Tag: ED

ED

  • VIVO: ইডির কড়া নজরে ভিভো, কেন? 

    VIVO: ইডির কড়া নজরে ভিভো, কেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ভিভো (VIVO) এবং বিভিন্ন চিনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ৪০ টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যে অভিযান চলে। আর্থিক তছরূপ বিরোধী আইনের আওতায় ভিভোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ইডি।     

    ইডির অভিযানের পর বুধবার বেজিং (China), আইন মেনে ভিভোর বিরুদ্ধে ‘বৈষম্যহীন’ তদন্ত চালানোর আশ্বাস দিয়েছে। অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে ভিভোর। ভারত ছেড়ে পালিয়েছেন ভিভোর অধিকর্তা ঝেনশেন ওউ এবং ঝ্যাং ঝাই।

    আরও পড়ুন: ভিভোকাণ্ডে ইডি-র আতসকাচের তলায় দুই অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও এক কোম্পানি সেক্রেটারি

    সারা দেশে ৪৮ টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ভিভো ইন্ডিয়ার ৬৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট, ৪৬৫ কোটি টাকাসহ ১১৯ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ইডির দাবি, ভিভো ইন্ডিয়া ভারতে ব্যবসার টার্নওভারের ৫০% অর্থাৎ ৬২,৪৭৬ কোটি টাকা চিনকে পাঠিয়েছে।   

    কর এড়ানোর জন্য ভিভোসহ বেশ কিছু সংস্থা বিশাল ক্ষতি দেখিয়ে সরকারের সঙ্গে জালিয়াতি করেছে বলে অভিযোগ করেছে ইডি। 

    ইডি জানিয়েছে, তারা মঙ্গলবার ভিভো মোবাইলস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং তার ২৩টি সহযোগী সংস্থা, যেমন মেসার্স গ্র্যান্ড প্রসপেক্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেড (GPICPL)- এর সঙ্গে সম্পর্কিত ৪৮টি স্থানে অনুসন্ধান চালিয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের (পিএমএলএ) অধীনে দু কিলোগ্রাম সোনার বার এবং নগদ ৭৩ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।   

    ইডির মতে, ২০১৪ সালের ১ অগাস্ট,  হংকংয়ের কোম্পানি মাল্টি অ্যাকর্ড লিমিটেডের সহযোগী সংস্থা হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করেছিল ভিভো মোবাইলস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। আরওসি দিল্লিতে হয়েছিল এই সংস্থার রেজিস্ট্রেশন। GPICPL, ২০১৪ সালের ৩ ডিসেম্বর  আরওসি সিমলা, সোলান, হিমাচল প্রদেশ, গান্ধীনগর, জম্মুতে রেজিস্ট্রেশন করেছিল।   

    ইডির দাবি, নীতিন গর্গ নামে একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সহায়তায়, ঝেংশেন ওউ, বিন লো এবং ঝাং জি নামে তিন ব্যক্তি GPICPL স্থাপন করেন। বিন লু ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল ভারত থেকে চলে গিয়েছেন। ঝেংশেন ওউ এবং ঝাং জি-ও ২০২১ সালে ভারত ছাড়েন।

    ইডির দাবি, এই সংস্থাগুলি ভিভো ইন্ডিয়াতে বিপুল পরিমাণ টাকা স্থানান্তর করেছে। ব্যবসার ১,২৫,১৮৫ কোটি টাকা আয়ের মধ্যে, ৬২,৪৭৬ কোটি টাকা চিনে পাঠিয়ে দিয়েছে ভিভো ইন্ডিয়া। অর্থাৎ, প্রায় ৫০% টার্নওভারই চলে গিয়েছে প্রতিবেশী দেশে। মূলত ভারতকে কর দেওয়া থেকে বাঁচতেই এই ব্যবস্থা। এই সংস্থাগুলির বিশাল ক্ষতি দেখিয়ে কর ছাড় পাওয়ার জন্য এমনটা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছে ইডি।   

    কিছুদিন আগে শাওমির ৫,৫৫১.২৭ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ইডির তরফে জানানো হয়েছে,  ১৯৯৯ সালের ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের (FEMA) অধীনে শাওমির অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

     

  • Coal Smuggling Case: কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তার ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    Coal Smuggling Case: কলকাতায় ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তার ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কলকাতায় (Kolkata) জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইডি (ED) আধিকারিকদের সবরকম সুরক্ষা দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে (Kolkata Police)। রাজ্য সরকার (Mamata government) ইডি  আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাধ্য। কয়লা পাচারকাণ্ডে (coal smuggling case) তৃণমূল (TMC) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও তাঁর স্ত্রী রুজিরার (Rujira) আবেদনের ভিত্তিতে জানালো সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু, কখন কোথায় তদন্তকারী সংস্থা অভিষেক-রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়, তা ৭২-ঘন্টা আগে রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে। 

    এর আগে বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, এস রবীন্দ্র ভাট এবং সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ ইডির কাছে জানতে চায়, তৃণমূল সাংসদের দাবি মেনে কলকাতায় অভিষেক ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে অসুবিধা কিসের? তখন ইডির পক্ষ থেকে নারদকাণ্ডে (narada case) সিবিআইয়ের (CBI) তৃণমূল নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।

    ২০২১-এর ১৮ মে সিবিআইয়ের রিজিওনাল অফিস নিজাম প্যালেস (nizam palace) ঘেরাও করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা। যেখানে তৃণমূল সুপ্রিমো ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেন। দাবি জানান, মন্ত্রীদের গ্রেফতার করার আগে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয় অভিষেক ও রুজিরা “রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী”। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কয়লা পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কলকাতায় যাওয়া ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তা দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে। রাজ্য সরকার তাঁর দায়িত্ব এড়াতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ইডি আধিকারিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। 

    কয়লা পাচারকাণ্ডে আর্থিক তছরুপ মামলায় তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রীকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate)। প্রতিবারই নানা অজুহাতে এড়িয়ে যান মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা।

    শেষপর্যন্ত এবছর মার্চে দিল্লিতেই ইডির মুখোমুখি হন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক। কিন্তু সেবারও জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যান, অভিষেক-পত্নী রুজিরা। গত ১১ মার্চ দিল্লি হাইকোর্টে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করেন অভিষেক ও রুজিরা। সাংসদের আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। ফলে, ২১ ও ২২ মার্চ ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে, সেবারও জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যান রুজিরা। এরপরই দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রী। তারই শুনানি হল বৃহস্পতিবার। তৃণমূল সাংসদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ কপিল সিব্বাল।                                                                                                                                                                                                                                            

  • Congress: সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    Congress: সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কংগ্রেসের অন্তর্বতীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নোটিস পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বেআইনিভাবে অর্থ লেনদেনে (money laundering case) জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের নোটিস পাঠানো হয়েছে। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থার তরফেই এ খবর জানানো হয়েছে।

    ইডি-র (ED) তরফে জানানো হয়েছে, ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাহুলকে ২ জুন আর সোনিয়াকে ৮ জুন ইডি-র দফতরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের দুই হেভিওয়েট নেতাকে যে ডেকে পাঠানো হয়েছে, তা স্বীকারও করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, সোনিয়া গান্ধীকে ৮ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ইডি। তবে তাঁরা যে এতে ভয় পাচ্ছেন না, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হাত শিবিরের নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, আমরা এই নোটিসে ভয় পাই না। মাথা নতও করব না।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, এটি বেআইনি অর্থ লেনদেন মামলার এক অদ্ভুত নোটিস, যার সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন জড়িত নেই। এটি পুরোপুরি প্রতিহিংসার রাজনীতি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবিলা করব। সিংভি বলেন, সোনিয়া, রাহুল তদন্তে সহযোগিতা করবেন। রাহুল আপাতত বিদেশে রয়েছেন। ফিরে এলে তিনি তদন্তকারীদের মুখোমুখি হবেন। অন্যথায় ইডির কাছে আরও সময় চাওয়া হবে।

    তদন্তে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রণদীপ বলেন, পুরো ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পোষা সংস্থা ইডি। মোদি (Modi) সরকার প্রতিশোধের জন্য অন্ধ হয়ে গিয়েছে। ইডির নোটিসকে নয়া কাপুরুষোচিত কাজ বলে তোপ দাগেন তিনি। রণদীপ জানান, ন্যাশনাল হেরাল্ড ১৯৪২ সালের একটি সংবাদপত্র। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তা দমনের কাজ করেছিল। এখন মোদি সরকার ইডিকে হাতিয়ার করে এসব করছে।

    আরও পড়ুন : “আলবিদা কংগ্রেস”, ফেসবুক লাইভ করে সোনিয়া-সঙ্গ ছাড়লেন সুনীল জাখর

    জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপি (BJP) তুলেছিল মনমোহন সিং (Manmohan Singh)-এর জমানায়ই। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। যার মূল হোতা ছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।

    তাঁর অভিযোগ, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের। সংবাদপত্রটির সম্পত্তি বিক্রি করে কেন কংগ্রেস নেতৃত্ব ঋণের টাকা মেটালেন না, সেই প্রশ্ন তুলে আদালতে অভিযোগ করেন ঘুরপথে আয়কর মুক্ত পুরো টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছেন সোনিয়া, রাহুল সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

     

  • Dawood Ibrahim: মুম্বইজুড়ে দাউদ-সঙ্গীদের খোঁজে হানা এনআইএ-র, গ্রেফতার ছোটা শাকিলের ভগ্নিপতি

    Dawood Ibrahim: মুম্বইজুড়ে দাউদ-সঙ্গীদের খোঁজে হানা এনআইএ-র, গ্রেফতার ছোটা শাকিলের ভগ্নিপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যাংস্টার(gangster) ছোটা শাকিলের(Chota Shakeel) এক সাগরেদকে আটক করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। পলাতক গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) সঙ্গীদের খোঁজে সোমবার সকালে মুম্বইয়ের (Mumbai) একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় এনআইএ। সেই সময়ই আটক করা হয় ছোটা শাকিলের সাগরেদ সালিম কুরেশি ওরফে সালিম ফ্রুটকে। সালিম ছোটা শাকিলের বোনের স্বামী। এদিন দক্ষিণ মুম্বইয়ের ভেন্ডি বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয় তাকে।

    দাউদের সঙ্গীদের খোঁজে মুম্বইয়ের অন্তত ২০টি জায়গায় এদিন দুপুর পর্যন্ত তল্লাশি করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর মধ্যে রয়েছে বান্দ্রা, নাগাপোড়া, বোরিভেলি, গোরেগাঁও, পারেল, সান্তাক্রুজের মতো অভিজাত এলাকাগুলি। কুখ্যাত ওই গ্যাংস্টারের চক্রের খোঁজের নাগাল পেতে তল্লাশি চালানো হয়েছে মাদক পাচারকারী, হাওয়ালা অপারেটর, রিয়েল এস্টেট ম্যানেজার সহ দাউদের একাধিক সাগরেদের বাড়িতে। তল্লাশির ব্যাপারে এদিন বিবৃতি জারি করে এনআইএ। বিবৃতিতে বলা হয়, বেশ কয়েকটি হাওয়ালা অপারেটর এবং মাদক ব্যবসায়ী দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) সঙ্গে যুক্ত ছিল। এনআইএ ফেব্রুয়ারিতে এ ব্যাপারে একটি মামলা নথিভুক্ত করেছিল। সোমবার থেকে অভিযান শুরু হয়েছে।

    দেশে নানা অপরাধ ও অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে দাউদের সাগরেদদের বিরুদ্ধে। মামলা দায়ের হয় বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনেও (UAPA)। দাউদ গোষ্ঠীর অপরাধ চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত, তা জানতে এবং অপরাধীদের নাগাল পেতে তদন্ত শুরু করে এনআইএ। তবে কেবল দাউদ নয়, ছোটা শাকিল, জাভেদ চিকনা, টাইগার মেনন, ইকবাল মির্চিদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। প্রথমে দাউদের হাওয়ালা নেটওয়ার্ক ও সম্পত্তির লেনদেন খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করে ইডি। ১৫ ফেব্রুয়ারি ইডি-র আধিকারিকরা মুম্বই ও আশপাশের এলাকার ১০ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায়। 

    এদিকে, আর্থিক জালিয়াতিকাণ্ডে দাউদের ভাই ইকবাল কাসকারকে (Iqbal Kaskar) হেফাজতে নিয়েছে ইডি (ED)। ১৯৯৩ সালে মুম্বই হামলার (1993 Mumbai blasts) নেপথ্যে থাকায় ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীর তালিকায় রয়েছে দাউদ। ভারত থেকে পালিয়ে এই কুখ্যাত দুষ্কৃতী আশ্রয় নেয় পাকিস্তানে। দাউদ যে সে দেশে রয়েছে ২০২০ সালের অগাস্টে তা স্বীকারও করে পাক সরকার।

     

  • Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ম্যারাথন জেরা রাহুলকে, আজ ফের তলব

    Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ম্যারাথন জেরা রাহুলকে, আজ ফের তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১০ ঘণ্টার বেশি জেরা করা হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। মঙ্গলবার ফের ইডি (Ed) দফতরে তলব করা হয়েছে রাহুলকে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) সোমবার রাহুলকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। প্রথম দফায় জেরা করা হয় টানা তিন ঘণ্টা।দ্বিতীয় দফায় সাত ঘণ্টারও বেশি। রাহুলের ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এদিন পথে নেমে পড়ে কংগ্রেস। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে অবস্থান-বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেস কর্মীদের আটকাতে ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। ঘটনার জেরে দিল্লির বিভিন্ন রাস্তা কার্যত হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিন সকাল থেকেই রাহুল গান্ধীর বাসভবন, কংগ্রেস সদর দফতর এবং ইডি দফতরের বাইরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    সূত্রের খবর, এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার বাড়িতে পৌঁছান রাহুল। সেখান থেকে দুজনে এসে পৌঁছান কংগ্রেসের সদর দফতরে। পরে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মিছিল করে, পায়ে হেঁটে ইডি দফতরের দিকে রওনা দেন রাহুল। কিছুটা দূরেই মিছিল আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বুকের হাড়ে চিড় ধরেছে বলে দাবি কংগ্রেসের। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, চিদম্বরমের হাড় ভেঙেছে। ২০১৫ সালে এই মামলা বন্ধ করেছিল ইডি। এখন বিজেপির কাছে কিছু না থাকায় ভিতু মোদি সরকার এই ধরনের অঘোষিত জরুরি অবস্থা জারি করছে।

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    এদিন প্রথম দফার জেরা শেষে ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে রাহুল হাসপাতালে যান করোনা সংক্রমিত সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে। ফের যান ইডি দফতরে। শুরু হয় দ্বিতীয় দফার জিজ্ঞাসাবাদ। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, কংগ্রেসের তরফে যে প্রতিরোধ করা হচ্ছে, এটা দেশের গণতন্ত্র নয়। কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের দু হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাঁচানোর প্রয়াস।

     

  • Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা তিন ঘণ্টা ধরে জেরা রাহুলকে

    Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা তিন ঘণ্টা ধরে জেরা রাহুলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জেরা করা হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। ইডি সূত্রে খবর, ডেটেক্স প্রাইভেট লিমিটেড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, তাঁকে ফের তলব করা হতে পারে। সোমবার রাহুল গান্ধীর ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সত্যাগ্রহ মিছিলের আয়োজন করেছিল কংগ্রেস (Congress)। পুলিশ তাদের পথ আগলায় বলে অভিযোগ। কংগ্রেস ও পুলিশ কর্মীদের বচসার জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি রাজধানীতে। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) এদিন ইডি (ED) দফতরে হাজির হন রাহুল। পায়ে হেঁটেই তিনি পৌঁছান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে। 

    রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    এদিন বেলা ১২টা নাগাদ ইডি দফতরে হাজির হন রাহুল। ডটেক্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সেল কোম্পানির বিষয়ে রাহুল কিছু জানেন কিনা, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া উত্তরের প্রেক্ষিতেই পরে জেরা করা হবে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। এদিন সকাল থেকেই দিল্লির রাজপথে রাহুলের সমর্থনে স্লোগান দিতে শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। ঘটনার জেরে কংগ্রেস সদর দফতরের সামনে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ কর্মী। অশান্তির আঁচ যাতে না লাগে, তাই জোরদার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ইডি দফতরেও। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল ইডি অফিস। 

    কংগ্রেসের এই সত্যাগ্রহ মিছিলের অনুমতি না থাকায় পুলিশ একাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। কংগ্রেস সদর দফতরের বাইরে থেকেই প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয় বলেও অভিযোগ। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, কংগ্রেস কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করছিলেন। তাঁরা রাহুল গান্ধীর সমর্থনে জড়ো হয়েছিলেন। অধীরের প্রশ্ন, আমরা কী কোনও বেআইনি কাজ করেছি? এদিকে, রাহুলের ইডি দফতরে হাজিরাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের প্রতিবাদ প্রদর্শনকে কংগ্রেসের ‘ভুয়ো সত্যাগ্রহ’ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    এদিন সকাল থেকেই কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে গোলমিঠি জংশন, তুঘলক রোড জংশন, মৌলানা আজাদ রোড জংশন, ক্ল্যারিজেস জংশন, কিউ পয়েন্ট জংশন, সুনহেরি মসজিদ জংশন, মান সিং রোড জংশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি বেলা পর্যন্ত এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। গোল ডাকখানা জংশন, প্যাটেল চক, উইন্ডসর প্লেস, তিন মূর্তি চক, পৃথ্বীরাজ রোড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাস চলাচল।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ও দলের হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধীকে নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। ২ জুন রাহুলকে এবং ৮ জুন সোনিয়াকে ইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিদেশে থাকায় ওই দিন হাজিরা দিতে পারেননি রাহুল। সেই কারণেই ১৩ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় রাহুলকে। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা অভিষেক মনু সিংভি লেন, এজেন্সি লাগিয়ে কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে কংগ্রেস।  

     

  • Arpita Mukherjee: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    Arpita Mukherjee: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি আবাসনেই চারটি ফ্ল্যাট। প্রত্যেকটিই বেনামি (Benaami)। কিন্তু আবাসনের সকলেই জানতেন চারটি ফ্ল্যাটের মালকিনই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। ইডির তদন্তে সব তথ্যই জমা পড়েছে। যাঁদের নামে ওই ফ্ল্যাটগুলি কেনা হয়েছে বা নথিভূক্ত রয়েছে তাঁদের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) যোগসূত্র কী তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে তদন্তকারী সংস্থা। 

    সবচেয়ে রহস্যের বিষয়, পুরো আবাসনে একমাত্র এই চারটি ফ্ল্যাটে কারা আসছেন, কোনও গাড়ি ঢুকছে, কতক্ষণ থাকছে তা নিরাপত্তা রক্ষীরা রেকর্ড রাখতে পারতেন না। কোনও এক অজানা হাত আবাসনের নিরাপত্তা সুপারভাইজারকে তেমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফলে ‘মাই গেট’ অ্যাপ (My Gate App) থেকে এই চারটি ফ্ল্যাটকে বাদ রাখা হয়েছিল। ইডির তদন্তে সেই প্রসঙ্গটিও আতসকাচের নীচে চলে এসেছে।

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, ডায়মন্ড সিটি আবাসনে অর্পিতার নিয়ন্ত্রণে চারটি ফ্ল্যাট ছিল। টাওয়ার-২’তে ১এ নম্বরের ফ্ল্যাটটি রয়েছে সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড এবং কল্যাণ ধরের নামে। টাওয়ার-২তে ১৮ডি এবং ১৮ই ফ্ল্যাট দুটি রয়েছে অ্যালকোভ রিয়েলটি প্রজেক্টসের নামে। একই টাওয়ারে ১৯আই নম্বরের ফ্ল্যাটটি আশুতোষ শি এবং শর্মিষ্ঠা চৌধুরির নামে নথিভূক্ত রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পার্থকে সরালেও এখনও কেন বহাল পরেশ? মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    ইডি (ED) জেনেছে, বিভিন্ন জনের নামে ফ্ল্যাটগুলি কেনা থাকলেও আসলে সেগুলির নিয়ন্ত্রক ছিলেন অর্পিতা। তদন্তকারীদের সামনে তিনি অবশ্য জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথা। বেনামি মালিকদের সূত্র ধরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা আরও কিছু ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। সেই সূত্রেই বেলঘরিয়া, চিনার পার্কসহ আরও কয়েকটি স্থানে লুকনো ঠিকানার সন্ধান পেয়েছে ইডি।

    তদন্তকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, বেনামি ফ্ল্যাট কেনা টাকা ঘোরানোর সহজ পথ। কিন্তু আবাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে ফ্ল্যাট রাখার মধ্যে অপরাধমূলক মানসিকতা রয়েছে। ইডির দাবি, বহুতল আবাসনের সুরক্ষার জন্য ‘মাই গেট’ নামে অ্যাপ খুবই উপযোগী এবং জনপ্রিয়। এই অ্যাপ আবাসিকদের কাছে থাকে। কোনও ভিজিটর ফ্ল্যাটে আসতে চাইলে মাই গেট অ্যাপের মাধ্যমেই আবাসনের গেট থেকে নিরাপত্তারক্ষীরা অনুমতি চান। এটা অনেকটা ব্যাঙ্কিং ওটিপি পাঠানোর মতো। ফ্ল্যাটের বাসিন্দা অনুমতি দিলে তবেই আবাসনের ভিতর কোনও ভিজিটর প্রবেশ করতে পারেন বা গাড়ি ঢুকতে পারে।

    ষড়যন্ত্রের শিকার! দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, কেন এমনটা বললেন তিনি?
     
    তদন্তে নেমে ইডি যখন মাই গেট অ্যাপে অর্পিতার চারটি ফ্ল্যাটে ভিজিটরদের রেকর্ড চান, তখন নিরাপত্তা সুপাইভাইজার জানান, ওই চারটি ফ্ল্যাটে কে আসছেন, কে যাচ্ছেন, কোন গাড়িতে আসছেন তা রেকর্ড রাখা বা জানার অধিকার তাঁদের ছিল না। অর্পিতার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বলে আসলে যা বলা হচ্ছে তা যে আসলে বেনামি তা এবার স্পষ্ট। ইডির তদন্ত শুরু এখান থেকেই। এসএসসি দুর্নীতির (SSC scam) টাকা নাকি তৃণমূলের (TMC) দলীয় তহবিলের কিছু অংশ মিলেছে ডায়মন্ড সিটির (Diamond City) ফ্ল্যাট থেকে। তা হলে পার্থ-অর্পিতাতেই (Partha-Arpita) তদন্ত থামছে না। আরও উপরে উঠবে সেই তদন্ত, এমনই আভাস।

  • Cattle Smuggling: গরুপাচারের টাকায় তৈরি ছবিতে অভিনয় করেছেন? দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডি-র

    Cattle Smuggling: গরুপাচারের টাকায় তৈরি ছবিতে অভিনয় করেছেন? দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার (Cattle Smuggling) মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) জেরার মুখোমুখী হলেন তৃণমূল সাংসদ অভিনেতা দীপক অধিকারী ওরফে দেব (TMC MP and Actor Dev)। দিল্লিতে ইডির (ED) দফতরে গত মঙ্গলবার হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁকে প্রায় ৫ ঘণ্টা জেরা করা হয়।

    এই প্রথমবার ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন তিনি। অভিযোগ, দেবের কয়েকটি ছবির প্রযোজনায় ব্যবহার করা হয়েছিল গরুপাচারের টাকা। ইডি সূত্রের দাবি, গরুপাচার মামলার মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার টাকা বেশ কয়েকটি হাত ঘুরে আসে প্রযোজনা সংস্থায়। ওই প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে তৈরি হওয়া ছবিতে অভিনয় করেছিলেন দেব। 

    ওই টাকার উৎস সম্পর্কে দেব ওয়াকিবহাল ছিলেন কি না, তিনি ওই টাকার সুবিধাপ্রাপ্ত কি না, ওই প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে তাঁর কেমন সম্পর্ক— এসব তথ্য তদন্তকারীরা দেবের থেকে জানতে চাইতে পারেন বলে ধারনা।

    এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি একই মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়েছিল। গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া এনামুল হককে জেরা করতে গিয়ে একাধিক বার দেবের নাম সামনে এসেছিল। সেকারণেই সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারীকরা দেবকে তলাব করেছিল। 

    আরও পড়ুন: সায়গলকে ঘিরে থাকতেন ১৪ ‘ভূত’, জানেন কি তাঁরা কারা?

    সূত্রের খবর, সিবিআইকে দেব জানিয়েছিলেন, গরুপাচার কাণ্ডের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। অভিনেতা-সাংসদ সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘আমি বেশি কিছু বলতে পারব না। একজন ব্যক্তিকে চিনি কি না সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্ত এনামুল হককে চিনি না। মনে হয় আমাকে আর ডাকবে না। ’

    এবার এই মামলায় সিবিআইকে যে বয়ান দিয়েছেন দেব সেটার সঙ্গে তাঁদের কাছে দেওয়া বয়ান মিলিয়ে দেখতে চান ইডির অফিসাররা বলে জানা গিয়েছে। গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে একাধিকবার তলব করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। কিন্তু তিনি মাত্র একবারই হাজিরা দিয়েছেন। প্রতিবারই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: কয়লা, গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত অফিসারকে কেন সরিয়ে দিল সিবিআই?

    এছাড়া, এই কাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সায়গলের নামি-বেনামি সম্পত্তির হিসাব কষে কয়েকশো কোটি টাকার হদিশ পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ে দাবি এনামুল হকের হয়ে কাজ করত সায়গল।

    সম্প্রতি, কয়লাপাচার কাণ্ডে অভিষেক-পত্নী রুজিরাকে তলব করেছিল ইডি। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর আগে, একই কাণ্ডে বাড়ি গিয়ে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।

  • Rahul Gandhi: ইডি-র ম্যারাথন জেরার মুখে ফের রাহুল, হাজিরা বুধেও

    Rahul Gandhi: ইডি-র ম্যারাথন জেরার মুখে ফের রাহুল, হাজিরা বুধেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) টানা তৃতীয় দিন ইডির (ED) জিজ্ঞাসাবাদের মুখে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সোম, মঙ্গলের পর বুধবারও ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। বুধবার যে তাঁকে ইডি দফতরে ফের হাজিরা দিতে হবে, মঙ্গলবারই জেরা শেষে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। এদিকে, সোমের পর মঙ্গলবারও ওই ঘটনার জেরে কংগ্রেস সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা।পুলিশ গিয়ে কয়েকজনকে আটকও করে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুলকে প্রথম তলব করা হয় সোমবার। সেদিন কংগ্রেস সাংসদকে দু দফায় প্রায় ১০ ঘণ্টা জেরা করা হয়। ইডি আধিকারিকরা তার জবাবে সন্তুষ্ট হতে না পেরে মঙ্গলবার ফের তলব করেন তাঁকে। এদিনও গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করা হয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে। ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে রাহুল সটান চলে যান স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে। সেখানেই ভর্তি রয়েছেন করোনা সংক্রমিত সোনিয়া। বুধবার সকালে ফের বোন তথা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে সঙ্গে নিয়ে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে যান রাহুল।

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা তিন ঘণ্টা ধরে জেরা রাহুলকে

    এদিকে, গত তিনদিন ধরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে লাগাতার বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চলেছেন কংগ্রেস কর্মীরা। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির অভিযোগ, প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণেই হেনস্থা করা হচ্ছে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে। বিপ্রতীপ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের জন্য আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের সদর দফতরের সিংহদ্বার। দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল ছাড়া আর কাউকেই বুধবার ঢুকতে দেওয়া হবে না সদর দফতরে।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গত ৮ জুন ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকেও। বছর পঁচাত্তরের সোনিয়া করোনা সংক্রমিত হয়ে ভর্তি হাসপাতালে। তাই হাজিরার নয়া দিন চাওয়া হয়েছিল সোনিয়ার তরফে। তার পরেই ইডি তাঁকে জানিয়ে দেয় ২৩ জুন কংগ্রেস সভানেত্রীকে উপস্থিত হতে হবে ইডি দফতরে।

     

  • Dilip Attacks Partha: কার চক্রান্তের কথা বলছেন? পার্থকে নিশানা দিলীপের, আক্রমণ অর্পিতাকেও

    Dilip Attacks Partha: কার চক্রান্তের কথা বলছেন? পার্থকে নিশানা দিলীপের, আক্রমণ অর্পিতাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee)। সম্প্রতি তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করেছে তাঁর দল তৃণমূল (TMC)। পার্থের মাথার ওপর থেকে আশীর্বাদী হাত সরে গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। আক্ষরিক অর্থেই একা হয়ে গিয়ে পার্থের দাবি, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। পার্থের এই দাবিকেই হাতিয়ার করেছেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর প্রশ্নবাণ, পার্থবাবু কার চক্রান্তের কথা বলছেন?

    এসএসসি দুর্নীতিকান্ডে তদন্তে নেমে কেঁচো নয়, কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে রাশি রাশি টাকা। হাইকোর্টের নিয়ম মেনে এদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থ অর্পিতাকে। সেখানেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা। আর পার্থ দাবি করেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। পার্থের এই ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’কেই অস্ত্র করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, পার্থবাবু কার চক্রান্তের কথা বলছেন? দিলীপ বলেন, উনি কোনও সাধারণ মানুষ নন। ওনার দায়িত্ব লোকের সামনে নিয়ে আসা। উনি মন্ত্রী, এত বড় নেতা, পুরানো রাজনীতিবিদ। তাই লোকে ওনাকে এত টাকা দিয়েছিল। তিনি বলেন, মানুষের বিশ্বাসটাকে রেখে বাংলার রাজনীতি যাতে কলুষমুক্ত হয়, সেজন্যও অন্তত ওনার বলা উচিত কারা চক্রান্ত করছে। এখন ফেঁসে গিয়েছেন। সত্যি সত্যিই কেউ চক্রান্ত করে থাকলে বলা উচিত।

    আরও পড়ুন : বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    এদিন অর্পিতাকেও নিশানা করেছেন দিলীপ। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, উনিও ঘর থেকে বেরনোর সময় বলেছিলেন বিজেপির চক্রান্ত। কান্নাকাটি করে তো আর বাঁচা যাবে না। তাহলে হয়তো লঘু হতে পারে সাজা। নইলে আরও কঠোর সাজা হবে। তিনি বলেন, উনি কান্নাকাটি না করে সত্য সামনে নিয়ে আসুন।

    এদিন তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। তিনি বলেন, তৃণমূলের ভোটার, সমর্থকরা সৎ। তাঁদের সততা, আন্তরিকতাকে ব্যবহার করে তৃণমূলের নেতারা ধনকুবেরে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলার মানুষ নতুন চেহারা দেখছেন তৃণমূলের। সবে তো শুরু হয়েছে, এখনও অনেক বাকি রয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : পার্থকে সরালেও এখনও কেন বহাল পরেশ? মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, কে ষড়যন্ত্র করেছে, সেই নামটা ওঁর নির্দিষ্ট করে বলা উচিত। কারণ বাংলার মানুষ গভীরতম ষড়যন্ত্রের শিকার। বাংলার মানসম্মান নষ্ট হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলা উচিত কে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। না হলে একথা বলার কোনও মানে হয় না। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, চক্রান্ত হলে আইনের পথ খোলা রয়েছে।

     

LinkedIn
Share