Tag: ED

ED

  • PFI: মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশ, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে রমরমা পিএফআইয়ের

    PFI: মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশ, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে রমরমা পিএফআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স মাত্র ১৬ বছর। ইতিমধ্যেই কেবল ভারত (India) নয়, মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলিতে জাল বিস্তার করেছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, সংক্ষেপে পিএফআই (PFI)। বৃহস্পতিবারই দেশজুড়ে পিএফআই নেতা-কর্মীদের বাড়ি ও অফিসে চালানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান। বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রচুর নথিপত্র এবং নগদ টাকা। তার পরেই উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। গোয়েন্দাদের দাবি, ভারত ছাড়াও একাধিক মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রে জাল বিস্তার করেছে পিএফআই।

    ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে তিনটি মুসলিম সংগঠন একত্রিত হয়ে তৈরি করা হয় পিএফআই। ২০০৬ সালে কেরলে গঠিত এই সংগঠনের নাম ছিল ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট। পরবর্তী কালে মানিথা নীতি পাসারাই, কর্নাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি সহ তিনটি সংগঠন মিলিত হয়ে তৈরি হয় পিএফআই। দেশবিরোধী ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেই যুক্ত ছিল এই সংগঠন। বিভিন্ন রাজ্যে এই সংগঠনের শাখাও রয়েছে।

    বৃহস্পতিবার গোটা দেশের ১৩টি রাজ্যে পিএফআইয়ের অফিসগুলিতে তল্লাশি চালায় এনআইএ (NIA) এবং ইডি (ED)। এই দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করেছে বিভিন্ন রাজ্য পুলিশও। পিএফআইয়ের ৪৫ জন নেতা সহ গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় দুশোজনকে। সূত্রের খবর, উপসাগরীয় দেশগুলিতে পিএফআই তিনটি নামে সংগঠন চালায়। এগুলি হল ইন্ডিয়া ফ্র্যাটারনিটি ফোরাম (IFF), ইন্ডিয়ান সোশ্যাল ফোরাম (ISF) এবং রিহ্যাব ইন্ডিয়ান ফাউন্ডেশন (RIF)। বিদেশে ভারত বিরোধী নানা কাজে লিপ্ত এই সংগঠনগুলি।

    আরও পড়ুন : টার্গেট আরএসএস? সংঘের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাত পিএফআই! চক্রান্ত ফাঁস

    জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়া ফ্র্যাটারনিটি ফোরাম এবং ইন্ডিয়ান সোশ্যাল ফোরাম মধ্য প্রাচ্যে পোক্ত সংগঠন গড়ে তুলেছে। দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে তারা। জামাত-ই-ইসলামির ধর্মীয় কয়েকজন নেতা এবং পিআইএফ নেতারা প্রায়ই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি পরিদর্শন করেন। কেবল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি নয়, ওমান, কাতার, কুয়েত, তুরস্ক, পাকিস্তান মায় বাংলাদেশেও জাল বিছিয়েছে পিএফআই। বাহরিন, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপেও পা রেখেছে এই সংগঠন। পিএফআইয়ের এক ক্যাডারকে গ্রেফতার করা হয় লখনউ থেকে। তখনই জানা যায় বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ ভারতে বিস্ফোরণ ঘটানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ED Chargesheet: পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    ED Chargesheet: পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারির ৫৮ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করল ইডি (ED Filed Chargee sheet on SSC Case)। সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়। সূত্রের খবর, তাতে রয়েছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য।পার্থ-অর্পিতার (Arpita Mukherjee) ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এবার সিবিআই হেফাজতে পার্থ, সঙ্গী কল্যাণময়

    গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। দু দফায় অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল প্রায় ৫০ কোটি টাকা। সেই টাকার উৎস কী, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে পার্থ ও অর্পিতার নামে থাকা একাধিক সম্পত্তির হদিশ পান ইডি আধিকারিকরা। 

    আরও পড়ুন: কুয়েটের সঙ্গে জেইই এবং নীট সংযুক্তিকরণের পথে ইউজিসি? জানুন বিস্তারি‘‘আমি ওদের বিশ্বাস করেছিলাম…’’, সিবিআই জেরায় দাবি পার্থর, ওরা কারা?

    ইডির পেশ করা চার্জশিট সম্পর্কে এই বিষয়গুলি জেনে নিন:

    • মোট ১৭২ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে ইডি।
    • ট্রাঙ্কে ভরে নথি নিয়ে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।
    • চার্জশিটে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম।
    • নিয়োগ দুর্নীতিতে ১০৩ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে চার্জশিটে বলে হয়েছে।
    • ৪০ টি অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে চার্জশিটে জানিয়েছে ইডি। যার মোট মূল্য ৪০.৩৩ কোটি টাকা।
    • মোট ৪৮.২২ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
    • বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩৫ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, যাতে টাকার পরিমান ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা রয়েছে।
    • বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি, জমি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
    • বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মধ্যে অনেকগুলিই রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে। এ ছাড়া শেল কোম্পানির নামেও রয়েছে বেশ কিছু সম্পত্তি।
    • গত ২৭ ও ২৮ জুলাই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একাধিক ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৫০ কোটি নগদ টাকা ও প্রায় ৫ কোটি টাকার সোনা ও গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • ED: পুনরুদ্ধার ২৩ হাজার কোটি টাকা! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির মধ্যে এগিয়ে ইডি

    ED: পুনরুদ্ধার ২৩ হাজার কোটি টাকা! কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির মধ্যে এগিয়ে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপ আইন (PMLA) লাগু হয়েছিল ২০০৫ সালে। তার পরেই এই আইনে অভিযুক্তদের ধরতে মাঠে নেমে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা চার্জশিট পেশ করেছে ৯৯২টি অভিযোগে।

    অন্যান্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির চেয়ে সবার ওপরে রয়েছে ইডি। ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট আইনে (FEMA) ইডি এ পর্যন্ত ৮ হাজার শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে। যে সকল অভিযুক্তের সম্পত্তি এজেন্সি অ্যাটাচ করেছে ইডি, সেই সম্পত্তি বিক্রি করে ২৩ হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংককে। কেবল আর্থিক তছরুপ নয়, ইডি তদন্ত করছে যাঁরা ফেমা (FEMA) এবং ফিউজিটিভ ইকনোমিক অফেন্ডার্স অ্যাক্টেও অভিযুক্ত তাঁদের। 

    যদিও আর্থিক তছরুপ কেলেঙ্কারিতে প্রচুর পরিমাণ মামলা বকেয়া পড়ে রয়েছে, তা সত্ত্বেও ১৭ বছরের পুরানো একটি আইনে এ পর্যন্ত ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছে ইডি। এসব করতে গিয়ে নানা সময়ে একাধিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হুমকি পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। তার পরেও অবশ্য দমানো যায়নি ইডিকে। ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইডি আর্থিক তছরুপ আইনে তদন্ত করেছে নথিভুক্ত ৫ হাজার ৪০০ মামলা।  সরকারি তরফের অভিযোগ অথবা চার্জশিট পেশের ক্ষেত্রে দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত শেষ করেছে ইডি। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই কাজ শেষ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা।  ইডি ১ হাজার ৭০০ অ্যাটাচমেন্ট অর্ডার ইস্যু করেছে। এক লক্ষ কোটির বেশি সম্পত্তিও অ্যাটাচ করেছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। 

    আরও পড়ুন : দুয়ারে ইডি-সিবিআই! জেলে যেতে পারেন? নেতাদের জন্য রইল শরীর ঠিক রাখার টোটকা

    কুখ্যাত তিনটি আর্থিক কেলেঙ্কারিরও তদন্ত করছে ইডি। এই তিনটি কেলেঙ্কারির মূল হোতা হলেন বিজয় মালিয়া, নীরব মোদি ও মেহুল চোকসি। এই তিনজনের ১৯ হাজার কোটিও বেশি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে ইডি। এর মধ্যে ইডি বিক্রিও করেছে প্রচুর সম্পত্তি। উদ্ধার করেছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে। শুধু তাই নয়, এসবিআইয়ের নেতৃত্বে কয়েকটি ব্যাংকের কনসর্টিয়াম ইডি যে সম্পত্তি হস্তান্তর করেছে, তা বিক্রি করে পেয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • ED: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! গার্ডেনরিচে কোন সূত্রে মিলল ১৭.৩২ কোটি টাকা?

    ED: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! গার্ডেনরিচে কোন সূত্রে মিলল ১৭.৩২ কোটি টাকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  একেই কি বলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! প্রায় দেড় বছর আগের এক মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণার তদন্তে নেমে মিলল যখের ধন! উদ্ধার কোটি কোটি টাকা! আসলে আর্থিক তছরুপ মামলায় (PMLA) শনিবার রাজ্যের ৬ জায়গায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। মোবাইল অ্যাপ (Mobile App) সংক্রান্ত প্রতারণার মামলায় হানা দিয়ে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় তদন্তকারী দলের। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গণনায় মেলে ১৭.৩২ কোটি টাকা। বাজেয়াপ্ত হয় প্রচুর নথি ও নগদ টাকা। 

    কিন্তু কীসের ভিত্তিতে শুরু হয়েছিল তদন্ত? ইডি সূত্রে খবর, গত বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি মাসে পার্কস্ট্রিট থানায় প্রতারণার একটি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ফেডারেল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। অভিযোগের আঙুল তোলা হয় জনৈক আমির খান ও আরও কয়েকজনের দিকে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে ইডি।

    জানা গিয়েছে, জনৈক নিশার আহমেদ খানের ছেলে আমির খান ই-নাগেটস নামে একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপ্লিকেশন লঞ্চ করে। লোক ঠকানোর জন্যই পাতা হয়েছিল এই ফাঁদ। প্রথম দিকে অ্যাপ ব্যবহারকারীরা কমিশন সহ পুরস্কৃত হতেন। পুরস্কারের টাকা এবং কমিশন জমা হত ওয়ালেটে। টাকাও তোলা যেত কোনও রকম ঝুট-ঝামেলা ছাড়াই। এভাবে আমির অ্যাপ ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস অর্জন করত। পরে মোটা টাকা কমিশন ও পারচেজ অর্ডারের লোভে বড় অঙ্কের টাকা লগ্নি করতে শুরু করেন অ্যাপ ব্যবহারকারীরা। এভাবে বিরাট অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর অ্যাপ থেকে আর টাকা তোলা যেত না। সিস্টেম আপগ্রেডেশন সহ নানা অছিলায় অ্যাপে সমস্যা হচ্ছে বলে বলা হত। পরে সার্ভার থেকে অ্যাপ ব্যবহারকারীর সমস্ত তথ্য মুছে ফেলা হত। তখনই প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারতেন অ্যাপ ব্যবহারকারীরা।

    আরও পড়ুন : শনিবাসরীয় সকালে কলকাতার তিন জায়গায় হানা ইডি-র, কী উঠে এল?

    এদিন তদন্ত করতে গিয়ে ইডির আধিকারিকরা এ সংক্রান্ত প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন। আমিরের ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৭.৩২ কোটি টাকা। তবে মূল চক্রী আমির খানকে গ্রেফতার করা যায়নি। সে কোথায় গা-ঢাকা দিয়েছে, তাও জানা যায়নি। এদিন গার্ডেনরিচে আমিরের বাড়ি থেকে প্রথমে অন্তত সাত কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেন ইডির আধিকারিকরা। পরে নিউটাউনে তার অফিস থেকেও মেলে বেশ কয়েক কোটি টাকা। সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭.৩২ কোটি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
  • ED Unearths Huge Cash: বিছানার তলায় ১৭ কোটি! মোবাইল গেমিংয়ের নামে কীভাবে চলত লোক ঠকানোর কাজ?

    ED Unearths Huge Cash: বিছানার তলায় ১৭ কোটি! মোবাইল গেমিংয়ের নামে কীভাবে চলত লোক ঠকানোর কাজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের যকের ধন উদ্ধার কলকাতায়। গার্ডেনরিচের (Garden Reach Money Scam) পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ালো ১৭ কোটি! এমনটাই জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ সকাল দশটা থেকে টাকা গোনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা৷ ৯ ঘণ্টায় ১৭ কোটি টাকা গোনা হয়েছে৷ গোয়ান্দাদের দাবি, ওই বাড়িতে আরও টাকা রয়েছে। তল্লাশি এখনও জারি রয়েছে।

    আরও পড়ুন: যোগ রাজ্যের এক মন্ত্রীরও? এবার পরিবহণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল নগদ 

    টাকা গোনার মেশিন নিয়েই ওই বাড়িতে হানা দেন ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা। টাকার অঙ্ক যে এরকমই বিপুল হতে পারে, তা ধারণা করে আগে থেকেই প্রস্তুতি রেখেছিলেন তাঁরা। উপস্থিত আছেন সরকারি ব্যাঙ্কের কর্মীরাও৷ প্রথম কয়েক ঘণ্টা টাকা গোনার পর সাত কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে আগে জানিয়েছিল ইডি৷ পরে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ৮ কোটি৷ এর পর ১২ কোটি টাকা উদ্ধারের কথা জানানো হয়৷ আর এখন নগদের পরিমাণ ১৭ কোটি। ব্যবসায়ীর বাড়ির খাটের নীচ থেকে এই টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। 

    ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে আসার জন্য গার্ডেনরিচের ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে পৌঁছেছে ট্রাক৷ কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা৷ উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে যাওয়া হবে স্ট্র্যান্ড রোডে স্টেট ব্যাঙ্কের দফতরে৷ 

    আরও পড়ুন: সাক্ষী সরাতেই হামলা! আক্রান্ত হাওড়ার প্রয়াত ছাত্রনেতা আনিস খানের ভাই সলমন

    বেআইনি লেনদেনের মামলায় একযোগে কলকাতার ৬ জায়গায় ইডির তল্লাশি চালায়। গার্ডেনরিচ ছাড়াও মোমিনপুর, পার্ক স্ট্রিট, নিউটাউন-সহ ৬ জায়গায় অভিযান। চিনা মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে পুরস্কার জেতার টোপ দিয়ে সাধারণ মানুষের থেকে অন্তত ৬৫ থেকে ৭০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে গার্ডেনরিচের ব্যসায়ী নিসার খানের (Nesar Khan) বিরুদ্ধে৷ সেই অভিযোগের সূত্রেই এ দিন সকালে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি৷ 

    কোন পথে জালিয়াতি?

    সূত্রের খবর ‘ই-নাগেটস’ নামের একটি গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে চলত প্রতারণা। ঠিক কী ভাবে কোন পথে এই লোক ঠকানোর চক্র চালানো হত তাও জানায় ইডির আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, আমির খান ই-নাগেটস নামে মোবাইল গেমিং অ্যাপটি লঞ্চ করেছিলেন। লোক ঠকাতেই এই গেমিং অ্যাপ বাজারে আনা বলেই ইডির হাতে তথ্য উঠে এসেছে। এই গেমিং অ্যাপে খেলার শুরুতে ব্যবহারকারীরা ভালো টাকাই ফেরত পেতেন। সেই টাকা পেতে খুব একটা কসরতও করতে হয় না তাঁদের। ফলে এই খেলার প্রতি একটা আলাদা আগ্রহ তৈরি হয়। এই অ্যাপে ২০০ টাকা খরচেই সাধারণ মেম্বার হতে পারতেন যে কেউ।  সাধারণ মেম্বারশিপ নিয়ে খেলা শুরু হত। খেলে কয়েন জিততে হত। একটা কয়েন সমান ১ টাকা। প্রথমে জেতা টাকা ওয়ালেট মারফত ট্রান্সফার করা যেত কিংবা অনলাইন শপিং করা যেত। অ্যাপের মালিকদের প্রথম পর্যায়ে মূল লক্ষ্য ছিল, ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস জিতে নেওয়া, যাতে তাঁরা আরও বেশি করে টাকা খাটান। ব্যবহারকারীরা বড় অঙ্কের টাকা খাটাতেই ওই অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ইডি। তখন একের পর এক কয়েন জিতে মোটা টাকা জিতলে টাকা তোলা যেত না। তখন সার্ভার প্রবলেম বলা হত। আর এভাবেই লোক ঠকাত এই চক্র। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় আমির খানের বিরুদ্ধে। এরপর এই মামলার তদন্তে নামে ইডি।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu on Mamata: মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন?

    Suvendu on Mamata: মমতার ‘গদ্দার’ কটাক্ষের জবাব দিলেন শুভেন্দু, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) মতো মানুষদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। বুধবার এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রেরণায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৮০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এভাবে তিনি বেকার যুবক যুবতীদের স্বপ্নভঙ্গ করে দিয়েছেন। এর পরেই শুভেন্দু বলেন, এই সব মানুষের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। তিনি বলেন, বিশেষ আদালত বসিয়ে বিচার করতে হবে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়ই ৮০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং এভাবে বেকার যুবক যুবতীদের স্বপ্ন  ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে গদ্দার বলে অভিহিত করেছিলেন। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, গদ্দার বলার আগে ওঁর এ ব্যাপারে ভাবা উচিত ছিল। কে গদ্দার, সবাই জানে। তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচনের ফলই বলে দেবে কে গদ্দার, আর কে নয়। মানুষ এর উত্তর ওঁকে দিয়েছেন। তাই আমি আর এর বেশি কিছু বলতে চাই না।

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা। হদিশ মিলেছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিরও। বুধবার স্পেশাল কোর্টে তোলা হলে পার্থ ও অর্পিতার বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। গত মাসেই পার্থ ও অর্পিতাকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পার্থ গ্রেফতার হতেই তাঁকে ছেঁটে ফেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ খোয়ান মন্ত্রিত্ব। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর তৃণমূলের সদস্য পদও।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু

    এর কয়েক সপ্তাহ পরেই গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। এর পরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, বিরোধীদের দমন করতে কেন্দ্র ব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থাকে। সাহস থাকলে তাঁকে গ্রেফতার করা হোক বলেও বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Nadda on Mamata: পারলে আমাকে জেলে ভরো…মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন নাড্ডা? 

    Nadda on Mamata: পারলে আমাকে জেলে ভরো…মমতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন নাড্ডা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য বিজেপিকে (BJP) চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন মমতা। সেখানেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। এদিন তার কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল বিজেপি। 

    দলের হেভিওয়েট দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) গ্রেফতার হয়েছেন এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC Scam)। আর তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol) গ্রেফতার হয়েছেন গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case)। দুজনকেই প্রথমে তলব করেছিল সিবিআই। পরে করা হয় গ্রেফতার। এদিনের সমাবেশে সেই প্রসঙ্গ টেনে গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আমরা বিজেপিকে শূন্যে নামিয়ে আনব। তারা চায়, তৃণমূলের অন্য নেতাদেরও গ্রেফতার করতে। এর পরেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতা বলেন, এসো, আমাকে গ্রেফতার কর, যদি পার। আমি জেল থেকে বিজেপিকে গোহারা হারাব। তৃণমূল নেত্রী বলেন, এর পর ওরা মলয় (ঘটক) এবং ফিরহাদ (হাকিম)কে গ্রেফতার করতে চায়। অভিষেককেও…। মমতা বলেন, অভিষেককে ইতিমধ্যেই নোটিশ পাঠিয়েছে, নোটিশ পাঠিয়েছে তার স্ত্রীকেও। আমি বলছি, এমনকী তাদের ছেলেকেও নোটিশ পাঠাবে।

    আরও পড়ুন : সিবিআই থেকে জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল?

    দিল্লি দখল যে তাঁর প্রধান লক্ষ্য এদিন তাও গোপন করেননি মমতা। বলেন, আমার মূল লড়াই দিল্লির জন্য। দিল্লি থেকে বিজেপিকে তাড়াব। ২০২৪ সালে বিজেপিকে আমরা দিল্লি থেকে দূর করব। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ভয় ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি লোকসভা নির্বাচন জিততে চায় প্রত্যেকে জেলের ভিতরে রেখে। আমি বলছি, তোমার যদি ধৃষ্টতা থাকে, তাহলে আমাকেও জেলে ঢোকাও। আমরা দেখব, নির্বাচনের ফল কী হয়। তৃণমূল নেত্রী বলেন, আমরা লড়াই করব, এবং আমরা জিতব এবং বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করব।           

    তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই মুহূর্তে ত্রিপুরা সফরে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি বলেন, বিজেপি তৃণমূলের জনবিরোধী নীতি, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং মহিলাদের ওপর নৃশংসতার বিরোধী। তাঁর তোপ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। অথচ তাঁর রাজ্যেই মহিলা পাচারের ঘটনা দেশের মধ্যে সব চেয়ে বেশি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Abhishek Banerjee: কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের ইডির তলব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    Abhishek Banerjee: কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের ইডির তলব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Case) ফের ইডির (ED) তলব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। ২ সেপ্টেম্বর তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কলকাতা (Kolkata) অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এর আগেও একবার ইডির আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন অভিষেককে। ২১ মার্চ তাঁকে টানা ন’ঘণ্টা জেরা করেছিলেন তদন্তকারীরা। সোমবারই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসেব অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে তলব করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই আশঙ্কা প্রকাশ করার পর চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে তলব করল ইডি (ED)।

    কয়লা পাচারকাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। একপ্রস্ত জেরা করা হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। গত বছর ৫ সেপ্টেম্বর আর্থিক তছরুপ রোধ আইনে (PMLA) ইডি একবার জেরা করেছিল অভিষেককে। এবার তলব করা হল কয়লা কেলেঙ্কারিতে। অভিষেকের পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও (Rujira Banerjee) একবার তলব করেছিল ইডি।

    আরও পড়ুন : জানত না রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশও! দুবাই সফর কেন ‘গোপন’ রাখলেন অভিষেক?

    সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন অভিষেক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও তাঁর পুত্র বিসিসিআই সচিব জয় শাহকেও (Jay Shah) আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি। অভিষেকের অভিযোগ, গরু পাচার মামলায় সব চেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন বিজেপি নেতারা। তিনি বলেন, তারা (বিজেপি) গরু পাচার মামলার কথা বলছে। এই কেলেঙ্কারিতে সব চেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন বিজেপি নেতারা। বিজেপি নেতাদের মাধ্যমেই অসাধু উপায়ে অর্জিত টাকা গিয়েছে দিল্লিতে। অভিষেকের প্রশ্ন, কেন অমিত শাহ বিএসএফকে জিজ্ঞাসা করছেন না কীভাবে গরু পাচার হল? তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের তোপ, এটা গরু পাচার কেলেঙ্কারি নয়, এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কেলেঙ্কারি। বিএসএফকে পরিচালনা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যদি বিএসএফ ঠিকঠাক কাজ করে তাহলে গরু পাচার হয় কী করে?  অভিষেক বলেন, এ প্রশ্নের কৈফিয়ত দিতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • ED CBI on Cattle Case: সায়গলকে হেফাজতে চায় ইডি, সিবিআই- এর নজরে অনুব্রতর ড্রাইভার

    ED CBI on Cattle Case: সায়গলকে হেফাজতে চায় ইডি, সিবিআই- এর নজরে অনুব্রতর ড্রাইভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) তদন্তের ভার পেয়েছে সিবিআই (CBI)। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। 

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো অনুব্রত মামলায় এখনও যকের ধনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। গুরুপাচার মামলার বিপুল টাকা কোথায় গেল? এখন সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। তাই এবার মঞ্চে নামতে চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এবার সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossian) নিজেদের হেফাজতে (Custody) নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে ইডি। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    আরও পড়ুন: বীরভূমে ১৭টি চালকলে ঢুকেছে গরু পাচারের টাকা? কেষ্টর যোগসূত্রে তদন্তে ইডি-সিবিআই 

    ইডি যে এই মামলায় তদন্তে নামতে পারে, এরকম জল্পনা আগেই ছিল। এবার তা সত্যি হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই  সায়গল হোসেনের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। সম্প্রতি সায়গলের বোলপুরের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। এবার ইডির নজরে গরুপাচারের টাকা। 

    কোথায় গেল গরুপাচারের টাকা? তার পরিমাণ কী? কোন কোন খাতে এই টাকা কোথায় পাঠানো হয়েছে? এই সব জানতেই সায়গলকে জেরা করতে চান ইডি গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে গরুপাচার মামলায় অনুব্রত এবং সায়গলের বিষয়ে সিবিআই- এর থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে ইডি। সূত্রের খবর, প্রয়োজনে অনুব্রত মণ্ডলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি। 

    এদিকে অনুব্রত, সায়গলের পর এবার সিবিআই- এর স্ক্যানারে অনুব্রতর ড্রাইভার আনারুল শেখ। অনুব্রত মণ্ডলের ড্রাইভারের ঝাঁ চকচকে দোতলা বাড়ির রহস্য কী তা জানতে চায় সিবিআই। 

    দীর্ঘদিন ধরেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ড্রাইভার হিসাবে কাজ করছেন আনারুল শেখ। এই আনারুল শেখের (Anarul Shekh) গ্রামের বাড়ি বোলপুর শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে খিরুলি গ্রামে। তবে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে তিনি বেশ কয়েক বছর আগে বোলপুরের গুরুপল্লিতে একটি ঝাঁ চকচকে দোতলা বাড়ি বানান আনারুল। সেখানেই এখন থাকে আনারুলের পরিবার।

    আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যায় জেলেই মা তারার ছবিতে পুজো কেষ্টর, বিতরণ করলেন নকুলদানাও! 

    আনারুলের বোলপুরের গুরুপল্লিতে যে বাড়িটি রয়েছে সেই বাড়িটি আনুমানিক তিন কাঠা জায়গার উপর তৈরি। বাড়িটির কারুকার্য চোখে পড়ার মতো। যে জায়গায় এই বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে সেখানকার জমির মূল্য ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা কাঠা। পাশাপাশি তাঁদের বোলপুর ইলামবাজার রোডের ওপর একটি এক বিঘা সমান জায়গা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এই জায়গার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।   

    অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই আনারুল এবং তাঁর দাদার রোজগার নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে গুঞ্জন শোনা গিয়েছে। যদিও আনারুল শেখের বৌদি দাবি করেছেন, তাঁরা গ্রামের জমি-বাড়ি বিক্রি করে এই বাড়ি তৈরি করেছেন। অন্যদিকে আনারুল শেখের দাদা আলমের দাবি, রাজমিস্ত্রির কাজ করে টাকা জমিয়ে এই সম্পত্তি তৈরি করেছেন।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Arpita Mukherjee: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গোপন জবানবন্দি দিচ্ছেন পার্থ  ঘনিষ্ঠ অর্পিতা?

    Arpita Mukherjee: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গোপন জবানবন্দি দিচ্ছেন পার্থ  ঘনিষ্ঠ অর্পিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (SSC Scam Case) গোপন জবানবন্দি দিচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। ইডির (ED) একটি সূত্রেই এমন খবর মিলেছে। আর যদি সত্যি সত্যিই অর্পিতা গোপন জবানবন্দি দেন, তাহলে আরও বিপাকে পড়তে পারেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

    এসএসসি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। দুর্নীতির শেকড়ের গভীরে পৌঁছতে দিন কয়েক আগে ইডি হানা দেয় অর্পিতার ফ্ল্যাটে। উদ্ধার হয় ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের সোনাও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। হদিশ মিলেছে নামে বেনামে প্রচুর জমি, ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি এবং কোম্পানির। বর্তমানে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের মহিলা সেলে রয়েছেন অর্পিতা। ইতিমধ্যেই সেখানে গিয়ে তাঁকে একাধিকবার জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। তখনই উঠে এসেছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। ইডির একটি সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা অর্পিতার কাছে জানতে চান, তিনি এই সব বয়ান বিচারকের কাছে বলবেন কিনা। ততক্ষণাৎ অর্পিতা জানিয়ে দেন গোপন জবানবন্দি দিতে তিনি প্রস্তুত।

    আরও পড়ুন : হাজারিবাগের হোটেলে পার্থ-ঘনিষ্ঠের খোঁজে তল্লাশি আয়কর দফতরের, কী মিলল জানেন?

    ইডির তদন্তকারীদের নানা সময়ে অর্পিতা জানিয়েছেন, ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ টাকা এবং সোনা তাঁর নয়। এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানতেনও না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের লোকজনই ফ্ল্যাটে গিয়ে টাকা রেখে তালা লাগিয়ে দিত। তবে ঘনিষ্ঠতা সূত্রে পার্থর কাছ থেকে অর্থ লেনদেনের কিছু কথা তাঁরও কানে গিয়েছে বলে দাবি অর্পিতার। কোন জেলা থেকে কত টাকা আসত, কে সেই টাকা পাঠাত, তার তালিকা তৈরি করতে চাইছে ইডি। সেক্ষেত্রে অর্পিতার গোপন জবানবন্দি তদন্তের ক্ষেত্রে হয়ে উঠবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইডি সূত্রে খবর, পার্থর কাছ থেকে টাকার একটা অংশ প্রভাবশালীদের কাছেও যেত। জেরার মুখে অর্পিতা কয়েকজনের নামও বলেছেন। অর্পিতা জবানবন্দি দিলে, ইডির পক্ষে অভিযোগ প্রমাণ করা হবে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। তাই ইডি চাইছে, গোপন জবানবন্দি দিন অর্পিতা। প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন অর্পিতাও।

    আরও পড়ুন : জামিনের আর্জি খারিজ! এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে শান্তিপ্রসাদ ও অশোকের আরও ৬দিন সিবিআই হেফাজত

    এমতাবস্থায় অর্পিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। এ ব্যাপারে আইনি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিচ্ছেন ইডি কর্তারা। জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় গোপন জবানবন্দি দিতে পারেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা। সেক্ষেত্রে কেলেঙ্কারির আরও গভীর ফাঁসে জড়িয়ে যেতে পারেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

     

LinkedIn
Share