Tag: ED

ED

  • Abhishek Banerjee: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ মামলায় ফের ইডির তলব অভিষেককে, হাজিরার নির্দেশ রুজিরাকেও

    Abhishek Banerjee: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ মামলায় ফের ইডির তলব অভিষেককে, হাজিরার নির্দেশ রুজিরাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপায় নেই ইডির নাগাল এড়ানোর! প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর ডিরেক্টর পদে থাকা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ।

    ফের তলব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোকে 

    গতকাল, সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। দিল্লিতে দলীয় কর্মসূচি থাকায় ইডির ডাকে সাড়া দেননি তিনি। এবার নতুন করে তলবের নোটিস পাঠানো হল তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে। বলা হয়েছে, আগামী সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে। একইসঙ্গে এই মামলায় প্রথমবার তলব করা হয়েছে অভিষেক-পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এর আগে, ইতিমধ্যে তলব করা হয়েছে অভিষেকের বাবা অমিত মুখোপাধ্যায় ও মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফলে, নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ইডির মুখোমুখি অভিষেকের গোটা পরিবার। এদিকে, ইডির হাজিরা এড়াতে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।

    ডিভিশন বেঞ্চে সময় চাইলেন অভিষেক

    এ প্রসঙ্গে বিচারপতি সৌমেন সেন তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, “হাজিরা যে দেবেন না, তা ইডিকে আগেই জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল অভিষেকের।” ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক যে আবেদন করেছেন, সেখানে যুক্তি দেখানো হয়েছে, ইডি যে নথি তাঁর কাছ থেকে চেয়েছে, তা প্রায় ১০ বছরের পুরানো। জোগাড় করতে পর্যাপ্ত সময় প্রয়োজন। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) পাশাপাশি আগামী সপ্তাহেই সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছে তাঁর স্ত্রীকেও। কয়লা পাচার মামলায় বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে রুজিরাকে।

    জুন মাসে সিজিও কমপ্লেক্সে টানা প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ইডির প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেক-পত্নী। এবার রুজিরাকে তলব করা হল নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে। ইডি সূত্রে খবর, রুজিরার বয়ান নথিবদ্ধ করতে চাইছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাই ডেকে পাঠানো হয়েছে তৃণমূল নেতার স্ত্রীকে। ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির সিইও অভিষেক (Abhishek Banerjee)। এই কোম্পানিরই ডিরেক্টর তাঁর মা লতা এবং বাবা অমিত। এই সংস্থার অন্যতম অধিকর্তা ছিলেন রুজিরা।

    আরও পড়ুুন: ‘বালি মাফিয়াদের জন্য রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি, কোনও নজরদারি নেই’, তোপ আলুওয়ালিয়ার

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সব ডিরেক্টরের সম্পত্তির হিসেব পেশ করতে হবে ইডিকে। প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে ডিরেক্টরদেরও। সেই সূত্রেই রুজিরাকে তলব করা হয়েছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ‘‘আজ তলবে সাড়া দেবেন না, ইডিকে আগে জানাননি কেন?’’ অভিষেকের আইনজীবীকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    Abhishek Banerjee: ‘‘আজ তলবে সাড়া দেবেন না, ইডিকে আগে জানাননি কেন?’’ অভিষেকের আইনজীবীকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কবে নোটিস পাঠিয়েছিল ইডি (ED)? এতগুলো দিন কেটে গিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যে হাজিরা দিতে পারবেন না, তা তিনি আগে জানালেন না কেন? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীকে মঙ্গলবার এই প্রশ্ন করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলার শুনানি ছিল এদিন। মামলার কাগজপত্র এসে না পৌঁছনোর কারণে এদিন তা শোনা হয়নি। বুধবার এই মামলা শুনবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রথমার্ধেই এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    কী বললেন বিচারপতি

    এদিন বিচারপতি সেন সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘আপনার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি রয়েছে, সেটা তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন? কেন জানাননি? আপনি যে যাবেন না সেটাকে ইডিকে জানানো উচিত ছিল।’’উত্তরে অভিষেকের আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, ‘‘প্রতি বার রাজনৈতিক কর্মসূচির দিন আমার মক্কেলকে তলব করা হয়। এর আগেও হাজিরা দেওয়া হয়েছে। এমনকি, এই মামলায় ইডির তদন্তকারী অফিসারকে সরানোও হয়েছে।’’ এর পরেই বিচারপতি বলেন, ‘‘মামলার সব পক্ষকে প্রতিলিপি দিন। বুধবার শুনানি হবে।’’

    বুধবার ফের মামলার শুনানি

    নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। ইডির (ED) হাজিরা এড়াতে চেয়ে এবং সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ব্যাখ্যা চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। মঙ্গলবারই বেলা সাড়ে ১২টায় শুনানির কথা ছিল। এদিন এজলাসে সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, ‘সকালে এসে মামলা করতে পারেন, অথচ কেন যাবেন না সেটা একবারও বলা হল না।’ অন্যদিকে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘ওনার বিরুদ্ধে ক্ষতিকর কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। ওনাকে শুধু গিয়ে দেখা করার কথা বলা হয়েছে। আমাদের সহযোগিতা করুন উনি।’ এই না যেতে পারার বিষয়টি নিয়ে অভিষেকের আইনজীবী কিশোর দত্ত সে অর্থে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। 

    আরও পড়ুন: নাবালিকাকে অপহরণ সিকিমে, ধর্মান্তকরণ করে বিয়ে! হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পুলিশ

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) মঙ্গলবার দিল্লিতে দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত। তাই কলকাতায় ইডির দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি। তবে তিনি বুধবারেও হাজিরা দিতে পারেন, কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, অভিষেক মঙ্গলবার ব্যস্ত থাকলে বুধবারেও হাজিরা দিতে পারেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ইডির সহকারী ডিরেক্টরকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, কেন জানেন?

    Calcutta High Court: ইডির সহকারী ডিরেক্টরকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির তদন্তে সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তদন্তে যুক্ত রয়েছেন ইডির সহকারী ডিরেক্টর মিথিলেশকুমার মিশ্র। শুক্রবার তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

    ইডিকে নির্দেশ আদালতের

    আদালত জানিয়েছে, ইডির তদন্তকারী অফিসার মিথিলেশকুমার মিশ্র শুনানিতে হাজির হয়ে যে জবাব দিয়েছেন, তাতে সন্তুষ্ট নয় আদালত। ইডিকে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, অবিলম্বে সব রকম তদন্ত থেকে অব্যাহতি দিতে হবে মিথিলেশকে। তাঁর জায়গায় যোগ্য অফিসারকে বহাল করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে তিনি কোনও মামলার তদন্ত করতে পারবেন না। তিনি ইডিকে জানান, আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকায় মিথিলেশকুমারকে সরিয়ে ৩ অক্টোবর তদন্তে উপযুক্ত অফিসারকে পদক্ষেপ করতে হবে।

    ‘তদন্ত করার যোগ্যতাই নেই’

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়িয়েছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার। এই সংস্থার সিইও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে তলব করেছে ইডি। এই মামলার তদন্তে ছিলেন মিথিলেশ (Calcutta High Court)। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। সেই রিপোর্ট দেখে সোমবার বিচারপতি সিনহা বলেছিলেন, “মনে হচ্ছে, ইডির এই ধরনের তদন্ত করার যোগ্যতাই নেই। এই গতিতে তদন্ত করে কি আপনারা আসলে তথ্য লোপাটের সুযোগ করে দিতে চাইছেন? আদালত কিন্তু অন্য কিছুর গন্ধ পাচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    এই মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন মিথিলেশ। এদিন এজলাসে ইডির জমা দেওয়া রিপোর্টের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানতে চান বিচারপতি সিনহা। তাঁর প্রশ্ন, “এই ধরনের তদন্ত করার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কি ইডি অফিসারদের আদৌ রয়েছে? আদালতের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। মনে হচ্ছে, আপনারা কিছু গোপন করতে চাইছেন।”

    অভিষেকের সম্পত্তির খতিয়ান দেখে বিচারপতি সিনহা মিথিলেশকে প্রশ্ন করেন, “সম্পত্তির খতিয়ানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাত্র তিনটি বিমা রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। বিমাগুলি কত টাকার, তাও উল্লেখ নেই। উনি একজন সাংসদ। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কোনও উল্লেখ নেই। এসব আপনাদের চোখে পড়েনি?” ইডির আধিকারিক (Calcutta High Court) বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী যে তথ্য দিয়েছেন, সেটাই আদালতে পেশ করা হয়েছে।” এর পরেই ক্ষুব্ধ বিচারপতির প্রশ্ন, “আপনারা কি পোস্ট অফিস? যা দেওয়া হল, সেটাই পাঠিয়ে দিলেন? কীভাবে তদন্ত করতে হয়, আদালতকেই কি সেটা বলে দিতে হবে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Abhishek Banerjee: প্রসঙ্গ অভিষেক, তদন্তের স্বার্থে যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Abhishek Banerjee: প্রসঙ্গ অভিষেক, তদন্তের স্বার্থে যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পারলে আমাকে আটকান”, শুক্রবার ইডির তলব প্রসঙ্গে কথাগুলি বলেছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এমতাবস্থায় ইডিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, ৩ অক্টোবরের তদন্ত বা অনুসন্ধান যেন কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তার জন্য যে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে। এই তদন্তে যুক্ত ইডির সহকারী ডিরেক্টর মিথিলেশকুমার মিশ্রকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি ইডিকে জানান, আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকায় মিথিলেশকুমারকে সরিয়ে ৩ অক্টোবর তদন্তে উপযুক্ত অফিসারকে পদক্ষেপ করতে হবে।

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়িয়েছে নিউ আলিপুরের ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ নামে একটি সংস্থার। এই সংস্থার সিইও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক (Abhishek Banerjee)। ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিষেকের মা ও বাবা। এই তিনজনকেই তলব করা হয়েছে আগামী সপ্তাহে। অভিষেককে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে ৩ অক্টোবর, বেলা সাড়ে ১০টায়। ঘটনাচক্রে ওই দিন দলীয় এক কর্মসূচিতে তাঁর দিল্লিতে থাকার কথা।

    “পারলে আমাকে আটকান”

    অভিষেক জানান, ঘোষিত কর্মসূচি ধরে ধরে তাঁকে ডেকে পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন এ নিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টও করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। শেষে লেখেন, “স্টপ মি ইফ ইউ ক্যান।” বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “পারলে আমাকে আটকান।” অভিষেক লেখেন, “আমি আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবর দিল্লিতে থাকব বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য।” আদালতে প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এর পরেই বিচারপতি সিনহা বলেন, “৩ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত বা অনুসন্ধান যেন কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তদন্তের স্বার্থে যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি।”

    আরও পড়ুুন: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    এই মামলায়ই ২৫ সেপ্টেম্বর ইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। ইডি আদালতকে অভিষেকের সম্পত্তির যে খতিয়ান দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ নিয়ে গত আট মাস ধরে ইডি যে তদন্ত করেছে, তার নিট ফল শূন্য। এ বিষয়ে ইডিকে বিশদে তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি সিনহা। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি, সে প্রশ্নও তোলেন। এর পরেই অভিষেকের মা ও বাবাকে তলব করে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: “পারলে আমাকে আটকান”, ইডিকে চ্যালেঞ্জ তৃণমূল নেতা অভিষেকের

    Abhishek Banerjee: “পারলে আমাকে আটকান”, ইডিকে চ্যালেঞ্জ তৃণমূল নেতা অভিষেকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির তলব উপেক্ষা করে দিল্লিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়াই স্থির করলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ৩ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে তলব করেছে ইডি। এই সপ্তাহেই ইডি ডেকে পাঠিয়েছে অভিষেকের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। শুক্রবার অভিষেক জানান, ঘোষিত কর্মসূচি ধরে ধরে তাঁকে ডেকে পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন এ নিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টও করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। শেষে লেখেন, “স্টপ মি ইফ ইউ ক্যান।” যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “পারলে আমাকে আটকান।”

    অভিষেককে তলব ইডির

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়িয়েছে নিউ আলিপুরের ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ নামে একটি সংস্থার। এই সংস্থার সিইও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক। ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিষেকের মা ও বাবা। এই তিনজনকেই তলব করা হয়েছে আগামী সপ্তাহে। অভিষেককে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে ৩ অক্টোবর, বেলা সাড়ে ১০টায়। ঘটনাচক্রে ওই দিন তাঁর দিল্লিতে থাকার কথা। কারণ বাংলার বকেয়া পাওয়া চেয়ে দিল্লিতে ২-৩ অক্টোবর দু’ দিনের যে ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তণমূল, তাতে যোগ দিতে যাওয়ার কথা তাঁর। অথচ ৩ তারিখে তাঁকে ইডি হাজিরা দিতে বলেছে সিজিও কমপ্লেক্সে।

    তৃণমূল নেতার চ্যালেঞ্জ

    তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক (Abhishek Banerjee) সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, “বাংলাকে বঞ্চনা ও বাংলার ন্যায্য পাওনার বিরুদ্ধে লড়াই সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে অব্যাহত থাকবে। বাংলার মানুষের মৌলিক অধিকারের জন্য আমার এই লড়াই পৃথিবীর কোনও শক্তিই দমাতে পারবে না। আমি আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবর দিল্লিতে থাকব বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য।” নাম না করে কেন্দ্রকেও একহাত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। তিনি লিখেছেন, “ঠিক যখন বাংলার পাওনা চেয়ে আমাদের দিল্লিতে যাওয়ার কথা, সেই সময়ই তলব করা হল আমাকে। অতএব বোঝা যাচ্ছে কারা আসলে ভীত এবং সন্ত্রস্ত। কারা ভয়ে কাঁপছে।”

    আরও পড়ুুন: কম বয়সেও হার্ট অ্যাটাক! বিশ্ব হার্ট দিবসে জানুন হৃদযন্ত্র ভাল রাখার সহজ কিছু উপায়

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে ৫ অক্টোবর থেকে শুরু নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি 

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে ৫ অক্টোবর থেকে শুরু নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ অক্টোবর থেকে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হবে নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার শুনানি। শুনানি হবে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ থেকে প্রাথমিক সব মামলারই শুনানি হবে পর পর।

    নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলা

    এসএসসি, প্রাইমারি সহ একাধিক মামলায় সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল পিটিশন। ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৭ সহ একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির মামলা দায়ের হয় দেশের শীর্ষ আদালতে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠায় বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। বিচারপতি বোস ও ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন ছিল, এতগুলি মামলা, কোনটি আমরা আগে শুনব?

    শুনানি শুরু ৫ অক্টোবর থেকে 

    বৃহস্পতিবার নিয়োগ সংক্রান্ত (Supreme Court) মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। শুনানি শুরু হতেই এদিনের জন্য স্থগিত রাখার আর্জি জানায় রাজ্য। শুনানিতে ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এভাবে বারবার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় অযোগ্য প্রার্থীরা চাকরি করেই চলেছেন।” এরপরই আদালত জানায়, ৫ অক্টোবর থেকে যাবতীয় মামলার শুনানি শুরু হবে। এখনও পর্যন্ত এই সব মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট যা যা রায় দিয়েছে, তারিখ অনুযায়ী সেই সব কপি জমা করতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। দিনের ক্রম অনুসারে সেই সব রায়ের প্রতিলিপি সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল নেত্রীর ঘরেই ইডির সমন! অভিষেকের পাশাপাশি তাঁর মা-বাবাকেও তলব

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক মামলা রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও। গত মাসেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কতদূর এগিয়েছে, তা সিবিআইয়ের কাছে জানতে চেয়েছিল আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এ সংক্রান্ত রিপোর্টও পেশ করা হয়। নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগের গোড়ায় পৌঁছতে আলাদাভাবে তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। তার জেরে গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

    এঁদের মধ্যে যেমন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা রয়েছেন, তেমনি (Supreme Court) রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বর্তমানে জেলে হেফাজতে রয়েছেন এঁরা। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নামও। তাঁকে তো বটেই, তাঁর মা এবং বাবাকেও সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছে ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: তৃণমূল নেত্রীর ঘরেই ইডির সমন! অভিষেকের পাশাপাশি তাঁর মা-বাবাকেও তলব

    Abhishek Banerjee: তৃণমূল নেত্রীর ঘরেই ইডির সমন! অভিষেকের পাশাপাশি তাঁর মা-বাবাকেও তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার তৃণমূল সুপ্রিমোর ঘরেই চলে এল ইডির সমন! যার জেরে ক্রমেই বিপাকে পড়ছে তৃণমূল! তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করেছিল ইডি। এবার কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা ডেকে পাঠাল অভিষেকের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের।

    ইডির তলব অভিষেককে

    লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেককে সিজিও কমপ্লেক্সে ৩ অক্টোবর হাজির হতে বলেছে ইডি। ওই সপ্তাহেই কোনও একদিন অমিত ও লতাকেও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে ইডির তরফে। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বর্তমানে ইডির হেফাজতে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। দিন কয়েক আগে তাঁর মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাট সহ তিন জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। নিউ আলিপুরের লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস (Abhishek Banerjee) কোম্পানিতেও হানা দেয় ইডি। টানা প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। এই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর ছিলেন অমিত ও লতা। এই সংস্থায় তাঁদের ভূমিকা ঠিক কী ছিল, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, তাঁদের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথিপত্রও নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।

    অভিষেকের গর্জন!

    এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর ইডি তলব করেছিল অভিষেককে (Abhishek Banerjee)। টানা ৯ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। তিনিই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও। সেদিনই সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে অভিষেক ইডিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, “প্রমাণ থাকলে ইডি আমাকে গ্রেফতার করুক। আমি চাই আমাকে গ্রেফতার করুক। তাহলে আমার বয়ান ওদের কোর্টে জমা দিতে হবে। সবাই দেখতে পাবে আমি কী বলেছি। তাহলেই সবাই বুঝতে পারবে আসল ঘটনা।” এদিকে, ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে অভিষেক সহ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সমস্ত ডিরেক্টর ও কর্মীর যাবতীয় তথ্য জমা দিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: ফের অভিষেককে সমন ইডির! দিল্লিতে ঘেরাও কর্মসূচির দিনই তলব সাংসদকে

    লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানিতে অনেক টাকা ঢুকেছে বলে দিন কয়েক আগে দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, “আমি অনেক নথি জমা দিয়েছি। ওই কোম্পানিতে জেট এয়ারওয়েজের টাকা ঢুকেছে। সুভাষ আগরওয়ালের হাত দিয়ে কয়লার টাকা ঢুকেছে। বৈদিক ভিলেজের মালিক দেড় কোটি টাকা ঢুকিয়েছে। এগুলির প্রামাণ্য নথি রয়েছে। কোম্পানির সঙ্গে জড়িতদের সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। তা জমা দিলেই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ (Abhishek Banerjee) হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Leaps and Bounds: ‘‘অভিষেকের মা লতার সম্পত্তির হিসাব চাই’’! ইডিকে নির্দেশ বিচারপতি সিনহার

    Leaps and Bounds: ‘‘অভিষেকের মা লতার সম্পত্তির হিসাব চাই’’! ইডিকে নির্দেশ বিচারপতি সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসাব চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস (Leaps And Bounds) মামলায় গত আট মাস ধরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) যে তদন্ত করেছে, তা নিয়ে সোমবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই বিষয়ে ইডি রিপোর্ট জমা দিলেও তা অসম্পূর্ণ, বলে অভিমত বিচারপতির। নতুন করে বেশ কিছু তথ্য ফের জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

    কী বলল আদালত

    বিচারপতি অমৃতা সিনহা সোমবার এই মামলায় জানান, এই তদন্তের নিট ফল শূন্য। সংস্থা এবং সংস্থার সিইও অভিষেকের বিষয়ে ইডি বিশদে তথ্য দিতে পারেনি। অভিষেকের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সংস্থার (Leaps And Bounds) একজন ডিরেক্টর। তাই তাঁর সম্পত্তির খতিয়ানও চায় আদালত। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ফের এই মামলার শুনানি। সেদিনই ইডিকে এই সংক্রান্ত তথ্য আদালতে জমা দিতে হবে, নির্দেশ বিচারপতির। লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও (চিফ এগ্‌জিকিউটিভ অফিসার) এবং ডিরেক্টরদের সম্পত্তির বিবরণ ইডিকে জমা দিতে বলেছিল হাইকোর্ট। সেই মতো ইডি আদালতে তা জমা দেয়। ওই বিবরণ নিয়ে সোমবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি ইডির উদ্দেশে বলেন, ‘‘কচ্ছপের গতিতে এ ভাবে আর কত দিন তদন্ত চলবে। টানেলের শেষে কবে পৌঁছবে? সমস্ত নথি তথ্য প্রমাণ নষ্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।’’

    আরও পড়ুন: আর্থিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, আমেরিকা সফর বাতিল রাজ্যপালের! কী ভাবছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    ইডিকে নির্দেশ বিচারপতির

    লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস মামলার শুনানিতে বিচারপতি এদিন ইডির আইনজীবীদের একাধিক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন। তিনটি বিমা ছাড়া সাংসদের কিছু পাওয়া যায়নি। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Leaps And Bounds) কি নেই? তাও ইডির কাছে জানতে চান বিচারপতি। শুধু তাই নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেতন কোথায় পড়ে তাও জানতে চান বিচারপতি। লিপ‌্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার এক ডিরেক্টর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছয় ডিরেক্টরের মধ্যে বাকি পাঁচ জনের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সোমবার সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি সিনহা। তিনি বলেন, ‘‘এক ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করেছেন। অন্য ডিরেক্টরদের বিরুদ্ধে কী অনুসন্ধান করেছেন? তাঁরা অনুসন্ধান থেকে ছাড় পাচ্ছেন কেন?’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam Case: ইডির তালিকায় রয়েছেন, নেই পর্ষদের তথ্যে! দুই প্রাথমিক শিক্ষক কোথায়? অবাক আদালত

    Recruitment Scam Case: ইডির তালিকায় রয়েছেন, নেই পর্ষদের তথ্যে! দুই প্রাথমিক শিক্ষক কোথায়? অবাক আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। কিন্তু পর্ষদের খতিয়ানে তাঁরা উধাও। এমন ঘটনায় বিস্মিত বিচারপতিও। দুই প্রাথমিক শিক্ষক (Recruitment Scam Case) কোথায় গেলেন? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আসলে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি’কে দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষকদের তালিকা আদলতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো তালিকা জমা দিয়েছে ইডি। যেখানে দুই শিক্ষকের নাম রয়েছে, যাঁদের পদবী ‘রজক ও ‘শেখ’। এই দুই অভিযুক্ত শিক্ষক ২০২০ সালে বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছিলেন বলে দাবি ইডির। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দেওয়া হলফনামায় ওই দুই শিক্ষকের কোনও উল্লেখই নেই। 

    জেনে বুঝেই নামগুলি বাদ!

    অবৈধভাবে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করেছে ইডি এবং সিবিআই। যা পরে আদালতের নির্দেশে পর্ষদকে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তার ভিত্তিতেই আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছে পর্ষদ। এখন প্রশ্ন উঠছে, ইডির তালিকায় ‘রজক’ ও ‘শেখ’ পদবীধারী দুই শিক্ষককে ভুয়ো হিসেবে চিহ্নত করা হলেও, তা পর্ষদের হলফনামায় উল্লেখ নেই কেন? তাহলে কি জেনে বুঝেই নামগুলি বাদ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। 

    ইডির তালিকা নিয়ে পর্ষদের জবাব

    ইডির তালিকায় বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া প্রায় ২২০৭ জনের নাম রয়েছে। তার মধ্যে ২০১৬-১৭’তে নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন ১৮০৪ জন। আর ২৫০ জনের চাকরি হয়েছিল ২০২০ সালে। শুধু তাই নয়, আরও ৬৩ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে, যা ২০২৬-১৭ সালেই বিশেষ প্যানেল গঠন করে নেওয়া হয়েছিল। যা ইডির পক্ষ থেকে অবগত করা হয়েছিল পর্ষদকেও। তবে মজার ব্যাপার হল, পর্ষদ দাবি করছে ২০২০ সালে নিযুক্ত ২৫০জন শিক্ষকের মধ্যে দু’জন ছাড়া ২৪৮ জনের নিয়োগ বৈধ। এমনকী পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৮৯৪ ও ৬৩ জন টেট পাশ করেছিল। 

    সিবিআই-এর তালিকায় ধাক্কা

    সূত্রের খবর, ইডির তালিকা নিয়ে প্রত্যুত্তর দিলেও সিবিআইয়ের দেওয়া তালিকায় এসে কিছুটা হোঁচট খেয়েছে পর্ষদ। সিবিআই তাদের তালিকায় টেট পাশ না করা ৯৬ জন এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ (ডিইএলএড) ডিগ্রি না থাকা ৪৬ জনের নাম দিয়েছিল। ৯৬ জনের মধ্যে ৪ জন এমন আছেন যাঁরা সরাসরি টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পৃথক ভাবে ২৫ জনের নাম দেওয়া হয়েছে যাঁদের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল কিংবা কুন্তল ঘোষের দু’জন দালালের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। পর্ষদ জানিয়েছে, ওই ৯৬ জনকে তাঁদের নথি যাচাইয়ের জন্য তলব করা হয়েছে। অন্য ৪৬ জনকেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘কে একটা ভাইপো আছে তাঁর চারতলা বাড়ি’’! কোভিড মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

    এই হলফনামার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাকারী চাকরিপ্রার্থী সৌমেন নন্দীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, ‘‘নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে বার বার বলা হয়েছে। এত দিন পুরোপুরি অস্বীকার করলেও এ বার অন্তত নথি যাচাইয়ে ডাকতে বাধ্য হয়েছে পর্ষদ। পুরো তদন্ত হলে আরও অনেক কিছুই বেরোতে পারে।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET Scam: টেটে ফেল করেও চাকরি মেনে নিল পর্ষদ! ওএমআর রহস্যে একসঙ্গে কাজ করবে সিবিআই-ইডি নির্দেশ হাইকোর্টের

    TET Scam: টেটে ফেল করেও চাকরি মেনে নিল পর্ষদ! ওএমআর রহস্যে একসঙ্গে কাজ করবে সিবিআই-ইডি নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ডিজিটাইজড করার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছেন? কেন নিয়েছেন? কোন প্রক্রিয়ায় ডিজিটাইজড করা হয়েছে? উত্তর খুঁজতে এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়ে তদন্ত করবে সিবিআই ও ইডি। ওএমআর শিট মামলায় বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ে পর্ষদ। আগামী ১০ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    পর্ষদকে প্রশ্ন বিচারপতির

    এদিন শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে খতিয়ে দেখতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ডিজিটাইজড করার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছেন। তদন্তকারী সংস্থাকে সব রকম সাহায্য করতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেন তিনি। ২০২০ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পর ২০২১ সালে একটি মেধাতালিকা প্রকাশ করে পর্ষদ। কিন্তু মেধাতালিকা প্রকাশের কিছু সময় পরেই সেটি তুলে নেওয়া হয়। এর কারণ হিসাবে পর্ষদের তরফে বলা হয়, ওয়েবসাইটটি হ্যাক করা হয়েছিল। এই নিয়ে থানায় অভিযোগও জানানো হয় পর্ষদের তরফে। 

    আরও পড়ুন: বকেয়া নিয়ে উদাসীন রাজ্য! বর্ধিত বেতন ডিএ আন্দোলনকারীদের দেওয়ার ঘোষণা শুভেন্দুর

    সিবিআই-এর কথা মানল পর্ষদ

    টেট (TET) ফেল করেও চাকরি পেয়েছিল আরও ৯৬ জন! হাইকোর্টে পেশ করা সিবিআইয়ের রিপোর্ট এদিন কার্যত মেনে নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিন এই বিষযে পর্ষদের তরফে আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সিনহা। তিনি পর্ষদের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, “ওএমআর শিটের (recruitment case) আসল প্রতিলিপি কোথায়?” বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘কারা বেআইনি ভাবে নিয়োগ পেয়েছে, আপনারা জানলেন কী ভাবে? যাচাই করলেন কী করে? যেখানে আসল উত্তরপত্র নেই বলে জানিয়েছেন আপনারাই।’’ এদিন আদালতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “কে পাশ করেছে, কে কত নম্বর পেয়েছে, কীভাবে বিকৃত করা হয়েছে, পর্ষদের রিপোর্টে তো সেগুলো স্পষ্ট নয়।” এমনকী পর্ষদের তরফে জমা দেওয়া ডিজিটাইজড রিপোর্টও এডিট করা সম্ভব বলে এদিন মন্তব্য করেন বিচারপতি। আদালতে তিনি বলেন, “আসল ওএমআর শিট না থাকাতেই সমস্যার সূত্রপাত।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share