Tag: ED

ED

  • Manik Bhattacharya: দুর্নীতির টাকা গেল কোথায়? মানিকের ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির

    Manik Bhattacharya: দুর্নীতির টাকা গেল কোথায়? মানিকের ৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকার খোঁজে তদন্ত চালিয়ে মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৭ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। মানিকের স্ত্রী, পুত্র-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে বুধবারই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট বা প্রসিকিউশন কমপ্লেন জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বৃহস্পতিবার ইডির তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ৬১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ব্যাঙ্ক ব্যালান্স এবং মিউচুয়াল ফান্ড মিলিয়ে এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডির দাবি, এই ৬১টি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির টাকার লেনদেন হয়েছে। যদিও মানিক তাঁর আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন, ওই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগই নেই।

    আরও পড়ুন: পরিষেবা ভাল নয়, তাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান না খোদ মুখ্যমন্ত্রী! 

    ইডির অভিযোগ, ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে টেট দুর্নীতির টাকা সরানো হয়েছে। এছাড়া শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ফিক্সড ডিপোজিটের মাধ‌্যমেও টাকা সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গোয়েন্দারা। এছাড়াও ইডির নজরে রয়েছে মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর ছেলে শৌভিকের নামে থাকা স্থাবর সম্পত্তি। কোন টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল এই সম্পত্তি, এখন তাই খতিয়ে দেখছে ইডি। ইডির তথ্য অনুযায়ী, মানিক ও তাঁর ছেলের নামে দু’টি আমবাগান রয়েছে। তাছাড়া নদিয়ার কালীগঞ্জ থানা এলাকার মঘড়াইক্ষেত্র গ্রামে মানিকের (Manik Bhattacharya) পরিবারের দশ একর জমি আছে। 

    ইডির নজরে মানিকের সম্পত্তি 

    ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) ছেলের নামে কালীগঞ্জে এক বিঘা আমবাগান কেনা হয়েছিল। সেই বাগান মাত্র দেড় লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছিল। পরে সেই গ্রামেই আরও ৩৬ ছটাক আমবাগান কিনেছিলেন মানিকপুত্র শৌভিক ভট্টাচার্য। সেই জমি কেনা হয় ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে। এছাড়াও যাদবপুরে ৬৫০ বর্গফুটের ফ্ল‌্যাট রয়েছে মানিকের। সেই ফ্ল্যাট কেনার জন্য বিমা সংস্থার থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। তাছাড়া যাদবপুরের সেন্ট্রাল রোডে আরও এক ফ্ল্যাট রয়েছে মানিকের। সেটা দেড় হাজার বর্গফুটের। ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে কেনা হয় সেই ফ্ল্যাট। এর জন্যেও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ফ্ল্যাটগুলির ডাউন পেমেন্টের টাকা কোথা থেকে এল? এখন সেটাই ভাবাচ্ছে ইডি গোয়েন্দাদের।

    ইডির তরফ থেকে একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে। ইডির দাবি, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিকের সক্রিয় ভূমিকা তো ছিলই। পাশাপাশি বিএড ও ডিএলএড কলেজগুলিকে অনুমোদন ও ছাড়পত্র পাইয়ে দেওয়ার নামেও টাকা তুলতেন মানিক ও পার্থ। গোয়েন্দাদের আরও দাবি, মানিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁদের বন্ধু ও পরিজনদের নামেও অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছিলেন। যাতে সহজেই দুর্নীতির টাকা লোপাট করা যায়। মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য এবং মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তির নামে খোলা হয়েছিল এরকমই অ্যাকাউন্ট। তাতেও টাকা পাচার করা হয়েছিল বলে দাবি ইডির। মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য ২০১৬ সালে মারা যাওয়ার পরেও তাঁর নামের অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Manik Bhattacharya: কলেজের অনুমোদন দিতে পার্থ-মানিক নিতেন কত টাকা জানেন? কী বলল ইডি?

    Manik Bhattacharya: কলেজের অনুমোদন দিতে পার্থ-মানিক নিতেন কত টাকা জানেন? কী বলল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএড কলেজের (BED College) অনুমোদন দিতে টাকা নিতেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। এই তথ্য আগেই প্রকাশ্যে এনেছে ইডি। এবার কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা প্রকাশ্যে নিয়ে এল আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ইডির দাবি, কেবল মানিক নন, কলেজগুলিকে অনুমোদন পাইয়ে দিতে টাকা নিতেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জেরা করেই এই তথ্য হাতে পেয়েছে বলে দাবি ইডির।

    ইডি-র চার্জশিট…

    মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের বয়ানকে অস্ত্র করেই আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। তাতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি ২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত এনসিটিই-র সদস্য ছিলেন মানিক। বিএড, ডিএলএড বা প্রাইমারি টিটার ট্রেনিং কলেজের চূড়ন্ত অনুমোদন পেতে হলে এনসিটিই-র অনুমোদন প্রয়োজন। চার্জশিটে পেশ করা তথ্যে দাবি করা হয়েছে, মানিক এই কাউন্সিলের সদস্যপদে থাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে রাজ্যে এই ধরনের বহু প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন পাইয়ে দিয়েছেন টাকার বিনিময়ে। সেই টাকার পরিমাণ নেহাত কম নয়। অনুমোদন পাইয়ে দিতে পার্থ নিতেন ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। আর মানিক নিতেন ২ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।

    ইডি জানিয়েছে, বিএড ও ডিএলএড কলেজগুলির কাছ থেকে মোটা টাকা উৎকোচ নিতেন মানিক (Manik Bhattacharya) ও পার্থ। সব মিলিয়ে এর মোট পরিমাণ ২০ কোটি টাকা বলে আগেই জানিয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের জেরায় তাপস জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে ৩২৫ জন প্রার্থীকে পাশ করিয়ে দেওয়া ও চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার জন্য ‘ঘোষবাবু’ নামে পার্থ ও মানিকের কোনও এক প্রতিনিধিকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। প্রাইমারি টেটের যেসব প্রার্থী ওই টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন শিক্ষকতা করছেন। 

    আরও পড়ুন: “তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার”, বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বুধবার কলকাতার পিএমএলএ আদালতে মানিক (Manik Bhattacharya), তাঁর ছেলে সৌভিক ও মানিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। চার্জশিটে নথিভুক্ত হয়েছে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্যের বয়ানও। ওই চার্জশিটে উঠে এসেছে কলকাতায় থাকা মানিকের কয়েকজন আত্মীয়ের বয়ানও। তাঁদের দাবি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাদা কাগজে এবং কিছু ব্যাঙ্কের নথিপত্রে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কার নামে কী ধরনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, সে বিষয়ে কখনওই কিছু জানানো হয়নি তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Anubrata Mondal: বিপাকে অনুব্রত! তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজের আবেদনের শুনানি পিছোল

    Anubrata Mondal: বিপাকে অনুব্রত! তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজের আবেদনের শুনানি পিছোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)বিরুদ্ধে করা এফআইআর খারিজের মামলা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)- মামলা করেছিলেন। সেই মামলা খারিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। দ্রুত শুনানির আর্জিও জানান কেষ্ট। কিন্তু সেই মামলার প্রতিলিপি এখনও হাতে পায়নি তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার উচ্চ আদালতে মামলার শুনানিতে এমনই জানাল ইডি। তাই, নিজেদের অবস্থান জানাতে আরও কিছুটা সময় চাইল তদন্তকারী সংস্থা। তার ভিত্তিতে আগামী ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ২টোয় মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।

    আদালতে সওয়াল

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর করা মামলায় জামিনের আবেদন নিয়েও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই মামলাটিরও শুনানি রয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। দুই মামলাতেই তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল। আগামী দিনে অনুব্রত মণ্ডলের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে এই দুই মামলার উপর। ইডির করা এফআইআর খারিজের মামলা রয়েছে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে। অন্যদিকে সিবিআই-এর করা মামলায় জামিনের আর্জির শুনানি রয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির এজলাসে।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে তৎপর ইডি। তা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টেও মামলা চলছে। তার মধ্যেই উচ্চ আদালতে ইডির মামলা খারিজের আর্জি জানান অনুব্রত। সেই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিজেদের অবস্থান জানাতে বলেছিল উচ্চ আদালত। তখনই আদালতের কাছে সময় চেয়ে নেন ইডির আইনজীবী। সেইমতোই এদিন ইডিকে কিছুটা সময় দিল আদালত। গরুপাচার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে সিবিআই। কিন্তু অনুব্রতর আইনজীবীদের দাবি, টাকা নেওয়ার প্রমাণ এখনও পেশ করতে পারেনি সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Manik Bhattacharya: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে ইডি-র চার্জশিট আগামী সপ্তাহেই?

    Manik Bhattacharya: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে ইডি-র চার্জশিট আগামী সপ্তাহেই?

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই এই মামলায় চার্জশিট পেশ করতে পারে ইডি। থাকতে পারে মানিকের নাম। কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ সিবিআই আদালতে চার্জশিট জমা পড়বে বলে জানা গিয়েছে। গত ১০ অক্টোবর মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। গ্রেফতারের ৬০ দিনের মধ্যেই জমা দেওয়া হবে চার্জশিট। 

    শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীর অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। সিবিআইকে এই মামলায় তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মানিককেই (Manik Bhattacharya) এই দুর্নীতির মাথা বলে দাবি করেছেন ইডি গোয়েন্দারা।

    মানিকের বিরুদ্ধে কী প্রমাণ রয়েছে?  

    মানিকের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতির প্রমাণ হাতে এসেছে বলে আদালতে দাবি করেছে ইডি। এই দুর্নীতিতে জড়িত আছে তাঁর ছেলেও বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। মানিকের ছেলের দুই সংস্থাতেও দুর্নীতি থেকে পাওয়া টাকা ঢুকেছে। আর এই সমস্ত তথ্য উল্লেখ করা থাকতে পারে পরবর্তী চার্জশিটে। এই দুর্নীতির টাকা মানিক কোথায় সরিয়েছেন, তারও উল্লেখ থাকতে পারে বলেই সূত্রের দাবি। 

    টাকা পাচারের মামলা হওয়ায় প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-এ মানিকের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবে ইডি। দুর্নীতির টাকা পাচারে মানিক ছাড়া আর কার কার নাম উঠে আসতে পারে তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদনেই মানিক প্রায় এক দশক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই মুহুর্তের ঠিকানা হাজত। মানিকের মামলাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম আসবে কী না তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

    আরও পড়ুন: এসএসসি-তে ২১ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ হাজার ওএমআর শিটে বিকৃতি! আদালতে দাবি সিটের  
     
    ইডি সূত্রের দাবি, পার্থ-মানিক (Manik Bhattacharya) যোগসাজশের বেশ কিছু প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে। দু’জনের পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও খতিয়ে দেখা হয়েছে। মানিকের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যের ব্যাংকে- লেনদেন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ইডি। কোনও কাজ না-করিয়েও কেন বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ থেকে সৌভিকের সংস্থার অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল তার খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। সেই লেনদেনেও দুর্নীতির আঁচ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডি-র, জানেন কী?

    Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডি-র, জানেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডির (ED)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বেসরকারি কলেজগুলিকে ‘নো অবজেকশন’ কিংবা অনুমোদন দেওয়ার জন্যও টাকা নেওয়া হত। ইডির দাবি, কলেজ পিছু ১০ থেকে ১২ লক্ষ করে টাকা নেওয়া হত। কোনও কোনও ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক ছুঁয়েছে ১৫ লক্ষ পর্যন্ত।

    ইডির দাবি…

    প্রাইভেট ট্রেনিং কলেজের পর প্রাইভেট ল’ কলেজ ও ফার্মাসি কলেজ অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রেই নেওয়া হয়েছে ওই পরিমাণ টাকা। ইডির একটি সূত্রের খবর, কলেজ পিছু আসা টাকা ভাগ হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে।   ইডির আরও দাবি, অনুমোদনের ক্ষেত্রে একটি ল’ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবেও প্রভাব খাটিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। প্রসঙ্গত, কোনও বেসরকারি ল’ কলেজ বা ফার্মাসি কলেজ খোলার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় শিক্ষা দফতরের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই বিষয়টিই মাথায় রেখে কাজ করে গিয়েছে পার্থ-মানিক জুটি। জানা গিয়েছে, যখন টাকার বিনিময়ে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হত, তখন তা দেওয়ার জন্য পার্থকে (Partha Chatterjee) সুপারিশ করতেন মানিক। কেবল তাই নয়, মধ্যস্থতাকারীর উপস্থিতির খোঁজও মিলেছে। ইডির দাবি, প্রসন্ন রায়ের মতো মধ্যস্থতাকারী ছিলেন। তিনি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ। সেই মধ্যস্থতাকারীকে চিহ্নিত করে তলব করা হতে পারে বলেও ইডি সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই সেই সব কলেজ চিহ্নিতকরণের কাজও শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি

     এদিকে, এখনও পর্যন্ত ২৫টি প্রাইভেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মালিককে ডেকে বয়ান রেকর্ড করেছে ইডি। তাতে অফ লাইনে রেজিস্ট্রেশনে ঘুষের তথ্য প্রমাণ হাতে এসেছে বলেও দাবি ইডির। প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায়ও মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। মানিকের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অবশ্য এই প্রথম নয়। মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, যাঁরা ডিএলএড প্রশিক্ষণ নিতে চাইতেন, তাঁদের থেকে নিয়মিত টাকা নেওয়া হত। যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কলেজে নাম নথিভুক্ত করতে পারতেন না, তাঁদের অফলাইনে নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করে দিতেন মানিক। তাপসের দাবি, এভাবে অন্তত ২০ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Partha Chatterjee: মিলল না জামিন, ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই পার্থ-অর্পিতা

    Partha Chatterjee: মিলল না জামিন, ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই পার্থ-অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  নিয়োগ দুর্নীতি ও আর্থিক তছরূপের মামলায় জামিন পেলেন না রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে বুধবার ফের পিএমএলএ আদালতে (PMLA Court) পেশ করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee)। এদিনও ভার্চুয়ালি পেশ করা হয় তাঁদের। কিন্তু জামিন পেলেন না প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    এদিন পার্থর আইনজীবীর তরফে জামিনের আবেদনই করা হয়নি। পার্থর হয়ে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী সেলিম রহমান ও সুকন্যা ভট্টাচার্য। তাঁরা বলেন, ‘কোর্ট অর্ডার অনুযায়ী আমাদের উদ্ধার হওয়া নথির স্ক্যান কপির একটি সিডি দেওয়া হয়েছে। সব নথির স্ক্যান কপি দেওয়া হয়নি।’ তাঁরা দাবি করেন, এই গ্রেফতারি অনৈতিক। তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই। একইসঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী এদিন বিচারকের সামনে জানান, চার্জশিট জমা হওয়ার অর্থ এই নয় যে তিনি এই অপরাধে অপরাধী। তাঁরা আর্জি জানান, ইডির আবেদন খারিজ করা হোক। কার্যত একই অভিযোগ করেন অর্পিতার আইনজীবী। ইডি-র আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র বলেন, ‘‘নথির কোন কোন জায়গা অস্পষ্ট, তা জানালে সেই সব অংশ ফের তুলে দেওয়া হবে।’’ইডি-র তরফে দাবি করা হয়, এখনও পর্যন্ত পার্থ ও অর্পিতা এবং তাঁদের আত্মীয়দের প্রায় ১০৩ কোটি টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে। বিচারক শুভেন্দু সাহা শুনানি শেষে পার্থ ও অর্পিতাকে ফের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তাঁদের আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে।

    আরও পড়ুন: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেন

     আদালতে পার্থর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে ইডি। ইডির দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক বেসরকারি ল কলেজ এবং ফার্মা কলেজের অনুমোদন দেওয়ার জন্য কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই কোটি কোটি টাকা কোথায় রাখা হয়েছে তার হদিশ জানতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রাখা জরুরি বলেও দাবি করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে,অনলাইনে পড়ুয়া ভর্তি করতে বেসরকারি বিএড ও ডিইএলএড কলেজ থেকে যেমন কোটি কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল, একই ভাবে টাকা নেওয়া হয় বেসরকারি আইন এবং ফার্মাসি কলেজের ক্ষেত্রেও। দু’টি ক্ষেত্রেই ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযোগের তির রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের দিকে। প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতে ইডি-র মামলায় মানিক এখন জেলে আছেন। তদন্তকারীদের দাবি, তাঁকে জেরা করেই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে এবং মানিকের বয়ান অনুযায়ী তাতে পার্থও জড়িত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Chatterjee: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    Partha Chatterjee: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ফের আদালতে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হল পার্থ-অর্পিতাকে (Partha Chatterjee)। আদালতে জামিনের আর্জি জানাননি পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী। জামিনের আবেদনের রায়দান রিজার্ভে রেখেছে আদালত। আদালতে পার্থর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে ইডি। ইডির দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক বেসরকারি ল কলেজ এবং ফার্মা কলেজের অনুমোদন দেওয়ার জন্য কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই কোটি কোটি টাকা কোথায় রাখা হয়েছে তার হদিশ জানতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রাখা জরুরি বলেও দাবি করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা আরও জানিয়েছেন একাধিক সাক্ষীকে জেরা করে তাঁরা আরও দুর্নীতির তথ্য পেয়েছেন। সেই সব দুর্নীতির হদিশ পেতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রেখে তাঁরা জেরা করতে চান বলে জানিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: ইজরায়েলি ছবি নির্মাতা নাদাভ লাপিডের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা

    ইডির দাবি 

    পার্থ (Partha Chatterjee) ও অর্পিতার নামে মোট ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইডির তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “পার্থ ও তাঁর সহযোগীর ৪৮.২২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আগেই অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট থেকে মোট ৪৯.৮০ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া সোনাদানার বাজারমূল্য ৫.০৮ কোটি টাকারও বেশি। সব মিলিয়ে মোট ১০৩.১০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে ৭ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। 

    ইডি সূত্রে আরও জানানো হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, পার্থ-অর্পিতার (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১৪,৬৩০টি নথি পাওয়া গিয়েছে। সেই নথি সিবিআই- এর বিশেষ আদালতে পেশও করা হয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর পার্থর আইনজীবী দাবি করেছিলেন, ওইদু’জনের বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট পেশ করা হলেও মামলার তদন্তে উঠে আসা কোনও নথিই অভিযুক্তদের দেওয়া হয়নি তদন্তে উঠে আসা নথি অভিযুক্তদের হাতে দেওয়া হয়নি। সমস্ত নথি জমা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন আইনজীবীরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
      

  • Anubrata Mondal: জামিনের পর এবার মামলা খারিজের দাবি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেষ্ট

    Anubrata Mondal: জামিনের পর এবার মামলা খারিজের দাবি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামিনের আবেদনের পর এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দায়ের করা মামলা খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)।

    কোন মামলায় আবেদন?

    গত ১৭ নভেম্বর আসানসোল সংশোধনাগারে কেষ্টকে জেরা করতে যান ইডি গোয়েন্দারা। সেই সময় সিবিআই হেফাজতে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আসানসোল জেলেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করে ইডি। যদিও অ্যারেস্ট মেমোতে সই করেননি অনুব্রত। দিল্লি নিয়ে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। সেই মর্মে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদনও করেছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই মামলার শুনানি হবে ১ ডিসেম্বর। কিন্তু এবার এই মামলা খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করলেন অনুব্রত। বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে আজ দ্রুত শুনানির আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। আদালত ২ ডিসেম্বর এই মামলা শুনবে। 

    এদিকে, সিবিআই মামলায় আসানসোল আদালতে বারবার জামিন চেয়েও না মেলায় গতকাল হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে বুধবার শুনানি হবে অনুব্রতর জামিন মামলার। গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করে অনুব্রত মণ্ডলকে। ২৫ নভেম্বর গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোল আদালত।

    কী অভিযোগ? 

    গরুপাচার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে সিবিআই। কিন্তু অনুব্রতর আইনজীবীদের দাবি, টাকা নেওয়ার প্রমাণ এখনও পেশ করতে পারেনি সিবিআই। তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ফোন থেকে এই সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করেছিল তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই বারবার পাল্টা দাবি করে এসেছে, অনুব্রতর মতো একজন প্রভাবশালীকে জেল থেকে ছাড়া হলে তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে। দেশজুড়ে চলছে গরু পাচার মামলার তদন্ত। এই মামলায় অনুব্রতর ভূমিকা নিয়ে নিশ্চিত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    ১১ অগাস্ট তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার পর ৫ দিন সিবিআইয়ের হেফাজতে ছিলেন তিনি। এর পর থেকে প্রায় ১০০ দিন পেরিয়ে গেলেও মেলেনি জামিন। এর মাঝে আসানসোন জেলে থাকাকালীনই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই অবস্থায় সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন অনুব্রত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

         

  • Anubrata-Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে দিল্লিতে তলব ইডির! কী জানতে চায় তদন্তকারীরা?

    Anubrata-Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে দিল্লিতে তলব ইডির! কী জানতে চায় তদন্তকারীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না তা জানা যাবে ১ ডিসেম্বর। তবে, আজ সোমবার দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সঞ্জীব মজুমদারকে। বোলপুরে এক চালের মিলের মালিক তিনি। অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে তাঁর সঙ্গে বিপুল আর্থিক লেনদেনের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি ইডির।

    সঞ্জীব মজুমদারকে তলব

    ব্যবসায়ী সঞ্জীব মজুমদারকে আগে রতনকুঠিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এবার তলব ইডির। ইডি সূত্রে খবর,বীরভূমের একটি চালকলের মালিক সঞ্জীব মজুমদার। তাঁর সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। তাই বেআইনি আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে ইডি অফিসাররা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান। এখন জেলে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বেশ কিছু টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিলেন সঞ্জীব। কেন তিনি অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করেছিলেন,এবার তা নিয়েই তদন্তকারীরা কথা বলতে চান। 

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    অনুব্রতের বিরুদ্ধে প্রমাণ

    ইডি চায় অনুব্রতকে নয়াদিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে। তাই নয়াদিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে মামলা করেছে ইডি। পাল্টা হিসেবে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কেষ্ট। অনুব্রতের হয়ে সেই মামলা লড়ছেন কপিল সিব্বল। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ এই আইনজীবীর সঙ্গে লড়াই করতে তাই উপযুক্ত প্রমাণ চাইছে ইডি। তাই অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করা হচ্ছে। আগামী ১ ডিসেম্বর ওই মামলার শুনানি রয়েছে। ইডি মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে তদন্ত শুরু করেছে। গরু পাচার মামলায় প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে বলে মনে করছেন ইডির অফিসাররা। গরু পাচার মামলায় যুক্ত এনামুল হক, সায়গল হোসেন এখন নয়াদিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে এসে সায়গলের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। সেটা আদালত অনুমতি দিলেই সম্ভব।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Suvendu Adhikari: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কাছে। তবে কার কাছে সে টাকা গিয়েছে, তাঁর নাম নিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর নিশানায় কে, তাও খোলসা করলেন না নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিধায়ক।

    ইডি এবং সিবিআই…

    কয়লাপাচারকাণ্ডের মূল পৌঁছতে তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনিয়ে জেরাও করেছে তারা। অভিযান চালানো হয়েছে তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তৃণমূলের সওকত মোল্লাকেও। এঁদের প্রত্যেকেরই দাবি, কয়লা পাচারের সঙ্গে এঁদের কোনও যোগ নেই। কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে একাজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এহেন আবহে বিস্ফোরক দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।

    শুক্রবার ইডির দেওয়া চার্জশিটের প্রিন্ট আউট বলে দাবি করা কিছু কাগজ দেখিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, কয়লা দুর্নীতির সঙ্গে একটা বড় চক্র যুক্ত। তাতে রাজনৈতিক প্রভাবশালীও যুক্ত রয়েছে। আয়কর হানায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার যে দু্র্নীতির হদিশ মিলেছে, তার মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা গিয়েছে এক রাজনৈতিক প্রভাবশালীর কাছে। যিনি পুলিশ ও প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করেন।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    স্ব-বক্তব্যের দাবির সমর্থনে শুভেন্দু  (Suvendu Adhikari) এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত গুরুপদ মাজিকে দেওয়া ইডির দুশো পাতার চার্জশিরের কয়েকটি পাতার নম্বর উল্লেখ করে বলেন, এই চার্জশিটের কপি এখন জনসমক্ষে রয়েছে। আপনারা একটু কষ্ট করে দেখে নিন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, কয়লা দুর্নীতির সঙ্গে একটা বড় চক্র যুক্ত রয়েছে। তাতে যুক্ত রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকেরা। ১২ ডিসেম্বর মামলা সুপ্রিম কোর্টে নির্দিষ্ট হয়েছে। তাই আমি ডিটেলস তথ্য প্রমাণ আপনাদের কাছে বলছি না। তিনি বলেন, এই মামলার মূল লাভবান, হাজার কোটি টাকা গেছে, তাঁর লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানিতে গেছে। মামলা সুপ্রিম কোর্টে আছে ১২ ডিসেম্বর। এদিন তৃণমূলের জেলবন্দি নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও একহাত নেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বলেন, যাঁরা লুঠেরাদের সমর্থন করেন, তাদের কাছ থেকে আমরা শিখব না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

LinkedIn
Share