Tag: ED

ED

  • TET Scam: এবার তাপস মণ্ডলের দুই হিসাব রক্ষককে তলব ইডির

    TET Scam: এবার তাপস মণ্ডলের দুই হিসাব রক্ষককে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (manik Bhattacharya)। মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলও (Tapas Mondal) এই মুহূর্তে গোয়েন্দা দফতরের স্ক্যানারে। এবার তাপস মণ্ডলের দুই হিসাবরক্ষককে তলব করল ইডি। জেরায় মানিকবাবু যে তথ্য দিয়েছেন তা তাঁদের জেরা করে মিলিয়ে নিতে চান ইডির গোয়েন্দারা। তাছাড়া ডিএলএড প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রদের থেকে নেওয়া লক্ষ লক্ষ টাকার হিসাবও জানতে চাইবেন গোয়েন্দারা।

    নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারির পর জেরায় তাপস মণ্ডলের নাম উঠে আসে। তাপস মণ্ডলই চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে মানিককে দিতেন বলে জানা যায়। ঠিক কত টাকার লেনদেন হয়েছে সেই হিসাবও চেয়ে পাঠান গোয়েন্দারা। তাতে তাপসবাবু প্রথমে দাবি করেন, ডিএলএড কলেজগুলি থেকে অফলাইনে ভর্তি বাবদ ৫,০০০ টাকা করে নিতেন মানিকবাবু। আর অনলাইনে ক্লাস করানোর জন্য মানিকের ছেলের সংস্থায় প্রতি ছাত্রকে দিতে হত ৫০০ টাকা। লোক পাঠিয়ে সেই টাকা চেয়ে পাঠাতেন বিধায়কই। 

    আরও পড়ুন: আজ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ, জানেন কলকাতায় দেখা যাবে কখন?

    যদিও এক দিনের মধ্যেই বয়ান বদলে ফেলেন তাপস। পরবর্তীতে দাবি করেন, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে যেত টাকা। প্রশ্ন হল, নগদে পাঠানো টাকা কোথায় যেত তা তিনি জানলেন কী করে? জেরায় তাপসবাবু জানিয়েছেন, তাঁর মহিষবাথানের অফিস থেকে টাকা নিয়ে যেতেন মানিক ভট্টাচার্যের লোক। প্রায় ৫০,০০০ ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল টাকা। কিন্তু মোট কত টাকা নিয়েছেন মানিক তার হিসেব দিতে পারেননি তাপস। এবার সেই হিসাব চাইতেই ২ হিসাবরক্ষককে ডেকে পাঠাল ইডি। ১০ নভেম্বর তাদের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

    মানিক ইডি-র হেফাজতে থাকাকালীন তাপসের মুখোমুখি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাপসের মহিষবাথানের অফিস, বারাসতের বাড়ি, কলকাতার ভাড়াবাড়ি ও অফিসে তল্লাশিতে বহু নথি উদ্ধার করা হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mukhtar Ansari: আর্থিক তছরুপ মামলায় উত্তর প্রদেশে ইডির হাতে গ্রেফতার মুখতার আনসারির ছেলে   

    Mukhtar Ansari: আর্থিক তছরুপ মামলায় উত্তর প্রদেশে ইডির হাতে গ্রেফতার মুখতার আনসারির ছেলে   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার উত্তর প্রদেশের আব্বাস আনসারি (Abbas Ansari)। তিনি সুহেলদেব ভারতীয় সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক। মউ কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। সেটি হল, তিনি গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া মুখতার আনসারির (Mukhtar Ansari) ছেলে। শনিবার আব্বাসকে গ্রেফতারির খবর জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই সংস্থার আধিকারিকরা জানান, আর্থিক তছরুপের মামলায় (Money Laundering Case) গ্রেফতার করা হয়েছে মুখতারের ছেলেকে।

    ইডির আধিকারিকরা জানান, বছর তিরিশের আব্বাসকে গ্রেফতার করার আগে দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের ফেডারেল এজেন্সির অফিসে জেরা করা হয় তাঁকে। পরে গ্রেফতার করা হয় মউয়ের বিধায়ককে। তাঁরা জানান, আর্থিক তছরুপের মামলায় তাঁর বাবা (Mukhtar Ansari) এবং পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল। সেই সূত্রেই গ্রেফতার করা হয়েছে আব্বাসকে। জানা গিয়েছে, মুখতার আনসারির সাতটি স্থাবর সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে ইডি। যার মূল্য ১.৪৮ কোটি টাকা।

    মুখতার আনসারি (Mukhtar Ansari) বর্তমানে উত্তর প্রদেশেরই বান্দা জেলে বন্দি। তিনি পাঁচ বারের বিধায়ক ছিলেন। গতবছর এই মামলায় তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। কেবল তাঁকেই জেরা নয়, চলতি বছরের অগাস্ট মাসে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা তাঁর দাদা এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আফজল আনসারির দিল্লির বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন। গাজিপুর, মোহম্মদাবাদ, মউ এবং লখনউতেও হানা দিয়েছিল ইডির তদন্তকারী দল। মুখতারের (Mukhtar Ansari) বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের একাধিক অভিযোগ দায়ের হয় উত্তর প্রদেশ পুলিশের কাছে। এছাড়াও দুটি অভিযোগ দায়ের হয় বিকাশ কনসট্রাকশান নামে একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে। এই কোম্পানিটি চালান মুখতারের স্ত্রী, দুই শ্যালক এবং অন্যরা।

    আরও পড়ুন: ‘‘সব বলে এসেছি…’’, ইডি-র সামনে কোন কোন সত্যের খোলসা করলেন কেষ্ট-কন্যা?

    মুখতার আনসারির (Mukhtar Ansari) বিচার চলছে সাতটি মামলায়। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর প্রদেশে খুন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগও। অগাস্ট মাসেই গাজিপুর জেলা প্রশাসন তাঁর দুটি জমি বাজেয়াপ্ত করেছে। এর আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি টাকারও বেশি। পুলিশের দাবি, অবৈধভাবে রোজগারের টাকায় কেনা হয়েছিল ওই দুটি জমি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Anubrata Mondal: লটারির মাধ্যমেও চলত কালো টাকা সাদা করার প্রয়াস! অনুব্রতকে জেরা সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: লটারির মাধ্যমেও চলত কালো টাকা সাদা করার প্রয়াস! অনুব্রতকে জেরা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে হাওয়ায় উড়ছে কালো টাকা। চলছে সাদা করার নানান প্রয়াস। তারই একটা নয় তো লটারি, অনুমান গোয়েন্দাদের। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের পর লটারিকাণ্ডে এবার ইডির নজরে রাজ্যের এক বিধায়কের স্ত্রী। ওই মামলায় বিধায়কের স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। লটারিতে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কোটি টাকা প্রাপ্তি আসলে কি সত্য ঘটনা, নাকি এর পিছনে রয়েছে কোন গভীর ষড়যন্ত্র? তা জানতে বোলপুরে  পৌঁছে যায় সিবিআই (CBI) অফিসাররা। কিছুদিন আগে অনুব্রত মণ্ডল ডিয়ার লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওটা কালো টাকা সাদা করার একটা ধাপ।

    আরও পড়ুন: আদৌ কি লটারি জিতেছিলেন অনুব্রত? লটারি বিক্রেতার বয়ানে ঘনীভূত রহস্য

    লটারিকাণ্ডের তদন্ত পৃথক একটি এফআইআর দায়ের করেছে ইডিও। ইডি সূত্রে খবর, বিভিন্ন জেলায় একাধিক লোকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যারা বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টিকিট কিনে নিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। পাশাপাশি, লটারি কোম্পানির মালিকরাও ইডির নজরে রয়েছেন। কীভাবে ওই গোটা প্রক্রিয়া চলত তা জানার চেষ্টা করছে ইডি। এর জন্যই ওই তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীকে আগামী ১১ নভেম্বর দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তিনিও কিছুদিন আগে লটারি জেতেন। সূত্রের খবর,  কিছুদিন আগে ডিয়ার লটারিকাণ্ডে একটি তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। তখনই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি আসে ইডির হাতে। ওইসব নথি থেকে তাঁরা জানতে পারেন শুধুমাত্র অনুব্রত মণ্ডলই নয়, আরও কয়েকজন রয়েছেন যাদের কালো টাকা সাদা করা হতো লটারির মাধ্যমে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই বিধায়কের স্ত্রীকে জেরা করে আরও অনেক তথ্য উঠে আসবে। অনুব্রত ছাড়া আর কারা লটারির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করতেন তা জানা যাবে। 

    আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় নতুন মোড়! বখরা পেতেন ২ বিধায়ক! ইডি-কে জানাল সায়গল

    লটারি জেতা প্রসঙ্গে আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসবাদ করে সিবিআই। দীর্ঘক্ষণ জেরা চলে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। অনুমান, অনুব্রতকে জেরা করে পাওয়া তথ্য থেকেই তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবে তদন্তকারীরা। দুজনের থেকে প্রাপ্ত তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tapas Mondal: “যা বলার সব ইডিকে বলেছি…”, কী বললেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল?

    Tapas Mondal: “যা বলার সব ইডিকে বলেছি…”, কী বললেন মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১২ ঘণ্টা ইডির (ED) দফতরে ছিলেন তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ। বৃহস্পতিবার রাত বারোটা নাগাদ ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, যা বলার সব ইডিকে বলেছি। সব হিসেব মিলিয়ে দিয়েছি।

    ডিএলএড (DLED) কোর্সে ভর্তির জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে প্রায় ২১ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তাপস (Tapas Mondal)। তাঁর আরও অভিযোগ, টাকা সংগ্রহ করতেন মানিকের লোক। এই মামলায় তাপসকে প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, টানা জেরায় সব বলে দেন তাপস। জানিয়ে দেন, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত মোট ৪১ হাজার পড়ুয়ার কাছ থেকে অফলাইনে ভর্তির জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। পুরো টাকাটাই গিয়েছে পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। বুধবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হওয়ার পর তিনি দাবি করেছিলেন, বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে হাজিরা দিয়ে হিসেব দেবেন ওই ২১ কোটি টাকার।

    আরও পড়ুন: ‘‘সব বলে এসেছি…’’, ইডি-র সামনে কোন কোন সত্যের খোলসা করলেন কেষ্ট-কন্যা?

    এদিন তাপস (Tapas Mondal) বলেন, পর্ষদের সভাপতি ছিলেন উনি। স্বাভাবিকভাবেই উনি সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোনও অনিয়ম হয়েছে কিনা, তা বলতে পারবে বোর্ড। তাপসের দাবি, তাঁর মহিষবাথানের অফিসে টাকার লেনদেন হয়েছে। তাপসের (Tapas Mondal) দাবি, ২০১৮ সাল থেকে ডিএলএড কলেজে অনলাইন ভর্তি শেষ হওয়ার পর দেখা যায় অনেক আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এনিয়ে মানিকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তখনই সিদ্ধান্ত হয়, পড়ুয়াদের কাছ থেকে লেট ফি বাবদ নগদ পাঁচ হাজার করে টাকা নিয়ে অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন করানো হবে।

    এদিকে, মানিককে আরও একটা সুযোগ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারণের যে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, তার বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করে হলফনামা জমা দিতে পারবেন মানিক। ১৮ নভেম্বর আদালতে নিজের বক্তব্য জানাতে পারবেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • ED Raids: শহরজুড়ে অভিযান ইডি-র!  কয়লা পাচার এবং অবৈধ খনন সংক্রান্ত নথির খোঁজেই কি তল্লাশি?

    ED Raids: শহরজুড়ে অভিযান ইডি-র! কয়লা পাচার এবং অবৈধ খনন সংক্রান্ত নথির খোঁজেই কি তল্লাশি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকাল থেকেই শহরের নানা প্রান্তে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সল্টলেকের ( Saltlake ) দুই জায়গায় দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলছে। ইডি (ED) সূত্রে খবর, তাদের ৪টি দল শহরে তল্লাশি অভিযানে বেরিয়েছে। দুটি টিম গিয়েছে সল্টলেকে। বাকি ২টি টিমের গন্তব্য কলকাতার আরও ২টি জায়গায়। ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে এদিন ১২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: কয়লা-পাচারকাণ্ডে এবার পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব ইডির

    ইডি  সূত্রে খবর, সেনার জমি জবরদখলের অভিযোগে ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে তদন্তকারীরা। তবে, এর সঙ্গে কয়লা পাচার এবং অবৈধ খননেরও যোগ থাকতে পারে। তল্লাশি চলছে কলকাতার এক ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়ালের বাড়ি ও অফিসে। মনে করা হচ্ছে, কয়লা পাচার ও অবৈধ খনন সংক্রান্ত বিশেষ কিছু নথির জন্যই সল্টলেকে ঝাড়খণ্ডের ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে তদন্তকারীরা।  জানা গিয়েছে, গত এক বছরে তিন বার অমিতের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। শুক্রবার সকালে ইডির ৫ আধিকারিক সল্টলেকের এইচ বি ব্লকে অমিতের বাড়িতে যান।

    আরও পড়ুন: টানা ২ দিন দিল্লিতে ইডি জেরার মুখে সুকন্যা, কলকাতায় সিবিআইয়ের সামনে কেরিম

    প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকমাস ধরেই শহরে ইডির অভিযান অব্যাহত। অনলাইন গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা-কাণ্ড কিংবা এসএসসি দুর্নীতি, শহরে  ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকেরা। গত ১০ সেপ্টেম্বর একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে নেমে গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলি, পার্ক স্ট্রিট, মোমিনপুরের বন্দর এলাকা, নিউটাউন-সহ শহরের ছ’টি জায়গায় অভিযান শুরু করেছিল ইডি। এদিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে তিনটি গাড়ি বেরিয়ে শহরের আলাদা আলাদা জায়গায় তল্লাশিতে বেরোয়। এইচ বি ১৬৫-এ হাতে নোটিস নিয়ে ঢোকে ইডির একটি টিম। ইডির দ্বিতীয় টিম সেক্টর ফাইভে সেই ব্যবসায়ীর অফিসে তল্লাশি চাল্লাচ্ছে বলে খবর। সূত্রের খবর, অফিসটি মূলত মোটর পার্টস এর। তবে কোন মামলায় ইডি এই অভিযান তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Coal Scam: কয়লা-পাচারকাণ্ডে এবার পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব ইডির

    Coal Scam: কয়লা-পাচারকাণ্ডে এবার পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লাপাচার কাণ্ডে (Caol Scam) এবার পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব করল ইডি। আগামী ১৪ নভেম্বর তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে (TMC Leader) দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বুধবারই এই মর্মে নোটিশ এসেছে তাঁর কাছে।  সূত্রের খবর, সুজয়ের থেকে তাঁর আর্থিক বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। তবে এ নিয়ে প্রাথমিক ভাবে মুখ খুলতে চাননি পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতা। প্রসঙ্গত, কয়লাপাচারকাণ্ডে আগেই নাম জড়িয়েছে একাধিক তৃণমূল নেতার। নাম জড়িয়েছে সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের শ্যালিকাকেও ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুন: টানা ২ দিন দিল্লিতে ইডি জেরার মুখে সুকন্যা, কলকাতায় সিবিআইয়ের সামনে কেরিম

    ইডি সূত্রে খবর, কয়লা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালার ডায়েরিতে নাম পাওয়া গিয়েছে সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর সঙ্গে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। এর ভিত্তিতেই এই তলব করা হয়েছে, বলে ইডি সূত্রে খবর। কয়লাপাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে রাজ্যের খনি অঞ্চলের শাসকদলের নেতা ও পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে সিবিআই। ওদিকে টাকা কী ভাবে কার কার কাছে পৌঁছেছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত যুব তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা বিকাশ মিশ্র দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তার ভাই বিনয় মিশ্রকে সিবিআই গ্রেফতার করলেও সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন তিনি। এই মামলায় রাজ্যের একাধিক পুলিশকর্তাকেও জেরা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে ইডির দফতরে মুখোমুখি জেরা সায়গল-সুকন্যাকে! কী বললেন অনুব্রত-তনয়া?

    ইডির নোটিশের পরই সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে পুরুলিয়া জেলার বিজেপি নেতারা। পুরুলিয়ার বিজেপি সভাপতি বিবেক রাঙার বলেছেন, ‘‘তৃণমূল সবসময় চক্রান্তের অভিযোগ তুলবে। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে যে টাকা পাওয়া গিয়েছে তা কি বিজেপি রেখে এসেছে? ওরা গোটা রাজ্য এবং এই জেলাকে শেষ করেছে। যেমন কর্ম তেমন ফল।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: দিল্লিতে ইডির দফতরে মুখোমুখি জেরা সায়গল-সুকন্যাকে! কী বললেন অনুব্রত-তনয়া?

    Anubrata Mondal: দিল্লিতে ইডির দফতরে মুখোমুখি জেরা সায়গল-সুকন্যাকে! কী বললেন অনুব্রত-তনয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারই দিল্লিতে (Delhi) ইডি (ED) দফতরে হাজিরা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)।  ইডি সূত্রে খবর,  সুকন্যার বিপুল সম্পত্তির উৎস কী? বোলপুরের (Bolpur) একাধিক জমি রয়েছে, যাঁর বাজারমূল্য প্রায় ২৫ কোটি! শিক্ষকতার কাজ করে এত টাকার মালিক কী করে হলেন তিনি? এসব প্রশ্নই এদিন তাঁকে করা হয়। সুকন্যার পাশাপাশি এদিন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও আনা হয় ইডি দফতরে। এদিন দুজনকে একেবারে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, একক জেরায় সায়গল ও সুকন্যার কথায় একাধিক অসঙ্গতি দেখতে পান ইডি কর্তারা। জেরা পর্বের শুরু থেকেই দুজনের বক্তব্যের মধ্যে বৈপরীত্য থাকায় তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত নেন ইডি কর্তারা। 

    আরও পড়ুন: মৃত ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা মানিকের স্ত্রীর! বিস্ফোরক ইডি

    গরু পাচার কাণ্ডে জেলবন্দি তৃণমূল নেতা অনুব্রত-কন্যাকে এদিন আট ঘণ্টা জেরা করে ইডি। এদিন ২ দফায় সুকন্যাকে জেরা করেন ইডির গোয়েন্দারা। কন্যাকে জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে বলে ইডি সূত্রে খবর।  বুধবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে পৌঁছন সুকন্যা। তাঁর সঙ্গে ছিল প্রচুর নথি। সেই নথি ইডির কাছে জমা দেন তিনি। এর পর শুরু হয় জেরা। প্রথম পর্বে বেলা ২টো পর্যন্ত জেরা করা হয়। তারপর দুপুরের খাওয়া দাওয়া করেন তিনি। বিকেল ৩টে ৩০ মিনিট থেকে সায়গল হোসেনের মুখোমুখি বসিয়ে সুকন্যাকে দ্বিতীয় পর্বের জেরা করে ইডি। সায়গলের দেওয়া তথ্য সুকন্যাকে দিয়ে খতিয়ে দেখেন গোয়েন্দারা। সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট নাগাদ ইডির সদর দফতর থেকে গাড়ি করে বেরিয়ে যান সুকন্যা মণ্ডল। বোলপুর থেকে পরিবারের সদস্যরাও তাঁর সঙ্গে দিল্লি গিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিবারের সদস্যের সঙ্গেই গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান সুকন্যা। 

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে ইডির দফতরে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা! কী প্রশ্ন করলেন তদন্তকারীরা?

    ইডি সূত্রে খবর, বোলপুরের ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের অন্যতম ডিরেক্টর সুকন্যা। বোলপুরের কালিকাপুরের হারাধন মণ্ডল রোডে যে ঠিকানায় এই সংস্থার রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে, সেটি হল ভোলে ব্যোম রাইস মিলের। এই ভোলে ব্যোম রাইস মিলের মালিক আবার অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডল। স্বামী হিসেবে নথিতে নাম রয়েছে অনুব্রতরও। এর আড়ালেই কি চলত গরু পাচার? সেই টাকাতেই কি এত রমরমা? খতিয়ে দেখছে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mandal: সুকন্যাকে ফের সমন ইডির! আগামী বুধবার হাজির হতে হবে দিল্লিতে

    Anubrata Mandal: সুকন্যাকে ফের সমন ইডির! আগামী বুধবার হাজির হতে হবে দিল্লিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (cattle smuggling case) অনুব্রত (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে ফের সমন পাঠাল ইডি (Enforcement Directorate)। গত বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুকন্যাকে। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়ান সুকন্যা। তাই পুনরায় তলব। আগামী ২ নভেম্বর দিল্লিতেই ইডির অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছে অনুব্রত তনয়াকে। সেই সঙ্গে অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারিকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    দিল্লিতে ইডির হেফাজতে আছেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। শুক্রবারই তাঁকে আরও ৮ দিনের জন্য হেফাজতে পেয়েছে ইডি। এরই মধ্যে দিল্লিতে তলব করা হল সুকন্যাকে। অনুব্রত মণ্ডলের কন্যার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কোথা থেকে এল, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চান ইডির তদন্তকারী। সূত্রের দাবি, এর আগে সিবিআইয়ের (CBI) জিজ্ঞাসাবাদে সুকন্যা বলেছিলেন, যা জানার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি বলবেন। তাই মনীশকেও ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। গত মাসে অভিযান চালিয়ে মণীশের বাড়ি ও অফিস থেকে একাধিক নথিও উদ্ধার করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সেই নথির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে নতুন করে আরও সম্পত্তি ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য।

    আরও পড়ুন: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত! এবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে মানিক

    প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলকে ইতিমধ্যেই গরু পাচার মামলায় তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। একাধিকবার জামিনের আবেদন করেও কোনও কাজ হয়নি। আসানসোল সংশোধনাগারেই দিন কাটছে তাঁর। এএনএম অ্যাগ্রোকেম লিমিটেড নামে একটি সংস্থার মালিকানা রয়েছে সুকন্যার নামে। এই সংস্থার আয়ব্যয়ের হিসেব ইতিমধ্যেই রয়েছে ইডির স্ক্যানারে। সব হিসেব খতিয়ে দেখতে চান ইডির আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের চার্জশিটে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে সুকন্যার আয় ছিল ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সেই হিসেব বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সুকন্যার নামে অন্তত ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটেরও হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উল্লেখ্য, ইডির আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই সুকন্যার আয়-ব্যয়ের হিসেবের উপর নজর রাখছে। গরু পাচার সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে জড়িত টাকা সুকন্যার সংস্থার মাধ্যমে ঘুরপথে সাদা করা হত কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই দিল্লিতে ইডির অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে সুকন্যাকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Manik Bhattacharya: ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসকে ২ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব ইডির

    Manik Bhattacharya: ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসকে ২ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য- ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে ফের তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাপসকে ২ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তাপসকে এদিন ৬৫৪টি বেসরকারি ডিএলএড কলেজের তথ্য সঙ্গে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ৬৫৪টি বেসরকারি ডিএলএড কলেজের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন তাপস মণ্ডল। ২ নভেম্বর তাপসকে ডিএলএডের অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।  

    কিছুদিন আগেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। এরপরই ইডির স্ক্যানারে আসে মানিক ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। তাপসের বিভিন্ন ডেরায় হানা দেয় ইডি (ED)। এর আগে ২০ অক্টোবর তাঁকে তলব করেছিল এই কেন্দ্রীয় গোয়ান্দা সংস্থা।

    সূত্রের খবর, ২০১৮-২০, ২০১৯-২১, ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ডিইএলএড কলেজগুলিতে অফলাইনে কত রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, তার হিসাব চাওয়া হয়েছে তাপসের থেকে। ইডির দাবি, ৬০০টি কলেজে অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছাত্র পিছু ৫ হাজার করে টাকা নেওয়া হত। এই টাকা যেত মানিকের কাছে। ফলে কত সংখ্যক ছাত্রের অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল এবং মোট কত টাকা নেওয়া হয়েছিল, তা জানতে চায় ইডি।

    আরও পড়ুন: বিবাহিত মহিলাদের বাড়ির কাজ করতে বলা নিষ্ঠুরতা নয়, জানাল বম্বে হাইকোর্ট

    তাপসের নিজেরও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ রয়েছে। ইডির নজরে রয়েছে এই কলেজও। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, এই কলেজে বহুবার এসেছেন মানিক ভট্টাচার্য। ১৬ অক্টোবর তালা ভেঙে সেই কলেজের অফিসে ঢোকেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। পাঁশকুড়াতেও তাপসের  শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ পাঁশকুড়া ব্লকের অন্তর্গত মাইশোরা এলাকার রাসবিহারী প্রাইভেট টিচার্স  ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নামে একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের  হদিশ মেলে৷ জেলার একাধিক জায়গায় তাঁর আরও বেশ কয়েকটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকরা।     

    বারাসতের বাসিন্দা তাপসের আদি বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। প্রসঙ্গত, তাপসের ভাই বিভাসের স্ত্রী পারমিতা কয়েক মাস আগেই হাই কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি খুইয়েছেন। এমনটা অভিযোগ-ও সামনে আসে, তাপস মণ্ডলকে বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে ফাইল সরাচ্ছে তাঁর ভাই ও সাঙ্গপাঙ্গোরা!  অভিযোগ করেন প্রতিবেশী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তদন্ত তল্লাশিতে আরও দুর্নীতি ফাঁসের আশঙ্কা রয়েছে। তাপস মণ্ডলের আদি বাসভূমি পাঁশকুড়ার হরেকৃষ্ণপুর গ্রাম এলাকায় রাতের অন্ধকারে তাঁর বিভিন্ন সংস্থা থেকে ফাইল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

    মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করে যে নথি পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে ইডির গোয়েন্দারা মনে করছেন, তাপসের সঙ্গে মানিকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু, মানিক এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। তাই ইডির অফিসাররা মনে করছেন যে, মানিক তথ্য গোপন করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। সেই কারণেই মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসকে তৃতীয়বার তলব করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ

  • Saigal-Hossain: গরু পাচার কাণ্ডে বিপত্তি বাড়ল অনুব্রতর! আজই দিল্লিতে ইডির হাতে সায়গল

    Saigal-Hossain: গরু পাচার কাণ্ডে বিপত্তি বাড়ল অনুব্রতর! আজই দিল্লিতে ইডির হাতে সায়গল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Scam) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) দিল্লি নিয়ে যাওয়া হল। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের একটি দল সায়গলকে নিয়ে দিল্লি গিয়েছে। সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। প্রথমে নিম্ন আদালত, তার পরে কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো সায়গল হোসেনকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পায় ইডি। সেই মতো শুক্রবার বিকেলে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যায় রাজ্য পুলিশের একটি বিশেষ দল।

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় কেষ্টর বিরুদ্ধে ৩৫ পাতার চার্জশিট পেশ সিবিআই-এর

    হাওড়া অমৃতসর জলিয়াওয়ালাবাগ এক্সপ্রেসে করে সায়গলকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লি। নির্ধারিত সময় বিকেল ৪টে বেজে ১৫ মিনিটের ২ মিনিট পরে ঠিক ৪টে ১৭ মিনিটে আসানসোল রেল স্টেশনে ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসে। জানা গেছে, ট্রেনের এস ৩ কোচে সিট নম্বর ৫৮ এবং ৫৯ নং সংরক্ষণ করা হয়েছিল। তাতে ২ জন যান। বাকি এস ৪ কামরায় ৪ জন আধিকারিকও গিয়েছেন। এদিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ আসানসোল জেল থেকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে আসানসোল রেল স্টেশনের সায়গলকে আনা হয়। এদিন সায়গলের পরনে ছিল আকাশী নীল রংয়ের টি-শার্ট ও নীল জিন্সের প্যান্ট। সঙ্গে ছিল একটি পিঠ-ব্যাগও। মুখে লাগানো ছিল মাস্ক। গোটা স্টেশন চত্বরকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ, রেল পুলিশ ও আরপিএফের আধিকারিকদের নিয়ে বিশাল নিরাপত্তা ঘেরাটোপ করা হয়েছিল। রেল সূত্রে জানা গেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে শনিবার দুপুরের পরে এই ট্রেন দিল্লি পৌঁছে যাবে। সেখানে ইডি-র হাতে তুলে দেওয়া হবে সায়গলকে।

    আরও পড়ুন: এফআইআর নিচ্ছে না পুলিশ! অভিষেকের ‘গুলি’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে আদালতে সুকান্ত

    সায়গল হোসেনকে ইডি দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পাওয়ায় অনুব্রত মণ্ডলের উপরেও নিঃসন্দেহে চাপ বাড়ল। কারণ প্রথম থেকেই ইডি এবং সিবিআই-এর অভিযোগ, গরু পাচারের বেআইনি কারবারে অনুব্রতর ডান হাত ছিলেন সায়গল। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রতকে গ্রেফতারের আগেই সায়গলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বহু গোপন তথ্য পাওয়া যায়। তার রেশ ধরেই গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share