন কোম্পানির স্ট্যাম্প পাওয়া যায়। ইডির দাবি তখন আর তাঁদের অস্বীকার করার উপায় ছিল না। তবে মনিদীপা মল্লিক ও প্রিয়দর্শিনী গোটা দায় জ্যোতিপ্রিয়র কনফিডেনশিয়াল অ্যাসিসট্যান্ট অজয় দে-র উপর চাপিয়ে দেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Jyotipriya Mallick: কোটি কোটি টাকার মালিক! জ্যোতিপ্রিয়র সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    Jyotipriya Mallick: কোটি কোটি টাকার মালিক! জ্যোতিপ্রিয়র সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোটবন্দির সময়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু মল্লিকের স্ত্রী মনিদীপা ও তাঁর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্যাশ জমা হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। শুক্রবার আদালতে এই দাবি করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মোট স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ, ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকার মালিক। তার স্ত্রী মণিদীপা ২ কোটি ৩০ লাখ ৭১ হাজার ৭০৮ টাকার মালিক। মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬ কোটি ২৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

    জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আয়

    ইলেকশন কমিশনে দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আয় ছিল বার্ষিক ২ লাখ ৪০ হাজার ৯১৭ টাকা। পরবর্তী অর্থ বর্ষ অর্থাৎ ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে তার বার্ষিক আয় এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়ায় ১১ লাখ ৯৮ হাজার ১৪৮ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে সেই আয় বেড়ে দাঁড়ায় ১২ লাখ ৪০ হাজার ২৫৫ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বার্ষিক আয় এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়িয়ে ছিল ৫১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৭৬ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বার্ষিক আয় ছিল ৪০ লাখ ২১ হাজার ৯১০ টাকা।জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী মণিদীপার ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে বার্ষিক আয় ছিল ১১ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে বার্ষিক আয় ছিল ১২ লাখ ১৫ হাজার ৪৯০ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে বার্ষিক আয় ছিল ২৫ লাখ ৫২ হাজার ৪৬০ টাকা। এক্ষেত্রেও তার স্ত্রীর বার্ষিক আয় এক ধাক্কায় দ্বিগুণ হয়েছিল। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে বার্ষিক আয় ছিল ১৮ লাখ ১১ হাজার ৬৫৫ টাকা।

    আরও পড়ুন: হাসপাতালে ভর্তি জ্যোতিপ্রিয়, ছাড়া পেলেই ইডি হেফাজতের মেয়াদ শুরু

    জ্যোতিপ্রিয়ের স্ত্রী ও মেয়ের অ্যাকাউন্ট 

    জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী ও মেয়ের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেল আদালতে পেশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দুটি অ্যাকাউন্টই রয়েছে আইডিবিআই ব্যাঙ্কে। একটি অ্যাকাউন্ট মনিদীপা মল্লিকের নামে। অন্য অ্যাকাউন্টটি প্রিয়দর্শিনী মল্লিকের নামে। নোটবন্দি হয়েছিল ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর। ইডি জানিয়েছে, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০১৭ সালের মার্চ মাসের মধ্যে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রীর আইডিবিআই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্যাশ তথা নগদ জমা হয়েছে ৬ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এক মাসেই জমা পড়েছে নগদ ৩ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা। নভেম্বর মাসে নোটবন্দি হয়েছিল। ওই এক মাসেই প্রিয়দর্শিনীর অ্যাকাউন্টে ক্যাশে এই টাকা জমা পড়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Ration Distribution Scam: ‘রেশন কেলেঙ্কারিতে খতিয়ে দেখা হোক মমতার ভূমিকা’, ইডিকে আর্জি শুভেন্দুর

    Ration Distribution Scam: ‘রেশন কেলেঙ্কারিতে খতিয়ে দেখা হোক মমতার ভূমিকা’, ইডিকে আর্জি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Ration Distribution Scam) মামলায় এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে ইডিকে আর্জি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর। এক্স হ্যান্ডেলে ইডির ডিরেক্টরকে ওই আর্জি জানান নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    শুভেন্দুর নিশানায় মমতা

    শুক্রবার শুভেন্দু লেখেন, “২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতির পাহাড়ের সঙ্গে যুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজর থেকে বাঁচাতে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালে খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী করেননি।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, খাদ্য দফতর থেকে সরানো হলেও, দুর্নীতির টাকা সুবিধাভোগীদের হাত পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেন্সিয়াল কমোডিটিজ সাপ্লাই কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করা হয়। এই কমিশনের মাধ্যমেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক খাদ্য দফতরের সঙ্গে যোগসাজশ রেখেছিলেন। শুভেন্দুর দাবি, ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেন্সিয়াল কমোডিটিজ সাপ্লাই কমিশনের এমডি পদে বসানো হয় অবসরপ্রাপ্ত এক আইএএস আধিকারিককে।

    মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হোক

    এ সুব্বিয়াহ নামে ১৯৯২ সালের আইএএস ব্যাচের এক অফিসারকে নিয়োগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আমলার বিরুদ্ধে আগে থেকেই সিবিআই তদন্ত চলছে (Ration Distribution Scam)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাজ্যের পার্সোনেল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ দফতরের মন্ত্রী। সুতরাং তাঁর অনুমতি ছাড়া ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেন্সিয়াল কমোডিটিজ সাপ্লাই কমিশনের এমডি পদে ওই আমলাকে বসানো সম্ভব নয়।

    তাই রাজ্যের রেশন বণ্টন দুর্নীতি নিয়ে ইডি যে তদন্ত করছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হোক। শুভেন্দুর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বেআইনিভাবে টাকা তুলুন এবং তার অংশ নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পাঠান। সেই জন্যই মুখ্যমন্ত্রী ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেন্সিয়াল কমোডিটিজ সাপ্লাই কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান করেন জ্যোতিপ্রিয়কে।

    আরও পড়ুুন: ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ, রায় শুনেই আদালতে জ্ঞান হারালেন জ্যোতিপ্রিয়

    বৃহস্পতিবার টানা কুড়ি ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয়কে। তল্লাশি চালানো হয় তাঁর এবং তাঁর আপ্ত সহায়কের বাড়িতে। জ্যোতিপ্রিয়র কথায় অসঙ্গতি খুঁজে পান ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। তার জেরে শুক্রবার কাকভোরে (Ration Distribution Scam) গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Ration Distribution Case: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বাকিবুর-জ্যোতিপ্রিয়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবে ইডি!

    Ration Distribution Case: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বাকিবুর-জ্যোতিপ্রিয়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবে ইডি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় (Ration Distribution Case) গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুক্রবার কাকভোরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এর আগে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল বাকিবুর রহমানকে। ইডি সূত্রে খবর, বাকিবুরের মুখোমুখি বসিয়ে দেওয়া হবে তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয়কে। তার পরেই শুরু হবে টানা জেরা।

    গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয়

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার টানা কুড়ি ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তৃণমূল নেতাকে। তল্লাশিও চালানো হয় তাঁর বাড়িতে। জেরার মুখে জ্যোতিপ্রিয়র কথায় কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, জ্যোতিপ্রিয়র বাড়ি থেকে রেশন বণ্টন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু নথি মিলেছে। জানা গিয়েছে, বাকিবুর জ্যোতিপ্রিয়র ঘনিষ্ঠ। রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় বাকিবুরকে জেরা করতেই উঠে আসে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর নাম। তার পরেই তল্লাশি চালানো হয় তাঁর বাড়িতে। পরে করা হয় গ্রেফতার।

    দুর্নীতি কীভাবে?

    আটা নিয়ে দুর্নীতি (Ration Distribution Case) হয়েছে কীভাবে? ইডির নথিতে বলা হয়েছে, মিল মালিকরা কড়ায়-গণ্ডায় নিয়ে নিতেন সরকারি অর্থ। তবে তার বিনিময়ে তাঁরা যে রেশন সামগ্রী সরবরাহ করতেন, তার হিসেব মিলত না। প্রতি কেজি আটার দামে অন্তত ২০০ গ্রাম কম দিতেন মিল মালিকরা। ইডি সূত্রে খবর, এ সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরকে। তাঁরা একে অপরকে কীভাবে চেনন, রেশন কেলেঙ্কারিতে  কারা জড়িত, টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা কীভাবে হত, মূলত এসব প্রশ্নই করা হতে পারে জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরকে মুখোমুখি বসিয়ে।

    আরও পড়ুুন: “কান এসেছে, এরপর মাথাও আসবে”, জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পর কী ইঙ্গিত দিলেন সুকান্ত?

    ইডি সূত্রে খবর, রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় (Ration Distribution Case) কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ধৃত বাকিবুরের পিছনে বড় মাথা হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রীমশাইকে। তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ও আয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক খুঁজে পান তদন্তকারীরা। তার পরেই এদিন কাকভোরে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতাকে।

    এদিকে, রেশনের গম খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে বাকিবুরের বিরুদ্ধে। এই কেলেঙ্কারিতে রাজ্যের রেশন ডিলারদের একাংশও যুক্ত বলে অনুমান ইডির। তাই কেলেঙ্কারির শিকড়ে পৌঁছতে চাইছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • TMC Minister: মন্ত্রী-বিধায়ক থেকে রাঘব-বোয়াল, গত ১ বছরে চুরির অভিযোগে জেলে তৃণমূলের ৭ নেতা-মন্ত্রী

    TMC Minister: মন্ত্রী-বিধায়ক থেকে রাঘব-বোয়াল, গত ১ বছরে চুরির অভিযোগে জেলে তৃণমূলের ৭ নেতা-মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে (TMC Minister) তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের জেলযাত্রা শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের ২৩ জুলাই থেকে। সেসময় গ্রেফতার হন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিগত এক বছরে এভাবেই রাজ্যের শাসকদলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রীসহ একাধিক রাঘব বোয়াল গ্রেফতার হয়েছেন চাকরি চুরি, গরু চুরির অভিযোগে। শুক্রবার রেশনের চাল চুরির অভিযোগের গ্রেফতার হলেন মমতা মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

    আমরা এক নজরে দেখে নেব বিগত এক বছরে গ্রেফতার হওয়া নেতাদের তালিকা

    গ্রেফতার মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

    ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় (TMC Minister) ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি। রেশন বন্টন মামলায় চুরির অভিযোগে পুজোর আগেই গ্রেফতার হন বাকিবুর রহমান। তাঁর সূত্র ধরে উঠে আসে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম।

    গতবছরের জুলাইতে গ্রেফতার মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়

    ২০২২ সালে ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয় মমতা মন্ত্রিসভার (TMC Minister) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয় তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে।

    ২০২২ সালের অগাস্টে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা  অনুব্রত

    ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। তার আগে অবশ্য একাধিকবার অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে সিবিআই। তবে তিনি হাজিরা দেননি। অবশেষে বাড়ি গিয়ে তাঁকে জেরা করা হয় এবং গ্রেফতার করা হয়।

    ২০২২ সালের অক্টোবরে গ্রেফতার বিধায়ক মানিক

    ঠিক এক বছর আগে ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে।প্রসঙ্গত, মানিক ভট্টাচার্য ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। অভিযোগ সেসময়ই নিজের ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে নানা রকমের দুর্নীতি করেছিলেনতিনি। এমনকি টেটে সাদা খাতা জমা দিয়ে অনেকে চাকরিও পেয়েছিলেন মানিকের বদান্যতায়।

    ২০২৩ সালের এপ্রিলে গ্রেফতার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ

    ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল সিবিআই গ্রেফতার করে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে টানা ৬৫ ঘণ্টা তল্লাশি শেষে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের এই বিধায়ককে। 

    ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে গ্রেফতার যুব নেতা কুন্তল ঘোষ

    চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার। বেসরকারি বিএড কলেজের ব্যবসা চালাতেন তাপস মণ্ডল নামে জনৈক ব্যক্তি। তাপস মণ্ডলের সূত্র ধরেই উঠে আসে নিয়োগ দুর্নীতিতে (TMC Minister) কুন্তলের নাম।

    ২০২৩ সালের মার্চে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শান্তনু

    ২০২৩ সালের ১১ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার করা হয় কুন্তল ঘোষ ঘনিষ্ঠ শান্তনু বন্দোপাধ্যায়কে। হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনুর বিরুদ্ধে ওঠে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Kalighater Kaku: কোন অসুখে টানা দু’মাস হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণ? এসএসকেএমে আচমকা হানা ইডির

    Kalighater Kaku: কোন অসুখে টানা দু’মাস হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণ? এসএসকেএমে আচমকা হানা ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অগাস্ট মাসে হাসপাতালে অস্ত্রপচার হয়েছে কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku)। অক্টোবর মাসের অর্ধেক দিন অতিবাহিত। প্রায় দু মাস হাসপাতালেই রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য এতদিন কেন তিনি হাসপাতালে? তা খতিয়ে দেখতেই হাসপাতালে হাজির হলেন ইডির কর্তারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আচমকা হানায় এসএসকেএম হাসপাতালে রীতিমতো আলোড়ন তৈরি হয়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দার্ঘদিন হাসপাতালে কালীঘাচের কাকু ভর্তি থাকার ফলে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে না ইডি। অন্যদিকে আদালতেরও নির্দেশ রয়েছে, শীঘ্রই তদন্ত শেষ করার। তাই ইডির এই আচমকা হানা।

    সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে কথা ইডি অফিসারদের

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Kalighater Kaku) সঙ্গে ইডি অফিসাররা এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে কথাও বলেন। এর পাশাপাশি মঙ্গলবার চিকিৎসকদের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসারদেরও কথা বলতে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কী ধরনের সমস্যা রয়েছে! সেই সংক্রান্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তা হাতে পাওয়ার পরই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেবেন ইডি আধিকারিকরা। তারপরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এসএসকেএম হাসপাতাল যেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কাছ থেকে বাঁচার একমাত্র আস্তানা। এর আগেও সমন পেতেই মদন মিত্র বা পার্থ চট্টোপাধ্যায় অথবা অনুব্রত মণ্ডলদের এখানে ভর্তি হতে দেখা গিয়েছে।

    চলতি বছরের ৩০ মে গ্রেফতার হন কালীঘাটের কাকু

    প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি গ্রেফতার করে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে (Kalighater Kaku)। চলতি বছরের ৩০ মে গ্রেফতার হন কালীঘাটের কাকু। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র লিপস অ্যান্ড বাউন্সের অন্যতম কর্তা বলে নিজেকে দাবি করেছিলেন বারবার। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্যার সম্বোধনও করতে থাকেন তিনি। বহুবার তাঁকে তলব করে ইডি, তাঁর বাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টানা কয়েকমাস নজরদারি চালানোর পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ১০ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বের হলেন অভিষেকের আপ্তসহায়ক, কী তথ্য দিয়ে এলেন?

    ED: ১০ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বের হলেন অভিষেকের আপ্তসহায়ক, কী তথ্য দিয়ে এলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ, তারপর ইডি (ED) দফতর থেকে বের হতে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়কে। সোমবার দুপুর বারোটা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছেছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের আপ্ত সহায়ক। রাত দশটার কিছু আগে বের হন তিনি। তবে এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি সুমিত রায়। তবে তাঁকে কি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? সে সংক্রান্ত প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে সুমিতের জবাব ‘‘এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’

    আদালতে সুমিতের আর্জি খারিজ 

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ছাড়া এর আগে কয়লা পাচারকাণ্ডেও সুমিতের নাম উঠে এসেছিল বলে খবর। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন কিনা! নিয়োগের জন্য কেউ তাঁর দ্বারস্থ হয়েছিল কিনা! এ সমস্ত কিছুই জানতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সুমিতের বয়ান আপাতত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইডি (ED)
     নোটিশ পাওয়ার পর গত শুক্রবারই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেকের আপ্ত সহায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করার আর্জি ছিল সুমিতের। তবে এই আর্জি আদালতে খারিজ হয়ে যায়। কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, ভবিষ্যতে যদি কড়া পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তখন আদালতে তিনি আসতে পারেন।

    লিপস এন্ড বাউন্সের কর্মী ছিলেন সুমিত

    জানা গিয়েছে, লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থার কর্মী হিসেবেই এক সময় কাজ করতেন সুমিত। সেখানে ইডির উদ্ধার করা এক হাজার পাতার নথি সূত্র ধরেই সুমিতকে প্রশ্ন করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থায় তাঁকে কে নিয়োগ করেছিলেন! সেখানে কী ভূমিকা ছিল সুমিতের! কী কাজ তিনি করতেন সেখানে! এ সমস্ত কিছুই জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছে। প্রসঙ্গত, লিপস এন্ড বাউন্স সংস্থা থেকে উদ্ধার হওয়া নথির ভিত্তিতে ডেকে পাঠানো হয় অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকেও। গত বুধবারই তিনি হাজিরা দেন। এর পাশাপাশি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ডাকা হয়েছিল ইডি দফতরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: মা-বাবা-স্ত্রীর পর এবার ইডির তলব অভিষেকের পিএকে

    Abhishek Banerjee: মা-বাবা-স্ত্রীর পর এবার ইডির তলব অভিষেকের পিএকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ইডির জালে জড়াচ্ছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)!  ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ মামলায় ইডি তলব করেছিল অভিষেককে। পরে তলব করা হয় তাঁর মা লতা, বাবা অমিত এবং স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অভিষেক এবং তাঁর মা-বাবা ইডির ডাকে সাড়া না দিলেও, বুধবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন রুজিরা।

    ইডির সমন পেলেন সুমিত রায়

    টানা প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা জেরা শেষে ছাড়া পেয়েছিলেন। এবার ইডির সমন পেলেন অভিষেকের (Abhishek Banerjee) পিএ সুমিত রায়। প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তলব করা হয়েছে তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে সুমিতকে তলব করা হয়েছে। ইডির নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সুমিত।

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’

    নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে ইডি গ্রেফতার করে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে। তাঁকে জেরা করতেই ঝুলি থেকে বিড়াল বের হয়। উঠে আসে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ নামে এক সংস্থার নাম। নিউ আলিপুরের এই সংস্থার সিইও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। যিনি আবার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকও। এই সংস্থায় ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিষেকের মা লতা এবং বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকেই ডেকে পাঠায় ইডি। আদালতের নির্দেশে ইডির হাতে নথি তুলে দিলেও, হাজিরা এড়ান অভিষেক। ইডির ডাকে সাড়া দেননি তাঁর মা এবং বাবাও। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি তলব করে ওই সংস্থার অধিকর্তা রুজিরাকে। বুধবার ইডি দফতরে হাজিরা দেন রুজিরা।

    আরও পড়ুুন: “তামাম বিশ্ব বুঝতে পারছে সন্ত্রাসবাদের বিপদ”, জি২০ স্পিকার সম্মেলনে বললেন মোদি

    তদন্তকারীদের অভিযোগ, চাকরি বিক্রি বাবদ বিভিন্ন জেলা থেকে যে টাকা আসত, সেই টাকা এজেন্টের কাছ থেকে সংগ্রহ করে ‘কালীঘাটের কাকু’ পৌঁছে দিতেন ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র দফতরে। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) পিএকে জেরা করে ইডি জানতে চায়, কোন কোন অ্যাকাউন্টে কত টাকা ঢুকেছে? এই টাকার লেনদেনের সঙ্গে প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তাও জানতে চান তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: বরানগরে কর্মী নিয়োগে তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ, মোটা টাকার খেলা! আর কী পেল ইডি?

    ED: বরানগরে কর্মী নিয়োগে তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ, মোটা টাকার খেলা! আর কী পেল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরানগর পুরসভায় কর্মী নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। একইসঙ্গে স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল পরিচালিত পুর বোর্ডের বিরুদ্ধে। পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অয়ন শীলকে গ্রেফতার করার পর তার কাছে পাওয়া তথ্য থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এই পুরসভায় কর্মী নিয়োগে নানা অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ইডি (ED)। আর এই সব কর্মী নিয়োগে মোটা টাকার খেলা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা মনে করছেন।

    পুরসভায় কর্মী নিয়োগ প্যানেলে কারা ছিলেন? (ED)

    পুর-নিয়োগ প্যানেলে কারা ছিলেন তা ইডি আধিকারিকদের স্ক্যানারে রয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১৭-১৮ সালে এই পুরসভায় অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। পরে, রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে ছিলেন চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক, তত্কালীন ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত রায়, এক্সিকিউটিভ অফিসার সুদীপ ভট্টাচার্য, কাউন্সিলার বিশ্বজিত্ বর্ধন এবং অনিন্দ্য রাউত। পুরসভার কর্মী পদে কয়েক হাজার ছেলেমেয়ে আবেদন করেছিলেন। তারমধ্যে ১৭০ জনকে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু, নিয়োগ হওয়ার পর যে তালিকা সামনে আসে তাতে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়়। রিক্রুটমেন্টের দায়িত্বে থাকা পদাধিকারীদের পরিবারের লোকজনের নাম সামনে আসে। এক সিআইসি সদস্যের পরিবারের লোকজনের নাম তালিকায় রয়েছে। এছাড়া একাধিক কাউন্সিলারদের ঘনিষ্ঠরা চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। শাসক দলের পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতা আশিস দে-র ওই নিয়োগে বড় ভূমিকা রয়েছে। এমনিতেই এই নেতার বাড়ি বীরভূম। গরু পাচার কাণ্ডের ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত তিনি। তাঁর ছেলের চাকরিও বরানগর পুরসভায় হয়েছে। ওই নেতার হাত ধরে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক ছেলে এই পুরসভায় নিয়োগপত্র পেয়েছেন। স্রেফ শাসক দলের বদান্যতায় তাঁদের চাকরি হয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এমনকী বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলার যাদের নিয়োগ করা হয়েছে, তারা নিয়মিত পুরসভায় পর্যন্ত আসে না বলে অভিযোগ। কিন্তু, তাদের নিয়মিত প্রতিমাসে বেতন হয়ে যায়। এরকম ২৫-৩০ জন কর্মী রয়েছেন। যা নিয়ে তৃণমূলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন। বোর্ড মিটিংয়ে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। 

    চেয়ারপার্সনের কী বক্তব্য?

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে  পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, নিয়ম মেনে পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। তবে, কাউন্সিলর বা রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের দায়িত্বে থাকলে তাঁর ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিতে পারবে না এমন কোনও নিয়ম নেই। পরীক্ষা দিতেই সকলেই চাকরি পেয়েছেন। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হয়েছে। আর কেউ পুরসভায় নিয়মিত না আসলে তাঁকে শো কজ করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

    ৩২ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই অনেক তথ্য জানতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা

    পুরসভার ৩২ জন কর্মীকে ইডি সেপ্টেম্বর মাসে ডেকে পাঠায়। মূলত তৃণমূল ঘনিষ্ঠ যাদের পুরসভায় চাকরি হয়েছে তারা ডাকা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নিয়োগে পুরসভার চেয়ারপার্সন এবং অনিন্দ্য রাউতদের ভূমিকা নিয়ে অনেক তথ্য জানতে পেরেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। নিয়োগের পিছনে মোটা টাকা আর্থিক লেনদেন হয়েছে, সেই বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। এমনিতেই ইডি (ED), সিবিআইয়ের স্ক্যানারে আসার পর থেকেই চেয়ারপার্সন পুরসভায় আসা অনিয়মিত হয়ে পড়ে। কাউন্সিলারদের একাংশের সঙ্গে নিয়োগ ইস্যুতে দুরত্ব তৈরি হয়েছে। কয়েকজিন আগে ইডি আধিকারিকরা হানা দিয়ে চেয়ারপার্সনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেন। তৃণমূল নেতা অনিন্দ্য রাউতের কাছে অনেক তথ্য পান। আর চেয়ারপার্সন কার কার সঙ্গে যোগাযাগ রাখতেন তা বোঝার চেষ্টা করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rujira Banerjee: লেনদেন কত? টাকার উৎস কী? সাড়ে ৮ ঘণ্টা ধরে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    Rujira Banerjee: লেনদেন কত? টাকার উৎস কী? সাড়ে ৮ ঘণ্টা ধরে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ডের পর এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির জেরার মুখে অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্ধ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠায় ইডি (ED)। সাড়ে ৮ ঘণ্টার পর ম্যারাথন জেরার পর ছাড়া পান রুজিরা।

    সাড়ে ৮ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা

    সকাল ১১টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকেছিলেন৷ বেরলেন যখন, তখন ঘড়িতে সন্ধে সাড়ে ৭টা৷ প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের ৬ তলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে রইলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ চলল জিজ্ঞাসাবাদ৷ এর আগে কয়লা দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই তলব করলেও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম তলব করা হয়েছিল অভিষেক জায়াকে৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সূত্রে আলোচনায় উঠে আসে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নামে এক সংস্থার নাম৷ সূত্রের খবর, এই সংস্থারই প্রাক্তন ডিরেক্টর ছিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

    জেরায় কী কী জানতে চাওয়া হল

    ইডি সূত্রে খবর, বুধবার সকাল থেকে মোট দু’দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রুজিরাকে। এদিন তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়। এক মহিলা আধিকারিকের উপস্থিতিতে রুজিরার  জেরা চলে। স্রেফ অভিষেক নন, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর ছিলেন তাঁর স্ত্রীও। ওই সংস্থায় রুজিরা কী কী দায়িত্ব পালন করতেন? এই কোম্পানিতে তাঁর ভূমিকা কী ছিল? লেনদেনের বিষযে কিছু জানতেন কি না, এই সংস্থা কী ধরনের পরিষেবা দেয়, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে এদিন তাঁকে ইডির তরফে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    আরও পড়ুুন: হাতে নয়া তথ্য, দাবি সিবিআইয়ের, তাই কি ফের খারিজ পার্থর জামিনের আর্জি?

    রুজিরাকে জেরা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর ডিরেক্টর ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল৷ যদিও তাঁরা শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসেননি৷ চিঠি দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় ১২০০ পাতার নথি এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০০ পাতার নথি জমা করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন লুকোচুরি চলছে। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের অনেককেই ডাকা হয়েছিল। কোর্টের নির্দেশ মেনে তদন্তে সহযোগিতা করলে ভাল। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ আদালতের নির্দেশে হচ্ছে। তদন্তের গতি অত্যন্ত স্লথ। আদালতের তিরস্কারের পর বাধ্য হয়ে তৎপর হয়েছে ইডি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share