Tag: ED

ED

  • Anubrata Mondal: দিল্লিতে ইডির দফতরে মুখোমুখি জেরা সায়গল-সুকন্যাকে! কী বললেন অনুব্রত-তনয়া?

    Anubrata Mondal: দিল্লিতে ইডির দফতরে মুখোমুখি জেরা সায়গল-সুকন্যাকে! কী বললেন অনুব্রত-তনয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবারই দিল্লিতে (Delhi) ইডি (ED) দফতরে হাজিরা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)।  ইডি সূত্রে খবর,  সুকন্যার বিপুল সম্পত্তির উৎস কী? বোলপুরের (Bolpur) একাধিক জমি রয়েছে, যাঁর বাজারমূল্য প্রায় ২৫ কোটি! শিক্ষকতার কাজ করে এত টাকার মালিক কী করে হলেন তিনি? এসব প্রশ্নই এদিন তাঁকে করা হয়। সুকন্যার পাশাপাশি এদিন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও আনা হয় ইডি দফতরে। এদিন দুজনকে একেবারে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, একক জেরায় সায়গল ও সুকন্যার কথায় একাধিক অসঙ্গতি দেখতে পান ইডি কর্তারা। জেরা পর্বের শুরু থেকেই দুজনের বক্তব্যের মধ্যে বৈপরীত্য থাকায় তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত নেন ইডি কর্তারা। 

    আরও পড়ুন: মৃত ব্যক্তির সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা মানিকের স্ত্রীর! বিস্ফোরক ইডি

    গরু পাচার কাণ্ডে জেলবন্দি তৃণমূল নেতা অনুব্রত-কন্যাকে এদিন আট ঘণ্টা জেরা করে ইডি। এদিন ২ দফায় সুকন্যাকে জেরা করেন ইডির গোয়েন্দারা। কন্যাকে জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে বলে ইডি সূত্রে খবর।  বুধবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে পৌঁছন সুকন্যা। তাঁর সঙ্গে ছিল প্রচুর নথি। সেই নথি ইডির কাছে জমা দেন তিনি। এর পর শুরু হয় জেরা। প্রথম পর্বে বেলা ২টো পর্যন্ত জেরা করা হয়। তারপর দুপুরের খাওয়া দাওয়া করেন তিনি। বিকেল ৩টে ৩০ মিনিট থেকে সায়গল হোসেনের মুখোমুখি বসিয়ে সুকন্যাকে দ্বিতীয় পর্বের জেরা করে ইডি। সায়গলের দেওয়া তথ্য সুকন্যাকে দিয়ে খতিয়ে দেখেন গোয়েন্দারা। সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট নাগাদ ইডির সদর দফতর থেকে গাড়ি করে বেরিয়ে যান সুকন্যা মণ্ডল। বোলপুর থেকে পরিবারের সদস্যরাও তাঁর সঙ্গে দিল্লি গিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিবারের সদস্যের সঙ্গেই গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান সুকন্যা। 

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে ইডির দফতরে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা! কী প্রশ্ন করলেন তদন্তকারীরা?

    ইডি সূত্রে খবর, বোলপুরের ANM অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডের অন্যতম ডিরেক্টর সুকন্যা। বোলপুরের কালিকাপুরের হারাধন মণ্ডল রোডে যে ঠিকানায় এই সংস্থার রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে, সেটি হল ভোলে ব্যোম রাইস মিলের। এই ভোলে ব্যোম রাইস মিলের মালিক আবার অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডল। স্বামী হিসেবে নথিতে নাম রয়েছে অনুব্রতরও। এর আড়ালেই কি চলত গরু পাচার? সেই টাকাতেই কি এত রমরমা? খতিয়ে দেখছে ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mandal: সুকন্যাকে ফের সমন ইডির! আগামী বুধবার হাজির হতে হবে দিল্লিতে

    Anubrata Mandal: সুকন্যাকে ফের সমন ইডির! আগামী বুধবার হাজির হতে হবে দিল্লিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (cattle smuggling case) অনুব্রত (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে ফের সমন পাঠাল ইডি (Enforcement Directorate)। গত বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুকন্যাকে। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়ান সুকন্যা। তাই পুনরায় তলব। আগামী ২ নভেম্বর দিল্লিতেই ইডির অফিসে হাজির হতে বলা হয়েছে অনুব্রত তনয়াকে। সেই সঙ্গে অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারিকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই-এর তলব এড়িয়ে ই-মেল করলেন কেষ্ট কন্যা, কী লিখেছেন চিঠিতে?

    দিল্লিতে ইডির হেফাজতে আছেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। শুক্রবারই তাঁকে আরও ৮ দিনের জন্য হেফাজতে পেয়েছে ইডি। এরই মধ্যে দিল্লিতে তলব করা হল সুকন্যাকে। অনুব্রত মণ্ডলের কন্যার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কোথা থেকে এল, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চান ইডির তদন্তকারী। সূত্রের দাবি, এর আগে সিবিআইয়ের (CBI) জিজ্ঞাসাবাদে সুকন্যা বলেছিলেন, যা জানার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি বলবেন। তাই মনীশকেও ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। গত মাসে অভিযান চালিয়ে মণীশের বাড়ি ও অফিস থেকে একাধিক নথিও উদ্ধার করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সেই নথির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে নতুন করে আরও সম্পত্তি ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য।

    আরও পড়ুন: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত! এবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে মানিক

    প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলকে ইতিমধ্যেই গরু পাচার মামলায় তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। একাধিকবার জামিনের আবেদন করেও কোনও কাজ হয়নি। আসানসোল সংশোধনাগারেই দিন কাটছে তাঁর। এএনএম অ্যাগ্রোকেম লিমিটেড নামে একটি সংস্থার মালিকানা রয়েছে সুকন্যার নামে। এই সংস্থার আয়ব্যয়ের হিসেব ইতিমধ্যেই রয়েছে ইডির স্ক্যানারে। সব হিসেব খতিয়ে দেখতে চান ইডির আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের চার্জশিটে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে সুকন্যার আয় ছিল ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে সেই হিসেব বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সুকন্যার নামে অন্তত ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটেরও হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উল্লেখ্য, ইডির আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই সুকন্যার আয়-ব্যয়ের হিসেবের উপর নজর রাখছে। গরু পাচার সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে জড়িত টাকা সুকন্যার সংস্থার মাধ্যমে ঘুরপথে সাদা করা হত কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই দিল্লিতে ইডির অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে সুকন্যাকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Manik Bhattacharya: ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসকে ২ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব ইডির

    Manik Bhattacharya: ফের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসকে ২ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য- ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে ফের তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাপসকে ২ নভেম্বর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তাপসকে এদিন ৬৫৪টি বেসরকারি ডিএলএড কলেজের তথ্য সঙ্গে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ৬৫৪টি বেসরকারি ডিএলএড কলেজের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন তাপস মণ্ডল। ২ নভেম্বর তাপসকে ডিএলএডের অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।  

    কিছুদিন আগেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। এরপরই ইডির স্ক্যানারে আসে মানিক ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal)। তাপসের বিভিন্ন ডেরায় হানা দেয় ইডি (ED)। এর আগে ২০ অক্টোবর তাঁকে তলব করেছিল এই কেন্দ্রীয় গোয়ান্দা সংস্থা।

    সূত্রের খবর, ২০১৮-২০, ২০১৯-২১, ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ডিইএলএড কলেজগুলিতে অফলাইনে কত রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, তার হিসাব চাওয়া হয়েছে তাপসের থেকে। ইডির দাবি, ৬০০টি কলেজে অফলাইনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছাত্র পিছু ৫ হাজার করে টাকা নেওয়া হত। এই টাকা যেত মানিকের কাছে। ফলে কত সংখ্যক ছাত্রের অফলাইনে রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল এবং মোট কত টাকা নেওয়া হয়েছিল, তা জানতে চায় ইডি।

    আরও পড়ুন: বিবাহিত মহিলাদের বাড়ির কাজ করতে বলা নিষ্ঠুরতা নয়, জানাল বম্বে হাইকোর্ট

    তাপসের নিজেরও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ রয়েছে। ইডির নজরে রয়েছে এই কলেজও। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, এই কলেজে বহুবার এসেছেন মানিক ভট্টাচার্য। ১৬ অক্টোবর তালা ভেঙে সেই কলেজের অফিসে ঢোকেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। পাঁশকুড়াতেও তাপসের  শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ পাঁশকুড়া ব্লকের অন্তর্গত মাইশোরা এলাকার রাসবিহারী প্রাইভেট টিচার্স  ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নামে একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের  হদিশ মেলে৷ জেলার একাধিক জায়গায় তাঁর আরও বেশ কয়েকটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকরা।     

    বারাসতের বাসিন্দা তাপসের আদি বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। প্রসঙ্গত, তাপসের ভাই বিভাসের স্ত্রী পারমিতা কয়েক মাস আগেই হাই কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি খুইয়েছেন। এমনটা অভিযোগ-ও সামনে আসে, তাপস মণ্ডলকে বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে ফাইল সরাচ্ছে তাঁর ভাই ও সাঙ্গপাঙ্গোরা!  অভিযোগ করেন প্রতিবেশী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তদন্ত তল্লাশিতে আরও দুর্নীতি ফাঁসের আশঙ্কা রয়েছে। তাপস মণ্ডলের আদি বাসভূমি পাঁশকুড়ার হরেকৃষ্ণপুর গ্রাম এলাকায় রাতের অন্ধকারে তাঁর বিভিন্ন সংস্থা থেকে ফাইল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

    মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করে যে নথি পাওয়া গিয়েছে, তা থেকে ইডির গোয়েন্দারা মনে করছেন, তাপসের সঙ্গে মানিকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু, মানিক এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। তাই ইডির অফিসাররা মনে করছেন যে, মানিক তথ্য গোপন করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। সেই কারণেই মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসকে তৃতীয়বার তলব করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ

  • Saigal-Hossain: গরু পাচার কাণ্ডে বিপত্তি বাড়ল অনুব্রতর! আজই দিল্লিতে ইডির হাতে সায়গল

    Saigal-Hossain: গরু পাচার কাণ্ডে বিপত্তি বাড়ল অনুব্রতর! আজই দিল্লিতে ইডির হাতে সায়গল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Scam) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) দিল্লি নিয়ে যাওয়া হল। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের একটি দল সায়গলকে নিয়ে দিল্লি গিয়েছে। সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। প্রথমে নিম্ন আদালত, তার পরে কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো সায়গল হোসেনকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পায় ইডি। সেই মতো শুক্রবার বিকেলে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যায় রাজ্য পুলিশের একটি বিশেষ দল।

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় কেষ্টর বিরুদ্ধে ৩৫ পাতার চার্জশিট পেশ সিবিআই-এর

    হাওড়া অমৃতসর জলিয়াওয়ালাবাগ এক্সপ্রেসে করে সায়গলকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লি। নির্ধারিত সময় বিকেল ৪টে বেজে ১৫ মিনিটের ২ মিনিট পরে ঠিক ৪টে ১৭ মিনিটে আসানসোল রেল স্টেশনে ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসে। জানা গেছে, ট্রেনের এস ৩ কোচে সিট নম্বর ৫৮ এবং ৫৯ নং সংরক্ষণ করা হয়েছিল। তাতে ২ জন যান। বাকি এস ৪ কামরায় ৪ জন আধিকারিকও গিয়েছেন। এদিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ আসানসোল জেল থেকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে আসানসোল রেল স্টেশনের সায়গলকে আনা হয়। এদিন সায়গলের পরনে ছিল আকাশী নীল রংয়ের টি-শার্ট ও নীল জিন্সের প্যান্ট। সঙ্গে ছিল একটি পিঠ-ব্যাগও। মুখে লাগানো ছিল মাস্ক। গোটা স্টেশন চত্বরকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ, রেল পুলিশ ও আরপিএফের আধিকারিকদের নিয়ে বিশাল নিরাপত্তা ঘেরাটোপ করা হয়েছিল। রেল সূত্রে জানা গেছে, সবকিছু ঠিক থাকলে শনিবার দুপুরের পরে এই ট্রেন দিল্লি পৌঁছে যাবে। সেখানে ইডি-র হাতে তুলে দেওয়া হবে সায়গলকে।

    আরও পড়ুন: এফআইআর নিচ্ছে না পুলিশ! অভিষেকের ‘গুলি’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে আদালতে সুকান্ত

    সায়গল হোসেনকে ইডি দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি পাওয়ায় অনুব্রত মণ্ডলের উপরেও নিঃসন্দেহে চাপ বাড়ল। কারণ প্রথম থেকেই ইডি এবং সিবিআই-এর অভিযোগ, গরু পাচারের বেআইনি কারবারে অনুব্রতর ডান হাত ছিলেন সায়গল। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রতকে গ্রেফতারের আগেই সায়গলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বহু গোপন তথ্য পাওয়া যায়। তার রেশ ধরেই গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: এবার প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারিতেও নাম জড়াল অনুব্রতর, আরও গাড্ডায় তৃণমূল নেতা  

    Anubrata Mondal: এবার প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারিতেও নাম জড়াল অনুব্রতর, আরও গাড্ডায় তৃণমূল নেতা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা ও গরু পাচারের (Coal and Cattle smuggling Case) পর এবার তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) নাম জড়াল প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারিতেও (Primary TET Scam)। ইডি (ED) সূত্রেই এ খবর মিলেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পাচারের টাকায়ই নির্মাণ করা হয়ে থাকতে পারে একের পর এক বেসরকারি কলেজ।

    প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারিতে ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে মিলে অনুব্রত (Anubrata Mondal) দুর্নীতি করেছিলেন বলে অভিযোগ। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১২ সালে মার্চ মাসে তাপস মণ্ডলের একটি ভাড়া বাড়িতে পাঁচটি বেসরকারি বিএড কলেজের চেয়ারম্যানকে নিয়ে একটি সংগঠন গড়া হয়। নাম দেওয়া হয়, বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স। এই সংগঠনের অন্যতম সদস্য ছিলেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার চেয়ারম্যান। ইডির অভিযোগ, বকলমে ওই সংগঠনে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন তিনি। কেবল এই সংগঠনটিই নয়, ওই ব্যক্তির আরও তিনটি সংস্থা রয়েছে। এই সব সংস্থার মাধ্যমে পরবর্তীকালে রাজ্যে বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিএড, পলিটেকনিক এবং মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণ করা হয়েছিল। তদন্তকারীদের দাবি, গরু পাচারের টাকায়ই ওই সব কলেজ নির্মাণ করা হতে পারে। এই কলেজগুলির মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থীদের এসএসসি ও প্রাথমিক টেটের বিএড ও ডিইএলইডির জাল সার্টিফিকেট তৈরি করা হতে পারে। কয়েক কোটি টাকার জাল সার্টিফিকেটের মাধ্যমে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে হাজার হাজার কর্মপ্রার্থীকে। ইডির অভিযোগ, অনুব্রত (Anubrata Mondal) নিজে ওই প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রাথমিক টেটের অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা পাঠিয়ে দিতেন মানিকের কাছে।

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই পতন হচ্ছে তৃণমূল সরকারের? কী বললেন শুভেন্দু?

    এদিকে, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর (Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ইডির হাতে তুলে দিল সিবিআই। গত কয়েক মাসে তদন্তে যেসব তথ্য উঠে এসেছে, সায়গলের সম্পত্তি ও টাকাপয়সা সংক্রান্ত যে সব তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে সেসব এবং চার্জশিট সহ ৫০০ পাতার নথিও তুলে দেওয়া হবে ইডির হাতে। এই সব তথ্য সামনে রেখেই সায়গলকে জেরা করবে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ED raid: শিবপুরে টাকা উদ্ধার-কাণ্ডে তদন্ত শুরু করল ইডি! জানেন কী খুঁজছে তারা?

    ED raid: শিবপুরে টাকা উদ্ধার-কাণ্ডে তদন্ত শুরু করল ইডি! জানেন কী খুঁজছে তারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবপুরের  এক ব্যবসায়ীর বাড়ি এবং গাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি  এবার তদন্তে নামল  এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের থেকে মামলার এফআইআর এবং প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সম্প্রতি হাওড়ার শিবপুরে হানা দিয়ে অ্যাপ প্রতারণা কাণ্ডে কোটি কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। এবার ওই ঘটনায় আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে PMLA-এ আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ইডি

    আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় কেরিম খানকে জেরা সিবিআইয়ের, হানা অনুব্রতর দিদির বাড়িতেও

    অভিযোগ, বিদেশী মুদ্রার কেনাবেচা কীভাবে করতে হয়, তা শেখানোর জন্য একটি অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে এই প্রতারণার চক্র চালাতেন শিবপুরের শৈলেশ পাণ্ডে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তিনি। তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। খোঁজ মেলেনি তাঁর দুই ভাই রোহিত এবং অরবিন্দেরও। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে লালবাজার জানিয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের নরেন্দ্রপুর শাখার দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৭ কোটি টাকা লেনদেনের হদিস পায় পুলিশ। ১৭টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া যায়। যার মধ্যে ছ’টি খতিয়ে দেখে নতুন করে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি শাখা। বুধবার বাকি অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে আরও প্রায় ৭০ কোটি টাকার লেনদেনের হদিস মিলেছে বলে লালবাজার জানিয়েছে। সব মিলিয়ে এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০৭ কোটি টাকা লেনদেনের হদিস মিলল।

    আরও পড়ুন: অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার! মোমিনপুর-কাণ্ডের সমস্ত নথি কলকাতা পুলিশের থেকে চাইল এনআইএ

    এই প্রতারণা চক্রের জাল বিদেশে পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে বলে অনুমান। নেপালের কয়েকজনও এই ঘটনায় প্রতারিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে যে বিপুল টাকার লেনদেন হয়েছে তার মধ্যে মাত্র ২০ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। বাকি টাকা কোথায় গেল? তার উত্তর খুঁজতেই এবার তদন্তে নামল ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TET Scam:  চাকরি খুইয়েছেন ভাইয়ের স্ত্রী-ও! ভাইয়ের কলেজ থেকেই মিলত ভুয়ো সার্টিফিকেট, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপসকে তলব ইডির

    TET Scam: চাকরি খুইয়েছেন ভাইয়ের স্ত্রী-ও! ভাইয়ের কলেজ থেকেই মিলত ভুয়ো সার্টিফিকেট, মানিক ঘনিষ্ঠ তাপসকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে (ED Summons Tapas Mondal) তলব করল ইডি। আগামী ২০ অক্টোবর তাপসকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছে। তাপসের যে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি রয়েছে তার নথি নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার মানিক (Manik Bhattacharya) ঘনিষ্ঠ তাপসের বারাসতের অফিসে হানা দিয়ে প্রচুর নথি উদ্ধার করা হয়। 

    বারাসতে (Barasat) কামাখ্যা মন্দিরের কাছে তাপস মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দল। একই সঙ্গে হানা দেওয়া হয় উত্তর ২৪ পরগনার মহিষবাথান এলাকায়। সেখানে মানিকের এক ঘনিষ্ঠ তথা তাপসের আত্মীয়র টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন। ওই ট্রেনিং সেটারের শাটার বন্ধ থাকায় তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন তাঁরা। ওখানেই বেআইনিভাবে নিয়োগ করা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। পাঁশকুরার বাসিন্দা ছিলেন তাপস। সেখানকার মাইশোরার পাতন্দা গ্রামে তাপস মণ্ডলের ভ্রাতৃবধূ পারমিতা মণ্ডলের টিচার্স ট্রেনিং কলেজ রয়েছে। পারমিতার স্বামী তথা তাপসের ভাই বিভাস মণ্ডল কলেজটি দেখাশোনা করেন। কলেজের ম্য়ানেজারের বিস্ফোরক অভিযোগ, ওই কলেজে টাকার বিনিময়ে শিক্ষকতার যোগ্যতার ভুয়ো সার্টিফিকেট পাওয়া যেত। সেই সঙ্গে কলেজের শিক্ষক থেকে কর্মীদের নিয়মিত বেতন দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: বক্স খাটের ভিতর থেকে মিলল ৬কোটি টাকা! ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কাণ্ডে শিবপুরের শৈলেশকে খুঁজছে পুলিশ

    অভিযোগ, বিভাসের স্ত্রী পারমিতাও বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকে কোচিং সেন্টার দিয়ে শুরু, তখন থেকেই পাঁশকুড়ার ভিটে ছেড়ে কলকাতায় বাস করা শুরু করেন তাপস। প্রয়োজন ছাড়া তিনি গ্রামের বাড়িতে যেতেন না বলেই খবর। ধীরে ধীরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনিং সেন্টার খুলে বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরির টোপ দিতেন। বেনিয়মে নিজের ভাইয়ের স্ত্রীকেও চাকরি পাইয়ে দেন বলে অভিযোগ তাপসের বিরুদ্ধে। কয়েক মাস আগে হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের যে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক চাকরি খোয়ান, তাঁদের মধ্যে ছিলেন পারমিতাও। 

    সূত্রের খবর, পাঁশকুড়ায় এক সময় চিটফান্ডের কারবারও ছিল তাপসের। প্রায় চার দশক আগে ‘মিনার্ভা ফিনান্স’ নামে চিটফান্ড খুলে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন বলে অভিযোগ। তাপসের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের যোগ যে স্পষ্ট তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও  তাপসের ছবি প্রকাশ পেয়েছে। সেই ছবি ভাইরাল হতেই শাসক শিবিরকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। যদিও, সুনীলের দাবি,একটি আশ্রমের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সুনীল। সেখানেই ওই ছবি ওঠে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • ED: কাজের ক্ষেত্রে ইডি সম্পূর্ণ স্বাধীন, কাকে জবাব নির্মলা সীতারামনের?

    ED: কাজের ক্ষেত্রে ইডি সম্পূর্ণ স্বাধীন, কাকে জবাব নির্মলা সীতারামনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি (ED) তার কাজের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন। সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। ইডির বিরুদ্ধে নানা সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলে। কেন্দ্রে যখন যে দলের সরকার থাকে, রাজ্যে তার বিরোধী দল থাকলেই ইডি লেলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর জবাব দিতেই শনিবার নির্মলা সীতারামন জানান, কাজের ক্ষেত্রে ইডি সম্পূর্ণ স্বাধীন।

    বর্তমানে আমেরিকা সফরে রয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ইডি (ED) সম্পূর্ণ স্বাধীন একটি সংস্থা। এই সংস্থা স্বতন্ত্রভাবে তদন্ত করে। এই সংস্থাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায় না। এটি এমন একটি সংস্থা, যা পূর্বে ঘটে যাওয়া কোনও অপরাধের তদন্ত করে।

    ইডি (ED) এবং আয়কর দফতর সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে নির্মলা সীতারামন বলেন, এই সংস্থাগুলি অর্থ তছরুপের মামলায় তদন্ত করে। হঠাৎ করে কোনও অপরাধের মামলায় তদন্তে নেমে পড়ে না ইডি। প্রথম থেকে সিবিআই বা অন্য কোনও এজেন্সি তদন্ত করে। মামলার শেষের দিকে তদন্তে নামে ইডি। তিনি বলেন, প্রাথমিক কিছু তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ইডি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, ইডি যেখানেই যায়, সেখানে যে পরিমাণ নগদ, সোনা এবং গয়না বাজেয়াপ্ত হয়, তা মিডিয়াকে জানানো হয়।

    আরও পড়ুন: ইডি-র বড় পদক্ষেপ! কয়লা-গরু-এসএসসি তদন্তে যুক্ত আট ইডি আধিকারিকের মেয়াদ বৃদ্ধি

    এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে জি-২০র (G-20) বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়েও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা জি-২০র অনেক সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এই আলোচনার সময় আমরা বছরভর ধরে সম্মুখীন হওয়া নানা চ্যালেঞ্জ ও উদ্বেগের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেছি। আমরা এমন এক সময় এই বৈঠকের সভাপতিত্ব করছি, যখন এর সদস্য দেশগুলি নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। জি-২০র সদস্য দেশগুলিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শও দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত বিষয়টি আমরা আলোচনার জন্য জি-২০র টেবিলে নিয়ে আসব। যাতে করে সদস্য দেশগুলি এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারে। গঠন করতে পারে বিশ্বজনীন একটা ফ্রেমওয়ার্ক। যাতে করে একে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chhattisgarh Government: ছত্তিশগড়ে ব্যাপক দুর্নীতি, ইডির হাতে গ্রেফতার ৩ আইএএস আধিকারিক

    Chhattisgarh Government: ছত্তিশগড়ে ব্যাপক দুর্নীতি, ইডির হাতে গ্রেফতার ৩ আইএএস আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থিকথিকে ভিড় ছত্তিশগড়ের স্পেশাল কোর্ট হল রুমে। সাংবাদিক, আইনজীবী এবং তিন আইএএস অফিসারের পরিবারের ভিড়ে ঠাসা ওই রুম। বৃহস্পতিবার এখানেই শুনানি চলেছে আইএএস অফিসার সমীর বিষ্ণৈ, সুনীল আগরওয়াল এবং লক্ষ্মীকান্ত তিওয়ারির। আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন এই তিন আইএএস অফিসার। এদিনের শুনানি শেষে তিনজনকেই আট দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ইডি।

    প্রশ্ন হল, কবে শুরু হয়েছিল ছত্তিশগড় সরকারে (Chhattisgarh Government) এই দুর্নীতির? দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতই বা কারা? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পরিবহণ করতে গিয়ে ওই টাকা তছরুপ করা হয়েছে। ২০০৯ ব্যাচের আইএএস অফিসার সমীর বিষ্ণৈ যখন জিওলজি ও মাইনিং ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ছিলেন, তখনই শুরু হয়েছিল দুর্নীতির। যে কোনও খনিজ পদার্থ পরিবহণের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের ম্যানুয়াল অ্যাপ্রুভাল বাধ্যতামূলক করেছিলেন তিনি। এই আদেশ বলে, স্বচ্ছ অনলাইন ব্যবস্থার বদলে খনিজ পদার্থ পরিবহণের ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিতে হবে ডিএমের দফতরের মাইনিং সেকশন (Mining Secction) থেকে। এখান থেকেই শুরু দুর্নীতির। জনৈক সূর্যকান্ত তিওয়ারি ক্যাশ কালেক্টরদের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিলেন। এই নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্যের আটটি এলাকায়। কয়লার পরিবহণ পারমিট কিংবা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্য যে লেভি আদায় করা হত, তার সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছিল ডিএম অফিসও (DM Office)।

    আরও পড়ুন: মানিক ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে ইডি! ভাঙা হল তালা, জানেন কী মিলল?

    জানা গিয়েছে, ঘুষের টাকা না দেওয়া পর্যন্ত ডিএম অফিস থেকে দেওয়া হত না নো অবজেকশন সার্টিফিকেট। ফলশ্রুতি হিসেবে, ছত্তিশগড়ের মধ্যে প্রতি টন কয়লা পরিবহণের জন্য দিতে হত ২৫ টাকা করে। আয়কর দফতর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, মাত্র ১৬ মাসে লেভি বাবদ আদায় হয়েছে ৫০০ কোটিরও বেশি টাকা। অবৈধভাবে আদায় করা এই টাকা ভাগ বাঁটোয়ারা হয়েছে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা, আইএএস এবং অন্য কয়েকজন রাজ্যস্তরের আধিকারিকের মধ্যে। সমীরের বাড়ি থেকে নগদ ৪৭ লক্ষ টাকা এবং ২১ লক্ষ টাকার অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নথিও। ধৃতদের ফের আদালতে তোলা হবে ২১ অক্টোবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Saigal Hossain: সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি আদালতের

    Saigal Hossain: সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি, অনুমতি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কিছু দিন ধরেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার চেষ্টা চালাচ্ছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দিল্লিরই রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আর্জি জানিয়েছিল ইডি। অবশেষে সেই অনুমতি পেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এবার দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হবে সায়গলকে। 

    গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সায়গল হোসেন। আপাতত তিনি আসানসোল জেলে রয়েছেন। কিন্তু সংশোধনাগারেই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তারপর ইডি গোয়েন্দারা আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আর্জি জানান। কিন্তু আদালত সে আর্জি খারিজ করে দেয়।      

    নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় ইডি। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টও সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আর্জি খারিজ করে দেয়। হাইকোর্ট গোয়েন্দাদের প্রশ্ন করে, কেন সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যেতে হবে? কলকাতায় কি ইডির অফিস নেই? এখানেই জেরা করা হোক।    

    আরও পড়ুন : কেষ্টর বাড়ির পরিচারক থেকে কাউন্সিলর! তাঁর ব্যাংক থেকেও হত কোটি টাকার লেনদেন! কী বলছে সিবিআই?

    তারপরই ইডি দিল্লিতে একটি পৃথক মামলা করে। সোমবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে সেই মামলার শুনানি ছিল। সায়গলের তরফে ক্যাভিয়েট করে রাখায় তাঁর আইনজীবীরাও সওয়াল করেন। কিন্তু সব শুনে দিল্লির আদালত ইডিকে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দিয়েছে।  

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মাত্র কয়েক হাজার টাকা বেতন পান রাজ্য পুলিশের কন্সটেবল সায়গল। এই আয়ে তিনি কী করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করলেন তা সায়গলের কাছে জানতে চান গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সায়গল। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। এছাড়াও গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সায়গলের নামে ও বেনামে আরও সম্পত্তি উদ্ধার বাকি রয়েছে। এছাড়া গরুপাচারের টাকা কার কার কাছে পৌঁছত তাও সায়গলের থেকে জানতে চান তাঁরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
     
     
LinkedIn
Share