Tag: ED

ED

  • Anubrata Mondal: সাত দিনের পুলিশি হেফাজত অনুব্রতর, আটকে গেল দিল্লি যাত্রা, বৈঠকে ইডি

    Anubrata Mondal: সাত দিনের পুলিশি হেফাজত অনুব্রতর, আটকে গেল দিল্লি যাত্রা, বৈঠকে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত দিনের পুলিশি হেফাজত তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। আপাতত তাঁর ঠাঁই হয়েছে দুবরাজপুর থানায়। তার জেরে এখনই দিল্লি নিয়ে যাওয়া সম্ভব হল না অনুব্রতকে। হাই প্রোফাইল বন্দি অনুব্রতকে রাখার জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে থানা চত্বরে। অনুব্রতর নিরাপত্তায় যাতে কোনও খামতি না হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য মঙ্গলবার আদালতে আর্জি জানান সরকারি আইনজীবী। ইতিমধ্যেই অনুব্রতকে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দুবরাজপুর থানায়।

    গরু পাচার মামলা…

    গরু পাচার মামলায় তদন্ত করছে ইডি (ED)। সোমবারই ওই মামলায় অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পেয়েছে ইডি। এ বিষয়ে শনিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে শুনানি হয়েছিল। অনুব্রতকে দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালতের কাছে অনুমতি চেয়েছিল ইডি। সোমবার আদালত সেই রায় ঘোষণা করে জানায়, প্রয়োজনে অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।

    আরও পড়ুন: ফের একবার প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে পারেন মমতা, কেন জানেন?

    দিল্লির আদালতের সেই নির্দেশের কপি ইডির হাতে আসার আগে মঙ্গলবার সকালে আসানসোল জেল থেকে বের করে অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দুবরাজপুর আদালতে পেশ করে পুলিশ। তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডল তাঁর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল পার্টি অফিসে তাঁকে গলা টিপে মারার চেষ্টা করা হয়। তিনি অন্য দলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন বলেই এটা করা হয়েছিল। অনুব্রতর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। পুলিশ ১৪ দিনের জন্য অনুব্রতকে হেফাজতে চাইলেও, সাত দিনের জন্য তাঁকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। দুবরাজপুর আদালতের বিচারক অনুব্রতকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ায় তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়ল ইডি। সূত্রের খবর, এমতাবস্থায় কী করা যায়, তা নিয়ে বৈঠকে বসছে ইডি।

    অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা রুখতেই পুলিশের এই তৎপরতা বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এদিন আদালতের তোলা হলে অনুব্রতর জামিনের জন্য কেউ আবেদন করেননি। আইনজীবীদের একাংশও মনে করছেন, পুলিশের এই অতি সক্রিয়তার বিষয়টি উচ্চ আদালতও ভবিষ্যতে ভালভাবে নেবে না। আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা সবাই জানি যে রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট অনুব্রত মণ্ডলকে নির্দেশ দিয়েছে। হয়তো সাতদিন পুলিশ হেফাজত পাওয়ার জন্য ইডি ওঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারল না। কিন্তু পরে এই বিষয়টিই না ওঁর কাল হয়ে দাঁড়ায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি রাউস অ্যাভেনিউ আদালতের

    Anubrata Mondal: অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি রাউস অ্যাভেনিউ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে ধাক্কা খেলেন কেষ্ট মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অনুব্রতকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পেল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। সোমবার এমনই নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। অনুব্রতর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বল। তবে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত সবপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর এদিন অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে  গিয়ে জেরা করার অনুমতি দিয়েছে। রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন অনুব্রত। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।

    এবার ঠিকানা তিহার জেল? 

    এদিকে হাইকোর্টেও জোর ধাক্কা খেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরুপাচার মামলায় ইডির আবেদনকেই মান্যতা দেয় আদালত। অনুব্রতর আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। আদালত সাফ জানায়, ইডির জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হবে অনুব্রতকে। সিবিআই আসানসোল আদালতের ১১ নভেম্বরের নির্দেশই বহাল রাখল হাইকোর্ট।  

    তাহলে কী সায়গলের মতো অনুব্রতরও ঠিকানা হবে না তিহার জেল? কবে কেষ্টকে নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লি? এখন এই প্রশ্নেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। জেলের নিয়ম অনুযায়ী বিকেল ৫টায় ‘লাস্ট কাউন্টিং’ হয়। এরপর কাউকে জেল থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া যাবে না। ফলে আজ অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। কিছুটা সময় পেলে মঙ্গলবারের মধ্যে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে দিল্লি যাওয়া আটকানোর মরিয়া চেষ্টা করতে পারেন অনুব্রত। 

    আরও পড়ুন: ‘‘মেসির জন্য এই বিশ্বকাপ দরকার ছিল’’, বললেন আদ্যান্ত মারাদোনা-ভক্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    ১১ অগাস্ট তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার পর ৫ দিন সিবিআইয়ের হেফাজতে ছিলেন তিনি। এর পর থেকে প্রায় ১০০ দিন পেরিয়ে গেলেও মেলেনি জামিন। এর মাঝে আসানসোন জেলে থাকাকালীনই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    গত ১৭ নভেম্বর অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) আসানসোলের সংশোধনাগার থেকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করে ইডি। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চেয়ে দিল্লির বিশেষ আদালতে আর্জিও জানায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে ইডির এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন অনুব্রত। সেই আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Anubrata Mondal: সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! অনুব্রতর হয়ে মামলার খরচ চালাচ্ছে কে? তদন্তে ইডি

    Anubrata Mondal: সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! অনুব্রতর হয়ে মামলার খরচ চালাচ্ছে কে? তদন্তে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে চার মাস হল জেলে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই সময়ে  ইডি ও সিবিআই তাঁর অগাধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। ফ্রিজ করা হয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও। তাহলে অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে আইনি লড়াইয়ে নামজাদা সব আইনজীবীর খরচের জোগান আসছে কোথা থেকে? এবার সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করল  সিবিআই ও ইডির তদন্তকারীরা।

    অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ

    হাজতবাসের চার মাসে আসানসোল ও কলকাতার বিভিন্ন আদালতে হাজিরার পর্বে অনুব্রত দাবি করে এসেছেন, ‘আমি নির্দোষ। আমার আয়ও তেমন নয়!’ বিরোধীদের দাবি, যাঁর ‘আয় তেমন নয়’, আদালতে তাঁর হয়ে মামলা লড়ছেন সেই সব প্রথিতযশা আইনজীবী, যাঁদের মধ্যে কারও কারও এক দিনের ‘অ্যাপিয়ারেন্স ফিজ়’ বা হাজিরা বাবদ পারিশ্রমিক ৩৫ লক্ষ টাকা! অনুব্রত ওরফে কেষ্টর হয়ে আইনি লড়াইয়ের এই বিপুল ‘ব্যয়ভার’ তা হলে কে বা কারা সামাল দিচ্ছেন? সেই সন্ধান অনিবার্য হয়ে পড়েছে ইডি-র কাছে। কেষ্ট-কন্যা সুকন্যাও রয়েছেন সিবিআইয়ের আতশ কাচের তলায়। তাঁরও সব ব্যাঙ্ক আ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কী ভাবে মামলার বিপুল খরচের জোগান আসছে, প্রশ্ন তুলছেন তদন্তকারীরা।

    অনুব্রতর হয়ে সওয়াল করা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কপিল সিব্বলের এক দিনের হাজিরার পারিশ্রমিক প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। সেটা দিল্লিতে। আর দিল্লির বাইরে কোথাও সওয়াল করতে গেলে খরচ পড়ে ৩০ লক্ষেরও বেশি। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, ‘‘ওই সব আইনজীবী তো নিখরচায় অনুব্রতের হয়ে লড়াই করছেন না। তা হলে খরচটা জোগাচ্ছে কে?’’ আইনজীবী মহল জানাচ্ছে, অনুব্রতের হয়ে সওয়াল করা অন্য এক কৌঁসুলিও দৈনিক হাজিরায় প্রায় দেড় লক্ষ টাকা নিচ্ছেন। সেই খরচই  বা আসছে কোথা থেকে?

    আরও পড়ুন: “লজ্জাজনক… সব নিয়োগ বাতিল করে দেব”, অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জেরার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে ইডি জেরা করবে কি না, সেই সংক্রান্ত মামলা চলবে নিম্ন আদালতেই অর্থাৎ দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টে। বৃহস্পতিবার এই মামলায় এমনই জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ জানুয়ারি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: ভিন রাজ্য অনুব্রতের সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি! জানেন কোথায় কোথায় জমি?

    Anubrata Mondal: ভিন রাজ্য অনুব্রতের সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি! জানেন কোথায় কোথায় জমি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিন রাজ্যে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেল ইডির তদন্তকারীরা। গরু পাচারকাণ্ডে তদন্তে নেমে শুধু বীরভূম নয়, দেশের নানা প্রান্তে অনুব্রত এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    কোথায় কোথায় মিলল সম্পত্তি

    ইতিমধ্যেই অনুব্রতের নামে শান্তিনিকেতনে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। খুবই কম দামে এই সব জমি নিজের নামে করেছিলেন কেষ্ট। এবার রাজ্য পেরিয়ে ভিন রাজ্যে ইডির তল্লাশি শুরু  হয়েছে। ইডি জানতে পেরেছে, ভিনরাজ্যেও বিপুল সম্পত্তি রয়েছে অনুব্রতর। তদন্তকারীদের অনুমান, বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশেও বিপুল সম্পত্তি আছে তৃণূমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির। 

    ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবই ইতিমধ্যেই খতিয়ে দেখা হয়েছে। এছাড়া অনুব্রতর আত্মীয়দেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেখান থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান, ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশে বিনিয়োগ রয়েছে অনুব্রতর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তদন্তকারী আধিকারিক দাবি করেছেন, ঝাড়খণ্ড ও বিহারে হাওয়ালার মাধ্যমে পাথরখাদানে টাকা বিনিয়োগ করেছেন অনুব্রত। তাছাড়া উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডে ফ্ল্যাট, জমি কিনেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ওএমআর শিটে কারচুপির প্রচুর প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে, রিপোর্ট পেশ হাইকোর্টে

    অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে নয়া তদন্ত শুরু করেছে ইডি। তৃণমূল নেতা কতজনকে স্কুল ও বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। এমনকী তাঁদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে কেষ্ট আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন কি না সেটা জানতে তদন্ত করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, মেধা তালিকায় নাম নেই, অথচ চাকরি পেয়েছেন, এমন বেশ কয়েকজন প্রার্থীর তালিকা ইডি’‌র হাতে এসেছে।কেষ্টর বিরুদ্ধে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছেন ইডির গোয়েন্দারা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অনুব্রত ঘনিষ্ট একাধিক জনকে দিল্লিতে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই ভিনরাজ্যে কেষ্টর লগ্নি সংক্রান্ত তথ্য পেয়েছে ইডি। বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন গরুপাচার কাণ্ডে তদন্তকারী ইডি আধিকারিকেরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Manik Bhattacharya: দুর্নীতির টাকা গেল কোথায়? মানিকের ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির

    Manik Bhattacharya: দুর্নীতির টাকা গেল কোথায়? মানিকের ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকার খোঁজে তদন্ত চালিয়ে মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৭ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। মানিকের স্ত্রী, পুত্র-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে বুধবারই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট বা প্রসিকিউশন কমপ্লেন জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বৃহস্পতিবার ইডির তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৬১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ব্যাঙ্ক ব্যালান্স এবং মিউচুয়াল ফান্ড মিলিয়ে এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডির দাবি, এই ৬১টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির টাকার লেনদেন হয়েছে। যদিও মানিক তাঁর আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন, ওই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগই নেই।

    আরও পড়ুন: পরিষেবা ভাল নয়, তাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান না খোদ মুখ্যমন্ত্রী! 

    ইডির অভিযোগ, ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে টেট দুর্নীতির টাকা সরানো হয়েছে। এছাড়া শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ফিক্সড ডিপোজিটের মাধ‌্যমেও টাকা সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও ইডির নজরে রয়েছে মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর ছেলে শৌভিকের নামে থাকা স্থাবর সম্পত্তি। কোন টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল এই সম্পত্তি, এখন তাই খতিয়ে দেখছে ইডি। ইডির তথ্য অনুযায়ী, মানিক ও তাঁর ছেলের নামে দু’টি আমবাগান রয়েছে। তাছাড়া নদিয়ার কালীগঞ্জ থানা এলাকার মঘড়াইক্ষেত্র গ্রামে মানিকের (Manik Bhattacharya) পরিবারের দশ একর জমি আছে। 

    ইডির নজরে মানিকের সম্পত্তি 

    ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) ছেলের নামে কালীগঞ্জে এক বিঘা আমবাগান কেনা হয়েছিল। সেই বাগান মাত্র দেড় লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছিল। পরে সেই গ্রামেই আরও ৩৬ ছটাক আমবাগান কিনেছিলেন মানিকপুত্র শৌভিক ভট্টাচার্য। সেই জমি কেনা হয় ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে। এছাড়াও যাদবপুরে ৬৫০ বর্গফুটের ফ্ল‌্যাট রয়েছে মানিকের। সেই ফ্ল্যাট কেনার জন্য বিমা সংস্থার থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। তাছাড়া যাদবপুরের সেন্ট্রাল রোডে আরও এক ফ্ল্যাট রয়েছে মানিকের। সেটা দেড় হাজার বর্গফুটের। ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা হয় সেই ফ্ল্যাট। এর জন্যেও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ফ্ল্যাটগুলির ডাউন পেমেন্টের টাকা কোথা থেকে এল? এখন সেটাই ভাবাচ্ছে ইডি গোয়েন্দাদের।

    ইডির তরফ থেকে একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে। ইডির দাবি, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিকের সক্রিয় ভূমিকা তো ছিলই। পাশাপাশি বিএড ও ডিএলএড কলেজগুলিকে অনুমোদন ও ছাড়পত্র পাইয়ে দেওয়ার নামেও টাকা তুলতেন মানিক ও পার্থ। গোয়েন্দাদের আরও দাবি, মানিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁদের বন্ধু ও পরিজনদের নামেও অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছিলেন। যাতে সহজেই দুর্নীতির টাকা লোপাট করা যায়। মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য এবং মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তির নামে খোলা হয়েছিল এরকমই অ্যাকাউন্ট। তাতেও টাকা পাচার করা হয়েছিল বলে দাবি ইডির। মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য ২০১৬ সালে মারা যাওয়ার পরেও তাঁর নামের অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Manik Bhattacharya: কলেজের অনুমোদন দিতে পার্থ-মানিক নিতেন কত টাকা জানেন? কী বলল ইডি?

    Manik Bhattacharya: কলেজের অনুমোদন দিতে পার্থ-মানিক নিতেন কত টাকা জানেন? কী বলল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএড কলেজের (BED College) অনুমোদন দিতে টাকা নিতেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। এই তথ্য আগেই প্রকাশ্যে এনেছে ইডি। এবার কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা প্রকাশ্যে নিয়ে এল আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ইডির দাবি, কেবল মানিক নন, কলেজগুলিকে অনুমোদন পাইয়ে দিতে টাকা নিতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জেরা করেই এই তথ্য হাতে পেয়েছে বলে দাবি ইডির।

    ইডি-র চার্জশিট…

    মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের বয়ানকে অস্ত্র করেই আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। তাতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি ২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত এনসিটিই-র সদস্য ছিলেন মানিক। বিএড, ডিএলএড বা প্রাইমারি টিটার ট্রেনিং কলেজের চূড়ন্ত অনুমোদন পেতে হলে এনসিটিই-র অনুমোদন প্রয়োজন। চার্জশিটে পেশ করা তথ্যে দাবি করা হয়েছে, মানিক এই কাউন্সিলের সদস্যপদে থাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে রাজ্যে এই ধরনের বহু প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন পাইয়ে দিয়েছেন টাকার বিনিময়ে। সেই টাকার পরিমাণ নেহাত কম নয়। অনুমোদন পাইয়ে দিতে পার্থ নিতেন ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। আর মানিক নিতেন ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।

    ইডি জানিয়েছে, বিএড ও ডিএলএড কলেজগুলির কাছ থেকে মোটা টাকা উৎকোচ নিতেন মানিক (Manik Bhattacharya) ও পার্থ। সব মিলিয়ে এর মোট পরিমাণ ২০ কোটি টাকা বলে আগেই জানিয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের জেরায় তাপস জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে ৩২৫ জন প্রার্থীকে পাশ করিয়ে দেওয়া ও চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার জন্য ‘ঘোষবাবু’ নামে পার্থ ও মানিকের কোনও এক প্রতিনিধিকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। প্রাইমারি টেটের যেসব প্রার্থী ওই টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন শিক্ষকতা করছেন। 

    আরও পড়ুন: “তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার”, বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বুধবার কলকাতার পিএমএলএ আদালতে মানিক (Manik Bhattacharya), তাঁর ছেলে সৌভিক ও মানিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। চার্জশিটে নথিভুক্ত হয়েছে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যের বয়ানও। ওই চার্জশিটে উঠে এসেছে কলকাতায় থাকা মানিকের কয়েকজন আত্মীয়ের বয়ানও। তাঁদের দাবি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাদা কাগজে এবং কিছু ব্যাঙ্কের নথিপত্রে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কার নামে কী ধরনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, সে বিষয়ে কখনওই কিছু জানানো হয়নি তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Anubrata Mondal: বিপাকে অনুব্রত! তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজের আবেদনের শুনানি পিছোল

    Anubrata Mondal: বিপাকে অনুব্রত! তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজের আবেদনের শুনানি পিছোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)বিরুদ্ধে করা এফআইআর খারিজের মামলা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)- মামলা করেছিলেন। সেই মামলা খারিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। দ্রুত শুনানির আর্জিও জানান কেষ্ট। কিন্তু সেই মামলার প্রতিলিপি এখনও হাতে পায়নি তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার উচ্চ আদালতে মামলার শুনানিতে এমনই জানাল ইডি। তাই, নিজেদের অবস্থান জানাতে আরও কিছুটা সময় চাইল তদন্তকারী সংস্থা। তার ভিত্তিতে আগামী ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ২টোয় মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।

    আদালতে সওয়াল

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর করা মামলায় জামিনের আবেদন নিয়েও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই মামলাটিরও শুনানি রয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। দুই মামলাতেই তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল। আগামী দিনে অনুব্রত মণ্ডলের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে এই দুই মামলার উপর। ইডির করা এফআইআর খারিজের মামলা রয়েছে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে। অন্যদিকে সিবিআই-এর করা মামলায় জামিনের আর্জির শুনানি রয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির এজলাসে।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে তৎপর ইডি। তা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টেও মামলা চলছে। তার মধ্যেই উচ্চ আদালতে ইডির মামলা খারিজের আর্জি জানান অনুব্রত। সেই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিজেদের অবস্থান জানাতে বলেছিল উচ্চ আদালত। তখনই আদালতের কাছে সময় চেয়ে নেন ইডির আইনজীবী। সেইমতোই এদিন ইডিকে কিছুটা সময় দিল আদালত। গরুপাচার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে সিবিআই। কিন্তু অনুব্রতর আইনজীবীদের দাবি, টাকা নেওয়ার প্রমাণ এখনও পেশ করতে পারেনি সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Manik Bhattacharya: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে ইডি-র চার্জশিট আগামী সপ্তাহেই?

    Manik Bhattacharya: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে ইডি-র চার্জশিট আগামী সপ্তাহেই?

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই এই মামলায় চার্জশিট পেশ করতে পারে ইডি। থাকতে পারে মানিকের নাম। কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ সিবিআই আদালতে চার্জশিট জমা পড়বে বলে জানা গিয়েছে। গত ১০ অক্টোবর মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। গ্রেফতারের ৬০ দিনের মধ্যেই জমা দেওয়া হবে চার্জশিট। 

    শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীর অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। সিবিআইকে এই মামলায় তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মানিককেই (Manik Bhattacharya) এই দুর্নীতির মাথা বলে দাবি করেছেন ইডি গোয়েন্দারা।

    মানিকের বিরুদ্ধে কী প্রমাণ রয়েছে?  

    মানিকের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতির প্রমাণ হাতে এসেছে বলে আদালতে দাবি করেছে ইডি। এই দুর্নীতিতে জড়িত আছে তাঁর ছেলেও বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। মানিকের ছেলের দুই সংস্থাতেও দুর্নীতি থেকে পাওয়া টাকা ঢুকেছে। আর এই সমস্ত তথ্য উল্লেখ করা থাকতে পারে পরবর্তী চার্জশিটে। এই দুর্নীতির টাকা মানিক কোথায় সরিয়েছেন, তারও উল্লেখ থাকতে পারে বলেই সূত্রের দাবি। 

    টাকা পাচারের মামলা হওয়ায় প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-এ মানিকের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবে ইডি। দুর্নীতির টাকা পাচারে মানিক ছাড়া আর কার কার নাম উঠে আসতে পারে তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদনেই মানিক প্রায় এক দশক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই মুহুর্তের ঠিকানা হাজত। মানিকের মামলাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম আসবে কী না তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

    আরও পড়ুন: এসএসসি-তে ২১ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ হাজার ওএমআর শিটে বিকৃতি! আদালতে দাবি সিটের  
     
    ইডি সূত্রের দাবি, পার্থ-মানিক (Manik Bhattacharya) যোগসাজশের বেশ কিছু প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে। দু’জনের পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও খতিয়ে দেখা হয়েছে। মানিকের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যের ব্যাংকে- লেনদেন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ইডি। কোনও কাজ না-করিয়েও কেন বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ থেকে সৌভিকের সংস্থার অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল তার খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। সেই লেনদেনেও দুর্নীতির আঁচ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডি-র, জানেন কী?

    Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডি-র, জানেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডির (ED)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বেসরকারি কলেজগুলিকে ‘নো অবজেকশন’ কিংবা অনুমোদন দেওয়ার জন্যও টাকা নেওয়া হত। ইডির দাবি, কলেজ পিছু ১০ থেকে ১২ লক্ষ করে টাকা নেওয়া হত। কোনও কোনও ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক ছুঁয়েছে ১৫ লক্ষ পর্যন্ত।

    ইডির দাবি…

    প্রাইভেট ট্রেনিং কলেজের পর প্রাইভেট ল’ কলেজ ও ফার্মাসি কলেজ অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রেই নেওয়া হয়েছে ওই পরিমাণ টাকা। ইডির একটি সূত্রের খবর, কলেজ পিছু আসা টাকা ভাগ হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে।   ইডির আরও দাবি, অনুমোদনের ক্ষেত্রে একটি ল’ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবেও প্রভাব খাটিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। প্রসঙ্গত, কোনও বেসরকারি ল’ কলেজ বা ফার্মাসি কলেজ খোলার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় শিক্ষা দফতরের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই বিষয়টিই মাথায় রেখে কাজ করে গিয়েছে পার্থ-মানিক জুটি। জানা গিয়েছে, যখন টাকার বিনিময়ে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হত, তখন তা দেওয়ার জন্য পার্থকে (Partha Chatterjee) সুপারিশ করতেন মানিক। কেবল তাই নয়, মধ্যস্থতাকারীর উপস্থিতির খোঁজও মিলেছে। ইডির দাবি, প্রসন্ন রায়ের মতো মধ্যস্থতাকারী ছিলেন। তিনি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ। সেই মধ্যস্থতাকারীকে চিহ্নিত করে তলব করা হতে পারে বলেও ইডি সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই সেই সব কলেজ চিহ্নিতকরণের কাজও শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি

     এদিকে, এখনও পর্যন্ত ২৫টি প্রাইভেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মালিককে ডেকে বয়ান রেকর্ড করেছে ইডি। তাতে অফ লাইনে রেজিস্ট্রেশনে ঘুষের তথ্য প্রমাণ হাতে এসেছে বলেও দাবি ইডির। প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায়ও মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। মানিকের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অবশ্য এই প্রথম নয়। মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, যাঁরা ডিএলএড প্রশিক্ষণ নিতে চাইতেন, তাঁদের থেকে নিয়মিত টাকা নেওয়া হত। যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কলেজে নাম নথিভুক্ত করতে পারতেন না, তাঁদের অফলাইনে নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করে দিতেন মানিক। তাপসের দাবি, এভাবে অন্তত ২০ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Partha Chatterjee: মিলল না জামিন, ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই পার্থ-অর্পিতা

    Partha Chatterjee: মিলল না জামিন, ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই পার্থ-অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  নিয়োগ দুর্নীতি ও আর্থিক তছরূপের মামলায় জামিন পেলেন না রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে বুধবার ফের পিএমএলএ আদালতে (PMLA Court) পেশ করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee)। এদিনও ভার্চুয়ালি পেশ করা হয় তাঁদের। কিন্তু জামিন পেলেন না প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    এদিন পার্থর আইনজীবীর তরফে জামিনের আবেদনই করা হয়নি। পার্থর হয়ে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী সেলিম রহমান ও সুকন্যা ভট্টাচার্য। তাঁরা বলেন, ‘কোর্ট অর্ডার অনুযায়ী আমাদের উদ্ধার হওয়া নথির স্ক্যান কপির একটি সিডি দেওয়া হয়েছে। সব নথির স্ক্যান কপি দেওয়া হয়নি।’ তাঁরা দাবি করেন, এই গ্রেফতারি অনৈতিক। তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই। একইসঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী এদিন বিচারকের সামনে জানান, চার্জশিট জমা হওয়ার অর্থ এই নয় যে তিনি এই অপরাধে অপরাধী। তাঁরা আর্জি জানান, ইডির আবেদন খারিজ করা হোক। কার্যত একই অভিযোগ করেন অর্পিতার আইনজীবী। ইডি-র আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র বলেন, ‘‘নথির কোন কোন জায়গা অস্পষ্ট, তা জানালে সেই সব অংশ ফের তুলে দেওয়া হবে।’’ইডি-র তরফে দাবি করা হয়, এখনও পর্যন্ত পার্থ ও অর্পিতা এবং তাঁদের আত্মীয়দের প্রায় ১০৩ কোটি টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে। বিচারক শুভেন্দু সাহা শুনানি শেষে পার্থ ও অর্পিতাকে ফের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তাঁদের আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে।

    আরও পড়ুন: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেন

     আদালতে পার্থর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে ইডি। ইডির দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক বেসরকারি ল কলেজ এবং ফার্মা কলেজের অনুমোদন দেওয়ার জন্য কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই কোটি কোটি টাকা কোথায় রাখা হয়েছে তার হদিশ জানতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রাখা জরুরি বলেও দাবি করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে,অনলাইনে পড়ুয়া ভর্তি করতে বেসরকারি বিএড ও ডিইএলএড কলেজ থেকে যেমন কোটি কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল, একই ভাবে টাকা নেওয়া হয় বেসরকারি আইন এবং ফার্মাসি কলেজের ক্ষেত্রেও। দু’টি ক্ষেত্রেই ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযোগের তির রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের দিকে। প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতে ইডি-র মামলায় মানিক এখন জেলে আছেন। তদন্তকারীদের দাবি, তাঁকে জেরা করেই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে এবং মানিকের বয়ান অনুযায়ী তাতে পার্থও জড়িত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share