Tag: ED

ED

  • Anubrata Mondal: ছয় দিনে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত! আর কী কী তথ্য ইডির হাতে?

    Anubrata Mondal: ছয় দিনে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত! আর কী কী তথ্য ইডির হাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ছয় দিনে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন বলে দাবি ইডির।  শুধু তাই নয়, বীরভূমের (Birbhum News) তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত, এই পুরো লেনদেনই নগদে সারেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। গরু পাচার মামলায় (cattle Smuggling Case) আপাতত দিল্লিতে অনুব্রত (Anubrata Mondal)।

    এত টাকার উৎস কোথায়

    ইডি সূত্রে খবর , গরুপাচার করে যে টাকা উঠেছে, সেই টাকা কার কার, কোন কোন প্রভাবশালীর কাছে গিয়েছে সেই প্রশ্নের সামনে পড়তে হয় অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। এছাড়াও ২০১৪ ও ২০১৬-তে পরিবার ও নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধিতে টাকার উৎস নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে, ছয় দিনে সাড়ে ৬ কোটির সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত। সেই লেনদেনের বেশ কিছু নথিও ইডির হাতে এসেছে। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বোলপুরের কালিকাপুর মৌজায় কেনা হয়েছিল ওই সমস্ত জমি। কিন্তু নগদে এত টাকা কোথা থেকে এল, প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি-ও। তদন্তকারীদের দাবি, ভোলে ব্যোম চালকলকে সামনে রেখে স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে ওই সমস্ত জমি কেনেন অনুব্রত। নিজের নামেও কেনেন জমি। 

    আরও পড়ুন: প্রশ্নবাণে চোখ ছলছল! ইডির জেরায় ভেঙে পড়লেন কেষ্ট মণ্ডল

    গরুপাচারের থেকে পাওয়া টাকাতেই অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধি বলে দাবি করে আসছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পরে সেইসব অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও ইডির আরও অভিযোগ ডিডে বাজার মূল্যের থেকে এইসব জমির কম মূল্য দেখানো হয়েছে। ২৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তিকে ৮ লক্ষ টাকা দেখানো হয়েছে বলে দাবি ইডির। সূত্রের খবর, অনুব্রতর কাছ থেকে মূলত টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইছে ইডি। কয়েক বছরের মধ্যে কী ভাবে রকেটের গতিতে অনুব্রতর(Anubrata Mondal) সম্পত্তি বেড়েছে, টাকা কোথা থেকে এসেছে, রাজনৈতিক নেতা অনুব্রতর রোজগারই বা কী, এসবই জানতে চাইছেন ইডি-র তদন্তকারীরা।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী অনুব্রত মণ্ডল নাকি জানিয়েছেন, তিনি কিছুই মনে করতে পারছেন না। এব্যাপারে ইডির আধিকারিকদের অভিযোগ, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না অনুব্রত মণ্ডল। বিষয়টি আদালতেও জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি উড়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা

    Anubrata Mondal: অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি উড়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে দিল্লির উড়ান ধরলেন ইডি আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি উড়ান সংস্থার বিমানে দিল্লি নিয়ে গেল ইডি। এর আগে বিমানবন্দরে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি দাবি করেন, তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তাঁকে ইনহেলারও নিতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যপারে কোনও মন্তব্য করেনি ইডি (ED)।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    এদিনই অনুব্রতকে আদালতে পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু যেহেতু তাঁকে নিয়ে দিল্লি যেতে রাত হবে, তাই এদিন অনুব্রতকে রাখা হবে ইডি দফতরে। বুধবার পেশ করা হবে আদালতে। তবে এদিন দিল্লি পৌঁছে ফের এক প্রস্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে অনুব্রতর। এ জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে দিল্লির সফদরজং হাসপাতাল কিংবা রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। সেখানে সুস্থতার শংসাপত্র মিললে নিয়ে যাওয়া হবে ইডি দফতরে।

    এদিন সকাল ৭টা নাগাদ গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Scam) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কন্ট্রোলার কৃশানু গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর একজন সহযোগীকে পাঠানো হয়। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এক ইন্সপেক্টর, তিনজন সাব ইন্সপেক্টর ও ১২ জন সশস্ত্র পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনীকে। সঙ্গে ছিল দুটি পাইলট কার। অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয়েছিল জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও তাঁর একজন সহযোগীকে।

    এদিন সকালে আসানসোল জেলের সামনে কিছু মানুষ জমায়েত করেছিলেন। অনুব্রতকে লক্ষ্য করে কটাক্ষও ছুড়ে দেন কেউ কেউ। কেষ্টদা দিল্লি যাচ্ছেন নাকি? এই ধরনের টিপ্পনিও ভেসে আসতে শোনা গিয়েছে। জেলের সামনে উপস্থিত রাজা মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল যাওয়ার পর আসানসোল পবিত্র হল। আমরা শুদ্ধিকরণ করব।

    আরও পড়ুুন: কাঠফাটা গরম, কীভাবে মোকাবিলা? উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

    গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর থেকে আদালতের নির্দেশে আসানসোল জেলেই ছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সম্প্রতি তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কলকাতায় নিয়ে গিয়ে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল। সেই কারণে কলকাতা পর্যন্ত তাঁকে সুরক্ষা কে দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিন কলকাতায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় ইডির হাতে।

    এই মামলায় দিল্লিতে আগে থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁকে এবং সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত বেরোতেই গোবরজল ছিটিয়ে জেল চত্বর ‘শুদ্ধিকরণ’ আসানসোলে, আবীর খেলে উদযাপন বিজেপির

    Anubrata Mondal: অনুব্রত বেরোতেই গোবরজল ছিটিয়ে জেল চত্বর ‘শুদ্ধিকরণ’ আসানসোলে, আবীর খেলে উদযাপন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল জেল ছেড়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কেষ্ট জেল ছাড়তেই গোবর জল দিয়ে জেল চত্বর পরিষ্কার করলেন বিজেপি সমর্থকরা। ঢাকঢোল বাজিয়ে, আবির খেলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন তাঁরা। অনুব্রতকে নিয়ে পুলিশের গাড়ি কলকাতা রওনা হতেই, জেল চত্বরে নেমে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ঝাঁটা, গোবরজল দিয়ে সংশোধনাগার চত্বর ‘শুদ্ধিকরণ’ করলেন তাঁরা। খেললেন গেরুয়া আবির, বিলি করলেন লাড্ডুও।    

    এদিন সকালে পৌনে সাতটা নাগাদ আসানসোল সংশোধনাগার থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে কলকাতা রওনা হয় পুলিশ। এরপরেই সংশোধনাগারে ঢোকার রাস্তা, চত্বর গোবর জল, গঙ্গাজল দিয়ে সাফ করেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, দিল্লি না যাওয়ার চেষ্টা করেও পারলেন না অনুব্রত। আদালতের নির্দেশই চূড়ান্ত হল।   

    বিজেপির আসানসোল জেলা সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসের এই ধরনের গরু চোরদের বাঁচানোর জন্য বহু চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) আদালতের নির্দেশে দিল্লি যেতেই হল। সেই জন্য আসানসোল সংশোধনাগারের সামনে গঙ্গা এবং গোবর জল দিয়ে শুদ্ধকরণ করা হল।’’

    বিজেপির আরও এক জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায়ের কথায়, ‘‘দোলযাত্রার শুভ দিনে অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই আনন্দ ধরে রাখতে পারলাম না। আর সেই জন্যই বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা আসানসোল সংশোধনাগারের সামনে আবির খেলায় মেতেছে।’’

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে হোলি পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হিন্দু ছাত্ররা, জখম অন্তত ১৫

    প্রসঙ্গত, এদিন সকাল ৬.৪৪ নাগাদ অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) নিয়ে কলকাতার জোকা ইএসআই হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয় পুলিশের গাড়ি। অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল কারাগার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একজন কন্ট্রোলার কৃশানু গাঙ্গুলী ও তার সহযোগী গিয়েছেন। তাঁকে নিরাপত্তা দেবে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিসের একজন ইন্সপেক্টর, তিনজন সাব-ইন্সপেক্টর ও ১২ জন সশস্ত্র পুলিশবাহিনী। একইসঙ্গে থাকবে দুটি পাইলট কার। একটি কনভয়ের সামনে অন্যটি পিছনে থাকবে। একটি অ্যাম্বুলেন্স আসানসোল জেলা হাসপাতালের থেকে সঙ্গে এসেছে। জেলা হাসপাতালের একজন ফিজিসিয়ান চিকিৎসক অমিও সিন্ধু দাস ও তার একজন সহযোগীও রয়েছেন কনভয়ে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Anubrata Mondal: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    Anubrata Mondal: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Scam) অভিযুক্ত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হলেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ তাঁকে আসানসোল জেল থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল জেলা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কন্ট্রোলার কৃশানু গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর একজন সহযোগীকে পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এক ইন্সপেক্টর, তিনজন সাব ইন্সপেক্টর ও ১২ জন সশস্ত্র পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী। সঙ্গে রয়েছে দুটি পাইলট কার। পাইলট কারের একটি কনভয়ের সামনে ও অন্যটি পিছনে রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয়েছে জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও তাঁর একজন সহযোগীকে।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    এদিন আসানসোল জেলের সামনে কিছু মানুষ জমায়েত করেছিলেন। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাঁদের। অনেকে আবার কটাক্ষও ছুড়ে দেয়। কেষ্টদা দিল্লি যাচ্ছেন নাকি? এই ধরনের টিপ্পনিও ভেসে আসতে শোনা গিয়েছে। জেলের সামনে উপস্থিত রাজা মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল যাওয়ার পর আসানসোল পবিত্র হল। আমরা শুদ্ধিকরণ করব।

    গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর থেকে আদালতের নির্দেশে আসানসোল জেলেই ছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সম্প্রতি তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কলকাতায় নিয়ে গিয়ে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল। সে কারণে কলকাতা পর্যন্ত তাঁকে সুরক্ষা কে দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

    আরও পড়ুুন: লাল পাহাড়ির দেশে শ্বেত পলাশেই মজেছে পর্যটকরা, একটি গাছের দাম জানেন?

    প্রথমে আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের তরফে সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সাড়া না পাওয়ায় ফের আসানসোল বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয় জেল কর্তৃপক্ষ। সেখানেই পুলিশকে সুরক্ষা দিয়ে অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) কলকাতায় নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই মতো তাঁকে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর অনুব্রতকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    এই মামলায় দিল্লিতে আগে থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সহগল হোসেন এবং গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁকে এবং সহগলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Manik Bhattacharya: জামিনের আবেদন খারিজ, ফের জেল হেফাজতে মানিকের স্ত্রী-পুত্র

    Manik Bhattacharya: জামিনের আবেদন খারিজ, ফের জেল হেফাজতে মানিকের স্ত্রী-পুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও ছেলে শৌভিকের। এদিন বিচারক তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। আদালতের নির্দেশে ফের পাঠানো (Primary TET Scam) হয় জেল হেফাজতে। হেফাজতের মেয়াদ শেষে সোমবার শতরূপা ও শৌভিককে তোলা হয় আদালতে। তাঁদের জামিনের বিরোধিতা করেন ইডির (ED) আইনজীবী।

    মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)…

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে আইনজীবী বলেন, মানিক ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে হাওয়ালা চক্রের যোগ রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন মানিকের পরিবার। ইডি জানিয়েছে, ২০১২ সাল থেকে মানিকের হাতে আসতে থাকে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকা। এর পরেই স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে যেতে শুরু করেন মানিক। বিশ্বের অন্তত ১২টি দেশ ভ্রমণ করেছেন মানিকের পরিবার। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, আমেরিকা, চিন, সাউথ আফ্রিকা, মালয়েশিয়া ও মালদ্বীপের মতো দেশও ঘুরেছেন মানিকের পরিবার। ইডির হিসেব অনুযায়ী, বছর দশেক ধরে মানিকের পরিবার কেবল বিদেশ ভ্রমণের জন্যই অন্তত ৫ কোটি টাকা খরচ করেছেন।

    মানিকের (Manik Bhattacharya) পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত নথিপত্র দেখে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে বিদেশ ভ্রমণের তথ্য গোপন রাখতে চেষ্টার কসুর করেননি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি। ইডি জানিয়েছে, প্রত্যেকবার মানিকের পরিবারের বেড়ানোর খরচ আসত যে দেশ যেতেন, সেই দেশের হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে। সে ক্ষেত্রে কলকাতায় হাওয়ালা চক্রকে আগাম টাকা দিয়ে দিতেন মানিক। সেই হাওয়ালা চক্রের চাঁইরা মানিককে জানিয়ে দিতেন, কোন শহরে হাওয়ালা চক্রের নেটওয়ার্কে কে রয়েছেন। তাঁদের ঠিকানাও জানিয়ে দেওয়া হত। সেই মতো বিদেশে গিয়ে হাওয়ালা অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন মানিক। আগাম দিয়ে দেওয়া কোড নম্বর জানালেই হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে টাকা চলে যেত মানিকদের হাতে।

    আরও পড়ুুন: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    তদন্তকারীরা মানিকের (Manik Bhattacharya) পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট অনুযায়ী ভ্রমণের তারিখ খতিয়ে দেখেন। সেই তারিখগুলিতে মানিকদের ব্যাঙ্ক লেনদেনের তথ্যও খতিয়ে দেখা হয়। তখনই স্পষ্ট হয় হাওয়ালার বিষয়টি। দেখা যায়, বিদেশ ভ্রমণ চলাকালীন এটিএম কার্ড দিয়ে কোনও টাকা মানিকরা তোলেননি। আবার প্রচুর নগদ টাকা নিয়ে তাঁরা বেড়াতে গিয়েছিলেন, এমন প্রমাণও মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rabri Devi: বিহারে রাবড়ি, তেজস্বীর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি, কেন জানেন?

    Rabri Devi: বিহারে রাবড়ি, তেজস্বীর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সিবিআই (CBI)-ইডি (ED)-র অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে রবিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠি দিয়েছিল দেশের ৮টি রাজনৈতিক দলের ৯ জন প্রতিনিধি। এই চিঠিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও। তার ঠিক পরের দিন সাত সকালে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর (Rabri Devi) বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের স্ত্রী রাবড়ি ঘটনাচক্রে তেজস্বীর মা। সিবিআই সূত্রে খবর, জমি বেচে চাকরি দুর্নীতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এই আরজেডি নেত্রীকে। অশান্তি এড়াতে পাটনায় রাবড়ির বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ।

    রাবড়ি দেবী (Rabri Devi)…

    প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন লালু। ওই সময় বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় তোলা হয় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী (Rabri Devi) এবং তাঁর দুই কন্যা মিসা ও হেমাকে। ঘটনার তদন্তে গত ২০ মে পাটনা, দিল্লি সহ দেশের ১৫টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। অগাস্টে অভিযান চালানো হয় আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতে। গত বছর ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় লালু ঘনিষ্ঠ আধিকারিক ভোলা যাদবকে।

    ২২ অক্টোবর জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারি মামলায় লালুর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা ওই চার্জশিটে লালু ছাড়াও নাম রয়েছে রাবড়ি, মিসা ও হেমার। এঁরা ছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে আরও ১২ জনের। সিবিআইয়ের দাবি, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বহু অযোগ্য প্রার্থীকে লালু মুম্বই, জব্বলপুর ও কলকাতা সহ রেলের বিভিন্ন জোনে চাকরি পাইয়ে দেন। এর বিনিময়ে তাঁদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা বা জমি নিয়েছিলেন লালুর পরিবারের কয়েকজন সদস্য এবং লালু-ঘনিষ্ঠ নেতারা।

    আরও পড়ুুন: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

    এদিন সকালে পাটনায় লালুর বাড়িতে পৌঁছায় সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল। তারা বাড়ির ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। বাড়ি থেকে কাউকে বের হতেও দিচ্ছে না। তেজস্বীর বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারি মামলায় দিল্লির রাউজ অ্যাভেনিউ আদালত লালু, রাবড়ি (Rabri Devi), ও তাঁদের কন্যা মিসাকে সমন পাঠায়। সিবিআইয়ের চার্জশিটে তাঁদের আদালতে হাজিরার দিন দেওয়া হয়েছিল ১৫ মার্চ। তার আগেই রাবড়ির বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তবে এদিন কোন মামলায় রাবড়ির বাড়িতে সিবিআইয়ের আধিকারিক দল এসেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপের

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। আদালতের নির্দেশের পরও নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে একে অপরের দিকে দায় ঠেলছে ইডি ও রাজ্য পুলিশ। এরই মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা নিয়ে কার্যত এক সুরে কথা বললেন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম দুই প্রধান মুখ শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “বিষয়টা অনেকদিন ধরেই চলছে। হয়ত আর একটাই জায়গায় যাওয়া বাকি আছে, সেটা হল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে যাওয়ার জন্যই হয়ত অপেক্ষা করছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তো ১৩ মার্চের আগে খুলবে না। এখন ছুটি চলছে। দিল্লি যেতেই হবে অনুব্রতকে।”

    ইডি-রাজ্য পুলিশ দ্বন্দ্ব

    অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা নিয়ে টানাপড়েন চলছে জেল কর্তৃপক্ষ, আসানসোল কমিশনারেটের পুলিশ ও কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ED-র মধ্যে। শনিবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নির্দেশ দেন, শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে, অনুব্রত মণ্ডলকে বিমানে দিল্লি নিয়ে যেতে হবে। কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কোনও হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ফিট সার্টিফিকেট দিলে, তারপরই তাঁকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া যাবে। কিন্তু আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কে অনুব্রতকে কলকাতায় নিয়ে আসবে ইডি না আসানসোল কমিশনারেট তাই নিয়েই জল্পনা চলে রবিবার সারাদিন।

    আরও পড়ুন: ইডি না আসানসোল পুলিশ! আজ আদালতই ঠিক করবে অনুব্রতকে কারা নিয়ে যাবে দিল্লি?

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, “সরকার ও শাসকদল ওঁকে ক্রমাগত আড়াল করে চলেছে। তদন্তে সব ধরনের অসহযোগিতা করছে। যাঁকে বীর, বাঘ বলা হচ্ছিল তাঁকে এখন একা ছেড়ে দিচ্ছে। কোনও সুরক্ষা দিচ্ছে না। এই চালাকি বেশিদিন চলবে না। তিহার জেলে অনুব্রত মণ্ডলকে যেতেই হবে।” অনুব্রতের (Anubrata Mondal) প্রসঙ্গে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও কটাক্ষ, ”রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে, তার ভাইপোকে, নেতা মন্ত্রীদের সুরক্ষা দিতে পারছে, বাড়ি বাড়ি পুলিশ দিতে পারছে। আর অনুব্রত যখন সিবিআই এর হাতে আছে তখন সুরক্ষা দিতে পারছে না। তাহলে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন। রাজ্যের আইন কানুনের যা অবস্থা তা পুলিশ আর সামাল দিতে পারছে না। শুধু অনুব্রত না গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Anubrata Mondal: ইডি না রাজ্য পুলিশ? অনুব্রতকে কে নিয়ে যাবে দিল্লি? ঠিক করবে আদালত!

    Anubrata Mondal: ইডি না রাজ্য পুলিশ? অনুব্রতকে কে নিয়ে যাবে দিল্লি? ঠিক করবে আদালত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে নিরাপত্তা দিয়ে কারা কলকাতায় পৌঁছে দেবে, সেই প্রশ্নে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে ইডির (ED) দড়ি টানাটানি অব্যাহত। প্রশাসনিক জটিলতার জেরে আপাতত থমকেই অনুব্রতের দিল্লি যাত্রা। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট রবিবার দুপুরেই জানিয়ে দেয় যে, তাদের পক্ষে অনুব্রতকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ইডি সূত্রে খবর, তারা জেলে এসে কেষ্টকে নিয়ে দিল্লি যাবে না। যেভাবে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেভাবেই অনুব্রতকে রাজধানীতে নিয়ে যাওয়া হোক চাইছে ইডি। আসানসোল জেল সূত্রে খবর, এই জটিলতা কাটাতে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে আজ, সোমবারই গোটা বিষয়টা আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে জানানো হবে। কোর্ট যা বলবে, তার ওপর নির্ভর করছে কেষ্টর ভাগ্য!

    অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি যাবে কারা? 

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, অনুব্রতের শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে, তাঁকে বিশেষ বিমানে দিল্লি নিয়ে যেতে হবে। কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কোনও হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ফিট সার্টিফিকেট দিলে, তারপরই তাঁকে ইডির ( ED ) হাতে তুলে দেওয়া হবে। এরপর জেল কর্তৃপক্ষ অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরাপত্তার ব্য়বস্থা করার বিষয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটকে জানায়। কেন্দ্রীয় সরকারের হাসপাতালে রাজ্য পুলিশ কী করে নিয়ে যাবে, এই যুক্তিতে বাহিনী পাঠানো যাবে না বলে জানায় কমিশনারেট। এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর ভাইপো, তৃণমূলের নেতাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে। অথচ অনুব্রতকে দিতে পারছে না? সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অনুব্রতকে তুলে নিয়ে যাওয়া উচিত। ‘

    আরও পড়ুুন: আরজেডি-র সঙ্গ ছেড়ে ফের বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন নীতীশ?

    আদালতের দ্বারস্থ আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    সূত্রের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি-যাত্রা নিয়ে ধোঁয়াশার আবহে, তাদের কী করণীয়, তা জানতে চেয়ে সোমবারই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হবে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাব ইন্সপেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর এবং ৫জন বন্দুকধারী পুলিশ কর্মীর ঘেরাটোপে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় সায়গলকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Anubrata Mondal: পুলিশ ইডি চাপান-উতোর, অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা কবে?

    Anubrata Mondal: পুলিশ ইডি চাপান-উতোর, অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ-ইডি (ED)-র ঠেলাঠেলি। তার জেরে তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) কবে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে উঠে গেল বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন। গরু পাচার কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত অনুব্রতকে পুলিশ না ইডি-কে দিল্লি নিয়ে যাবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপান-উতোর। পুলিশ আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, আসানসোল জেল থেকে নিরাপত্তা দিয়ে অনুব্রতকে তারা কলকাতায় নিয়ে যেতে পারবে না। পুলিশের পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও জানিয়ে দিল, নিরাপত্তা দিয়ে অনুব্রতকে তারাও দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। দিল্লিযাত্রা ঠেকাতে জোড়া মামলা দায়ের করেন অনুব্রত। একটি কলকাতা হাইকোর্টে, অন্যটি দিল্লি হাইকোর্টে। শনিবার কলকাতা হাইকোর্ট অনুব্রতর আর্জি খারিজ করে দেয়। বিচারপতি বিবেক চৌধুরী নির্দেশ দেন, প্রয়োজন মনে করলে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে ইডি। তবে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আগে কলকাতার কেন্দ্রীয় কোনও হাসপাতাল থেকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরেই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। ওই দিনই আসানসোল জেলে চিঠি পাঠায় ইডি।

    আরও পড়ুুন: আরজেডি-র সঙ্গ ছেড়ে ফের বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন নীতীশ?

    জানতে চাওয়া হয়, কখন জেল কর্তৃপক্ষ অনুব্রতকে রওনা করাবেন? সূত্রের খবর, আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ ইডিকে সাফ জানিয়ে দেয় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না পুলিশ। ইডি যেন নিজেই দায়িত্ব নেয়। রবিবার ইডিও হাত তুলে নেয়। তারা জানিয়ে দেয়, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তাদের নয়। পরে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, যেভাবে সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেভাবেই অনুব্রতকেও নিয়ে যেতে হবে। জটিল এই সমস্যার সমাধানে আইজি কারাকে চিঠি দিয়েছেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার এ ব্যাপারে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে ইডি।

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯ ডিসেম্বর জারি হয় প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট। তার পরেও তা কেন কার্যকর করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে দিল্লি আদালত। হলফনামা দিয়ে পুরো বিষয়টি আদালতে জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় ইডির আইনজীবীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • PM Modi: ‘ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহার করা হচ্ছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের

    PM Modi: ‘ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহার করা হচ্ছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (AAP) নেতা মনীশ সিসোদিয়া। সেই সিসোদিয়ার হয়ে সওয়াল করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠি লিখলেন দেশের ৮টি রাজনৈতিক দলের ৯ জন নেতা। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইডি (ED)-সিবিআইয়ের (CBI) মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। তবে যে ৮টি রাজনৈতিক দল প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে, তাতে আশ্চর্যজনকভাবে নেই কংগ্রেস। যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন।

    নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)…

    নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) লেখা ওই চিঠিতে সই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও রয়েছেন ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের তালিকায়। এঁরা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন, তাঁরা হলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শারদ পাওয়ার, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।

    স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে কংগ্রেস নেই। যদিও কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে জেরা করেছে ইডি। মা ও ছেলেকে গত বছরই জেরা করেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চিঠিতে (PM Modi) বলা হয়েছে, আমরা আশা করি, আপনি আমাদের সঙ্গে একমত হবেন যে ভারত এখনও গণতান্ত্রিক দেশ। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে আদতে সেগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে। যা থেকে মনে হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র নেই, রয়েছে স্বৈরতন্ত্র। চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই সিবিআই গ্রেফতার করেছে মনীশ সিসোদিয়াকে। তার আগে তাঁর বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়। বিরোধী দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির নির্লজ্জ আচরণ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, আমরা গণতন্ত্র থেকে স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছি।

    আরও পড়ুুন: মাত্র ৫ আসনে জয়, নাগাল্যান্ডে টাকা উড়িয়ে জয়োৎসব এনপিপি-র

    চিঠিতে (PM Modi) আরও লেখা হয়েছে, প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে, বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে এটা হয়ে আসছে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তাঁদের সিংহভাগই বিরোধী দলের নেতা। তবে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে ধীর গতিতে। উদাহরণ হিসেবে তাঁরা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নামোল্লেখ করেছেন। বছর কয়েক আগে কংগ্রেসে ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে যোগ দিয়েছেন হিমন্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
LinkedIn
Share