Tag: ED

ED

  • Anubrata Mondal: জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি আদালতের

    Anubrata Mondal: জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গত তিন মাস ধরে তিনি জেলে রয়েছেন। এবার তাঁকে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। শুক্রবার ইডি-কে জেরা করার অনুমতি দিল আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।

    ইডিকে অনুমতি

    গরু পাচার মামলায় একযোগে তদন্ত করছে ইডি ও সিবিআই। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ইডি দফতরে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল সহ একাধিক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে তলব করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সেই তালিকায় রয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন পরিচারক তথা বোলপুরের কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়, রয়েছেন মলয় পিট, ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য। এবার সরাসরি অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। শুক্রবার আসানসোল আদালতে ইডি আবেদন করে জানায়, আগামী ১৭ নভেম্বর অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তারা। ইডির আবেদন মঞ্জুর করে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক বলেন, ‘‘যে কোনও দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ইডির তদন্তকারী অফিসাররা আদালতে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন।’’ইডির আইনজীবী অভিজিৎকুমার ভদ্র বলেন, ‘‘অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে ইডি অনুমতি পেয়েছে। এর আগে অনুব্রতের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তাঁদের বিবৃতি রেকর্ড করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে ইডি মনে করেছে অনুব্রতকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। সেই অনুযায়ী আমরা আদালতে আবেদন করেছিলাম।’’

    আরও পড়ুন: জেলেই অনুব্রত! গরু পাচার মামলায় জামিনের আর্জি খারিজ, পরবর্তী শুনানি ২৫ নভেম্বর

    অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আর্জি

    গরু পাচার মামলায় তদন্তের জন্য অনুব্রতের (Anubrata Mondal)প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে নিয়ে গিয়েছে ইডি। বর্তমানে সায়গল রয়েছেন তিহার জেলে। এই মামলার আরও এক অভিযুক্ত এনামুল হকও তিহার জেলে রয়েছেন। তাই অনুব্রতকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানাতে পারে ইডি, এমন অনুমান করা হয়েছিল। তবে ইডি সূত্রে খবর, আপাতত তাঁকে আসানসোলের জেলে গিয়েই জেরা করা হবে। এখনই দিল্লি নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে না। এখানে তিনি জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা না করলে বা প্রয়োজন পড়লে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হবে।

     

  • Tulu Mondal: ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পরেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার টুলু মণ্ডল

    Tulu Mondal: ইডির জিজ্ঞাসাবাদের পরেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার টুলু মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Scam) সিবিআই (CBI) ও ইডি (ED)-এর যৌথ স্ক্যানারে ছিলেন তিনি। চলছিল জিজ্ঞাসাবাদও। দিল্লিতে মূল কার্যালয়ে তাঁকে তলবও করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর তার আগেই রবিবার বীরভূম পুলিশের হাতে একটি খুনের মামলায় গ্রেফতার হলেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ টুলু মণ্ডল (Tulu Mondal)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরনো একটি মামলায় টুলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তারপর থেকেই শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা ৷ প্রশ্ন উঠছে, তবে কি গরুপাচার মামলায় যাতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা টুলুকে জেরা করতে না পারে, তাই আগেভাগে রাজ্য পুলিশের হেফাজতে নিয়ে নেওয়া হল? 

    জানা গিয়েছে, বীরভূমে পাথরের বেআইনি কারবারের মুল হোতা এই টুলু মণ্ডল ৷ এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নানা সময় নানা অভিযোগ উঠেছে ৷ কিন্তু, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে এর আগে কখনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্য পুলিশ। তাহলে হঠাৎ এই সক্রিয়তা কেন? এই প্রশ্নেই এখন উত্তাল রাজ্যনীতি। যদিও এখনও কোনও মহল থেকেই কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। 

    সম্প্রতি টুলু মণ্ডলের বাড়িতে অভিযান চালায় সিবিআই ও ইডি ৷ প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি ৷ তাতে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয় বলে দাবি গোয়েন্দাদের ৷ অনেকেই ধারণা করেছিলেন যেকোনও দিন আবারও টুলুকেও তলব করতে পারে গোয়েন্দা সংস্থা। আর তার আগেই এই গ্রেফতার। 

    সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল-ঘনিষ্ট পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলকে একটি খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করেছে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। স্থানীয় চরিচা গ্রামে এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় এই পাথর ব্যবসায়ীর যোগ থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তকে সিউড়ি আদালতে তোলা হলে, আদালত এই অভিযুক্তকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেন বিচারক। এই টুলু মণ্ডলের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্টতার কথা সর্বজনবিদিত। 

    আরও পড়ুন: কর্মী ছাটাই শুরু করেছে ট্যুইটার, ভয় বাড়ছে H1B ভিসাধারীদের

    এই ব্যবসায়ী ব -কলমে পাথরের শিল্পাঞ্চল থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তুলত। তাঁর সিউড়ির বাড়ি সহ পৈতৃক ভিটে ,অফিসে এই কেন্দ্রীয় দুই সংস্থা সারাদিন ধরে তল্লাশি চালায়। ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করে গতকালই, এই পাথর ব্যবসায়ী দিল্লি থেকে বীরভূমে ফিরেছেন। গতকালই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এসে রাত্রীবাস করেছেন বীরভূমে। জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন জেলা নেতাদের সঙ্গে। অনুব্রতহীন জেলায় তৃনমুল এখন ছন্নছাড়া। তাই অনুব্রত যাতে অন্য কারো জবানবন্দিতে ফের বিপাকে না পড়েন, তার জন্যই কি মন্ত্রীর অঙ্গুলিহেলনে এই পদক্ষেপ নিল রাজ্য পুলিশ? 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Anubrata Mondal: নেতার পরিচারক থেকে কাউন্সিলর, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে দিল্লিতে তলব ইডির

    Anubrata Mondal: নেতার পরিচারক থেকে কাউন্সিলর, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) প্রাক্তন পরিচারক বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Biswajyoti Banerjee) দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে বোলপুরের কাউন্সিলর। এর আগে বিশ্বজ্যোতির বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। ডেকেও জেরাও করেছে তাঁকে। এ বার ইডির নজরেও বিশ্বজ্যোতি।  

    ২০১১ সালে অনুব্রতের বাড়িতে পরিচারক হিসেবে যোগ দেন বিশ্বজ্যোতি। মাসিক বেতন ছিল পাঁচ হাজার টাকা। এখন সেই বিশ্ব জ্যোতিই ৪৬ লক্ষ টাকার মালিক। কী করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এত টাকা এল সেই প্রশ্ন আগেই তুলেছে সিবিআই। গোয়েন্দাদের দাবি, বিশ্বজ্যোতির অ্যাকাউন্টে যে টাকা লেনদেন হয়েছে, সবটাই হয়েছে সায়গল হোসেনের নির্দেশ মতো। এবার এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ময়দানে নেমেছে ইডি। 

    গরু পাচার মামলায় এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে তিহার জেলে রয়েছেন সায়গল। এই মামলাতে অনুব্রত কন্যাকেও দিল্লিতে ডেকে জেরা করেছে ইডি। টানা তিন দিন জেরা করা হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, সুকন্যার বয়ানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে। 

    আরও পড়ুন: আজ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ, জানেন কলকাতায় দেখা যাবে কখন?

    এক কালে অনুব্রতের বাড়িতে পরিচারকের কাজ করতেন বিশ্বজ্যোতি ওরফে মুন। এখন তিনি বোলপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই, তাতে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বজ্যোতির অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই কারণে তাঁর অ্যাকাউন্টের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। এ বার তাঁকে দিল্লিতে নিজেদের দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। সোমবার সেই সংক্রান্ত চিঠিও বিশ্বজ্যোতির কাছে এসে পৌঁছেছে বলে খবর। 

    প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই হাজতে আছেন, বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও। গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ আরও বেশ কয়েকজন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলা যোগ,  অনুব্রতর জামাইবাবুকে শুক্রবার দিল্লিতে তলব ইডির

    Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলা যোগ, অনুব্রতর জামাইবাবুকে শুক্রবার দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এবার এই মামলায় অনুব্রতর জামাইবাবু কমলকান্ত ঘোষকে তলব করল ইডি (ED)। শুক্রবার দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন গোয়েন্দারা। ভোল ব্যোম রাইস মিল সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাঁকে। এই রাইস মিলেরই অন্যতম মালিক অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। সেই রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজ খবর করতে ডাকা হয়েছে অনুব্রতর জামাইবাবুকে। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে ইডি স্ক্যানারে।

    তলব মলয় পিটকে 

    প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার গরুপাচার মামলায় ফের মলয় পিটকে দিল্লি তলব করেছিল ইডি। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী বহু প্রশ্নের উত্তর দেননি বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির দাবি, স্বাধীন ট্রাস্টের এই কর্ণধারকে প্রথমবার জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট নন গোয়েন্দারা। ফলে বুধবারের পর ফের বৃহস্পতিতে মলয় পিটকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।

    অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ ওই ব্যবসায়ীর সংস্থা স্বাধীন ট্রাস্টের সঙ্গে অনুব্রতর আত্মীয়দের কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অনুমান, ওই বিপুল অঙ্কের টাকা মলয়ের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে বিনিয়োগ হয়েছে। টাকার উৎস সম্পর্কে ওই ব্যবসায়ীর কাছে তথ্য চায় ইডি। 

    আরও পড়ুন: ডিউটি শেষে অস্ত্র জমা রাখার নির্দেশ কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চকে, কেন?

    সিবিআই- এর তলব দুই কাউন্সিলরকে 

    এছাড়াও, বৃহস্পতিবার বোলপুর এলাকার দু-জন কাউন্সিলরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই ক্যাম্পে ডাকা হয়েছিল। ওই সিবিআই ক্যাম্পে আজ উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বোলপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ওমর শেখ। মূলত বেআইনি কোনও সম্পত্তি আছে কিনা সেই তথ্যই জোগাড় করার জন্যই এই পদক্ষেপ। বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ওমর শেখের প্রচুর সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। বিপুল সংখ্যক জমিজমা  এবং অপরিসীম আয়ের হদিশ মিলেছে। এই দুই তৃণমূল নেতার নামে এত সম্পত্তির উৎসের ব্যাপারটি সন্দেহের চোখে দেখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই দুই ব্যক্তির দৈনিক কর্মসূচি এবং দলীয় কাজকর্মের সমস্ত রকম তথ্য যাচাই করা শুরু হবে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। সিবিআই এর ধারণা, গরু পাচার কাণ্ডে এদের কোনও না কোনওভাবে হাত রয়েছে। কীভাবে এরা বেআইনি কারবারের সঙ্গে যুক্ত, সেটাই তদন্ত করে জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

      

  • TET Scam: এবার তাপস মণ্ডলের দুই হিসাব রক্ষককে তলব ইডির

    TET Scam: এবার তাপস মণ্ডলের দুই হিসাব রক্ষককে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (manik Bhattacharya)। মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলও (Tapas Mondal) এই মুহূর্তে গোয়েন্দা দফতরের স্ক্যানারে। এবার তাপস মণ্ডলের দুই হিসাবরক্ষককে তলব করল ইডি। জেরায় মানিকবাবু যে তথ্য দিয়েছেন তা তাঁদের জেরা করে মিলিয়ে নিতে চান ইডির গোয়েন্দারা। তাছাড়া ডিএলএড প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রদের থেকে নেওয়া লক্ষ লক্ষ টাকার হিসাবও জানতে চাইবেন গোয়েন্দারা।

    নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারির পর জেরায় তাপস মণ্ডলের নাম উঠে আসে। তাপস মণ্ডলই চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে মানিককে দিতেন বলে জানা যায়। ঠিক কত টাকার লেনদেন হয়েছে সেই হিসাবও চেয়ে পাঠান গোয়েন্দারা। তাতে তাপসবাবু প্রথমে দাবি করেন, ডিএলএড কলেজগুলি থেকে অফলাইনে ভর্তি বাবদ ৫,০০০ টাকা করে নিতেন মানিকবাবু। আর অনলাইনে ক্লাস করানোর জন্য মানিকের ছেলের সংস্থায় প্রতি ছাত্রকে দিতে হত ৫০০ টাকা। লোক পাঠিয়ে সেই টাকা চেয়ে পাঠাতেন বিধায়কই। 

    আরও পড়ুন: আজ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ, জানেন কলকাতায় দেখা যাবে কখন?

    যদিও এক দিনের মধ্যেই বয়ান বদলে ফেলেন তাপস। পরবর্তীতে দাবি করেন, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে যেত টাকা। প্রশ্ন হল, নগদে পাঠানো টাকা কোথায় যেত তা তিনি জানলেন কী করে? জেরায় তাপসবাবু জানিয়েছেন, তাঁর মহিষবাথানের অফিস থেকে টাকা নিয়ে যেতেন মানিক ভট্টাচার্যের লোক। প্রায় ৫০,০০০ ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল টাকা। কিন্তু মোট কত টাকা নিয়েছেন মানিক তার হিসেব দিতে পারেননি তাপস। এবার সেই হিসাব চাইতেই ২ হিসাবরক্ষককে ডেকে পাঠাল ইডি। ১০ নভেম্বর তাদের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

    মানিক ইডি-র হেফাজতে থাকাকালীন তাপসের মুখোমুখি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাপসের মহিষবাথানের অফিস, বারাসতের বাড়ি, কলকাতার ভাড়াবাড়ি ও অফিসে তল্লাশিতে বহু নথি উদ্ধার করা হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mukhtar Ansari: আর্থিক তছরুপ মামলায় উত্তর প্রদেশে ইডির হাতে গ্রেফতার মুখতার আনসারির ছেলে   

    Mukhtar Ansari: আর্থিক তছরুপ মামলায় উত্তর প্রদেশে ইডির হাতে গ্রেফতার মুখতার আনসারির ছেলে   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার উত্তর প্রদেশের আব্বাস আনসারি (Abbas Ansari)। তিনি সুহেলদেব ভারতীয় সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক। মউ কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। সেটি হল, তিনি গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া মুখতার আনসারির (Mukhtar Ansari) ছেলে। শনিবার আব্বাসকে গ্রেফতারির খবর জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই সংস্থার আধিকারিকরা জানান, আর্থিক তছরুপের মামলায় (Money Laundering Case) গ্রেফতার করা হয়েছে মুখতারের ছেলেকে।

    ইডির আধিকারিকরা জানান, বছর তিরিশের আব্বাসকে গ্রেফতার করার আগে দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের ফেডারেল এজেন্সির অফিসে জেরা করা হয় তাঁকে। পরে গ্রেফতার করা হয় মউয়ের বিধায়ককে। তাঁরা জানান, আর্থিক তছরুপের মামলায় তাঁর বাবা (Mukhtar Ansari) এবং পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল। সেই সূত্রেই গ্রেফতার করা হয়েছে আব্বাসকে। জানা গিয়েছে, মুখতার আনসারির সাতটি স্থাবর সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে ইডি। যার মূল্য ১.৪৮ কোটি টাকা।

    মুখতার আনসারি (Mukhtar Ansari) বর্তমানে উত্তর প্রদেশেরই বান্দা জেলে বন্দি। তিনি পাঁচ বারের বিধায়ক ছিলেন। গতবছর এই মামলায় তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। কেবল তাঁকেই জেরা নয়, চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা তাঁর দাদা এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আফজল আনসারির দিল্লির বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন। গাজিপুর, মোহম্মদাবাদ, মউ এবং লখনউতেও হানা দিয়েছিল ইডির তদন্তকারী দল। মুখতারের (Mukhtar Ansari) বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের একাধিক অভিযোগ দায়ের হয় উত্তর প্রদেশ পুলিশের কাছে। এছাড়াও দুটি অভিযোগ দায়ের হয় বিকাশ কনসট্রাকশান নামে একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে। এই কোম্পানিটি চালান মুখতারের স্ত্রী, দুই শ্যালক এবং অন্যরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘সব বলে এসেছি…’’, ইডি-র সামনে কোন কোন সত্যের খোলসা করলেন কেষ্ট-কন্যা?

    মুখতার আনসারির (Mukhtar Ansari) বিচার চলছে সাতটি মামলায়। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর প্রদেশে খুন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগও। অগাস্ট মাসেই গাজিপুর জেলা প্রশাসন তাঁর দুটি জমি বাজেয়াপ্ত করেছে। এর আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি টাকারও বেশি। পুলিশের দাবি, অবৈধভাবে রোজগারের টাকায় কেনা হয়েছিল ওই দুটি জমি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Anubrata Mondal: লটারির মাধ্যমেও চলত কালো টাকা সাদা করার প্রয়াস! অনুব্রতকে জেরা সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: লটারির মাধ্যমেও চলত কালো টাকা সাদা করার প্রয়াস! অনুব্রতকে জেরা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে হাওয়ায় উড়ছে কালো টাকা। চলছে সাদা করার নানান প্রয়াস। তারই একটা নয় তো লটারি, অনুমান গোয়েন্দাদের। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের পর লটারিকাণ্ডে এবার ইডির নজরে রাজ্যের এক বিধায়কের স্ত্রী। ওই মামলায় বিধায়কের স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। লটারিতে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কোটি টাকা প্রাপ্তি আসলে কি সত্য ঘটনা, নাকি এর পিছনে রয়েছে কোন গভীর ষড়যন্ত্র? তা জানতে বোলপুরে  পৌঁছে যায় সিবিআই (CBI) অফিসাররা। কিছুদিন আগে অনুব্রত মণ্ডল ডিয়ার লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওটা কালো টাকা সাদা করার একটা ধাপ।

    আরও পড়ুন: আদৌ কি লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত? লটারি বিক্রেতার বয়ানে ঘনীভূত রহস্য

    লটারিকাণ্ডের তদন্ত পৃথক একটি এফআইআর দায়ের করেছে ইডিও। ইডি সূত্রে খবর, বিভিন্ন জেলায় একাধিক লোকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যারা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টিকিট কিনে নিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। পাশাপাশি, লটারি কোম্পানির মালিকরাও ইডির নজরে রয়েছেন। কীভাবে ওই গোটা প্রক্রিয়া চলত তা জানার চেষ্টা করছে ইডি। এর জন্যই ওই তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীকে আগামী ১১ নভেম্বর দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তিনিও কিছুদিন আগে লটারি জেতেন। সূত্রের খবর,  কিছুদিন আগে ডিয়ার লটারিকাণ্ডে একটি তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। তখনই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি আসে ইডির হাতে। ওইসব নথি থেকে তাঁরা জানতে পারেন শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডলই নয়, আরও কয়েকজন রয়েছেন যাদের কালো টাকা সাদা করা হতো লটারির মাধ্যমে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই বিধায়কের স্ত্রীকে জেরা করে আরও অনেক তথ্য উঠে আসবে। অনুব্রত ছাড়া আর কারা লটারির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করতেন তা জানা যাবে। 

    আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় নতুন মোড়! বখরা পেতেন ২ বিধায়ক! ইডি-কে জানাল সায়গল

    লটারি জেতা প্রসঙ্গে আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসবাদ করে সিবিআই। দীর্ঘক্ষণ জেরা চলে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। অনুমান, অনুব্রতকে জেরা করে পাওয়া তথ্য থেকেই তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবে তদন্তকারীরা। দুজনের থেকে প্রাপ্ত তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tapas Mondal: “যা বলার সব ইডিকে বলেছি…”, কী বললেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল?

    Tapas Mondal: “যা বলার সব ইডিকে বলেছি…”, কী বললেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১২ ঘণ্টা ইডির (ED) দফতরে ছিলেন তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ। বৃহস্পতিবার রাত বারোটা নাগাদ ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, যা বলার সব ইডিকে বলেছি। সব হিসেব মিলিয়ে দিয়েছি।

    ডিএলএড (DLED) কোর্সে ভর্তির জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে প্রায় ২১ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তাপস (Tapas Mondal)। তাঁর আরও অভিযোগ, টাকা সংগ্রহ করতেন মানিকের লোক। এই মামলায় তাপসকে প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, টানা জেরায় সব বলে দেন তাপস। জানিয়ে দেন, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত মোট ৪১ হাজার পড়ুয়ার কাছ থেকে অফলাইনে ভর্তির জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। পুরো টাকাটাই গিয়েছে পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। বুধবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হওয়ার পর তিনি দাবি করেছিলেন, বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে হাজিরা দিয়ে হিসেব দেবেন ওই ২১ কোটি টাকার।

    আরও পড়ুন: ‘‘সব বলে এসেছি…’’, ইডি-র সামনে কোন কোন সত্যের খোলসা করলেন কেষ্ট-কন্যা?

    এদিন তাপস (Tapas Mondal) বলেন, পর্ষদের সভাপতি ছিলেন উনি। স্বাভাবিকভাবেই উনি সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোনও অনিয়ম হয়েছে কিনা, তা বলতে পারবে বোর্ড। তাপসের দাবি, তাঁর মহিষবাথানের অফিসে টাকার লেনদেন হয়েছে। তাপসের (Tapas Mondal) দাবি, ২০১৮ সাল থেকে ডিএলএড কলেজে অনলাইন ভর্তি শেষ হওয়ার পর দেখা যায় অনেক আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এনিয়ে মানিকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তখনই সিদ্ধান্ত হয়, পড়ুয়াদের কাছ থেকে লেট ফি বাবদ নগদ পাঁচ হাজার করে টাকা নিয়ে অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন করানো হবে।

    এদিকে, মানিককে আরও একটা সুযোগ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারণের যে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তার বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করে হলফনামা জমা দিতে পারবেন মানিক। ১৮ নভেম্বর আদালতে নিজের বক্তব্য জানাতে পারবেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • ED Raids: শহরজুড়ে অভিযান ইডি-র!  কয়লা পাচার এবং অবৈধ খনন সংক্রান্ত নথির খোঁজেই কি তল্লাশি?

    ED Raids: শহরজুড়ে অভিযান ইডি-র! কয়লা পাচার এবং অবৈধ খনন সংক্রান্ত নথির খোঁজেই কি তল্লাশি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকাল থেকেই শহরের নানা প্রান্তে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সল্টলেকের ( Saltlake ) দুই জায়গায় দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলছে। ইডি (ED) সূত্রে খবর, তাদের ৪টি দল শহরে তল্লাশি অভিযানে বেরিয়েছে। দুটি টিম গিয়েছে সল্টলেকে। বাকি ২টি টিমের গন্তব্য কলকাতার আরও ২টি জায়গায়। ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে এদিন ১২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: কয়লা-পাচারকাণ্ডে এবার পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব ইডির

    ইডি  সূত্রে খবর, সেনার জমি জবরদখলের অভিযোগে ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে তদন্তকারীরা। তবে, এর সঙ্গে কয়লা পাচার এবং অবৈধ খননেরও যোগ থাকতে পারে। তল্লাশি চলছে কলকাতার এক ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়ালের বাড়ি ও অফিসে। মনে করা হচ্ছে, কয়লা পাচার ও অবৈধ খনন সংক্রান্ত বিশেষ কিছু নথির জন্যই সল্টলেকে ঝাড়খণ্ডের ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে তদন্তকারীরা।  জানা গিয়েছে, গত এক বছরে তিন বার অমিতের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। শুক্রবার সকালে ইডির ৫ আধিকারিক সল্টলেকের এইচ বি ব্লকে অমিতের বাড়িতে যান।

    আরও পড়ুন: টানা ২ দিন দিল্লিতে ইডি জেরার মুখে সুকন্যা, কলকাতায় সিবিআইয়ের সামনে কেরিম

    প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকমাস ধরেই শহরে ইডির অভিযান অব্যাহত। অনলাইন গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা-কাণ্ড কিংবা এসএসসি দুর্নীতি, শহরে  ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকেরা। গত ১০ সেপ্টেম্বর একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে নেমে গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলি, পার্ক স্ট্রিট, মোমিনপুরের বন্দর এলাকা, নিউটাউন-সহ শহরের ছ’টি জায়গায় অভিযান শুরু করেছিল ইডি। এদিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে তিনটি গাড়ি বেরিয়ে শহরের আলাদা আলাদা জায়গায় তল্লাশিতে বেরোয়। এইচ বি ১৬৫-এ হাতে নোটিস নিয়ে ঢোকে ইডির একটি টিম। ইডির দ্বিতীয় টিম সেক্টর ফাইভে সেই ব্যবসায়ীর অফিসে তল্লাশি চাল্লাচ্ছে বলে খবর। সূত্রের খবর, অফিসটি মূলত মোটর পার্টস এর। তবে কোন মামলায় ইডি এই অভিযান তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Coal Scam: কয়লা-পাচারকাণ্ডে এবার পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব ইডির

    Coal Scam: কয়লা-পাচারকাণ্ডে এবার পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাপাচার কাণ্ডে (Caol Scam) এবার পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব করল ইডি। আগামী ১৪ নভেম্বর তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে (TMC Leader) দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বুধবারই এই মর্মে নোটিশ এসেছে তাঁর কাছে।  সূত্রের খবর, সুজয়ের থেকে তাঁর আর্থিক বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। তবে এ নিয়ে প্রাথমিক ভাবে মুখ খুলতে চাননি পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতা। প্রসঙ্গত, কয়লাপাচারকাণ্ডে আগেই নাম জড়িয়েছে একাধিক তৃণমূল নেতার। নাম জড়িয়েছে সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের শ্যালিকাকেও ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুন: টানা ২ দিন দিল্লিতে ইডি জেরার মুখে সুকন্যা, কলকাতায় সিবিআইয়ের সামনে কেরিম

    ইডি সূত্রে খবর, কয়লা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালার ডায়েরিতে নাম পাওয়া গিয়েছে সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর সঙ্গে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। এর ভিত্তিতেই এই তলব করা হয়েছে, বলে ইডি সূত্রে খবর। কয়লাপাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে রাজ্যের খনি অঞ্চলের শাসকদলের নেতা ও পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে সিবিআই। ওদিকে টাকা কী ভাবে কার কার কাছে পৌঁছেছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত যুব তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা বিকাশ মিশ্র দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তার ভাই বিনয় মিশ্রকে সিবিআই গ্রেফতার করলেও সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন তিনি। এই মামলায় রাজ্যের একাধিক পুলিশকর্তাকেও জেরা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে ইডির দফতরে মুখোমুখি জেরা সায়গল-সুকন্যাকে! কী বললেন অনুব্রত-তনয়া?

    ইডির নোটিশের পরই সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে পুরুলিয়া জেলার বিজেপি নেতারা। পুরুলিয়ার বিজেপি সভাপতি বিবেক রাঙার বলেছেন, ‘‘তৃণমূল সবসময় চক্রান্তের অভিযোগ তুলবে। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে যে টাকা পাওয়া গিয়েছে তা কি বিজেপি রেখে এসেছে? ওরা গোটা রাজ্য এবং এই জেলাকে শেষ করেছে। যেমন কর্ম তেমন ফল।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share