Tag: ED

ED

  • Sanjay Raut: সঞ্জয় রাউতকে চার দিনের ইডি হেফাজতে পাঠাল আদালত, খেতে পারবেন বাড়ির খাবার, ওষুধ 

    Sanjay Raut: সঞ্জয় রাউতকে চার দিনের ইডি হেফাজতে পাঠাল আদালত, খেতে পারবেন বাড়ির খাবার, ওষুধ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবিসেনা (Shiv Sena) মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতকে (Sanjay Raut) চার দিনের ইডি হেফাজতে (ED Custody) পাঠাল আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা আট দিনের হেফাজত চাইলেও, সেই দাবিতে রাজী হয়নি বিশেষ আদালত। ইডি হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে শিবসেনা সাংসদকে বাড়ির খাবার এবং ওষুধ খাওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। ৪ অগাস্ট অবধি এই সময়ে সঞ্জয় রাউতকে সমস্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানের জন্যে ইডিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    জমি দুর্নীতি (Land Scam) মামলায় গ্রেফতার শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। টানা ছ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সঞ্জয় রাউতকে গ্রেফতার করে ইডি (ED)। ‘পাত্রা চওল’ নামের একটি বস্তির পুনর্নির্মাণের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকার পাশাপাশি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: জমি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত

    ইডি সূত্রে খবর, সঞ্জয় রাউতের মুম্বইয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। জানা গিয়েছে, ৩১ জুলাই সকাল ৭টা নাগাদ সিআইএসএফ জওয়ানদের নিয়ে পূর্ব মুম্বইয়ের বান্ডাপে সঞ্জয়ের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হওয়ার পরেই তাঁকে আটক করে ইডি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে সন্ধ্যাবেলায় ইডির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশেষে টানা ছ ঘণ্টার জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।

    কী এই পাত্রা চওল মামলা? 

    উত্তর মুম্বইয়ের গোরেগাঁও – এ অবস্থিত এই পাত্রা চওল (বস্তি)। গুরু আশিস কন্সট্রাকশন এই চওল পূননির্মাণের দায়িত্ব পায়। ৬৭২টি পরিবারকে নতুন বাড়ি দেওয়ার জন্যে ২০০৭ সালে মহারাষ্ট্র এরিয়া ডেভলপমেন্ট অথরিটির সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর হয়। এবং বাকি জায়গা ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে বিক্রি করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাগজেই শেষ সেই চুক্তি। গত ১৪ বছর ধরে নতুন বাড়ি পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন ভাড়াটেরা। ইডির দাবি, গুরু আশিস কন্সট্রাকশন এবং সঞ্জয় রাউত ঘনিষ্ঠ প্রবীণ রাউতের এই যৌথ উদ্যোগে একটি ফ্ল্যাটও তৈরি হয়নি আজ অবধি। বরং জায়গাটি ৯০১.৭৯ কোটি টাকার বিনিময়ে ৯ জন পাইভেট ডেভলপারকে বেঁচে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, গুরু আশিস কন্সট্রাকশনও সেখানে একটি নতুন প্রজেক্ট শুরু করেছে। ফ্ল্যাট ক্রেতাদের থেকে ১৩৮ কোটি টাকা অগ্রিমও নেওয়া হয়েছে। সমস্যা তখন শুরু হয় যখন ভাড়াটেরা গুরু আশিস কন্সট্রাকশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল এই সংস্থা তাঁদের বাড়ি ভাড়া দিচ্ছে না। যেখানে যতদিন ভাড়াটেরা নতুন ঘর পাচ্ছেন না ততদিন তাঁদের বাড়ির ভাড়া দেওয়ার কথা ছিল ওই সংস্থার। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। ২০১৪-২০১৫ সাল অবধিই বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। তারপর তা বন্ধ করে দেয় সংস্থা।

    আরও পড়ুন: উদ্ধব ঘনিষ্ঠ শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে ইডি-র হানা, কেন জানেন?  

    এরপরেই  গুরু আশিস কন্সট্রাকশনকে উচ্ছেদের নোটিস দেয় মহারাষ্ট্র এরিয়া ডেভলপমেন্ট অথরিটি। কিন্তু যেই ৯ প্রাইভেট ডেভলপার জমি কিনেছিলেন তাঁরা বম্বে হাইকোর্টে নিয়ে যান মামলাটি। ২০২১ সালে মন্ত্রিসভা ফের চওলের পূননির্মাণের অনুমতি দেয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয় সেই কাজ। 

    ইডির দাবি, এই পুরো বিষয়টিতে মোট ১,০৩৯.৭৯ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তার মধ্যে ১০০ কোটি টাকা পেয়েছেন প্রবীণ রাউত। এই টাকাটি তাঁর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। এর মধ্যে রয়েছেন সঞ্জয় রাউতের পরিবার। ইডির আরও দাবি, একটি অপরাধমূলক কাজের বিষয়ে ২০১০ সালে ৮৩ লক্ষ টাকা সরাসরি নিয়েছিলেন।

  • Sanjay Raut: জমি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত

    Sanjay Raut: জমি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি দুর্নীতি (Land Scam) মামলায় গ্রেফতার শিবসেনা (Shiv Sena) নেতা সঞ্জয় রাউত। টানা ছ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সঞ্জয় রাউতকে (Sanjay Raut) গ্রেফতার করল ইডি (ED)। একটি বস্তির পুনর্নির্মাণের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকার পাশাপাশি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও উদ্ধার হয়েছে। সোমবারই তাঁকে আদালতে তোলা হবে। এদিকে, দলীয় সাংসদের গ্রেফতারিতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে শিবসেনা।  

    ইডি সূত্রে খবর, সঞ্জয় রাউতের মুম্বইয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। জানা গিয়েছে, ৩১ জুলাই সকাল ৭টা নাগাদ সিআইএসএফ জওয়ানদের নিয়ে পূর্ব মুম্বইয়ের বান্ডাপে সঞ্জয়ের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডি আধিকারিকরা। বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হওয়ার পরেই তাঁকে আটক করে ইডি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে সন্ধ্যাবেলায় ইডির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশেষে টানা ছ ঘণ্টার জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করল ইডি।

    আরও পড়ুন: উদ্ধব ঘনিষ্ঠ শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে ইডি-র হানা, কেন জানেন?    

    এদিকে, সঞ্জয় রাউতের গ্রেফতারির ঘটনায় মুখ খুলেছেন একনাথ শিন্ডে। মহারাষ্ট্রের নয়া মুখ্যমন্ত্রীর (Eknath Shinde) বক্তব্য, “সঞ্জয় রাউত যদি নির্দোষ হন, এটাই চাই। তবে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ থেকে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। তিনি তো বলেছেন কোনও ভুল করেননি।”

    জমি সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের ঘটনায় তাঁকে একাধিকবার তলব করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। তবে প্রথমবার হাজিরা দিলেও পরের দুবার তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। আর্থিক বেনিয়ম এবং দুর্নীতির মামলাতেই ১ জুলাই সঞ্জয় রাউত-কে ১০ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছল ইডি। কিন্তু পরে সাংসদ অধিবেশন চলছে, এই অজুহাতে এড়িয়ে যান ইডির তলব। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগীতারও অভিযোগ তুলেছে ইডি।  

    এই ঘটনায় সরকারি এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছে শিবসেনা। সঞ্জয় রাউত বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ, মিথ্যা তথ্য প্রমাণ। আমার মৃত্যু হলেও ওদের কাছে আত্মসমর্পণ করব না। কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। আমি বালাসাহেব ঠাকরের নামে শপথ নিয়ে একথা বলছি। বালাসাহেব আমাদের লড়াই করতে শিখিয়েছেন। আমি শিবসেনার হয়ে লড়াই চালিয়ে যাব।”

    আরও পড়ুন: ইডির দফতরে হাজিরা সঞ্জয় রাউতের, চলল ১০ ঘণ্টার জেরা

    বিজেপিও পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে রাউতের বিরুদ্ধে। বিজেপির তরফে বলে হয়েছে, “যদি তিনি সত্যিই নির্দোষ হন, তাহলে ইডিকে ভয় পাচ্ছেন কেন? সাংবাদিক বৈঠক করার সময় আছে। কিন্তু ইডির তলবে সাড়া দেওয়ার সময় নেই!” 

    এপ্রিলে সঞ্জয় রাউতের স্ত্রী বর্ষা রাউতের এবং দুই সহযোগীর নামে থাকা ১১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। 

    সঞ্জয় রাউতের গ্রেফতারির প্রতিবাদে আজ মুম্বাইয়ে বিক্ষোভ দেখাবে শিবসেনা। শিবসেনার রাজ্যসভা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেছেন, “বিষয়টিকে সংসদেও তোলা হবে। যারা বিজেপির পর্দা ফাঁস করার চেষ্টা করছে, তাদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। আমরা মাথা নত করব না।” 

  • Partha-Arpita: শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    Partha-Arpita: শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি কাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে নেমে আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তদন্তকারী সংস্থা আদালতে জানিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়  (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) মধ্যে ‘যোগাযোগ’ ২০১২ সাল থেকে চলে আসছে। তখন থেকেই দুজন মিলে আর্থিক বোঝাপড়া তখন থেকেই চলছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের। তদন্তকারীদের দাবি, শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট (Primary TET) দুর্নীতিতেও। 

    এসএসসি কাণ্ডে পার্থ-অর্পিতার হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন করে ইডি (ED)। ভুবনেশ্বর এইমসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলায় ভার্চুয়ালি পেশ করা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রীকে। অন্যদিকে, ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিশেষ ইডি আদালতে সশরীরে হাজির ছিলেন অর্পিতা। সেখানে, পার্থ-অর্পিতার হেফাজতের আবেদন চেয়ে তদন্তকারী সংস্থার তরফে একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি পেশ করা হয়।

    ইডি-র তরফে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সূর্যপ্রকাশ ভি রাজু দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অর্পিতা। দু-জনের মধ্যে সম্পর্ক ছিল।  মন্ত্রীর বাড়ি থেকে অর্পিতার বেশকিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। এমনকি পার্থ ও অর্পিতার এই ‘যুগলবন্দি’ যে ২০১২ সাল থেকে চলছিল, তাও আদালতে জানায় ইডি। তদন্তকারীদের পক্ষের আইনজীবী বলেন, তল্লাশি অভিযানে ২০১২ সালের একটি দলিল মিলেছে, যা থেকে জানা গেছে তাঁরা দু’জনে মিলে একটি জমি কিনেছিলেন।

    আরও পড়ুন: সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হল মন্ত্রীকে, আজই মুখোমুখি জেরা পার্থ-অর্পিতাকে?

    শুধু তাই নয়, ইডি-র তরফে আরও বলা হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে গ্রুপ-ডি কর্মীর প্রচুর পরিচয়পত্র এবং প্রাথমিক শিক্ষকদের নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তা থেকেই স্পষ্ট হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুধুমাত্র গ্রুপ-ডি ও এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতিতে নন, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত। এর সঙ্গেই, ইডি-র তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় এই মর্মে যে, অবৈধভাবে চাকরি বিক্রির টাকা দিয়ে চলত বিভিন্ন ধরনের আর্থিক তছরুপ কর্মকাণ্ড। 

    ইডি জানিয়েছে, প্রথম থেকেই তদন্তে একেবারেই সহযোগিতা করছেন না মন্ত্রী। উল্টে, একবার ইডি-র তরফে এও দাবি করা হয়, এসএসকেএমে পৌঁছনোর পর একেবারে ‘ডন’-এর মতো আচরণ শুরু করেছিলেন পার্থ। ইডি আধিকারিকদের হুমকি দিচ্ছিলেন। ইডি-র দাবি, তৃণমূল মহাসচিব বলেছিলেন— ‘এটা আমার হাসপাতাল। এখানে আমি যা খুশি করব। যেমন খুশি রিপোর্ট বার করব।’

    আরও পড়ুন: ৩ অগাস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা, ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় ফিরলেন মন্ত্রী

  • Arpita Mukherjee: টালিগঞ্জের পর বেলঘরিয়া! অর্পিতার আরেকটি ফ্ল্যাটেও মিলল বিপুল টাকার হদিশ!

    Arpita Mukherjee: টালিগঞ্জের পর বেলঘরিয়া! অর্পিতার আরেকটি ফ্ল্যাটেও মিলল বিপুল টাকার হদিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টালিগঞ্জের পর এবার বেলঘরিয়া। ফের ইডি-র হাতে এল ‘কুবেরের ধন’। এবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে মিলল বিপুল টাকার হদিশ। টাকা গুনতে মেশিন সমেত এসেছেন ব্যাঙ্ককর্মীরা।

    মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেতে কলকাতার একাধিক জায়গায় একযোগে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বেলঘরিয়ার অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে কসবায় সংস্থার অফিস— সর্বত্র তল্লাশি চালায় তদন্তকারীরা।

    এদিন দুপুরে রথতলা এলাকায় অভিজাত ক্লাবটাউন হাইটসে পৌঁছে যায় ইডি তদন্তকারী দল। সেখানে রয়েছে অর্পিতার ২টি ফ্ল্যাট। একটি ১১০০ ও আরেকটি ১৪০০ স্কোয়ার ফিটের। ২টি ফ্ল্যাটের একটি রয়েছে ব্লক-২ তে, আরেকটি ব্লক-৫ তে। ২টি ফ্ল্যাটই ছিল  তালাবন্ধ। তালা ভেঙে সেখানে ঢুকে তল্লাশি শুরু করে ইডি আধিকারিকরা। 

    আরও পড়ুন: ঘরে টাকা থাকলেও তা ছোঁয়ার অধিকার ছিল না! জানুন ইডির জেরায় কী বললেন অর্পিতা

    সূত্রের খবর, দুটি ফ্ল্যাটে আলমারি থেকে শুরু করে একাধিক ওয়ার্ড্রোব ও লকারের সন্ধান পায় ইডি। সেগুলো খুলতেই বেরিয়ে পড়ে টাকার পাহাড়। এখনও পর্যন্ত ইডির তরফে জানানো হয়নি, ঠিক কত পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে। তবে, চারটি নোট গোনার মেশিন আনা হয়েছে। ফলে, সহজেই অনুমেয়, টালিগঞ্জের মতো এখানেও ‘যক্ষের ধন’ রাখা ছিল। 

    এর আগে, গত শুক্রবার, টালিগঞ্জে অর্পিতার ডায়মন্ড সিটি সাউথের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে সেখান থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ৭৯ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না। এছাড়া ৫৪ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার হয় ফ্ল্যাট থেকে। একেবারে, ২ হাজার ও ৫০০-র নোটের ২ বস্তা ভর্তি বাণ্ডিল বাণ্ডিল টাকা উদ্ধার করা হয়। 

    আরও পড়ুন: জোকা ইএসআই-তে ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা পার্থ-অর্পিতার, কী খেতে দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রীমশাইকে?

    ইডি সূত্রে খবর, জেরায় অর্পিতা জানিয়েছেন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর বাড়িটিকে ‘মিনি ব্যাঙ্ক’ হিসাবে ব্যবহার করতেন। কিন্তু ঘর ভর্তি টাকা থাকলেও সেই ঘরে যেতে পারতেন না তিনি। নিষেধ ছিল মন্ত্রীমশাইয়ের। অর্পিতার দাবি, প্রতি সপ্তাহে কিংবা প্রতি ১০ দিন অন্তর মন্ত্রী তাঁর বাড়িতে যেতেন। কিন্তু কোনদিনও পার্থ প্রকাশ করেননি যে ওই ঘরে কত টাকা রয়েছে। 

  • SSC Scam Case: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নবম-দশমেও, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    SSC Scam Case: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নবম-দশমেও, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির (Ssc) মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নেমে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Patha Chatterjee) এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee) গ্রেফতারও করেছে ইডি (ED)। এমনই আবহে ফের প্রকাশ্যে এল আরও একটি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ। চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, অনিয়ম হয়েছে এসএসসির নবম দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও। এ ক্ষেত্রেও মেধা তালিকার বাইরের অনেকের চাকরি হয়েছে। অভিযোগ শোনার পর বৃহস্পতিবার ফের নতুন করে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার রয়েছে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।

    আরও পড়ুন : শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    হাইকোর্ট সূত্রে খবর, ১৪ জুলাই নবম দশম শ্রেণির পরীক্ষার মেধা তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই তালিকা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন কয়েকজন চাকরি প্রার্থী। অভিযোগ, এই মেধা তালিকা প্রকাশের সময় সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি। মেধা তালিকায় নাম নেই অথচ চাকরি পেয়েছেন, এমনও হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের এও দাবি, মেধাতালিকায় ‘হাইজাম্প’ করেও চাকরি পেয়েছেন অনেকেই। এই ঘটনার জেরে এসএসসিকাণ্ডে বিড়ম্বনা আরও বাড়তে পারে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। ওই দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই ইডি গ্রেফতার করেছে তাঁদের। সেই মামলার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের নয়া মামলা। এবং সেই এসএসসিকাণ্ডে।

    আরও পড়ুন : এসএসসি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠাল আদালত

    এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে দফায় দফায় প্রায় চোদ্দ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা নদিয়ার পলাশিপাড়ার বিধায়ক তৃণমূলের মানিক ভট্টাচার্যকে। টেট দু্র্নীতিকাণ্ডে তাঁকে জেরা করছে ইডি। বুধবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি। সেই মতো এদিন সকাল ১০টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন তিনি। ছাড়া পান রাত ১২টা নাগাদ। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তাঁকে ফের জেরা করা হবে বলেও ইডি সূত্রের খবর।

     

  • Supreme Court on PMLA: সুপ্রিম জয় ইডি-র! পিএমএলএ আইনে সংস্থার অধিকাংশ ক্ষমতা বহাল রাখল শীর্ষ আদালত

    Supreme Court on PMLA: সুপ্রিম জয় ইডি-র! পিএমএলএ আইনে সংস্থার অধিকাংশ ক্ষমতা বহাল রাখল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক তছরুপ মামলায় গ্রেফতার, তল্লাশি বা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও জামিন সহ যাবতীয় আইনি সংস্থানকে যথাযথ উল্লেখ করে বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court)। পিএমএলএ ( PMLA: আইনের আওতায় কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল একাধিক মামলা। বুধবার বিচারপতি এএম খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে খারিজ হয়ে যায় তার সিংহভাগই। এই রায়ে বুধবার দেশের শীর্ষ আদালতে বড় জয় পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সংক্ষেপে ইডি (ED)। 

    মামলাকারীদের দাবি ছিল, এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট বা সংক্ষেপে ইসিআইআর হল অনেকটা এফাআইআর-এর মতো। ফলে, আটক হওয়া ব্যক্তিকে তার কপি দেওয়া উচিত। এদিন সেই যুক্তি খারিজ করে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, প্রতি ক্ষেত্র বা ব্যক্তিকে ইসিআইআর দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। কারণ, এটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট। আর্থিক তছরুপ মামলায় ইডি আধিকারিকরা কাউকে গ্রেফতার করলে সেই সময় গ্রেফতারির ভিত্তি দেখালেই তা যথেষ্ট। আবেদনকারীদের যুক্তি ছিল, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতারির কারণনা জানিয়ে অথবা প্রমাণ ছাড়া গ্রেফতার করা অসাংবিধানিক। এটাও খারিজ হয়ে যায় ওই বেঞ্চে। 

    আরও পড়ুন : ইডি দফতরে হাজির মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ-অর্পিতার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা?

    মামলাকারীদের দাবি ছিল, এই আইনে জামিনের শর্তগুলি কঠোর, বেআইনি এবং যুক্তি মানে না। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই আইনের জামিনের যে কঠোর শর্তগুলো রয়েছে তা যথাযথ। শর্তগুলো প্রয়োগের ক্ষেত্রে যথেষ্ট আইন অনুসরণ করা হয়েছে। শীর্ষ আদালত এদিন তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, আর্থিক তছরুপ শুধুমাত্র যে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোকে প্রভাবিত করে তাই নয়। এধরনের কার্যকলাপ উল্টে সন্ত্রাসবাদ, এনডিপিএস আইন (দি নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্সেস অ্যাক্ট) ইত্যাদির মতো অন্যান্য জঘন্য অপরাধকেও প্রচার করে। এটা সন্ত্রাসবাদের চেয়ে কম বিপজ্জনক নয়।

    মামলাকারীদের আরেকটি দাবিও এদিন খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অভিযোগ ছিল, ২০০২ সালে প্রথম কার্যকর হয় পিএমএলএ আইন। অথচ, তার আগে দায়ের হওয়া মামলাগুলোও এই আইনে জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা অসাংবিধানিক। জবাবে কেন্দ্রের কৌঁসুলি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে এটিকে ন্যায়সঙ্গত বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন,  অর্থ পাচার একটি ক্রমাগত ঘটে চলা অপরাধ। এটি কোনও একক বিচ্ছিন্ন অপরাধ নয়, বরং একটি চেইন। হতে পারে অপরাধের সূত্রপাত ২০০২ সালের আগে হতে পারে। কিন্তু, তা ২০০২-এর পরেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

    আরও পড়ুন : ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট

    প্রায় আড়াইশোর মতো আবেদনপত্র জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই আবেদনকারীদের মধ্যে ছিলেন অনিল দেশমুখ, কার্তি চিদম্বরম এবং মেহবুবা মুফতিও। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে আর কাউকে গ্রেফতার করতে বাধা রইল না ইডির সামনে।  প্রসঙ্গত, পিএমএলএ আইনটি তৈরি হয়েছিল ২০০২ সালে। যদিও কার্যকর হয় ২০০৫ সালের ১ জুলাই।

    সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আর্থিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ। নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ২০১৪ সালে। তার আগে ন’ বছরে ১১২টি তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত আট বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১০টিতে। গত ৮ বছরে, ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অ্যাটাচ করা হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি।

  • Partha Arpita: জোকা ইএসআই-তে ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা পার্থ-অর্পিতার, কী খেতে দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রীমশাইকে?

    Partha Arpita: জোকা ইএসআই-তে ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা পার্থ-অর্পিতার, কী খেতে দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রীমশাইকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশমতো ইডি (ED) হেফাজতে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) আজ মেডিক্যাল চেক-আপ (Partha Arpita Medical checkup) করানো হচ্ছে। এর জন্য পার্থ-অর্পিতাকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে (Joka ESI Hospital) নিয়ে গেছেন ইডি আধিকারিকরা। সেখানে বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্য প্যারামিটার পরীক্ষা করা হবে। 

    আদালতের নির্দেশে এর আগে, সোমবার ভুবনেশ্বর এইমস-এ (Bhubaneswar AIIMS) স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় বর্তমান শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিবের। সেখানে মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওজন এখন ১১১ কিলো। ক্রনিক সমস্যায় ভুগছেন পার্থ। মন্ত্রীমশাইয়ের রয়েছে ডায়াবেটিস, প্রেসার, থাইরয়েডের সমস্যা। তবে, অসুস্থতা তেমন গুরুতর নয়। ফলে হাসপাতালে ভর্তি করার কোনও প্রয়োজন নেই। বাড়ি থেকেই নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে।

    আরও পড়ুন: বিধানসভায় ফিরল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি, ছাড়তে চলেছেন মন্ত্রিত্ব? জল্পনা

    এরপরই সোমবার রাতে এসএসসি কাণ্ডে প্রাক্তন শিফামন্ত্রী পার্থ ও অর্পিতাকে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই সঙ্গে ইডি-কে নির্দেশ দেওয়া হয়, প্রতি ৪৮-ঘণ্টা অন্তর পার্থ ও অর্পিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে। আদালতের নির্দেশে অনুযায়ী, আজ বুধবার, পার্থ-অর্পিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। 

    ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নেবুলাইজার দেওয়া হয়। এর জন্য ইডি’র তদন্তকারী অফিসার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীকে ফোন করে নেবুলাইজার এবং স্লিপ কার্ট ম্যাট্রেস চেয়ে পাঠান। এই বিশেষ ম্যাট্রেসেই ঘুমোন পার্থ।  সেগুলি রাতেই পৌঁছে যায় সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex)। ইডি সূত্রে খবর, ভুবনেশ্বরের এইমস নেবুলাইজার ও স্লিপ কার্ট মন্ত্রীর জন্য সুপারিশ করেছিল। সেই মতো মন্ত্রীর বাড়ি থেকে আনানো হয় নেবুলাইজার ও স্লিপ কার্ট।

    আরও পড়ুন: শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    এদিকে, ভুবনেশ্বর এইমস থেকে পার্থকে ‘ডায়াবেটিক চার্ট’ (Diabetic Diet chart) তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী, ইডি হেফাজতে খেতে দেওয়া হচ্ছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। ইডি সূত্রের খবর, সোমবার পার্থকে লাঞ্চে দেওয়া হয় রুটি, ডাল, সবজি, টকদই। সন্ধেয় লিকার চা। রাতে দেওয়া হয় রুটি, তরকারি।

  • Arpita Mukherjee: যকের ধন! অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২৮ কোটি নগদ, ৪ কোটি মূল্যের সোনা

    Arpita Mukherjee: যকের ধন! অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২৮ কোটি নগদ, ৪ কোটি মূল্যের সোনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)  ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement DIrectorate) ১৮-ঘণ্টার অভিযান শেষ। ৮টি ট্রাঙ্ক ভর্তি নগদ ও গয়না নিয়ে বেরোলেন তদন্তকারীরা। 

    বুধবার বেলায় এসএসসি-কাণ্ডে (SSC scam) ধৃত, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি (ED)। তালা ভেঙে শুরু হয় তল্লাশি। তারপরই সেখানেও লেগে যায় জ্যাকপট। টালিগঞ্জে হরিদেবপুরের পরে অর্পিতার বেলঘরিয়ায় রথতলার ফ্ল্যাটেও টাকার পাহাড়ের হদিশ। ইডি সূত্রে খবর, ১৮ ঘণ্টার অপারেশনে ক্লাবটাউন হাইটসের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২৮ কোটি নগদ। এছাড়াও, মিলেছে প্রায় ৬ কেজি বেশি সোনা। যার মূল্য প্রায় চার কোটি টাকা। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর রুপোর কয়েনও। অর্পিতার ফ্ল্যাটে শোওয়ার ঘর ও শৌচাগার থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা ও সোনা উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। 

    আরও পড়ুন: ঘরে টাকা থাকলেও তা ছোঁয়ার অধিকার ছিল না! জানুন ইডির জেরায় কী বললেন অর্পিতা

    এর আগে, অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ২২ কোটি নগদ। যা নিয়ে গতকাল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটে লিখেছিলেন, “টান টান উত্তেজনা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর কে জিতবে, বেলঘরিয়া না টালিগঞ্জ?…” শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করল বেলঘরিয়াই। এখানেও ২ হাজার ও ৫০০-র নোটে করা ছিল বাণ্ডিল। রাতভর গণনা শেষে বৃহস্পতিবার ভোরে ১০টি ট্রাঙ্ক নিয়ে যাওয়া হয় ফ্ল্যাটে। বৃহস্পতিবার সকালে নামিয়ে আনা হয় ট্রাঙ্কগুলি। মোট ৭টি ট্রাঙ্কে টাকা ও একটি ট্রাঙ্কে সোনা বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হয়।  সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া টাকা ও নগদ রাখা হবে স্ট্র্যান্ড রোডে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কলকাতা সদর দফতরে। 

    ইডি সূত্রে খবর, জেরায় অর্পিতা জানিয়েছেন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর বাড়িটিকে ‘মিনি ব্যাঙ্ক’ হিসাবে ব্যবহার করতেন। কিন্তু ঘর ভর্তি টাকা থাকলেও সেই ঘরে যেতে পারতেন না তিনি। নিষেধ ছিল মন্ত্রীমশাইয়ের। অর্পিতার দাবি, প্রতি সপ্তাহে কিংবা প্রতি ১০ দিন অন্তর মন্ত্রী তাঁর বাড়িতে যেতেন। কিন্তু কোনদিনও পার্থ প্রকাশ করেননি যে ওই ঘরে কত টাকা রয়েছে। বিরোধীদের দাবি, এটা স্রেফ হিমশৈলের চূড়া মাত্র। সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাচ্ছে এই বাস্তব ঘটনা। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে, ইডি একেকটা ফ্ল্যাটে হানা দিচ্ছে, আর উদ্ধার হচ্ছে পাহাড় প্রমাণ কোটি কোটি টাকা। 

    আরও পড়ুন: জোকা ইএসআই-তে ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা পার্থ-অর্পিতার, কী খেতে দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রীমশাইকে?

    রথতলা এলাকায় অভিজাত ক্লাবটাউন হাইটসে পৌঁছে যায় ইডি তদন্তকারী দল। সেখানে রয়েছে অর্পিতার ২টি ফ্ল্যাট। একটি ১১০০ ও আরেকটি ১৪০০ স্কোয়ার ফিটের। ২টি ফ্ল্যাটের একটি রয়েছে ব্লক-২ তে, আরেকটি ব্লক-৫ তে। এদিন দ্বিতীয় ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় তদন্তকারী দল। ইডি সূত্রে দাবি, টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটের মতো এই ফ্ল্যাটেও একটি ঘরে অনেক ওয়ার্ড্রোব ছিল। সেই ওয়ার্ড্রোবগুলি খুলতেই দেখা যায়, তার ভিতরে থরে থরে সাজানো দু’হাজার এবং পাঁচশো টাকার নোটের বান্ডিল।  ইডি সূত্রে দাবি, একটি-দু’টি ওয়ার্ড্রোব নয়, সবক’টি ওয়ার্ড্রোবেই ঠাসা ছিল নগদ টাকা! টাকা গুনতে নিয়ে আসা হয় ৫টি অত্যাধুনিক বড় মেশিন। এক-একটি মেশিনে মিনিটে ৪ হাজার নোট গোনা যায়।

  • Partha Chatterjee: বিধানসভায় ফিরল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি, ছাড়তে চলেছেন মন্ত্রিত্ব? জল্পনা

    Partha Chatterjee: বিধানসভায় ফিরল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি, ছাড়তে চলেছেন মন্ত্রিত্ব? জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী নিজে ইডি হেফাজতে। অথচ, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তাঁর গাড়ি! সত্যিই তো, না কি চোখের ভুল? মঙ্গলবার এমন দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন গুটিকয়েক মানুষ। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? ওইদিন বিকেলে আচমকা বিধানসভায় দেখা মেলে ডাব্লিউ বি ১০-০০০৬ নম্বর প্লেটের গাড়ির। বিধায়ক থেকে শুরু করে সাংবাদিককূল— যাঁরা বিধানসভায় নিয়মিত যাতায়াত করেন, তাঁরা সকলেই জানেন, এই গাড়ির সওয়ারি কে। কিন্তু তাঁর এখানে আসাটা কী করে সম্ভব? কারণ যিনি চড়েন, সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো এখন সিজিও কমপ্লেক্সে, ইডি হেফাজতে। 

    পরে জানা যায়, পরিষদীয় মন্ত্রী হিসাবে বিধানসভা থেকে তাঁকে যে গাড়ি দেওয়া হয়েছিল, তা ফেরত পাঠিয়েছেন পার্থ। ২০১১ সালের ২০ মে শপথগ্রহণের পর থেকে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে পরিষদীয় দফতরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন পার্থ। বিধানসভার দস্তুর অনুযায়ী, পরিষদীয় মন্ত্রীর গাড়ির ব্যবস্থা হয় বিধানসভা থেকে। সেই মতো, পার্থকে এই গাড়ি দিয়েছিল বিধানসভা।

    আরও পড়ুন: “বিচারব্যবস্থার মেরুদণ্ড এত নরম নয় যে…”, কী প্রেক্ষিতে বললেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী?

    সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলেই পার্থর দফতর থেকে বিধানসভাকে জানানো হয়, মন্ত্রী গাড়ি ফেরত দিতে বলেছেন। সেই মতো, মঙ্গলবার বিকেলে সেই গাড়িই ফেরে বিধানসভার গ্যারাজে। গাড়ির চাবি তুলে দেওয়া হয় বিধানসভা কর্তৃপক্ষের হাতে। চালক গাড়িটি বিধানসভা চত্বরে রেখে বিধানসভার কেয়ারটেকারের হাতে চাবি ফেরত দেন।

    কিন্তু কেন গাড়ি ফেরত দিলেন পার্থ? এই প্রশ্ন ঘিরে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা। বর্তমানে পরিষদীয় দফতর ছাড়াও শিল্প ও বাণিজ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের দায়িত্বে আছেন পার্থ। একাংশের মতে, হতে পারে মন্ত্রীমশাই বুঝে গিয়েছেন, তিনি এখন কবে বের হবেন, তা ঠিক নেই। তাই গাড়ি ফেরত দিয়ে দেওয়াই শ্রেয়। 

    আবার অন্য অংশের মতে, সম্ভবত দলের মনোভাব টের পেয়ে গিয়েছেন পার্থ। হতে পারে, তাঁকে পরিষদীয় নেতার পদ খোয়াতে হতে পারে। তা বুঝতে পেরেই হয়ত তিনি গাড়ি ফেরত দিয়েছেন। এমনও হতে পারে, সরানোর আগেই, তিনি নিজেই পদত্যাগ করবেন পার্থ। তাই আগেভাগে গাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দিলেন।

    আরও পড়ুন: শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

  • Sanjay Raut: উদ্ধব ঘনিষ্ঠ শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে ইডি-র হানা, কেন জানেন?  

    Sanjay Raut: উদ্ধব ঘনিষ্ঠ শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে ইডি-র হানা, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সাতসকালে ইডির (ED) হানা শিবসেনা (Shiv Sena) মুখপাত্র প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) ঘনিষ্ট সঞ্জয় রাউতের (Sanjay Raut) বাড়িতে। জমি-দুর্নীতির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে ইডিকে, বলছেন বিরোধীরা।

    বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেফতার হন সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ প্রবীণ রাউত। তখন থেকেই ইডির আতস কাচের তলায় ছিলেন সঞ্জয়। ইডি সূত্রে খবর, একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও, একবারই হাজিরা দিয়েছেন সঞ্জয়। তাঁর স্ত্রী বর্ষাকেও একপ্রস্ত জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। সেই সময় আলিবাগের ৮টি জমি ও দাদরের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    আরও পড়ুন : এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

    জানা গিয়েছে, পয়লা জুলাই ওই মামলায় জেরা করার জন্য সঞ্জয়কে তলব করে ইডি। সেদিন ঘণ্টা দশেক ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। পরে ২০ জুলাই ও ২৭ জুলাই তাঁকে ফের তলব করে ইডি। এই দুবারই হাজিরা দেননি সঞ্জয়। আইনজীবী মারফত জানিয়ে দেন, সংসদ অধিবেশন চলায় এই মুহূর্তে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে। হাজিরা দিতে পারবেন ৭ আগস্টের পর। এর পরেই এদিন সাতসকালে সঞ্জয়ের বাড়িতে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা।

    বাড়িতে ইডির অভিযান প্রসঙ্গে ট্যুইটবার্তায় সঞ্জয় বলেন, কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। আমি শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরের নামে শপথ নিয়ে এ কথা বলছি। বালাসাহেব আমাদের লড়াই করতে শিখিয়েছেন। আমি শিবসেনার জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। আমি শিবসেনা ছাড়ব না। যদি মরেও যাই, তবুও আত্মসমর্পণ করব না। জয় মহারাষ্ট্র। বিজেপি বিধায়ক রাম কদমের প্রশ্ন, যদি উনি(সঞ্জয় রাউত) নির্দোষ হল, তবে ইডিকে ভয় পাচ্ছেন কেন? ওনার কাছে সাংবাদিক বৈঠক করার সময় রয়েছে, অথচ তদন্তকারী সংস্থার কাছে হাজিরা দেওয়ার সময় নেই?

    আরও পড়ুন : নির্বাচন কমিশনকে রুখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে শিবির

LinkedIn
Share