Tag: ED

ED

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপের

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। আদালতের নির্দেশের পরও নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে একে অপরের দিকে দায় ঠেলছে ইডি ও রাজ্য পুলিশ। এরই মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা নিয়ে কার্যত এক সুরে কথা বললেন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম দুই প্রধান মুখ শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “বিষয়টা অনেকদিন ধরেই চলছে। হয়ত আর একটাই জায়গায় যাওয়া বাকি আছে, সেটা হল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে যাওয়ার জন্যই হয়ত অপেক্ষা করছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তো ১৩ মার্চের আগে খুলবে না। এখন ছুটি চলছে। দিল্লি যেতেই হবে অনুব্রতকে।”

    ইডি-রাজ্য পুলিশ দ্বন্দ্ব

    অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা নিয়ে টানাপড়েন চলছে জেল কর্তৃপক্ষ, আসানসোল কমিশনারেটের পুলিশ ও কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ED-র মধ্যে। শনিবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নির্দেশ দেন, শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে, অনুব্রত মণ্ডলকে বিমানে দিল্লি নিয়ে যেতে হবে। কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কোনও হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ফিট সার্টিফিকেট দিলে, তারপরই তাঁকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া যাবে। কিন্তু আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কে অনুব্রতকে কলকাতায় নিয়ে আসবে ইডি না আসানসোল কমিশনারেট তাই নিয়েই জল্পনা চলে রবিবার সারাদিন।

    আরও পড়ুন: ইডি না আসানসোল পুলিশ! আজ আদালতই ঠিক করবে অনুব্রতকে কারা নিয়ে যাবে দিল্লি?

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, “সরকার ও শাসকদল ওঁকে ক্রমাগত আড়াল করে চলেছে। তদন্তে সব ধরনের অসহযোগিতা করছে। যাঁকে বীর, বাঘ বলা হচ্ছিল তাঁকে এখন একা ছেড়ে দিচ্ছে। কোনও সুরক্ষা দিচ্ছে না। এই চালাকি বেশিদিন চলবে না। তিহার জেলে অনুব্রত মণ্ডলকে যেতেই হবে।” অনুব্রতের (Anubrata Mondal) প্রসঙ্গে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও কটাক্ষ, ”রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে, তার ভাইপোকে, নেতা মন্ত্রীদের সুরক্ষা দিতে পারছে, বাড়ি বাড়ি পুলিশ দিতে পারছে। আর অনুব্রত যখন সিবিআই এর হাতে আছে তখন সুরক্ষা দিতে পারছে না। তাহলে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন। রাজ্যের আইন কানুনের যা অবস্থা তা পুলিশ আর সামাল দিতে পারছে না। শুধু অনুব্রত না গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Anubrata Mondal: ইডি না রাজ্য পুলিশ? অনুব্রতকে কে নিয়ে যাবে দিল্লি? ঠিক করবে আদালত!

    Anubrata Mondal: ইডি না রাজ্য পুলিশ? অনুব্রতকে কে নিয়ে যাবে দিল্লি? ঠিক করবে আদালত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে নিরাপত্তা দিয়ে কারা কলকাতায় পৌঁছে দেবে, সেই প্রশ্নে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে ইডির (ED) দড়ি টানাটানি অব্যাহত। প্রশাসনিক জটিলতার জেরে আপাতত থমকেই অনুব্রতের দিল্লি যাত্রা। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট রবিবার দুপুরেই জানিয়ে দেয় যে, তাদের পক্ষে অনুব্রতকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ইডি সূত্রে খবর, তারা জেলে এসে কেষ্টকে নিয়ে দিল্লি যাবে না। যেভাবে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেভাবেই অনুব্রতকে রাজধানীতে নিয়ে যাওয়া হোক চাইছে ইডি। আসানসোল জেল সূত্রে খবর, এই জটিলতা কাটাতে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে আজ, সোমবারই গোটা বিষয়টা আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে জানানো হবে। কোর্ট যা বলবে, তার ওপর নির্ভর করছে কেষ্টর ভাগ্য!

    অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি যাবে কারা? 

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, অনুব্রতের শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে, তাঁকে বিশেষ বিমানে দিল্লি নিয়ে যেতে হবে। কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কোনও হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ফিট সার্টিফিকেট দিলে, তারপরই তাঁকে ইডির ( ED ) হাতে তুলে দেওয়া হবে। এরপর জেল কর্তৃপক্ষ অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরাপত্তার ব্য়বস্থা করার বিষয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটকে জানায়। কেন্দ্রীয় সরকারের হাসপাতালে রাজ্য পুলিশ কী করে নিয়ে যাবে, এই যুক্তিতে বাহিনী পাঠানো যাবে না বলে জানায় কমিশনারেট। এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর ভাইপো, তৃণমূলের নেতাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে। অথচ অনুব্রতকে দিতে পারছে না? সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অনুব্রতকে তুলে নিয়ে যাওয়া উচিত। ‘

    আরও পড়ুুন: আরজেডি-র সঙ্গ ছেড়ে ফের বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন নীতীশ?

    আদালতের দ্বারস্থ আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    সূত্রের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি-যাত্রা নিয়ে ধোঁয়াশার আবহে, তাদের কী করণীয়, তা জানতে চেয়ে সোমবারই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হবে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাব ইন্সপেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর এবং ৫জন বন্দুকধারী পুলিশ কর্মীর ঘেরাটোপে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় সায়গলকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Anubrata Mondal: পুলিশ ইডি চাপান-উতোর, অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা কবে?

    Anubrata Mondal: পুলিশ ইডি চাপান-উতোর, অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ-ইডি (ED)-র ঠেলাঠেলি। তার জেরে তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) কবে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে উঠে গেল বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন। গরু পাচার কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত অনুব্রতকে পুলিশ না ইডি-কে দিল্লি নিয়ে যাবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপান-উতোর। পুলিশ আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, আসানসোল জেল থেকে নিরাপত্তা দিয়ে অনুব্রতকে তারা কলকাতায় নিয়ে যেতে পারবে না। পুলিশের পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও জানিয়ে দিল, নিরাপত্তা দিয়ে অনুব্রতকে তারাও দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। দিল্লিযাত্রা ঠেকাতে জোড়া মামলা দায়ের করেন অনুব্রত। একটি কলকাতা হাইকোর্টে, অন্যটি দিল্লি হাইকোর্টে। শনিবার কলকাতা হাইকোর্ট অনুব্রতর আর্জি খারিজ করে দেয়। বিচারপতি বিবেক চৌধুরী নির্দেশ দেন, প্রয়োজন মনে করলে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে ইডি। তবে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আগে কলকাতার কেন্দ্রীয় কোনও হাসপাতাল থেকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরেই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। ওই দিনই আসানসোল জেলে চিঠি পাঠায় ইডি।

    আরও পড়ুুন: আরজেডি-র সঙ্গ ছেড়ে ফের বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন নীতীশ?

    জানতে চাওয়া হয়, কখন জেল কর্তৃপক্ষ অনুব্রতকে রওনা করাবেন? সূত্রের খবর, আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ ইডিকে সাফ জানিয়ে দেয় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না পুলিশ। ইডি যেন নিজেই দায়িত্ব নেয়। রবিবার ইডিও হাত তুলে নেয়। তারা জানিয়ে দেয়, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তাদের নয়। পরে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, যেভাবে সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেভাবেই অনুব্রতকেও নিয়ে যেতে হবে। জটিল এই সমস্যার সমাধানে আইজি কারাকে চিঠি দিয়েছেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার এ ব্যাপারে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে ইডি।

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯ ডিসেম্বর জারি হয় প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট। তার পরেও তা কেন কার্যকর করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে দিল্লি আদালত। হলফনামা দিয়ে পুরো বিষয়টি আদালতে জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় ইডির আইনজীবীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • PM Modi: ‘ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহার করা হচ্ছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের

    PM Modi: ‘ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহার করা হচ্ছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (AAP) নেতা মনীশ সিসোদিয়া। সেই সিসোদিয়ার হয়ে সওয়াল করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠি লিখলেন দেশের ৮টি রাজনৈতিক দলের ৯ জন নেতা। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইডি (ED)-সিবিআইয়ের (CBI) মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। তবে যে ৮টি রাজনৈতিক দল প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে, তাতে আশ্চর্যজনকভাবে নেই কংগ্রেস। যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন।

    নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)…

    নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) লেখা ওই চিঠিতে সই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও রয়েছেন ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের তালিকায়। এঁরা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন, তাঁরা হলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শারদ পাওয়ার, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।

    স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে কংগ্রেস নেই। যদিও কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে জেরা করেছে ইডি। মা ও ছেলেকে গত বছরই জেরা করেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চিঠিতে (PM Modi) বলা হয়েছে, আমরা আশা করি, আপনি আমাদের সঙ্গে একমত হবেন যে ভারত এখনও গণতান্ত্রিক দেশ। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে আদতে সেগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে। যা থেকে মনে হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র নেই, রয়েছে স্বৈরতন্ত্র। চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই সিবিআই গ্রেফতার করেছে মনীশ সিসোদিয়াকে। তার আগে তাঁর বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়। বিরোধী দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির নির্লজ্জ আচরণ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, আমরা গণতন্ত্র থেকে স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছি।

    আরও পড়ুুন: মাত্র ৫ আসনে জয়, নাগাল্যান্ডে টাকা উড়িয়ে জয়োৎসব এনপিপি-র

    চিঠিতে (PM Modi) আরও লেখা হয়েছে, প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে, বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে এটা হয়ে আসছে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তাঁদের সিংহভাগই বিরোধী দলের নেতা। তবে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে ধীর গতিতে। উদাহরণ হিসেবে তাঁরা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নামোল্লেখ করেছেন। বছর কয়েক আগে কংগ্রেসে ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে যোগ দিয়েছেন হিমন্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • SSC Scam: তৃণমূল নেতা কুন্তলকে ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা!

    SSC Scam: তৃণমূল নেতা কুন্তলকে ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় কেউটে বের করল ইডি (ED)! কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে কুন্তলকে এদিন ফের তোলা হয় আদালতে। ইডি জানায়, ১০ জন এজেন্টের বয়ান নেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে ২০০ প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল কুন্তলকে। মোট ১৬ কোটি টাকা দেওয়া হয় কুন্তলকে। ইডির দাবি, প্রাথমিক থেকে নবম দশম শ্রেণির ওই চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে নিজের এজেন্ট মারফত টাকা নিয়েছিলেন হুগলির ওই যুব তৃণমূল নেতা। কুন্তলের ব্যাঙ্কের নথিপত্র যাচাই করে আরও এক নারীর সঙ্গে বিপুল অর্থ লেনদেনের হদিশও পেয়েছে ইডি।

    নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam)…

    ইডির আইনজীবীর দাবি, এজেন্টদের মাধ্যমে কুন্তল প্রার্থী পিছু ৮ লক্ষ টাকা (SSC Scam) করে নিয়েছিলেন। কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি যাচাই করার পর এক মহিলাকেও তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির এক সূত্রের দাবি, ২০২০ সাল থেকে এই মহিলার সঙ্গে কুন্তলের ৫০ লক্ষ টাকা লেনদেনের হদিশ মিলেছে। ইডির আইনজীবীর আরও দাবি, শুধু প্রাইমারি নয়, আপার প্রাইমারি এবং নবম দশম শ্রেণির চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকেও টাকা তুলেছেন কুন্তল। চাকরি প্রার্থীদের থেকে সংগৃহীত ১৬ কোটির থেকে কিছু টাকা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যেতে পারে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। ওই টাকার পুরোটাই নগদে লেনদেন হয়েছে বলেও দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

    ফের জেল হেফাজত…

    ইডি সূত্রে দাবি, কেবল চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকেই নয়, বিএড কলেজের অনুমোদনের জন্যও টাকা নেওয়া হয়েছে। তা করতে গিয়ে পার্থর পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও এক ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের প্রভাব প্রতিপত্তিকেও কাজে লাগানো হয়েছে। এদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকায় অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের এক যুব নেত্রীকে কুন্তল ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন বলেও সূত্রের খবর। তিনটি লাগোয়া ফ্ল্যাট ভেঙে একটি বানানো হয়েছিল। ওই অভিনেত্রীকে একটি গাড়িও কিনে দিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই রাজ্য যুব সম্পাদকের পদের শিকে ছেঁড়ে কুন্তলের ভাগ্যে। এদিন কুন্তলকে তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। বিচারক তাঁকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুুন: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি? 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Anubrata Mondal: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি?

    Anubrata Mondal: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিহাড় জেলের ভাত খেতে চান না তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)! দিল্লির (Delhi) জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা দায়ের করলেন দুই হাইকোর্টে। দিল্লি হাইকোর্টের পাশাপাশি অনুব্রত দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অনুব্রতর আইনজীবী। মামলাটি গৃহীতও হয়েছে। এদিনই বিকেল তিনটে নাগাদ শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডিকে সবুজ সংকেত দেয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। সেই মতো প্রস্তুতি নিতে শুরু করে ইডি। তার মধ্যেই অনুব্রতর তরফে দায়ের হল জোড়া মামলা। এদিন দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিব্বল। মামলা দায়ের হয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। জরুরি ভিত্তিতে এদিনই শুনানির আবেদন করেন সিব্বল।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    মঙ্গলবার দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ে ইডি (ED)। অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লিতে হাজির করানোর পরোয়ানা কেন কার্যকর করা হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলে আদালত। তার পরেই গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে আসানসোল জেল থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তৎপরতা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয় জেল কর্তৃপক্ষকে।

    গত বছরের অগাস্টের ২২ তারিখে সিবিআই গ্রেফতার করে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। বর্তমানে তিনি রয়েছেন আসানসোল জেলে। বীরভূমের এই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির পর উঠে এসেছিল একাধিক তথ্য। গরু পাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হত কিনা, তা জানতেও তদন্ত করে সিবিআই। এদিকে, গ্রেফতার করার পর অনুব্রতর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগও ওঠে। অভিযোগ করেছিলেন জনৈক শিব ঠাকুর মণ্ডল। শিব ঠাকুরের দাবি, এত দিন ভয়ে এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি তিনি। অনুব্রত জেলবন্দি হওয়ার পরেই সাহস সঞ্চয় করেন তিনি। পরে দায়ের করেন অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’, মমতার অস্ত্রেই তৃণমূল বধ সুকান্তর!

    প্রসঙ্গত, অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে কি না, তা নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। ৯ ডিসেম্বর রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট অনুমতি দিয়েছিল দিল্লি নিয়ে যাওয়ার। তার পরেই দেখা গেল, একটি পুরনো মামলায় আসানসোল জেল থেকেই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।

    ফের জেল হেফাজত…

    এদিকে, অনুব্রতর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। শুক্রবার বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এই নির্দেশ দেন। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৭ মার্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • Primary TET: প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই-ইডি যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Primary TET: প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই-ইডি যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক (Primary TET) নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই (CBI)-ইডি (ED) যৌথ তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেন তিনি। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে হওয়া ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত করবে ইডি-সিবিআই। পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব কীভাবে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে দেওয়া হল, তাও খতিয়ে দেখবে এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। ২০১৪ সালের টেটের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করার বরাত পায় এই কোম্পানি। এই কোম্পানিকে কনফিডেনশিয়াল সেকশন বলে অভিহিত করে কমিশন।

    প্রাথমিক (Primary TET) নিয়োগ কেলেঙ্কারি…

    মানিক ভট্টাচার্য সহ পর্ষদের তৎকালীন অ্যাডহক কমিটির সদস্যদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। আদালত জানিয়েছে, প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি-সিবিআই। ওই অ্যাডহক কমিটিতে ৮০ বছর বয়সী এক মহিলা রয়েছেন। তাঁকে অবশ্য হেফাজতে নিতে পারবে না এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। আদালতের আরও নির্দেশ, নতুন করে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে হবে। ২০ এপ্রিলের মধ্যে ইডি এবং সিবিআই পৃথকভাবে হাইকোর্টে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করবে। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, বোমা বাঁধতে পারলে কি বাড়তি নম্বর পাওয়া যায়? বীরভূমে পেটো বাঁধলে কত নম্বর পাওয়া যায়?

    আরও পড়ুুন: ত্রিপুরা জয়ের খোয়াব ভেঙে খান খান, অতঃ কিম? ভাবছে তৃণমূল

    প্রসঙ্গত, প্রাথমিক (Primary TET) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মামলাকারীরা অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে বিভিন্ন বিভাগে বরাদ্দ নম্বরের থেকে বেশি নম্বর দিয়েছে পর্ষদ। অযোগ্য প্রার্থীদের বহু জায়গায় বরাদ্দ নম্বরের থেকেও বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপের জন্য কোনও নম্বর পাননি কেউ। তখনই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, অন্য ক্ষেত্রে তো বরাদ্দের থেকে বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে, এখানে নম্বর দেওয়া হয়নি কেন? বোমা বাঁধতে পারলে কি বাড়তি নম্বর পাওয়া যেত? বীরভূমে পেটো বাঁধলে কত নম্বর পাওয়া যেত?

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নেমে একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে রয়েছেন বাগদার চন্দন মণ্ডল ওরফে সৎ রঞ্জন। গ্রেফতার করা হয়েছে হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে। তিনি আবার নাম নেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। এই হৈমন্তী গোপাল দলপতির দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। তাঁর নাম প্রকাশ্যে আসার পর অবশ্য খোঁজ মেলেনি হৈমন্তীর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • ED Raid: আইনজীবী সঞ্জয় বসুর ফ্ল্যাটে আজও ইডির তল্লাশি! ‘‘সরকার ফেঁসে গিয়েছে’’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    ED Raid: আইনজীবী সঞ্জয় বসুর ফ্ল্যাটে আজও ইডির তল্লাশি! ‘‘সরকার ফেঁসে গিয়েছে’’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিটফান্ড দুর্নীতিতে আইনজীবী সঞ্জয় বসুর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে তল্লাশি। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও আইনজীবীর ফ্ল্যাট থেকে বেরতে দেখা যায়নি ইডি (ED Raid) অফিসারদের। বৃহস্পতিবারও তল্লাশি জারি রয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, রাতভর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আইনজীবীকে। দুর্নীতির সঙ্গী আইনজীবী সঞ্জয় বসু, এমন দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ইডির তল্লাশি প্রসঙ্গে শুভেন্দু যা বললেন

    আলিপুরের বর্ধমান রোডে আইনজীবী সঞ্জয় বসুর ফ্ল্যাটে ইডির তল্লাশি (ED Raid) চলাকালীন বুধবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, আদালতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাবতীয় কুকর্মের সাথী এই সঞ্জয় বসু। শুভেন্দু বলেন, ‘সঞ্জয় বসু শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী নন, তিনি সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্থায়ী আইনজীবী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে যত অপকর্ম করেছেন তার মূল সাগরেদ হচ্ছে সঞ্জয় বসু। শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গ থেকে আসানসোল, পুলিশকে সংগঠিত করে টাকা তুলছে এই সঞ্জয় বসু। গোটা রাজ্যে তৃণমূলের যত টাকা সংগ্রহ হচ্ছে তার দায়িত্ব রয়েছে সঞ্জয় বসুর ঘাড়ে। গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরায় যে টাকা খরচ হয়েছে সেই টাকা তোলার দায়িত্ব আগে বিনয় মিশ্রর ছিল, এখন সঞ্জয় বসুর’।

    ইডি সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় সংস্থার এক আধিকারিক এসেছেন, যাঁর তত্ত্বাবধানে এই তল্লাশি (ED Raid) চলছে। একটি চিটফান্ড সংস্থার সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সঞ্জয় বসুর বিলাসবহুল আবাসনের ভিতরে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আবাসনের বাইরে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। আলিপুর থানার ওসি এবং একজন এসি পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে বিশেষ বাহিনী মোতায়ন হয়েছে। ওই আবাসন থেকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: শান্তিপ্রসাদের ‘ডেরা’য় মিলল দেড় কেজি সোনা, নগদ ৫০ লক্ষ, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা

    এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘এই অভিযান (ED Raid) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিচলিত। ডিজিপি অনেককে অনেক নির্দেশ দিয়েছেন তার তথ্যপ্রমাণ আমরা পাচ্ছি। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেলকে ফোন করে বলেছেন, আপনারা এটা নিয়ে বেশি প্রচার করবেন না। আমার অনুরোধ থাকল। টিভি চ্যানেলের মাথাদের কাছে ১২টা থেকে ৩টের মধ্যে ফেসটাইমে এই কল গিয়েছে। অর্থাৎ সরকার ফেঁসে গেছে। কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, জিট্টা, তার পর কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, আর আজকে সঞ্জয় বসু, আর চৌকাঠ পেরনোর জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Partha Chatterjee: রাজার হালে ইতি, এখন থেকে জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাবেন পার্থ!

    Partha Chatterjee: রাজার হালে ইতি, এখন থেকে জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাবেন পার্থ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে থেকেও কার্যত জামাই আদর পাচ্ছিলেন শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এক সময় তিনি ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। ছিলেন তৃণমূলের (TMC) মহাসচিবও। তাই তাঁকে খাতির করা হচ্ছিল জেলেও। গারদে যেখানে অন্য বন্দিরা মেঝেয় ঘুমোন, সেখানে পার্থর জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল বিছানার। তার ওপর পাতা হয়েছিল নরম গদি। সেলের ভিতরে গা এলিয়ে বসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল ইজি চেয়ারেরও। সেলে থেকে মোবাইল ফোনের সুবিধাও ভোগ করেছেন এই ‘হেভিওয়েট’ বন্দি। সে খবর কানে যায় ইডির কর্তাদের।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)…

    চক্ষু-কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করতে আচমকাই প্রেসিডেন্সি জেলে ঢুঁ মারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দল। তখনই দেখেন, জেলের সেলে পার্থ রয়েছেন রাজার হালে। সেলের মধ্যেই পাচ্ছেন ভিভিআইপির মর্যাদা। এর পরেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দল পার্থর সেল থেকে খাট-বিছানা, ইজি চেয়ার সরিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ দেন জেল কর্তৃপক্ষকে। পার্থ যাতে মোবাইল ফোনের সুবিধা ভোগ করতে না পারেন, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দলের নির্দেশ পেয়ে তড়িঘড়ি পার্থর সেল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় বিলাস-ব্যসনের যাবতীয় উপকরণ। যার জেরে আর পাঁচটা সাধারণ বন্দির মতোই পার্থকে রাত কাটাতে হবে সেলের মেঝেতেই।

    আরও পড়ুুন: পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত? রাজ্যের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গত বছর জুলাই মাসে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বার কয়েক সিবিআই-ইডি হেফাজত ঘুরে বর্তমানে পার্থ রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। এই জেলে আসার পর থেকে আদৌ ভাল নেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কখনও তিনি শিকার হচ্ছেন সহবন্দিদের কটূক্তির, কখনওবা হচ্ছেন নিগৃহীত। গত সপ্তাহেই পার্থর পাশের সেলে থাকা দুই ছিঁচকে চোর তাঁকে টিটকিরি দিয়ে মোটা টুকি বলেছিল। জঙ্গি মুশা পার্থকে নিশানা করে মল ভর্তি মগ ছুড়ে মেরেছিল। যা এড়াতে গিয়ে পড়ে গিয়ে চোটও পেয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব।

    এদিকে, শরীর ঠিক রাখতে ব্যায়াম করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন পার্থ (Partha Chatterjee)। শারীরিক সুস্থতার জন্য চিকিৎসকরা তাঁর ইচ্ছায় সম্মতিও জানিয়েছেন বলে কারা দফতর সূত্রে খবর। এক সময় ব্যায়াম বিশারদ তুষার শীলের তত্ত্বাবধানে ব্যায়াম করতেন পার্থ। জেলেও সেই সুযোগ তিনি পেতে পারেন। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই জেল কর্তৃপক্ষের কাছে যোগ ব্যায়াম করতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন পার্থ। মঞ্জুর হয়েছে তাঁর সেই আবেদনই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ভুয়ো কলেজ, জাল ডিগ্রি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তাজ্জব ইডি

    ED: ভুয়ো কলেজ, জাল ডিগ্রি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তাজ্জব ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজের (College) অস্তিত্ব শুধু খাতায়-কলমে। নেই কোনও ভবন, নেই কোনও অফিস, নেই ক্লাসরুমও। কার্যত বাস্তবে তার কোনও অস্তিত্বই নেই! অথচ, ওই কলেজ থেকেই ফি বছর ছাত্রছাত্রীরা ডিগ্রি (Degree) পেয়েছেন। সেই সব ডিগ্রি দেখিয়ে তাঁরা স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকাও হয়ে গিয়েছেন। এই রকম এক আধটা কলেজ নয়, ইডি-র (ED) আধিকারিকরা প্রায় ২ হাজার ডিএলএড (D L ED) এবং বিএড (B ED) কলেজের সন্ধান পেয়েছেন।

    ডিগ্রির কারবার…

    তদন্তকারীদের দাবি, ওই সব প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি দেওয়ার প্রামাণ্য নথি তাঁদের হাতে রয়েছে। ভুয়ো কলেজ থেকে প্রাপ্ত ভুয়ো ডিগ্রি দেখিয়েই বহু অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী শিক্ষক-শিক্ষিকা হয়েছেন। ওই কলেজগুলিতে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই কলেজ চালু করতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং কোনও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। তাই এই কলেজগুলির এনওসি পাওয়ার সময় যাঁরা পর্ষদ আধিকারিক বা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন, তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইডি-র (ED) আধিকারিকরা তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তখন রাজ্যে বেসরকারি ডিএলএড এবং বিএড কলেজের সংখ্যা রাতারাতি তিন-চারগুণ বেড়ে গিয়েছিল। ধৃত ছাত্রনেতা কুন্তল ঘোষ নিজে যেমন এই কারবার শুরু করেছিলেন, তেমনই এই পথে কোটি কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অনেককে।

    আরও পড়ুুন: আর্থিক সংকটে থাকা পাকিস্তানকে উদ্ধারে নামতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দাবি প্রাক্তন র প্রধানের

    এই কলেজগুলি দুর্নীতির অন্যতম আখড়াও হয়ে উঠেছিল। টাকার বিনিময়ে ডিগ্রি বিক্রি করেছে তারা। এনিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় তদন্তকারীদের। তাঁরা দেখেন, নথিতে উল্লিখিত ঠিকানায় কলেজ তো দূরের কথা, কোনও বিল্ডিংই নেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে অন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশে সেখানে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পঠনপাঠনের বালাই ছিল না। তদন্তকারীদের দাবি, এই ভুয়ো কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য প্রার্থী পিছু ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হত। তাঁদের বলে দেওয়া হত, ক্লাস করতে হবে না। ছ’ মাস অন্তর ডেকে হাজিরা খাতায় সই করিয়ে নেওয়া হত। পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থাও ছিল না। ছাত্রছাত্রীদের নামে ভুয়ো উত্তরপত্র জমা পড়ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে।

    কোর্সের সময়সীমা শেষ হলে পড়ুয়াদের এসএমএস পাঠিয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় হাজির হতে বলা হত। সেখান থেকে হাতে হাতে সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হত। কিছু কিছু কলেজ আবার কোনও একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেটিকে ‘পরীক্ষার হল’ বলে দেখাত। তারপর আগে থেকে লিখে রাখা উত্তরপত্র পর্ষদ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিত। এই বিএড কলেজগুলি মূলত দক্ষিণবঙ্গের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ডিএলএড কলেজগুলি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আওতাধীন। এখানেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে পর্ষদ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ভূমিকা। নিয়ম অনুযায়ী, এরকম কোনও কলেজ অনুমোদনের জন্য আবেদন করলে সরেজমিনে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি বিচার করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় বা পর্ষদের কর্তাদের। তাদের প্রতিনিধি দল পরিকাঠামো সহ নানা বিষয়ে সন্তুষ্ট হলে তবেই এনওসি মেলে। এক্ষেত্রে কোনওটাই হয়নি।

    ইডি-র (ED) আধিকারিকরা আরও জেনেছেন যে, নতুন কলেজের অনুমোদনের জন্য আবেদনের কপি তত্‍কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জমা পড়ত। তাঁর নির্দেশেই বিশ্ববিদ্যালয় বা পর্ষদের কর্তারা সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে এনওসি দিয়ে দিতেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

LinkedIn
Share