Tag: Election Commission

Election Commission

  • Suvendu Adhikari: দিল্লিতে শাহী বৈঠকে শুভেন্দু, কমিশনের দফতরেও গেলেন বিরোধী দলনেতা

    Suvendu Adhikari: দিল্লিতে শাহী বৈঠকে শুভেন্দু, কমিশনের দফতরেও গেলেন বিরোধী দলনেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এসআইআর নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেই বুধবার দিল্লি গেলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দেখা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে। শাহের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি, এদিন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরেও (Election Commission) যান শুভেন্দু। দেখা করেন নির্বাচন কমিশনার বিবেক জোশীর সঙ্গে।

    অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাত

    বুধবার দিল্লি গিয়েছিলেন শুভেন্দু। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। সংসদে অমিত শাহের অফিসে তাঁদের বৈঠক হয়। মিনিট ২৫ কথা হয়। তবে কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি শুভেন্দু। সূত্রের খবর, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে শুভেন্দুর।

    নির্বাচন কমিশনের দফতরে শুভেন্দু

    সেইসঙ্গে দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরেও যান শুভেন্দু। দেখা করেন নির্বাচন কমিশনার বিবেক জোশীর সঙ্গে। জানা গিয়েছে, কমিশনে একাধিক অভিযোগ জানান তিনি। দলের নির্দেশে তিনি নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন বলে বিরোধী দলনেতা জানান। নির্বাচন কমিশনের দফতর থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, “২৬, ২৭ ও ২৮ নভেম্বর বিএলও-দের কাছ থেকে ওটিপি নিয়ে যেভাবে ১ কোটি ২৫ লক্ষ নাম ডিজিটাইজড করা হয়েছে, সেটা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক গতিবিধি। অনেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর বাবার নাম, মায়ের নাম পাল্টে দিয়ে এটা করা হয়েছে। একাধিক মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় এটা দেখবেন।”

    কমিশনকে চিঠিতে শুভেন্দুর দাবি

    এসআইআর এর প্রথম দফার কাজকর্মে বাংলায় বুথ লেবেল অফিসারদের নানাভাবে তৃণমূল ম্যানেজ করেছে বলে বিজেপির অভিযোগ। এমন পরিস্থিতিতে এসআইআর (SIR) এর দ্বিতীয় দফা প্রক্রিয়া শুরুর আগে কমিশনকে মঙ্গলবার চিঠি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । মঙ্গলবার পাঠানো চিঠিতে কমিশনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করে শুভেন্দু সতর্ক করেছেন, “এই পর্যায়ে কোনও আপস হলে চিরস্থায়ী ক্ষতি হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকার সততায়।” চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)-এর দ্বিতীয় ধাপ পুরো প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ, এই ধাপেই দাবি-আপত্তি, নথি জমা ও খতিয়ে দেখার কাজ হয়। সেই কাজেই নাকি ‘অতিমাত্রায় অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব’ খাটানো হচ্ছে বলে “নির্ভরযোগ্য ও ধারাবাহিক রিপোর্ট” পাচ্ছেন তিনি। তাঁর কথায়, এই অভিযোগগুলির কারণেই প্রশ্নের মুখে পড়ছে এসআইআর-এর নিরপেক্ষতা।

    মাইক্রো অবজার্ভারের তত্ত্বাবধানে স্ক্রুটিনি

    শুভেন্দুর দাবি, এসআইআর এর দ্বিতীয় ধাপকে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিরাপদ রাখতে নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে দু’টি ব্যবস্থা নিতে হবে। এক, পুরো প্রক্রিয়াই রাখতে হবে মাইক্রো অবজার্ভারের কঠোর তত্ত্বাবধানে। এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে এই মাইক্রো অবজার্ভারদের কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী হওয়া জরুরি। দুই, দাবি-আপত্তি শুনানি ও যাচাইয়ের কাজ ১০০ শতাংশ সিসিটিভি–র আওতায় রাখতে হবে। এবং সেই সমস্ত ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে এসআইআর-এর শেষ দিন পর্যন্ত। তাঁর দাবি, এটা না হলে কারচুপি আটকানো অসম্ভব। চিঠিতে আরও লেখা আছে, ভোটার তালিকা দ্রুত ত্রুটি মুক্ত না হলে ভবিষ্যতের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই নির্বাচন কমিশনকে “অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও কঠোর নজরদারি” নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

  • SIR: আগামী ৭ দিনে কী কী করতে হবে, এসআইআর নিয়ে জেলাশাসকদের চিঠি রাজ্যের মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিকের

    SIR: আগামী ৭ দিনে কী কী করতে হবে, এসআইআর নিয়ে জেলাশাসকদের চিঠি রাজ্যের মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর নিয়ে জেলাশাসকদের চিঠি রাজ্যের মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিকের (Election Commission)। অতিরিক্ত সাত দিনে কী কী করতে হবে তা নিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকা। উল্লেখ্য এনুমারেশন ফর্ম (SIR) আপলোড করার সময়সীমাকে বৃদ্ধি করে ৪ ডিসেম্বর থেকে আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। তাই স্পষ্ট নির্দেশ অতরিক্ত সময়কে কাজে লাগিয়ে নিবিড় সংশোধনের কাজকে আরও নির্ভুল করতে হবে। কোনও বৈধ ভোটারদের নাম, ঠিকানা এবং প্রয়োজনীয় তথ্যে যেন ভুল না থাকে তা নিয়েও দেওয়া হয়েছে সতর্কবাণী।

    বিএলও এবং ইআরও-দের এক সপ্তাহ অতিরিক্ত সময় (SIR)

    রবিবার নির্বাচন কমিশন (Election Commission) বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, “এসআইআর-এর প্রক্রিয়া সাতদিন আরও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে এনুমারেশন ফর্ম নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার কাজকে সম্পন্ন করতে হবে। বিএলও এবং ইআরও-রা এক সপ্তাহ সময় অতিরিক্ত পাবেন। তাই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের নির্দেশ ওই সময়কে ভালো করে কাজে লাগিয়ে ভোটার তালিকাকে আরও শুদ্ধ এবং নির্ভুল করতে হবে। বিএলওদের কাছে থাকা সমস্ত এনুমারেশন ফর্ম ২ ডিসেম্বরের মধ্যে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। এনুমারেশন ফর্ম ২ তারিখের পরে কোনওভাবেই আর গ্রহণ করা হবে না। ১১ ডিসেম্বরের পর যদি কোনও ফর্ম বাড়ি থেকে জমা নেওয়া হয় তাহলে অ্যাপে সেগুলিকে অসংগ্রহযোগ্য হিসেবে দেখানো হবে।”

    অসাবধান হলে কড়া ব্যবস্থা

    রাজ্যের মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিক (Election Commission) আরও জানিয়েছেন, অতিরিক্ত সময়ে পাওয়া সকল তথ্য পুরনায় ভালো করে মিলিয়ে দেখতে হবে। বিএলও-দের দেওয়া অ্যাপে প্রত্যেক আপলোড করা ফর্মের সঙ্গে মূল হার্ডকপিকে ভালো করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। যে ফর্মগুলি কোনও সংস্থা এবং ব্যক্তি করেছেন তা ভালো করে চেক করতে হবে। সমস্ত কাজের জন্য বিএলও-রাই দায়বদ্ধ থাকবেন। আর যদি কোনও কাজে অসাবধানতার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    বয়স ভালো করে যাচাই

    কাদের কাদের ক্ষেত্রে পুনরায় যাচাই করতে হবে? এই বিষয়ে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর জানিয়েছে, যেসব ভোটাররা নিজেদের দাবি করছে পরিবারের প্রধান তারা। তাদের ক্ষেত্রে ২০০২ সালের তালিকায় বয়স ৬০ হয়েছে কিনা তা ভালো করে যাচাই করে দেখতে হবে।

    যাদের ২০০২ সালে কেবলমাত্র বাবা মায়ের নাম রয়েছে, তাদের বয়স যদি ২০২৫ সালে ৫০ হয়, আবার ২০০২ সালে বয়স ২৫ বা বেশি হয়, তাহলে কেন তালিকায় নাম নেই, এই প্রশ্নও করতে হবে। ম্যাপ করা বাবা-মায়ের নাম যদি ২০২৫ সালের তালিকার সঙ্গে না মিলে তাহলে ভোটারের বাড়ি গিয়ে বা ফোন করে তথ্যের সঠিক বিষয়কে নিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। বাবা-মায়ের সঙ্গে যদি সন্তানের বয়স ৪৫ বছরের বেশি বা ১৮ বছরের কম হয় তাহলে সেগুলিকে ভালো করে যাচাই করতে হবে।

    পরিবারে গিয়ে ভালো করে তথ্য সংগ্রহ

    পরিবারের কেউ যদি এলাকায় উপস্থিত না থাকে তাহলে বিএলওকে ভোটারের বাড়িতে গিয়ে যাচাই করতে হবে। একই ভাবে ভালো করে নিশ্চয়তার সঙ্গে জানতে হবে অন্য রাজ্য বা জেলায় ভোটার হয়েছে কিনা। অ্যাপে ভুল এন্ট্রি হলে তাকে সংশোধন করতে হবে। সংশোধন করতে গেলে বিএলও-কে ইআরও এবং এইআরও-রা সহযোগিতা করবে। ২০২১ এবং ২০২৪ সালে যেসব বুথ গুলিকে স্পর্শ কাতর বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে ফর্ম ভালো করে যাচাই করতে হবে। ৫০ শতাংশ ম্যাপিং যেখানে যেখানে হয়েছে সেখানে সেখানে তথ্য ভালো করে যাচাই করতে হবে। তালিকায় কোন রকম ভুল থাকবে না।

    মৃতদের নাম বাদ

    মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরও জানিয়েছে, জন্ম মৃত্যু তথ্য বা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে মৃত ব্যক্তির তথ্য নিতে হবে। মৃত হয়েছে এবং রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে এমন ব্যক্তিদের তথ্য নিতে হবে। মৃত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ করতেই হবে। তথ্য যাচাই করে ইআরওদের এই নাম বাতিলের কাজ করতে হবে। তাই খুব নিবিড় ভাবে ভালো করে তথ্য যাচাই করতে হবে। যদি এন্ট্রি ভুল হয় তাহলে তাকে ভালো করে কারেকশন করতে হবে। যে সব বুথে শূন্য থেকে ২০টি আনকালেক্টেবল ফর্ম রয়েছে বা বেশির ভাগ এনুমারেশন ফর্ম পূরণ হয়ে ফেরত এসেছে, এখানে বিএলও-রা ঠিকমতো এন্ট্রি করছেন কীভাবে তাও ভালো করে পরীক্ষা করতে হবে।

  • Election Commission: এসআইআর করে ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে কমিশন! রাজ্যের অভিযোগ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Election Commission: এসআইআর করে ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে কমিশন! রাজ্যের অভিযোগ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআর করে বহু ভোটারের নাম বাদ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন মোদি-বিরোধীরা। এসআইআর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ুর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে সেই সব অভিযোগ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। তাদের বক্তব্য, বিপুল সংখ্যক বৈধ ভোটারের (Supreme Court) নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ অতিরঞ্জিত। কমিশন আরও জানিয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই এই ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে। বিষয়টি অনুমান ছাড়া আর কিছুই নয়।

    এসআইআর প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ (Election Commission)

    পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুর এসআইআর প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল, ডিএমকে, সিপিএম এবং কংগ্রেসের বাংলা শিবির। বিরোধী দলগুলির সেই আবেদনের ভিত্তিতে কমিশনের বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ। সেই মামলায় পৃথক হলফনামা দাখিল করে এসআইআর প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলি খারিজ করার আবেদন জানান কমিশনের সচিব পবন দিওয়ান। গত ২৬ নভেম্বর সাংসদ তৃণমূলের দোলা সেন এবং অন্যদের দাখিল করা আবেদনের প্রেক্ষিতে ৮১ পাতার হলফনামা দিয়েছে কমিশন। তারা জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ রাজনৈতিক স্বার্থপূরণের উদ্দেশ্যেই। হলফনামায় কমিশন আরও জানিয়েছে, এসআইআর কোনও নতুন প্রক্রিয়া নয়। ভোটার তালিকায় যাতে কোনও সমস্যা না থাকে তা দেখার দায়িত্ব কমিশনেরই। বহু বছর ধরেই এই প্রক্রিয়া চলছে। ভারতের সংবিধানও কমিশনকে সেই অধিকার দেয় (Election Commission)।

    হলফনামায় পশ্চিমবঙ্গের নাম

    আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় পশ্চিমবঙ্গের নাম আলাদা করে উল্লেখ করেছে কমিশন। তারা জানিয়েছে, বাংলায় ইতিমধ্যেই ৯৯.৭৭ শতাংশ ভোটারের কাছে এনুমারেশন ফর্ম পৌঁছে গিয়েছে (Supreme Court)। তার মধ্যে ৭০.১৪ শতাংশ ফর্ম পূরণের পর ফেরতও চলে এসেছে। বুথ লেভেল আধিকারিকরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন। পরে ফর্ম পূরণের পর তা সংগ্রহ করে পাঠাচ্ছেন কমিশনের কাছে। কোনও বাড়িতে কেউ না থাকলে, বিএলওরা সেখানে তিনবার করে যাচ্ছেন। কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কোনও বৈধ ভোটারের নামই বাদ দেওয়া হচ্ছে না। কমিশন তার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। এসআইআর প্রক্রিয়া সফলভাবে বাস্তবায়িত এবং কোনও বৈধ ভোটারের নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ না পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার সম্ভাব্য সব রকম চেষ্টা করছে কমিশন।

    নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য!

    হলফনামায় কমিশন বার বার দাবি করেছে, বিপুল সংখ্যক বৈধ ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ শুধুমাত্র অনুমানের ভিত্তিতে তোলা হচ্ছে। বিষয়টি অতিরঞ্জিত করে পরিবেশন করার চেষ্টা চলছে (Election Commission)। আর এর নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। কমিশনের দাবি, রাজনৈতিক দলগুলি এসআইআর প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার বদলে হাঁটছে সমালোচনার পথে। কমিশনের আইনজীবীর অভিযোগ (Supreme Court), রাজনৈতিক দলগুলি বিএলওদের নানাভাবে বিভ্রান্ত করছে। তাঁদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। এদিন আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এর আগে দেশে এসআইআর হয়নি এই যুক্তি দেখিয়ে একাধিক রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের এই প্রক্রিয়া চালানোর সিদ্ধান্ত বৈধ কিনা, তা পরীক্ষা করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, ৬ নম্বর ফর্মের শুদ্ধতা নির্ণয় করার অন্তর্নিহিত ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। কোনও ব্যক্তিকে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে গেলে তাঁকে নিজেকে ৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করতে হয়।

    আধার কার্ড নাগরিকত্বের সার্বিক প্রমাণ নয়

    দেশের শীর্ষ আদালত ফের একবার জানিয়ে দিয়েছে, আধার কার্ড নাগরিকত্বের সার্বিক প্রমাণ নয়। তাই আমরা বলেছি, প্রামাণ্য নথিগুলির মধ্যে অন্যতম নথি এটি। কিন্তু কারও নাম বাদ গেলে কেন নাম বাদ দেওয়া হল, সে সংক্রান্ত নোটিশ দিতে হবে। বেঞ্চ বলে, “কিছু সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য আধার কার্ড তৈরি করা হয়েছিল। কোনও (Election Commission) ব্যক্তিকে রেশন পাওয়ার জন্য আধার কার্ড দেওয়া হয়েছে। তাহলে কি শুধু সেই কারণেই তিনি ভোটার হবেন? এমনও তো হতে পারে, কেউ প্রতিবেশী দেশের নাগরিক এবং তিনি এখানে একজন শ্রমিকের কাজ করেন।” আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, “আপনারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন পোস্ট অফিস। যেখানে ৬ নম্বর ফর্ম জমা দেওয়া হবে এবং তারা আপনার নামটি নথিভুক্ত করবে।” এর পরেই বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, নির্বাচন কমিশনের সব সময় এই সাংবিধানিক এক্তিয়ার রয়েছে (Supreme Court), তারা নথিটি সত্য কি না, তা যাচাই করতে পারে (Election Commission)।

  • SIR: দ্রুত সমস্যার সমাধান করে এসআইআর সম্পাদনে সুব্রত গুপ্তকে নিয়োগ কমিশনের

    SIR: দ্রুত সমস্যার সমাধান করে এসআইআর সম্পাদনে সুব্রত গুপ্তকে নিয়োগ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসআইআরের (SIR) বিরোধিতায় তৃণমূলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংঘাত চরমে। এই অবস্থায় কমিশন নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল। যাঁকে এই পদে বসানো হয়েছে, তিনি অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার সুব্রত গুপ্ত। ক্রমাগত মৃত্যু এবং কাজে বাধার মতো ইস্যুকে পর্যবেক্ষণ করতে শনিবার গুপ্তকে নিয়োগ করা হয়েছে। অন্য দিকে রবিবার নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ঘোষণা করেছে ১২টি রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের কাজের সময়সীমা এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে।

    পর্যবেক্ষক নিয়োগে কাজ দ্রুত এগোবে (SIR)

    বারবার নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) এসআইআর (SIR) ইস্যুতে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সমর্থক বিএলওরা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে অবস্থান বিক্ষোভও করেছেন। এরপর কমিশন তৃণমূলের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তৃণমূলের করা অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এসআইআর একটি নির্দিষ্ট ক্রম এবং নিয়ম মেনে সংবিধানিকভাবেই করা হচ্ছে। ভোটার তালিকা সংশোধন, আপডেট এবং ত্রুটি মুক্ত করার জন্য এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একইভাবে বিএলওদের যারা হুমকি দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে আবেদন করে বলা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি যেন অপপ্রচার ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি না করে। এসআইআর প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে করতে সুব্রত গুপ্ত এবং ১২ জন আইএএস পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।

    খসড়ার সময়সীমা বৃদ্ধি

    রবিবার নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে বলা হয়, ভোটারদের খসড়া তালিকা প্রকাশের জন্য নির্বাচন কর্মীদের আরও এক সপ্তাহ সময় বাড়়ানো হয়েছে। জমা নেওয়া এবং খতিয়ে দেখার সময়সীমা ১১ ডিসেম্বর শেষ হবে। তবে এই সময়সীমা আগে ৪ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবার তা বাড়ানো হল। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৯ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল, এবার সেই খসড়া ভোটার তালিকা ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে। বাংলায় তিন পর্যায়ে এসআইআর কাজের প্রথম পর্যায় শেষ হতে চলেছে। নির্বাচন কমিশন ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত বর্তমান ভোটার তালিকায় মৃত ভোটারদের সংখ্যা ১৮.৭০ লাখ বলে জানিয়েছে। খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে এমন ভোটারের সংখ্যা ৩৫ লাখ হতে পারে বলে। তবে ৩৫ লাখের এই সংখ্যার মধ্যে ১৮.৭০ লাখ ভোটার রয়েছেন যাঁরা মারা গিয়েছেন। এদিকে, বাকিদের একই নাম একাধিক তালিকায় থাকা, ঠিকানা পরিবর্তন এবং জাল ভোটার হিসেবে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Election Commission: “শুধু ভারতীয়রাই ভোট দেবেন, অনুপ্রবেশকারীরা নয়”, তৃণমূলকে সাফ জানিয়ে দিল কমিশন

    Election Commission: “শুধু ভারতীয়রাই ভোট দেবেন, অনুপ্রবেশকারীরা নয়”, তৃণমূলকে সাফ জানিয়ে দিল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেবলমাত্র ভারতীয়রাই ভোট দেবেন, অনুপ্রবেশকারীরা নয়।” ঠিক এই ভাষায়ই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। কমিশন এও জানিয়ে দিয়েছে, রাজনৈতিক বক্তব্য থাকতেই পারে, কিন্তু এসআইআর (SIR) নিয়ে যাতে কোনও ভুল প্রচার করা না হয়, বিএলওদের কোনও হুমকি না দেওয়া হয়। রাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধি দলকে কমিশন এও জানিয়েছে, নির্বাচন আইন মেনে পুরো প্রক্রিয়া হয়। সেই আইন মেনেই যাতে সবটা হয়, সেটা দেখতে হবে সবাইকে।

    এসআইআরের নান্দীমুখ (Election Commission)

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নান্দীমুখ হয়ে গিয়েছে এসআইআরের। কোনও গন্ডগোল ছাড়াই নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে এই প্রক্রিয়া। এর পর পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২টি রাজ্যে শুরু হয়েছে এসআইআর। আর তার পরেই হইচই পড়ে গিয়েছে বাংলায়। বাকি ১১টি রাজ্যের কোথাও কোনও উচ্চবাচ্য না থাকলেও, চিল-চিৎকার জুড়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। বিরোধীদের অভিযোগ, নানা অছিলায় তারা এসআইআর নিয়ে হাওয়া গরম করে চলেছে এই প্রক্রিয়া ঘোষণা হওয়ার দিন থেকেই। শুধু তাই নয়, এসআইআর নিয়ে রাজনীতি করতে (নিন্দকরা বলছেন) পথে নেমে পড়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। দেশে তো নয়ই, স্বাধীন ভারতেও যা বিরলতম ঘটনা বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    নির্বাচন কমিশনের দফতরে তৃণমূল

    শুক্রবার, সটান নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে হাজির হন তৃণমূলের ১০ জন প্রতিনিধি (Election Commission)। সূত্রের খবর, সেখানেই তাঁদের কার্যত আইনের পাঠ পড়িয়ে দিয়েছেন কমিশনের কর্তারা। কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিএলওদের ওপর প্রভাব খাটানো যাবে না। কোনওরকম চাপ ছাড়াই মৃত, স্থানান্তরিত এবং একই ভোটারের একাধিক জায়গায় থাকা নাম বাদ দিতে হবে। তৃণমূলের তোলা অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৯ ডিসেম্বরের পর এসআইআর সংক্রান্ত দাবি এবং আপত্তি জমা দিতে বলা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা তাঁদেরও দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। ততদিন পর্যন্ত বিএলও, ইআরও এবং ডিইওদের কাজে যাতে শাসক দল হস্তক্ষেপ না করে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন।

    বিএলওদের চাপ

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার বিষয়টিও উল্লেখ করেছে কমিশন। সেই অফিস আরও নিরাপদ জায়গায় (Election Commission) স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে কলকাতা পুলিশকে বলা (SIR) হয়েছে, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিএলওদের চাপ বা ভয় দেখানোর বিষয়টি দেখার জন্য চিঠিও পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে। এদিন দিল্লিতে কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের ১০জনের একটি প্রতিনিধি দল। কমিশন তাঁদের জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির কোনও বক্তব্য কিংবা মতামত দেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে যাতে কোনও ভুল কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো না হয়, তা দেখতে হবে। সূত্রের খবর, ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে তৃণমূলকে বিরত থাকার পরামর্শও দিয়েছেন কমিশনের আধিকারিকরা।

    অতিরিক্ত ভাতা

    যেহেতু বিএলও এবং ইআরও বাড়তি কাজ করছেন, তাই তাঁদের অতিরিক্ত ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিন সেই বিষয়টিও স্মরণ (Election Commission) করিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। কমিশনের আধিকারিকরা জানান, অতিরিক্ত ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানানোও হয়েছিল। কিন্তু নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কোনও টাকা এই ভাতার জন্য (SIR) বরাদ্দ করা হয়নি। দেরি না করে যাতে অবিলম্বে এই ভাতার টাকা বিএলও এবং ইআরওদের দিয়ে দেওয়া হয়, তা-ও জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। রাজ্যের শাসক দলের বাধার প্রাচীর ডিঙিয়েও যে এ রাজ্যে এসআইআরের কাজ মসৃণ গতিতে চলছে, তা মনে করিয়ে দিয়েছে বিজেপি। তারা জানিয়েছে, ৮৫ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজড করে ফেলেছেন বিএলওরা। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ফর্ম আপলোড হয়েছে সব চেয়ে বেশি। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ফুল বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় তৃণমূলকে বলে দিয়েছে যে নির্বাচনের পবিত্রতা রক্ষা করুন। তৃণমূলকে লাইনে আসতে বলেছে।”

    এদিকে, বাংলায় এসআইআর প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে আসছেন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত। জেলায় জেলায় এসআইআর প্রক্রিয়ার কাজ খতিয়ে দেখবেন তিনি। অবশ্য (SIR) তিনি একা নন, আরও ১১ জন আইএএস পদমর্যাদার আধিকারিকও আসবেন তাঁর সঙ্গে। এসআইআর প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পাঠানো হবে বিশেষ পর্যবেক্ষককে (Election Commission)।

  • SIR in Bengal: মৃত ভোটারদের নাম বাদ দিতে তৎপর কমিশন, শুধুমাত্র অনলাইনেই নাম তুলতে পারবেন নতুন ভোটাররা

    SIR in Bengal: মৃত ভোটারদের নাম বাদ দিতে তৎপর কমিশন, শুধুমাত্র অনলাইনেই নাম তুলতে পারবেন নতুন ভোটাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর পেরোলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটার তালিকাকে নির্ভুল রাখতে ক্রমাগত তৎপরতায় নির্বাচন কমিশন। চলছে এসআইআর (SIR in Bengal) প্রক্রিয়া। প্রাথমিক কাজ প্রায় শেষের পথে। এদিকে, এসআইআর নিয়ে নিয়ম ঘিরে বহু প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। সদ্য কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন ভোটাররা অফলাইনে তাঁদের নাম তুলতে পারবেন না। কেবলমাত্র অনলাইনেই তাঁরা নাম তুলতে পারবেন। অনলাইনে ফর্ম-৬ পূরণ করে তাঁরা নাম তুলতে পারবেন।

    মৃত ভোটারের নাম বাদ দিতে তৎপরতা

    এতদিন পর্যন্ত অফলাইন ও অনলাইন দুই ভাবেই নাম তোলা যেত নতুন ভোটারের। এছাড়াও বৃহস্পতিবার কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, মৃত ভোটারের ফর্ম পূরণ করা হলে, কমিশন কঠোর ব্যবস্থা নেবে। ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারের নাম বাদ দিতে তৎপরতায় রয়েছে কমিশন। কোথাও যদি মৃত ভোটারের নামে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ হয়, তাহলে যিনি পূরণ করছেন তিনি জিজ্ঞাসাবাদের কোপে পড়বেন। এছাড়াও মৃত ভোটারের নামে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ হলে, ডিইও থেকে বিএলও সকলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে কমিশন বলে জানানো হয়েছে। ফলত, কোনও মৃত ভোটারের নাম যাতে তালিকায় না থাকে, তা নিয়ে কড়া হতে চলেছে কমিশন। ইউআইডিএআই, কমিশনকে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে মৃত ভোটারের সংখ্যা। সেই সংখ্যা এই প্রতিষ্ঠানের কাছে আগেই জানতে চেয়েছিল কমিশন। আপাতত জেলার ভিত্তিতে সেই তালিকা তৈরি হচ্ছে। রাজ্যের ২৪ জেলার নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে তা পাঠানো হবে।

    আধার কার্ড বাধ্যতামূলক

    কমিশন সূত্রে খবর, নতুন ভোটারদের নাম অনলাইনে তোলার ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ‘ই-সাইন’ আধার কার্ডের মাধ্যমে ওটিপি দিয়ে করা হবে। তবে নতুন ভোটারদের নাম তোলার আবেদন আগামী ৯ ডিসেম্বর এসআইআর-র খসড়া তালিকা প্রকাশের পরই করা যাবে অনলাইনে। এসআইআরে (SIR in Bengal) বহু ভোটারের নাম বাদ যাওয়ার আশঙ্কা ছড়িয়েছিল। সেই আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ম্যাচিং হওয়া ৬ কোটি ভোটারের মধ্যে প্রায় ২৬ লক্ষ ভোটারের হদিশ মিলছে না বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। জমা পড়া এমুনারেশন ফর্মের ম্যাচিং যত এগোবে, এই সংখ্যা তত বাড়বে বলে জানাচ্ছেন কমিশনের এক কর্তা। একই সঙ্গে ম্যাচিংয়ের সময় অনলাইনে নাম না মিললে ছাপানো ভোটার তালিকার সাহায্যও নেওয়া যাবে বলে নতুন নির্দেশিকায় জানিয়েছে কমিশন।

     

     

     

     

     

     

  • SIR in Bengal: রাজ্যে এখনও ২৬ লক্ষ ভোটারের নাম ম্যাপিং-এ মেলেনি! কী হবে এদের, কী বলছে কমিশন?

    SIR in Bengal: রাজ্যে এখনও ২৬ লক্ষ ভোটারের নাম ম্যাপিং-এ মেলেনি! কী হবে এদের, কী বলছে কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্যে এসআইআর (SIR in Bengal) প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে। এখন হিসেব-নিকেশের পালা। ফর্ম বিলি করার পর সংগ্রহ করার কাজও প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৬ কোটি ভোটারের ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষ হওয়ার পথে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ডিজিটাইজেশনের পর ১৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। আর এবার সামনে এল আরও একটি হিসেব। কমিশন (Election Commission) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ লক্ষ ভোটারের ম্যাপিং হয়নি। চলতি এসআইআর প্রক্রিয়ায় বুধবার দুপুর পর্যন্ত রাজ্যে ৬ কোটির বেশি এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজেশন হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে সেগুলি ম্যাপিংয়ের আওতায় আনা হয়। তাতে দেখা যায় আপাতত রাজ্যের ২৬ লক্ষ ভোটারের নাম শেষ এসআইআরের সঙ্গে ম্যাপিং করানো যাচ্ছে না।

    ম্যাপিং কী, কীভাবে হয়

    এসআইআর-এর (SIR in Bengal) নিয়ম হল, ২০০২-এর সমীক্ষার লিস্টের সঙ্গে নাম মেলাতে হবে। যদি কোনও ভোটার ২০০২-এর পরে ভোটার হয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে ওই সমীক্ষার লিস্টে থাকা বাবা-মা বা দাদু-দিদার নাম মেলাতে হবে। এটাই হল ম্যাপিং। সেই ম্যাপিং-এ ২৬ লক্ষ নাম মেলেনি বলেই জানা যাচ্ছে। অর্থাৎ ৫ শতাংশের নাম মেলেনি। এ বছর প্রকাশিত সর্বশেষ ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০০২ সালে শেষ এসআইআর-তালিকা ইতিমধ্যেই মিলিয়ে দেখা হয়েছে। দুই তালিকায় কত জনের নাম অভিন্ন, দেখা হয় তা। সঙ্গে দেখা হয়, এখনকার ভোটার তালিকায় থাকা কোনও ভোটারের মা-বাবার নাম গত এসআইআরের তালিকায় রয়েছে কি না। এই মিল পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টরা চিহ্নিত হয়ে যান এমনিতেই। এবার ম্যাপিংয়ে অন্য রাজ্যকেও জুড়ে দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতর সূত্রে এ কথা জানা গিয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত রাজ্য ধরে ধরে বিভিন্ন পর্যায়ে দেশে এসআইআর হয়েছিল। তখনকার তালিকায় কোনও ভোটার বা তাঁর পরিবারের নাম থাকলেও, পরে তাঁরা বাংলায় চলে আসেন। ফলে সেই সব ভোটারকেও ম্যাপিংয়ে আনা প্রয়োজন। কারণ, তাঁরাও দেশের নাগরিক। তাই বাংলার সঙ্গে অন্য রাজ্যের ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখা হয়েছে। সেখানেই এই ২৬ লক্ষের নাম উঠে এসেছে। তবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। এখনও অনেক ডিজিটাইজেশনের কাজ বাকি। তাই সংখ্যাটা যে বাড়বে তা স্বাভাবিক।

    শুনানিতে ডাকা হবে ভোটারকে

    কমিশন (Election Commission) সূত্রে খবর, নাম মিলছে না মানেই চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যাবে এমনটা নয়। ২০০২-এর সঙ্গে ম্যাপিং না হলে শুনানিতে ডাকা হবে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে। তাঁকে প্রমাণপত্র বা যোগ্য ভোটার হওয়ার জন্য নথিপত্র জমা করতে হবে। তাতে যদি কমিশন সন্তুষ্ট হয়, তাহলে নতুন এসআইআর তালিকায় জায়গা পাবে ওই ভোটারের নাম, নাহলে নাম বাদ যাবে। কমিশনের বক্তব্য, যাঁদের তথ্য মিলেছে, তাঁদের আলাদা করে কোনও নথিপত্র বা প্রমাণ দাখিল করতে হবে না। কমিশনের দেওয়া আবেদনপত্র (এনুমারেশন ফর্ম) ভর্তি করলেই চলবে। যাঁদের নামের মিল বা সূত্র পাওয়া যাবে না, তাঁদের ক্ষেত্রে নথিপত্র-যাচাই করা হবে। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩৭ হাজারেরও বেশি। তার মধ্যে বুধবার পর্যন্ত বিলি হয়েছে ৭ কোটি ৬৪ লক্ষ ৬৮ হাজারেরও বেশি ফর্ম। অর্থাৎ, প্রায় ৯৯.৮ শতাংশ। ডিজিটাইজেশন হয়েছে ৬ কোটি ১ লক্ষ অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৭৮ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম।

  • Election Commission: রাজ্যে আসছেন নির্বাচন কমিশনের ৩ কর্তা, থাকবেন এসআইআর-এর কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত

    Election Commission: রাজ্যে আসছেন নির্বাচন কমিশনের ৩ কর্তা, থাকবেন এসআইআর-এর কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এসআইআর (SIR) কাজ চলছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার আগেই রাজ্যের সিইও দফতরে তিন অফিসারকে পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তবে নিবিড় সংশোধনী তালিকার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদেরকে এই রাজ্যেই থাকতে হবে। তাঁরা সকলেই সিইও দফতরে নিযুক্ত থাকবেন এবং সমস্ত কাজ খতিয়ে দেখবেন। তবে এই তিন অফিসার দিল্লিত নির্বাচন সদনে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। কমিশন যে এই রাজ্যে এসআইআর-এর কাজে বিন্দুমাত্র গাফিলিতিকে বরদাস্ত করছে না সেই কথা আরও একবার প্রমাণিত হলো।

    রাজ্যে এসআর নিয়ে খুশি নয় তৃণমূল (SIR)

    জাতীয় নির্বাচন (Election Commission) দফতরের পক্ষে বলা হয়েছে, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বিসি পাত্র, সেক্রেটারি সৌমজিৎ ঘোষ এবং আন্ডার সেক্রেটারি ভৈরব আগরওয়ালকে পশ্চিমবঙ্গের সিইও অফিসে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা সকলে রাজ্যের সিইও-র অধীনে কাজ করবেন। এসআইআরের কাজ সম্পূর্ণ ভাবে শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখানেই কাজ দেখভাল করবেন। এদিকে রাজ্যে এসআর নিয়ে খুশি নয় তৃণমূল। তৃণমূল সমর্থিত বিএলও-দের একাংশ অতিরিক্ত কাজের চাপের অভিযোগ তুলে সিইও-র অফিসে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। রীতিমতো অফিসের ভিতরে কয়েকজন ঢুকে অবস্থানও করে। আর তাতেই কমিশন অত্যন্ত চিন্তা ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে দফতরের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে। গোটা ঘটনায় কলকাতা পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

    অ্যাকশেন টেকেন রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ

    সিইও অফিসের দফতরে নিরাপত্তা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে দুদিনের মধ্যে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অবিলম্বে অ্যাকশেন টেকেন রিপোর্ট জমা দিতে হবে। গত ২৪ নভেম্বর হাতে রিপোর্ট পেয়েই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা পুলিশেকে চিঠি পাঠিয়ে কমিশন জানিয়েছে, সিইও দফতরে যে পর্যায়ে নিরাপত্তা থাকা উচিত তা খুবই কম। ফলে সিইও, অতিরিক্ত সিইও, জয়েন্ট এবং ডেপুটি সিইও সহ সকল আধিকারিকদের নিরাপত্তা অত্যন্ত সংকটের মুখে। পরিস্থিতিকে মোটেই হালকা ভাবে নেওয়ার পক্ষপাতী নয় কমিশন। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সংশোধন জরুরি এবং দফতরের ভিতরে-বাইরে যাতায়াতকারী সব কর্মীর সুরক্ষাকে আগে প্রধান্য দিতে হবে। অবিলম্বে বাড়তি ব্যবস্থা নিতে হবে। কলকাতা পুলিশকে চিঠি লিখে কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ।

  • SIR in Bengal: এসআইআরে বাংলায় বাদ অন্তত ১০ লক্ষ নাম! কী বলছে কমিশন?

    SIR in Bengal: এসআইআরে বাংলায় বাদ অন্তত ১০ লক্ষ নাম! কী বলছে কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR in Bengal)-এ আপাতত ১০ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে জানাল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ওই সংখ্যক ভোটারের নাম বাদ যাচ্ছে বলে কমিশনের প্রাথমিক ধারণা। বাদ পড়ার ক্ষেত্রে শতাংশের বিচারে উত্তর কলকাতা এগিয়ে রয়েছে। এসআইআর (SIR) শুরুর পর কমিশন জানিয়েছিল, বর্তমানে রাজ্যে মোট ভোটারের সংখ্য়া ৭ কোটি ৬৬ লক্ষের অধিক। ফর্ম বিলি ও জমা নেওয়ার কাজ চলছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সিইও মনোজ কুমার আগরওয়াল জানান, এখনও পর্যন্ত ডিজিটাইজড হয়েছে মোট ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ফর্ম। আর এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষ ৩৩ হাজার ভোটার তাঁদের ফর্ম সংশ্লিষ্ট বুথের বিএলওর কাছে জমা দেননি।

    সাড়ে ৬ লক্ষ মৃত ভোটার

    সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল সাংবাদিক বৈঠকে জানান, এখনও পর্যন্ত ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ফর্ম ডিজিটাইজড হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ডিজিটাইজেশনের পর ১০ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ডিজিটাইজেশনের ভিত্তিতে যে দশ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে, তার মধ্যে সাড়ে ৬ লক্ষ মৃত ভোটার। এছাড়া স্থানান্তরিত ভোটারও রয়েছেন। আবার অনেকে এনুমারেশন ফর্ম নেননি। কিংবা নিলেও বিএলও-কে ফর্ম জমা দেননি। উত্তর কলকাতায় ১০ শতাংশ নাম বাদ পড়েছে। কিছুদিন আগে আধার কর্তৃপক্ষ সিইও-কে জানিয়েছিল, রাজ্যের ৩৪ লক্ষ মৃতের আধার নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। কমিশনের বক্তব্য, প্রতি বছর ভোটার তালিকা আপডেটের জন্য সামারি রিভিশন হয়। সেখানেও অনেক মৃত ভোটারের নাম বাদ পড়েছে।

    মোট কতজন ভোটারের নাম বাদ

    কমিশন (Election Commission) সূত্রে খবর, প্রতি দিনই তথ্য আসছে। আপাতত বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-দের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই হিসেব মিলেছে। তাঁরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে ফর্ম বিলি করতে গিয়ে এই তথ্য পেয়েছেন। সব এনুমারেশন ফর্ম (SIR in Bengal) জমা হওয়ার পরে চূড়ান্ত হিসেব পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে বাদ পড়ার সংখ্যা যে অনেক বেশি হবে, তা এক প্রকার নিশ্চিত। প্রথমে বুথে বুথে বিএলও-রা ফর্ম বিলি করেছেন। পরে পূরণ করা ফর্ম তাঁরা সংগ্রহ করেছেন। সেই সময় বিএলও-রা তথ্য পেয়েছেন, কাদের কাদের ফর্ম পূরণ না হয়েই ফেরত এল। এই ১০ লক্ষের মধ্যে ৬.৫ লক্ষ মৃত ভোটার রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছেন একাধিক জায়গায় নাম, স্থানান্তরিত এবং নিরুদ্দেশ ভোটারও। কমিশন সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহের মধ্যে পুরো তথ্য চলে আসার কথা। তখন এই সংখ্যাটি কত দাঁড়ায় তা দেখার। ২০২৫ সালের ২৭ অক্টোবরের তালিকা থেকে মোট কত নাম বাদ পড়ল তা জানা যাবে খসড়া তালিকা প্রকাশের পরে। আগামী ৯ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন।

    ৭ কোটি ৬৪ লক্ষের বেশি এনুমারেশন ফর্ম বিলি

    কমিশন (Election Commission) জানাচ্ছে, ২৪ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজ্যে ৯৯.৭৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৭ কোটি ৬৪ লক্ষের বেশি এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়েছে। খুবই অল্প সংখ্যক ফর্ম বিতরণ বাকি রয়েছে। পূরণ করা ফর্ম ডিজিটাইজ করা হয়ে গিয়েছে ৪ কোটির বেশি (৫৯.৪ শতাংশ)। এখনও পর্যন্ত ওই কাজ চলছে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়াল বলেন, ‘‘আমরা ভোটারদের কাছে অনুরোধ করেছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এনুমারেশন ফর্ম জমা দিন। ৪ ডিসেম্বর শেষ দিন, তার কোনও পরিবর্তন হয়নি।’’ কমিশনের তথ্য বলছে, এখনও প্রায় ২ লক্ষ মানুষের হাতে ফর্ম পৌঁছনো বাকি। মোট ভোটারের ২.৫ শতাংশের ম্যাপিং-ও বাকি রয়েছে। হাতে এখনও এক সপ্তাহের বেশি সময় রয়েছে। দ্রুত কাজ চলছে বলে জানান মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিক।

    কোন জেলায় কী রকম কাজ

    কমিশনের (Election Commission) তরফে আরও জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত এসআইআরের যা কাজ হয়েছে, তাতে রাজ্যের পাঁচটি জেলা এগিয়ে রয়েছে। পূর্ব বর্ধমানে ৬৬.৪৭ শতাংশ, আলিপুরদুয়ারে ৬৬.৪১ শতাংশ, উত্তর দিনাজপুরে ৬৫.৪৩ শতাংশ, মালদহে ৬৬.২৩ শতাংশ এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ৬৫.২৭ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে ভাল কাজ হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার গোসাবায়। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১২১ জন বিএলও। ইতিমধ্যেই ১০০ শতাংশ কাজ সেরে ফেলেছেন। বিএলও-দের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের মুখে। তিনি বলেন, ‘‘বিএলও-রা প্রচুর কাজ করছেন। তাঁরাই এসআইআরের হিরো!’’

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি

    এসআইআর (SIR in Bengal) পর্বে বার বার রাজ্যে  ‘অনুপ্রবেশ’ -এর কথা বলেছে বিজেপি। রবিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ফের দাবি করেছেন, এসআইআর হলে এক কোটি ভোটারের নাম বাদ যাবে। তাতে মৃত ভোটার, একাধিক জায়গায় থাকা এক নামের পাশাপাশি বাদ পড়বেন অনুপ্রবেশকারীরাও।

  • SIR: রাজ্যের ৪৪টি জায়গায় ভোটার তালিকা ‘মায়া’ময়! এসআইআর ফর্মের কিউআর কোড স্ক্যানে পর্দা ফাঁস

    SIR: রাজ্যের ৪৪টি জায়গায় ভোটার তালিকা ‘মায়া’ময়! এসআইআর ফর্মের কিউআর কোড স্ক্যানে পর্দা ফাঁস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থান ভেদে পদবি আলাদা, রাজ্যের ৪৪টি জায়গায় ভোটার তালিকা ‘মায়া’ময়। হাওড়ায় তিনি মায়ারানি রায়, বাঁকুড়ায় মায়ারানি মুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারে মায়ারানি প্রামাণিক, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে মায়ারানি নাইয়া! আবার উত্তর ২৪ পরগনায় তিনিই মায়ারানি মণ্ডল, বর্ধমানে মায়ারানি কোঙার। এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ায় একটিমাত্র এনুমারেশন ফর্মের কিউআর কোড স্ক্যান করতেই দেখা যায়, একই মহিলার নাম একসঙ্গে ৪৪টি ভিন্ন বিধানসভায় ভোটার তালিকায় যুক্ত রয়েছে। রয়েছে তাঁর স্বামীর নামও। কিন্তু সবক’টির পদবি আলাদা। পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার ৪৭ নম্বর বুথে সামনে এসেছে এমনই ভোটার কার্ডে জালিয়াতির ঘটনা। পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পোন্নাম্লম এসের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

    কোনও ভয় নেই মায়ারানির

    পেশায় রাঁধুনি মধ্যবয়স্কা মায়ারানিকে নিয়ে শোরগোল পশ্চিম বর্ধমানে। বিজেপির অভিযোগ, এই ভাবে রাজ্য জুড়ে ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম ঢুকিয়েছে তৃণমূল। তদন্ত শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। বিধবা মায়ারানি গোস্বামীর বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার ডিভিসি পাড়ায়। ৪৭ নম্বর বুথের ভোটার তিনি। তাঁর এনুমারেশন ফর্মে কোড স্ক্যান করতে গিয়ে রাজ্যের ৪৪ জায়গায় ভোটার হিসেবে তাঁর নাম পেয়েছেন বিএলও। এমন অভাবনীয় ঘটনায় মায়ারানি অবশ্য বিস্মিত নন। বস্তুত, তিনি এর গুরুত্ব কী তা-ই জানেন না। বাড়ি বাড়ি রান্নার কাজ করে কোনও ক্রমে দিন চলে ওই মহিলার। থাকেন সরকারি প্রকল্পে পাওয়া বাড়িতে। তাঁর কথায়, ‘‘বাবারা, আমি তো কিছুই জানি না। শুরু থেকে আমি বৈদ্যনাথপুর স্কুলে ভোট দিই। র আগের সরকারের সময়কালে বৈদ্যনাথপুরে নাম তুলেছিলাম৷ সেই সময় আগের ভোটার লিস্ট থেকে আমার নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমি শুধুমাত্র এটুকুই জানি। লোকের বাড়িতে রান্না করে আমি পেট চালাই। আমি কী করব বুঝতে পারছি না৷ এসআইআরের (SIR) ফর্ম পাড়ার সবাই পূরণ করেছে। আমিও করেছি। তার পর জনে জনে আমাকে এসে প্রশ্ন করছেন। তবে অনেকেই বলেছেন, আমার কোনও ভয় নেই।’’

    সুপরিকল্পিত জালিয়াতি চক্রের কাজ

    বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, এসআইআর-এর (SIR) জন্য সত্য সামনে এল৷ এসআইআর চেক না হলে এমন ঘটনা ধরা পড়তই না। কত অসহায় মানুষের নাম ব্যবহার হয়েছে তা ভাবলে শিউরে উঠতে হয়, তাই বড়সড় তদন্ত হওয়া জরুরি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধবা মায়ারানি গোস্বামী খুব অসহায়৷ লোকের বাড়িতে রান্নার কাজ করে দিন গুজরান করেন৷ অভিযোগ, তাঁর এসআইআর ফর্মের কিউআর কোড স্ক্যান করতেই দেখা যায়, উত্তর দিনাজপুর থেকে শুরু করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় তাঁর নাম তোলা হয়েছে ভোটার হিসেবে। তবে প্রতিটি তালিকায় নাম ‘মায়ারানি’ রাখা হলেও বারবার বদলে দেওয়া হয়েছে পদবি। কোথাও তিনি মণ্ডল, কোথাও রায়, আবার কোথাও ঘোষ বা নাইয়া। এইভাবে তাঁর পরিচয় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ভোটার হিসাবে তাঁর বয়সও বিভিন্ন জায়গায় কমিয়ে দেখানো হয়েছে। ঘটনার খবর মিলতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, একটি ফর্ম স্ক্যান করতেই ৪৪টি ভুয়ো পরিচয় উঠে আসা কোনও সাধারণ ভুল হতে পারে না। এটি যে একটি সুপরিকল্পিত জালিয়াতি চক্রের কাজ, তা স্পষ্ট।

LinkedIn
Share