Tag: ED

ED

  • Anubrata Mondal: বিপাকে অনুব্রত! তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজের আবেদনের শুনানি পিছোল

    Anubrata Mondal: বিপাকে অনুব্রত! তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজের আবেদনের শুনানি পিছোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)বিরুদ্ধে করা এফআইআর খারিজের মামলা। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)- মামলা করেছিলেন। সেই মামলা খারিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। দ্রুত শুনানির আর্জিও জানান কেষ্ট। কিন্তু সেই মামলার প্রতিলিপি এখনও হাতে পায়নি তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার উচ্চ আদালতে মামলার শুনানিতে এমনই জানাল ইডি। তাই, নিজেদের অবস্থান জানাতে আরও কিছুটা সময় চাইল তদন্তকারী সংস্থা। তার ভিত্তিতে আগামী ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ২টোয় মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানান বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।

    আদালতে সওয়াল

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর করা মামলায় জামিনের আবেদন নিয়েও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই মামলাটিরও শুনানি রয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। দুই মামলাতেই তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল। আগামী দিনে অনুব্রত মণ্ডলের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে এই দুই মামলার উপর। ইডির করা এফআইআর খারিজের মামলা রয়েছে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে। অন্যদিকে সিবিআই-এর করা মামলায় জামিনের আর্জির শুনানি রয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির এজলাসে।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে তৎপর ইডি। তা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টেও মামলা চলছে। তার মধ্যেই উচ্চ আদালতে ইডির মামলা খারিজের আর্জি জানান অনুব্রত। সেই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিজেদের অবস্থান জানাতে বলেছিল উচ্চ আদালত। তখনই আদালতের কাছে সময় চেয়ে নেন ইডির আইনজীবী। সেইমতোই এদিন ইডিকে কিছুটা সময় দিল আদালত। গরুপাচার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে সিবিআই। কিন্তু অনুব্রতর আইনজীবীদের দাবি, টাকা নেওয়ার প্রমাণ এখনও পেশ করতে পারেনি সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Manik Bhattacharya: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে ইডি-র চার্জশিট আগামী সপ্তাহেই?

    Manik Bhattacharya: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিকের বিরুদ্ধে ইডি-র চার্জশিট আগামী সপ্তাহেই?

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই এই মামলায় চার্জশিট পেশ করতে পারে ইডি। থাকতে পারে মানিকের নাম। কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ সিবিআই আদালতে চার্জশিট জমা পড়বে বলে জানা গিয়েছে। গত ১০ অক্টোবর মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। গ্রেফতারের ৬০ দিনের মধ্যেই জমা দেওয়া হবে চার্জশিট। 

    শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীর অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। সিবিআইকে এই মামলায় তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মানিককেই (Manik Bhattacharya) এই দুর্নীতির মাথা বলে দাবি করেছেন ইডি গোয়েন্দারা।

    মানিকের বিরুদ্ধে কী প্রমাণ রয়েছে?  

    মানিকের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতির প্রমাণ হাতে এসেছে বলে আদালতে দাবি করেছে ইডি। এই দুর্নীতিতে জড়িত আছে তাঁর ছেলেও বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। মানিকের ছেলের দুই সংস্থাতেও দুর্নীতি থেকে পাওয়া টাকা ঢুকেছে। আর এই সমস্ত তথ্য উল্লেখ করা থাকতে পারে পরবর্তী চার্জশিটে। এই দুর্নীতির টাকা মানিক কোথায় সরিয়েছেন, তারও উল্লেখ থাকতে পারে বলেই সূত্রের দাবি। 

    টাকা পাচারের মামলা হওয়ায় প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-এ মানিকের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবে ইডি। দুর্নীতির টাকা পাচারে মানিক ছাড়া আর কার কার নাম উঠে আসতে পারে তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদনেই মানিক প্রায় এক দশক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই মুহুর্তের ঠিকানা হাজত। মানিকের মামলাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম আসবে কী না তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

    আরও পড়ুন: এসএসসি-তে ২১ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ হাজার ওএমআর শিটে বিকৃতি! আদালতে দাবি সিটের  
     
    ইডি সূত্রের দাবি, পার্থ-মানিক (Manik Bhattacharya) যোগসাজশের বেশ কিছু প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে। দু’জনের পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও খতিয়ে দেখা হয়েছে। মানিকের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যের ব্যাংকে- লেনদেন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ইডি। কোনও কাজ না-করিয়েও কেন বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ থেকে সৌভিকের সংস্থার অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল তার খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। সেই লেনদেনেও দুর্নীতির আঁচ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডি-র, জানেন কী?

    Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডি-র, জানেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ফের বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ ইডির (ED)। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বেসরকারি কলেজগুলিকে ‘নো অবজেকশন’ কিংবা অনুমোদন দেওয়ার জন্যও টাকা নেওয়া হত। ইডির দাবি, কলেজ পিছু ১০ থেকে ১২ লক্ষ করে টাকা নেওয়া হত। কোনও কোনও ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক ছুঁয়েছে ১৫ লক্ষ পর্যন্ত।

    ইডির দাবি…

    প্রাইভেট ট্রেনিং কলেজের পর প্রাইভেট ল’ কলেজ ও ফার্মাসি কলেজ অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রেই নেওয়া হয়েছে ওই পরিমাণ টাকা। ইডির একটি সূত্রের খবর, কলেজ পিছু আসা টাকা ভাগ হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে।   ইডির আরও দাবি, অনুমোদনের ক্ষেত্রে একটি ল’ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবেও প্রভাব খাটিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। প্রসঙ্গত, কোনও বেসরকারি ল’ কলেজ বা ফার্মাসি কলেজ খোলার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় শিক্ষা দফতরের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই বিষয়টিই মাথায় রেখে কাজ করে গিয়েছে পার্থ-মানিক জুটি। জানা গিয়েছে, যখন টাকার বিনিময়ে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হত, তখন তা দেওয়ার জন্য পার্থকে (Partha Chatterjee) সুপারিশ করতেন মানিক। কেবল তাই নয়, মধ্যস্থতাকারীর উপস্থিতির খোঁজও মিলেছে। ইডির দাবি, প্রসন্ন রায়ের মতো মধ্যস্থতাকারী ছিলেন। তিনি মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ। সেই মধ্যস্থতাকারীকে চিহ্নিত করে তলব করা হতে পারে বলেও ইডি সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই সেই সব কলেজ চিহ্নিতকরণের কাজও শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি

     এদিকে, এখনও পর্যন্ত ২৫টি প্রাইভেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মালিককে ডেকে বয়ান রেকর্ড করেছে ইডি। তাতে অফ লাইনে রেজিস্ট্রেশনে ঘুষের তথ্য প্রমাণ হাতে এসেছে বলেও দাবি ইডির। প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায়ও মানিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। মানিকের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ অবশ্য এই প্রথম নয়। মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, যাঁরা ডিএলএড প্রশিক্ষণ নিতে চাইতেন, তাঁদের থেকে নিয়মিত টাকা নেওয়া হত। যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কলেজে নাম নথিভুক্ত করতে পারতেন না, তাঁদের অফলাইনে নাম নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করে দিতেন মানিক। তাপসের দাবি, এভাবে অন্তত ২০ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Partha Chatterjee: মিলল না জামিন, ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই পার্থ-অর্পিতা

    Partha Chatterjee: মিলল না জামিন, ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই পার্থ-অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  নিয়োগ দুর্নীতি ও আর্থিক তছরূপের মামলায় জামিন পেলেন না রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে বুধবার ফের পিএমএলএ আদালতে (PMLA Court) পেশ করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee)। এদিনও ভার্চুয়ালি পেশ করা হয় তাঁদের। কিন্তু জামিন পেলেন না প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    এদিন পার্থর আইনজীবীর তরফে জামিনের আবেদনই করা হয়নি। পার্থর হয়ে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী সেলিম রহমান ও সুকন্যা ভট্টাচার্য। তাঁরা বলেন, ‘কোর্ট অর্ডার অনুযায়ী আমাদের উদ্ধার হওয়া নথির স্ক্যান কপির একটি সিডি দেওয়া হয়েছে। সব নথির স্ক্যান কপি দেওয়া হয়নি।’ তাঁরা দাবি করেন, এই গ্রেফতারি অনৈতিক। তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই। একইসঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আইনজীবী এদিন বিচারকের সামনে জানান, চার্জশিট জমা হওয়ার অর্থ এই নয় যে তিনি এই অপরাধে অপরাধী। তাঁরা আর্জি জানান, ইডির আবেদন খারিজ করা হোক। কার্যত একই অভিযোগ করেন অর্পিতার আইনজীবী। ইডি-র আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র বলেন, ‘‘নথির কোন কোন জায়গা অস্পষ্ট, তা জানালে সেই সব অংশ ফের তুলে দেওয়া হবে।’’ইডি-র তরফে দাবি করা হয়, এখনও পর্যন্ত পার্থ ও অর্পিতা এবং তাঁদের আত্মীয়দের প্রায় ১০৩ কোটি টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে। বিচারক শুভেন্দু সাহা শুনানি শেষে পার্থ ও অর্পিতাকে ফের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তাঁদের আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে।

    আরও পড়ুন: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেন

     আদালতে পার্থর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে ইডি। ইডির দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক বেসরকারি ল কলেজ এবং ফার্মা কলেজের অনুমোদন দেওয়ার জন্য কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই কোটি কোটি টাকা কোথায় রাখা হয়েছে তার হদিশ জানতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রাখা জরুরি বলেও দাবি করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রে দাবি করা হয়েছে,অনলাইনে পড়ুয়া ভর্তি করতে বেসরকারি বিএড ও ডিইএলএড কলেজ থেকে যেমন কোটি কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল, একই ভাবে টাকা নেওয়া হয় বেসরকারি আইন এবং ফার্মাসি কলেজের ক্ষেত্রেও। দু’টি ক্ষেত্রেই ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযোগের তির রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের দিকে। প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতে ইডি-র মামলায় মানিক এখন জেলে আছেন। তদন্তকারীদের দাবি, তাঁকে জেরা করেই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে এবং মানিকের বয়ান অনুযায়ী তাতে পার্থও জড়িত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Partha Chatterjee: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    Partha Chatterjee: বেসরকারি কলেজে অনুমোদন থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, পার্থর বিরুদ্ধে আদালতে বিস্ফোরক ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ফের আদালতে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করা হল পার্থ-অর্পিতাকে (Partha Chatterjee)। আদালতে জামিনের আর্জি জানাননি পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী। জামিনের আবেদনের রায়দান রিজার্ভে রেখেছে আদালত। আদালতে পার্থর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে ইডি। ইডির দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক বেসরকারি ল কলেজ এবং ফার্মা কলেজের অনুমোদন দেওয়ার জন্য কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই কোটি কোটি টাকা কোথায় রাখা হয়েছে তার হদিশ জানতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রাখা জরুরি বলেও দাবি করেছেন ইডির গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা আরও জানিয়েছেন একাধিক সাক্ষীকে জেরা করে তাঁরা আরও দুর্নীতির তথ্য পেয়েছেন। সেই সব দুর্নীতির হদিশ পেতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে রেখে তাঁরা জেরা করতে চান বলে জানিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: ইজরায়েলি ছবি নির্মাতা নাদাভ লাপিডের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা

    ইডির দাবি 

    পার্থ (Partha Chatterjee) ও অর্পিতার নামে মোট ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইডির তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “পার্থ ও তাঁর সহযোগীর ৪৮.২২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আগেই অর্পিতার দুই ফ্ল্যাট থেকে মোট ৪৯.৮০ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া সোনাদানার বাজারমূল্য ৫.০৮ কোটি টাকারও বেশি। সব মিলিয়ে মোট ১০৩.১০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে ৭ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। 

    ইডি সূত্রে আরও জানানো হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, পার্থ-অর্পিতার (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১৪,৬৩০টি নথি পাওয়া গিয়েছে। সেই নথি সিবিআই- এর বিশেষ আদালতে পেশও করা হয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর পার্থর আইনজীবী দাবি করেছিলেন, ওইদু’জনের বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট পেশ করা হলেও মামলার তদন্তে উঠে আসা কোনও নথিই অভিযুক্তদের দেওয়া হয়নি তদন্তে উঠে আসা নথি অভিযুক্তদের হাতে দেওয়া হয়নি। সমস্ত নথি জমা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন আইনজীবীরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
      

  • Anubrata Mondal: জামিনের পর এবার মামলা খারিজের দাবি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেষ্ট

    Anubrata Mondal: জামিনের পর এবার মামলা খারিজের দাবি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামিনের আবেদনের পর এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দায়ের করা মামলা খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)।

    কোন মামলায় আবেদন?

    গত ১৭ নভেম্বর আসানসোল সংশোধনাগারে কেষ্টকে জেরা করতে যান ইডি গোয়েন্দারা। সেই সময় সিবিআই হেফাজতে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আসানসোল জেলেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করে ইডি। যদিও অ্যারেস্ট মেমোতে সই করেননি অনুব্রত। দিল্লি নিয়ে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। সেই মর্মে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদনও করেছে এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই মামলার শুনানি হবে ১ ডিসেম্বর। কিন্তু এবার এই মামলা খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করলেন অনুব্রত। বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে আজ দ্রুত শুনানির আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। আদালত ২ ডিসেম্বর এই মামলা শুনবে। 

    এদিকে, সিবিআই মামলায় আসানসোল আদালতে বারবার জামিন চেয়েও না মেলায় গতকাল হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে বুধবার শুনানি হবে অনুব্রতর জামিন মামলার। গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করে অনুব্রত মণ্ডলকে। ২৫ নভেম্বর গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোল আদালত।

    কী অভিযোগ? 

    গরুপাচার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে সিবিআই। কিন্তু অনুব্রতর আইনজীবীদের দাবি, টাকা নেওয়ার প্রমাণ এখনও পেশ করতে পারেনি সিবিআই। তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ফোন থেকে এই সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করেছিল তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই বারবার পাল্টা দাবি করে এসেছে, অনুব্রতর মতো একজন প্রভাবশালীকে জেল থেকে ছাড়া হলে তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে। দেশজুড়ে চলছে গরু পাচার মামলার তদন্ত। এই মামলায় অনুব্রতর ভূমিকা নিয়ে নিশ্চিত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    ১১ অগাস্ট তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার পর ৫ দিন সিবিআইয়ের হেফাজতে ছিলেন তিনি। এর পর থেকে প্রায় ১০০ দিন পেরিয়ে গেলেও মেলেনি জামিন। এর মাঝে আসানসোন জেলে থাকাকালীনই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই অবস্থায় সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন অনুব্রত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

         

  • Anubrata-Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে দিল্লিতে তলব ইডির! কী জানতে চায় তদন্তকারীরা?

    Anubrata-Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে দিল্লিতে তলব ইডির! কী জানতে চায় তদন্তকারীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না তা জানা যাবে ১ ডিসেম্বর। তবে, আজ সোমবার দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সঞ্জীব মজুমদারকে। বোলপুরে এক চালের মিলের মালিক তিনি। অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে তাঁর সঙ্গে বিপুল আর্থিক লেনদেনের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি ইডির।

    সঞ্জীব মজুমদারকে তলব

    ব্যবসায়ী সঞ্জীব মজুমদারকে আগে রতনকুঠিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এবার তলব ইডির। ইডি সূত্রে খবর,বীরভূমের একটি চালকলের মালিক সঞ্জীব মজুমদার। তাঁর সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। তাই বেআইনি আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে ইডি অফিসাররা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান। এখন জেলে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বেশ কিছু টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিলেন সঞ্জীব। কেন তিনি অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করেছিলেন,এবার তা নিয়েই তদন্তকারীরা কথা বলতে চান। 

    আরও পড়ুন: জামিনের আবেদনই করলেন না, আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতেই কেষ্ট

    অনুব্রতের বিরুদ্ধে প্রমাণ

    ইডি চায় অনুব্রতকে নয়াদিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে। তাই নয়াদিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে মামলা করেছে ইডি। পাল্টা হিসেবে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কেষ্ট। অনুব্রতের হয়ে সেই মামলা লড়ছেন কপিল সিব্বল। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ এই আইনজীবীর সঙ্গে লড়াই করতে তাই উপযুক্ত প্রমাণ চাইছে ইডি। তাই অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করা হচ্ছে। আগামী ১ ডিসেম্বর ওই মামলার শুনানি রয়েছে। ইডি মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে তদন্ত শুরু করেছে। গরু পাচার মামলায় প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে বলে মনে করছেন ইডির অফিসাররা। গরু পাচার মামলায় যুক্ত এনামুল হক, সায়গল হোসেন এখন নয়াদিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে এসে সায়গলের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। সেটা আদালত অনুমতি দিলেই সম্ভব।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Suvendu Adhikari: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে…’, কাকে নিশানা করলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, কয়লা পাচারের হাজার কোটি টাকা গিয়েছে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কাছে। তবে কার কাছে সে টাকা গিয়েছে, তাঁর নাম নিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর নিশানায় কে, তাও খোলসা করলেন না নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিধায়ক।

    ইডি এবং সিবিআই…

    কয়লাপাচারকাণ্ডের মূল পৌঁছতে তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনিয়ে জেরাও করেছে তারা। অভিযান চালানো হয়েছে তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তৃণমূলের সওকত মোল্লাকেও। এঁদের প্রত্যেকেরই দাবি, কয়লা পাচারের সঙ্গে এঁদের কোনও যোগ নেই। কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে একাজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এহেন আবহে বিস্ফোরক দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।

    শুক্রবার ইডির দেওয়া চার্জশিটের প্রিন্ট আউট বলে দাবি করা কিছু কাগজ দেখিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, কয়লা দুর্নীতির সঙ্গে একটা বড় চক্র যুক্ত। তাতে রাজনৈতিক প্রভাবশালীও যুক্ত রয়েছে। আয়কর হানায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার যে দু্র্নীতির হদিশ মিলেছে, তার মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা গিয়েছে এক রাজনৈতিক প্রভাবশালীর কাছে। যিনি পুলিশ ও প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করেন।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তিকুঞ্জে’র সামনে ‘অশান্তি’ তৃণমূলের, সিবিআই চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    স্ব-বক্তব্যের দাবির সমর্থনে শুভেন্দু  (Suvendu Adhikari) এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত গুরুপদ মাজিকে দেওয়া ইডির দুশো পাতার চার্জশিরের কয়েকটি পাতার নম্বর উল্লেখ করে বলেন, এই চার্জশিটের কপি এখন জনসমক্ষে রয়েছে। আপনারা একটু কষ্ট করে দেখে নিন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, কয়লা দুর্নীতির সঙ্গে একটা বড় চক্র যুক্ত রয়েছে। তাতে যুক্ত রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকেরা। ১২ ডিসেম্বর মামলা সুপ্রিম কোর্টে নির্দিষ্ট হয়েছে। তাই আমি ডিটেলস তথ্য প্রমাণ আপনাদের কাছে বলছি না। তিনি বলেন, এই মামলার মূল লাভবান, হাজার কোটি টাকা গেছে, তাঁর লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানিতে গেছে। মামলা সুপ্রিম কোর্টে আছে ১২ ডিসেম্বর। এদিন তৃণমূলের জেলবন্দি নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও একহাত নেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বলেন, যাঁরা লুঠেরাদের সমর্থন করেন, তাদের কাছ থেকে আমরা শিখব না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Anubrata Mondal: ইডির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ অনুব্রত! সওয়াল করলেন কপিল সিব্বল

    Anubrata Mondal: ইডির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ অনুব্রত! সওয়াল করলেন কপিল সিব্বল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্টকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে মরিয়া ইডি। গরুপাচার মামলার তদন্তে রাজধানীতে নিয়ে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। কেষ্টর প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট চেয়ে, গত সপ্তাহে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানায় ইডি। তারই পাল্টা হিসেবে গরুপাচার মামলায় এবার ইডির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ অনুব্রত মণ্ডল। ইডির আবেদন খারিজের দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।

    আরও পড়ুন: ‘‘অপেক্ষা করুন, ছবি আসছে, সব সামনে আসবে!’’ শুভেন্দুর নিশানায় কে?

    অনুব্রতের হয়ে কপিল সিব্বল

    বাংলার মামলায় দিল্লিতে এনে কেন জেরা করতে হবে? এই প্রশ্ন তুলে অনুব্রতর পক্ষে দিল্লি হাইকোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। অনুব্রতের শারীরিক অবস্থা দেখিয়ে দিল্লি যাত্রা এড়ানোর কথা বলা হয়েছে। আগামী শুক্রবার মামলার শুনানি। ফলে এখনই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারছে না ইডি (Enforcement Directorate)।  মঙ্গলবার আদালতে অনুব্রতের হয়ে সিব্বল জানান যে,পশ্চিমবঙ্গে এই মামলায় অধিকাংশ অভিযোগ উঠেছে। ফলে বাংলাতেই অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক ইডি। সিব্বলের এই যুক্তির বিরোধিতা করে অনুব্রতের দেহরক্ষী তথা গরু পাচার মামলায় ধৃত সায়গল হোসেনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির তরফে বলা হয়,সায়গলকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: বুধবার থেকে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু মহাগুরুর! আজ কলকাতায় এলেন মিঠুন

    ইডির মামলা

    ইডির আবেদনের বিরোধিতা করে দিল্লি হাই কোর্টে এই মামলা হওয়ায় অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া নিয়ে ইডির করা মামলার শুনানি মঙ্গলবার হয়নি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে।  গত শুক্রবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তৃণমূল নেতার নামে ‘প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট’ জারি করার আবেদন করেন ইডির আইনজীবীরা। সেই আবেদন গ্রহণ করেও কোনও নির্দেশ দেননি বিচারক। এদিন ছিল শুনানি। কিন্তু তা স্থগিত হয়ে যায়। ইডির যুক্তি ইতিমধ্যেই এই মামলায় দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, অনুব্রতকন্যা সুকন্যাকেও। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রত ও সুকন্যার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক নয়া তথ্য মিলেছে। সূত্রের খবর, সেই তথ্যের ভিত্তিতে অনুব্রতকে আরও বিশদে জেরা করতে চায় ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিএড- ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিএড- ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫০টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে ইডি-র অফিসে সোমবার ডেকে পাঠানো হয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই এই তলব বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। এর আগে  বেসরকারি বিএড এবং ডি এল এড কলেজ সংগঠনের সভাপতি তাপস মণ্ডলকে দফায় দফায় বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। মোট ৫০টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কলেজ কর্তৃপক্ষ দফতরে হাজিরা দিতে শুরু করেছেন। 

    আরও পড়ুন: বুধবার থেকে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু মহাগুরুর! আজ, শহরে মিঠুন

    সোমবার ইডির দফতরে হাজিরা দিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বসিরহাট মহাবোধি কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি সুজিত সরকার। তিনি বলেন, “তাপস মণ্ডল এবং বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের নির্দেশে টাকা দিয়েছিলাম মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের কোম্পানিকে। তখন জানতাম না, ওটা মানিকের ছেলের কোম্পানি। ইডি ডেকেছে, তাই এসেছি।”     

    গোটা রাজ্যে মোট বেসরকারি ডিএলএড কলেজ রয়েছে ৫৯৬টি। আর এই সব কলেজ থেকেই কম-বেশি টাকা তুলতেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। আর সেই বিষয়েই প্রশ্ন করা হতে পারে কলেজ কর্তৃপক্ষদের। এর আগেই মানিকের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তাঁর একদা ঘনিষ্ঠ বেসরকারি কলেজের মালিক তাপস মণ্ডল। পর্ষদের বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক বয়ান দেন তাপস। তিনি দাবি করেছিলেন,  “পর্ষদের অফিসের পাঁচতলায় একটি এজেন্সি কাজ করত। তারাই এই ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে সব দেখত। যাদের ঠিক করে দিয়েছিল সভাপতি হিসেবে মানিকবাবুই।” স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্য ইডি আধিকারিকদেরও দিয়েছিলেন তিনি। তার ভিত্তিতেই এদিনের তলব। মনে করা হচ্ছে, এ সব বিষয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে তাঁদের। 

    কী উঠে এসেছে তদন্তে? 

    তদন্তে ইডির গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়া মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌভিকের দু’টি সংস্থার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন ডিএলএড কলেজ  থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা জমা পড়েছে। এছাড়া তাপস মণ্ডলের মাধ্যমে অনলাইনে ভর্তি বাবদ মানিক সারা রাজ্যের ৫৯৬টি ডিএলএড কলেজ থেকে পড়ুয়াদের মাথাপিছু ৫০০০ টাকা নিয়েছিলেন বলে উঠে এসেছে তদন্তে। বিভিন্ন বেসরকারি কলেজে অনলাইনে ভর্তি বাবদ তাপসের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share