Tag: ED

ED

  • Partha Chatterjee: রাজার হালে ইতি, এখন থেকে জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাবেন পার্থ!

    Partha Chatterjee: রাজার হালে ইতি, এখন থেকে জেলের মেঝেতে শুয়েই রাত কাটাবেন পার্থ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে থেকেও কার্যত জামাই আদর পাচ্ছিলেন শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। এক সময় তিনি ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। ছিলেন তৃণমূলের (TMC) মহাসচিবও। তাই তাঁকে খাতির করা হচ্ছিল জেলেও। গারদে যেখানে অন্য বন্দিরা মেঝেয় ঘুমোন, সেখানে পার্থর জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল বিছানার। তার ওপর পাতা হয়েছিল নরম গদি। সেলের ভিতরে গা এলিয়ে বসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল ইজি চেয়ারেরও। সেলে থেকে মোবাইল ফোনের সুবিধাও ভোগ করেছেন এই ‘হেভিওয়েট’ বন্দি। সে খবর কানে যায় ইডির কর্তাদের।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)…

    চক্ষু-কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করতে আচমকাই প্রেসিডেন্সি জেলে ঢুঁ মারেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দল। তখনই দেখেন, জেলের সেলে পার্থ রয়েছেন রাজার হালে। সেলের মধ্যেই পাচ্ছেন ভিভিআইপির মর্যাদা। এর পরেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দল পার্থর সেল থেকে খাট-বিছানা, ইজি চেয়ার সরিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ দেন জেল কর্তৃপক্ষকে। পার্থ যাতে মোবাইল ফোনের সুবিধা ভোগ করতে না পারেন, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দলের নির্দেশ পেয়ে তড়িঘড়ি পার্থর সেল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় বিলাস-ব্যসনের যাবতীয় উপকরণ। যার জেরে আর পাঁচটা সাধারণ বন্দির মতোই পার্থকে রাত কাটাতে হবে সেলের মেঝেতেই।

    আরও পড়ুুন: পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত? রাজ্যের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গত বছর জুলাই মাসে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বার কয়েক সিবিআই-ইডি হেফাজত ঘুরে বর্তমানে পার্থ রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। এই জেলে আসার পর থেকে আদৌ ভাল নেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কখনও তিনি শিকার হচ্ছেন সহবন্দিদের কটূক্তির, কখনওবা হচ্ছেন নিগৃহীত। গত সপ্তাহেই পার্থর পাশের সেলে থাকা দুই ছিঁচকে চোর তাঁকে টিটকিরি দিয়ে মোটা টুকি বলেছিল। জঙ্গি মুশা পার্থকে নিশানা করে মল ভর্তি মগ ছুড়ে মেরেছিল। যা এড়াতে গিয়ে পড়ে গিয়ে চোটও পেয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব।

    এদিকে, শরীর ঠিক রাখতে ব্যায়াম করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন পার্থ (Partha Chatterjee)। শারীরিক সুস্থতার জন্য চিকিৎসকরা তাঁর ইচ্ছায় সম্মতিও জানিয়েছেন বলে কারা দফতর সূত্রে খবর। এক সময় ব্যায়াম বিশারদ তুষার শীলের তত্ত্বাবধানে ব্যায়াম করতেন পার্থ। জেলেও সেই সুযোগ তিনি পেতে পারেন। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই জেল কর্তৃপক্ষের কাছে যোগ ব্যায়াম করতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন পার্থ। মঞ্জুর হয়েছে তাঁর সেই আবেদনই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ভুয়ো কলেজ, জাল ডিগ্রি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তাজ্জব ইডি

    ED: ভুয়ো কলেজ, জাল ডিগ্রি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে তাজ্জব ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজের (College) অস্তিত্ব শুধু খাতায়-কলমে। নেই কোনও ভবন, নেই কোনও অফিস, নেই ক্লাসরুমও। কার্যত বাস্তবে তার কোনও অস্তিত্বই নেই! অথচ, ওই কলেজ থেকেই ফি বছর ছাত্রছাত্রীরা ডিগ্রি (Degree) পেয়েছেন। সেই সব ডিগ্রি দেখিয়ে তাঁরা স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকাও হয়ে গিয়েছেন। এই রকম এক আধটা কলেজ নয়, ইডি-র (ED) আধিকারিকরা প্রায় ২ হাজার ডিএলএড (D L ED) এবং বিএড (B ED) কলেজের সন্ধান পেয়েছেন।

    ডিগ্রির কারবার…

    তদন্তকারীদের দাবি, ওই সব প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি দেওয়ার প্রামাণ্য নথি তাঁদের হাতে রয়েছে। ভুয়ো কলেজ থেকে প্রাপ্ত ভুয়ো ডিগ্রি দেখিয়েই বহু অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী শিক্ষক-শিক্ষিকা হয়েছেন। ওই কলেজগুলিতে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই কলেজ চালু করতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং কোনও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। তাই এই কলেজগুলির এনওসি পাওয়ার সময় যাঁরা পর্ষদ আধিকারিক বা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন, তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইডি-র (ED) আধিকারিকরা তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তখন রাজ্যে বেসরকারি ডিএলএড এবং বিএড কলেজের সংখ্যা রাতারাতি তিন-চারগুণ বেড়ে গিয়েছিল। ধৃত ছাত্রনেতা কুন্তল ঘোষ নিজে যেমন এই কারবার শুরু করেছিলেন, তেমনই এই পথে কোটি কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অনেককে।

    আরও পড়ুুন: আর্থিক সংকটে থাকা পাকিস্তানকে উদ্ধারে নামতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দাবি প্রাক্তন র প্রধানের

    এই কলেজগুলি দুর্নীতির অন্যতম আখড়াও হয়ে উঠেছিল। টাকার বিনিময়ে ডিগ্রি বিক্রি করেছে তারা। এনিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় তদন্তকারীদের। তাঁরা দেখেন, নথিতে উল্লিখিত ঠিকানায় কলেজ তো দূরের কথা, কোনও বিল্ডিংই নেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে অন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশে সেখানে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পঠনপাঠনের বালাই ছিল না। তদন্তকারীদের দাবি, এই ভুয়ো কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য প্রার্থী পিছু ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হত। তাঁদের বলে দেওয়া হত, ক্লাস করতে হবে না। ছ’ মাস অন্তর ডেকে হাজিরা খাতায় সই করিয়ে নেওয়া হত। পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থাও ছিল না। ছাত্রছাত্রীদের নামে ভুয়ো উত্তরপত্র জমা পড়ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে।

    কোর্সের সময়সীমা শেষ হলে পড়ুয়াদের এসএমএস পাঠিয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় হাজির হতে বলা হত। সেখান থেকে হাতে হাতে সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হত। কিছু কিছু কলেজ আবার কোনও একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেটিকে ‘পরীক্ষার হল’ বলে দেখাত। তারপর আগে থেকে লিখে রাখা উত্তরপত্র পর্ষদ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিত। এই বিএড কলেজগুলি মূলত দক্ষিণবঙ্গের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ডিএলএড কলেজগুলি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আওতাধীন। এখানেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে পর্ষদ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ভূমিকা। নিয়ম অনুযায়ী, এরকম কোনও কলেজ অনুমোদনের জন্য আবেদন করলে সরেজমিনে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি বিচার করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় বা পর্ষদের কর্তাদের। তাদের প্রতিনিধি দল পরিকাঠামো সহ নানা বিষয়ে সন্তুষ্ট হলে তবেই এনওসি মেলে। এক্ষেত্রে কোনওটাই হয়নি।

    ইডি-র (ED) আধিকারিকরা আরও জেনেছেন যে, নতুন কলেজের অনুমোদনের জন্য আবেদনের কপি তত্‍কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে জমা পড়ত। তাঁর নির্দেশেই বিশ্ববিদ্যালয় বা পর্ষদের কর্তারা সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে এনওসি দিয়ে দিতেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • ED: রাজ্যে কাজের পরিধি বাড়ছে! কলকাতায় নয়া দফতর নিচ্ছে ইডি

    ED: রাজ্যে কাজের পরিধি বাড়ছে! কলকাতায় নয়া দফতর নিচ্ছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মামলার চাপ। বাড়ছে কর্মীর সংখ্যাও। তাই এবার সল্টলেকের ডিএফ ব্লকে সিজিও কমপ্লেক্সেই (CGO Complex) নতুন অফিস নিচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। আগামী দিনে এ রাজ্যে কাজের পরিধি বাড়তে পারে। তাই কলকাতায় নয়া দফতর চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইডি।

    নয়া দফতর

    সূত্রের খবর, কলকাতায় বিভিন্ন মামলায় ইডির তদন্তের অগ্রগতি এবং শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য শহরে পা দিয়েছেন ইডি অধিকর্তা সঞ্জয় মিশ্র। তাঁর উপস্থিতিতেই নতুন অফিসের হস্তান্তর হবে। সিজিও কমপ্লেক্সে তৃতীয় এমএসও বিল্ডিংয়ের সাত তলায় নতুন অফিস খুলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই ভবনের সাত তলার একটি উইংজুড়ে রয়েছে ইডির অফিস।

    জায়গার অভাব

    ২০১৯ সালে তদন্ত এবং বাকি কাজ মসৃণ করতে কলকাতার দফতরকে দুটি জোনে ভাগ করা হয়। প্রতিটি জোনের নেতৃত্বে একজন যুগ্ম অধিকর্তা পদমর্যাদার আধিকারিক। তাদের মাথায় গোটা কলকাতা দফতরের কাজ দেখার জন্য রয়েছেন স্পেশ্যাল ডিরেক্টর। দুটি জোন ভাগ করার পর ধাপে ধাপে তদন্তকারীআধিকারিকদের সংখ্যা বেড়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বিভিন্ন পদে অধস্তন কর্মীদের সংখ্যাও। কিন্তু বাড়েনি অফিসের জায়গা। এর ফলে বিভিন্ন সময়ে কাজের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন আধিকারিকরা। এক সঙ্গে বেশি অভিযুক্তদের রাখার জন্য পর্যাপ্ত ব্যাবস্থাও নেই বর্তমান অফিসে। সম্প্রতি মামলার চাপ বাড়তে থাকায় তদন্ত সংক্রান্ত বিপুল নথি রাখা নিয়েও সমস্যায় পড়ছেন আধিকারিকরা। তাই নতুন অফিস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুন: ভোটার সংখ্যা বাড়ল! পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে মার্চেই

    কড়া নিরাপত্তা

    নয়া দফতরের সঙ্গে সঙ্গেই পুরনো অফিসে নজরদারিও বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইতিমধ্যেই বর্তমানে দুটি অফিস সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। মোট ৪৪ টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রতিটি ক্যামেরার নাইট ভিশন রয়েছে। ১০ মিটার পর্যন্ত স্পষ্ট ছবি তুলতে পারে এই ক্যামেরাগুলো। দুঘণ্টার পাওয়ার ব্যাক আপ সহ ৩২ চ্যানেলের নেটওয়ার্ক ভিডিও রেকর্ডার কেনা হয়েছে। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য উন্নত মানের সিসি ক্যামেরাগুলি ১৮ মাস পর্যন্ত সমস্ত তথ্য মজুত করে রাখাতে পারবে। ইডি সূত্রের খবর, তৃতীয় অফিসও সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হবে। অভিযুক্তদের রাখতে তৈরি করা হবে নতুন লকআপও, যাতে একসঙ্গে একাধিক হাই প্রোফাইল অফিযুক্তকে রাখতে কোনও সমস্যা না হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • CBI ED: কলকাতায় ইডি এবং সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তা, বড় কিছু ঘটতে চলেছে কি?

    CBI ED: কলকাতায় ইডি এবং সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তা, বড় কিছু ঘটতে চলেছে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় ইডি এবং সিবিআইয়ের (CBI ED) দুই শীর্ষ কর্তা। শুক্রবার শহরে এসেছেন ইডির ডিরেক্টর সঞ্জয় মিশ্র এবং সিবিআইয়ের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর। দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুই শীর্ষ কর্তা একই সঙ্গে শহরে হাজির হওয়ায় ছড়িয়েছে নানা জল্পনা।

    নিয়োগ দুর্নীতি…

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। ওই দুর্নীতির নাটের গুরুকে খুঁজতে তদন্তে নামেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তদন্তে এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জেরা করে জানা গিয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও। বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর নামও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, নীলাদ্রি ঘোষকে। সম্প্রতি উঠে এসেছে রহস্যময়ী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। তিনি গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বারংবার হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইডি এবং সিবিআই (CBI ED)। কখনও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কখনও আবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নিশানা হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চন্দন মণ্ডল গ্রেফতারির পর কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওঠে বাগদার রঞ্জনের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ। তখনই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বাগদার রঞ্জন গ্রেফতার হয়ে আর কী হবে? কিছুই হবে না। কিছুদিন আগেই আদালত সিবিআইকে প্রশ্ন করে, নিয়োগ দুর্নীতিতে চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি বসু বলেন, বারবার আদালতকে বলে দিতে হচ্ছে, সিবিআই এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন কীভাবে কাজ করবে। তার পরেই বিচারপতি সিবিআইকে নির্দেশ দেন, তদন্ত তাড়াতাড়ি শেষ করুন। মামলা ঝুলে থাকলে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে না। শূন্যপদ থেকে যাবে।

    আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে (CBI ED) বলেন, রামকৃষ্ণের কথা শুনেছেন? ভক্ত এবং ভগবানের মাঝে কে থাকেন, জানেন ? গুরু থাকেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এ সবের জেরেই কলকাতায় এসেছেন দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুই শীর্ষ আধিকারিক। সূত্রের খবর, তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলবেন সঞ্জয় ও অজয়। ধৃতদের জেরায় কোন কোন প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছে, তা নিয়েও কথা বলতে পারেন দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দুই শীর্ষ কর্তা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Delhi Liquor Policy: কেজরির দুয়ারে ইডি! এবার জেরা মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ককে, কেন জানেন?

    Delhi Liquor Policy: কেজরির দুয়ারে ইডি! এবার জেরা মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ককে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির আবগারি নীতি (Delhi Liquor Policy) মামলায় এবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) আপ্ত সহায়ক বিভব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি (ED)। বিভব  কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ সহচর। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিভবকে দিল্লির আবগারি নীতি ও তৎপরবর্তীকালে ঘুষ নিয়ে মদের দোকানের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগেই জেরা করা হয়েছে। সম্প্রতি এই মামলায়ই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তল্লাশি চালানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়েও। এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ককে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করল ইডি।

    ইডির দাবি…

    ইডির দাবি, প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছিল। প্রমাণ লোপাট করতে ইতিমধ্যেই নষ্ট করা হয়েছে ১৭০টি ফোন। কিছু দিন আগেই তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, লাইসেন্সের (Delhi Liquor Policy) বিনিময়ে নেওয়া ঘুষের অর্থের প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা চলছে। ওই কাজে অন্তত ৩৬ জন যুক্ত বলেও অভিযোগ ইডির। এই ৩৬ জনের মধ্যেই রয়েছেন মনীশ এবং বিভব। সেই সূত্রেই এদিন জেরা করা হয় বিভবকে।

    আবগারি নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই দুটি চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। তাতে বলা হয়েছে, অন্তত ৩৬ জন অভিযুক্ত লেনদেন ও বেআইনি কারবার গোপন করতে ঘন ঘন মোবাইল সেট বদল করতেন। ওই তালিকায় দিল্লির আবগারি মন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া ও কেজরিওয়ালের পিএ বিভব কুমারের নামও রয়েছে। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, আবগারি নীতি (Delhi Liquor Policy) তৈরির প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালও। সেই কাজে তাঁর ফ্রন্টম্যান ছিলেন বিভব। গোয়েন্দাদের আরও দাবি, আবগারি নীতির খসড়ার কপি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে এনে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন বিভবই। বিজেপির দাবি, এই কাণ্ডে আসল চক্রী মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। এদিন তাঁরই আপ্ত সহায়ককে জেরা করা হল।

    আরও পড়ুুন: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    প্রসঙ্গত, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছিল কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। সরকার জানিয়েছিল, নয়া আবগারি নীতিতে মদের কালোবাজারি কমবে, শায়েস্তা হবে মদ মাফিয়ারা। এর আগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা আগেই আবগারি নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী আবগারি নীতিতে দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত এবং বিভিন্ন ব্যক্তিকে এই আবগারি নীতির মাধ্যমে সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি নিজেও আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • SSC Scam: নিয়োগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’ নেওয়া হতো বিকাশ ভবনে! কুন্তলকে জেরা করে মিলল নানা তথ্য

    SSC Scam: নিয়োগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’ নেওয়া হতো বিকাশ ভবনে! কুন্তলকে জেরা করে মিলল নানা তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির গোটা প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। এবার তাঁর নিজস্ব এজেন্টদেরও সন্ধান মিলল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে খবর, শুধু তাপস মণ্ডল মারফতই নয়, ‘অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী’ নিয়োগে কুন্তলের নিজস্ব এজেন্টদের তথ্যও তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। এ রকম ২২ জনকে তাঁরা চিহ্নিত করেছেন।

    অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’

    ইডি সূত্রে খবর, চাকরির পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’ নেওয়া হতো বিকাশ ভবনে খোদ শিক্ষা দফতরের অফিসে। ইন্টারভিউ নিতেন কুন্তল। তাঁর সঙ্গে হাজির থাকতেন সরকারি কর্তারাও। ইন্টারভিউয়ের নামে কার্যত হতো চাকরি বিক্রির ‘ডিল’। সেই প্রক্রিয়া শেষে এসএসসি অফিস থেকে নিয়োগপত্র হাতে পেতেন অনুত্তীর্ণরা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে বলে দাবি  অফিসারদের। এই ইন্টারভিউতে বসা অফিসারদের তালিকা তৈরি করে ফেলেছে ইডি। শীঘ্রই তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে বলে সূত্রের খবর। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এক নেতার মাধ্যমে পার্থ–কুন্তল পরিচয় ঘটে। সেখান থেকেই কুন্তল চাকরি বিক্রির সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন। নামের তালিকা পাঠাতেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে। কুন্তলের তালিকার প্রার্থীদের অধিকাংশই টেট, নবম–দশম এবং একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দন-যোগ! ‘‘বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়’’, দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতার

    কুন্তলের এজেন্ট

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় কুন্তলের এজেন্টরা চাকরি করিয়ে দেওয়ার নাম করে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলতেন। তার পর সেই টাকা তাঁরা পৌঁছে দিতেন কুন্তলের কাছে। এখনও পর্যন্ত ‘কুন্তলের হয়ে কাজ করা’ ২২ জন এজেন্টের হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের একে একে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার ওই সূত্রের দাবি, চাকরির টাকা মূলত নগদে লেনদেন হয়েছে। হুগলির এক এজেন্ট জিজ্ঞাসাবাদের সময় ইডিকে জানিয়েছেন, কুন্তলকে তিনি ৩ কোটি ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যে কুন্তলের একাধিক এজেন্ট ছিলেন, সে ব্যাপারেও এক প্রকার নিশ্চিত ইডির আধিকারিকেরা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কুন্তলের হয়ে কাজ করা ৯ জন এজেন্টকে তলব করা হয়েছে। বয়ান নেওয়া হচ্ছে তাঁদের। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮ কোটি টাকার হিসাবের হদিস মিলেছে খবর তদন্তকারীদের সূত্রে। তদন্ত যত এগোবে, টাকার অঙ্ক আরও বাড়তে থাকবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। কুন্তলের অবশ্য দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: মাইনে এক হাজার, অথচ ব্যাঙ্কে ১৫ লক্ষ! অনুব্রতর পরিচারকের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ!

    Anubrata Mondal: মাইনে এক হাজার, অথচ ব্যাঙ্কে ১৫ লক্ষ! অনুব্রতর পরিচারকের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলার তদন্তে নেমে বীরভূমের সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে তিনশোর বেশি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছিল সিবিআই। গরুপাচারের কালো টাকা সাদা করার কাজে ব্যবহার করা হতো ওই অ্যাকাউন্টগুলি। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়েই এবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) পরিচারকের ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)।

    টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন

    সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনুব্রতর ওই পরিচারকের নাম বিজয় রজক। তাঁর অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা রয়েছে। কিন্তু এই টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তদন্তকারী আধিকারিকদের মনে। ওই টাকার উৎস কী? কিভাবে এল তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। 

    সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর পরিচারক হিসেবে মাসে মাত্র কয়েক হাজার টাকা আয় হলেও ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। এমন কি, এখনও ওই অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা রয়েছে৷ গরুপাচারের টাকাই এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কারা কারা এই টাকা নিতেন এবং কোথায় সেই টাকা গুলি যেত সেটাকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তদন্তকারীদের অনুমান পরিচারকের পরিচয়পত্র দিয়ে এই অ্যাকাউন্ট খুলে গরু পাচারের টাকা কেষ্টর নির্দেশেই লেনদেন করা হত। এত টাকার লেনদেন রজতের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বলে মনে করছে সিবিআই। ওই অ্যাকাউন্ট থেকে যাতে কোনও টাকা তোলা না যায় বা অন্যত্র সরানো না যায়, বীরভূমের সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে সেই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷

    আরও পড়ুুন: পনির ছাড়াই, বাটার মশালা! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ফের সিবিআইকে তোপ আদালতের

    এর আগে একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন  যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এই অ্যাকাউন্ট গুলো খোলা হয়েছিল। যাঁদের নামে অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে তাঁরা কেউ জানেন না তাঁদের নামে রয়েছে অ্যাকাউন্ট। পঞ্চায়েত অফিসে আধার কার্ড জমা দিয়েছিলেন তাঁরা। সেই আধারকার্ড দেখিয়েই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয় বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Tollywood: কয়লা পাচারের টাকায় সিনেমা! ইডি-র নজরে টলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী

    Tollywood: কয়লা পাচারের টাকায় সিনেমা! ইডি-র নজরে টলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারের (Coal Scam) কালো টাকা সাদা করতে লগ্নি করা হয়েছিল রিয়েল এস্টেটে। ওই টাকার খোঁজে বালিগঞ্জের একটি নির্মাণ সংস্থার দফতরে বুধবার তল্লাশিও চালিয়েছে ইডি। উদ্ধার করা হয়েছিল ১.৪০ কোটি টাকা। তলব করা হয় ওই সংস্থার ডিরেক্টরকে। ওই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই এবার ইডির (ED) হাতে এল নয়া তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচারের কালো টাকা সাদা করতে কেবল রিয়েল এস্টেটেই বিনিয়োগ করা হয়নি, ওই টাকা লগ্নি করা হয়েছে সিনে-দুনিয়ায় (Tollywood)।

    কালো টাকা…

    জানা গিয়েছে, কয়লা পাচারের টাকায় টলিউডে দুটি সিনেমা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে একটি মুক্তি পেলেও, অন্যটি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। ওই ঘটনায় টলিউডের বেশ কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন টলিউডের দুই অভিনেত্রীও। অতীতে এঁরা বঙ্গ রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচারের টাকা সাদা করতে সিনেমার পাশাপাশি মিউজিক ভিডিও তৈরিতেও লগ্নি করা হয়েছিল।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, কয়লা পাচারকাণ্ডে আরও দুই অভিনেত্রী (Tollywood) সম্পর্কে তথ্য এসেছে তাঁদের কাছে। গত কয়েক বছর ধরে এঁরাও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এক অভিনেতার নামও উঠে এসেছে। কয়লা পাচারের টাকায় এই অভিনেতা সিনেমা করেছেন। রাজনীতির অলিন্দে তাঁর অবস্থানও ভাল। ওই তালিকায় রয়েছেন মন্ত্রীর এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ও। সিনে দুনিয়ায় অনায়াস যাতায়াত রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার ওই প্রভাবশালীর। ইডি সূত্রে খবর, কেবল এই অভিনেতা, অভিনেত্রী নন, একটি প্রযোজক সংস্থার নামও উঠে এসেছে। ইডি সূত্রে খবর, যে নামগুলি উঠে এসেছে, তাঁদের সম্বন্ধে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

    আরও পড়ুুন: একশো দিনের কাজে ‘পুকুর চুরি’! মৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে মজুরি!

    এসবের পাশাপাশি ইডির নজরে রয়েছে শরৎ বোস রোডে চক্রবেড়িয়ার কাছের একটি গেস্ট হাউসও। অভিযোগ, কয়লা পাচারের টাকায় ওই গেস্ট হাউসটি কেনা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই কলকাতার দুই ব্যবসায়ীকে দিল্লির ইডির সদর দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ও প্রাপ্ত নথি সূত্রে ইডির দাবি, কালো টাকা সাদা করতেই বাংলা সিনেমায় বিনিয়োগ করা হয়েছে পাচারের টাকা। দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে একজন বাংলা ছবিতে টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলেও দাবি ইডির আধিকারিকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Chattisgarh: সাত সকালে ছত্তিশগড়ের ১৪ জায়গায় ইডি-র হানা, কেন জানেন?

    Chattisgarh: সাত সকালে ছত্তিশগড়ের ১৪ জায়গায় ইডি-র হানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত সকালে ইডি-র (ED) হানা ছত্তিশগড়ে (Chattisgarh)। কয়লায় (Coal) শুল্ক সংক্রান্ত দুর্নীতিতে সোমবার রাজ্যের ১৪টি জায়গায় চলছে তল্লাশি। কংগ্রেসের একাধিক নেতা-মন্ত্রী ও তাঁদের সচিবদের অফিসেও সকাল থেকে চলছে তল্লাশি। মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের (Congress) ভূপেশ বাঘেল ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর বাড়িতেও চলছে ইডির তল্লাশি। সম্প্রতি ছত্তিশগড়ে কয়লার ওপর শুল্ক সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ, রাজ্যে আমদানি করা কয়লার ওপর বেআইনিভাবে টন প্রতি ২৫ টাকা করে শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল।

    ইডি সূত্রে খবর…

    ইডি সূত্রে খবর, শুধু ২০২১ সালেই সব মিলিয়ে মোট ৫৪০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা এবং আমলা এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত। এই মামলার তদন্তেই চলছে ইডির আভিযান। দুর্নীতির ওই টাকা কংগ্রেসের পার্টি ফান্ডে খরচ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। একাধিক বিধায়ক এবং আমলাও ব্যক্তিগতভাবে ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই টাকা কোথায় জমা রাখা হয়েছে কিংবা কীভাবে খরচ করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে ইডি।

    জানা গিয়েছে, প্রদেশ কংগ্রেস (Chattisgarh) কমিটির কোষাধ্যক্ষ রামগোপাল আগরওয়াল, শ্রমকল্যাণ বোর্ডের সভাপতি সুশীল সানি আগরওয়াল, বিধায়ক দেবেন্দ্র যাদব, বিনোদ তিওয়ারি, কংগ্রেস মিডিয়ার মুখপাত্র আরপি সিং প্রমুখের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। কংগ্রসের এই নেতাদের বাড়িতে গিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও খতিয়ে দেখেন ইডি আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যে বেশ কয়েকবার ইডি অভিযান চালালেও, এই প্রথম সরাসরি কংগ্রেস নেতাদের বাড়িতে হানা দিল ইডি। গত মাসেও ছত্তিশগড়ে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। সেবার তল্লাশি চালানো হয় একজন আইএএস অফিসারের বাড়িতেও।

    আরও পড়ুুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য খরচ কোটি কোটি টাকা, উৎস কী’, প্রশ্ন শুভেন্দুর

    ২০২২ সালের অক্টোবর মাসেও ছত্তিশগড়ের কয়েকজন শীর্ষ নেতা, ব্যবসায়ী ও আমলার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। মোট ৪০টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৪ কোটি টাকা, বিভিন্ন দামী সামগ্রী যার বাজারমূল্য কোটি টাকা এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তদন্তকারীরা। ছত্তিশগড়ের (Chattisgarh) মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বলেন, আজ ইডি ছত্তিশগড় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কোষাধ্যক্ষ, দলের প্রাক্তন সহ সভাপতি এবং একজন বিধায়ক সহ দলের অনেক সহকর্মীর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sukesh Chandrashekhar: আর্থিক প্রতারণা মামলায় ফের গ্রেফতার সুকেশ চন্দ্রশেখর, এবার ইডি হেফাজতে

    Sukesh Chandrashekhar: আর্থিক প্রতারণা মামলায় ফের গ্রেফতার সুকেশ চন্দ্রশেখর, এবার ইডি হেফাজতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক প্রতারণা মামলায় (Money Llaundering Case) ফের গ্রেফতার সুকেশ চন্দ্রশেখর (Sukesh Chandrashekhar)। জালিয়াতির অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই জেলে বন্দি রয়েছেন সুকেশ। অন্য একটি মামলায় তাঁকে আবারও গ্রেফতার করে ইডি। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে সুকেশকে। জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও আইনমন্ত্রকের সচিবের পরিচয় দিয়ে রেলিগেয়ার সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত প্রোমোটার মলবিন্দর সিংয়ের স্ত্রীর সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করার একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল সুকেশের বিরুদ্ধে। প্রতারণা করা হয়েছিল ৪ কোটি টাকা। সেই মামলায় নতুন করে গ্রেফতার করা হয় সুকেশকে।

    জেলবন্দি সুকেশ…

    জেলবন্দি সুকেশকে (Sukesh Chandrashekhar) হেফাজতে চেয়ে বৃহস্পতিবার আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। দিল্লির স্থানীয় আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক শৈলেন্দ্র মালিক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। তার জেরে এদিন আদালতে তোলা হয় সুকেশকে। ৯ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক। যদিও ইডি চেয়েছিল ১৪ দিনের হেফাজত। সুকেশের আইনজীবী অনন্ত মালিক আদালতে বলেন, যে অভিযোগে সুকেশকে আদালতে চাইছে ইডি, সেটি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ঘটনা। এতদিন পর সেই মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের কোনও অর্থই নেই। যদিও আদালত তাতে কর্ণপাত করেনি।

    আরও পড়ুুন: তিনদিন পর বিবিসির অফিস ছাড়লেন আয়কর আধিকারিকরা! কী মিলল দফতর থেকে?

    সুকেশের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার মামলা এই প্রথম নয়। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়েছিল। এটি সুকেশের বিরুদ্ধে তৃতীয় আর্থিক প্রতারণার মামলা। ওই দুটি মামলার একটিতে সুকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মলবিন্দরের ভ্রাতৃবধূ অদিতি সিংকে ঠকিয়ে ২০০ কোটি টাকা নিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের এক অফিসারকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সুকেশের স্ত্রী লীনা মারিয়া পাল অভিনেত্রী। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে সুকেশের সঙ্গে সঙ্গে তাঁকেও গ্রেফতার করেছিল ইডি। সুকেশের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় বলিউডের বেশ কয়েকজন অভিনেতা এবং মডেলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। ২০২১ সালের মামলায় জেরা করা হয় তাঁদের। ওই মামলায় যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ছিলেন নোরা ফতেহি-ও।

    জানা গিয়েছে, নিজেকে সরকারি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে মাত্র ১৭ বছর বয়স থেকেই প্রতারণা করতে শুরু করেছিল সুকেশ (Sukesh Chandrashekhar)। ২০০৭ সালে তার বয়স যখন ১৮, তখনও বেঙ্গালুরু ডেভেলপমেন্ট অথরিটিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছিল সে। ওই বছরই প্রথম গ্রেফতার করা হয় সুকেশকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share