Tag: ED

ED

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির বাজার মূল্য ১১১ কোটি! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির বাজার মূল্য ১১১ কোটি! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির বাজার মূল্য ১১১ কোটি টাকা। সম্প্রতি এমনই তথ্য ইডির হাতে এসেছে। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্তে নেমে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) দু’টি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ এবং আরও বেশ ক’কোটি টাকার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি (ED)। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতাকে গ্রেফতারও করা হয়। তারপর ধাপে ধাপে ইডি ও সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। ধরা পড়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, এসএসসি-র বেশ ক’জন কর্তা। মিলেছে অগাধ সম্পত্তির হদিশ। স্কুলে নিয়োগের দুর্নীতির অঙ্ক ছাড়িয়ে যেতে পারে ১৫০ কোটির ঘর! গত সেপ্টেম্বরেই আদালতে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল ইডি। 

    বিপুল সম্পত্তির হদিশ

    সম্প্রতি হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরে, আদালতে বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রিমান্ড লেটারে তাদের দাবি,  পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া ৫ জনের কাছ থেকে টাকা ও অলঙ্কার বাবদ বাজেয়াপ্ত সম্পদ এবং যে সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তার মূল্য ১১১ কোটি টাকা। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এক যোগে তদন্ত করছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই। তার মধ্যে শুধুমাত্র ইডির তদন্তেই ধৃতদের কাছ থেকে ১০০ কোটির বেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।  ইডির অন্যতম আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র আদালতে জানান, এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে ১১১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সমলিঙ্গে বিবাহ প্রচলিত পরিবারের ধারণার পরিপন্থী, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    এখন ইডির নজরে রয়েছেন রাজ্য যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি, হুগলির বলাগড়ের বাসিন্দা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অগাধ সম্পত্তি। তদন্তকারীদের দাবি, শান্তনু নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত। দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা সম্পত্তিতে এবং স্ত্রী-সহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌথ মালিকানাধীন ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে। এখন শান্তনুর পিছনে কে বা কারা ছিলেন, দুর্নীতির টাকা শান্তনু কোন ‘প্রভাবশালী’দের দিতেন, তদন্তে তা জানার চেষ্টা করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারিতে যাদবদের দুর্নীতির পরিমাণ ৬০০ কোটি, দাবি ইডি-র

    ED: জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারিতে যাদবদের দুর্নীতির পরিমাণ ৬০০ কোটি, দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় ইতিমধ্যেই তেজস্বী যাদবের দিল্লির (Delhi) বাড়ি সহ ২৪টি ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Yadavs) যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন চাকরির বিনিময়ে যে জমি নেওয়া হয়েছিল, তার মূল্য ২০০ কোটি টাকারও বেশি। যদিও দুর্নীতি ধরা পড়েছে ৬০০ কোটি টাকার। লালু প্রসাদের পরিবারের যে সম্পত্তির হদিশ ইডি পেয়েছে, তারও দীর্ঘ একটি তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিবৃতি জারি করে ইডি জানিয়েছে, আর্থিক তছরুপের অভিযোগে যে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে, তা থেকে জানা গিয়েছে, লালু প্রসাদের পরিবারের নামে পাটনার প্রমিনেন্ট লোকেশনে বিভিন্ন জমির খোঁজ মিলেছে।

    ইডি (ED) জানিয়েছে…

    লালু প্রসাদ যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন জমির বিনিময়ে চাকরি দিয়ে এই জমি অবৈধভাবে দখল করা হয়েছিল। ইডি (ED) আরও জানিয়েছে, বর্তমানে এই জমির বাজার দর ২০০ কোটি টাকারও বেশি। এই জমিগুলির প্রকৃত মালিক কে, তাঁদেরও চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। এদিকে, জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় সিবিআই-ও তলব করেছে লালু প্রসাদের পুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্ব যাদবকে।

    প্রসঙ্গত, জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় চলতি সপ্তাহেই আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং কন্যা মিসা ভারতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তার আগে লালু ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশিও চালানো হয়েছিল। ওই মামলায় লালু প্রসাদ, রাবড়ি দেবী সহ মোট ১৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ২৭ ফেব্রুয়ারি সমন জারি করেছিল দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালত।

    ইডির (ED) দফতর থেকে ছাড়া পেয়ে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী নিশানা করেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। গুজব ছড়ানো এবং তৈরি করা খবর ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সিজার লিস্ট যাতে সকলের নাম রয়েছে, সেই তালিকাও প্রকাশ করার দাবি জানান তেজস্বী।

    আরও পড়ুুন: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    ইডির দাবি, দিল্লি, পাটনা, রাঁচি এবং মুম্বই সহ ২৪টি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১ কোটি টাকা, ১৯০০ মার্কিন ডলার বিদেশি মুদ্রা, ৫৪০ গ্রাম সোনা, দেড় কেজির বেশি সোনার গয়না যার বাজার মূল্য ১.২৫ কোটি টাকা এবং যাদবদের পরিবারের বিভিন্ন নামে জমির হদিশ মিলেছে। ইডির অভিযোগ, যাদবদের পরিবার ৭.৪ লক্ষ টাকার জমি গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন। পরে সেই জমি বিক্রি করা হয় আরজেডির প্রাক্তন বিধায়ক সইদ আবু দোজানাকে। মূল্য নির্ধারিত হয়েছিল সাড়ে ৩ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Santanu Banerjee: সিমকার্ড বেচে দিন কাটত শান্তনুর! সেখান থেকে বাগানবাড়ি, রেস্তোরাঁ, ধাবা কীভাবে?

    Santanu Banerjee: সিমকার্ড বেচে দিন কাটত শান্তনুর! সেখান থেকে বাগানবাড়ি, রেস্তোরাঁ, ধাবা কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় মোবাইল ফোনের সিমকার্ড এবং প্রসাধনী সামগ্রী বেচেই দিন গুজরান হত হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল (TMC) নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Santanu Banerjee)। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই যুবকের আঙুল ফুলে কলাগাছ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শান্তনু। তার পরেই খোঁজ মিলেছে তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। বলাগড়ের চাদরা বটতলা এলাকায় গঙ্গার ধার ঘেঁষে মনোরম বাগানবাড়ি। স্থানীয়দের দাবি, অনেক রাত পর্যন্ত এই বাগানবাড়িতে গানবাজনা হত। বহু পুরুষ, মহিলা আসতেন। নীলবাতি লাগানো গাড়িও এসেছে। এখানে আসতেন কুন্তলও। এই বাগানবাড়ির পাশাপাশি

    শান্তনুর (Santanu Banerjee) সম্পত্তি…

    বলাগড়ে রয়েছে ফার্ম হাউসও। এসবের পাশাপাশি বেনামেও বেশ কিছু জমি তিনি কিনেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বাবার অকাল প্রয়াণের পর বিদ্যুৎ দফতরে চাকরি পান শান্তনু। বলাগড়ের বারুইপাড়ায় বাড়ির কাছে রয়েছে অত্যাধুনিক রেস্তোরাঁ, ধাবা। স্থানীয়দের অভিযোগ, চারটি পরিবারকে উৎখাত করে তৈরি হয় ধাবা। বানিয়েছেন হোম-স্টেও। শান্তনুর একাধিক ফ্ল্যাটও রয়েছে বলে দাবি বিজেপির স্থানীয় এক নেতার।

    অতি সাধারণ একটা চাকরি করে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন তৃণমূল নেতা শান্তনু (Santanu Banerjee)? এর উত্তর পেতে হলে ভরসা করতে হবে ইডি-র কথায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, চাকরি প্রার্থীদের কাছে মাথাপিছু ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিতেন শান্তনু। চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি করে দিতে সরাসরি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে সুপারিশ করতেন তিনি। যে ৩১২ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা শান্তনুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে ২০ জনের চাকরি তিনি করে দিয়েছিলেন। ইডির দাবি, শান্তনুর বাড়িতে চাকরিপ্রার্থীর তালিকার পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছিল তাঁদের সুপারিশপত্র ও অ্যাডমিট কার্ড। শান্তনুর বাড়িতে যে ৩১২ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা মিলেছিল, তার একটি প্রতিলিপি উদ্ধার হয়েছে মানিকের বাড়ি থেকেও।

    আরও পড়ুুন: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    শান্তনুর পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি ইডির। চাকরিপ্রার্থীদের টাকার কিছুটা নগদে কিছুটা পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শান্তনু (Santanu Banerjee) নিয়েছিলেন বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। যে ২০ জনকে শান্তনু চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন, আগামী সপ্তাহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁদের। এর পাশাপাশি কুন্তল ঘোষও শান্তনুকে কয়েক কিস্তিতে ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলেও দাবি ইডি সূত্রের। এই যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তার উৎস কী সে প্রশ্নের কোনও সদুত্তর ইডিকে দিতে পারেননি শান্তনু। তদন্তকারীদের অনুমান, কুন্তলের দেওয়া টাকায়ই কেনা হয় সম্পত্তি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির কাছে শান্তনু একজন মিডলম্যান। তাঁর এত সম্পত্তির বহর কীভাবে, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদেরও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • ED: লালুর ছেলে-মেয়ের বাড়িতে ইডি হানায় উদ্ধার ১.৫ কেজি সোনা! আর কী কী মিলল?

    ED: লালুর ছেলে-মেয়ের বাড়িতে ইডি হানায় উদ্ধার ১.৫ কেজি সোনা! আর কী কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ইডির নজরে লালু প্রসাদ যাদবের মেয়ে এবং ছেলে। তাঁদের একাধিক বাড়ি ও সম্পত্তিতে হানা দিল ইডি (ED)। একাধিক জায়গায় একসঙ্গে চলা এই অভিযানে উদ্ধার হয়েছে লাখ লাখ নগদ টাকা এবং কেজি কেজি সোনা। জানা গিয়েছে, লালুর তিন মেয়ে রাগিনি, চন্দা এবং হেমার বাড়িতে গতকাল হঠাৎই হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের কর্তারা। পাশাপাশি বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বাড়িতেও হানা দেন ইডির (ED) তদন্তকারীরা। তাছাড়া লালু ঘনিষ্ঠ আরজেডির প্রাক্তন আবু দোজানার বাড়িতেও হানা দেয় ইডি (ED)।

    কী বলল ইডি (ED) 

    ইডির তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লি, রাঁচি, মুম্বই, পটনা সহ মোট ২৪টি স্থানে এই অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে মোট ৭০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। তাছাড়া ৯০০ মার্কিন ডলারও উদ্ধার হয়েছে। তাছাড়া দেড় কেজি সোনার গয়না এবং ৫৪০ গ্রাম সোনার কয়েন উদ্ধার হয়েছে। জমির বদলে রেলের চাকরি কেলেঙ্কারির যোগেই এই অভিযান চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে সমাজবাদী পার্টির নেতা জিতেন্দ্র যাদবের বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। উল্লেখ্য, জিতেন্দ্র লালু কন্যা রাগিনির স্বামী।

    জমির বদলে রেলের চাকরি দুর্নীতি ইস্যুতে রাবড়ি দেবীকেও জেরা করা হয়

    এদিকে জমির বদলে রেলের চাকরি মামলায় হোলির আগে পরপর দু’দিন আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ এবং তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীকে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে জেরা করেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, লালু প্রসাদ যাদব যখন ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন জমির বিনিময়ে গ্রুপ-ডি পদের ‘সাবস্টিটিউট’ হিসাবে বেশ কয়েকজনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরে তাঁদের চাকরি স্থায়ী করা হয়। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সিবিআই-এর তরফে নয়া মামলা করা হয়েছে লালু, রাবড়ি দেবী, লালুর দুই কন্যা এবং আরও ১২ জনের নামে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: মডেলদের নিয়ে রাতভর হুল্লোড়, নিষিদ্ধ মাদক সেবন! জলের মতো টাকা ওড়াতেন কুন্তল?

    SSC Scam: মডেলদের নিয়ে রাতভর হুল্লোড়, নিষিদ্ধ মাদক সেবন! জলের মতো টাকা ওড়াতেন কুন্তল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের রঙিন জীবনযাপন করতেন। টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে ছিল তাঁর ওঠা-বসা। ইডি সূত্রে খবর, টলিউডের একাধিক উঠতি অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব ছিল। ই এম বাইপাসের ধারে একটি অভিজাত ফ্ল্যাটেই এই উঠতি মডেলদের নিয়ে রীতিমতো জমাটি পার্টির আয়োজন করতেন কুন্তল। চলত হুল্লোড়, মদ্যপান থেকে নিষিদ্ধ মাদক সেবনও, দাবি ইডির।

    মাদক কারবারিদের সঙ্গেও পরিচয়

    ইডি সূত্রে খবর, ইএম বাইপাস সংলগ্ন এক অভিজাত আবাসনে তাঁর বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে মাঝেমধ্যেই বসত ‘রেভ পার্টি’র আসর। নায়ক–নায়িকা থেকে উঠতি মডেল ওখানে আসতেন। রাতভর চলত হুল্লোড় থেকে নিষিদ্ধ মাদক সেবন। এমনকী ওই পার্টিতে নিয়মিত দেখা যেত দুই ড্রাগ কারবারিকে। তারা সেখানে নিষিদ্ধ মাদক সরবরাহ করত বলে তথ্য পেয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আধিকারিকরা। টলিউডের আরও ৬ জন অভিনেতা–অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল কুন্তলের। হয়েছে আর্থিক লেনদেনও, (SSC Scam) এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। যুবনেতার বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সন্তানদের জন্মদিনের পার্টিতে হাজির থেকেছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।

    গ্ল্যামার গার্লদের সঙ্গে টাকার লেনদেন

    কুন্তলের ব্যাঙ্কের নথিতে অভিনয় জগতের গ্ল্যামার গার্লদের সঙ্গে টাকা লেনদেনের হদিশ পেয়েছেন ইডি অফিসাররা। আবার সোমার পার্লারের উদ্বোধনের জন‌্য বনি সেনগুপ্তর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী কৌশানী মুখোপাধ‌্যায়কে বলা হয়েছিল। ‘পারিশ্রমিক’ নিয়েই কুন্তলের কথায় কৌশানী নিউটাউনে গিয়ে ওই পার্লার উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য, কুন্তল প্রসঙ্গে সোমা চক্রবর্তী দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে কুন্তলের ২০১৮ সালের পর থেকে যোগাযোগ ছিল না। ব্যবসার জন্য কিছু অর্থ তিনি কুন্তলের থেকে ধার নিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন সোমা। তাঁর কথায়, এই টাকা তিনি ফেরত দেননি এবং কুন্তলও কখনও তা ফেরত চাননি।  ইডি সূত্রের দাবি, দুনীর্তিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ এবং এই সোমা চক্রবর্তীর মধ্যে অন্তত ৫০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত নথিও হাতে পেয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে শুক্রবার ইডি দফতরে আরও এক বার ডেকে পাঠানো হয়েছিল সোমাকে। সঙ্গে আনতে বলা হয়েছিল তাঁর ব্যাঙ্কের যাবতীয় নথি।

    আরও পড়ুুন: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    সোমা-কুন্তল সম্পর্ক

    সোমার সঙ্গে কুন্তলের পরিচয় হয়েছিল শহরের একটি অভিজাত ক্লাবে। সেটা ২০১৫ সাল। তার পর থেকে একাধিক বার কুন্তল এবং সোমাকে বিভিন্ন ক্লাবে, পাবে একসাথে দেখা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই বন্ধুত্বের খাতিরেই নাকি ব্যবসার জন্য সোমাকে ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছিলেন কুন্তল। ইডির প্রশ্নোত্তর পর্বে অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন সোমা।  তবে ইডির দাবি, সোমার অ্যাকাউন্টে টাকা আসার পর তা অন্য বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টে সরানো হয়েছে। কেন সরানো হয়েছিল ওই টাকা? ইডি কর্তারা মনে করছেন, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সরানোর জন্য একের পর এক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। আর কোন কোন অ্যাকাউন্টে গিয়েছে এই টাকা, কোথায় কোথায় হয়েছে লেনদেন। সে সমস্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে সোমাকে তাঁর অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত আরও তথ্য নিয়ে ফের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ইডির দফতরে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tejashwi Yadav: জমির বদলে চাকরি দুর্নীতিতে সিবিআই-এর সমন! আজ কি হাজিরা দেবেন তেজস্বী?

    Tejashwi Yadav: জমির বদলে চাকরি দুর্নীতিতে সিবিআই-এর সমন! আজ কি হাজিরা দেবেন তেজস্বী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমির বদলে চাকরি দুর্নীতিতে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)-কে সমন পাঠাল সিবিআই (CBI)। এই একই মামলায় ইডি গতকাল তাঁর দিল্লির বাসভবনে ১৫ঘন্টা ধরে একটি অভিযান চালায়। আর তারপরই বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীকে তলব করল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন।  সিবিআই সূত্রের খবর, এই নিয়ে একই মামলায় দ্বিতীয়বার তাঁর কাছে  সমন পাঠানো হল। প্রথম সমনটি পাঠানো হয় ৪ঠা ফেব্রুয়ারি। তিনি তখন সুকৌশলে সেই হাজিরা এড়িয়ে যান। শনিবার ফের তাঁকে (Tejashwi Yadav) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।

    ইডির পর সিবিআই

    ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে হওয়া এই দুর্নীতির তদন্তই নতুন করে শুরু করেছে সিবিআই-ইডি। বিগত এক সপ্তাহ ধরে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।  জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের পাঠানো সমনে আজ, শনিবারই দুপুরের মধ্যে সিবিআইয়ের সদর দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু তেজস্বী যাদব আজ হাজিরা দেবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গতকাল, ১০ মার্চ তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav) দিল্লির বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। ঘণ্টাখানেক ধরে তল্লাশি চলে। রেলে অবৈধ নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের খোঁজ পেতে তেজস্বীর দিল্লির বাড়ি-সহ ২৪টি ঠিকানায় এদিন তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে তেজস্বীর (Tejashwi Yadav) বাড়ি থেকে দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও নথি পাওয়া গিয়েছে কি না, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। সূত্রের খবর,অভিযানের  ইডি নগদ ৫৩ লক্ষ টাকা, ৫৪০ গ্রাম সোনা এবং ১.৫ কেজি সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছে। 

    আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক উদ্দেশে ২৯টি কয়লা খনির নিলাম করছে কেন্দ্র, খুশি শিল্পমহল

    চলতি সপ্তাহে এই মামলায় আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ এবং তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী এবং কন্যা মিসা ভারতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তার আগে লালু এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশিও চালানো হয়েছিল। এ বার দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘নিশানা’ করেছে লালু-রাবড়ীর পুত্র তেজস্বীকে (Tejashwi Yadav)। প্রসঙ্গত, লালু প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-০৯) বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের ‘গ্রুপ-ডি’ পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: বার্গার, কোল্ড কফি থেকে মাছের ঝোল-ভাত! ইডি হেফাজতে কেমন কাটছে অনুব্রতর?

    Anubrata Mondal: বার্গার, কোল্ড কফি থেকে মাছের ঝোল-ভাত! ইডি হেফাজতে কেমন কাটছে অনুব্রতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রতর রসনাতৃপ্তিতে কসুর করছেন না ইডি আধিকারিকেরা। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ম্যাকডোনাল্ডস থেকে বার্গার, সুগার ফ্রি কোল্ড কফি আসে কেষ্ট-র জন্য। দুপুরের আহারে অনুব্রতর আব্দার মেনে মাছের ঝোল, ভাতের সঙ্গে শেষ পাতে রাখা হয় সন্দেশের ব্যবস্থাও। বাংলা থেকে বহু দূরে ভোজন রসিক অনুব্রতের জন্য বেশ ভাল ব্যবস্থাই করছে ইডি।

    শুক্রবার গরু-পাচার মামলায় অনুব্রতকে আরও ১১ দিনের ED হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সবুজ রঙের একটি পাঞ্জাবিতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। কোনও কথা বলেননি তিনি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ম্যারাথন জেরা করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তবে রাতে তাঁর পাতে পড়েছিল বাঙালি খাবার। তিনি খেয়েছিলেন ভাত, ডাল, মাছের ঝোল, আলু পোস্ত। শুক্রবার সকালে উঠেই তিনি কফি এবং বাটার টোস্ট খেয়েছিলেন।

    হিন্দি জানেন অনুব্রত!

    এদিন আদালতে ইডি-র আইনজীবী নীতেশ রানা জানান, গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল হিন্দি, ইংরেজি কিছুই বোঝেন না। শুধুই বাংলা বোঝেন। তিনি লিখতেও পারেন না। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। তখন বিচারক রঘুবীর সিং অনুব্রতকে প্রশ্ন করেন, ‘আপকো হিন্দি নহি আতি?’ অনুব্রত উত্তর দেন ‘নহি!’ বিচারক ফের প্রশ্ন করেন, ‘আপকো স্রিফ বাংলা আতি হ্যায়?’ অনুব্রত উত্তর দেন,‘হ্যাঁ।’ বিচারকের হিন্দি প্রশ্নের উত্তর অনুব্রত ঠিকঠাক দেওয়ায় আদালতে ওঠে হাসির রোল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অনুব্রতের আইনজীবী মুদিত জৈন।

    আরও পড়ুন: গ্রুপ সি- র বাতিল হওয়া তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝি!  

    আপাতত অনুব্রতের ঠিকানা

    প্রসঙ্গত, আসানসোল সংশোধনাগারে থাকাকালীন নিজের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এদিন তাঁর শরীর কেমন রয়েছে জানতে চায় আদালত।  ইডি-র আইনজীবী রানা বলেছেন, অনুব্রত ‘ফিট অ্যাজ় এ ফিডল’ এবং ‘হেল অ্যান্ড হার্টি’ রয়েছেন। রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে তাঁকে ডাক্তাররাও ‘ফিট’ বলে জানিয়েছেন। আপাতত, আগামী ১১ দিন দিল্লিতে ইডির সদর দফতরই অনুব্রতের ঠিকানা। বীরভূমের একসময়ের এই দাপুটে নেতার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে একটি সিঙ্গল রুম। ঘরে রয়েছে একটি ছোট খাট, এসি এবং ফ্যান। ঘরের সঙ্গেই রয়েছে শৌচালয়। এমনকি, ঘর লাগোয়া একটি কেবিনও রয়েছে। সেই কেবিনেই অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করছেন তিন আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে বাংলা জানা একজন দোভাষী ব্যাঙ্ককর্মীও রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: নজরে নগদ ২০ কোটি! আরও জেরা বাকি, ফের কি ইডি হেফাজতে কেষ্ট?

    Anubrata Mondal: নজরে নগদ ২০ কোটি! আরও জেরা বাকি, ফের কি ইডি হেফাজতে কেষ্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শুক্রবার ফের অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) হেফাজতে চাইতে চলেছে ইডি। সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্কে বিভিন্ন সময়ে অনুব্রতর নানা অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকা নগদ জমা পড়েছে বলে দাবি ইডির। সেই টাকার বিষয়ে বিশদে জানতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বোলপুর এবং তার আশপাশের ব্যাঙ্কে ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে জমা পড়েছে এই ২০ কোটি টাকা। এক ব্যাঙ্ক কর্মীকে জেরা করে জানা গিয়েছে কখনও বাড়িতে ডেকে বা চালকের হাত দিয়ে ব্যাঙ্কে টাকা পাঠাতেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। জমা টাকার মধ্যে ৩ কোটি টাকা সুকন্যার নামে এফডি করা হয়েছে, দাবি ইডি-র।

    কোথা থেকে এল এত টাকা

    কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রের দাবি, এই টাকা ছাড়াও ২০১৪ সালের ১০ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে, বোলপুরের কালিকাপুর মৌজায় প্রচুর জমি কেনা হয়েছিল। যার দামের বেশিরভাগটাই মেটানো হয় নগদে। ইডি সূত্রের দাবি, ভোলে ব্যোম রাইস মিলকে সামনে রেখে অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে কেনা হয়েছিল জমি। ইডি সূত্রের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের নামে ২৪টি, তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামে ২৬টি, প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে ৬টি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে। তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন, গরু পাচারকাণ্ডের কালো টাকা, সাদা করতেই কি কেনা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি! অনুব্রতের (Anubrata Mondal) সম্পত্তি ও তাঁর অ্যাকাউন্ট নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    আইনজীবীদের সঙ্গে কথা অনুব্রতের

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতের নির্দেশ মতো  অনুব্রতর আইনজীবীরা তাঁর সঙ্গে একান্তে আধঘণ্টা কথা বলেন। দিনভর অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) ঠিক কোন কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি, শরীরে কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা, ওষুধ ও খাবার হিসেবে সমস্যা হচ্ছে কিনা সেইসব বিষয় ভালভাবে বুঝে নিতে বাঙালি আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষালকে সঙ্গে নিয়ে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করলেন সিনিয়র আইনজীবী মুদিত জৈন। তবে কী কথা হয়েছে তা বিস্তারিত জানা যায়নি। শুক্রবার ইডি-র হেফাজতে অনুব্রতের তিন দিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।  সূত্রের খবর, এই তিন দিনের মধ্যে অনুব্রতকে বিশেষ জেরা করে উঠতে পারেননি তদন্তকারীরা। তাঁকে এখনও বিস্তারিত ভাবে জেরা করা বাকি। তাই ফের তাঁকে হেফাজতে নিতে চলেছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদা বীরভূমের বেতাজ বাদশা, এখন ইডির দফতরে গিয়ে ভুল বকছেন। হুগলি জেলার খানাকুলের দলীয় এক সভায় অংশ নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘খুব বড় মস্তান ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের প্রধানমন্ত্রী। শুধু বীরভূম নয়, বর্ধমানের আউসগ্রাম, কেতুগ্রাম-সহ অনেক জায়গারই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সেই প্রধানমন্ত্রীর আজ কি অবস্থা। বলছে, ইংরেজি জানি না, হিন্দি বুঝি না, নাম সই করতে পারি না ৷ কোথায় গেল চড়াম চড়াম ঢাকের আওয়াজ? কোথায় গেল নকুল দানা? কোথায় গেল উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে?’’ 

    কী বললেন শুভেন্দু

    এই সভা থেকে শাসক দল তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘সাবধান হন। খানাকুলে তাণ্ডব- সহ সব আমরা নজরে রাখছি। গরু চুরি, বালি চুরি কয়লা চুরি-সহ বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যারা যুক্ত তারা কেউ ছাড় পাবেন না। আমাদের কর্মীদের উপর অত্যাচারের সব হিসেব হবে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এদিন নিশানা করেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘‘দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সবাইকেই জেলে যেতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: ছয় দিনে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত! আর কী কী তথ্য ইডির হাতে?

    রাজ্যে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কথা উল্লেখ করে খানাকুলের আইসিকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি,‘‘পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত সময় দিয়ে গেলাম। আমাদের কর্মী-সমর্থকরা যদি বাড়িতে ঠিকভাবে থাকতে না পারে, অত্যাচার করা হয়, তাহলে পরের দিন আমি খানাকুলে আসব কর্মী-সমর্থকদের সবাইকে বাড়ি পৌঁছে দিতে। দেখব আপনাদের কত ক্ষমতা আছে আমাকে বাধা দেওয়ার।’’সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেও একজোট হয়ে তৃণমূলের থেকে মুখ ফেরানোর আহ্বান জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর দাবি,‘‘বিজেপি আপনাদের শত্রু নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবার কথা ভেবে উন্নয়ন করছেন। রাষ্ট্রবাদীরা সবাই বিজেপির বন্ধু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সংখ্যালঘুদের বিজেপি সম্পর্কে ভুল বোঝাচ্ছে।’’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ইভেন্টে আলাপ, কুন্তলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই! দাবি অভিনেত্রী কৌশানীর

    SSC Scam: ইভেন্টে আলাপ, কুন্তলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই! দাবি অভিনেত্রী কৌশানীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে টলিউড যোগ নতুন নয়। এবার নাম জড়িয়েছে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের। সঙ্গে তাঁর বান্ধবী কৌশানী মুখোপাধ্যায় (Kaushani Mukherjee)। অর্পিতা, হৈমন্তীর পর এবার কৌশানী? প্রশ্ন অনেকের মনেই। তবে সেই প্রশ্নের উত্তরে কৌশানী এদিন বলেন, ‘কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আমার কোনও ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। একটা ইভেন্ট করেছিলাম, টাকা পেয়েছি, গল্প শেষ।’ একুশের ভোটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে কৌশানী তৃণমূলের টিকিটে লড়েছিলেন। 

    কুন্তল-বনি যোগ

    সম্প্রতি কুন্তল ঘোষের সঙ্গে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের যোগাযোগ খুঁজে পেয়েছে ইডি। শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে তলবও করা হয় অভিনেতাকে। হাজিরাও দেন বনি। তিনি জানান, কুন্তল তাঁকে একটি ল্যান্ড রোভার ডিসকভারি গাড়ি দিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। সেই সঙ্গে বনি এও বলেন, কুন্তলের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতেই ওই গাড়ি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। বদলে কিছু ইভেন্টে তিনি কাজ করে দিয়েছিলেন। বনির বান্ধবী কৌশানীকে নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কুন্তলের সঙ্গে অভিনেত্রীর যোগাযোগ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়।

    কৌশানীর দাবি

    প্রসঙ্গ না এড়িয়ে কৌশানী বলেন, “আমি কুন্তলকে বনির মাধ্যমে চিনেছি। একটা ইভেন্ট করেছি। ব্যস। ফিনিশ। আমি কুন্তলের সঙ্গে কোনও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে নেই যে ওঁর সম্বন্ধে জানতে যাব।” কৌশানী এও বলেন, বনির পেশাদার জীবনের যাবতীয় কিছু দেখাশোনা করেন ওঁর মা। তাই তিনি এসবের কিচ্ছু জানেন না। অভিনেত্রীর কথায়, ‘বনির প্রফেশনাল দিকটা ওঁর মা দেখেন। বাবা, মা আর বনি মিলে সবটা সামলান। আমি ওঁর অভিভাবক নই যে এটা কোরো না, ওটা কোরো না নির্দেশ দেব।’বনির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকলেও তা হাটের মাঝে তিনি কখনও নামিয়ে আনেন না বলে জানিয়েছেন কৌশানী। তাঁর কথায়, ‘বনির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক চার দেওয়ালের মধ্যে। সেটাকে আমি কখনও বাইরে আনি না।’

    আরও পড়ুন: বনি আমার সঙ্গে পাঁচ বছর কাজ করেছে! অভিনেতা সম্পর্কে বিস্ফোরক কুন্তল ঘোষ

    বনিকে গাড়ি নিয়ে কখনও জিজ্ঞেস করেননি তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরে কৌশানীর দাবি, ‘বনি এত সফল একজন অভিনেতা। তিনি একটা গাড়ি কিনতে পারেন না? এটা নিয়ে কি সন্দেহ হওয়ার কথা?’ তবে কৌশানী বিষয়টিকে যতই সহজ করে দেখানোর চেষ্টা করুন না কেন ইডির প্রশ্ন বন্ধু এত দামি গাড়ি কিনলেন, তার বিষয়ে কিছুই জানতে চাইলেন না কৌশানী? সেটা বিশ্বাস করতে একটু হলেও খটকা লাগছে তদন্তকারীদের।  সঙ্গে আরও একটি তথ্য। বনির ‘বিশেষ বন্ধু’ কৌশানীও কুন্তল-ঘনিষ্ঠ সোমা চক্রবর্তীর নখ সাজানোর পার্লারের বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়েছেন। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে তবে কি নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত কুন্তলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল কৌশানীরও। নিয়োগ মামলার তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে এই সোমার অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছে কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে। সল্টলেকে সোমার একটি নেল পার্লার আছে। তবে সোমার ব্যাপারে কৌশানীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি সোমা চক্রবর্তী নামটাই শুনছি এই প্রথম। ওঁর পার্লারের হয়ে মডেলিং করার কথা তো মনেই পড়ছে না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share