Tag: ED

ED

  • ED charges Farooq Abdullah: ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে চার্জশিট ইডি-র

    ED charges Farooq Abdullah: ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে চার্জশিট ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনেল কনফারেন্স (National Conference) নেতা জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার (Farooq Abdullah) বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল ইডি (ED)। জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আর্থিক অনিয়মের মামলায় দাখিল করা হয়েছে এই চার্জশিট। মে মাসের ৩১ তারিখে ঘণ্টা তিনেক ধরে জেরা করা হয় আবদুল্লাকে। এবার পেশ হল চার্জশিট। ইডির এই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটের ভিত্তিতে ২৭ আগস্ট ফারুক সহ অন্য অভিযুক্তদের তলব করেছে শ্রীনগরের বিশেষ আদালত। ২০১৮ সালের জুলাই মাসেও ফারুক সহ তিন অভিযুক্তের নামে চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। এবার ফারুক ছাড়া যাঁদের বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট দিয়েছে, তাঁরা হলেন এহসান আহমেদ মির্জা, মির মনজুর গজনফের এবং আরও কয়েকজন। ইডির দাবি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২০০৬ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ফারুক জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে সরিয়ে ফেলেন ৪৫ কোটি টাকারও বেশি।

    আরও পড়ুন : সুপ্রিম জয় ইডি-র! পিএমএলএ আইনে সংস্থার অধিকাংশ ক্ষমতা বহাল রাখল শীর্ষ আদালত

    ২০১৮ সালে চার্জশিট দেওয়ার পর দু বছরের মাথায় ইডি জম্মু-কাশ্মীরে ফারুকের তিনটি বসতবাড়ি, একটি বাণিজ্যিক ও চারটি জমি বাজেয়াপ্ত করে। সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত ওই সম্পত্তির পরিমাণ ১১.৮৬ কোটি টাকা। ইডি জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তহবিল থেকে অর্থ সরানো হয়েছে অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন কর্তা সহ অন্যদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। সব মিলিয়ে আর্থিক তছরুপের পরিমাণ ৫১.৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২১.৫৫ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ এহসান আহমেদ মির্জাকে।

    আরও পড়ুন : ইডি দফতরে হাজির মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ-অর্পিতার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা?

    ফারুকের বিরুদ্ধে ইডির পদক্ষেপকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবেই দেখছে ন্যাশনাল কনফারেন্স। তাদের দাবি, ৩৭০ ধারা সহ একাধিক ইস্যুতে ফারুক বিজেপি সরকারের বিরোধিতা করেছিলেন। তাই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ফারুককে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল তৃণমূল। তবে রাজি না হওয়ায় প্রার্থী হননি ফারুক। তাঁর বদলে প্রার্থী করা হয় বিজেপির প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহাকে।

     

  • SSC Scam: টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    SSC Scam: টাকা আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়, তিন সত্যি পার্থর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। সেই টাকার উৎস খুঁজতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। এদিন ইডির হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) দাবি করলেন, ওই টাকা তাঁর নয়। তবে টাকাটা কার, তাও খোলসা করেননি তিনি।

    স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এদিন পার্থ এবং অর্পিতাকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানে ঢোকার মুখে পার্থ জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনও টাকা নেই। কার টাকা?  জবাবে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, সময় এলেই বুঝবেন। বেরনোর সময় ফের উদ্ধার হওয়া টাকা সম্পর্কে একই প্রশ্নের উত্তরে পার্থ বলেন, আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়।

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটি  টাকার ওপর। ঘটনাটিকে পার্থ ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছিলেন। টাকা উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থকে। হতে হয়েছে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডও। এসব সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিলেও, টাকা নিয়ে কোনও কথা এতদিন বলেননি প্রাক্তন মন্ত্রী। এদিন বললেন। দু’বার দু’রকম। হাসপাতালে ঢোকার মুখে বললেন আমার কোনও টাকা নেই। হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় বললেন, আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়।

    আরও পড়ুন : শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

    পার্থের এই প্রতিক্রিয়ার পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভাইপো টাকাটা রাখতে দিয়েছেন। অপা সিন্ডিকেটের মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নির্দেশ দিতেন ভাইপো, কয়লা ভাইপো। শুভেন্দুর কথায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর অপা ওই টাকার কাস্টডিয়ান বা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। তাঁর দাবি, ভাইপোর নিজের, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বহু কালেক্টর রয়েছেন, যাঁরা টাকা সংগ্রহ করেন। শুভেন্দু বলেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যাম মুখোপাধ্যায় বিনয় মিশ্রের মাধ্যমে ১২ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন। ব্যানার্জি-চ্যাটার্জির যৌথ ষড়যন্ত্র এসব।

    এদিকে, পার্থ-অর্পিতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এদিন আরও ৮ কোটি টাকার হদিশ মিলেছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

  • SSC Scam: ঘরে টাকা থাকলেও তা ছোঁয়ার অধিকার ছিল না! জানুন ইডির জেরায় কী বললেন অর্পিতা

    SSC Scam: ঘরে টাকা থাকলেও তা ছোঁয়ার অধিকার ছিল না! জানুন ইডির জেরায় কী বললেন অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বাড়ি ছিল মিনি ব্যাঙ্ক। সেখানে টাকা জমা করে রাখা হত। কিন্তু সেই টাকায় হাত দেওয়ার অধিকার ছিল না তাঁর। ইডির জেরায় এমনই দাবি করলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ইডির জেরায় একথা জানান পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা। তিনি বলেন, “আমার বাড়িতে টাকা রাখা থাকলেও, সেই টাকায় হাত দেওয়ার অধিকার একমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর সঙ্গী সাথীদেরই ছিল। আমার ফ্ল্যাটের একটি ঘরে থাকত ওই সমস্ত টাকা। কিন্তু ওই ঘরে প্রবেশের অধিকার আমার ছিল না।”

    ইডি সূত্রে খবর, ক্রমশ মুখ খুলছেন অর্পিতা। একে একে ইডি আধিকারিকদের তথ্য দিতে শুরু করেছেন তিনি। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ইডি আধিকারিকদের জানিয়েছেন, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর বাড়িটিকে ‘মিনি ব্যাঙ্ক’ হিসাবে ব্যবহার করতেন। কিন্তু ঘর ভর্তি টাকা থাকলেও সেই ঘরে যেতে পারতেন না তিনি। নিষেধ ছিল মন্ত্রীমশাইয়ের। অর্পিতার দাবি, প্রতি সপ্তাহে কিংবা প্রতি ১০ দিন অন্তর মন্ত্রী তাঁর বাড়িতে যেতেন। কিন্তু কোনদিনও পার্থ প্রকাশ করেননি যে ওই ঘরে কত টাকা রয়েছে। অর্পিতা জানিয়েছেন, ২০১৬ সাল থেকে পার্থ এবং অর্পিতার ঘনিষ্ঠতা। এক বাঙালি অভিনেতার মারফত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজের হাতে কখনওই কোনও টাকা ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে আসেননি। সমস্ত টাকাই আসত তাঁর সঙ্গী-সাথীদের মারফত।

    আরও পড়ুন: ইডি দফতরে হাজির মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ-অর্পিতার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা?

    জানা গিয়েছে, অর্পিতার আইনজীবী এই সমস্ত তথ্যকে সামনে রেখেই আগামী শুনানিতে তাঁর জামিনের জন্য লড়াইয়ে নামবেন। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকা। ইডির আধিকারিকরা অর্পিতার বাড়ি থেকে একটি কালো ডাইরিও উদ্ধার করেছেন। ওই ডাইরিতে কী রয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে তদন্তকারী অফিসারদের সন্দেহ, ওই ডায়েরিতেই দুর্নীতির টাকার বিস্তারিত হিসাব লিখে রাখতেন অর্পিতা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, এই টাকা এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) মামলার টাকা এবং এই দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এরপরেই পার্থ এবং অর্পিতাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। আপাতত ৩ অগাস্ট পর্যন্ত তাঁরা দুজনেই ইডির হেফাজতে থাকবেন। 

  • Partha Chatterjee: ৩ অগাস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা, ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় ফিরলেন মন্ত্রী

    Partha Chatterjee: ৩ অগাস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা, ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় ফিরলেন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC recruitment scam) শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) আগামী ৩ অগাস্ট পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। একইসঙ্গে একই সময় পর্যন্ত ইডি (ED) হেফাজতে পাঠানো হল তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে (Arpita Mukherjee)। 

    এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে নেমে শুক্রবার অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে সেখান থেকে শিক্ষা দফতরের খামে মোড়া প্রায় নগদ ২২ কোটি টাকা উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে উদ্ধার হয় বিদেশি মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ সোনা। এরপরই, এই কাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে পার্থ ও অর্পিতাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে ইডি।

    আরও পড়ুন: ক্রনিক সমস্যায় ভুগছেন পার্থ, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল এইমস

    আদালতে ইডি দাবি করে, পার্থ ও অর্পিতার যৌথ সম্পত্তি রয়েছে। মন্ত্রীর বাড়ি থেকেও অর্পিতার নামে বিভিন্ন সংস্থার নথি ও সম্পত্তির দলিল উদ্ধার হয়েছে বলে তদন্ত রিপোর্টে জানিয়েছে ইডি। ইডি-র মতে, এই দুজন বেআইনি আর্থিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, বেআইনি নিয়োগের এই দুর্নীতি-চক্রে বহু প্রভাবশালীই জড়িত। গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন যে, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ২২ কোটি টাকা কিছুই নয়, বরং এর থেকেও বিপুল পরিমাণ টাকা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে বাংলাদেশে হাওয়ালার মাধ্যমে ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছে।

    ফলে, তদন্তের সুবিধার্থে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের তাদের হেফাজতে পাঠানো হোক। অর্পিতার জন্য ১৩ দিনের হেফাজতের আর্জি জানানো হয়। অন্যদিকে, জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থর আইনজীবী। সোমবার রাত ১১টা নাগাদ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ইডি-র বিশেষ আদালতে মামলার শুনানি শেষে পার্থর আবেদন খারিজ করেন বিচারক। মন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠকে ১০ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠিয়ে দেয় আদালত। শুনানির সময় আদালতের লক-আপেই ছিলেন অর্পিতা। রায় বেরনোর পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখানে ইডি লক-আপে রাখা হয় অর্পিতাকে। 

    আরও পড়ুন: অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম-নম্বর লিখলেন কেন পার্থ? জড়িয়ে দিতে নাকি বিপদের বন্ধু হিসাবে

    অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশে ভুবনেশ্বর এইমসে (AIIMS Bhubaneswar) যাওয়া পার্থকে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয়েছিল। এদিনই, ভুবনেশ্বর এইমসে যাওয়া পার্থকে ‘ফিট’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে মেডিক্যাল রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়েছে, মন্ত্রীর যা সমস্যা রয়েছে তা ক্রনিক। যে ওষুধ তিনি খাচ্ছেন তা চালিয়ে যেতে হবে। হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই কারণ, ভর্তি করার মতো অবস্থা নয়। 

    হাসপাতালের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার কিছু পরেই কলকাতায় ইডির বিশেষ আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়। পার্থকে আজই ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কলকাতায় বিশেষ আদালতের রায় বের হতে দেরি হওয়ায়, রাতে ভুবনেশ্বরেই থাকতে হয় পার্থকে। মঙ্গলবার, ভোরের বিমানে করে কলকাতায় ফিরেছেন তৃণমূল মহাসচিব। সাড়ে ৬টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নামে পার্থ-র বিমান। 

  • Nirav Modi: হংকংয়ে ঋণখেলাপি নীরব মোদির  ২৫৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Nirav Modi: হংকংয়ে ঋণখেলাপি নীরব মোদির  ২৫৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঋণখেলাপি নীরব মোদির (Nirav Modi) বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি, গয়না ও ব্যাঙ্কে গচ্ছিত আমানত বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সংক্ষেপে ইডি (ED)। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৫৩ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। বেআইনি লেনদেন প্রতিরোধ আইন ২০২২-এ এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হংকং (Hong Kong) থেকে প্রায় আড়াইশো কোটি টাকার সম্পত্তির দখল নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আর্থিক তছরুপের মামলায় বর্তমানে লন্ডনের জেলে রয়েছেন নীরব মোদি। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নীরবের ২ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ইডির তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, হংকংয়ে নীরব মোদির বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। বেসরকারি ব্যাংকে টাকা ও গয়না গচ্ছিত ছিল নীরব মোদির। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের পাঁচ নম্বর ধারা মেনেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সম্পত্তি। সব মিলিয়ে আড়াইশো কোটি টাকার জিনিসপত্র আটক করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : কয়লা-কাণ্ডে বিনয় ও বিকাশ মিশ্রের ১৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত!

    এই প্রথম নয়, এর আগেও দেশে বিদেশে নীরব মোদির স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই বিবৃতিতে এও জানানো হয়েছে, নীরব মোদি ও তাঁর সহযোগীদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতের রায় মেনেই প্রায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সম্পত্তি। আপাতত বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলিকে সাহায্য করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : পার্থ, পরেশের বাড়ি সহ ১৪ জায়গায় হানা ইডি-র, কী মিলল তল্লাশিতে?

    নীরব মোদি পেশায় হিরে ব্যবসায়ী। বছর কয়েক আগে তাঁকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ বাবদ দেয় ভারতের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। পরে জানা যায়, ওই ব্যবসায়ী ভুয়ো জামিনদারকে কাজে লাগিয়ে ওই পরিমাণ অর্থ ঋণ নিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেফতার হন এই হিরে ব্যবসায়ী।

     

  • SSC Scam: সোনার ‘সংসার’! গয়না থেকে সোনার বাট কী নেই অর্পিতার আলমারিতে

    SSC Scam: সোনার ‘সংসার’! গয়না থেকে সোনার বাট কী নেই অর্পিতার আলমারিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কী নেই অর্পিতার আলমারিতে? হালকা থেকে ভারি সবরকম গয়নাই মিলবে সেখানে। এ যেন কোনও ছোটখাটো গয়নার দোকান! চোকার থেকে সীতাহার। মান্তাসা থেকে বাজুবন্ধ সবই রয়েছে। আছে সোনার কাঁকন থেকে কানের ঝোলা দুল। চাইলে মিলবে সোনার ঘড়ি, আংটি, পেনও।

    বুধবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) অভিযানে নেমে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বেলঘরিয়ার (Belgharia) রথতলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করেছে প্রায় পাঁচ কেজি সোনা। যার মূল্য আনুমানিক ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে নগদ ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা।  ইডি সূত্রে খবর,উদ্ধার হওয়া সোনার মধ্যে বেশির ভাগই ছিল সোনার বাট। ১ কেজি করে তিনটি সোনার বাট উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি সোনার আংটি। এ ছাড়াও অর্পিতার বাড়ি থেকে সোনার মোটা হার,রকমারি সোনার গয়নাও উদ্ধার করা হয়েছে। ইডি আধিকারিকদের বাজেয়াপ্ত করা সোনার মধ্যে রয়েছে দু’টি সোনার ঘড়িও। এ ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে, ছ’টি মোটা মোটা সোনার কাঁকন (বালা)। যার প্রত্যেকটির ওজন ৫০০ গ্রাম। মিলেছে কানের ঝোলা দুল। উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি ছোট কানের দুল, কাঁকন এবং একটি সোনার পেন। এর আগে অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৫৪ লাখ টাকার সোনার গয়না।

    আরও পড়ুন: যকের ধন! অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২৮ কোটি নগদ, ৪ কোটি মূল্যের সোনা

    বুধবার বেলা ১২টার কিছু ক্ষণ আগে অর্পিতার বেলঘরিয়ায় ফ্ল্যাটে পৌঁছন ইডির আধিকারিকরা। এর পর ১৯ ঘণ্টার তল্লাশি অভিযান শেষে টাকা ও গয়না উদ্ধার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। দুপুর থেক টাকা গোনা শুরু হলেও তা শেষ হতে হতে ভোর হয়ে যায়। এর আগে শুক্রবার অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকেও ২১ কোটি ৯০ লক্ষ নগদ এবং বহুমূল্যের গয়না ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেন ইডি আধিকারিকেরা। এর পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

  • Primary TET Scam: ইডি দফতরে হাজির মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ-অর্পিতার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা?

    Primary TET Scam: ইডি দফতরে হাজির মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ-অর্পিতার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Teacher Recruitment scam) পাশাপাশি প্রাথমিক টেট নিয়োগ দুর্নীতিতেও (primary teacher recruitment scam) পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) নাম উঠে আসায় এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। 

    আজ, বুধবার, মানিককে বেলা ১২ টায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি (ED) দফতরে হাজির হতে বলা হলেও তিনি সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ পৌঁছে যান সিজিও কমপ্লেক্সে। এর আগে গত শুক্রবার, পার্থর বাড়িতে যে সময় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা, সেই একই সময় মানিকের বাড়িতেও চলেছিল তল্লাশি। ইডি হানার তালিকায় ছিল মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িও। 

    সেদিন মানিককে দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি ও সিডি উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই সূত্রেই মানিক ভট্টাচার্যকে তলব করা হয়েছে বুধবার। 

    আরও পড়ুন: বিধানসভায় ফিরল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি, ছাড়তে চলেছেন মন্ত্রিত্ব? জল্পনা

    সূত্রের খবর, পার্থর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে মানিক ভট্টাচার্যের নোট ছিল। এদিন, মানিককে বেশ কিছু নির্দিষ্ট নথি, ব্যাঙ্কের নথিও আনতে বলা হয়েছে ইডি-র তরফে। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর। 

    কিন্তু, কেন এখন তলব করা হল মানিককে? সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু নতুন তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেই তথ্য যাচাই করার জন্য মানিক ভট্টাচার্যকে তলব করেছেন তদন্তকারী। এমনকী, প্রয়োজনে পার্থ ও মানিককে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করতে হতে পারে। 

    এখানে বলে দেওয়া দরকার, মানিক ভট্টাচার্য হলেন নদিয়া জেলার পলাসীপাড়ার বিধায়ক। তিনি পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের (West Bengal Primary Education Board)  প্রাক্তন সভাপতি। আদালতের নির্দেশেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সভাপতির পদ থেকে। তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সূত্রের খবর তিনিও মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। একটা সময় হাজরা ল কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: শুধু এসএসসি নয়, পার্থ-অর্পিতা জড়িত প্রাথমিক টেট দুর্নীতিতেও! আদালতে দাবি ইডি-র

  • Partha-Arpita: সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হল মন্ত্রীকে, আজই মুখোমুখি জেরা পার্থ-অর্পিতাকে?

    Partha-Arpita: সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হল মন্ত্রীকে, আজই মুখোমুখি জেরা পার্থ-অর্পিতাকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোরেই ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় ফিরেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর কোনও সময় নষ্ট না করে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে সোজা সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান ইডি তদন্তকারীরা। ফলে, এখন শিল্পমন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় দুজনেরই বর্তমান ঠিকানা সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি লক-আপ। পার্থ-অর্পিতাকে গতকাল রাতে ১০ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠিয়ে দেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিশেষ ইডি বিচারক। তখনই, অর্পিতাকে হেফাজতে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সের লক-আপে চালান করে ইডি। আজ সকালে ভুবনেশ্বর থেকে ফিরলে পার্থকেও সোজা সেখানেই নিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা। 

    সূত্রের খবর, সময় নষ্ট একেবারেই করতে চাইছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। তাই, আজ থেকেই পার্থ ও অর্পিতার জেরা-পর্ব শুরু হচ্ছে বলে খবর। সেক্ষেত্রে পৃথক জেরার পাশাপাশি, দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করারও একটা সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে, সেটা নির্ভর করছে তদন্তকারীদের ওপর। এদিকে, পার্থ-অর্পিতা জেরা ঘিরে এখন সিজিও কমপ্লেক্স চত্বর জুড়ে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী। চারদিকে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী। জানা গিয়েছে, ভবনের সাত তলায় রাখা হয়েছে পার্থকে। সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: ৩ অগাস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পার্থ-অর্পিতা, ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় ফিরলেন মন্ত্রী

    গতকাল পার্থর মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরই, মন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে ইডি। আদালতে তদন্তকারী দল দাবি করে, পার্থ ও অর্পিতার যৌথ সম্পত্তি রয়েছে। মন্ত্রীর বাড়ি থেকেও অর্পিতার নামে বিভিন্ন সংস্থার নথি ও সম্পত্তির দলিল উদ্ধার হয়েছে বলে তদন্ত রিপোর্টে জানিয়েছে ইডি। তাদের মতে, এই দুজন বেআইনি আর্থিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন যে, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ২২ কোটি টাকা কিছুই নয়, বরং এর থেকেও বিপুল পরিমাণ টাকার হদিশ পাওয়া সম্ভব। 

    সেকারণে, দুজনকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। তদন্তের সুবিধার্থে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের তাদের হেফাজতে পাঠানো হোক। একইসঙ্গে, অর্পিতার জন্য ১৩ দিনের হেফাজতের আর্জি জানানো হয়। অন্যদিকে, জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থর আইনজীবী। এরপর মন্ত্রী ও তাঁর ঘনিষ্ঠকে ১০ দিনের জন্য ইডি হেফাজতে পাঠিয়ে দেয় আদালত। 

    আরও পড়ুন: ক্রনিক সমস্যায় ভুগছেন পার্থ, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল এইমস

  • Arpita Mukherjee: এবার ইডির নজরে অর্পিতার চিনার পার্ক ও নয়াবাদের ফ্ল্যাট! বাজেয়াপ্ত বেশ কিছু নথি

    Arpita Mukherjee: এবার ইডির নজরে অর্পিতার চিনার পার্ক ও নয়াবাদের ফ্ল্যাট! বাজেয়াপ্ত বেশ কিছু নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি কাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার পর এবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) চিনার পার্ক ও নয়াবাদের ফ্ল্যাটে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নথি। সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে। 

    সূত্রের খবর, গতকাল বিকেলের পর একসঙ্গে চারটি জায়গায় হানা দেন ইডি (ED) আধিকারিকরা। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে পঞ্চসায়র থানা এলাকার নয়াবাদে ইডেন রেসিডেন্সির ফ্ল্যাটে চলে তল্লাশি। রাত ১১টা নাগাদ শেষ হয় ইডি-র অভিযান। সূত্রের খবর, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করে তদন্তকারী সংস্থা। আবাসনের এক কর্তা জানান, কয়েক বছর আগে এই ফ্ল্যাট কেনেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ অর্পিতা, রাতে মাঝেমধ্যে ফ্ল্যাটে আসতেন অর্পিতা। যদিও, ফ্ল্যাটে কখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আসতে দেখা যায়নি বলে দাবি ওই ব্যক্তির।

    আরও পড়ুন: অর্পিতার ২ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার নগদ ৫০ কোটি! এটাই কি ইডি-র সর্বকালীন রেকর্ড?

    অন্যদিকে, ইডি জানতে পারে যে চিনার পার্কের ন’পাড়ার পূর্ব পাড়ায় রয়্যাল রেসিডেন্সির বি ব্লকের চারতলার একটি ফ্ল্যাটের মালিক অর্পিতা। সেখানেও পৌঁছে যায় তদন্তকারী সংস্থা। ওই আবাসনের এক কর্মীর দাবি, ২০২০-র সেপ্টেম্বর থেকে অর্পিতা একটি ফ্ল্যাটের মালিক। চলতি মাস পর্যন্ত ফ্ল্যাটের মেনটেন্যান্স বাবদ বাকি রয়েছে ৩৮ হাজার টাকা। আবাসন কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০১৭ সালে চিনার পার্কের কাছে প্রায় ৯০০ স্কোয়ার ফিটের এই ফ্ল্যাট কেনেন অর্পিতা। কালো রঙের মার্সিডিজে চড়ে ২০১৮-র সালের দুর্গাপুজোর সময় একবার মাত্র এসেছিলেন বলে দাবি আবাসন কর্তৃপক্ষের।

    পাশাপাশি, গতকালই বেলঘরিয়ার ক্লাবটাউনের ২ নম্বর ব্লকের ন’তলায় এইচ-সি ফ্ল্যাটেও হানা দেন ইডি অফিসাররা। জানা গিয়েছে, অসীম সরকারের নামে বুক রয়েছে এই ফ্ল্যাটটি। যদিও ইডি সূত্রের দাবি, ফ্ল্যাটের যোগসূত্র পাওয়া গেছে অর্পিতার সঙ্গে। এর আগে, এই আবাসনের ৫ নম্বর ব্লকের ফ্ল্যাট থেকেই গত পরশু ২৮ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করে ইডি। পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার রথতলার ওই ফ্ল্যাটে ২টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নথি মিলেছে বলে দাবি ইডি সূত্রের।

    আরও পড়ুন: তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নামল বিজেপি

  • Partha Chatterjee: ক্রনিক সমস্যায় ভুগছেন পার্থ, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল এইমস

    Partha Chatterjee: ক্রনিক সমস্যায় ভুগছেন পার্থ, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই, জানিয়ে দিল এইমস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) ভর্তি করল না ভুবনেশ্বর এইমস (Bhubaneswar AIIMS)। জানিয়ে দেওয়া হল, ক্রনিক সমস্যায় ভুগছেন মন্ত্রীমশাই। যার চিকিৎসা বাড়ি থেকে সম্ভব। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশমতো এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে এদিন সকালে ভুবনেশ্বর এইমসে পার্থকে নিয়ে পৌঁছয় ইডি (ED) । রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীর বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় সেখানে। এরপর সময় মতোই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশ করে ভুবনেশ্বর এইমস। সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তৃণমূল মহাসচিবকে এইমসে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। ফলে, আজই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: অ্যারেস্ট মেমোয় মমতার নাম-নম্বর লিখলেন কেন পার্থ? জড়িয়ে দিতে নাকি বিপদের বন্ধু হিসাবে

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, এইমসে পৌঁছনোর পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওজন, উচ্চতা, রক্তচাপ, পালস রেট পরীক্ষা করার পর, তিনি কোনও অসুখে ভুগছেন কি না জানতে চান চিকিৎসকরা। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ইসিজি, ইকো, ইউএসজি করা হয়েছে। হার্টের সমস্যা ও কিডনির সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 

    বিকেলে ভুবনেশ্বর এইমসের মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়, কিছু ক্রনিক সমস্যায় ভুগছেন নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে বুকে ব্যথাও নেই। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে পার্থর যে সমস্যা রয়েছে তা গুরুতর বিষয় নয়। যা সমস্যা রয়েছে তা বাড়িতে থেকে ওষুধ খেয়ে চিকিৎসা করা যাবে। এখনই কোনওরকম অস্ত্রোপচারের কোনও দরকার নেই। চার সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ, যে ওষুধগুলো পার্থ খাচ্ছিলেন, তা চালিয়ে যেতে হবে। হাসপাতালে ভর্তি করার মতো অবস্থা নয়।

    আরও পড়ুন: হুইল চেয়ারে আইসিসিইউ রোগী! পার্থকে দেখে বিস্মিত হৃদরোগ চিকিৎসকদের একাংশ

    পার্থর শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে মেডিক্যাল অফিসার, পার্থর আইনজীবীকে। পাশাপাশি এসএসসি দুর্নীতি (SSC scam) মামলার তদন্তকারী সংস্থা ইডির তদন্তকারী অফিসারকেও পার্থর শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।

LinkedIn
Share